Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • China: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে, নিশানায় কে?   

    China: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে, নিশানায় কে?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেজিংয়ের রাজপথ ছয়লাপ ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানারে। ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে ২০তম কংগ্রেসে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পুননির্মাণের আগে চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) যথেষ্ঠ চাপে রয়েছেন। দিন কয়েক আগে শি জিনপিংকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল বলে খবর ছড়িয়েছিল। পরে অবশ্য তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যায়। চিনের সর্বাধিনায়কের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতক একনায়ক লেখা ব্যানার পড়ায় অস্বস্তিতে পার্টি। যদিও ব্যানারের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি সরিয়ে নেওয়া সেগুলি।

    চিনের রাজধানী বেজিংয়ের এক সাংবাদিকের করা ট্যুইট থেকে জানা গিয়েছে, কোনও কোনও ব্যানারে চিনের জিরো কোভিড পলিসির বিরোধিতা করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, আমরা কোভিড পরীক্ষা চাই না, খাবার চাই। লকডাউন চাই না, স্বাধীনতা চাই। আবার কোনও কোনও ব্যানারে লেখা হয়েছে, বিশ্বাসঘাতক একনায়ক (Dictatorial Traitor)। জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ব্যানারের ছবি ছড়িয়ে পড়তেই দ্রুত খুলে নেওয়া হয় সেগুলি। হেইডিয়ান জেলায় ব্যানারের নীচে রাস্তার ওপর থেকে ধোঁয়া উঠতেও দেখা গিয়েছে। সেখানে জনতা স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে এই বলে যে স্কুলে ধর্মঘট করা যাক, ধর্মঘট করা যাক কাজেও, বিশ্বাসঘাতক একনায়ক শি জিনপিংকে সরানো যাক।

    আরও পড়ুন: ‘আড়াই বছর অত্যন্ত কঠিন ছিল…’ ভারত-চিন সম্পর্কের হাল হকিকত জানালেন জয়শঙ্কর

    প্রসঙ্গত, বেজিংয়ের জিরো কোভিড পলিসির কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, কোয়ারেন্টাইন এবং পরপর লকডাউনের ওপর ব্যাংক করে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে জিন পিং সরকার। যদিও চিনা সরকারের দাবি, কোভিড প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এটি দারুণ কার্যকর হয়েছে। প্রসঙ্গত, চিনা নাগরিকরা আশা করেছিলেন যে ২০ তম কংগ্রেসের পরে জিরো কোভিড নীতি শেষ হবে। প্রসঙ্গত, চিনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার একটি সম্পাদকীয়তে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে একটি লেখা প্রকাশিত হতেই  তাঁদের নিরাশ হতে হয়। চিনের কড়া কোভিড নীতির কারণে থমকে গিয়েছে অর্থনৈতিক উন্নতি। জিনপিংয়ের আমলে মার খেয়েছে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা। এই ব্যানার-আন্দোলনের পর জিন পিংয়ের পদ থাকে কিনা, এখন সেটাই দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • S Jaishankar: আমি রস টেলরের ভক্ত! ভারত-নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট নিয়ে কী বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: আমি রস টেলরের ভক্ত! ভারত-নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট নিয়ে কী বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর ক্রিকেটপ্রেম অজানা নয়। স্কুল, কলেজ জীবনে ব্যাট-বল নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিতেন সবুজ গালিচায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে অনেক কিছু। কর্মক্ষেত্রে বেড়েছে দায়দায়িত্ব। বিদেশমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলানোর পাশাপাশি ক্রিকেটের যাবতীয় খবর যে তিনি এখনও সমানভাবে রাখেন, তা ধরা পড়ল এস জয়শঙ্করের কথায়। ভারত-নিউজিল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে ক্রিকেটকে মাধ্যম করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেট সিরিজের প্রশংসা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। জয়শঙ্কর বলেন, ‘বাইশ গজে দুই দেশের সুষ্ঠু লড়াই সকলেই উপভোগ করে। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের কথা উঠলেই অনেক মুখ চোখের সামনে ভিড় করে। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে ক্রিকেটের সুবাদে।’

