Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Khalistani Terrorists: “ট্রুডো মিথ্যা কথা বলেন”, কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তোপ শ্রীলঙ্কার

    Khalistani Terrorists: “ট্রুডো মিথ্যা কথা বলেন”, কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে তোপ শ্রীলঙ্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের (Khalistani Terrorists) আশ্রয় দিয়ে আরও গাড্ডায় কানাডার ট্রুডো সরকার। এবার শ্রীলঙ্কাও জানিয়ে দিল, জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে কানাডা। খালিস্তানি জঙ্গিরা আশ্রয় নিয়েছে কানাডায়। তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দেশের। এবার শ্রীলঙ্কার নিশানায়ও ট্রুডো সরকার। যার জেরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ক্রমেই কোণঠাসা হচ্ছে ট্রুডোর দেশ।

    কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা দ্বীপরাষ্ট্রের

    জুন মাসে কানাডায় খুন হয় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতের হাত রয়েছে বলে সংসদে দাবি করেন ট্রুডো। এ প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি সাবরি বলেন, “ট্রুডো (Khalistani Terrorists) মিথ্যা কথা বলেন। এর আগে কানাডা সরকার দাবি করেছিল শ্রীলঙ্কায় গণহত্যা হয়েছে বলে। সেটাও সম্পূর্ণ মিথ্যা ছিল। ট্রুডোর অভিযোগ তাই আমাকে অবাক করে না।”

    ‘সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্য কানাডা’, বলল শ্রীলঙ্কাও

    তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্য কানাডা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী কোনও প্রমাণ ছাড়াই আপত্তিকর অভিযোগ তোলেন বারংবার। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও একই রকম অভিযোগ তুলেছিল কানাডা। শ্রীলঙ্কায় গণহত্যা হয়েছে বলে ভয়ানক ও সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিল কানাডা। সবাই জানে, আমাদের দেশে কোনও গণহত্যা হয়নি।” ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে, শ্রীলঙ্কার বিদায়ী হাইকমিশনার মিলিন্ডা মোরাগোদাও। কানাডার অভিযোগের পর ভারতের প্রতিক্রিয়ার প্রশংসা করে তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদীদের কার্যকলাপের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা। তবে সন্ত্রাসবাদ উচ্ছেদে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার।” তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, এই আবহে ভারতের প্রতিক্রিয়া যথেষ্ট দ্ব্যর্থহীন ও দৃঢ়। পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে আমরা ভারতকেই সমর্থন করছি। আমার ৬০ বছরের জীবনে ৪০ বছর শ্রীলঙ্কায় একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হতে দেখেছি। আর এই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ফলস্বরূপ আমি অনেক বন্ধু ও সহকর্মীকে হারিয়েছি।”

    আরও পড়ুুন: কানাডায় হিন্দু-শিখদের লাগাতার হুমকি খালিস্তানপন্থীদের, গদি বাঁচাতে চুপ ট্রুডো

    রাশিয়ার তোপের মুখেও ট্রুডো প্রশাসন

    এদিকে, হিটলারের নাৎসি বাহিনীর এক বর্ষীয়ান সদস্যকে সম্মান জ্ঞাপন করা হয় কানাডার পার্লামেন্টে (Khalistani Terrorists)। ৯৮ বছরের ওই ব্যক্তি ইউক্রেনের বাসিন্দা। নাৎসি বাহিনীর সদস্যকে ট্রুডো সরকার সম্মান জানানোয় বেজায় চটেছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “নাৎসির সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিকে যেভাবে সম্মান জানানো হয়েছে, তা উদ্বেগ তৈরি করে। নাৎসি জমানার ভয়াবহ স্মৃতি উসকে দেয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistani Terrorists: কানাডায় হিন্দু-শিখদের লাগাতার হুমকি খালিস্তানপন্থীদের, গদি বাঁচাতে চুপ ট্রুডো

    Khalistani Terrorists: কানাডায় হিন্দু-শিখদের লাগাতার হুমকি খালিস্তানপন্থীদের, গদি বাঁচাতে চুপ ট্রুডো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদি বাঁচাতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সেই সুযোগে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কানাডায় আশ্রয় নেওয়া খালিস্তানপন্থী জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা (Khalistani Terrorists)। সে দেশে বসবাসকারী হিন্দুদের হুমকি দিচ্ছে তারা। কেবল তাই নয়, শান্তিপ্রিয় শিখদেরও হুমকি দিচ্ছে খালিস্তানপন্থীরা। জঙ্গি হুমকির ভয়ে কার্যত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন কানাডায় বসবাসাকারী হিন্দু ও শিখরা। হুমকির পাশাপাশি ভারত-বিরোধী অস্ত্রে শান দিতে চলছে হিন্দু-বিরোধী প্রচারও। দেশের আকাশে যখন উড়ছে এহেন বিদ্বেষের বিষবাষ্প, তখনও আশ্চর্যজনকভাবে নীরব ট্রুডো সরকার।

