Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Russia Ukraine War: ‘জোর করে পাঠানো হয় যুদ্ধে’! সাহায্যের আর্জি রুশ সেনার জালে পড়া ৭ ভারতীয়র

    Russia Ukraine War: ‘জোর করে পাঠানো হয় যুদ্ধে’! সাহায্যের আর্জি রুশ সেনার জালে পড়া ৭ ভারতীয়র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার রাশিয়ার সেনাবাহিনীর জালে (Russia Ukraine War) জোরপূর্বক ভারতীয় যুবকদের আটকে পড়ার ঘটনা সামনে এল। পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের বাসিন্দা একদল যুবক কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, তাঁদেরকে যেন অতি দ্রুত এই ফাঁদ থেকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের অভিযোগ প্রতারণার মাধ্যমে সবাইকে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয় এবং ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে (Russia Ukraine War) পাঠানো হয়। ১০৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে সাতজন যুবককে দেখা যাচ্ছে তাঁরা একটি ঘরে আটকে রয়েছেন। ঘরটি অত্যন্ত নোংরা এবং সংকীর্ণ। যুবকরা নিজেদের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ওই ভিডিওতে প্রকাশ করেছেন।

    বেলারুশে নিয়ে গিয়ে জোর করে চুক্তিপত্রে সই করানো হয়

    ওই যুবকদের মধ্যে রয়েছেন গগনদীপ সিং যিনি গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর রাশিয়াতে গিয়েছিলেন নতুন বছরের উদযাপন করতে। তাঁদের সঙ্গে ছিল ৯০ দিনের ভিসা। জানা গিয়েছে, ওই যুবকদের বেলারুশে নিয়ে যাওয়া হয়। গগনদীপ জানিয়েছেন, তাঁদেরকে বেলারুশে (Russia Ukraine War) নিয়ে যায় এক এজেন্ট। আরও জানা গিয়েছে, বেলারুশে যেতে তাঁদের আলাদা ভিসা লাগবে এটা যুবকরা জানতেন না। যখন তাঁরা সেখানে পৌঁছান তখন তাঁদের কাছে ভিসা ছিল না। এরপরেই সেখানকার স্থানীয় পুলিশ যুবকদের দলটিকে গ্রেফতার করে এবং রাশিয়ার সরকারের হাতে তুলে দেয়। পরবর্তীকালে যুবকদের জোর করে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়।

    উদ্বিগ্ন পরিবার, কী বলছে বিদেশমন্ত্রক?

    শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, গগনদীপ সিং-এর পরিবার ইতিমধ্যে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাঁর ভাই অমৃত সিং সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা ভীষণ চাপে রয়েছেন। কারণ তাঁদেরকে একধরনের চুক্তিপত্রে সই করানো হয়। যেখানে স্পষ্ট ভাবে লেখা ছিল, হয় তাঁদেরকে ১০ বছরের জন্য জেলে যেতে হবে অথবা রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে। জানা গিয়েছে, ওই যুবকদেরকে ১৫ দিনের মিলিটারি ট্রেনিং-ও (Russia Ukraine War) দেওয়া হয় এবং তারপরেই তাঁদেরকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়। উল্লেখ্য, সাত জন যুবকের ওই ভিডিও নতুন কিছু নয়। এর আগে আরও প্রায় ২৪ জন ভারতীয় যুবক এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। শুধু পাঞ্জাব বলে নয় একই অভিযোগ সামনে এসেছিল কেরল থেকেও। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণবীর জয়সওয়াল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভারত সরকার যথেষ্ট সক্রিয় হয়েছে রাশিয়ান প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং ওই ব্যক্তিদেরকে ফেরত আনার বিষয়ে। গত সপ্তাহতেই কুড়ি জনেরও বেশি ভারতীয়কে এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করতে সমর্থ হয় মোদি সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Israel-Hamas War: ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃত কেরলের বাসিন্দা, জখম আরও ২ ভারতীয়

    Israel-Hamas War: ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃত কেরলের বাসিন্দা, জখম আরও ২ ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের ওপর (Israel-Hamas War) ক্ষেপণাস্ত্র হানা। আর তাতেই প্রাণ হারালেন এক ভারতীয়। জখম হয়েছেন আরও দু’জনও এদেশের নাগরিক। জানা গিয়েছে, সোমবারই ইজরায়েলের উত্তর সীমান্তের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। লেবানন থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইজরায়েল।  ইজরায়েলের মার্গালিয়ট নামক স্থানে একটি কৃষিজমিতে ওই মিসাইল আছড়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটে সোমবার ১১ টা নাগাদ হয়েছে।

