Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: বন্ধু মোদিকে নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানালেন রুশ প্রেসিডেন্ট

    PM Modi: বন্ধু মোদিকে নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানালেন রুশ প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধু মোদিকে (PM Modi) নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পাশাপাশি দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছেও রাশিয়া থেকে এসেছে শুভেচ্ছাবার্তা। এক বিশেষ বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাপী একাধিক চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যেও ভারত এবং রাশিয়ার সম্পর্ক অটুট। এমনকী এই সম্পর্ক আরও নতুনভাবে মজবুত হয়েছে। গত কয়েক বছরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বেড়েছে।’’ এর পাশাপাশি ওই শুভেচ্ছা বার্তায় উল্লেখ রয়েছে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক, যৌথ প্রকল্পেরও। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে আগামী দিনের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই শুভেচ্ছা বার্তায়। প্রসঙ্গত চলতি বছরে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন বসে দিল্লিতে। এই শীর্ষ সম্মেলনেরও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে এবং এর জন্য ভারতের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে পুতিনের সাক্ষাৎ

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সম্প্রতি তাঁর রাশিয়া সফরে দেখা করেন ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। সূত্রের খবর, সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন পুতিন এবং তাঁর পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা না হওয়ায় আক্ষেপও করেন তিনি। জানা গিয়েছে, নতুন বছরে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) মোদিকে রাশিয়া যাওয়ার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন পুতিন। প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই রয়েছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। বুধবারই এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সাফল্য কামনা করেন ভ্লাদিমির পুতিন।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারী ভারত

    রাশিয়া ইউক্রেনের সমস্যায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে। দুই দেশকেই আলোচনা করে সমঝোতার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে পুতিন জয়শঙ্করের সফরের সময় বলেন, ‘‘আমি জানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) শান্তিপূর্ণভাবে ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট মেটাতে চান। ইউক্রেনে কী চলছে তা আমি ওঁকে বহুবার জানিয়েছি। এই নিয়ে আমরা একসঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। প্রয়োজনে অতিরিক্ত তথ্যও দেব।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Christmas 2023: এই সব দেশে বড়দিন পালন হয় না! জানেন কি?

    Christmas 2023: এই সব দেশে বড়দিন পালন হয় না! জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ক্রিসমাস (Christmas 2023) অর্থাৎ বড়দিন। ক্রিসমাস ডে হল খ্রিষ্টদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। ২৫ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই বড়দিন পালিত হয়।এদিন যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন উপলক্ষে জাঁকজমক উত্‍সব পালিত হয়। ক্রিসমাস শব্দটি এসেছে প্রাচীন ইংরেজি ক্রাইস্টস মাসেস শব্দ থেকে। যার প্রকৃত অর্থ হল খ্রিষ্টের জমায়েত। সারা বিশ্বব্যাপী খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা মেতে ওঠেন যীশুর আরাধনায়। ক্রিসমাস ট্রি, সান্টা ক্লজ আর নানা স্বাদের কেক উপহারে খ্রিষ্ট ধর্মের দেশগুলিতে লক্ষ্য করা যাবে উৎসবের জোয়ার।

    কিন্তু এমন কিছু দেশ রয়েছে যেখানে বড়দিন পালন করা হয় না। উল্লেখ্য, কেন এইসব দেশে বড়দিন নিষিদ্ধ সেটাও অবাক করার মতো। তবে উক্ত দেশগুলি নিজনিজ দেশের ধর্ম পালনের জন্য বড়দিন নিষিদ্ধ বলে জানা গিয়েছে। এই দেশগুলি হল- ভুটান, পাকিস্তান, সোমালিয়া, আফগানিস্তান, চিন, ইরান, উজবেকিস্তান, তুরস্ক, বাহরিন, লিবিয়া, কম্বোডিয়া, ইজরায়েল।

    ভুটান

    ভারতের প্রতিবেশী দেশ হল ভুটান। যা পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত ঘেঁষা একটি দেশ। এই দেশটি হিমালয়ের কোলে অত্যন্ত ছোট্ট দেশ। এই দেশের খ্রিষ্টান ধর্মের মানুষ এক শতাংশের কম। ভুটানের অধিকাংশ মানুষ হলেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষ। এই দেশের বার্ষিক ক্যালেন্ডার বড়দিনের (Christmas 2023) কোনও উল্লেখ নেই।

    পাকিস্তান

    পাকিস্তান একটি মুসলিম রাষ্ট্র। এই দেশের প্রধান ধর্ম ইসলাম। এই দেশে বড়দিন পালন করা হয় না। তবে এই দেশের সরকারি ছুটি থাকে ২৫  ডিসেম্বর (Christmas 2023)। এই দিনটি হল পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ আলি জিন্নার জন্মদিন। ফলে বড়দিন সেই ভাবে পালন করা হয় না এই দেশে।

