Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ukraine: বিমানে বিস্ফোরক! রানওয়েতে প্রবেশের আগেই গ্রিসে ভেঙে পড়ল ইউক্রেনের কার্গো বিমান

    Ukraine: বিমানে বিস্ফোরক! রানওয়েতে প্রবেশের আগেই গ্রিসে ভেঙে পড়ল ইউক্রেনের কার্গো বিমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রিসে (Greece) ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা (Plane Crash)। বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রিসের কাছে ভেঙে পড়ল ইউক্রেনের (Ukraine) কার্গো বিমান। খবরসূত্রে জানা যায়, অ্যান্টোনোভ (Antonov) কার্গো বিমানটি গ্রিসের কাভালা (Kavala) নামক জায়গায় ভেঙে পড়ে। ঘটনাটি শনিবারের। গ্রিসের রাষ্ট্রীয় টিভি ইআরটি (ERT) জানিয়েছে, অ্যান্টোনোভ কার্গো (Antonov cargo) বিমানটির মালিক ইউক্রেনীয় একটি কোম্পানি। গ্রিক অসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ (Greek Civil Aviation Authority) থেকে জানানো হয়েছে, বিমানটি সার্বিয়া (Serbia) থেকে জর্ডন (Jordan) যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। যদিও এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি যে, ওই বিমানে কতজন ছিলেন। তাঁদের কেউ বেঁচে আছেন কি না সেব্যাপারেও কোনও খবর মেলেনি।  

    আরও পড়ুন: ১৮৫ বিমানযাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে এখন ‘হিরো’, কে এই ক্যাপ্টেন মণিকা?

    গ্রিসের অসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বিমানের একটি ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিলে পাইলট আগেই বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে বার্তা পাঠায়। এরপরেই গ্রিসের কাভালা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেন পাইলট। কিন্তু রানওয়েতে পৌঁছানোর আগেই সেটি ভেঙে পড়ে। কাভালার এয়ারপোর্টের ৪০ কিমি আগেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয় বিমানটিতে। দেখা যায় এক  আগুনের গোলা।  চারিদিক ঢেকে যায় ধোঁয়ায়।

    তবে একের পর এক বিস্ফোরণের কারণে কাছাকাছি যেতে সময় লাগে কর্মীদের। কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। দুর্ঘটনা নিয়ে ইউক্রেন, সার্বিয়া বা জর্ডানের তরফ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। স্থানীয় একজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমে বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে সাতটি অগ্নিনির্বাপক গাড়ি দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। তবে বিস্ফোরণের কারণে সেখানে গাড়িগুলো পৌঁছাতে পারছিল না। বিমানে বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়ার খবর ও এর দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রিসের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে কার্গোটিতে বিপজ্জনক কিছু পণ্য ছিল বলেই ধারণা করছে সবাই। গ্রিস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।

    আরও পড়ুন: “মনে হচ্ছিল আকাশেই উল্টে যাবে বিমান…”, এখনও আতঙ্কে দুর্ঘটনাগ্রস্ত স্পাইসজেটের যাত্রীরা 

  • China Rocket Debris: ভারতে আছড়ে পড়তে চলেছে চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ! দাবি মার্কিন সংস্থার

    China Rocket Debris: ভারতে আছড়ে পড়তে চলেছে চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ! দাবি মার্কিন সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি উৎক্ষেপণ করা চিনের একটি রকেটের ধ্বংসাবশেষ আছড়ে পড়তে চলেছে পৃথিবীর বুকে। এই খবর সামনে আসতেই গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা শুরু হয়েছে। মার্কিন সংস্থা এরোস্পেস কর্প-এর অনুসারে, গত ২৪ জুলাই চিনের বৃহত্তম রকেট Long March 5 চিন থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। আর এই রকেট নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে ও এর কিছু অংশ ৩১ জুলাইয়ের দিকে পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    এরোস্পেস থেকে আশঙ্কা করা হয়েছে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় রকেটের ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এরোস্পেস কর্পোরেশনের বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনা রকেটের মোট ২৫ টন মহাকাশ-আবর্জনা (Space debris) পৃথিবীতে পড়তে পারে। যদিও এটি যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকবে তখন রকেটের বাকি অংশও পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার আগেই জ্বলে যাবে, ফলে মাটিতে থাকা লোকজন ও সম্পদের তেমন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই রকেটের সাহায্যেই তিয়ানগং স্পেস স্টেশন (Tiangong Space Station) নির্মাণের জন্য তিনটি মডিউলের দ্বিতীয়টি উৎক্ষেপণ করেছিল চিন।