    সন্দেহ হিজবুল্লা জঙ্গি গোষ্ঠীকে

    এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায় না স্বীকার করেনি। তবুও হামলার নেপথ্যে রয়েছে লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লা, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ (Israel-Hamas War) শুরু হয় ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে। তখন থেকেই হামাসের পাশে দাঁড়ায় হিজবুল্লা। ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা তারা আগেও করেছে।

    মৃত ও আহতরা ভারতের কেরলের বাসিন্দা

    ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় (Israel-Hamas War) মৃত্যু হয়েছে কেরলের বাসিন্দা পটনিবিন ম্যাক্সওয়েল নামের এক ব্যক্তির। তিনি আদতে কেরলের কোল্লামের  বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বাকি যে দু’জন জখম হয়েছেন তাঁরাও কেরলের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের নাম জোসেফ জর্জ এবং পল মেলভিন। ইজরায়েরেলে সংবাদ সংস্থাগুলি জানিয়েছে, ওই দু’জনের মুখে এবং দেহের একাংশে চোট রয়েছে। এখনও তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইজরায়েলের আধিকারিকদের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘মুখ ও শরীরে আঘাতের কারণে জর্জকে পেটাহ টিকভার বেইলিনসন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অপারেশন সফল হয়েছে, সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি।’’

    কী বলছেন হিজবুল্লা প্রধান?

    হিজবুল্লা অবশ্য হামাস-ইজরায়েল (Israel-Hamas War) যুদ্ধের জন্য আমেরিকাকেই দায়ী করেছে। হিজবুল্লা প্রধানের মতে,  ‘‘গাজা এবং সেখানকার মানুষের উপর এই আগ্রাসনের জন্য দায়ী একমাত্র আমেরিকা। ইজরায়েল ওদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের একটি অস্ত্রমাত্র।’’ উত্তর ইজরায়েলে একাধিক বার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লা। প্রত্যাঘাত করে ইজরায়েলও।

    আরও পড়ুুন: “একটাও বোমাবাজির কথা যেন শুনতে না হয়”, সাফ কথা কমিশনের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abortion Constitutional Right: যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ফ্রান্সের! গর্ভপাত এখন মহিলাদের সাংবিধানিক অধিকার

    Abortion Constitutional Right: যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ফ্রান্সের! গর্ভপাত এখন মহিলাদের সাংবিধানিক অধিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারী দিবসের আগে নারীর অধিকারে নয়া নজির গড়ল ফ্রান্স। গর্ভপাতের অধিকারকে সোমবারই সাংবিধানিক বৈধতা দিল দিল ফ্রান্সের পার্লামেন্ট। ফ্রান্সই বিশ্বের প্রথম দেশ, যেখানে গর্ভপাতের অধিকারকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হল। ফ্রান্সের পার্লামেন্টে গর্ভপাত সাংবিধানিক স্বীকৃতি পাওয়ার পরই উল্লাসে মেতে ওঠেন  মহিলারা। আলো ও আতস বাজিতে মোহময়ী হয়ে ওঠে আইফেল টাওয়ার।

    বিশ্বের কাছে ফ্রান্সের বার্তা

    গর্ভপাতের অধিকারকে (Abortion Constitutional Right) সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সোমবারই ফ্রান্সের পার্লামেন্টের দুই কক্ষে যৌথ ভোটাভুটি হয়। গর্ভপাতকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে ভোট পড়ে ৭৮০টি। আর বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৭২টি। গর্ভপাতের অধিকারকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়ে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গাব্রিয়েল আটাল বলেন, “বিশ্বের এক নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে। আমরা সমস্ত মহিলাদের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছি যে, আপনার শরীর আপনার এবং কেউ আপনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।” ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রঁ গর্ভপাতের অধিকার সংক্রান্ত এই সাংবিধানিক অধিকারকে গর্বের বিষয় বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, গর্ভপাতের অধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে মহিলাদের যে অধিকার রয়েছে, সে বিষয়ে ফ্রান্স বিশ্বের কাছে বার্তা পাঠাল।