    সোমালিয়া

    ২০১৫ সালে আফ্রিকা মাহাদেশের সোমালিয়া দেশের ধর্মীয় আইন বলবৎ হয়। আর সেই বছর থেকে বড়দিনের উৎসব বন্ধ হয়ে যায়। নিজেদের দেশের ধর্মীয় নিয়মের কারণে বড়দিন এখানে নিষিদ্ধ।

    আফগানিস্তান

    খ্রিষ্টান ধর্মের মানুষের কাছে প্রভু যীশুর আরাধনা হলেও মুসলমানরা এই দিনটিকে পালন করেন না। আফগানিস্তান মুসলমান রাষ্ট্র তাই সেখানে বড়দিনের উৎসব পালন করা নিষিদ্ধ। এই দেশে ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মের আচার পালন করা সম্পূর্ণ অপরাধের সমতুল্য বলে মনের করে বর্তমান তালিবান সরকার।

    চিন

    চিনে কোনও প্রকার ধর্ম পালন করা নিষিদ্ধ। চিনের কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত সরকার যে কোনও ধর্মীয় আচরণকে মান্যতা দেয় না। তাই বড়দিন ২৫ ডিসেম্বর (Christmas 2023) কোনও ছুটির দিন নয়। উৎসবের কোনও প্রভাব সেই দেশে দেখা যায় না।

    অন্যান্য দেশ

    এই দেশগুলি ছাড়াও বড়দিন বা ক্রিসমাস (Christmas 2023) পালন করা হয় না যে দেশগুলি তার মধ্যে হল— ইজরায়েল, লিবিয়া, তুরস্ক, বাহরিন, উজবেকিস্তান, ইরান। উল্লেখ্য প্রত্যেক দেশ তার নিজ ধর্ম ছাড়া অন্য ধর্মীয় উৎসব পালন নিষিদ্ধ করেছে।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Prague University Shooting: চেক প্রজাতন্ত্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকবাজের হামলা, নিহত ১৫, আহত ৩০ 

    Prague University Shooting: চেক প্রজাতন্ত্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকবাজের হামলা, নিহত ১৫, আহত ৩০ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেক প্রজাতন্ত্রে বন্দুকবাজের তাণ্ডব। প্রাগের উপকণ্ঠে গুলিবর্ষণে নিহত অন্তত ১৫ জন। আহত অন্তত ৩০ জন। প্রশাসন জানিয়েছে, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে বন্দুকবাজও। প্রাগের সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, এই ঘটনায় ন’জনের আঘাত গুরুতর। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলেই রয়েছে চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন, স্থাপত্য, শিল্পকলা বিভাগ। চেক প্রজাতন্ত্রের (Prague University Shooting) রাজধানী প্রাগে কেন চলল গুলি, তা এখনও বিশদে জানায়নি পুলিশ।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের বিবৃতি

    বৃহস্পতিবার ঠিক বিকেল ৩টে নাগাদ ওই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এতে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন সবাই। পুলিশ গুলি চালানোর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এক্স (সাবেক টুইটার)-এ প্রাগ (Prague University Shooting) পুলিশ লিখেছে, ‘‘আততায়ীকে নিকেশ করা হয়েছে। ওই বহুতলটি এখন খালি করা হয়েছে। বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। বহু জন আহত।’’ চেক প্রজাতন্ত্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভিট রাকুসন বলেন, ‘‘আততায়ীর মৃত্যু হয়েছে। অন্য কোনও বন্দুকবাজ ঘটনাস্থলে ছিল না। ফলে আর কোনও আশঙ্কা নেই। নাগরিকদের সহযোগিতা করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।’’ প্রাগের মেয়র বহুস্লাভ এসভোবোদা বলেন, ‘‘চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ যে বহুতলে রয়েছে, সেটি খালি করতে বলা হয়েছে।’’ প্রাগের উদ্ধারকারী দলের এক আধিকারিকের মতে, ‘‘অনেকে আহত হয়েছেন। তবে সেই নিয়ে কোনও তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।’’

    সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভিডিও

    গুলি চালনার (Prague University Shooting) ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওগুলিতে দেখা যাচ্ছে, বন্দুকবাজ একটি বহুতলের বারান্দায় বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে গুলি চালাচ্ছে। আতঙ্কে রাস্তায় ছুটোছুটি করছেন নাগরিকরা। অনেকে আবার ভয়ে বহুতলের কার্নিশে গিয়েও আশ্রয় নিয়েছেন। হামলাকারীর মৃত্যু হলেও এলাকায় বিপুল নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আশপাশের রাস্তা থেকেও মানুষজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের আপাতত ঘরে থাকতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: জেলে বসেই পাক সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ইমরান! ঘোষণা দলের

