Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • 6G Technology: মোদির ৬জি প্রযুক্তির প্রস্তাবে স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক সংস্থার, কী লাভ হল জানেন?

    6G Technology: মোদির ৬জি প্রযুক্তির প্রস্তাবে স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক সংস্থার, কী লাভ হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নত প্রযুক্তির সুবিধা নিতে হবে বলে বিভিন্ন সময় মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি নিজেও টেক-স্যাভি। ৬জি (6G Technology) টেলিকমিউনিকেশন পরিষেবা গড়ে তোলার বিষয়েও তিনি যে বিশেষ আগ্রহী, তাও বিভিন্ন সময় প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গীকে মান্যতা দিল রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্ত সংস্থা আইটিইউ (ITU)। এই সংস্থার স্টাডি গ্রুপের বৈঠকে ভারতের ৬জি টেলিকমিউনিকেশন যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃষ্টিভঙ্গীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আইটিইউয়ের স্টাডি গ্রুপের এই স্বীকৃতিতে ৬জি প্রযুক্তি স্থাপনের খরচ কমাতে এবং ভারতকে ৬জি মানের সংজ্ঞা নির্ধারণে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দেবে।

    ৬জি ভিশন নথি

    তামাম বিশ্বের মোবাইল টেলিকমিউনিকেশনের মান নির্ধারণ করে থাকে আইটিইউ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ৬জি (6G Technology) ভিশন নথি প্রকাশ করেছেন, তাতে ৬জি প্রযুক্তির বাস্তবায়ন সাশ্রয়ী, টেকসই এবং সর্বজনীন হওয়া উচিত বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। স্টাডি গ্রুপের আগের বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দল আইএমটি২০৩০ কাঠামোয় ৬জি সর্বজনীন সংযোগকে ব্যবহারের দৃশ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ সংস্থা আইটিইউয়ের স্টাডি গ্রুপের বৈঠকে।

    এই স্বীকৃতির গুরুত্ব অপরিসীম

    ভারতের এই স্বীকৃতি কেবল একটি প্রযুক্তিগত সাফল্য নয়, কূটনৈতিক সাফল্যও। খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে কানাডার জাস্টিন ট্রুডো সরকার। যদিও এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কাউকে পাশে পায়নি ট্রুডোর দেশ। এহেন আবহে ভারতের এই স্বীকৃতির গুরুত্ব যে অপরিসীম, তা মানছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশও।

    ৬জি প্রযুক্তি (6G Technology) সূচনা করবে নয়া যুগের। এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলে সুবিধা মিলবে হাইস্পিডের ইন্টারনেটের। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য প্রযুক্তির জন্যও তৈরি হবে নয়া সুযোগ। ডিজিটাল অর্থনীতিতে ভারতের ভূমিকা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে এই প্রযুক্তি। আইটিইউয়ের স্টাডি গ্রুপের বৈঠকে ভারতের এই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় মোদির দেশ যে ক্রমেই প্রযুক্তিগত আলোচনায় উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করছে, তা বলাই বাহুল্য।

    আরও পড়ুুন: জয়শঙ্কর-ব্লিঙ্কেন বৈঠকে উঠলই না নিজ্জর খুনের প্রসঙ্গ, হতাশ ট্রুডোর দেশ!

    আইটিইউয়ের এনজিএন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ গ্রুপের সদস্য সত্য গুপ্তা বলেন, “স্বীকৃত প্রস্তাবগুলি প্রযুক্তি কীভাবে বিবর্তন হবে, তা নির্ধারণ করে। ভারতের ৬জি প্রস্তাব গ্রহণ দেশের ভিশনকে একটি বিশ্বব্যাপী স্তরে নিয়ে এসেছে এবং ৬জি মান গঠনে অংশ নেওয়ার জন্য দেশকে সুযোগ দেয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • US India Meet: জয়শঙ্কর-ব্লিঙ্কেন বৈঠকে উঠলই না নিজ্জর খুনের প্রসঙ্গ, হতাশ ট্রুডোর দেশ!

