Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bhanubhakta Acharya: আজ ভানুজয়ন্তী,  আদিকবি ভানুভক্তকে চেনেন?

    Bhanubhakta Acharya: আজ ভানুজয়ন্তী,  আদিকবি ভানুভক্তকে চেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভানুভক্তকে (Bhanubhakta Acharya) চেনেন? চিনবেন কি করে? তবে জেনে রাখুন এই মহান মানুষটির অমর কীর্তিগাথা। নেপালের আদিকবি (Nepali Poet) তিনি। পুরো নাম ভানুভক্ত আচার্য। নেপালি ভাষায় ‘রামায়ণ’ অনুবাদ করায় সারা বিশ্বে সমাদৃত এই নেপালি কবি। আদত নাম যাই হোক না কেন, সাহিত্যিক থেকে সাধারণ মানুষ, সর্বত্রই তিনি পরিচিত ভানুভক্ত নামেই। নেপালের পাশাপাশি ভারতের দার্জিলিং, সিকিম, ভুটান মায় মায়ানমারের লোকজনও মর্যাদার সঙ্গে পালন করেন ভানুজয়ন্তী।

    ভানুভক্ত (Bhanubhakta Acharya)

    ১৮১৩ সালের ১৩ জুলাই জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভানুভক্ত। নেপালের তনহুঁ জেলার রামঘা গ্রামের এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম। পিতা ধনঞ্জয়ের আচার্য ছিলেন সরকারি কর্মচারী। ভানু পরিবারের বড় ছেলে। প্রাথমিক পাঠ পিতামহের কাছে, বাড়িতেই। পরে সংস্কৃত শিখতে তিনি চলে আসেন বারাণসীতে। সংস্কৃত শিখে নেপালি ভাষায় ‘রামায়ণে’র মতো মহাকাব্য অনুবাদ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তিনি। তাঁর জন্মদিনে নেপালি জনগণ তাঁদের সংস্কৃতি ও ভাষা সংরক্ষণ এবং সমৃদ্ধ করার শপথ নেন।

    ভানুভক্তকে শ্রদ্ধার্ঘ

    ভানুভক্ত সম্পর্কে বলতে গিয়ে নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা বলেছিলেন, “ভানুভক্ত (Bhanubhakta Acharya) এমন একজন বীর যিনি ভাষাতত্ত্বের মাধ্যমে সকলকে একত্রিত করেছেন। তাঁর সৃষ্টি মেচি থেকে মহাকালী পর্যন্ত সকলকে একত্রিত করেছে।” সিকিমে ভানুভক্তের মূর্তিও রয়েছে। ভানুভক্ত সম্পর্কে অগাধ শ্রদ্ধা বাংলার বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও। তিনি বলেছিলেন, “আদিকবি উপাধি দিয়ে অমর হয়ে গিয়েছেন ভানুভক্ত আচার্য। নেপালি ভাষায় সাহিত্যকর্ম নথিভুক্ত করার জন্য এবং মহান মহাকাব্য রামায়ণ সংস্কৃত থেকে নেপালি ভাষায় অনুবাদ করার জন্য সর্বদা সম্মানিত হবেন।”

    আর পড়ুন: ব্রিটেনের কুর্সিতে লেবার পার্টি, স্টার্মার-রাজত্বে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক কেমন হবে?

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ভানুভক্তের ‘রামায়ণ’ই সম্ভবত নেপালি ভাষায় অনূদিত প্রথম কোনও সংস্কৃত সাহিত্য। প্রসঙ্গত, ভানুভক্তই প্রথম ব্যক্তি, যিনি নেপালি ভাষায় কবিতা লিখতে শুরু করেন। তাই ‘আদিকবি’ সম্মানে ভূষিত করা হয় তাঁকে। ফি বছর ১৩ জুলাই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় ভানুভক্তের জন্মদিন। নেপালি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দিনটি হল ২৯ আষাঢ়। ভানুভক্তের লেখার মূল বৈশিষ্ট্য হল ধর্মীয় অনুভূতি, সরলতা বোধ এবং দেশের প্রতি উষ্ণ আবেগ, যার পরিচয় সমকালীন অন্য কোনও কবির লেখায় মেলে না।

    প্রতি বছর নেপাল সরকার মর্যাদা সহকারে পালন করেন ভানুভক্তের জন্মদিন। নেপালের বাসিন্দারা তো বটেই, বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নেপালি ভাষাভাষীর মানুষজন এই দিনে মহান এই কবিকে (Bhanubhakta Acharya) স্মরণ করেন শ্রদ্ধার সঙ্গে (Nepali Poet)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nigeria school collapse: নাইজেরিয়ায় ক্লাস চলাকালীন স্কুল ধসে ২২ পড়ুয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু! আহত বহু

    Nigeria school collapse: নাইজেরিয়ায় ক্লাস চলাকালীন স্কুল ধসে ২২ পড়ুয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু! আহত বহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। স্কুল চলাকালীন আচমকাই ভেঙে পড়ল ছাদ (Nigeria school collapse)। আকস্মিক এমন ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ২২ জন পড়ুয়ার। শুক্রবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আফ্রিকার সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ নাইজেরিয়ার প্লেটু রাজ্যে। মৃতের পাশাপাশি আহতের সংখ্যাও বহু। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও অনুমান করা হচ্ছে ভেঙে পড়া ওই ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও আটকে প্রায় একশোর কাছাকাছি পড়ুয়া। তাই জোর কদমে চলছে উদ্ধারকাজ। এই মুহূর্তে দুর্ঘটনাস্থলে রয়েছেন আটকে থাকা পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। সকলেই প্রশাসনকে দ্রুত উদ্ধারকাজ শেষ করার আবেদন জানাচ্ছেন।        

