Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Iran Israel War: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের কতটা প্রভাব পড়বে ভারতে? কেন উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি?

    Iran Israel War: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের কতটা প্রভাব পড়বে ভারতে? কেন উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিলই। আর সেটাই সত্যি হল। ইজরায়েলে হামলা চালাল ইরান (Iran Israel War)। এই হামলায় ইজরায়েলের বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, বিশ্বে আরও একটা সংঘাতের আগুন জ্বলে উঠল। রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের পর সৃষ্টি হল আরেকটা যুদ্ধের ফ্রন্ট— ইজরায়েল বনাম ইরান। এর ফলে, বিশ্ববাসীর সামনে উঠে এল মোকাবিলা করার জন্য আরও একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ আর্থিক মন্দার, মুদ্রাস্ফীতির, মূল্যবৃদ্ধির। এই চ্যালেঞ্জ যতটা অর্থনৈতিক, ঠিক ততটাই আবার কূটনৈতিক। তবে, ভারতের কাছে এই চ্যালেঞ্জ (Impact On India) অন্যদের তুলনায় অনেকটাই যেন বেশি। কিন্তু কেন?

    ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ইজরায়েল

    ইরান ও ইজরায়েল— উভয়ের সঙ্গেই কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। দশকের পর দশক ধরে, দুপক্ষের সঙ্গে একটা ভারসাম্যের কূটনীতি পালন করে এসেছে নয়াদিল্লি। কিন্তু, বর্তমান ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ (Iran Israel War) শুরু হওয়ার ফলে সেই ভারসাম্য বা নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে ভারতের। এর কারণ— একদিকে ইজরায়েলের সঙ্গে গভীর কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। বিশেষ করে, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে। গত দশকে এই সম্পর্কের বিষয়টি উন্মুক্ত হয়েছে অনেকটাই। যে কারণে, গত বছর ৭ অক্টোবর তেল আভিভের আকাশে হামাসের জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছে ভারত। চরমপন্থা থেকে নাশকতার সমস্যা এবং তার মোকাবিলা নিয়ে ভারত ও ইজরায়েলের মনোভাবে অনেকটাই মিল। কারণ, ২৬/১১ মুম্বই হামলার সময় উভয় দেশই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এযাবৎকালে, অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্রে ভারতের অন্যতম বড় যোগানদার হিসেবে উঠে এসেছে ইজরায়েল। 

    অর্থনৈতিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইরান

    অন্যদিকে, সাম্প্রতিককালে ইরানের সঙ্গেও কৌশলগত ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে প্রভূত উন্নত করেছে ভারত। তরল জ্বালানির ক্ষেত্রে ভারতকে বেশিরভাগটাই নির্ভর করতে হয় আমদানির ওপর। এক্ষেত্রে, অশোধিত তেলের যোগানদার হিসেবে রয়েছে ইরান। তবে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে, সেই যোগানের পরিমাণ ধাক্কা খেয়েছে বটে। আবার, পাকিস্তানে উৎস হওয়া নাশকতার শিকার হয়েছে এই দু’দেশই। উভয় দেশই তালিবানের একাধিক নীতির—বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের অধিকার কেন্দ্রিক— সমোচ্চরে বিরোধিতা করেছে। তবে, ভারতের কাছে সবচেয়ে বড় কৌশলগত গুরুত্ব হল চাবাহার করিডরের। ইরানের এই বন্দর ব্যবহার করে ভারত। এই বন্দর দিয়েই আফগানিস্তান থেকে শুরু করে মধ্য এশিয়া ও ইউরোপের সঙ্গে বাণিজ্য করতে হয় ভারতকে। কারণ, ভারতীয় পণ্যকে পরিবহণের জন্য নিজেদের ভূমি দিতে অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। ফলত, চাবাহার বন্দর ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

    ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ (Iran Israel War) নিয়ে কেন উদ্বিগ্ন ভারত?

    এই দুই দেশ নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে, আখেরে ক্ষতি ভারতেরই (Impact On India)। কারণ, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে কোনও এক দিক বেছে নেওয়া সহজ হবে না ভারতের। যে কারণে, জাতীয় স্বার্থকে মাথায় রেখেই, ভারসাম্যের কূটনীতির মাধ্যমে দু’দেশকেই ভারত আবেদন জানিয়েছে অবিলম্বে যুদ্ধ থামানোর। যেটা অমূলক নয় একেবারেই। ভারত এখন উভয় দেশের কাছে শান্তির আবেদন করেছে। ভারত বিলক্ষণ জানে, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ আরও বাড়লে তিন দিকে সমস্যা হবে নয়াদিল্লির— প্রবাসী ভারতীয় সম্পৃক্ত, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত।

    প্রবাসী ভারতীয়দের নিয়ে চিন্তা

    প্রথমত, ইজরায়েল ও ইরানে বর্তমানে বসবাস করছে যথাক্রমে প্রায় ১৮ হাজার এবং ৫ থেকে ১০ হাজার ভারতীয়। এছাড়া, প্রায় পশ্চিম এশিয়া ও গাল্ফ অঞ্চলে কর্মরত প্রায় ৯০ লক্ষ ভারতীয়। যে কোনও সংঘাতের (Iran Israel War) ফলে, গোটা অঞ্চলে অস্থিরতা তৈরি হবে। এমনিতেই, ইজরায়েল-গাজা যুদ্ধের ফলে, সেখানে একটা অনিশ্চয়তা ও আশঙ্কার পরিবেশ আগে থেকেই ছিল। তার ওপর এখন ইজরায়েল-ইরান পুরোদমে যুদ্ধ বাঁধলে, সমস্যা বহুগুণ বেড়ে যাবে। ভারত জানে, এতে সেখানে বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায়ের জটিলতা বৃদ্ধি পাবে (Impact On India)। হতে পারে, ভারতীয়দের সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। যেমনটা হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুতে। 

    অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধির শঙ্কা

    দ্বিতীয়ত, অর্থনৈতিক সঙ্কট। ভারতের অর্থনৈতিক স্বার্থ জ্বালানির সঙ্গে জড়িত। জ্বালানি চাহিদার অধিকাংশটাই আমদানি করে সামাল দিতে হয় ভারতকে। আর এই আমদানির ৮০ শতাংশ হয় পশ্চিম এশিয়া অঞ্চল থেকে। ফলত, এখানে যুদ্ধ বাঁধলে (Iran Israel War), অশোধিত তেলের জোগান কমবে, বাড়বে দাম। যার প্রভাব পড়বে ভারত সহ আন্তর্জাতিক বাজারে। ফলে, পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা থাকছে। যার ফলস্বরূপ, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধিও হবে অনিবার্যভাবে (Impact On India)। ভারত অবশ্য গত ২ বছরে পশ্চিম এশিয়ার ওপর এই নির্ভরতা অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে পশ্চিম এশিয়ার পাশাপাশি রাশিয়া থেকে ন্যায্য মূল্যে অশোধিত তেল কেনে ভারত। কিন্তু, সেও তো যুদ্ধে লিপ্ত।

    বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে ভারতের

    তৃতীয়ত, আরব-মুলুকে তথা মধ্যপ্রাচ্যে বিপুল বিনিয়োগ করেছে ভারত। বিনিয়োগ রয়েছে ইরান ও ইজরায়েলেও। দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চল দিয়ে ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ করিডর প্রকল্পকে বাস্তব রূপ দিতে উদ্যোগী ভারত। এখন, এই অঞ্চলে আরেকটা যুদ্ধ (Iran Israel War) হলে, সেই প্রকল্প, সেই স্বপ্ন জোর ধাক্কা খেতে পারে (Impact On India)। ভারত তা একেবারেই চাইছে না। যে কারণে, সব পক্ষকে যুদ্ধের পথ ছেড়ে আলোচনায় ফেরার আবেদন একাধিকবার করে চলেছে ভারত। নয়াদিল্লি বিলক্ষণ জানে, একবার এই করিডর সফল হলে, ভারতের বাণিজ্য বিশেষ করে রফতানি বহুগুণ বেড়ে যাবে। সহজেই বিদেশের বাজার ধরতে সক্ষম হবে ভারত। 

    রক্তাক্ত ভারতের শেয়ার বাজার

    এমনিতেই, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ (Iran Israel War) শুরু হতেই তার প্রভাব পড়েছে ভারতের শেয়ার বাজারে। তেলের দাম বাড়া এবং বিনিয়োগে ধাক্কা এই জোড়া আশঙ্কার ফলে, গত তিন দিনে লাগাতার পতন হয়েছে স্টক মার্কেটে। গত শুক্রবার এবং চলতি সপ্তাহের সোম-মঙ্গল—এই তিনদিনে ভারতের শেয়ার বাজারে প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে একটিই শর্তে। তা হল, ইরান-ইজরায়েলের সংঘাতের পরিবেশে যেন না নতুন করে আগুন লাগে (Impact On India)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Spy Imam Project: ‘স্পাই ইমাম’ প্রজেক্টে গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ নিতে ইমামদের তুরস্কে পাঠাচ্ছে পাক আইএসআই!

    Spy Imam Project: ‘স্পাই ইমাম’ প্রজেক্টে গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ নিতে ইমামদের তুরস্কে পাঠাচ্ছে পাক আইএসআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁরা ইমাম। ইসলামের শান্তির ললিত বাণী জনমনে ছড়িয়ে দেওয়াই তাঁদের কাজ। এঁদের দিয়েই গোয়েন্দাগিরির কাজ করাতে চাইছে তুরস্ক। সেজন্য সরকারি খরচে দেওয়া হচ্ছে ট্রেনিং। এই প্রজেক্টের পোশাকি নাম ‘স্পাই ইমাম’ প্রজেক্ট (Spy Imam Project)। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে প্রশিক্ষণ নিতে তুরস্কে ইমাম পাঠাচ্ছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। তুরস্কে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই ইমামরাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা হিন্দু এবং অহিন্দু ভারতীয়দের ছলে-বলে-কৌশলে ইসলামে দীক্ষিত করবেন। পাক গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা, এতে এক ঢিলে দুই পাখি মরবে। এক, বিশ্বে দ্রুত বাড়বে ইসলামে দীক্ষিত মানুষের সংখ্যা। দুই, শত্রু দেশ ভারতকে উচিত শিক্ষা দেওয়া যাবে।

    কারা দিচ্ছে প্রশিক্ষণ? (Spy Imam Project) 

    তুরস্কের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থার নাম মিল্লি ইস্তিবার্ত টেসকিলাতি। তারা (Spy Imam Project) ছাড়াও সে দেশের আরও কয়েকটি সংস্থা, যার মধ্যে সরকারের রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স ডিরেকটরেট ‘দিয়ানেট’ও রয়েছে, যৌথভাবে পরিচালনা করছে এই স্পাই ইমাম প্রজেক্ট। স্বদেশের তো বটেই, পাকিস্তানের মতো আরও কয়েকটি ইসালামি দেশের ইমামদেরও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তারা। ইসলামের প্রসারের পাশাপাশি এই ইমামরা যে দেশের মসজিদে নিয়োজিত হবেন, সেখানকার তথ্য সংগ্রহ করবেন। সেই তথ্যই গোপনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে নিজের দেশে। যার প্রেক্ষিতে যুদ্ধের অনেক আগে থেকেই অস্ত্রে শান দিতে পারবে ওই ইমামদের দেশ।

