Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ship Seized by Iran: অবশেষে দেশে ফিরছেন ইরানের হাতে আটক ১৬ জন ভারতীয় নাবিক

    Ship Seized by Iran: অবশেষে দেশে ফিরছেন ইরানের হাতে আটক ১৬ জন ভারতীয় নাবিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে মুক্তি। গত ১৩ এপ্রিল অর্থাৎ শনিবার পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালীতে ইরানের বিশেষ বাহিনী ‘রেভোলি‌উশনারি গার্ডস অ্যারোস্পেস ফোর্স’-এর হাতে একটি ইজরায়েলি জাহাজ আটক (Ship Seized by Iran) হয়। জানা যায় সেই জাহাজের মধ্যে ছিল ২৫ জন নাবিক। এরমধ্যে ১৭ জন ছিল ভারতীয়। তাঁদের মধ্যে এক জন মহিলা নাবিক দেশে ফিরলেও বাকিরা এত দিন আটক ছিলেন। অবশেষে তাঁরা মুক্তি (Indian Sailors Released) পেতে চলেছেন। শুধু ভারতীয়রাই নন, আটক হওয়া অন্যান্য নাবিকেরাও মুক্তি পেতে চলেছেন শীঘ্রই। 

    জাহাজ বাজেয়াপ্তর কাহিনী (Ship Seized by Iran) 

    জানা গিয়েছে আটক হওয়া জাহাজটির পরিচালনা দায়িত্বে ছিল ইটালীয়-সুইস সংস্থা এমএসসি। ইতিমধ্যেই তারা ইরান প্রশাসনের দ্বারা জাহাজটির আটকের বিষয়টি স্বীকার করে। সংস্থা জানায়, হেলিকপ্টারে চেপে ওই জাহাজে ওঠেন ইরানের প্রশাসনের আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, জাহাজটি আদতে লন্ডনের জোডিয়াক গোষ্ঠীর। জোডিয়াক গ্রুপ হল ইজরায়েলি ধনকুবের ইয়াল অফারের। গত ১২ এপ্রিল দুবাই থেকে জাহাজটি মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। পরের দিনই হরমুজ প্রণালীতে সেই জাহাজটি বাজেয়াপ্ত (Ship Seized by Iran) করে ইরানের বিশেষ বাহিনী। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? 

    অন্যদিকে জাহাজটি ইরান বাহিনির হাতে আটক (Ship Seized by Iran) হওয়ার পর সেই খবর দেশে আসতেই ১৭ জন ভারতীয়কে মুক্তি দেওয়ার জন্য ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। এরপর ভারতের আবেদনে সারা দিয়ে ওই মহিলা নাবিককে দেশে ফেরায় ইরান। গত ১৮ এপ্রিল কোচিন বিমানবন্দরে পা রাখেন তিনি। দেশে ফিরে ত্রিশূরের অ্যান টেসা জোসেফ নামের ওই মহিলা নাবিক জানিয়েছিলেন, বন্দি থাকলেও ভারতীয় নাবিকদের কোনও অসুবিধা হয়নি। তবে টেসার মুক্তি হলেও বাকিদের মুক্তি নিয়ে এতদিন কূটনৈতিক আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনার পরেই অবশেষে আশার আলো মিলল। 

    আরও পড়ুন: ভক্তদের জন্য সুখবর! অক্ষয় তৃতীয়ায় খুলে গেল কেদারনাথ ধামের দ্বার

    ইরানের অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে ইরানের অর্থমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ানের জানিয়েছেন, মানবিক দিক থেকে বিচার করেই ওই জাহাজের সঙ্গে আটক (Ship Seized by Iran) করা নাবিকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, কিছু নথি সংক্রান্ত কাজকর্ম বাকি রয়েছে। সেগুলি মিটলেই সকলকে মুক্তি (Indian Sailors Released) দেওয়া হবে। 
    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছে, “ভারতের আবেদন মেনে আটক (Ship Seized by Iran) হওয়ার এক মাসের মধ্যে বৃহস্পতিবার এমএসসি এরিসের ৫ জন নাবিককে ইতিমধ্যেই ভারতে পাঠানো হয়েছে। ভারতের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আমরা ইরানের কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। এ কথা স্পষ্ট যে এই নাবিক মুক্তির পর ভারতের সঙ্গে ইরানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। “

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Climate Change: উষ্ণতম এপ্রিল! রেকর্ড তাপমাত্রার জন্য দায়ী এল নিনো, জানাল ইউরোপ

    Climate Change: উষ্ণতম এপ্রিল! রেকর্ড তাপমাত্রার জন্য দায়ী এল নিনো, জানাল ইউরোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু ভারত নয় এপ্রিলের উষ্ণতা টের পেয়েছে সারা বিশ্ব। এপ্রিল মাস রেকর্ড উষ্ণতম ছিল বুধবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান ক্লাইমেট এজেন্সির। তাঁদের তরফে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দেখা গেছে চলতি বছর এপ্রিল প্রাক শিল্পায়ন এবং শিল্পায়ন পরবর্তী যুগে রেকর্ড উষ্ণতম ছিল। এবং সারা পৃথিবীতে টানা ১১ মাস এল নিনোর প্রভাবে উষ্ণতম থেকেছে। এই তীব্র গরমের জন্য মানব সভ্যতাকেই দায়ী করেছে ইউরোপিয়ান ক্লাইমেট এজেন্সি কর্পেনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (corpenicus Climate Change Service)

    সারা বিশ্বে গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি (Climate Change)

