Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India At UN: সিএএ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়! রাষ্ট্রপুঞ্জে সওয়াল ভারতের

    India At UN: সিএএ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়! রাষ্ট্রপুঞ্জে সওয়াল ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেনেভায় হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের সভায় নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ওঠা প্রশ্নের কড়া জবাব দিল ভারত। জেনেভায় শুরু হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের বৈঠক। সেখানে আলোচনায় উঠেছে ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন  (CAA Issue in United Nation Human Right Council Meeting) এবং ঘৃণা ভাষণ প্রসঙ্গ।

    ভারত যা বলল

    জেনেভায় হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের সভায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta)। ওই অধিবেশনে কয়েকটি দেশ ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আই নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এর উত্তরে সলিসিটার জেনারেল বলেন, সিএএ (CAA) কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য করা হয়নি। ওই আইনের প্রকৃত উদ্দেশ্য, প্রতিবেশী দেশে বসবাসকারী নিপীড়িত সংখ্যালঘুদের ভারতে (India) বসবাসের সুযোগ দেওয়া। সেই উদ্দেশে তাদের নাগরিকত্ব প্রদানে এই আইন তৈরি করা হয়েছে। আর বাক স্বাধীনতা নিয়ে তিনি জানান,  ভারতের সংবিধানের মৌলিক ভিত্তিই হল কথা বলার অধিকার। কিন্তু অধিকার প্রয়োগে নাগরিকদেরও কিছু কর্তব্যসাধন জরুরি। ঘৃণা ভাষণ প্রতিরোধে ভারতে আইনি বিধান রয়েছে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে সুপ্রিম কোর্ট ঘৃণা ভাষণ নিয়ে সরব হয়। সাম্প্রতিককালে ঘৃণা ভাষণের বেশ কিছু ঘটনায় উদ্বেগ ছড়ায় দেশ জুড়ে।

    আরও পড়ুন: দেশবিরোধী কাজে যুক্ত থাকলেই পদক্ষেপ! আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পরিষদের সভায় ভারত

    সিএএ কী

    ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে CAA-র কোনও সম্পর্ক নেই। এদেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের উল্লেখ রয়েছে ভারতীয় সংবিধানে। CAA বা এই সম্পর্কিত কোনও আইন তা খর্ব করতে পারে না। এই সম্পর্কিত ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। মুসলিম-সহ ভারতীয় নাগরিকদের উপর CAA-র কোনও প্রভাব পড়বে না। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর ধর্মীয় কারণে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্য CAA। ওই তিন দেশ বা অন্য কোনও দেশ থেকে আসা মুসলিম-সহ অন্য কোনও বিদেশি শরণার্থীদের জন্য CAA লাগু হবে না।  তবে, এর মানে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের মুসলিমরা কখনই ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবে না, তা নয়। এমন কোনও লক্ষ্যে CAA গঠন করা হয়নি। বিগত বছরগুলিতে ওই দেশগুলি থেকে শতাধিক মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও যোগ্যতার বিচারে নাগরকিত্ব পাবেন তাঁরা। ধর্মের বিচারে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। 

     

  • PNB Scam: কাটল আইনি বাধা, এবার ভারতে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত নীরব মোদির?

    PNB Scam: কাটল আইনি বাধা, এবার ভারতে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত নীরব মোদির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে কাটল আইনি জটিলতা। ১৩ হাজার কোটি টাকার পিএনবি কেলেঙ্কারি (PNB Scam) কাণ্ডে অভিযুক্ত হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদিকে (Nirav Modi) ভারতে ফিরিয়ে আনার পথ আরও প্রশস্থ হল। ভারতে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নীরব মোদির করা আবেদন খারিজ করে দিল লন্ডন হাই কোর্ট। নিজের মানসিক পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে প্রত্যর্পণ মামলা থেকে রেহাই চেয়েছিলেন ঋণখেলাপি হীরে ব্যবসায়ী। তাঁর দাবি ছিল, ভারতে ফিরলে তিনি উপযুক্ত বিচার পাবেন না। আর ভারতে জেলের যা মান, সেখানে তাঁর পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। এই যুক্তিতে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানান তিনি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিল লণ্ডন আদালত। গত ফেব্রুয়ারিতেই ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের জেলা জজ নীরব মোদিকে ভারতে প্রত্যার্পণের পক্ষে রায় দেন। নিজের মানসিক অবস্থার দোহাই দিয়ে প্রত্যর্পণ মামলা থেকে নিষ্কৃতি চেয়েছিলেন পলাতক ব্যবসায়ী নীরব মোদি। কিন্তু আদালত সেই আবেদনে সাড়া দিল না। 

    আরও পড়ুন: এবার মদের দোকান দেবে রাজ্য সরকারই, কোষাগারে টান?

