Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • William Ruto: ব্যাপক অশান্তি, কর বৃদ্ধির বিতর্কিত আর্থিক বিল প্রত্যাহার কেনিয়ার প্রেসিডেন্টের

    William Ruto: ব্যাপক অশান্তি, কর বৃদ্ধির বিতর্কিত আর্থিক বিল প্রত্যাহার কেনিয়ার প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ পিছু হটলেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুতো (William Ruto)। দেশজুড়ে প্রাণঘাতী বিক্ষোভ- সংঘর্ষের পর তিনি জানান, কর বৃদ্ধির বিতর্কিত আর্থিক বিল প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট বলেন, “এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে এই বিলে কেনিয়দের কোনও সায় নেই। আমি বশ্যতা স্বীকার করে নিচ্ছি।” বিলটিতে স্বাক্ষর করে সেটিকে তিনি আইনে পরিণত করবেন না বলেও জানান রুতো।

    কর বৃদ্ধি সংক্রান্ত আর্থিক বিল (William Ruto)

    সম্প্রতি কর বৃদ্ধি সংক্রান্ত আর্থিক বিল আনার কথা ঘোষণা করে কেনিয়া সরকার। তার পরেই দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। মঙ্গলবার রাজধানী নাইরোবিতে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয় জনতা (William Ruto)। বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনের একাংশে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভয়ে সংসদ ভবন ছেড়ে পালিয়ে যান সাংসদরা। গুলি ছুড়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় সেনাও। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীর। আন্দোলনকারীদের মতে, এই বিল পাশ হলে দেশবাসীর দুর্দশা আরও বাড়বে। এদিকে, বুধবার সংসদের অধিবেশন বয়কট করেন বিরোধীরা।

    ব্যাপক বিক্ষোভ

    জানা গিয়েছে, নাইরোবিতে বিক্ষোভ শুরু হলেও, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। নাইরোবির পাশাপাশি বিক্ষোভ চলছে মোম্বাসা, এলডোরেটেও। রাজনৈতিক মহলের মতে, দেশজুড়ে ব্যাপক আন্দোলনের জেরে পিছু হটতে বাধ্য হন রাষ্ট্রপতি। ঘোষণা করেন, কর বৃদ্ধির বিতর্কিত আর্থিক বিল প্রত্যাহারের কথা। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালেও এরকমই এক আইন পাশ করে বেতন ও বাড়িভাড়ার ওপর কর বসানো হয়েছিল। কেনিয়া সরকারের দাবি, এই কর বসানো হলে অতিরিক্ত ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব আদায় সম্ভব হত।

    আর পড়ুন: কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোল্ডির খোঁজে ১০ লাখি ইনাম ঘোষণা এনআইএ-র

    করোনা অতিমারী, ইউক্রেন যুদ্ধ, পর পর দুবছরর দেশে খরা এবং মুদ্রার অবমূল্যায়ন-সহ নানা ধাক্কায় কার্যত বেসামাল কেনিয়ার অর্থনীতি। অর্থনীতির এই বেহাল দশা থেকে বেরতেই একের পর এক আর্থিক সংস্কারের পথে হাঁটছে কেনিয়া সরকার। তারই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। অকালে প্রাণ হারান কেনিয়ার ২২ জন নাগরিক (William Ruto)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Adventure Tour: এক বছর টানা বিলাসবহুল ক্রুজ জাহাজে, স্বপ্ন পূরণ কেভিনের

    Adventure Tour: এক বছর টানা বিলাসবহুল ক্রুজ জাহাজে, স্বপ্ন পূরণ কেভিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভ্রমণ এবং নতুন জায়গা অন্বেষণ করতে কে না ভালোবাসে? নৈসর্গিক পাহাড়ের মধ্য দিয়ে লং ড্রাইভ, খোলা সমুদ্রে ভ্রমণ, এবং উত্তেজনাপূর্ণ (Adventure Tour) ট্যুর শুরু করা প্রত্যেকের ছুটির সময়কালীন ইচ্ছার তালিকায় থাকে। কিন্তু কল্পনা করুন, যদি আপনি এই ছুটির জায়গায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারেন। এটি বেশিরভাগ ভ্রমণ উৎহীদের জন্য একটি স্বপ্নের জীবন হবে। কিন্তু একজন আমেরিকান মানুষ ইতিমধ্যেই এই স্বপ্নের দুনিয়ায় বাস করছেন এবং ভ্লগিংয়ের মাধ্যমে তাঁর জীবনকে তুলে ধরছেন।

    এক বছর জাহাজে কাটালেন কেভিন (Adventure Tour)

