Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Anti-Hijab Protests: হিজাব-বিরোধী আন্দোলনে সামিল হওয়ায় যুবককে ফাঁসি! ফের সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ ইরানে

    Anti-Hijab Protests: হিজাব-বিরোধী আন্দোলনে সামিল হওয়ায় যুবককে ফাঁসি! ফের সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ ইরানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিজাব বিরোধী আন্দোলনে (Anti Hijab Protest) অংশ নেওয়ার ‘অপরাধে’ এই প্রথম প্রতিবাদীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ কার্যকর করল ইরানের (Iran) প্রশাসন। সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার ‘অপরাধে’ বৃহস্পতিবার ২৩ বছর বয়সি যুবক মহসিন শেকারিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বলে জানায় তেহরান প্রশাসন।

    যুবককের ফাঁসি,আরও ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড

    সেপ্টেম্বর থেকে ইরান অশান্ত। গত কয়েকমাস ধরেই মাশা আমিনি কাণ্ডে উত্তাল ইরান। হিজাব বিরোধী আন্দোলনে (Anti Hijab Protest) অংশ নেওয়ার জন্য মহসিন শেকারি নামে এক যুবককে বৃহস্পতিবার ফাঁসি দিল ইরান সরকার। সেদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলির দাবি, বিচার প্রক্রিয়া ছাড়াই মহসিনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ইরানের আদালতের দাবি, ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছেন ওই ব্যক্তি। সেই জন্যই তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ফিরছে তালিবানি বর্বরতা? আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে শূলে চড়ানো হল এক ব্যক্তিকে

    মহসিনের বিরুদ্ধে ইরান পুলিশের অভিযোগ– তিনি রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, শুধু তাই নয়, এক প্যারামিলিটারি কর্মীকে আহত করেছেন। কিন্তু, মহসিন শেকারিই শেষ বা একমাত্র নন, বরং তাঁকে দিয়েই হয়তো শুরু হল। এহেন ঘটনায় শঙ্কিত ইরানের মানবাধিকার সংগঠনগুলি। তাঁদের মতে, এবার প্রত্যেকদিন হিজাব বিরোধীদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ কার্যকর করতে শুরু করবে ইরানের প্রশাসন। অবিলম্বে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ না হলে ইরানের দমননীতি আরও বাড়বে বলেই তাঁদের অনুমান। ইরান সরকার অন্তত পক্ষে আরও ১০-১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেবে। এর আগে ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম হোসেন মোহসেনি-ইজেই জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক অতীতে গণ-বিক্ষোভের ঘটনায় যেসব বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল সেইগুলি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ‘দ্রুত কার্যকর করা হবে’। 

    নতুন করে অশান্তি

    হিজাব-বিরোধী আন্দোলনে (Anti Hijab Protest) অংশগ্রহণের জন্য মহসিনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরে নতুন করে অশান্তি ছড়াল ইরানে। রাজধানী তেহরান-সহ সে দেশের কয়েকটি শহরে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভকারীদের সমাবেশ। তেহরানের সাত্তার খান স্ট্রিটে রাস্তা অবরোধ শুরু হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। দেশে বিক্ষোভের আঁচ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। প্রচুর সংখ্যক আন্দোলনকারীদের কারাদণ্ডের সাজাও দেওয়া হয়েছে। বিচারব্যবস্থাকে কার্যত প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই আন্দোলনকারীদের দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া হচ্ছে। ১২০০ ছাত্রকে বিষ খাইয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • King Charles: ব্রিটেন রাজা তৃতীয় চার্লসের গুরুদ্বার পরিদর্শন, মেঝেতে বসেই করলেন প্রার্থনা

    King Charles: ব্রিটেন রাজা তৃতীয় চার্লসের গুরুদ্বার পরিদর্শন, মেঝেতে বসেই করলেন প্রার্থনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজা হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বহু মানুষের রোষের মুখে পড়েছেন তিনি। তবে তিনি কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে গোটা ব্রিটেন জুড়ে সফর করছেন নতুন রাজা তৃতীয় চার্লস (King Charles)। সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে, এর আগে একাধিকবার সাধারণ মানুষের রোষের মুখে পড়েছেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস। কিন্তু এবারে তাঁকে এক অন্য রূপেই দেখা গেল, তাও আবার একটি গুরুদ্বারে। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের নয়া রাজা চার্লস ইংল্যান্ডের লুটনের একটি গুরুদ্বার পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি সেখানকার সম্প্রদায়ের নেতা, স্বেচ্ছাসেবক এবং ছাত্রদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তাঁর আসাতে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছিল গুরুদ্বারে উপস্থিত ভক্তরা।