    নীরবের জন্যে আর কোন পথ খোলা থাকল?  

    সূত্রের খবর, লন্ডন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নীরব মোদি ১৪ দিনের মধ্যে উচ্চতর আদালতে আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে পূরণ করতে হবে একাধিক শর্ত। সেই শর্ত পূরণে কতটা সফল হবেন নীরব, এখন সে দিকেই তাকিয়ে গোটা দুনিয়া। এদিকে লন্ডনের আদালতের এই পর্যবেক্ষণের পরে নীরবের ভারতের হেফাজতে আসাটা অনেকটাই সহজতর হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।  

    কী অভিযোগ নীরবের বিরুদ্ধে?

    গুজরাটের বাসিন্দা নীরব মোদি পিএনবির বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করে একাধিক দেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। বিরোধীরা বার বার দাবি করেছে নীরব মোদীকে বিদেশে পালিয়ে যেতে সুযোগ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেই নীরব মোদীকে ভারতে প্রত্যর্পণের উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকারই। ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেফতার হন নীরব মোদি। তারপর থেকেই তাঁকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছে ভারত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই নীরবকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে সায় দিয়েছিল লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্ট। বিচারক স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারতীয় বিচারব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত ওই ব্যবসায়ীকে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     
  • Twitter Layoffs: ভারতের প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করল ট্যুইটার

    Twitter Layoffs: ভারতের প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করল ট্যুইটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেসলার মালিক ইলন মাস্ক ট্যুইটার কেনার পর থেকেই শুরু করেছে গণছাঁটাই (Twitter Layoffs)। ক্ষমতা হাতে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে একের পর এক কর্মী ছাঁটাই। ইতিমধ্যেই প্রায় ৩,৭০০ জন কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে। আর এবারে এই কর্মী ছাঁটাইয়ের আঁচ এসে পড়ল ভারতেও। কারণ একটি রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, ভারতে কর্মরত কর্মচারীদের মধ্যে ৯০ শতাংশকে সরিয়ে ফেলেছে ইলন মাস্কের নিয়ন্ত্রণাধীন ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। কর্মী ছাঁটাই-এর প্রভাব ভারতে পড়ায় পুরো দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ব বিখ্যাত সংস্থা ব্লুমবার্গের (Bloomberg) তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, ট্যুইটারে প্রায় ২০০ কর্মী ভারতে কাজ করছিলেন, যার মধ্যে ৯০ শতাংশ কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে (Twitter Layoffs)। এই ছাঁটাইয়ের পরে, ভারতে মাত্র কিছু কর্মচারীই অবশিষ্ট রয়েছে। ভারতে ট্যুইটার যে কর্মচারীদের বরখাস্ত করেছে তাঁদের প্রায় ৭০ শতাংশ প্রোডাক্ট ও বাকিরা ইঞ্জিনিয়ারিং টিমে ছিলেন। এছাড়াও মার্কেটিং, পাবলিক পলিসি ও কর্পোরেট কমিউনিকেশন টিম থেকেও অনেককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ট্যুইটারের পথে মেটা! বড় কর্মী-ছাঁটাইয়ের পথে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা?

    সম্প্রতি ৪৪ বিলিয়ন ডলারে ট্যুইটার কেনেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। কোম্পানির সিইও পরাগ আগরওয়াল সহ আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন তিনি (Twitter Layoffs)। এদের মধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূতও ছিলেন। ট্যুইটার অধিগ্রহণ করতেই প্রথমে সরিয়ে ফেলা হয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত ট্যুইটারের শীর্ষ কর্তাদের, আর এবারে ভারতে কর্মীদের সরিয়ে ফেলা হল।

