Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bangladesh Genocide: একাত্তরে বাংলাদেশের গণহত্যাকে আন্তজার্তিক স্বীকৃতি দিতে ঢাকায় ডাচ টিম

    Bangladesh Genocide: একাত্তরে বাংলাদেশের গণহত্যাকে আন্তজার্তিক স্বীকৃতি দিতে ঢাকায় ডাচ টিম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে পৃথক হওয়ার দাবিতে উত্তাল হয়েছিল সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান অধুনা বাংলাদেশ। এই সময় ‘অপারেশন সার্চলাইট’-র নামে সারা বাংলাদেশ জুড়ে গণহত্যা (Bangladesh Genocide) চালিয়েছিল পাকিস্তানি সেনা। মধ্যযুগীয় এই বর্বরতাকে লুকিয়ে রাখতে চেষ্টার কসুর করেনি পাকিস্তান। তবে গত বছরে পূর্ব পাকিস্তানের ওপর হওয়া নরসংহারকে স্বীকৃতি দেয় আমেরিকার ‘লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন’ সংস্থা। আন্তর্জাতিকভাবে এই গণহত্যার স্বীকৃতি যে খুব তাড়াতাড়ি মিলবে এবার সেই দাবি করলেন নেদারল্যান্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মানবাধিকার কর্মী হ্যারি ফান বোমাল। ইতিমধ্যে ঢাকাতে চলে এসেছে বোমালের নেতৃত্বাধীন ইউরোপের মানবাধিকার প্রতিনিধি দল। ২০ মে থেকে শুরু হয়েছে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের কাজ, চলবে ২৬ মে পর্যন্ত।

    বাংলাদেশ জেনোসাইড (Bangladesh Genocide) শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ঢাকায়

    বাংলাদেশ জেনোসাইড ১৯৭১ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন চলছে ঢাকাতে। সেখানে অংশ নিয়েছে নেদারল্যান্ডের প্রাক্তন মন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন একটি মানবাধিকার দল। প্রাক্তন ডাচ মন্ত্রী বোমাল ছাড়াও ওই দলে রয়েছেন, রাজনীতি বিশেষজ্ঞ ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ফোরামের ব্রিটেনের চেয়ারম্যান আনসার আহমেদ, নেদারল্যান্ডের চেয়ারম্যান বিকাশ চৌধুরি বড়ুয়া প্রভৃতি।

    সাংবাদিক সম্মেলনে কী বললেন প্রাক্তন ডাচ মন্ত্রী বোমাল

    ঢাকাতে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে বোমাল বলেন, ‘‘আমেরিকার গণহত্যার স্বীকৃতি মিলেছিল ১০০ বছর পরে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা হবে না। কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের নরসংহার (Bangladesh Genocide) আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে। সেটা ১০ বছরের মধ্যেই পাবে।’’

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ফের কালী মন্দিরে আগুন, পুড়ে ছাই প্রতিমা, দুষ্কৃতীরা অধরা

    ব্রিটেনের সংসদেও নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়েছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে

    ১৯৭১-এর গণহত্যা বিষয়ক আলোচনা ব্রিটেনের পার্লামেন্ট হয়েছে। সে দেশের সাংসদ পিটার শোরে এই নিন্দা প্রস্তাব এনেছিলেন। পাকিস্তানের এই মধ্যযুগীয় বর্বরতার (Bangladesh Genocide) বিরুদ্ধে পরবর্তীকালে ব্রিটেনের ২৩৩ জন এমপি এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়ে প্রস্তাব পেশ করে।

    ১৯৭১ এর ইতিহাস

    পাকিস্তান থেকে পৃথক হওয়ার দাবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় আন্দোলন। আন্দোলনকে কড়া হাতে দমন করতে অপারেশন সার্চলাইটের নামে নরসংহার (Bangladesh Genocide) শুরু করে পাকিস্তানি সৈন্যরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বাংলাদেশের রাজাকাররাও। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ১ কোটিরও বেশি সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু তখন সীমান্ত পেরিয়ে ভারত এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সব থেকে বেশি অবদান হিন্দুদের ছিল বলে মনে করেন গবেষকদের একাংশ। এনিয়ে বহু গবেষণামূলক লেখাও রয়েছে। গবেষক কালিদাস বৈদ্য সেসময় মুজিবর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁর লেখায় মুক্তিযুদ্ধে হিন্দুদের ভূমিকা এবং ভারতের সহযোগিতার বিস্তৃত বিবরণ রয়েছে। কালিদাস বৈদ্যর লেখা বই থেকে জানা যায়, উদ্বাস্তু হিন্দুদের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছিল ভারত সরকার। তৈরি হয়েছিল মুজিব বাহিনী।

    ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ এর নামে ঢাকার বিখ্যাত রমনা কালী মন্দিরকে ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয় পাকিস্তানি সৈন্যরা। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, পাকিস্তানি সৈন্য এবং রাজাকাররা মনে করতে থাকে পূর্ব পাকিস্তান হিন্দু শূন্য হলেই, বিদ্রোহ দমন করা যাবে। তাই দমন পীড়ন হিন্দুদের ওপর সব থেকে বেশি হয়েছিল। সে দেশের সরকারি পরিসংখ্যান বলছে ৩০ লক্ষ নিরীহ বাংলাদেশি মানুষকে সেদিন হত্যা (Bangladesh Genocide) করেছিল পাকিস্তান। বাদ যায়নি ছোট শিশু থেকে মহিলা কেউই। দু’লক্ষের ওপর মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে নামে ভারত। শেষপর্যন্ত আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। গঠন হয় নতুন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WHO: “কোভিডের চেয়েও মারাত্মক অতিমারির জন্য প্রস্তুত থাকুন”, সাবধানবাণী হু কর্তার

    WHO: “কোভিডের চেয়েও মারাত্মক অতিমারির জন্য প্রস্তুত থাকুন”, সাবধানবাণী হু কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ফের অতিমারির আশঙ্কা। করোনার (Covid) চেয়েও মারাত্মক এই অতিমারি হানা দিতে পারে পৃথিবীতে। তাই এখন থেকেই অতিমারির জন্য প্রস্তুত হতে হবে বিশ্ববাসীকে। এমনই সাবধানবাণী শোনালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান ট্রেডস অ্যাডামন গেব্রিয়েসাস। মঙ্গলবার ৭৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে যোগ দেন হু-র প্রধান।

    মারাত্মক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা

    তিনি বলেন, “বিশ্বজুড়ে কোভিডের প্রকোপ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে মনে হলেও তা নয়। কোভিডের আরও একটি ভ্যারিয়েন্টের হানা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়ে গিয়েছে। যা রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বাড়িয়ে দেবে। এছাড়াও কোভিডের থেকে আরও মারাত্মক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।” গেব্রিয়েসাস বলেন, “কোভিড নিয়ে এখনই নিশ্চিন্ত হবেন না। কোভিড অতিমারি একমাত্র আশঙ্কার কারণ নয়। সব রকম পরিস্থিতির জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে। খুব শীঘ্রই পরবর্তী অতিমারি হানা দিতে চলেছে। তখন আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে সেই অতিমারির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।”

    কোভিডে মৃত্যুর খতিয়ান

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) এই কর্তা বলেন, “কোভিড ১৯ মহামারির জন্য প্রস্তুত ছিল না গোটা বিশ্ব। গত তিন বছরে কোভিড ১৯ এ প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু আমরা জানি, এই সংখ্যাটা আরও কয়েকগুণ বেশি, অন্তত ২ কোটি। এই মহামারি আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় গুরুতর ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে এবং গুরুতর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। কোভিড ১৯ আমাদের বিশ্বকে বদলে দিয়েছে এবং অবশ্যই আমাদেরও বদলাতে হবে।”

    আরও পড়ুুন: ২০২৩ উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত, পাশের হার ৮৯.২৫ শতাংশ

    গেব্রিয়েসাস বলেন, “কোভিডের আর একটি রূপভেদ উদ্ভূত হওয়ার হুমকি থেকেই গিয়েছে। যা গুরুতর রোগ এবং মৃত্যুর তরঙ্গ সৃষ্টি করতে পারে। এমনকী, কোভিডের থেকে আরও মারাত্মক সম্ভাবনা সহ আরও অন্য কোনও রোগজীবাণু উদ্ভূত হওয়ার হুমকিও রয়েছে। আমরা এটা না দেখার ভান করে থাকতে পারি না। যে যে পরিবর্তন করতে হবে, তা যদি আমরা না করি, তাহলে কে করবে? আমরা যদি সেই পরিবর্তনগুলি না করি, তাহলে আর কখন করব? তাই আমাদের অবশ্যই সমষ্টিগতভাবে এর জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।” তিনি (WHO) বলেন, “কোভিড ১৯ এর সমাপ্তি কোনও খারাপ স্বপ্নের শেষ নয়। যে ঘুম ভেঙে গেলেই তার শেষ হয়ে যাবে। আমরা আগের মতো উদাসীন হয়ে চলতে পারি না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi: মন্দিরে হামলা বরদাস্ত করা হবে না, অস্ট্রেলিয়ায় সাফ জানালেন মোদি