    আরও পড়ুন: ২০২৩ সালেই মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর ‘গগনযান’, ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    এরোস্পেস কর্পোরোশনের সেন্টার ফর অরবিটাল অ্যান্ড রিএন্ট্রি ডেব্রিজ স্টাডিজ (Centre for Orbital and Reentry Debris Studies) থেকে জানা গিয়েছে যে, তারা রকেটটিকে ট্র্যাক করে আশঙ্কা করেছে যে, রকেটের ধ্বংসাবশেষ বা মহাকাশ-আবর্জনা ৩১ জুলাই ভোর সাড়ে তিনটের সময় পৃথিবীতে এসে পড়তে পারে। 

    তবে এক্ষেত্রে চিন্তার কোনও কারণ নেই, জনবহুল স্থানে এটি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। এটি অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রবেশ করায় এটির ধ্বংসাবশেষের বেশি অংশ পৃথিবীর মাটিতে না পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরোস্পেস মঙ্গলবার জানিয়েছে, বিশ্বের জনসংখ্যার ৮৮ শতাংশেরও বেশি মানুষ মহাকাশ আবর্জনার সম্ভাব্য ধ্বংসাবশেষের নীচে বাস করে। তবে ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার এই ঘটনা নতুন নয়, এর আগেও অনেকবার এমন হয়েছে। তবে তাতে কোনও কিছু ক্ষতি হয়নি। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের মে মাসে আরেকটি লং মার্চ রকেটের টুকরো ভারত মহাসাগরে পড়েছিল। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)। 

     

     

  • Modi-Ranil: রনিল বিক্রমাসিংহেকে ‘চিঠি’ দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদি

    Modi-Ranil: রনিল বিক্রমাসিংহেকে ‘চিঠি’ দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Srilanka) নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন রনিল বিক্রমাসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। প্রেসিডেন্টের পদ পাওয়ার পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) তাঁকে একটি চিঠির মাধ্যমে শুভেচ্ছা বার্তা জানান।  শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষ গোতাবায়া (Rajapaksha Gotabaya) দেশ ছাড়ার পরে রনিল বিক্রমসিংহে দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ চালাচ্ছিলেন। এরপর গত বুধবার অর্থাৎ ২০ জুলাই ভোটে জিতে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন তিনি। ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদে থাকবেন তিনি।

    [tw]


    [/tw] 

    দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিঠিতে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ও শ্রীলঙ্কার আর্থিক অবস্থা উন্নত করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। বিক্রমাসিংহেকে চিঠিতে মোদি লেখেন, শ্রীলঙ্কার কঠিন সময়ে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। ফলে মোদি আশা করেছেন, তিনি থাকাকালীন শ্রীলঙ্কায় স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। শ্রীলঙ্কার প্রতিবেশি দেশ হিসেবে ভারত শ্রীলঙ্কার স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ও আর্থিক অবস্থা উন্নত করতে সবসময় পাশে থাকবে। শুধু তাই নয়, ভারত-শ্রীলঙ্কা দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করার আহ্বান জানান।

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় বিপুল ভোটে রাষ্ট্রপতি পদে জয়ী রনিল বিক্রমসিংহে

    ইতিমধ্যেই ভারতের হাই কমিশনার গোপাল বাগলে (Gopal Baglay) শ্রীলঙ্কাকে মানবিক সাহায্য করেন। এই দুর্দিনে ভারত থেকে আবারও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ও প্রায় শ্রীলঙ্কান মুদ্রায় ৩.৪ বিলিয়ন অর্থ দেন। তামিলনাড়ু সরকার এই সাহায্য করেন ও শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী দিনেশ গুণবর্ধনের (Dinesh Gunawardena) সঙ্গে সাক্ষাৎও করেন। বৈঠক চলাকালীন দুই দেশের মন্ত্রী একে অপরের প্রশংসা করেছেন ও শ্রীলঙ্কার এই পরিস্থিতিতে পাশে থাকার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়ছে।

    প্রসঙ্গত, চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। দ্রব্যমূল্যও হয়েছে আকাশ ছোঁয়া। এর পরেই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান জনতা। ফলে রাতের অন্ধকারেই স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ। এরপরেই রনিল বিক্রমাসিংহে রাষ্ট্রপতির পদে নির্বাচিত হন।

    আরও পড়ুন: শপথ নিলেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী, জানেন কি দীনেশ গুণবর্ধনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক

     

  • Pakistan Crisis: এবার ঋণ খেলাপির তালিকায় পাকিস্তানও?   