    US India Meet: জয়শঙ্কর-ব্লিঙ্কেন বৈঠকে উঠলই না নিজ্জর খুনের প্রসঙ্গ, হতাশ ট্রুডোর দেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ধাক্কা খেলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো! খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন, পাশে পাবেন বন্ধু আমেরিকাকে। দিন কয়েক আগে বুক বাজিয়ে বলেওছিলেন, ব্লিঙ্কেন-জয়শঙ্কর বৈঠকে (US India Meet) অবশ্যই উঠবে নিজ্জর খুনের প্রসঙ্গ। বৃহস্পতিবার পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক হয় মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে। সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে নানা বিষয় আলোচনা হলেও, ওঠেনি নিজ্জর প্রসঙ্গ।   

    আলোচনা ইতিবাচক, বলছে আমেরিকা 

    ভারত আমেরিকার ‘বিশেষ কৌশলগত মিত্র’। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণে নয়াদিল্লিকে চটাতে চায়নি জো বাইডেনের দেশ। তাই জয়শঙ্কর ব্লিঙ্কেন বৈঠকে ওঠেনি নিজ্জর খুনে কানাডার অভিযোগের প্রসঙ্গ। এদিন বৈঠক শেষে মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “প্রতিরক্ষা, মহাকাশ গবেষণা এবং দুষণমুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।”

    জয়শঙ্কর-সালিভান বৈঠক

    এদিন জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভানও। বৈঠকের আগে (US India Meet) ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, “গত কয়েক বছরে কানাডায় পরিকল্পিত অপরাধের সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদ, উগ্রপন্থার কারণেই এই অপরাধ এবং হিংসা। কানাডা থেকে কী কী অসামাজিক কার্যকলাপ চলে তা জানিয়ে জঙ্গি নেতাদের চিহ্নিত করে প্রত্যর্পণ করতেও আবেদন জানানো হয়েছে।” বৈঠক শেষে এক্স হ্যান্ডেলে জয়শঙ্কর লেখেন, “ওয়াশিংটন সফর শুরু হল আমেরিকার নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভানের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রবল সম্ভাবনার দিকটি খতিয়ে দেখে তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে কথা হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানের পাশ থেকে সরে গেলেন ‘কমরেড’ও! অথৈ জলে ইসলামাবাদ

    গত জুন মানে কানাডায় খুন হয় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতের হাত রয়েছে বলে সংসদে দাবি করেন ট্রুডো। কানাডার অভিযোগকে মনগড়া ও মিথ্যে বলে জানিয়ে দেয় ভারত। কানাডার এই অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি মিত্র দেশগুলি। কানাডা ‘ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্সে’র সদস্য। এই চার সহযোগী দেশকেও পাশে পায়নি ট্রুডোর দেশ। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যেবাদী বলে দেগে দিয়েছে শ্রীলঙ্কাও। এমতাবস্থায় জয়শঙ্কর-ব্লিঙ্কেনের বৈঠকে (US India Meet) নিজ্জর খুনের প্রসঙ্গ না ওঠায় প্রত্যাশিতভাবেই হতাশ কানাডা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • China Pakistan Relation: এবার পাকিস্তানের পাশ থেকে সরে গেলেন ‘কমরেড’ও! অথৈ জলে ইসলামাবাদ

    China Pakistan Relation: এবার পাকিস্তানের পাশ থেকে সরে গেলেন ‘কমরেড’ও! অথৈ জলে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, দুর্দিনে বন্ধু চেনা যায়! ঋণে জর্জরিত পাকিস্তান। চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হওয়ার দশা ইসলামাবাদের। এমতাবস্থায় কোথায় পাশে দাঁড়াবে চিন, তা নয় ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে বেজিং (China Pakistan Relation)। বিলিয়ন ডলারের চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের অধীনে জল ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও প্রসারিত করতে অস্বীকার করেছে ড্রাগনের দেশ।

    পাকিস্তানকে সাহায্য করতে অস্বীকার করেছে চিন

    এহেন পরিস্থিতিতে আক্ষরিক অর্থেই অথৈ জলে ইসলামাবাদ। সম্প্রতি একাদশতম জয়েন্ট কো-অপারেশন কমিটির বৈঠক হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে চিন পাকিস্তান দুই দেশেরই মতপার্থক্য সামনে চলে আসে। তার পরেই বেজিং চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের অধীনে জল ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও প্রসারিত করতে অস্বীকার করেছে।পাকিস্তানের (China Pakistan Relation) কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তান সরকারের মোট ঋণ ৩৪.১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘পুণ্যার্থীর ছদ্মবেশে ভিখিরি পাঠানো বন্ধ করো’, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি সৌদি আরবের