    PM Modi: মন্দিরে হামলা বরদাস্ত করা হবে না, অস্ট্রেলিয়ায় সাফ জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বন্ধুত্বের পথে কাঁটা হতে পারে এমন কোনও কিছুই মেনে নেওয়া হবে না। এই ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ।” অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে সেখানকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তার পরেই খালিস্তানপন্থীদের নাম না করে ওই হুঁশিয়ার দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    অস্ট্রেলিয়ায় মোদির (PM Modi) দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

    খালিস্তানের দাবিতে সম্প্রতি সোচ্চার হয়েছিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তার জেরে অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলা হয়। মন্দিরের দেওয়ালের গায়ে লিখে দেওয়া হয় ভারত বিরোধী স্লোগান। বিদেশের বিভিন্ন মন্দিরে হামলা হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মোদির বৈঠকে প্রত্যাশিতভাবেই আসে মন্দিরে হামলার প্রসঙ্গ। সেখানেই অস্ট্রেলিয়ার তরফে আসে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি দেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

    বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হুঁশিয়ারি

    যৌথ বিবৃতিতে খালিস্তানপন্থীদের নাম নেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার হিন্দু মন্দিরগুলির ওপর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলা নিয়ে অজি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আগেও আলোচনা হয়েছে। আজ ফের এই ইস্যুতে কথা হল। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বন্ধুত্বের পথে কাঁটা হতে পারে এমন কোনও কিছুই মেনে নেওয়া হবে না। এই ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ।”

    ত্রিদেশীয় সফর শেষ করে দেশে ফিরে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী যান রাজস্থানের রাজসামান্দ জেলার নাথওয়াড়ায় শ্রীনাথজির মন্দিরে। মোদির কনভয় লক্ষ্য করে হয় পুষ্পবৃষ্টি। মোদি মোদি স্লোগানে মুখরিত হয় এলাকা।

    পরে ওই জেলায়ই এক সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ওই অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যের উন্নয়নের জন্য সাড়ে ৫ হাজার কোটিরও বেশি টাকার কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। উদয়পুর রেলস্টেশনের পুনর্নির্মাণ প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন মোদি। আবু রোড এলাকায় ৫০ একর জায়গাজুড়ে বহুবিধ সুবিধা মিলবে এমন একটি দাতব্য হাসপাতালেরও শিলান্যাস করেন প্রধামনন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মুখ্যমন্ত্রী গলায় গামছা দিয়ে ক্ষমা চান’’, বিস্ফোরণকাণ্ডে তোপ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘দ্য বস’ আখ্যা দিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘দ্য বস’ আখ্যা দিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁকে সম্বোধন করেছিলেন ‘মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার’ বলে। পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী তো আবার তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন। এবার তাঁকে ‘দ্য বস’ (The Boss) বলে সম্বোধন করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যন্থনি অ্যালবানেজ। এই তিনি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), এই মুহূর্তে বিশ্ব নেতাদের মধ্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব।

    মোদি (PM Modi)-স্তুতি

    দিন তিনেক আগে ত্রিদেশীয় সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাপানের হিরোসিমায় আয়োজিত জি-৭ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। সেখানেই তাঁকে ‘মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার’ বলে সম্বোধন করেন জো বাইডেন। মোদির অটোগ্রাফ নিতে বাড়িয়ে দেন তাঁর অটোগ্রাফের খাতাও। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনিতে।

    মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে রাতেই মোদি পৌঁছান অস্ট্রেলিয়ায়। তাঁকে সিডনি বিমানবন্দরে স্বাগত জানান সে দেশের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানেজ।

    মোদির মুখে শেন ওয়ার্ন

    মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। পরে যোগ দেন সিডনিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রচুর প্রবাসী ভারতীয়। প্রথমে ভাষণ দেন মোদি। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার গভীর সম্পর্ক বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ানদের সম্পর্ক সব জায়গায়।

