Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Murder: স্ত্রীকে খুনের পর মাথার ঘিলু রান্না করে খেলেন স্বামী! কোথায় ঘটল এমন হাড়হিম ঘটনা?

    Murder: স্ত্রীকে খুনের পর মাথার ঘিলু রান্না করে খেলেন স্বামী! কোথায় ঘটল এমন হাড়হিম ঘটনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে স্ত্রীকে খুন (Murder), তারপর নিহতের ঘিলু রান্না করে  খেলেন এক ব্যক্তি। এখানেই অশ্য শেষ নয়, স্ত্রীর খুলিকে ছাইদানি হিসাবে ব্যবহার করার অভিযোগও উঠেছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মেক্সিকোর পুয়েব্লোতে। গত ২ জুলাই এই খুনীকে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে সেদেশের পুলিশ।

    ঘটনার পূর্ণ বিবরণ…

    আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলি বলছে, অভিযুক্তের নাম আলভারো (৩২)। মেক্সিকো পুলিশ জানিয়েছে, মদ্যপ অবস্থায় গত ২৯ জুন স্ত্রী মারিয়া মন্টসেরাটকে খুন (Murder) করেন আলভারো। পুলিশের কাছে অবশ্য এক আজব দাবি করেছেন আলভারো। তাঁর বক্তব্য, তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন, আর সেই আদেশ পালন করতেই স্ত্রীকে এমন নৃশংসভাবে খুন করেন।

    একবছরও পূর্ণ হয়নি খুনীর বিয়ের

    জানা গিয়েছে, এক বছরও সম্পূর্ণ হয়নি মারিয়া ও আলভারোর বিয়ে। মারিয়ার অবশ্য এটা প্রথম বিয়ে নয়। মারিয়ার আগের পক্ষের পাঁচ কন্যা সন্তান রয়েছে বলে খবর, প্রত্যেকের বয়স ১২ থেকে ২৩ এর মধ্যে। সেদেশের স্থানীয় সংবাদপত্রগুলি বলছে, আলভারো পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছেন যে, তিনিই মারিয়ার খুনী। এবং ট্যাকো (মেক্সিকো দেশের এক ধরনের খাবার) দিয়ে স্ত্রীর ঘিলু খেয়েছেন। আলভারোর ঘর থেকে তল্লাশি চালিয়ে একটি খুলিও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। আলভারো দাবি, ওই খুলি তাঁর স্ত্রী মারিয়ার। স্ত্রীর দেহাংশ একটি প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে ভরে রেখেছেন বলে দাবি করেন আলভারো।

    স্ত্রীকে খুনের (Murder) পর সন্তানকে ফোন করেন আলভারো

    স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, স্ত্রী মারিয়াকে খুনের ঠিক দু’দিনের মাথায় তাঁর এক সন্তানকে ফোন করেন আলভারো। তাকে খুনের ঘটনা সম্পর্কে তখনই সবটা জানান আলভারো। বড় মেয়েকে ফোন করে আলভারো জানান, সে এসে যেন তার মায়ের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মারিয়ার মা আলিসিয়া মন্টিয়েল সেরান, অর্থাৎ আলভারোর শাশুড়ি সংবাদমাধ্যমে এমনটাই দাবি করেছেন। মারিয়ার মা আলভারোর বিরুদ্ধে কালাজাদুর অভিযোগও এনেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, আলভারোর বাড়ি থেকে তন্ত্রসাধনার বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে ব্ল্যাক ম্যাজিকের যোগ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে সেদেশের পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কানাডা সব সময় পদক্ষেপ করেছে”, বললেন ট্রুডো

    Justin Trudeau: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কানাডা সব সময় পদক্ষেপ করেছে”, বললেন ট্রুডো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কানাডা সব সময় কঠোর পদক্ষেপ করেছে।” বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। কানাডার অটোয়ায় ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মীদের হুমকি দিয়েছে খালিস্থানপন্থীরা। ওই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ভারত। কানাডায় খালিস্তানিপন্থীদের বাড়বাড়ন্তের জন্য সে দেশের রাজনীতিকেই দায়ী করেছিল ভারত। সেই অভিযোগেরই এদিন জবাব দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।

    হিংসার বিরোধী কানাডা!

