Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bomb Cyclone: বাতিল ১৫ হাজারের বেশি উড়ান, বম্ব সাইক্লোনে আমেরিকায় মৃত ৬০

    Bomb Cyclone: বাতিল ১৫ হাজারের বেশি উড়ান, বম্ব সাইক্লোনে আমেরিকায় মৃত ৬০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর আমেরিকা মহাদেশের পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। তুষার ঝড়ে বিধ্বস্ত সম্পূর্ণ মহাদেশের একটি বিস্তীর্ণ অংশ। প্রবল তুষারপাতে (Bomb Cyclone)  সেখানকার রাস্তাঘাট সবকিছুই বরফের পুরু চাদরে ঢেকেছে। আমেরিকার জাতীয় আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে যে দেশে এমন পরিস্থিতির রেকর্ড অতীতে খুব কমই আছে। তারা আরও জানাচ্ছে এই বছর তাপমাত্রা যেভাবে নীচে নামতে শুরু করেছে তাতে মনে হচ্ছে অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে যাবে।

    কোথায় কোথায় তাপমাত্রার রেকর্ড পতন হল

    পশ্চিম কানাডায় ইতিমধ্যে তাপমাত্রার পারদের রেকর্ড পতন হয়েছে। তাপমাত্রার পারদ থেমেছে হিমাঙ্কের ৫৩ ডিগ্রি নিচে। মিনেসোটার তাপমাত্রা বর্তমানে মাইনাস ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ডালাসের তাপমাত্রা নেমেছে হিমাঙ্কের  ১৩ ডিগ্রি নীচে। তুষার ঝড়ের (Bomb Cyclone) কারণে আমেরিকার সম্পূর্ণ রাজপথ পুরু বরফের আস্তরণে ঢাকা পড়ে গেছে। এই কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা, পরিবহন ব্যবস্থা এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা। বেশিরভাগ জায়গাতেই বরফের আস্তরণের উচ্চতা ৮ থেকে ১০ ফুট। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ মহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ১৫ হাজার বিমান বাতিল করতে হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে,  এই মুহূর্তে আমেরিকাতে প্রায় ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন ভাবে রয়েছেন এবং তাদের স্বাভাবিক গৃহকর্মও বন্ধ রয়েছে।

    এমন পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তার কোন নিশ্চয়তা দিতে পারছে না আমেরিকার আবহাওয়া দপ্তর। অন্যদিকে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন এই পরিস্থিতিতে যতটা সম্ভব বাড়ির ভিতরে থাকতে হবে, তুষার ঝড়ে (Bomb Cyclone) আক্রান্ত হলে মৃত্যুও হতে পারে। এই নিয়ে টানা ৫ দিন এই তুষার ঝড়ের সাক্ষী থাকছে আমেরিকা। এই পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। তীব্র এই তুষারঝড় (Bomb Cyclone) কে স্থানীয় আমেরিকানরা বলছেন বোম সাইক্লোন বা সাইক্লোন বোমা (Bomb Cyclone)। ইতিমধ্যে এই প্রবল শৈত্যপ্রবাহে ৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এরকম পরিস্থিতিতে উদ্ধার কার্য চালিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে আমেরিকার পরিস্থিতি বেশ ভয়ঙ্কর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Bomb Cyclone: বিপর্যস্ত আমেরিকার একাংশ! ৮ ফুট বরফের স্তরে ঢাকা বহু শহর, বম্ব সাইক্লোনে মৃত ৩৪

    Bomb Cyclone: বিপর্যস্ত আমেরিকার একাংশ! ৮ ফুট বরফের স্তরে ঢাকা বহু শহর, বম্ব সাইক্লোনে মৃত ৩৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসব না আতঙ্ক! ক্রিসমাসের সময় বিপর্যস্ত আমেরিকার একাংশ। তুষারঝড়ে দেশ জুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৪।   বিধ্বস্ত পূর্ব আমেরিকার বিস্তীর্ণ অংশ।  হাজার হাজার মানুষ দুর্যোগের সময় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তুষারঝড়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ওয়েস্টার্ন নিউ ইয়র্কের বাফেলোর। ঝড়ের পরে গোটা শহরটাই প্রায় ৮ ফুট বরফের স্তরের নীচে ঢাকা পড়ে গেছে। 

    তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৪৫ ডিগ্রি নীচে

    আমেরিকার এই ভয়ঙ্কর তুষারঝড়কে বলা হচ্ছে ‘সাইক্লোন বম্ব’। এর ফলে দেশের নানা প্রান্তে হিমাঙ্কের ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি নীচে নেমে গিয়েছে তাপমাত্রা। ঠান্ডায় প্রায় জমে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাস্তাঘাটের অবস্থা এমন যে, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও দুর্যোগ কবলিতদের উদ্ধারে বাধা পাচ্ছে। বিদ্যুৎহীন একাধিক এলাকা। কোথাও গাড়ির ভিতর থেকে নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে, কোথাও স্নো-ব্যাঙ্কের নীচ থেকে। বন্ধ শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নিষিদ্ধ করা হয়েছে গাড়ির চলাচলও।

    আরও পড়ুন: তাপমাত্রা নামবে -৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে! তুষারঝড়ে কাঁপছে আমেরিকা

    ২ লক্ষ মানুষ অন্ধকারে

    বাফেলোর বাসিন্দা তথা নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্য়াথি হোচুল বলেন, “মনে হচ্ছে যেন যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। দুপাশে গাড়ির স্তূপ। রবিবার সন্ধে পর্যন্ত আবহাওয়া পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছিল। আমরা সকলকে বাড়ির ভিতরেই থাকার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কারণ, বাইরে তাপমাত্রা এত নেমে গিয়েছিল যে, কোনও মুহূর্তেই মানুষ মারা যেতে পারতেন।”আবওহাওয়া দফতরের খবর, কোথাও কোথাও তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৪৮ ডিগ্রি নীচে চলে গিয়েছে। প্রবল শীতের কারণে মুহূর্তের মধ্যেই বরফে পরিণত হয়েছে ফুটন্ত জল। আমেরিকায় টানা ৫ দিন ধরে বরফের ঝড় চলেছে। তুষার বর্ষণের পাশাপাশি কনকনে ঠান্ডা হাওয়া ভুগিয়েছে স্থানীয়দের। যদিও আপাতত সেই হাওয়ার বেগ কিছুটা কমেছে। দুর্যোগে আমেরিকার অন্তত ২ লক্ষ মানুষ বড়দিন কাটিয়েছেন বিদ্যুৎহীন অবস্থায়। বিদ্যুৎ পরিষেবা কবে, কখন স্বাভাবিক হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। কারণ অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যুতের খুঁটি ডুবে গিয়েছে বরফের আস্তরণে। দেশে যাতায়াত ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Richard Verma: আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ পদে ইন্দো-আমেরিকান রিচার্ড ভার্মা, জানেন তিনি কে?

    Richard Verma: আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ পদে ইন্দো-আমেরিকান রিচার্ড ভার্মা, জানেন তিনি কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জয়জয়কার ভারতীয় (Indian) বংশোদ্ভূতের! এবার ইউএস (US) ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের ডিপ্লমেটিক পদে বসলেন এক ইন্দো-আমেরিকান। শুক্রবার তাঁকে নিয়োগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। ইন্দো-আমেরিকান এই ব্যক্তির নাম হল রিচার্ড আর ভার্মা (Richard Verma)। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, শুক্রবার ওই পদে রিচার্ড আর ভার্মার নাম ঘোষণা করেছেন বাইডেন স্বয়ং। স্টেট ফর ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেসের ডেপুটি সেক্রেটারি পদে নিয়োগ করা হয়েছে তাঁকে।

    রিচার্ড আর ভার্মা…

    বিস্তর টালবাহানার পরে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। ব্রিটেনের পর এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ পদ অলঙ্কৃত করবেন ইন্দো-আমেরিকান রিচার্ড আর ভার্মা। বর্তমানে ভার্মা রয়েছেন চিফ লিগ্যাল অফিসার পদে। তিনি মাস্টারকার্ডে গ্লোবাল পাবলিক পলিসির প্রধানও। এক সময় তিনি কাজ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে, পোস্টিং ছিলেন ভারতে। ওবামা প্রশাসনেও গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তিনি। তখন ভার্মা ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট ফর লেজিসলেটিভ অ্যাফেয়ার্স। কেরিয়ারের একেবারে গোড়ার দিকে ভার্মা (Richard Verma) ছিলেন ইউনাইটেড স্টেট সেনেটর হ্যারি রীডের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসর। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন ডেমোক্রেটিক হুইপ, মাইনরিটি লিডার এবং মেজরিটি লিডার অফ দ্য ইউনাইটেড স্টেটস সেনেট। এশিয়া গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। আরও বেশ কিছু সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিলেন রিচার্ড আর ভার্মা। ইউনাইটেড স্টেটস এয়ারফোর্সেও কাজ করেছেন তিনি। সেখানে তিনি ছিলেন জাজ অ্যাডভোকেট।