    ব্রিটেন রাজার গুরুদ্বার পরিদর্শন

    মঙ্গলবার ব্রিটেন ভ্রমণ করতে গিয়ে প্রথমে যান পূর্ব ইংল্যান্ডের বেডফোর্ডশায়ারের লুটনে। লন্ডন থেকে সামান্য দূরে এই লুটন নামক শহর, যেখানে তিনি (King Charles) জনসংযোগ করছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি পৌঁছে যান এক গুরুদ্বারে। লুটনে সেই নবনির্মিত গুরুদ্বারে প্রণাম করেন এবং ভক্তদের সঙ্গে মিশে যান তিনি। ইউনিয়ন জ্যাক এবং ‘নিশান সাহেব’-এর শিখ পতাকা ধরে তাঁকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন ধর্মের শিশুরা উপস্থিত ছিল। সূত্রের খবর সেদিন কিং চার্লসকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত অধ্যাপক গুরচ রনধাওয়া, স্থানীয় শিখ ধর্মসভার সদস্য এবং বেডফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অভ্যর্থনা জানান।

    শিখ ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান জানাতে রাজা চার্লস (King Charles) প্রার্থনা করার সময় তাঁর মাথায় একটি রুমাল পরেছিলেন এবং প্রার্থনা করার সময়ে তাঁকে মেঝেতে বসেই শিখ উপাসকদের সঙ্গে যোগ দিতে দেখা যায়। এমনকি গুরুদ্বারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলার সময় কিং চার্লসকে ‘নমস্তে’ বলতেও দেখা যায়। এরপর তিনি গুরুদ্বারের লঙ্গর পরিদর্শনেও গিয়েছিলেন এবং সেখানকার লোকেদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

    [insta]https://www.instagram.com/p/Cl1pKZaMOoP/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    উল্লেখ্য, এই গুরুদ্বারের নির্মাণ কাজ ২০২০ সালে শুরু হয়েছিল এবং এই গুরুদ্বারের লঙ্গন থেকে প্রতিদিন ৫০০ জনকে খাবার পরিবেশন করা হয়। আবার এক স্থানীয় সম্প্রদায় টাউন হলের বাইরে প্রতি রবিবার লুটন শিখ স্যুপ কিচেন পরিচালনা করে ও এখান থেকে প্রায় ১৫০ টি খাবার পরিবেশন করা হয়।

  • Taliban Horror: ফিরছে তালিবানি বর্বরতা?  আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে শূলে চড়ানো হল এক ব্যক্তিকে

    Taliban Horror: ফিরছে তালিবানি বর্বরতা? আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে শূলে চড়ানো হল এক ব্যক্তিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় বার আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর তালিবানরা (Taliban Horror) দাবি করেছিল, আগের থেকে অনেকটাই বদল হয়েছে তাদের চিন্তা ভাবনায়। এবারের তালিবান সরকার হবে জনসাধারণের জন্যে। তবে ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যেই ফিরে এল সেই ৯০- এর দশকের তালিবানি বিভীষিকা। আফগানিস্তানে এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দিল তালিবান সরকার। বুধবার তালিবানের তরফে সরকারিভাবে ওই মৃত্যুদণ্ডের কথা জানানো হয়েছে। তালিবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, “ওই ব্যক্তির নাম তাজমির। ২০১৭-য় এক ব্যক্তিকে খুন করে সে। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।” আফগানিস্তানের পশ্চিম প্রান্তের ফারাহ অঞ্চলে প্রকাশ্যে ওই ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিরাজুদ্দিন হাক্কানি, উপ প্রধানমন্ত্রী আব্দুল ঘানি বরাদর, এছাড়াও আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিও।। ওয়াকিবহাল মনে করছে,  তালিবানরা যে শরিয়া আইন থেকে সরে আসেনি, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সেই বার্তাই দেওয়া হল। কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে চাবুক মারার অভিযোগ উঠেছিল তালিবানদের বিরুদ্ধে। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল। 

    জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ (Taliban Horror) আরও বলেন, “অনেক ভেবেচিন্তেই মৃত্যুদণ্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ তিনটি আদালত এই শাস্তির ব্যাপারে পর্যালোচনা করেছে। শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা হাবায়তুল্লা আখুনজাদা। তিনিই প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ডের সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত সিলমোহর দেন।” 

    আরও পড়ুন: কার দখলে গুজরাট, হিমাচল? আজ দুই রাজ্যে ভোট গণনা

    প্রসঙ্গত, মৃত্যুদণ্ডের সাজা যাকে দেওয়া হয়েছে তাঁর নাম তাজিমুর। তিনি আফগানিস্তানের হেরাটের বাসিন্দা। মুস্তাফা নামের এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে তাঁর জেলের সাজা হয়েছিল। খুন ছাড়াও মোবাইল ফোন এবং মোটর বাইক চুরির অভিযোগ ছিল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। 

    মুজাহিদের দাবি, খুনের পর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। কবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। উল্লেখ্য, নয়ের দশকেও একই ভাবে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের বিধান দিত তালিবানরা (Taliban Horror)। ফাঁসি ছাড়াও পাথর ছুড়ে মারার সাজারও প্রচলন ছিল।  

    আরও একবার বেলাগাম তালিবান 

    প্রসঙ্গত, আমেরিকার আফগানিস্তান আক্রমণের পর ক্ষমতা হারায় তালিবানরা (Taliban Horror)। প্রায় ২০ বছর পর ২০২১-র অগাস্টে ফের আফগানিস্তানের মসনদ দখল করে তারা। এবার ক্ষমতায় আসার পর মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালিবান সরকার। নরম পন্থায় সরকার চালানোর দাবিও করেছিল তারা। কিন্তু কথা রাখেনি তালিবানরা। ক্ষমতা দখলের পর বারবার তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। একের পর এক কড়া নিয়ম চাপানো হচ্ছে এবং তা ভঙ্গ হলেই কঠোর শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। চুরির মতো ছোট অপরাধ থেকে শুরু করে অবৈধ সম্পর্কের জন্য মহিলা ও পুরুষদের প্রকাশ্যে চাবুক মারার মতো ভয়ঙ্কর শাস্তিও দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান সরকার। এছাড়া মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পোশাক বিধি চালু করেছে তারা। যা নিয়ে প্রকাশ্যে বেশ কিছু জায়গায় প্রতিবাদও করতে দেখা গিয়েছে আফগান মহিলাদের। সম্প্রতিই রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার বিভাগের তরফেও আফগান সরকারকে জনসমক্ষে নাগরিকদের মারধর ও শাস্তি দেওয়া বন্ধ করার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তাতে যে আদেও কোনও লাভ হয়নি তার প্রমাণ এই মৃত্যুদণ্ডই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • INR: উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় ভারতের অর্থ ব্যবস্থা মজবুত! জানাল বিশ্ব ব্যাঙ্ক

    INR: উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় ভারতের অর্থ ব্যবস্থা মজবুত! জানাল বিশ্ব ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে রয়েছে মন্দার অশনি সংকেত। তার জেরে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়িয়ে চলেছে। পাশাপাশি কমছে মুদ্রার দর। সাঁড়াশি আক্রমণে নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম অর্থ ব্যাবস্থার। চলতি বছরে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার দরে ক্রমশ পতন হচ্ছে। সেই তুলনায় ভারতীয় টাকার পতন কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের অর্থনীতিবিদ ধ্রুব শর্মা। তিনি বলেছেন, “এবছর ভারতীয় টাকার দর কমেছে ১০ শতাংশ। শুনে মনে হবে অনেক বড় সংখ্যা। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলির সঙ্গে বিচার করলে দেখা যাবে তুলনায় ভারতীয় মুদ্রার পতন কম হয়েছে।

    ভারতীয় অর্থনীতির শক্ত ভিত

    উল্লেখ্য, টাকার সবচেয়ে বড় পতন হয়েছে চলতি বছরে। অক্টোবরে যা ৮৩ টাকা টপকে গিয়েছিল ডলারের বিনিময় মূল্যের নিরিখে। এখন টাকার দর ৮২-৮২.৫০- র মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেড নিয়মিত সুদের হার বাড়ানোর জন্যই টাকার দর পড়েছে। আসলে আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতির দর আকাশ ছোঁয়া। তার ফলে মন্দার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতেই ক্রমশ সুদের হার বাড়িয়ে চলেছে ফেড। যার প্রভাব পড়ছে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে।

    আরও পড়ুন: শুরু সংসদের শীতকালীন অধিবেশন, ১৬ বিল পেশ করবে কেন্দ্র, কোনগুলি জানেন?

    মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘ইন্ডিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট’-এর পূর্বাভাস— চলতি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৯ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। গত অক্টোবরে প্রকাশিত রিপোর্টে যা ৬.৫ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে ধ্রুব শর্মা বলেছেন, “গত দশ বছরে ভারতীয় অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী হয়েছে। গত এক দশকের বিভিন্ন আর্থিক পদক্ষেপ ভারতকে বিশ্ব অর্থনীতির প্রথম সারিতে নিয়ে এসেছে। বিদেশি নির্ভরতা কমেছে। করোনা কালে যে ধাক্কা নেগেছিল, তা কাটিয়ে উঠেছে ভারত। অন্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় ভারতের অর্থ ব্যাবস্থা মজবুত। অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধিতে যাবতীয় ধাক্কা সামলে উঠতে সফল ভারতীয় অর্থনীতি।”

     

     

     

  • Israel attacks Gaza: গাজায় বোমা হামলা চালাল ইসরায়েল

    Israel attacks Gaza: গাজায় বোমা হামলা চালাল ইসরায়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় রবিবার বোমা নিক্ষেপ করল ইসরায়েল সেনা (Israel attacks Gaza)। শনিবার গাজা থেকে ইসরায়েলে একটি রকেট নিক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালায় ইসরায়েল। 

    সংবাদ সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, ইসরায়েল (Israel attacks Gaza) সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, রবিবার ভোরে হামাসের একটি অস্ত্র তৈরির কারখানা এবং ভূগর্ভস্থ একটি সুড়ঙ্গ লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের জালে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখ, কোথায় ধরা পড়ল জানেন? 

    শনিবার ইসরায়েলের (Israel attacks Gaza) মাটিতে এক মাসের মধ্যে প্রথম রকেট আক্রমণ হয়েছে। যদিও এখন অবধি কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ছোড়া রকেটটি শনিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলের সীমানার কাছে একটি খোলা জায়গায় অবতরণ করেছে। তবে এতে কোনও হতাহত বা কোনও সম্পত্তি নষ্ট হয়নি।

    ইসরায়েল সেনার হাতে ফিলিস্তিনি নাগরিকের মৃত্যু 

    এর আগে শুক্রবার ২৩ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি যুবক, আম্মার মুফলেহকে পয়েন্ট-ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করে হত্যা করেন একজন ইসরায়েলি (Israel attacks Gaza) সেনা। এ নিয়ে, গত সপ্তাহ থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে অন্তত ১০ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।   

    ফিলিস্তিনি বিদেশমন্ত্রক মুফলেহের গুলিকে ‘মৃত্যুদণ্ডের’ সমান বলে নিন্দা করেছে। ফিলিস্তিনিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় আরবি ভাষায় হ্যাশট্যাগ “হুওয়ারা এক্সিকিউশন” ব্যবহার করে ইসরায়েলি সেনার (Israel attacks Gaza) অন্যায়ের জবাব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।  

    এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশ নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছেন, “অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতার ক্রমবর্ধমান মাত্রা নিয়ে আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।” 

    বোরেল আরও বলেন, “গত সপতাহে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গতকালের ইসরায়েলি (Israel attacks Gaza) নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে ফিলিস্তিনি ব্যক্তি আম্মার মিফলেহের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ছিল তার সর্বশেষ উদাহরণ। এই বিষয়গুলির অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিৎ এবং ইসরায়েলকে জবাবদিহি করতে হবে।” 

    প্রসঙ্গত, গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের অধিকৃত অঞ্চলে ইসরায়েলি (Israel attacks Gaza) নিরাপত্তা বাহিনী হাতে চলতি বছর এ পর্যন্ত অন্তত ২০৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামাস ২০২১ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে ১১ দিনের যুদ্ধ চালিয়েছিল। এতে ২৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিকের মৃত্যু হয়। ফলে উপত্যকার পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে যায়। মিশরের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি নেয় সেই সময়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     
      

  • Emmanuel Macron: ‘‘আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস কর…’’ কেন বললেন মাক্রঁর, জানেন?