    ট্রুডো বলেন, “ওরা (ভারত) ভুল বলছে। হিংসা এবং হিংসার হুমকির ক্ষেত্রে কানাডা বরাবর কঠোর পদক্ষেপ করেছে। আমরা সব সময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ করেছি। এবং আগামী দিনেও তা করব।” দিন কয়েক আগে কানাডার একটি গুরুদ্বারের ভিতরেই গুলি করে খুন করা হয় খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জারকে। তার পর থেকে সে দেশের খালিস্তানপন্থীরা ভারতের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে সুর চড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, ভারতই খুন করিয়েছে নিজ্জারকে।

    ‘কিল ইন্ডিয়া’ পোস্টার

    এই আবহেই কানাডায় নিযুক্ত দূতাবাস কর্মীদের ছবি প্রকাশ করে ‘কিল ইন্ডিয়া’ পোস্টার সাঁটায় খালিস্তানপন্থীরা। তার পরেই ভারতের তরফে দেওয়া হয় কড়া প্রতিক্রিয়া। যে প্রতিক্রিয়ার পাল্টা দিতে গিয়ে এদিন ট্রুডো (Justin Trudeau) বলেন ওই কথা। তিনি বলেন, “কানাডা সব ধরনের হিংসার বিরোধী। এই বিষয়টি আমরা সব সময় গুরুত্ব দিয়ে দেখি।” কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশে বহুস্বর রয়েছে। আমরা বাক স্বাধীনতাকে মূল্যও দিই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমরা হিংসাকে প্রশ্রয় দিই। আমরা বরাবর হিংসার বিরোধী। উগ্রপন্থার যে কোনও রূপেরই আমরা বিরোধী।”

    ট্রুডোর (Justin Trudeau) সুর শোনা গিয়েছে কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জলির গলায়ও। তিনি বলেন, “হাতে গোণা কয়েকজন মানুষ একটা গোটা সম্প্রদায় কিংবা কানাডার কথা বলে না।” এদিকে, ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, কানাডা এবং অন্যত্র বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার করছে ভারত-বিরোধীরা। ৮ জুলাই টরেন্টোয় খালিস্তান স্বাধীনতা মিছিল করবেন খালিস্তানপন্থীরা। ‘কিল ইন্ডিয়া’ পোস্টারেও নিজ্জার খুনে টরেন্টোয় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মা এবং কাউন্সেল জেনারেল অফ ইন্ডিয়া অপূর্ব শ্রীবাস্তবকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই বিদেশমন্ত্রকের তরফে দেওয়া হল কড়া প্রতিক্রিয়া।

    আরও পড়ুুন: “এখনও সময় আছে রাজধর্ম পালন করুন”, রাজীবকে হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gurpatwant Singh Pannu: আমেরিকায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু খালিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত সিং পান্নুর!

    Gurpatwant Singh Pannu: আমেরিকায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু খালিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত সিং পান্নুর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিন দেশে গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে বাঁচতে চেয়েছিলেন খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী (Khalistani Terrorist) গুরপতবন্ত সিং পান্নু (Gurpatwant Singh Pannu)। যদিও শেষ রক্ষা হল না। আমেরিকায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তাঁর। খালিস্তান টাইগার ফোর্সের নেতৃত্ব দিতেন হরদীপ সিং নিজ্জার। ২০১৯ সালে পান্নুর সঙ্গে হাত মেলান নিজ্জার। সম্প্রতি নিজ্জার ও পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়ারকে হত্যা করা হয়।

    আতঙ্কিত সন্ত্রাসবাদীরা

    ব্রিটেনে সন্দেহজনকভাবে মৃত্যু হয় অবতার সিং খান্দারেরও। এই তিন খালিস্তানপন্থী শীর্ষ নেতার মৃত্যুর পরেই আতঙ্ক ছড়ায় খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে। তারা গা ঢাকা দেয় আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশে। পান্নু (Gurpatwant Singh Pannu) গা ঢাকা দিয়েছিলেন আমেরিকায়। প্রাণসংশয়ের আশঙ্কায় কাঁটা পান্নু নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করেছিলেন বলেও একটি সূত্রের খবর। সেই পান্নুরই মৃত্যু হয়েছে বেঘোরে। তবে দেশ-বিদেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে পান্নুর মৃত্যুর খবর চাউর হলেও, ভারত কিংবা মার্কিন সরকারের তরফে এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। তাই আদৌ পান্নু মারা গিয়েছেন, নাকি স্রেফ গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

    পান্নু কে?

