Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bangladesh Hindu Teachers: বাংলাদেশে পিটিয়ে খুন হিন্দু শিক্ষককে, জুতোর মালা অন্যকে

    Bangladesh Hindu Teachers: বাংলাদেশে পিটিয়ে খুন হিন্দু শিক্ষককে, জুতোর মালা অন্যকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হিন্দু শিক্ষক (Hindu Teacher) নিগ্রহের ঘটনা বাংলাদেশে (Bangladesh)। বাংলাদেশের নড়াইল জেলায় কলেজ শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসের (Swapan Kumar Biswas) গলায় জুতোর মালা পরানোর ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে প্রশাসন। ওই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাশকতা ও শিক্ষককে হেনস্থা করার অভিযোগে দায়ের হয়েছে মামলা। এদিকে, এই ঘটনারই দিন কয়েক আগে সাভার এলাকায় উৎপল কুমার সরকার নামে এক হিন্দু শিক্ষককে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে এক ছাত্র।

    আরও পড়ুন : পয়গম্বর বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুলল বাংলাদেশ, কী বলল প্রতিবেশী রাষ্ট্র?

    হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা।পরে তাঁকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। এই নূপুরের সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া বাংলাদেশের হিন্দু ছাত্র রাহুল দেব রায়কে বাঁচানোর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জুতোর মালা পরানো হয় মির্জাপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন বিশ্বাসকে। ওই ঘটনার ছবি ভাইরালও করা হয় ফেসবুকে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় সৈয়দ রিমন আলি, শাওন খান এবং মনিরুল ইসলাম নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    শিক্ষককে হেনস্থার প্রতিবাদে নিন্দার ঝড় বাংলাদেশজুড়ে। পুলিশের সামনে কীভাবে একজন শিক্ষককে এভাবে অপমান করা হল, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। নাট্যকর্মী থেকে নেট নাগরিক, সবারই বক্তব্য কেবল হিন্দু হওয়ার অপরাধেই এমন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে মির্জাপুর কলেজের ওই শিক্ষককে।

    আরও পড়ুন : পদ্মা সেতু বাংলাদেশ-চিনের যৌথ প্রকল্প? বেজিংয়ের দাবি ওড়াল ঢাকা

    এদিকে, এই ঘটনারই দিন কয়েক আগে সাভার এলাকায় উৎপল কুমার সরকার নামে এক হিন্দু শিক্ষককে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে এক ছাত্র। হাজি ইউনুস আলি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্রের এই কাজেও ঘৃণা উগরে দিয়েছেন বাংলাদেশের শিক্ষিত সমাজ। এই ঘটনার উদ্দেশ্য নিয়ে পুলিশ ধন্দে রইলেও, অনুমান ওই ছাত্র স্কুলের ছাত্রীদের উত্যক্ত করত। ঘটনার প্রতিবাদ করায় উইকেট দিয়ে পিটিয়ে ফেলা হয়। ওই শিক্ষক হিন্দু হওয়ায়ই এমনটা ঘটেছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশের শিক্ষিত সমাজের একাংশের।

    টিপ পরায় বাংলাদেশের রাজধানীয় ঢাকায় পুলিশ কর্মীর হাতে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল তেজগাঁও কলেজের শিক্ষিকা লতা সমাদ্দারকে। তার কয়েক দিনের মধ্যেই মিথ্যা ধর্ম অবমাননার দায়ে বিনা অপরাধে জেল খাটতে হয়েছিল মুন্সিগঞ্জের একটি স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে। ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ স্কুলের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তাকেও  জনসমক্ষে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছিল। সেই ঘটনায়ও নিন্দার ঝড় উঠেছিল বাংলাদেশ জুড়ে।

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের সেই ধারা আজও অব্যাহত!