    Pakistan Crisis: এবার ঋণ খেলাপির তালিকায় পাকিস্তানও?   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেনায় জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। একই অবস্থা জাম্বিয়ারও। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারের হাঁড়ির হাল আরও কয়েকটি দেশের। এই তালিকায় যোগ হতে চলেছে পাকিস্তানের নামও। অন্ততঃ ইন্টারন্যাশনাল রেটিং এজেন্সির বক্তব্য এমনই।

    চিনা (China) ঋণের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা। দেশের জিনিসপত্রের দাম অগ্নিমূল্য। বিদেশি মুদ্রার অভাবে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা হচ্ছে লোডশেডিং। একই কারণে বিদেশ থেকে আনানো যাচ্ছে না সংবাদপত্র ছাপার কাগজ। যার জেরে দীর্ঘ দিন এদেশে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সংবাদপত্র ছাপার কাজ। জ্বালানির দাম অগ্নিমূল্য হওয়ায় রাস্তায় গাড়িঘোড়াও চলছে কম। জনরোষের হাত থেকে বাঁচতে গা ঢাকা দিয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট হাউসের দখল নিয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রের আমজনতা।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা

    কেবল শ্রীলঙ্কা নয়, অর্থনীতির করুণ দশা পৃথিবীর আরও কয়কটি দেশেরও। টার্কি, ইজিপ্ট, টিউনিশিয়া, ইথিওপিয়া, পাকিস্তান (Pakistan), ঘানা এবং এল সালভাডর রয়েছে এই তালিকায়। এই দেশগুলিও বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে পারছে না। এই দেশগুলিতেও জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্যে মূল্য আকাশ ছোঁওয়া। সেই সঙ্গে বাড়ছে গ্লোবাল ইন্টারেস্ট রেটও। 

    ফিচ রেটিংসের বিচারে কেবল এই দেশগুলোই নয়, তারা চিহ্নিত করেছে ১৭টি দেশকে। যারা এখনই বৈদেশিক ঋণ শোধে অপারগ। এদের মধ্যে রয়েছে শেহবাজ শরিফের দেশ পাকিস্তানও। এই ১৭টি দেশের তালিকায় রয়েছে বৃহৎ শক্তিধর দেশ রাশিয়াও। আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা জারি করায় অর্থনৈতিক লেনদেন করতে পারছে না পুতিনের দেশ। প্রত্যাশিতভাবেই তারাও পারছে না বৈদেশিক ঋণ শোধ করতে।

    আরও পড়ুন : অর্থসংকট কাটাতে আইএমএফের শর্ত মেনেই বাজেট পেশে রাজি পাকিস্তান?

    শ্রীলঙ্কা, জাম্বিয়ার পর এবার ঋণ খেলাপির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে পাকিস্তান, লেবানন, টিউনিশিয়া, ঘানা, ইথিওপিয়া, ইউক্রেন, তাজিকিস্তান, এল সালভাদর, সুরিনাম, ইকুয়েডর, বেলিজ, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া, বেলারুশ এবং ভেনেজুয়েলা। এই দেশগুলির বৈদেশিক মুদ্রার হাঁড়ির হাল। তাই যে কোনও সময় এদের গায়েও সেঁটে যেতে পারে ঋণখেলাপির তকমা।

     

  • Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

    Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে দ্বীপরাষ্ট্র। ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি। সোমবার পদত্যাগ পত্রে সই করেছেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ   (Sri Lankan President Gotabaya Rajapaksa)। আর তার পরেই তল্পিতল্পা গুটিয়ে দেশ ছেড়ে পালালেন গোতাবায়া। রাষ্ট্রপতির দেশ ছাড়ার জল্পনা আগেই ছিল। দেশের সামরিক বাহিনীর বিমানে চেপেই পরিবার নিয়ে মালদ্বীপে (Maldives) পালিয়েছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদনের পরেই ১৩ জুলাই ভোরে রাষ্ট্রপতি, তাঁর স্ত্রী এবং দু’জন দেহরক্ষীকে নিয়ে সেনা বিমান মালদ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় ইমিগ্রেশন, শুল্ক এবং অন্যান্য সমস্ত বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defense) অনুমোদন দিয়েছিল। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফ থেকেও রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কাতুনায়াকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়েছে বিমানটি। মালদ্বীপের ভেলানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে সেই বিমান। মালদ্বীপে পৌঁছে তাঁরা কোথায় গিয়েছেন সে বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রশাসনের পক্ষ থেকে। 

