Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • PM Modi: অস্ট্রিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি, কতটা তাৎপর্যপূর্ণ? কী কী বিষয়ে আলোচনা?

    PM Modi: অস্ট্রিয়া সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি, কতটা তাৎপর্যপূর্ণ? কী কী বিষয়ে আলোচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া সফরের মাঝেই দু’দিনের অস্ট্রিয়া (Vienna) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ৯ জুলাই, মঙ্গলবার ভিয়েনায় যাবেন তিনি। সেখানে অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার ভ্যান ডার বেলেন এবং চ্যান্সেলর কার্ল নেহামারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। দুই রাষ্ট্রপ্রধানই ভারত এবং অস্ট্রিয়ার ব্যবসায়ী নেতাদের সামনে ভাষণ দেবেন। প্রসঙ্গত, গত ৪০ বছর পর এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পা রাখছেন ভিয়েনায়। মোদির আগে এই দেশে পা রেখেছিলেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, ১৯৮৩ সালে।

    দ্বিপাক্ষিক আলোচনা (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রীর অস্ট্রিয়া সফরের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে বিদেশ সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা জানান, অস্ট্রিয়া মধ্য ইউরোপের একটি দেশ। পরিকাঠামো, পুনর্নবীকরণ শক্তি, উচ্চ প্রযুক্তি ক্ষেত্র, স্টার্ট আপ সেক্টর, মিডিয়া এবং এন্টারটেনমেন্ট ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বড় সুযোগ রয়েছে। ভারত-অস্ট্রিয়া বাণিজ্য এবং লগ্নি-লিঙ্কেজের ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি। কাটরা বলেন, “দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আমরা আশাবাদী। আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়েও আলোচনা হবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। মিউচুয়াল ইন্টারেস্ট এবং অংশীদারিত্বের সুযোগ কীভাবে আরও প্রসারিত করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হবে দুই দেশের।”

    ভারত-অস্ট্রিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বর্ষ পূর্তি

    সোমবারই রাশিয়া সরকারের আমন্ত্রণে মস্কোয় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই রাতেই তাঁর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মোদি-পুতিনের এই সাক্ষাৎকার ছিল ২২তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলন শেষেই অস্ট্রিয়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। চলতি বছর ভারত-অস্ট্রিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বর্ষ পূর্তি। ১৯৫৫ সালে অস্ট্রিয়ায় প্রথম পা রাখেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহরু। তবে প্রধানমন্ত্রী না গেলেও, বিভিন্ন সময় ভারতের রাষ্ট্রপতিরা গিয়েছেন অস্ট্রিয়া সফরে।

    আর পড়ুন: বিপত্তারিণী পুজোয় তেরো সংখ্যার বিশেষ তাৎপর্য আছে, কেন জানেন?

    ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর অস্ট্রিয়া সফরে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর এই চারদিনের সফরে পাঁচটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ভারত ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে। অস্ট্রিয়া সফরের আগে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “অস্ট্রিয়ার চান্সেলরের সঙ্গে একযোগে আমি পারস্পরিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজতে দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময়ের জন্য মুখিয়ে রয়েছি। অস্ট্রিয়ায় (Vienna) বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে আমি উন্মুখ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ‘‘ভারতবাসীর হিতে সময় নষ্ট না করে আপনি সিদ্ধান্ত নেন’’, মোদির প্রশংসায় পুতিন

    PM Modi: ‘‘ভারতবাসীর হিতে সময় নষ্ট না করে আপনি সিদ্ধান্ত নেন’’, মোদির প্রশংসায় পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের উন্নতিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)৷ সেকারণেই দেশের জনগণ তাঁকে ফের নেতা হিসেবে মনোনীত করেছেন৷ এমনই অভিমত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য সোমবার মস্কো পৌঁছেছেন মোদি৷ বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ডেনিস মান্তুরভ। এদিন নিজের সরকারি বাসভবন নভো-ওগারিওভোতে মোদিকে একান্ত নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান পুতিন (Vladimir Putin)৷ সেখানেই দুই নেতার মধ্যে দীর্ঘক্ষণ একান্তে আলোচনা হয়।

    মোদি-পুতিন আলাপ (Modi-Putin Meeting)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সম্মানে সোমবার নৈশভোজের আয়োজন করেনরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। সেখানে ভারতে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে৷ সেই প্রসঙ্গে পুতিন জানান, দেশের স্বার্থে নিজের পুরো জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি৷ দেশের মানুষ সেই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন৷ পুতিন বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য আপনাকে অভিনন্দন৷ তবে এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই ৷ আপনার দীর্ঘ কয়েক বছরের কাজের ফলস্বরূপ দেশের জনগণ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আপনি একজন অত্যন্ত কর্মঠ ব্যক্তি৷ আপনার নিজস্ব কিছু ধারণা এবং মতামত রয়েছে৷ ভারত তথা ভারতবাসীর হিতে আপনি সময় নষ্ট না করে যেকোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ৷’’

