Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Indo-China Relation: মোদি-দলাই শুভেচ্ছা বিনিময়, ক্ষুব্ধ চিন, জবাব দিল ভারত  

    Indo-China Relation: মোদি-দলাই শুভেচ্ছা বিনিময়, ক্ষুব্ধ চিন, জবাব দিল ভারত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালিতে (Bali) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Actual Control) থেকে সেনা সরানো নিয়ে বৈঠক করছে ভারত এবং চিন (Indo-China Meet)। এরই মাঝে দলাই লামাকে (Dalai Lama) কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হল। ধর্মগুরুর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে ফের দ্বিপাক্ষিক তিক্ততা তৈরি হল। বুধবার তিব্বতের ধর্মগুরু দলাই লামার জন্মদিনে, তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেজিং।    

    আরও পড়ুন: চিন থেকে উদ্ধার ৬০ লক্ষ বছরের পুরনো জায়েন্ট পান্ডার জীবাশ্ম

    চিনের চোখ রাঙানিকে অগ্রাহ্য করেই মোদি তাঁর ট্যুইটে শুভেচ্ছা জানানোর কথা জানিয়েছিলেন। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে চিনের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়াং তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, “চতুর্দশ দলাই লামার চিনবিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূমিকার কথা ভারতের স্বীকার করা উচিত। তিব্বতের তাস খেলে চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করুক ভারত। ভারতের উচিত চিনের প্রতি দায়বদ্ধতাকে মাথায় রেখে বিচার-বিবেচনা করে কাজ করা।” 

    আরও পড়ুন: শাওমির পর এবার ভিভো, ইডি-র নজরে চিনা মোবাইল সংস্থা, দেশজুড়ে তল্লাশি  
     
    চিনের এই ঝাঁঝ বন্ধ মুখে সহ্য করেনি ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এই মন্তব্যের জবাব দিয়ে বলেন, “ধর্মগুরু দলাই লামা ভারতের সম্মানীয় অতিথি। ভারত সরকার ধারাবাহিক ভাবে তাঁকে সে ভাবেই দেখে এসেছে। তিনি একজন সম্মানীয় ধর্মীয় নেতা এবং ভারতে তাঁর অনেক ভক্ত রয়েছেন। বিশ্বজুড়ে ভক্তরা তাঁর জন্মদিন পালন করেন। ভারতে তাঁকে ধর্মীয় চর্চার সমস্ত স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। দলাই লামার ৮৭তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীর ফোন করে শুভেচ্ছা জ্ঞাপনকে এই সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত।”    

    দলাই লামাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তাঁকেও ঝাও লিঝিয়াং মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘তিব্বতের বিষয়টি একান্তই চিনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এই ব্যাপারে কোনও রকম বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না বেজিং।” 

    তিব্বতের সরকারের সঙ্গে অন্য দেশের সুসম্পর্ককে বরাবর চিন-বিরোধী পদক্ষেপ হিসেবেই দেখে এসেছে বেজিং। এর আগে তিব্বতি ধর্মগুরু ও নেতাদের ধর্মশালায় আলোচনাসভা আয়োজনের ছা়ড়পত্রও দিয়েছে ভারত। চিনের অভিযোগ, ওই সব সভায় তিব্বতে বিদ্রোহ উস্কে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়। ভারত অবশ্য় এমন অভিযোগকে কোনওদিনই গুরুত্ব দেয়নি। 

     

  • UK Government: নেতা খুঁজছে লন্ডন! আপাতত কাজ সামলাবেন বরিস

    UK Government: নেতা খুঁজছে লন্ডন! আপাতত কাজ সামলাবেন বরিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণ দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। আগামী সপ্তাহেই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের প্রক্রিয়ার সময়সূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। তবে পরবর্তী নেতা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত আপাতত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন বরিস জনসন। 

    ‘‘কনজারভেটিভ দলের নতুন নেতা নির্বাচন করার সময় চলে এসেছে’’, এই বাক্যটি দিয়েই বৃহস্পতিবার বক্তৃতা শুরু করেন জনসন। তাঁর সরকারি বাসভবন ১০, ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে তখন অসংখ্য সাধারণ মানুষ জড়ো হয়েছেন। রাস্তায় লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছেন বরিস মন্ত্রিসভার সেই সব সদস্য, তখনও যাঁরা ইস্তফা দেননি। উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী ক্যারিও। এরমধ্যেই নিজের ব্যর্থতার কথা জানালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বললেন, “ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে বলেই আমি তাদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেছি। কিন্তু দলে আমার কথা ও চিন্তাধারা বোঝাতে ব্যর্থ আমি। তাই পৃথিবীর সব থেকে ভাল চাকরি থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।’’

    আরও পড়ুন: বিদায় বরিস! ব্রিটেনের হাল ভারতীয়ের হাতে?আরও পড়ুন: বিদায় বরিস! ব্রিটেনের হাল ভারতীয়ের হাতে?