     উচ্ছ্বসিত ফ্রান্সের মহিলারা

    প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে গর্ভপাতের (Abortion Constitutional Right) আইনগত অধিকার রয়েছে। এবার তাকে সাংবিধানিক মান্যতা দিল সেদেশ। ফ্রান্সে দীর্ঘদিন ধরেই মহিলাদের গর্ভপাতের অধিকার দেওয়ার দাবি উঠেছিল। ১৯৭৪ সালে এই বিষয়ে আইনও প্রণয়ন হয়েছে। কিন্তু, দক্ষিণপন্থীরা এর তীব্র বিরোধিতা করেছে। তারপর বিষয়টি নিয়ে অনেক সমীক্ষা করা হয়ে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৮৫ শতাংশ লোক এই বিষয়টিকে সমর্থন করেছে। ভার্সেইয়ে প্যালেসে ফ্রান্সের আইন প্রণেতারা উৎসাহের সঙ্গে গর্ভপাতকে সাংবিধানিক মান্যতা দেওয়ার পরই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সেদেশের মহিলারা। সোমবার সন্ধ্যাতেই প্যারিসের বিভিন্ন সংগঠনের মহিলা সদস্যরা আইফেল টাওয়ারের নীচে দাঁড়িয়ে ‘মাই বডি মাই চয়েস’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে উল্লাসও করেন। 

  • Shehbaz Sharif: হার ইমরানের দলের প্রার্থীর,পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ

    Shehbaz Sharif: হার ইমরানের দলের প্রার্থীর,পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি যে দ্বিতীয়বারের জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন, তা এক প্রকার নিশ্চিত ছিল। রবিবার হলও তা-ই। পাকিস্তানের পার্লামেন্টের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) পক্ষে পড়ল ২০১টি ভোট। স্বাভাবিকভাবেই তিনি হলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

    পাক পার্লামেন্টে অধিবেশন

    রবিবার পাক পার্লামেন্টে বসেছিল অধিবেশন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজেদের পছন্দের কথা জানান সাংসদরা। এদিন শাহবাজের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের নেতা ওমর আইয়ুব। পাকিস্তানের রাজনীতিতে তিনি একটি উল্লেখযোগ্য নাম। ইমরান পিটিআই গড়ার পরেই তাঁর দলে নাম লেখান আয়ুব। পিটিআই যখন সরকার গড়েছিল, তখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন আয়ুব। এহেন আয়ুব হেরে গেলেন (Shehbaz Sharif) রবিবার, প্রধানমন্ত্রী পদে লড়তে গিয়ে। ভোটাভুটি হলে মাত্র ৯২টি ভোট পান তিনি। পাকিস্তানের সংসদে আসন সংখ্যা ৩৩৬টি। প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে অন্তত ১৬৯টি ভোট পেতেই হয়। শাহবাজ পেয়েছেন তার চেয়েও ঢের বেশি ভোট। তাই প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন (Shehbaz Sharif) তিনিই।

    ইমরানের দলের অভিযোগ

    পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল ইমরানের দল। যেহেতু কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, তাই কারা সরকার গড়বে, তা নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হয়। পরে জট কাটে পিপিপি পাশে দাঁড়ানোয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ফল ঘোষণা হয় পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের। দেখা যায়, পিএমএল-এন জিতেছে ৭৫টি আসন, পিপিপি পেয়েছে ৫৪টি আসন। ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা জিতেছিলেন ৯৩টি আসনে। কোনও একটি রাজনৈতিক দলই সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পাওয়ায় হ্যাং-পার্লামেন্ট হয়। সমস্যা মেটাতে পিএমএল-এন এবং পিপিপি সরকার গড়ার উদ্যোগ নেয়। তাদের সমর্থন করে দেশের অন্য কয়েকটি রাজনৈতিক দল।

    আরও পড়ুুন: নদিয়ায় দুর্ঘটনার কবলে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির কনভয়, তদন্তের দাবি জানালেন সুকান্ত

    শাহবাজ শরিফ হতে চলেছেন পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী। তিনি পিএলএমএনএর নেতা নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই। শাহবাজ বিয়ে করেছেন পাঁচ বার। ডিভোর্সের ঘটনা ঘটেছে তিন বার। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সরকার ফেলার চেষ্টা করেন। বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনে। সেই অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারায় ইমরানের দল পিটিআই। তারপর শাহবাজের নেতৃত্বেই সরকার গড়েন বিরোধীরা (Shehbaz Sharif)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Indian Dancer: আমেরিকায় ভারতীয় নৃত্যশিল্পী অমরনাথকে গুলি করে খুন

