Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Russian martial law in Ukraine: ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে সামরিক আইন জারি করল মস্কো

    Russian martial law in Ukraine: ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে সামরিক আইন জারি করল মস্কো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে সামরিক আইন জারি করেছেন। গত মাসেই রাশিয়ান সেনা অধিকৃত এই চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অন্তর্ভূক্ত বলে ঘোষণা করেছিলেন। যদিও ইউক্রেন সেনার তরফ থেকে দাবী করা হয়েছে দোনেটস্ক (Donetsk) , লুহানস্ক (Luhansk) , খেরসন (Kherson)  এবং জাপেরিঝিয়া (Zaporizhzhia) এই অঞ্চলের কোনোটিকেই রুশ সেনারা সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি।

    [tw]


    [/tw]

    বিশেষজ্ঞদের মতে, গত আট মাসের যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের প্রবল প্রতিরোধে একাধিক বড় ধরনের পরাজয়ের পর ভ্লদিমির পুতিন ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চলে মার্শাল ল জারির মাধ্যমে সেনাদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের উদ্দেশ্যে এক ভাষণে রুশ রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তিনি যেসব ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, তা রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের সমর্থনে অর্থনীতি, শিল্প ও উৎপাদনের স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করবে। তিনি আরও বলেন, আমরা রাশিয়ার জন্য, আমাদের জনগণের জন্য নির্ভরযোগ্য ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত জটিল ও বৃহৎ আকারের সমস্যার সমাধানে কাজ করছি।যুদ্ধের সমর্থনে জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং উৎপাদন বাড়াতে তিনি রাশিয়ার সব প্রদেশের নেতাদের অতিরিক্ত কর্তৃত্ব দিচ্ছেন। যদিও এই সামরিক আইনেই দখলীকৃত চারটি অঞ্চলে কঠোর নিয়ন্ত্রণের ইঙ্গিত করা রয়েছে। এলাকায় ভ্রমণ, জনসমাবেশ এই গুলির উপরে সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

    এদিকে কয়েক দফা ব্যর্থ হওয়ার পর খেরসনে আবারো আক্রমণ শুরু করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। খেরসন পুনর্দখলে ইউক্রেনের এটিই শেষ চেষ্টা বলে মনে করছেন রুশ কর্মকর্তারা। ইউক্রেনীয় হামলার আশঙ্কায় খেরসনের কিছু এলাকা থেকে প্রায় ৬০ হাজার  বেসামরিক লোকজনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাশিয়া।

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া এই সামরিক আইন জারী করার পরেই ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি উল্লেখ করে, সমস্ত ভারতীয় নাগরিককে ইউক্রেনে ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হল। দূতাবাসের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, বর্তমানে ইউক্রেনে থাকা ছাত্র-ছাত্রী-সহ ভারতীয় নাগরিকদের যে কোনও উপায়ে অবিলম্বে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

    [tw]


    [/tw]

    তবে শুধু রুশ অধিকৃত অঞ্চলগুলিতে রুশ সামরিক আইন জারির প্রেক্ষিতেই, ভারতীয় দূতাবাস থেকে এই ধরনের পরামর্শ জারি করা হল, তেমনটা নয়। গত আট মাস ধরে যুদ্ধের পর, বর্তমানে ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণ প্রান্তে বড় ধরনের পাল্টা-আক্রমণের মুখে পড়েছে রুশ বাহিনী। গত দুই সপ্তাহে বিভিন্ন ইউক্রেনীয় শহরে আকাশপথে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। কিয়েভ-সহ প্রধান প্রধান ইউক্রেনীয় শহরগুলিতে লোকালয়ে নিক্ষেপ করা হয়েছে রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র, আত্মঘাতী ড্রোন। ইউক্রেন সরকারের অভিযোগ, দেশের এক তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই, ইউক্রেনের বহু অংশেই অন্ধকার নেমে এসেছে। সামনেই শীত আসছে। তার আগে যতটা সম্ভব এলাকা দখলের চেষ্টায় রাশিয়া মরণ কামড় দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Russia-Ukraine War: ক্রিমিয়ার সেতু রাশিয়ার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? এর পিছনের আসল ঘটনা জানেন কি?