    আরও পড়ুন: ভারতীয়দের মার্কিন ভিসা পেতে এত দেরি হচ্ছে কেন? ব্লিঙ্কেনকে প্রশ্ন জয়শঙ্করের   

    ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ জন রাইটের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘জন রাইটের কোচিংয়ে ভারতীয় ক্রিকেট নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল। স্টিফেন ফ্লেমিং এখন চেন্নাই সুপার কিংসের কোচ। আমিও যেহেতু ওই অঞ্চলের মানুষ, তাই চেন্নাইয়ের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে ফ্লেমিংরে জনপ্রিয়তা টের পাই। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসন। অত্যন্ত ভদ্র ক্রিকেটার। তবে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের মধ্যে আমি রস টেলরের ভক্ত।’

    আরও পড়ুন : ভারতকে নিশানা করে মিথ্যা অভিযোগ! নিরাপত্তা পরিষদে ফাঁস হল পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    এটা জয়শঙ্করের দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়া সফর। তাঁকে স্বাগত জানাতে তেরঙ্গা পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল রাজপথ। যা দেখে অভিভূত ভারতের বিদেশমন্ত্রী। পরে তিনি ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে ভারত কি ভোট দেবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে? এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁর দিকে। তবে টেস্ট ক্রিকেটের ধাঁচেই বাউন্সার সামলে তিনি বলেন, ‘ভোট দানের ক্ষেত্রে আগে থেকে কোনও কিছুই বলা সম্ভব নয়।’ ভারতের অস্ত্রভাণ্ডারে রাশিয়ার তৈরি অস্ত্রের বাড়বাড়ন্ত প্রসঙ্গে করা প্রশ্নের জবাবে মাঠের বাইরে ছক্কা মারেন জয়শঙ্কর। তাঁর সোজা জবাব, ‘পশ্চিমি দেশগুলি তো তখন ভারতে অস্ত্র সরবরাহ করত না। তাই বিকল্প ভাবা হয়েছে।’ উল্লেখ্য, এর আগে রাষ্ট্রপুঞ্জের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদান থেকে বিরত ছিল ভারত। কূটনৈতিক মহলের ধারণা, সেই কারণেই ভোটদানের ব্যাপারে আগেভাগে মুখ খুলতে চাননি বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। একই সঙ্গে তিনি অস্ট্রেলিয়া সরকারের কাছে স্টুডেন্ট ভিসা আরও সরলীকরণের দাবি জানিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Ukraine NATO: ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ দিলেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

    Ukraine NATO: ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ দিলেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেন ইউরোপীয় জোট ন্যাটোতে যোগ দিলেই ইউক্রেন-রাশিয়া (Ukraine-Russia) সংঘাত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের (Third World War) আকার নেবে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন রাশিয়ার সিকিউরিটি কাউন্সিলের এক আধিকারিক। গণভোটের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের (Ukraine) চারটি অঞ্চল দখল করেছে রাশিয়া (Russia)। কিছুদিন আগেই ইউক্রেনের ১৮% নিজেদের দখলে নেওয়া ঘোষণা করেছেন পুতিন। এরপর থেকেই তীব্রতা বেড়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের।  ক্রাইমিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ইউক্রেন। এর জেরে বেশ বিপাকে পড়েছে পুতিনের দেশ। এরপরেই রাশিয়ার এই হুশিয়ারি সামনে এল। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা তাস নিউজে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি সেক্রেটারি আলেকজান্ডার ভেন্ডেডিক্টোভ (Alexander Venediktov) বলেছেন, “ইউক্রেন ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত হলে তার ফল হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।” এই ন্য়াটো সমস্যাকে কেন্দ্র করেই রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত। ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ গ্রহণ করা নিয়েই রাশিয়ার যাবতীয় রোষ ছিল।  

    আরও পড়ুন : ভারত-সহ ৩৫টি দেশ সেই প্রস্তাবে ভোটদান থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখে।