    ২০২০ সালে কানাডায় গণভোট প্রচার চালানোর দায়িত্ব বর্তেছিল পান্নুর (Gurpatwant Singh Pannu) ঘাড়ে। কানাডায় শিখ ফর জাস্টিসের মুখ ছিলেন তিনি। সারে ও ভ্যাঙ্কুভারে বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ ও গাড়ি সমাবেশের আয়োজনও করেছিলেন পান্নু। ২০০৭ সালে গঠিত হয় শিখ ফর জাস্টিস। জন্মভূমি আমেরিকা। যাঁরা এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে পান্নুও ছিলেন। পঞ্জাবে হিংসা ও অশান্তির একাধিক ঘটনার নেপথ্যে ছিল পান্নুদের এই সংগঠন। অমৃতসরের কনখটে জন্ম পান্নুর। পেশায় ছিলেন আইনজীবী।

    তার জেরেই ২০১৪ সালের পর থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে থাকেন পান্নু (Gurpatwant Singh Pannu)। যাঁদের বিরুদ্ধে তিনি মামলা দায়ের করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন নরেন্দ্র মোদিও। ২০১৮ সালে প্রথম প্রচারের আলোয় চলে আসেন পান্নু। তার ঠিক দু বছর পরেই পঞ্জাবকে ভারত থেকে মুক্ত করার ডাক দেন তিনি। ২০২১ সালে ইউএপিএ মামলায় পান্নুকে অভিযুক্ত করে ভারত সরকার। তাঁকে জঙ্গি ঘোষণা করা হয়। নিষিদ্ধ করা হয় শিখ ফর জাস্টিসকেও।

    আরও পড়ুুন: ‘‘তৃণমূলের দেওয়া উপ মুখ্যমন্ত্রী পদের অফারও ছুড়ে ফেলেছি’’, বললেন শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • San Francisco: সান ফ্রান্সিসকোর ভারতীয় দূতাবাসে আগুন ধরানোর চেষ্টা খলিস্তানিদের 

    San Francisco: সান ফ্রান্সিসকোর ভারতীয় দূতাবাসে আগুন ধরানোর চেষ্টা খলিস্তানিদের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হামলা খলিস্তানিদের। আবারও নিশানায় আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোতে (San Francisco) ভারতীয় দূতাবাস। এবার সেখানে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। পাঁচ মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সান ফ্রান্সিসকোর ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালানো হল। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তা নিভিয়ে ফেলা হয় সানফ্রান্সিসকো অগ্নিনির্বাপনের তরফে। আটকানো গেছে বড়সড় দুর্ঘটনা। এই ধরনের ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট বা মার্কিন বিদেশ দফতর। 

    হতাহতের খবর নেই 

    সান ফ্রান্সিসকোর স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতে (স্থানীয় সময় ১.৩০ থেকে ২.৩০) ভারতীয় দূতাবাসের সামনে জড়ো হন কয়েক জন দুষ্কৃতী। তাঁরা দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দেন। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। জ্বলে ওঠে দূতাবাস ভবনের একাংশ। আগুন লাগার খবর পেয়ে সান ফ্রান্সিসকো ফায়ার ডিপার্টমেন্টের কর্মী এবং ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নিভিয়ে ফেলা হয়। অভিযোগ, খলিস্তানপন্থীরা (Khalistanis attacked Indian Consulate) দূতাবাসে আগুন ধরিয়েছেন। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উপরে উড়ছে রহস্যজনক ড্রোন! তদন্ত শুরু দিল্লি পুলিশের

    ঘটনার তীব্র নিন্দা

    এই ঘটনার তীব্র ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতর। দফতরের মুখপাত্র এক ট্যুইট বার্তায় লেখেন, ‘শনিবার সান ফ্রান্সিসকোতে (San Francisco) ভারতীয় কনস্যুলেটে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টার তীব্র নিন্দা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই দেশে কূটনৈতিক ভবন বা বিদেশি কূটনীতিকদের হামলা বা সহিংসতা একটি ফৌজদারি অপরাধ।’ 

