Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Viva Tech 2022: ইউরোপের বৃহত্তম স্টার্টআপ সম্মেলনে বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান ভারতকে

    Viva Tech 2022: ইউরোপের বৃহত্তম স্টার্টআপ সম্মেলনে বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান ভারতকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের সেরা দেশের স্বীকৃতি পেল ভারত (India)। সম্প্রতি হয়ে গেল ইউরোপের (Europe) বৃহত্তম স্টার্টআপ সম্মেলন ভিভাটেক ২০২২ (Viva Tech 2022)। সেখানেই মিলেছে এই স্বীকৃতি।

    সেরা দেশের খোঁজ পেতে ইউরোপে হয় স্টার্টআপ কনফারেন্স ভিভাটেক ২০২২। এটি ইউরোপের বৃহত্তম স্টার্টআপ সম্মেলন। ফ্রান্সের (France) প্যারিসে আয়োজিত ওই সম্মেলনে ভারতের তরফে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, সেরা দেশের স্বীকৃতি হিসেবে ভিভাটেক ২০২২-তে অংশ নিতে পারাটা ভারতের কাছে সম্মানের। এটার কারণ হল, সারা বিশ্বে ভারতের স্টার্টআপগুলির অবদান।এই সম্মান ভারতীয় স্টার্টআপগুলির স্বীকৃতি। আমরা এক রোমাঞ্চকর যাত্রায় শামিল হয়েছি।

    আরও পড়ুন : পাসওয়ার্ডহীন সাইন ইন স্ট্যান্ডার্ড আনার পরিকল্পনা তিন প্রযুক্তি জায়ান্টের

    তিনি বলেন, এটা এমন এক যাত্রা যেখানে কয়েক কোটি স্মার্টফোন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ডিজিটাল পরিচয়পত্রকে এই যাত্রায় শামিল করা গিয়েছে।ভারতীয় তরুণদের মধ্যে যে উদ্যম রয়েছে, বিশ্বের আর কোনও দেশে তা পাবেন না বলেও মন্তব্য করেন ভারতের যোগাযোগ মন্ত্রী।

    ভিভাটেক নামের এই প্রদর্শনীতে গিয়ে এদিন অশ্বিনী উদ্বোধন করেন ভারতীয় প্যাভেলিয়নের। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি, ডিজিটাল পরিচয়পত্র এবং স্মার্টফোন তৈরিতে ভারতে ইউনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ভারতের যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, এ দেশ (ফ্রান্স) থেকে একটা জিনিস আমাদের নিয়ে যাওয়া উচিত, সেটা হল চিন্তাভাবনার নয়া পথ। ব্যর্থতার মোকাবিলা কীভাবে করতে হবে, তা শিখতে  হবে ফরাসিদের কাছ থেকে। কী ব্যর্থ হতে পারে? কী কী ব্যর্থ হতে পারে? আপনি যদি তা জানতে পারেন, তখনই আপনার প্রোডাক্ট কখনওই ব্যর্থতার মুখ দেখবে না।

    আরও পড়ুন : আইফোন ১৪ ফোনে থাকছে স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি? পড়ুন বিস্তারিত

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেন অশ্বিনী। বলেন, আপনি যদি নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিভিন্ন প্রোগ্রামগুলো দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন সেগুলো কীভাবে ডিজিটালি হয়। এর সব চেয়ে বড় উদাহরণ ইউপিআই। এর পরেই আসতে চলেছে আমাদের হেল্থ মিশন।

     

  • Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কায় সেনা পাঠানোর খবর অস্বীকার ভারতের

    Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কায় সেনা পাঠানোর খবর অস্বীকার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka) ভারত সেনা পাঠাচ্ছে না। বুধবার সাফ জানিয়ে দিল কলম্বোস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন (India in Sri Lanka)। সংবাদ মাধ্যমের একাংশ এবং বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় ভারত সেনা পাঠাচ্ছে বলে খবর ছড়ায়। সেই খবর যে ভুয়ো, তা জানিয়ে দেওয়া হল ভারতীয় হাইকমিশনারের (Indian High Commissioner) তরফে। 