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Nigeria school collapse)

    সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, শুক্রবার ক্লাস চলাকালীন আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে দোতলা স্কুলটি। সেসময় স্কুলে উপস্থিত ছিল প্রায় দুশোর কাছাকাছি ছাত্রছাত্রী। দুর্ঘটনার পরই ছুটে আসেন স্থানীয়রা। প্রথমে তারাই উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরপরে খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছয় উদ্ধারকারী দল, পুলিশ এবং দমকল বাহিনী। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২২ জন পড়ুয়ার। যাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই বয়স পনেরো কিংবা তার নিচে। মৃতের পাশাপাশি আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭০-এরও বেশি। আহতদের সবসরকম চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোকে কোনও নথি, অর্থ না নিয়ে দ্রুত চিকিৎসা শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও একশোর কাছাকাছি মানুষের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। 

    কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল?    

    যদিও কি কারণে ওই স্কুল ধসে পড়ল তা এখনো নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি। প্রশাসনের তরফে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় গত তিন দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। তাই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি (Nigeria school collapse) ঘটে। যদিও অন্যদিকে এই ঘটনায় স্কুলের দুর্বল পরিকাঠামোকেই দায়ী করছে স্থানীয় প্রশাসন। জানা গিয়েছে, ওই স্কুলটি একটি নদীর তীরের খুব কাছে অবস্থিত। তাই এই দুর্ঘটনার পর সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের তরফে এই ধরনের সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: নেপালে পালাবদল! তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কেপি শর্মা ওলিzয

    একের পর এক ঘটনা 

    যদিও এমন ঘটনা নাইজেরিয়ায় (Nigeria school collapse) প্রথম নয়। এর আগে ২০২১ সালে লাগোসে নির্মাণাধীন একটি বাড়ি ধসে কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হন। এছাড়াও গত ২ বছর ধরে নাইজেরিয়ায় একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে। বাড়ি তৈরির সুরক্ষা বিধি না মেনেই এইসব বাড়ি তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে সেদেশে। বিভিন্ন নির্মাণকারী সংস্থা দুর্নীতি করার জন্য নিম্নমানের সামগ্রি দিয়ে এগুলি তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেছে সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Keir Starmer: ব্রিটেনের কুর্সিতে লেবার পার্টি, স্টার্মার-রাজত্বে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক কেমন হবে?

    Keir Starmer: ব্রিটেনের কুর্সিতে লেবার পার্টি, স্টার্মার-রাজত্বে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক কেমন হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪ বছর পর ফের ব্রিটেনের কুর্সিতে বসেছে লেবার পার্টি। ২০১০ সালের পর এই প্রথম লেবার পার্টির কোনও (India UK Relation) নেতা হতে চলেছেন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা। লেবার পার্টির তরফে ব্রিটেনের কুর্সিতে যিনি বসতে চলেছেন তিনি কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer)। জয়ের পর ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “১৪ বছর পর ফের ব্রিটেন নিজেদের ভবিষ্যৎ ফিরে পেয়েছে।”

    স্টার্মারের মাথায় কাঁটার মুকুট! (Keir Starmer)

    স্টার্মারের আগে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। তাঁর বছর দুয়েকের শাসনে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক তুঙ্গে উঠছে, এমনটা বলা যায় না। তবে সম্পর্কের অবনতিও হয়নি। এবার স্টার্মারের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কের জল কোন খাতে গড়ায়, সে দিকেই তাকিয়ে ভারত ও ব্রিটেন দুই দেশ। স্টার্মার যে সময় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন, সেই সময় সে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভালো নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম ব্রিটেনের ঘাড়ে করের বোঝা চেপেছে বিপুল পরিমাণে। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে নিট ঋণের পরিমাণ ব্রিটেনের বার্ষিক অর্থনৈতিক আউটপুটের সমান। দেশের (Keir Starmer) পাবলিক পরিকাঠামো নড়বড়ে, জীবনযাপনের মান কমছে তীরের বেগে। সঙ্কটের মুখে সে দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা। এহেন আবহে কুর্সিতে বসেছেন স্টার্মার।

    স্টার্মারের সামনে গুচ্ছ চ্যালেঞ্জ

    বস্তুত, কাঁটার মুকুট পরেছেন ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সামনে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল দ্রুত দেশের আর্থিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করা। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় দীর্ঘদিন ধরে পাঁচ নম্বরে ছিল ব্রিটেন। গত বছর সেই জায়গাটা দখল করেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। ব্রিটেন নেমে গিয়েছে ওই তালিকার ছ’নম্বরে। তাই ব্রিটেনকে ফের পূর্বাবস্থায় ফেরানোটাই স্টার্মারের কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। ব্রিটেনবাসীর জীবনযাপনের মানোন্নয়ন করাও তাঁর আশু কর্তব্য। স্বাস্থ্য, শিক্ষা-সহ বিভিন্ন অতিপ্রয়োজনীয় খাতে বাজেট বরাদ্দ কাটছাঁট না করেই উন্নয়ন করতে হবে এই সব ক্ষেত্রে। এসব ‘ঘরোয়া সমস্যা’র সমাধানও যেমন করতে হবে স্টার্মারকে, তেমনি মজবুত করতে হবে ভারত-ব্রিটেন (পড়ুন, লেবার পার্টির) সম্পর্কও।

    আর পড়ুন: চিনা হেফাজতে মৃত্যু তিব্বতি তেনজিং ডেলেকের, কে জানেন?