    Emmanuel Macron: ‘‘আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস কর…’’ কেন বললেন মাক্রঁর, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর জি ২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত (India)। আগামী বছর ভারতে হবে ওই সম্মেলন। ভারতের এই প্রাপ্তিকে সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এবার সেই মোদিকেই আমার বন্ধু বলে উল্লেখ করলেন ফান্সের (France) প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। রবিবার তিনি বলেন, আমি আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস করি আমাদের এক জায়গায় নিয়ে আসার জন্য।

    মাক্রঁ বলেন…

    ট্যুইট বার্তায় মাক্রঁ বলেন, এক পৃথিবী। এক পরিবার। এক ভবিষ্যৎ। ভারত জি ২০ সম্মলনে আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে। এর পরেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট লেখেন, আমি আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস করি শান্তি এবং স্থায়ী পৃথিবী রক্ষায় তিনি আমাদের এক জায়গায় নিয়ে এসেছেন বলে।

    চলতি বছরের নভেম্বরের ১৫ তারিখে জি ২০ সম্মেলনের আসর বসেছিল ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। ওই সম্মেলনে যোগ দেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই সম্মেলনেই আগামী বছর জি ২০ সম্মেলনের আয়োজনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ভারতের হাতে। সেই মতো ডিসেম্বরের এক তারিখেই ভারত অফিসিয়ালি ওই দায়িত্ব নিয়েছে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নয়াদিল্লিতে বসবে জি ২০ সম্মেলনের আসর। দু দিনের ওই সম্মেলন শুরু হবে ৯ তারিখে।

    আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কেন্দ্র, যোগ দেবেন মমতা?

    জি ২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশের দায়িত্ব পাওয়ায় বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, আমাদের দেশ একের মন্ত্র শোনাবে। আমাদের থিম, এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ। তিনি সন্ত্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অতিমারিকেই আগামী  বিশ্বের বড় চ্যালেঞ্জ বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, এই তিনের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়তে হবে। প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, বিশ্বে যাতে সাসটেনেবল লাইফস্টাইল, খাদ্য সরবরাহ, সার এবং মেডিক্যাল প্রোডাক্ট নিয়ে রাজনীতি না হয়, সে ব্যাপারে উদ্যোগী হবে ভারত।

    প্রসঙ্গত, জি ২০-র (G 20 Summit) সদস্য দেশগুলি হল, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, জাপান, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Mobile Phone ban: আমেরিকার স্কুলে নিষিদ্ধ মোবাইল, কেন জানেন?

    Mobile Phone ban: আমেরিকার স্কুলে নিষিদ্ধ মোবাইল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (US) স্কুলে নিষিদ্ধ মোবাইল ফোনের ব্যবহার (Mobile Phone ban)। সে দেশে ম্যাসাচুসেটসের বাক্সটন হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ এই নির্দেশিকা জারি করেছে। স্কুলটি ১১৪ একর এলাকা জুড়ে। এই অতিকায় ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক কিংবা স্কুলের স্টাফেরাও মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। এই নিষেধাজ্ঞা জারির ফলও মিলেছে হাতেনাতে। জানা গিয়েছে, আগের চেয়ে এখন ঢের বেশি উন্নতি হয়েছে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের (Teacher Student Relation)। পড়ুয়াদের নিজেদের মধ্যেও সম্পর্ক হয়েছে মধুর।

    মারণ ভাইরাস…

    কী কারণে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ (Mobile Phone ban) হল ওই স্কুলে? এর উত্তর পেতে গেলে ফিরে যেতে হবে বছর দুয়েক আগে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো করোনার মারণ ভাইরাস থাবা বসিয়েছিল আমেরিকায়ও। করোনা দমনে সরকার জারি করে লকডাউন। এই লকডাউন পর্বে বন্ধ ছিল অফিস-কাছারি-স্কুল কলেজ। তবে পড়ুয়াদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তাই অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করেছিল স্কুলগুলি। তার পরেই দেখা দিয়েছে বিপদ। হয়েছে হিতে বিপরীত। অনলাইন ক্লাস করতে গিয়ে পড়ুয়াদের হাতে এসেছে মোবাইল। তার পরে ক্রমেই মোবাইল-আসক্ত হয়েছে পড়ুয়ারা। মোবাইলের সঙ্গে পড়ুয়াদের সম্পর্ক যত নিবিড় হয়েছে, ততই দূরত্ব বেড়েছে পরিবারের সঙ্গে। বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গেও তৈরি হয়েছে দূরত্ব।