    কেভিন মার্টিন সেনায় ছিলেন। সেনা ছাড়ার পর আইনের পড়াশুনা করেন। কিছু দিন আইনজীবী হিসেবে কাজ করার পর এখন তিনি ইউটিউবার। নীল সমুদ্রে একবছরের জন্য ক্রুজ জাহাজে বাস করার সিদ্ধান্ত নেন। মিসৌরির এই ৪৮ বছর বয়সি শুধু ক্রুজ জাহাজে ছুটি কাটাচ্ছেন এমন নয়, তিনি (Adventure Tour) স্বপ্ন পূর্ণ করার জন্য বাস করছেন। তিনি ইউটিউবে ভ্লগের মাধ্যমে তাঁর জীবনধারা দর্শকদের জন্য তুলে করেছেন, যার মধ্যে আর্থিক বাস্তবতা-উভয় ভালো দিক এবং খারাপ সহ তাঁর খরচ দর্শকদের জানাচ্ছেন। এমএসসি, এনসিএল, প্রিন্সেস এবং রয়্যাল ক্যারিবিয়ানের মত বিভিন্ন ক্রুজ জাহাজে জীবনধারাকে আশ্চর্যজনকভাবে সাশ্রয়ী করে তোলা যায় সে সম্পর্কে টিপসও শেয়ার করেছেন।

    অবসর জীবন স্বপ্নের মত কাটানোর অভিজ্ঞতা

    ২০২৪ সালের মার্চ মাসে কেভিন সেন্ট কিটস, সেন্ট লুসিয়া, বার্বাডোস, গ্রেনাডা, গ্র্যান্ড কেম্যান, আরুবা সহ বহু জায়গায় যাত্রা করেছিলেন। জাহাজে পুরো মাসের জন্য তিনি মোট ১,৬১৫ পাউন্ড ব্যয় করেছিলেন। এর মধ্যে ১,০৮০ পাউন্ড তাঁর বাসস্থান এবং জাহাজে থাকা বুফে ডিনারে খরচ হয়েছিল। সেই সময়ে, তিনি অতিরিক্ত খাবারের জন্য মাত্র ২২ পাউন্ড ব্যয় করেছিলেন যা জাহাজের (Adventure Tour) প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। কেভিনের ক্রুজ শিপ লাইফস্টাইলের মাসিক খরচ ভারতীয় মুদ্রায় ছিল ১,৬২,৯৮৫ টাকা। ইংলিশ পাউন্ডের হিসেবে তা হল ১৬১৫ পাউন্ড।

    ভারতীয় মুদ্রায় কেভিনের খরচের টুকরো হিসেব:

    • আবাসন ও খাবার: ₹ ১,০৮,৯৯৩ (প্রায় ১,০৮০ পাউন্ড)
    • অতিরিক্ত খাবার: ₹ ২,২২০ (প্রায় ২২ পাউন্ড)
    • ফোন খরচ: ₹ ৮,৫৭৮ (প্রায় ৮৫ পাউন্ড)
    • বীমা: ₹ ৪,২৩৮ (প্রায় ৪২ পাউন্ড)
    • স্বাস্থ্যসেবা: ₹ ১,৯১৭  (প্রায় ১৯ পাউন্ড)

    কেভিন তাঁর শেষ এক বছরের জাহাজ ভ্রমণকে (Adventure Tour) জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা বলেছেন। তবে খরচ বাঁচানোর চক্করে তাঁর যা ইচ্ছে ছিল তেমন অনেক কিছুই করা হয়নি। যেমন আগামীতে তিনি খরচের কথা না ভেবে যেখানে যাবেন, সেখানকার স্থানীয় খাবার খেয়াল খুশি মত খাবেন বলে জানিয়েছেন এবং আগামীতে জাহাজে থাকার পরিবর্তে বিভিন্ন দেশে নানা ভাবে ঘুরে বেড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কেভিন।  

     

  • Kenya tax hike protests: মূল্যবৃদ্ধির জেরে অগ্নিগর্ভ কেনিয়া! ভারতীয়দের সতর্ক করল দূতাবাস

    Kenya tax hike protests: মূল্যবৃদ্ধির জেরে অগ্নিগর্ভ কেনিয়া! ভারতীয়দের সতর্ক করল দূতাবাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের জেরে জেরবার দেশবাসীর উপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপানোর প্রতিবাদে এবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল কেনিয়ায় (Kenya tax hike protests)। সরকারের প্রস্তাবিত কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে দিকে দিকে বিক্ষোভ ও হিংসার ঘটনা ঘটছে সেদেশে৷ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আর এই পরিস্থিতির মাঝেই কেনিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের জন্য সতর্কতা (Advisory for Indian Citizens) জারি করল দূতাবাস৷ খুব প্রয়োজন ছাড়া নাগরিকদের বাইরে না-বেরনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে৷  

    আগুন জ্বলল সংসদের একাংশে (Kenya tax hike protests)

    আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেকারত্ব। সম্প্রতি সেদেশে রুটির উপর ১৬ শতাংশ ও মোটর গাড়ির উপর ২.৫ শতাংশ কর আরোপ করেছে সরকার। প্রধান খাদ্য রুটির এই অস্বাভাবিক দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরেই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন প্রচুর মানুষ। কিন্তু মঙ্গলবার কার্যত বিস্ফোরণ ঘটে। জ্বলে ওঠে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া। রণক্ষেত্রের (Kenya tax hike protests) চেহারা নেয় কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। জানা গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দল দেশের সংসদে ঢুকে, আগুন ধরিয়ে দেন সংসদের একাংশে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিক্ষোভকারীদের আটকাতে জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভকারীদের আটাকাতে পারেনি। এরপরেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিক্ষোভকারী পাঁচ জনের মৃত্যু ঘটে। পাশাপাশি আহতও হয়েছেন অনেকে। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জানা গিয়েছে পুলিশের গুলি চালানোর পর পার্লামেন্ট থেকে বিক্ষোভকারীরা বেরিয়ে গেলেও রাস্তায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। 
    অন্যদিকে নাইরোবিতে বিক্ষোভকারীদের উপর কাঁদানে গ্যাসের গোলা ছোঁড়ার সময় আহত হয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সৎ বোন আউমা ওবামাও। তিনি জানান, কাঁদানে গ্যাসের গোলার আঘাত লাগার পর থেকে উনি চোখ খুলতে পারছেন না। তিনি জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণভাবে শুধুমাত্র পতাকা ও ব্যানর হাতে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়েছিল। সেই মিছিলে তিনিও সামিল হন। কিন্তু আচমকাই সেই মিছিলের উপর কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়। 

    ভারতীয়দের সতর্ক করল দূতাবাস (Advisory for Indian Citizens) 

    এমত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে (Kenya tax hike protests) কেনিয়ায় ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, “বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কেনিয়ার সমস্ত ভারতীয়কে সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলা হচ্ছে৷ খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না-বেরনো এবং পরিস্থিতির উন্নতি না-হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ ও হিংসা কবলিত এলাকাগুলি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷” পাশাপাশি নিজের এলাকার পরিস্থিতি জানতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম, ওয়েবসাইটে ও সোশাল মিডিয়ায় চোখ রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে।

    আরও পড়ুন: সত্যি হল জল্পনা! লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হলেন রাহুল গান্ধী

    মূল্যবৃদ্ধির কারন 

    করোনার পর থেকেই কেনিয়ার অর্থনীতি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও ইউক্রেন যুদ্ধ, টানা দুবছর খরা, মুদ্রার দাম পড়ে যাওয়া— এ রকম নানা সমস্যায় জর্জরিত দেশের অর্থনীতি। আর তার প্রভাব যেমন পড়েছে দেশের রাজকোষে, তেমনই সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনেও। বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে হুহু করে। তার উপর মে মাসেই দেশে অতিবৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মারা যান অনেকেই। এ রকম অবস্থায় সরকারের কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দেশের মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Modi Russia Visit: ফের মোদির রাশিয়া সফর, থামবে কি ইউক্রেন যুদ্ধ?

    Modi Russia Visit: ফের মোদির রাশিয়া সফর, থামবে কি ইউক্রেন যুদ্ধ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুলাই মাসে রাশিয়া সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংবাদ সংস্থার রয়টার্স সূত্রে খবর ভারত এবং রাশিয়া দু’পক্ষই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর মস্কো (Modi Russia Visit) শহরের জন্য তৈরি হচ্ছে। রাশিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা তাসের তরফেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মস্কো সফরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

    মোদির রাশিয়া সফরের গুরুত্ব (Modi Russia Visit)

    কূটনৈতিক সূত্র উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই (Modi Russia Visit) সফর জুলাই মাসে হতে পারে। সে দেশের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভূরাজনীতি, কূটনীতি, দুপক্ষের বাণিজ্যিক সহযোগ এবং সামরিক বিষয়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হতে পারে। প্রসঙ্গত মার্চ মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রাশিয়া সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এরপর মে মাসে পঞ্চম বার রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেন পুতিন। অন্যদিকে জুন মাসে তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিন। রাশিয়ার তরফে আধিকারিক বিবৃতি জারি করা হয়েছিল। যদি এই সফর বাস্তবায়িত হয় তাহলে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর এটিই হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রথম সফর। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল ২০২১ সালে ভ্লাদিমির পুতিন নয়া দিল্লিতে ইন্দো-রাশিয়া সামিটে এসেছিলেন। যা বিগত দু বছরে হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনের সঙ্গে শেষ বার দেখা করেছিলেন ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। তখন সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন এর সামিট আয়োজিত হয়েছিল উজবেকিস্তানের সমরকান্দে। সে সময় তিনি পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর জন্য কথাবার্তা এবং কূটনীতির আশ্রয় নিতে বলেছিলেন।  