    প্রার্থীদের যোগ্যতামান

    প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য যে ইমামদের বেছে নেওয়া হচ্ছে, তাঁদের হয় দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকতে হবে, নয়ত ভিন দেশের নাগরিক হতে হবে (Spy Imam Project)। তুরস্কেরই অরিজিন তাঁদের হতে হবে, এমনটা নয়। প্রশিক্ষণ নিতে হলে প্রার্থীর বয়স হতে হবে পঁচিশের নীচে। অবিবাহিত হওয়ার পাশাপাশি তুর্কি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যোগ্যতামানের চৌকাঠ পার হলেই প্রশিক্ষণ নিতে তাঁদের পাঠানো হবে তুরস্কের ধর্মীয় স্কুলগুলিতে। জানা গিয়েছে, স্পাই ইমাম প্রজেক্টে গত বছরই গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন ১ হাজার ৮১ জন। বিশ্বের ১৩টি দেশের ৪৬২ জন পড়ুয়া নাম নথিভুক্ত করেছেন প্রশিক্ষণ নেবেন বলে। পাশআউটদের মধ্যে সব চেয়ে ইমাম এসেছিলেন জার্মানি থেকে।

    কী বলছে তুরস্কের সংস্থা?

    দিয়ানেটের প্রেসিডেন্ট এরবাস জানান, এই প্রোগ্রামে যাঁরা গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে প্রায় ৫০০ জনকে দিয়ানেট নিয়োগপত্র দিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজও করছেন তাঁরা। ইন্টারন্যাশনাল সেমিনারি প্রোগ্রামকে তিনি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বহুমুখী মানব সম্পদকে কাজে লাগানোর একটা পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি জানান, কেবল দিয়ানেটই নয়, অন্যান্য সরকারি সংস্থাও এঁদের নিয়োগ করছে। স্পাই ইমাম প্রজেক্টে (Spy Imam Project) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই ইমামদের সমুদ্রপারের বিভিন্ন দেশে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের দেওয়া হয়েছে ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্টও। সেই ইমামরাই ইসলামের বাণী প্রেরণের পাশাপাশি সংগ্রহ করছেন তথ্যও।

    এসব করতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণও হারাতে হচ্ছে অনেক ইমামকে। এই যেমন পাকিস্তানের স্পাই ইমাম কলোনেল সুলতান আমির তারার। তাঁর কোড নেম কলোনেল ইমাম। স্পাই হিসেবে পাকিস্তানে তিনি চলে গিয়েছিলেন লেজেন্ডারি পর্যায়ে। ২০১১ সালে তাঁকে অপহরণ করা হয়। অভিযোগের আঙুল উঠেছিল পাকিস্তানি তালিবানের একটা অংশের দিকে। আর এক প্রাক্তন স্পাই খলিদ খাওয়াজাকে নৃশংসভাবে খুন করে অপহরণকারীরা।

    আরও পড়ুুন: “অনুপ্রবেশকারী ও অপরাধীদের কাছে বাংলাকে লিজ দিয়ে দিয়েছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক মোদি

    তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া (Spy Imam Project) প্রশিক্ষণপর্ব শেষে পাকিস্তানের স্পাই ইমামদের বিভিন্ন দেশে নিয়োগ করছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। এঁদের মধ্যে অনেকেই তৃতীয় কোনও দেশের পাশপোর্ট ব্যবহার করে ভারতে ঢুকে পড়তে সফল হয়েছে। তাঁরা কাজ করছেন তবলিঘি জামাতের অঙ্গুলি হেলনে। ভারতে থাকা আইএসআইয়ের অ্যাসেস্টস পরিদর্শন করেছেন এঁরা। ভারতীয় অর্থনীতিতে ধাক্কা দিতে এই স্পাই ইমামদের অনেকেই আবার জাল নোট ছড়িয়ে দিচ্ছেন। দেশের মধ্যে যে জাল বিছানো রয়েছে আইএসআইয়ের, তার মাধ্যমেই এই দুষ্কর্ম করে চলেছে স্পাই ইমামরা।

    তুরস্কের সাংবাদিক আবদুল্লা বজকুর্ত বলেন, “দিয়ানেট বছর বছর এই খাতে (স্পাই ইমাম প্রজেক্টে) বাজেট বাড়িয়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই তারা তুরস্ক এবং অন্যান্য দেশে নিয়োগ করেছে এক লাখ চল্লিশ হাজার স্পাই ইমামকে। এদের মধ্যে সমুদ্রপারের বিভিন্ন মসজিদে রয়েছেন ৯০ হাজার স্পাই ইমাম। চলতি বছর বাজেটে এই খাতে ৯১.৮ বিলিয়ন টার্কিস লিরা বরাদ্দ করা হয়েছে। গতবারের বাজেটের চেয়ে যা ১৫১ শতাংশ বেশি (Spy Imam Project)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel Iran Conflict: ইজরায়েলে ব্যর্থ ইরান, ড্রোন হামলা রুখল আমেরিকা, কাঁধ মেলাল ব্রিটেনও

    Israel Iran Conflict: ইজরায়েলে ব্যর্থ ইরান, ড্রোন হামলা রুখল আমেরিকা, কাঁধ মেলাল ব্রিটেনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা দিয়েছিল আগেই। সেই মতো ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা। ইরান থেকে ছোড়া প্রায় সব ড্রোনই গুলি করে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Israel Iran Conflict)। বাইডেন জানান, আমেরিকার সাহায্যে ইরানের ড্রোন হামলার মোকাবিলায় সফল হয়েছে তেল আভিভ (ইজরায়েলের রাজধানী)।

    ইরানিয়ান ড্রোন ধ্বংস (Israel Iran Conflict)

