Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Tajikistan Hijab Ban: হিজাব নিষিদ্ধ হয়ে গেল মুসলিম দেশ তাজিকিস্তানে!

    Tajikistan Hijab Ban: হিজাব নিষিদ্ধ হয়ে গেল মুসলিম দেশ তাজিকিস্তানে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিজাব নিষিদ্ধ হয়ে গেল মুসলিম অধ্যুষিত দেশ তাজিকিস্তানে (Tajikistan Hijab Ban)! মধ্য এশিয়ার এই দেশটির মোট জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশই মুসলমান। দেশের সংসদের উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিলটি পাশ হয় ১৯ জুন, বুধবার। কেবল তাই নয়, নয়া আইনে গুচ্ছের বিধিনিষেধও আরোপ করা হয়েছে। ইদের দিন রাস্তায় বেরিয়ে উদযাপনে মাততে পারবে না সে দেশের শিশুরা। ‘ইদগারদাক’ (তাজিকিস্তানে ইদ এই নামেই পরিচিত)-এর দিন তাজিকিস্তানের শিশুরা রাস্তায় ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে গিয়ে পয়সা চায়। তাতেও এবার ইতি টানা হল।

    ‘এলিয়েনদের পোশাক’ (Tajikistan Hijab Ban)

    সদ্য পাশ হওয়া এই আইনে হিজাবকে ‘এলিয়েনদের পোশাক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর ইদ উদযাপনকে বলা হয়েছে বিদেশি সংস্কৃতি। প্রসঙ্গত, ৮ জুন তাজিকিস্তানের সংসদের নিম্নকক্ষে পাশ হয়েছিল এই বিলটি (Tajikistan Hijab Ban)। এবার পাশ হয়ে গেল উচ্চকক্ষেও। নয়া আইনে বলা হয়েছে, শিশুদের পড়াশোনা নিশ্চিত করতে হবে। নজর দিতে হবে তাদের সুরক্ষার দিকেও। আইন না মানলে গুণতে হবে মোটা টাকা জরিমানা। সে দেশের মুদ্রায় গচ্চা দিতে হতে পারে ৭,৯২০ থেকে ৩৯,৫০০ সোমোনি পর্যন্ত। সরকারি আধিকারিক এবং ধর্মীয় নেতা কিংবা কোনও প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ এই আইন ভাঙলে ভারতীয় টাকায় জরিমানা দিতে হবে ৩ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।

    লম্বা দাড়ি রাখায়ও নিষেধাজ্ঞা!

    তাজিকিস্তানের সরকারি ধর্ম ইসলাম। দেশটির ৯৫ শতাংশই মুসলমান। তবে অন্য যে কোনও ধর্মীয় রীতি পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে সে দেশে। হিজাব ও লম্বা দাড়ি রাখায় নিষেধাজ্ঞা আগেও ছিল সে দেশে। তবে এ সংক্রান্ত কোনও আইন ছিল না। এবার আইন করে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় হিজাব। বিশেষজ্ঞদের মতে, হিজাবের আড়ালে দুষ্কর্ম করে চলে চরমপন্থীরা। তাই আইন করে বন্ধ করে দেওয়া হল ‘এলিয়েনদের এই পোশাক’। সরকারি বিবৃতিতে তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট রহমন ইমোমালি বলেছেন, “পূর্বপুরুষের মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতি বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ।”

    আর পড়ুন: বাংলায় জাল নথি বানিয়ে হিন্দু ‘সেজে’ বাস অনুপ্রবেশকারীর, গ্রেফতার বাংলাদেশি

    প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর হিজাব নিষিদ্ধ করেছিল এশিয়ারই ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য কর্নাটকের সরকার। তা নিয়ে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি শুরু করে দেয় বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিরোধীদের আন্দোলন থেকে অক্সিজেন পেয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন ভারতীয় মুসলমানদের একটা বড় অংশ। এবার খোদ ইসলামিক একটি রাষ্ট্রেই নিষিদ্ধ হয়ে গেল হিজাব।

    মুখের মতো জবাব পেলেন তো আন্দোলনকারীরা (Tajikistan Hijab Ban)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: বাংলাদেশিদের জন্য ই মেডিক্যাল ভিসা চালু, ১০ টি চুক্তি করে দেশে ফিরলেন হাসিনা