    যার জেরে বর্তমানে পাকিস্তান সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ ৫৬,৮০,০০০ কোটি টাকা। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ৩৬.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা দেশটির মোট ঋণের ৬২.৩ শতাংশের সমান। দেশটির বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা তার মোট ঋণের ৩৭.৬ শতাংশ।

    চিনকে খুশি করার চেষ্টা ইসলামাবাদের 

    পাকিস্তানে ৩ হাজার কিলোমিটারের চিন-পাক ইকনমিক করিডরে প্রচুর পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করেছে শি জিনপিংয়ের সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে একদিকে যেমন চিনের আর্থিক লাভ হচ্ছে, তেমনি কর্মসংস্থান এবং বাণিজ্যিক উন্নয়ন হচ্ছে পাকিস্তানেও। চিনকে খুশি করতে পাকিস্তানের গোয়াদারে আমদানিকৃত কয়লাচালিত যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলার কথা ছিল ইসলামাবাদের, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সেই পরিকল্পনা বাতিল করেছে বলে পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। গিলগিট বাল্টিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পর্যটন বিষয়ক পরিকল্পনাও বাতিল করেছে ইসলামাবাদ। চিনের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেশ কিছু ক্ষেত্রে এগোতে চেয়েছিল পাকিস্তান। তবে চিন ধাতব খনিজগুলির যৌথ অনুসন্ধান, উন্নয়ন এবং বিপণনের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে। যার জেরে সখাত সলিলে ডুবে মরার দশা হয়েছে পাকিস্তানের (China Pakistan Relation)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistani Beggars: ‘পুণ্যার্থীর ছদ্মবেশে ভিখিরি পাঠানো বন্ধ করো’, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি সৌদি আরবের

    Pakistani Beggars: ‘পুণ্যার্থীর ছদ্মবেশে ভিখিরি পাঠানো বন্ধ করো’, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি সৌদি আরবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে হাত পেতেও, ঝুলি এখনও রয়েছে অপূর্ণ। পাশে পায়নি আরবের মতো দেশগুলিকেও। প্রত্যাশিতভাবেই দেশবাসীর অবস্থা করুণ। এমতাবস্থায় ভিন দেশে ভিক্ষেকেই (Pakistani Beggars) সম্বল করেছেন পাকিস্তানের নাগরিকদের একটা অংশ। তীর্থযাত্রীর ছদ্মবেশে তাঁরা চলে যাচ্ছেন আরবে। তারপর পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন ভিক্ষে করাকেই।

    গ্রেফতারির জেরে উপচে পড়ছে জেল!

    সম্প্রতি পাকিস্তানি ওভারসিজ সেক্রেটারি জিসান খানজাদা সে দেশের সেনেট স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে জানিয়েছেন, পাকিস্তান থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁদের অধিকাংশই ভিক্ষেকে (Pakistani Beggars) বৃত্তি হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। আরবে ভিক্ষে করা নিষিদ্ধ। অথচ পুণ্যার্থীর ছদ্মবেশে আসা লোকজনের মধ্যে ভিক্ষে করার অপরাধে যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশই পাকিস্তান থেকে এসেছেন। সৌদি আরব ও ইরাকের রাষ্ট্রদূতদের অভিযোগ, গ্রেফতারির জেরে তাঁদের দেশের জেল উপচে পড়ছে। মানব পাচারের ঘটনায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

    উমরাহ ভিসা নিয়ে এসে ভিক্ষে!

    জিসান জানান, সৌদি আরবের মসজিদ অল হারাম এলাকায় পকেটমারিও করছেন বহু পাকিস্তানি। এঁরা উমরাহ ভিসা নিয়ে তাঁদের দেশে এসে ভিক্ষে করছেন। জানা গিয়েছে, তীর্থযাত্রীর ছদ্মবেশে ভিক্ষুকদের (Pakistani Beggars) আরবের দেশগুলিতে পাঠাতে পাকিস্তানকে নিষেধ করা হয়েছে। সমস্ত ভিক্ষুককে নিজেদের দেশে ফেরত নিতেও বলা হয়েছে পাকিস্তানকে।

    সেনেটর রানা মহম্মদ-উল-হাসান জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক এসেছেন ৩ লক্ষ ৪০ হাজার। তার মধ্যে পাকিস্তানি দক্ষ শ্রমিক রয়েছেন মেরেকেটে ২০০ জন। অথচ ভারত থেকে দক্ষ শ্রমিক এসেছেন ১৫ লক্ষ। ছোট্ট দেশ নেপাল থেকে এসেছেন ৯১ হাজার। বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা থেকেও প্রচুর দক্ষ শ্রমিক এসেছেন।

