Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Indonesia: বিয়ের আগে সঙ্গম নিষিদ্ধ ইন্দোনেশিয়ায়! সরকারের নয়া আইন নিয়ে ক্ষোভ জনগণের

    Indonesia: বিয়ের আগে সঙ্গম নিষিদ্ধ ইন্দোনেশিয়ায়! সরকারের নয়া আইন নিয়ে ক্ষোভ জনগণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) নয়া আইনে বিয়ের আগে সঙ্গম দণ্ডনীয় অপরাধ। মঙ্গলবার এই মর্মে একটি নতুন ফৌজদারি আইন পাশ হল ইন্দোনেশিয়ার আইনসভায়। এর মাধ্যমে নেদারল্যান্ডসের অধীনে থাকাকালীন আনা বিধিতে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে৷ তিন বছরের মধ্যে নতুন এই বিধি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে৷

    নয়া আইনে যা রয়েছে

     নয়া আইন অনুযায়ী,বিয়ের আগে সঙ্গম শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই অপরাধের শাস্তি হিসাবে এক বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। নয়া এই আইন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক এবং বিদেশিদের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য বলে জানানো হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার আইন ও মানবাধিকার মন্ত্রী ইয়াসোনা লাওলি এই আইনকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছেন।  এই ধরনের আইনে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে বলে যে অভিযোগ উঠছে, তাতে কান দিতে নারাজ সরকার। এত দিন দেশে যে ফৌজদারি বিধি প্রচলিত ছিল, সেটিকে ঔপনিবেশিক বলেও কটাক্ষ করেন ইয়াসোনা লাওলি। নতুন আইনে অভিযুক্তের স্বামী, স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্মীয়রা প্রশাসনে অভিযোগ জানাতে পারবেন। শুধু সঙ্গমই নয়, এই আইনে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের একত্রবাসও নিষিদ্ধ হবে। ইন্দোনেশিয়াতে সমকামী বিবাহ নিষিদ্ধ, তাই নতুন আইন আসার পর সমকামীরাও চরম সমস্যায় পড়বেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ ম্যান মেড! উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছিল ভাইরাস, দাবি বিজ্ঞানীর

    নয়া আইনের বিরোধিতা

    বিয়ে-বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের কারণে শাস্তির বিধান পর্যটন শিল্পে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীরা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, বালিতে যাওয়া পর্যটকদের কোনও সমস্যা হবে না৷ এই আইনের একটি খসড়া ২০১৯ সালে পাস হওয়ার সময় সে দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয়। শুধু সঙ্গমই নয়, এই আইনে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের একত্রবাসও নিষিদ্ধ হবে। সব রাজনৈতিক দলের সমর্থনে আজ মঙ্গলবার আইনটি পাস হয়। ইন্দোনেশিয়ায় নতুন এ আইন এখনই কার্যকর হচ্ছে না। আইনের বিধিবিধান তৈরি করতে আরও তিন বছর লেগে যেতে পারে বলে জানা গেছে। আইনটি ব্যক্তিস্বাধীনতার উপর বড় আঘাত বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের অর্থনীতিতে নতুন এ আইনের নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Dominique Lapierre: প্রয়াত ‘সিটি অফ জয়’-এর লেখক ডমিনিক ল্যাপিয়ের

    Dominique Lapierre: প্রয়াত ‘সিটি অফ জয়’-এর লেখক ডমিনিক ল্যাপিয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত বিশ্বখ্যাত লেখক ডমিনিক ল্যাপিয়ের (Dominique Lapierre)। ইনি হলেন ‘সিটি অফ জয়’ উপন্যাসের লেখক। কলকাতা শহরের এক রিক্সাচালকের কষ্টের জীবনের কথা তুলে ধরা হয়েছিল এই বইটিতে। বার্ধক্যজনিত কারণে ৯১ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আজ, তাঁর স্ত্রী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, রবিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।

    ভারতের অনুরাগী ডমিনিক

    ভারত এবং বিশেষ করে কলকাতার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নিদারুণ। শুধু কলকাতাকে নিয়েই লেখেননি, ভারতের বড় অনুরাগীও ছিলেন এই ফরাসি লেখক। তাই তিনি কলকাতাকে তাঁর লেখনীর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে ধরেছিলেন। এই বইয়ের জন্য ২০০৮ সালে ডমিনিক ল্যাপিয়েরকে পদ্মভূষণে সম্মানিত করে ভারত সরকার। তিনি ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করলেও তাঁর ভারতের প্রতি টান ছিল অগাধ। তাঁর (Dominique Lapierre) ভারত সম্পর্কে জ্ঞানও ছিল অনেক।