    এপ্রিলে সারা পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ছিল ১৫.৩° সেলসিয়াস। প্রসঙ্গত এই তাপমাত্রা ১৮৫০ থেকে ১৯০০ (Pre Industrial Era) সালের গড় তাপমাত্রা থেকে তাপমাত্রার ১.৫৮° সেলসিয়াস বেশি। শিল্প বিপ্লবের পর পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ০.৬৭° সেলসিয়াস (Climate Change) বেড়ে গিয়েছিল। এল নিনোর প্রভাবের জেরে খুব দ্রুত সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়ছে। তাপমাত্রা বাড়ছে স্থলভাগেও। বিশেষ করে শহর অঞ্চলে তাপমাত্রা চিন্তাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েক দশকে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে সামুদ্রিক প্রাণী জগতেও এর প্রভাব দেখা দিয়েছে। বিশ্বের বহু প্রান্তে কোরাল রিফ ধ্বংস হচ্ছে। বহু প্রজাতির প্রাণীর উপর এর খারাপ প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে বিপন্ন প্রজাতিগুলি বিলুপ্ত হওয়ার দিকে খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন এল নিনো (El Nino) প্রভাব অনেক সময়ই আসে এবং চলে যায়। কিন্তু এর জেরে যে তাপমাত্রা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে আটকে যায় তা গ্রিন হাউস ইফেক্টের (Green House Effect) জন্ম দেয়। এর জেরে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

    গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে ক্ষতি

    প্রসঙ্গত পৃথিবী যে সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তাতে হিম যুগের (Ice Age) দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা হিমযুগকে আসা পিছিয়ে দিচ্ছে। পৃথিবীর স্বাভাবিক চক্র প্রতিরোধের মুখে পড়লে তা ভয়ংকর প্রভাবের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন শেষ এক বছরে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১৯৯১ থেকে ২০২০ সালের গড় তাপমাত্রার (Climate Change) চেয়ে ০.৭৩°  সেলসিয়াস বেশি। এই গড় তাপমাত্রা শিল্প বিপ্লবের যুগের আগে তুলনায় ১.৬১°  বেশি।

    আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহে নাজেহাল! গরমে আরাম আনতে খাদ্যতালিকায় রাখুন ৮টি বিশেষ পদ

    আবহাওয়াবিদদের বক্তব্য

    আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন পৃথিবীর উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির তাদের গড় তাপমাত্রা (Climate Change) কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন আছে। এখনই এই চেষ্টা শুরু না করা গেলে ভয়ংকর বিপদের মুখে পড়বে মানব সভ্যতা। কার্বন নির্গমন ও বিভিন্ন ধরনের দূষণ কমিয়ে ফেলতে হবে খুব দ্রুত। গ্রিনহাউস গ্যাস যাতে কম বের হয় তার জন্য পৃথিবীর সমগ্র দেশকে যুদ্ধস্তরীয় তৎপরতায় কাজ করতে হবে। না হলে কম বৃষ্টিপাত, খরা, জঙ্গলে আগুন লাগার মত ঘটনা পরপর ঘটবে। চলতি বছর উচ্চ তাপমাত্রার (Climate Change)জেরে বহু দেশের জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। রেকর্ড গরম ও কম বর্ষা হয়েছে। কোথাও হয়েছে অতিবৃষ্টি যার প্রভাব পড়বে কৃষি কাজে। চাষ ভাল না হলে খাদ্যের অভাব হবে এবং চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে মানব সভ্যতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Maldives Relation: সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুইজ্জুর দল, তবুও ভারত-নির্ভর থাকতে হবে মলদ্বীপকে

    India Maldives Relation: সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুইজ্জুর দল, তবুও ভারত-নির্ভর থাকতে হবে মলদ্বীপকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরেছে চিনপন্থী মুইজ্জু সরকারের দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস। সম্প্রতি নির্বাচন হয়েছে সে দেশে। ক্ষমতায় আবারও এসেছে প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সরকার। তার পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে একদা (India Maldives Relation) ‘পরমমিত্র’ ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের নয়া সরকারের সম্পর্ক কী হবে? বিশেষত মুইজ্জুর চিন-প্রেমের পাশাপাশি ভারত-বিরোধিতা যেখানে জলের মতো স্পষ্ট।

    মলদ্বীপে নির্বাচন (India Maldives Relation)

    মুইজ্জুর সঙ্গে পিপলস মজলিশের দ্বন্দ্বের মধ্যেই মলদ্বীপে হয়েছে নির্বাচন। যার জেরে স্থগিত হয়ে গিয়েছে তাঁর মন্ত্রিসভার তিন সদস্যের নিয়োগ। তা সত্ত্বেও বিপুল ভোটে জিতে ফের মলদ্বীপের ক্ষমতায় এসেছে মুইজ্জুর দল। ধরাশায়ী হয়েছে মলদ্বিভিয়ান ডেমক্র্যাটিক পার্টি। উনিশের সাধারণ নির্বাচনে যে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল মলদ্বিভিয়ান ডেমক্র্যাটিক পার্টি, প্রায় সেরকমই জনসমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে মুইজ্জুর দল। মুইজ্জুর দল যেখানে চিনপন্থী, সেখানে মলদ্বিভিয়ান ডেমক্র্যাটিক পার্টি তাদের ভারত-প্রেমের জন্য জনপ্রিয় সে দেশে। মুইজ্জুর সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে মলদ্বীপ প্রশাসন (India Maldives Relation)। ঘনিষ্ঠ হতে থাকে ড্রাগনের দেশের সঙ্গে। ভারতের পরিবর্তে চিনের অর্থনৈতিক সাহায্যের প্রত্যাশী হয় মুইজ্জু সরকার। তবুও মলদ্বীপ সরাসরি ভারতের বিরোধিতা করতে পারেনি। কারণ ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের রয়েছে ভৌগোলিক নৈকট্য।

