Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bangladesh Crisis: মূর্তি ভাঙার পর এবার কি নোট থেকেও সরবে বঙ্গবন্ধুর ছবি? আশঙ্কা বাংলাদেশে

    Bangladesh Crisis: মূর্তি ভাঙার পর এবার কি নোট থেকেও সরবে বঙ্গবন্ধুর ছবি? আশঙ্কা বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে নোট বাতিলের আশঙ্কা চরমে। ভারতের তুলনায় বাংলাদেশি টাকার মূল্য অনেকটাই কমে গিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের (Bangabandhu) ছবি রয়েছে বাংলাদেশের টাকায়। ইতিমধ্যে দেশ জুড়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি, মূর্তি, স্মারক এবং স্মৃতিচিহ্নকে নিশ্চিহ্ন করার ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। বাংলাদেশ ব্যাঙ্কেও চরম অস্থিরতা চলছে। ফলে নোট বাতিল হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

    এখন বাংলাদেশি টাকার মূল্য কত ভারতে (Bangladesh Crisis)?

    বাংলাদেশি (Bangladesh Crisis) টাকায় রয়েছে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের (Bangabandhu) ছবি। ফলে যেকোনও সময় নোট বাতিল হয়ে যেতে পারে। এই আশঙ্কা ব্যাপক ভাবে তৈরি হয়েছে দেশে। তাই ভারতীয় বৈদেশিক মুদ্রায় বাংলাদেশি টাকার মূল্য এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ভারতীয় ১ টাকা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১.৪০ টাকা হচ্ছে। ভারতের ১০০ টাকায় বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪০ টাকা করে পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশে এই অস্থির অবস্থার আগে পেট্রাপোল সীমান্তে ভারতীয় মুদ্রায় বাংলাদেশি ১০০ টাকায় ৭১ টাকা করে দেওয়া হচ্ছিল। এখন ভারতীয় ১০০ টাকায় বাংলাদেশি ৬৫ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় টাকার তুলনায় বাংলাদেশি টাকা প্রতি ১০০ টাকায় ৬ টাকা করে কমে গিয়েছে। ফলে নোট বাতিল হয়ে গেলে আরও প্রভাব পড়বে বাংলাদেশি অর্থনীতিতে। ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্তে ১০০-র বেশি লাইসেন্সধারী মানি এক্সচেঞ্জের কারবারি রয়েছেন। স্বাভাবিক সময়ে হাজার হাজার বাংলাদেশি চিকিৎসা, বেড়ানো, শিক্ষা নানা কারণে ভারতে এসে থাকেন। প্রতিদিন এদের মোটা টাকার কারবার চলে। কিন্তু জুলাই মাস থেকেই ব্যবসা মন্দা চলছে। গত সপ্তাহ থেকে অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। আতঙ্কে অনেকেই বাংলাদেশি টাকা হোল্ড করা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন।

    আরও পড়ুনঃ অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, ভারতের উদ্বেগের একাধিক কারণ

    সঙ্কটে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক!

    সেনা-শাসনে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) পরিস্থিতিতে বুধবারও উত্তাল। পুলিশ, আওয়ামি লিগ এবং সংখ্যালঘুরা হল হামলার মূল লক্ষ্যে। দেশজুড়ে খুন, হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দেশটি যেন মৃত্যুপুরী হয়ে উঠেছে। কোথাও ব্রিজের উপর থেকে ঝুলছে মৃতদেহ আবার কোথাও হোটেলে বন্দি করে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে মানুষকে। দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মৃতি বিজড়িত মূর্তি ধ্বংস চলছে নির্বিচারে। একাধিক শিক্ষা কেন্দ্রের হাজার হাজার পুস্তক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঠিক এমন অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাঙ্কে চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ব্যাঙ্কের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নরদের পদত্যাগের দাবি উঠেছে কর্মীদের একাংশের মধ্যেই। চাপের মুখে পড়ে পদত্যাগ করতে হয়েছে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের। কোনও ক্রমে সেনার নিরাপত্তায় আধিকারিকরা ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: অশান্ত বাংলাদেশে হোটেলে আগুন! বাঁচতে ৪ তলা থেকে ঝাঁপ ভারতীয় যুবকের

    Bangladesh Crisis: অশান্ত বাংলাদেশে হোটেলে আগুন! বাঁচতে ৪ তলা থেকে ঝাঁপ ভারতীয় যুবকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনে (Bangladesh Crisis) বর্তমানে কোণঠাসা হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়। গত দুদিন ধরে চলেছে লাগাতার হিন্দুদের উপর অত্যাচার। এবার নিজের প্রাণ বাঁচাতে চারতলা থেকে ঝাঁপ দিলেন ভারতীয় (Indian) যুবক। কয়েকদিন আগে ব্যবসার কাজে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন অসমের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই শাহিদ আলি। তখনও বাংলাদেশের পরিস্থিতি এতটা তপ্ত হয়নি। সে সময় দুজনে যশোরের একটি হোটেলে উঠেছিলেন। সোমবার বিকেলে তাঁদের হোটেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর প্রাণে বাঁচাতে চারতলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন শাহিদ। মঙ্গলবার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেশে ফেরেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, দু’পা ভেঙে গিয়েছে শাহিদের। 

    কী জানিয়েছেন তাঁরা? (Indian) 

    এ ঘটনার প্রসঙ্গে দুই ভাই জানান, আমদানি-রফতানির ব্যবসার কাজের সূত্রেই তাঁরা বাংলাদেশ গিয়েছিলেন। যশোরের একটি হোটেলের ১২ তলার একটি ঘরে উঠেছিলেন তাঁরা। সোমবার দুপুরের পরে বাইরে কিছু শব্দ শুনে হোটেলের ঘরের জানলা খোলেন রবিউল এবং শহিদ। তাঁরা দেখেন আন্দোলনকারীদের (Bangladesh Crisis) একাংশ ওই হোটেলটি ঘিরে ফেলেছেন। কিছু বুঝে ওঠার আগে হোটেলের মধ্যে থেকে হট্টগোল শুনতে পান। খবর পান, হোটেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কী করবেন বুঝে উঠতে না পেরে চার তলা থেকে পাশের একটি ভবনে চলে যান দু’জন। সেখান থেকে ঝাঁপ দেন দুই ভাই। ঘটনায় গুরুতর আহত হন তাঁরা। তাঁদের কথায়, ‘‘কোনও রকমে প্রাণ নিয়ে ফিরলাম। শুনেছি দু’জন মারা গিয়েছেন।’’ যদিও মৃতের কোনও তথ্য এখনও সরকারি ভাবে পাওয়া যায়নি। 