    গত বছর যখন শেন ওয়ার্ন মারা যান, তখন আমরা শয়ে শয়ে ভারতীয় কেঁদেছিলাম। আমাদের মনে হয়েছিল, আমরা যেন কাছের কাউকে হারিয়েছি।”

    মোদি ‘দ্য বস’

    মোদির ভাষণ শেষে বলতে ওঠেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। ওই সময়ই তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ‘দ্য বস’ বলে সম্বোধন করেন। বিখ্যাত রকস্টার ব্রুস স্প্রিংটিনকে ‘দ্য বস’ বলে সম্বোধন করতেন তাঁর ভক্তরা। মোদিকে তাঁর সঙ্গেই তুলনা করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ব্রুস স্প্রিংটিনকে শেষবার আমি এই স্টেজে দেখেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) নরেন্দ্র মোদি যে অভ্যর্থনা পেলেন উনিও তা পাননি। প্রধানমন্ত্রী মোদি হলেন দ্য বস।”

    অস্ট্রেলিয় প্রধানমন্ত্রীর এই সম্বোধনের পরেই করতালিতে ফেটে পড়ার জোগাড় হয় সিডনির কুদোস ব্যাঙ্ক এরিনা হল। জন-কলরোল থামলে অ্যালবানেজ বলেন, “আমি এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে এটা আমাদের ষষ্ঠ সাক্ষাৎ। এটা দেখাচ্ছে, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ভারত মহাসাগরের প্রতিবেশীও। আমাদের গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে। আগামিদিনে তা আরও জোরদার করতে চাই।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে’’, মমতা-কেজরির বৈঠককে কটাক্ষ দিলীপের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন গেলেন এই দ্বীপরাষ্ট্রে?

    PM Modi: পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন গেলেন এই দ্বীপরাষ্ট্রে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে চিন (China)। এমতাবস্থায় চিনকে মাত দিতে প্রশান্ত মহাসাগরের অন্যতম বড় দ্বীপ রাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনি (Papua New Guinea) সফর সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর এই সফরে তৈরি হল ইতিহাস। এই প্রথম ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী পা রাখলেন পাপুয়া নিউ গিনিতে। ২০১৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় অবশ্য গিয়েছিলেন ওই দ্বীপরাষ্ট্রে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলির মধ্যে সব চেয়ে জনবহুল পাপুয়া নিউ গিনি। খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ এই দ্বীপে খবরদারি করতে চায় শি জিনপিংয়ের দেশ। তা রুখতেই দ্বীপবাসীর মন জয় করতে সেখানে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) যোগ দেন সম্মেলনে

    পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রচুর পরিমাণে সোনা ও তামার খনি রয়েছে। সেই সোনা ও তামার লোভেই এই দ্বীপরাষ্ট্রের ওপর শ্যেন দৃষ্টি দিয়েছে বেজিং। ড্রাগনের রক্তচক্ষু সম্পর্কে থেকে দ্বীপরাষ্ট্রকে অবগত করতে এবং প্রকৃত বন্ধু যে ভারতই, তা বোঝাতেই পাপুয়া নিউ গিনি সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। যদিও মূল লক্ষ্য ছিল, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলির সহযোগিতা সম্মেলনে (FIPIC) যোগ দেওয়া। সে দেশের রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে আয়োজিত এই সম্মেলনে যোগ দেন প্রশান্ত মহাসাগরের আরও ১৪টি দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধানরা। সম্মেলনের পর ওই দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেখানেই আলোচনা হয় দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে। সেখানে ভারতের তরফে সাহায্য, বন্ধুত্ব ও উন্নয়নের অংশীদারিত্বের হাত বাড়িয়ে দেন মোদি।

    আরও পড়ুুন: কালো টাকা হতো সাদা! ‘কালীঘাটের কাকু’-র সঙ্গে যোগ থাকা তিন সংস্থায় নজর ইডির