    ভেন্ডেডিক্টোভ আরও বলেন, “কিয়েভ খুব ভাল করে জানে, এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবেই। অবশ্য ওরা সেটাই চাইছে। সমস্যা তৈরি করে নিজেদের প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। আমি মনে করি ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করার পরিকল্পনার পরিণতি পশ্চিম বুঝতে পেরেছে। এই ধরনের পদক্ষেপ যে আত্মঘাতী তা ন্যাটোর সদস্যদের বোঝা উচিৎ।” ইউক্রেনের ন্যাটো সংযুক্তিকরণ নিয়ে বার বার তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিন বারবার ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছেন। বিশেষ করে ইউক্রেন এবং জর্জিয়ার মতো প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের জন্য তার বেশি আপত্তি। কারণ রাশিয়া আজও এই দেশদুটিকে নিজের অংশ মনে করে।     

    গত মাসেই পুতিন পশ্চিমি দেশগুলির উদ্দেশ্যে বলেন, “প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত।” এর উত্তরে ন্যাটোর সাধারণ সচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “পুতিন তাঁর সীমা অতিক্রম করে গিয়েছেন।”

    নিঃসন্দেহে ইউক্রেন সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে এভাবেই রাশিয়া বনাম পশ্চিমী দেশগুলির সংঘাত তীব্রতর আকার ধারণ করেছে। এর আগেও ইউক্রেনে হামলা নিয়ে পুতিন বেশ কয়েকবার পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিতেও ছাড়েননি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, “১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকট থেকেই শেষ পারমানবিক যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে বিশ্ব। সে কারণেই আগামী সপ্তাহে ‘স্টেডফাস্ট নুন’ নামে বার্ষিক পরমাণু প্রস্তুতি মহড়া চালাবে ন্যাটো।” প্রসঙ্গত, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় পারমাণবিক শক্তি। তারা বিশ্বের প্রায় ৯০% পারমাণবিক ওয়ারহেড নিয়ন্ত্রণ করে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Cyber attack on Iran state tv : হিজাব বিতর্কের জের,সাইবার হামলা ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে

    Cyber attack on Iran state tv : হিজাব বিতর্কের জের,সাইবার হামলা ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়াতুল্লাহ খামেইনির নেতৃত্বাধীন ইরান সরকার ১২ জুলাই দিনটিকে জাতীয় হিজাব ও পবিত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সে দেশের মহিলারা। সরকার হিজাব বিরোধী আন্দোলনকারীদের স্বর বন্ধ করার জন্য নির্মম ভাবে হত্যালীলা চালাচ্ছে সারাদেশ জুড়ে।

    সম্প্রতি হিজাব নিয়ে ‘নীতি পুলিশির’ জেরে ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় বছর ২২-র মাহশা আমিনীর। তাঁর মৃত্যুর পরেই ইরান জুড়ে শুরু হয় হিজাব বিরোধী আন্দোলন। রাজধানী তেহেরানের রাস্তায় হিজাব পরার আইন বাতিলের দাবিতে জড়ো হন প্রতিবাদীরা। রবিবার সকালে এই আন্দোলনের আঁচ দেখা গেল ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে। ইরানের এই সরকারি চ্যানেলটিতে লাইভ সম্প্রচার (Live Broadcast) চলাকালীন হঠাৎ সাইবার হানাকারীরা কয়েক সেকেন্ডের জন্য চ্যানেলটিকে হ্যাক করে ফেলে। তারা একটি ছবি প্রদর্শন করে, সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে দেশটির সর্ব্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেইনির (ayatollah khaminei) ছবির নীচে হিজাব বিরোধী আন্দোলনে নিহত মাহসা আমিনী (Mahsa Amini) হাদিস নাজাফি (Hadis Najafi) সহ আরও দুটি মেয়ের ছবি রয়েছে। আয়াতুল্লাহ খামেইনিকে উল্লেখ করে ছবিতে লেখা আছে, তরুণ- তরুণীদের (Youth) রক্ত আপনার হাতে লেগে আছে। হ্যাকিংয়ের কারণে ১২ সেকেন্ড আইআরআইবির পর্দা হ্যাকারদের দখলে থাকার পর ফিরে আসেন সংবাদ উপস্থাপক।এদালাত-ই আলী (Edalat-e Ali ) নামে একদল হ্যাকার গ্রুপ এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