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নিপীড়িত হিন্দুরা, ভিডিও শেয়ার করে পাশে দাঁড়ালেন সোনু সুদ

    ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা 

    যদিও বাংলাদেশের পরিস্থিতির (Bangladesh Crisis) অবনতি হওয়ার পর, ভারত কূটনীতিকদের পাশাপাশি বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, প্রয়োজনে ভারত তার কূটনীতিক ও নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তবে বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়রা বর্তমানে বিমানবন্দরের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল, কোচবিহার, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর সীমান্তের বেশ কয়েকটি এলাকা হয়ে ফিরে আসছে। বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি কাটিয়ে সোমবার রাত থেকে ধীরে ধীরে ফ্লাইট পরিষেবা আবার শুরু হয়। ফলে বাংলাদেশে কর্মরত বেশ কয়েকজন ভারতীয় (Indian) যাত্রী মঙ্গলবার সকালে ফিরে আসেন দেশে। সেই সব যাত্রীদের মধ্যে এক যাত্রী জানান, “আমরা বাংলাদেশে কাজ করি। গতকাল আমাদের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। রবিবার, আমরা ভারতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা যখন রাত সাড়ে ন’টার সময় ফ্লাইটে উঠতে যাচ্ছিলাম, তখন জানতে পারি যে ফ্লাইট বাতিল হয়ে গেছে। এরপর আমরা কোনও খাবার ও জল ছাড়াই বিমানবন্দরে আটকে পড়েছিলাম।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh crisis: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, ভারতের উদ্বেগের একাধিক কারণ

    Bangladesh crisis: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, ভারতের উদ্বেগের একাধিক কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশান্তির আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ (Bangladesh crisis)। চলছে হিন্দু নিধন যজ্ঞ। প্রত্যাশিতভাবেই পড়শি বন্ধু দেশের এই অশান্তিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত (Anti Terrorism Crusade)। ভারতের উদ্বেগের কারণ একাধিক।

    ভারতের উদ্বেগের কারণ (Bangladesh crisis)

    এর মধ্যে রয়েছে মুক্তি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা, উত্তরপূর্ব ভারতে শান্তি বজায় রাখা, বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সর্বোপরি, সে দেশের নয়া সরকারের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তোলা। দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই খানিকটা হলেও ধাক্কা খাবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

    হাসিনাকে বেশি গুরুত্ব ভারতের

    বরাবরই ভারত বিএনপির চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে হাসিনার আওয়ামি লিগকে। এর কারণ হল, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন এবং লস্কর-ই-তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনের প্রতি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গী। ভারতে একাধিক জঙ্গি হামলার নেপথ্যে রয়েছে এই দুই সন্ত্রসবাদী সংগঠনের হাত। ৭/১১-র মুম্বই ট্রেনে বিস্ফোরণ, ২০০৮ সালের জয়পুর বোমা হামলা, ওই বছরই আমেদাবাদে বিস্ফোরণ, ২০১০ সালে জামে মসজিদে হামলা, বেঙ্গালুরু স্টেডিয়ামে বিস্ফোরণ, ২০১১ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ এবং আরও অনেক জঙ্গি কার্যকলাপের নেপথ্যে রয়েছে এই দুই সংগঠনের হাত (Bangladesh crisis)। দেশজুড়ে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘাঁটি গেড়েছে। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে।

    ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের চেয়ে কোনও অংশে কম যায় না লস্কর-ই-তৈবা। ২৬/১১ হামলার নেপথ্যে তারাই। ২০০২ সালে মুম্বইয়ে ১১টি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এসবেরই নেপথ্যে ছিল ওই দুই জঙ্গি সংগঠনের হাত। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, হাসিনা-হীন জমানায় এই জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশে ডেরা বেঁধেছিল। সেখান থেকেই চক্রীরা ভারতে চালিয়ে গিয়েছিল একের পর এক অপারেশন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হত। জঙ্গিরা ভারতে অপরাধ করে দিব্যি ঢুকে যেত হাসিনা-হীন সরকারের ছাতার তলায়। পরে সুযোগ বুঝে সেখান থেকে তারা চলে যেত পাকিস্তানে।

    আরও পড়ুন: অরাজক পরিস্থিতি বাংলাদেশে, অব্যাহত হিন্দু নিধন যজ্ঞ

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জঙ্গি সংগঠনগুলির লাগাম ধরতে বিএনপি কিছুই করেনি। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসবাদ বন্ধে কোমর কষে নামেন হাসিনা। সেই প্রক্রিয়াই আপাতত ধাক্কা খাবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। হাসিনার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়াটা পাকিস্তানের আইএসআই এবং চিনের কাছে (Anti Terrorism Crusade) ‘পৌষ মাস’ হয়ে দাঁড়াল বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের (Bangladesh crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi Hindus: বাংলাদেশে আতঙ্কে রয়েছেন হিন্দুরা, সুরক্ষা দিক ভারত, চাইছে সঙ্ঘ

    Bangladeshi Hindus: বাংলাদেশে আতঙ্কে রয়েছেন হিন্দুরা, সুরক্ষা দিক ভারত, চাইছে সঙ্ঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন হিংসার ঘটনা বাড়তে শুরু করেছে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে হিংসা, অগ্নিসংযোগের পরিমাণ আরও বেড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় দোকানপাট লুট করা হচ্ছে। সরকারি দফতরে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। কোটা বিরোধী আন্দোলন পরিণত হয়, সরকার বিরোধী আন্দোলনে। সরকারের পতনের পর এখন হিন্দুদের (Bangladeshi Hindus) টার্গেট করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আরএসএস (RSS)।