    বরিস এবং তাঁর আগে ৫০ জনেরও বেশি ক্যাবিনেট সদস্যের ইস্তফায় দলের অন্দরে সঙ্কট দেখা দিলেও দেশ আপাতত কোনও রাজনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়ছে না। কারণ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দিলে তাঁর উত্তরসূরিকে বেছে নিতে পারবে ক্ষমতাসীন দল। এই নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দল ও দেশ চালানো হবে। ইস্তফা দিয়ে এদিন বরিস জানান, আগামী ‘অটাম’ (অগস্ট-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত দলীয় প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে প্রস্তুত তিনি। তার মধ্যে নতুন নেতা নির্বাচন করে ফেলতে পারবে দল। তবে বরিস চাইলেও দলের অনেকেই আর তাঁকে চাইছেন না। কিন্তু এখনই নেতা নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আগামী সপ্তাহেই এই প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তবে যতদিন না হচ্ছে ততদিন বরিসের নেতৃত্বেই নতুন মন্ত্রিসভা কাজ করবে।

    এর মধ্যেই নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছেন বরিস। বরিসের নতুন মন্ত্রিসভায় ওয়েলশ বিষয়ক দফতরের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন রবার্ট বাকল্যান্ড। তিনি বলেন, বরিস জনসন মন্ত্রিসভাকে আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই কাজ চালিয়ে যাবেন। 
    পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত বরিসের নেতৃত্বে এই মন্ত্রিসভা কাজ করবে। তবে আর্থিক নীতি, রাষ্ট্র পরিচালনার কৌশলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে এই মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেবে না। এসব সিদ্ধান্ত নিতে নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

  • Jaishankar to Meet Taliban: তাসখন্দে তালিবান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন জয়শঙ্কর?

    Jaishankar to Meet Taliban: তাসখন্দে তালিবান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন জয়শঙ্কর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলছে নয়াদিল্লি (New Delhi)-কাবুল (Kabul) সম্পর্কের বরফ? আপাতত এই প্রশ্নটিই ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্ব রাজনৈতিক মহলে। তার কারণ চলতি সপ্তাহেই আফগানিস্তানের (Afghanistan) বিদেশমন্ত্রী তালিবান (Taliban) নেতা আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। উজবেকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশনে অর্গানাইজেশনের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তান উড়ে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখানেই বিদেশেমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে মুখোমুখি বসতে পারেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী।

    সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে কাবুলে ভারতীয় দূতাবাস চালু করা নিয়ে তালিবান সরকারের সঙ্গে বৈঠকের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কিন্তু তা হয়নি। ইতিমধ্যে অবশ্য প্রবল ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয় আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ অংশ। তখন তড়িঘড়ি ত্রাণ নিয়ে তালিবান সরকারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই প্রেক্ষিতেই এবার দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। জয়শঙ্কর-মুত্তাকির বৈঠকে ভারতের মানবিক সাহায্যের বিষয়টিও উঠতে পারে বলে কূটনৈতিক মহল সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন :মূল্যবোধই ভারতের সম্পদ! অভিমত সামান্থার

    সেপ্টেম্বর মাসের ১৫-১৬ তারিখে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের  প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মুখোমুখি হবেন আরও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা। চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং কাজাখস্তান এই আটটি দেশ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের পূর্ণ সদস্য। এই সম্মেলনের আগে শুরু হয়েছে এই দেশগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক।

    জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসরাফ গনি সরকারের শাসনকালে সে দেশে বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিল ভারত। নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে তালিবান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বন্ধ হয়ে যায় সেই কাজ। সেই কাজগুলি ফের যাতে শুরু করা যায়, সে ব্যাপারে জয়শঙ্করের কাছে আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী দরবার করতে পারেন বলে খবর। এদিকে, ভারতের তরফেও এই বৈঠকে কয়েকটি বার্তা পৌঁছে দেওয়া হতে পারে কাবুলকে। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের মাটি থেকে ভারত বিরোধী কোনও কাজ যে নয়াদিল্লি সহ্য করবে না, সেই বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হতে পারে দুই দেশ মুখোমুখি হলে।

    আরও পড়ুন : এসসিও-র সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মোদি-শি জিনপিং, আলোচনা হবে সীমান্ত নিয়ে?