    ভোট-বৈতরণী পার মুইজ্জুর দলের

    মনোহর পরিক্কর ইনস্টিটিউট অফ ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালিসিসের রিসার্চ ফেলো স্মূর্তি পট্টনায়েক বলেন, “যে নেতাই ক্ষমতায় আসুন না কেন, তাঁকে প্র্যাগমেটিক (বাস্তবপন্থী) হতেই হবে।” দক্ষিণ এশিয় এই বিশেষজ্ঞ সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “নির্বাচনী প্রচারের বক্তৃতাগুলি ছিল আলাদা আলাদা।” গত নির্বাচনেই প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছিলেন মুইজ্জু। ভারত-বিরোধিতাকেই হাতিয়ার করে তার দল পার হয়েছিল ভোট-বৈতরণী। প্রচার করতে গিয়ে তিনি জোর দিয়েছিলেন ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগানে। ভারতের যে কয়েকজন সেনা জওয়ান মলদ্বীপে শান্তিরক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিলেন, তাঁদেরও দ্বীপরাষ্ট্র ছেড়ে চলে যাওয়ার আওয়াজ তোলেন। ভারতীয় এই সেনার সংখ্যাটা একশোরও কম। ভারত-বিরোধী হাওয়া জোরালো করে প্রেসিডেন্ট পদে বসেন মুইজ্জু। তার পরেই সরিয়ে দেওয়া হয় সে দেশে থাকা ভারতীয় জওয়ানদের।

    ভারত-মলদ্বীপ মন কষাকষি

    গত ডিসেম্বরে ভারতের সঙ্গে জলভাগের মানচিত্র চুক্তি পুনর্নবীকরণ করার সিদ্ধান্ত নেয় মলদ্বীপ প্রশাসন (India Maldives Relation)। জাতীয় সুরক্ষার স্বার্থেই এই চুক্তি পুনর্নবীকরণ করার সিদ্ধান্ত নেয় দ্বীপরাষ্ট্রটি। এই চুক্তি প্রথম স্বাক্ষরিত হয়েছিল ২০১৯ সালের ৮ জুন, মোদির মলদ্বীপ সফরের সময়। দ্বীপরাষ্ট্র থেকে ভারতকে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে বলার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে চিনা জলযানকে রিসার্চ ওয়ার্কের জন্য নিজেদের জলসীমায় প্রবেশ করানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় মুইজ্জু সরকার। চিনের এই চর জাহাজ যাতে মলদ্বীপের জলসীমায় না ঢোকে সে জন্য নানাভাবে মুইজ্জু প্রশাসনকে চাপ দিতে থাকে ভারত। দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে যাতে চিনের ওই গুপ্তচর জাহাজ (যাকে গবেষণার কাজে ব্যবহৃত জাহাজ বলে দাবি করছে চিন) যাতে না নোঙর করে, সেজন্য নয়াদিল্লির তরফে অব্যাহত হতে থাকে মুইজ্জু প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। তা সত্ত্বেও ভারত মহাসাগরে মলদ্বীপের জলসীমানয় নোঙর করেছিল ওই চিনা চর জাহাজ।

    ভারতের নীতির পথে চিন কাঁটা

    ভারত-মলদ্বীপের এসব মন কষাকষির মধ্যেই গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো প্রকাশ্যে চলে আসে মলদ্বীপের তিন জুনিয়র মন্ত্রীর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য। পরে আবার ভারতের জাতীয় পতাকাকে অপমান করেন সে দেশের মুইজ্জু সরকারের বরখাস্ত হওয়া এক মন্ত্রী। এসবের জেরেই ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে চিড় ধরে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যা পরিণত হয়েছে গভীর ফাটলে। অথচ নয়াদিল্লির ‘প্রতিবেশী প্রথম নীতি’ অনুযায়ী ভারতের কাছে মলদ্বীপের গুরুত্ব কম নয়। কারণ ভারত মহাসাগরে এই দেশটির অবস্থান। ভারতের (India Maldives Relation) সঙ্গে মলদ্বীপের এথনিক, লিঙ্গুইসটিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং বাণিজ্যিক বিষয়-আশয় আদান-প্রদান হয়। সেই কারণেই ভারত বরাবর মলদ্বীপের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। মুইজ্জু প্রশাসনের ভারত-বিরোধিতার মাঝেও কূটনৈতিকস্তরে আলোচনা চালিয়ে মলদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করতে চাইছে নয়াদিল্লি। তবে ভারতের এই প্রচেষ্টায় পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের অত্যধিক চিন-প্রীতি।

    আরও পড়ুুন: “আত্মনির্ভর হোন, সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন”, মুসলিমদের উদ্দেশে বললেন মোদি

    ভারত মহাসাগরের একটি দেশ হওয়ায় মলদ্বীপকে যতটা প্রয়োজন ভারতের, দ্বীপরাষ্ট্রেরও তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন ভারতকে। সেই কারণেই তীব্র ভারত-বিরোধী অবস্থান নিতে পারছে না মুইজ্জু প্রশাসন। এর একটা কারণ যদি হয়, ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের ভৌগোলিক দূরত্ব, তবে অন্য কারণটি অবশ্যই পর্যটনগত। চিনের সঙ্গে মলদ্বীপের যা দূরত্ব, তার চেয়ে ঢের কম ভারতের সঙ্গে দূরত্ব। তাছাড়া, পর্যটন শিল্প নির্ভর দেশ মলদ্বীপ। প্রতি বছর যত পর্যটক মলদ্বীপে বেড়াতে আসেন, তার সিংহভাগই ভারতীয়। তাই ভারতকে সমঝে চলাই দস্তুর বলে মনে করে মলদ্বীপ প্রশাসন। সর্বোপরি, মলদ্বীপ প্রশাসনের মাথার ওপর রয়েছে বিপুল দেনার বোঝা। ২০২৩ সালের মধ্যেই ভারতকে ৪০০.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ফেরানোর কথা ছিল মুইজ্জু সরকারের। বছর পেরিয়ে গিয়ে নতুন বছরের মাঝামাঝি হতে চলল, সে ঋণ শোধ করেনি মালে (মলদ্বীপের রাজধানী)। এসবের জেরেই মলদ্বীপ প্রশাসনের পক্ষে তীব্র ভারত-বিরোধী অবস্থান নেওয়া প্রায় অসম্ভব বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। তাই ভারতের মুখেপেক্ষী হয়ে থাকা ছাড়া আর কোনও উপায়ই নেই মুইজ্জু সরকারের সামনে (India Maldives Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Maldives Relation: ‘মলদ্বীপে বেড়াতে আসুন’, ভারতীয়দের কাতর আর্জি দ্বীপরাষ্ট্রের পর্যটনমন্ত্রীর