    Indian Dancer: আমেরিকায় ভারতীয় নৃত্যশিল্পী অমরনাথকে গুলি করে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকায় খুন হলেন বীরভূমের নৃত্যশিল্পী অমরনাথ ঘোষ (Indian Dancer)। ঘটনা কীভাবে ঘটল এবং সত্যতা জানতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন ঘোষ পরিবার। নাচের শিক্ষক হিসাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করতেন তিনি (Amar Nath Ghosh)। সম্প্রতি তাঁর এক আত্মীয়ের মাধ্যমে পরিবারের লোকজন ফোনে জানতে পারেন যে তিনি খুন হয়েছেন। এরপর থেকেই পরিবারের ছেলেকে নিয়ে তীব্র উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন সকলে।

    গুলি করে হত্যা করা হয়েছে (Indian Dancer Amarnath Ghosh)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের সিউড়িতে বাড়ি ছিল অমরনাথের (Amarnath Ghosh)। তাঁর নিজের পেশা ছিল নাচ শেখানো। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অমরনাথের বন্ধু বলে পরিচিত এক ব্যক্তি ফোন করে বলেন, “অমরনাথ (Indian Dancer) আমেরিকার রাস্তায় খুন হয়েছেন। তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।” এরপর একই ভাবে টিভি অভিনেত্রী দেবোলিনা ভট্টাচার্য শুক্রবার এই খুনের সম্পর্কে জানিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি। পরিবার এবং আত্মীয়রা দারুণ আশঙ্কায় দিনপাত করছেন।

    পরিবারের বক্তব্য

    খুনের সংবাদ পেয়ে অমরনাথের (Amarnath Ghosh) কাকিমা ভাগবতী ঘোষ বলেন, “দুই বছর আগে অমরনাথ (Indian Dancer) আমেরিকায় যান। তবে অমরনাথের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ছিল। কিন্তু গত বেশ কিছু দিন ধরে ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অমরনাথের এক বন্ধু প্রবীণ পাউল ওরফে ক্রিস আমাদের এক আত্মীয়কে ফোন করে মৃত্যু সংবাদ দেন। তবে কী ভাবে হল, এখনও আমরা জানতে পারিনি।” ঘটনায় পরিবার অত্যন্ত দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে বীরভূম জেলা শাসক এবং পুলিশের কাছে দ্বারস্থ হয়েছেন। আবার অমরনাথের ছোট কাকা শ্যামাল ঘোষ বলেন, “ফোনে অমরনাথের সঙ্গে আমার ছেলে মেয়েদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। কিন্তু আমাদের কাছে খবর আসে ওঁকে খুন করা হয়েছে। তাই পুলিশ–প্রশাসনের কাছে সত্যতা জানতে আসলাম।”

    কে ছিলেন অমরনাথ? (Indian Dancer)

    অমরনাথ (Amarnath Ghosh) নিজে একটা সময়ে কলকাতায় থাকতেন। তিনি একজন পেশাদার ভরতনাট্যম এবং কুচিপুড়ি নৃত্যশিল্পী ছিলেন। সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে নৃত্য বিষয়ে এমএফএ-তে পড়াশুনা করছিলেন। একই ভাবে চেন্নাইয়ের কলাক্ষেত্র একাডেমির প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে কুচিপুড়ি নৃত্যের জন্য জাতীয় বৃত্তি পেয়েছিলেন। তিনি ববিতা দে সরকার, শ্রী এম ভি নরসিংহচারী এবং পদ্মশ্রী আদ্যার কে লক্ষ্মণের তত্ত্বাবধানে কাজ করেছিলেন। দেবোলিনা ভট্টাচার্যের নিজের এক্স হ্যন্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছেন, “অমরনাথ ঘোষ (Indian Dancer) পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিলেন। তাঁর মা মারা গেছেন তিন বছর আগে। আবার শৈশবে তাঁর বাবাকে হারিয়েছিলেন তিনি।”

    দূতাবাসের বক্তব্য

    শিকাগোতে ভারতীয় কনস্যুলেট সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করেছেন। তিনি বলেন, “মৃত অমরনাথ (Amarnath Ghosh) ঘোষের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আমরা ফরেনসিক পরীক্ষা নিরীক্ষা অনুসরণ করছি। পুলিশের সঙ্গে তদন্তে সহায়তা প্রদান করছি। বন্দুক হামলায় মৃত্যুর তদন্তের জন্য সেন্ট লুইস পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মামলাটি জোরালো ভাবে তুলে ধরেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Fire: ঢাকায় বহুতলে আগুন, মৃত অন্তত ৪৩! অগ্নিবিধি না মানার জন্যই কি দুর্ঘটনা?