    প্রসঙ্গত, তালিবানরা কাবুল দখল করার পর সেখানকার দূতাবাস বন্ধ করে দেয় নয়াদিল্লি। সম্প্রতি তা খোলার ব্যাপারে ফের সক্রিয় হয়েছে ভারত। সে দেশে পাঠনো হয় একটি প্রযুক্তি দলকেও। জুলাই মাসে বিদেশমন্ত্রকের যুগ্মসচিব জেপি সিংয়ের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে একটি প্রতিনিধি দলও পাঠায় ভারত। তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুত্তাকি।

     

  • UK government:  কী হল বরিস সরকারের? চার মন্ত্রীর পদত্যাগে চিন্তায় জনসন

    UK government:  কী হল বরিস সরকারের? চার মন্ত্রীর পদত্যাগে চিন্তায় জনসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের (Boris Johnson) জন্য বড় ধাক্কা। বুধবারও বরিসের অস্বস্তি বাড়িয়ে আরও দুই মন্ত্রী ইস্তফা দিলেন। তাঁদের মধ্যে আছেন পরিবার ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের মন্ত্রী উইল কুইন্স ও পরিবহন মন্ত্রী লরা ট্রট। মঙ্গলবার তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ২ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী (Cabinet ministers) ঋষি সুনক (Rishi Sunak) এবং সাজিদ জাভিদ (Sajid Javid)। আজ আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এই পদত্যাগের ফলে যুক্তরাজ্যে বরিস জনসন সরকারের পতনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। 

    শিশু ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী উইল কুইনস বলেন, ‘আমার সামনে পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই।’ এদিকে লরা ট্রট দাবি করেন, এই সরকারের উপর তিনি আর ভরসা রাখতে পারছেন না, তাই তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর জেরে আরও চাপে পড়লেন বরিস জনসন। 

    এর আগে গতকাল কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ইস্তফা দেন ব্রিটেনের দুই ক্যাবিনেট মন্ত্রী। প্রথমে পদত্যাগ করেন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক। তারপর ইস্তফা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। ঋষি, সাজিদদের দাবি, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উপর আস্থা হারিয়েছেন তাঁরা। ব্রিটিশ রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, ঋষি এবং সাজিদ হাত মিলিয়ে নেওয়ায় জনসনের পক্ষে সরকার টিকিয়ে রাখা যথেষ্ট কঠিন হবে। এই আবহে নিজের অনুগত নাদিম জাহাউইকে (Nadhim Zahawi) গুরুত্বপূর্ণ অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলাতে দেন বরিস। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হলেন স্টিভ বার্কলে।

    আরও পড়ুন: ডায়ানার পোট্রেট নিলামে, ছবির রহস্য জানেন?

    গতকাল পদত্যাগ প্রসঙ্গে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি বলেছেন, ‘মানুষ আশা করেন, সঠিকভাবে, দক্ষতার সঙ্গে এবং গুরুত্ব সহকারে সরকার চালানো হবে।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, মন্ত্রী হিসেবে এটাই আমার শেষ দফা হতো। তবে আমার বিশ্বাস যে এই বিষয়টি লড়াই করার মতো এবং সেজন্যই আমি ইস্তফা দিচ্ছি।’ ট্যুইটের সঙ্গে তিনি জুড়ে দেন প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া তাঁর চিঠিও। অন্যদিকে, সাজিদের দাবি, ‘নিজের হৃদয়ের বিচারে (বরিসের সরকারে) কাজ চালিয়ে যেতে পারব না।’ তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন , বলে ট্যুইটে জানান তিনি।

    ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, যৌন কেলেঙ্কারি সহ একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ক্রিস পিনচার নামে এক রাজনীতিককে বড় পদে এনেছিলেন বরিস। তাঁর দাবি ছিল, পিনচারের বিরুদ্ধে ওই সমস্ত অভিযোগের কথা তাঁর জানা ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি ফাঁস হয়, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী মিথ্যে বলেছেন। তার প্রতিবাদেই বরিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পদত্যাগ করলেন চার মন্ত্রী।

  • Pakistan arrests Let Terrorist: ‘মৃত’ জঙ্গিকে ‘গ্রেফতার’, ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে মরিয়া পাকিস্তান?