    India Maldives Relation: ‘মলদ্বীপে বেড়াতে আসুন’, ভারতীয়দের কাতর আর্জি দ্বীপরাষ্ট্রের পর্যটনমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মলদ্বীপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ভারতীয় পর্যটকরা। তার জেরে টান পড়েছে পর্যটনের পেটে। যেহেতু দেশটির বাসিন্দাদের রোজগারের প্রধান উৎস পর্যটন, তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই ভারতীয় পর্যটকদের মলদ্বীপে বেড়াতে যাওয়ার অনুরোধ করলেন দ্বীপরাষ্ট্রের পর্যটনমন্ত্রী (India Maldives Relation)। সোমবার মলদ্বীপের তরফে ভারতীয়দের কাছে এই অনুরোধ করেন সে দেশের মন্ত্রী।

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে অবনতি (India Maldives Relation)

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেন মলদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু সরকারের তিন জুনিয়র মন্ত্রী। তার জেরে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে চিড় ধরে। তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে মুইজ্জ প্রশাসন। তাতেও গলেনি সম্পর্কের বরফ। এই ঘটনার কিছুদিন পরেই বরখাস্ত হওয়া তিন মন্ত্রীর একজন আবার ভারতের জাতীয় পতাকাকে অপমান করেন বলে অভিযোগ। তা নিয়েও একপ্রস্ত দূরত্ব তৈরি হয় ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের। এসবের জেরে মলদ্বীপের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন ভারতীয় পর্যটকরা। বিপাকে পড়ে যান দ্বীপরাষ্ট্রের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন (India Maldives Relation)।

    মুখ থুবড়ে পড়েছে পর্যটন শিল্প

    কারণ ফি বছর যত পর্যটক মলদ্বীপ ঘুরতে যান, তাঁর আশি শতাংশই ভারতীয়। এই বিপুল সংখ্যক পর্যটক মলদ্বীপে না যাওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে সে দেশের পর্যটন শিল্প। মলদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রী ইব্রাহিম ফয়সল বলেন, “ভারত ও মলদ্বীপের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের নয়া সরকার ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে কাজও করতে চায়। আমরা সর্বদা শান্তি ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ প্রোমোট করি। আমাদের সরকার এবং নাগরিকরা ভারতীয় পর্যটকদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবে। পর্যটনমন্ত্রী হিসেবে আমি ভারতীয়দের বলতে চাই, দয়া করে মলদ্বীপে আসুন, মলদ্বীপ পর্যটনের অংশীদার হোন।” কাতর কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমাদের অর্থনীতি পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল।”

    আরও পড়ুুন: “ক্ষমতায় এলেই এক দেশ, এক নির্বাচন চালু করবে এনডিএ”, আশ্বাস রাজনাথের

    পর্যটনমন্ত্রকের পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, চলতি বছর ৪ মে পর্যন্ত মলদ্বীপে বেড়াতে এসেছেন ৪৩ হাজার ৯৯১ জন পর্যটক। অথচ গত বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল এই চার মাসে মলদ্বীপে ঘুরতে এসেছিলেন ৭৩ হাজার ৭৮৫ জন পর্যটক। চলতি বছর এই চার মাসে দ্বীপরাষ্ট্রে এসেছিলেন ৪২ হাজার ৬৩৮ জন (India Maldives Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sunita Williams: সিট বেল্ট বেঁধেও মহাকাশে যাওয়া হল না! শেষ মুহূর্তে বাতিল সুনীতার মহাকাশযাত্রা

    Sunita Williams: সিট বেল্ট বেঁধেও মহাকাশে যাওয়া হল না! শেষ মুহূর্তে বাতিল সুনীতার মহাকাশযাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার তৃতীয় বারের জন্য মহাকাশে পাড়ি (Sunita Williams third space mission) দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই মত সিট বেল্ট বেঁধে ‘স্পেস ট্যাক্সি’র মধ্যে বসে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams)। কিন্তু কিন্তু মহাকাশে ওড়ার আগেই স্থগিত হয়ে গেল সুনীতার যাত্রা। সূত্রের খবর, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই আপাতত স্থগিত করা হয়েছে এই অভিযান। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Sunita Williams)

    ভারতীয় সময় অনুযায়ী ৭ মে মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৪ মিনিটে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে পৃথিবী ছেড়ে ওড়ার কথা ছিল সুনীতা এবং আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশচারী ব্যারি উইলমোরের। অত্যাধুনিক সিএসটি-২০০ বোয়িং স্টারলাইনারের স্পেস ক্যাপসুলে চেপে মহাকাশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল তাদের। কিন্তু উড়ানের লিফ্ট-অফের ঠিক ৯০ মিনিট আগে আগে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়, তার জেরেই অভিযান স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। 