    Imran Khan: জেলে বসেই পাক সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ইমরান! ঘোষণা দলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দরজায় কড়া নাড়ছে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে সব রাজনৈতিক দলই।  জানা গিয়েছে, আজিআলা জেল থেকেই পাকিস্তানের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়কের পার্টি তেহরিক-ই-ইনসাফের তরফ থেকে বুধবারই একথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।

    ৩টি কেন্দ্র থেকে নির্বাচন লড়বেন ইমরান

    সে দেশের বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ নির্বাচনে লাহোর, ইসলামাবাদ এবং মিঁয়াওয়ালি এই তিনটি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ইমরান খান (Imran Khan)। প্রসঙ্গত, বর্তমানে ইমরান খানের বিরুদ্ধে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ বা রাষ্ট্রীয় স্তরে যে তথ্য গোপন রাখা দরকার তা ফাঁস করার অভিযোগেই মামলা চলছে। এছাড়া পাকিস্তানের তোশাখানা মামলাতেও তিনি অভিযুক্ত। পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের গোড়াতেই ‘তেহরিক-ই-ইনসাফ’-এর নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয় ইমরান খানের (Imran Khan) ঘনিষ্ঠ নেতা গৌহর আলি খানকে। সংগঠনের মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ করা হয় ওমর আয়ুব খানকে।

    আরও পড়ুন: সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেলেন দুই বঙ্গ-সন্তান স্বপ্নময় চক্রবর্তী, টুরিয়াচাঁদ বাস্কে

    কী বলছেন ইমরানের আইনজীবী?

    প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে তেহরিক-ই-ইনসাফ গঠন করা হয়। এই দল গঠিত হওয়ার পর থেকেই টানা এতদিন পর্যন্ত চেয়ারম্যান ছিলেন ইমরান খান। এই প্রথমবার জেলবন্দি থাকার কারণে ইমরানের পরিবর্তে সে দলের চেয়ারম্যান অন্য কাউকে করা হল। ইমরানের (Imran Khan) আইনজীবী সংবাদমাধ্যমকে বুধবার বলেন, ‘‘তোশাখানা মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ইমরানের আবেদনের ওপর ইসলামাবাদ হাইকোর্ট দ্রুত রায় ঘোষণা করবেন বলে আমরা আশা করছি। রায় ইমরানের পক্ষে গেলে ভোটে লড়তে কোনও বাধা থাকবে না।’’ পিটিআই-এর নতুন চেয়ারম্যান গৌহর বলেন, ‘‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ চাইলে আমাদের খানসাহেব অবশ্যই এই ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।’’ 

    আরও পড়ুুন: গ্যাসেও কাটমানি! আধার সংযোগ করতে মন্ত্রীর স্ত্রী নিচ্ছেন ২০০ টাকা! বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drinking Water: ৭৫ বছরের বৃদ্ধা, টানা ৫০ বছর দিব্যি বেঁচে আছেন চিনি মেশানো জল খেয়ে!

    Drinking Water: ৭৫ বছরের বৃদ্ধা, টানা ৫০ বছর দিব্যি বেঁচে আছেন চিনি মেশানো জল খেয়ে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জলই জীবন”। প্রাণী জগতের একটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা হল জল (Drinking Water)। কিন্তু আপনি কি সারা জীবন শুধু জল খেয়েই কাটাতে পারবেন? উত্তর অবশ্যই, না। আর শুধু জল খেয়ে মানুষের বাঁচার মেয়াদই বা কতদিন হতে পারে! কিন্তু যদি এমনটা হয়, শুধুমাত্র জল খেয়েই ৫০ বছর বেঁচে আছেন একজন? এমনটাই ঘটেছে বাস্তবে। জানা গিয়েছে, বুই তি লোই নামক বছর ৭৫ এর ভিয়েতনামের এক মহিলা বিগত ৫০ বছর ধরে শুধুমাত্র জল খেয়েই জীবন যাপন করছেন। আর এই খবর সম্প্রতি নেট দুনিয়াতে ছড়িয়ে পড়তেই উত্তাল গোটা বিশ্ব। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিগত ৫০ বছর তিনি কোনও খাবারই মুখে দেননি। কিন্তু কোনও খাবার ছাড়া তিনি কীভাবে বেঁচে আছেন, এই প্রশ্ন সবাইকে ভাবাচ্ছে। কারণ, তাঁর শারীরিক কোনও পরিবর্তন বা রোগজ্বালাও নেই।

    কেন এমন সিদ্ধান্ত তাঁর? (Drinking Water)