    আরও পড়ুন: পাশে বসে ‘বলিউড বাদশা’, জানতেই যা কাণ্ড করে বসলেন এই হলিউড সুপারস্টার

    তিনি (Dominique Lapierre) ১৯৮৫ সালে কলকাতাকে মাথায় রেখেই বই লিখেছিলেন, যাঁর নাম ‘City of Joy’। কলকাতার এক রিক্সাচালকের জীবনের উপর ভিত্তি করেই তাঁর এই লেখা। রিক্সাচালকের প্রতিদিনের কষ্টকে তুলে ধরেছিলেন তাঁর এই বইতে। তাঁর মানবিকতারও কোনও তুলনা নেই। এই বইয়ের থেকে যা উপার্জন হয়েছে, তার বেশির ভাগটাই এ দেশের কুষ্ঠ, পোলিও, টিবি রোগীদের উদ্দেশ্যে দান করেছিলেন। উল্লেখ্য, পরে এই গল্পের উপর ভিত্তি করেই ১৯৯২ সালে একটি সিনেমাও তৈরি করা হয়েছিল।

    ডমিনিক ল্যাপিয়েরের কিছু উপন্যাস

    ডমিনিক ল্যাপিয়ের (Dominique Lapierre) জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩১ সালে, চ্যাটেইলনে। আমেরিকার লেখক ল্যারি কলিন্সের সঙ্গে তাঁর লেখা ছটি বইয়ের প্রায় ৫ কোটি কপি বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বিখ্যাত হল “ইজ প্যারিস বার্নিং?” বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে। এছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য বইগুলি হল, ‘অর আই উইল ড্রেস ইউ ই মোরিং’ (১৯৬৮), ও ‘জেরুজালেম’ (১৯৭২), ‘ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট’ (১৯৭৫), ‘দ্য ফিফথ হর্সম্যান’ (১৯৮০)। তবে তিনি না ফিরে আসার দেশে চলে গেলেও, তাঁর নানা কাজের মধ্যে দিয়ে তিনি চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Iran: পরাজয়ে উচ্ছ্বাস! বিশ্বকাপে আমেরিকার কাছে হারের পর ইরানের রাস্তায় আনন্দোৎসব! কেন?

    Iran: পরাজয়ে উচ্ছ্বাস! বিশ্বকাপে আমেরিকার কাছে হারের পর ইরানের রাস্তায় আনন্দোৎসব! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ এক অন্য উচ্ছ্বাস। ফুটবল বিশ্বযুদ্ধে দেশ হেরেছে আনন্দে ফেটে পড়লেন বহু ইরানবাসী! এমন ঘটনা ক্রীড়াজগতের ইতিহাসেই প্রায় নজিরবিহীন। প্রিয় দল হারলে কান্নায় ভেঙে পড়েন সমর্থকরা। খেলার মাঠেই ওঠে জাতীয়তাবাদের সুর। সেখানে এ যেন উল্টো রাজার দেশ। ফিফা বিশ্বকাপে আমেরিকার কাছে ইরানের পরাজয়ের পর আনন্দে ভাসলেন বহু ইরানি। ইরানের চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা। হিজাব আইনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আন্দোলনে কার্যত দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে দেশ। তার মধ্যেই, কাতার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য সাধারণ ইরানবাসীরা দলের ওপর প্রবলভাবে ক্ষুব্ধ। তাই আমেরিকার কাছে ইরানের হারের পর উল্লসিত হাজার হাজার মানুষ তেহরান সহ একাধিক শহরের রাস্তায় গাড়ির হর্ন বাজাতে থাকেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল

    রানের চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা। হিজাব আইনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আন্দোলনে কার্যত দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে দেশ। তার মধ্যেই, কাতার বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের জন্য সাধারণ ইরানবাসীরা দলের ওপর প্রবলভাবে ক্ষুব্ধ। তাই আমেরিকার কাছে ইরানের হারের পর উল্লসিত হাজার হাজার মানুষ তেহরান সহ একাধিক শহরের রাস্তায় গাড়ির হর্ন বাজাতে থাকেন।