    রবিবার ইজরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ২০০টি ড্রোন দিয়ে মিসাইল হামলা চালায় ইরান। ইরানিয়ান ড্রোনগুলি ধ্বংস করতে গুলি ছোড়ে মার্কিন সেনা। ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রিটেনও। তেল আভিভকে সাহায্য করেছে তারাও। প্রত্যাশিতভাবেই ব্যর্থ হয়েছে ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে ইসলামি রাষ্ট্র ইরানের হামলার পরিকল্পনা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জারি করা এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, “ইজরায়েলের বাহিনীকে সাহায্য করতে আমার নির্দেশে আমেরিকার সেনা গত সপ্তাহেই ওই এলাকায় একাধিক যুদ্ধ বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী বিমান পাঠিয়েছে। এই অত্যাধুনিক বিমান ও আমাদের সেনাবাহিনীর অসাধারণ দক্ষতায় আমরা ইরানের ছোড়া প্রায় সব ক’টি ড্রোন ও মিসাইল ধ্বংস করতে ইজরায়েলকে সাহায্য করতে পেরেছি।”

    নেতানিয়াহুকে ফোন বাইডেনের

    ইরানের (Israel Iran Conflict) হামলার পরেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বাইডেন। প্রতিশ্রুতি দেন পাশে থাকার। ইরানের হামলা প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু বলেন, “আমাদের ওপর যারা হামলা চালাবে, আমরাও তাদের ওপর হামলা করব। যে কোনওরকম হুমকির বিরুদ্ধে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াব। এটাই ইজরায়েলের নীতি।” এদিকে, ইরান-ইজারায়েলের আকাশে যুদ্ধের মেঘ ঘনাতেই উদ্বেগে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। ভারতীয়েদর অযথা উদ্বিগ্ন না হতে ও সুরক্ষা প্রোটোকল অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।

    বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা অবিলম্বে শান্তি ফেরানো ও হিংসা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। দুই দেশকেই কূটনীতির পথে ফিরতে বলা হচ্ছে। ওখানে আমাদের দূতাবাস ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ওখানে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় থাকা অত্যন্ত জরুরি। আমরা পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছি।” প্রসঙ্গত, ইরান-ইজরায়েলের এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ক্রমেই বাড়ছে অপরিশোধিত জ্বালানির দাম। জ্বালানির সঙ্কটও দেখা দিতে পারে মধ্য প্রাচ্যে (Israel Iran Conflict)।

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেস দুর্নীতির আখড়া, ওদের অবস্থা বিগবসের মতো”, তোপ রাজনাথের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Iran-Israel Conflict: মিসাইল ও বিস্ফোরক বোঝাই ২০০টি ড্রোন নিয়ে ইজরায়েলে হামলা ইরানের

    Iran-Israel Conflict: মিসাইল ও বিস্ফোরক বোঝাই ২০০টি ড্রোন নিয়ে ইজরায়েলে হামলা ইরানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের শুরুতেই ইজরায়েল সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসের ওপরে হামলা চালিয়েছিল। এই হামলার জবাব দিতে ইরান কী করে, তার দিকে বিশ্বের একাধিক দেশ তাকিয়েছিল। ইরান (Iran-Israel Conflict) যে হামলা চালাতে পারে, তা নিয়ে জল্পনাও তৈরি হয়েছিল। এবার সেই জল্পনাই সত্যি হল। আকাশপথে ইজরায়েলে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান।

    ২০০-এর বেশি ড্রোন দিয়ে এই হামলা! (Iran-Israel Conflict)

    আইডিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মধ্যেরাতে বিভিন্ন প্রকার ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইজরায়েলে হামলা (Iran-Israel Conflict) চালায় তেহরান। আইডিএফ (ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স) সূত্রের খবর, ২০০-এর বেশি ড্রোন দিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে। যদিও এই হামলার ঘটনায় প্রাণহানির খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে, এই হামলার ঘটনায় ফের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইরানের সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, এই ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ইজরায়েলের কোথায় আঘাত হেনেছে, তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। আইডিএফ-ও ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ইরানের ছোড়া অধিকাংশ মিশাইল আয়রন ডোমে আটকে রয়েছে। যেক’টি মিসাইল আছড়ে পড়ে, তাতে একজন শিশু জখম হয়েছে। ইরান হামলা চালিয়ে থেমে থাকেনি। জানা গিয়েছে, এই সংঘর্ষের ঘটনায় আমেরিকাকে নাক না গলানোর কথা বলা হয়েছে। তবে, যুদ্ধে আমেরিকা ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই বিষয় নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলতে পারেন। সব মিলিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা করছে অনেকে।

    আরও পড়ুন: “সবই তো আমি দিয়েছি, কেন বিজেপিকে ভোট দেন?,” আক্ষেপ মমতার

    কেন হামলা?

    গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যে যুদ্ধ (Iran-Israel Conflict) শুরু হয়েছিল, তা সময় কাটার সঙ্গে সঙ্গে আরও জটিল হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতেই ইজরায়েল সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসের ওপরে হামলা চালায়। এরপরই পাল্টা মোক্ষম জবাবের হুঁশিয়ারি দেয় ইরান। আশঙ্কা ছিল, হুশিয়ারির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই হয়তো হামলা চালাবে ইরান। বাস্তবে দেখা গেল,  ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই হামলা চালাল ইরান।

    আমেরিকা– মিত্র দেশের থেকে সহযোগিতার দাবি

    ইজরায়েল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, “ইরান আমাদের দেশের ওপর ড্রোন হামলা চালিয়েছে। আমরা আমেরিকা এবং বাকি মিত্র দেশের থেকে সহযোগিতা চেয়েছি যাতে, এই হামলা রোধ করা যায়।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Russia Ukraine War: ইউক্রেনের বড় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দিল রাশিয়া, ভাইরাল ভিডিও