    মোদির বার্তা

    রাশিয়া পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) লেখেন, ‘‘আগামিকাল দু’দেশের আলোচনার অপেক্ষায় রয়েছি ৷ আমার বিশ্বাস এই আলোচনার মাধ্যমে ভারত ও রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’’ এদিনের একান্ত সাক্ষাৎকারকে ‘‘দুই ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বস্ত বন্ধুর বৈঠক’’ বলে উল্লেখ করে বিদেশমন্ত্রক৷ প্রসঙ্গত, গত এক দশকে এটি ছিল মোদি এবং পুতিনের ১৭তম বৈঠক। যদিও ২০১৫ সালের পর এই প্রথম আবার মস্কোয় গেলেন প্রধানমন্ত্রী। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মোদীর দু’দিনের এই রাশিয়া সফরে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা। মঙ্গলে ভারত-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন দুই রাষ্ট্রনেতা।

    শঙ্কিত চিন ও পশ্চিম বিশ্ব

    ভারত-রাশিয়া বন্ধুত্ব নিয়ে শঙ্কিত চিন। এশিয়ার মাটিতে ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সুসম্পর্ক ভালো চোখে দেখে না বেজিং। অন্যদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মোদির-রাশিয়া (PM Modi) সফর মেনে নিতে পারছে না পশ্চিম দুনিয়াও। রাশিয়ার মাটিতে পা রাখার পরে এক্স হ্যান্ডলে মোদি লেখেন, ‘‘আমরা দু’দেশের মধ্যে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারি আরও গভীর করার জন্য উন্মুখ। বিশেষত, ভবিষ্যতের সহযোগিতার ক্ষেত্রে।’’ এদিন রাশিয়াই প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indians in Russian Army: বড় কূটনৈতিক জয় মোদির, রুশ সেনায় যুক্ত ভারতীয়দের ফেরত পাঠাবেন পুতিন

    Indians in Russian Army: বড় কূটনৈতিক জয় মোদির, রুশ সেনায় যুক্ত ভারতীয়দের ফেরত পাঠাবেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জোর করে ভারতীয়দের রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে। অন্য কাজের প্রলোভনে তাঁদেরকে রাশিয়াতে নিয়ে গিয়ে সেনাবাহিনীতে (Indians in Russian Army) জোর করে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হতে থাকে। এই ঘটনায় যুদ্ধক্ষেত্রে নিহতও হয় বেশ কয়েকজন ভারতীয়। বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে ভারত সরকার। এবার এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে চলেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) বর্তমানে রয়েছেন রাশিয়া সফরে। এ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আর তারপরেই রাশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিল পুতিন সরকার। এই ঘটনা ভারতের একটা বড় কূটনৈতিক জয় (Indians in Russian Army)  হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    সোমবারে রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী (Indians in Russian Army) 

    প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবারে রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী (Modi)। সেখানে দুজনের মধ্যে একান্ত  কিছুক্ষণ কথা হয়। নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে নিজেদের মধ্যে মত নিয়ে বিনিময় করেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। এখানে অন্যতম বিষয় ছিল রুশ সেনায় ভারতীয়দের নিয়োগ (Indians in Russian Army)। এ নিয়ে পুতিনের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। আর প্রধানমন্ত্রীর আবেদনের সাড়া দিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রুশ সরকার।

    গত ফেব্রুয়ারি মাসেই বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, ২০ জন ভারতীয় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন 

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ আড়াই বছর হতে চললেও এখনও শেষ হয়নি। সেই যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াই করতে গিয়ে সাম্প্রতিককালে প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক ভারতীয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, ২০ জন ভারতীয় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, রাশিয়াতে সেনাবাহিনীতে যাঁদেরকে জোর করে কাজে লাগানো হয়েছে। এরপরে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার সমস্ত রকমের চেষ্টা করা হয়। জানা গিয়েছে, দুবাইকেন্দ্রিক একটি সংস্থার মাধ্যমে রাশিয়া সেনাবাহিনীতে ভারতীয়দের নিয়োগ করা হত। ইউটিউব বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁদের কাছে প্রলোভনের ফাঁদ পাতা চলত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi In Russia: মস্কোয় রাজকীয় অভ্যর্থনা মোদিকে, কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi In Russia: মস্কোয় রাজকীয় অভ্যর্থনা মোদিকে, কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিনের রাশিয়া সফরে সোমবার মস্কোয় পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi In Russia)। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় রুশ সরকারের তরফে (India Russia Trade)। রাশিয়ায় মোদি যে হোটেলে থাকবেন, সেখানে পৌঁছতেই হিন্দি গানের তালে নেচে তাঁকে স্বাগত জানান রাশিয়ান শিল্পীরা।

    স্বাগত জানালেন ফার্স্ট ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার (PM Modi In Russia)