    Sheikh Hasina: বাংলাদেশিদের জন্য ই মেডিক্যাল ভিসা চালু, ১০ টি চুক্তি করে দেশে ফিরলেন হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দিনের ভারত সফর শেষে বাংলাদেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) । দেশে ফেরার আগে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ মৌ চুক্তি সঙ্গে নিয়ে ফিরেছেন তিনি। এর মধ্যে ৭টি নতুন মৌ চুক্তি রয়েছে। এবং ৩টি চুক্তি পুনর্নবীকরণ হয়েছে। দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে নানা বিষয়ে ফলপ্রসূ আলাপ আলোচনা হয়েছে।

    বাংলাদেশীদের জন্য চালু ‘ই মেডিক্যাল ভিসা’

    যে কটি মৌ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ই-মেডিক্যাল ভিসা (E Medical Visa) চালুর সিদ্ধান্ত। এছাড়াও বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সুবিধার জন্য রংপুরে একটি নতুন হাইকমিশন খোলার কথা ও ঘোষণা করা হয়েছে। দু’দেশের রাষ্ট্রনেতা এবং প্রতিনিধিদের এই বৈঠকে চূড়ান্ত হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি। এর মধ্যে ভারতের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় সমুদ্র অঞ্চলে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চুক্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) এ বিষয়ে শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন এই সমুদ্র সহযোগিতার মাধ্যমে নীল অর্থনীতির পথে একসঙ্গে চলবে দুই দেশ।

    গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সম্পাদন করলেন হাসিনা (Sheikh Hasina)

    বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বৈঠক শেষে বলেন, “আজ আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। আমরা রাজনীতি, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, যোগাযোগ, জল বন্ধন, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি ও আঞ্চলিক সহযোগিতা সহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করেছি। উভয় দেশ শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে দিকনির্দেশনা দিতে ভিশন স্টেটমেন্টকে সমর্থন করেছে। ভারত ও বাংলাদেশ ডিজিটাল পার্টনারশিপ ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারিত্বের জন্য একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে সম্মত হয়েছে।”

    দুই দেশের সহযোগিতার প্রশংসা করলেন মোদি

    প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) দায়িত্ব নেবার পর এটি প্রথম কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের ভারত সফর। বাংলাদেশেও এ বছরের শুরুর দিকে ভোট ছিল। সেখানে ফের ক্ষমতায় এসেছে হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লিগ। একদিকে প্রধানমন্ত্রী ২০৪৭ এর বিকসিত ভারতের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন। অন্যদিকে হাসিনাও (Sheikh Hasina) রূপকল্প ২০৪১কে পাখির চোখ করেছেন।  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক শেষ বলেন, “বাংলাদেশ আমাদের নেবারহুড ফার্স্ট পলিসি, অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি, ভিশন সাগর এবং ইন্দো পেসিফিকের সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। গত এক বছরে আমরা একসঙ্গে অনেক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প সম্পাদন করেছি। ভারতীয় রুপিতে বাণিজ্য শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে গঙ্গা নদীতে দীর্ঘতম রিভার ক্রুজ নৌ চলাচল শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফের বাড়ল বাংলাদেশ-কলকাতা ট্রেনের ভাড়া, জানুন তালিকা

    আখাউড়া আগরতলা রেল লিঙ্ক শুরু হয়েছে। খুলনা-মংলা পোর্টের মাধ্যমে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির জন্য কার্গো পরিষেবা শুরু হয়েছে। মংলা বন্দরকে রেলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ১৩২০ মেগাওয়াটের দুটি মৈত্রী থার্মাল প্লান্ট দুটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কাজ শুরু হয়েছে করেছে। দুই দেশের মধ্যে পাইপ্লাইনের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া নেপাল থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুতের গ্রিডের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতগুলি কাজ একসঙ্গে করা আমাদের দুই দেশের সম্পর্কের বাঁধনকে মজবুত করেছে এবং দুই দেশের কর্ম ক্ষমতার যোগ্য নিদর্শন রেখেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hinduja Family: হিন্দুজা পরিবারের চারজনকে কারাবাসের সাজা সুইৎজারল্যান্ডের আদালতের

    Hinduja Family: হিন্দুজা পরিবারের চারজনকে কারাবাসের সাজা সুইৎজারল্যান্ডের আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মী শোষণের কালি লাগল ভারতীয় বংশোদ্ভুত হিন্দুজা পরিবারের (Hinduja Family) গায়ে! ব্রিটেনের সব চেয়ে ধনী এই পরিবারকে দোষী সাব্যস্ত করেছে সুইৎজারল্যান্ডের আদালত। হিন্দুজা পরিবারের চারজনকে ৪ বছর পর্যন্ত কারাবাসের সাজাও শুনিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণার সময় আদালতে অবশ্য উপস্থিত ছিলেন না হিন্দুজা পরিবারের কোনও সদস্য। মামলাগুলির মধ্যে মানব পাচারের অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে এই ধনকুবের পরিবারকে।

    কী বলছেন অজয় হিন্দুজা?

    দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন অজয় হিন্দুজাও (Hinduja Family)। তিনি বলেন, “এটি লঘু পাপে গুরুদণ্ডের শামিল। সামাজিক সুবিচার নয়, বরং ন্যায় বিচারের কথা মাথায় রেখেই মামলা পরিচালিত হওয়া দরকার।” বিশ্বের ৩৮টি দেশে তেল, গ্যাস, ব্যাঙ্কিং ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রের ব্যবসা রয়েছে হিন্দুজাদের। পরিবারের মোট সম্পত্তির মূল্য ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি। বিশ্বজুড়ে এঁদের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারির সংখ্যা লাখ দুয়েক।

    হিন্দুজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    এহেন হিন্দুজা পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারত থেকে সুইৎজারল্যান্ডে জেনেভায় কর্মচারি নিয়ে আসত তারা। পরে তাদের পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে রেখে দিত নিজেদের হেফাজতে। আরও অভিযোগ, গার্হস্থ্য কর্মীদের সামান্য মাইনের বিনিময়ে অমানবিক পরিশ্রম করানো হত। বাড়িতে কোনও ভোজসভা বা আমোদ-প্রমোদ চললে কাজ করতে হত ভোররাত পর্যন্ত। অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না ওই পরিচারক-পরিচারিকাদের। রান্নাঘরের মেঝেয় ঘুমোতে হত তাঁদের। কোনও ছুটিও দেওয়া হত না।

    আর পড়ুন: পরীক্ষায় অনিয়ম রুখতে কড়া দাওয়াই কেন্দ্রের, ধরা পড়লেই জেল-জরিমানা

    এই গার্হস্থ্য কর্মীদের শোষণ, মানসিক নির্যাতন ও নিপীড়নের অপরাধে সাজা দেওয়া হয়েছে হিন্দুজাদের। আইনজীবী ইয়েভস বার্তোস্সা বলেন, “হিন্দুজারা একজন পরিচারক কিংবা পরিচারিকার থেকে একটি পোষ্য কুকুরের জন্য বেশি খরচ করেন। একজন মহিলা পরিচারিকাকে বেতন হিসেবে দিনপ্রতি দেওয়া হয় মাত্র ৬৫৬.৭০ টাকা। সপ্তাহে সাতদিন ১৮ ঘণ্টা করে কাজ করতে হয় ওই গার্হস্থ্য কর্মীকে।” হিন্দুজা পরিবারের যাঁদের শাস্তি দিয়েছে আদালত, তাঁরা হলেন প্রকাশ হিন্দুজা, তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও পুত্রবধূ। হিন্দুজা পরিবারের আইনজীবী বলেন, “এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানানো হবে উচ্চ আদালতে (Hinduja Family)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Canada Ties: “ভারতের নয়া সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আশাবাদী”, বলছেন ট্রুডো

    India Canada Ties: “ভারতের নয়া সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আশাবাদী”, বলছেন ট্রুডো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-কানাডা (India Canada Ties) সম্পর্কের বরফ গলল জি৭ সম্মেলনের মঞ্চে। সম্মেলনের ফাঁকে উপস্থিত রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে পার্শ্ব বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠক হয় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গেও। তার পরেই দুই দেশের মধ্যে যেসব বড় ইস্যুগুলিতে জটিলতা রয়েছে, সেই জট খুলে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। নয়া ভারত সরকার সম্পর্কে আশাও প্রকাশ করেন তিনি। দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়েও আশা প্রকাশ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন ট্রুডো? (India Canada Ties)

    ওটাওয়া সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে (India Canada Ties) ট্রুডো বলেন, “এই সম্মেলন মঞ্চের বড় সুযোগ হল বিশ্বের বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ। বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে, বিশেষত ভারতের সঙ্গে। সেখানে লোকের সঙ্গে লোকের বন্ধন রয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল অর্থনৈতিক বন্ধন।” দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে ট্রুডো বলেছিলেন, “আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল বিষয়ে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। সেগুলি কী, তা নিয়ে আমি এখানে কথা বলতে চাই না। তবে আগামিদিনে আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল বিষয়ে এক সঙ্গে কাজ করব বলে একমত হয়েছি।”