    [tw]


    [/tw] 

    ইরান সরকারের এই বর্বরচিত অত্যাচারের নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব মহল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় ইরানের সরকারি কর্মকর্তাদের উপর আরও নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে। এমনিতেই তেল রপ্তানি নিয়ে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা আগে থেকেই আরোপ ছিল। আমেরিকার ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল অফিস ইরানের মানুষদের মানবাধিকার হনন করার অপরাধে সাতজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের উপর আর্থিক জরিমানা করেছে।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে মৌলিক অধিকারের জন্য বিক্ষোভরত ইরানের সাহসী নাগরিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে তারা।

    এছাড়াও কানাডা সরকারও ২৫ ব্যক্তি সহ নয়টি প্রতিষ্ঠান, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি এবং দেশটির গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়ের উপর  নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। ইরানের প্রেস টিভি নামক ইংরেজী চ্যানেলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে কানাডা সরকার।

    প্রসঙ্গত, নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস গত ৭ অক্টোবর জানায়, বিক্ষোভে অন্তত ১৫৪ জন নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন অনেক মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Infosys: ‘ভারতীয় বংশোদ্ভূত চাকরি প্রার্থীদের এড়িয়ে চলুন’, ফরমান দিয়েছিল ইনফোসিস!

    Infosys: ‘ভারতীয় বংশোদ্ভূত চাকরি প্রার্থীদের এড়িয়ে চলুন’, ফরমান দিয়েছিল ইনফোসিস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বংশোদ্ভূত চাকরি প্রার্থীদের এড়িয়ে চলুন। যেসব মহিলার সন্তান রয়েছে, তাঁদের চাকরিতে না নেওয়াই ভাল। বয়স যদি পঞ্চাশের কোঠা পেরয়, তাহলে ওই কর্মপ্রার্থীদের নিয়োগ করার প্রয়োজন নেই। বেঙ্গালুরু-বেসড আইটি কোম্পানি (IT Company) ইনফোসিসের (Infosys) বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন ওই কোম্পানির নিয়োগ বিভাগের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট। আমেরিকার আদালতে এই মর্মে মামলাও দায়ের করেছেন তিনি। ইনফোসিসের বিরুদ্ধে নিয়োগে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই প্রাক্তন আধিকারিক।

    ইনফোসিসের (Infosys) নিয়োগ বিভাগের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জিল প্রিজিন। তাঁর দাবি, আমেরিকায় ওই কোম্পানিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের নিয়োগ করতে বারণ করা হয়েছিল। যেসব মহিলার ছোট বাচ্চা রয়েছে, তাঁদেরও কোম্পানিতে নিয়োগ করতে নিষেধ করা হয়েছিল। পঞ্চাশের বেশি বয়স্ক কোনও নারী কিংবা পুরুষকেও চাকরিতে নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধ করা হয়েছিল। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি জিল। প্রাক্তন এই ইনফোসিস (Infosys) আধিকারিকের অভিযোগ, ড্যান অলব্রাইট এবং জেরি ক্রৎজের নিয়োগ সংক্রান্ত এই বেআইনি আবদার মেনে না নেওয়ায় চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় তাঁকে। তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণও করা হয় বলে অভিযোগ জিলের।