    কোম্পানি কেনার আগে থেকেই গুঞ্জন রটেছিল যে, ইলন ট্যুইটারে কর্মরত প্রায় অর্ধেক কর্মীদের ছাঁটাই করবে (Twitter Layoffs)। আর এটাই এখন সত্যি হল। ক্ষমতা পেতেই বিশ্বব্যাপী কর্মীদের ছাঁটাই করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন ট্যুইটারের নতুন মালিক। এমনকি যাদের বরখাস্ত করা হয়েছে, তাদের ইমেলের মাধ্যমেই জানিয়ে দেওয়া হয়। আবার কিছু কর্মীদের অফিসে ফিরে আসার ইমেলও পাঠানো হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ভুলবশত কিছু কর্মীদের সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। ফলে এই কর্মী ছাঁটাই নিয়ে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, কোম্পানি চালাতে ঠিক কত কর্মীর প্রয়োজন, সে বিষয়ে হিসেব করেই বিশ্বব্যাপী কর্মী সংখ্যা কমানোর কঠিন প্রক্রিয়াকে বেছে নিয়েছে তারা।

  • Fighting Nazism: ফের মস্কোর পাশে নয়াদিল্লি, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রস্তাবে সায় ভারতের

    Fighting Nazism: ফের মস্কোর পাশে নয়াদিল্লি, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রস্তাবে সায় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে (UN) ফের রাশিয়ার (Russia) পাশে দাঁড়াল ভারত (India)। মস্কোর আনা প্রস্তাবে সায় দিল নয়াদিল্লি। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ‘নাৎসিবাদ (Nazism) মহিমান্বিত করার বিরুদ্ধে লড়াই’ শীর্ষক ওই প্রস্তাবের খসড়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে ভারত। এই খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১০৫টি। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৫২টি দেশের প্রতিনিধিরা। ভোটদানে বিরত থেকেছেন ১৫টি দেশের প্রতিনিধি। এদিন ভারতের প্রতিনিধি বলেন, আদিবাসী জনগণের ধারণাটি দেশের প্রেক্ষাপটে প্রযোজ্য নয়। কমিটি আটটি খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আদিবাসীদের অধিকার, ডিজিটাল যুগে গোপনীয়তা রক্ষা, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই। এই খসডা প্রস্তাবে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাক্ষরতার অধিকার, যৌন হেনস্থা থেকে শিশুদের রক্ষা এবং ক্রিমিনাল জাস্টিসও। এর সঙ্গেই রয়েছে নাৎসিবাদ মহিমান্বিত করার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রচেষ্টাও।   

    খসড়া প্রস্তাবে নাৎসি আন্দোলন (Fighting Nazism), নব্য নাৎসিবাদ, নাৎসিদের অতীত মহিমাকীর্তন করতে গণ প্রদর্শনীর মতো বিষয়গুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্ণবাদী এবং জেনোফোবিক রেটোরিক, ইসলামফোবিয়া, অ্যাফ্রোফোবিয়া এবং ইহুদি বিদ্বেষের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতিনিধি।

    এদিন অধিবেশনে উপস্থিত বেশ কয়েকজন প্রতিনিধির দাবি, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হামলার যৌক্তিকতা বোঝাতে মরিয়া মস্কো। তাই তোলা হচ্ছে নব্য নাৎসিবাদের ঢেঁকুর। আবার ইউক্রেনের প্রতিনিধির দাবি, এই খড়সা প্রস্তাবের সঙ্গে নাৎসিবাদ ও নব্য নাৎসিবাদের প্রকৃত লড়াইয়ের কোনও সম্পর্কই নেই। একই সুর শোনা গিয়েছে ব্রিটেন, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের গলায়ও। খসড়া প্রস্তাবটিকে মস্কোর ‘সিনিক্যাল অ্যাটেম্পট’ বলে দেগে দিয়েছেন আমেরিকার প্রতিনিধি।

    আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    এই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। অক্টোবর মাসে গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের চারটি এলাকা দখল করার রাশিয়ার প্রক্রিয়াকে বেআইনি ঘোষণা করে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘে। সেবার ভোটদানে বিরত ছিল ভারত। ভোট দেয়নি আরও ৩৪টি দেশও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Maldives Fire Incident: মালদ্বীপে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! ১১ জন মৃতের মধ্যে ৯ জনই ভারতীয়

    Maldives Fire Incident: মালদ্বীপে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! ১১ জন মৃতের মধ্যে ৯ জনই ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদ্বীপে ঘটে গেল ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড (Maldives Fire Incident)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল ১১ জনের, আর এর মধ্যে ৯ জনই ছিলেন ভারতের নাগরিক। অন্যজন বাংলাদেশের নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে। এই ঘটনায় মালদ্বীপে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে।