    কানাডায় বাড়ছে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ 

    জুলাই মাসে কানাডায় খুন হয় খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। মূলত তার পর থেকেই সে দেশে বাড়ছে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ (Khalistani Terrorists)। দিন কয়েক আগে নিজ্জর খুনে ভারতের হাত রয়েছে বলে সংসদে দাবি করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। এতেই আগুনে ঘি পড়ে। তোল্লাই পেয়ে আগের চেয়েও বেশি করে সক্রিয় হয়ে ওঠে কানাডায় ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকা খালিস্তানপন্থী জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তারা হিন্দুদের সে দেশ ছেড়ে ভারতে ফিরে যেতে বলে। হিন্দুদের পাশাপাশি বহু শিখও বসবাস করছেন কানাডায়। খালিস্তানপন্থীরা তাঁদেরও হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ।

    হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর

    কেবল তাই নয়, গত কয়েক দিন ধরে কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালাচ্ছে খালিস্তানপন্থীরা। তা সত্ত্বেও কার্যত চোখে ঠুলি বেঁধে বসে রয়েছে ট্রুডো প্রশাসন। খালিস্তানপন্থীদের আয়ের মূল উৎস তোলাবাজি, মাদক এবং অস্ত্র পাচার। এসব দেখেশুনেও কানাডা সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ।

    কানাডার ঘটনার গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রাখছেন এমন এক (Khalistani Terrorists) প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “পঞ্জাবে সামান্য কিছু ঘটলেই, হইচই জুড়ে দেয় কানাডা। আর সে দেশে হিংসা, মাদক পাচার এবং জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়লেও কোনও পদক্ষেপ করছে না সে দেশের সরকার।” গোয়েন্দারা জেনেছেন, জঙ্গিরা পাকিস্তান থেকে মাদক নিয়ে যাচ্ছে কানাডায়।

    আরও পড়ুুন: ‘‘অভিষেকের মা লতার সম্পত্তির হিসাব চাই’’! ইডিকে নির্দেশ বিচারপতি সিনহার

    পরে তা বিক্রি করা হচ্ছে ভারতের পঞ্জাবে। কানাডায় বসবাসকারী বহু খালিস্তানি এখন মাদক ব্যবসায় জড়িত। সরকারি প্রবীণ এক আধিকারিক বলেন, “কানাডায় বসবাসকারী হিন্দু এবং ভারতীয় কূটনীতিকদের যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তা নিঃসন্দেহে উদ্বেগের বিষয়। এটি ভিয়েনা কনভেনশনেরও পরিপন্থী।”  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Canada India Relationship: বেসুরো গাইছেন দলীয় সাংসদ, বিপাকে জাস্টিন ট্রুডো, তাই সুর নরম প্রতিরক্ষামন্ত্রীর!

    Canada India Relationship: বেসুরো গাইছেন দলীয় সাংসদ, বিপাকে জাস্টিন ট্রুডো, তাই সুর নরম প্রতিরক্ষামন্ত্রীর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের অন্দরেই বেসুরো ধ্বনি। শেষমেশ তাই বোধহয় ঢোক গিলতে বাধ্য হল কানাডা সরকার। প্রায় তলানিতে ঠেকে যাওয়া ভারত-কানাড সম্পর্কের (Canada India Relationship) উন্নতি ঘটাতে সুর নরম করলেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “ভারতের সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের তদন্ত চলবে বলেও জানান তিনি।

    সরকার বাঁচাতে ভারতের দিকে আঙুল!