    আরও পড়ুন : স্পষ্ট বচন! জয়শঙ্করের এই ‘পঞ্চবাণে’ বিদ্ধ আমেরিকা

    শেষমেশ আমেরিকার নিউইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের জেলা আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। কোম্পানির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে দায়ের করেন মামলা। আদালতের দায়ের করা অভিযোগপত্রে ইনফোসিসের (Infosys) প্রাক্তন আধিকারিক জিল জানান, ২০১৮ সালে ইনফোসিসে কাজে যোগ দেন তিনি। পরে সংস্থার বেআইনি নিয়মনীতি দেখে হতবম্ব হয়ে যান তিনি। চাকরিতে যোগদানের মাস দুয়েকের মধ্যেই সংস্থার এই নীতি বদলানোর চেষ্টা করেন তিনি। জিলের অভিযোগ, এর পরেই কর্মক্ষেত্রে তাঁর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। পরে খোয়া যায় চাকরি। জিলের আরও অভিযোগ, নিউইয়র্কের মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইনফোসিসের (Infosys) বিরুদ্ধে আমেরিকায় নিয়োগে বৈষম্যের অভিযোগ উঠল। ঘটনার জেরে ইনফোসিসের প্রতিক্রিয়া পেতে চেষ্টা করেছিল বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। যদিও কোম্পানির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বলে দাবি সংবাদ মাধ্যমের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nobel Peace Prize 2022: নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী আলেস বিলিয়াতস্কি ও রাশিয়া-ইউক্রেনের সংগঠন

    Nobel Peace Prize 2022: নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী আলেস বিলিয়াতস্কি ও রাশিয়া-ইউক্রেনের সংগঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবছর কাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার (Nobel Peace Prize 2022) দেওয়া হবে, তাঁর নাম ঘোষণা করা হল। এবার যৌথভাবে এই পুরস্কার পেয়েছেন বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী তথা আইনজীবী আলেস বিলিয়াতস্কি (Ales Bialiatski), রাশিয়ান মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল (Russian Human Rights organization Memorial) এবং ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস (Center for Civil Liberties)। এবার ব্যক্তিদের সঙ্গে সংস্থাকেও শান্তি প্রচারে প্রচেষ্টার জন্য এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। শুক্রবার নোবেল কমিটির তরফ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে।

    নাম ঘোষণা করতে গিয়ে এদিন নোবেল কমিটির তরফে বলা হয়েছে, “এই তিন পুরস্কার প্রাপক বিশ্বের দরবারে তাঁদের দেশের সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরেছেন। ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন করার অধিকারকে বারবার সমর্থন করেছেন এই তিন প্রাপক। সেই সঙ্গে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষিত করতেও লাগাতার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তাঁরা। যুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষের দুর্দশার কথা যথাযথভাবে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন। শান্তি ও গণতন্ত্র রক্ষায় সাধারণ মানুষের ভূমিকা অনস্বীকার্য, সেই বিষয়টি বারবার তুলে ধরেছেন তাঁরা।”

    আলেস বিলিয়াতস্কি বেলারুশে গণতন্ত্র আন্দোলনের অন্যতম সূচনাকারী ছিলেন। গণতন্ত্রের প্রচার, শান্তিপূর্ণ উন্নয়নে তিনি তাঁর সারা জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। যার জন্য তাঁকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থা ‘সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস’ ইউক্রেনে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। ইউক্রেনের নাগরিক সমাজকে শক্তিশালী করতে এই সংগঠনের অবদান অপরিসীম। ইউক্রেনকে একটি পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্রে পরিণত করার জন্য কাজও করে চলেছে এই সংগঠন। আবার নোবেল শান্তি পুরস্কারে বিজয়ী হয়েছে রাশিয়ার মানবাধিকার সংস্থাও। মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল ১৯৮৭ সালে প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের মানবাধিকার কর্মীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। ফলে এই মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠন দুটি নিজ নিজ দেশে বহু বছর ধরে ক্ষমতার সমালোচনা করার অধিকার এবং দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার প্রচার করার পাশাপাশি দেশের শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে চলেছে।

  • Economic Growth: অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ভাল, স্বীকার করল আইএমএফ