    Russia-Ukraine War: ক্রিমিয়ার সেতু রাশিয়ার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? এর পিছনের আসল ঘটনা জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় আট মাস ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) নিয়ে দুই দেশেরই কোনও না কোনও সময়ে নানা সংকট ঘনিয়ে এসেছে। এরই মধ্যে গতকাল ঘটে গেল সেতু ধ্বংসের মতো ঘটনাও (Russia-Crimea Bridge Blast)। ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগের একমাত্র সেতু ছিল এটি। আর সেই সেতুতেই ট্রাক বোমা বিস্ফোরণ ঘটার ফলে সেতুর একাধিক অংশ ধসে পড়ে। যার ফলে ফের একবার রাশিয়াকে বিপদের মুখে পড়তে হল। রাশিয়ার জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতুটিতে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণকে রাশিয়ার জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবেই দেখছেন ওয়াকিবহাল মহল।

    ক্রিমিয়া এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র উপায় ১৯ কিলোমিটার লম্বা কের্চ সেতু (Kerch Bridge)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রুশ বাহিনীর কাছে রসদ, অস্ত্র, জ্বালানি পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র পথ ছিল কের্চ সেতু। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেই ব্রিজে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাশিয়ার যুদ্ধে এই আঘাতের ফলে অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ও কে বা কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তা জানতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন রুশ গোয়েন্দারা।

    গতকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পরেই রাশিয়া প্রশাসন নড়েচড়ে বসছে। যুদ্ধের আবহে এই বিস্ফোরণকে (Russia-Crimea Bridge Blast) অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র বলেই দাবি করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার সন্দেহের তির ইউক্রেনের দিকেই রয়েছে বলে মনে করেছে বিশেষজ্ঞ মহল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই রবিবার স্থানীয় সময় ভোর ৬ টা নাগাদ রাশিয়ান ডুবুরিদের কের্চ ব্রিজ পরিদর্শন করতে পাঠানো হয়েছে। রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী মারাত খুসনুলিন সেতুর ধ্বংসপ্রাপ্ত অংশকে অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ফলে এই সেতু ফের যাতায়াতের জন্য উপযুক্ত করার জন্য যা যা করণীয়, তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে রাশিয়ার তরফে।

    অন্যদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, এই বিস্ফোরণের (Russia-Crimea Bridge Blast) পিছনে ইউক্রেন রয়েছে বলে দাবি করলে, পুতিন তথা রাশিয়ার প্রশাসনের তরফে ইউক্রেনের উপর তার আক্রমণ বাড়ানোর ও প্রতিশোধ নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও মনে করা হয়েছে, এবার যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রিমিয়াও ছিনিয়ে নিতে চাইছে ইউক্রেনীয় সেনা (Russia-Ukraine War)। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চলকে নিজেদের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। পরে গণভোটের মধ্য দিয়ে অঞ্চলটিকে রাশিয়ার অঙ্গীভূতও করা হয়। এরপর যোগাযোগের জন্য সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে দুই লেনের এই সেতু উদ্বোধন করেছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন।

    তবে জানেন কি, একসময় ক্রিমিয়া (Crimea) রাশিয়ার (Russia) দখলে ছিল। যদিও এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র ছিল। কিন্তু প্রায় ৬০ বছর আগে রাশিয়া ক্রিমিয়াকে ইউক্রেনের কাছে হস্তান্তর করে দেয়। ১৯৫৪ সালে ইউএসএসআর সুপ্রিম সোভিয়েতের প্রেসিডিয়াম চেয়ারম্যান ক্লিমেন্ট ভোরোশিলভ এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। সেসময় ইউক্রেন-রাশিয়া ক্রিমিয়াকে রক্ষা করতে একজোট হয়েছিলেন ও বাইরের শত্রুদের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। রাশিয়ার শত্রুদের থেকে ক্রিমিয়াকে রক্ষা করতেই ইউক্রেনের কাছে এই উপদ্বীপকে হস্তান্তর করা হয়। যদিও মনে করা হয়, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার জন্যই ক্লিমেন্টের এই পদক্ষেপ। কিন্তু পরে ফের রাশিয়া ক্রিমিয়া দখলে নিলে রাশিয়া-ইউক্রেনের (Russia-Ukraine War) মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় এবং এখনও তা অব্যাহত।

  • Omicron China: চিনে নতুন করে মাথাচাড়া দিল ওমিক্রন

    Omicron China: চিনে নতুন করে মাথাচাড়া দিল ওমিক্রন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের শেষ দিক থেকে চিনের উহান ভাইরাস বা করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল। তারপরের ইতিহাসটুকু সকলেরই জানা। এই মুহূর্তে ভারত সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে করোনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও চিনে আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে করোনাভাইরাস। এই মুহূর্তে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চিনে ওমিক্রনের (Omicron China) নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট BF-7 এবং BA.5.1.7। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, করোনার এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। স্থানীয় সংবাদপত্র জানিয়েছে, এই ভাইরাস প্রথম সনাক্ত হয়েছে চিনের উত্তর পশ্চিমে। রবিবার ওমিক্রনের এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে প্রায় ১৮৭৮ জন সংক্রমিত হয়েছে।

    ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার ১৬ অক্টোবর থেকে চিনের ২০তম পার্টি কংগ্রেসের বৈঠক অনুষ্ঠিত করাতে চলছে। চিনে ফের ওমিক্রনের (Omicron China) দাপট বাড়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে  চিন সরকারের কপালে । যদিও সরকারি তরফে কোন বিবৃতি ঘোষণা করেনি। প্রসঙ্গত, এই পার্টি কংগ্রেসেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর (Xi jinping) ক্ষমতা আরও খানিকটা বাড়িয়ে দেওয়া হবে। তিনি আগামী পাঁচ বছরের জন্য চিনের কমিউনিস্ট পার্টির রূপরেখা দেবেন বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।

    বিজ্ঞানীরা করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাঁদের আশঙ্কা অচিরেই সারা চিনে ছড়িয়ে পড়বে ওমিক্রনের (Omicron China) এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ দিন ধরেই বলে আসছেন, করোনার নতুন একটি রূপ আসা মানেই, সেটির বিরুদ্ধে টিকা কতটা কার্যকর হবে, সেটি মানুষের শরীরে কীভাবে প্রভাব ফেলবে, সেটির বিরুদ্ধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা কার্যকর হবে – সব নিয়েই সন্দেহ থাকে।

    শুধু তাই নয়, এই নতুন রূপ ফুসফুস বা শ্বাসনালী সংক্রমণ বাদ দিয়ে আর কোনও ক্ষতি করবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়। সেই কারণেই, যে কোনও একটি নতুন ভ্যারিয়েন্টই বিজ্ঞানীদের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর তাই বিজ্ঞানীরা আপাতত চিনের এই ওমিক্রন (Omicron China) ভাইরাসের উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন।

    চিন করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের জন্য সারা দেশে আগেই জিরো টলারেন্স নীতি (Zero Tolerance Policy) গ্রহণ করেছিল। কিছুদিন আগেও করোনার গ্রাফ নেমে আসায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল। কিন্তু চিনের ছুটির মরশুম শেষ হবার পরই ওমিক্রনের (Omicron China) হানা সারা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। পুনরায় দেশে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা করেছে চিনা কমিউনিস্ট সরকার। চিনের শানহি প্রদেশে কঠোর লকডাউন (Lockdown) ঘোষণা করা হয়েছে। একেবারে জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া নিষেধ। স্কুল, কলেজ, অফিস, ব্যবসা সব বন্ধ। মঙ্গোলিয়া প্রদেশের রাজধানী হোহটে বাইরের গাড়ি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। করোনার প্রকোপ কমাতে মঙ্গলবার থেকে শহরে ঢোকাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

    যদিও অর্থনীতিবিদদের মতে, বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনীতির দেশ চিন। তাদের এই জিরো কোভিড টলারেন্স নীতির ফলে ভবিষ্যতে আর্থিক ভাবে পঙ্গু হয়ে পড়বে চিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Amazon Tree: আমাজনে মিলল বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো গাছ  

    Amazon Tree: আমাজনে মিলল বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো গাছ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বছরের চেষ্টায় আমাজনে দেখা মিলল (Amazon) বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু গাছ।২৫ তলা উঁচু বাড়ির( 25 Storey) সমান লম্বা গাছটির থ্রিডি ম্যাপিং স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গিয়েছিল ২০১৯ সালে।৩ বছরের প্ল্যানিং, ৪ টি অভিযান, ঘনতম জঙ্গলে দীর্ঘ যাত্রার পরে শেষ অবধি এল সেই কাজে সাফল্য ৷ বৈজ্ঞানিকেরা জানিয়েছেন, এই গাছের সামনে পৌঁছতে গিয়ে বারবার বাধা পেয়েছেন তাঁরা। বিষাক্ত মাকড়সা এবং অন্য পোকামাকড়ের কামড় খেয়ে অদম্য সাহস নিয়ে ১৯ জনের টিম দুই সপ্তাহের পর পৌঁছেছে সেই গাছের কাছে।বিজ্ঞানীরা গাছটির বিশালতা দেখার পর থেকেই তাজ্জব বনে গিয়েছে। ঘনজঙ্গল ঘেরা নদী পথে নৌকায় ২৫০ কিলোমিটার, তার পরে আরও ২০ কিলোমিটার হেঁটে বিজ্ঞানীরা সেই গাছের গোড়ায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন।তাঁরা জানিয়েছেন, এই বিশালাকার গাছটিতে কত কার্বন জমা রয়েছে তারও পরীক্ষা করবেন৷ উত্তর ব্রাজিলের ইরাতাপুর নদীর নেচার রিজার্ভে (Reserve) গাছটি অবস্থিত৷গাছটির নাম অ্যাঞ্জেলিম বর্মেলো এবং এর বিজ্ঞানসম্মত নাম দেওয়া হয়েছে ডিনিজিয়া এক্সেলসা (Dinizia excelsa) গাছটি লম্বায় ৮৮.৫ মিটার (২৯০ ফুট), প্রায় একটি ২৫ তলা বাড়ির মতো, আর চওড়ায় ৯.৯ মিটার (৩২ ফুট)৷ এখনও অবধি বিজ্ঞানীদের সন্ধানে পাওয়া আমাজনের সবচেয়ে বড় গাছ৷