    এদিন বিমানবন্দরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন সে দেশের ফার্স্ট ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার ডেনিস মান্তুরোভ। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে স্বাগত জানাতেও বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন তিনি। এদিন মান্তুরোভ একই গাড়িতে চড়ে হোটেলে নিয়ে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। মোদি যে হোটেলে গিয়ে উঠেছেন, তার বাইরে দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছিলেন প্রবাসী ভারতীয়রা। তাঁরাও স্বাগত জানান তাঁকে। এক্স হ্যান্ডেলে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “মস্কোয় স্মরণীয় অভ্যর্থনা! তাঁদের ভালোবাসার জন্য ভারতীয় সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ।”

    মোদি-পুতিন বৈঠক

    দু’দিনের এই সরকারি সফরে মঙ্গলবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন মোদি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই বৈঠকের আগে এদিন মোদির সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসবেন। রাশিয়ায় ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি।’

    আর পড়ুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টেও মুখ পুড়ল রাজ্যের, কী বলল শীর্ষ আদালত?

    মোদির সম্মানে বিশেষ গুজরাটি খানা

    মোদির মস্কো সফর ঘিরে উচ্ছ্বাসের সীমা নেই প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে (PM Modi In Russia)। সেখানে একটি রেস্তরাঁ চেন চালান এক ভারতীয়। প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে মেনুতে তিনি নিয়ে এসেছেন গুজরাটি খানা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যেসব প্রতিনিধি আসবেন, তাঁদের জন্য এই সংস্থাই বানাচ্ছে নয়া কিছু গুজরাটি ডিশ। প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে কত্থকও নাচবেন রুশ নৃত্যশিল্পীরা। এদিন রাশিয়া রওনা হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে শক্তি, নিরাপত্তা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, পর্যটন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য ও জনগণের মধ্যে বিনিময়ের ক্ষেত্র-সহ বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিত্ব গত দশ বছরে অনেক এগিয়েছে। আমি আমার বন্ধু প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সমস্ত দিক পর্যালোচনা এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে মত বিনিময় করে নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল অঞ্চলের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করতে চাই (PM Modi In Russia)।”

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের পর এই প্রথম রাশিয়া সফরে গিয়েছেন মোদি। যদিও ২০০০ সালে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি মোতাবেক ভারত ও রাশিয়ার (India Russia Trade) রাষ্ট্রপ্রধানদের বছরে একবার করে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার কথা (PM Modi In Russia)। এদিকে, রাশিয়া সফর সেরে প্রধানমন্ত্রী যাবেন অস্ট্রিয়ায়। তবে এদিন যখন মোদি পা রাখেন মস্কোভা নদীর তীরের শহরে, তখন ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় হত হয়েছেন ২০ জন। যার জেরে খানিক অস্বস্তিতে রুশ প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • France Election 2024: ফ্রান্সের কুর্সি দখলে এগিয়ে বামপন্থীরা, অশান্তির আগুন স্যেন নদীর পাড়ে

    France Election 2024: ফ্রান্সের কুর্সি দখলে এগিয়ে বামপন্থীরা, অশান্তির আগুন স্যেন নদীর পাড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই অশান্ত ফ্রান্স (France Election 2024)। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হয় ৭ জুলাই, রবিবার। সেই নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী পদে জয়ের পথে বামপন্থীরা। কার্যত তার পরেই অশান্ত (Riots) হয়ে ওঠে দেশ। রাজধানী প্যারিস-সহ দেশের একাধিক শহরে ঘটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা। বিক্ষোভ সামাল দিতে নামানো হয় বাহিনী। জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন পুলিশ কর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। উন্মত্ত জনতাকে ছত্রখান করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ।

    জয়ী বামেরা (France Election 2024)

    ফ্রান্সে প্রথম দফার নির্বাচনে এগিয়ে ছিলেন দক্ষিণপন্থীরা। ভোট বিশেষজ্ঞরাও মনে করেছিলেন, এবার ফ্রান্সের রশি থাকবে ডানপন্থীদের হাতে। যদিও রবিবার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের ফল বের হলে দেখা যায়, বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বামেরা। ফ্রান্সের পার্লামেন্টে আসন রয়েছে ৫৭৭টি। সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৮৯টি আসন। ফল ঘোষণার পর দেখা যায়, জয়ী হয়েছে বামপন্থী জোট এনএফপি। তবে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি তারা। এনএফপির পরেই রয়েছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর মধ্যপন্থী জোট এনএস। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে উগ্র দক্ষিণপন্থী দল আরএন।

    অশান্তির আগুন ফ্রান্সে

    কোনও একটি দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ফ্রান্সে হতে চলেছে হ্যাং পার্লামেন্ট বা ত্রিশঙ্কু। ফ্রান্সের (France Election 2024) এই তিন দল অতীতে এক সঙ্গে সরকার চালিয়েছে, এমন নজির নেই। তাই ঠিক কী হবে, তা নিয়ে আগাম কিছু বলতে পারছেন না ফ্রান্সের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। তবে যেহেতু বামপন্থারী সব চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে, তাই তাদের নেতৃত্বেই গঠিত হতে পারে সরকার। এই আশঙ্কা থেকেই দেশটিতে জ্বলছে অশান্তির আগুন।