    দ্বিতীয় হামলা

     ভারতীয় কনস্যুলেটের ওপর হামলার ঘটনা নতুন নয়, এর আগে লন্ডনে ভারতীয় কনস্যুলেটে ঢুকে জাতীয় পতাকা নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় খালিস্তান পন্থীদের তরফে। এছাড়া কানাডাতেও এই ধরনের সমস্যায় মধ্যে পড়েছে সেখানে অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেট। উল্লেখ্য, এর কয়েক মাস আগেও সান ফ্রান্সিসকোর (San Francisco) ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালিয়েছিল খলিস্তনিরা। মিছিল করে এসে ভারতীয় দূতাবাসের ওপর চড়াও হয়েছিল তারা। ব্যারিকেড ভেঙে কনস্যুলেট চত্বরে ঢুকে দু’টি খলিস্তানি পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। পরে তা সরিয়ে নেওয়া হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • France Protests: অশান্তির আগুনে জ্বলছে ফ্রান্স, হামলা খোদ মেয়রের বাড়িতেও

    France Protests: অশান্তির আগুনে জ্বলছে ফ্রান্স, হামলা খোদ মেয়রের বাড়িতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আগুনে গত পাঁচ দিন ধরে জ্বলছে ফ্রান্স (France Protests)। পুলিশের গুলিতে নাহেল নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ কিশোরের মৃত্যুর জেরে ফুঁসছে গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫০০ ভবন। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে দু হাজারেরও বেশি গাড়ি। দেশজুড়ে হিংসার ঘটনায় কেবল শনিবারই গ্রেফতার করা হয়েছে ৭১৯ জনকে। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা উপেক্ষা করেই ঘটছে হিংসার ঘটনা। দক্ষিণ প্যারিসের একটি শহরের মেয়র ভিনসেন্ট জিনবার্নের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

    মেয়রের বাড়িতে হামলা

    মেয়রের দাবি, হামলায় জখম হয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও এক সন্তান। তিনি জানান, তাঁর পরিবার যখন ঘুমোচ্ছিলেন, তখনই হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। তাঁর বাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ও সন্তানকে খুনের চেষ্টা হয়েছিল। কাপুষোচিত ঘটনা। জানা গিয়েছে, অশান্তি (France Protests) রুখতে ফ্রান্সের তিন বড় শহর প্যারিস, লিয়ন ও মার্সেইলিতে ৪৫ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। টহল দিচ্ছে হেলিকপ্টার, অস্ত্রসজ্জিত যান।

    অর্থমন্ত্রীর দাবি

    ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লি মেইরি জানান, বিক্ষোভকারীরা ১০টি শপিং মল, দুশোর বেশি সুপারমার্কেট, ২৫০ তামাকের দোকান এবং ২৫০টি ব্যাঙ্ক আউটলেটে হয় হামলা চালিয়েছেন নয় লুঠপাট চালিয়েছেন। গ্রিংগি এলাকায় একটি বাসভবনেও আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন প্রতিবাদীরা। গতকাল রাতে ১ হাজার ৩০০ বিক্ষোভকারীকে (France Protests) নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ফ্রান্সের পুলিশ। রাষ্ট্রীয় সফরে জার্মানি যাওয়ার কথা ছিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁর। লাগাতার হিংসার জেরে ওই সফর বাতিল করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির প্রচারে হামলা, বোমা মেরে প্রাণনাশের হুমকি, এলাকায় অগ্নিমিত্রা

    প্রসঙ্গত, ফ্রান্সের ন্যান্তেরের বাসিন্দা ছিল বছর সতেরোর নাহেল। সে আলজিরিয়ান। বছর তিনেক ধরে ডেলিভারি ড্রাইভার হিসেবে কাজ করছিল। ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হওয়ার ইচ্ছে ছিল। স্বপ্ন পূরণের জন্য সে ভর্তি হয়েছিল সুরেসনেশের একটি কলেজে। কলেজটি তার বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে। নাহেলের মা মৌনিয়ার দাবি, নাহেলের মুখের সঙ্গে আরবিদের মুখের মিল রয়েছে। তাই তাকে মেরে ফেলেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ফ্রান্সের ন্যান্তের এলাকায় (France Protests) ট্রাফিক আইন অমান্য করায় কৃষ্ণাঙ্গ নাহেলকে গুলি করেন এক পুলিশ কর্মী। তার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আইফেল টাওয়ারের দেশ। ‘দ্য পুলিশ কিলস’ স্লোগান তুলে রাস্তায় নেমে পড়ে হাজার হাজার জনতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sri Lanka: ‘শ্রীলঙ্কার মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতকে হুমকি দেওয়া যাবে না’, চিনকে সাফ জানালেন বিক্রমসিংহে