     

  • Sri Lanka: বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    Sri Lanka: বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) গভীর সমুদ্রবন্দর হামবানটোটার (Hambantota Port) নিয়ন্ত্রণ রয়েছে চিনের (China) হাতে। এ সংক্রান্ত চুক্তিটি স্বাক্ষর হয় বছর পাঁচেক আগে। কেবল বাণিজ্যিক কাজেই চিন বন্দরটি ব্যবহার করবে এই আশ্বাস দেওয়ার পরেই সম্পাদন হয় চুক্তি।

    এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে জাহাজ চলাচলের প্রধান কেন্দ্র ভারত মহাসাগরে শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দর। বাণিজ্যিক কারণে তাই দুই মহাদেশের কাছেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ শ্রীলঙ্কার এই বন্দরটি। এই বন্দরেরই নিয়ন্ত্রণ চলে এল চিনের হাতে।

    আরও পড়ুন : অশান্তির আগুনে পুড়ল শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের পৈতৃক বাড়ি, বিক্ষোভ হঠাতে গুলি

    হামবানটোটা বন্দরের কাজ শুরু হয় ২০০৮ সালে। শ্রীলঙ্কাকে এজন্য ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেয় ড্রাগনের দেশ। বন্দর গড়তে যৌথভাবে কাজ শুরু করে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও সাইনো হাইড্রো কর্পোরেশন। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়ে যায় ২০১০ সালে। ঠিক তার পরের বছর নভেম্বরে শুরু হয় বাণিজ্যিক কাজকর্ম। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ হয় ২০১৫ সালে। সব মিলিয়ে খরচ হয় ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার। ঋণের আসল ও সুদ বাবদ চিনকে ১৭০ কোটি মার্কিন ডলার দিতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। ঋণের এই বিপুল বোঝার ভার কমাতে বন্দরটি চিনকে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কা সরকার। চুক্তি স্বাক্ষর হয় ২০১৭ সালে।

    আরও পড়ুন : আর্থিক সঙ্কটে পড়ে নিজেদের ঋণখেলাপি ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা

    বন্দরের উন্নতিকল্পে চায়না মার্চেন্ট পোর্টস হোল্ডিং কোম্পানি বন্দরের ৮৫ শতাংশ স্টেক অধিগ্রহণের বিনিময়ে ১১২ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে রাজি হয়। বন্দরের বাকি স্টেক থাকে শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের হাতে। তার পরেও ফি বছর শ্রীলঙ্কা সরকারকে মোটা অঙ্কের টাকা চিনকে দিতে হয় বন্দর গড়তে নেওয়া ঋণের সুদ বাবদ। যার জেরে ক্রমেই ঋণের ফাঁদে ডুবতে থাকতে দ্বীপরাষ্ট্র।

    যদিও পোর্টের ওয়েবসাইটে বন্দরে নানা সুযোগ সুবিধার কথা বলা হয়েছে, তা সত্ত্বেও সেখানে অনেক কিছুই মেলে না বলে অভিযোগ। সেই কারণেই প্রধান জাহাজ কোম্পানিগুলি ওই বন্দর এড়িয়ে চলছে বলেও সূত্রের খবর।

     

  • Afghan Journalist: রাস্তায় খাবার বিক্রি করছেন সাংবাদিক! তালিবান শাসনের অভিশাপের ছবি আফগানিস্তানে

    Afghan Journalist: রাস্তায় খাবার বিক্রি করছেন সাংবাদিক! তালিবান শাসনের অভিশাপের ছবি আফগানিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতবছর অগাস্ট মাসেই আফগানিস্তানের (Afghanistan) মাথায় নেমে এসেছে তালিবানি (Talibs) শাসনের অভিশাপ। তারপর থেকেই তালিবানদের অত্যাচারে জেরবার দেশ।দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে আফগানদের জীবন৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই উঠে এসেছে আফগান অর্থনীতির করুণ ছবি। আফগানিস্তানে ভাইরাল হওয়া ছবিতে আরও একবার উলঙ্গ হল তালিবান প্রশাসনের অপদার্থতার ছবি। এককালের সাংবাদিক (Journalist), কাজ হারিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে খাবার বিক্রি করছেন। এই দৃশ্য নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। 

    আরও পড়ুন: নারীশক্তি! তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় ভারতের মহিলা প্রতিনিধি 

    সুদর্শন ও সুবক্তা এই সাংবাদিক আফগান খবরের চ্যানেলে এক সময় উপস্থাপক ছিলেন। নাম মোসা মহম্মদী (Mosa Mohammadi)। স্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরতেন সমাজে বিভিন্ন স্তরের খবর। কিন্তু এখন সেসব শুধুই সুখস্মৃতি। তালিবানি শাসনে সাংবাদিকতা এখন স্বপ্নাতীত। স্পষ্ট কথা, সরকারের সমালোচনা তো দূরের কথা। তাই সাংবাদিকতার মন্দার বাজারে কাজ হারিয়েছেন তিনি। রোজগার শূন্য। অবস্থা এতটাই খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রাস্তায় খাবার বিক্রি করে পেট চালাচ্ছেন মোসা।

    আরও পড়ুন: তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে প্রথম সরকারি সফর ভারতের, গলছে বরফ?

