Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: মস্কো সফরের পরেই ভিয়েনা যাওয়ার পরিকল্পনা মোদির! কেন জানেন?

    PM Modi: মস্কো সফরের পরেই ভিয়েনা যাওয়ার পরিকল্পনা মোদির! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে অস্ট্রিয়া (Austria) যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। প্রস্তাবিত মস্কো সফরের পর ভিয়েনা (Vienna) যেতে পারেন বলে খবর। অর্থাৎ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক সেরেই ইউরোপীয় দেশটির রাজধানী ভিয়েনায় (Vienna) যাবেন তিনি। একদিন সেখানে থাকবেন। সেই সফরে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামারের সঙ্গে নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন নমো। প্রায় চার দশক ধরে ইউরোপের এই দেশটিতে পা রাখেননি ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী। ১৯৮৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী শেষবার অস্ট্রিয়া গিয়েছিলেন। আর তারপর প্রায় ৪১ বছর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি অস্ট্রিয়া যাচ্ছেন। 

    এই সফরের লক্ষ্য কী? (PM Modi) 

    কূটনৈতিক সূত্রে খবর, মোদি সে দেশে গেলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি ভারতের স্টার্ট আপ, উৎপাদন ক্ষেত্র, তথ্যপ্রযুক্তি সহ একাধিক ক্ষেত্রে অস্ট্রিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানো সফরের অন্যতম লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীর। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে মোট ৩৫টি ভারতীয় প্রযুক্তি সংস্থা রয়েছে অস্ট্রিয়ায়। ভারতে বিশেষ করে প্রযুক্তির শহর বেঙ্গালুরুতে অস্ট্রিয়ার লগ্নির জন্য মোদির (PM Modi) এই সফর গুরুত্বপূর্ণ। যদিও অস্ট্রিয়া নেটো’র সদস্য রাষ্ট্র নয়। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে তারাও রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্য সম্পর্ক বহাল রেখেছে। তবে তারা প্রকাশ্যে রাশিয়াকে ভৎর্সনাও করেছে, একতরফা ভাবে ইউক্রেনের উপর হামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য। পাশাপাশি রাজনৈতিক সমাধানও খুঁজছে যুদ্ধ বন্ধের। বিশ্বের রণকৌশলগত খেলায় কিছুটা সংযোগ রয়েছে ভারত এবং অস্ট্রিয়ার। 

    ইন্দিরা গান্ধীর অস্ট্রিয়া সফর

    প্রসঙ্গত, ভারত ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১০ নভেম্বর, ১৯৪৯ সালে। এরপর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ১৯৮৩ সালে অস্ট্রিয়া সফর করেছিলেন, এবং ১৯৮৪ সালে তৎকালীন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর, ফ্রেড সিনোওয়াটজ ভারত সফর করেছিলেন। যদিও অস্ট্রিয়ার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হেইঞ্জ ফিশার, ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে একটি রাষ্ট্রীয় সফরের প্রতিদান দিয়েছিলেন। তারপরের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলও ২০১১ সালে ৪-৭ অক্টোবর অস্ট্রিয়াতে একটি রাষ্ট্রীয় সফর করেছিলেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘সব শয়তান এখানে এসে গিয়েছে’’, আজ চোপড়া যাচ্ছেন উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল

    উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি হবে মস্কোতে মোদির (PM Modi) প্রথম সফর। শেষবার ২০১৯ সালে তিনি রাশিয়া সফর করেছিলেন। তবে ২০০০ সাল থেকে ভারতীয় ও রাশিয়ান নেতাদের মধ্যে বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠকের আদলে এটি একটি স্বতন্ত্র সফর হবে। মোদি এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে শেষ ব্যক্তিগত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে উজবেকিস্তানের সমরকন্দে হয়েছিল। যদিও ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তাদের শেষ বার্ষিক সম্মেলনের পর থেকে আড়াই বছরে, মোদি এবং পুতিন অন্তত ১০টি টেলিফোন কথোপকথনের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রেখেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Russia Relation: রাশিয়ায় জোরালো হচ্ছে হিন্দু মন্দিরের দাবি, মোদির সফরেই পূরণ হবে স্বপ্ন?