    [tw]


    [/tw] 

    টিমের অন্যতম সদস্য আমাপা ফেডারেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (Amapa Federal University) ফরেস্ট ইঞ্জিনিয়ার দিয়েগো আর্মান্দো সিলভা বলেন, এই গাছের কাছে পৌছানো তার জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা।তিনি বলেন, দেখে  হচ্ছে গাছটি অন্তত ৪০০-৬০০ বছরের প্রাচীন। বিজ্ঞানীরা সেখানকার মাটি, গাছের পাতা ও অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তাদের দাবি, বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে নেওয়ার কারণেই এই গাছটির এতটা ওজন।

    প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত আমাজন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বনাঞ্চল। আমাজন নদী এই বনটির জীবনীশক্তি। প্রায় ৭০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই বনাঞ্চলটি আয়তনের দিক থেকে ভারতের প্রায় ৫ গুন । সমগ্র পৃথিবীতে যত রেইনফরেস্ট আছে তার মধ্যে অর্ধেকই হল এখানে। আমাজনের ৪০ হাজার প্রজাতির প্রায় 3 হাজার 900 কোটি বৃক্ষ রয়েছে। পৃথিবীর মোট অক্সিজেনের কুড়ি শতাংশ উৎপাদিত হয় আমাজনের জঙ্গলে। সে কারণে এই জঙ্গলকে পৃথিবীর ফুসফুসও বলা হয়। পৃথিবীর প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম এই আমাজন বন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dubai Hindu Temple: ইসলামিক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে খুলল হিন্দু মন্দিরের দরজা

    Dubai Hindu Temple: ইসলামিক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে খুলল হিন্দু মন্দিরের দরজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছর দুর্গা পুজোতেই দুবাইয়ে (Dubai) বসবাসকারী হিন্দুরা পেলেন বড় উপহার। মধ্যপ্রাচ্যে এই বিশাল মন্দিরটি ৫ অক্টোবর অর্থাৎ বিজয়া দশমীর (Vijaya Dashami) দিন সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান চিনকে কূটনৈতিকভাবে (Diplomatically) চাপে রাখতে ও মধ্যপ্রাচ্যের (Middle east) দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে সচেষ্ট ভারত। এমত পরিস্থিতিতে ভারতের (India) দিকেও বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (United Arab Emirates)। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকেই এই মন্দির নির্মানের কাজ শুরু হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্দিরটির শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (Foreign Minister) এস জয়শঙ্করও  এই মন্দিরটির পরিদর্শন করে এসেছেন।

    [tw]


    [/tw]

    দুবাইয়ে বসবাসকারী হিন্দুরা জানিয়েছেন, এই মন্দিরের মাধ্যমে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দিতে চান তাঁরা। এর পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর প্রশাসনকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। দুবাইয়ের জেবেলি আলি (Jebel ali) গ্রামে বিশাল এই মন্দিরটি উদ্বোধন করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহিষ্ণুতা বিষয়ক মন্ত্রকের মন্ত্রী শেখ নাহিয়ান বিন মুবারক আল-নাহিয়ান এবং দুবাইয়ে স্থিত ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় সুধী। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর সহিষ্ণুতা বিষয়ক মন্ত্রকের মন্ত্রীও এই মন্দির উদ্বোধনের মাধ্যমে সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতার বার্তা দিয়েছেন। জেবেল আলীর ‘উপাসনা গ্রামে'(Worship Village) খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সাতটি গির্জা, শিখদের গুরুদুয়ারা সহ হিন্দুদের এই নতুন মন্দির মিলিয়ে মোট নয়টি ধর্মীয় উপাসনালয় রয়েছে। এই উপাসনা গ্রামে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের একত্রে তাদের ধার্মিক এবং আধ্যাত্মিকতার উৎসব পালন করতে পারবেন।এই মন্দিরটির মূল আকর্ষণ বিন্দু হল দেবতাদের মূর্তির সংখ্যা। কোনও নির্দিষ্ট দেবতা নন, ১৬টি ভিন্ন হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে এই মন্দিরে। মন্দির নির্মাতার মতে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সকলকে এক ছাদের তলায় নিয়ে আসতেই এই মন্দির তৈরি করা হয়েছে। আরব আমিরশাহী বসবাস করেন প্রায় ৩০ লক্ষ ভারতীয়। এই মন্দির উদ্বোধনের ফলে হিন্দুদের দীর্ঘদিনের উপাসনালয়ের অভাব পূরণ হল।