    কূটনীতিতে স্বাবলম্বী ভারত

    একটা সময় ছিল যখন ভারত পুরোপুরি রাশিয়ার দিকে ছিল। সমরাস্ত্র হোক বা কূটনীতি, ভারত অনেকটাই রাশিয়া নির্ভর ছিল। কিন্তু এখন আমেরিকার সঙ্গেও নৈকট্য বেড়েছে ভারতের। আমেরিকার কাছ থেকেও সমরাস্ত্র কিনছে ভারত। অন্যদিকে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের কাছ থেকেও যুদ্ধাস্ত্র কেনা হচ্ছে ভারতীয় সেনার জন্য। তবুও রাশিয়ার সরাসরি সমালোচনা কিংবা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আচরণ করার নীতি নেয়নি ভারত। বরং প্রয়োজনীয় যুদ্ধাস্ত্র এখনও রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা হচ্ছে। আমেরিকার চোখ রাঙ্গানি সত্ত্বেও ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে এস ৪০০

    আরও পড়ুন: ইন্ডি জোটে ফাটল, স্পিকার নির্বাচনে একতরফা প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস, ক্ষুব্ধ তৃণমূল

    কিনেছে । এমনকি বহু মিসাইল ও রাইফেল এখনও রাশিয়া ভারতকে নিয়মিত সরবরাহ করে। ইউরোপ এবং আমেরিকার বাঁকা চোখ সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছ থেকে নিয়মিত তেল কিনেছে ভারত। তা সত্ত্বেও মনে করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর (Modi Russia Visit) আসন্ন সফরে রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর পরামর্শ দিতে পারেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Russia Terrorist Attack: রাশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে জঙ্গি হামলা, মৃত কমপক্ষে ১৯

    Russia Terrorist Attack: রাশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে জঙ্গি হামলা, মৃত কমপক্ষে ১৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দাগেস্তান অঞ্চলে দুটি সিনাগগ (ইহুদি উপাসনালয়), দুটি গির্জা এবং একটি পুলিশ চৌকিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ডারবেন্ট এবং মাখাচকালা শহরে এই প্রাণঘাতী হামলায় ১৫ জনেরও বেশি পুলিশ অফিসার এবং ৪ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন নিকোলাই কোটেলনিকভ নামে পাদরি, জঙ্গিরা তাঁকে নির্মমভাবে গলার নলি কেটে হত্যা করেছে। তিন মাসের মধ্যে এটি দ্বিতীয় বড় জঙ্গি হামলা।

    আধিকারিকদের বক্তব্য

    দাগেস্তান পাবলিক মনিটরিং কমিশনের চেয়ারম্যান, শামিল খাদুলায়েভ বলেন , “আমি যে তথ্য পেয়েছি তা হল ফাদার নিকোলেকে ডারবেন্টের চার্চের ভিতরে হত্যা করা হয়। জঙ্গিরা তাঁর গলা কেটে ফেলে। তিনি ৬৬ বছর বয়সী এবং খুব অসুস্থ ছিলেন। দেশের সন্ত্রাসবিরোধী কমিটির তথ্য অনুযায়ী, মোট ৫ জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জঙ্গিরা বন্দুক ও মোলোটভ ককটেল নিয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা করে। ককটেল বোমা ছোড়ার পর তাঁরা নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। রাস্তায় সাধারণ মানুষের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়।

    হামলার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায়

    সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় যে ডারবেন্টে অবস্থিত একটি সিনাগগ সন্ত্রাসীরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। মাখাচকালায় একটি সিনাগগ এবং একটি পুলিশ ট্রাফিক পোস্টও হামলার শিকার হয়।

    দাগেস্তানের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে উপাসনালয়গুলোকে টার্গেট করার নিন্দা জানিয়েছে ইজরায়েল। দেশটির বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, “ডারবেন্টের সিনাগগে আগুন লাগিয়ে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিহত হয়েছেন স্থানীয় রক্ষীরা।”

    দাগেস্তানে তিন দিনের শোক পালন

    জানা গিয়েছে, হামলার সময় উপাসনালয়ে কোনও উপাসক ছিল না এবং ইহুদি সম্প্রদায়ের কোনও হতাহতের ঘটনাও জানা যায়নি। রাশিয়া সোমবার (২৩ জুন) থেকে এই অঞ্চলে ৩ দিনের শোক ঘোষণা করেছে। রাশিয়ান ফেডারেশনের ক্রিমিনাল কোডের অধীনে জঙ্গি হামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। জঙ্গি হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। সোমবার দাগেস্তানের গভর্নর সের্গেই মেলিকভ ভিডিও বার্তায় বলেছেন, দাগেস্তান ও পুরো দেশের জন্য এটা খুবই দুঃখের দিন। আমরা বুঝতে পারছি, এসব সন্ত্রাসী হামলার পেছনে কোন