    Sri Lanka: ‘শ্রীলঙ্কার মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতকে হুমকি দেওয়া যাবে না’, চিনকে সাফ জানালেন বিক্রমসিংহে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও।” জনপ্রিয় এই বাংলা গানটি বোধহয় শোনেননি শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে। চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। সেই সময় আপাদমস্তক ঋণে ডুবে যাওয়া দেশটিকে বাঁচাতে পাশে দাঁড়ায় মোদির ভারত। সর্বস্বান্ত হওয়ার পর সম্বিত ফিরেছে দ্বীপরাষ্ট্রের। ভারত যে বিপদের বন্ধু, তার বিরুদ্ধে সংঘাতে না যাওয়াই ভাল বলে মনে করছে বিক্রমসিংহের সরকার। তাই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে চিনের জিন পিং সরকারকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতের বিরুদ্ধে হুমকির কারণ হতে পারে এমন কোনও কাজ শ্রীলঙ্কাকে ভিত্তি করে করা যাবে না। 

    শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সাফ কথা

    শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা নিরপেক্ষ দেশ। কিন্তু এটাও স্পষ্ট করে দিতে যাই যে শ্রীলঙ্কাকে ভিত্তি করে ভারতকে কোনও হুঁশিয়ারি দেওয়া যাবে না।” দ্বীপ রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, চিনের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার কোনও সামরিক চুক্তি হয়নি। তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে কোনও সামরিক চুক্তি হয়নি। আমি মনে করি না চিন এরকম কোনও চুক্তি আমাদের সঙ্গে করবে।” বিক্রমসিংহে এও জানান, শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হাম্বানটোটা বন্দর চিনকে লিজ দেওয়া হয়েছে ৯৯ বছরের জন্য। তবে সেই বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে চিন নয়, রয়েছে শ্রীলঙ্কাই। 

    হাম্বানটোটা বন্দরকাণ্ড

    গত বছর শ্রীলঙ্কার এই বন্দরেই ভিড়েছিল চিনের গুপ্তচর রণতরী ইউয়ান ওয়াং-৫। জাহাজটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ও স্যাটেলাইট চিহ্নিতকরণের কাজে ব্যবহৃত হয়। চিনের ওই যুদ্ধজাহাজটি যেদিন শ্রীলঙ্কার বন্দরে ভিড়েছিল, তার পরে পরেই ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা ছিল। সেই সময় চিনা ওই গোয়েন্দা জাহাজ শ্রীলঙ্কার বন্দরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত। শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka) সে কথা জানিয়েও দেওয়া হয়। যদিও চিনের দাবি, ইউয়ান ওয়াং ৫ গোয়েন্দাগিরির জন্য ব্যবহৃত হয় না, কাজে লাগে বৈজ্ঞানিক গবেষণায়। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, চিনের ওই জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ করে পিএলএ নেভি। স্যাটেলাইট এবং মিসাইল ট্র্যাকিং করতে সমর্থ। 

    আরও পড়ুুন: কিউআর কোডে শিবরাজের ছবি! বিতর্কিত পোস্টার নিয়ে কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি ফোন পে-র

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • UN List: ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ রিপোর্টে নেই ভারতের নাম, কেন জানেন?

    UN List: ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ রিপোর্টে নেই ভারতের নাম, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ (Children Armed Conflict) সংক্রান্ত রিপোর্ট থেকে বাদ গেল ভারতের (India) নাম। তবে ওই রিপোর্টে (UN List) রয়ে গিয়েছে ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তানের নাম। সম্প্রতি রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। তাতেই দেখা গিয়েছে তালিকায় নেই ভারতের নাম। ২০১০ সাল থেকে ওই তালিকায় নাম ছিল ভারত এবং পাকিস্তানের। প্রায় এক যুগ পর বাদ পড়ল ভারতের নাম। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুয়েতেরেস বলেন, ভারত বহু দিন ধরেই এই পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছে। শিশুদের নিরাপত্তা দিতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে ভারত সরকার। সেই নিরিখেই তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ভারত। তবে রয়ে গিয়েছে পাকিস্তান।

    রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

    ফি বছর ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে রাষ্ট্রসংঘ (UN List)। রিপোর্টটি তৈরি করেন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশ এবং যেসব দেশে সীমান্ত সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে, সেই সব দেশের শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব কী, তা জেনেই তৈরি হয় রিপোর্ট। পরে তা প্রকাশও করা হয়। ২০২৩ সালে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশের সময় রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘‘শিশুদের সুরক্ষার জন্য ভারত সরকারের গৃহীত ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, ২০২৩ সালে রিপোর্ট থেকে ভারতকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’’