    আরএসএসের দাবি (RSS)

    এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি হিন্দুদের রক্ষা করতে ভারত সরকারের কাছে আর্জি জানাল আরএসএস। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সর্বভারতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সুরেশ ভৈয়াজি জোশি বলেন, বাংলাদেশে (Bangladeshi Hindus) হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আরএসএস কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সম্মুখীন।” জোশি মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় একথা জানান। তিনি আরও বিশদভাবে বলেন, “বাংলাদেশ একটি ভিন্ন দেশ। সন্ত্রাস কবলিত বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি জেলায় হিন্দুদের বাড়ি এবং দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু মন্দির।

    আহ্বান জানিয়েছে ভিএইচপিও

    শুধু আরএসএস নয়, এর আগে, কেন্দ্রের কাছে একই অনুরোধ করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদও। মঙ্গলবার, ভিএইচপি নেতা অলোক কুমার বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের কথা তুলে ধরে বলেন, “সমস্ত সংখ্যালঘু হিন্দু ও শিখদের পাশে আমরা রয়েছি। হিন্দুদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-ঘর, মন্দিরকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা হামলা চালাচ্ছে। ভারত অবশ্যই বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে অন্ধ হয়ে থাকতে পারে না। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিতে ভারত সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।’’

    হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সেনা

    বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একতা পরিষদ জানিয়েছে, প্রায় ৩০০ জন হিন্দুর দোকানঘর এবং বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রায় ২৪টির মতো মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। ৪০ জনের বেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা মনে করছে, হিন্দুরা শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগের সমর্থক। সেই ভাবনা থেকেই হিন্দুদের (Bangladeshi Hindus) উপরে বেশি আঘাত নেমে আসছে বলে অভিযোগ। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা প্রদান করার কথা বললেও সকল হিন্দুদের নিরাপত্তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি বাংলাদেশের সেনাবিহিনী।  

    বাংলাদেশে কমছে হিন্দুদের সংখ্যা (Bangladeshi Hindus)

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে ২০টির বেশি জেলায় হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছেন। বিশেষ করে দিনাজপুর, বগুড়া, রংপুর, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নড়াইল, যশোর, পটুয়াখালী, খুলনা, নরসিংদী, সাতক্ষীরা, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, হাবিবগঞ্জ, ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের উপর আক্রমণ বজায় রয়েছে। ভাঙচুর শেষে (Bangladeshi Hindus) তাঁদের সম্পত্তি লুটপাট করা হয়েছে। বাংলাদেশ ২৫ শতাংশ থেকে কমতে কমতে হিন্দুদের জনসংখ্যা ৮ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের উপর হিংসা অব্যাহত, উদ্ধার ২৯ জনের দেহ

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের উপর হিংসা অব্যাহত, উদ্ধার ২৯ জনের দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকেই বাংলাদেশে জুড়ে হিংসা (Bangladesh Crisis) মারাত্মক আকার নিয়েছে। গত ৫ অগাস্ট থেকে আওয়ামি লিগের (Awami League) নেতা-কর্মীদের উপর ব্যাপক হামলা অব্যাহত। সোমবার থেকেই সেদেশে হিংসার ঘটনায় বহু লিগ কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। কোথাও বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে আবার কোথাও চলছে সম্পত্তির লুটপাট। এমনকী রেহাই পাচ্ছেন না দলের কর্মীদের পরিবারও। বুধবার হাসিনার দলের ২৯ জনের নেতা-কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দেশজুড়ে এখনও পর্যন্ত হিংসার বলি ৪০০-র বেশি। একইভাবে, হাসিনার সহকর্মী মন্ত্রী, সাংসদদের ঘরে ঘরে হানা দিচ্ছে সেনাশাসিত বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। অন্যদিকে, হামলা চলছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে।

    বগুড়া-লালমনিরহাট-সাতক্ষীরায় চলছে হত্যালীলা (Bangladesh Crisis)!

    দ্য ঢাকা ট্রিবিউন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সাতক্ষীরায় উন্মত্ত জনতার হাতে নিহত হয়েছেন ১০ জন আওয়ামি লিগ (Awami League) কর্মী। একই দিনে কুমিল্লায় নিহত কমপক্ষে ১১ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন কিশোর। হাসিনার দলের প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ শাহ আলমের বাড়িতে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে ভস্মীভূত করে দিয়েছে। এই বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন আরও ৬ জন। আবার মঙ্গলবার আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুলের বাড়িতে। সেখানেও চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোনাগাজী উপজেলায় যুব লিগের আরও দুই নেতার দেহ পাওয়ার খোঁজ মিলেছে। লালামনিরহাট থেকে সেই জেলার আওয়ামি লিগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন খানের বাড়ি থেকে ৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বগুড়াতে আরও দুই যুবলিগের নেতাকে কুপিয়ে খুন করেছে বিক্ষোভকারীরা। উল্লেখ্য, মনে করা হয়েছিল হাসিনার পদত্যাগের পর অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির কিছুটা বদল ঘটবে, কিন্তু সেনাপ্রধান দেশের মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষায় চূড়ান্ত ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। দেশজুড়ে চলছে ভাঙচুর, লুটপাট। গত তিন দিন ধরে দেশজুড়ে শয়ে শয়ে মানুষ হিংসার প্রত্যক্ষ শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। একই ভাবে হামলাকারীদের থেকে রেহাই পাচ্ছেন না সংখ্যালঘু হিন্দুরাও। ভারতের অভ্যন্তরেও একাধিক সামজিক সংগঠন বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। 