    তলানিতে ভারত-লেবার পার্টির সম্পর্ক

    কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্যের জেরে তলানিতে ঠেকে ভারত ও লেবার পার্টির সম্পর্ক। সেই সম্পর্ককে পুনরায় আগের জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়াও অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে। স্টার্মারের আগে লেবার পার্টির রাশ ছিল জেরেমি করবিনের হাতে। তাঁর ভারত-বিরোধী অবস্থানের জন্যই নয়াদিল্লির সঙ্গে লেবার পার্টির সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এই সম্পর্ককেই দ্রুত ফেরাতে হবে জেরেমি জমানার আগের অবস্থায়।

    প্রতিশ্রুতি রক্ষার পালা স্টার্মারের

    ঋষি সুনক যখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন বিরোধীদলের নেতা ছিলেন স্টার্মার (Keir Starmer)। সেই সময়ই তিনি ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার কথা বলতেন। ব্রিটেনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দুদের ওপর খালিস্থানপন্থীরা যখনই হামলায় চালাত, তখনই তার কড়া নিন্দা করতেন স্টার্মার। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে তিনি এ-ও দাবি করেছিলেন, তাঁর দল সরকারে এলে বৈশ্বিক নিরাপত্তা, জলবায়ু সংরক্ষণ এবং অর্থনৈতিক সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে ভারতের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে চাইবে। ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছে স্টার্মারের দল। তাই এবার তাঁর পালা প্রতিশ্রুতি রক্ষার।

    ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক

    ক্ষমতায় এলে তিনি যে ভারতের সঙ্গে নতুন কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান, নির্বাচনী প্রচারেই তা জানিয়েছিলেন স্টার্মার। ভারতের সঙ্গে তিনি যে মুক্ত-বাণিজ্যের চুক্তি করতেও বদ্ধপরিকর, সেটাও জানিয়েছিলেন ব্রিটেনের লেবার পার্টির এই নেতা। এর পাশাপাশি প্রযুক্তি, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয় নিয়েও ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী স্টার্মার। বর্তমানে ভারত বিশ্বের দ্রুত উন্নতিশীল দেশ। বিভিন্ন (India UK Relation) আন্তর্জাতিক সংস্থার করা সমীক্ষা বলছে, অচিরেই জাপানকে টপকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চার নম্বরে চলে আসবে মোদির ভারত। তাই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে মুখিয়ে ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী।

    ‘হিন্দুফোবিয়া’ মুছে ফেলতে আগ্রহী!

    তিনি যে হিন্দু-বিরোধী নন, তিনি যে ব্রিটেন থেকে ‘হিন্দুফোবিয়া’ মুছে ফেলতে আগ্রহী, তা-ও ভোটের আগে বারংবার প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন স্টার্মার। সেই কারণেই হিন্দুদের উৎসব হোলি কিংবা দেওয়ালির মতো অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন তিনি। বার্তা দিতে চেয়েছিলেন ‘আমি তোমাদেরই লোক’ গোছের। স্টার্মারের এই কৌশলে কাজ হয়েছে। ব্রিটেনের নির্বাচনে প্রবাসী ভারতীয় হিন্দু ভোটাররা একটা বড় ফ্যাক্টর। সেই ফ্যাক্টরই এবার ব্যাপকভাবে কাজ করেছে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, প্রবাসী হিন্দু কিংবা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের একটা বড় অংশের ভোট এবার পড়েছে লেবার পার্টির ঝুলিতে। তাই স্টার্মারের জয় হয়েছে নিছক কেক-ওয়াক।

    স্টার্মারের জয়ের পর তাঁকে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ই দুই রাষ্ট্রনেতা ‘মজবুত অর্থনৈতিক বন্ধন’ গড়ে তুলতে আগ্রহী বলে জানিয়েছিলেন। স্টার্মার মোদিকে (India UK Relation) এ-ও বলেছিলেন, ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে চলা দোটানায় ইতি টানতে প্রস্তুত ব্রিটেন।

    আসলে মোদির ভারতকে এড়িয়ে যাওয়ার যে কোনও উপায়ই নেই লেবার পার্টির নেতা তথা ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারের (Keir Starmer)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nepal PM: নেপালে পালাবদল! তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কেপি শর্মা ওলি

    Nepal PM: নেপালে পালাবদল! তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কেপি শর্মা ওলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালে পালাবদল। সম্প্রতি নেপালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী (Nepal PM) পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ডকে ভোটে হারিয়ে শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বাধীন নেপালি কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কেপি শর্মা ওলি (KP Sharma Oli)। শুক্রবার ১২ জুলাই আস্থাভোটে ২৭৫ সদস্যের হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের ২৫৭ জন ভোট দিয়েছিলেন। প্রচণ্ডকে সমর্থন করেছেন মাত্র ৬৩ জন। আর বাকি ১৯৪ জন বিরোধিতা করেছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নেপাল পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন কেপি শর্মা ওলি। 

    প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা পুষ্পকমল দহলের (Nepal PM) 

    শুক্রবার নেপাল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েনটেটিভসে আস্থাভোট পরাজিত হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন মাওয়িস্ট সেন্টারের প্রধান প্রচণ্ড। তার আগেই অবশ্য নেপালি কংগ্রেস-সিপিএন (UML) জোটের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষিত হয়েছিল। জানা গিয়েছে, শনিবার ১৩ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে জোট সরকারের প্রধান হিসাবে ‘চিনপন্থী’ নেতা কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (ইউনিফায়েড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট)-এর প্রধান কেপি শর্মা ওলির নাম ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর নাম নিয়ে জল্পনা ছিল। যদিও নেপালি কংগ্রেসের ৮৯ জন এবং কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (CPN)-এর ৭৮ মিলিয়ে মোট ১৬৭ জন সংসদের সমর্থন ওলির সঙ্গে রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন চর্চা হবে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে! কবে থেকে শুরু পঠনপাঠন?