    চিনের শ্যেন দৃষ্টি

    পাপুয়া নিউ গিনিতে নয়া বেল্ট অ্যান্ড রোড কো-অপারেশন প্রকল্প চালু করতে যে বেজিং আগ্রহী, তা ঢের আগেই জানিয়েছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দ্বীপরাষ্ট্রটিতে কৃষি, মৎস্যচাষ, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নেও আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট। এই উন্নয়নের নামেই চিন ঋণের ফাঁদে ফেলেছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাকে। যার জেরে দেউলিয়া হতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। ওই ঋণের ফাঁদে পা দিয়েই দেউলিয়া হওয়ার পথে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। তাই পাপুয়া নিউ গিনিও যাতে চিনা ফাঁদে পা না দেয়, সেটাও রোখাও মোদির (PM Modi) এই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে ধারণা ওয়াকবহাল মহলের।

    প্রশান্ত মহাসাগরে দাপিয়ে বেড়াতে হলে পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রভাব বিস্তার করতে হবে। এটা করতে পারলেই কেল্লাফতে। প্রশান্ত মহাসাগর তো বটেই, দক্ষিণ চিন সাগরের কূটনীতিতেও অনেকটা এগিয়ে থাকা যাবে। সেই কারণেই মারাপের দেশে ঘাঁটি গাড়তে মরিয়া চিন। আর চিনের বাড়া ভাতে ছাই দিতে পাপুয়া নিউ গিনি সফর সারলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: অন্যরকম অভ্যর্থনা! মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী মারাপের

    PM Modi: অন্যরকম অভ্যর্থনা! মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী মারাপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বীপরাষ্ট্রে পৌঁছতেই নরেন্দ্র মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন পাপুয়া নিউ গিনির (Papua New Guinea) প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে। ভিন দেশে গিয়ে একেবারে অন্যরকম অভ্যর্থনা পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্ব মঞ্চে মোদির জনপ্রিয়তা সর্বজনবিদিত। কিন্তু এই দৃ্শ্য অনন্য সম্মানের এক নজির। সাধারণত দু’টি দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎপর্বে করমর্দন বা আলিঙ্গন করার ছবিই প্রকাশ্যে আসে। 

    মোদিকে প্রণাম

    পাপুয়া নিউ গিনিতে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলির সহযোগিতা সম্মেলনে যোগ দিতে রবিবার রাতে সেখানে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)। প্রসঙ্গত, সূর্যাস্তের পর কোনও নেতা পাপুয়া নিউ গিনিতে পৌঁছলে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয় না। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী মোদির ক্ষেত্রে সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হল। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রে সফর করা তিনিই প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। এদিন স্থানীয় সময় রাত ১০টায় সেখানে পৌঁছন মোদি। পরে ট্যুইটারে সেকথা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘পাপুয়া নিউ গিনিতে পৌঁছেছি। প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে-কে ধন্যবাদ যে তিনি বিমানবন্দরে আমাকে স্বাগত জানাতে এসেছিলেন। বিশেষ এই অভিব্যক্তি আমি চিরকাল মনে রাখব। আমার সফর চলাকালীন এই রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা করব।’ প্রধানমন্ত্রীকে ১৯টি গান স্যালিউট ও গার্ড অফ অনারও দেওয়া হয়, বলে জানান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। 

    অনাবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ

    এদিন পাপুয়া নিউ গিনিতে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাঁকে দেখেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন অনাবাসী ভারতীয়রা। নমোকে উপহারে ভরিয়ে দেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তুলতে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: মোদির অটোগ্রাফ চেয়ে বসলেন বাইডেন! কেন জানেন?

    হিরোসিমায় জি-৭ সামিট (G-7 Summit) থেকে সোজা পাপুয়া নিউ গিনি (papua New Guinea) সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। প্রসঙ্গত, সোমবার ইন্ডিয়া-প্যাসিফিক আইল্যান্ডস কো-অপারেশন (FIPIC) ফোরামের তৃতীয় সামিট হবে পাপুয়া নিউ গিনিতে। পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপের সঙ্গে যৌথভাবে সেই সামিটের উদ্যোক্তা হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রশান্ত মহাসাগরীয় ১৪টি দেশের (PIC) রাষ্ট্রপ্রধান এই সামিটে অংশগ্রহণ করবেন। পাপুয়া নিউগিনি থেকে আজ, ২২ মে অর্থাৎ সোমবার অস্ট্রেলিয়া রওনা হবেন মোদি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদির অটোগ্রাফ চেয়ে বসলেন বাইডেন! কেন জানেন?