    আরও পড়ুন: মৃতদেহের স্তূপ, কাজ করছেন সংক্রমিতরা, চিনের করোনা পরিস্থিতিতে তস্ত্র গোটা বিশ্ব

    দীর্ঘ কেরিয়ারে বহু পুরস্কার পেয়েছেন ইন্দো-আমেরিকান রিচার্ড আর ভার্মা। এর মধ্য রয়েছে ডিস্টিংগুইশড সার্ভিস মেডেল। তাঁকে এই সম্মান দিয়েছিল ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট। কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের কাছ থেকে তিনি পেয়েছিলেন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ফেলোশিপ। ইউনাইটেড স্টেটস এয়ারফোর্সের কাছ থেকে পেয়েছিলেন মেরিটোরিয়াস সার্ভিস মেডেল। হোয়াইট হাউসের ওই প্রেস রিলিজ থেকে এও জানা গিয়েছে, রিচার্ড আর ভার্মাকে (Richard Verma) এক সময় নিয়োগ করা হয়েছিল প্রেসিডেন্টের ইন্টেলিজেন্স বোর্ডে। ওয়েপনস অফ মাস ডেস্ট্রাকশান অ্যান্ড টেররিজম কমিশনের সদস্যও ছিলেন তিনি। ফোর্ড ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি হিসেবেও কাজ করেছেন রিচার্ড আর ভার্মা। এছাড়াও আরও বেশ কিছু বোর্ডে কাজ করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল এনডাওমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড লেহাই ইউনিভার্সিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • China Covid Horror: দৈনিক মৃত্যু ৫ হাজার! সৎকার করছেন সংক্রমিতরাই! চিনের কোভিড-ছবি প্রকাশ্যে

    China Covid Horror: দৈনিক মৃত্যু ৫ হাজার! সৎকার করছেন সংক্রমিতরাই! চিনের কোভিড-ছবি প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে (China Covid Horror) হু হু করে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। জিনপিং সরকার সংক্রমণ এবং মৃত্যুর আসল তথ্য প্রকাশ করছে না বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগে সরব হয়েছে চিনবাসী। সচেতনাও বাড়ছে না। তাই সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ অব্যহত। করোনা রোগীর চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোর ওপর যেমন চাপ পড়েছে তেমনিই মৃতদেহ সৎকার করতে গিয়ে শ্মশানগুলোতে টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বেজিং, চংকিং ও গুয়াংঝৌ শহরের শ্মশানগুলোয় সারি সারি মৃতদেহ দেখা গিয়েছে। শ্মশানগুলোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাধারণ সময়ের চেয়ে তারা এখন অনেক বেশি ব্যস্ততা। চিনে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটিই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। 

    আমেরিকার সংক্রামক রোগ সোসাইটির বিশেষজ্ঞ এবং ডার্টমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গিজেল স্কুল অফ মেডিসিনের অধ্যাপক ড্যানিয়েল লুসি বলেন, আগামী সপ্তাহগুলিতে এই সংক্রমণ (China Covid Horror) আরও বহুগুণ বাড়বে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আরও ভুগতে হবে চিনকে।

    কী পরিস্থিতি চিনে?  

    এই আবহেই প্রকাশ্যে এসেছে এক ভয়ঙ্কর খবর। শ্মশানে (China Covid Horror) স্তূপাকৃত মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। সংক্রমিত শ্মশান কর্মীরাও। এমনটাই দাবি করছেন চিনের সমাজকর্মী জেনিফার জেং। ট্যুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে শ্মশানের বাইরে স্তূপাকৃত মৃতদেহের ভিড়। সেখানেই তিনি দাবি করেন যে কর্মীরা এই মৃতদেহগুলির সংস্পর্শে এসেছেন তাঁরাও ইতিমধ্যেই সংক্রমিত।

     

    চিন (China Covid Horror) সংক্রমিত ব্যক্তিদের কাজ করার অনুমতি দিয়েছে। তাহলে কী দেশটি ভাইরাসের সঙ্গে সহাবস্থান করা শিখতে চাইছে? চিন সরকার ২৩ জন সংক্রমিত পড়ুয়াকে জোড় করে কাজ করতে বাধ্য করেছে। এমনই দাবি উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

     

    জেং অপর একটি ট্যুইটে একটি ছবি শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে শেনিয়াং শহরের রাস্তার ওপর পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। জেং লেখেন, “শ্মশানে আর মৃতদেহ রাখার জায়গা নেই। তাই কেউ প্রিয়জনের দেহ শ্মশানের বাইরে রাস্তাতেই ফেলে রেখে গিয়েছেন। আর কোনও উপায় ছিল না হয়তো। কত জনের মৃত্যু হল?” 