    আগের ইতিহাস 

    উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বরে নেপালের সাধারণ নির্বাচনে নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেধে লড়েছিল প্রচণ্ডের মাওয়িস্ট সেন্টার। কিন্তু জোটে জেতার পরেই দেউবাকে ছেড়ে ওলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী (Nepal PM) হয়েছিলেন প্রচণ্ড। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের মধ্যপর্বে ওলির সঙ্গে মতবিরোধের সময় দেউবার সমর্থন নিয়ে কাঠমান্ডুর কুর্সি বাঁচিয়েছিলেন একদা গেরিলা যোদ্ধা। মোট চার বার জোট বদলে গদি বাঁচালেও এবার ‘চিনপন্থী’ ওলি (KP Sharma Oli) ‘জাতীয়তাবাদী’ দেউবার সঙ্গে হাত মেলানোয় আইনসভার গণিতের হিসাবে প্রচণ্ড তাঁর গদি হারান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dr. George Matthew: আবু ধাবির একটি রাস্তার নামকরণ হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডাক্তারের নামে

    Dr. George Matthew: আবু ধাবির একটি রাস্তার নামকরণ হল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডাক্তারের নামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৮৪ বছর বয়সী ডাক্তারের নামে। মিউনিসিপ্যালিটিস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট (ডিএমটি) আবু ধাবিতে এই রাস্তার নামকরণ করেছে। ডাক্তার জর্জ ম্যাথিউ (Dr. George Matthew)-এর “অনারিং ইউএইস ভিশনারিস: মেমোরেটিভ স্ট্রিটস” প্রকল্পে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁর নামে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আসুন জেনে নিই এই চিকিৎসকের জীবন কেমন ছিল।

    বৃহৎ জাতির জন্য অবদানের জন্য সম্মাননা (Dr. George Matthew)

    সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রাজধানী আবু ধাবির একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত (Indian origin doctor) ডাক্তার জর্জ ম্যাথিউ-র (Dr. George Matthew) নামে। এই নামকরণের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায়, ভারতীয় বংশোদ্ভূতের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা স্মরণে রেখে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এর মূল কারণ হল, তিনি সেই দেশের বৃহৎ জাতির জন্য একনিষ্ঠ হয়ে কাজ করেছেন। আল মাফরাকের শেখ শাকবুথ মেডিকেল সিটির কাছের রাস্তাটি এখন জর্জ ম্যাথিউ স্ট্রিট নামে নামাঙ্কন হয়েছে।

    কী বলেন ডাক্তার ম্যাথিউ?

    ডাক্তার ম্যাথিউ (Dr. George Matthew) বলেছেন, “আমি যখন প্রথম সংযুক্ত আরব আমিরশাহে আসি, তখনও শহরের পরিকাঠামো বিকশিত হচ্ছিল। জাতির পিতা প্রয়াত এইচএইচ শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, আমি মানুষকে সাহায্য করার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছি। সেই সঙ্গে আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ যে আমার প্রচেষ্টা স্বীকৃত হয়েছে।”

    দক্ষিণ ভারতের কেরলের বড় হয়েছেন 

    তাঁর চিকিৎসা চর্চা এবং মানব সেবার জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহ সরকার ১০ বছর আগে ডাঃ ম্যাথিউ (Dr. George Matthew) এবং তাঁর পরিবারকে নাগরিকত্ব প্রদান করেছে। তিনি সেই দেশের আরেকজন সনামধন্য বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল রহিম জাফরের সঙ্গে বেসরকারী স্বাস্থ্য বিভাগে কাজ করেছেন। ডাঃ ম্যাথিউ দক্ষিণ ভারতের কেরলের পাথানামথিত্তার থুম্পামনে বেড়ে ওঠেন এবং ১৯৬৫ সালে ত্রিবান্দ্রম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস নিয়ে স্নাতক হন। বিয়ের পর তিনি তাঁর স্ত্রী ভালসাকে নিয়ে সংযুক্ত আরবে চলে যান। তাঁদের মেয়েও সরকারি চাকরি করেন।

    আল আইনে প্রথম সরকারি ডাক্তার হিসেবে কাজ শুরু

    ডাঃ ম্যাথিউ (Dr. George Matthew) ১৯৬৭ সালে, মাত্র ২৬ বছর বয়সে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসেছিলেন। প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আল আইনের একজন মিশনারি বন্ধুর কাছে থাকতে রাজি হন। আল আইনে প্রথম সরকারি ডাক্তার হিসেবে তাঁর আবেদন গ্রহণ হয়। আর এরপর শেখ জায়েদের আশীর্বাদে প্রথম ক্লিনিক চালু হয়। এই ভাবেই তাঁর পথ চলা শুরু হয়। একজন জেনারেল ফিজিশিয়ান হিসাবে তাঁর ডাক্তারি পেশার পরিষেবা শুরু করেছিলেন। ডঃ ম্যাথিউকে স্থানীয়রা ভালোবেশে স্নেহের সঙ্গে ম্যাটিউস নামে ডাকতেন। তিনি দেশের আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রেখেছেন।