    India Russia Relation: রাশিয়ায় জোরালো হচ্ছে হিন্দু মন্দিরের দাবি, মোদির সফরেই পূরণ হবে স্বপ্ন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমিউনিস্ট শাসিত দেশ। এবার সে দেশেই উঠল হিন্দু মন্দির তৈরির দাবি (India Russia Relation)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। এই আবহেই চলতি মাসে রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম রুশ দেশে পা রাখতে চলেছেন মোদি।

    জোরালো হিন্দু মন্দিরের দাবি (India Russia Relation)

    রাশিয়া-ইউক্রেন (India Russia Relation) যুদ্ধ শুরুর পরেও এটাই তাঁর প্রথম রাশিয়া সফর। এসব দিক থেকে দেখতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর এবারের রাশিয়া সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এহেন সফরের আগেই উঠল রাশিয়ায় হিন্দু মন্দির তৈরির দাবি। ইন্ডিয়ান বিজনেস অ্যালায়েন্সের সভাপতি স্যামি কোতওয়ানি রাশিয়ার মস্কোয় হিন্দু মন্দির তৈরির দাবি জানিয়েছেন। কমিউনিস্ট শাসিত হলেও, রাশিয়া ঐতিহ্যগতভাবে অর্থডক্স চার্চের জন্য পরিচিত। দেশটির সিংহভাগ বাসিন্দাই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে হিন্দুদের সংখ্যাও। সেই জন্যই জোরালো হচ্ছে হিন্দু মন্দির তৈরির দাবি।

    রাশিয়ায় নিষিদ্ধ হয়েছিল গীতা!

    ভারতীয় জাতীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র এসআইটিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, মস্কোয় মন্দির নির্মাণ হলে সেটি কেবল যে রাশিয়ার রাজধানীকেই সমৃদ্ধ করবে তা নয়, মজবুত করবে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ককেও। এক সময় রাশিয়ায় নিষিদ্ধ হয়েছিল ভগবদ গীতা। মস্কোয় ইসকনের কৃষ্ণ মন্দিরও ছিল। ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে রাশিয়ার এই মন্দিরটি শহর কর্তৃপক্ষ ভেঙে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন ইস্কনের সন্ন্যাসীরা। এরপর মস্কোভা নদী দিয়ে গড়িয়েছে অনেক জল। ভারতের ক্ষমতায় এসেছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার। তার পর থেকে ক্রমেই মজবুত হয়েছে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক। এই সম্পর্কের জেরেই এবার মস্কোয় হিন্দু মন্দির গড়ার দাবি উঠেছে।

    আর পড়ুন: “নরেন্দ্রকে ঠাকুর বলিতেছেন, চিদাকাশে হল পূর্ণ প্রেমচন্দ্রোদয় হে, এই গানটি একবার গা না”

    রাশিয়ায় হিন্দু ধর্মের প্রসার ঘটতে থাকে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে। এই সময় রাশিয়ায় চলছিল পেরেস্ত্রৈকা। এই সময়ই বদলে যার রাশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। পরিবর্তনের ঢেউ গিয়ে লাগে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও। এই সময়ই নানা কাজে এ দেশে আসেন হিন্দুরা। তাঁরাই দাবি তুলেছেন হিন্দু মন্দিরের (India Russia Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: “প্রতিদিন গুম হয়ে যাচ্ছে সাধারণ বালোচ নাগরিকরা” দাবি মানবাধিকার কর্মী সামি দ্বীনের

    Pakistan: “প্রতিদিন গুম হয়ে যাচ্ছে সাধারণ বালোচ নাগরিকরা” দাবি মানবাধিকার কর্মী সামি দ্বীনের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: অপরাধ, স্বাধীনতার দাবি জানানো। অন্যায়, নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই করা। এই কারণেই প্রতিদিন পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ বালুচিস্তান থেকে নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছেন শয়ে সয়ে মানুষ। পাক পুলিশের চোখের সামনে দিয়ে পাকিস্তানের (Pakistan) গোয়েন্দারা ধরে নিয়ে গুম করে দিচ্ছেন আন্দোলনকারীদের (Baloch Activist)। তাঁরা বেঁচে রয়েছেন, না মরে গিয়েছেন তা-ও জানতে পারছে না পরিবারের লোকজনেরা। সংবাদ সম্মেলনে এমনই দাবি করলেন মানবাধিকার কর্মী নিখোঁজ ডক্টর দ্বীন মুহাম্মাদ বালোচের মেয়ে সামি দ্বীন বালোচ।

    চিনের হাতে লুট হচ্ছে সম্পদ

    পাকিস্তানের (Pakistan) বৃহত্তম প্রদেশ বালুচিস্তান (Baloch Activist) প্রাকৃতিক ভাবে সবচেয়ে সম্পদশালী। কিন্তু ধীরে ধীরে তা বেহাত হয়ে যাচ্ছে বালোচ নাগরিকদের। ‘চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’ (সিপিইসি) তৈরির পরে গত কয়েক বছরে সেই লুট আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের। পশ্চিম চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় থেকে শুরু হওয়া ওই রাস্তা কারাকোরাম পেরিয়ে ঢুকেছে পাকিস্তানে। প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শেষ হয়েছে বালুচিস্তান প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে চিন নিয়ন্ত্রিত গ্বদর বন্দরে। ওই রাস্তা ব্যবহার করেই ইসলামাবাদ এবং বেজিংয়ের শাসকেরা বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করছে বলে দাবি সেখানকার বাসিন্দাদের।