    আরও পড়ুন: “যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে’, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    করোনা পর্ব অতীত হলে ওঠে লকডাউন। খোলে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। তবে তার পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ দেখেন, ছেলেমেয়েরা এতই মোবাইল-আসক্ত হয়ে পড়েছে যে ক্লাসে তারা ইন্টারঅ্যাক্ট করছে না। সে শিক্ষক হোন কিংবা সহপাঠী। অন্যান্য ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও দূরত্ব বেড়েছে। ছাত্রছাত্রীদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে এর পরেই স্কুল ক্যাম্পাসে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন ম্যাসাচুসেটসের বাক্সটন হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ।

    স্কুলের প্রধান শিক্ষক পিটার বেক বলেন, করোনার পরে যখন ক্লাস শুরু হয়েছিল, তখন আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে শিক্ষার্থীরা সারাদিন মোবাইলে ডুবে ছিল। তারা সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইল ফোনের ওপর নিষেধাজ্ঞা (Mobile Phone ban) জারি করা হয়। তার ইতিবাচক প্রভাবও দেখা দিতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, পড়ুয়ারা বদলাচ্ছে। শিক্ষক কিংবা সহপাঠীদের সঙ্গে আগের মতোই ইন্টারঅ্যাক্ট করছে। তিনি বলেন, এখন তারা অনেক বেশি সময় অ্যাকাডেমিক ওয়ার্ক এবং অন্যান্য কাজ করে সময় কাটাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gilgit Baltistan: চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডোর নিয়ে ক্ষুব্ধ গিলগিট বালতিস্তানের বাসিন্দারা

    Gilgit Baltistan: চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডোর নিয়ে ক্ষুব্ধ গিলগিট বালতিস্তানের বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (CPEC) কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে মরিয়া পাক প্রশাসন। কিন্তু পাকিস্তানের এই ক্রমাগত চেষ্টায় ক্ষুব্ধ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট বালতিস্তানের (Gilgit Baltistan) বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট করছে চিন। সম্প্রতি পাক সেনাকে গিলগিট বালতিস্তানে পাঠানো হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের সুরক্ষার অজুহাতে সেনা এলেও আদতে তাঁদের মূল কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রাকৃতিক সম্পদ শোষণে চিনকে সাহায্য করা।

    আরও পড়ুন: সন্ত্রাসে অর্থ বিনিয়োগ আটকালেই জঙ্গি-কার্যকলাপ কমে যাবে, মত অজিত ডোভালের

    কেন এই ক্ষোভ? 

    প্রাকৃতিক সম্পদের উপস্থিতি যেকোনও অঞ্চলের অগ্রগতির ক্ষেত্রে খুব বড় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু গিলগিট বালতিস্তানের (Gilgit Baltistan) ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ঠিক উল্টো। উন্নতির অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এই এলাকা বরাবরই উপেক্ষিত। এই অঞ্চলে কোটি কোটি টাকার খনিজ এবং জল সম্পদ থাকা সত্ত্বেও, প্রশাসনের উদাসীনতায় এই এলাকার বাসিন্দারা চরম দারিদ্র্যের সম্মুখীন  হয়।

    সম্প্রতি বালতিস্তানের (Gilgit Baltistan) মুখ্যমন্ত্রী খালিদ খুরশিদ খান ইসলামাবাদকে এই অঞ্চলের দুর্দশার জন্যে দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, এই অঞ্চলের অর্থ বরাদ্দ কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে। এই মুহূর্তে বালতিস্তানের জন্যে অর্থ বরাদ্দ মাত্র ২ কোটি ৩০ লক্ষ পাক মুদ্রা। তাঁর কথায়, “অঞ্চলটিকে পিছনের দিকে ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে পাক প্রশাসন।” 