    গত জুন মাসে কানাডায় প্রকাশ্যে খুন হন নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার পরেই ভারত-কানাডা সম্পর্কে অবনতি হয়। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, যেহেতু শিখদের একটা বড় অংশের সমর্থনে চলছে ট্রুডোর জোট সরকার, তাই শিখদের চটানো ট্রুডোর পক্ষে সম্ভব নয়। সরকার বাঁচাতে সেই কারণে ট্রুডো দুষছেন ভারতকে।

    দলের অন্দরেই পুঞ্জীভূত হচ্ছে ক্ষোভ

    তবে এনিয়ে ট্রুডোর দল লিবারাল পার্টির অন্দরেই পুঞ্জীভূত হচ্ছে ক্ষোভ। দলীয় সাংসদ চন্দ্র আর্য সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর ওই বিবৃতির পরেই কানাডায় বসবাসকারীরা আতঙ্কে রয়েছেন। বিষয়টি উদ্বেগজনক।” দলের (Canada India Relationship) অন্দরেই বেসুরো ধ্বনি ওঠায় খানিক সুর নরম করেছে ট্রুডো সরকার। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিল ব্লেয়ার বলেন, “আমরা বুঝতে পারছি যে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার প্রশ্নে এটা (নিজ্জর হত্যা বিতর্ক) একটা কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু দেশের আইন এবং নাগরিকদের রক্ষা করাও আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই আমরা তদন্ত চালিয়ে সত্যিটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করব।”

    আরও পড়ুুন: উপত্যকায় বড় নাশকতার ছক ফাঁস! কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার পাঁচ লস্কর জঙ্গি

    ভারতের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হলে যে সমস্যা হবে, তাও মানছেন কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “সেটা খুবই উদ্বেগের বিষয় হবে। কারণ, সে ক্ষেত্রে আমাদের সার্বভৌম ক্ষমতা খর্ব করে দেশের মাটিতেই কানাডার নাগরিককে হত্যার ঘটনা প্রমাণিত হবে।”

    এদিকে, কানাডা (Canada India Relationship) যে ক্রমেই খালিস্তানি জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে, তা জানা গিয়েছে সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, ট্রুডো সরকারের মদতে অন্তত ২১ জন কট্টরপন্থী খালিস্তানি নেতা কানাডায় আশ্রয় পেয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর তারা সে দেশের ভারতীয় হাই কমিশন সহ বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রগুলিতে হামলার ছক কষছে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • India Slams Pak: ‘‘অপরাধ করাটা অভ্যাস’’! কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানকে তুলোধোনা ভারতের

    India Slams Pak: ‘‘অপরাধ করাটা অভ্যাস’’! কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানকে তুলোধোনা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করল ভারত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৮তম অধিবেশনে পাকিস্তান কাশ্মীর (India Slams Pak) ইস্যু উত্থাপন করেন পাক প্রধানমন্ত্রী, যার পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র আক্রমণ শানান রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি পেতাল গেহলট। পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় জানানো হয়, অধিকৃত কাশ্মীরকে (India Slams Pak) দখলমুক্ত করার জন্য। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে সরাসরি সমর্থন, ফান্ডিং এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন ভারতের প্রতিনিধি। প্রসঙ্গত শুক্রবারই রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে পাকিস্তানের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার এদিন ফের দাবি করেন যে কাশ্মীর সমস্যার সমাধানই নাকি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি আনতে পারে।  পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্রভাবে নিশানা করেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রতিনিধি পেতাল গেহলট।

    কী বললেন ভারতের প্রতিনিধি

    ভারতের প্রতিনিধি এদিন বলেন, ‘‘ভারতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও বিদ্বেষপূর্ণ প্রচার চালানোর জন্য এই ফোরামকে অপব্যবহার করছে পাকিস্তান। এই অপরাধ করা পাকিস্তানের (India Slams Pak) অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশ এবং অন্যান্য বহুপাক্ষিক সংগঠন ভালোভাবেই জানে যে পাকিস্তান মানবাধিকার রক্ষার ইস্যুতে ডাহা ফেল। সেখান থেকেই নজর ঘোরাতে বারংবার কাশ্মীর ইস্যুর কথা তোলে পাকিস্তান। আমরা অবশ্য আরও বলতে চাই যে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এটি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলি সম্পূর্ণরূপে ভারতের অভ্যন্তরীণ। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার কোনও অধিকার পাকিস্তানের নেই।’’

    সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তান

    সন্ত্রাসকে ফান্ডিং সমেত ভারতে সন্ত্রাসবাদী (India Slams Pak) হামলায় মদত দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক অতীতে পুলওয়ামার হামলাতেও পাকিস্তানের যোগ পাওয়া যায়। এর পরবর্তীকালে ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার বিলোপ সাধন করে মোদি সরকার। ৩৭০ ধারার মাধ্যমে কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ফাটল অনেক চওড়া হয়ে যায়। অন্যদিকে ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ার পর স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে দেখা যায় কাশ্মীরকে। সব থেকে বেশি বলিউড এবং হলিউডের ছবির শ্যুটিংও শুরু হয় সেখানে। হোটেলগুলোতেও গিজগিজ করতে থাকে পর্যটকদের ভিড়ে। তার মাঝে ফের একাধিকবার জঙ্গি হামলার প্রয়াস চালায় পাকিস্তান। চলতি বছরের জুন মাসেই বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর এই নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘ভারত নিজেদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখে। তবে পাকিস্তান সেই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। আমরা সন্ত্রাসবাদকে মেনে নিতে পারি না। পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদ কোনও ভিত্তি হতে পারে না।’ ভারতের স্পষ্ট বার্তা, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে তাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে তার জন্য পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের পথ ছাড়তে হবে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Canada: নিজ্জরের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক হত কানাডার গোয়েন্দাদের! চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি নিহত জঙ্গির ছেলের

    Canada: নিজ্জরের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক হত কানাডার গোয়েন্দাদের! চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি নিহত জঙ্গির ছেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডা (Canada) শুধুমাত্র যে খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে আশ্রয় দিয়েছিল এমনটাই নয়। সে দেশের গোয়েন্দারা নাকি নিয়মিত বৈঠকও করত এই খালিস্থানি জঙ্গির সঙ্গে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে কানাডার সংবাদ মাধ্যমগুলির সৌজন্যে। অর্থাৎ এতদিন ধরে ভারত যা দাবি করছিল তা সত্য বলে প্রমাণিত হল। পাকিস্তানের মতো কানাডা যে জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে, ভারতের এই দাবি এবার সিলমোহর পেল। নিজ্জরের নিরাপত্তার দায়িত্বভারও গ্রহণ করেছিল সে দেশের গোয়েন্দারা, একথা যে অন্য কেউ বলছে তা নয় নিহত খালিস্থানি জঙ্গি নিজ্জরের ছেলে এই স্বীকারোক্তি দিচ্ছেন।  ভারতের এই দাবি সত্য প্রমাণ হওয়ার পরে কানাডা (Canada) প্রশাসনের কাছে কি আর কোনও উত্তর রইল? এমনটাই প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের।

    কী বলছে নিজ্জরের ছেলে 

    প্রসঙ্গত, খালিস্থানপন্থী নিজ্জর চলতি বছরের ১৮ জুন শিখ গুরুদোয়ারার সামনে গুলিবিদ্ধ হন। নিজ্জরের ছেলে বলরাজ সিং নিজ্জর সে দেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর বাবা সাপ্তাহিকভাবে বৈঠক করতেন কানাডার (Canada) গোয়েন্দাদের সঙ্গে। কখনও কখনও এই বৈঠক সপ্তাহে একবার হতো বা দুইবার হতো। শুধু তাই নয় বলরাজ সিং এও জানিয়েছেন যে কানাডার গোয়েন্দাদের সঙ্গে তাঁর বাবা শেষবারের মতো বৈঠকও  হয়েছে, মৃত্যুর দু’দিন আগে। বলরাজের কথায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই ঘন ঘন বৈঠক শুরু হয়। নিহত খালিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের  ছেলে আরও জানিয়েছেন, কানাডার (Canada) গোয়েন্দারা তাঁর বাবাকে বাড়িতে থাকতেই পরামর্শ দিয়েছিলেন।

    জনসমর্থন হারানো ট্রুডো খালিস্তানি জঙ্গিদের প্রশ্রয় কেন দিচ্ছে

    কানাডার (Canada) একাধিক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট বলছে, সে দেশে জনসমর্থ হারিয়েছেন ট্রুডো। যে কোনও সময়ই ভোট হলে তাঁরা পরাজয় নিশ্চিত বলেও জানাচ্ছেন সমীক্ষকরা। এহেন পরিস্থিতিতে ক্ষমতা ধরে রাখতেই কি শিখ উগ্রবাদীদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন ট্রুডো? এমন প্রশ্নও শোনা যাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: জঙ্গি খুনে ভারতকে দুষে বিপাকে ট্রুডো, প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁকে চাইছেন না সিংহভাগ কানাডাবাসীই!