    নিখোঁজ কয়েক হাজার মানুষ

    শুক্রবার করাচি প্রেসক্লাবে মানবাধিকার কর্মী সামি দ্বীন বালোচ জানান, ১৫ বছর আগে পাকিস্তান (Pakistan) পুলিশের চোখের সামনে দিয়ে তাঁর বাবা ডঃ দ্বীন মুহম্মদ বালোচকে পাকিস্তানের গোয়েন্দারা তুলে নিয়ে যায়। এখনও তাঁর কোনও খোঁজ নেই। ছোট বোন মেহলাব দ্বীন বালোচকে সঙ্গে নিয়ে সামি জানান ২৮ জুন ২০০৯ সালের সেই রাতের কথা এখনও ভোলেননি তাঁরা। তাঁদের বাবা বেঁচে রয়েছেন কিনা তা-ও জানেন না তাঁরা। পেশায় ডাক্তার তাঁর বাবা সরকারি কর্মচারী ছিলেন, তা-ও তাঁর উদ্ধারে নিষ্ক্রিয় সরকার। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার তাঁরা।

    আরও পড়ুন: অপহৃত নাবালিকার জন্য জাতিসংঘের কাছে আবেদন সিন্ধি ফাউন্ডেশনের! দাবি স্বাধীন তদন্তের

    রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস

    ১৯৪৭ সালের ১১ অগস্ট ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়েছিল দেশীয় রাজ্য কালাত। ১২ অগস্ট কালাতের শাসক মির সুলেমান দাউদ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সেই স্বাধীনতার মেয়াদ ছিল মাত্র সাত মাস। ১৯৪৮-এর ২৭ মার্চ পর্যন্ত। বালুচিস্তানের (Baloch Activist) মানুষের কাছে সেই দিনটা আজও যন্ত্রণার ‘পরাধীনতা দিবস’! সাত দশক আগে ওই দিনেই পাকিস্তানি (Pakistan) সেনা দখল করেছিল বালুচিস্তান। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তৎকালীন শাসককে বাধ্য করেছিল পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হতে। বালুচিস্তানের পরবর্তী ইতিহাস ফের নতুন স্বাধীনতার যুদ্ধের। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস আর কয়েক হাজার মানুষের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Artificial intelligence: আরব আমিরশাহিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় তৈরি ভার্চুয়াল কর্মচারী আয়েশাকে চেনেন?

    Artificial intelligence: আরব আমিরশাহিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় তৈরি ভার্চুয়াল কর্মচারী আয়েশাকে চেনেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনারা কি আয়েশার কথা শুনেছেন? তাকে ঘিরে এখন শোরগোল পড়েছে। তার কাজ আলোড়ন ফেলেছে মধ্যপ্রাচ্যে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এই প্রথম ভার্চুয়াল কর্মচারী, যাকে দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial intelligence) মাধ্যমে কাজ করানোর কথা ভাবা হয়েছে। আইনি বিষয়ে নানান তথ্য দিয়ে পরিষেবা প্রদান করবে আয়েশা। 

    বিচার ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ (Artificial intelligence)

    সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিচার বিভাগকে অত্যাধুনিক মাত্রা দেবে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial intelligence)। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দ্বারা পরিচালিত ভার্চুয়াল কর্মচারী আয়েশাকে উপভোক্তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালতে মক্কেলদের সহায়তা করার জন্য শীঘ্রই আয়শাকে মোতায়েন করা হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে এক বছর আগে চালু করা হয়েছিল একটি অ্যাপ্লিকেশন। এবার তাকে সফল ভাবে প্রয়োগ করা হবে। এই এআই প্রযুক্তি বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যেমন কাজ করছে, ঠিক তেমনি এবার বিচার ব্যবস্থায় আইনি সাহায্যেও প্রয়োগের কথা ভাবা হয়েছে।

    কীভাবে কাজ করবে আয়েশা?