    ২৪ ঘণ্টার জন্য অভিযান স্থগিদ 

    এরপর শুরু হয় মেরামতির কাজ। তবে শেষ পর্যন্ত ওই যানের মেরামতি সম্ভব হয়নি। তাই আপাতত ২৪ ঘণ্টার জন্য অভিযান পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় নাসা। তার পরই স্পেস ট্যাক্সি থেকে বেরিয়ে আসেন সুনীতারা (Sunita Williams)। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, রকেটের দ্বিতীয় পর্যায়ের একটি ভাল্‌‌ভ খারাপ হয়ে গেছে। সেই সমস্যা মেরামত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিযান বাতিল করতে হল। মঙ্গলবার রাতে ফের অভিযান শুরু হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে নয়া দিন ক্ষণের ঘোষণা হয়নি এখনও।   

    আরও পড়ুন:গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল প্রধানমন্ত্রী মোদি, ভোট দিলেন, সঙ্গে বার্তাও

    উল্লেখ্য, ব্যবসায়িক দিক থেকে ইলন মাস্কের স্পেস এক্স-কে পাল্লা দিতে নয়া এই স্পেস ক্যাপসুলটিতে করে সুনীতা (Sunita Williams) এবং ব্যারিকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (ISS) পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল নাসার। দুবছর আগে বোয়িং স্টারলাইনারের স্পেস ক্যাপসুলটির পরীক্ষামূলক উড়ান সম্পন্ন হয়। সেবার যদিও মানুষ পাঠানো হয়নি। তবে এবার তাতে মহাকাশচারীদের চাপিয়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা ভেস্তে গেল।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Astronaut Sunita Williams: সঙ্গে থাকছে গণেশের মূর্তি, ফের মহাকাশের পথে সুনীতা উইলিয়ামস

    Astronaut Sunita Williams: সঙ্গে থাকছে গণেশের মূর্তি, ফের মহাকাশের পথে সুনীতা উইলিয়ামস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫৮ বছর বয়সে ফের মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস। এ নিয়ে তৃতীয়বার মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছেন সুনীতা (Astronaut Sunita Williams)। জানা গিয়েছে, বোয়িংয়ের পরীক্ষামূলক অভিষেক অভিযানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে তাঁর যাত্রা শুরু হবে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) ৭ মে সকাল ৮টা ৪ মিনিটে। তাঁর এবারের যাত্রায় বোয়িংয়ের স্টারলাইনার মহাকাশযানে সঙ্গী হচ্ছেন বুচ উইলমোর। 

    সুনীতার (Astronaut Sunita Williams) সঙ্গে থাকবে গণেশের মূর্তি

    ক্রিউ ফ্লাইট টেস্ট নামে এই অভিযানটি নাসার তত্ত্বাবধানে হবে। অ্যাটলাস ফাইভ রকেটের মাথায় বসবে স্টারলাইনার ক্যাপসুলটি। ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে। এ প্রসঙ্গে নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলসন বলেন, বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশচারী নিয়ে স্পেস স্টেশনে পাড়ি দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এটা। আমরা এর সাফল্যের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছি। সম্প্রতি, একটি সাক্ষাৎকারে সুনীতা তাঁর ‘গুড লাক চার্ম’ বা সৌভাগ্যের প্রতীক সম্পর্কে খোলসা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, গণেশ তাঁর সবসময়ের সঙ্গী। তাই এই মিশনে তিনি গণেশের মূর্তি তিনি সঙ্গে নিয়ে যাবেন। এর আগে, সুনীতা ভাগবত গীতার কপি সঙ্গে নিয়ে মহাকাশে গিয়েছিলেন।

    তৃতীয়বার মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি

    আনুমানিক ১০ দিনের অভিযানে উইলিয়ামস (Astronaut Sunita Williams) এবং উইলমোর  স্টারলাইনারের প্রযুক্তি ব্যবস্থা এবং ক্ষমতা যাচাই করে দেখবেন। এই পরীক্ষার পরেই স্টারলাইনার মহাকাশ স্টেশনে মানুষ নিয়ে যেতে পারবে কিনা তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দুই নভশ্চর প্রায় এক সপ্তাহ কক্ষপথে থাকবেন। তারপর দক্ষিণ-পশ্চিম আমেরিকার কাছাকাছি পৃথিবীতে অবতরণ করবেন। তখন ক্রিউ ক্যাপসুলটি প্যারাশ্যুটের মতো নেমে আসবে, যেখানে সেফ ল্যান্ডিংয়ের জন্য এয়ারব্যাগও থাকবে।

    স্টারলাইনার মহাকাশযানটিতে সাতজন নভশ্চর চড়তে পারেন। এটি একটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান। যা সর্বোচ্চ ১০ বার যাতায়াতে সক্ষম। এর ব্যাস প্রায় ১৫ ফুট। এই অভিযান সফল হলে বোয়িং কোম্পানি স্পেস এক্সের ক্রিউ ড্রাগনের সমকক্ষ হবে। যারা নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভশ্চর পাঠায় ও ফেরত নিয়ে আসে। 

    আরও পড়ুন: দেশবাসীর মঙ্গলে পুজো, করলেন সন্ধ্যারতি, অযোধ্যায় রামলালা দর্শনে মোদি

    মহিলা হিসেবে স্পেসওয়াকের নজির

    নাসার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ৫৮ বছর বয়সি সুনীতা (Astronaut Sunita Williams) তাঁর জীবনে দু’বার মহাকাশ যাত্রায় ৩২২ দিন মহাকাশে কাটিয়েছেন। একই সঙ্গে একজন মহিলা মহাকাশচারী হয়ে সর্বাধিক মোট সাতবার একটানা স্পেস ওয়াক করেছেন বা মহাকাশে হেঁটে রেকর্ড করেছেন, যার সময়কাল ছিল ৫০ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। যদিও এবারের মহাকাশ পাড়ি প্রসঙ্গে খোদ সুনীতা বলেছেন, মহাকাশযান উড়লে তা নিরাপদ এবং আরামদায়ক হবে বলেই মনে হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dubai Flood: মরুদেশে বানভাসি রাস্তা! বিশ্বে পাল্টে যাওয়া আবহাওয়ার নয়া নজির নয় তো?