    Russia Ukraine War: ইউক্রেনের বড় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দিল রাশিয়া, ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের সব থেকে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন (Power Plant) কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দিল রাশিয়া। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন সূত্রে জানা গিয়েছে, ড্রোন (Drone) ও ৮২টি মিসাইল সহযোগে ধ্বংস করা হয়েছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে হাইপারসনিক (Hypersonic) মিসাইলও। পাল্টা ইউক্রেনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই হামলার ফলে রাজধানী কিভে (kyiv) এখনও বিদ্যুৎ ঘাটতি হয়নি।

    তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংস

    সিএনএন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের কিভের খুব কাছে ট্রিপিলস্কায় অবস্থিত এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গিয়েছে সাম্প্রতিক হামলায়। সামাজিক মাধ্যমে এই হামলা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সোভিয়েত যুগের ওই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র দাউ দাউ করে জ্বলছে। কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে শহরের আকাশে।

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য

    এই ঘটনার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জ়েলেনস্কি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে তাঁদের জরুরি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম না দেওয়াকে দায়ী করেছেন। তিনি এই হামলাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে আখ্যা দিয়েছেন। প্রসঙ্গত পশ্চিমী দেশগুলোর কাছে ইউক্রেন জরুরি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের আবেদন করেছিল। ইতিমধ্যেই রাশিয়া ইউক্রেনের তাপ ও জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ জ্বালানির ঠিকানাগুলিকে নিশানা করা শুরু করেছে। হামলা ব্যাপক তীব্র হয়েছে। ইউক্রেনের শক্তি ব্যবস্থা ধ্বংস দিতে চাইছে রাশিয়া এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন জ়েলেনস্কি । রাশিয়ার যে হামলা চালিয়েছিল তার মধ্যে ১৮ টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৩৯ ড্রোনকে আটকানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বাদ বাকি মিসাইল ও হাইপারসনিক মিসাইল সফলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানে দাবি ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর এক আধিকারিকের। তাঁদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত কিভ, চেরকাসি ও ঝাইটেমির অঞ্চলের জন্য এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছিল খুবই জরুরী।

    সেন্টারেনারগর সংস্থার বক্তব্য

    এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করতো সেন্টারেনারগর নামে একটি সংস্থা। ওই সংস্থার তত্ত্বাবধায়ক বোর্ডের প্রধান এন্দ্রে গোটা বলেন, “সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আর বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব নয়। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংসের ফলে আশপাশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের সাবস্টেশন ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে সমস্যা দেখা দেবে। প্রসঙ্গত ইউক্রেনের বৃহত্তম বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানির ডিটেক সাম্প্রতিক হামলায় যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। দুটি পাওয়ার স্টেশন রাশিয়ান আক্রমণের জেরে মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ পাক-মাটিতে খতম হয়েছে ২০জনেরও বেশি জঙ্গি নেতা, নেপথ্যে কারা?

    যুদ্ধ এখনও থামার লক্ষণ নেই

    প্রথমদিকে আমেরিকা ইউক্রেনকে যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করলেও পরবর্তীকালে ইউক্রেনের দাবি মতো যুদ্ধাস্ত্র আর দেয়নি আমেরিকা এমনটাই অভিযোগ জ়েলেনস্কি। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও জার্মানি যে যুদ্ধাস্ত্র দিচ্ছে তাও দীর্ঘদিন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয় বলেই দাবি প্রশাসনের। একদিকে যুদ্ধাস্ত্রের অভাব অন্যদিকে রাশিয়ার আক্রমণে ব্যাপক বৃদ্ধি। সবমিলিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছে ইউক্রেন। আরব দুনিয়ায় হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধ বিরতির দিকে এগোলেও দুই বছর পার হলেও রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ এখনও থামার কোনো লক্ষণ নেই। প্রথমদিকে রাশিয়াকে অনেকটা প্রতিহত করতে সক্ষম হলেও এখন দেশের একটা বড় অংশ হাতছাড়া হয়ে গেছে ইউক্রেনের। তাঁরা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অপারগ হলেও রাশিয়া যুদ্ধ থামানোর কোন ইঙ্গিত দিচ্ছে না। প্রথম দিকের বেগতিক অবস্থা কাটিয়ে এখন যুদ্ধের ময়দানে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে পুতিনের বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Canada Relation: ‘ভারত নয়, কানাডার ভোটে নাক গলিয়েছে চিন’, দাবি সেদেশেরই গোয়েন্দা সংস্থার

    India Canada Relation: ‘ভারত নয়, কানাডার ভোটে নাক গলিয়েছে চিন’, দাবি সেদেশেরই গোয়েন্দা সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার সাধারণ নির্বাচনে নাক গলিয়েছে চিন। একবার নয়, অন্তত দু’বার ড্রাগনের দেশ প্রভাবিত করেছে কানাডার ভোটারদের। যে ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের মনোভাব তৈরি হয়েছে কানাডায়, সে নয়াদিল্লি (India Canada Relation) মাথাই ঘামায়নি কানাডার নির্বাচন নিয়ে। সম্প্রতি এই মর্মে রিপোর্ট দিল কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা ‘কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস’।

    গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট (India Canada Relation)

    কানাডার এই সংস্থা সাফ জানিয়েছে, গত দু’টি সাধারণ নির্বাচনে নাক গলিয়েছে কানাডা। এই দুই নির্বাচনেই জয়ী হয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সংসদে যাঁর একটি বিরূপ মন্তব্যের জেরে সম্প্রতি তলানিতে ঠেকেছে ভারত-কানাডার সুসম্পর্ক (India Canada Relation)। কানাডার ওই গোয়েন্দা সংস্থা সম্প্রতি ‘ব্রিফিং টু দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স অফিস অন ফরেন ইন্টারফারেন্স থ্রেটস টু কানাডাজ ডেমক্রেটিক ইনস্টিটিউশনস’ শীর্ষক একটি ডক্যুমেন্ট তৈরি করেছে।

    প্রতারণা করেছে চিন!