    সম্প্রতি, আগের সরকারের আধিকারিক এবং প্রাক্তন সাংবাদিক কবীর হকমল একটি ছবি ট্যুইট করেন। আর তাতেই গোটা বিশ্ব জানতে পারে ওই সাংবাদিকের দুরাবস্থার কথা। ট্যুইটে ওই আধিকারিক লিখেছেন, “এই খাবার বিক্রেতা আসলে একজন প্রাক্তন সংবাদ উপস্থাপক। রিপোর্টার মুসা মোহাম্মদী নামে সুপরিচিত ছিলেন। কিন্তু তালিবানের ক্ষমতায় আসার পর তাঁর চাকরি গিয়েছে। আসলে এদেশে সাংবাদিকতা পেশাটিই এখন বিপন্ন। ফলে চরম আর্থিক অনটনের শিকার তিনি।”  

    [tw]


    [/tw]

    এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে ট্যুইট করেছেন একাধিক বড় বড় সাংবাদিক। 

    [tw]


    [/tw]

    মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় ট্যুইটটি। এক শিক্ষিতের দুরাবস্থা দেখে হতাশ হয়েছেন অনেকেই। 

    মোসাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “আমার কোনও উপায় ছিল না। সব জায়গায় চেষ্টা করেছি। কোনও সংবাদমাধ্যম কাজ দেয়নি। তাই নিজের পরিবারের সকলের পেট চালাতে আমাকে এই পেশা বেছে নিতে হয়েছে।”

    কিছুদিন আগে আফগান মহিলা সাংবাদিকদের জন্যও কড়া ফতোয়া দিয়েছে তালিবান। বলা হয়েছে, মহিলাদের মাস্ক পরে সংবাদ পাঠ করতে হবে। তালিবানের এই ফতোয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সাংবাদিক গোষ্ঠী। ফতোয়ার পুরুষ সাংবাদিকরাও তাঁদের মুখ ঢেকে খবর পাঠ করেন। কালো মাস্ক পরে খবর পড়তে দেখা যায় তাঁদের।

    মোসার বিষয়টি গোটা বিশ্বের সামনে আসতেই নিজেদের দোষ ঢাকার চেষ্টা করেছে তালিবান সরকার। তালিবান সরকারের জাতীয় দূরদর্শন এবং রেডিও-র ডিরেক্টর জেনারেল মোসাকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।   

    [tw]


    [/tw]

    আফগানিস্তানের দখল তালিবানদের হাতে যাওয়ার পর থেকেই চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে দেশটি। বেকারত্বের হারও বিপুল গতিতে বেড়েছে। বিশেষত গত কয়েক মাসে বহু মহিলা তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন। অন্ধকারে ডুবে যাওয়ার পথে দেশটি। দেশের সংবাদমাধ্যম তো বটেই, বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলিকেও আক্রমণ করতে ছাড়েনি তালিবানরা। 

     

  • Abdul Rehman Makki: শীর্ষ লস্কর নেতা মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় বাধা চিনের

    Abdul Rehman Makki: শীর্ষ লস্কর নেতা মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় বাধা চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি (Pakistan) জঙ্গিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি (Terrorist) ঘোষণায় বাধা হয়ে দাঁড়াল চিন (China)। প্রত্যাশিতভাবেই প্রতিবেশী এই দুই দেশের দূরত্ব এক লপ্তে বেড়ে গেল বেশ খানিকটা। এর আগেও একাধিকবার ভারতের (India) প্রস্তাবে বাধা দিয়েছে ড্রাগনের দেশ। তবে এবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ভারত ও আমেরিকার (US) তরফে। তাতেও বাধার প্রাচীর তুলে দিল চিন।