    এই উচ্ছ্বাসযাপনের ভিডিয়ো প্রবলভাবে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে দলের হারের পর কীভাবে বাজি ফাটানো তে মেতে উঠেছেন একদল ইরানবাসী।

    সরকার বিরোধী বিক্ষোভ

    ইরানের সমর্থকদের এই উচ্ছ্বাসের পিছনে রয়েছে অন্য একটি কারণ। সেপ্টেম্বরে ২২ বছরের তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে হিজাব বিদ্রোহে অগ্নিগর্ভ ইরান। ‘নীতি পুলিশে’র বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন মুক্তকেশী তরুণীরা। হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে ইসলামের নামে মহিলাদের শিকলবন্দি করার প্রতিবাদ করছেন তাঁরা। কিন্তু থেমে নেই শাসকও। বিক্ষোভ দমনে কড়া পদক্ষেপ করছে প্রশাসন। উল্লেখ্য, মহিলাদের জন্য কঠোর পোশাকবিধি রয়েছে ইরানে। ওই আইনে বয়স সাত বছরের বেশি হলে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। নির্দিষ্ট নিয়মে পরতে হয় হিজাব। ‘নীতি পুলিশের’ দল হিজাব বিধি সঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছে কি না, তা তদারকি করে থাকে। সেই বিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের নীতি পুলিশির মারে মৃত্যু হয় তরুণী মাশা আমিনির। তারপর থেকেই দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদী মিছিল।

    আরও পড়ুন: যুবরাজের উপহার! মেসিদের হারিয়ে মূল্যবান গাড়ি পেলেন সৌদি ফুটবলাররা

    ইরান সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ফুটবলাররাও। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খেলা শুরুর আগে জাতীয় সংগীত (Iran National Anthem) গাইতেও  অস্বীকার করেছিল ইরানের ফুটবলাররা।  যদিও পরে সরকারের চাপে তাঁরা সবকিছু মেনে নেন। দল হেরে যাওয়ায় সরকার আর খেলার মাঠকে ব্যবহার করতে পারবে না এই আনন্দেই উচ্ছ্বাস করছেন বিক্ষোভকারীরা। 

  • Covid-19: কোভিড-১৯ ম্যান মেড! উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছিল ভাইরাস, দাবি বিজ্ঞানীর

    Covid-19: কোভিড-১৯ ম্যান মেড! উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছিল ভাইরাস, দাবি বিজ্ঞানীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের তৈরি ভাইরাস কোভিড-১৯। বিস্ফোরক দাবি করলেন চিনের উহানের ল্যাবরেটরিতে কাজ করা মার্কিন বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু হাফ। ‘The truth About Wuhan’ বইতে ওই বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, মার্কিন সরকার করোনাভাইরাস নিয়ে ফান্ডিং করেছিল চিনে। সেখান থেকেই অতিমারি ছড়িয়ে পড়ে। 

    হাফের দাবি

    মহামারি বিশেষজ্ঞ অ্যান্ড্রু হাফ তাঁর নতুন বই ‘The Truth About Wuhan’-এ দাবি করেছেন যে এই ঘটনার পিছনে মার্কিন সরকারের তহবিলও দায়ী। নিউ ইয়র্কের পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী হাফ ইকোহেল্থ অ্যালায়েন্স (EcoHealth Alliance) নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট। নিউ ইয়র্কের এই সংস্থা সংক্রমক রোগ নিয়ে কাজ করে। হাফ তাঁর বইয়ে দাবি করেছেন যে চিনে অপর্যাপ্ত নিরাপত্তার মধ্যেই ভাইরাস নিয়ে কাজ চলছিল। যার ফলে গবেষণাগার থেকে কোনওভাবে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে এই ভাইরাস। কোভিড ১৯-এর সংক্রমণের শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল উহানের ওই গবেষণাগার। যদিও চিন সরকার এবং সেই গবেষণাগারের গবেষকরা দাবি করেছেন, কোভিড ১৯ ভাইরাস সেখানে তৈরি করা হয়নি। হাফ তাঁর বইয়ে দাবি করেছেন বায়োসেফটি, বায়োসিকিউরিটি এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত আরও যা যা প্রয়োজন, বিদেশের গবেষণাগারগুলিতে তা ঠিকমতো মানা হয় না। যার ফলেই উহানের ল্যাব থেকে এই বিপদ ঘটেছে।  

    আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের নাম বদলের ভাবনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার, কেন জানেন?

