Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • UAE weather: ফের অতি বৃষ্টিতে জলে ডুবল বিমানবন্দর! মরুদেশ দুবাইতে বাতিল বহু ফ্লাইট

    UAE weather: ফের অতি বৃষ্টিতে জলে ডুবল বিমানবন্দর! মরুদেশ দুবাইতে বাতিল বহু ফ্লাইট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারী বৃষ্টিতে বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনার দুই সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই আবারও সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে (UAE) ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাত (UAE weather) হলো। টানা বৃষ্টিতে বৃহস্পতিবার অনেক আন্তর্জাতিক বিমান বাতিল (Flights cancelled in Dubai) করা হয়েছে। অতিবৃষ্টির জেরে ভেসে যাচ্ছে একের পর এক শহর। বন্যার তোড়ে রাস্তা ডুবে গিয়েছে। ফলে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর দুবাইতে বাতিল হল বহু বিমান। জানা গেছে প্রায় ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া মাঝপথ থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি বিমান। 

    বাড়িতেই থাকার অনুরোধ প্রশাসনের

    ইতিমধ্যেই অরেঞ্জ এলার্ট জারি (UAE weather) হয়েছে একাধিক এলাকায়। ফলে দুবাই (Dubai) ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির অন্যান্য শহরগুলিতেও বাসিন্দাদের নিজেদের বাড়িতেই থাকার অনুরোধ করেছে প্রশাসন। এই আবহে ওয়ার্ক ফ্রম হোম নীতি গ্রহণ করেছে বহু সংস্থা। স্কুলগুলি অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে। 

    তৈরি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (UAE weather) 

    জানা গেছে বুধবার ভোররাত থেকেই বজ্রবিদ্যুৎসহ তুমুল বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ফলে একটানা ঝড় বৃষ্টির (UAE weather) প্রভাবে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। তবে সরকার জানিয়েছেন যে কোন রকমের জরুরি অবস্থার মোকাবিলার জন্য তৈরি আছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এছাড়াও সবসময় দেশের (Dubai) পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে দুবাই পুলিশ ও ন্যাশনাল সেন্টার অফ মেটিওরোলজির (NCM) টিম। 

    আরও পড়ুন: ভোটবঙ্গে ফের শহরে প্রধান নরেন্দ্র মোদি! রাত্রিবাস রাজভবনে

    মরু দেশে হঠাৎ কেন এত বৃষ্টিপাত? 

    দেশের আবহাওয়া বিভাগ বলছে, গত ৭৫ বছরে এত পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়নি। শুষ্ক জলবায়ু ও গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহের জন্য পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সহ উপসাগরীয় দেশগুলি। তবে সেই মরুদেশেই দেখা দিয়েছে বন্যা। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, মরু দেশে (Dubai) হঠাৎ কেন এত বৃষ্টিপাত? এর জন্য ‘ক্লাউড সিডিং’ কে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যদিও এ দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আবহাওয়া বিভাগ দাবি করেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের (UAE weather) কারণে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের (Flights cancelled in Dubai) মধ্যে পড়েছে দুবাই।

    প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৬ ও ১৭ এপ্রিল রেকর্ড ভাঙা ভারী বৃষ্টিপাতে তলিয়ে যায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE)। যেখানে মরু দেশটিতে এক বছরের গড় বৃষ্টিপাত হয় ৯৪ মিলিমিটার, সেখানে দুদিনে বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৫৯ দশমিক ৫ মিলিমিটার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India Pakistan Relation: ভারতীয়র হৃদযন্ত্রে পাক তরুণীর প্রাণরক্ষা, তা নিয়ে হিন্দু-বিরোধী মন্তব্য সেদেশের মৌলবীর

    India Pakistan Relation: ভারতীয়র হৃদযন্ত্রে পাক তরুণীর প্রাণরক্ষা, তা নিয়ে হিন্দু-বিরোধী মন্তব্য সেদেশের মৌলবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত জানুয়ারি মাসে এক পাকিস্তানি তরুণীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল ভারতীয় ব্যক্তির হৃদযন্ত্র। চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসকরা সফলভাবে ওই তরুণীর শরীরে হৃদযন্ত্র বসাতে সক্ষম হন। যার ফলে, নতুন জীবন লাভ করেন ওই পাক তরুণী। এমনকী, অস্ত্রোপচার খরচসাপেক্ষ হলেও, তা মকুব করে দেওয়া হয়। আর সেই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিদ্বেষমূলক ও হিন্দু-বিরোধী মন্তব্য করে বসলেন প্রতিবেশী দেশের এক মৌলবী (Pakistani Imam)।

    পাকিস্তানি ধর্মগুরুর ধর্মীয় সুড়সুড়ি…

    এমনিতেই ভারত-পাক দুই দেশের সম্পর্ক (India Pakistan Relation) তলানিতে। সেই পরিবেশের মধ্যেও এই ঘটনা যখন চারদিকে প্রশংসিত হচ্ছে, ঠিক তখনই এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে গিয়ে ধর্মীয় সুড়সুড়ি দেওয়ার কথা বললেন পাকিস্তানি ধর্মগুরু (Pakistani Imam)। ওই পাক ইমামের মতে, দাতা হিন্দু (ইমামের কথায় ‘বিধর্মী’) হওয়ায় কোনও পুণ্যলাভ হবে না ওই ব্যক্তির। তাঁর এই কাজ গৃহীত হবে না। কারণ, পাক ইমামের মতে, পুণ্য অর্জন করতে হলে নাকি মুসলিম হয়ে মরতে হয়। ইমামের ভাবখানা এমন যেন মেয়েটি হৃদযন্ত্র গ্রহণ করে দয়া করেছে। তাঁর মতে, মেয়েটি সাহসী। এর কারণ হিসেবে ইমাম জানান, এতদিন ওই হৃদপিণ্ড হিন্দু দেহে থাকায় ঈশ্বরের কাছে ঝুঁকত। এবার ওই মেয়েটির জন্য হিন্দু হৃদপিণ্ড আল্লার সামনে ঝুঁকবে।