    Dubai Flood: মরুদেশে বানভাসি রাস্তা! বিশ্বে পাল্টে যাওয়া আবহাওয়ার নয়া নজির নয় তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ এপ্রিলের পর, ২ মে। ২ সপ্তাহে দ্বিতীয়বার। ফের প্লাবিত দুবাই (Dubai Flood)। মরু শহরে বন্যা অবাক করেছে সকলকে। শুষ্ক আবহাওয়ার দেশে বারবার বাঁধ ভাঙা বৃষ্টি কেন হচ্ছে? এর নেপথ্যে কি জলবায়ু পরিবর্তন? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে আবহাওয়াবিদদের মাথায়। পশ্চিম এশিয়ার অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গণ্য করা হয় দুবাইকে। কিন্তু আপাতত প্রবল বৃষ্টিতে নাজেহাল এই মরু শহর। জলমগ্ন গোটা দুবাই। কার্যত থমকে গিয়েছে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত শহর দুবাই।

    কেন বৃষ্টি দুবাইয়ে

    আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় এবার বেনজির পরিস্থিতি দুবাইয়ে (Dubai Flood)। প্রবল বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, বিমানবন্দর, এমনকি শপিং মলগুলিও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে বিঘ্ন ঘটেছে বিমান পরিষেবাতেও। বিমানের উড়ান এবং অবতরণ, বিঘ্নিত হয়েছে দুই ই। তেল সমৃদ্ধ আমিরশাহি একটি মরুদেশ। সেখানে বৃষ্টির দেখাই পাওয়া যায় ন। তাই আচমকা ভারী বৃষ্টি, বন্যা কেন হল প্রশ্ন উঠছে তাই নিয়ে। এর জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে আবহাওয়ার আচরণ খামখেয়ালি বলে দাবি করছেন আবহবিদরা। 

    ক্লাউড সিডিং

    শুষ্ক মরুঝড়ে অভ্যস্ত দুবাই (Dubai Flood) শহরের চেনা ছবিটা পুরোপুরি পাল্টে গিয়েছে। কার্যত শহরের আনাচকানাচও জলে ভেসে গিয়েছে।  শুষ্ক মরুশহরের নিকাশি ব্যবস্থা ততটাও জোরদার নয়। আর তার ফলই ভুগতে হয়েছে আমজনতাকে। গত ৭৫ বছরে এত বৃষ্টি দুবাইয়ে হয়নি। বরং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টিপাতের চল বা ক্লাউড সিডিং এখানে শুরু হয়েছিল সেই ২০০২ সাল থেকে। অনেকে এই বৃষ্টিপাত বারবার ক্লাউড সিডিং-এর ফল বলেও মনে করছেন। কিন্তু আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা এই যুক্তি মানতে নারাজ। ক্লাউড সিডিং হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে জলের ঘাটতি মেটাতে একটি উদ্বেগজনক পরিবেশে কৃত্রিম উপায় বৃষ্টিপাত ঘটানো হয়। বৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিকগুলি মেঘের মধ্যে বসানো হয়। 

    জলবায়ু পরিবর্তন

    ঠিক কোন কারণে এত কম সময়ের মধ্যে এতটা বৃষ্টিতে ভাসল রুক্ষ-শুষ্ক মরুভূমির এই দেশ? বিশ্ব উষ্ণায়নকেই দুষছেন পরিবেশবিদরা। দ্রুত পাল্টে যাওয়া বিশ্বের আবহাওয়ার নতুন নজির— মরুদেশের বানভাসি রাস্তা! সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে শুরু করে আরব উপদ্বীপের অন্য কোথাও এত বৃষ্টিপাত বিরল ঘটনা। গরমে এখানে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দুবাইয়ে (Dubai Flood) বিপুল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সে দেশের আবহবিদদের মতে, উপরের বায়ুমণ্ডলে একটি নিম্নচাপ ব্যবস্থা, ভূপৃষ্ঠে নিম্নচাপের সাথে মিলিতভাবে বায়ুতে চাপের মতো কাজ করেছে। স্থল স্তরে উষ্ণ তাপমাত্রা এবং উচ্চতর ঠান্ডা তাপমাত্রার মধ্যে বৈপরীত্যের কারণে এই চাপটি শক্তিশালী বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি করেছে। এর ফলেই নেমেছে বৃষ্টি। জলবায়ু উষ্ণ হওয়ার সাথে সাথে সারা বিশ্বে বৃষ্টিপাত অনেক বেশি হয়ে উঠছে কারণ একটি উষ্ণ বায়ুমণ্ডল আরও আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। তাই আবহবিদরা, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণ হিসেবে ক্লাউড সিডিং নয় জলবায়ু পরিবর্তনের কথাই বলছে।

    কী বলছেন গবেষকরা

    “ক্লাউড সিডিং কিছুই থেকে মেঘ তৈরি করতে পারে না। এটি ইতিমধ্যে আকাশে থাকা জলকে দ্রুত ঘনীভূত করতে এবং নির্দিষ্ট জায়গায় জল ফেলতে উত্সাহিত করে। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট, এনার্জি অ্যান্ড ডিজাস্টার সলিউশনের ডিরেক্টর মার্ক হাউডেন বলেছেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে দুবাইয়ের (Dubai Flood) আশেপাশের সমুদ্রগুলিতে উষ্ণ জল দেখা দিয়েছে। এর উপরে রয়েছে খুব উষ্ণ বাতাস। হাউডেনের কথায়, “এটি সম্ভাব্য বাষ্পীভবনের হার এবং সেই জল ধরে রাখার জন্য বায়ুমণ্ডলের ক্ষমতা উভয়ই বাড়িয়ে দেয়, যা আমরা দুবাইতে দেখেছি। এর ফলেই অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: হামিদা বানুর লড়াইকে কুর্নিশ গুগল ডুডুলের, চেনেন এই মহিয়সীকে?