    Economic Growth: অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ভাল, স্বীকার করল আইএমএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রশংসার পালক ভারতের (India) মাথায়! ভারত যে ক্রমেই এগিয়ে চলেছে তা স্বীকার করল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারও (IMF)। মঙ্গলবার তারা জানিয়েছে, আর্থিক বৃদ্ধির (Economic Growth) ক্ষেত্রে প্রত্যেকে যখন পিছিয়ে পড়ছে, ভারত তখনও থমকে দাঁড়ায়নি। বরং এই দেশ উন্নতি করছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হারও ভাল। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের ডিরেক্টর অফ এশিয়া প্যাসিফিক ডিপার্টমেন্টে কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন বলেন, এই মুহুর্তে গোটা বিশ্বের দিকে তাকান। দেখুন, সমস্যায় ভুগছে নানা দেশ। তিনি বলেন, মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো এর সঙ্গে রয়েছে আর্থিক বৃদ্ধির হার। এর পরেই কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে আর্থিক বৃদ্ধির হার অত্যন্ত ধীর গতি সম্পন্ন। অথচ মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে চড়চড়িয়ে।

    একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন বলেন, বিশ্বের ৩ ভাগের এক ভাগ দেশ চলতি বছর কিংবা আগামী বছর আর্থিক মন্দার কবলে পড়বে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে। ফলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, বিশ্বের প্রায় সব দেশের আর্থিক বৃদ্ধির (Economic Growth) হার ধীর গতি সম্পন্ন। তার তুলনায় ভারত ভালো করছে। এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় তার আর্থিক বৃদ্ধির হাল ভালও। এদিন ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক আউটলুক প্রজেক্ট প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার। তাতে দেখা যায়, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৮ শতাংশ। গত বছর তা ছিল ৮.৭ শতাংশ।

    অর্থনীতিতে ভারত যে ক্রমেই এগিয়ে চলেছে তার অতি সাম্প্রতিক প্রমাণ মিলেছে অন্যত্রও। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় ভারতের স্থান হয়েছে পাঁচে। আগে দীর্ঘ দিন এই জায়গাটা দখল করেছিল ব্রিটেন। ব্রিটেনকে হারিয়ে ওই জায়গা দখল করেছে ভারত। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, আগামী পাঁচ ছ বছরের মধ্যেই ভারত উঠে আসবে ওই তালিকার তিন নম্বরে। সেক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে তথাকথিত অন্য কোনও বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। কিছু দিন আগে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করও ভারতের এই সম্ভাব্য উত্থানের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছিলেন।  

     

     

  • Cruise Missile: পরপর ৮৪টি মিসাইল হানা রাশিয়ার! ইউক্রেনকে উন্নত এয়ার ডিফেন্স দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাইডেনের

    Cruise Missile: পরপর ৮৪টি মিসাইল হানা রাশিয়ার! ইউক্রেনকে উন্নত এয়ার ডিফেন্স দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাইডেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিমিয়ায় (Crimea) ব্রিজ ভাঙার পর থেকেই আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে পড়েছে রাশিয়া (Russia)। ইউক্রেনের (Ukraine) রাজধানী কিয়েভে ব্যাপক হামলা চালায় রাশিয়া। ইউক্রেনের তরফে জানানো হয়েছে, গতকাল সকাল থেকেই পরপর মোট ৮৪ টি মিসাইল নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া। আর এই হামলায় মোট প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন আর আহত হয়েছেন ১২ জনেরও বেশি। অন্যদিকে রাশিয়ার এই হামলার পরই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) ইউক্রেনকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে ও উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

    গতকাল ইউক্রেনের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির পর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেন। এর পাশাপাশি হোয়াইট হাউস থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “উন্নত এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সহ আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।“ বাইডেন এই হামলায় নিহত ও আহতদের প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন। ক্রিমিয়ার ব্রিজ ভেঙে পড়ায় রাশিয়ার এই পদক্ষেপকে প্রতিশোধ হিসেবেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে পুরো ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।

    আরও পড়ুন: ক্রিমিয়ার সেতু রাশিয়ার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? এর পিছনের আসল ঘটনা জানেন কি?

    ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিগালের মতে, এই হামলার ফলে আটটি অঞ্চল এবং কিয়েভ জুড়ে ১১টি “গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো সুবিধা” ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, পরপর হামলা চালানোর পর এই বোঝা যাচ্ছে যে, ইউক্রেনীয় বাহিনীর সাম্প্রতিক সাফল্যের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধক্ষেত্রে জয়ের জন্য কতটা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের দাবি, রাশিয়া ইরানিয়ান ড্রোন ব্যবহার করেছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী ফেসবুকে এক বিবৃতিতে বলেছে, “বেলারুশ থেকে শুরু করা হামলায় শত্রুরা ইরানী শাহেদ-১৩৬ ইউএভি ব্যবহার করছে।

    প্রসঙ্গত, শনিবারই রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়ায় ব্রিজের ওপর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ওই ব্রিজ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একমাত্র সংযোগকারী ব্রিজ। রাশিয়ার অভিযোগ ছিল, এই বিস্ফোরণ ইউক্রেনই ঘটিয়েছে। যার জেরে সেই দেশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে রাশিয়া। আর তারপর থেকেই দফায় দফায় ইউক্রেনের বড় শহরগুলিতে টার্গেট করে হামলা শুরু করে রাশিয়া।

  • Xi Jinping: গদি বাঁচাতে হংকং, তাইওয়ানের পর এবার গলওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং!

    Xi Jinping: গদি বাঁচাতে হংকং, তাইওয়ানের পর এবার গলওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদি বাঁচাতে খেলেছিলেন হংকং তাস। প্লে করেছিলেন তাইওয়ান তাসও। এবার চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping) সরাসরি খেলে দিলেন ইন্দো-চিন বর্ডারের গলওয়ান (galwan) সংঘর্ষ তাস! রবিবার চিনা কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসে (CPC) গলওয়ান কার্ড প্লে করেন চিনের সর্বাধিনায়ক শি জিনপিং। এদিন তিনি বলেন, চিনা সেনা সব সময় ট্রেনিংয়ের মধ্যে থাকে। প্রস্তুত থাকে যুদ্ধের জন্য। জয়ের খিদেও তাদের রয়েছে। প্রসঙ্গত, সাতদিন ধরে চলবে এই পার্টি কংগ্রেস। প্রতি পাঁচ বছরে একবার বসে কংগ্রেসের এই অধিবেশন।

    শি জিনপিং (Xi Jinping) সে দেশের মিলিটারিকে একটি স্পেশাল সেকশন উৎসর্গ করেছেন। নাম অ্যাচিভিং দ্য সেন্ট্রাল গোল অফ দ্য পিএলএ অ্যান্ড ফার্দার মর্ডানাইজেশন ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড মিলিটারি। ৬৩ পাতার রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ডের জেরে ২০২০ সালের মে মাস থেকে চিন-ভারত (India) সীমান্তে বিশেষ করে পূর্ব লাদাখে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনার ছাপ পড়ছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। দুই দেশের মধ্যে ১৬ দফা বৈঠক হয়। অমীমাংসিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার জন্য সম্মত হয় দুই দেশই। এদিন অবশ্য বিশেষ কোনও দেশের নাম করেননি শি জিনপিং। তবে এদিন পার্টি কংগ্রেসে উপস্থিত ছিলেন চিনা মিলিটারির কমান্ডার কুই ফাবাও। গলওয়ান উপত্যকা সংঘর্ষের সময় জখম হয়েছিলেন তিনি। চিনের সর্বাধিনায়ক বলেন, আমাদের জনগণের সশস্ত্র বাহিনী যাতে যুদ্ধ করতে পারে এবং জয়ী হতে পারে, তা দেখার জন্য আমরা সৈন্যদের প্রশিক্ষণ আরও জোরদার করব। বাড়াব যুদ্ধের প্রস্তুতিও।

    আরও পড়ুন: পার্টি কংগ্রেসে হংকং, তাইওয়ান তাস খেললেন শি জিনপিং, কেন জানেন?