    [tw]


    [/tw]

    ৭০ হাজার বর্গফুট এলাকার উপর এই মন্দিরটি বানাতে খরচ হয়েছে এক কোটি ৬০ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ১৩১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা)। মন্দিরের আদল, দেওয়ালের নকশা (Design) লক্ষ করলে দেখা যায়, এখানে রয়েছে আরব এবং হিন্দু সংস্কৃতির মেলবন্ধন । সাদা মার্বেলের তৈরি এই মন্দিরের সঙ্গে গুজরাতের সোমনাথ মন্দিরের সাদৃশ্য রয়েছে।মন্দিরের তলায় দু’টি বেসমেন্ট ছাড়াও আরও দুই তলা জুড়ে মন্দির বানানো হয়েছে।একসঙ্গে ১০০০ থেকে ১২০০ দর্শনার্থী (Visitors) এই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন। পুজো দেওয়ার পাশাপাশি এই মন্দিরে আলাদা ভাবে শেখানো হবে ভরতনাট্যম এবং গীতা পাঠ। জনসাধারণের জন্য মন্দির খুলে দেওয়ার পর ভিড় উপচে পড়েছে মন্দিরে। ভিড় এড়ানোর জন্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকিট বুক করে মন্দিরে যাচ্ছেন পুণ্যার্থীরা।

    [tw]


    [/tw]

    প্রসঙ্গত, এই মন্দির উদ্বোধনের খবর আসার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন কট্টরপন্থীরা। বিপুল অর্থ ব্যয় করে হিন্দু মন্দির নির্মান করা হল কেন? প্রশ্ন তুলছেন ইসলামের গোঁড়াপন্থীরা। এই নিয়ে হুমকির সুর শোনা গিয়েছে আমিরশাহীর বিখ্যাত সাহিত্যিক আবদুল্লা আলমাদির গলায়। “ভারতে যখন মুসলিমরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তখন বিপুল অর্থ ব্যয় করে দুবাইতে হিন্দু মন্দির তৈরি করা হল কেন?” প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। যদিও তাঁর এই অভিযোগ মানতে নারাজ আরব আমিরশাহী সরকার প্রশাসন।

    [tw]


    [/tw]

    মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ভারতে সবথেকে বেশী পেট্রোলিয়াম রপ্তানি করে থাকে। পাকিস্তানকে দেওয়া ঋণের অর্থ  ফেরত চাইছে  আরব আমিরশাহী সরকার। জন্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের ক্ষেত্রে ভারতকে সমর্থন করেছিলেন তাঁরা। আবার এরই মধ্যে হিন্দু মন্দির তৈরি করে আমিরশাহীতে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের মন জিতেছে আমিরশাহী সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     
  • Indian origin family murder: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরিবারের শিশু সহ ৪ জনকে খুন

    Indian origin family murder: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরিবারের শিশু সহ ৪ জনকে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (USA) ভারতীয় বংশোদ্ভূত (Indian Origin) চার সদস্য সহ যার মধ্যে একটি আট মাসের ছোট্ট শিশুটির পরিবার বেশ কিছুদিন ধরেই নিখোঁজ ছিল। বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ার মার্সেড কাউন্টিতে একটি বাগান থেকে ওই শিশু কন্যা সহ পরিবারের চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে আট মাসের ওই শিশুটির নাম আরুহি ধেরি। শিশুটির মা বছর ২৭ এর জসলিন কৌর এবং তার বাবা বছর ৩৬ এর যশদীপ সিংকে একটি ট্রাকিং কোম্পানি থেকে অপহরণ করেছিল। ক্যালিফোর্নিয়ার (California) পুলিশ জানিয়েছে শিশুটির কাকা আমনদীপ সিংকে (Amandeep Singh)ও অপহরণ করা হয়েছিল। বাগানের কাছের একজন খামার কর্মী মৃতদেহগুলি দেখতে পান।প্রাথমিক তদন্তে মার্কিন পুলিশের অনুমান, অপহরণের পরদিনই এই পরিবারকে খুনের চেষ্টা করা হয়। যদিও ক্যালিফোর্নিয়ার শেরিফের (California sheriff) দাবি, মুক্তিপণ আদায়ের জন্যেই অপহরণ করা হয়েছিল।