     

    জেং এমনও ছবি শেয়ার করেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের মেঝেতেই চিকিৎসা হচ্ছে রোগীদের। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যান বলছে খুব অল্প সংখ্যক মানুষেরই মৃত্যু হয়েছে। এখনও তথ্য লুকোনোর মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিন প্রশাসন। চিন প্রশাসনের নীতি অনুযায়ী, যারা একমাত্র শ্বাসকষ্টে মারা যাচ্ছেন তাঁদেরকে শুধু করোনায় মৃত্যু হিসেবে ধরা হবে। গোটা দেশের বহু মৃত্যুকে করোনায় মৃত্যু হিসেবে রেজিস্টারই করেনি জিনপিং সরকার।

    আরও পড়ুন: একদিনে আক্রান্ত প্রায় চার কোটি! চিনে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনা 

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের শেষ দিকে চিন থেকেই করোনা ভাইরাস (China Covid Horror) মহামারি পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৬৬ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। এত কিছুর পরও সারাবিশ্ব যখন করোনা রোধে বিভিন্ন মাত্রায় ভ্যাকসিন দিচ্ছে এবং করোনাকে মোকাবিলা করতে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেখানে চিন দুটি বিষয়কেই এড়িয়ে চলছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • China Covid: চিনে একদিনে সংক্রমিত পৌনে চার কোটি! ডিসেম্বরে আক্রান্ত প্রায় ২৫ কোটি!

    China Covid: চিনে একদিনে সংক্রমিত পৌনে চার কোটি! ডিসেম্বরে আক্রান্ত প্রায় ২৫ কোটি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে আবার ভয় ধরাচ্ছে করোনা (China Covid)। সরকারি রিপোর্টেই অনুমান করা হচ্ছে সে দেশে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ। করোনার এই ভয়ঙ্কর আবহে গত বুধবার বৈঠকে বসে চিন ন্যাশনাল হেল্থ কমিশন। সেখানকার অভ্যন্তরীণ আলোচনা অনুযায়ী, ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনে প্রায় ২৪৮ মিলিয়ন বা প্রায় ২৫ কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। যা চিনের মোট জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ। সেই বৈঠকেই একদিনে ৩৭ মিলিয়ন বা ৩.৭ কোটি মানুষের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। এই তথ্য সঠিক হলে, সর্বকালীন সমস্ত রেকর্ড ভাঙতে চলেছে চিন। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এক দিনে ৪০ লক্ষ মানিষের সংক্রমিত হওয়ার খবর সামনে এসেছিল। সংক্রমণের পর ও টিকা না নেওয়ায় সে দেশের মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। আর সেই কারণেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সিনচুয়ান প্রদেশের অর্ধেকের বেশি সংখ্যক মানুষ করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। বেজিংয়েও প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যাই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। 

    বিশেষজ্ঞদের দাবি, আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে পরিস্থিতি। সূত্রের খবর, সম্প্রতি চিনের (China Covid) পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ অধ্যাপকের মৃত্যু হয়েছে। চিনে ফের ভয়ঙ্কর গতিতে করোনা ছড়াতে শুরু করায় উদ্বেগপ্রকাশ করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। ভারতেও ইতিমধ্যেই ভয়ঙ্কর সাব ভ্যারিয়েন্ট BF.7-এর হদিশ মিলেছে। দেশে এখনও অবধি চার জনের মধ্যে এর দেখা মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে সাবধান করছেন চিকিৎসকরা।

    ২০২০ সালে চিনে লুনার ইয়ারের পর কার্যত রকেট গতিয়ে ছড়িয়েছিল করোনার সংক্রমণ। তার প্রায় ৩ বছর পর, সেই এক পরিস্থিতি। চিনে ভয়ঙ্কর হারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। হাসপাতাল থেকে শ্মশান-সর্বত্র লম্বা লাইন।

    আরও পড়ুন: “আপনার মক্কেল এত ভিআইপি যে…”, কেষ্টর জামিন মামলায় বললেন বিচারপতি

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার নতুন এই সাব ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত সংক্রামক। তাতে আক্রান্ত একজন অত্যন্ত দ্রুত ১০ থেকে ১৮ জনকে সংক্রমিত করতে পারে। ভয়ের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। বিলম্ব না করে ফের জনবহুল অবস্থায় প্রত্যেকের মাস্ক পরা উচিত।

    কতটা সতর্ক ভারত? 