    ২ মাসে ২ বার রেকর্ড বৃষ্টি

    গত মাসে, ১৭ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ওমানে একটি প্রবল ঝড় আঘাত হানে। যার জেরে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছিল দুবাইয়ে। প্লাবিত হয়েছিল দুবাইয়ের বিস্তীর্ন এলাকা। ওমানে বন্যায় কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছিল। এছাড়াও দুবাইয়ে সরকারি অফিস ও স্কুলগুলো কয়েকদিন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল। ফের লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে জলের তলায় দুবাই। ভারী বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন দুবাইয়ের রাস্তা। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির ফলে ফের জলমগ্ন হয়ে পড়ল দুবাই ও আবু ধাবির একাংশ। বজ্রপাত সহ ভারী বৃষ্টির জেরে নাজেহাল দুবাইয়ের জনজীবন। ভারী বৃষ্টির জেরে জলের তলায় বিমানবন্দর। জল জমেছে রানওয়েতেও, যার জেরে ব্যাহত বিমান পরিষেবা। দুবাইয়ের কোনও কোনও রাস্তায় হাটু পর্যন্ত জল। এছাড়াও বেশ কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টিরও পূর্বাভাস রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lawrence Bishnoi: নিজ্জর খুনে কানাডায় ধৃত ৩ শিখ, নেপথ্যে বিষ্ণোই গ্যাং?

    Lawrence Bishnoi: নিজ্জর খুনে কানাডায় ধৃত ৩ শিখ, নেপথ্যে বিষ্ণোই গ্যাং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে নয়া মোড়। তিনজনকে গ্রেফতার করল কানাডার পুলিশ। ধৃতদের নাম কমলপ্রীত সিং, করণপ্রীত সিং এবং করণ ব্রার। উল্লেখ্য যে, নিজ্জর নিজেও (Lawrence Bishnoi) শিখ সম্প্রদায়ের। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারাও শিখ। জানা গিয়েছে, ধৃতেরা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত। এনআইএ জানিয়েছে, লরেন্স বিষ্ণোই, গোল্ডি ব্রার ও আরও কিছু গ্যংস্টারের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের।

    বিষ্ণোই এবং ব্রারের যোগ! (Lawrence Bishnoi)

    খালিস্তানপন্থী আরও কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গেও যোগ রয়েছে বিষ্ণোই এবং ব্রারের। শিখ সম্প্রদায়ের তিনজন গ্রেফতার হওয়ায় এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, নিজ্জর খুন আসলে খালিস্তানপন্থীদের উপদলীয় কোন্দল। অথচ, নিজ্জর খুনে সংসদে দাঁড়িয়ে কোনও প্রমাণ ছাড়াই খোদ কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো বলেছিলেন, এই ঘটনায় ভারতের হাত রয়েছে। জানা গিয়েছে, তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের চিহ্নিত (Lawrence Bishnoi) করার পর তাঁদের ওপর কড়া নজর রাখছিলেন। শেষমেশ শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় তাদের। পুলিশ জানিয়েছে, হিট স্কোয়াডের এই সদস্যরা অন্তত তিনটি খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে এডমন্টন নামে বছর এগারোর এক বালকও রয়েছে। নির্জ্জর খুনে আদালতে ধৃতদের বিরুদ্ধে ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডার এবং ষড়যন্ত্রের চার্জ জমা দিয়েছে পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: হামিদা বানুর লড়াইকে কুর্নিশ গুগল ডুডুলের, চেনেন এই মহিয়সীকে?

    স্টুডেন্ট ভিসায় ধৃতেরা কানাডায় 

    ধৃতেরা তিনজনই ভারতীয় নাগরিক। ২০২১ সালে তারা কানাডায় গিয়েছিল। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার স্টুডেন্ট ভিসায় সে দেশে গিয়েছিল। যদিও কানাডায় পৌঁছে তারা আর কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়নি। সে দেশের স্থায়ী বাসিন্দাও হয়নি। গত বছর ১৮ জুন খুন হন নিজ্জর। গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান ছিলেন তিনি। ভারতে তিনি ছিলেন মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তানি জঙ্গি। কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের সারে এলাকায় খুন হন তিনি। এই ঘটনার তিন মাস পরে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন ট্রুডো। যার জেরে তলানিতে ঠেকে দুই দেশের সম্পর্ক। যদিও ভারত সরকার প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিল এই ঘটনায় নয়াদিল্লির কোনও হাত নেই। এর পাশাপাশি সে দেশে বেড়ে চলা ভারত-বিরোধী আন্দোলনে রাশ টানতেও কানাডা প্রশাসনকে বলেছিল ভারত (Lawrence Bishnoi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • POK: গিলগিট বালতিস্তানে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! খাদ থেকে বাস গড়িয়ে মৃত ২০, আহত ২১

    POK: গিলগিট বালতিস্তানে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! খাদ থেকে বাস গড়িয়ে মৃত ২০, আহত ২১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ দুর্ঘটনা পাকিস্তানে। গিলগিট বালতিস্তানের (Gilgit-Baltistan) ডায়মার জেলায় যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত হয়েছেন ২০ জন। আর দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১ জন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ কারাকোরাম হাইওয়ের যশোখাল এলাকায় (POK) এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? (POK)

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাসটি রাওয়ালপিন্ডি থেকে গিলগিটের দিকে যাচ্ছিল। চিলাস শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বাঁক নেওয়ার সময় ওভারস্পিডিং এর ফলে নিয়ন্ত্রণ হারায় বাসটি। ফলে সংকীর্ণ পাহাড়ি রাস্তায় আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় বাস। দুর্ঘটনার সময় কমপক্ষে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন বাসে। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উদ্ধারকারী দল। আপাতত আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিলাসের একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের মধ্যে দুজনকে গিলগিট শহরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