    Bangladesh Fire: ঢাকায় বহুতলে আগুন, মৃত অন্তত ৪৩! অগ্নিবিধি না মানার জন্যই কি দুর্ঘটনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকায় (Bangladesh Fire) একটি বহুতলে আগুন লেগে অন্তত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ৪০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। 

    কীভাবে ঘটল ভয়াবহ ঘটনা

    ঢাকার (Bangladesh Fire) দমকল বিভাগের আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ বেইলি রোডের একটি বহুতলে আগুন লাগে। বাড়িট সাত তলা। ওই ভবনের নিচের তলায় একটি কফির দোকান আছে। সেখান থেকেই এই আগুনের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন সিআইডি আধিকারিক মোহাম্মদ আলী মিয়া। ওই বহুতলটি বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হত। সেখানে খাবারের দোকান ছাড়াও জামাকাপড়, মোবাইল এবং অন্যান্য দোকান ছিল। বহুতলটির দ্বিতলে একটি বিরিয়ানির দোকান ছিল। সেখানেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ক্রমে উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। নীচ থেকে উপরের দিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় বাড়িটির মধ্যেই অনেকে আটকে পড়েন। আগুন এবং ধোঁয়ার হাত থেকে বাঁচতে অনেকে ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেন। বহুতলটির ভিতর থেকে মোট ৭৫ জনকে জীবিত অবস্থায় বাইরে বার করে আনা গিয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

    আরও পড়ুন: ভোররাত পর্যন্ত বৈঠকে মোদি, লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত

    ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    অগ্নিবিধি লঙ্ঘন করার ফলে বাংলাদেশের বহুতলে বা কারখানয় আগুন লাগার ঘটনা নতুন কিছু নয়। বারবার এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী থাকে ওপার বাংলা। এদিনের এই ভয়াবহ ঘটনার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করে এএফপিকে বলেন, “এখনও পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যাটি আরও বাড়তেও পারে। আহতদের চিকিৎসা চলছে।” এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। আহতদের যাতে ঠিকমত চিকিৎসা হয় তা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছন তিনি। এই ঘটনার কারণ জানতে ৫সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dubai Tourist Multiple Visa: ভারতীয়দের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দিচ্ছে দুবাই, কেন জানেন?

    Dubai Tourist Multiple Visa: ভারতীয়দের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দিচ্ছে দুবাই, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়দের পাঁচ বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা (Dubai Tourist Multiple Visa) দিচ্ছে দুবাই। এই ভিসায় ভারত ও গলফ দেশগুলিতে যাতায়াত করতে পারবেন তাঁরা। এ কথা জানিয়েছে দুবাই ডিপার্টমেন্ট অফ ইকনোমি অ্যান্ড ট্যুরিজম।

    প্রাক-করোনা পর্বের হিসেব

    জানা গিয়েছে, গত বছর ২.৪৬ মিলিয়ন ভারতীয় দুবাই গিয়েছিলেন। প্রাক-করোনা পর্বের পর এবার এটা বেড়েছে ২৫ শতাংশ। প্রতি বছরই দুবাই যাওয়ার মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এই সংখ্যাটাই ভারতের নম্বর ওয়ান সোর্স মার্কেট। ফি বছর যা বাড়ছে ৩৪ শতাংশ করে। এক বছর আগেও (Dubai Tourist Multiple Visa) ভারত থেকে দুবাই বেড়াতে গিয়েছিলেন ১.৮৪ মিলিয়ন পর্যটক। অথচ উনিশ সালে করোনা অতিমারি পর্বের আগে এ শহরে পা রেখেছেন ১.৯৭ মিলিয়ন ভারতীয় পর্যটক। করোনা-পর্বে নানা নিষেধাজ্ঞার জেরে দুবাই ঘুরতে যাওয়া পর্যটকের সংখ্যা কমলেও, ফের তা বাড়তে শুরু করেছে।

    মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা

    জানা গিয়েছে, এখন প্রাপ্ত বয়স্ক ভারতীয়রা মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা নিয়ে পাঁচ বছরের জন্য দুবাই চলে যেতে পারবেন। প্রতিবার তাঁরা সেখানে থাকতে পারবেন টানা তিন মাস করে। এই ভিসার মেয়াদ আবারও তিন মাসের জন্য এক্সটেন্ড করা হবে। তবে সারা বছরে সব মিলিয়ে ১৮০ দিনের বেশি করা হবে না। মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা পেতে গেলে আবেদনকারীকে কয়েকটি যোগ্যতামান পার হতে হবে। এরই একটি হল, ব্যাঙ্কে আবেদনকারীর অন্তত ৪ হাজার মার্কিন ডলার ব্যালেন্স থাকতে হবে। বিদেশি মুদ্রায় সম পরিমাণ অর্থ থাকলেও মিলবে ওই ভিসা।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে সুকান্তকে ধর্নায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

    এর পাশাপাশি আবেদনকারীর থাকতে হবে স্বাস্থ্য বিমাও। যে বিমা কার্যকরী হবে সংযুক্ত আরব আমির শাহিতে। এই ভিসার সাহায্যে আবেদনকারীরা ব্যবসা সংক্রান্ত নানা কাজে দুবাই যেতে-আসতে পারবেন। অবসর বিনোদনের জন্যও যেতে পারবেন ওই দেশে। দুবাই ডিপার্টমেন্ট অফ ইকনমি অ্যান্ড ট্যুরিজমের রিজিয়নাল হেড অফ প্রক্সিমিটি বাদের আলি হাবিব বলেন, “দুবাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। ভারত আমাদের এই বাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ডি৩৩ এজেন্ডার লক্ষ্যে পৌঁছতেই ভারত এটা করবে। ক্রমেই দুবাই হবে উঠবে একটি বিজনেস হাব, লগ্নি ও ট্যুরিজম কেন্দ্র (Dubai Tourist Multiple Visa)।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Mohamed Muizzu: ‘মিথ্যে’ বলার অভিযোগ মুইজ্জুর বিরুদ্ধে, পর্দা ‘ফাঁস’ করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী

    Mohamed Muizzu: ‘মিথ্যে’ বলার অভিযোগ মুইজ্জুর বিরুদ্ধে, পর্দা ‘ফাঁস’ করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ‘মিথ্যে’ বলার অভিযোগ উঠল মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) বিরুদ্ধে। যিনি দাবি করেছেন, তিনি মলদ্বীপেরই ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট তথা প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শাহিদ।

    চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু

    তাঁর অভিয়োগ, ভারতীয় সেনাদের নিয়ে মিথ্যে বলছেন চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। এক্স হ্যান্ডেলে আবদুল্লা লেখেন, “একশো দিন পেরিয়ে গেল। এটুকু পরিষ্কার যে প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু হাজার হাজার ভারতীয় সেনা নিয়ে যে দাবি করেছিলেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। এটি ওঁর অন্য অনেক মিথ্যের তালিকায় আরও একটি সংযোজন। বর্তমান প্রশাসন সঠিক পরিসংখ্যান দিতে ব্যর্থ। এই মুহূর্তে দেশে কোনও বিদেশি সশস্ত্র সেনা নেই।”

    ভারতীয় সেনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ

    মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) চিনপন্থী হিসেবেই পরিচিত। গত ১৭ নভেম্বর মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হন তিনি। তার পরেই নিতে থাকেন একের পর এক ভারত বিরোধী সিদ্ধান্ত। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েও মুইজ্জু দাবি করেছিলেন, তাঁদের দেশে হাজার হাজার ভারতীয় সেনা রয়েছে। অথচ পরিসংখ্যান বলছে, দ্বীপরাষ্ট্রটিতে বর্তমানে ভারতীয় সেনা রয়েছেন মাত্র ৭০ জন। ক্ষমতায় এসেই ১০ মে-র মধ্যে মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে নিতে বলে মুইজ্জু সরকার।

    আরও পড়ুুন: ‘জ্ঞানবাপীর তহখানায় চলবে পুজো’, মুসলিম পক্ষের আপত্তি নাকচ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে টানাপোড়েন