    বিএনপি ও জামাতপন্থী আইনজীবীরা আগুন দিয়েছে

    অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে কার্যত জ্বলছে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। প্রথম আলো সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল বিএনপি ও জামাতপন্থী আইনজীবীরা। এই ভবনের মূল প্রবেশদ্বারের কাছে বঙ্গবন্ধু কর্নারেও চালানো হয় ব্যাপক ভাঙচুর। একই ভাবে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় সেখানকার বইপত্রে। পুড়িয়ে ফেলা হয় শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি। সূত্রের খবরে আরও জানা গিয়েছে, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান হাওলাদার এবং সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহাদাত শাওনের কার্যালয়েও ভাঙচুর চালায় তাণ্ডবকারীরা। সেই দেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপরের পর থেকে ঢাকায় আওয়ামি লিগের (Awami League) সদর দফতরে চলছে ব্যাপক লুটপাট, সেই সঙ্গে লাগানো হয়েছে আগুন।

    আরও পড়ুনঃ অরাজক পরিস্থিতি বাংলাদেশে, অব্যাহত হিন্দু নিধন যজ্ঞ

    দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন একাধিক মন্ত্রী

    ঢাকা টাইমস সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে হাসিনা সরকারের একাধিক মন্ত্রী এবং সাংসদরা দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী, ক্রীড়ামন্ত্রী, সমবায়মন্ত্রীও বিদেশে চলে গিয়েছেন। ইতিমধ্যে আরও কয়েকজন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই ভাবে সেনাশাসিত গোয়েন্দারা আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হানা দিচ্ছে। রীতিমতো তীব্র রাজনৈতিক এই সঙ্কটের মধ্যে উত্তেজিত আক্রমণকারীদের রোষানলে পড়েতে হচ্ছে লিগ সমর্থিত লোকজনকে। আইনের শাসন সম্পূর্ণভাবে নেই বললেই চলে।

    উদ্বিগ্ন ভারত সরকার

    শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকেই উন্মত্ত দুষ্কৃতীরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত শত বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ-ভাংচুর করছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার বক্তব্য রেখেছেন। পরিস্থিতি অত্যন্ত  উদ্বেগজনক এবং তার ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। একইভাবে নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেছেন, “শেখ হাসিনা দিল্লিতে আসার কথা জানিয়ে অল্প সময়ে আবেদন করলে, ভারত সরকার সদর্থক ভূমিকা পালন করেছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: অরাজক পরিস্থিতি বাংলাদেশে, অব্যাহত হিন্দু নিধন যজ্ঞ

    Bangladesh Crisis: অরাজক পরিস্থিতি বাংলাদেশে, অব্যাহত হিন্দু নিধন যজ্ঞ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ জুড়ে চলছে অরাজক পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis)। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। দেশের রশি রাষ্ট্রপতির হাতে। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তিনিই বর্তমানে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছেন। তবে তাতে যে কিছুই হয়নি, তার প্রমাণ হিন্দুনিধন যজ্ঞে ইতি না পড়া। কোথাও জীবন্ত পুড়িয়ে মারা (Hindu Killed) হচ্ছে মানুষকে।

    রাস্তায় ঝোলানো সারি সারি লাশ (Bangladesh Crisis)

    কোথাও আবার আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করতে রাস্তায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে সারি সারি লাশ। আক্রোশ মেটাতে মৃতের মুখ থেঁতলে দেওয়া হচ্ছে লাথি মেরে। হিন্দুদের ঘরদোর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভাঙচুর করা হচ্ছে মন্দির। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে দেবালয়ে। নির্বিচারে চলছে মহিলা নির্যাতন। ভাইরাল হয়েছে মহিলাদের আর্ত চিৎকারের ভিডিও। মেহেরপুরে সোমবার রাতেই ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল ইস্কনের মন্দিরে। মঙ্গলবার রাতে আওয়ামি লিগের এক নেতা-সহ হিন্দুদের ৯টি বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটছে। ঢাকায় একাধিক হিন্দুর বাড়ির ভাঙচুর করা হয়েছে। চালানো হয়েছে লুটপাট।

    উদ্বেগে ব্রিটেন

    সোমবার সন্ধেয় মালোপাড়ায় ছটি হিন্দু বাড়িতে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। করা হয় ভাঙচুর। দিনাজপুর সদর উপজেলায় ফুলতলা শ্মশানঘাট এলাকায় হরিসভা ঘর, দুর্গা মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। বোচাগঞ্জ উপজেলার ঈশানিয়া ইউনিয়নের চৌরঙ্গী বাজারে হিন্দুদের অন্তত ৪০টি দোকানে চালানো হয়েছে লুটপাট। ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) সংখ্যালঘু সম্প্রাদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। হিংসা বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর উপাসনালয় ও লোকজনের ওপর হামলার খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশনগুলোর রাষ্ট্রদূতেরা।

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    সোমবার বাংলাদেশ হিন্দু বুদ্ধিস্ট খ্রিস্টান ইউনিটি কাউন্সিল হিন্দুদের মন্দির এবং বাড়িঘরে হামলার একটা তালিকা প্রকাশ করেছে। এক্স হ্যান্ডেল ভয়েস অফ বাংলাদেশি হিন্দুজে বলা হয়েছে, এই হামলার ঘটনা ঘটেছে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে। তালিকায় ৫৪টি হামলার ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হামলার ঘটনা এর চেয়ে ঢের বেশি। খুলনায় রূপসা থানা এলাকায় জনৈক শ্যামল কুমার দাস ও স্বজন কুমার দাসের বাড়িতে হামালা চালায় দুষ্কৃতীরা। খুলনা ডিস্ট্রিক্ট ইউনিটি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট বিমান বিহারী অমিত এবং খুলনা শহরের ইউথ ইউনিটি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট অনিমেষ সরকার রিঙ্কুর বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে (Hindu Killed)। দেকোপের আমতলির বানিসান্তা এলাকায় জয়ন্ত গাইন এবং কয়রার দারপাড়া এলাকায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। চালানো হয় লুটপাট।