    মালদ্বীপে অগ্নিকাণ্ড

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, মালদ্বীপের মালের এম.নিরুফেহিগের একটি গ্যারেজ থেকেই এই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটেছে (Maldives Fire Incident)। এরপরেই আগুন গ্যারেজের উপরের বহুতলেও লেগে যায়। আর সেখানেই ছিলেন ভিনদেশের শ্রমিকরা। উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে, ওই বহুতলে বিদেশ থেকে যাওয়া শ্রমিকরাই থাকতেন। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে মালদ্বীপের দমকলবাহিনী। পরে ওই বহুতলের একেবারের উপরের তলার ঘর থেকে একে একে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: মালদ্বীপে ‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেন আদতে মিথ্যে প্রচারের ফল, মত ভারতের বিদেশমন্ত্রকের

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, স্থানীয় সময় অনুসারে রাত ১২টা ১৭ মিনিটে এই অগ্নিকাণ্ডের খবর জানা যায়, এরপর ফায়ার ও রেসকিউ টিম ১২টা ৩৩ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় ও ৪টা ৩৪ মিনিট নাগাদ আগুন সম্পূর্ণভাবে  নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি (Maldives Fire Incident)।

    কর্তৃপক্ষের মতে, আগুনের ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে (Maldives Fire Incident)। এভিএএস জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে নয়জন ভারতীয় নাগরিক এবং একজন বাংলাদেশের নাগরিক। নিহত অন্যজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আহতদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। মালদ্বীপের ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সের (এমএনডিএফ) ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস কমান্ডার ইব্রাহিম রশিদ বলেছেন যে, ঘটনাটি একটি বিল্ডিংয়ে ঘটেছে যেখানে প্রচুর সংখ্যক ভারতীয়, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশি পরিযায়ী শ্রমিকরা বাস করতেন। এমএনডিএফ নিশ্চিত করেছে যে, ১১ জনের মধ্যে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইব্রাহিম রশিদ আরও জানান, নিহতের মধ্যে কতজন পুরুষ ও মহিলা রয়েছেন তা জানা যায়নি।

    শোকপ্রকাশ ভারতীয় হাইকমিশনের

    এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় (Maldives Fire Incident) মালদ্বীপে ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে ও হাইকমিশনের তরফে ট্যুইটারে বলা হয়েছে, “মালেতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ভারতীয় নাগরিকদেরও মৃত্যু হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা মালদ্বীপের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে চলেছি।”

  • S Jaishankar: দেশবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব! রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: দেশবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব! রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয়রা কীভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে সুবিধা পাবে, তা দেখা সরকারের সাংবিধানিক কর্তব্য, অভিমত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। রাশিয়া থেকে তেল কেনা প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনবে। নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে চায় যে কোনও দেশই। ভারতীয়দের আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, চাহিদা মেটাতে রাশিয়া থেকে কম খরচে তেল কিনছে ভারত। দেশের মানুষের স্বার্থ নিশ্চিত করতে এটা সরকারের সাংবিধানিক বাধ্যতা।” ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনের পর রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি তেল সংগ্রহ করে ভারত। গত সেপ্টেম্বরে তার পরিমাণ ছিল সবচেয়ে বেশি।

    মস্কো সফরে গিয়ে মঙ্গলবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ইন্টার গভর্নমেন্টাল কমিশন অন ট্রেড,ইকনমিক,সায়েন্টিফিক, টেকনিকাল ও কালচারাল কো অপারেশন সংক্রান্ত মিটিংয়েও অংশ নেন জয়শঙ্কর। দুদেশই বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরও সম্প্রসারিত করার ব্যাপারে আলোচনা করেছে। পাশাপাশি সারাবিশ্বে খাদ্য ও শক্তিসম্পদের সুরক্ষাকে নিশ্চিত করার জন্য ভারত  রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানার কথাও বলেছে।

    আরও পড়ুন: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

     মঙ্গলবারের ওই বৈঠকের পরে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন,‘‘আজকের বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির বিষয়ে পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে মূল্যায়ন ও মত বিনিময় হয়েছে।’’রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী লাভারভ জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় ১৩০ শতাংশ ছুঁয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অঙ্ক প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে অন্তত ৩০ বিলিয়নে স্পর্শ করাতে হবে। ডলারের পরিবর্তে রুপি-রুবেল বিনিময়ে বাণিজ্য প্রসারেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