    প্রথা অনুযায়ী, যাঁরাই মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি পদে বসেন, তাঁরা প্রথমে ভারত সফরে আসেন। দীর্ঘদিনের সেই প্রথা ভেঙে ভারত নয়, তখতে বসেই মুইজ্জু প্রথমে যান তুরস্ক সফরে। এর পর, চিনা ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে বেজিংকে মিত্র দেশ হিসেবে ঘোষণা করেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। তার পর থেকে ক্রমেই অবনতি হতে থাকে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কের। সম্প্রতি সে সম্পর্কে তলানিতে এসে ঠেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রীর করা অমমাননাকর মন্তব্যের পর।

    এর পরেই ভারতীয় পর্যটকরা মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দেন। প্রমাদ গোণেন সে দেশের পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। কারণ মলদ্বীপে ফি বছর যত পর্যটক বেড়াতে যান, তাঁদের সিংহভাগই ভারতীয়। একদা পরম মিত্র দেশ ভারতের সঙ্গে বৈরিতাও মেনে নিতে পারেননি সেদেশের মুইজ্জু-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রধানরা। এহেন পরিস্থিতিতে মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) মিথ্যের বেলুন ফাটিয়ে দিলেন সে দেশেরই প্রাক্তন মন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

      

  • Pakistan: ২ মার্চ পাকিস্তানে সরকার গড়বে জোট, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কবে?

    Pakistan: ২ মার্চ পাকিস্তানে সরকার গড়বে জোট, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ জোট সরকারই হতে চলেছে পাকিস্তানে (Pakistan)। ২ মার্চের মধ্যে পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির জোট গড়তে চলেছে সরকার। ৯ মার্চের মধ্যে পাকিস্তানে হয়ে যাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনও।

    প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন নওয়াজের ভাই শেহবাজ

    পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের নেতা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তাঁকে সমর্থন করবে পাকিস্তান পিপলস পার্টির ভূতপূর্ব মন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল। দুই দলের প্রধানই রাজি হয়েছেন জোট সরকার গড়তে। ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয় পাকিস্তানে। ফল বেরলে দেখা যায় কোনও দলই সরকার গড়তে প্রয়োজনীয় ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেনি। ত্রিশঙ্কু পার্লামেন্টের জেরে সরকার গড়তে হাত মিলিয়েছে দুই রাজনৈতিক দল (Pakistan)। প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নওয়াজের ভাই শেহবাজ শরিফ।

    ইমরান খানের দল পেয়েছে বেশি আসন

    বছর বাহাত্তরের শেহবাজ শরিফ এক সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। পিএমএলএন-এর প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী তিনি। দলের তরফে জানানো হয়েছে, তিনবারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ সরকারকে নেতৃত্ব দিতে রাজি হচ্ছেন না। কারণ পার্লামেন্টে পিএমএন-এলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। দুই দলই অল্প কয়েকটি আসনে জয়ী হয়েছে। অথচ জেলবন্দি ইমরান খানের দল পেয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি আসন।

    পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিনে শপথ নেবে জোট সরকার। তারাই প্রস্তাব দিয়েছে, ৯ মার্চের মধ্যেই সাঙ্গ করা হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পর্ব। পাকিস্তানের বিদায়ী রাষ্ট্রপতি ডঃ আরিফ আলভির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে সেপ্টেম্বরে। আরিফ পেশায় ছিলেন দন্ত চিকিৎসক। পরে আসেন রাজনীতিতে। ইমরান খানের দলের প্রবীণ সদস্য তিনি। ২০১৮ সালে রাষ্ট্রপতি পদে বসানো হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: মুসলিম ম্যারেজ অ্যাক্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত, ইউসিসি-র দিকে এগোচ্ছে অসম?

    পিএমএল-পিপিপি এবং তাদের সহযোগী দলগুলি চাইছে মার্চের ৮ তারিখের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন-পর্ব মিটিয়ে ফেলতে। এই পর্ব মিটে গেলে হবে সেনেট ইলেকশন। পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, সাধারণ নির্বাচন শেষ হওয়ার তিরিশ দিনের মধ্যে করতে হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। পিপিপির প্রবীণ নেতা ফারুক এইচ নায়েক বলেন, “সংবিধানের ৪১ নম্বর ধারা অনুযায়ীই সাধারণ নির্বাচনের তিরিশ দিনের মধ্যেই করতে হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। যার অর্থ হল, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্ব শেষ করতে হবে ৯ মার্চের মধ্যে (Pakistan)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  •  Iran-Pakistan: পাকিস্তানে ঢুকে ফের জঙ্গি-নিধন অভিযান ইরানের, জবাব দেবে ইসলামাবাদ?