    চিন-আমেরিকা দায় উভয়ের

    নিউ ইয়র্ক পোস্টের রিপোর্ট অনুসারে হাফের কথায়, চিন প্রথম থেকেই জানত এই ভাইরাস জেনেটিকালি ইঞ্জিনিয়ার্ড এজেন্ট। ভয়াবহ বায়োটেকনোলজিকে চিনে ট্রান্সফার করার জন্য মার্কিন সরকারকেও দায়ী করতে হয়। হাফ বলেন,’আমি যা দেখেছি তাতে আমি ভীত। আমরা জৈব অস্ত্রের কারিগরি ক্ষমতা তুলে দিয়েছি ওদের হাতে।’২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ইকোহেল্থ অ্যালায়েন্স (EcoHealth Alliance)-এ কাজ করেছেন অ্যান্ড্রু হাফ। তাঁর দাবি, ওই সংস্থা উহান ল্যাবকে একটি বিষয়ে সাহায্য করত। কী সেই কাজ? বাদুড়কে যে করোনা ভাইরাস আক্রমণ করে, সেটি অন্য কোনও প্রজাতিকে যাতে আক্রমণ করতে পারে তার জন্য ওই ভাইরাসকে তৈরি করা। ভাইরাসটিকে সেভাবে সক্ষম করার জন্য কী ভাবে কাজ করতে হবে সেটা নিয়েই কাজ চলত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Jaishankar: সীমান্ত-সন্ত্রাস বন্ধ না করলে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা নয়! জানালেন বিদেশমন্ত্রী

    Jaishankar: সীমান্ত-সন্ত্রাস বন্ধ না করলে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা নয়! জানালেন বিদেশমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সীমান্ত পার সন্ত্রাস বন্ধ না করলে আলোচনা শুরু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। নয়াদিল্লিতে জার্মানির বিদেশমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবককে এই কথা স্পষ্ট করে দেন তিনি। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি ও সীমান্ত পার সন্ত্রাসে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা নিয়ে এদিন জার্মানির বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় জয়শঙ্করের।

    ভারত-জার্মান চুক্তি

    সোমবার রাজধানীতে হায়দরাবাদ হাউসে মোবিলিটি পার্টনারশিপ চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত-জার্মানি। এই অংশীদারিত্বের চুক্তিতে সই করেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী। এর মাধ্যমে দুই দেশের বাসিন্দার পরস্পরের দেশে গিয়ে গবেষণা, পড়াশোনা এবং চাকরি করার প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ভারত এবং জার্মানির মধ্যে এই চুক্তি প্রকৃতপক্ষে আগামিদিনে আরও বেশি করে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের ভিত্তির সংকেত বলা যেতে পারে। একই সুর জার্মান বিদেশমন্ত্রীর মুখেও। তিনি বলেন, ‘গোটা বিশ্ব কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। এমন সময়ে আমাদের একসঙ্গে চলাটা গুরুত্বপূর্ণ।’রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক স্তরে তৈরি হওয়া অশোধিত তেল সঙ্কট নিয়েও এদিন কথা হয় ভারত এবং জার্মানির।  রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির বিষয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের পক্ষে ফের একবার সওয়াল করেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেন ভারতীয়দের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দেশবাসীর স্বার্থ সুরক্ষিত করা সাংবিধানিক দায়িত্ব! রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে জয়শঙ্কর