    আরও পড়ুনঃ মহরমে হতে পারে জঙ্গি হামলা, পাক-সরকারকে সতর্ক করল পুলিশ

    স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিশেষ অবদান

    ডাঃ ম্যাথিউ (Dr. George Matthew) ১৯৭২ সালে আল আইন অঞ্চলের মেডিকেল ডিরেক্টর এবং ২০০১ সালে হেলথ অথরিটি কনসালটেন্ট সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। তাঁর অবদান সেই দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছে এবং দেশের আধুনিক চিকিৎসা সংস্কৃতির প্রচারও শ্রীবৃদ্ধি করেছে। ডাঃ ম্যাথিউ গ্রীষ্মকালীন রোগের ব্যবস্থাপনা শিখতে ইংল্যান্ডে যান এবং পরে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় বিশেষ গবেষণার জন্য হার্ভার্ডেও যান। শিক্ষা এবং পেশাগত উন্নয়নে তাঁর প্রতিশ্রুতি সংযুক্ত আরবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ল্যান্ডস্কেপ গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। তিনি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের শিক্ষিত ও প্রশিক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর কর্মনিষ্ঠা, উৎসাহ সহকর্মীদেরও আস্থা ও প্রশংসায় মুখরিত হয়েছিলেন। চিকিৎসা শাস্ত্রের জ্ঞানের জন্য তিনি (Indian origin doctor) সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বিশেষ অনুপ্রেরণা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Muharram in Pakistan: মহরমে হতে পারে জঙ্গি হামলা, পাক-সরকারকে সতর্ক করল পুলিশ

    Muharram in Pakistan: মহরমে হতে পারে জঙ্গি হামলা, পাক-সরকারকে সতর্ক করল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের মহরমে (Muharram in Pakistan) পাকিস্তানে হতে পারে জঙ্গি হামলা, জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষেরও – এ নিয়েই সে দেশের সরকারকে সতর্ক করল করাচি পুলিশ (Karachi Police)। ইতিমধ্যে, একাধিক পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে করাচি পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট তারিক-ই-ইসলাম ইতিমধ্যে একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। মহরমে (Muharram in Pakistan) পুলিশকে ঠিক কীভাবে সতর্ক থাকতে হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী বলা হচ্ছে, সরকারি আধিকারিকদের লক্ষ্য বানাতে পারে জঙ্গিরা। মহরমের সময় তাই উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকরা যেন অবশ্যই পুলিশের নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকেন। এর পাশাপাশি যখন তাঁরা বাড়ি ফিরবেন, তখন যেন তাঁরা ইউনিফর্ম অথবা জুতো না পড়েন।

    সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত (Muharram in Pakistan) 

    গত ৮ জুলাই পাকিস্তানের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে সারাদেশ জুড়ে সেনা মোতায়েন করা হবে। মহরমকে কেন্দ্র করে করাচি পুলিশের (Karachi Police) পক্ষ থেকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে সিন্ধ প্রদেশ, বালোচিস্তান, খাইবার পাখতুনখোওয়া, ইসলামাবাদকে। জানা গিয়েছে, এই সমস্ত জায়গায় সেনা মোতায়েন করা হবে আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির সামাল দিতে। পাকিস্তানের সংবিধানের ২৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী সে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সরকার মনে করলে সেনা মোতায়েন করতে পারে।

    ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার আর্জি

    পাকিস্তানের ফেডারেল সরকার ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, সারা দেশে সেনা মোতায়ন করা হবে, পরিস্থিতির দেখে। প্রদেশ সরকারগুলি নিজেরাই ঠিক করবে কত সেনা মোতায়ন করা হবে এবং কোথায় কোথায় রুট মার্চ করবে সেই সেনা। এর আগেই পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সরকার কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছিল যে মহরমকে (Muharram in Pakistan) কেন্দ্র করে সাময়িকভাবে যেন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকে ৬ থেকে ১১ জুলাইয়ের মধ্যে।

    শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাদ 

    ইতিমধ্যে পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যমে যে খবরগুলি প্রকাশিত হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র পাঞ্জাব প্রদেশেই ৫০২টি এমন স্থান আছে যেগুলো অতি স্পর্শকাতর। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে মহরমকে কেন্দ্র করে শিয়া ও সুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিবাদ বা সংঘর্ষ নতুন কিছু নয়। এর আগেও একাধিক বার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এখন দেখার চলতি বছরের মহরমে পাকিস্তান সরকার তা কতটা সামাল দিতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UPI in Quatar: কাতারে চালু ইউপিআই, বিদেশেও অর্থনীতির পথ সুগম করছে ভারতীয় অ্যাপ

    UPI in Quatar: কাতারে চালু ইউপিআই, বিদেশেও অর্থনীতির পথ সুগম করছে ভারতীয় অ্যাপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে কাতারেও চলবে ইউপিআই। ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বৃহস্পতিবার কাতার ন্যাশনাল ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে। এর ফলে কয়েক দিনের মধ্যেই কাতারে চালু হয়ে যাবে ইউ পি আই (UPI in Quatar) । ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশনের তরফে তাঁদের আন্তর্জাতিক শাখা ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট লিমিটেডের সঙ্গে (UPI Global) এই মৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

    কাতারে ব্যবসায় সাহায্য করবে ইউপিআই (UPI in Quatar)