    গত কয়েক মাস ধরে আর্থিক সঙ্কটে (economic crisis) ভুগছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দেশে বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার বাড়ন্ত। বিদেশি মুদ্রার অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে নিউজপ্রিন্ট। যার জেরে সংবাদপত্র ছাপানো বন্ধ। শ্রীলঙ্কার মানুষের ভরসা আপাতত বিভিন্ন বৈদ্যুতিন মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া। কাগজের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। দেশজুড়ে দেখা গিয়েছে জ্বালানির সঙ্কট। কয়লার অভাবে ফি দিন ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বল্গাহীন। সরকারের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই। দলে দলে লোকজন দ্বীপরাষ্ট্র ছেড়ে আশ্রয় নিচ্ছেন পড়শি দেশগুলিতে।

    [tw]


    [/tw]

    শ্রীলঙ্কাবাসীর দাবি, প্রাক্তন ‘চিনপন্থী’ প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের (Mahinda Rajapaksa) ভুল সিদ্ধান্তের কারণে দেউলিয়া হয়েছে দেশ। তাই দিনকয়েক ধরে তাঁর পদত্যাগ দাবি করছিল বিরোধী দলগুলি। বিরোধীদের ক্রমাগত চাপের মুখে শেষমেশ নতিস্বীকার করেন মাহিন্দা। ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন প্রেসিডেন্ট গোতারায়া রাজাপক্ষের  (Gotabaya Rajapaksa) কাছে। তার পরেও দ্বীপরাষ্ট্রে নেভেনি অশান্তির আগুন। সরকার ও সরকার বিরোধীদের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন পাঁচজন। পরিস্থিতির মোকাবিলায় দেখা মাত্র গুলির (Shoot at Sight) নির্দেশ সেনাকে (Sri Lanka Army) দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। তার পরেও অশান্তির আঁচ নিভছে কই?

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কার এমপিরা ভারতে? নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী?

    এহেন আবহে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর ছড়ায়, শ্রীলঙ্কায় সেনা পাঠাচ্ছে ভারত। ভারতীয় হাইকমিশনারের তরফে অবশ্য এ খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। কমিশনারের তরফে করা এক টুইটে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় সেনা পাঠানোর যে খবর ছড়ানো হচ্ছে, তা ঠিক নয়। ভারত সরকার এখনও পর্যন্ত এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে সেনা না পাঠালেও পড়শি দেশের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। বেশ কয়েক দফায় দ্বীপরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী। পাশাপাশি, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে বলেছেন, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থরক্ষাকেই সর্বদা মর্যাদা দেবে ভারত”।

       

  • China Taiwan Conflict: তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?

    China Taiwan Conflict: তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুড়িটিওর বেশি যুদ্ধ বিমান (Fighter Jet) উড়ে গেল তাইওয়ান (Taiwan) এয়ার ডিফেন্স জোনের দিকে। মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosi) নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা পা রাখেন তাইওয়ানে। তার পরেই শুরু হয়ে গিয়েছে যুদ্ধ-সাজ।  

    ন্যান্সির সফরসূচিতে তাইওয়ানের নাম ছিল না। তবে তিনি যে তাইওয়ান যেতে পারেন, তা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনা প্রেসিডেন্টের। তখনই জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    আরও পড়ুন : চিনা হুমকি, তাইওয়ানে মহড়া শুরু যুদ্ধের

    এহেন আবহে তাওয়ানে পা রাখেন ন্যান্সি। তার পরেই উড়ে যায় চিনা যুদ্ধ বিমান।তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ট্যুইটবার্তায় জানিয়েওছেন সে কথা। পশ্চিমী কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট সামরিক অভিযান শুরু করতে চলেছে শি জিনপিংয়ের সরকার।