    এগোচ্ছে ভারত, পিছোচ্ছে পাকিস্তান

    পাক ইমামের (Pakistani Imam) এই মন্তব্য সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও, সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। তবে, নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েন ওই পাক ইমাম। ইমামের বক্তব্যের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এক শ্রেণি পাকিস্তানিদের ভারত-বিদ্বেষ (India Pakistan Relation)। ইমাম মোয়াজ্জেম কিংবা পাক জনগণের একটা বড় অংশ ভারত এবং ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্ম সম্পর্কে কী মত পোষণ করেন তা তাঁদের ভাষাতেই বহিঃপ্রকাশ পায়। আজ ভারত একদিকে যেখানে উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে, সেখানে অন্ধ ভারত-বিরোধিতা ও ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণে ক্রমশ পিছিয়ে যেতে যেতে কার্যত দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। 

    কী হয়েছিল পাক তরুণীর

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রথম বার ভারতে এসেছিলেন পাক তরুণী আয়েশা রেশান। সেই সময় একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তাঁর। পাঁচ বছর ধরে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন ১৯ বছর বয়সি আয়েশা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখ চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে তাঁর শরীরে ৬৯ বছর বয়সি এক ব্রেন ডেথ রোগীর হার্ট বসানো হয় (India Pakistan Relation)। ওই রোগীর দেহ দিল্লি থেকে উড়িয়ে চেন্নাই নিয়ে আসা হয়েছিল।

    তরুণীর পরিবার কী বলছে

    আয়েশার মা সনোবর রেশান তাঁর মেয়েকে কার্যত জীবনদান দেওয়ার জন্য ভারতীয় চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “নিজের মেয়েকে একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে দেখতে বড় কষ্ট হচ্ছিল। খুব কষ্ট পাচ্ছিল ও। ওর এই অবস্থা আমরা খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম। আমরা ভারতীয় চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হই। আমার মেয়ে এখন সুস্থ। আমাদের বিল মেটাবার খুব বেশি সক্ষমতা ছিল না। তবুও চিকিৎসকরা আমাদের ভারতে আসতে বলেন এবং তারা চিকিৎসা করে আমার মেয়েকে বাঁচিয়ে তুলেছেন।” জানা গিয়েছে, এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) সিন্ধু প্রদেশের বাসিন্দা ওই তরুণী। ভালোভাবে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারছেন ওই ছাত্রী। বর্তমানে করাচিতে পড়াশোনা চালাচ্ছেন ওই তরুণী। ভবিষ্যতে আয়েশা একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চান। 

    উদার মনের পরিচয় ভারতীয় চিকিৎসকদের

    অঙ্গদানের ক্ষেত্রে ভারতে অনেক নিয়ম কানুন আছে। কিন্তু পাকিস্তানি তরুণীর ভারতীয় চিকিৎসকরা অনেক উদার মনের পরিচয় দিয়েছেন। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অঙ্গদানের প্রক্রিয়া সহ ওই পরিবারের চিকিৎসার খরচ মকুব করে দেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হার্ট ট্রান্সপ্লান্টের (Heart Transplant Cost) ক্ষেত্রে ৩৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। চিকিৎসার আয়েশার চিকিৎসার বিপুল খরচ বহন করেছিল ভারতীয় (India Pakistan Relation) একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চেন্নাইয়ের চিকিৎসক এবং রোগীরা মিলে তৈরি করেছেন। 

    ভারত ও পাকিস্তানের তফাত কোথায়

    অথচ, ইমাম (Pakistani Imam) যে বক্তব্য রাখলেন তাতে পরবর্তীতে কোন পাকিস্তানি রোগী ভারতে (India vs Pakistan) সাহায্যপ্রার্থী হলে চিকিৎসকরা সে বিষয়ে নতুন করে ভাববেন। যদিও ভারত “বসুধৈব কুটুম্বকম” তত্ত্বে বিশ্বাসী। যে কারণে, শত বৈরিতা সত্ত্বেও, পাক তরুণীর জন্য হৃদয় উজাড় করে দিয়েছে ভারত। সেখানে, শুধু ঘৃণা আর বিদ্বেষ নিয়েই বেঁচে রয়েছে প্রতিবেশী। আর এখানেই তফাত ভারত ও পাকিস্তানের (India Pakistan Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Lanka: চিনের তৈরি হাম্বানটোটা বিমানবন্দরের রাশ ভারত-রুশ সংস্থার হাতে, বোধোদয় শ্রীলঙ্কার!

    Sri Lanka: চিনের তৈরি হাম্বানটোটা বিমানবন্দরের রাশ ভারত-রুশ সংস্থার হাতে, বোধোদয় শ্রীলঙ্কার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলাচ্ছে সমীকরণ। চিনের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে ক্রমেই নয়াদিল্লির কাছাকাছি আসতে চাইছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। এই শ্রীলঙ্কায়ই দেশের বৃহত্তম হাম্বানটোটা বিমানবন্দর (Hambantota Airport) গড়ে উঠেছিল চিনের সহায়তায়। বেজিংয়ের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পেই গড়া হয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রের এই দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরেরই রাশ এবার যৌথভাবে হাতে নিতে চলেছে ভারত ও রাশিয়ার দুই সংস্থা।

    ড্রাগনের দেশকে বার্তা! (Sri Lanka)

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, কলম্বো (শ্রীলঙ্কার রাজধানী) যে ক্রমেই নয়াদিল্লির দিকে ঝুঁকছে, ড্রাগনের দেশকে সেই বার্তা দিতেই বিমানবন্দরটির (Hambantota Airport) পরিচালনার রাশ তুলে দেওয়া হল ভারত ও রাশিয়ার দুই কোম্পানির হাতে। সম্প্রতি এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) মন্ত্রিসভা। জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরটি যৌথভাবে পরিচালনা করবে শৌর্য অ্যারোনটিক্স প্রাইভেট লিমিটেড (ভারত) এবং এয়ারপোর্টস অফ রিজিয়নস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি অফ রাশিয়া। এই দুই সংস্থাই বিমানবন্দরটি পরিচালনা করবে আগামী তিরিশ বছর।