    আরও পড়ুুন: “বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির সংগঠিত অপরাধে জর্জরিত কানাডা”, নিউইয়র্কে জয়শঙ্কর

    জানা গিয়েছে, সৌদি আরবে প্রায় ৩০ লক্ষ পাকিস্তানি এসেছেন। এঁদের সিংহভাগই অদক্ষ। দক্ষ কর্মী এসেছেন খুবই অল্প। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের অর্থনীতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছিলেন, “ভিখিরির (Pakistani Beggars) কোনও পছন্দ থাকতে পারে না।” পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সুপ্রিমো তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আবার পাকিস্তানকে “আমেরিকার দাস” বলে কটাক্ষ করেছিলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • India Canada Row: “বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির সংগঠিত অপরাধে জর্জরিত কানাডা”, নিউইয়র্কে জয়শঙ্কর

    India Canada Row: “বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির সংগঠিত অপরাধে জর্জরিত কানাডা”, নিউইয়র্কে জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে আরও বিপাকে কানাডার জাস্টিন ট্রুডোর সরকার (India Canada Row)। নিজ্জর খুনে ভারতকে দুষে ট্রুডো যখন বিশ্ব রাজনীতিতে ক্রমেই একা হয়ে পড়ছেন, সেই সময় ভারতের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে আমেরিকা। আজ, বৃহস্পতিবার মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিকেনের সঙ্গে ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসতে চলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে ভারত এবং কানাডা দুই দেশই। তবে আমেরিকার বন্ধু দুই দেশ ভারত ও কানাডার মধ্যে যে সম্পর্কের শৈত্য চলছে, সে প্রসঙ্গ উঠতে পারে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    বিশ্বরাজনীতিতে একা ট্রুুুুুুুুডো!

    জুন মাসে কানাডায় (India Canada Row) খুন হয় খালিস্তানি জঙ্গি নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতের হাত রয়েছে বলে সংসদে দাবি করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। অভিযোগের সারবত্তা নেই বলে দাবি করে নয়াদিল্লি। তার পর থেকে ভারত-কানাডা সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। তবে কানাডার ওই অভিযোগের পরেও বন্ধু দেশের পাশে দাঁড়ায়নি আমেরিকা। নিজ্জর খুনে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, ভারতকে আঘাত করে এমন একটি কথাও বলেনি জো বাইডেনের দেশ। ট্রুডোর পাশে দাঁড়ায়নি ‘ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্সে’র কানাডা বাদে বাকি চার দেশের কেউই। এহেন আবহে ভারত-মার্কিন বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের।

    কানাডার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিল ভারত 

    এদিকে, সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের (India Canada Row) বিরুদ্ধে কানাডা সরকার কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ ভারত। মঙ্গলবার নিউইয়র্কে তিনি বলেন, “বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির সংগঠিত অপরাধে জর্জরিত কানাডা।” এজন্য ভারত যে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যেভাবে কানাডিয়ান হিন্দু, শিখ এবং ভারতীয় কূটনীতিকদের হুমকি দিচ্ছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জয়শঙ্কর। রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে যে কানাডা সরকার সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না, তাও জানিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। নিজ্জর খুনে কানাডার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রথমত, এটা ভারত সরকারের নীতির পরিপন্থী। আর দ্বিতীয়ত, আমরা তো কানাডা সরকারকে বলেইছি যে ভারতের হাত হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ পেলে আমাদের দাও, আমরা তা পরীক্ষা করে দেখব।”

    আরও পড়ুুন: চাঁদ-সূর্যের পরে এবার পরের লক্ষ্য শুক্র অভিযান, ঘোষণা ইসরো প্রধানের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Justin Trudeau: ছিলেন নাইটক্লাবের বাউন্সার! ট্রুডোর বর্ণিল জীবন হার মানায় রুপোলি পর্দার জগতকেও

    Justin Trudeau: ছিলেন নাইটক্লাবের বাউন্সার! ট্রুডোর বর্ণিল জীবন হার মানায় রুপোলি পর্দার জগতকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ছিলেন নাইট ক্লাবের বাউন্সার (Justin Trudeau)। শখের বশে বক্সিংও খেলতেন। দিয়েছেন স্নোবোর্ড প্রশিক্ষণও। অভিনয় করেছেন একটি সিনেমায়ও। পরে বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাজনীতিতে আসেন। তবে বাউন্সার হিসেবে কাজ করার সময় তিনি কোকেনের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন বলে দাবি নেটিজেনদের একাংশের।

    একা হয়ে পড়ছেন ট্রুডো!