    মহাসচিবের বক্তব্য

    রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব লিখেছেন, বিশেষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর আলোচনার পর এ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে আর কী কী পদক্ষেপ করতে হবে, তা জানানো হয়েছে ভারতকে। তার পরেই আসে রিপোর্ট। যেসব দিকের কথা শুধরে নিতে বলা হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল কোনওভাবেই যেন শিশুরা সশস্ত্র (UN List) বাহিনীতে অংশ না নেয়। প্রাণঘাতী কোনও কাজে শিশুদের অংশগ্রহণ করা চলবে না। শিশুদের হাতে যেন পেলেট গান না ওঠে। যদি কোনও অপরাধে শিশুদের সশস্ত্র সংঘাতের পরিস্থিতিতে আটক করতে হয়, তা যেন সর্ব শেষ পদক্ষেপ হয়। আটক করা শিশুদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা চলবে না। ভারতীয় আইনে থাকা জুভেনাইল জাস্টিস সংক্রান্ত আইনও অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে বলেও বার্তা দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: “কোরান নিয়ে যদি এমন ভুল দেখান,” ‘আদিপুরুষ’ মামলায় আদালতের ভর্ৎসনা নির্মাতাদের

    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে শিশুদের ওপর সশস্ত্র (UN List) সংঘাতের প্রভাব সংক্রান্ত রিপোর্টে নাম ছিল ভারতের। এই তালিকায় ছিল পাকিস্তান, ক্যামেরন, নাইজেরিয়া, ফিলিপিন্স সহ বেশ কয়েকটি দেশের নামও। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীরে শিশুদের সশস্ত্র সংঘাতে অংশ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এমন বহু শিশুকে আটকও করেছে। সেই কারণেই রয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের নাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coronavirus: “কোভিড আসলে চিনের তৈরি জৈব অস্ত্র”! বিস্ফোরক দাবি চিনা গবেষকের

    Coronavirus: “কোভিড আসলে চিনের তৈরি জৈব অস্ত্র”! বিস্ফোরক দাবি চিনা গবেষকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কোভিড (Coronavirus) আসলে চিনের (China) তৈরি জৈব অস্ত্র। ইচ্ছে করেই সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছিল চিন।” এমনই দাবি করলেন ইউহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির গবেষক চাও শাও। তাঁর মতে, কোভিড ১৯ জৈবিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। যাতে মানুষ সংক্রমিত হয়, বিপদে পড়ে। এভাবেই সারা বিশ্বের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল চিন। ওই গবেষক জানান, করোনা ভাইরাসের চারটি স্ট্রেন দেওয়া হয়েছিল তাঁর সহকর্মীদের। কোন স্ট্রেনটি কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে, তা খুঁজে বের করতেও বলা হয়েছিল।

    চাওয়ের দাবি

    আন্তর্জাতিক প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জেনিফার ঝেংকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই দাবি করেন চাও। তাঁর দাবি, তাঁকে ও তাঁর সহযোগীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সব চেয়ে কার্যকরী স্ট্রেন খুঁজে বের করতে। সেটি বিভিন্ন প্রাণী ও মানুষের ওপর প্রয়োগ করে বের করতে বলা হয়। ২০২১ সালে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ওই চিনা গবেষক জানান, ২০১৯ সাল থেকে তাঁর অনেক সঙ্গী নিখোঁজ রয়েছেন। পরে তাঁর এক সতীর্থ জানান, তাঁকে যে হোটেলে পাঠানো হয়েছিল সেখানে তখন ছিলেন উহানে আয়োজিত মিলিটারি ওয়ার্ল্ড গেমসে যোগ দিতে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ক্রীড়াবিদরাও। যাতে তাঁদের স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার প্রতি খেয়াল রাখা হয়। ভাইরোলজিস্টরা স্বাস্থ্যবিধি পরীক্ষা করেন না। এটা তাঁদের কাজ নয়।

    ভাইরাস ছড়াতেই হোটেলে?