    জানা গিয়েছে, আয়েশা (Artificial intelligence) ভার্চুয়ালি আদালতের প্রবেশদ্বারে অবস্থান করবে এবং মক্কলদেরকে তাদের লেনদেন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করবে। মামলার ভিত্তি, লেনদেন পরিচালনা বিষয়ে প্রয়োজনীয় খসড়া এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা সম্পর্কে তথ্য জ্ঞাপন করবে। বিচার ব্যবস্থার এই উদ্যোগটি এআইকে বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত করার ক্ষেত্রে একটি বড় অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে। আয়েশা, নতুন এআই সহকারী হিসেবে বিচারক, আইনজীবী এবং উপভোক্তার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক বিষয়ে তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে। আয়েশা বিচারকদের কার্যকারিতাকে বৃদ্ধি করতে পুরাতন মামলার রায় দৃষ্টান্ত হিসাবে উপস্থাপন করবে। অতীতের মামলার বিস্তৃত তথ্যকে বিশ্লেষণ করে বিচারকের দেওয়া রায়গুলিকে আয়েশা সেকেন্ডের মধ্যেই সনাক্ত করতে পারবে। মামলায় বিচারকের সিদ্ধান্ত জানাতে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে তুলে ধরেও সহযোগিতা করবে।

    আরও পড়ুনঃ গণনা চলছে ইরানের নির্বাচনের ভোট, ‘পুতুল’ প্রেসিডেন্ট কে?

    অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করবে

    আইনজীবীরা আয়েশাকে (Artificial intelligence) একটি অমূল্য সম্পদ বলে মনে করেছেন। কারণ তার বিস্তৃত ডাটাবেস, একজন সাধারণ আইনজীবীর অভিজ্ঞতার তুলনায় অনেক বেশী কার্যকরী হবে। একই ভাবে মামলার অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ পরামর্শ প্রদানের কাজও করতে পারবে। আইনি গবেষণা প্রক্রিয়াকে উল্লেখযোগ্যভাবে সুগম করবে এই আয়েশা। তবে আইন এবং বিচার বিষয়ে মানুষকে প্রতিস্থাপন করা আয়েশার মূল উদ্দেশ্য নয়, বরং একে কাজকে দ্রুত ও কম সময়ে করার একটি হাতিয়ার বলা যায়। এআইকে গ্রহণ করে কাজের কার্যকারিতা কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় এবং জটিলতা কমিয়ে আরও সহজ-সরল করা যায়, সেই বিষয়ের দিকেই মূলত লক্ষ্য রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Iran Presidential Elections: গণনা চলছে ইরানের নির্বাচনের ভোট, ‘পুতুল’ প্রেসিডেন্ট কে?

    Iran Presidential Elections: গণনা চলছে ইরানের নির্বাচনের ভোট, ‘পুতুল’ প্রেসিডেন্ট কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ইরানে হয়ে গেল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (Iran Presidential Elections)। এদিন স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছিল ভোট গ্রহণ। চলে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। গত মাসে কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সে দেশের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির। তার জেরেই হল অকাল নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এবারের নির্বাচন ছিল ত্রিমুখী।

    লড়াইয়ের ময়দানে কারা? (Iran Presidential Elections)

    কট্টরপন্থী রক্ষণশীল দুই প্রার্থী হলেন ইরানের পরমাণু চুক্তির মধ্যস্থতাকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা সইদ জালিলি এবং পার্লামেন্টের স্পিকার মহম্মদ বাকের কোয়ালিবাফ। এঁদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ানের। গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদনক্রমে লড়াইয়ের ময়দানে (Iran Presidential Elections) ছিলেন ছ’জন প্রার্থী। বৃহস্পতিবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান দুই প্রার্থী। এঁরা হলেন আলিরেজা জাকানি এবং আমিরহুসেন গাজিজাদে হাসেমি। এই প্রার্থীদের মধ্যে কঠিন লড়াই দিতে পারেন কোয়ালিবাফ, পার্লামেন্টের বর্তমান স্পিকার। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন রেভলিউশনারি গার্ডের সইদ জলিলিও। খামেইনির অফিসে টানা চার বছর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এঁর ঝুলিতে।

    অকাল নির্বাচন কেন?

    ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল আগামী বছরের জুনে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধাঁচে প্রতি চার বছর অন্তর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় এশিয়ার এই দেশটিতে। ১৯ মে চপার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ইরানের প্রেসিডেন্ট। শূন্য হয়ে পড়ে প্রেসিডেন্টের পদ। সে দেশের সংবিধান অনুযায়ী, ৫০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করে নিয়োগ করতে হবে নয়া প্রেসিডেন্ট। সেই নিয়ম মানতে গিয়েই আয়োজন করতে হয়েছে অকাল ভোটের।

    আর পড়ুন: কাজাখস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) বৈঠকে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন জয়শঙ্কর

    ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে যতই মাতামাতি হোক না কেন, সে দেশের সরকারের টিকি বাঁধা থাকে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার কাছে। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, এবার নির্বাচনে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ঘনিষ্ঠ কেউই হতে চলেছেন ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট। তবে আশা ছাড়ছেন না সংস্কারপন্থী প্রার্থী পেজেকশিয়ান। তিনি বলেন, “ইজরায়েল ছাড়া বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।” প্রসঙ্গত, গত কয়েকবারের মতো এবারও ইরানে ভোটদানের হার খুবই কম। শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে গণনা। গণনার কাজ শেষ হলে জানা যাবে ইরানের নয়া ‘পুতুল’ প্রেসিডেন্ট কে (Iran Presidential Elections)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SCO: কাজাখস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) বৈঠকে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন জয়শঙ্কর   

    SCO: কাজাখস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) বৈঠকে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন জয়শঙ্কর   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশ মন্ত্রক শুক্রবার ঘোষণা করেছে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে সাংহাই কো-অপারেশন (SCO) অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দেবে ভারত। এই বৈঠকে ভারতীয় মিশনের নেতৃত্ব দেবেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ৩ ও ৪ জুলাই কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় এসসিওর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

    এসসিও-র বৈঠকে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর (SCO)

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রন্ধির জয়সওয়াল শনিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, “বিদেশ মন্ত্রী এসসিওর বৈঠকে আমাদের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। গত বছর ভারত এসসিওর সভাপতিত্ব করেছিল। এবার (SCO) সভাপতিত্ব করবে কাজাখস্তান (Kazakhstan)। সে দেশের প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট টোকায়েভ প্রস্তাব দিয়েছেন একটি সমবায় বিনিয়োগ তহবিল গঠন করা হবে। এছাড়াও এবারের এসসিও সামিটে বাণিজ্য, জলবায়ু, শান্তি-শৃঙ্খলা সহ আরও বেশ কয়েকটি বিষয় আলোচনা হবে।”

    কাজাখস্তানকে সহযগিতার আশ্বাস ভারতের (Kazakhstan)

    জানা গিয়েছে ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাজাখস্তানের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। আস্তানায় পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনের জন্য তিনি তাঁর সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আলোচনা চলাকালীন দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত ভিত্তি গড়ে তুলতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে তাঁদের দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেছেন কাজাখস্তানের নেতৃত্বে এই অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য ভাবে অগ্রসর হবে। দ্বিপাক্ষিক কথোপকথনের পর প্রধানমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “কাজাখস্তানের (Kazakhstan) রাষ্ট্রপতি মহামান্য কাসিম জোমার্ট টোকায়েভের সঙ্গে ভালো কথোপকথন হয়েছে। নির্বাচনে সাফল্যের জন্য উষ্ণ শুভেচ্ছার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। কাজাখস্তানের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আসন্ন এসসিও (SCO) শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্যের জন্য ভারতের তরফের পূর্ণ সমর্থন থাকবে।

    এসসিওর গুরুত্ব

    প্রসঙ্গত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই সংস্থার মাধ্যমে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনার জন্য চিন, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান সদস্য দেশ হিসেবে অংশীদারিত্ব নিয়ে থাকে। ২০২৩ সালে ভারতের সভাপতিত্বকালীন সময়ে ইরানকে একটি পূর্ণ সদস্য হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। এছাড়াও বেলারুশ একটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে এই সংস্থার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: অপহৃত নাবালিকার জন্য জাতিসংঘের কাছে আবেদন সিন্ধি ফাউন্ডেশনের! দাবি স্বাধীন তদন্তের

    এসসিইওর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সন্ত্রাস দমন বিষয়ে নানা সময় আলোচনা হয়েছে। এই সংস্থার সদস্য দেশগুলি বিশ্বের ৪০% মানুষ ও ৬০ শতাংশ ভূখণ্ড ও জিডিপির ৩০% কভার করে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mummy: মিশরের আসোয়ান শহরে একসঙ্গে ১৪০০ মমি উদ্ধার

    Mummy: মিশরের আসোয়ান শহরে একসঙ্গে ১৪০০ মমি উদ্ধার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিশরের একটি শহর থেকে ১৪০০ মমির খোঁজ পেয়েছেন পুরাতত্ববিদরা। মোট ৩৬ টি কবর থেকে ১৪০০ মমি (Mummy) উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে প্রায় ৯০০ বছর ধরে এই কবর ব্যবহার হয়েছিল। যাদের মৃতদেহ মমি বানিয়ে কবর দেওয়া হয়েছিল তাঁরা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন।

    আসোয়ান শহর থেকে উদ্ধার হাজারো মমি (Mummy)