    আর পড়ুন: বোসের গায়ে ‘কালির ছিটে’! দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    ভারতের মতো ফ্রান্সেও আরএনকে ঠেকাতে জোট গড়ে সোশ্যালিস্ট, পরিবেশবাদী, কমিউনিস্ট এবং কট্টর বামপন্থী দল এলএফআই। জোটের নাম হয় ‘এনএফপি’। নির্বাচনের আগে এই দলগুলো সব সময় একে অন্যের সমালোচনায় মুখর থাকত। দক্ষিণপন্থীদের সরকারে আসা রুখতেই জোট বাঁধে তারা। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় এগিয়ে এই জোটই।

    প্রসঙ্গত, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রঁর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালে। যে বামপন্থী জোট ক্ষমতায় আসতে চলেছে, তাদের (Riots) নীতির সঙ্গে মাক্রঁর দলের নীতির ফারাক বিস্তর। তাই বামপন্থীদের মধ্যে থেকে কেউ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর যে ‘ঠান্ডা লড়াই’ চলতেই থাকবে, তা বলাই বাহুল্য (France Election 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jon Landau: ক্যান্সারে ভুগে প্রয়াত টাইটানিকের অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক জন ল্যান্ডিন

    Jon Landau: ক্যান্সারে ভুগে প্রয়াত টাইটানিকের অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক জন ল্যান্ডিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলচ্চিত্র দুনিয়ায় শোকসংবাদ। প্রবীণ চলচ্চিত্র পরিচালক জন ল্যান্ডো (Jon Landau) প্রয়াত হয়েছেন। যিনি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী মূলক চলচ্চিত্র ‘অ্যাভাটার’ এবং ‘টাইটানিক’-এর মতো হলিউডে সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন। মাত্র ৬৩ বছর বয়সে জীবনাবসান হয়েছে তাঁর। এই সংবাদ প্রকাশ্যে আসতেই চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোক প্রকাশ করেছেন বিখ্যাত পরিচালক জেমস ক্যামরন। তবে কী ভাবে মারা গিয়েছেন এই পরিচালক, তা এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। মৃত্যুর কারণ শুধু ক্যান্সার বলা হয়েছে।

    ‘অবতার ২’-তে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন (Jon Landau)

    জেমস ক্যামরনের চলচ্চিত্র ‘অবতার ২’ সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। ১৯৯৭ সালে বিখ্যাত চলচ্চিত্র টাইটানিক ছবিতেও অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। সেই সময় জনকে অনেকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তিনি তিনবার অস্কার পুরস্কার পেয়েছিলেন। একই সঙ্গে সেরা পুরস্কারও জিতে ছিলেন। এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে জেমস ক্যামেরনেরও পূর্ণ অবদান ছিল।

    প্রোডাকশন ম্যানেজার দিয়ে কাজ শুরু (Jon Landau)

    জন কর্মজীবনে প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। প্রসঙ্গত, জন ল্যান্ডিউ তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ১৯৮০ সালে। তিনি কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার সঙ্গে চলচ্চিত্র প্রযোজক হওয়ার যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি বিখ্যাত পরিচালক জেমস ক্যামেরনের সঙ্গে বিশাল ব্যয়ের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তাঁরা ১১ বার অস্কার মনোনয়ন পেয়েছিলেন। জনের দুই ছেলে জেমি ল্যান্ডো এবং জোডি। তাঁর স্ত্রীর নাম জুলি। তাঁদের রেখে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন জন।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর প্রচলন এখানেই! বাংলাদেশের মেধস মুনির আশ্রমের জমি দখলের অভিযোগ

    পুত্রের শোক প্রকাশ

    প্রযোজকের ছেলে জেমি ল্যান্ডিউ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমার বাবা আর পৃথিবীতে নেই।” অন্যদিকে, জনের মৃত্যুতে জেমস ক্যামেরন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে এই চলচ্চিত্র নির্মাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রচুর ভক্ত। এছাড়াও হলিউডের আরও অনেক তারকা জনের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তাঁরা জনের (Jon Landau) পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Medosh Munir Ashram: দুর্গাপুজোর প্রচলন এখানেই! বাংলাদেশের মেধস মুনির আশ্রমের জমি দখলের অভিযোগ