    হাম্বানটোটা বিমানবন্দর

    প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে উদ্বোধন হয় হাম্বানটোটা বিমানবন্দরের (Hambantota Airport)। এই বিমানবন্দর নির্মাণের সিংহভাগ খরচ দিয়েছে চিন। বিমানবন্দরটির নামকরণ করা হয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের নামে। বিমানবন্দরটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে (Sri Lanka) চড়া সুদে শ্রীলঙ্কাকে ১৬ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল ড্রাগনের দেশের এক ব্যাঙ্ক। সেই ঋণ শোধ করতে গিয়েই বিপাকে পড়ে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রশাসন। ২০১৬ সাল থেকেই বিমানবন্দরটি দেখভালের জন্য বাণিজ্যিক সঙ্গী খুঁজছিল শ্রীলঙ্কা। কারণ উদ্বোধনের পর থেকে এ পর্যন্ত একবারও লাভের মুখ দেখেনি বিমানবন্দরটি। বরং যত দিন গিয়েছে, ততই সব চেয়ে ফাঁকা বিমানবন্দরের তকমা পেয়েছে শ্রীলঙ্কার এই বিমানবন্দরটি। শেষমেশ ভারত ও রাশিয়ার দুই সংস্থা যৌথভাবে দায়িত্ব নিল বিমানবন্দরটি পরিচালনার।

    বিমানবন্দরের বেহাল দশা

    জানা গিয়েছে, এখান থেকে প্রাপ্ত অর্থই পরিশোধ করা হবে চিনের ব্যাঙ্ককে। বিমানবন্দরটির পরিচালনার ভার নিতে চেয়ে আবেদন করেছিল পাঁচটি কোম্পানি। তাদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে দুটিকে। শ্রীলঙ্কার সরকারি মুখপাত্র বন্দুলা গুণবর্ধন বলেন, “ভারতীয় সংস্থাটির নাম শৌর্য অ্যারোনেটিক্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং রাশিয়ান সংস্থাটির নাম এয়ারপোর্টস অফ রিজিয়নস ম্যানেজমেন্ট।” উদ্বোধনের প্রায় পর থেকেই ক্ষতির মুখে পড়ে রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের হাম্বানটোটা বিমানবন্দর (Hambantota Airport)। প্রথম দিকে অবশ্য ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামা করত। সংখ্যায় কম হলেও, সচল ছিল বিমানবন্দর। পরে ধীরে ধীরে কমতে থাকে বিমান ওঠানামা। এক সময় বন্ধই হয়ে যায়। ধু ধু প্রান্তরে পরিণত হয় সাজানো গোছানো আস্ত বিমানবন্দর।

    আরও পড়ুুন: “উল্টে ঝুলিয়ে এমন শাস্তি দিতাম, দাঙ্গার কথা ভাবতে পারত না”, কড়া বার্তা যোগীর

    চিনা ঋণের ফাঁদ

    জানা গিয়েছে, একের পর এক দেশকে ঋণ দিয়ে ফাঁদে ফেলছে চিন। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে চিন ঋণ দিয়েছে সব মিলিয়ে ১৬৫টি দেশকে। মার্কিন ডলারের অঙ্কে এর পরিমাণ হল ১.৩৮ ট্রিলিয়ন। চিনের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ নিয়েছে রাশিয়া। দেনার পরিমাণ ১৭০ বিলিয়ন ডলার। এর পরেই রয়েছে ভেনেজুয়েলা। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তান। ঋণের পরিমাণ প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার। পশ্চিমের দেশগুলির অভিযোগ, চিনা ঋণের ফাঁদ আসলে মৃত্যু ফাঁদ।

    আরও পড়ুুন: “মাতৃশক্তির বিষয়ে বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট”, প্রোজ্জ্বলকাণ্ডে বললেন শাহ

    চাইলেই আর্থিকভাবে দুর্বল দেশগুলিকে চড়া সুদে ঋণ দেয় বেজিং। দেনা মেটাতে না পেরে যখন ভেঙে পড়ে ঋণগ্রস্ত দেশগুলির অর্থনীতির কোমর, তখনই হাত গুটিয়ে নেয় চিন। উপায়ান্তর না দেখে ড্রাগনের দেশের কাছে সারেন্ডার করে ঋণগ্রস্ত দেশগুলি। এভাবেই একের পর এক দেশের চালিকা শক্তি হয়ে উঠেছে চিন। দ্বীপরাষ্ট্রের জলবন্দর হাম্বানটোটার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে চিন (Sri Lanka)। সেখান থেকে এই বিমানবন্দরের (Hambantota Airport) দূরত্ব খুব বেশি নয়। সেদিক থেকে দেখলে, ড্রাগনের দেশের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করল ভারত ও রাশিয়া।

    বিমানবন্দরটির হাল ফেরে কিনা, এখন তা-ই দেখার (Sri Lanka)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Pakistan Leader: ‘‘ভারত সুপারপাওয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে, আমরা ভিক্ষা করছি’’! উষ্মা পাক বিরোধী নেতার

    Pakistan Leader: ‘‘ভারত সুপারপাওয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে, আমরা ভিক্ষা করছি’’! উষ্মা পাক বিরোধী নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে রাজনৈতিক তর্কাতর্কির মাঝে ফের একবার উঠে এল মোদি জমানার বিকশিত ভারতের উদাহরণ (Pakistan leader)। সে দেশের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে সম্প্রতি বেশ খানিকক্ষণ বক্তব্য রাখেন জমিয়তে-উলেমা-ই-ফজল এর প্রধান মওলানা ফজলুর রহমান (Pakistan leader)। পাকিস্তানের রাজনীতিতে কট্টরপন্থী বলে পরিচিত এই নেতা শাহবাজ সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের তুলনা করে দেখুন। আজ ওরা (ভারত) সুপার পাওয়ার (বড় শক্তি) হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। আর আমরা দেউলিয়া হওয়া থেকে বাঁচতে ভিক্ষা করছি।”

    অর্থনৈতিক সংকট পাকিস্তানে

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই অর্থনৈতিক সংকট দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানে। সম্প্রতি সে দেশের এই নেতার (Pakistan leader) বক্তব্য পাকিস্তানের দেউলিয়া অবস্থাকে ফের একবার বিশ্বের সামনে তুলে ধরল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ওই নেতার বক্তব্যেই পরিষ্কার ভারতকে সুপার পাওয়ার মানছে পাকিস্তান। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, পাকিস্তানের রাজনীতিতে ফজলুরের বিরোধী বলেই পরিচিত ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই দলকে অকুণ্ঠ ভাষায় সমর্থনও করেন ওই নেতা। প্রসঙ্গত ইমরান খান যখন প্রধানমন্ত্রীত্ব হারান তখন তিনি যে সমস্ত ব্যক্তিদের তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার কথা বলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ফজলুরও।