    ১৯৬৩ সালে ভিয়েতনামে এক যুদ্ধের সময় স্থানীয় অন্যান্য মহিলা সৈন্যদের সঙ্গে চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য তিনিও পাহাড়ে ওঠেন। কিন্তু এর পরে শুরু হয় বিপত্তি। হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হওয়াতে তিনি সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন ও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অন্যদিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরও বাড়তে থাকে, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তাঁদের পাহাড়ের ওপর আটকে থাকতে হয়। পরে জ্ঞান ফিরলেও তিনি এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা থেকে নিজেকে ভুলিয়ে রাখতে পারেননি। তিনি জানান, সেই মুহূর্তে জ্ঞান ফেরার পর থেকেই কিছু খেতে পারতেন না। তখন এক বন্ধু তাঁকে মিষ্টি পানীয় খাওয়াতে শুরু করেন। এর কিছু দিন পর আস্তে আস্তে তিনি অন্যান্য খাবারও খেতে শুরু করেন। কিন্তু খাওয়ার পর তাঁর শারীরিক অসুস্থতা আরও বাড়ছিল। এমনকী খাবারের গন্ধ নাকে এলে বমি পর্যন্ত আসছিল বুইয়ের। এরপর ১৯৭০ সাল থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি আর খাবার খাবেন না। আর নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তিনি সম্পূর্ণ পানীয়ের ওপর নির্ভরশীল হন। চিনি যুক্ত পানীয় (Drinking Water) তিনি খেতে শুরু করেন। যার ফলে এর থেকেই তাঁর শরীরে শক্তি উৎপন্ন হয়।

    ঘর ভর্তি শুধু পানীয়ের বোতল (Drinking Water)

    বুইয়ের বাড়িতে গেলে দেখা যায়, তাঁর বাড়ির বিভিন্ন প্রান্তে এবং রান্নাঘরে নানা রকম পানীয়ের (Drinking Water) বোতল। এমনকী ফ্রিজের ভিতর পানীয় বোতল ছাড়া আর কিছু থাকে না। বর্তমানে বুইয়ের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার সূত্রে বাইরে থাকেন। বাড়িতে তিনি একাই থাকেন। তাই রান্না করারও কোনও প্রয়োজন পড়ে না বলেই তিনি জানান। তাই গোটা ঘর ভর্তি পানীয়ের বোতলই তাঁর বেঁচে থাকার একমাত্র রসদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Unknown Gunmen: অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজদের হানায় পাকিস্তানে খতম লস্কর জঙ্গি হাবিবুল্লা

    Unknown Gunmen: অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজদের হানায় পাকিস্তানে খতম লস্কর জঙ্গি হাবিবুল্লা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বন্দুকবাজদের (Unknown Gunmen) হামলায় মৃত্যু হল পাকিস্তানের এক লস্কর জঙ্গির। জানা গিয়েছে, হাবিবুল্লা নামের ওই সন্ত্রাসবাদী, যে কিনা ভোলা খান ওরফে খান বাবা নামেও পরিচিত ছিল, লস্কর-ই-তৈবার রিক্রুটমেন্ট সেলে কাজ করত।

    উরি-পুলওয়ামা হামলায় জড়িত

    শনিবার সন্ধ্যায়, অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজের (Unknown Gunmen) হামলায় সে নিহত হয়। অসমর্থিত সূত্রের খবর, খাইবার পাখতুনখোয়া জেলার টঙ্ক এলাকায় হাবিবুল্লা তার বেশ কয়েকজন সহযোগী সমেত কোথাও একটা যাচ্ছিল। সেই সময় কয়েকজন বন্দুকবাজ তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, নিহত লস্কর-ই-তৈবার এই সন্ত্রাসবাদী পুলওয়ামা এবং উরি, এই দুই জায়গাতেই সেনাবাহিনীর উপর যে ভয়ঙ্কর হামলা হয়, তাতে অভিযুক্ত ছিল। জানা যাচ্ছে, হাবিবুল্লা ছিল ইমরান খানের দল পিটিআই-এর নেতা তথা প্রাক্তন পাক সাংসদ দাবর খান কুন্দির আত্মীয়।

    ২৩তম জঙ্গি নিকেশ

    জানা গিয়েছে, হাবিবুল্লার হত্যার খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ছুটে আসে ওই জায়গায়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, হাবিবুল্লার মৃত্যু হল পাকিস্তানে ২৩তম জঙ্গি নিকেশের ঘটনা। পাকিস্তানে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজদের (Unknown Gunmen) হাতে সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুর ঘটনা বেশ কয়েক মাসে বেড়েই চলেছে। এবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়াতে ঘটল ফের সন্ত্রাসবাদীদের ওপর হামলা। পাকিস্তানে জেলবন্দি এক জঙ্গির খাবারে দিন কয়েক আগে বিষ মেশানো হয়। ওই ঘটনার একমাস না যেতেই ফের বন্দুকবাজদের হামলায় সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যুর খবর সামনে এল।