    Pakistan arrests Let Terrorist: ‘মৃত’ জঙ্গিকে ‘গ্রেফতার’, ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে মরিয়া পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের ‘ধূসর’ তালিকা থেকে বেরোতে মরিয়া পাকিস্তান (Pakistan)। বিশ্বের সুনজরে আসতে ‘মৃত’ ঘোষণা করা জঙ্গিকেও ‘গ্রেফতার’ করে আরও বিতর্কে জড়াল ভারতের এই প্রতিবেশি দেশ। সম্প্রতি ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মাস্টার মাইন্ড লস্কর-ই-তইবার (LeT) জঙ্গি (Terrorist) সাজিদ মীরকে (Sajid Mir) গ্রেফতার করার দাবি করেছে পাকিস্তান। গোটা বিশ্বই এই কুখ্যাত জঙ্গিকে ধরতে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এই জঙ্গির মাথার দাম ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার ঘোষণা করেছিল। পাকিস্তান এতদিন দাবি করে এসেছে এই জঙ্গি বেঁচেই নেই। কিন্তু হঠাতই সেই দাবি থেকে সরে এসে মুম্বাই হামলার ১৪ বছর পরে সাজিদ মীরকে গ্রেফতারের পাকিস্তানের এই ঘোষণাকে কেউই ভালো চোখে দেখছেন না। অনেকেই মনে করছেন দেশের নামের আগে ধূসর তকমা মুছতে মীরের গ্রেফতারি পাকিস্তানের নয়া নাটক। 

    আরও পড়ুন: এখনই ধূসর তালিকামুক্ত হচ্ছে না পাকিস্তান, জানাল এফএটিএফ  

    লস্কর-ই-তইবা একটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন। পাকিস্তান বছরের পর বছর ধরে মীরের উপস্থিতি অস্বীকার করে গিয়েছে। এমনকি একবার এও দাবি করেছে যে সে মারা গিয়েছে। সাজিদ মীর এফবিআই (FBI)-র মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় রয়েছে। বহু বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই মীরকে খুঁজছে। 

    জঙ্গিগোষ্ঠী লস্করের সামাজিক সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার সক্রিয় সদস্য ছিল সাজিদ। ২৬/১১ হামলার আর এক চক্রী ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গে সেই যোগাযোগ রাখত। প্রসঙ্গত, লস্করের হয়ে ২৬/১১ হামলার জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে একাধিক বার ভারতে এসেছিল হেডলি। পরে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই তাকে গ্রেফতার করে।

    আরও পড়ুন: শীর্ষ লস্কর নেতা মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় বাধা চিনের

    সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর (Terror Funding) অভিযোগ উঠেছে বারংবার। তার পরেও পাকিস্তানের (Pakistan) মাথা থেকে সরেনি ‘সন্ত্রাসবাদের আঁতুড় ঘরে’র তকমা। নিজেকে শুধরে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ওপর একাধিক শর্ত আরোপ করেছিল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ (FATF)। পাকিস্তানকে তারা রেখে দিয়েছিল ধূসর তালিকায়। 

    জন্মলগ্ন থেকেই নানা কারণে সন্ত্রাসবাদে মদতদাতা বিভিন্ন দেশের তালিকায় ঢুকে গিয়েছে পাকিস্তানের নাম। বিশ্বের একাধিক কুখ্যাত জঙ্গির নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়েছে শেহবাজের দেশ। ভিন দেশেও যে সব জঙ্গির ঠাঁই হয়েছে, পাকিস্তান তাদেরও নিয়মিত অর্থ জুগিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ। ইসলামাবাদ জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে বিশ্ব দরবারে একাধিকবার সরব হয়েছে ভারত (India)। তার পরেও ইসলামাবাদ সন্ত্রাসবাদে অর্থ সাহায্য বন্ধ করেনি বলে অভিযোগ। 

    এফএটিএফ কোনও দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করার আগে দুটি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায়। একটি হল ‘ধূসর তালিকা’, অন্যটি ‘আরও বেশি ধূসর’। এই দুই তালিকাভুক্ত করে কোনও দেশকে দুবার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তার পরেও কাজ না হলে ওই দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। অনেক আগেই এফএটিএফের তরফে ইসলামবাদকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল, শর্ত ঠিক মতো পালন না করলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। গত চার বছর ধরে এফটিএফের ধূসর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান।

  • G7 Summit: চিনকে রুখতে বিশেষ পরিকল্পনা জি-৭ গোষ্ঠীর, কী সেই মাস্টার প্ল্যান?

    G7 Summit: চিনকে রুখতে বিশেষ পরিকল্পনা জি-৭ গোষ্ঠীর, কী সেই মাস্টার প্ল্যান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বে চিনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য (China) রুখতে এবার উদ্যোগী হল জি-৭ (G-7)। ভারত সহ উন্নয়নশীল দেশগুলিতে (Developing Countries) ৬০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার সাহায্যের সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকার (USA) পাশাপাশি ইউরোপের ৬টি দেশ নিয়ে গঠিত “গ্রুপ অফ সেভেন”।

    জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি হল— জাপান, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের পাশাপাশি এবারের জি-৭ সম্মেলনে আর্জন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, সেনেগাল এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল অতিথি দেশ হিসেবে। সেখানেই অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি কথা ওঠে বিশ্বব্যাপী চিনা আধিপত্য নিয়েও।

     