    পুলিশ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে জসদীপ এবং আমনদীপ তাদের হাত বাঁধা । কয়েক সেকেন্ড (Second) পর শিশু ও তার মাকে অপহরণকারীর সঙ্গে ভবন থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। ঘটনাস্থল ত্যাগ করার আগে পরিবারের চার সদস্যকে একটি ট্রাকে নিয়ে যাওয়া হয়।

    পরিবারকে অপহরণ করার একদিন পর, পুলিশ সন্দেহভাজন অপহরণকারী 48 বছর বয়সী যিশু ম্যানুয়েল সালগাদো – কে হেফাজতে নিয়েছিল। সালগাদো বর্তমানে একটি হাসপাতালে সুস্থ হয়ে উঠছেন। মার্সেড কাউন্টি পুলিশ বলেছে যে সালগাদোর পরিবার পুলিশদের সাথে যোগাযোগ করেছে এবং জানিয়েছে যে সে তার অপরাধ স্বীকার করেছে।

    গত কয়েক মাসে একাধিকবার হেনস্থার (Harassment) শিকার হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ভারতীয়রা। গত ২১ অগাস্ট ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেমন্টে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। অভিযোগকারী জয়নারায়নানের দাবি, ওই দিন আচমকাই তেজিন্দর সিং নামে এক ব্যক্তি তাঁকে দেখে বর্ণবিদ্বেষমূলক (Racist) মন্তব্য করতে শুরু করেন।সেই ঘটনা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেন তিনি। প্রায় ৮ মিনিটের ওই  ভিডিওতে অভিযুক্তকে জয়নারায়নানের উপর অন্তত দু’বার থুতু ছেটাতে দেখা গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, তাঁকে ‘নোংরা হিন্দু’ এবং ‘বিরক্তিকর কুকুর’ বলেও মন্তব্য করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। পাশাপাশি, মাংস না খাওয়ার জন্যও কুমন্তব্যের মুখে পড়তে হয় জয়নারায়নানকে। রেস্তোরাঁয় অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মার্কিন পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি অভিযোগকারীর থেকে ঘটনার video সংগ্রহ করেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Saudi Prime Minister: দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী সৌদির যুবরাজই

    Saudi Prime Minister: দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী সৌদির যুবরাজই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌদি যুবরাজ মহম্মদ  বিন সালমানকে (Mohammed bin Salman) দেশটির প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) ঘোষণা করা হয়েছে। সৌদির (Saudi) বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজের নির্দেশে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বছর সাঁইত্রিশের যুবরাজ ইতিমধ্যেই দেশের উপপ্রধানমন্ত্রীর (Deputy Prime Minister) পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

    সৌদির প্রধানের পদে আসীন না হলেও যুবরাজ মহম্মদ বিন সালমানই ছিলেন বিশ্বের সর্বাধিক তেল রপ্তানিকারী দেশটির অঘোষিত নিয়ন্ত্রক। মন্ত্রিসভার রদবদলে নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী করা হয়েছে তাঁর ভাই খালিদ বিন সালমানকে। খালিদ এতদিন উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তবে রাজকীয় ফরমানে অন্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে কোনও বদল করা হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে প্রিন্স ফায়সাল বিন ফারহান আল সৌদ, অর্থমন্ত্রী পদে মোহাম্মাদ আল- জাদান এবং বিনিয়োগমন্ত্রী পদে খালিদ আল ফালিহর বহাল রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: অডিও ক্লিপ ইস্যুতে অস্বস্তিতে শাহবাজ সরকার, জরুরি বৈঠকের ডাক পাক প্রধানমন্ত্রীর

    সৌদিতে সাধারণতঃ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিজের কাছে রাখতেন বাদশাহ। ছেলে মহম্মদ বিন সালমানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করলেও নিজের হাতেই ক্ষমতার রশি ধরে রেখেছেন বছর ছিয়াশির বাদশাহ সালমান।

    রাজকীয় ফরমানে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের কোনও কারণ দর্শানো হয়নি। তবে সৌদির এক রাষ্ট্রীয় সংস্থা জানিয়েছে, বাদশাহই থাকছেন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান (Head of State)। মন্ত্রিসভায় (Cabinet) উপস্থিত থাকলে বাদশাহই সভাপতিত্ব করবেন। এর আগেও একাধিকবার বাদশাহ শারীরিক সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, বাদশাহের অসুস্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন করা হল যুবরাজকে। 