    আজও সেই নেশার কবল থেকে বের হতে পারেননি তিনি। এত গুণের আধার যিনি, তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে দিন কয়েক আগে যিনি খাস সংসদে দাঁড়িয়ে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন ভারতের দিকে। এই ইস্যুতে ট্রুডোকে ‘মিথ্যেবাদী’ বলে দেগে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ‘ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্সে’র সদস্য হওয়া সত্ত্বেও যাঁর পাশে দাঁড়ায়নি আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ব্রিটেন।

    সর্বনাশা কোকেনের নেশা

    সর্বনাশা কোকেনের নেশা যে ট্রুডোর (Justin Trudeau) পিছন ছাড়েনি, তার প্রমাণ মিলেছে সম্প্রতি ভারতের এক কূটনীতিকের দাবিতে। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন ট্রুডো। সেই সময় তিনি বিমান ভর্তি করে কোকেন নিয়ে এসেছিলেন বলে দাবি ভারতীয় কূটনীতিক দীপক ভোরার। অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে কানাডা সরকার।

    বছর কয়েক আগে প্রকাশিত হয় ট্রুডোর আত্মজীবনী। সেখানে শখের বক্সিং শেখার প্রসঙ্গের উল্লেখ করেছেন তিনি। বলেছেন, “কীভাবে লড়াই করে এগিয়ে যেতে হয়, তা বক্সিং থেকে শিখেছি। ওখানে বিষাক্ত পাঞ্চগুলি এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল আয়ত্ত করতে হয়েছিল। পরবর্তীকালে যা আমাকে কূটনীতি বুঝতে সাহায্য করে। যাবতীয় সতর্কতার পরেও ঘুষি লাগলে বুঝতে হবে আপনার কূটনীতি ব্যর্থ হতে চলেছে।”

    আরও পড়ুুন: নিজ্জর খুনে আরও গাড্ডায় ট্রুডো, পাশে পেলেন না ‘ফাইভ আইজ’ অ্যালায়েন্সকেও

    সুদানের প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীপক ভোরার দাবি, চলতি মাসে জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে আসা কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিমান কোকেনে ভর্তি ছিল। দু’ দিন নিজের ঘর থেকে বের হতে পারেননি তিনি। ভোরা বলেন, “শিশুদের মতো আচরণ করছিলেন ট্রুডো। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়ে তাঁর কোনও খেয়ালই ছিল না। তাঁকে বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত লাগছিল।” তিনি বলেন, “আমার স্ত্রী ওঁকে দিল্লি বিমানবন্দরে দেখেছে। ও জানিয়েছে, ট্রুডোকে তখন মানসিকভাবে চাপে রয়েছেন বলে মনে হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, ট্রুডোর বিমানে ভর্তি ছিল কোকেন। তিনি রাষ্ট্রপতির নৈশাহারেও যাননি। কেউ কেউ বলছেন, ড্রাগ নেওয়ার কারণে তাঁর কোনও হুঁশ ছিল না।” ভোরা বলেন, “জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত সফরে এসে তিনি একাকীত্ব বোধ করছিলেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Canada Row: নিজ্জর খুনে আরও গাড্ডায় ট্রুডো, পাশে পেলেন না ‘ফাইভ আইজ’ অ্যালায়েন্সকেও

    India Canada Row: নিজ্জর খুনে আরও গাড্ডায় ট্রুডো, পাশে পেলেন না ‘ফাইভ আইজ’ অ্যালায়েন্সকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি জঙ্গি খুনে ভারতের দিকে আঙুল তুলে বিশ্ব রাজনীতিতে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে কানাডা (India Canada Row)। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে ‘মিথ্যেবাদী’ তকমা দিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা। খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে সাদামাটা একটা বিবৃতি দিলেও, ভারতকে চটাল না ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্স।

    ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্স

    আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদানের প্লাটফর্ম হল ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্স। নিজ্জর খুনে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, ভারতের বিরুদ্ধে কোনও কড়া প্রতিক্রিয়া দেয়নি আমেরিকা। জো বাইডেনের দেশের পন্থা অবলম্বন করেছে কানাডা ছাড়া ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্সের বাকি চারটি দেশও।