    ইমরানের প্রশংসা একদা তাঁরই বিরোধী নেতার গলায়

    ফজলুরের ভাষণে সে দেশের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগও উঠে এসেছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে জেল বন্দি রয়েছেন ইমরান খান এবং তাঁর দলকে সভা সমাবেশ করার অনুমতিও (Pakistan leader) দেয়নি পাকিস্তানের সরকার। এ নিয়েও সে দেশের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফজলুর। নির্বাচনের কারচুপি নিয়ে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘২০১৮ নির্বাচন নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে তবে ২০২৪ সালে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না কেন!’’ গণতন্ত্রের কথা বলতে গিয়ে ফজলুর পাকিস্তানের শাসক জোটকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, “ক্ষমতা ছেড়ে দিন। বিরোধী বেঞ্চে এসে বসুন। যদি পিটিআই একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়, তবে তাদের সরকার গড়তে দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Missile Attack: রাশিয়া থেকে ভারতে আসা তেল ট্যাঙ্কারে ক্ষেপণাস্ত্র হানা হুথি জঙ্গিদের 

    Missile Attack: রাশিয়া থেকে ভারতে আসা তেল ট্যাঙ্কারে ক্ষেপণাস্ত্র হানা হুথি জঙ্গিদের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোহিত সাগরে (Red Sea) ফের তান্ডব চালাল ইয়েমেনের হুথি জঙ্গিরা। তাদের ছোঁড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (Missile Attack) শুক্রবার লোহিত সাগরের একটি তেলের ট্যাঙ্কারে আঘাত করেছে। যেটি রাশিয়া থেকে ভারতে আসছিল। ক্ষেপণাস্ত্র হানায় তেল ট্যাঙ্কারটিতে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওই জাহাজটি ব্রিটেনে তৈরি। ব্রিটেনেরই মালিকানা ছিল ওই জাহাজের উপর। তবে সম্প্রতি তা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

    কীভাবে হামলা

    গাজায় যুদ্ধের সময় ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রচার চালায় ইয়েমেনের হুথি জঙ্গিরা ৷ সেই প্রচারের পরে সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক হামলা (Missile Attack) চালাচ্ছে তারা ৷ লোহিত সাগর এলাকায় গত কয়েক মাস ধরে তাদের আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য জাহাজগুলিকে। হুথিদের বক্তব্য, ইজরায়েল এবং তার সঙ্গী আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কযুক্ত যে কোনও জাহাজই লোহিত সাগর, এডেন উপসাগরের মতো এলাকায় তাদের টার্গেট। প্রাইভেট সিকিউরিটি ফার্ম অ্যামব্রে বলেছে, এদিন ব্রিটেনে তৈরি রাশিয়ার ওই জাহাজের ওপর তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয় ৷ ক্ষেপণাস্ত্রগুলি পানামা-পতাকাবাহী সেশেলস-রেজিস্টার ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে মোচা থেকে হামলা চালিয়েছে। ব্রিটিশ সমুদ্র নিরাপত্তা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ওই তেলবাহী জাহাজের মালিক পূর্ব আফ্রিকার দেশ সেশেলস। জাহাজটি তেল পরিবহণের কাজে ব্যবহার করছিল রাশিয়া। সেখান থেকেই লোহিত সাগর হয়ে গুজরাটের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল। গন্তব্য ছিল গুজরাটের বন্দর শহর ভাডিনার।

    আরও পড়ুুন: দীর্ঘদিন ধরে চলে ফাঁদ পাতার কাজ! হিন্দু মহিলাদের কীভাবে টার্গেট করছে জেহাদিরা?

    কেন হামলা

    গত নভেম্বর থেকে হুথিদের আক্রমণের (Missile Attack) ভয়ে লোহিত সাগর এলাকায় আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। ভয়ে নাবিকেরা বিকল্প রাস্তা খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন। অভিযোগ, যে কোনও পণ্যবাহী জাহাজের দিকেই ধেয়ে আসছে ক্ষেপণাস্ত্র। নির্বিচারে চলছে আক্রমণ। শনিবার ভারতগামী জাহাজও সেই আক্রমণের শিকার হল। ইউএস মেরিটাইম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুযায়ী, নভেম্বর থেকে হুথিরা ৫০টিরও বেশি জাহাজের উপর হামলা চালিয়েছে ৷ একটি জাহাজ আটক করেছে এবং অন্য একটিকে ডুবিয়েছে। হুথিরা বলেছে যে, গাজায় ইজরায়েলের যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের হামলা চালিয়ে যাবে ৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-US Relation: ‘‘ভারতীয় না হলে আমেরিকায় সিইও হতে পারবেন না’’, কেন এ কথা বললেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত?

    India-US Relation: ‘‘ভারতীয় না হলে আমেরিকায় সিইও হতে পারবেন না’’, কেন এ কথা বললেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগে ভারতীয় হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিইও হওয়া যেত না, এখন ভারতীয় না হলে আমেরিকাতে (India-US Relation) সিইও হওয়া যায় না। মজার ছলে এমনই দাবি করলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। নিজেদের মেধা ও কর্ম দক্ষতার জোরে আজ ভারত এই জায়গায় পৌঁছেছে বলে জানান গারসেটি। ভারতীয় অভিবাসীরা আমেরিকার অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে বলে জানান গারসেটি। 