    উন্নয়নমূলক নানা প্রকল্পে অর্থ সাহায্যের নামে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে দেদার ঋণ দেয় চিন। পরে আদায় করতে থাকে চড়া হারে সুদ। যার জেরে আক্ষরিক অর্থেই পথে বসতে হয় ঋণ নেওয়া ওই দেশগুলিকে। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ শ্রীলঙ্কা। দেশটির পরিকাঠামো উন্নয়নমূলক নানা খাতে মোটা অঙ্কের অর্থ সাহায্য করে শি জিনপিংয়ের সরকার। পরে সুদ দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস হওয়ার জোগাড় দেশটির। শেষমেশ নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা সরকার। চিনা ঋণের ফাঁদে পড়েছে ভারতের আরও এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও।

    আরও পড়ুন : জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে মিউনিখে মোদি

    চিনের এই বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)-এর পাল্টা ব্যবস্থা কী করা যায় তা নিয়ে জার্মানির মিউনিখ শহরে আলোচনা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশগুলির সংগঠন জি-৭ এর শীর্ষ সম্মেলনে।  নয়া এই পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য পার্টনারশিপ ফর গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকটার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, এই পরিকল্পনা সবার জন্য সুফল বয়ে আনবে। তিন বলেন, আজ জি-৭ এর সদস্যভুক্ত দেশগুলি চালু করল দ্য পার্টনারশিপ ফর গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকটার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। এক ট্যুইট বর্তায় তিনি বলেন, সব মিলিয়ে ২০২৭ সালের মধ্যে জি-৭ এর তরফে আমরা প্রায় ৬০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করব। 

    এর মধ্যে ৩ কোটি ডলার প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ করা হয়েছে ভারতের জন্য। জানা গিয়েছে, এই বরাদ্দ হবে অমনিভোর এগ্রিটেক ও জলবায়ু স্থায়িত্ব তহবিলে। মূল লক্ষ্য, ভারতে কৃষি, খাদ্য ব্যবস্থা, জলবায়ু এবং গ্রামীণ অর্থনীতির ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। পাশাপাশি, ভারতে যে সংস্থাগুলি খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ু স্থিতিশীলতা ও জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে কাজ করে, তাতেও বিনিয়োগ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

    আরও পড়ুন : “শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত”, চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    বর্তমানে, এশিয়া মহাদেশের ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারত অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে রেখেছে। চিন হোক বা আমেরিকা, সকলেই ভারতের এই সক্ষমতা সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। ভারতীয় মহাসাগর অঞ্চলে চিনের আধিপত্যকে বাগে আনতে গেলে, ভারতকে পাশে পাওয়াটা যে অত্যন্ত জরুরি তা বিলক্ষণ জানেন বাইডেন। সদ্যসমাপ্ত জি-৭ বৈঠকে তার উদাহরণও প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ববাসী, যখন কিছুটা দূরে আলাপচারিতায় মগ্ন মোদিকে দেখে নিজে হেঁটে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাঁধে পিছন থেকে হাত রাখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    তবে, এই বরাদ্দ কোনও অনুদান নয়, তাও মনে করিয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাইডেন বলেন, আমি এটা স্পষ্ট করে দিতে চাই যে এই পার্টনারশিপ ফর গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকটার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোনও সাহায্য কিংবা অনুদান নয়। এর সুফল পাবেন সবাই। এর মধ্যে রয়েছেন আমেরিকার বাসিন্দারাও।

    নয়া এই পরিকল্পনায় ড্রাগনকে ঠেকানো যায় কিনা, এখন সেটাই দেখার!

     

  • Pakistan: রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন, সেনা আধিকারিকদের নির্দেশ পাক সেনা প্রধানের

    Pakistan: রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন, সেনা আধিকারিকদের নির্দেশ পাক সেনা প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের রাজনীতি (Politics) থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিলেন চিফ অফ স্টাফ জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া (Qamar Javed Bajwa)। সেনাবাহিনীর কমান্ডার, শীর্ষ কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) সঙ্গে যুক্ত কর্তাদের উদ্দেশে এনিয়ে আলাদা একটি নির্দেশিকাও জারি করেছেন পাক সেনা প্রধান। সেনা কর্মকর্তাদেরও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আলাপ আলোচনাও বন্ধ রাখার আহ্বান জানান পাকিস্তানের সেনা কর্তা।  

    পাঞ্জাবে আসন্ন উপনির্বাচনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহেরিক-ই ইনসাফ, সংক্ষেপে পিটিআইকে বেকায়দায় ফেলতে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা জড়িত বলে অভিযোগ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রেও আইএসআই এবং সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা জড়িত বলে লাগাতার অভিযোগ করে আসছেন পিটিআই নেতারা। তাঁদের সন্দেহের তির আইএসআই লাহোর সেক্টরের কমান্ডারের দিকে। সূত্রের খবর, গত দু সপ্তাহ ধরে পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরে নিজ কর্মস্থলে তিনি নেই। এই মুহূর্তে তিনি রয়েছেন রাজধানী ইসলামাবাদে।

    আরও পড়ুন : করাচিতে জরুরি অবতরণ, কী হল দুবাইগামী স্পাইসজেটের বিমানে?