    সিপিইসির ব্যানারে গিলগিট বালতিস্তানে (Gilgit Baltistan) মেগা ড্যাম, তেল ও গ্যাস পাইপলাইনের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও ইউরেনিয়াম ও ভারী ধাতু উত্তোলনের কাজও শুরু হয়েছে। এতে স্থানীয় জীবিকা এবং বাসিন্দাদের জীবনযাপনে খারাপ প্রভাব পড়ছে। উল্লেখ্য, বালতিস্তান গোটা পাকিস্তানের চাহিদার অর্ধেকেরও বেশি জল সরবরাহ করে। চিনা মেগা প্রকল্পগুলি স্থানীয় জলবায়ুর উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে, যার ফলে দূষণ বাড়ছে এবং জলজ বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। 

    এই অঞ্চলে নিযুক্ত চিনা কোম্পানিগুলি পরিবেশ নিয়ে স্থানীয়দের উদ্বেগের প্রতি একেবারের সংবেদনশীল নয়। গিলগিট বালতিস্তানের (Gilgit Baltistan) বাসিন্দাদের অভিযোগ কারাকোরাম মহাসড়কের সম্প্রসারণের জন্যে যে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ হয়েছে তার জন্যে দায়ী চিনের একটি সংস্থা চায়না রোডস অ্যান্ড ব্রিজ কর্পোরেশন। 

    এমনকি এই চিনা সংস্থাগুলি প্রাকৃতিক সম্পদ শোষণ করলেও কোনও রাজস্ব দিতে রাজি নয়। বিদেশী কোম্পানিগুলিও গিলগিট সরকারকে কর প্রদান করে না। কারণ তারা ইসলামাবাদ-ভিত্তিক ফেডারেল প্রতিষ্ঠান গিলগিট-বালতিস্তান (Gilgit Baltistan) কাউন্সিল (GBC) নামের সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করে। এই সংস্থার এই অঞ্চলের বন, জলের রিজার্ভ সম্পর্কিত আইনী বিষয়গুলির উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। গিলগিট প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ না করেই পাক সরকার বিদেশি সংস্থাগুলিকে বাণিজ্য, ট্রানজিট রুট এবং খনির লাইসেন্স প্রদান করে।

    যদিও ইসলামাবাদ বাণিজ্য ও ট্রানজিট, জলসম্পদ, ট্রফি শিকার, ইকো-ট্যুরিজম, খনিজ অনুসন্ধান এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ফেডারেল কর মিলিয়ে এই অঞ্চল থেকে বছরে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে। কিন্তু তবুও এই আয়ের কোনও বড় অংশ অঞ্চলের (Gilgit Baltistan) উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা হয় না। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

     

     

     

  • Ruchira Kamboj: ডিসেম্বরে ভারতের সভাপতিত্বে সভা, রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ রুচিরা কম্বোজের

    Ruchira Kamboj: ডিসেম্বরে ভারতের সভাপতিত্বে সভা, রাষ্ট্রসংঘ প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ রুচিরা কম্বোজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে (UN) ভারতের (India) স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ (Ruchira Kamboj) দেখা করলেন রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনিও গুতেরাসের সঙ্গে। মঙ্গলবার রুচিরা দেখা করেন গুতেরাসের সঙ্গে। রাষ্ট্রসংঘের শীর্ষ কর্তার সঙ্গে দেখা করে তিনি আলোচনা করেন কীভাবে সফল করা যাবে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ডিসেম্বরের সভা। এই সভায় সভাপতিত্ব করবে ভারত। অ্যান্টনিও গুতেরাসের সঙ্গে সাক্ষাৎকার পর্ব শেষে ট্যুইট করেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, আজ, রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনিও গুতেরাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে খুবই খুশি। তাঁর সঙ্গে প্রোগ্রাম এবং কী কী বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সভাপতিত্বে হবে বৈঠক। তা নিয়েই হয়েছে আলোচনা।

    ভারতের অবস্থান…

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারত নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। এই অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হয় দু বছরের জন্য।

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হোক ভারত, এবার দাবি ফ্রান্সের