    শ্মশানের জমিও দখল

    ফেনিতে আক্রান্ত দুর্গা মন্দির। দিনাজপুর ও ফুলথালা এলাকায় দুষ্কৃতীরা দখল করে নিয়েছে শ্মশানের জমি। পার্বতীপুরে কালীমন্দির-সহ পাঁচটি মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়। চিরিরবন্দর থানা এলাকায় লুটপাট চালানো হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে। পেশায় ব্যবসায়ী দীপক সাহার বাড়ি ও অফিসে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তিনি লখিমপুরের পূজা সেলিব্রেশন কাউন্সিলের নেতাও। খোশরগঞ্জে ভাঙচুর করা হয় জনৈক নকুল কুমার ও সুশান্তের বাড়ি। পরে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। চট্টগ্রামে হামলা চালানো হয় উজ্জ্বল চক্রবর্তীর বাড়িতে। দুষ্কৃতীরা লুটে নিয়ে যায় (Bangladesh Crisis) ঘরগেরস্থালির জিনিসপত্রও। যশোরে হিন্দুদের তিনটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ২২টি দোকানেও হানা দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এর মধ্যে একটি বাবুল সাহার ওয়্যার হাউস।

    হিন্দুদের দোকান লুটপাট

    সাতক্ষীরা এলাকায় হিন্দুদের দোকান লুটপাট করা হয়েছে। ডিস্ট্রিক্ট ইউনিটি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট বিশ্বজিৎ সাধুর বাড়িতে চালানো হয়েছে লুটপাট। তাঁর বাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। ডক্টর সুব্রত ঘোষের বাড়িতেও লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। তিনি ইউনিটি কাউন্সিলের সেন্ট্রাল অ্যাসিসটেন্ট অর্গানাইজেশনাল সেক্রেটারি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে তালিকা।  এই তালিকার বাইরে বহু ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের হিন্দুদের বাড়িঘরদোর ভাঙচুর করা হচ্ছে। করা হচ্ছে অগ্নিসংযোগও (Bangladesh Crisis)। দুষ্কৃতীরা হিন্দুদের মন্দিরও ভাঙচুর করছে। এক্স হ্যান্ডেলে জনৈক রাজু দাস পোস্ট করেছেন একাধিক ভিডিও। একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, উন্মত্ত জনতা বামুনিয়া পালপাড়ায় হিন্দুদের বাড়ি  আক্রমণ করেছে।

    কাতর আর্তি অসহায় তরুণীর

    অন্য একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে অসহায় এক তরুণীকে। বাঁচার জন্য কাতর আর্তি জানাচ্ছেন তিনি। ঘটনাটি পিরোজপুর জেলার মাথাবাড়িয়া থানা এলাকার। অন্য একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে উন্মত্ত জনতা চট্টগ্রামের একটি মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। অবশ্য ভিডিওগুলোর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ভারতে ইস্কনের মুখপাত্র যুধিষ্ঠির গোবিন্দ দাস একটি পোস্টে বলেন, “আমি যে তথ্য পেয়েছি, মেহেরপুরে (খুলনা ডিভিশন) আমাদের একটি মন্দিরে আগুন লাগানো হয়েছে। পুড়ে গিয়েছে ভগবান জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহ। ওই মন্দিরে যে তিন ভক্ত ছিলেন, তাঁরা কোনও ক্রমে পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন। অন্য একটি ভিডিওয় হিন্দুদের হুমকি দিতে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু মুসলমানকে।

    বাংলাদেশের সংবাদপত্রের দাবি

    বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘ডেইলি স্টারে’র দাবি, দেশের ২৭ জেলাতে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। এই প্রতিবেদন থেকেই জানা গিয়েছে, লালমনিরহাট সদর উপজিলার তেলিপাড়া এবং থানা রোড এলাকায় ভাঙচুর করা হয়েছে দুই হিন্দুর বাড়ি। প্রদীপ চন্দ্র রায় এবং মুহিন রায় নামের এই হিন্দুর বাড়িতে লুটপাটও চালানো হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল ১৯৭১ সালে। তার পর থেকে এ পর্যন্ত নিত্য চলছে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। সে দেশে একবার হিংসা শুরু হলে পোয়া বারো মুসলমানদের একটা বড় অংশের। তারা হিন্দুদের মারধর করে কিংবা ভয় দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করে ‘জান্নাতে’র পথ প্রশস্ত করে। কেউ কেউ আবার হিন্দু বিতাড়ন করে স্রেফ সম্পত্তি দখল করার অভিলাষে।

    স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম এবং তৎপরবর্তীকালে নানা আন্দোলন চলাকালীন হিংসার ঢেউ আছড়ে পড়েছে বাংলাদেশে, যার বলি হয়েছেন হিন্দুরা। এবার অবশ্য হিন্দুদের পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয়েছে আওয়ামি লিগের কয়েকজন মুসলমান নেতার বাড়িতে। তবে সেই সংখ্যা নিতান্তই হাতে গোণা। সংবাদের শিরোনামে কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দু নিধন (Hindu Killed) যজ্ঞই। কারণ আন্দোলনের বলি কেবল সনাতনী (Bangladesh Crisis) হিন্দুরাই।

    আরও পড়ুন: শেখ মুজিবুরের ভক্ত, হাসিনা বিরোধী! অশান্ত বাংলাদেশকে শান্ত করতে পারবেন ইউনূস?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sheikh Hasina: কোনও দেশেই আশ্রয় চাননি হাসিনা, দাবি পুত্র জয়ের! ভারতেই থাকবেন?