    প্রসঙ্গত, যুবরাজ সালমান রাশিয়ার (Russian) তৈরি ‘বিষাক্ত আংটি’ ব্যবহার করে তৎকালীন বাদশাহকে খুন করে বাবার জন্য সৌদি আরবের সিংহাসন আরোহণের পথ পরিষ্কার করতে চেয়েছিলেন। তাঁর এই গোপন পরিকল্পনার কথা পরে জানিয়েছিলেন তাঁর কাকার ছেলে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিন নায়েফকে। ২০১৫ সালে ৯০ বছর বয়সে মারা যান সৌদির বাদশাহ আবদুল্লাহ। তাঁর সৎ ভাই এবং মহম্মদ বিন সালমানের বাবা সালমান বিন আবদুল আজিজ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। মহম্মদ বিন নায়েফকে তখন ক্রাউন প্রিন্স করেছিলেন বাদশাহ সালমান। এরপর ২০১৭ সালে বিন নায়েফকে সরিয়ে নিজেকে ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে ঘোষণা করেন মহম্মদ বিন সালমান স্বয়ং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nobel Prize: চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো

    Nobel Prize: চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পেলেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানব বিবর্তনের জিনোম সম্পর্কিত আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার (Nobel Prize in Medicine) পেলেন সুইডিশ জিনতত্ত্ববিদ ও বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো (Svante Paabo)। সোমবার বিকেল ত টের সময় সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট চিকিৎসা বিজ্ঞানে চলতি বছরের বিজয়ী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। নোবেল পুরস্কার সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রথম নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। বরাবরের মতো এবারও পুরস্কারের ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার পাবেন এই নোবেল বিজয়ী। 

    আরও পড়ুন: গরবা নাচতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের, ছেলের শোকে প্রাণ হারালেন বাবাও

    বিলুপ্ত হোমিনিন এবং মানব বিবর্তনের জিনোম সম্পর্কিত আবিষ্কারের জন্য পাবোকে এবারের ফিজিওলজি বা মেডিসিন বিভাগে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। বর্তমান মানবজাতির বিলুপ্ত পূর্বসূরি নিয়ান্ডারথালের জিনোম সিকোয়েন্সের মতো অসম্ভব আবিষ্কার করেছেন তিনি। সভান্তে পাবো তাঁর গবেষণায় ৭০ হাজার বছর আগের আফ্রিকায় থাকা মানবজাতির পূর্বসূরিরা অভিবাসনের মাধ্যমে কীভাবে হোমিনিন থেকে হোমো সেপিয়েন্সের জিনের স্থানান্তর ঘটেছে তা দেখিয়েছেন। আধুনিক মানুষের কাছে জিনের এই প্রাচীন প্রবাহের শারীরবৃত্তীয় প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ- আমাদের ইমিউনো সিস্টেম যেকোনও  সংক্রমণে কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে তার ওপর প্রভাব বিস্তার করে এই জিন। 

    আরও পড়ুন: সপ্তমীর রাতে পূজা প্যান্ডেলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, মৃত অন্তত ৫

    এদিকে আগামীকাল মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞান, বুধবার রসায়ন এবং বৃহস্পতিবার সাহিত্যের নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার আগামী শুক্রবার ৭ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে এবং ১০ অক্টোবর অর্থনীতিতে বিজয়ী নাম ঘোষণা করা হবে।  

    এর আগের বছর, গত বছর তাপমাত্রা এবং স্পর্শের জন্য রিসেপ্টর আবিষ্কারের গবেষণায় চিকিৎসাবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান লেবানিজ বংশোদ্ভূত মার্কিন বিজ্ঞানী আর্ডেম পাতাপুতিয়ান ও মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Chip: সরকারি কম্পিউটারে এএমডি-ইন্টেলের চিপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি চিনে

    Chip: সরকারি কম্পিউটারে এএমডি-ইন্টেলের চিপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি চিনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজেদের সরকারি কম্পিউটার ও সার্ভারে এএমডি ও ইন্টেলের মতো মার্কিন চিপ (Chip) কোম্পানির প্রসেসর ব্যবহারের ক্ষেত্রে নয়া নির্দেশিকা জারি চিনের। মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ও বিদেশে তৈরি ডেটাবেস সফটওয়্যারের পরিবর্তে স্থানীয় পণ্য ব্যবহারের নির্দেশনাও রয়েছে বেজিংয়ের জারি করা ওই নির্দেশিকায়।

    জারি নির্দেশিকা (Chip)

    চিন সরকারের তরফে জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এখন থেকে চিনের বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে অবশ্যই এএমডি ও ইন্টেলের চিপের (Chip) বদলে ব্যবহার করতে হবে নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য স্থানীয় পণ্য। নির্দেশিকায় কোন কোন চিপ ব্যবহার করা যাবে তার একটি তালিকাও দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে ১৮টি প্রসেসর। এর মধ্যে রয়েছে হুয়াওয়ে ও চিনের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ফিটিয়ামের বানানো চিপ। উল্লেখ্য যে, উভয় কোম্পানিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ।