    ট্রুডোর অভিযোগ

    কানাডায় খুন হয় সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জর। এই ঘটনায় কানাডা আঙুল তোলে ভারতের দিকে। কানাডার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ট্রুডো বলেছিলেন, “এই ঘটনার নেপথ্যে ভারতের হাত রয়েছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে দ্বিতীয় মোদি সরকার বলেছিল, এই দাবির স্বপক্ষে কানাডা প্রমাণ দিতে পারলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বস্তুত, কানাডা এমন কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। তবে কানাডার এই অভিযোগের পরপর ভারত-কানাডা সম্পর্ক গিয়ে ঠেকে তলানিতে। তারপর থেকে আর মুখোমুখি হননি মোদি-ট্রুডো। কূটনৈতিক মহলের মতে, সেদিক থেকে দেখতে গেলে জি৭ এর সম্মেলনের ফাঁকে ভারত ও কানাডা দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে যে পার্শ্ব বৈঠক হয়েছে, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    আর পড়ুন: নৈসর্গিক ডাল লেকের পাড়ে যোগ দিবস পালন, যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, আঁটসাঁট নিরাপত্তা

    প্রসঙ্গত, বৈঠকের পর দুই রাষ্ট্রনেতার করমর্দনের ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছিলেন, ‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে সাক্ষাৎ হল জি৭ সম্মেলন মঞ্চে।’ ১৩ থেকে ১৫ জুন ইটালির আপুলিয়া অঞ্চলে বসেছিল জি৭ এর সম্মেলন। ভারত জি৭ এর সদস্য দেশ নয়। তবে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ভারতকে (India Canada Ties)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Nuclear Missiles: পাকিস্তানের চেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে ভারতের হাতে, বলছে রিপোর্ট

    India Nuclear Missiles: পাকিস্তানের চেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে ভারতের হাতে, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের চেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে ভারতের (India Nuclear Missiles) হাতে। অন্তত এমনই দাবি সুইডেনের বিশেষজ্ঞ সংস্থা স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (SIPRI)। এর আগে বিভিন্ন সংস্থার সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল পাকিস্তানের হাতে রয়েছে বেশি সংখ্যক পরমাণু অস্ত্র (Weapon Systems)। সুইডেনের সংস্থার রিপোর্টে ভিন্ন সুর।

    কী বলছে রিপোর্ট? (India Nuclear Missiles)

    সোমবার সংস্থার তরফে প্রকাশ করা হয় রিপোর্টটি। তাতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের হিসেবে ভারতের হাতে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে ১৭২টি। পাকিস্তানের চেয়ে দুটি বেশি। পাকিস্তানের চেয়ে ভারত এক ধাপ এগিয়ে রইলেও, ঢের পিছিয়ে রয়েছে চিনের চেয়ে। সুইডিশ ওই সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে চিনের হাতে (India Nuclear Missiles) ৪১০টি পরমাণু অস্ত্র থাকলেও, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে তা বেড়ে হয়েছে ৫০০। অথচ ২০১৮ সালে বেজিংয়ের হাতে ২৮০টি পরমাণু অস্ত্র ছিল বলে দাবি করা হয়েছিল এই সংস্থার রিপোর্টেই।

    কার হাতে কতগুলি পারমাণবিক অস্ত্র

    সুইডিশ এই সংস্থার রিপোর্টেই রয়েছে আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইজরায়েল এবং উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র সংস্ক্রান্ত তথ্য। রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে বিশ্বে অন্তত ২ হাজার ১০০টি পরমাণু অস্ত্রকে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে, তাতে বসিয়ে রাখা হয়েছে। এদের সিংহভাগই বিশ্বের অন্যতম দুই বৃহৎ শক্তিধর দেশ – আমেরিকা ও রাশিয়ায়। অন্যতম শক্তিধর দেশ চিনও কয়েকটি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রকে হাই অপারেশনাল সতর্কতায় রেখেছে বলেও দাবি সুইডিশ সংস্থার ওই রিপোর্টে।