    সেখানেই বলা হয়েছে, “আমরা জানি পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না গোপনে ও প্রতারণামূলকভাবে ২০১৯ ও ২০২১ সালের সাধারণ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে।” ওই ডক্যুমেন্টে আরও বলা হয়েছে, “২০২১ সালের নির্বাচন মনিটরিং করছিলেন প্রবীণ আধিকারিকরা। তাঁরাও ঘূণাক্ষরে জানাননি যে ভারত কোনওভাবেই ওই নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা করেনি।” অথচ কিছু দিন আগে কানাডার এই গোয়েন্দা সংস্থাই দাবি করেছিল, ভারত ও পাকিস্তান প্রাচ্যের এই দুই দেশ কানাডায় উনিশ ও একুশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছিল (India Canada Relation)।

    কানাডার এই গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, ভারত অন্য কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায় না। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “কানাডার নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের যে অভিযোগ উঠেছিল, তা যে সর্বৈব ভিত্তিহীন, তা আমরা আগেই জানিয়েছিলাম। অন্য দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ভারত হস্তক্ষেপ করবে, এমন নীতি আমাদের নয়। প্রকৃতপক্ষে, কানাডাই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনধিকার চর্চা করে।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘নাক গলাব না, আলোচনায় মিটিয়ে নিন’’, পাকিস্তানকে বার্তা মার্কিন প্রশাসনের

    চিন ছাড়াও রাশিয়া এবং ইরানও কানাডার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে কানাডার গোয়েন্দা সংস্থার ওই ডক্যুমেন্টে (India Canada Relation)। প্রসঙ্গত, চিন যে অন্য দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করে, ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করে সম্প্রতি অন্য একটি রিপোর্টেও দাবি করা হয়েছিল। চলতি বছরই নির্বাচন রয়েছে ভারত ও আমেরিকায়। চিন এই দুই দেশের ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে বলে সতর্ক করেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা (India Canada Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • India US Relation: ‘‘নাক গলাব না, আলোচনায় মিটিয়ে নিন’’, পাকিস্তানকে বার্তা মার্কিন প্রশাসনের

    India US Relation: ‘‘নাক গলাব না, আলোচনায় মিটিয়ে নিন’’, পাকিস্তানকে বার্তা মার্কিন প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিদের মারছে ভারত। মার্কিন প্রশাসনের কাছে এমনই অভিযোগ করেছিল পাকিস্তান। তবে প্রতিবেশী এই দুই দেশের দ্বন্দ্বে আমেরিকা যে নাক গলাবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে জো বাইডেনের দেশ (India US Relation)।

    মার্কিন-বার্তা (India US Relation)

    পাকিস্তানের তরফে যিনি উজিয়ে আমেরিকায় গিয়েছিলেন ভারতের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে, বাইডেন প্রশাসন তাঁকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সীমান্তে উত্তেজনা কমান। বিভিন্ন স্তরে কথাবার্তা বলে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শও ভারত-পাকিস্তান দুই দেশকেই দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের কর্তারা। পাকিস্তানের অভিযোগকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। বিদ্বেষমূলকভাবে ভারত-বিরোধী প্রচার চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ম্যাথিউ মিলার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র। তিনি বলেন, “এই বিষয়টি নিয়ে সংবাদ (India US Relation) মাধ্যমের প্রতিবেদনগুলিতে আমরা নজর রাখছি। যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। তবে আমরা এই বিষয়ে নাকও গলাব না। ওই পড়শি দুই দেশের সীমান্তে যেভাবে দিন দিন উত্তেজনা বাড়ছে, সেই উত্তেজনা কমাতে বলেছি উভয়পক্ষকেই। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।”

    ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ

    জানুয়ারি মাসে দুই পাক নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল পাকিস্তান। সেবারও ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এই ঘটনায় ভারত কোনওভাবেই যুক্ত নয়। ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। ভারত-বিরোধী প্রচারও চালানো হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “পাকিস্তানের বিদেশ সচিব কী বলেছেন, সে সংক্রান্ত (India US Relation) প্রতিবেদন আমরা দেখেছি। ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটনা করার এটা পাকিস্তানের একটা সাম্প্রতিক প্রচেষ্টা। বিদ্বেষমূলকভাবে ভারত-বিরোধী এই প্রচার করা হচ্ছে। পাকিস্তান যে জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য, সন্ত্রাসবাদীদের ভরকেন্দ্র, সংগঠিত অপরাধীদের চারণভূমি, অবৈধ কারবারিদের লীলাক্ষেত্র, তা জানে তামাম বিশ্ব।”

    আরও পড়ুুন: “যদি নয়াদিল্লি চিনের কিছু অঞ্চলের নাম বদলে দেয়…”, বেজিংকে খোঁচা রাজনাথের

    তিনি বলেন, “জঙ্গি কার্যকলাপে রাশ টানতে পাকিস্তানকে সতর্ক করেছে ভারত এবং অনেক দেশই। তার পরেও সে দেশে অবাধে চলছে জঙ্গি কার্যকলাপ। পাকিস্তান যেমন কর্ম করেছে, তেমন ফলই পাচ্ছে। নিজেদের দোষ ঢাকতে এবার অন্যকে দোষারোপ করে গা বাঁচাতে চাইছে তারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India Maldives Relationship: ভারতের জাতীয় পতাকাকে অপমান মলদ্বীপের সাসপেন্ডেড মন্ত্রীর!