    PM Modi: মোদির অটোগ্রাফ চেয়ে বসলেন বাইডেন! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে জনপ্রিয়তার নিরিখে সব চেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এ কথা আগেই জানিয়েছিল একটি পত্রিকা। নানা কারণে চিনের (China) সঙ্গে ভারতের (India) দূরত্ব তৈরি হলেও, চিনা নাগরিকদের কাছেও মোদির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তার প্রমাণ মিলল আবারও। শনিবার কোয়াড বৈঠক চলাকালীন মোদির অটোগ্রাফ চেয়ে বসলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) তুঙ্গ জনপ্রিয়তা

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আপনার জন্য বড্ড সমস্যার মুখে পড়েছি। আগামী মাসেই ওয়াশিংটনে আপনার সঙ্গে নৈশাহারে যোগ দেব আমি। দেশসুদ্ধ লোক সেখানে আসতে চাইছে। আমাদের টিকিট ফুরিয়ে গিয়েছে। বাইডেন বলেন, এটা মোটেই হাসির কথা নয়। আপনি হয়তো ভাবছেন, আমি মজা করছি। আমার টিমকে জিজ্ঞাসা করুন। টিকিটের জন্য এত ফোন কল পেয়েছি যে বিশ্বাস করতে পারবেন না। কে না ফোন করেছে আমাকে! সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, সবাই। আপনি এতটাই জনপ্রিয়।

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রশংসা

    এদিন কার্যত মোদির (PM Modi) প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যায় বাইডেনকে। মোদিকে মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার সম্বোধন করে তিনি অটোগ্রাফের খাতা এগিয়ে দেন মোদির দিকে। পরে বলেন, গণতন্ত্র যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা গোটা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছেন আপনি। সব কিছুর ওপর আপনার উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। কোয়াডে আমরা যা করছি, তাতেও আপনি প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছেন। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় সুস্পষ্ট প্রভাব রয়েছে আপনার। সব কিছুতেই একটা পার্থক্য এনেছেন আপনি। এর পরেই হাসি হাসি মুখে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজকে বলতে শোনা যায়, সিউনিতে যে কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে, সেখানে ২০ হাজার মানুষের বসার জায়গা রয়েছে। সেই সংখ্যা ছাপিয়ে গিয়ে আমার কাছে অনুরোধ এসেছে। সকলের একটাই দাবি, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিজের চোখে একবার দেখতে চাই।

    আরও পড়ুুন: থানায় কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ হতেই আত্মহত্যার চেষ্টা ভাইরাল হওয়া তৃণমূল নেতার

    দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) কুর্সিতে বসার পর ২০১৯ সালে গুজরাটের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান করেন মোদি। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেদিন যে বিপুল জনসমাগম দেখেছিলাম, তাতেই আপনার জনপ্রিয়তার একটা আন্দাজ হয়েছিল। সিডনিতে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে সেটা বুঝতে পারছি। প্রসঙ্গত, আগামী মাসেই স্টেট ডিনারে মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: জি৭-এর মঞ্চ থেকেই চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    Narendra Modi: জি৭-এর মঞ্চ থেকেই চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে স্বাভাবিক পড়শিসুলভ সম্পর্কই চায় ভারত। কিন্তু উভয় দেশকেই একইভাবে সহনশীল, শান্তিপূর্ণ মনোভাব ধরে রাখতে হবে। জি-৭ বৈঠকে অংশ নিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার জাপান পৌঁছেছেন তিনি। শনিবার তিনি জি-৭ বৈঠকে অংশ নেন। জি-৭-এর মঞ্চেই নিজের কথা জানান মোদি।

    পাকিস্তানকে বার্তা মোদির

    ভারত বারবার পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক ও প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা চলিয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদের আবহ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন। আর এই ব্যাপারে যাবতীয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করাটা অবশ্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব। সম্মেলন শুরুর প্রাক্কালে এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সীমান্তপারের সন্ত্রাস দমনে ইসলামাবাদের সহযোগিতা চেয়ে আগেও একাধিক বার বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। সন্ত্রাস ও শান্তি আলোচনা যে সমান্তরাল ভাবে চলতে পারে না, সরাসরি তা-ও বলেছে ভারত।