    আরও পড়ুন: রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা 

    সূত্রের খবর, অ্যান্টোনভ-২২ সামরিক বিমানে চেপে দেশ ছাড়েন গোতাবায়া। শ্রীলঙ্কার বায়ু সেনার মিডিয়া ডিরেক্টর (Sri Lankan Air Force Media Director) এক বিবৃতিতে বলেছেন, “শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি, তাঁর স্ত্রী ও ২ জন দেহরক্ষীকে দেশ ছাড়ার জন্যে ইমিগ্রেশন, শুল্ক এবং অন্যান্য বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ১৩ জুলাই ভোরে এয়ার ফোর্সের বিমানে তাঁদের মালদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: দেনার দায়ে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়াল ভারত, স্বাগত জানালেন সনৎ জয়সূর্য

    সোমবারই রাজাপক্ষ পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেছেন। যা আজ সংসদের স্পিকারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। বুধবার তিনি ইস্তফা দেবেন, এমনটাই জানিয়েছিলেন স্পিকার। কিন্তু তার আগেই দেশ ছেড়েছেন রাজাপক্ষ। তবে তিনি আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, নিজের পরিবারকে নিরাপদ স্থানে না নিয়ে যেতে পারলে ইস্তফা দেবেন না।  

    রাষ্ট্রপতির দেশ ছাড়ার পরেই, ফ্লাওয়ার গার্ডেনে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের বাড়ির সামনে বিশাল জমায়েত করে জনতা। বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায় প্রাসাদের সামনে। দেখা নেই কোনও রক্ষীর। ফলে প্রাসাদ চত্বরে অবাধ বিচরণ জনতার। এই পরিস্থিতিতেই জারি হয়ে গেল জরুরি অবস্থা। জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পরেই দেশের কার্যনির্বাহী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন রনিল বিক্রমসিংহে। 

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw] 

    শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর দফতরেরও দখল নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। প্রতিবাদ রুখতে কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করে পুলিশ। রনিল বিক্রমসিংহে বলেন, ফ্যাসিস্ট শক্তি সরকার দখল করতে চাইছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাকে নির্দেশ দিলেন নয়া রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমসিংহে। 

    [tw]


    [/tw]

    নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক সময়ের জন্য রাষ্ট্রপতির পদে বহাল থাকবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে।  

    গত সপ্তাহের শেষেই রাষ্ট্রপতির বাস ভবনের দখল নেন দেশের সাধারণ মানুষ। বিষয়টি এমন দিকে গড়াতে পারে, সেকথা আগেই আঁচ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া। তাই আগেভাগেই রাষ্ট্রপতি ভবন ছাড়েন তিনি। তারপর থেকে তাঁর কোনও সন্ধান ছিল না। পরবর্তীতে শোনা যায়, তিনি শ্রীলঙ্কার নৌসেনা শিবিরে লুকিয়ে ছিলেন। অবশেষে বুধবার ভোরে সেনা বিমানে চেপে দেশ ছাড়েন তিনি।   

     

  • Haifa Port: বিক্রি হয়ে গেল ইজরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা, বর্তমান মালিক আদানি 

    Haifa Port: বিক্রি হয়ে গেল ইজরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা, বর্তমান মালিক আদানি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্রি হয়ে গেল ভূমধ্য সাগরের তীরে অবস্থিত ইসরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা (Haifa Port)। ভারতের আদানি গ্রুপ (Adani Ports) এবং ইসরায়েলের (Israel) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গাগত যৌথভাবে কিনেছে সেই বন্দর। ১১৮ কোটি মার্কিন ডলারে রফা হয়েছে। গতকাল বিষয়টি জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। 

    রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২ বছরের দরপত্র প্রক্রিয়ার শেষে কম মূল্যে আমদানি ও স্বল্প সময়ে পণ্য খালাসের শর্তে আদানি ও গাগতের কাছে হাইফা বন্দর বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “হাইফা বন্দরের বেসরকারিকরণ, অন্যান্য বন্দরগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার খরচ কমাবে।” সংশ্লিষ্ট এক আধিকারিক জানান, হাইফা বন্দরের অংশীদারিত্বের ৭০ শতাংশ আদানি গ্রুপ ও ৩০ শতাংশ গাদত পেয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পিছিয়ে পড়লেন আদানি! আবারও এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি আম্বানি 

    আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি (Gautam Adani) ট্যুইটে লেখেন, “দরপত্রে জয়ী হতে পেরে আনন্দিত। ২ দেশের কাছেই এর কৌশলগত ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। হাইফায় আসতে পেরে গর্বিত। ১৯১৮ সালে এখানে নেতৃত্ব দিয়েছে ভারত। সামরিক ইতিহাসের অন্যতম সেরা ঘটনা।”

    [tw]


    [/tw]

    হাইফা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দরপত্রে বিজয়ী প্রতিষ্ঠান ২টি ২০৫৪ সাল পর্যন্ত বন্দর পরিচালনা করবে।      

    গত বছর বন্দরে কর্মীর অভাব, লকডাউন, বিশ্বের অনেক অংশে পরিবহন জট ও ভাড়ায় চালিত জাহাজের খরচের কারণে বন্দর বিশাল ক্ষতির মুখ দেখে। যার প্রভাব ইসরায়েলেও পড়ে। দেশটির সমস্ত পণ্যের প্রায় ৯৮ শতাংশ সমুদ্রপথে আসা-যাওয়া করে। কারমেল পর্বত দ্বারা বেষ্টিত হাইফা বন্দর শতাব্দি পুরোনো। ইসরায়েলের প্রধান এই বন্দর দিয়ে গত বছর অর্ধেক পণ্য পরিবহন করা হয়েছে। 

    আদানি গ্রুপ বন্দর ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ, জ্বালানি, খনি, বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক গ্যাস, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করে থাকে। বিশ্বের ৫০টি দেশের ৭০টি স্থানে তারা ব্যবসা করে। তাদের বার্ষিক আয় ২ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি।    

     

  • Gotabaya Rajapaksa:  সিঙ্গাপুরেই স্বস্তি! আপাতত ১১ আগস্ট পর্যন্ত সেখানে থাকতে পারবেন গোতাবায়া রাজাপক্ষে

    Gotabaya Rajapaksa: সিঙ্গাপুরেই স্বস্তি! আপাতত ১১ আগস্ট পর্যন্ত সেখানে থাকতে পারবেন গোতাবায়া রাজাপক্ষে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত ১১ আগস্ট পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে (Singapore) থাকতে পারবেন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট (Former President) গোতাবায়া রাজাপক্ষ (Gotabaya Rajapaksa)। সিঙ্গাপুর থেকে শীঘ্রই দেশে ফিরবেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এমনই জানিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) মন্ত্রিসভার মুখপাত্র (Spokesperson) বান্দুলা গুণবর্ধণে। তবে দেশে ফিরলে আবারও বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে পারেন এই আশঙ্কায় আরও কিছুদিন দেশের বাইরেই থাকতে চাইছেন গোতাবায়া। তাই সিঙ্গাপুর প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। সেই আর্জি মেনে নিয়েই গোতাবায়ার সিঙ্গাপুরে থাকার মেয়াদ আরও ২ সপ্তাহ বাড়িয়েছে সেখানকার প্রশাসন।

    আরও পড়ুন: আশ্রয় দেবে না ভারত, কোথায় যাবেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া?

    প্রসঙ্গত ১৪ জুলাই মালদ্বীপ (Maldives) থেকে সিঙ্গাপুরে যান গোতাবায়া রাজাপক্ষে। ওই সময় ১৪ দিনের জন্যে সিঙ্গাপুরে থাকার অনুমতি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই মেয়াদ বেড়ে যাওয়ায় ১১ আগস্ট পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে থাকতে পারবেন গোতাবায়া। চরম আর্থিক সঙ্কটে ডুবে থাকা শ্রীলঙ্কায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বিস্ফোরণ হতেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট। গত ১৩ জুলাই তিনি মালদ্বীপে পৌঁছন। কিন্তু সেখানেও তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যাওয়ায় তড়িঘড়ি বিশেষ চার্টাড বিমানে করে মলদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুরে যান সস্ত্রীক গোতাবায়া। সেখান থেকেই তিনি প্রেসিডেন্ট পদের ইস্তফাপত্র পাঠান। কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিয়োগ করেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেকে।