    Medosh Munir Ashram: দুর্গাপুজোর প্রচলন এখানেই! বাংলাদেশের মেধস মুনির আশ্রমের জমি দখলের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেধস মুনির আশ্রম (Medosh Munir Ashram) বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার করলডাঙা পাহাড়ে অবস্থিত। প্রথম দুর্গাপুজোর (Durga Puja) প্রচলন এই আশ্রমেই হয়েছিল বলে বিশ্বাস হিন্দুদের। বাংলাদেশের হিন্দুদের পবিত্র তীর্থস্থান হল পাহাড়ের ওপর অবস্থিত মেধস মুনির আশ্রম। প্রতিবছর দুর্গাপুজোতে ভক্তদের ভিড়ে ঠাসা থাকে এই আশ্রম। শিব মন্দির, চন্ডী মন্দির সমেত অনেকগুলি মন্দিরও রয়েছে এখানে। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যরা এই আশ্রমকে ভেঙে দেয়। পরবর্তীকালে এই আশ্রম পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন স্বরূপ চৌধুরী। তিনি জানান, ৩০জন লোক নিয়োগ করা হয়েছে মন্দিরকে দেখাশোনার জন্য। অন্যদিকে, আশ্রমেরই এক সন্ন্যাসী শ্রীমৎ বুলবুলানন্দ মহারাজ অভিযোগ এনেছেন যে শ্রী শ্রী চণ্ডী তীর্থ ও মেধস মুনির আশ্রমের মোট জমির পরিমাণ ছিল ৬৮.১৯ একর। কিন্তু বেশ কিছু প্রভাবশালী মানুষজন নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে এই জমি দখল করেছেন। জমি দখলের পরিমাণ ৫৫ একর।

    মেলেনি সরকারি সাহায্য (Medosh Munir Ashram)

    বোয়াখালী থেকে মন্দির যাওয়ার পথ একেবারেই দুর্গম কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন এই আশ্রমে (Medosh Munir Ashram)। আশ্রমকে ঘিরে রয়েছে অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ। নির্জন ও শান্ত পরিবেশ আশ্রমের। কর্তৃপক্ষের আরও অভিযোগ, যদি যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করা যেত তাহলে মন্দিরে ভক্তদের ভিড় আরও বাড়তে পারত। ভক্তদের দানের ওপর নির্ভর করেই চলে এই মন্দির, সরকারি সাহায্য মেলেনি বলেও অভিযোগ মন্দির কর্তৃপক্ষের।

    রাজা সুরথ ও সমাধি বৈশ্য

    দেবী মাহাত্ম্যে এবং মার্কণ্ডেয় পুরাণে রাজা সুরথকে চিত্রগুপ্ত বংশীয় রাজা অর্থাৎ চিত্রগুপ্তের বংশধর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি তাঁর রাজত্ব, সম্পত্তি সবকিছুই হারিয়েছিলেন। দাস দাসী, আত্মীয় স্বজন, তাঁর পোষ্য জন্তু-জানোয়ারদের কাছেও তিনি মর্যাদা হারিয়েছিলেন বলে জানা যায়। এরা কেউ তাঁর কথা শুনতো না। অসহায় রাজা মনের দুঃখে রাজ্য ছাড়েন। যদুবংশীয় এই রাজা বৈরাগী হয়েছিলেন। রাজ্য ছাড়ার পর তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় এক বণিকের। ওই বণিকও ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, একেবারে দেউলিয়া হয়েছিলেন তিনি। বণিকের নাম ছিল সমাধি বৈশ্য। তাঁর নিজের পরিবার, আত্মীয় স্বজনের প্রতারণার জন্যই তিনি দেউলিয়া হয়েছিলেন বলে পুরাণে জানা যায়। একদিকে এক ভাগ্যহীন রাজা অন্যদিকে এক ভাগ্যহীন বণিক। দুজনের সাক্ষাৎ যেন দৈব নির্ধারিত ছিল। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় মেধস মুনির (Medosh Munir Ashram)।

    মেধস মুনির আশ্রমে দুর্গাপুজোর (Durga Puja) পৌরাণিক আখ্যান

    রাজা সুরথ এবং বণিক সমাধি বৈশ্য দুজনে মেধস মুনির শরণাপন্ন হয়ে নিজেদের ভাগ্য বিপর্যয়ের কথা মুনিকে শোনাতে থাকেন। মেধস মুনি তাঁদের দেবী মাহাত্ম্য শোনান। মহিষাসুরমর্দিনীর স্তব করে শোনান। মুনি পরামর্শ দেন, একমাত্র দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গার আরাধনা এবং পুজো করলেই তাঁদের ভাগ্য ফিরবে। মুনির পরামর্শ মতো রাজা সুরথ ও বণিক সমাধি বৈশ্য মাটির প্রতিমা নির্মাণ করে ওই আশ্রমেই দুর্গাপুজো করেন। কথিত আছে মাতৃ আরাধনার পর রাজা সুরথ তাঁর রাজত্ব পুনরায় ফেরত পেয়েছিলেন, পরিবার পরিজনের কাছে তাঁর মর্যাদা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অপরদিকে বণিক সমাধি বৈশ্যও একই ভাবে সৌভাগ্যের অধিকারী হয়ে, হারানো সমস্ত কিছু ফেরত পেয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার মেধস মুনির আশ্রমে এই পুজো বসন্ত কালে সংঘটিত হয়েছিল। শরৎকালের দুর্গাপুজো শ্রী রামচন্দ্রের অকাল বোধনের কারণে হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Masoud Pezeshkian: ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মাসুদ, কেমন হবে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক?