    প্রতিবেশী দেশে করোনার (China Covid) এই অবস্থা দেখে এখন থেকেই সতর্ক থাকতে চাইছে ভারত। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সকলকে জনবহুল জায়গায় মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরী বৈঠক করেছে কেন্দ্র। নতুন ভ্যারিয়েন্টে পুরনো ভ্যাকসিন কার্যকর হবে কি না এখন সেটাই জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় পরিকাঠামো নিয়ে ২৭ ডিসেম্বর সব রাজ্যকে মক ড্রিল করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Harry & Meghan: ডকুমেন্টরি ‘হ্যারি অ্যান্ড মেগান’-এ দেখানো ক্যালিফোর্নিয়ার বাড়িটি বিক্রি করা হবে কত টাকায়, জানেন?

    Harry & Meghan: ডকুমেন্টরি ‘হ্যারি অ্যান্ড মেগান’-এ দেখানো ক্যালিফোর্নিয়ার বাড়িটি বিক্রি করা হবে কত টাকায়, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে বহু প্রতীক্ষিত ‘হ্যারি অ্যান্ড মেগান’ (Harry & Meghan) নামক ডকুমেন্টরি সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে। যেটির মাধ্যমে রাজপরিবারের বিভিন্ন অজানা গল্প তুলে ধরা হয়েছে। তবে আজ আলোচনার বিষয়টি হল, ক্যালিফোর্নিয়ার যেই বাড়িটিতে এই ডকুমেন্টরি শ্যুট করা হয়েছে, তা দেখতে অস্বাভাবিক সুন্দর। আর যার সৌন্দর্য নজর কেড়েছে দর্শকদের। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই বাড়িটি বিক্রি করার জন্য রাখা হয়েছে। আর এটির দাম রাখা হয়েছে আকাশছোঁয়া। জানা গিয়েছে, এই বাড়িটি এখন ৩৩.৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হতে চলেছে। উল্লেখ্য, এই বাড়িটিতে কিন্তু প্রিন্স হ্যারি ও মেগান থাকেন না। এই বাড়িটিতে শুধুমাত্র ডকুমেন্টরিই শ্যুট করা হয়েছিল।

    ক্যালিফোর্নিয়ার বিলাসবহুল বাড়ি…

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ক্যালিফোর্নিয়ার (Harry & Meghan) এই বিলাসবহুল বাড়িটির মালিকের নাম মার্ক শুলহফ, যিনি একজন ব্যবসায়ী। ২০১৩ সালে তিনি ১৪.৬ মিলিয়ন ডলারে বাড়িটি কিনেছিলেন। বাড়িটি শুধু সুন্দরই নয়, এতে রয়েছে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাও। ২ একরেরও বেশি জায়গা জুড়ে এই বাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। এই বাড়িটিতে কি নেই! বাড়িটি প্রাসাদের থেকে কম কিছু নয়। এতে ছটি বেডরুম, সাতটি বাথরুম, একটি জিম, একটি থিয়েটার, একটি বার, একটি গেম রুম, একটি মেডিটেশন রুম এবং একটি পুল রয়েছে। এখানে গ্যারেজের পাশাপাশি একটি জেনারেটর, সৌর শক্তি এবং জলের সেচ ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সুবিধাও রয়েছে৷ বেশ কয়েকটি ভাস্কর্য সহ একটি বিশাল বড় ডাইনিং রুমও রয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাজপরিবারের সঙ্গে ক্রিসমাস উদযাপন করবেন না প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল! কী এমন হল?

    উল্লেখ্য, ১২,৮০৪ ফুটের বাড়িটি ২০০৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল ও এটি তৈরি করেছিলেন ডন নল্টি এবং জেএফ ব্রেনান এবং নাতাশা বারাদারন। সান্তা বারবারা ব্রোকারস ও রিস্কিন পার্টনারস গ্রুপের ভিলেজ প্রপার্টিজের রায়ান মালমস্টেন এই প্রাসাদের মত বাড়িটিকে বিক্রির জন্য তালিকাভু্ক্ত করেছে (Harry & Meghan)।

    প্রসঙ্গত, প্রিন্স হ্যারি ও মেগান (Harry & Meghan) মার্কেল বর্তমানে মন্টেসিটোর একটি বাড়িতে থাকেন। এটি ২০২০ সালে তৈরি করতে প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার লেগেছিল।

  • Covid in China: সংক্রমিতের সংখ্যা আড়াল করছে বেজিং! চিনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হু