    অতিমারি পরবর্তী পর্যায়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে ধাক্কা এসেছে তাতে বিশ্ব জুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এ কথা জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা শুধু জাতীয় স্বার্থটা দেখছি তেমনটা নয়, জি ২০ অর্থনীতির অঙ্গ হিসাবে আমরা বিশ্ব অর্থনীতিকেও স্থিতিশীল করতে চাইছি। যুদ্ধ নয়, ভারত সব সময়ই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পক্ষপাতী।” বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ব জুড়ে জ্বালানি সঙ্কটের আবহে কত সস্তায় অশোধিত তেল রাশিয়া থেকে ভারত আমদানি করতে পারে, তা নির্ধারিত করতেই জয়শঙ্করের এই সফর। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পরে বিভিন্ন সময়ে এবং বিভিন্ন জায়গায় জয়শঙ্কর এবং লাভরভ এই নিয়ে পাঁচ বার বৈঠক করলেন।

  • Twitter: ‘‘ভুল হয়েছে, ফিরে আসুন…’’! বহু ছাঁটাই কর্মীকে পুনরায় কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন ট্যুইটারের

    Twitter: ‘‘ভুল হয়েছে, ফিরে আসুন…’’! বহু ছাঁটাই কর্মীকে পুনরায় কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন ট্যুইটারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্যুইটারের (Twitter) দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক কাণ্ড ঘটেই চলেছে। প্রথমেই ট্যুইটারের শীর্ষ কর্তাদের ছাঁটাই করা হয়েছে। সেই তালিকায় ছিল সংস্থার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও পরাগ আগরওয়াল। আর এরপরেই শুরু হয়েছে গণছাঁটাই। গত শুক্রবারই প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটে গেল আরেকটি ঘটনা। ছাঁটাই করা কর্মীদের মধ্যে কিছু জনকে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। যাদের ফের চাকরিতে ফিরে আসার জন্য বাছাই করা হয়েছে, তাঁদের ইমেল পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    প্রসঙ্গত, ইলন মাস্কের কর্মী ছাঁটাই নিয়ে ট্যুইট করেছিলেন ট্যুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি। তিনি ট্যুইটারের (Twitter) এমন পরিস্থিতির জন্য কর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, কাজ করা সমস্ত লোকই খুবই প্রতিভাবান। যতই কঠিন সময়ের মধ্যে তাঁরা যাক না কেন ঠিক একটা রাস্তা তাঁরা খুঁজে নেবেন। তবে তিনি মনে করেন বহু মানুষ তাঁর উপর ক্ষুব্ধ, তাঁর কারণেই প্রত্যেকে এমন অবস্থার মধ্যে পড়েছে। এর জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি ক্ষমাপ্রার্থী। ফলে এমন ট্যুইট দেখেই ইলনের বোধদয় হয়েছে কিনা তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে ট্যুইটার, ভয় বাড়ছে H1B ভিসাধারীদের

    কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, কিছু কর্মীকে ভুলবশত ছাঁটাই করা হয়েছিল। তাঁদেরকেই আবার ফিরে আসতে বলা হচ্ছে। এছাড়া, যাঁদের ফিরে আসতে বলা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে এমন কেউ কেউ রয়েছেন, যাঁদের কর্মদক্ষতা ভাল ভাবে যাচাই করা হয়নি। এছাড়াও কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া খুব তাড়াহুড়োতে হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    আবার ছাঁটাইয়ের পর শুক্রবার মাস্ক ট্যুইট করে বলেন, সংস্থার কাছে দ্বিতীয় কোনও বিকল্প নেই। এতে প্রত্যেক দিন ৪০ লাখ ডলার ক্ষতি হচ্ছে। চাকরিচ্যুত কর্মীদের তিন মাসের প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে, যা প্রয়োজনের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি বলে দাবি করেন ট্যুইটারের (Twitter) নয়া মালিক।

    সত্যিই কোনও ভুলবশত কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছিল, নাকি ইলন তাঁর সিদ্ধান্তে অনুতপ্ত হয়ে এমন করেছে নাকি জ্যাকের ট্যুইটের ফলে এমন সিদ্বান্ত, পুরো বিষয়টি নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে।

  • S Jaishankar: রাশিয়ায় পৌঁছলেন জয়শঙ্কর, কী নিয়ে আলোচনা করতে জানেন?