    Masoud Pezeshkian: ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মাসুদ, কেমন হবে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কট্টরপন্থার বেড়াজাল ভেঙে সংস্কারের পথে হাঁটতে চলেছে ইরান (Iran)! সম্প্রতি সে দেশে হয়েছিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। জয়ী হয়েছেন সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেস্কিয়ান (Masoud Pezeshkian)। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল দিলেন কট্টরপন্থী সঈজ জালিলিকে। ইরানকে প্রগতিশীল দেশ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন এশিয়ার এই দেশটির হবু প্রেসিডেন্ট। তাঁর জমানায় ভারত-ইরান সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।

    সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট (Masoud Pezeshkian)

    মাসুদ পেশায় কার্ডিয়াক সার্জেন। এই চিকিৎসক কাম রাজনীতিককেই দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নিয়েছেন ইরানিরা। ইরানের অভ্যন্তরীণ নীতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও সংশোধন করার পক্ষে নানা সময় সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এ কাজে তিনি কতটা সফল হবেন, তা বলবে সময়। কারণ এ দেশের সর্বোচ্চ শাসক ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। এতদিন পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের চেয়ারে যিনি বসেছেন, তাঁর টিকি বাঁধা ছিল খামেনেইয়ের কাছে। তাই ঘোড়া (পড়ুন খামেনেইকে) ডিঙিয়ে নয়া প্রেসিডেন্ট (Masoud Pezeshkian) আদৌ খাস খেতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন ইরানেরই সিংহভাগ ভোটার। তবে তাঁরাও যে সংস্কারের পথেই হাঁটতে চান, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলেই মিলেছে তার প্রমাণ।

    ইরান-ভারত সুসম্পর্ক

    ইরান-ভারত সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক বোঝাপড়া রয়েছে। ইরানের চাবাহার বন্দর নিয়ে দু’পক্ষে যে বোঝাপড়া হয়েছে, তার কোনও ব্যত্যয় ঘটবে না বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। অপরিশোধিত তেল আমদানিতেও সব সময় ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে ইরান। পশ্চিমি নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েও ভারতকে তেল জুগিয়ে চলেছে তারা। রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ভারত যে ইন্টারন্যাশনাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর গড়ে তুলতে আগ্রহী, সেটিরও সংযোগস্থল হওয়ার কথা ইরান। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্ষেত্রেও ভারতের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না ইরান।

    আর পড়ুন: সূর্যালোক ও বায়ু থেকে বোতলজাত জল উৎপাদন! বিরাট দাবি মার্কিন সংস্থার

    প্রসঙ্গত, গত ১৯ মে কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির। তার পরেই হয় অকাল নির্বাচন। যে নির্বাচনে জিতে ইরানের (Iran) প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন মাসুদ। ইরানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ খাতমি সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন মাসুদ। 

    ইরানের সমাজ জীবনে মাসুদ (Masoud Pezeshkian) কতটা বদল আনতে পারেন, এখন সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Huaxi Village: গোটা বিশ্বে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু, এই গ্রামে সবার ব্যাঙ্কেই কোটি কোটি টাকা!

    Huaxi Village: গোটা বিশ্বে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু, এই গ্রামে সবার ব্যাঙ্কেই কোটি কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে পৃথিবীর জনবহুল রাষ্ট্রের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চিন (China)। কিন্তু জানেন কি, এই চিনেই এমন একটি গ্রাম আছে, যা বর্তমানে গোটা পৃথিবীর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে? চিনের বিভিন্ন প্রদেশে অবস্থিত গ্রামগুলির মধ্যে সবচেয়ে ধনী গ্রামের তালিকায় নাম লিখিয়েছে হুয়াক্সি (Huaxi Village)। সারা বিশ্ব জুড়েই এই গ্রাম ‘সুপার ভিলেজ’ নামে পরিচিত। গ্রামটি জিয়াংসু প্রদেশে অবস্থিত। জানা গিয়েছে, এই গ্রামে মাত্র দুই হাজার মানুষ বসবাস করেন। কিন্তু প্রতিটি বাসিন্দার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে কোটি কোটি টাকা।

    স্বাস্থ্য, শিক্ষা সব বিনামূল্যে (Huaxi Village)

    জানা যায়, গ্রামটির সমস্ত বাসিন্দা স্বাস্থ্য, শিক্ষা থেকে শুরু করে সব কিছুই পান বিনামূল্যে। এখানকার লোকেদের কাছে রয়েছে আধুনিক সুযোগ সুবিধাযুক্ত বিলাসবহুল বাড়ি আর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিশ্বমানের ব্র্যান্ডেড গাড়ি, যা সাধারণত খুব কম মানুষের কাছে চোখে পড়ে। এমনকী গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী কম করে হলেও দুটি করে গাড়ি আছেই, যা আবার খুবই সাধারণ ব্যাপার। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে এখানকার মানুষ খুবই সাধারণভাবে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে থাকেন।