    সীমান্ত-সন্ত্রাস নিয়ে কথা

    আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এবং পাকিস্তান-সৃষ্ট আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের মতো বিষয়গুলি নিয়েও এদিন জার্মান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নিয়ে যথেষ্ট বিস্তারিত কথা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা কথা বলেছি। পাকিস্তানকে আমরা দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলিতে সংযুক্ত করি, কিন্তু সন্ত্রাস চললে কথা এগোনো যায় না। জার্মানি বিষয়টি বুঝেছে।” চিন প্রসঙ্গে সরব হয়ে জার্মানির বিদেশমন্ত্রী বেয়ারবক বলেছেন, “গোটা অঞ্চলই দেখেছে যে, সাম্প্রতিক সময়ে চিন কী ভাবে বদলে গিয়েছে। আমরা নতুন ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় নীতি তৈরি করছি, সেখানে চিনের ভূমিকাকে নতুন করে দেখা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, “ভারতের সঙ্গে জার্মানি নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়াতে চায়। ভারত বিশ্বের অনেক দেশের কাছে এখন রোল মডেল।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Indonesia: জেগে উঠেছে ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট সেমেরু আগ্নেয়গিরি, সরানো হল কয়েক হাজার মানুষকে

    Indonesia: জেগে উঠেছে ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট সেমেরু আগ্নেয়গিরি, সরানো হল কয়েক হাজার মানুষকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) সবচেয়ে উঁচু আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। সতর্কতার কারণে পূর্ব জাভার কয়েক হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়। অগ্ন্যুৎপাতের স্থান থেকে ৮ কিলোমিটার এলাকা No-Go Zone ঘোষণা করা হয়।

    প্রদেশের মুখপাত্রের বিবৃতি

    ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে মাউন্ট সেমেরুর কাছে একটি দল মোতায়েন করেছে প্রদেশের উদ্ধারকারী সংস্থা। সংবাদমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন বসারনাসের মুখপাত্র থলিব ভাতেলেহান। তাঁর আরও সংযোজন, “গতকাল, বৃষ্টিপাতের মাত্রা বেশি ছিল, যার ফলে পাহাড়ের চূড়া থেকে অনেককিছুই নীচে নেমে এসেছে। কিন্তু আজ সেরকম বৃষ্টি নেই, তাই তুলনামূলকভাবে অনেক নিরাপদ।” এখনও অবধি কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং বিমান চলাচলে তাৎক্ষণিক কোনও ব্যাঘাতও ঘটেনি। রবিবার, স্থানীয় সময় দুপুর ২:৪৬ নাগাদ ৩৬৭৬-মিটার উঁচু আগ্নেয়গিরিটির অগ্ন্যুৎপাত হয়।

    আরও পড়ুন: কয়েক মাসের লড়াইয়ের ফল, ‘নীতি পুলিশ’ তুলে নিচ্ছে তেহরান

    স্থানীয় বাসিন্দাদের তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে মাউন্ট সেমেরুর উপরে ধূসর ছাইয়ের একটি বিশাল মেঘে ঢাকা যা পরে পর্বত এবং আশেপাশের ধানের খেত, রাস্তা এবং সেতুগুলিকে গ্রাস করছে এবং আকাশকে কালো করে দিচ্ছে। সোশাল মিডিয়াতে সেদেশের পরিবেশ মন্ত্রকের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে লাভা, শিলা এবং উত্তপ্ত গ্যাসের পাইরোক্লাস্টিক প্রবাহ পাহাড়ের ধার বেয়ে নেমে আসছে।

    লোকজনকে মোটরসাইকেলে করে দ্রুত বেগে পালাতে দেখা যায়। প্রায় ২৫০০ লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়, কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে একথা। প্রসঙ্গত, সেমেরুর অগ্ন্যুৎপাতে গত বছর ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং আরও কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। ইন্দোনেশিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্যোগ-প্রবণ দেশগুলির মধ্যে একটি। ১৪২টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে সমগ্র ইন্দোনেশিয়াতে (Indonesia)। আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি থাকা বাসস্থান, এমন দেশগুলির মধ্যে ইন্দোনেশিয়া (Indonesia) সবচেয়ে এগিয়ে। ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির ১০ কিলোমিটারের মধ্যে বাস করেন সেদেশের ৮৬ লক্ষ মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • Iran: কয়েক মাসের লড়াইয়ের ফল, ‘নীতি পুলিশ’ তুলে নিচ্ছে তেহরান

    Iran: কয়েক মাসের লড়াইয়ের ফল, ‘নীতি পুলিশ’ তুলে নিচ্ছে তেহরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে দাম পেল ইরানের (Iran) জনতার লড়াই। আমজনতার চাপের মুখে ‘নীতি পুলিশ’ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল তেহরান সরকার। মাশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনার পর শুরু হয়েছিল লড়াই। সেই লড়াই চলে টানা তিন মাস। বহু প্রাণের বিনিময়ে অবশেষে এল সেই আলোর দিন। ভাঙল শৃঙ্খল। 