    লস্কর-ই-তৈবার প্রধান, ২৬/১১ মুম্বই হামলার চাঁই হাফিজ সইদের আত্মীয় আবদুল রহমান মাক্কি (Abdul Rehman Makki)।  এই মাক্কিকে আগেই জঙ্গি ঘোষণা করেছে আমেরিকা। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে রাষ্ট্রসংঘে মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার প্রস্তাব জমা দেয় জো বাইডেনের দেশ। প্রস্তাব দেওয়া হয় রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আইসিস ও আলকায়দা নিষেধাজ্ঞা কমিটিকে। একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে ভেটো প্রয়োগ করে শি জিন পিংয়ের দেশ।  

    আরও পড়ুন : বুমেরাং হচ্ছে চিনা ঋণের ফাঁদ?

    এর আগেও একাধিকবার পাকিস্তানি জঙ্গিদের আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় ভারতের প্রস্তাবে বাধা দিয়েছে চিন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্ট্রসংঘে কূটনৈতিকভাবে জয়ী হয় ভারত। দিল্লির আবেদন মেনে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের মাসুদ আজাহারকে জঙ্গি ঘোষণা করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। প্রযুক্তিগত কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রসংঘে পনেরটি দেশের মধ্যে স্থায়ী সদস্য হিসেবে একমাত্র চিনই তাতে ভেটো দেয়। ২০০৯ সালে ভারত প্রথম ওই প্রস্তাব জমা দেয়। ২০১৬ সালে আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের সঙ্গে মিলে ফের প্রস্তাব দেয় ভারত। মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করে তাকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়। ২০১৭ সালে ফের প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। এই দফায়ও ভেটো প্রয়োগ করে চিন। এরপর আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স একটি খসড়া জমা দিয়ে গ্রেফতারের দাবি জানায় মাসুদকে। এই সময় কেবল আমেরিকাই মাক্কিকে বিশেষ জঙ্গি বলে উল্লেখ করে।

    আরও পড়ুন : জঙ্গি দমনে কঠোর এনআইএ, উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি

    ২০২০ সালে পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমন আদালত মাক্কিকে দোষী সাব্যস্ত করে। সন্ত্রাসবাদমূলক কাজকর্ম, সন্ত্রাসে আর্থিক মদত জোগানোর দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাকে। সম্প্রতি গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে গোটা বিশ্বে যখন সমালোচিত হচ্ছিল ভারত, তখন নয়াদিল্লির সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছিল চিন। মাক্কিকে জঙ্গি ঘোষণার প্রশ্নে ফের যোজন দূরত্ব তৈরি হল প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে।  

     

  • Wheat Re-Export Ban: এদেশ থেকে কেনা গম বেচতে পারবে না আমদানিকারী দেশ, শর্ত ভারতের

    Wheat Re-Export Ban: এদেশ থেকে কেনা গম বেচতে পারবে না আমদানিকারী দেশ, শর্ত ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) থেকে কেনা গম (Wheat) নিয়ে ব্যবসা করা চলবে না। এই মর্মে লিখিত অঙ্গীকার দিতে হবে। তবেই গম রফতানি করবে নয়াদিল্লি (New Delhi)। ভারতের এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে ইতিমধ্যেই চার মাসের জন্য ভারত থেকে কেনা গমের ওপর রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (UAE)। 

    বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদক দেশ ভারত। তবে তাপপ্রবাহের কারণে আগের বছরের তুলনায় এবার গমের উৎপাদন কমেছে প্রায় সাড়ে চার শতাংশ। তাই গম রফতানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নয়াদিল্লি। যদিও পরে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দেয়, কোনও দেশ অনুরোধ করলে সে দেশে গম রফতানির অনুমতি দেওয়া হবে। 

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গম রফতানি। যুদ্ধরত দুই দেশ বিশ্বের মোট রফতানির ৩০ শতাংশ গম সরবরাহ করে। যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়ায় তারা আর ওই পরিমাণ গম সরবরাহ করতে পারছে না। গম রফতানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারতও। এই সব কারণেই বিশ্ববাজারে গমের দাম বাড়তে থাকে হু হু করে।