    কী বললেন গারসেটি

    মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি বলেন, ভারতীয় অভিবাসীরা আমেরিকান ব্যবসায়িক বাস্তুতন্ত্রের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। আমেরিকায় (India-US Relation) প্রতিটি ভাল ৫০০ কোম্পানির ১০টির মধ্যে একটির সিইও এখন ভারতীয়। তা সে মাইক্রোসফট হোক বা গুগল বা স্টারবাকস। গুগলের সুন্দর পিচাই, মাইক্রেসফটের সত্য নাদেলার কথা উল্লেখ করে গারসেটি বলেন, প্রযুক্তিগত ও গুণগত দিক দিয়ে দুই দেশ একে অপরকে সাহায্য করছে। আমেরিকার কাছে তাই ভারতের গুরুত্ব অনেক বেশি, জানালেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মতে, আমেরিকাতে বহু ভারতীয়র বসবাস। তারা প্রতিদিনই আমেরিকার উন্নতিতে কাজ করছে। পাশাপাশি ভারতের বাজারেও বহু মার্কিন নাগরিক তাদের দায়িত্ব পালন করছে। ভারতে বিনিয়োগ করতে পেরে খুশি মার্কিন পুঁজিপতিরা। ভারতের বাজারে বিনিয়োগ করে তারাও লাভের মুখ দেখেছেন। 

    আরও পড়ুুন: দীর্ঘদিন ধরে চলে ফাঁদ পাতার কাজ! হিন্দু মহিলাদের কীভাবে টার্গেট করছে জেহাদিরা?

    ভারতীয় ছাত্ররা আমেরিকারও সন্তান

    পার্ডিউ ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়া, ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়া, কর্নেল ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অফ লস-এর মতো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচিত একদল ভারতীয় ছাত্রের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে এখানে ‘আমেরিকান সেন্টার’-এ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনেক শিক্ষার্থীও অনলাইনে এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়। গারসেটি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংক্ষিপ্তভাবে কথা বলেন। সেখানেই তিনি নানা বিষয়ে মত দেন। প্রচুর সংখ্যক ভারতীয় ছাত্র আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। কিন্তু সম্প্রতি আমেরিকায় (India-US Relation) কিছু ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা তাতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি এ প্রসঙ্গে ভারতীয় ছাত্রদের আশ্বস্ত করে বলেন যে ‘আমেরিকা একটি নিরাপদ দেশ এবং ভারতীয় ছাত্রদের প্রতি গভীরভাবে যত্নশীল’। পাশাপাশি তিনি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের আশ্বস্ত করেছেন যে ‘আপনাদের সন্তানরা যখন আমেরিকায় থাকে তখন তারা আমাদের সন্তান।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Pakistan Economy: পাকিস্তানে গাড়ি বিক্রির অবস্থা বেহাল! পাততাড়ি গোটাচ্ছে বহু সংস্থা

    Pakistan Economy: পাকিস্তানে গাড়ি বিক্রির অবস্থা বেহাল! পাততাড়ি গোটাচ্ছে বহু সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে চরম অর্থনৈতিক মন্দা। আইএমএফের গ্রে  লিস্ট থেকে সাময়িক স্বস্তি পেলেও অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব পড়েছে গাড়ি শিল্পে। হু হু করে কমছে পাকিস্তানের (Pakistan) গাড়ি বিক্রি। পাকিস্তানের গাড়ি বিক্রির পরিমান এতটাই কমে গেছে যে সে দেশে সারা মাসে যত গাড়ি বিক্রি হয়, ভারতে (India) তা বিক্রি হয় মাত্র কয়েক ঘণ্টায়। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে পাকিস্তানের (Pakistan Economy) কী হাল।

    পাকিস্তান অটোমেটিভ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য (Pakistan Economy)

    ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে গোটা পাকিস্তানে (Pakistan Economy) গাড়ি বিক্রি মাত্র ২৮৪৪টি। এই সংখ্যা ভারতের যে কোন মেট্রো শহরের ঝাঁ চকচকে একটি মাত্র  শোরুমের এক মাসের বিক্রির সমান। যদিও ২০২৩ সালের শেষে হতাশাজনক এই পারফরম্যান্স কাটিয়ে উঠে পাকিস্তানে ২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত গাড়ি বিক্রির সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেশী দেশে যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রির সংখ্যা ছিল ৫ হাজারের নীচে। চলতি বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬৭২ ইউনিট। পাকিস্তান অটোমেটিভ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

    ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি

    একদিকে চরম অর্থনৈতিক সংকট পাকিস্থানে (Pakistan Economy) । অন্য দিকে মুদ্রাস্ফীতি। পাকিস্তান এখন চারিদিক থেকে কোনঠাসা। নেতারা এদেশ ওদেশ করছেন বেলআউট প্যাকেজের জ্জন্য। খাবার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। ক্রয় ক্ষমতা কমে যাচ্ছে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের।

    আরও পড়ুন: আগ্নেয়াস্ত্র, বিষ্ফোরক উদ্ধারে নামানো হল রোবট, এনএসজি কমান্ডো, আরও চাপে শাহজাহান

    বন্ধ হচ্ছে করাচির গাড়ি শো-রুম

    সারা বিশ্বের মানুষ যখন ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে তখন পাকিস্তানের (Pakistan Economy) ক্রেতারাও এই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের অবস্থা নতুন করে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (SIAM) দ্বারা প্রকাশিত এক তথ্য অনুসারে দেখা গেছে  শেষ আর্থিক বছরে দেশে ৩ লক্ষ ৬৯ হাজারেরও বেশি গাড়ি বিক্রি হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজারটিরও বেশি গাড়ি বিক্রি হয়েছে ভারতে। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মোটর গাড়ি প্রস্তুতকারকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু পাকিস্তানে তাঁরা কোন আশা দেখছে না। ইদানিংকালে পরিস্থিতির উন্নতি না করতে পেরে বেশ কয়েকটি গাড়ি নির্মাতারা ইতিমধ্যেই তাদের পাততাড়ি গোটাতে শুরু করে দিয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে দেশের করাচি, পেশাওয়ার, ইসলামাবাদের মত শহরে অনেক গাড়ির শোরুম ও সার্ভিস সেন্টার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siachen Glacier: সিয়াচেনের কাছে পাক-অধিকৃত ভূখণ্ডে সড়ক-সুড়ঙ্গ নির্মাণ করছে চিন, উদ্বিগ্ন ভারত