    ওই গবেষকের সন্দেহ, ভাইরাস (Coronavirus) ছড়াতেই ওই হোটেলে পাঠানো হয়েছিল তাঁর সতীর্থদের। করোনা কালেই একবার চাওকে পাঠানো হয়েছিল জেলবন্দিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। ওই গবেষকের প্রশ্ন, ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করা বিজ্ঞানীদের কাজ। স্বাস্থ্য পরীক্ষাও কী? তিনি মনে করেন, ভাইরাস ছড়াচ্ছে কিনা, তা দেখার জন্যই তাঁকে পাঠানো হয়েছিল জেলবন্দিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে। চাওয়ের দাবি, চিন বাস্তবে কী করছে আর কী বলছে, তা বড় ধাঁধার একটি ছোট অংশ মাত্র। এই অতিমারি তামাম বিশ্বে ৭ মিলিয়নেরও বেশি লোককে হত্যা করেছিল।

    আরও পড়ুুন: ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে এই রাহু থেকে উদ্ধার করুন’’! প্রভু জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা সুকান্তর

    আশ্চর্যের বিষয় হল, এই বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে ওষুধ ও প্রতিষেধক খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও ইউএস ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস (Coronavirus) কোনও জৈব অস্ত্র নয়। এটি যে জৈব অস্ত্র, এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি বলেও দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন রিপোর্টে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Titan Submarine: আটলান্টিকের গভীর তলদেশ থেকে উদ্ধার হল ‘টাইটান’-এর ধ্বংসাবশেষ

    Titan Submarine: আটলান্টিকের গভীর তলদেশ থেকে উদ্ধার হল ‘টাইটান’-এর ধ্বংসাবশেষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আটলান্টিকের গভীর তলদেশ উদ্ধার হল সাবমেরিন ‘টাইটান’-এর (Titan Submarine) ধ্বংসাবশেষ। মহাসাগরের তলদেশে বিস্ফোরণের প্রায় দু’সপ্তাহে পরে তা উদ্ধার করল কানাডার উপকূলরক্ষী বাহিনী। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এই ধ্বংসাবশেষের খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভেঙেচুরে তালগোল পাকিয়ে যাওয়া এই সাবমেরিনের ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, ওই ধ্বংসাবশেষের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তা মুহূর্তে ভাইরাল হয় বিশ্বজুড়ে।

    কোথায় পাওয়া গেল ওশেনগেটের এই ডুবোযানকে? 

    আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলি জানিয়েছে,  বুধবার কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জন বন্দরের কাছে ডুবোযান ‘টাইটান’-র (Titan Submarine) ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। ‘হরাইজন আর্টিক’ নামের নজরদারি ভেসেল হদিশ পায় ওই ধ্বংসাবশেষের। তারপর তা উদ্ধার করে কানাডার কোস্ট গার্ড। যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া একতাল ধাতব পদার্থকে সমুদ্রের গভীর থেকে তোলা হচ্ছে।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধ্বংসাবশেষের ফরেন্সিক পরীক্ষায় বোঝা দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ। উত্তর মিলবে একাধিক প্রশ্নের। যেমন, জলে ডুব দেওয়ার কতক্ষণের মধ্যে ডুবোযান ‘টাইটান’-এ সর্বনাশা বিস্ফোরণ হয়? ওই সময় জলের কতটা গভীরে ছিল ডুবোযানটি? আটলান্টিকের ওই অংশের জলের চাপই বা কতটা ছিল? 

    কী বলছে কানাডার উপকূল রক্ষী বাহিনী?

    ‘টাইটান’-র ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের পর বুধবারই বিবৃতি সামনে এসেছে কানাডার উপকূলরক্ষী বাহিনীর। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘উদ্ধার কাজ প্রায় শেষ। সমুদ্রের নীচ থেকে টাইটানের (Titan Submarine) অধিকাংশ ধ্বংসাবশেষই তুলে নেওয়া হয়েছে। আরও কিছু অংশ পড়ে রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

    ১৮ জুন নিঁখোজ হয় টাইটান (Titan Submarine)