     Iran-Pakistan: পাকিস্তানে ঢুকে ফের জঙ্গি-নিধন অভিযান ইরানের, জবাব দেবে ইসলামাবাদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের ভূখণ্ডে জইশ আল-আদল সন্ত্রাসীদের খতম করল ইরান (Iran-Pakistan)। দুই দেশ একে অপরের উপর বিমান হামলা চালানোর এক মাস পরে এই ঘটনা ঘটেছে। ইরানের সেনাবাহিনী পাকিস্তানে থাকা এই জঙ্গি গোষ্ঠীর উপর হামলা চালিয়েছে। ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। 

    ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সূত্রে খবর (Iran-Pakistan)

    ইরানের (Iran-Pakistan) সরকারি সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ জানিয়েছে, “ইরানের সামরিক বাহিনী, জইশ আল-আদল জঙ্গি গোষ্ঠীর কমান্ডার ইসমাইল শাহবখশ এবং তার কয়েকজন সঙ্গীকে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে হত্যা করেছে।” আবার আল আরাবিয়া নিউজ সূত্রে জানা গিয়েছে, “২০১২ সালে গঠিত হয় জাইশ আল-আদল সংগঠন। পরবর্তী সময়ে ইরান সরকার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে আল-আদলকে ঘোষণা করে। এই জঙ্গি সংগঠন হল একটি সুন্নি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। মূলত ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে এরা সক্রিয়। গত কয়েক বছর ধরে এই সংগঠন ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর উপর অসংখ্য হামলা চালিয়েছে। গত বছর ডিসেম্বর মাসে সিস্তান-বালুচিস্তানের একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়েছিল। সেখানে কমপক্ষে ১১ জন ইরানি পুলিশ কর্মী নিহত হয়েছিলেন।”

    ইরান-পাকিস্তান সম্পর্ক

    গত মাসে ইরান-পাকিস্তান (Iran-Pakistan) একে অপরের জঙ্গি অধ্যুষিত অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পরে উভয় রাষ্ট্র পারস্পরিকভাবে নিরাপত্তা সহযোগিতাকে প্রসারিত করতে সম্মত হয়েছিল। এই বিষয়ে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি এবং ইরানের পক্ষ থেকে হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান পাকিস্তানের বিদেশ দফতরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে চুক্তিটির কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে জিলানি বলেছেন, “উভয় দেশ নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিকে দ্রুত সমাধান করতে পারবে। দুই দেশ তাদের নিজ নিজ এলাকায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে এবং একে অপরের উদ্বেগ দূর করতে সম্মত হবে।” তার একমাসের মাথায় ফের পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি-নিধন করল ইরান। এবার পাকিস্তান কী প্রত্যুত্তর দেয় সেটাই দেখার।

    উভয় পক্ষ একে অপরকে হামলা করেছে

    গত ১৬ জানুয়ারি গভীর রাতে পাকিস্তানে জইশ আল-আদলের মূল দফতরে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছিল ইরান। এই হামলায় দুই শিশু নিহত হয় এবং একই সঙ্গে তিনজন মেয়ে আহত হয়েছিল বলে দাবি করে পাকিস্তান। এর পরই পাকিস্তান ১৭ জানুয়ারি ইরান থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। একই সঙ্গে পাকিস্তানে থাকা ইরানি রাষ্ট্রদূতকে ফেরত যাওয়ার কথা বলে। ঘটনায় উভয় দেশের (Iran-Pakistan) সম্পর্ক অত্যন্ত তিক্ত পর্যায়ে পৌঁছায়। এরপর ১৮ জানুয়ারি পাকিস্তান প্রতিশোধমূলক আক্রমণ হিসাবে ইরানের অভ্যন্তরে হামলা চালায়। ইসলামাবাদ জানিয়েছিল যে, এই হামলা ছিল বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি এবং বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট নামক সন্ত্রাসী  সংগঠনের উপর।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share