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানের খাইবারে সেনার উপর জঙ্গি হামলা, মৃত পাঁচ জওয়ান

    সংগঠন জড়িত এবং তারা কোনও নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে হামলা চালিয়েছে। যদিও দায়ী হিসেবে কোনও সংগঠন বা ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেননি সের্গেই মেলিকভ।” প্রসঙ্গত মার্চ মাসে একটি সঙ্গীতের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। সেবার হামলাত দায় নিয়েছিল আইসিস খুরাসান। সেই হামলায় ১৩০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। তিন মাসের মধ্যে ফের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে হামলা মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে পুতিন প্রশাসনের।  

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: পাকিস্তানের খাইবারে সেনার উপর জঙ্গি হামলা, মৃত পাঁচ জওয়ান

    Pakistan: পাকিস্তানের খাইবারে সেনার উপর জঙ্গি হামলা, মৃত পাঁচ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) উত্তর পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে জঙ্গি হানায় ৫ জন পাকিস্তানি সেনার মৃত্যু হল। পাকিস্তান সেনার মিডিয়া বিভাগ ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন জানিয়েছে, জঙ্গিরা কুররাম জেলায় সেনাবাহিনীর গাড়ির উপরে হামলা চালায়। বিস্ফোরণে নষ্ট হয়ে যায় সেনার গাড়ি এবং ওই গাড়ির মধ্যে থাকা পাঁচ জন সেনা সেনার মৃত্যু হয়েছে।

    হামলায় নেপথ্যে টিটিপি, ধারণা প্রশাসনের

    চিনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া তাঁদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে মৃত সৈনিকদের বয়স ২৪ থেকে ৩৩ এর মধ্যে। এখন অবধি কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায়িত্বভার গ্রহণ করেনি। এমনকি (Pakistan) সেনা তরফ থেকেও কোন জঙ্গি সংগঠনকে আধিকারিক ভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তান বা আফগান তালিবানের সহযোগী টিটিপি এই ঘটনার জন্য দায়ী। ইতিমধ্যে তালিবানরা ক্ষমতা দখল করার পর থেকে টিটিপি এই অঞ্চলে হামলা বাড়িয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শিরিফ বলেছেন, “সেনার এই বলিদান ব্যর্থ যাবে না।”

    উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় দমন-পীড়ন

    পাকিস্তানে উপজাতি অধ্যুষিত ফাটা, সোয়াত ও খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় জঙ্গি দমন অভিযান চালাবার ঘোষণা করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। স্থানীয়দের অভিযোগ সেনা জঙ্গি দমনের নামে নির্বিচারে সাধারণ মানুষকেও সন্দেহের বশে গুলি করে মারছে। অন্যদিকে কয়েক লক্ষ আফগান শরনার্থীকে থেকে নভেম্বরের মধ্যে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু আফগান নাগরিককে ধরে ধরে আফগান সীমান্তের ছেড়ে দিয়ে আসা হচ্ছে। এই সব এলাকাতেও বহু আফগানীর বাস। কয়েক প্রজন্ম ধরে তাঁরা এখানে বসবাস করছেন। অথচ জঙ্গি দমন অভিযানের নামে তাঁদের উপরেও অত্যাচার চলছে। এই জেরে পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দানা বাঁধছে। ক্ষোভের জেরে পাল্টা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে তেহরিক এ তালিবান পাকিস্তান ওরফে টিটিপি নামে একটি উগ্রপন্থী গোষ্ঠী। মাঝেমধ্যেই তাঁরা সেনাবাহিনীর উপরে হামলা চালাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক এই হামলার জন্য কারা দায়ী তা এখনও জানা যায়নি।

    জঙ্গি সন্দেহে ২২ জন গ্রেফতার (Pakistan)

    জানা গেছে পাঞ্জাব প্রান্ত থেকে পুলিশ ইতিমধ্যে ২২ জন ব্যক্তিকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করেছে। পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর বিভিন্ন জেলায় ১৫২ টি অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে ইসলামিক স্টেট। তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তান (TTP), লস্কর-এ-তৈয়বা, লস্কর-এ-জাহাঙওয়ী সংগঠনের ২২ জনকে জঙ্গি সন্দেহে ধরা হয়। পুলিশের জঙ্গি দমন শাখার এক আধিকারিকের বক্তব্য অনুযায়ী গোটা এলাকা জুড়ে জঙ্গি দমন অভিযান চালানো হচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ সাম্প্রতিক (Pakistan) সেনাবাহিনীর উপরে হামলায় যুক্ত ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় জঙ্গিবাদের প্রভাব