    হিজাব বিরোধী আন্দোলনের জেরে ইরানে (Iran) প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। জনতা এতটাই দেশ বিরোধী হয়ে উঠেছিলেন যে, নিজেদের ফুটবল দলের হারে উল্লাস করতে দেখা যায় ইরানি নাগরিকদের। ফুটবল দলকেও ‘সরকারি পক্ষ’ ভেবে, ইরানের হারে উল্লাস করা নাগরিকদের ওপরও অত্যাচার চালিয়েছিল সেদেশের পুলিশ। কিন্তু এতেও দমে যায়নি প্রতিবাদ। দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অশান্ত পরিস্থিতিকে শান্ত করতে এবার ‘নীতি পুলিশকে’ নিষিদ্ধ করল ইরান সরকার। এমনটাই জানিয়েছে ইরানের সংবাদ সংস্থা। 

    ইরানের সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ- কে ইরানের (Iran) কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ জাফর মন্তেজারি জানিয়েছেন, ওই নীতিপুলিশ কোনও দিনই ইরানের কেন্দ্রীয় বিচার ব্যবস্থার অন্তর্গত ছিল না। ইরান সরকার ওই নীতিপুলিশ বাহিনী ‘গস্ত-এ-এরশাদ’কে সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস কর…’’ কেন বললেন মাক্রঁর, জানেন? 

    প্রতিবাদের সূত্রপাত

    প্রসঙ্গত, হিজাব নিয়ে ‘নীতি পুলিশির’ জেরে ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় উত্তর-পশ্চিম ইরানের (Iran) বাসিন্দা বছর ২২-র মাশা আমিনির। তাঁর মৃত্যুর পরই ইরান জুড়ে হিজাব নিয়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন। বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরার আইন বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদীরা তেহেরানের রাস্তায় জড়ো হন। সেখানে তাঁদের চিৎকার করে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে। ‘হিজাব নয়, স্বাধীনতা ও সাম্য চাই’ – এই ভাষাতেই স্লোগান দেন তাঁরা। পাশাপাশি, অনেক ইরানি মহিলা তাঁদের চুল কেটে ফেলেও সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। 

    এখনও পর্যন্ত ইরানি (Iran) সরকারের অত্যাচারে ৪০০ জন প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ১৬,৮০০ জনেরও বেশি। এই গোটা পরিস্থিতির নেপথ্যে রয়েছে কুর্দিশ তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যু। এরপর থেকেই হিজাব বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে সেই দেশ। তিন মাসেও এই বিদ্রোহ দমন করতে পারেনি ইরানের সরকার। এবার সেই বিদ্রোহের আঁচ এসে পড়ল বিশ্বকাপের মঞ্চে। প্রসঙ্গত, আমিনির হিজাব ‘ঠিক ভাবে’ তাঁর মাথায় না থাকায় তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল নীতি পুলিশ। পরে দাবি করা হয়, আমিনি অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় আমিনির। ইরানের নীতি পুলিশ অবশ্য আমিনির মৃত্যুর দায় স্বীকার করেনি। তবে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছিল, নীতি পুলিশের অত্যাচারেই মৃত্যু হয় আমিনির। এই আবহে নীতি পুলিশ তুলে দেওয়ার বিষয়টি আন্দোলকারীদের কাছে বড় জয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Emmanuel Macron: ‘‘আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস কর…’’ কেন বললেন মাক্রঁ, জানেন?

    Emmanuel Macron: ‘‘আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস কর…’’ কেন বললেন মাক্রঁ, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর জি ২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত (India)। আগামী বছর ভারতে হবে ওই সম্মেলন। ভারতের এই প্রাপ্তিকে সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এবার সেই মোদিকেই আমার বন্ধু বলে উল্লেখ করলেন ফান্সের (France) প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। রবিবার তিনি বলেন, আমি আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস করি আমাদের এক জায়গায় নিয়ে আসার জন্য।