    আর পড়ুন: জয়ের পর আজ প্রথম বারাণসীতে মোদি, আর্থিক সাহায্য ৯.২৬ কোটি কৃষককে

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের শ্যেনদৃষ্টি ভারতের নিউক্লিয়ার ডিপার্টমেন্টের ওপর। ভারত দূরপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর (Weapon Systems) ওপর জোর দিচ্ছে। সেই সব অস্ত্রের পাল্লা এমন করার চেষ্টা চলছে, যাতে গোটা চিনই চলে আসতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায়। সুইডিশ থিঙ্কট্যাঙ্ক জানিয়েছে, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া রাশিয়া ও আমেরিকার পদাঙ্ক অনুসরণ করছে ভারত। বহুমুখী ব্যালিস্টিক মিসাইল মোতায়েনের ওপরও জোর দিচ্ছে তারা। বিশ্বের যে কোনও দেশের চেয়ে চিন ওয়্যারহেডস ওয়েপন বানাচ্ছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় (India Nuclear Missiles)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Sri Lanka Relation: “পক প্রণালী দিয়ে স্থলপথে ভারত-শ্রীলঙ্কাকে জোড়ার চেষ্টা চলছে”, জানালেন বিক্রমসিংহে

    India Sri Lanka Relation: “পক প্রণালী দিয়ে স্থলপথে ভারত-শ্রীলঙ্কাকে জোড়ার চেষ্টা চলছে”, জানালেন বিক্রমসিংহে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-শ্রীলঙ্কা (India Sri Lanka Relation) স্থলপথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায় কিনা, সে সংক্রান্ত সমীক্ষা শেষের পথে। এ কথা জানালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে। উত্তর-পূর্বের জেলা মন্নারে উন্নয়নমূলক প্রকল্প খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। তখনই তিনি বলেন, “সমীক্ষার প্রাথমিক পর্ব শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত পর্বের সমীক্ষা চলছে। পক প্রণালী দিয়ে ভারত-শ্রীলঙ্কাকে স্থলপথে জোড়ার চেষ্টা চলছে।”

    মূল লক্ষ্য

    এই (India Sri Lanka Relation) প্রণালী কোনও কোনও জায়গায় ১৫ মাইলের মতো সঙ্কীর্ণ। স্থলপথে জোড়া গেলে শ্রীলঙ্কার দুই গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ত্রিঙ্কোমালি ও কলম্বোর সঙ্গে (India Sri Lanka Relation) ভারতের যোগাযোগ হবে অনায়াস। এই যোগাযোগ স্থাপনের মূল লক্ষ্যই হল, প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সুপ্রাচীন সম্পর্ক মজবুত করা। ভারতের তামিলনাড়ু ও দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার মধ্যে রয়েছে পক প্রণালী। উত্তরপূর্বে বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণে অবস্থিত মন্নার উপসাগরকে যুক্ত করেছে এই প্রণালী। প্রণালীটি ৪০ থেকে ৮৫ মাইল প্রশস্ত।

    প্রধান আলোচ্য বিষয়

    এই অঞ্চলে প্রচুর মাছ মেলে। মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন দুই দেশের মৎস্যজীবীরাই। জলসীমা লঙ্ঘন করার অভিযোগে প্রায়ই হেনস্থা হতে হয় দুই দেশেরই মৎস্যজীবীদের। চলতি সপ্তাহেই শ্রীলঙ্কা সফরে যাবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেই সময় ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে অন্যতম আলোচ্য বিষয় হতে পারে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে পাওয়ার গ্রিড সংযোগ। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট জানান, দুই দেশের আলোচনায় দ্বীপরাষ্ট্রের বাড়তি পুনর্নবীকরণ শক্তি ভারতকে বিক্রি করা যায় কিনা, তাও উঠে আসতে পারে।

    আর পড়ুন: আস্তিন গুটিয়ে তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি, ঘোষণা ইনচার্জদের নাম

    শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০ জুন কলম্বোয় আসবেন জয়শঙ্কর। যদিও ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জয়শঙ্করের এই সফরের বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। যদি তিনি শ্রীলঙ্কা সফরে যান, তাহলে সেটাই হবে তাঁর এই দফায় প্রথম বিদেশ সফর। প্রসঙ্গত, তৃতীয় মোদি সরকারেও বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব বর্তেছে জয়শঙ্করের ওপর। জয়শঙ্করের শ্রীলঙ্কা সফরের সময় শ্রীলঙ্কায় ভারতের সমস্ত প্রকল্প (যার মধ্যে রয়েছে মন্নরে আদানি গ্রুপের বায়ুশক্তি প্রজেক্টও) এবং ত্রিকোনমিলির ইস্টার্ন পোর্ট জেলায় শিল্প তালুক স্থাপন নিয়েও আলোচনা হতে পারে (India Sri Lanka Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh To Kolkata Train: ফের বাড়ল বাংলাদেশ-কলকাতা ট্রেনের ভাড়া, জানুন তালিকা