    এরই সুযোগ নিতে থাকে বিভিন্ন দেশের এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। মোটা মুনাফার লোভে তারা ভারত থেকে আমদানিকৃত গম ভিন দেশে রফতানি করতে শুরু করে। এর পরেই ভারত “নো-রিএক্সপোর্ট” মুচলেকা চায়। নয়াদিল্লির তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, যে দেশ ভারত থেকে গম আমদানি করবে, তারা সেটা কেবলমাত্র নিজেদের দেশে বসবাসকারী মানুষের জন্যই ব্যবহার করতে পারবে। এর পরই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি আগামী চার মাসের জন্য গম রফতানিতে জারি করেছে নিষেধাজ্ঞা। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির তরফে জানানো হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেই এই ব্যবস্থা।

    কিছুদিন আগেই জারি করা এক নির্দেশিকায় ভারত জানিয়েছিল, যে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত থেকে গম রফতানি করা প্রয়োজন, সেই দেশে সরকারের অনুমতিক্রমে গম রফতানি চলতে পারে। আরও বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে হঠাৎ করে গমের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারত ও তার আশপাশের দেশগুলিতে খাদ্যের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সেই সূত্রেই বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং সিঙ্গাপুরে নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ডের ভিত্তিতে গম রফতানিতে রাজি হয়েছে ভারত। 

     

  • Iraq: খরার ফলে জেগে উঠল ৩৪০০ বছরের পুরনো শহর

    Iraq: খরার ফলে জেগে উঠল ৩৪০০ বছরের পুরনো শহর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদীর জল শুকিয়ে গিয়ে প্রায় ৩৪০০ বছরের পুরনো  প্রাচীন বসতির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হল ইরাক থেকে। ঘটনাটি ইরাকের কুর্দিস্তানের (Kurdistan ) কেমুন(Kemune)নামক শহরের। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বেড়েছে ,ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র খরা। এতে ইরাকের সবচেয়ে বড় নদী টাইগ্রিসের (Tigris River) জল কমে হঠাৎ জেগে উঠতে শুরু করেছে প্রাচীন এই শহর।

    আরও পড়ুন: কুঁজো, ট্যারা শুনতে শুনতেই আত্মহত্যার চেষ্টা, এখন তিনিই ভারতের সর্বকনিষ্ঠ সিইও

    প্রাচীন বসতির ধ্বংসাবশেষগুলি ব্রোঞ্জ যুগের বলেই ধারণা করা হয়েছে। টাইগ্রিস নদীর জল খরায় শুকিয়ে যাওয়ার ফলে ব্রোঞ্জ যুগের প্রায় অনেক ধ্বংসাবশেষই এখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। জার্মান (German) ও কুর্দি (Kurdish) প্রত্নতাত্ত্বিকদের (archaeologist) একটি দল সেখানে খনন কাজ করেছে। গবেষকদের ধারণা, এটি মিত্তানি সাম্রাজ্যের  (Mittani Empire) আমলের ১৫৫০ থেকে ১৩৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। জার্মানির (Germany) ফ্রেইবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের  (University of Freiburg) প্রত্নতাত্ত্বিকরা ও অধ্যাপক ইভানা পুলজিজ (Dr Ivana Puljiz) একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান যে, শহরটি সরাসরি টাইগ্রিসের উপর অবস্থিত হওয়ায়, মিত্তানি সাম্রাজ্যের মূল অংশ বর্তমান উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার সঙ্গে এর পূর্বাঞ্চলের সংযোগস্থল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত।

    এর আগেও এই অঞ্চলের খননকার্য শুরু হলেও জলাশয়ের জল বেড়ে যাওয়ায় প্রত্নতাত্ত্বিকরা সেটি তখন সম্পূর্ণ করতে পারেনি। কিন্তু এবারে জলাধারের জলের স্তর অনেকটাই নেমে যায়, তারপরেই গবেষকরা এই হারিয়ে যাওয়া শহরের সন্ধান পান। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানায়, প্রাচীন শহরটির সংরক্ষণের জন্য প্রত্নতাত্ত্বিকরা ধ্বংসাবশেষটিকে প্লাস্টিকের আবরণ দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলেন এবং স্থানটিকে নুড়ি দিয়ে পূর্ণ করে দিয়েছিলেন যাতে কাদামাটির দেওয়াল রক্ষা করা যায়। তবে বর্তমানে জলের স্তর ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং শহরটি এখন আবার ডুবে গেছে। আবার কবে এই হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস জেগে উঠবে, তা এখন সময়ের ওপর নির্ভর করছে বলে জানাচ্ছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