    সম্প্রতি গুলি করে হত্যা করা হয় আদনান নামের জঙ্গিকে

    কয়েকদিন আগেই আদনান আহমেদেরকে নিকেশ করা হয়। সে ছিল হাফিজ সঈদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ২৬/১১ এর মূল চক্রী হল হাফিজ সঈদ। আদনানকে বাড়ির সামনেই গুলি করা হয়। প্রসঙ্গত, গতকাল সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে পোস্ট হতে থাকে যে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ১৯৯২ সালের মুম্বই বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড দাউদ ইব্রাহিমের। রবিবার পাকিস্তানের ইন্টারনেট (Unknown Gunmen) মাঝখানে বন্ধ হয়ে গেলে এটি আরও বৃহত্তর আকারে ছড়িয়ে পড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tour and Travel: বেড়ানোর ইচ্ছায় সাধের বাড়ি বিক্রি করে এখন ভাড়া বাড়িতে! কেন জানেন?

    Tour and Travel: বেড়ানোর ইচ্ছায় সাধের বাড়ি বিক্রি করে এখন ভাড়া বাড়িতে! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথাতেই আছে, ইচ্ছের দাম লক্ষ টাকা। স্বপ্ন দেখতে কার না ভালো লাগে? আর সেই স্বপ্ন পূরণ হলে তো আরও আনন্দের ব্যাপার। কিন্তু স্বপ্ন পূরণ করার প্রচেষ্টায় যদি সেটি জীবনের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে কী হবে? ঠিক এই রকমই এক ঘটনা ঘটেছে আমেরিকার বাসিন্দা এক মহিলা কেরি উইটম্যান-এর সাথে। নিজের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য তিনি তাঁর বাড়ি বিক্রি করে মাথার ছাদ পর্যন্ত হারিয়েছেন। আর তাঁর এই ঘটনাটি (Tour and Travel) গোটা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে হু-হু করে। কিন্তু কী এমন ঘটেছে যে তাঁকে এই দিনের মুখোমুখি হতে হয়েছে?

    কী এমন ঘটেছে? (Tour and Travel) 

    আমেরিকার বাসিন্দা কেরি উইটম্যান গত বছর একটি বিজ্ঞাপন দেখেন, যেখানে একটি ক্রুজে চড়ে বিশ্বের ১৪৮ টি দেশ ঘুরে দেখার কথা বলা হয়। সেখান থেকেই শুরু হয় কেরি উইটম্যানের স্বপ্ন পূরণের ইচ্ছা। ৩ বছর ধরে চলবে এই ক্রুজ ভ্রমণ। সমস্তটা জলপথের মাধ্যমেই বিশ্বের ১৪৮ টি দেশে পৌঁছানো হবে, এমনটাই জানানো হয়েছিল বিজ্ঞাপনে। আর এই সমস্ত ভ্রমণের জন্য ভ্রমণকারীর ১ লক্ষ ডলারের প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছিল ক্রুজ কোম্পানির তরফ থেকে। কিন্তু সেই মুহূর্তে কেরি উইটম্যানের কাছে অত টাকা না থাকায় তিনি তাঁর নিজের বাড়ি বিক্রি করে ৩২ হাজার ডলার অগ্রিমের বিনিময়ে (ভারতীয় মুদ্রায় ২৬ লক্ষ ৬৬ হাজার ৭৮৪ টাকা) একটি টিকিট কাটেন। তিনি এই ভেবে তাঁর সিদ্ধান্তে এগিয়ে যান যে, আগামী ৩ বছর ধরে চলবে এই ভ্রমণ। এই তিন বছর তিনি তাই জাহাজেই কাটিয়ে দেবেন এবং সেই জাহাজ থেকেই অফিসের অনলাইন কাজও করতে পারবেন। আবার পরবর্তীতে ভ্রমণ (Tour and Travel) শেষে নিজে অন্য বাড়ি কিনে বসবাস করবেন.