    India Maldives Relationship: ভারতের জাতীয় পতাকাকে অপমান মলদ্বীপের সাসপেন্ডেড মন্ত্রীর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন মলদ্বীপের তিন জুনিয়র মন্ত্রী। যার ফলস্বরূপ, প্রবল চাপে সাসপেন্ড করা হয় তিনজনকে। তার পর কোটি কোটি ঢেউ ভেঙেছে ভারত মহাসাগরের বুকে। ক্রমেই তলানিতে ঠেকেছে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক (India Maldives Relationship)। মলদ্বীপের চিনপন্থী মুইজ্জু সরকারের অনুরোধে ইদের ‘তোফা’ পাঠিয়েছে ভারত। তার জেরে দুই দেশের ভাঙা সম্পর্ক যখন জোড়া লাগতে চলেছে, তখন ফের ভারতের জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করার অভিযোগ উঠল সাসপেনসনে থাকা এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন মারিয়ম শিউনা নামে ওই মন্ত্রী। তাতে অবশ্য নেভেনি বিতর্কের আগুন (India Maldives Relationship)।

    মারিয়মের কীর্তি! (India Maldives Relationship)

    ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। নির্বাচনী প্রচার সূত্রে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন মারিয়ম। সে দেশের বিরোধী দলগুলিকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে পোস্টটিতে তিনি ভারতের পতাকার ছবি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য পোস্টটি মুছে দেওয়া হয়। তবে ততক্ষণে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে তাঁর ওই পোস্টের স্ক্রিনশট। তার পরেই দেশে তো বটেই, ভারতেও সমালোচনার মুখে পড়েছেন মলদ্বীপের প্রেডিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সরকারের ওই সাসপেন্ডেড মহিলা মন্ত্রী। পরে এক্স হ্যান্ডেলে মারিয়ম লেখেন, “আমার সাম্প্রতিক একটি পোস্টের বিষয়বস্তু নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তার জন্য ক্ষমা চাইছি। আমি শুনলাম, এমডিপিকে নিয়ে আমার পোস্টে ব্যবহৃত ছবির সঙ্গে ভারতের জাতীয় পতাকার মিল রয়েছে। আমি এটুকু পরিষ্কার করে দিতে চাই যে, এটি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। এ থেকে যে ভুল বোঝাবুঝির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সেজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।”

    ভারতের অপমান!

    এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষমা চাইলেও, সমস্যা মেটেনি। কারণ, বিরোধীদের খোঁচা দিতে গিয়ে মারিয়ম যে ছবিটি পোস্ট করেছিলেন, অভিযোগ, সেখানে দলীয় প্রতীকের পরিবর্তে বসিয়েছিলেন ভারতের জাতীয় পতাকার অশোকচক্রের ছবি। সঙ্গে মলদ্বীপের মন্ত্রী লিখেছিলেন, “এমডিপি (মলদ্বীপের বিরোধী দল) একটা বড়সড় পতনের দিকে এগোচ্ছ। মলদ্বীপের জনগণ তাদের সঙ্গে পতনের দিকে এগোতে চায় না।” ঘটনাচক্রে এমডিপি ভারতপন্থী দল হিসেবেই পরিচিত। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই মলদ্বীপের অনুরোধে সে দেশে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, ডিমের মতো কিছু অতি প্রয়োজনীয় জিনিস রফতানিতে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (India Maldives Relationship)।

    আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল! অনন্তনাগ-রাজৌরিতে এবার ফুটবে পদ্ম?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদির সমর্থনে ‘বিজেপির বন্ধু’দের মিছিল আমেরিকার ১৬টি শহরে

    PM Modi: মোদির সমর্থনে ‘বিজেপির বন্ধু’দের মিছিল আমেরিকার ১৬টি শহরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর (PM Modi) ক্ষমতায় ফেরাটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। বলছে প্রাক-নির্বাচনী নানা সমীক্ষা। তবে তিনি কেন্দ্রে ফিরুন, তা যেমন চাইছেন সিংহভাগ ভারতবাসী, তেমনি চাইছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিজেপির বন্ধুরাও। যার হাতে গরম প্রমাণ মিলল রবিবাসরীয় সকালে। এদিন আমেরিকার ১৬টি শহরে নরেন্দ্র মোদির সমর্থনে মিছিল করলেন বিজেপির সমুদ্রপারের বন্ধুরা। শোভাযাত্রার নাম ছিল ‘মোদি কা পরিবার মার্চ’।

    ‘ওভারসিজ ফ্রেন্ডস অফ বিজেপি’ (PM Modi)

    আমেরিকায় ‘ওভারসিজ ফ্রেন্ডস অফ বিজেপি’ (PM Modi) নামে একটি সংগঠন রয়েছে। সে দেশে বসবাসরত প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে বিজেপির নীতি নিয়ে প্রচার করে এই সংগঠন। এদিন সকালে আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে নারী, পুরুষ ও শিশুরা জড়ো হন ক্যাপিটল হিলে। তাঁদের গায়ে ছিল ‘মোদি কা পরিবার মার্চ’ লেখা টি-শার্ট। বিজেপির পাশাপাশি তাঁদের হাতে ছিল আমেরিকা ও ভারতের জাতীয় পতাকা। এদিন ওয়াশিংটন মনুমেন্টের সামনেও জড়ো হয়েছিলেন মোদির অনেক সমর্থক। তাঁদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল প্রধানমন্ত্রীরই তৈরি স্লোগান – “আব কি বার ৪০০ পার”, “মোদি ৩.০” এবং “শিখ আমেরিকানস ফর মোদি”।

    ‘মোদি কা পরিবার মার্চ’

    “মোদি গ্যারান্টি”, “ইন্ডিয়া’জ থার্ড লার্জেস্ট ইকনোমি” লেখা পোস্টারও ছিল তাঁদের হাতে ধরা। সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, ‘ঐক্য ও সমর্থন, সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ার আইকনিক গোল্ডেন গেট ব্রিজে ৭ এপ্রিল সকাল ১১টায় হয়েছে মোদি কা পরিবার মার্চ।’ এঁদের হাতেও ছিল “আব কি বার ৪০০ পার” লেখা পোস্টার। এখানকার জমায়েতেও উপস্থিত ছিলেন শিশু থেকে বৃদ্ধ-সহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। মিছিলে যাঁরা হেঁটেছিলেন তাঁদের অনেকের গায়েই ছিল গেরুয়া পোশাক, বিজেপির ঝান্ডা, ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ড। যাঁরা এদিনের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন ‘বিজেপি-ইউএসএ ওভারসিজ ফ্রেন্ডস অফ বিজেপি ইউএসএ’-র তরফে তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদও জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল! অনন্তনাগ-রাজৌরিতে এবার ফুটবে পদ্ম?

    আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, “মোদি কা পরিবার মার্চ” কেবল যে মোদি ফের ক্ষমতায় ফিরুন চাইছে তা নয়, কর্মসূত্রে প্রবাসে বাস করলেও, স্বদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভবিষ্যতে অংশও নিতে পারেন তাঁরা (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Pinaki Bhattacharya: হিন্দু-বিরোধী প্রচার করছে মুসলমান বনে যাওয়া বামুনের ছেলে!

    Pinaki Bhattacharya: হিন্দু-বিরোধী প্রচার করছে মুসলমান বনে যাওয়া বামুনের ছেলে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম পিনাকি ভট্টাচার্য (Pinaki Bhattacharya)। ছিল বর্ণহিন্দু। বাংলাদেশি বামুনের ছেলে। ধর্ম বদলে সে-ই হয়ে যায় মুসলমান। শুধু তাই নয়, তালিবানি জামাতের আদর্শে উদ্ধুব্ধ হয়ে শুরু হয় ভারত-বিরোধী ও হিন্দু-বিরোধী প্রচার। পাশাপাশি, চলতে থাকে জাল ওষুধ থেকে শুরু করে চিনা যৌন-উদ্দীপক ট্যাবলেট এবং ইয়াবা সহ মাদক পাচার। এর পর বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হতেই স্বদেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। বর্তমানে ফ্রান্সে ঘাঁটি গেড়েছে এই হিন্দু-বিরোধী মুসলমান। ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মাধ্যম ব্যবহার করে সে চুটিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে ভারত বিরোধী প্রচার।

    পিনাকিকে অর্থ সাহায্য করছে কারা?

    জানা গিয়েছে, মুসলমান বনে যাওয়া পিনাকিকে অর্থ সাহায্য করছে জামাত-ই-ইসলামি। আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে যে বিএনপির, তারাও অর্থ সাহায্য করছে পিনাকিকে (Pinaki Bhattacharya)। তার জেরেই সে শুরু করেছে ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রোপাগান্ডা। তার চ্যানেলের দর্শকদের হিন্দু-বিরোধী ও ভারত-বিরোধী কাজ করতে উৎসাহ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। আমেরিকা, ইজরায়েল, ব্রিটেন, ইউরোপিয় ইউনিয়নেও হিন্দু ও ভারত বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে সে। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন, যারা জম্মু-কাশ্মীরে সক্রিয়, তারাও সমর্থন করছে পিনাকিকে। আফগান তালিবানের ঘোরতর বিরোধী সে।

    পিনাকির বায়োডেটা

    বাংলাদেশের বোগরা জেলার জলেশ্বরী তলায় ১৯৬৭ সালে জন্ম পিনাকির। বাবা শ্যামল ভট্টাচার্য ছিলেন স্কুল শিক্ষক। পড়াশোনায় ভালো পিনাকি ভর্তি হয়েছিল রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে। পাশ করে বের হয় ১৯৯২ সালে। অধঃপাতের সূত্রপাত সেখানেই। কলেজে পড়াকালীনই জামাতের সংস্পর্শে আসে পিনাকি। পরে হয় মুসলমান। এর পরেই পিনাকির সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক ছিন্ন করেন শ্যামলবাবু। পিনাকির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তার স্ত্রীও, যখন তিনি জানতে পারেন তাঁর স্বামীর যোগাযোগ রয়েছে আইএসআই, জিহাদি এবং জঙ্গিদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুুন: ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডের মূলে ধৃত ২ তৃণমূল নেতাই, বিবৃতি প্রকাশ এনআইএ-র

    ফ্রান্সে ঘাঁটি গেড়ে বসা পিনাকি হাওয়ালার ব্যবসা শুরু করেছে, সঙ্গে চালাচ্ছে ইউটিউব চ্যানেলও। তার চ্যানেলের সিংহভাগ দর্শকই অর্ধশিক্ষিত। মূলত বাংলাদেশি শ্রমিক যাঁরা কর্মসূত্রে ছড়িয়ে রয়েছেন মালয়েশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। সম্প্রতি একটি ভিডিওয় পিনাকির দাবি, বাংলাদেশের ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেন থামাতে ভারত প্রচুর অর্থ লগ্নি করেছে।

    ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি, পিনাকি উগ্রপন্থী। সেই হিন্দু এবং ভারত-বিরোধী সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি দিচ্ছে। হিন্দু ধর্মের অপমান করতে নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছে সে। হিন্দুদের সে বেজন্মা বলে গালিও দিচ্ছে। বাংলাদেশের যেসব মানুষ এবং সংবাদ মাধ্যম ভারতপন্থী, তাদেরও খিস্তি-খেউড় করছে সে। হিন্দু ধর্মকে ছোট করতে নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করছে পিনাকি। হিন্দুদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করতে বাংলাদেশি তরুণদের উদ্বুদ্ধও করছে এই বিধর্মী (Pinaki Bhattacharya)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share