    Justin Trudeau: জঙ্গি খুনে ভারতকে দুষে বিপাকে ট্রুডো, প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁকে চাইছেন না সিংহভাগ কানাডাবাসীই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি জঙ্গি হত্যায় ভারতের হাত রয়েছে বলে বিপাকে কানাডার জাস্টিন ট্রুডোর (Justin Trudeau) সরকার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। তার জেরে আরও গাড্ডায় ট্রুডো সরকার! সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে,  বর্তমানে দেশের ৪০ শতাংশ ভোটার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতা পিরি পয়লিভারকে। তাঁর পেছনে রয়েছেন ট্রুডো। আইপিএসওএস নামের এক সংস্থার করা সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। ২০২৫ সালে কানাডায় হবে সাধারণ নির্বাচন। কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতাদেরও দাবি, ওই নির্বাচনে দেশের রাশ তাঁদের হাতে আসার চান্স সব চেয়ে বেশি।

    পিরি পয়লিভারকে প্রধানমন্ত্রী চান সিংহভাগ মানুষ 

    সমীক্ষায় যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পিরিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইলেও, ট্রুডোকে (Justin Trudeau) ওই পদে দেখতে চেয়েছেন মাত্র ৩১ শতাংশ মানুষ। ২২ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চেয়েছেন এনডিপি (NDP) নেতা জগমিত সিংহকে। খালিস্তানিদের প্রতি সংবেদনশীল জগমিত। তাঁর দল রয়েছে ট্রুডোর সরকারে। তবে এই তিনজনের মধ্যে পিরিই সেরা বলে মনে করেছেন সিংহভাগ কানাডাবাসী। তাঁদের মতে, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য এবং বাসস্থান এই তিন ক্ষেত্রেই পিরির পরিকল্পনাও সেরা।

    জঙ্গি খুনে ভারতকে দুষছেন ট্রুডো

    গত জুন মাসে প্রকাশ্যে খুন হন খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। এই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে ট্রুডো সরকার। যদিও অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ চায় ভারত। প্রমাণ চেয়েছেন পিরিও। তিনি বলেন, “আমি মনে করি সমস্ত ঘটনাটা প্রধানমন্ত্রীর খুলে বলা প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই যেসব প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তা আমাদের জানা প্রয়োজন। যাতে করে কানাডাবাসী ঠিকঠাক বিচার-বিবেচনা করতে পারেন।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী কিছুই প্রমাণ করতে পারেননি। তিনি কেবল একটি বিবৃতি দিয়েছেন।”

    আরও পড়ুুন: মুখ পুড়েছে চিনের! অরুণাচল প্রদেশের তিন ক্রীড়াবিদকে ভিসা দিল না বেজিং, ক্ষোভ ভারতের

    সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, কিউবেক ছাড়া কানাডার সব প্রদেশেই ট্রুডোর (Justin Trudeau) চেয়ে প্রধামন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন পিরি। অন্টারিওর ৪২ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চান পিরিকে। আর ট্রুডোকে ওই পদে চান ৩৮ শতাংশ মানুষ। প্রসঙ্গত, লিবারেল পার্টির নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর নেতৃত্বে কানাডায় চলছে জোট সরকার। এই সরকারে রয়েছে খালিস্তানিদের প্রতি সংবেদনশীল এনডিপি। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের মতে, তাই জোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতার কারণে এবং নিজের গদি বাঁচাতে জঙ্গি খুনে ভারতকে দুষছেন ট্রুডো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistani Terrorist: নিজ্জর খুনে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ, রাজনৈতিক কারণেই কি ভারতকে নিশানা ট্রুডোর?

    Khalistani Terrorist: নিজ্জর খুনে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ, রাজনৈতিক কারণেই কি ভারতকে নিশানা ট্রুডোর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় খুন হয়েছেন খালিস্তানি জঙ্গি (Khalistani Terrorist) ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্সে’র প্রধান হরদীপ সিং নিজ্জর। জুন মাসের ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে জাস্টিন ট্রুডোর দেশে ঘাঁটি গেড়ে থাকা খালিস্তানপন্থীরা। খালিস্তানিদের সুরে সুর মিলিয়ে ভারতকে দুষছে কানাডার ট্রুডো সরকারও।

    প্রমাণ চাইল ভারত

    নিজ্জর খুনে যে ভারতের হাত রয়েছে, এবার ট্রুডো সরকারের সেই অভিযোগের প্রমাণ চাইল ভারত। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে কানাডা প্রশাসনকে তদন্তে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত। যদিও সে ব্যাপারে টুঁ শব্দটি করেনি ট্রুডো সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “আমরা কানাডা সরকারকে নির্দিষ্ট তথ্য (নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে) দিতে (Khalistani Terrorist) বলেছিলাম। এখনও কোনও নির্দিষ্ট তথ্য তারা দেয়নি।” তিনি বলেন, “কানাডার মাটিতে ভারত বিরোধী যেসব জঙ্গি কার্যকলাপ হচ্ছে, তার প্রমাণ আমরা কানাডা সরকারকে শেয়ার করেছি। কিন্তু কানাডা তা করছে না। তারা অভিযোগ করছে, তার ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থাও নিচ্ছে। অথচ প্রমাণ দিতে পারছে না। কানাডা সরকারের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণেই বোধহয় এটা হচ্ছে।”