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় জরুরি ব্যবস্থা জারি রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘের, সিঙ্গাপুরেও স্বস্তিতে নেই গোতাবায়া

    সিঙ্গাপুর প্রশাসন (Singapore Administration) সূত্রে খবর, বর্তমানে রাজধানীর একটি বিলাসবহুল হোটেলে রয়েছেন রাজাপক্ষে। তিনি হোটেল ছেড়ে কোনও পরিচিতের বাড়িতে চলে যেতে পারেন বলেও অনুমান। তবে রাজাপক্ষে কোনও রাজনৈতিক আশ্রয় (Political Asylum) চাননি বলে দাবি সিঙ্গাপুর সরকারের। সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী সাধারণত কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয় না। চলতি সপ্তাহেই শ্রীলঙ্কা ক্যাবিনেটের মুখপাত্র বান্দুলা গুণবর্ধনে জানান, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মোটেও আত্মগোপন করে নেই। তিনি সিঙ্গাপুরে রয়েছেন বিশেষ দরকারে। শীঘ্রই তিনি দেশে ফিরে আসবেন। তবে এবার তাঁর দেশের বাইরে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আর তাঁকে দেশে ফেরানো যাবে কি না তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। 

  • Marburg virus: ইবোলার পর এবার মারবার্গ ভাইরাসে কাঁপছে আফ্রিকা, মৃত ২

    Marburg virus: ইবোলার পর এবার মারবার্গ ভাইরাসে কাঁপছে আফ্রিকা, মৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইবোলার (Ebola) পর এবার মারবার্গের (Marburg) আতঙ্ক আফ্রিকায় (Africa)। বুধবার ঘানাতে (Ghana) মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দুজনের। ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন (WHO) জানিয়েছে, মারবার্গও ইবোলা ভাইরাসের মতোই মারাত্মক। 

    আরও পড়ুন: করোনার সেকেন্ড এবং বুস্টার ডোজের মধ্যে সময় কমালো কেন্দ্র 

    ঘানার দুই ইবোলা আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির উপসর্গ প্রায় একই রকম ছিল। ডাইরিয়া, জ্বর, গা গোলানো ও বমি এই সমস্ত উপসর্গ কমবেশি দুজনেরই ছিল। এগুলোকেই আপাতত মারবার্গের লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া হচ্ছে। 

    ঘানায় মৃত ওই দুই ব্যক্তির স্যাম্পেল পাঠানো হয়েছে সেনেগালের একটি ল্যাবে। মারবার্গ ভাইরাসের কারণেই ওই মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে চাইছেন চিকিৎসকরা। সেক্ষেত্রে পশ্চিম আফ্রিকাতে মারবার্গের এটা দ্বিতীয় হানা বলেই ধরে নিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত বছরে, মারবার্গের একটা কেস ধরা পড়েছিল গিনিয়াতে। 

    আরও পড়ুন: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, স্কুল খোলা রাখার পক্ষেই সওয়াল চিকিৎসকদের  
     
    মারবার্গ  ১৯৬৭ সালে পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকাতে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল। ১৯৭৬ সালে প্রথম চিহ্নিত হয় ইবোলা। মারবার্গ ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। মারবার্গের সংক্রমণে মৃত্যুর হার ২৪ থেকে ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত ওঠানামা করতে পারে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার ভয় এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে আরও এক ভাইরাসের আতঙ্কে ত্র্যস্ত আফ্রিকা। 

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মারবার্গ ভাইরাসে (Marburg Virus) আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে করোনার মতোই কিছু উপসর্গ মিলেছে। জ্বর, বমি এবং প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, এর অন্যতম উপসর্গ। এই প্রথম নয়, আগেও গুয়ানাতে মারবার্গ ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছিল।

    মারবার্গ ভাইরাস রক্তক্ষরণজনিত জ্বর বয়ে আনে। এটি মারাত্মক সংক্রামক। ভাইরাসটি মানুষ ও প্রাণির দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর উৎপত্তি ফল খাওয়া বাদুড় থেকে। এটি মানুষের শরীরেও ছড়াতে পারে। বিশেষ করে যৌন সংসর্গ ও চর্মরোগ থেকে মানুষের মাঝে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে প্রদাহের স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হয় এবং জ্বর আসে। ইবোলা ভাইরাসের সবকটি লক্ষণ মারবার্গ ভাইরাসেও আছে। এ ভাইরাসে ভালোভাবে আক্রান্ত হলে সাধারণত কেউ বাঁচে না। তবে প্রাথমিক কিছু চিকিৎসায় ফল দিতে পারে। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ইবোলা ও মারবার্গ ভাইরাসের টিকা ক্যাম্পেইন শুরু হয় উগান্ডার কাম্পালায়। ১৯৬৭ সালে জার্মানির মারবার্গ শহরে এই ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। পরে এটি ফ্রাঙ্কফুট ও যুগোস্লাভিয়ার বেলগ্রেডেও দেখা পাওয়া গিয়েছিল। এই ভাইরাসের কোনও টিকা বা চিকিৎসা নেই।