    মাক্রঁ বলেন…

    ট্যুইট বার্তায় মাক্রঁ বলেন, এক পৃথিবী। এক পরিবার। এক ভবিষ্যৎ। ভারত জি ২০ সম্মলনে আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে। এর পরেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট লেখেন, আমি আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস করি শান্তি এবং স্থায়ী পৃথিবী রক্ষায় তিনি আমাদের এক জায়গায় নিয়ে এসেছেন বলে।

    চলতি বছরের নভেম্বরের ১৫ তারিখে জি ২০ সম্মেলনের আসর বসেছিল ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। ওই সম্মেলনে যোগ দেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই সম্মেলনেই আগামী বছর জি ২০ সম্মেলনের আয়োজনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ভারতের হাতে। সেই মতো ডিসেম্বরের এক তারিখেই ভারত অফিসিয়ালি ওই দায়িত্ব নিয়েছে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নয়াদিল্লিতে বসবে জি ২০ সম্মেলনের আসর। দু দিনের ওই সম্মেলন শুরু হবে ৯ তারিখে।

    আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কেন্দ্র, যোগ দেবেন মমতা?

    জি ২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশের দায়িত্ব পাওয়ায় বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, আমাদের দেশ একের মন্ত্র শোনাবে। আমাদের থিম, এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ। তিনি সন্ত্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অতিমারিকেই আগামী  বিশ্বের বড় চ্যালেঞ্জ বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, এই তিনের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়তে হবে। প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, বিশ্বে যাতে সাসটেনেবল লাইফস্টাইল, খাদ্য সরবরাহ, সার এবং মেডিক্যাল প্রোডাক্ট নিয়ে রাজনীতি না হয়, সে ব্যাপারে উদ্যোগী হবে ভারত।

    প্রসঙ্গত, জি ২০-র (G 20 Summit) সদস্য দেশগুলি হল, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, জাপান, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Sidhu Moosewala: ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ধৃত সিধু মুসেওয়ালা হত্যার মূল চক্রী গোল্ডি ব্রার

    Sidhu Moosewala: ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ধৃত সিধু মুসেওয়ালা হত্যার মূল চক্রী গোল্ডি ব্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাবের জনপ্রিয় গায়ক তথা সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala) হত্যার মূল চক্রীকে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে আটক করল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এনআইএ সূত্রে খবর, গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারকে আটক করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়া সরকারের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এবং পঞ্জাব পুলিশের কাছে গোল্ডির আটক করার বিষয়ে খবর পাঠানো হয়েছে। কিছুদিন আগে মুসেওয়ালার বাবা এই গোল্ডির মাথার দাম ২ কোটি টাকা ঘোষণা করেন।  
     
    জানা গিয়েছে, গোল্ডিকে খুব তাড়াতাড়ি ভারতে আনা হবে। মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala) খুনের দায় স্বীকার করেছিলেন গোল্ডি। আর তারপর থেকেই তাঁকে ধরতে তৎপর হয়ে ওঠে পাঞ্জাব পুলিশ এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সূ্ত্রের খবর, ইনটেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের থেকে পাওয়া খবরের সূত্র ধরেই অবশেষে জালে গোল্ডি। 

    কীভাবে গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ল গ্যাংস্টার?  

    গত ছয় মাস ধরে এই কুখ্যাত গ্যাংস্টারের খোঁজ চালাচ্ছিলেন গোয়েন্দারা। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারার সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala) হত্যাকাণ্ডের পরই কানাডা থেকে আমেরিকায় পালিয়ে যান বলে সূত্রের খবর। গত ২০ নভেম্বর থেকে ক্যালিফোর্নিয়াতেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন বলে ইনটেলিজেন্স ডিপার্টমেন্টের কাছে খবর আসে। সেই মতোই ক্যালিফোর্নিয়া সরকারের সহযোগিতায় শুরু হয় তদন্ত। যদিও এখনও সরকারি তরফে গোল্ডির ধরা পড়ার কোনও খবর এখনও জানানো হয়নি।

    ২৮ বছর বয়সী গোল্ডির নামে আগে থেকেই রয়েছে একাধিক অভিযোগ। ২০১৭ সাল থেকে তিনি কানাডায় থাকেন। পড়ুয়া হিসেবে ভারত থেকে বিদেশে পাড়ি দেন তিনি। তবে পরবর্তীতে একাধিক হত্যা ও অপরাধের ঘচনার সঙ্গে তাঁর নাম জড়ায়। বেআইনি ভাবে অস্ত্র পাচার চক্রের সঙ্গেও জড়িত তিনি। মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala) হত্যাকাণ্ডে মূল চক্রী হিসেবে তাঁর নাম সামনে  আসে। এই হত্যাকাণ্ডের দায় নিজেই স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছিলেন গোল্ডি।