    কানাডার রাজনীতিতে শিখদের ভূমিকা 

    প্রসঙ্গত, কানাডায় শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ রয়েছেন দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ শতাংশ। ট্রুডো সরকার গঠনে এঁদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। সে দেশের ‘হাউস অফ কমনসে’ শিখ সাংসদ রয়েছেন ১৮ জন। তাই কানাডার কোনও রাজনৈতিক দলই শিখদের ক্ষোভের কারণ হতে পারে, এমন পদক্ষেপ করে না। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের মতে, এই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছে খালিস্তানপন্থীরা। সেই কারণেই কানাডায় গিয়ে ঘাঁটি গাড়ছে একের পর এক খালিস্তানি জঙ্গি। ইন্ধন জোগাচ্ছে ভারত বিরোধী আন্দোলনে। যে কারণে মাঝে মধ্যেই ভারতের পঞ্জাবে মাথাচাড়া দিচ্ছে খালিস্তানি আন্দোলন।

    আরও পড়ুুন: পান্নুর হুমকি হিন্দুদের, খালিস্তানি জঙ্গি দমনের সাহস দেখাতে পারবেন কি ট্রুডো?

    বুধবার (Khalistani Terrorist) এনআইএ-র তরফে কানাডা সরকারকে ৪৩ জন বিচ্ছিন্নতাবাদীর নাম পাঠানো হয়। অভিযোগ, তার পরেই নয়াদিল্লির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে ট্রুডো সরকার। এর প্রেক্ষিতে দিন কয়েক আগে অরিন্দম  বাগচি এক ট্যুইট-বার্তায় বলেছিলেন, “এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী ও উগ্রপন্থীদের ওপর থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা। যারা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি একটা হুমকি, তাদের কানাডায় আশ্রয় দেওয়া চলছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistani Terrorist: পান্নুর হুমকি হিন্দুদের, খালিস্তানি জঙ্গি দমনের সাহস দেখাতে পারবেন কি ট্রুডো?

    Khalistani Terrorist: পান্নুর হুমকি হিন্দুদের, খালিস্তানি জঙ্গি দমনের সাহস দেখাতে পারবেন কি ট্রুডো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় বিপাকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো! তাঁর দশা অনেকটা শ্যাম রাখি না কূলের মতো। খালিস্তানিদের (Khalistani Terrorist) বাড়বাড়ন্তের জেরে ট্রুডোর ওপর বেজায় চটেছে ভারত। আবার সরকার বাঁচাতে খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপও করতে পারছেন না তিনি। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো এই দোটানার মধ্যে এসেছে খালিস্তানি জঙ্গি গুরুপতবন্ত সিং পান্নুর হুমকি। কানাডায় বসবাসকারী হিন্দুদের হুমকি দিয়েছে এই মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। সে বলেছে, কানাডিয়ান হিন্দুরা ভারতে ফিরে যাও।

    উদ্বেগে কানাডার সাংসদ

    এমতাবস্থায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কানাডিয়ান ভারতীয় সাংসদ চন্দ্র আর্য। আর্য ট্রুডোর দলেরই সাংসদ। ট্যুইটার (অধুনা এক্স) হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “দিন কয়েক আগে পান্নু (Khalistani Terrorist) হিন্দু-কানাডিয়ানদের হুমকি দিয়েছে। দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বলেছে। আমি অনেকের কাছ থেকেই এটা শুনেছি। পান্নুর হুমকিতে যাঁরা ভয় পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে।” তিনি বলেন, “হিন্দুফোবিয়ার কোনও ঘটনা ঘটলে স্থানীয় প্রশাসনকে জানান। খালিস্তান আন্দোলনের নেতারা কানাডায় হিন্দু এবং শিখদের মধ্যে বিভাজন ঘটাতে চাইছে।” 