    গ্রামেই ৭টি বহুজাতিক শিল্প প্রতিষ্ঠান

    গ্রামটিতে (Huaxi Village) রয়েছে মোট সাতটি বহুজাতিক শিল্প প্রতিষ্ঠান। যার শেয়ার হোল্ডার বা অংশীদার এই গ্রামের বাসিন্দারাই, যা বোধহয় গোটা পৃথিবীতে শুধুমাত্র এখানেই দেখতে পাওয়া যায়। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে তাঁরা বছরে প্রায় ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার বা তারও বেশি টাকা উপার্জন করেন।

    নেই ক্লাব, মদের দোকান, নাইট ক্লাব (Huaxi Village)

    আধুনিক সভ্য সমাজের মতো সুযোগসুবিধা থাকলেও এই গ্রামে কোনও ক্লাব, মদের দোকান, নাইট ক্লাব বা পার্টি করার জন্য রেস্তোরাঁও নেই। আইফেল টাওয়ারের থেকেও উচ্চ একটি হোটেল নির্মাণ করা হয় এই গ্রামে। ২০১১ সালে এই গ্রামটির ৫০ বছর পূর্তি ছিল। সেই উপলক্ষে এখানে ৩২৮ মিটার লম্বা একটি হোটেল তৈরি করা হয়। যা আইফেল টাওয়ারের থেকেও বড়। এই হোটেলের চূড়ায় সোনা দিয়ে তৈরি একটি ষাঁড়ের ভাস্কর্য রয়েছে, যার বর্তমানে মূল্য ৪৩  মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এই গ্রামে আগত পর্যটকদের কাছে এই হোটেলটিকে বলা হয় হুয়াক্সির ঝুলন্ত গ্রাম।

    কীভাবে এমনটা সম্ভব হল?

    রেনবাও ১৯৯০ সালের শেষের দিকে গ্রামটিতে (Huaxi Village) বারোটি কর্পোরেশন এবং একটি শেয়ারবাজারের কার্যক্রম শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি পোশাক এবং বিভিন্ন ধাতুর কারখানাও তৈরি করেন। তারপর তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। রাতারাতি গ্রামের ভাগ্য বদলে যায় এবং হুয়াক্সি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গ্রামে (China) পরিণত হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India UK Relation: রাজার দেশে লেবার পার্টির জয়, কোন খাতে বইবে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের জল?

    India UK Relation: রাজার দেশে লেবার পার্টির জয়, কোন খাতে বইবে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের জল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিলে গিয়েছে প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা। ব্রিটেনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে লেবার পার্টি। হার হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের দল কনজারভেটিভ পার্টির (টোরি)। ব্রিটেনের (India UK Relation) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন লেবার পার্টির কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer)।

    ভারত উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তির দেশ (India UK Relation) 

    গত কয়েক বছরে হাল খারাপ হয়েছে ব্রিটেনের অর্থনীতির। অথচ এই সময় ভারতের অর্থনীতির লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। প্রত্যাশিতভাবেই সুনক কিংবা স্টার্মার যিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন, তাঁকেই বজায় রেখে চলতে হবে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক। কারণ বর্তমানে ভারত উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তির দেশ। তাই সুনক হেরে গিয়ে স্টার্মার জয়ী হওয়ায়ও ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কে বিশেষ প্রভাব পড়বে না বলেই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

    ক্ষমতায় স্টার্মারের দল

    ভারতের মতো বহুদলীয় গণতন্ত্রের দেশ ব্রিটেনও। সে দেশেরই হাউস অফ কমনসে (ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার মতো) বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এসেছে স্টার্মারের দল। এক সময় ব্রিটেনের এই দলের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক ছিল ভারতের। পরে ভাঁটা পড়ে সেই সম্পর্কে। লেবার পার্টির রাশ যখন জেরেমি করবিলের হাতে ছিল, তখনই ভারতের সঙ্গে লেবার পার্টির সম্পর্কে চিড় ধরে। ভারত সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন জেরেমি। তার জেরেই তলানিতে ঠেকে ভারতের সঙ্গে লেবার পার্টির সম্পর্ক। ফলে, ভারতের সঙ্গে লেবার পার্টির সুসম্পর্কের (India UK Relation) বাতাবরণ তৈরি করতে হবে স্টার্মারকে। কারণ নরেন্দ্র মোদির জমানায় তরতরিয়ে উঠেছে ভারতীয় অর্থনীতির গ্রাফ। ব্রিটেনকে সরিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পাঁচ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, তাই ভারতকে এড়িয়ে কিছুই করার জো নেই স্টার্মারের।