    Covid in China: সংক্রমিতের সংখ্যা আড়াল করছে বেজিং! চিনে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ নিয়ে তথ্য গোপন করছে চিন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা থেকে শুরু করে মৃত্যুর হার কোনও তথ্যই সঠিকভাবে দিতে পারছে না চিন সরকার। এমনই তথ্য উঠে এল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু-এর রিপোর্টে। চিনকে সরাসরি দায়ী না করে বলা হয়েছে, চিনে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে, তাই হিসাব রাখাও সম্ভব হচ্ছে না। চিনের তথ্য গোপন করার চেষ্টাতে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন দেশ।

    তথ্য আড়ালের চেষ্টা

    বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে চিকিৎসক মাইকেল রায়ান বলেন, “ইতিমধ্যেই চিনের হাসপাতালগুলির সমস্ত বেড ভর্তি হয়ে গিয়েছে। খালি নেই আইসিইউ-ও। আগামী কয়েকদিনে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলিতে বেডের সংখ্যার নিরিখে বেশি রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। ফলে অধিকাংশ হাসপাতালের ওয়ার্ডেই গাদাগাদি করে সংক্রমিতদের রাখা হচ্ছে। এমনকী হাসপাতালের করিডোরেও রাখা হচ্ছে কোভিড রোগীদের। এতে সংক্রমণ কমার বদলে উলটে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আইসিইউ-তে ভর্তি হয়ে যাওয়ায় দেখা দিতে পারে অক্সিজেন সংকটও।” 

    আরও পড়ুন: দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ১০ লক্ষ, মৃতের সংখ্যা ৫ হাজারের কাছে! চিনে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি

    বর্ষশেষে হঠাৎ এই সংক্রমণ বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে ওমিক্রনের অতি শক্তিশালী সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএফ.৭ (BF.7 Sub Variant)। আগামী তিন মাসের মধ্যে চিনের ৬০ শতাংশ মানুষই করোনা আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে বিভিন্ন রিপোর্টে। সংক্রমণ রুখতে চিনে যাতে টিকাকরণের হার বাড়ায়, তা নিয়ে অনুরোধ জানান হু প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেবেয়াসিস। তিনি বলেন, “চিনের পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অত্য়ন্ত উদ্বিগ্ন। চিনে আক্রান্তদের স্বার্থে আমরা ক্লিনিক্যাল কেয়ার ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রক্ষার জন্য সমর্থন ও সহায়তা জারি রাখব।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে চিনকে সংক্রমণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, হাসপাতালে রোগী ভর্তি হওয়া ও ইনটেনসিভ কেয়ারে কতজন ভর্তি রয়েছেন তা বিশদে জানাতে বলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid in China: দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ১০ লক্ষ, মৃতের সংখ্যা ৫ হাজারের কাছে! চিনে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি

    Covid in China: দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ১০ লক্ষ, মৃতের সংখ্যা ৫ হাজারের কাছে! চিনে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে চিনের করোনা পরিস্থিতি। সম্প্রতি এক তথ্যে দাবি করা হয়েছে, চিনে এই মুহূর্তে দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ১০ লক্ষ। দৈনিক মৃত্যুসংখ্যাও নাকি ঘোরাফেরা করছে ৫ হাজারের আশেপাশে।  জরুরি বিভাগে মৃতপ্রায় রোগীদের বাঁচাতে কঠোর পরিশ্রম করছেন সে দেশের চিকিৎসকরা। চিনের মর্গগুলিতে মৃতদেহ উপচে পড়ছে। রীতিমতো লাইন দিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে হচ্ছে।অতিমারি-বিশেষজ্ঞ এরিক ফাইল-ডিংয়ের মতে চিনে জ্বরের ওষুধ প্রায় অমিল। তিনি জানিয়েছেন, দোকানে জ্বরের ওষুধ বাড়ন্ত হওয়ায় সরাসরি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার গুদামে গিয়ে ওষুধ কিনে আনছেন সে দেশের অনেক নাগরিক। কোভিড পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিজেন টেস্ট কিটও অমিল চিনে। 

    শীতেই কোভিডের তিনটে ঢেউ 

    গণবিক্ষোভের মুখে শূন্য কোভিড নীতি থেকে সরে এসেছিল চিন। কিন্তু তারপরই সে দেশে করোনা সংক্রমণের রেখচিত্র ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। কোভিডের যে উপরূপটি চিনের এই নয়া বিপর্যয়ের কারণ হয়ে উঠেছে, সেটি হল বিএফ.৭। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এই উপরূপটির আগের উপরূপগুলির তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক। অতিমারি বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৯ সালে সূচনা ঘটলেও, এই মুহূর্তে কার্যত কোভিড বিস্ফোরণ ঘটেছে চিনে। পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। অতিমারির চলতি ঢেউয়ের আঘাতে দৈনিক সংক্রমণ ৩৭ লক্ষে গিয়ে ঠেকতে পারে জানুয়ারি নাগাদই। লন্ডনের এয়ারফিনিটি লিমিটেড নামক গবেষণা সংস্থার দাবি, মার্চ নাগাদ চিনে দৈনিক সংক্রমণ ৪২ লক্ষে গিয়ে ঠেকতে পারে। 