    নির্ভরযোগ্য প্রসেসর ও অপারেটিং সিস্টেম

    জানা গিয়েছে, চিনের সরকারি বডি ও অর্গানাইজেশনগুলিকে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছিল ২৬ ডিসেম্বর। সেটি কার্যকর করা হয়েছে সম্প্রতি। টাউনশিপ লেভেলে থাকা সরকারি সংস্থাগুলির প্রয়োজন নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য প্রসেসর ও অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা।   

    চিনের শিল্পমন্ত্রক গত ডিসেম্বরে জারি করা বিবৃতিতে তিনটি আলাদা আলাদা সিপিইউ, অপারেটিং সিস্টেমস এবং কেন্দ্রীভূত ডেটাবেসের লিস্ট দিয়েছিল। পাবলিকেশন ডেটের তিন বছর পর্যন্ত এগুলি নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য বলে বলা হয়েছিল। এগুলি সবই চিনে তৈরি। মার্কিন পণ্যের পরিবর্তে এগুলি ব্যবহার করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। দ্য স্টেট কাউন্সিল ইফর্মেশন অফিস, যারা চিনা মন্ত্রিসভার কাউন্সিলের হয়ে মিডিয়া হ্যান্ডেল করে, নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তারা মুখে কুলুপ এঁটেছে।

    আরও পড়ুুন: ফের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ বিজেপির, তালিকায় রয়েছেন ‘রাম’, কঙ্গনাও

    জানা গিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে চিনের সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিগুলি বিদেশি প্রযুক্তি নির্ভরতা কমাতে শুরু করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে বেজিংয়ে সেমিকন্ডাক্টর ইক্যুইপমেন্ট ও প্রযুক্তি রফতানির ওপর নিয়ন্ত্রণ জারি করেছিল। তার পরেই ফুলেফেঁপে উঠতে থাকে চিনের দেশীয় চিপ ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ফার্মগুলি। বাড়তে থাকে তাদের রোজগারও (Chip)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: “সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে”, পাকিস্তানকে নিশানা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: “সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে”, পাকিস্তানকে নিশানা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।” শনিবার নাম না করে এই ভাষায়ই পাকিস্তানকে নিশানা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন সিঙ্গাপুরে নিজেরই লেখা বই ‘হোয়াই ভারত ম্যাটারর্স’ সংক্রান্ত এক বক্তৃতায় পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদকে নিশানা করেন জয়শঙ্কর।

    প্রসঙ্গ সন্ত্রাসবাদ (S Jaishankar)

    ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অফ সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের ওই অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিবেশীর এই বিষয়টি যেখানে গোপন নেই, তখন আপনি সেই প্রতিবেশীর মোকাবিলা করবেন কীভাবে? এটি কোনও একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, তারা (পাকিস্তান) এটিকে একটি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে…সেক্ষেত্রে আমাদের কী করণীয়? আমাদের এর মোকাবিলার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। কারণ সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া কোনও সমাধান নয়, সেটা শুধু সমস্যাকে আরও ডেকে আনে।” তিনি বলেন, “প্রত্যেক দেশই চায় যাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে একটি স্থিতিশীল সম্পর্ক থাকে। যদি আর কিছু নাও হয়, যাতে অন্তত প্রতিবেশীর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ভারতের ক্ষেত্রে সে রকম নয়।”

    ভারতের জিরো টলারেন্স নীতি 

    সন্ত্রাসবাদকে যে ভারত আর বরদাস্ত করবে না, এদিনও তাও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে ভারত যে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। একদিকে সন্ত্রাসবাদীমূলক কার্যকলাপ চলবে, অন্যদিকে সমানতালেও চলতে থাকবে আলোচনা, এটা যে হতে পারে না, এদিন তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “আমরা কখনওই তাদের বলতে যাব না যে, আচ্ছা, এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে, আসুন আমরা আলোচনা করি।”

    আরও পড়ুুন: “এটাই হল মোদি কা গ্যারান্টি”, কেন বললেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী?

    পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, “আমরা কোনও দেশকেই ফ্রি পাস দেব না। তারা বলবে, এ ব্যাপারে কিছু করার নেই। এটা কোনও কঠিন সমস্যাও নয়। আবার আমরা বিষয়টিকে উপেক্ষাও করতে পারি না।” পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ ভারত করেছে আগেও। এবারও ফের সুযোগ পেয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে কার্যত ধুয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share