    Siachen Glacier: সিয়াচেনের কাছে পাক-অধিকৃত ভূখণ্ডে সড়ক-সুড়ঙ্গ নির্মাণ করছে চিন, উদ্বিগ্ন ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রকাশ্যে এল সিয়াচেনের (Siachen Glacier) পাক-অধিকৃত অংশে সড়ক ও সুড়ঙ্গ নির্মাণের চিনা সেনার কর্মকাণ্ড। সম্প্রতি পাওয়া উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, পাক অধিকৃত ভারতীয় ভূখণ্ড শাকসগাম এলাকায় কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে চিনা লিবারেশেন আর্মি। কয়েক বছর আগেও উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছিল, প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ তীরজুড়ে সেতু নির্মাণে তৎপর চিনা ফৌজ।

    লাল ফৌজের তৎপরতা (Siachen Glacier)

    পরে অন্য একটি উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছিল, এলএলসি লাগোয়া আকসাই চিন এলাকায় স্থায়ী বাঙ্কার ও বড় সুড়ঙ্গ তৈরি করছে লাল ফৌজ। ভবিষ্যতে সংঘাতের পরিস্থিতির মোকাবিলা করতেই ড্রাগনের দেশের এই পদক্ষেপ বলে ধারণা ভারতের। ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে সেনার পাশাপাশি অস্ত্রশস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ রসদ মজুত রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে বলেই ধরা পড়েছিল গত বছর তোলা উপগ্রহ চিত্রেও। ১৯৪৮ সালে জম্মু-কাশ্মীরের শাকসগাম এলাকা (Siachen Glacier) দখল করেছিল পাক সেনা।

    বেল্ট অ্যান্ড রোড’ কর্মসূচি

    ছয়ের দশকে সিয়াচেন হিমবাহের পূর্ব প্রান্তের ওই এলাকা চিনের হাতে তুলে দিয়েছিল পাকিস্তান। সেখানেই নতুন রাস্তা ও সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে বেজিং। পশ্চিম চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় থেকে দক্ষিণ পাকিস্তানের গ্বদর বন্দর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে কারাকোরাম হাইওয়ে। এটি গিয়েছে শাকসগাম উপত্যকার অদূরে। ১৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ চিন-পাকিস্তান এই অর্থনৈতিক করিডর চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ কর্মসূচির অঙ্গ। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দ্রুত সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম পরিবহনের লক্ষ্যেই শাকসগাম থেকে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর সংযোগকারী রাস্তা তৈরি করছে বেজিং। ভারতের উদ্বেগের কারণ এটাই।

    আরও পড়ুুন: ইভিএমের সঙ্গে ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট যাচাইয়ের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    ভারতীয় সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাকেশ শর্মা বলেন, “এই রাস্তাটি (চিন যে নয়া রাস্তা তৈরি করছে) অবৈধ। ভারত অবশ্যই এ ব্যাপারে কূটনৈতিকভাবে প্রতিবাদ জানাবে।” এক্স হ্যান্ডেলে ইন্দো-টিবেটিয়ান ফ্রন্টিয়ার অবজার্ভার লিখেছেন, “গুরুত্বপূর্ণ ডেভেলপমেন্ট হল চিনের নয়া রাস্তা আগলি পাশ পর্যন্ত চলে এসেছে। কাশ্মীরের লোয়ার সাকসগাম উপত্যকায় পৌঁছে গিয়েছে। সড়কপথে সিয়াচেন থেকে  এখানকার দূরত্ব ৩০ মাইলেরও কম।” কিছুদিন আগেই ভারতের অরুণাচল প্রদেশের একাধিক জায়গার নাম বদলে দিয়ে খবরের শিরোনামে চলে এসেছিল চিন। সেবারও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ভারত। এবার তারা রাস্তা করছে পাক অধিকৃত ভারত ভূখণ্ডে।

    সীমান্তে উত্তেজনা জিইয়ে রাখাই কি একমাত্র কাজ শি জিনপিংয়ের দেশের (Siachen Glacier)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Russia Ukraine war: মহাকাশে পারমাণবিক যুদ্ধ? রাশিয়াকে ঠেকাতে রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন প্রস্তাব খারিজ

    Russia Ukraine war: মহাকাশে পারমাণবিক যুদ্ধ? রাশিয়াকে ঠেকাতে রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন প্রস্তাব খারিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা রুখতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আমেরিকার আনা খসড়া প্রস্তাবকে ভেটো প্রয়োগ করে আটকাল রাশিয়া (Russia Ukraine war)। এই আবহে ওয়াশিংটনের মন্তব্য, ‘‘বড় কিছু লুকোচ্ছে মস্কো।’’ আমেরিকার আশঙ্কা, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে মহকাশে পারমাণবিক (Nuclear Weapon) আঘাত হানতে পারে রাশিয়া। স্যাটেলাইট ধ্বংস করতে পারে মস্কো। পাল্টা রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া সাংবাদিকদের বলেন, “আমেরিকার প্রস্তাব রসিকতার সমান।”

    মহাকাশে মিসাইল তাক?

    ওয়াশিংটন মস্কোর বিরুদ্ধে মহাকাশ-ভিত্তিক অ্যান্টি-স্যাটেলাইট পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ করে আসছে (Russia Ukraine war)। মহাকাশে অ্যান্টি স্যাটেলাইট পারমাণবিক অস্ত্র ঠেকাতেই এই প্রস্তাব এনেছিল তারা। যদিও ওয়াশিংটনের অভিযোগ রাশিয়া অস্বীকার করেছে। মার্কিন (USA) প্রশাসনের কর্মকর্তারা দাবি করেন, তাঁদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। যদিও সেই তথ্য চাওয়া হলে তা দিতে অস্বীকার করে আমেরিকা। ফলে তাদের অভিযোগটি সমর্থনযোগ্য নয় বলে মনে করছে পুতিন (Vladimir Putin) প্রশাসন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাশিয়া মহাকাশের দিকে মিসাইল তাক (Russia Ukraine war) করতে পারে। তা আটকাতেই আগেভাগে জাতিসঙ্ঘে আমেরিকা বিষয়টি তুলে ধরেছে। যাতে মস্কোকে চাপে রাখা যায়।

    কী বলছেন পুতিন?