    স্বার্থের কারণে কানাডার পাশে নেই অস্ট্রেলিয়াও

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে ঢাল করে চিনের বিরুদ্ধে জোট মজবুত করতে চাইছে আমেরিকা। এজন্য নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চাইছে না আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। তাছাড়া আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের পাশাপাশি কোয়াড গ্রুপে রয়েছে ভারতও। সেই কারণেই কানাডার পাশে দাঁড়ায়নি ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্সের চার (India Canada Row) দেশ। আবার দক্ষিণ চিন সাগরে চিনকে রুখতে গেলে ভারতকে পাশে পাওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে অস্ট্রেলিয়া। সেই কারণে কানাডার পাশে নেই অস্ট্রেলিয়াও।

    অটোয়াজ কার্লেটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক স্টেফানি কার্ভিন বলেন, “পশ্চিমি বিশ্বের হিসেবে চিনের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে তাদের প্রয়োজন ভারতকে, কানাডাকে নয়। সেই কারণেই পশ্চিমি বিশ্বের দেশগুলি কানাডার পাশে দাঁড়ায়নি।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার ৩ নম্বরে চলে আসবে ভারত। সেই কারণেও নয়াদিল্লিকে চটাতে চাইছে না পশ্চিমের কোনও দেশ।

    আরও পড়ুুন: “রাজনৈতিক স্বার্থে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়া কাম্য নয়”, কানাডাকে নিশানা জয়শঙ্করের

    অথচ নিজ্জর খুনে ভারতকে দোষী সাব্যস্ত করতে হলে ‘বন্ধু’ কোনও দেশের সমর্থন প্রয়োজন। সেই সমর্থন পাচ্ছে না ট্রুডোর দেশ। জঙ্গি খুনে কানাডা মিথ্যে বলছে বলে জানিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগ (India Canada Row) প্রকাশ করেছেন ট্রুডোর দলেরই সাংসদ চন্দ্র আর্য। যার জেরে ক্রমেই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছেন ট্রুডো। নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তে ভারতের এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “ভারত যে কানাডাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত, আমরা তা পরিষ্কার করে দিয়েছি। তবে কোনও প্রমাণ যদি সামনে আসে তাহলেই সেটা করা সম্ভব। কানাডা কখনওই ভারতকে সাহায্য করেনি। বরং ভারত থেকে পালিয়ে যাওয়া গ্যাংস্টারদের আশ্রয় দিয়েছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Canada Row: “রাজনৈতিক স্বার্থে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়া কাম্য নয়”, কানাডাকে নিশানা জয়শঙ্করের

    India Canada Row: “রাজনৈতিক স্বার্থে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়া কাম্য নয়”, কানাডাকে নিশানা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজনৈতিক স্বার্থে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়া কাম্য নয়।” মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের ৭৮ তম সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। জুন মাসে কানাডায় (India Canada Row) খুন হয় খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতের হাত রয়েছে বলে সংসদে দাবি করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তীব্র প্রতিবাদ করে ভারত। তার পর থেকে ভারত-কানাডার সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে।

    জয়শঙ্করের নিশানায় কানাডা

    এহেন আবহে মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘে ভাষণ দিতে গিয়ে নাম না করেই কানাডাকে নিশানা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক স্বার্থে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়া কাম্য নয়। ঠিক একই কারণে চরমপন্থা ও কোনও হিংসায় মদত দেওয়াও অনুচিত। খেয়াল রাখতে হবে এমনটা যেন না হয় নিয়ম নির্মাতারা নিয়ম গ্রহীতাদের বশীভূত করছে। নিয়ম তখনই কাজ করবে, যখন সকলের জন্য নিয়ম সমান হবে।” এদিন নাম না করে চিন এবং পাকিস্তানকেও একহাত নিয়েছেন জয়শঙ্কর।