    পাকিস্তানের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইয়াসমিন রাশিদ সম্প্রতি এই আইএসআই কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন। রাশিদের আগে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের ডেপুটি চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কুরেশিও বলেন, পাঞ্জাব প্রদেশের উপনির্বাচনে পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানও প্রায় একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, তাঁর কিছু কিছু প্রার্থীও অচেনা নম্বর থেকে ফোন পাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন : ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি! বিদ্যুৎ সংকট পাকিস্তানে

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পাকিস্তানের রাজনীতির মূল চাবিকাঠি থাকে সেনাবাহিনীর হাতে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে যিনি বসেন, তাঁর সঙ্গে বরাবর সেনাবাহিনীর সুসম্পর্ক থাকে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেনা প্রধানের দূরত্ব তৈরি হলেই সমূহ বিপদ। ক্ষমতা চ্যুত হতে হয়। যেমনটা সম্প্রতি হতে হয়েছে ইমরান খানকে। তার পরেই পাক প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন শেহবাজ শরিফ। এর ঠিক পরে পরেই সেনা প্রধানের এই নির্দেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

     

  • Princess Diana: ডায়ানার পোট্রেট নিলামে,  ছবির রহস্য জানেন?

    Princess Diana: ডায়ানার পোট্রেট নিলামে, ছবির রহস্য জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রিন্সেস ডায়ানার (Princess Diana) তেল রঙে আঁকা একটি বিরল পোট্রেট সম্প্রতি নিলামে বিক্রি হয়েছে। এরপরেই প্রথমবারের মতো এই ছবিটিকে জনসম্মুখে প্রদর্শন করা হয়েছে। তারপরেই এই ছবি নিয়ে চারিদিকে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রিন্সেস ডায়ানার রুপ, সৌন্দর্য আর আভিজাত্য যে শুধু মানুষের দৃষ্টি কেড়েছিলো তা নয় তার ব্যক্তিত্বও সবার মনে এক জায়গা করে নিয়েছিল। প্রিন্স চার্লসের (Prince Charles) প্রাক্তন স্ত্রী ডায়ানার এই ছবিটি প্রথমবারের জন্য একটি এক্সিবিশনে সবার সামনে তুলে ধরা হয়।

    জানা গিয়েছে, এই ছবিটি আঁকানোর জন্যে তাঁকে ৩৫ ঘণ্টা সময় দিতে হয়েছিল। শিল্পী যাতে এই অপরূপ সৌন্দর্যকে তাঁর অয়েল পেন্টিংয়ে ধরে রাখতে পারেন তার জন্যে ডায়ানাকে ৩০ টি সিটিং পোজ দিতে হয়েছিল। একজন প্রিন্সেস হয়েও এক শিল্পীর জন্য এতটা সময় তিনি দিয়েছিলেন, ফলে এর থেকেই বোঝা যায় তাঁর ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে। ১৯৯৪ সালে অর্থাৎ প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর তিন বছর আগে এই ছবিটি এঁকেছিলেন আমেরিকার শিল্পী নেলসন শ্যাঙ্কস (Nelson Shanks )। চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি নিলামে ২ লাখ ১ হাজার ৬০০ ডলারে অর্থাৎ ১ কোটি ৫৯ লক্ষ ১৬ হাজার ৫০১ ভারতীয় টাকায় এই তৈলচিত্রটি বিক্রি করা হয়।

    [insta]https://www.instagram.com/tv/CfW2yJeK0FV/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    ফিলিপ মোল্ড অ্যান্ড কোম্পানির (Philip Mould & Company) ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, লন্ডনের একটি আর্ট গ্যালারিতে মাস্টারপিস লন্ডন আর্ট মেলায় এই স্কেচটি প্রদর্শন করা হয়েছে। এই প্রদর্শনীটি ৩০ জুন শুরু হয়েছে ও এটি ৬ জুলাই পর্যন্ত চলবে।