    যেখান থেকে মমি পাওয়া গিয়েছে সেই শহরটিকে আসোয়ান (Aswan) নামে জানা যায়। যার পুরোনো নাম ছিল সোয়ান। স্থানীয় ভাষায় সোয়ানের অর্থ হল বাজার। এই শহর ৪৫০০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল। বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য, খননকার্য হত। এমনকি মিশরের খুব গুরুত্বপূর্ণ সামরিক এলাকা ছিল সোয়ান। নীল নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত এই শহরে মিশরের পাশাপাশি রোমান, গ্রীক, পার্সি এমনকি আফ্রিকান মানুষের বাস করেছেন। পুরাতত্ত্ববিদরা পাঁচ বছর ধরে এই ভূখণ্ডে কাজ করেছেন। সাইন্স টাইমসের রিপোর্ট অনুসারে আগা খান তৃতীয়ের সমাধিস্থলের পাশে যে পাহাড় রয়েছে সেখানে এই প্রাচীন মমির (Mummy) কবরস্থান রয়েছে। কবর দেওয়ার ক্ষেত্রেও সামাজিক শ্রেণীর খেয়াল রাখা হয়েছিল। অভিজাত শ্রেণীর মানুষের কবর চূড়ার দিকে অবস্থিত ছিল। অন্যদিকে মধ্যবিত্তদের কবর নিচের দিকে সমাধিস্ত করা হয়েছিল।

    ৯০০ বছর ব্যবহার হয় কবর স্থল

    পুরাতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন এই কবর ৬০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে তৃতীয় শতক পর্যন্ত এই কবর ব্যবহার হয়েছে। সেই সময় কলেরা, প্লেগ, বসন্ত রোগ সহ আরও বহু রোগের প্রকোপ দেখা দিত। যারা এই সকল রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতেন তাঁদের এখানে মমি (Mummy) বানিয়ে সমাধি দেওয়া হত। এই সময়টি ইতিহাসের দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই সময় এখানে পার্সি, গ্রীক, টলেমিক এবং এমনকি রোমান সাম্রাজ্যও এই এলাকায় বিরাজ করছিল। এই কবর মিশরের এমন একটি শহর থেকে পাওয়া গিয়েছে যাকে মৃতকে শহরের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। প্রজেক্ট ডিরেক্টর পেট্রিজিয়া পিয়াসেন্টিনি জানিয়েছেন এই মমি আসলে মিসিং লিংক।

    আরও পড়ুন: এক বছর টানা বিলাসবহুল ক্রুজ জাহাজে, স্বপ্ন পূরণ কেভিনের

    মিশর সাম্রাজ্যের পতনের পরেও কেন মমি করা হচ্ছিল তা বোঝার চেষ্টা চলছে। মিশর সাম্রাজ্যের পতনের পরেও মানুষ এই রীতি বহন করে চলছিলেন। সমাধিক্ষেত্রে থেকে বহু সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। গত বছর এই অঞ্চল থেকে একাধিক মমির উপর থেকে গ্রীক ভাষায় মৃতের নামের ফলক পাওয়া গিয়েছিল। এবার যে স্মাধিস্থলের খোঁজ মিলেছে সেটি ২ লক্ষ ৭০ হাজার ফুট চওড়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Geneva: অপহৃত নাবালিকার জন্য জাতিসংঘের কাছে আবেদন সিন্ধি ফাউন্ডেশনের! দাবি স্বাধীন তদন্তের

    Geneva: অপহৃত নাবালিকার জন্য জাতিসংঘের কাছে আবেদন সিন্ধি ফাউন্ডেশনের! দাবি স্বাধীন তদন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বছর আগে নিখোঁজ হওয়া প্রিয়া কুমারীর (priya kumari) উদ্ধারের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের (UNHRC) কাছে সহায়তা চাইল সিন্ধি ফাউন্ডেশন। বৃহস্পতিবার জেনেভা (Geneva) থেকে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিন্ধি ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সুফি মুনাওয়ার লাঘারি এই ঘোষণা করেন। 

    কে এই প্রিয়া কুমারী? (priya kumari)

    পাকিস্তানে বসবাসকারী এক হিন্দু মেয়ে প্রিয়া কুমারী (priya kumari), যার বয়স মাত্র ৬ বছর, বিগত ৩ বছর ধরে নিখোঁজ সে। পাকিস্তানের সুক্কুর সিন্ধুর কাছে সাংঘারায় নিজের বাড়ি থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় প্রিয়া। এই ঘটনায় তাঁর বাবা এক মুসলিম ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ এনেছেন। জানা গিয়েছে, প্রিয়াকে শেষবার দেখা গিয়েছিল ৩ বছর আগে, ১৯ আগস্ট মহরমের দিন। প্রিয়া তাঁর বাবার সঙ্গেই বাড়িতে বসে ছিল, তাঁর বাবা জল আনতে ঘরের ভিতরে যান। বাইরে এসে দেখেন, মেয়ে নেই। এবার সেই নিখোঁজ প্রিয়ার খোঁজেই জাতিসংঘের কাছে আবেদন করল সিন্ধি ফাউন্ডেশন। 