    অন্যদিকে মৃতদেহগুলিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেখানে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন নারীও রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ডা. নুরুল হক জানান, আহতদের হাসপাতালে আনা হচ্ছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি। 

    শোক প্রকাশ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর  

    বাস দুর্ঘটনায় (POK) নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরীফ। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন তিনি। অন্যদিকে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করেছেন।

    আরও পড়ুন: যেদেশে মেয়েরা ভোগের বস্তু! প্রতিবছর ২৫ জন কুমারী মেয়েকে বেছে নেন কিম

    এদিকে পাকিস্তানে (POK) সড়ক দুর্ঘটনা এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাফিক নিয়ম-কানুন সঠিকভাবে না মানা এবং রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে বলেই মনে করছেন অনেকে। কিন্তু লাগাতার দুর্ঘটনার পরেও টনক নড়েনি স্থানীয় প্রশাসনের। রাস্তা বা যান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কোনও উন্নতি হয়নি ওই এলাকায়। সেই উদাসীনতার বলি হলেন ২০ জন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • North Korea: যে দেশে মেয়েরা ভোগের বস্তু! প্রতি বছর ২৫ জন কুমারী মেয়েকে বেছে নেন কিম

    North Korea: যে দেশে মেয়েরা ভোগের বস্তু! প্রতি বছর ২৫ জন কুমারী মেয়েকে বেছে নেন কিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষিত কমিউনিস্ট দেশ উত্তর কোরিয়া। এখানে মেয়েরা ভোগের বস্তু! যেখানে ভারতে নারীকে মায়ের আসনে বসিয়ে পুজো করার রীতি রয়েছে সেখানে উত্তর কোরিয়া একনায়ক কিম জং উন নিজের যৌন তৃপ্তির জন্য মেয়েদের ব্যবহার করছে দিনের পর দিন। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া (North Korea) থেকে পালিয়ে আসা ইওনমি পার্ক নামে এক তরুণী কিম জং উন সম্পর্কে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, কিম জং উন যৌন তৃপ্তির জন্য প্রতিবছর প্রায় ২৫ জন কুমারী মেয়েকে বেছে নেন। উল্লেখ্য, এখানে মহিলাদের চেহারা, শরীরের গঠন ও পারিবারিক রাজনৈতিক অবস্থানের ভিত্তিতে বাছাই করা হয়।  

    কোন মেয়েদের টার্গেট করা হয়? (North Korea) 

    ইওনমি জানান যে, কিমের “প্লেজার স্কোয়াড” এর জন্য তাঁকে দুবার বাছাই করা হয়েছিল। কিন্তু তার পারিবারিক অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত তাকে আর নির্বাচিত করা হয়নি। জানা গেছে, কিম সেখানকার (North Korea) প্রতিটি স্কুল ও স্কুলের শ্রেণিকক্ষে থাকা প্রতিটি মেয়েকে দেখে তার মধ্যে থেকে সুন্দরী মেয়ে খুঁজে পেলে প্রথমেই তাঁর পারিবারিক অবস্থান ও দলের প্রতি আনুগত্যের বিষয়ে খোঁজ নেন। এক্ষেত্রে পরিবারের কেউ উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে গেলে কিংবা দক্ষিণ কোরিয়া বা অন্য কোন দেশে আত্মীয়-স্বজন আছে এমন মেয়েদেরকে প্লেজার স্কোয়াডে (Pleasure Squad) নেওয়া হয় না।  

    আরও পড়ুন: ফের অতি বৃষ্টিতে জলে ডুবল বিমানবন্দর! মরুদেশ দুবাইতে বাতিল বহু ফ্লাইট

    কুমারিত্বের পরীক্ষা 

    ইওনমি আরও দাবি করেন, মেয়েরা একবার নির্বাচিত হলে, তারা কুমারী কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। যদি পরীক্ষার ফলে কোনরকম ত্রুটি থাকে তবে সেই মেয়ে কিমের “প্লেজার স্কোয়াড” থেকে তৎক্ষণাৎ বাতিল হয়ে যায়। অবশেষে কঠোর পরীক্ষার পর উত্তর কোরিয়া (North Korea) জুড়ে শুধুমাত্র বাছাই করা কিছু মেয়েকেই পিয়ং ইয়ং এ পাঠানো হয়। যেখানে তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য কিমের যৌন সঙ্গিনী হওয়া। 

    পার্ক জানান, “প্লেজার স্কোয়াড” এ বাছাই হওয়ার পর মেয়েদের কিম (Kim Jong-un) ও তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে যৌনমিলনে বাধ্য করা হত। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল ওই পুরুষদের খুশি করা। মেয়েদের ইচ্ছের কোন তোয়াক্কা করা হত না। বিদ্রোহ করলে একটাই শাস্তি, কঠিন মৃত্যু।  

    কিমের সেবা করার জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় মেয়েদের নির্বাচন করা হলেও তাঁদের চোখে প্লেজার স্কোয়াডের দ্বিতীয় শ্রেণীর মেয়েদের নিম্নপদস্থ জেনারেল এবং রাজনীতিবিদদের সন্তুষ্ট করার জন্য নিয়োগ করা হত। মেয়েদের যখন কুড়ির ওপরে বয়স হয়ে যায়, তখন তাদের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় এবং তখন তারা প্রায়শই নেতাদের দেহরক্ষীর সাথে বিয়ে করে। 

    এই “প্লেজার স্কোয়াডের” উৎপত্তি হয়েছিল ১৯৭০ দশকে, কিম জং উনের (Kim Jong-un) বাবার সময়কালে। যিনি বিশ্বাস করতেন, “যৌন ঘনিষ্ঠতা তাঁকে অমরত্ব দেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share