    চিনকে বার্তা মোদির

    চিনকেও এক হাত নিয়ে মোদি বলেন, ভারত তার সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষায় সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মোদির (Narendra Modi) কথায়, “চিনের সঙ্গে সাধারণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখতে গেলে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখাটা আগে দরকার। চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে পারস্পরিক সম্মান, পারস্পরিক স্বার্থ ও সংবেদনশীলতার উপরে।” ইন্দো-চিন সীমান্ত বরাবর শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা। আবার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্ত বরাবর কোনও অংশ দখলে নেওয়ার মত আচরণও একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চিনের সঙ্গে সম্পর্ক সুস্থ ও স্বাভাবিক হলে তাতে শুধু ভারত বা চিনের নয়, গোটা বিশ্বেরই উপকার হবে, বলে জানান মোদি।

    আরও পড়ুন: ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রতীক! ২৮ মে উদ্বোধন নতুন সংসদ ভবনের

    গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদান মোদির

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার আমন্ত্রণে তিন দিনের জি সেভেন বৈঠকে যোগ দিতে শুক্রবার জাপানে পৌছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শনিবার হিরোসিমাতে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদানও করেন তিনি। তাঁর কথায়,”হিরোসিমার নাম শুনলে আজও পৃথিবী যেন আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। জাপানে জি সেভেন বৈঠকে যোগ দিতে এসে আমি মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন করার সুযোগ পেয়েছি। হিরোসিমাতে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি স্থাপন অহিংসার বার্তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।” প্রধানমন্ত্রীর হিরোসিমাতে আসার পর থেকেই সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন প্রবাসী ভারতীয়রা।

    জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাত মোদির

    ২০০৩ থেকে জি-৭ বৈঠকে অংশগ্রহণ করছে ভারত। সূত্রের খবর, এবারের বৈঠকের শেষ দু’দিন নিজের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ পেতে পারে ভারত। বৈঠকের ফাঁকে বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেরও কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi)। শনিবারই রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরুর পরে এই প্রথমবার মোদির সঙ্গে হিরোশিমাতেই সামনা-সামনি দেখা হল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমি জেলেনস্কির। এর আগে একাধিক বার ফোনে কথা হয়েছে দু’জনের। 

    যুদ্ধ শুরুর পর থেকে, বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ইউক্রেন বা রাশিয়ার পক্ষ বেছে নিলেও, ভারত বরাবর নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে ভারত। একই সঙ্গে মাসখানেক আগে অতিরিক্ত ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম চেয়ে মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি লিখেছিলেন জেলেনস্কি। সদর্থক সাড়া দিয়েছিল ভারত। এই আবহে জেলেনস্কির সঙ্গে মোদির মুখোমুখি বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Modi At G7: এগিয়ে এসে আলিঙ্গন করলেন জো বাইডেন! জি৭ সম্মেলনে ‘মোদি মোদি’ রব

    Modi At G7: এগিয়ে এসে আলিঙ্গন করলেন জো বাইডেন! জি৭ সম্মেলনে ‘মোদি মোদি’ রব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে ইতিমধ্যে জাপান পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবারেই সূর্যোদয়ের দেশে পা রাখেন তিনি। জাপান সফরে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান সেদেশের প্রধানমন্ত্রী কিশোদা। সাক্ষাৎ হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও। জি-৭ বৈঠকে মোদিকে দেখে জড়িয়ে ধরলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এদিকে আগামী জুনেই আবার দুই রাষ্ট্রনেতার সাক্ষাৎ হওয়ার কথা। আগামী ২১ জুন থেকে ২৪ জুন মার্কিন সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। ২২ জুন তাঁকে নৈশভোজের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন বাইডেন। প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা বিদেশের মাটিতেও যে অক্ষত আছে তা বিমানবন্দরে তিনি পা রাখতেই বোঝা যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় জাপানের হিরোশিমায় তিনি নামতেই চারিদিক জুড়ে শুরু হয় ‘মোদি মোদি’ রব। তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তা দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে যান জাপান সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। বিমানবন্দর থেকে তিনি সোজা পৌঁছে যান শেরাটন হোটেলে। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে কথা হয় বলে জানা গেছে। তাঁর জাপান সফর দিয়ে শুরু হল ‘থ্রি নেশন ট্রিপ’। প্রধানমন্ত্রীর (Modi At G7) যাওয়ার কথা রয়েছে পাপুয়া-নিউগিনি দ্বীপে এবং অস্ট্রেলিয়াতেও।

    হিরোশিমায় মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন

    শনিবার সকালে হিরোশিমায় মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন করে তাতে মাল্যদান করেন প্রধানমন্ত্রী (Modi At G7)।