    আক্রমণ চিন, পাকিস্তানকেও

    তিনি বলেন, “কিছু কিছু দেশ নিজেদের মতো এজেন্ডা তৈরি করে আশা করে যে অন্যরাও সেটা মেনে নেবে। সেই দিন এবার শেষ।” তিনি বলেন (India Canada Row), “নয়াদিল্লি অবশ্য মনে করে কূটনীতি আর আলোচনাই সমাধানের একমাত্র পথ।” এক বিশ্ব এক পরিবারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এটা শুধু ভারতের ধারণা নয়, গোটা বিশ্ব এতে বিশ্বাস করছে। এর ফলে সহযোগিতার বীজ বপন করা সম্ভব হচ্ছে।” এদিন বক্তব্যের শেষে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “নমস্তে ফ্রম ভারত।” তবে ‘ইন্ডিয়া’ নামটিও বাদ দেননি জয়শঙ্কর। যখনই দেশের প্রসঙ্গ এসেছে, তিনি ব্যবহার করেছেন ‘ইন্ডিয়া’ নামটি। ভাষণের একেবারে শেষে জয়শঙ্কর বলেন, “ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত।”

    আরও পড়ুুন: খালিস্তানি দমনে কড়া ব্যবস্থা এনআইএ-র! দেশজুড়ে ৫০ জায়গায় হানা

    প্রসঙ্গত, সদ্য (India Canada Row) সমাপ্ত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে ‘ভারত’ কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই জল্পনা ছড়ায়, দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ বদলে ‘ভারত’ হচ্ছে। খাতায়-কলমে এখনও অবশ্য তা হয়নি। তবে ‘ইন্ডিয়া’ আর ‘ভারত’ যে একই দেশ, প্রধানমন্ত্রীর পর বিশ্ব রাজনীতিতে সেই পরিচয় করাতে উদ্যোগী হলেন বিদেশমন্ত্রীও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • NIA in Canada Row: খালিস্তানি দমনে কড়া ব্যবস্থা এনআইএ-র! দেশজুড়ে ৫০ জায়গায় হানা

    NIA in Canada Row: খালিস্তানি দমনে কড়া ব্যবস্থা এনআইএ-র! দেশজুড়ে ৫০ জায়গায় হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে নিষিদ্ধ খালিস্তান গোষ্ঠীর নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ভারত এবং কানাডার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতকে অভিযুক্ত করে ট্রুডোর বক্তব্যের এক দিন পরেই এনআইএ (NIA in Canada Row) ৪৩ জন নিষিদ্ধ জঙ্গির ছবি-সহ নামের তালিকা প্রকাশ করে। বর্তমানে তাদের অনেকেরই ঠিকানা কানাডা। ভারতের অভিযোগ, এ দেশে নিষিদ্ধ জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছে ট্রুডো সরকার। দেশবিরোধী কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় এনআইএ। সেই আবহে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-তে নতুন সাতটি পদ তৈরি করা হল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ওই পদগুলি তৈরিতে অনুমোদন দিয়েছে।এনআইএ-তে নতুন একটি সহকারী ডিরেক্টর জেনারেল (এডিজি) পদ তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া, ছ’টি ইনস্পেক্টর জেনারেল পদও নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই পদগুলিতে নিযুক্ত হয়েছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা।

    তল্লাশি অভিযান

    খালিস্তানপন্থী নেতাদের সন্ধানে ৬ রাজ্যে একযোগে তল্লাশি শুরু করেছে এনআইএ (NIA in Canada Row)। ৬ রাজ্যের ৫০টি লোকেশনে চলছে তল্লাশি অভিযান। এর আগে ১৯ জন পলাতক খালিস্তানপন্থী নেতার তালিকা প্রকাশ করেছে এনআইএ। শুধুমাত্র পাঞ্জাবের ৩০টি জায়গায় চলছে তল্লাশি। এছাড়া রাজস্থানের ১৩টি জায়গা, হরিয়ানার ৪টি জায়গা, উত্তরাখণ্ডের ২টি জায়গা, এবং দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের ১টি করে জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। 

    আরও পড়ুুন: কানাডায় হিন্দু-শিখদের লাগাতার হুমকি খালিস্তানপন্থীদের, গদি বাঁচাতে চুপ ট্রুডো

    বিদেশেও তল্লাশি

    দেশের পাশাপাশি বিদেশেও তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এনআইএ (NIA in Canada Row) খালিস্তান-আইএসআই এবং গ্যাংস্টারদের নিয়ে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছে। গ্রেফতার হওয়া সমস্ত গ্যাংস্টার এবং খালিস্তানি সন্ত্রাসীদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় একাধিক তথ্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। সেই তদন্তেই গ্যাংস্টার-খালিস্তানি জোট, সন্ত্রাস যোগ, অস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি বিদেশের মাটি থেকে দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালানোর একাধিক তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসীদের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। টাকার উৎস সন্ধানে কানাডা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া সহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে ইডি, এনআইএ। আমেরিকাবাসী খালিস্তানি জঙ্গি গুরপাতবন্ত সিং পান্নুনের ভারতে অবস্থিত দু’টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান হিন্দুদের ভারতে ফিরে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এই পান্নুন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Disease X: করোনার থেকে ৭ গুণ বেশি প্রাণঘাতী মহামারি! কী এই ‘ডিজিজ এক্স’, যা নিয়ে চিন্তিত ‘হু’