    ডেপুটি ইউএস অ্যাম্বাসাডর রবার্ট উড সাংবাদিকদের বলেন, “যদি রাশিয়া এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট না দেয় তাহলে বুঝতে হবে তাঁরা কিছু লুকাচ্ছে কি না।’’ প্রায় ছয় সপ্তাহের আলোচনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের তৈরি নিরাপত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাবটি ভোটের জন্য আনা হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ১৩টি ভোট পড়ে। চিন এক্ষেত্রে ভোটাভুটি থেকে বিরত ছিল এবং রাশিয়া একটি ভেটো দেয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন চলতি বছরের শুরুতে জানিয়েছিলেন, তিনি মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের (Russia Ukraine war) অবস্থান পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ। আমরা সর্বদা স্পষ্টভাবে মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের বিরুদ্ধে ছিলাম এবং এখনও রয়েছি।’’

    আউটার স্পেস ট্রিটি

    রাষ্ট্রসংঘ সকল দেশকে মহাকাশ চুক্তি (Russia Ukraine war) মেনে চলার আহবান জানিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার এবং মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিরোধের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখতে হবে সমস্ত দেশকে।’’ ১৯৬৭ সালের আউটার স্পেস ট্রিটি স্বাক্ষরকারীদের (যার মধ্যে রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে) পৃথিবীর কক্ষপথে এবং মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র বা অন্য যে কোনও ধরনের বিধ্বংসী অস্ত্র প্রয়োগে বাধা দেয়। মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মতে, ‘‘রাশিয়া একটি মহাকাশে-নিক্ষেপযোগ্য অস্ত্র পারমাণবিক প্রয়োগে সক্ষম। এমনকি ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক অস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনের উপগ্রহের নেটওয়ার্কগুলিকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে।’’

    কী বলছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র?

    হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘‘রাশিয়া এখনও এ ধরনের অস্ত্র মোতায়েন করেনি। ইউক্রেনের যুদ্ধে মহাকাশ-ভিত্তিক যোগাযোগ এবং উপগ্রহ-সংযুক্ত ড্রোনগুলির সঙ্গে আধুনিক যুদ্ধে মহাকাশের অসামান্য ভূমিকার সাম্প্রতিক উদাহরণ হিসাবে কাজ করে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shib Narayan Das: সংখ্যালঘু বলেই কি যোগ্য সম্মান পেলেন না বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপকার শিব নারায়ণ দাস?

    Shib Narayan Das: সংখ্যালঘু বলেই কি যোগ্য সম্মান পেলেন না বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপকার শিব নারায়ণ দাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিঃশব্দে বুক ভরা অভিমান নিয়ে চলে গেলেন শিব নারায়ণ দাস (Shib Narayan Das), বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপকার। গত ১৯ এপ্রিল প্রয়াত হন তিনি। নিতান্তই নিয়মরক্ষা করে বাংলাদেশের কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম খবরটা করেছে। ওই দিন বেলা পৌনে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তাঁর মরদেহ কুমিল্লাতে রাখা হয়। শ্রদ্ধা জানান মানুষজন। তবে বড় কোনও রাজনৈতিক নেতাকে সেখানে দেখতে পাওয়া যায়নি। পড়শি দেশের ইতিহাসে খুঁজে পাওয়া যায়না শিব নারায়ণ দাসের নাম, তা কি কেবল তিনি সংখ্যালঘু ছিলেন বলেই? এমন প্রশ্ন তুলছে কোনও কোনও মহল। জীবদ্দশায় অবহেলা, বঞ্চনা, যোগ্য সম্মান না পাওয়া এই মানুষটি কে ছিলেন? বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে কী অবদান ছিল মানুষটির। তা নিয়েই আমাদের প্রতিবেদন।

    ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ওড়ানো হয় তাঁর তৈরি পতাকা

    ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শিব নারায়ণ দাস। বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। শিব নারায়ণ (Shib Narayan Das) ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম যোদ্ধা। শিব নারায়ণ দাসের তৈরি করা পতাকা নিয়েই চলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ। জানা যায় ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের প্রাঙ্গণে প্রথম ওড়ানো হয় তাঁর তৈরি পতাকা। ওই পতাকায় লাল এবং সবুজ রঙের ভিতরে হলুদ রঙের বাংলাদেশের মানচিত্র সম্বলিত ছিল। ১৯৭০ সালের ৭ জুন ঢাকার পল্টন ময়দানে এক সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। ওই কুচকাওয়াজের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান তৈরি করেন একটি জয় বাংলা বাহিনী। ওই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন শিব নারায়ণ দাস। জয়বাংলা বাহিনী একটি পতাকা তৈরি সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ইকবাল হলের ১১৮ নম্বর কক্ষে বসে তৈরি হয় পতাকার নকশা।

    সম্মান পেয়েছেন কামরুল হাসান, পেলেন না শিব নারায়ণ

    তবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পরে, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সরকার সে দেশের শিল্পী কামরুল হাসানকে ওই পতাকার বিষয়ে মতামত দিতে বলে। কামরুল হাসান শিব নারায়ণ দাসের (Shib Narayan Das) তৈরি পতাকা থেকে বাংলাদেশের মানচিত্রটিকে বাদ দিয়ে দেন। বর্তমানে সেটি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। তবে কামরুল হাসান স্বীকৃতি পেয়েছেন। পেয়েছেন সম্মান। কিন্তু বঞ্চনা অবহেলা জুটেছে শিব নারায়ণ দাসের ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে অনেকেরই প্রশ্ন, শুধুমাত্র সংখ্যালঘু হওয়ার কারণেই কি শিবনারায়ণ দাসের প্রতি এমন বঞ্চনা?