    দলীয় অবস্থান পরিবর্তনের স্টার্মার

    সে কথা ভালো করেই জানেন স্টার্মারও। তাই ২০২০ সালে লেবার পার্টির রাশ হাতে আসার পরে পরেই দলীয় অবস্থান পরিবর্তনের পথে হাঁটতে শুরু করেন ব্রিটেনের হবু প্রধানমন্ত্রী। ভারত-লেবার পার্টির সম্পর্ক মেরামত করতে তিনি প্রথমেই যে কাজটি করেছিলেন, সেটি হল প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো। ব্রিটেনের নির্বাচনে প্রবাসী ভারতীয়রা একটা ফ্যাক্টর। তাই ভোট বৈতরণী ভালোভাবে পার হতে গেলে যে তাঁদের উপেক্ষা করা যাবে না, তা বুঝেই সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে শুরু করেছিলেন স্টার্মার (India UK Relation)। দেওয়ালি এবং হোলির মতো হিন্দু-উদযাপিত উৎসবগুলিতেও যোগ দিচ্ছিলেন তিনি (Keir Starmer)। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েও লেবার পার্টির এই নেতার কথায় বারংবার উঠে এসেছে বৈশ্বিক নিরাপত্তা, জয়বায়ু সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে মজবুত সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটাই ‘খেয়েছেন’ প্রবাসী ভারতীয়রা। তার জেরেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়েও বেশি আসন পেয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রিত্বের হাল ধরতে চলেছেন স্টার্মার।

    আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাড়ছে ভারতের গুরুত্ব

    কনজার্ভেটিভ পার্টির জমানায় যেখানে ব্রিটেন ক্রমশই তলিয়ে গিয়েছে, প্রায় (প্রায় বললাম এই কারণে যে কনজার্ভেটিভ পার্টি ব্রিটেন শাসন করেছে ১৪ বছর, আর মোদি ১০ বছর) সেই একই সময় ভারতের হাল ধরেছেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর নেতা নরেন্দ্র মোদি। তার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মঞ্চেও ভারতের উত্থান লক্ষ্যণীয়। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, বর্তমানে আন্তর্জাতিক মঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভারত (India UK Relation)। তাই ভারতের সঙ্গে ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক দ্রুত মেরামত করাই যে তাঁর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হবে, তা বুঝেছিলেন স্টার্মার। নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পর জনগণের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণেও তিনি বলেছেন, “পরিবর্তনের কাজ আজ থেকেই শুরু হবে (ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হয়ত প্রেক্ষাপট ভিন্ন, তবে তাঁর এই সংক্ষিপ্ত বাক্যে লুকিয়ে রয়েছে অনেক ইঙ্গিত। যারই একটি হল ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত।)।”

    স্টার্মারকে শুভেচ্ছা মোদির

    এদিকে, ব্রিটেনের হবু প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারকে শুভেচ্ছা জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ভারত-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।”

    স্টার্মারের লক্ষ্য

    ভারতের সঙ্গে লেবার পার্টির সম্পর্কের সেতুবন্ধন করার পাশাপাশি অভিবাসন নীতি ও বাণিজ্য চুক্তির মতো বৈদেশিক নীতিগুলিতে গুরুত্ব দেওয়াও লক্ষ্য স্টার্মারের (Keir Starmer)। অভিবাসন হ্রাসের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও ঐক্যমত্যে আসতে হবে তাঁকে। ব্রিটেনের শিল্পক্ষেত্রে কর্মরত ভারতীয়দের অস্থায়ী ভিসার বিষয়ে আলোচনা করে ভারসাম্যমূলক আইন প্রণয়ন করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে স্টার্মারের। এফটিএ নিয়েও পদক্ষেপ করতে হবে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের হবু বাসিন্দাকে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে এফটিএ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল ভারত-ব্রিটেনের। এনিয়ে ১৪ রাউন্ড বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়টিকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে স্টার্মারকে (India UK Relation)। ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো রাহুল রায়চৌধুরী যথার্থই বলেছেন, “নয়া লেবার সরকারের কাছে ভারতের গুরুত্ব একটুও কমবে না বলেই আমার বদ্ধমূল ধারণা।”

    আর পড়ুন: ব্রিটেনের ‘হাউস অফ কমনসে’ রেকর্ড সংখ্যক ভারতীয় বংশোদ্ভূত, তালিকায় কারা?

    লেবার পার্টির তরফেও বলা হয়েছে, তারা ভারতের সঙ্গে নয়া কৌশলগত অংশীদারিত্ব খুঁজবে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে এফটিএ, তেমনি রয়েছে নিরাপত্তা, শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তন। কিছুদিন আগে স্বয়ং স্টার্মারই (Keir Starmer) বলেছিলেন, “যখন দুটি জাতির ইতিহাস আমাদের মতোই জড়িয়ে থাকে, তখন এটি একটি দীর্ঘ ছায়া ফেলতে পারে। তবে আজকের ভারতে আমি সেই (India UK Relation) ছায়া দেখতে পাচ্ছি না।” ভারতকে যে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে ব্রিটেন, তার আরও প্রমাণ হল, লেবার দলের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন সরকার গঠনের একমাসের মধ্যে ভারত সফরে আসবেন নবনিযুক্ত ব্রিট বিদেশ সচিব ডেভিড ল্যামি। গতকালই, ডেভিডকে মনোনীত করেছেন স্টার্মার। এর পরই, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ল্যামিকে অভিনন্দন-বার্তা পাঠিয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share