    Sheikh Hasina: কোনও দেশেই আশ্রয় চাননি হাসিনা, দাবি পুত্র জয়ের! ভারতেই থাকবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও দেশেই আশ্রয় চাননি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। এমনই দাবি করলেন হাসিনার ছেলে সাজিব ওয়াজেদ জয়। হাসিনা বিভিন্ন দেশে আশ্রয় চেয়েছেন বলে যে জল্পনা ছড়িয়েছে, সেগুলি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। তাতে বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই, বলে জানান জয়। আপাতত নয়াদিল্লিতেই থাকছেন বাংলাদেশের সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    জয় যা জানালেন

    হাসিনা-পুত্র (Sheikh Hasina) জয় বলেন, ‘‘মায়ের আশ্রয়ের অনুরোধ সম্পর্কিত যে সব প্রতিবেদন ছাপা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভুল। তিনি কোথাও আশ্রয়ের জন্য অনুরোধ করেননি। তাই ব্রিটেন বা আমেরিকার তরফে আশ্রয়ের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার বিষয়ও অসত্য।’’ জয় আরও দাবি করেন, তাঁর মায়ের আশ্রয় নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে কোনও রকম আলোচনাও হয়নি। হাসিনা আর রাজনীতিতে থাকবেন না, তা প্রথম জানিয়েছিলেন তাঁর পুত্রই। জয় আরও জানিয়েছিলেন, হাসিনা এখন পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটানোর পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু কোথায় বা কীভাবে তা এখনও স্থির হয়নি। হাসিনা-পুত্রের কথায়, ‘‘আমি এখন ওয়াশিংটনে আছি। আমার বোন লন্ডনে থাকে। পিসি থাকেন লন্ডনে। তাই আমরা জানি না উনি (হাসিনা) কোথায় থাকবেন শেষ পর্যন্ত।’’

    আপাতত ঠিকানা ভারতই!

    ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, খুব অল্প সময়ের নোটিসে ভারতে আসার আর্জি জানিয়েছিলেন হাসিনা (Sheikh Hasina)। ভারত সেই অনুমতি দেওয়ার পরই বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে আসেন তিনি। সোমবার দুপুরে বোন রেহানাকে নিয়ে ঢাকার বাসভবন তথা ‘গণভবন’ ছেড়েছিলেন (Bangladesh Crisis) হাসিনা। সন্ধ্যা নাগাদ তিনি ভারতে পৌঁছন। এখন তিনি ভারতেই রয়েছেন। তবে, সোমবার বিকেলের দিকে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বায়ুঘাঁটিতে অবতরণের পর থেকে হাসিনা কোথায় আছেন, তা নিয়ে ভারত সরকারের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, কড়া সুরক্ষার মধ্যে তাঁকে একটি ‘সেফ’ (সুরক্ষিত) জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  কিন্তু সেই জায়গাটা কোথায়, তা নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। 

    আরও পড়ুন: শেখ মুজিবুরের ভক্ত, হাসিনা বিরোধী! অশান্ত বাংলাদেশকে শান্ত করতে পারবেন ইউনূস?

    পরবর্তী গন্তব্য 

    বর্তমানে হাসিনা (Sheikh Hasina) ভারতে গোপন আস্তানায় রয়েছেন। তবে তাঁর পরবর্তী গন্তব্য কী হবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছে বিশ্ব কূটনৈতিক মহলে। বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্রের দাবি, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটেনের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। তবে এখনও সে দেশের সরকারের তরফে কোনও সবুজ সঙ্কেত মেলেনি। হাসিনার আমেরিকায় যাওয়ার পথ বন্ধ হয়েছে। আমেরিকা নাকি তাঁর ভিসা প্রত্যাহার করেছে। যে দাবি, বুধবার নস্যাৎ করে দেন হাসিনা-পুত্র। এমনকী, ফিনল্যান্ড, বেলারুশ-সহ বেশ কয়েকটি দেশের নামও উঠে আসছে এই আলোচনায়। তবে এই সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘‘ভারত থেকে আপাতত অন্য কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা নেই তাঁর।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Muhammad Yunus: শেখ মুজিবুরের ভক্ত, হাসিনা বিরোধী! অশান্ত বাংলাদেশকে শান্ত করতে পারবেন ইউনূস?

    Muhammad Yunus: শেখ মুজিবুরের ভক্ত, হাসিনা বিরোধী! অশান্ত বাংলাদেশকে শান্ত করতে পারবেন ইউনূস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণ-আন্দোলনের রেশে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) এখনও জারি মৃত্যু মিছিল। দিকে দিকে জ্বলছে আগুন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে সংসদ-চতুর্দিকে লুটপাট, ভাঙচুরের ছবি। এরই মধ্যে বাংলাদেশে অন্তবর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। ঢাকার বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মহম্মদ শাহবুদ্দিনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে (Muhammad Yunus) অন্তবর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। একদা মুজিবের অনুরাগী কিন্তু পরবর্তীতে ঘোর হাসিনা বিরোধী ইউনূসের হাতেই অশান্ত বাংলাদেশকে শান্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। 

    মুজিবের অনুরাগী

    এক সময়ে হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের অনুরাগী ছিলেন ইউনূস। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ‘বাংলাদেশ সিটিজেনস কমিটি’ (বিসিসি) গড়ে পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যলায়ের অর্থনীতির এই ছাত্র। সেই সময়ে বিসিসি-র প্রচার পুস্তিকার সম্পাদকও হন ইউনূস। ইউনূসের জন্ম ১৯৪০ সালের ২৮ জুন। চট্টগ্রামের বাথুয়া গ্রামে জন্মানো ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬০ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং ১৯৬১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান।  এর পরে চট্টগ্রাম কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপক হিসাবে যোগ দিয়েছিলন ইউনূস (Muhammad Yunus)। 

    ব্যাঙ্ক স্থাপন

    ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) গ্রামীণ ব্যাঙ্কের জন্ম দেন ইউনূস। প্রথমে এক নারীকে ঋণ দিয়ে কাজ শুরু করেন। পরে ৪২ জন নারীর একটি দলকে টাকা ধার দেন। সেই পদক্ষেপ থেকে একটি ‘মাইক্রোক্রেডিট’ গবেষণা প্রকল্প তৈরি করেন। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষকে জামানত ছাড়াই ঋণ দেওয়ার কাজটা করেছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁকে ‘গরিবের ব্যাঙ্কার’ বলা হত। ২০০৬ সালে তাঁর ঝুলিতে আসে নোবেল শান্তি পুরস্কার।

    হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক

    মুজিবুরের মৃত্যুর পরে হাসিনার সঙ্গেও একটা সময় পর্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল তাঁর। ১৯৯৭ সালে ওয়াশিংটনে হওয়া মাইক্রোক্রেডিট (ক্ষুদ্র ঋণ) কনভেনশনে আমেরিকার তৎকালীন ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিন্টনের সঙ্গে হাসিনাকে যুগ্ম সভাপতিত্বের দায়িত্ব দিয়েছিলেন ইউনূসই (Muhammad Yunus)। কিন্তু পরে হাসিনার সঙ্গে ইউনূসের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লীগ ‘গরিবের রক্তচোষা’ বলে অভিহিত করেছিল ইউনূসকে। জালিয়াতি, অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগে ২০০টিরও বেশি মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: ‘‘১ কোটির ওপর বাংলাদেশি হিন্দু আসবেন পশ্চিমবঙ্গে’’, বড় দাবি শুভেন্দুর

    কঠিন সময়ে দেশের দায়িত্বে

    এবার দেশের এক কঠিন সময়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসকে (Muhammad Yunus) বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কে হবেন এবং সরকারের রূপরেখা তৈরি করতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট শাহবুদ্দিনের সঙ্গে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ১৩ জন সদস্যের একটি দল বৈঠকে বসে। বৈঠকে ছিলেন তিন সেনাবাহিনীর প্রধান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপকরা। সেই বৈঠকেই সর্বসম্মতিতে ইউনূসকে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ইস্কনের মন্দির ভাঙচুর, ছত্রখান বিগ্রহও

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ইস্কনের মন্দির ভাঙচুর, ছত্রখান বিগ্রহও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ আর ২০২৪ সালের মধ্যে সময়ের ফারাক বিস্তর। কালের নিয়মে এই সময়-পর্বে পদ্মা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। তবে নানা অছিলায় বাংলাদেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞ (Bangladesh Crisis) বন্ধ হয়নি। ১৯৭১ আর ২০২৪ সাল দুটোর প্রেক্ষাপট আলাদা। তবে বাংলাদেশি মুসলমানদের (Islamist Mob) চাঁদমারি কিন্তু সেই হিন্দুরা। যেন-তেন-প্রকারে হিন্দু বিতাড়ন কিংবা নিধন করে জমিজমা দখল করাই পরোক্ষ লক্ষ্য বাংলাদেশি মুসলমানদের, এমনটাই বলছেন অভিজ্ঞরা। প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও সেই কারণেই হিন্দুদের মন্দিরে হানা দিচ্ছে বাংলাদেশি মুসলমানরা। বাংলাদেশের মেহেরপুরে রয়েছে ইস্কনের মন্দির। এই মন্দিরের মুখপাত্র সুমোহন মুকুন্দ দাস সেই অবর্ণনীয় (Bangladesh Crisis) ছবির ভিডিও শেয়ার করেছেন। ৫ অগাস্ট রাতে এই মন্দিরে ভাঙচুর চালায় মুসলমানরা। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় নিরপরাধ দেব বিগ্রহগুলিকে।

    কী বলছেন ইস্কনের সেবায়েত

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭০ সালের চেয়ে খুব একটা আলাদা কিছু নয়। বেছে বেছে আক্রমণ করা হচ্ছে হিন্দু রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং মন্দিরগুলিকে।” ইস্কনের ওই মন্দিরের মুখপাত্র বলেন, “ওরা আমাদের ইস্কন মন্দিরকে টার্গেট করেছিল। ভাঙচুর করেছে। মন্দিরের ভেতরে বোমা বিস্ফোরণও করা হয়েছে।” প্রাণ বাঁচাতে বিগ্রহকে অন্তর্যামীর ভরসায় রেখে রাতের অন্ধকারে জঙ্গলে আশ্রয় নেন তাঁরা। তিনি বলেন, “আমি এখনও জঙ্গলেই লুকিয়ে রয়েছি। স্থানীয় কয়েকজনের বাড়িতে (Bangladesh Crisis) আশ্রয় নিতে গিয়েছিলাম। তারা মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। বলেছিল, আপনাদের আশ্রয় দিলে ওরা (মুসলমানরা) আমাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেবে। অগত্যা জঙ্গলেই আশ্রয় নিতে হল। এখনও জঙ্গলেই লুকিয়ে রয়েছি। আপনাদের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে বলতে চাই, বাংলাদেশে হিন্দুরাই টার্গেট মুসলমানদের। ১৯৭১ থেকে ২০২৪ – হিন্দু-পীড়ন চলছেই।”

    বাংলাদেশের আর একটি ইস্কনের মুখপাত্র যুধিষ্ঠির গোবিন্দ দাস বলেন, “খবর যা পেয়েছি, তাতে জেনেছি মেহেরপুরে আমাদের ইস্কনের মন্দিরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্দিরে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহ ছিল। মন্দিরে যে তিন ভক্ত ছিলেন, তাঁরা কোনওক্রমে পালিয়ে বেঁচেছেন। দুষ্কৃতীরা রেহাই (Bangladesh Crisis) দেয়নি বিগ্রহদের।” আধপোড়া বিগ্রহের ছবি ভাইরাল হয়েছে। তাতে দুঃখ পেয়েছেন ভারতীয় হিন্দুরা। তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না বাংলাদেশি মুসলমানদের।

    সুপ্ত ইচ্ছে (Bangladesh Crisis)

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হিন্দুদের সম্পত্তি দখল যদি একটা উদ্দশ্যে হয়, তাহলে আরও একটা সুপ্ত ইচ্ছে আছে বাংলাদেশি মুসলমানদের। সেটা হল, বাংলাদেশকে হিন্দুশূন্য রাষ্ট্রে পরিণত করা। সেই কাজটাই সুচারুভাবে করে চলেছে বাংলাদেশি মুসলমানদের একটা বড় অংশ। তাই কোনও একটা ছুতো পেলেই বাংলাদেশি মুসলমানদের সফট টার্গেটে পরিণত হয় হিন্দুদের মন্দির ও আরাধ্য দেবতা। হিন্দু মতে বিগ্রহ নাবালক, তাই তাঁর সেবা করতে হয় শিশুপুত্র কিংবা শিশুকন্যার মতো। অভিভাবক যে গৃহস্থ, খুন করা হয় তাঁকেও। 