    পাকিস্তান (Pakistan) সেনার একটি অংশ দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দিয়ে আসছে। জঙ্গিদের মদত করতে করতে এখন এই জঙ্গি সমস্যায় পাকিস্তানের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ জঙ্গিদের পাক সেনার কথা মত কাজ করতে হয়। জঙ্গিদের টার্গেট বাছার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা নেই। মতানৈক্য হলেই জঙ্গিদের খতম করিয়ে দেয় সেনা। ফলে যে সেনাবাহিনী এতদিন তাঁদের সমর্থন করছিল তারাই এখন জঙ্গিদমন অভিযান চালাচ্ছে। পাল্টা সেনার উপর হামলা করছে জঙ্গিরা। বিশেষ করে পাকিস্তানে উপজাতি অধ্যুষিত সোয়াত, খাইবার ও ফাটা

    আরও পড়ুন: চিন-পাকিস্তান যোগসাজশ! কাশ্মীরে জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার চিনা টেলিকম সরঞ্জাম

    এলাকায় অনুন্নয়নের জেরে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে। তাঁদের একাংশ হাতে সেনার অত্যাচারে বন্দুক হাতে তুলে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিচ্ছে। পাকিস্তান সেনা এদের নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে তাঁদের উপর আরও কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে। যার ফলে সেই এলাকায় সেনার বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় সেনাবাহিনীর কথামত না চললে অনেক ক্ষেত্রেই খুন এবং গুম করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Julian Assange: দোষ কবুল! ব্রিটেনের জেল থেকে মুক্ত উইকিলিক্‌‌স প্রধান অ্যাসাঞ্জ, এবার কি আমেরিকার পথে?

    Julian Assange: দোষ কবুল! ব্রিটেনের জেল থেকে মুক্ত উইকিলিক্‌‌স প্রধান অ্যাসাঞ্জ, এবার কি আমেরিকার পথে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন আমেরিকার গোপন সামরিক ফাইল ফাঁস করায় অভিযুক্ত, উইকিলিক্‌‌স-এর (Wikileaks) প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ (Julian Assange)। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে আমেরিকায় পৌঁছনোর কথা অ্যাসাঞ্জের। এ সপ্তাহেই মার্কিন আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। তথ্য বলছে মার্কিন আদালতে তিনি দোষীই সাব্যস্ত হবেন। তবে তাঁর সাজা কমে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। যদিও ব্রিটেনের কারাগারে ইতিমধ্যেই সেই ৫ বছর কাটিয়ে এসেছেন তিনি। তাই এবার তিনি মুক্তিও পেতে পারেন। তাঁর জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি পেতেও পারেন অ্যাসাঞ্জ।

    অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    অ্যাসাঞ্জ (Julian Assange) ২০০৬ সালে হুইসেল-ব্লোয়িং ওয়েবসাইট উইকিলিকস (Wikileaks) প্রতিষ্ঠা করেন। আমেরিকার নেতৃত্বে ইরাক এবং আফগানিস্তানে হওয়া সংঘাত সংক্রান্ত পাঁচ লক্ষ গোপন সামরিক ফাইল ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছিল অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে। এই কারণে চরবৃত্তির অভিযোগে আমেরিকাতে তাঁকে অপরাধীও ঘোষণা করা হয়। উইকিলিক্‌‌সের তরফে প্রকাশিত ওই গোপন নথিতে থাকা একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, ২০০৭ সালে ইরাকে আমেরিকার হেলিকপ্টার থেকে সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হচ্ছে।  এই নথি প্রকাশ্যে আসার পরেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা বিশ্বে। এর পরে ২০১০ সালেই ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠায় অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সুইডেন সরকার। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে অ্যাসাঞ্জ পাল্টা দাবি করেন, মার্কিন সরকারের একাধিক গোপন বার্তা ফাঁস করে দেওয়ার জন্যই তিনি চক্রান্তের শিকার। 

    পাঁচ বছর ব্রিটেনের জেলে

    আত্মরক্ষার জন্য ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অ্যাসাঞ্জ (Julian Assange) ব্রিটেনের ইকুয়েডর দূতাবাসের রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। সে বছরের এপ্রিলেই ইকুয়েডর সাহায্যের হাত সরিয়ে নেয় এবং দূতাবাসেই গ্রেফতার করা হয় উইকিলিকস (Wikileaks) প্রতিষ্ঠাতাকে। এর পর ব্রিটেনের একটি জেলে অ্যাসাঞ্জ কাটিয়ে ফেলেন পাঁচটি বছর। অ্যাসাঞ্জের তথ্য ফাঁস নিয়ে মামলা শুরু হয় আমেরিকার নর্দার্ন মারিয়ানা আইল্যান্ডের একটি আদালত। ব্রিটেন থেকে তাঁকে আমেরিকার হাতে প্রত্যর্পণ নিয়েও বেশ জলঘোলা হয়। প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া নিরাপদ হবে না বলে মনে করে অ্যাসাঞ্জের অনুগামীরা একে মানবাধিকার বিরোধী বলে তোপ দাগেন। অবশেষে অ্যাসাঞ্জ নিজেই আমেরিকার শর্ত মেনে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হতে রাজি হয়েছেন বলে উইকিলিকস সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indias Overseas Port Operations: চাবাহার-সিটওয়ের পর এবার ভারতের লক্ষ্য বাংলাদেশের মংলা বন্দর, কেন জানেন?