    প্রসঙ্গত কাতার ন্যাশনাল ব্যাংক আরব দুনিয়া এবং আফ্রিকার সবথেকে বড় অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান। ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া তরফে অনুভব শর্মা বলেন, “আমাদের বিশ্বাস (UPI in Quatar) এই উদ্যোগের ফলে যে সমস্ত ভারতীয় ওই দেশে বেড়াতে যাবেন বা বিভিন্ন কাজে যাবেন, তাঁরা উপকৃত হবেন। তাঁরা সহজেই তাঁদের ফোনের মাধ্যমে প্রদেয় অর্থ মিটিয়ে দিতে পারবেন। ভারতে সরাসরি ভিম অ্যাপের মাধ্যমে ইউপিআই ব্যবহার করা যায়। অন্যদিকে থার্ড পার্টি আর যেমন গুগল পে, আমাজন পে, ফোন পে, ভারত পে, পেটিএম ছাড়াও আরও অনেক অ্যাপের মাধ্যমে ইউপিআই ব্যবহার করা যায়।

    বহু দেশে চালু রয়েছে ইউপিআই (UPI Global)

    কাতার ন্যাশনাল ব্যাংক-এর আধিকারিক আলি আল মালকি জানিয়েছেন, এই নতুন (UPI in Quatar) পেমেন্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে কাতারে অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে একটা বড় বদল আসবে। এর মাধ্যমে মানুষের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা আরও ভালো হবে। ইউপিআই (UPI Global) পেমেন্টের ফলে কাতারের ব্যবসায়ও লাভ হবে। সহজে লেনদেন লেনদেনের জন্য ইউপিআই খুবই ভালো ব্যবস্থা। কাতার ছাড়াও ওমান, সংযুক্ত আমিরশাহী, মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রিটেন, ফ্রান্স, মরিশাস, প্রতিবেশী ভুটান, নেপাল সহ আরও বহু দেশে ইউপিআই ব্যবস্থা লেনদেনের ক্ষেত্রে চালু রয়েছে।

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Nepal’s Communists: ‘সেকুলার’ শব্দ হিন্দু ধর্মকে আক্রমণের লাইসেন্স দেয় না, মত নেপালের কমিউনিস্টদের 

    Nepal’s Communists: ‘সেকুলার’ শব্দ হিন্দু ধর্মকে আক্রমণের লাইসেন্স দেয় না, মত নেপালের কমিউনিস্টদের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশিরভাগ ভারতীয়র কাছে আশ্চর্যজনক হলেও এটা সত্য যে নেপালের (Nepal’s Communists) বৃহত্তম কমিউনিস্ট পার্টি ইউনিফায়েড মার্কসবাদী-লেনিনবাদী প্রায় নয় বছর আগে সেদেশের নতুন সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দের অপব্যবহার ও ভুল ব্যাখ্যার জন্য যথেষ্ট চিন্তিত। এনিয়ে সরব হয়েছেন সেদেশের একাধিক কমিউনিস্ট নেতাও। ভারতের মতো নেপালেও সাংবিধানিক ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র অপব্যবহার করার  অভিযোগ একাধিকবার উঠেছে খ্রিস্টান মিশনারী এবং ইসলাম ধর্মের প্রচারকদের বিরুদ্ধে। বিপুল সংখ্যক সে দেশের হিন্দুকে খ্রিস্টান ও ইসলামে ধর্মান্তরিত (Secularism) করা হচ্ছে শুধুমাত্র সাংবিধানিকভাবে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দের ভুল ব্যাখ্যা এবং অপব্যবহারের মাধ্যমে। নেপালের ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দকে অপব্যবহার করা হচ্ছে শুধুমাত্র সনাতন ধর্মকে আক্রমণ করা ও খাটো করার উদ্দেশে। এমনিতে সে দেশের অ-কমিউনিস্ট দলগুলি প্রায় সরব হয়ে থাকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দের অপব্যবহারের জন্য। এই দাবিতে তারা আন্দোলনও করেছে। যেমন, নেপালের রাজনৈতিক দল ‘রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি’ ইতিমধ্যে দাবি তুলেছে যে নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্রের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে। আশ্চর্যজনকভাবে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির নেতারাও ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।

    কী বলছেন শীর্ষ কমিউনিস্ট নেতা (Nepal’s Communists) প্রদীপ গিয়াওয়ালি?

    সে দেশের অন্যতম শীর্ষ কমিউনিস্ট নেতা প্রদীপ গিয়াওয়ালি একটি নেপালি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন মতই তুলে ধরেছেন। গিয়াওয়ালি তাঁর সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সমাজের একটা অংশ সর্বদাই সচেষ্ট রয়েছে সংবিধানের ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটিকে কিভাবে অপব্যবহার করা যায়। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির নেতার (Nepal’s Communists) এমন মন্তব্যে ভারতের বামপন্থী তথা লিবারেলরা যে ঘাবড়ে যাবেন তা বলাই যায়। গিয়াওয়ালি আরও বলেছেন, ‘‘কিছু লোক ধর্মনিরপেক্ষতাকে ব্যবহার করছে শুধুমাত্র ধর্মান্তরিত করার জন্যই। ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ আজকে লাইসেন্স হয়ে গিয়েছে অন্য ধর্মের লোককে আরেকটি ধর্মে ধর্মান্তরিত করার জন্য।’’

    ভারতবর্ষের কমিউনিস্টদের চিরাচরিত বৈশিষ্ট্য হল হিন্দু সংস্কৃতির বিরোধিতা

    ভারতবর্ষের কমিউনিস্টদের চিরাচরিত বৈশিষ্ট্য হল হিন্দু সংস্কৃতির বিরোধিতা এবং এক্ষেত্রে তাঁরা চোখ-কান-নাক মুখ বুজে থাকেন। যখন হিন্দু জনগোষ্ঠীর ওপর আক্রমণ হয় অথবা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের খ্রিস্টান বা ইসলামে ধর্মান্তকরণ করা হয় তখনও নিশ্চুপ থাকেন এদেশের কমিউনিস্টরা। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের কাছ থেকে কি এবার শিক্ষা নিয়ে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা তাঁদের লাইন চেঞ্জ করবেন? এমন প্রশ্ন উঠছে।

    নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির আর এক শীর্ষ নেতা ঈশ্বর পোখারেল কী বলছেন?

    নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির আর এক শীর্ষ নেতা ঈশ্বর পোখারেল তিনিও তাঁর সহকর্মী গিয়াওয়ালির মতামতকে ১০০ শতাংশ সমর্থন করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ধর্মান্তকরণ রোধ করার জন্য নতুন শক্তিশালী আইন আনা প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, নেপালে দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ আসছে যে খ্রিস্টান মিশনারীরা এবং ইসলামিক ধর্ম প্রচারকরা হিন্দুদের ব্যাপকভাবে ধর্মান্তরিতকরণ করছেন। ঈশ্বর পোখারেলের কথাতেও উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গই। তিনি জানিয়েছেন, খ্রিস্টান মিশনারীরা ধর্মনিরপেক্ষতার অপব্যবহার করে বড়সড় ধর্মান্তকরণের ফাঁদ পাতা হয়েছে সারা নেপালজুড়ে। এক্ষেত্রে তাঁরা ব্যবহার করছেন মানুষের দারিদ্রতা-অসচ্ছলতাকে। এটা যে কোনও মূল্যে বন্ধ করতে হবে বলেও জানিয়েছেন ঈশ্বর। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমান সাংসদ জনার্দন শর্মা তিনি এ বিষয়ে বলেন,‘‘বড় আকারের ধর্মান্তকরণ চলছে নেপালজুড়ে। বিশেষ করে খ্রিস্টান ধর্মে। এর ফলে এক সামাজিক বৈষম্য তৈরি হচ্ছে।’’

    একই মত উঠে এসেছে, নেপালি কংগ্রেসের কাছ থেকেও

    একই মত উঠে এসেছে, নেপালি কংগ্রেসের কাছ থেকেও। সে দেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখর কৈরালা জানিয়েছেন, সনাতন ধর্মকে খাটো করার প্রয়াস চলছে ধর্মান্তকরণের মাধ্যমে। অর্জুন প্রসাদ জোশি নামের অপর এক নেপালি কংগ্রেসের নেতা জানিয়েছেন ধর্মনিরপেক্ষতার (Secularism) ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হচ্ছে নেপালে। এই আবহে রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টি ফের একবার দাবি তুলেছে যে সংবিধান থেকে সেকুলার শব্দকে হটিয়ে দেওয়া হোক এবং হিন্দু রাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠা করা হোক।

    ভারত সফরের সময়ও নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা মন্দির পরিদর্শন করেন

    ভারত সফরের সময়ও নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির (Nepal’s Communists) নেতাদের মন্দির পরিদর্শন এবং পূজা দিতে দেখা যায়। নেপালের প্রধানমন্ত্রী দাহাল গত বছরের মে মাসে ভারত সফরে এসেছিলেন এবং সে সময় উজ্জ্বয়নীর মহাকালেশ্বর মন্দিরে পরিদর্শন করেছিলেন। কিন্তু ভারতের কমিউনিস্টদের কাছে মন্দির পরিদর্শন যেন খুব বড় অপরাধ হয়ে যায়। হিন্দু সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করাটা, তাঁদের পার্টির শোকজের কারণ হয়। অনেক আগে সিপিএম নেতা সুভাষ চক্রবর্তী তারাপীঠ মন্দির পরিদর্শন করেছিলেন এবং এর পরে কী ঘটনা ঘটেছিল তা আমরা সকলেই জানি। সে সময় গোটা কমিউনিস্ট পার্টি সুভাষ চক্রবর্তীর এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় নেমেছিল। ভারতবর্ষের কমিউনিস্টদের কখনও মন্দিরে যেতে বা হিন্দুদের কোনও উৎসব অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেখা যায় না। শুধুমাত্র তাই নয়, তাঁদের দলের সম্মেলন যখন শুরু হয় তখন ভারতের কমিউনিস্টরা প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধনটাও করেন না। কারণ হিসেবে তাঁরা মনে করেন, হিন্দু সংস্কৃতির প্রতিফলন হয় প্রদীপে। তবে কমিউনিস্ট নেতা হয়েও আব্দুল রেজ্জাক মোল্লা হজ করতে যেতেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nepal Bus Accident: ভারী বৃষ্টিতে ভয়াবহ ধস নেপালে! রাস্তা থেকে নদীতে পড়ল ২টি বাস, নিখোঁজ ৬৩ জন

    Nepal Bus Accident: ভারী বৃষ্টিতে ভয়াবহ ধস নেপালে! রাস্তা থেকে নদীতে পড়ল ২টি বাস, নিখোঁজ ৬৩ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও বিপর্যয় নেপালে। ভারী বৃষ্টি এবং ধসের জেরে রাস্তা থেকে ছিটকে খরস্রোতা ত্রিশূলি নদীতে গিয়ে পড়ল দুটি যাত্রীবোঝাই বাস (Nepal Bus Accident)। শুক্রবার সকালে নেপালের মদন-আশ্রিত মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী দুর্ঘটনায় দুটি বাস মিলিয়ে নিখোঁজ ৬৩ জন যাত্রী। দুর্ঘটনার পরেই নদীতে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। তবে একনাগাড়ে বৃষ্টির জেরে নিখোঁজ বাসগুলির সন্ধান পেতে নাজেহাল হতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলকে। ইতিমধ্যেই এই দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ওরফে ‘প্রচণ্ড’। 

    কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? (Nepal Bus Accident)

    উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরেই নেপালের বড় অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রাস্তায় ধস (Nepal Landslide) নামার ঘটনাও ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোর ৪টে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় নেপালের চিতওয়ান জেলার মদন-আশ্রিত সড়ক ধরে এগোচ্ছিল দুটি বাস। দুটি বাসই নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিল। তবে ভারী বৃষ্টির কারণে রাস্তায় হঠাৎ ধস নামে। তখনই দুটি বাস ছিটকে গিয়ে পড়ে পাশ দিয়ে বয়ে চলা ত্রিশূলি নদীতে। ভেসে যান যাত্রীদের প্রায় সকলেই। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। তড়িঘড়ি শুরু হয় উদ্ধারকাজ। নিখোঁজদের মধ্যে ৭ জন ভারতীয় রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ 

    ঘটনায় শোকপ্রকাশ নেপালের প্রধানমন্ত্রীর

    ঘটনায় (Nepal Bus Accident) শোকপ্রকাশ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল৷ দ্রুত তল্লাশি অভিযান শেষ করে সকলকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘‘নারায়ণগড়-মুগলিন সড়কে ভূমিধসের ঘটনায় নদীতে তলিয়ে গিয়েছে বাস৷ ভয়াবহ এই ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত৷ প্রশাসনের সমস্ত সংস্থাকে দ্রুত অনুসন্ধান এবং উদ্ধারকার্যের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷’’

    আরও পড়ুন: সেনার নমিনি নিয়মে বদলের আর্জি ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং-এর বাবা-মার

    দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বাতিল সব ফ্লাইট 

    অন্যদিকে, আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকায় কাঠমান্ডু থেকে ভরতপুরগামী সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার পর নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্ষার মরশুম শুরু হওয়ার পর থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সারাদেশে ১ হাজার ৫৮টি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পাশাপাশি নেপালে বৃষ্টিজনিত ঘটনায় কমপক্ষে ৬২ জন নিহত এবং ৯০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে থেকে ভূমিধসে (Nepal Landslide) ৩৪ জন এবং টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কমপক্ষে ১২১টি বাড়ি প্লাবিত হয়েছে এবং ৮২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Joe Biden: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ‘পুতিন’, কমলা হলেন ‘ট্রাম্প’! কী বললেন বাইডেন?

    Joe Biden: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ‘পুতিন’, কমলা হলেন ‘ট্রাম্প’! কী বললেন বাইডেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার বক্তব্য-বিভ্রাট বাইডেনের (Joe Biden)। ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ‘পুতিন’ বলে ডাকলেন। আবার কথায় কথায় কমলা হ্যারিসের কথা বলতে গিয়ে নিজের ভাইস প্রেসিডেন্টকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বানিয়ে দিলেন। স্বভাবতই মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US President) বাইডেনের শারীরিক সক্ষমতা, বয়স নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।

    জেলেনস্কি হলেন ‘পুতিন’

    আমেরিকায় নেটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে বৈঠক চলছে। বৃহস্পতিবার সেই বৈঠকেই বক্তব্য রাখতে ওঠেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট (US President) জো বাইডেন (Joe Biden)। তাঁর পরের বক্তা ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। বাইডেনকে বলতে শোনা যায়, “আমি এ বার মঞ্চ ছেড়ে দিতে চাই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে। যাঁর আছে সাহস, আছে কিছু করে দেখানোর ইচ্ছা। আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে স্বাগত জানাচ্ছি।” নেটোর বৈঠকে পুতিন এলেন কোথা থেকে, তা ভেবেই হতচকিত হয়ে যায় বৈঠকে উপস্থিত অতিথিরা। অপ্রস্তুত দেখায় জেলেনস্কিকেও। ভুল হয়েছে বুঝতে পেরে তা সংশোধন করে নেন বাইডেনও। বলেন, “জেলেনস্কি পুতিনকে হারাবেন।”

    হ্যারিস হলেন ‘ট্রাম্প’

    শুধু একবারই নয়, বাইডেন (Joe Biden) আরও একবার মুখ ফস্কান। ওই বৈঠকেই। তিনি বলেন, “দেখুন, আমি ট্রাম্পকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করতামই না, যদি তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য না হতেন।” বাইডেন যখন এই মন্তব্য করছেন, তখন দর্শকাসনে বসে আমেরিকার শীর্ষ পদাধিকারীরা। অনেকেই মনে করছেন, দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে গুলিয়েছেন বাইডেন।

    আরও পড়ুন: বাজেটের আগে বিশেষ বৈঠক, অর্থনীতিবিদদের থেকে পরামর্শ নিলেন মোদি

    পরপর ভুল বাইডেনের (Joe Biden)

    প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক ‘ভুল’ করেছেন জো বাইডেন (Joe Biden)। সাক্ষাৎকার থেকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডিবেটে জড়িয়েছে তাঁর কথা। এরই মাঝে কয়েকদিন আগেই এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, গত জানুয়ারি মাসে হোয়াই হাউজে এসেছিলেন পার্কিনসন রোগ বিশেষজ্ঞ। এই আবহে বাইডেনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে আরও জল্পনা বেড়েছে। এরই মাঝে এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চেও ‘হোঁচট’ খেলেন বাইডেন। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রচারে দাঁড়িয়ে বাইডেন বলেন, ‘২০২০ সালে ট্রাম্পকে আবারও হারাব’। আর তাঁর সেই মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়া কথা নিয়ে তোলপাড় নেটপাড়া। বাইডেনের পরপর ‘হোঁচট’ দেখে ইতিমধ্যেই ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী বদলের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছেন বাইডেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share