     

  • Sri Lanka Crisis: রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা 

    Sri Lanka Crisis: রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ভেঙে (Sri Lanka economic crisis) পড়েছে। রান্নার গ্যাস, বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা গিয়েছে দেশজুড়ে। জনতার রোষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে দ্বীপরাষ্ট্র। রাষ্ট্রপতির বাড়ির দখল নিয়েছে সাধারণ মানুষ। প্রাণভয়ে লুকিয়ে রয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বুধবার রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরে যাচ্ছেন গোতাবায়া রাজাপক্ষ। এরই মাঝে খবর, শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট ২০ জুলাই নতুন রাষ্ট্রপতি (New President) নির্বাচন করবে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন, স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্দেনা। আবেওয়ার্দেনা এক বিবৃতিতে বলেছেন, “শুক্রবার পুনরায় লোকসভা অধিবেশন বসবে এবং পাঁচ দিন পরে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ভোট হবে।”

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকার গঠনে সহমত, পাশে থাকার বার্তা ভারতের         
     
    তিনি আরও বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সামলানোর জন্যে পুনরায় সরকার গড়া আবশ্যক। ক্ষমতাসীন দল বলেছে যে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভা অন্যান্য সদস্যরা পদত্যাগ করতে প্রস্তুত।”   

    সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। সপ্তাহান্তে, রাজধানী কলম্বোতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজপক্ষের (Gotabaya Rajapaksa) সরকারী বাসভবনে হামলা চালায় এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের ব্যক্তিগত বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। পালাতে বাধ্য হন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে তাঁরা পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেন। রবিবার দুই নেতার পদত্যাগের ঘোষণার পর বিরোধী দলগুলো সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কা, প্রাসাদ থেকে উদ্ধার বিপুল অর্থ! কোথায় পালালেন রাষ্ট্রপতি?       

    এএনআই সূত্রে খবর, শ্রীলঙ্কার প্রধান বিরোধী, সামাগি জনা বালাওয়েগয়া (SJB) সোমবার সর্বসম্মতিক্রমে অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রপতি পদের জন্য সাজিথ প্রেমাদাসাকে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসজেবি পার্টির সচিব রঞ্জিত মাদুমা বান্দারা প্রস্তাবটি জমা দিয়েছেন এবং সংসদীয় গ্রুপে পার্টির চেয়ারম্যান ফিল্ড মার্শাল শরথ ফনসেকা প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেছেন। সংসদে এসজেবির প্রায় ৫০  জন সাংসদ রয়েছে এবং সংসদ ভোটে জিততে তাদের ১১৩ জন সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন৷    

    শ্রীলঙ্কার সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী উভয়েই পদত্যাগ করলে স্পিকার সর্বোচ্চ ৩০ দিনের জন্য ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। সংসদকে তার সদস্যদের থেকে ৩০ দিনের মধ্যে একজন নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে। তিনি রাষ্ট্রপতি গোতাবায়ার মেয়াদের বাকি দুই বছরের জন্য পদে বহাল থাকবেন।     

      

  • Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকার গঠনে সহমত, পাশে থাকার বার্তা ভারতের

    Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কায় সর্বদলীয় সরকার গঠনে সহমত, পাশে থাকার বার্তা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বদলীয় সরকার (All Party Government) গড়তে সহমত হল শ্রীলঙ্কার (Srilanka) সমস্ত বিরোধী দল (Oppositions)। আগামী বুধবার রাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বর্তমান রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে (President Gotabaya Rajapaksa)। রাষ্ট্রপতির ইস্তফার পর দেশ চালানোর জন্য সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের রাজনৈতিক দলগুলি। রবিবার একটি বৈঠকের পর এই কথা জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি।

    দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতি ভেঙে (Sri Lanka Economic Crisis) পড়েছে। ভারতের এই প্রতিবেশী দেশজুড়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন নেতা, ক্রিকেটার থেকে সাধারণ মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক সঙ্কট থেকে টেনে তুলতে ব্যর্থ সরকার। বিক্ষোভ কর্মসূচী হিসেবে রাষ্ট্রপতির বাসভবনের দখলও নিয়েছে দেশের জনতা। এই পরিস্থিতিতে সরকার চালানোর বিষয়ে রবিবার বৈঠকে বসে বিরোধী দলগুলি। তার পরেই শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরামুনা (SLPP) দলের নেতা বিমল বীরাবানসা বলেন, ‘‘কিছু সময়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ সরকার গড়তে আমরা সব দল সম্মত হয়েছি।’’ 

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় গণবিদ্রোহ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আগুন, রাষ্ট্রপতির বাড়ির দখল নিল জনতা  

    বিমল আরও বলেন, ‘‘এই সরকারে সব দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।’’ এসএলপিপির আরেক নেতা বাসুদেব নানাইয়াক্কারার বলেন, “১৩ জুলাই গোতাবায়ার ইস্তফার জন্য অপেক্ষা করা উচিত নয়। তার আগেই সরকার গড়া উচিত।” 

    শনিবার বিক্ষোভ শুরু হতেই বিরোধী নেতারাও রাষ্ট্রপতির ইস্তফা দাবি করেন। সেই বার্তা গোতাবায়ার কাছে পৌঁছে দেন স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্দেনা। তারপরেই ১৩ জুলাই ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেন গোতাবায়া । ইস্তফা দেবেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমেসিঙ্ঘে।

    আরও পড়ুন: কলম্বোর রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য! জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কা

    প্রধান বিরোধী দল সমাগী জন বলাওয়েগায়া দলের নেতা র়ঞ্জিত মাদ্দুমা বানদারা বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গড়ায় সম্মত হয়েছি আমরা। এর পর দেশে সংসদীয় নির্বাচন হবে।’’

    হাল ছাড়েননি রাষ্ট্রপতি: তবে এখনও হাল ছাড়েননি রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ। জনরোষের ভয়ে অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে থেকেও দিচ্ছেন সরকারি নির্দেশ। রবিবার শ্রীলঙ্কার সেনাপ্রধান জেনারেল শেভেন্দ্র সিলভা জানান, রাষ্ট্রপতি সরকারি আধিকারিকদের জনগণের মাঝে রান্নার গ্যাস বিতরণের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন যে, বর্তমান রাজনৈতিক সংকট শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের পথ এখনও খোলা রয়েছে, এতে জনতার সমর্থন কামনা করেন রাষ্ট্রপতি। রাজাপক্ষের এই পদক্ষেপে ফের বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তাহলে এখনও কী পদে থাকার আশা ছাড়েননি তিনি! সত্যিই কী ইস্তফা দেবেন?  

    শ্রীলঙ্কার জনগণের পাশে ভারত: এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশের জনগণের পাশে থাকার বার্তা দিল ভারত সরকার। শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিদেশ মন্ত্রকের (Ministry of External Affairs) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি (Arindam Bagchi) বলেন, “ভারত শ্রীলঙ্কার নিকটতম প্রতিবেশী। দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধন রয়েছে। আমরা শ্রীলঙ্কা এবং তার জনগণ যে সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সে সম্পর্কে অবগত। অরিন্দম বাগচি আরও বলেছেন, “আমরা চাই শ্রীলঙ্কা খুব অল্প সময়ে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসুক। ভারত এই বছর শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ অর্থনৈতিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে সেই দেশকে প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা দিয়েছে।

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবিষয়ে বলেন, “ভারত সরকার শ্রীলঙ্কার বর্তমান অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলার ক্ষেত্রে সমস্ত সম্ভাব্য সাহায্য করবে।”

    শ্রীলঙ্কায় সেনা পাঠাচ্ছে ভারত? সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হচ্ছিল যে ভারত নাকি সেনা পাঠাচ্ছে শ্রীলঙ্কায়। তবে কলম্বোতে ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের রিপোর্ট ভারতের অবস্থানের সঙ্গে মেলে না। বিদেশ দফতরের মুখপাত্রও জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত শ্রীলঙ্কার মানুষের পাশে রয়েছে। তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মাধ্যমে দেশের উন্নতি চাইছেন। 

LinkedIn
Share