    Bangladesh To Kolkata Train: ফের বাড়ল বাংলাদেশ-কলকাতা ট্রেনের ভাড়া, জানুন তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওপার বাংলা থেকে প্রচুর মানুষ এপার বাংলায় আসেন। বেশিরভাগ জনই চিকিৎসার স্বার্থে কলকাতায় আসেন এবং সুস্থ হয়ে ফের ফিরে যান। বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসার বাস ও বিমান থাকলেও পকেট সাশ্রয়ী হিসেবে এবং আরও অন্যান্য সুবিধার জন্য মধ্যবিত্ত বাঙালির পছন্দের তালিকায় সর্বদাই শীর্ষে থাকে ট্রেন (Bangladesh To Kolkata Train)। তবে ফের একবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা ট্রেনগুলির ভাড়া বাড়ল বলে জানা গিয়েছে। ডলারের মূল্য বৃদ্ধির জেরেই এমন ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এমনটাই জানা গিয়েছে।

    ১৫ জুন থেকেই বাড়ল ভাড়া 

    গতকাল ১৫ জুন শনিবার থেকেই এই নতুন ভাড়া কার্যকর হয়ে গিয়েছে। ওপার বাংলার ট্রেনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক মেহরাবুর রশিদ খান একটি বিবৃতি জারি করে ভাড়া বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন। ওই বিবৃতি অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা তিনটি ট্রেন (Bangladesh To Kolkata Train) যথা- মৈত্রী এক্সপ্রেস, বন্ধন এক্সপ্রেস ও মিতালী এক্সপ্রেস এদের ভাড়া সর্বনিম্ন ৭০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩০৫ টাকা বেড়েছে। 

    কোন ট্রেনে কত ভাড়া বাড়ল

    প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল পথ চলা শুরু করে মৈত্রী এক্সপ্রেস। বন্ধন এক্সপ্রেস ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় ছোটে ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর। মিতালী এক্সপ্রেস চালু হয় খুব সম্প্রতি ২০২১ সালের ২৬ মার্চ। ঢাকা থেকে কলকাতা চলাচল করে মৈত্রী এক্সপ্রেস। খুলনা থেকে কলকাতায় আসে বন্ধন এক্সপ্রেস ঢাকা। অন্যদিকে ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত যাতায়াত করে মিতালী এক্সপ্রেস। জানা গিয়েছে, আগে মৈত্রী এক্সপ্রেসের এসি কামরার ভাড়া ছিল ৪,৯০০ টাকা। নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তা হল ৫,১১০ টাকা। আবার বন্ধন এক্সপ্রেসের (Bangladesh To Kolkata Train) ট্রেনের এসি ভাড়া ছিল ২,৯৫০ টাকা। নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তা হল ৩,০৫৫ টাকা। মিতালি এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি আসনের ভাড়া ছিল ৬,৭২০ টাকা। সেটা বেড়ে হল ৭,০২৫ টাকা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: উষ্ণ আলিঙ্গন বাইডেনকে, খালিস্তানি সমস্যার মধ্যেও ট্রুডোর হাতে হাত রেখে সৌজন্য মোদির

    PM Modi: উষ্ণ আলিঙ্গন বাইডেনকে, খালিস্তানি সমস্যার মধ্যেও ট্রুডোর হাতে হাত রেখে সৌজন্য মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনের পর ফের মুখোমুখি মোদি-ট্রুডো। খলিস্তানি ইস্যুতে সংঘাতের মধ্যেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দেখা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা নিয়ে আপাতত বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ইটালিতে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে (G7 Summit) যোগ দিয়েছেন মোদি। এখানেই সকলের সঙ্গে খোশ মেজাজে ধরা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। পোপ ফ্রান্সিস থেকে শুরু করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মতো অনেক রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। 

    ট্রুডো -মোদি সাক্ষাত

    তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) আসনে বসার পর এটাই মোদির প্রথম বিদেশ সফর। ইটালির প্রধানমন্ত্রীর জর্জিয়া মেলোনির আমন্ত্রণে বিশেষ অতিথি হিসাবে ৫০তম জি-৭ সামিটে যোগ দিয়েছেন তিনি। এই সম্মেলনের ফাঁকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর হাতে হাত রেখে কথা বলতে দেখা গেল মোদিকে। তবে তার মধ্যে ছিল শীতলতার ছোঁয়া। অন্য রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এবং ব্যক্তিগত রসায়ন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন মোদি। কিন্তু ট্রুডোর ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শুধু লেখেন, ‘জি৭ সম্মেলনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দেখা হল।’  