    S Jaishankar: রাশিয়ায় পৌঁছলেন জয়শঙ্কর, কী নিয়ে আলোচনা করতে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু দিনের সফরে রাশিয়া (Russia) পৌঁছলেন ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। মঙ্গলবার তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে। এই বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পরিবহণ, লজিস্টিক, এনার্জি সেক্টর, বিশেষত আর্কটিক সেল্ফ এবং রাশিয়ান ফার ইস্ট (Russian Far East) নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।

    জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সফর নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা হয়েছে একটি বিবৃতি। তাতে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সহযোগিতার মূল বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে। অর্থনীতির উন্নতি, অর্থনৈতিক, এনার্জি, মিলিটারি-টেকনিক্যাল, হিউম্যানিটেরিয়ান, সায়েন্টিফিক এবং টেকনিক্যাল কোঅপারেশন নিয়ে আলোচনা হবে। মূল বিষয়গুলিতে কীভাবে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হবে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, জাতীয় মুদ্রা বিনিময় নিয়েও আলোচনা হতে পারে দুই দেশের মধ্যে। দুই দেশের দুই বিদেশমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘ, এসসিও, জি-২০ এবং আরআইসি নিয়েও মত বিনিময় করবে।

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবং লাভরভের মধ্যে আলোচনায় উঠে আসতে পারে এসসিও, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মতো আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ও। ইরানিয়ান নিউক্লিয়ার প্রবলেম সহ অন্যান্য কয়েকটি বিষয় নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা দুই দেশের দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, দুই দেশই বহন করে প্রিভিলেজড ও স্ট্র্যাটেজিক অংশীদারিত্ব। দুই দেশের সম্পর্কও বেশ কয়েক দশকের পুরানো।

    আরও পড়ুন: টাকার জোগান হচ্ছে, তাই বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে এস জয়শঙ্কর

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে এখনও। এমতাবস্থায় রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মসৃণ হলেও, ইউক্রেনের সঙ্গে নয়াদিল্লর সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। কারণ যুদ্ধ চলাকালীনও ভারত জ্বালানি কিনেছে রাশিয়ার কাছ থেকে। রাষ্ট্রসংঘেও ভারতকে থাকতে দেখা গিয়েছে রাশিয়ার পাশেই। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামাতে ভারত মধ্যস্থতা করবে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, সে প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রক বলেছে, আমরা তখনই সফল হব, যখন দু পক্ষই আমাদের কূটনৈতিক সততা সম্পর্ক নিঃসন্দেহ হবে। এ ক্ষেত্রে আস্থার অভাব রয়েছে। আর পুতিনকে বাদ দিয়ে কোনও মধ্যস্থতা কার্যকর হবে না। প্রসঙ্গত, এর আগে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) রাশিয়া গিয়েছিলেন ২০২১ সালের জুলাই মাসে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে নয়াদিল্লিতে এসেছিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S Jaishankar: দু’দিনের সফরে রাশিয়া গেলেন এস জয়শঙ্কর! দেখা হতে পারে পুতিনের সঙ্গে?

    S Jaishankar: দু’দিনের সফরে রাশিয়া গেলেন এস জয়শঙ্কর! দেখা হতে পারে পুতিনের সঙ্গে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে ভারত। আশা আন্তর্জাতিক মহলের। এই আবহেই, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) আজ, সোমবার (৭ নভেম্বর) দুদিনের সফরে রাশিয়া যাচ্ছেন। যেখানে তিনি রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ডেনিস মান্টুরভের সঙ্গে এক বৈঠক করবেন। তাঁর সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) দেখা হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা চলছে। সারা বিশ্বের নজর এখন জয়শঙ্করের মস্কো সফরের দিকে।

    আরও পড়ুন: ফের মস্কোর পাশে নয়াদিল্লি, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রস্তাবে সায় ভারতের