    আরও পড়ুন: আল-কায়দার হুমকির জের, দেশজুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি গোয়েন্দা সংস্থার

  • Ukraine War: ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত ১৫ হাজার রুশ সেনা, বিস্ফোরক দাবি সিএইএ-র 

    Ukraine War: ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত ১৫ হাজার রুশ সেনা, বিস্ফোরক দাবি সিএইএ-র 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ মাস কেটে গিয়েছে। এখনও অশান্তির আগুনে পুড়ছে ইউক্রেন। রাশিয়া– ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukrain War) থামার নাম নেই। বহুগুণ শক্তিশালী দেশ রাশিয়ার (Russia) সাথে যুদ্ধের ময়দানে এখনও ডেটে লড়ছে ইউক্রেন (Ukrain)। রুশ সেনার (Russian Army) হাতে প্রাণ হারিয়েছেন বহু ইউক্রেন সেনা ও সাধারণ মানুষ। এর মাঝেই এক বিস্ফোরক তথ্য দিল সিআইএ (CIA)। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ১৫ হাজার সেনা নিহত হয়েছেন।  

    আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রুশ হামলায় নিহত ব্রাজিলীয় লাস্যময়ী মডেল, জানুন তাঁর আরেক পরিচয়

    কলোরাডোতে আসপেন নিরাপত্তা ফোরামে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হিসাব অনুযায়ী ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর থেকে ১৫০০০ রুশ সেনার প্রাণ গিয়েছে। আহত হয়েছেন ৪৫ হাজারেরও বেশি সৈন্য। রাশিয়ার জন্যে যা বিরাট ক্ষতি। 

    আরও পড়ুন: ফোনালাপ, পুতিনকে আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যা মেটানোর পরামর্শ মোদির  

    উইলিয়াম বার্নস আরও বলেন, ইউক্রেনীয় সেনারাও প্রাণ হারিয়েছেন। তবে সেটি সংখ্যায় রাশিয়ার চেয়ে বেশ খানিকটা কম। এর আগে জাতিসংঘ জানিয়েছিল, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৩ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা।

    যদিও ঠিক কত সেনার প্রাণ গিয়েছে, সে বিষয়ে মৌনতা বজায় রেখেছে পুতিনের দেশ। এর আগে ২৫ মার্চ তারা জানিয়েছিল যুদ্ধে ১,৩৫১ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। 

    জুনে কিয়েভ প্রাশাসন জানায়, দৈনিক ১০০-২০০ জন ইউক্রেন সেনার প্রাণ গিয়েছে। 

    সম্প্রতি ইউক্রেনে অভিযানের ক্ষেত্র বাড়ানোর কথা জানিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বুধবার বলেন, ইউক্রেনে মস্কো যে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে, তার ভৌগলিক পরিসর বাড়ানো হয়েছে। এখন আর শুধু পূর্ব ডনবাস অঞ্চলই নয়,  ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের খেরসন, জাপোরিঝিয়াসহ আরও কিছু অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। 

    গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রুশ সেনা। পূর্ব ডনবাসের লুহানস্ক ও ডোনেৎস্ক শহরে কব্জা করেছে রাশিয়া। কিয়েভে হামলা চালিয়েও এই রাজধানী শহর দখল করতে পারেনি রুশ সেনা। পরে সেখান থেকে পিছু হটে রুশ বাহিনী। 

  • World Trade Organization:  বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সম্মেলনে বড় জয় ভারতের, হল চুক্তিও  