    আরও পড়ুন: ‘বোমা বাঁধছিলেন তৃণমূল নেতা’, ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    গত ২৯ মে পাঞ্জাবের মানসা জেলায় খুন করা হয় গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালাকে (Sidhu Moosewala) । দুই বন্ধুর সঙ্গে জিপে চেপে মানসা জেলায় নিজের গ্রামে ফিরছিলেন মুসেওয়ালা। অভিযোগ সেই সময়ই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে গ্যাংস্টাররা। গুলিতে গুলিতে ঝাঁঝড়া হয়ে যান মুসেওয়ালা। এরপরেই এই ঘটনায় কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের নাম সামনে আসে। তদন্তে নেমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     

     

  • UNSC: রাষ্ট্রসংঘে সংস্কার সাধনে চেষ্টা করবে ভারত, জানালেন রুচিরা কম্বোজ

    UNSC: রাষ্ট্রসংঘে সংস্কার সাধনে চেষ্টা করবে ভারত, জানালেন রুচিরা কম্বোজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই ঘানার হাত থেকে রাষ্ট্রসংঘের সভাপতিত্বের রাশ এল ভারতের (India) হাতে। আর শুক্রবারই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ (Ruchira Kamboj) জানিয়ে দিলেন ভারত রাষ্ট্রসংঘে সংস্কার সাধনে চেষ্টা করবে। জোর দেওয়া হবে বিশ্ব সন্ত্রাস দমনে।

    ডিসেম্বর প্রেসিডেন্সি…

    এদিন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, আমরা ডিসেম্বর প্রেসিডেন্সিতে সেই একই স্পিরিট নিয়ে আসব। আমরা দুটি প্রধান বিষয়ে আলোকপাত করব। একটি হল, উন্নীত বহুপাক্ষিকতার পক্ষে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা এবং অন্যটি হল বিশ্ব সন্ত্রাস দমন। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করা হবে। সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে কম্বোজ জানান, অক্টোবরে ভারতে এই কমিটির বিশেষ বৈঠক হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, দিল্লি ঘোষণার সঙ্গে এক মত হয়ে সন্ত্রাস দমন কমিটিও স্বীকার করেছে প্রযুক্তিগত দিক থেকে জঙ্গিরা ক্রমেই উন্নত হচ্ছে। এর বিরুদ্ধেই আমাদের লড়তে হবে।

    আরও পড়ুন: ভারত-চিন সম্পর্কে নাক গলাবেন না, আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি ড্রাগনের দেশের

    সন্ত্রাসবাদই যে এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের শিরঃপীড়ার কারণ, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি। সন্ত্রাসবাদের রক্তচক্ষু গভীর এবং বিশ্বব্যাপী ছড়ানো এর শিকড়। প্রকৃতিগতভাবে এটি ট্রানজিশনাল। এই সন্ত্রাসবাদ দমনে লড়াই করতে হবে সম্মিলিতভাবে। অন্তত এটা এই সময়ের দাবি। রুচিরা কম্বোজ বলেন, ভারত এই কমিটির চেয়ারে রয়েছে। গোটা বিশ্ব যাতে এক যোগে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে, তার চেষ্টা করবে। রুচিরা কম্বোজ বলেন, গত ২২ বছর ধরে বিশ্ব নেতারা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ((UNSC)) সংস্কার সাধনের কথা বলে আসছেন। কিন্তু আমরা এক ইঞ্চিও নড়িনি। তিনি জানান, ডিসেম্বরের ১৪-১৫ তারিখে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ দমন শীর্ষক এক বিতর্ক সভায় যোগ দিতে আসছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

    প্রসঙ্গত, ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য দেশ রয়েছে পাঁচটি। বাকি ১০টি অস্থায়ী সদস্য। ভারত অস্থায়ী সদস্য। তা সত্ত্বেও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ভারত উঠে এসেছে বারংবার। আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও নানা সময় ভারত নিয়েছে নির্ণায়কের ভূমিকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

LinkedIn
Share