    এবারই আসল বিপত্তি

    বহু বছর থেকেই ক্রুজে চড়ে বিশ্ব ভ্রমণের (Tour and Travel) ইচ্ছা তাঁর। কিন্তু তাঁর এই স্বপ্ন হঠাৎই দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়। ২০২২ সালে স্বপ্ন পূরণ করতে বাড়ি বিক্রি করে ওই টাকা তিনি ‘লাইফ অ্যাট সি ক্রুজ’ কোম্পানিতে জমা করেন। কোম্পানির তরফ থেকে জানানো হয়, আগামী ১লা নভেম্বর ইস্তানবুল থেকে যাত্রা শুরু করবে ক্রুজটি। কিন্তু সেই তারিখ বদলে যায় হঠাৎ। জানানো হয়, সেই ভ্রমণের তারিখটি পরিবর্তন হয়ে ১১ তারিখ হবে। দুর্ভাগ্যবশত আবার পরিবর্তন হয় এই তারিখ ৩০ তারিখে। আবার পরবর্তীতে কোম্পানি জানায়, এই যাত্রাটি আর হচ্ছে না, বাতিল করা হয়েছে। ক্রুজটির নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় এটি বাতিল করা হয়।

    বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছেন

    আর এবারেই মাথায় হাত পড়ে কেরি উইটম্যানের। ইতিমধ্যে তিনি তাঁর বাড়ি বিক্রি করে ফেলেছেন। মাথা গোঁজার ঠাঁই পর্যন্ত নেই। কোম্পানির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কয়েক মাসের মধ্যে সমস্ত টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু ততদিন উইটম্যান একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছেন। তাঁর দেওয়া টিকিটের (Tour and Travel) অগ্রিম ৩২ হাজার ডলার হাতে পাওয়া এখনও অনিশ্চিত। হয়তো একই বলে অতি লোভে তাঁতি নষ্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indonesia: ইন্দোনেশিয়ায় ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাত, ১১ জন পর্বতারোহী মৃত, আরও ১২ নিখোঁজ

    Indonesia: ইন্দোনেশিয়ায় ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাত, ১১ জন পর্বতারোহী মৃত, আরও ১২ নিখোঁজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) জাভাতে ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাত। আর তাতেই মৃত্যু হল ১১ জন পর্বতারোহীর। সোমবার ভোররাতের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যায়নি ১২ জন পর্বতারোহীর। ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসন এবং উদ্ধারকারী দল আশঙ্কা করছে যে ওই ১২ জন যাঁদের সন্ধান মেলেনি, তাঁরাও খুব সম্ভবত মারা গিয়েছেন।

    ৭৫ জন পর্বতারোহীর দল গিয়েছিলেন মাউন্ট মেরাপিতে 

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই ভয়াবহ ভূমিকম্পতে কেঁপে উঠেছিল ইন্দোনেশিয়া (Indonesia)। রবিবারই মাউন্ট মেরাপি আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাত শুরু হয়। জানা গিয়েছে, আগ্নেয়গিরির লাভা প্রায় তিন কিলোমিটার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এসময় প্রশাসনের তরফে আগ্নেয়গিরির আশেপাশে থাকা মানুষজনদেরকে উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। একই সঙ্গে উদ্ধার কাজ চলতে থাকে পর্বতারোহীদেরও। এরই মধ্যে খবর আসে ১১ জনের মৃত্যুর। ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) উদ্ধারকারী দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবারই ৭৫ জন পর্বতারোহীর দল মাউন্ট মেরাপিতে গিয়েছিলেন। তিন ডিসেম্বর থেকেই আগ্নেয়গিরিতে লাভা বের হতে থাকে। প্রায় তিন হাজার মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আকাশে ছড়িয়ে পড়ে আগ্নেয়গিরির ছাইভস্ম। আশেপাশের গ্রামে গিয়েও পড়ে এই ছাই। এর ফলেই আটকে যায় পর্বতারোহীর দলটি।

    ১৩০টি আগ্নেয়গিরির দেশ ইন্দোনেশিয়া

    জানা গিয়েছে উদ্ধার কাজ শুরু হওয়া মাত্রই ৫৪ জনকে সেখান থেকে সরাতে সমর্থ হয় উদ্ধারকারী দল। কিন্তু আগ্নেয়গিরির কাছ থেকে ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আরও তিনজনকে সেখান থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। উদ্ধারকারী দলের তরফে আরও জানানো হয়েছে যাদেরকে উদ্ধার করা গিয়েছে তাদের শরীরের ৫০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। জখমদের মধ্যেও বেশ কয়েকজনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। ইন্দোনেশিয়াকে (Indonesia) দেশকে রিং অফ ফায়ারের অন্যতম দেশ বলা হয়। ১৩০টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে এখানে। ১৫৪৮ সাল থেকেই এখানে নিয়মিত অগ্নুৎপাত হয়ে আসছে বলে জানা যায়। ১৯৬৯ সালে মাউন্ট মেরাপিতে এক ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাতে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lakhbir Singh Rode: পাকিস্তানে মৃত ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ খালিস্তানি জঙ্গি নেতা লখবীর সিং রোড