    খালিস্তানি ইস্যু নিয়ে বিরোধ

    কানাডার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক বিরোধ গত বছরের মাঝামাঝি সময় তীব্র হয়েছে। কানাডার বাসিন্দা খালিস্তানপন্থী হরদীপ সিং গুজ্জরের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারতের দিকে আঙুল তোলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি অভিযোগ করেন, নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় এজেন্টরা যুক্ত। ট্রুডোর এই মন্তব্যের পর দুই দেশই কূটনৈতিক সম্পর্কে রাশ টানে। কানাডা কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় ভারতীয় কূটনীতিককে দেশ থেকে বের করে দেয়। ভারতও নয়াদিল্লিতে অবস্থিত কানাডার দূতাবাসের ৪০ জন অফিসারকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে। দুই দেশই ভিসা প্রদান বন্ধ করে দিলেও পরে তা চালু হয়। নয়াদিল্লির অভিযোগ, কানাডার মাটি ভারত বিরোধী শক্তি ব্যবহার করছে। বিশেষ করে পাঞ্জাবের খলিস্থানপন্থীরা ওই দেশকে আশ্রয় করে গোটা বিশ্বে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তথ্যপ্রমাণ-সহ বলা সত্ত্বেও ট্রুডো সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। 

    মোদি-বাইডেন সাক্ষাৎ

    জি-৭ সম্মেলনের (G7 Summit) মাঝেই শুক্রবার বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন মোদি (PM Modi)। দীর্ঘদিন পর বন্ধুকে দেখে জড়িয়ে ধরেন তিনি। এর পর বৈঠকে বসেন দুজনে। যা নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ সবসময়ই খুব আনন্দের। আগামী দিনে দুদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে ও বিশ্বের উন্নতি সাধনে আমরা একযোগে কাজ করব।’ প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে হাসিমুখে দেখা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকেও।

    প্রযুক্তিকে সৃজনশীল করার আহ্বান

    এদিন  জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের একটি অধিবেশনে সারা বিশ্বের  প্রযুক্তি ক্ষেত্রে একচেটিয়া আধিপত্যের অবসানের কথা বলেন মোদি। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের ভিত্তি স্থাপনের জন্য প্রযুক্তিকে সৃজনশীল করার আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপরও বিশেষ জোর দেন। মোদি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে জাতীয় কৌশল তৈরি করা প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে ভারত রয়েছে। শনিবারই দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে ইটালিতে মোদি, বৈঠক করবেন পোপ, বিশ্বনেতাদের সঙ্গেও

    PM Modi: জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে ইটালিতে মোদি, বৈঠক করবেন পোপ, বিশ্বনেতাদের সঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে ইটালির আপুলিয়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুক্রবারই তিনি পৌঁছেছেন ইটালির এই শহরে। সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি উপস্থিত রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে ইটালিতে পৌঁছালাম। বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে আমরা একসঙ্গে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করব।”

    মেলোনির আমন্ত্রণ (PM Modi)

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর মোদিকে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। সেই সময়ই তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে জি৭ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই আমন্ত্রণই গ্রহণ করে ইতালি পাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর এটাই মোদির প্রথম বিদেশ সফর। জি৭-এ-র সদস্য দেশগুলি হল আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, জাপান, কানাডা, ফ্রান্স এবং ইটালি। এই সম্মেলনে ভারত আমন্ত্রিত সদস্য।

    সম্মেলনে যোগ দেবেন পোপ

    এবার সম্মেলনে যোগ দেবেন পোপ ফ্রান্সিসও। তিনিই প্রথম পোপ, যিনি যোগ দিচ্ছেন জি৭ এর সম্মেলনে। ভ্যাটিকেনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এআইয়ের এথিক্যাল ইমপ্লিকেশন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন পোপ। মোদি ছাড়াও পোপ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁর সঙ্গে। জি৭ সম্মেলন শুরু হয়েছে ১৩ জুন। শেষ হবে এ মাসেরই ১৫ তারিখে।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর আরও বেনামি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডির

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খাবারের ব্যবস্থা করছে নমস্তে ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট নামের একটি রেস্তরাঁ। বিশ্বনেতাদের সম্মানে যে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন ইটালির প্রধানমন্ত্রী, সেখানেই খাবার পরিবেশন করবে এই রেস্তরাঁ। ইটালিতে ভারতীয় খাবার পরিবেশনে সিদ্ধহস্ত এই রেস্তরাঁ। এদের গ্রিন চাটনির সঙ্গে মুচমুচে সামোসা, সুগন্ধী বিরিয়ানি, ক্রিমি সারসোঁ দা সাগ, পনির কারি, আলু গোবি, মাটন কারি, বাটার নান, চিকেন কারি এবং পোলাও সে দেশে খুবই জনপ্রিয়। নারকেলের নাড়ুকেও ইটালিতে জনপ্রিয় করেছে এই রেস্তরাঁ। এনিয়ে পঞ্চমবার জি৭ সম্মেলনে যোগ দিলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে তিনি যে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন, মোদিকে (PM Modi) মেলোনির আমন্ত্রণই এর সব চেয়ে বড় প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Pakistan: জিডিপি বাড়েনি, বেড়েছে গাধা, পাক অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট দেখে হাসির রোল

    Pakistan: জিডিপি বাড়েনি, বেড়েছে গাধা, পাক অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট দেখে হাসির রোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্যপূরণ হয়নি জিডিপি বৃদ্ধির। তবে তাতে কী! দেশটার নাম যে পাকিস্তান (Pakistan)! অতএব, ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা প্রশাসনের। গাধার সংখ্যা বৃদ্ধি দিয়েই জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যপূরণ করতে না পারার ব্যর্থতা ঢেকেছে ইসলামাবাদ।

    পাক অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্ট (Pakistan)

    বিষয়টি তাহলে খুলেই বলা যাক। ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষের জন্য পাকিস্তান যে জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল, তা পূরণ হয়নি। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩.৫ শতাংশ। যদিও বৃদ্ধির হার ২.৩৮ শতাংশ। বুধবার পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রকাশ করেন সে দেশের অর্থমন্ত্রী মহম্মদ ঔরঙ্গজেব। এই সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের (Pakistan) শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত মাত্রায় বৃদ্ধি হয়নি বলেই পূরণ হয়নি জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা। এই সমীক্ষায়ই তুলে ধরা হয়েছে, পাকিস্তানে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে গাধার সংখ্যা।

    পাক অর্থনীতিতে গাধার ভূমিকা

    পাকিস্তানের অর্থনীতিতে গাধা-সহ গবাদি পশুর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। সে দেশের ৮০ লাখেরও বেশি গ্রামীণ পরিবার পশু পালনের সঙ্গে যুক্ত। প্রাণিসম্পদই গ্রামীণ পাকিস্তানের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় গাধার সংখ্যা ১.৭২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫৯ লাখ। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে বর্তমানে গোরু রয়েছে ৫ কোটি ৭৫ লাখ, মহিষের সংখ্যা ৪ কোটি ৬৩ লাখ, ভেড়া রয়েছে ৩ কোটি ২৭ লাখ, আর ছাগলের সংখ্যা ৮ কোটি ৭০ লাখ। এসব গবাদি পশুর পাশাপাশি বেড়েছে উটের সংখ্যাও। পাকিস্তানে কাঁটাভোজী এই প্রাণী রয়েছে ১২ লাখ। গত বছর এই সংখ্যাটাই ছিল ১১ লাখ।

    আর পড়ুন: জি৭ সম্মেলনে আমন্ত্রণ, বৃহস্পতিতে ইটালি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

    পাকিস্তানের জিডিপিতে ১৪.৬৩ শতাংশ অবদান এই প্রাণিসম্পদ ক্ষেত্রের। ঔরঙ্গজেব জানান, অন্যান্য সব ক্ষেত্রকে ছাপিয়ে গিয়েছে কৃষিক্ষেত্রের বৃদ্ধি, বৃদ্ধির হার ৬.২৫ শতাংশ। তাঁর দাবি, গত উনিশ বছরে কৃষি খাতে এত শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি দেখা যায়নি। পাকিস্তানের মূল্যবৃদ্ধির হার অবশ্য কমেছে। এই হার নেমে এসেছে ১১.৮ শতাংশ। অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি সম্পদ বিক্রির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমীক্ষায়। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী বলেন, “পাক সরকার লোকসানে থাকা সরকারি সংস্থাগুলি বিক্রি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” পাকিস্তান এয়ারলাইন্সকেও বেসরকারিকরণ করা হবেও বলেও জানান (Pakistan) তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share