    World Trade Organization:  বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সম্মেলনে বড় জয় ভারতের, হল চুক্তিও  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (World Trade Organization) সদস্য দেশগুলি সম্মেলনে শেষ হাসি হাসল ভারত (India)। দীর্ঘ আলোচনার পরে শেষমেশ অতিরিক্ত মাছ ধরার ক্ষেত্রে ভর্তুকি নিয়ে চুক্তি একমত হল ওই সংস্থার সদস্য দেশগুলি। করোনা  ভ্যাকসিনের (Corona Vaccine) ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জন্য পেটেন্ট ছাড়, বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিশন পণ্যে আমদানি শুল্কে স্থগিতাদেশের বিষয়টি নিয়েও ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে ওই সংস্থার বৈঠকে আলোচনা হবে বলেও জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।

    আরও পড়ুন : নতুন চার-দেশীয় গোষ্ঠী ‘আই২ইউ২’-র সদস্য ভারত, আছে কারা?

    বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এই সিদ্ধান্তে খুশি ভারত। সম্মেলেন ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তিনি বলেন, সব মিলিয়ে ভাল সিদ্ধান্ত। ভারত যে কোনও বিষয়েই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আপোশের পথে হাঁটেনি। বরং প্রায় সব দাবি আদায়ে সক্ষম হয়েছে।

    অতিরিক্ত মাছ ধরার ক্ষেত্রে ভর্তুকির বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় আলোচনা চলছে প্রায় দু দশক ধরে। এর জেরে সমুদ্রের ভারসাম্য নষ্টের কথাও ভারতের তরফে বলা হচ্ছিল বারংবার। তাই দাবি উঠেছিল অতিরিক্ত মাছ ধরার ক্ষেত্রে ভর্তুকি বন্ধের। তার পরেও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ২০১৩ সালে বিশ্বজুড়ে পণ্য চলাচলের ক্ষেত্রে ঐক্যমত্যে পৌঁছে চুক্তি করেছিল বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা। তার পর থেকে এই প্রথম কোনও বিষয়ে চুক্তি করল তারা।

    আরও পড়ুন : ডলার নয়, “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! কীভাবে লেনদেন?

    শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রসংঘে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে কত খাদ্যশস্য পাঠাতে হবে, তার সীমা বেঁধে দিতে নিয়ম জারির পক্ষে একমত হতেও প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলি। সম্মেলেন ঠিক হয়েছে, এবার থেকে কোনও দেশের নিজস্ব চাহিদা বুঝে ঠিক হবে কত পরিমাণ খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হবে।

    গয়াল বলেন, সবাই ভেবেছিলেন এই বৈঠকও ব্যর্থ হবে। তা হয়নি। বেশ কিছু বিষয় দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলেছিল। এখন আর কোনও বিষয় আটকে নেই। বাণিজ্যমন্ত্রীর দাবি, অবৈধ মাছ ধরা বন্ধ থেকে শুরু করে খাদ্যে ভর্তুকি ও কৃষকদের সাহায্য, সব বিষয়ে ভারত নিজের জায়গা ধরে রেখেছে। ই-কমার্সের মাধ্যমে রফতানির ক্ষেত্রে আলোচনার জন্যও সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

     

  • Indo-Pak Relation: ভারতকে বন্ধু হিসেবে চায় পাকিস্তান! বেনজির-পুত্রের মন্তব্যে বরফ গলার ইঙ্গিত?

    Indo-Pak Relation: ভারতকে বন্ধু হিসেবে চায় পাকিস্তান! বেনজির-পুত্রের মন্তব্যে বরফ গলার ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে আগ্রহী পাকিস্তান (Pakistan)। সম্প্রতি একথা জানিয়েছেন সেদেশের বিদেশমন্ত্রী (Foreign Minister) বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। ইসলামাবাদের (Islamabad) একটি অনুষ্ঠানে বিলাওয়াল জানান, কাশ্মীর বিতর্ককে শেষ করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি  করতে ইচ্ছুক তিনি। প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকাই শ্রেয় বলে মনে করেন বিলাওয়াল।