    পান্নুর হুমকিতে অশনি সঙ্কেত দেখছেন হিন্দুরা

    প্রসঙ্গত, একটি ভিডিও বার্তায় পান্নু বলেছে, “হিন্দুরা ভারতে ফিরে যাও। তোমরা কানাডার সংবিধানকে অস্বীকার করেছ। তোমাদের গন্তব্য ভারত। কানাডা ছেড়ে ভারতে ফিরে যাও।” এমতাবস্থায় কানাডায় বসবাসকারী হিন্দুরা অশনি সঙ্কেত দেখছেন। ‘হিন্দু ফোরাম কানাডা’র তরফে সে দেশের জন-নিরাপত্তা মন্ত্রী দোমিনিক ল্য ব্লাঁকে চিঠি লিখেছেন। বর্তমানে কানাডার মোট জনসংখ্যার তিন শতাংশই হিন্দু। এঁদের হয়েই কাজ করে অন্টারিও ভিত্তিক ‘হিন্দু ফোরাম কানাডা’। ফোরামের তরফে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, “আমাদের সনির্বন্ধ অনুরোধ, হুমকির বিষয়টিকে আপনারা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করুন। এই হুমকি কানাডার নাগরিকদের ওপরও প্রভাব ফেলবে।”

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পান্নুর (Khalistani Terrorist) হুমকিতে ট্রুডোর দলেরই সাংসদ যতই উদ্বেগ প্রকাশ করুন না কেন, এই মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তানি জঙ্গির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ নয়। কারণ পান্নু মার্কিন নাগরিক। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না কানাডা সরকার। আবার আমেরিকাও পান্নুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না। কারণ সে কানাডিয়ান হিন্দুদের হুমকি দিয়েছে। কানাডা যেভাবে দিনের পর দিন খালিস্তানি জঙ্গিদের ডেরা হয়ে উঠছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সে দেশে বসবাসকারী হিন্দু এবং শিখরাও। এমতাবস্থায় খালিস্তানি জঙ্গি দমনে শক্ত হাতে হাল ধরতে হবে ট্রুডোকে। তবে সরকার বাঁচানোর কথা না ভেবে শিরদাঁড়া সোজা করে খালিস্তানিদের দমন করতে পারবেন কি ট্রুডো? প্রশ্ন হল সেটাই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘পাকিস্তানের মতোই জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য কানাডা’’, খালিস্তান ইস্যুতে কড়া বিবৃতি ভারতের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Canada: চরমে দুই দেশের কূটনৈতিক বিবাদ, কানাডার ভিসা পরিষেবা বন্ধ করে কড়া পদক্ষেপ দিল্লির

    Canada: চরমে দুই দেশের কূটনৈতিক বিবাদ, কানাডার ভিসা পরিষেবা বন্ধ করে কড়া পদক্ষেপ দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক বিবাদ এবার চরম পর্যায়ে পৌঁছালো। কানাডা (Canada) থেকে ভিসা পরিষেবা স্থগিত করল মোদি সরকার। যা জাস্টিন ট্রুডোর দেশের বিরুদ্ধে নেওয়া বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই খালিস্থানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার জন্য ভারতকে অভিযুক্ত করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তখন থেকেই দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়। এমন অবস্থায় সে দেশে ভারতের এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা, পাল্টা এদেশে নিযুক্ত কানাডার এক শীর্ষ কূটনীতিককে সেদেশে ফিরিয়ে দেয় ভারত।

    ওয়াকিবহল মহলের ধারণা, খালিস্থানি জঙ্গির হত্যা নিয়ে জাস্টিন ট্রুডো যে অভিযোগ করেছেন তারই জের এখন চলছে। আবার অন্য একটি মহলের মতে, কানাডা (Canada) খালিস্থানি জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে এবং সে দেশে ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের নানা নীল-নকশাও তৈরিও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন অবস্থায় সে দেশ থেকে খলিস্তানি জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতেই এমন উদ্যোগ নিল মোদি সরকার। অথবা, কানাডার গোয়েন্দাদের সাধারণ বেশে ভারত আসার তত্ত্বও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

    এদিকে, কানাডা থেকে এক বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের আসার কথা ছিল। এই পদক্ষেপে সেই সম্ভাবনাও বিশ বাঁও জলে। গতকাল কানাডার নাগরিকদের জন্য বিশেষ যাত্রা নির্দেশিকা জারি করে ট্রুডো প্রশাসন। সেখানে বলা হয়, ভারতে সন্ত্রাস হামলার শঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। তাই ভারত যাত্রা এড়িয়ে চলুন। ভারতের এই পদক্ষেপ সেই নির্দেশিকার প্রতিক্রিয়াও হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। 

    বন্ধ ভিসা পরিষেবা

    জানা গিয়েছে, এই ভিসা পরিষেবা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে বন্ধ হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ভিসা পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে বিএলএস ইন্ডিয়া ভিসা আবেদন কেন্দ্র তার ওয়েবসাইটে এ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

    সোমবার ঠিক কী বলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী?