    এদিন তিনি বলেন, ‘‘হিরোশিমার নাম শুনলে পৃথিবী আজও যেন আতঙ্কিত হয়ে ওঠে, এই শহরে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন বিশেষ বার্তাবহ। আজও বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে শক্তি জোগায় মহাত্মার শান্তি, অহিংসা ও সৌভ্রাতৃত্বের বাণী।’’ 

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে আজ বৈঠকে বসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর

    জি৭ সম্মেলনে শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কির সঙ্গে হিরোশিমায় বৈঠকে বসবেন মোদি (Modi At G7)। শনিবার রাতে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, আমেরিকার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাঁর। প্রসঙ্গত, জি৭ সম্মেলনে খাদ্য, সার, শক্তি, নিরাপত্তা সমেত একাধিক ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: ‘পাকিস্তানের অবস্থা হতে পারে পূর্ব পাকিস্তানের মতো’, বললেন ইমরান  

    Imran Khan: ‘পাকিস্তানের অবস্থা হতে পারে পূর্ব পাকিস্তানের মতো’, বললেন ইমরান  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তানের (Pakistan) সামনে বিপদের ঘণ্টি বাজছে। পূর্ব পাকিস্তানের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এবারও।”কথাগুলি বললেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। দুর্বৃত্তের সঙ্গে তুলনাও করলেন পাকিস্তানের বর্তমান শাসকদের। ট্যুইট-বার্তায় দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আমজনতাকে প্রতিবাদে শামিল হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) পার্টি সুপ্রিমো। তিনি লিখেছেন, বর্তমানে দেশ গভীর আর্থিক সংকটের মুখে। জঙ্গি হানা থেকে শুরু করে নানা সমস্যায় জর্জরিত। কিন্তু এ নিয়ে বর্তমান শাসক দলের কোনও মাথাব্যথা নেই।

    ‘বড়লোক হওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে’, বললেন ইমরান (Imran Khan)

    প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, সরকারের মধ্যে বড়লোক হওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে। এই অবস্থা চললে আগামী দিনে দেশ আরও গভীর সমস্যার মুখোমুখি হবে। তাই, দেরি না করে এখনই সরকারের বিরুদ্ধে আমজনতাকে প্রতিবাদে শামিল হওয়ার আবেদন জানান ইমরান। পাকিস্তানের ক্ষমতায় রয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। সেই সরকারের বিরুদ্ধে সেনাকে অপব্যবহারের অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দলের বিরুদ্ধে সেনাকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। ইমরানকে গ্রেফতার করার পরে বিক্ষোভ দেখান তাঁর দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। সেই সময় গুলি চালায় পাক সেনা। সেই ঘটনায়ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন পিটিআই সুপ্রিমো। পাক সেনার ওই গুলিতে ২৫ জন প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জখম হয়েছেন শতাধিক।

    আরও পড়ুুন: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! রামনবমীতে হিংসার ঘটনায় বহাল এনআইএ তদন্ত!

    ৯ মে জমি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল ইমরানকে। এরই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা পাকিস্তান। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখান ইমরানের অনুগামীরা। তাঁদের নিশানায় ছিল পাক সেনা দফতর। বহু জায়গায় হামলার পাশাপাশি অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। চলে লুঠপাটও। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষও হয় বিক্ষোভকারীদের। যদিও দলীয় সমর্থকদের বিরুদ্ধে ওঠা হিংসার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইমরান। 

    ইমরানের বাড়ি ঘিরে রেখেছে সেনা

    এদিকে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই লাহোরে ইমরানের জামান পার্কের বাড়ি ঘিরে ফেলেছে পাকিস্তান পুলিশ ও সেনা। তবে এখনও পর্যন্ত ইমরানের বাড়িতে ঢোকেনি তারা। পাক পুলিশ-প্রশাসনের দাবি, ইমরানের বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছেন ৯ মে-র বিক্ষোভকারীরা। এমন ৪০ জন জঙ্গিকে বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার কাজ করেছেন ইমরান। এদিন ভিডিও বার্তায় ইমরান বলেন, আপনারা নিজের চোখে দেখে নিন, আমার বাড়িতে কেউ লুকিয়ে নেই। এদিকে, আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরানের স্ত্রী বুশরাকে তলব করেছে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share