    জানা গিয়েছে, গত বছর অগাস্টে নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের সভাপতিত্বে সভা হয়েছে রাষ্ট্রসংঘে। সেবার আলোচনার ভরকেন্দ্র ছিল সামুদ্রিক নিরাপত্তা, রাষ্ট্রসংঘে শান্তি রক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধিতা। গত বছর অগাস্টের পর এবার ডিসেম্বরে ফের সভাপতিত্ব করার সুযোগ এসেছে ভারতের কাছে। যে পনেরটি দেশ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য, তারা প্রত্যেকই সভাপতিত্ব করার সুযোগ পায়। সেই সুযোগ আসে অ্যালফাবেটিক্যালি। রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে রুচিরা কম্বোজের (Ruchira Kamboj) বৈঠকে জি-২০ তে ভারতের সভাপতিত্ব নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এটা ভারতের কাছে একটা বড় সুযোগ। কারণে বৈশ্বিক নানা বিষয় তুলে ধরার একটা সুযোগ মিলবে এই জি-২০তে। প্রসঙ্গত, এই জি-২০ শুরু হয়েছে আজ, বৃহস্পতবারই।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • North Korea: কোরিয়ান ড্রামা দেখায় কিমের দেশের দুই কিশোরকে দেওয়া হল মৃত্যুদণ্ড!

    North Korea: কোরিয়ান ড্রামা দেখায় কিমের দেশের দুই কিশোরকে দেওয়া হল মৃত্যুদণ্ড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রামা দেখাই কাল হয়ে আসল দুই কিশোরের জীবনে। দেওয়া হল মৃত্যুদণ্ড! কিম জং উন-কে ঘিরে বিতর্ক থাকে তুঙ্গে। এবারে তাঁর বর্বতার পরিচয় ফের পাওয়া গেল। উত্তর কোরিয়ার (North Korea) সেই স্বৈরাচারী রাষ্ট্রনেতাই এবার বিতর্কিত এক নির্দেশ দিলেন। দুই কিশোরকে মৃত্যুদণ্ড দিল কিম প্রশাসন। তাদের কী অপরাধ ছিল, তা জানলে আপনি চমকে উঠবেন। ওই দুই কিশোর কোরিয়ার ড্রামা শো দেখে ও তা অন্যদের কাছেও ছড়িয়ে দেয়। আর এতেই দেওয়া হল তাদের মৃত্যুদণ্ড। সূত্রের খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার এই কে-ড্রামা দেখা কিমের দেশে নিষিদ্ধ। তাই দেওয়া হল এই চরম শাস্তি।

    কে-ড্রামা দেখায় মৃত্যুদন্ডের শাস্তি

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই দুই কিশোরের বয়স ছিল ১৬ ও ১৭। এরা উত্তর কোরিয়ার (North Korea) হেসন শহরের বাসিন্দা। চিনের সীমান্তে অবস্থিত রায়ানগ্যাং প্রদেশের এক হাই স্কুলে পড়ত ওই দুই কিশোর। গত অক্টোবরেই দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার বেশ কিছু ড্রামা শো দেখে তারা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তাদের প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। একটি ফাঁকা প্রান্তরে দাঁড় করিয়ে গুলি করে কিমের সেনা। কিমের দেশের আইন অনুযায়ী, এই ধরনের আচরণ আসলে ‘পাপে’র শামিল। তাই কোনও রকম ছাড় নয়। আর এই ঘটনা দেখতে বাধ্য করা হয় শহরবাসীদের।

    আরও পড়ুন: সুইমিং পুল, স্পোটর্স স্টেডিয়াম, জানুন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিমের মেয়ের রাজকীয় জীবন

    এই ঘটনাটি অক্টোবরের। একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার মাধ্যমে এই খবর সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে লেখা রয়েছে যে, “দুই কিশোরকে জনসাধারণের সামনে তুলে ধরা হয় ও তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আর অবিলম্বে গুলি করে হত্যা করা হয়।” আরও লেখা রয়েছে যে, “যারা দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমা ও নাটক দেখে বা বিতরণ করে এবং যারা শৃঙ্খলা নষ্ট করে, তাদের ক্ষমা করা হবে না এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।”

    এই ঘটনাই নতুন নয়, (North Korea) কিম জন উনের অমানবিক মানসিকতার ব্যাপারে সবাই জানে। এর আগেও শোনা গিয়েছিল, দক্ষিণ কোরিয়ার গান শোনার ফলে উত্তর কোরিয়ানদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share