    ছবিটিতে প্রয়াত রাজকুমারী ডায়ানাকে অপূর্ব সুন্দরী দেখাচ্ছে। এখানে তাঁকে একটি সবুজ রঙের হল্টার নেক গলার ড্রেস পরে দেখা যাচ্ছে। এই ছবিটিতে তিনি একদিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে রয়েছেন আর তাঁর এই চাহনি যেন সবার মনে ঝড় তুলে দিয়েছে। এই বিরল ছবিটি সামনে আসতেই আবারও খবরের শিরোনামে প্রিন্সেস ডায়ানা।  তিনি তাঁর ফ্যাশন সেন্সের জন্য সবসময় চর্চায় থাকতেন। ছবি যখন আঁকা হয়েছিল তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে অনেক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তাঁর মানসিক অবস্থাকে দূরে সরিয়ে তিনি শিল্পী নেলসন শ্যাঙ্কসের সঙ্গে সহযোগিতা করেছিলেন। প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদ নিয়েও অনেক কটুক্তির শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। তাই তো অনেকেই মনে করেন এই বিরল পোট্রেটে ডায়ানার একদিকে যেমন বাহ্যিক সৌন্দর্য ধরা পড়েছে, তেমনি তাঁর মনের অবস্থার কথাও যেন এই ছবির মাধ্যমে ফুটে উঠেছে।

  • Smoking Kali Controversy: ‘স্মোকিং কালী’ পোস্টার বিতর্ক, চলচ্চিত্র নির্মাতার বিরুদ্ধে এফআইআর দিল্লি, ইউপি পুলিশের

    Smoking Kali Controversy: ‘স্মোকিং কালী’ পোস্টার বিতর্ক, চলচ্চিত্র নির্মাতার বিরুদ্ধে এফআইআর দিল্লি, ইউপি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লীনা মণিমেকালাই (Leena Manimekalai)- এর ডক্যুন্টারি ফিল্ম ‘কালী’র পোস্টার নিয়ে ইতমধ্যেই তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ২ জুলাই ছবিটির পোস্টার মুক্তি পেয়েছে। ছবির পোস্টারে দেবী কালীকে ধূমপান (Smoking Kali) করতে দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাঁর এক হাতে ত্রিশূল এবং অন্য হাতে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের রঙিন পতাকা। এ দুটি বিষয় নিয়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। পোস্টারটি মুক্তি পেতেই  সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। লীনা মণিমেকালাইয়ের গ্রেফতারির দাবিও করেছেন অনেকে। 

    আরও পড়ুন: মোদির উপহারে দেশীয় শিল্পের ছোঁয়া! অভিভূত রাষ্ট্রনেতারা

    [tw]


     [/tw]

    #arrestleenamanimekalai ট্রেন্ড করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নির্মাতারা পোস্টারে দেবী কালীকে অপমান করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। লীনা মণিমেকলাইয়ের বিরুদ্ধে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দুই বন্ধুর চায়ে পে চর্চা! জি-৭ বৈঠকে আলাপচারিতায় মোদি-মাক্রঁ  

    লীনা মণিমেকালাই তাঁর তথ্যচিত্রের পোস্টারটি শেয়ার করে বলেছিলেন যে ছবিটি কানাডা চলচ্চিত্র উৎসবে (কানাডা রিদমস) মুক্তি পেয়েছে। এবার এই বিতর্কিত পোস্টারের বিষয়ে বিবৃতি জারি করল কানাডায় অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশন। কানাডা প্রশাসনকে বিষয়টির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও জানানো হয়। 

    [tw]


    [/tw]

    বিবৃতিতে জানানো হয়, কানাডার হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের কাছ থেকে অভিযোগ এসেছে। হিন্দু সম্প্রদায়গুলিকে জানানো হয়েছে যে, হাই কমিশনের তরফ থেকে কানাডা প্রশাসনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়াও কানাডা চলচ্চিত্র উৎসব কমিটিকেও ছবিটি তুলে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

    ছবির নির্দেশক লীনা মণিমেকালাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ইউপি পুলিশ। ইচ্ছাকৃত ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ায় আইপিসির 120-B, 153-B, 295, 295-A, 298, 504, 505(1)(b), 505(2), 66 এবং 67 ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

    রাজনীতিবিদরাও বিষয়টিতে সরব হয়েছেন। বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা বিনীত গোয়েঙ্কা (Vinit Goenka)। ট্যুইটে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকে ট্যাগ করে লেখেন, “যারা মা কালীকে শক্তির প্রতীক হিসেবে আরাধনা করেন তাঁদের জন্যে এই ট্যুইটটি অপমানজনক। এইভাবে মা কালীকে প্রদর্শন করা শুধু হিন্দু নয় সব ভারতীয়দের অপমান। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে এই ট্যুইট। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি এখনও কেন এই ট্যুইট তুলে নেওয়া হয়নি!” 