    কানাডার (Canada) মাটিতে ভারত বিরোধী খালিস্থানে জঙ্গি নিজ্জার হত্যা নিয়ে  কানাডার সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর ট্রুডো বলেন, ‘‘গত সপ্তাহে জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে বিষয়টি উত্থাপিত করি আমি। কানাডার মাটিতে, কানাডীয় নাগরিকের মৃত্যুর নেপথ্যে বহির্দেশের যোগসূত্র পাওয়া গেলে, তাতে আমাদের সার্বভৌমিকতা লঙ্ঘিত হয়, যা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’’ প্রসঙ্গত, নিজ্জা ছিল ভারতের নিষিদ্ধ জঙ্গি। কানাডায় (Canada) তাকে খুন করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Canada: ‘‘প্ররোচনার উদ্দেশ্য ছিল না’’, ভারত চাপ দিতেই খালিস্তান নিয়ে সুর বদল কানাডার

    Canada: ‘‘প্ররোচনার উদ্দেশ্য ছিল না’’, ভারত চাপ দিতেই খালিস্তান নিয়ে সুর বদল কানাডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি জঙ্গি মৃত্যু ইস্যুতে এবার সুর নরম করল কানাডা (Canada)। ভারতের কড়া বার্তার পর উল্টো কথা বললেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। খালিস্তানি জঙ্গি খুনে ভারতের দিকে আঙুল তুলেছিলেন তিনি। এবার নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন ট্রুডো। জানালেন, কোনও ‘উসকানি’ দেওয়ার জন্য এই মন্তব্য করেননি তিনি।

    উল্টো সুর ট্রুডোর গলায়

    সোমবার কানাডার (Canada) বিদেশমন্ত্রী ভারতের এক শীর্ষ কূটনীতিবিদকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেন। শুধু তাই নয়, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেছিলেন, খালিস্তানপন্থি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জার মৃত্যুতে ভারতের সম্ভাব্য যোগ থাকতে পারে। কিন্তু, এরপর ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই কিছুটা কোণঠাসা হয়ে ট্রুডোর দাবি, তিনি ভারতকে প্ররোচনা দিতে চাননি বা ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি চাননি। তবে নিজের ভোটব্যাঙ্ককে পুরোপুরি চটানোরও সাহস দেখাতে পারেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী। ট্রুডো বলেন, “অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত ভারত সরকারের। আমরা সেটাই করছি। আমরা কোনও প্ররোচনা দিচ্ছি না বা (সংঘাত) বাড়াতে চাই না। পুরো বিষয়টি যাতে স্পষ্ট হয়ে যায়, সেজন্য আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই। একেবারে সঠিক পদ্ধতি মেনে পুরো বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই আমরা।”

    আরও পড়ুন: ‘‘অভিযোগ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন’’! খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে কানাডার দাবি খারিজ ভারতের

    কী নিয়ে সম্পর্কের অবনতি

    উল্লেখ্য, চলতি বছর ১৯ জুন কানাডায় (Canada) একটি গুরুদ্বারের সামনে গুলিতে কার্যত ঝাঁঝরা হয়ে যায় হরদীপ সিং নিজ্জরের দেহ। এর পিছনে ভারতের যোগ রয়েছে বলে দাবি করেছিল কানাডা। এক হিন্দু পুরোহিত, সাধারণ হিন্দু ও শিখ নাগরিকদের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল হরদীপ। তার বিরুদ্ধে এনআইএ চারটি মামলা রুজু করেছে। মাথার দাম ১০ লাখ টাকা। কানাডায় খালিস্তানি সংগঠনের অন্যতম প্রথমসারির নেতা ছিল হরদীপ। সম্প্রতি এই ঘটনার জন্য এক ভারতীয় কূটনীতিবিদকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেয় কানাডা। এই ঘটনার পর চুপ করে বসে থাকেনি ভারত। খলিস্তানি ভোটব্যাঙ্ককে প্রসন্ন রাখতে ট্রুডোরা যে কাজ করার চেষ্টা করছেন, সেটার মুখোশ খুলে দেয় নয়াদিল্লি। ভারতে কর্মরত কানাডার রাষ্ট্রদূতকে সাউথ ব্লকে ডেকে পাঠানো হয়। এরপরেই কানাডার শীর্ষ আধিকারিককে বরখাস্ত করার বিষয়টি সামনে আসে। অবশেষে ভারতের চাপে আসল সত্যি সামনে আনার কথা বলল কানাডা। 

LinkedIn
Share