    ইসলামাবাদের ইনস্টিটিউট অফ স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (Institute of Strategic Studies) প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিলওয়াল বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের সমস্যা রয়েছে। ভারত-পাকিস্তান সংঘাত দীর্ঘদিনের। কিন্তু, কাশ্মীর বিবাদে জড়িয়ে কিংবা ভারতের হিন্দুত্ববাদের সমালোচনা করে পাকিস্তানের কোনও লাভ হচ্ছে না। বরং কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে ফাটল ধরায় সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।” বিশ্বের বিভিন্ন স্তরেও ভারতের সমালোচনা করে সমস্যায় পড়েছে পাকিস্তান। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যে সম্পর্ক ভালো থাকলে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পাকিস্তান লাভবান হবে বলে মনে করছেন পাক বিদেশমন্ত্রী

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানের কনিষ্ঠতম বিদেশমন্ত্রী হলেন বেনজির-পুত্র বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা (Article 370) প্রত্যাহার করে নেয় ভারত সরকার। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করে ইসলামাবাদ। যতদিন কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ভারত সরকার ফিরিয়ে না দিচ্ছে, ততদিন দুই দেশের কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। কিন্তু ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে পাকিস্তান।

    বিলাওয়ালের মতে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে রাখা অর্থহীন। বিবাদকে দূরে সরিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পক্ষে মত  শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) সরকারের বিদেশমন্ত্রীর। কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে তিনি যে প্রস্তুত, তা-ও জানিয়েছেন। পাক বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে ভারতও। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সবসময়ই সুসম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী ভারত। কিন্তু তার জন্য দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করতে নারাজ দিল্লি।

  • Pervez Musharraf: মৃত্যু হয়নি, তবে আরোগ্যের সম্ভাবনা নেই মুশারফের, দাবি পরিবারের

    Pervez Musharraf: মৃত্যু হয়নি, তবে আরোগ্যের সম্ভাবনা নেই মুশারফের, দাবি পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল আচমকাই বিশ্বজুড়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মুশারফের (Parvez Musharraf) মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। মৃত্যুর খবর গুজব বলে খারিজ করে দেওয়া হয় মুশারফের পরিবারের তরফে। 

    আরও পড়ুন: ফের স্থগিত হতে পারে এবছরের নীট পরীক্ষা, প্রতিনিধি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বৈঠকের পর এমনই সম্ভবনা দেখা দিয়েছে

    পারভেজ মুশারফের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ট্যুইট করেন পরিবারের সদস্যরা। সেখানে লেখা হয়, অসুস্থতার (Amyloidosis) কারণে তিন সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মুশারফ। মুশারফ কঠিন শারীরিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। আরোগ্য লাভ আর সম্ভব নয়। তার  অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোও ঠিকমতো কাজ করছে না। পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাপ্রধানের জীবনের জন্যে সবার কাছে শুভ কামনা প্রার্থনা করেছে তাঁর পরিবার। 

    [tw]


    [/tw]

    মুশারফের দল অল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এপিএমএল) একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, “প্রাক্তন সামরিক শাসককে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক অথবা তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখার খবরটি সঠিক নয়।” দলের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, অ্যামাইলয়ডোসিসে আক্রান্ত পারভেজ মুশারফের চিকিৎসা চলছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল। 

    আরও পড়ুন: ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে ভারতকে জ্ঞান! মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, হিন্দু মন্দিরে হামলা

    কী এই অ্যামিলয়ডোসিস?

    যুক্ত রাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, শরীরে অ্যামিলয়ড নামে এক বিরল প্রোটিন বাড়তে শুরু করলে সেই অবস্থাকে অ্যামিলয়ডোসিস বলে। হৃদপিণ্ড, মস্তিষ্ক, কিডনি, শরীরের যেকোনও জায়গায় বৃদ্ধি পেতে পারে এই প্রোটিন।  

    কীভাবে হয় এই রোগ?

    বিভিন্ন জনের বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে এই রোগ। কারও কারও ক্ষেত্রে জিন মিউটেশনের ফলে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কারণ আজানা।

    রোগের লক্ষণ?

    দুর্বলতা, দ্রুত ওজন হ্রাস, পেট-হাঁটু-গোড়ালি-পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া, হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া, চোখের চারপাশ বেগুনী হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট এই রোগের লক্ষণ।

    চিকিৎসা

    এই রোগের কোনও চিকিৎসা নেই। কেমো থেরাপিতে অনেক সময় ভালো ফল পাওয়া যায়।

     

     

     

LinkedIn
Share