    Disease X: করোনার থেকে ৭ গুণ বেশি প্রাণঘাতী মহামারি! কী এই ‘ডিজিজ এক্স’, যা নিয়ে চিন্তিত ‘হু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডের (Covid-19) থেকেও প্রায় ৭ গুণ প্রাণঘাতী ভাইরাস হানা দিতে পারে। সতর্কতা জারি করা হল ব্রিটেনের (Britain) স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) তরফে। ভাইরাসকে ‘ডিজিজ এক্স’ বলে সম্মোধন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। করোনার জেরে যেভাবে গোটা বিশ্ব জুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়, ‘ডিজিজ এক্স’-এর থাবায় তার চতুর্গুণ মৃত্যু এবং ভয়াবহতা মানুষ দেখতে পারে বলেও সতর্ক করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। 

    কেমন এই ভাইরাসের প্রকৃতি

    ২০২০ সালে ছড়ায় কোভিড-১৯।  যা গোটা বিশ্ব জুড়ে ৭০ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। ব্রিটেনের ভ্যাকসিন টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডেম কেট বিংহাম সম্প্রতি জানিয়েছেন, আরও বড় মহামারী প্রত্যক্ষ করতে হতে পারে অদূর ভবিষ্যতে। আর এর জন্য গোটা বিশ্বের কমপক্ষে পাঁচ কোটি মানুষের প্রাণ যেতে পারে। এই সম্ভাব্য মহামারির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিজিজ এক্স’। ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে যে মারণ স্প্যানিস ফ্লু ছড়িয়েছিল, এবার তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাইরাসকে এক্স বলে সম্মোধন করা হয়েছে।

    ‘ডিজিজ এক্স’ কথার অর্থ

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ‘ডিজিজ এক্স’ কথাটির অর্থ হল, এমন একটি রোগ, যা অতিমারি ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সেই রোগটির প্যাথোজেন কী ভাবে মানুষের ক্ষতি করতে পারে, তা এখনও অজানা। ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সির (ইউকেএইচএসএ) প্রধান প্রফেসর ডেম জেনি হ্যারিস বলেন, ‘‘বিজ্ঞানীরা আপাতত ২৫টি ভাইরাসের পরিবারকে পর্যবেক্ষণ করছেন, যার প্রতিটিতে হাজার হাজার পৃথক ভাইরাস রয়েছে। এদের মধ্যে যে কোনও একটি মারাত্মক অতিমারিতে রূপান্তরিত হতে পারে।’’ 

    আরও পড়ুন: চাপের মুখে ডেঙ্গি-তথ্য প্রকাশ রাজ্যের! ভয় ধরাচ্ছে পরিসংখ্যান, কী আছে তাতে?

    ভ্যাকসিন তৈরির প্রয়াস

    ডেম আরও বলেন,  “আমরা এখানে আমাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করছি যদি নতুন ডিজিজ এক্স বা একটি নতুন প্যাথোজেন পাওয়া যায় তাহলে তা মোকাবিলার জন্য অগ্রিম কাজ করে রাখছি। তিনি আরও বলেন, আশা করি আমরা এই নতুন মহামারিটি  প্রতিরোধ করতে পারব। কিন্তু যদি আমরা না পারি সেকারণে আমরা ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন এবং থেরাপিউটিকস তৈরি করতে শুরু করেছি।” এই গবেষণার কাজে ২০০ জনেরও বেশি বিজ্ঞানী জড়িত আছেন। এই বিজ্ঞানীরা মূলত অ্যানিমাল ভাইরাস অর্থাৎ, যে ভাইরাস পশুর শরীর থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে অতিমারি সৃষ্টি করতে পারে সেইগুলির উপরেই কাজ করছেন। এর মধ্যে বার্ড ফ্লু, মাঙ্কি ভাইরাস, হান্টা ভাইরাস অন্যতম।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share