    Lakhbir Singh Rode: পাকিস্তানে মৃত ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ খালিস্তানি জঙ্গি নেতা লখবীর সিং রোড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা লখবীর সিং রোডের (Lakhbir Singh Rode) মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতের ভাই জশবীর সিং রোড আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানিয়েছেন। ৭২ বছর বয়সী জঙ্গি নেতা লখবীর নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘খালিস্তান লিবারেশন ফোর্স’ এবং ‘ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশন’ এই দুটি সংগঠনকে পরিচালনা করতেন বলে জানা গিয়েছে। 

    ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা ছিলেন লখবীর

    পাকিস্তানের বসেই এই জঙ্গি নেতা (Lakhbir Singh Rode) সে দেশের সরকারের মদতে, ভারত বিরোধী নানা কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল। লখবীর (Lakhbir Singh Rode) ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকাতেও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। জানা যায়, প্রথমে এই জঙ্গি নেতা ভারত ছাড়ার পরে দুবাইতে আশ্রয় নেন এবং পরবর্তীকালে তিনি পাকিস্তানে চলে আসেন। সেখানে বসেই চলতে থাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজ। জানা যায়, ‘অপারেশন ব্লু স্টার’-এর সময় নিহত জঙ্গিনেতা ভিন্দ্রেলওয়ালের সম্পর্কে তিনি ভাইপো হতেন।

    লখবীরের সম্পর্কে আরও বেশ কিছু তথ্য

    ১) ভারত-নেপাল সীমান্তে খালিস্তান জিন্দাবাদ সেলকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন লখবীর। ভারতের অভ্যন্তরে খালিস্তানপন্থীদের সমর্থন বাড়ানো ও সম্প্রীতির পরিবেশ বিনষ্ট করতে এই সেল কাজ করত বলে জানা যায়।

    ২) জানা যায় লখবীর সিং রোড (Lakhbir Singh Rode) একাধিকবার পাকিস্তানি সরকারের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন এবং ভারতের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন। পাকিস্তানি এই জঙ্গি নেতা একবার কুড়ি কেজি আরডিএক্স সমেত গ্রেফতারও হয়েছিলেন। তখন তিনি বলেন যে, এই আরডিএক্স তাঁকে পাকিস্তানি দূতাবাস থেকে দেওয়া হয়েছে।

    ৩) ভারতে থাকা বিভিন্ন ভিভিআইপিদের টার্গেট করতে অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে লখবীরের বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি নানা বেআইনি পাচার কাজে লখবীরের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

    ৪) মৃত জঙ্গিনেতার ছেলে ভাগ্গু ব্রার বসবাস করেন কানাডায়। সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • China Dam: ব্রহ্মপুত্রে বাঁধ, নেপাল-ভারত-বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জল-যুদ্ধ ঘোষণা চিনের?

    China Dam: ব্রহ্মপুত্রে বাঁধ, নেপাল-ভারত-বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জল-যুদ্ধ ঘোষণা চিনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রহ্মপুত্রে চিনের বাঁধ (China Dam) বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি ও কৃষির বিপর্যয় ডেকে আনবে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কেন তাঁরা বলছেন এমন কথা? এটা বুঝতে হলে আমাদের যেতে হবে ব্রহ্মপুত্রের উৎস-সন্ধানে। জানতে হবে রুট। অনেকেই জানেন, ব্রহ্মপুত্র একটি আন্তঃসীমান্ত নদ, অর্থাৎ একাধিক দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত এর ধারা। চিন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র। শুধু এশিয়া নয়, বিশ্বের নদীগুলির সঙ্গে তুলনাতেও ব্রহ্মপুত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দৈর্ঘ্যে বিশ্বের ১৫ তম নদটি জল বহনে বিশ্বের নবম। হিমালয়ের উত্তরাংশে কৈলাস পর্বতের কাছে মানস সরোবরে উৎস ব্রহ্মপুত্রের। এরপর এটি ইয়ার-লুং জাংবো নামে প্রবাহিত হচ্ছে চিন-তিব্বতের পূর্বাঞ্চল দিয়ে। এরপর ভারতের অরুণাচল প্রদেশে শিয়াং নামে এটি বহমান। সেখান থেকে অসমে যখন ঢুকছে, সেখানে তার নাম দিহাং। এই অসমেই সে পাচ্ছে নতুন জলের স্রোত। দিবং ও লোহিত-দুটি বড় নদী এসে মিশছে সেই ধারায়। আর ব্রহ্মপুত্র নামে নেমে আসছে সমতলে। অসম অববাহিকাকে অতিক্রম করে ব্রহ্মপুত্র যখন বাংলাদেশে ঢুকছে, তখন পুরানো নামে কিছুটা প্রবাহিত হওয়ার পর সে নাম নিচ্ছে যমুনা। এই যমুনা মিশছে বঙ্গোপসাগরে। এই গোটা পথ আসতে ব্রহ্মপুত্রকে পার হতে হয়েছে ২ হাজার ৮৫০ কিলোমিটার পথ।