    বাংলাদেশের মুক্তমনা এক সাংবাদিক সমাজমাধ্যমের পাতায় কী লিখলেন

    বাংলাদেশের বেশকিছু মুক্তমনা সাংবাদিক শিবনারায়ণ দাসের প্রতি বঞ্চনার বিরুদ্ধে অবশ্য সোচ্চার হয়েছেন। এ নিয়ে সামনে এসেছে সমাজ মাধ্যমের পাতায় বিভিন্ন ধরনের লেখাও। জনৈক্য আহমেদ ইস্তিয়াক নামের এক সাংবাদিক গত বছরেই শিব নারায়ণ দাসের (Shib Narayan Das) বাড়িতে যান সাক্ষাৎকার নিতে। সেখানে তাঁর অভিজ্ঞতা হিসেবে ওই সাংবাদিক লিখছেন, ‘‘চারতলায় উঠে কলিংবেল টিপতেই ভিতর থেকে প্রশ্ন এল, ‘কে এসেছেন ? আপনি কে?’ বললাম, ‘একটা প্রয়োজনে আপনার সঙ্গে কথা বলতে এসেছি।’ জবাব পেয়ে দরজা খুলেই বললেন ‘কী প্রয়োজন? কোথা থেকে এসেছেন?’ বললাম, ‘অমুক পত্রিকা থেকে এসেছি একটা বিশেষ দরকারে। তিনি বললেন ‘কী দরকার?’ আমি বললাম, ‘যদি অনুমতি দেন তো একটু আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই।’ তিনি বললেন, ‘ঠিক আছে এবার আপনি আসতে পারেন।’ বললাম, ‘ভিতরে আসবো?’ পুরোটা বলার আগেই আমার মুখের উপর দিয়েই দড়াম করে তিনি দরজা বন্ধ করে দিয়ে ভিতর থেকে ছিটকিনি লাগিয়ে বললেন, ‘আপনি চলে যান। আমি এসব বিষয়ে কথা বলিনা।’ আমার তখন কী যে অনুভূতি হয়েছিলো তা আমি আসলে ভাষায় বর্ণনা করতে পারবো না। আমার দেশটির উপর তীব্র ঘৃণা জন্মালো। মনে হলো আমি মাটি খুঁড়ে তখনই ঢুকে পড়ি। কিংবা মরে যাই। আর তীব্র এক লজ্জাবোধ আমাকে চরমভাবে গ্রাস করলো। তিনি শিব নারায়ণ দাস, যাকে আমরা সামান্য স্বীকৃতিটুকু দিতেও চরম কার্পণ্য করেছি।’’

    পাঠ্যপুস্তকে নেই শিব নারায়ণের নাম

    ওই সাংবাদিকের আরও সংযোজন, ‘‘শিব নারায়ণ দাস (Shib Narayan Das) যেন আজ এক বিস্মৃত ইতিহাস। যাকে আমরা স্রেফ ভুলে গেছি। আমাদের এক অনন্য কারিগরকে আমরা স্রেফ উচ্ছেদ করেছি। পাঠ্যপুস্তকে জাতীয় পতাকার যে ইতিহাস লেখা হয়েছে, সেখানে আমরা তাঁকে বাদ দিয়েছি। সর্বত্র জাতীয় পতাকার ডিজাইনার হিসেবে পটুয়া কামরুল হাসানের নাম। নেই কোথাও শিবনারায়ণ দাসের নাম।’’ প্রসেনজিৎ রূদ্র নামের এক নেটিজেন মন্তব্য করছেন, ‘‘যারা যুদ্ধের ধারে কাছেও ছিল না তারা এখন নামধারী কৌটাধারী রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা নামে সব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিল, তাদের অনেকেই যোগ্য সম্মানটুকু পাননি। একটা ভিডিওতে এক বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধাকে তো রিক্সা চালাতেও দেখেছিলাম।’’

    শিব নারায়ণ দাসের বাবাও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন

    জানা যায়, শিব নারায়ণ দাসের (Shib Narayan Das) বাবা সতীশ চন্দ্র দাস ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি একজন চিকিৎসকও ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি শহীদ হন। কিন্তু শিব নারায়ণ দাসের মতোই তাঁর পিতা সতীশ চন্দ্র দাসকেও কোনও রকমের সম্মান দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, শিব নারায়ণ দাস শেষ জীবনে থাকতেন তাঁর মেয়ের কাছে, একটি ভাড়া বাড়িতে। এতটাই অর্থ কষ্টে তিনি ভুগছিলেন শেষদিকে, যে প্রতিবেশীরাও পর্যন্ত আলোচনা করতেন, শিব নারায়ণ দাস নিজের চিকিৎসাটুকুও করাতে পারেন না।

    কেমন ছিল প্রথম পতাকা তৈরির ইতিহাস

    প্রতিবেদনের শুরুতেই আমরা আলোচনা করেছি ১৯৭০ সালের ৬ জুন ইকবাল হলের ১০৮ নম্বর কক্ষে তৈরি হয় পতাকা। জানা যায় ১০৮ নম্বর কক্ষে ওই দিন শিব নারায়ণ দাস (Shib Narayan Das) ছাড়াও হাজির ছিলেন তৎকালীন ছাত্র লিগ নেতা আসম আব্দুর রব, কাজী আরিফ আহমেদ, শাহজাহান সিরাজ, মনিরুল ইসলাম, স্বপন কুমার চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিগের নেতা নজরুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা। দর্জিদের কাছ থেকে রাতের অন্ধকারে কাপড় নিয়ে যাওয়া হয় পতাকা তৈরি করতে। পতাকা তৈরির কথা শুনে বিনা পারিশ্রমিকেই কাপড় দেন দর্জিরা। স্বাধীন বাংলা বলতে যেন বাংলাদেশকেই বোঝায়, সেই কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের মানচিত্র সেখানে রাখা হয়। কারণ বাংলা বলতে পশ্চিমবঙ্গও ছিল। স্বাধীন ভারতের অঙ্গরাজ্য। বাংলাদেশের শস্য-শ্যামলা সবুজ প্রকৃতি বোঝাতে রাখা হয় সবুজ রঙ এবং সূর্য বোঝাতে রাখা হয় লাল রঙ। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ ছাড়াও, ১৯৭১ সালে ২৩ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির বাড়িতে এই পতাকা উত্তোলিত হয়।

    শিব নারায়ণ দাসের স্ত্রী গীতশ্রী চৌধুরিও মুক্তি যোদ্ধা ছিলেন

    জানা যায়, শিব নারায়ণ দাস এবং তাঁর স্ত্রী গীতশ্রী চৌধুরী দুজনেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপকারের জন্ম সে দেশের কুমিল্লাতে। ১৯৪৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন শিব নারায়ণ দাস। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বড় নাম ছিল ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের হাত ধরেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন শিব নারায়ণ দাস (Shib Narayan Das)। সেটা ছিল ১৯৬২। আন্দোলন করতে গিয়ে জেলও খেটেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share