    ১৯১২ সালে উত্তর আটলান্টিকে বিরাট একটি হিমশৈলে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় ‘RMS টাইটানিক’। এই টাইটানিক নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই সাধারণ মানুষ থেকে ফিল্ম নির্মাতাদের। এনিয়ে তৈরি হয় হলিউডে ছবি। ১১১ বছর আগের মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনায় ক্রু ও যাত্রী মিলিয়ে প্রাণ হারান প্রায় দেড় হাজার জন। সমুদ্রের গভীরে পড়ে থাকা সেই ‘টাইটানিক’-র ধ্বংসাবশেষ আজও রয়েছে।  মার্কিন বেসরকারি সংস্থা ‘ওশেনগেট এক্সপিডিশন’ এখানে ট্যুর করে। প্রতি যাত্রী পিছু খরচ প্রায় আড়াই কোটি। সাবমেরিনে চড়িয়ে দেখানো হয় টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। এই উদ্দেশ্যে গত ১৮ জুন নিউফাউন্ডল্যান্ড থেকে যাত্রা শুরু করে ‘টাইটান’। কিন্তু আটলান্টিকের জলে ডুব দেওয়ার পৌনে দু’ঘণ্টার মধ্যেই দিক নির্দেশকারী জাহাজ বা কমান্ড শিপের সঙ্গে ডুবোযানটির সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চারদিনের মাথায় ‘টাইটানিক’-র থেকে ১৬০০ মিটার দূরে ‘টাইটান’-র ধ্বংসাবশেষের হদিশ পায় কোস্ট গার্ডের রোবট ডুবুরি। মৃত্যু হয় ৫ পর্যটকের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • POK: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা, সুখে রয়েছেন কাশ্মীরবাসী  

    POK: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা, সুখে রয়েছেন কাশ্মীরবাসী  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। কাজের সুযোগ নেই। পেট পুরে খাবার জোটে না দু’ বেলা। দু’ বেলা অন্নের সংস্থানে পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ছেড়ে কাজের খোঁজে ভিন দেশে পাড়ি দিচ্ছেন দলে দলে মানুষ। সম্প্রতি গ্রিসে শরণার্থী বোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কয়েক শো পাক নাগরিকের। ওই নৌকার ডেকের নীচে জোর করে যেতে বলা হয়েছিল পাক শরণার্থীদের।

    নৌকাডুবি

    নৌকাটিতে কমপক্ষে ৪০০ জন পাক নাগরিক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন ১২ জন পাকিস্তানি। যাঁরা নৌকাডুবির কবলে পড়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলি জেলার বাসিন্দা ছিলেন। মিরপুরের পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল খালিদ মহম্মদ চৌহান জানান, গ্রিসে নৌকাডুবিতে ভেসে গিয়েছেন ১৬৬ জন। তিনি জানান, আগে যোগাযোগ করেছিল ৫০টি পরিবার। সোমবার যোগাযোগ করেছে আরও ৭০টি পরিবার (POK)।

    পুলিশের বক্তব্য

    এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় অনেকেই প্রকাশ্যে আসতে চাইছেন না আইনের ভয়ে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতি প্রশাসনের আর্জি, তাঁদের ছেলেমেয়ে যারা নৌকায় ছিল, তাদের সম্বন্ধে জানাতে। কারণ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হবে তাদের পরিবারের। পুলিশ আধিকারিক বলেন, নিখোঁজ কয়েকজন এখনও গ্রিসের জেলে বন্দি রয়েছেন। কয়েকজনের খোঁজে চলছে তদন্ত। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার কবলে পড়া নৌকাটিতে যাত্রী ছিলেন ৭০০-রও বেশি। এঁদের মধ্যে সিংহভাগই এসেছিলেন পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) থেকে। সিরিয়া, ঈজিপ্ট এবং প্যালেস্টাইনের বাসিন্দারাও ছিলেন ওই নৌকায়।

    আরও পড়ুুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    দুর্ঘটনাগ্রস্ত নৌকায় ছিলেন হাসান নামে একজন। বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। বলেন, ১৫ জন নাবিক সহ নৌকাটিতে ছিলেন প্রায় ৭০০ যাত্রী। আমাকেও ডেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ডেক থেকে ওপরে ওঠার জন্য আমাকে ১০ ইউরো দিতে হয়েছিল ওই নাবিকদের একজনকে। ডেকে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল বলেই আমি ওপরে উঠে আসি।

    কাজের খোঁজে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) বাসিন্দাদের যখন ভিন দেশে যেতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হচ্ছে বেঘোরে, তখন দিব্যি রয়েছেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা। মোদি সরকার কাশ্মীর থেকে বাতিল করেছে ৩৭০ ধারা। তার পরেই হাল ফিরেছে ভূস্বর্গের। পাতা হচ্ছে রেললাইন। হচ্ছে শিল্পও। সম্প্রতি শ্রীনগরে হয়ে গেল জি-২০ সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিদেশের প্রতিনিধিরাও। কাশ্মীরের উন্নতির জন্য মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন তাঁরাও।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।      

     

LinkedIn
Share