    বিদেশমন্ত্রীর এই সফরে উভয় দেশের মধ্যে আলোচনায় উঠে আসতে পারে একাধিক দ্বিপাক্ষিক বিষয় এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নের বিষয়ে দুদেশের মধ্যে মতামত বিনিময় হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। আগামী দিনে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবে ভারত, রাশিয়া, আমেরিকা-সহ নানা দেশ। সেখানে ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কীরকম অবস্থান নেওয়া হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা হবে বিদেশমন্ত্রীর এই সফরে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, “রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠক করবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। সামগ্রিকভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েই এই বৈঠকে আলোচনা করা হবে। সেই সঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলি নিয়েও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে দুই দেশ।” রুশ বাণিজ্যমন্ত্রী ডেনিস মান্তুরোভের সঙ্গেও আলাদা ভাবে বৈঠক করবেন জয়শঙ্কর। তবে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত প্রসঙ্গে এখনও কিছু জানায়নি বিদেশমন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    সম্প্রতি ৪,নভেম্বর একতা দিবস উপলক্ষে পুতিন ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁর ভাষণে পুতিন বলেন, “ভারত তার সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে দারুণ ফলাফল অর্জন করবে, এতে কোনও সন্দেহ নেই এবং প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মানুষের কাছে এখন এই সম্ভাবনা রয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও প্রশংসা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। শুধু তাই নয়, যেভাবে মোদির নেতৃত্বে ভারত এগিয়ে যাচ্ছে সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন পুতিন। পাশাপাশি ভারতের বিদেশনীতির প্রশংসাও শোনা যায় তাঁর মুখে। আর এরপরেই জয়শঙ্করের রাশিয়া সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Leicester: ব্রিটেনের লেস্টারে সংঘর্ষের ঘটনায় আরএসএসের কোনও যোগ নেই, বলছে রিপোর্ট

    Leicester: ব্রিটেনের লেস্টারে সংঘর্ষের ঘটনায় আরএসএসের কোনও যোগ নেই, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেস্টার (Leicester) শহরে সংঘর্ষের ঘটনায় আরএসএসের কোনও হাত নেই। কেবল আরএসএস (RSS) নয়, ওই ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী কোনও সংগঠনেরই যোগ নেই। ঘটনার তদন্ত করে এমনটাই জানাল ব্রিটেনের (UK) একটি বিশেষজ্ঞ দল। এই দলের একজন সদস্য হলেন শার্লোট লিটিলউড। হেনরি জ্যাকসন সোসাইটির রিসার্চ ফেলো তিনি। স্থানীয় হিন্দু (Hindu) এবং মুসলমান বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে এবং সোশ্যাল মিডিয়া এভিডেন্স, ভিডিও এভিডেন্স, পুলিশ রিপোর্ট এবং বিবৃতি দেখে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তিনি। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের বিরুদ্ধে গিয়ে লিটিলউড বলেন, তদন্ত করে দেখা গিয়েছে লাইসেস্টারের ওই ঘটনায় হিন্দুত্ববাদী কোনও গোষ্ঠীর যোগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাঁর দাবি, বরং হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর সংহতিকেই মিথ্যাভাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, খেলার মাঠে দ্বৈরথে নেমেছিল ভারত-পাকিস্তান। খেলাটি ছিল এশিয়া কাপ টি-২০ ম্যাচ। ব্রিটেনের লেস্টারে (Leicester) ওই ম্যাচ হয়েছিল ২৮ অগাস্ট। ম্যাচটি জিতে যায় ভারত। এর দিন কয়েক পরে একদল উত্তেজিত জনতা ব্রিটেনের বার্মিংহামের স্মিথউইকে থাকা একটি দুর্গা ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখায়। পরে এলাকায় সংর্ঘষ বাঁধে। ঘটনায় নাম জড়ায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএসের। তবে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় আরএসএস কিংবা হিন্দুত্ববাদী কোনও সম্প্রদায়েরই হাত নেই। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘৃণা ছড়ানো, ভাঙচুর এবং হেনস্থার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিভাজনে বিশ্বাস করে না আরএসএস, সাফ জানালেন প্রচার প্রমুখ

    বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ঘটনার জেরে লেস্টারে (Leicester) বসবাসকারী হিন্দুরা বেজায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের কেউ কেউ দূরে কোনও বন্ধু কিংবা আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। কেউ কেউ ঘরে স্বেচ্ছাবন্দি হয়েছিলেন। ভয় কাটা না পর্যন্ত তাঁরা এভাবেই ছিলেন। রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনার জেরে লেস্টার অশান্ত হয়ে ওঠে। ৪ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া অশান্তির রেশ ছিল ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়েই হয় সম্পত্তি নষ্ট, শারীরিক নিগ্রহ, ছুরিকাঘাত এবং প্রার্থনা স্থলে আক্রমণ। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর হিন্দু ও মুসলিম মিছিল করে দু-পক্ষই। একদল জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয়, অন্য পক্ষ বলে আল্লা হু আকবর। লিটিলউডের মতে, এটি সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয়ে যাওয়ার নিদর্শন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share