    [tw]


    [/tw]

    স্রোতের বিপরীতে গা ভাসিয়ে ছবি নির্মাতাকে সমর্থন করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। এক সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমার কাছে মা কালী মাংসভোজী, মদ পান করা একজন দেবী।”

    [tw]


    [/tw]

     এই ‘স্মোকিং কালী’ বিতর্ক নিয়ে ট্যুইট যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে নেট পাড়াও। এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী পোস্টারে অমিত শাহ এবং পিএমও-কে ট্যাগ করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। 

    [tw]


    [/tw]

    অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন – “লজ্জা, আপনি মা কালীর যে প্রকৃতি দেখিয়েছেন তা আপনার, মা কালীর নয় এবং মা কালী নিজেই এর জন্য আপনাকে শাস্তি দেবেন। এই অপকর্মের জন্য আপনি ক্ষমার অযোগ্য।”

    [tw]


    [/tw]

     

  • Brizarre: বাবার শেষ ইচ্ছে পূরণ, হাসপাতালে সিরিঞ্জে করে মদ নিয়ে গিয়ে গলায় দিলেন মেয়ে 

    Brizarre: বাবার শেষ ইচ্ছে পূরণ, হাসপাতালে সিরিঞ্জে করে মদ নিয়ে গিয়ে গলায় দিলেন মেয়ে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবার শেষ ইচ্ছে মরার আগে অন্তত আরও একবার মেয়ের (Daughter) সঙ্গে মদ্যপান করবেন। মুমূর্ষু বাবার (Dying Dad) সেই ইচ্ছের কথা জেনে আর স্থির থাকতে পারেননি মেয়ে। লুকিয়ে হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে এলেন মদ। সিরিঞ্জে করে ঢেলে দিলেন মৃতপ্রায় বাবার মুখে। ঢাললেন নিজের গলায়ও। কোনওক্রমে ঢোক গিললেন বাবা। মেয়ের চোখে মুখে তখন তৃপ্তির ছাপ স্পষ্ট। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই ছবি। অষ্ট্রেলিয়ার একটি হাসপাতালের এই ঘটনায় চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি বহু নেটিজেন।

    অষ্ট্রেলিয়ার একটি হাসপাতালে শয্যাশায়ী মুমূর্ষু এক বৃদ্ধ। বাবার মাথার গোড়ায় বসে রয়েছেন মেয়ে পেনিলোপ অ্যান। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি সিরিঞ্জে করে বাবার গলায় ঢেলে দিচ্ছেন বান্ডারবার্গ রাম এবং কোক। ঢোক গিললেন বৃদ্ধ। কষ বেয়েও গড়িয়ে পড়ল কিছুটা। এই ভিডিও শেয়ার করে ওই যুবতী লিখেছেন, আমার বাবার সঙ্গে শেষবারের জন্য মদ্যপান। বাবা, তুমি মৃত্যুর পরে যেখানেই যাও না কেন, আমি তোমাকে খুবই ভালবাসি।

    আরও পড়ুন : পেটে ব্যথা নিয়ে শৌচালয় গেলেন ছাত্রী, বেরোলেন সদ্যোজাত কোলে নিয়ে!

    হাসপাতালে মাদক জাতীয় জিনিস নিয়ে যাওয়া যায় না। তবুও বাবার শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে পেনিলোপ লুকিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন মদ। তিনি বলেন, বাবাকে বিদায় জানাতে প্রস্তুত হয়েই হাসপাতালে এসেছিলাম আমি। শেষবারের জন্য তাঁর গলায় একটু মদ ঢেলে দিলাম। পেনিলোপ বলেন, মদ নিয়ে গিয়ে বাবাকে বললাম, তোমার জন্য রাম নিয়ে এসেছি বাবা। আমরা দুজনেই এক সঙ্গে মদ্যপান করব। এর পরেই সিরিঞ্জে করে মৃতপ্রায় বাবার গলায় মদ ঢেলে দেন মেয়ে। বাবাকে জিজ্ঞেস করেন দারুন স্বাদ না বাবা! শেষবারের মতো একবার মাথা নাড়লেন বৃদ্ধ। মেয়ের মুখে তখন আর খুশি ধরে না।ভিডিওর ক্যাপশনে পেনিলোপ লিখেছেন, বাবার সঙ্গে এই আমার শেষবারের মতো মদ্যপান। এর পর তাঁর আত্মা বিলীন হয়ে যাবে মহাবিশ্বে। আমি তোমাকে খুব ভালবাসি বাবা।

    আরও পড়ুন : খরার ফলে জেগে উঠল ৩৪০০ বছরের পুরনো শহর

    ভাইরাল ভিডিও দেখে চোখের জল বাঁধ মানেনি নেটিজেনদেরও। তাঁরা বলছেন, বাবার শেষ ইচ্ছে পূরণ করে ঠিক কাজই করেছেন পেনিলোপ। মুমূর্ষুর শেষ ইচ্ছেপূরণ করাই যে বিশ্বজনীন রীতি!

     

LinkedIn
Share