    স্পিকটি নট ‘সোনার বাংলা’র বুদ্ধিজীবীরা

    যারা যুক্তি-বুদ্ধির ধার ধারে না, তারা যে দেবতাকেও রেহাই দেবে না, তা তো জলের মতোই পরিষ্কার। সংখ্যালঘুদের পালক চাপা দিয়ে রক্ষা করা যে সংখ্যাগুরুদের কর্তব্য, তা ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না বাংলাদেশের সিংহভাগ মুসলমান। তাই দেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞ হলেও, স্পিকটি নট ‘সোনার বাংলা’র বুদ্ধিজীবীরা। মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেন বাংলাদেশের ভারতীয় জামাইরাও। তাই মুসলমানদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় হিন্দুর দেবতাকে। ১৯৭১ সালে যখন স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়, তখন সেই ডামাডোলের বাজারেও বাংলাদেশে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে হিন্দুদের। যার জেরে প্রাণ বাঁচাতে কাতারে কাতারে বাংলাদেশি হিন্দু রাতের (Bangladesh Crisis) আঁধারের বুক চিরে চলে এসেছেন ভারতে। সেই সঙ্কটকালেও স্রেফ দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে যাঁরা রয়ে গিয়েছিলেন ওপার বাংলায়, তাঁদের অবস্থা করুণ।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক ভারত সরকার, আর্জি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    নিত্য কমছে হিন্দুর হার

    পরিসংখ্যান (Islamist Mob) বলছে, স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হওয়ার সময় সে দেশে হিন্দুর হার ছিল মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশের আশপাশে। কমতে কমতে ৫৪-৫৫ বছরে সেটাই এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র আট শতাংশে। এই সামান্য শতাংশকেও ভিটেমাটি ছাড়া করতে পারলে কেল্লাফতে। বাংলাদেশ হয়ে যাবে একশো শতাংশ মুসলমানের দেশ। এই মুসলমানের ‘দ্যাশ’ করতে গিয়েই খুন করা হচ্ছে সে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের (Bangladesh Crisis)। ২০২৪ সালের ছবিটাও সেই সময়কার চিত্রের চেয়ে খুব একটা আলাদা নয়। 

    অকৃতজ্ঞ!

    সনাতন ধর্মের আঁতুড়ঘর যে ভারতের সাহায্য ছাড়া স্বাধীন হতে পারত না বাংলাদেশ, যে ভারতের আর্থিক সাহায্য ছাড়া বাংলা হতে পারত না সোনার বাংলা, সেই দেশেই স্লোগান ওঠে ‘ইন্ডিয়া আউট’। দিনের বেলায় যারা ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান দেয়, সূর্য অস্ত গেলে তারাই লোটাকম্বল নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে দুমুঠো ভাতের আশায় চলে আসে ভারতে। তুষ্টিকরণের রাজনীতির কারবারিদের আশ্রয়ে এবং প্রশ্রয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করে তারা মিশে যায় ভারতীয় জনারণ্যে। ভারত হয়ে ওঠে ‘বিবিধের মাঝে মিলন মহানে’র দেশ। আর ‘আ-মরি বাংলা ভাষা’র দেশের (Islamist Mob) হিন্দুরা বলতে ভয় পান (Bangladesh Crisis), “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি…”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: হাসিনার ‘ঘনিষ্ঠ’ মেজর জেনারেলকে বরখাস্ত, বাংলাদেশে সেনার শীর্ষস্তরে একাধিক রদবদল

    Bangladesh Crisis: হাসিনার ‘ঘনিষ্ঠ’ মেজর জেনারেলকে বরখাস্ত, বাংলাদেশে সেনার শীর্ষস্তরে একাধিক রদবদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আন্দোলনকারীদের শান্ত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরও বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বরং, দুপুরের পর থেকে রাতভর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যথেচ্ছ পরিমাণে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট চালানো হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আওয়ামি লিগের নেতা, সাংসদদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অনেককে। যদিও সোমবারের পর মঙ্গলবার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে দেশে কার্ফু তুলে নেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগেই বাংলাদেশ সেনায় বড়সড় রদবদল হয়েছে। মূলত হাসিনা ঘনিষ্ঠদের সেনার গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।

    হাসিনার ‘ঘনিষ্ঠ’ মেজর জেনারেল জিয়াউলকে বরখাস্ত! (Bangladesh Crisis)

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিনের অনুমোদনে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সেনার এই রদবদলের নির্দেশ কার্যকর করেছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে অপসারিত এবং বদলি হওয়া অফিসারদের অধিকাংশই সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত। আইএসপিআর-এর বিবৃতি জানাচ্ছে, মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মেজর জেনারেল জিয়াউলের বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতা এবং গুপ্তহত্যায় হাসিনাকে মদত দেওয়ার সরাসরি অভিযোগ তুলেছিলেন আন্দোলনকারী পড়ুয়া ও বিরোধী নেতারা।

    আরও পড়ুন: ‘‘১ কোটির ওপর বাংলাদেশি হিন্দু আসবেন পশ্চিমবঙ্গে’’, বড় দাবি শুভেন্দুর

    হাসিনা ঘনিষ্ঠদের সেনার নিয়ন্ত্রণ থেকে সরানো হল

    হাসিনা (Sheikh Hasina) ঘনিষ্ঠ কয়েকজন শীর্ষস্তরের অফিসারকে সরাসরি সেনার নিয়ন্ত্রণ থেকে সরিয়ে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে পাঠানো হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ সাইফুল আলমকে সেনা থেকে সরিয়ে পাঠানো হয়েছে বিদেশ দফতরে! আর এক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ মজিবুর রহমানকে জিওসি আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নতুন নির্দেশিকায় লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরীকে সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামিমকে সেনাবাহিনীর চিফ অফ জেনারেল স্টাফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহিনুল হককে কমান্ড্যান্ট এনডিসি (ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ) এবং মেজর জেনারেল এএসএম রিজওয়ানুর রহমানকে এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার)-র ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share