    ব্রহ্মপুত্র নদের গুরুত্ব

    বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। সব মিলিয়ে মোট ৩১০টি নদী রয়েছে। এর মধ্যে আন্তঃসীমান্ত বা আন্তর্জাতিক নদীর সংখ্যা ৫৭টি। যার ৫৪টি ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত। বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি ও কৃষিপ্রধান অর্থনীতি-সব দিক দিয়ে আন্তর্জাতিক নদীগুলির ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদ তথা যমুনা নদীর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।

    এটাই প্রথম নয়

    বিশ্বব্যপী জ্বালানি সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এখন প্রায় সব দেশই বিকল্প জ্বালানি, বিশেষ করে জলবিদ্যুতের দিকে ঝুঁকছে। একই পথে এগোচ্ছে এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী দেশ চিন। ব্রহ্মপুত্র নদের নিজেদের অংশে ইয়ার-লুং জাংবোর ওপর আড়াআড়ি বাঁধ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে চিন (China Dam)। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগে বেজিং অন্তত আটটি বাঁধ দিয়ে বেঁধে ফেলেছে ইয়ার-লুং জাংবোকে। যার মধ্যে কয়েকটি এরই মধ্যে চালু হয়ে গেছে। বাকিগুলির কাজ চলছে। বেজিং-এর পরিকল্পনা, ইয়ার-লুং জাংবোর ওপরে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলবে। যা ৭০ গিগাবাইট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম এবং ওই দেশের বর্তমান তিনটি বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পেরও তিনগুণ বড়। প্রশ্ন হল, তাহলে কি নেপাল-ভারত-বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জল-যুদ্ধ ঘোষণা করল চিন?

    জলে চিনের আধিপত্য অর্জনের লক্ষ্য (China Dam)

    এর আগে, চিন মেকং নদীর উপর এগারোটি মেগা-ড্যাম নির্মাণ করেছে। যার ফলে মিয়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামে কোনও পূর্ব সংকেত ছাড়াই জলের স্তর ব্যাপক ভাবে ওঠানামা করছে। একেবারে নিম্নভাটির অঞ্চল বাংলাদেশের অবস্থাও সঙ্কটে। কৃষিনির্ভর দেশ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এর প্রভাব পড়তে চলেছে। খুবই রক্ষণশীল একটা হিসেব জানাচ্ছে, হিমালয়ের হিমবাহগুলিতে, যেগুলি আসলে হিমবাহ থেকে সৃষ্ট নদীগুলির জলের উৎস, সেখানে কম বেশি ১০০টি বাঁধ ও জলবিদ্যুত প্রকল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে চিন। সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র এবং মেকং নদীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে চিন প্রচুর সংখ্যক বাঁধ (China Dam) এবং ডাইক নির্মাণ করেছে। তিব্বত দখল করে, চীন ১৮টি দেশে প্রবাহিত নদীগুলির সূচনা পয়েন্টগুলি দখল করেছে। চিন কয়েক হাজার বাঁধ তৈরি করেছে, যা হঠাৎ করে জল ছেড়ে দিয়ে বন্যার সৃষ্টি করতে পারে বা কল বন্ধ করে খরা সৃষ্টি করতে পারে। এইভাবে নদীর বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করে এবং স্বাভাবিক মানবজীবনকে ব্যাহত করে চিন ব্রহ্মপুত্র নদে আরও চারটি বাঁধ তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে, যা নদীর প্রবাহকে প্রভাবিত করবে। চিন্তা শুধু বাংলাদেশ-নেপাল বা ভারত, এই তিন দেশের নয়। পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূগোলটাকেই বদলে দিতে পারে চিনের এই পরিকল্পনা আর জলে আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা।

    কী হতে চলেছে ফলাফল? (China Dam)

    প্রথমত, এর সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব হতে পারে মারাত্মক, যার ফলে মধ্য ও নিম্ন অববাহিকায় বন্যা-খরা ঘটিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা হাতে পেয়ে যেতে পারে চিন। দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক ও সামরিক প্রভাবও কম নয়। এটি একাধারে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয় দেশগুলির ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার নীতি। তৃতীয়ত, বাণিজ্যিক প্রভাব কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। দক্ষিণ পূর্ব এশিয় দেশগুলির বাজারগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা এতে অনেকটাই সহজ হবে চিনের পক্ষে । চতুর্থত, ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক প্রভাব, যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নিজস্ব ভূগোল-প্রকৃতি-আবহাওয়া-জলবায়ুর বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share