    মনে রাখতে হবে, শি জিনপিং কেবল দেশের প্রেসিডেন্টই নন, তিনি সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের সামগ্রিক হাইকমান্ডেরও প্রধান। তিনি বলেন, কৌশলগত প্রতিরোধের একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা আমরা গড়ে তুলব। বাড়াব কমব্যাট ক্ষমতা, মানুষ ছাড়া, বুদ্ধিমান কমব্যাট ক্ষমতাও বাড়াব। নেটওয়ার্ক ইনফর্মেশন সিস্টেমকেও আরও উন্নত করব। প্রসঙ্গত, চিনা প্রেসিডেন্টের ওপর বেজায় ক্ষিপ্ত দেশবাসীর একটা বড় অংশ। পার্টি কংগ্রেসের আগে তাঁকে বিশ্বাসঘাতক একনায়কতন্ত্র দেগে দিয়ে ব্যানার পড়েছিল দেশের বিভিন্ন অংশে। কূটনৈতিক মহলের মতে, জনরোষের সেই আগুনে জল ঢালতেই হংকং, তাইওয়ানের পর এবং গলওয়ান তাস খেললেন শি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Shehbaz Sharif: বাইডেনের “বিপজ্জনক দেশ” মন্তব্যে কী বলছে পাকিস্তান?

    Shehbaz Sharif: বাইডেনের “বিপজ্জনক দেশ” মন্তব্যে কী বলছে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই তোপ দেগেছিলেন মর্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। তার পর চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দিল পাকিস্তান (Pakistan)। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) রবিবার বাইডেনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দাবি করেন, তাঁর মন্তব্য তথ্যগতভাবে ভুল এবং বিভ্রান্তিকর। এদিন সাংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) বলেন, গত কয়েক দশক ধরে পাকিস্তান প্রমাণ করেছে যে সে সব চেয়ে দায়িত্বশীল পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র। যাবতীয় পারমাণবিক কর্মসূচি পালিত হয় উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে। পুরো বিষয়টি ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কর্মসূচি পালনের সময় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার যাবতীয় ব্যবস্থাও করা হয়।

    শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার বন্ধুত্বের একটা দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। পারস্পরিক সাহায্যের সম্পর্ক রয়েছে। যখন গোটা বিশ্ব নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তখন অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য এড়িয়ে মার্কিন-পাক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা প্রয়োজন। আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে আমরা চাই আমেরিকা আমাদের সহযোগিতা করুক। শনিবার লস অ্যাঞ্জেলেসে ডেমক্রেটিক কংগ্রেসনার ক্যাম্পেন কমিটির রিসেপশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তখন তিনি বলেন, পাকিস্তান বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক দেশ। উপযুক্ত সুরক্ষা ছাড়াই পরমাণু অস্ত্র রেখেছে। এদিন তারই প্রতিক্রিয়া দিল পাকিস্তান।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তান বিশ্বের বিপজ্জনক দেশগুলির একটি, মার্কিন তোপে বেকায়দায় ইসলামাবাদ

    বাইডেন বলেন, এই লোকটি (শি জিনপিং) যিনি বোঝেন তিনি কী চান, কিন্তু তাঁর সামনে রয়েছে সমস্যার পাহাড়। আমরা কীভাবে সেটা হ্যান্ডেল করব? রাশিয়ায় বর্তমানে যা চলছে, তাই বা হ্যান্ডেল করব কীভাবে? এর পরেই পাকিস্তানকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, আমি মনে করি, বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক একটি দেশ হল পাকিস্তান। যারা সুরক্ষা ছাড়াই রেখেছে পারমাণবিক অস্ত্র। সম্প্রতি পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমানের সরঞ্জাম সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছিল আমেরিকা। তখন পাকিস্তানের হয়ে সাফাই দিতে গিয়ে মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, খুব স্পষ্ট করে বলতে গেলে পাকিস্তানের কাছে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান। এগুলি পুরানো প্লেন এবং সিস্টেম, যা ইতিমধ্যেই তাদের কাছে রয়েছে। আমরা এই বহরের রক্ষণাবেক্ষণ ও টিকিয়ে রাখার জন্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করি। তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল ভারত। তার জেরেই শনিবার বাইডেন পাকিস্তানকে নিশানা করেন বলে ধারণা কূটনৈতিক মহলের একাংশের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share