    স্বাধীন তদন্ত শুরুর অনুরোধ 

    এ প্রসঙ্গে মুনাওয়ার লাঘারি জানান, নিখোঁজ হওয়া নাবালিকা মেয়েটি (priya kumari) পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দ্বারা সমর্থিত সিন্ধুর শক্তিশালী শাহদের অবৈধ হেফাজতে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুধু প্রিয়া নয়, বিগত দেড় বছর ধরে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ থেকে নিখোঁজ রয়েছে আরও বেশ কয়েকজন মহিলা। যা ইতিমধ্যেই যথেষ্ট উদ্বেগের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে বিষয়টির ওপর একটি আন্তর্জাতিক স্বাধীন তদন্ত শুরু করার জন্য অবিলম্বে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের হস্তক্ষেপের অনুরোধ করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: বৈদেশিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে বিদেশী সামরিক কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিল ভারত

    যুবতী মহিলাদের অপহরণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি 

    মুনাওয়ার লাগারি জানান যে সিন্ধি ফাউন্ডেশন 8ই জুলাই প্রিয়া কুমারী এবং অন্যান্য সিন্ধি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে এবং যুবতী মহিলাদের অপহরণ এবং সেইসাথে তাদের জোর করে ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি সংগঠিত করার পরিকল্পনা করছে৷ জেনেভায় (Geneva) ইউএনএইচআরসি ভবনের সামনে ব্রোকেন চেয়ার ভাস্কর্যের চারপাশে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে এ বিষয়ে তিনি ইউএনএইচআরসির কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করবেন, যেখানে সিন্ধুতে সিন্ধিদের বিরুদ্ধে সংগঠিত নৃশংসতা সম্পর্কে অবহিত করবেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mob Lynchings in Pakistan: ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা! গণপিটুনিতে হত্যা পাকিস্তানে, নিন্দায় মানবাধিকার সংগঠন

    Mob Lynchings in Pakistan: ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা! গণপিটুনিতে হত্যা পাকিস্তানে, নিন্দায় মানবাধিকার সংগঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্র রক্ষা ও মানবাধিকারের ওপর কাজ করে ‘সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি, প্লুরালিজম এবং হিউম্যান রাইটস’ (সিডিপিএইচআর)। সারা বিশ্বে কোথাও মানবাধিকার আক্রান্ত হলে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই সংস্থা। সম্প্রতি এই সংগঠন পাকিস্তানের গণপিটুনির ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে (Mob Lynchings in Pakistan)। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে ঘটেছে। সেখানে মহম্মদ ইসমাইল নামের একজনকে কোরান অপবিত্র করার অভিযোগে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জানা গিয়েছে, ইসমাইল নামের ওই ব্যক্তি মাদিয়ান শহরের একটি হোটেলে ছিলেন। ওই হোটেলের কর্মীরা ও আশপাশের মানুষজন ইসমাইলের বিরুদ্ধে কোরান অবমাননার অভিযোগ আনেন। অভিযোগ আনামাত্রই পুলিশ তাঁকে আটক করে। থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতারের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এরপরেই উগ্র মুসলিম মৌলবাদীদের একটি দল পুলিশ স্টেশনে আক্রমণ করে। পুলিশের হেফাজতে থাকা ইসমাইলকে সেখান থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে উত্তেজিত মুসলিম জনতা। এরপরে তাঁকে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

    নিন্দায় মানবাধিকার সংগঠন

    এই গণপিটুনির ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন সিডিপিএইচআর এবং তাদের মতে, ‘‘ এই কাজ ধর্মনিরপেক্ষবিরোধী ও সংবিধানবিরোধী (Mob Lynchings in Pakistan)।’’ এর পাশাপাশি এই কাজে উগ্র মৌলবাদের চরমতম প্রতিফলন দেখা গিয়েছে জানিয়েছে ওই সংস্থা। সিডিপিএইচআর নামের এই মানবাধিকার সংগঠন এই ঘটনার জন্য ইতিমধ্যে পাকিস্তান সরকারকে উগ্র মৌলবাদী ধর্মগুরুদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছে। এর পাশাপাশি ওই সংগঠন ভারত সরকারকে আবেদন জানিয়েছে যে গণহত্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্থাপন করার জন্য।

    গত মাসে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের একজন বয়স্ক খ্রিস্টান মানুষকে একইভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়

    পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সেখানকার হিন্দু, খ্রিস্টানদের ওপর হামলা তো চলেই। এর পাশাপাশি ধর্মনিরপেক্ষ মুসলিম এবং শিয়া-আহমেদিয়া মুসলিমদের ওপরেও আক্রমণ চলে। গত মাসেই পাকিস্তানের পাঞ্জাবের একজন বয়স্ক খ্রিস্টান মানুষকে একইভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ভারতের সাতটি প্রতিবেশী দেশের সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে সিডিপিএইচআর। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কা। এই দেশগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি অত্যাচারের ঘটনা ঘটে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে। বিশেষ করে সেখানে হিন্দু, শিখদের ওপর ভয়ঙ্কর অত্যার করা হয়। মৌলিক অধিকারকে হরণ করা, জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ (Mob Lynchings in Pakistan) করা, মহিলাদের ওপর অত্যাচার চলতেই থাকে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bolivia: বলিভিয়ায় সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা রুখে দিল জনতা-পুলিশ

    Bolivia: বলিভিয়ায় সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা রুখে দিল জনতা-পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্রকে পদদলিত করে আরও একবার সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা! তবে এবার বলিভিয়ার (Bolivia) পুলিশ ও জনতার প্রতিরোধের সামনে হার মানল সেনা। ব্যর্থ হল সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা। ক্ষমতায় রয়ে গেলেন প্রেসিডেন্ট লুইস আর্চি।

    বারংবার সেনা অভ্যুত্থান (Bolivia)

    দক্ষিণ আমেরিকার ছোট্ট দেশ বলিভিয়া। বিশ্বের সব চেয়ে বেশি সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে এই দেশে। স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ওই দেশে ১৯০ বার নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে সেনা। তবে এবার প্রতিরোধ গড়ল জনতা। তার জেরে পিছু হটতে হল সেনাপ্রধান জেনারেল হুয়ান হোসে জুনিগারকে। পরে তাঁকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। ১৮২৫ সাল পর্যন্ত বলিভিয়া ছিল স্পেনের অধীনে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রায় দুশো বার সেনা অভ্যুত্থান হয় (Bolivia)। শেষবার হয়েছিল ২০১৯ সালে। এবার গণপ্রতিরোধের কাছে হার মানে বলিভিয়ার সেনা। ব্যর্থ হয় অভ্যুত্থান। হুয়ানকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট। নয়া সেনা প্রধান হন জেনারেল উইলসন সাঞ্চেজ।

    কীভাবে ব্যর্থ হল অভ্যুত্থান?

    বুধবার বলিভিয়ার রাজধানী লা পাজ-এর প্লাজা মুরিলো চত্বরে জড়ো হন হুয়ানের অনুগামীরা। উপস্থিত ছিলেন হুয়ান স্বয়ং। অভ্যুত্থানের ডাক দেন তিনি। তৎক্ষণাৎ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও পার্লামেন্ট চত্বর ঘিরে ফেলেন হুয়ানের অনুগামী সেনা কর্তারা। অভ্যুত্থানের খবর পেয়েই হুয়ানকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট। সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ করার ডাক দেন বলিভিয়াবাসীর কাছে। তিনি বলেন, “বলিভিয়ানদের জীবনে আরও একবার সেনা অভ্যুত্থানের খাঁড়া নেমে আসুক, আমরা তা মেনে নেব না।” টিভি এবং রেডিও মারফত প্রেসিডেন্টের এই বার্তা পৌঁছে যায় বলিভিয়াবাসীর ঘরে ঘরে। পথে নামে জনতা। উন্মত্ত জনতাকে ধেয়ে আসতে দেখেই পিছু হটেন হুয়ান ও তাঁর অনুগামীরা।

    আর পড়ুন: অমরনাথ যাত্রা শুরু ২৯ জুন, জানুন যাত্রার খুঁটিনাটি

    শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, প্রেসিডেন্টের অনুগত মিলিটারি পুলিশের পর্যবেক্ষণে শিবিরে ফিরে গিয়েছেন হুয়ানের অনুগামীরা। গ্রেফতার করা হয়েছে হুয়ানকে। তাঁকে ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে ফৌজদারি মামলা। নব নিযুক্ত সেনাপ্রধানের দাবি, হুয়ান বলেছেন গণতন্ত্রকে রিস্ট্রাকচার করতেই অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্টকে তিনি শ্রদ্ধা করেন বলেও জানিয়েছেন।

    আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের মতে, বলিভিয়ার উন্নতমানের কফির দিকে শ্যেনদৃষ্টি রয়েছে বিশ্বের বহু দেশের। এই দেশগুলিই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বলিভিয়ার রাজনীতিতে। যার জেরেই ছবির মতো সাজানো ছোট্ট এই দেশটিতে মাঝে মধ্যেই ঘটে চলেছে অভ্যুত্থানের চেষ্টা (Bolivia)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share