    আরও পড়ুন: করোনা পরীক্ষা ছাড়া তাজমহলে প্রবেশ নয়, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    তথ্য আড়াল না করার আবেদন

    ভাইরাস বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এই শীতে তিনটি কোভিড-ঢেউ আছড়ে পড়তে চলেছে চিনে। যদিও চিনা সরকারি তথ্য এই সব কিছুই স্বীকার করেনি। এই আবহে চিনের স্বচ্ছতার অভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচনা হচ্ছে বেজিংয়ের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও চিনকে আবেদন করা হয়েছে যাতে তারা তথ্য গোপন না করে। হু-এর প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন চিনের কোভিড পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে তিনি নিজেও উদ্বিগ্ন। সঠিক প্রতিষেধক ব্যবহার করার জন্য তিনি চিন প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি চিন প্রশাসনের কাছে কোভিড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ্যে আনার অনুরোধ জানিয়েছেন। 

    একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, চিনের মোট জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ যদি চতুর্থ বুস্টার টিকা নেন, তবেই সংক্রমণের গতিরোধ করা সম্ভব। তাতে ৩ থেকে ৫৯ বছর বয়সি ৯৫ শতাংশ জনসংখ্যা লাভবান হবেন। তাই ৩ থেকে ৫৯ এবং ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সিদের মধ্যে বুস্টার টিকার হার যদি ৯৫ শতাংশ থাকে, তবেই প্রতি ১০ লক্ষে সামগ্রিক মৃত্যুহার ২৪৯ এবং ৩০৫-এ বেঁধে রাখা যাবে বলে দাবি করা হয়েছে সমীক্ষায়।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid 19: তিন মাসে চিনে তিন সংক্রমণ ঢেউয়ের আশঙ্কা! কেন জানেন?   

    Covid 19: তিন মাসে চিনে তিন সংক্রমণ ঢেউয়ের আশঙ্কা! কেন জানেন?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন মাসে চিনে (China) তিন সংক্রমণ ঢেউয়ের আশঙ্কা! অন্তত বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যদ্বাণী তাই। তাঁদের মতে, নতুন মিউটেটেড করোনা (Covid 19) স্ট্রেনের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে চিন। এমনিতেই এই মুহূর্তে সংক্রমণের শীর্ষে শি জিনপিংয়ের দেশ। নিত্যদিন প্রাণঘাতী করোনায় মৃত্যু হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের। দেশের শ্মশানঘাটগুলিতে লাশের স্তূপ। দেহ দাহ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন শ্মশানবন্ধুরা। যদিও চিনের দাবি, দেশে করোনায় মৃত্যুর হার শূন্য। তার কারণ, চিন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শুধুমাত্র নিউমোনিয়া ও শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যায় মৃত্যুকে কোভিডে প্রাণহানি বলে গণ্য করা হবে।

    সংক্রমণ ঠেকাতে…

    তিন বছর আগের এক ডিসেম্বরে চিনের উহান শহরে প্রথম মেলে করোনা ভাইরাসের খোঁজ। সেখান থেকে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন সহ নানা পন্থা অবলম্বন করে চিন সরকার। করা হয় জিরো কোভিড নীতি গ্রহণ। চিন সরকার সাফ জানিয়ে দেয়, দেশ কোভিড (Covid 19) শূন্য না হওয়া পর্যন্ত কোভিডবিধি শিথিল করা হবে না। সেই লক্ষ্যে নিভৃতবাস শিবির, লকডাউন, মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি সবই বজায় ছিল চিনে। তবে কম ছিল টিকাকরণের হার। যেটুকু টিকাকরণ হয়েছে, তাতেও কম শক্তিশালী দেশীয় কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কারণে চিনাদের শরীরে কোভিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়নি। তাঁদের উপযুক্ত টিকাকরণও হয়নি।

    আরও পড়ুন:ফের বাড়তে পারে করোনা! পজিটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করার নির্দেশ কেন্দ্রের