    Indias Overseas Port Operations: চাবাহার-সিটওয়ের পর এবার ভারতের লক্ষ্য বাংলাদেশের মংলা বন্দর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বন্দর দখল যুদ্ধে’ চিনকে টেক্কা দিতে চাইছে ভারত! ইতিমধ্যেই ইরানের চাবাহার বন্দর এবং মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরের অপারেশনাল অধিকার পেয়েছে ভারত (Indias Overseas Port Operations)। এবার নয়াদিল্লির লক্ষ্য বাংলাদেশের মংলা বন্দর পরিচালনার রাশ হাতে নেওয়া। কৌশলগতভাবে অবস্থিত এই বন্দরের রাশ নিতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিনের শি জিনপিংয়ের সরকার। এই বন্দরেরই রাশ হাতে নিতে কোমর কষে নামছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    মংলা বন্দরের গুরুত্ব (Indias Overseas Port Operations)

    বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মংলা ও প্রসুর নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত মংলা বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। ২০১৬ সালে শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের সময় চিন ও বাংলাদেশ যে ২৭টি প্রকল্পে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল এই মংলা বন্দরের(Indias Overseas Port Operations) উন্নয়ন পরিকল্পনাও। বাংলাদেশের এই মংলা বন্দর সে দেশের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বন্দর। যদিও এর ট্রাফিক ও কার্গো হ্যান্ডেলিং ক্ষমতা এখনও চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় ঢের কম। তা সত্ত্বেও বন্দরটির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। কারণ বন্দরটিকে আন্তর্জাতিক শিপিং হাব হিসেবে গড়ে তোলার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণেই বর্তমানে বেজিং এবং নয়াদিল্লির শ্যেন দৃষ্টি এই বন্দরের ওপর।

    ভারতের লাভ

    মংলা বন্দরের রাশ ভারতের হাতে এলে প্রভূত উপকার হবে দুই দেশের। কারণ বন্দরটি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে হবে সহায়ক। বন্দরটির সুবিধাজনক অবস্থানও ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরটি কলকাতা বন্দরের কাছে অবস্থিত। জল-বাণিজ্যের জন্য এটি হবে একটি বিকল্প সমুদ্র পথ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেনাপোল ও পেট্রাপোলের অভ্যন্তরীণ কন্টেনার ডিপোয় যানজট এড়াতেও এই বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। কলকাতা ও মংলা বন্দরের মধ্যে জলপথে যোগাযোগ দুই দেশের মধ্যে থাকা উপকূলীয় শিপিং চুক্তি থেকেও সর্বাধিক সুবিধা পেতে সাহায্য করবে ভারতকে।

    আর পড়ুন: এলআইসির গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ পাকিস্তানের জিডিপির দ্বিগুণ!

    এখানেই শেষ নয়, মংলা বন্দরটিকে ভারত তার স্থলবেষ্টিত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে উন্নত বাণিজ্য ও যোগাযোগের জন্য সমুদ্রে প্রবেশাধিকার দিতে ব্যবহার করতে পারে। এতে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যের যোগাযোগ হবে অনায়াস। তখন সহজেই এড়ানো যাবে ‘চিকেনস নেক’ নামে খ্যাত শিলিগুড়ি করিডরকে (Indias Overseas Port Operations)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jaishankar UAE Visit: সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে জয়শঙ্কর, প্রথমেই গেলেন মন্দিরে

    Jaishankar UAE Visit: সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরে জয়শঙ্কর, প্রথমেই গেলেন মন্দিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (Jaishankar UAE Visit) সফরে গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর। সে দেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেছেন তিনি। আমিরাতের বিদেশ মন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান জানিয়েছেন দ্বিপাক্ষিক বিষয় ছাড়াও তাঁদের কথা হয়েছে গাজার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও।