    চিন সরকার জিরো কোভিড নীতি গ্রহণ করায় দেশে শুরু হয় সরকার বিরোধী আন্দোলন। উরুমছিতে কোয়রান্টিন থাকা একটি বাড়িতে আগুন লেগেছিল কিছু দিন আগে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার জেরে বাড়ি থেকে বেরতে না পেরে মৃত্যু হয় ওই বাড়ির ১০ জন বাসিন্দার। ঘটনার জেরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয় সে দেশে। প্রবল বিক্ষোভের জেরে কোভিড নীতি শিথিল করতে বাধ্য হয় শি জিনপিংয়ের সরকার। আচমকা এই শিথিলতার জেরে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের গ্রাফ। সংক্রমণ বিশেষজ্ঞদের দাবি, চলতি শীতেই করোনার (Covid 19) তিনটি ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে ড্রাগনের দেশে। চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এর প্রধান সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ উ জুনইউ বলেন, তিন মাসে তিনটি ঢেউ এসে পড়বে। প্রথম ঢেউটি এখন থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি অবধি চলবে। দ্বিতীয় ঢেউটি আসবে ঠিক তার পরেই। তাঁর অনুমান, তৃতীয় ঢেউটি আসবে ফেব্রুয়ারির শেষে, চলবে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Vladimir Putin: “যত তাড়াতাড়ি হয় ততই ভালো”, ইউক্রেন যুদ্ধ ইতি টানতে চান পুতিন

    Vladimir Putin: “যত তাড়াতাড়ি হয় ততই ভালো”, ইউক্রেন যুদ্ধ ইতি টানতে চান পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলেনস্কির যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরই ভোল বদল রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin)। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিয়মিত সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। বাইডেনের ইউক্রেনকে এই প্রতিশ্রুতির দেওয়ার পরপরই পুতিনের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য করা হয়। 

    কী বলেন পুতিন?     

    পুতিন (Vladimir Putin) বলেন, “আমাদের লক্ষ্য সামরিক সংঘর্ষের পরিমাণ আর বাড়ানো নয় বরং এই যুদ্ধের অবসান ঘটানো। আমরা এই যুদ্ধের অবসানের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব এবং যত তাড়াতাড়ি আমরা তা করতে সমর্থ হব তত ভাল।” 

    তবে পুতিনের (Vladimir Putin) মন্তব্য নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছে আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি এ বিষয়ে বলেন, “২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ সৈন্য পাঠানোর মাধ্যমে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে তা শেষ করতে তিনি যে আলোচনা চান সেটি নিশ্চিত করতে পুতিন কোনো ইঙ্গিত রাখেননি।”

    আরও পড়ুন: চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, কী কী বিধি জারি করল কেন্দ্র?  

    পুতিনকে (Vladimir Putin) ইঙ্গিত করে জন কিরবি আরও বলেন, ‘বরং তিনি যা করছেন তা তার দাবির পুরোপুরি বিপরীত। তিনি ইউক্রেনের জমিনে এবং আকাশে যা করছেন তা এমন একজন ব্যক্তির কথা নির্দেশ করে, যে কিনা ইউক্রেনের জনগণের উপর সহিংসতা চালিয়ে যেতে চায় এবং যুদ্ধ বাড়াতে চায়।’ 

    এদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা অব্যহত রাখার কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনকে ১৮৫ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য করবে মার্কিন প্রশাসন।

    নিয়মমাফিক বছর শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ঠিক তার আগের দিনই কয়েক ঘণ্টার মার্কিন সফর সেরেছেন জেলেনস্কি। তাই সাংবাদিক সম্মেলনের শুরু থেকেই একযোগে আমেরিকা ও ইউক্রেনকে আক্রমণ করেন পুতিন। সাফ জানিয়ে দেন, “এই যুদ্ধ বন্ধ করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা বহুদিন ধরেই এই চেষ্টা করছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, যেভাবেই হোক, এই যুদ্ধ থামাতে চেষ্টা করছি।” সামরিক লড়াই থামিয়ে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে হলেও যুদ্ধ বন্ধ করার কথা উঠে এসেছে পুতিনের মন্তব্যে।

    রুশ রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, “আমরা তো দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইছি। কিন্তু আমাদের প্রতিপক্ষরা সেটা চাইছে না। তারা যত তাড়াতাড়ি যুদ্ধ বন্ধের গুরুত্ব বুঝতে পারে, ততই ভাল।” ইউক্রেনের জন্য প্রতিরক্ষার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই বিষয়টি নিয়েও আলাদা করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন (Vladimir Putin)। তাঁর মতে, অযথাই যুদ্ধ চালিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে কিছু পক্ষ। তবে এইভাবে কোনও লাভ হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share