    বৈঠকের আগে মন্দিরে বিদেশমন্ত্রী

    দ্বিপাক্ষিক কথার আগে সেদেশে নেমে প্রথমেই জয়শঙ্কর (Jaishankar UAE Visit) পৌঁছে গিয়েছিলেন আরব দুনিয়ার সর্ববৃহৎ মন্দিরে। ব্যাপস মন্দির নামে পরিচিত বিশাল অক্ষর পুরুষোত্তম স্বামীনারায়ণ মন্দির উদ্বোধন হয়েছিল চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে। পুরোহিতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মন্দির পরিদর্শন করে তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “আবুধাবিতে অবস্থিত ব্যাপস হিন্দু মন্দির পরিদর্শন করেছি। এটি ভারত এবং আমিরশাহির দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্ব সহ দুনিয়ার জন্য সাংস্কৃতিক যোগাযোগের নিদর্শন। এই মন্দিরের মাধ্যমে গোটা পৃথিবীতে একটি সকারাত্মক বার্তা পৌঁছেছে।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই মন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন ছলতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি। একই বছরে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর এই মন্দির পরিদর্শন।

    সরকার গঠনের পর প্রথম বিদেশ সফর জয়শঙ্করের (Jaishankar UAE Visit)

    প্রসঙ্গত আমিরশাহির বিদেশমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন জাহিদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে আবুধাবিতে বৈঠক করেছেন জয়শঙ্কর। সেখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কূটনীতি, পারস্পরিক সহযোগিতা, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন সহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে। গাজার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ভারতের অবস্থান জানিয়েছেন  জয়শঙ্কর। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে প্রচুর প্রবাসী ভারতীয় বাস করেন। প্রায় ৩৫ লক্ষ ভারতীয়কে নিয়ে সেখানে গড়ে উঠেছে দেশের বৃহত্তম প্রবাসী গোষ্ঠী। গত কয়েক বছরের দেশটির সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: হিজাব নিষিদ্ধ হয়ে গেল মুসলিম দেশ তাজিকিস্তানে!

    ২০১৫ সালে প্রথম সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে সেই সফরে গিয়েছিলেন মোদি। ২০২২ সালে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মোদি ৩.০ সরকারে বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের এই প্রথম কোন বিদেশ সফর।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • China-Pakistan nexus: চিন-পাকিস্তান যোগসাজশ! কাশ্মীরে জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার চিনা টেলিকম সরঞ্জাম

    China-Pakistan nexus: চিন-পাকিস্তান যোগসাজশ! কাশ্মীরে জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার চিনা টেলিকম সরঞ্জাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টারে জঙ্গি মৃত্যুর পর সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে চিনা টেলিকম সরঞ্জাম-“আল্ট্রা সেট” (Chinese telecom gear)। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে যে, জঙ্গিদের কাছে কীভাবে এই চিনা টেলিকম যন্ত্র গুলি এল? তবে কী সন্ত্রাসবাদে এই জঙ্গিদের সঙ্গে চিনের কোনও যোগসাজশ (China-Pakistan nexus) রয়েছে! এই সবকিছু মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে ধোঁয়াশা। 

    জঙ্গিদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত চীনা সরঞ্জাম 

    এ প্রসঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জঙ্গিদের দ্বারা ব্যবহৃত এই মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলি, প্রাথমিকভাবে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফলে এটা পরিষ্কার ইঙ্গিত (China-Pakistan nexus) করছে যে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি পাকিস্তান থেকেই অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, নিরাপত্তা বাহিনী জম্মু ও কাশ্মীরে দুটি পৃথক এনকাউন্টারে জঙ্গিদের কাছ থেকে এই চিনা সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে। এই বিশেষ হ্যান্ডসেটগুলি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জন্য শুধুমাত্র চিনা কোম্পানি দ্বারা কাস্টমাইজ করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।    

    আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তের গোলে কোনও মতে মানরক্ষা জার্মানির! আর অন্যদিকে ইউরো থেকে ছুটি হল স্কটল্যান্ডের

    কীভাবে ব্যবহৃত হয় এই টেলিকম যন্ত্রগুলি? (Chinese telecom gear) 

    জানা গিয়েছে বাজেয়াপ্ত হওয়া টেলিকম যন্ত্রগুলি একটি বিশেষ রেডিও সরঞ্জামের সঙ্গে সেল ফোনের ক্ষমতাকে একত্রিত করে যা গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল (GSM) বা কোড-ডিভিশন মাল্টিপল অ্যাক্সেস (CDMA) এর মতো প্রথাগত মোবাইল প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে না। এ প্রসঙ্গে কর্মকর্তারা বলেছেন যে, ডিভাইসটি বার্তা প্রেরণ এবং অভ্যর্থনার জন্য রেডিও তরঙ্গে কাজ করে। প্রতিটি “আল্ট্রা সেট” (Chinese telecom gear) সীমান্তের ওপারে অবস্থিত একটি স্টেশনের সাথে সংযুক্ত। তবে দুটি “আল্ট্রা সেট” একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে না। এছাড়াও জানা গিয়েছে যে চীনা স্যাটেলাইটগুলি মূলত নিজেদের মধ্যে বার্তাগুলি বহন করার জন্যই ব্যবহার করা হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share