    এদিকে একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে তাইপেই বিমানবন্দরে পেলোসি ও তাঁর সঙ্গীদের স্বাগত জানাচ্ছেন তাই-সরকারের প্রতিনিধিরা। তাইওয়ানে পা রাখার পর একগুচ্ছ ট্যুইট করেন পেলোসি। লেখেন, তাইওয়ানের মজবুত গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান ও সমর্থন জানাতে আমেরিকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই আমাদের প্রতিনিধি দলের এই সফর। মুক্ত ও উদার ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গঠনের লক্ষ্যে তাইওয়ানের প্রতি সমর্থন জানাতেই তাদের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করব আমরা। এদিকে, পেলোসির সফরের আগে তাইওয়ানের জলসীমা অভিমুখে রওনা দেয় চার মার্কিন রণতরী।এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রেগনও।

    তাইওয়ান-চিনের বিবাদ বহু পুরানো। চিন তাইওয়ানকে তার প্রদেশ বলে মনে করে। আর তাইওয়ান নিজেকে স্বাধীন একটি দেশ বলে মনে করে। চিনের মূল ভূখণ্ডে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি ও কুওমিনতাঙের মধ্যে শুরু হয় যুদ্ধ। ১৯৪০ সালে মাও সে তুংয়ের নেতৃত্ব কমিউনিস্টরা কুওমিনতাংকে পরাস্ত করে। এর পরেই কুওমিনতাঙের অনুগামীরা চলে আসেন তাইওয়ানে। ওই বছরই চিনের নামকরণ করা হয় পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না। আর তাইওয়ানের নাম হয় রিপাবলিক অফ চায়না। এর পর তাইওয়ানের নিজস্ব সরকার গঠিত হয়। তৈরি হয় সংবিধানও। বিশ্বের মাত্র ১৩টি দেশ তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে।  

    তাইওয়ানের শাসক দল ডেমক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির সাংসদ ওয়াং টিংউ বলেন, কে তাইওয়ান আসবে আর আমেরিকা কীভাবে তাইওয়ানের সঙ্গে আচরণ করবে, তা বেজিং ঠিক করতে পারে না।    

    আরও পড়ুন : ভারতে আছড়ে পড়তে চলেছে চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ! দাবি মার্কিন সংস্থার

  • WTO: চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ভারতকে চাপ দেওয়া যাবে না: পীযুষ গোয়েল

    WTO: চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ভারতকে চাপ দেওয়া যাবে না: পীযুষ গোয়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বৈঠকে কোনো বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ভারতকে চাপ দেওয়া যাবে না, বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal )।  রবিবার জেনেভায় (Geneva ) বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শুরুর আগে গোয়েল বলেন, “ভারত সবসময় দেশের কৃষক, শ্রমিক এবং দরিদ্র মানুষের পক্ষে থাকবে। সকলের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।” এই বৈঠকে কোনও চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ভারতকে চাপ দেওয়া যাবে না পৃথিবীতে এমন কোনো শক্তি নেই যে ভারতকে কোনও বিষয়ে বাধ্য করতে পারে, বলে জানান তিনি। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রীর কথায়, “আমরা দেশের জনগণের পক্ষে দাঁড়াব, আমাদের কৃষকদের জন্য, তরুণদের জন্য, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যা ভাল,তাই করা হবে।” তবে সারা বিশ্বের মানুষের ভালোর কথাও ভাবে ভারত। তাই সবসময় সকলের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকে দিল্লি।

    বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এখন বড় মাথা ব্যথা। সারা পৃথিবী করোনা মহামারী, খাদ্য ঘাটতি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং আঞ্চলিক সংঘাতের মতো একাধিক সংকটের মুখোমুখি। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ভারত বিশ্ববাসীর পাশে রয়েছে। কিন্তু দেশের স্বার্থ সবার আগে বলে জানান শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী। 

    প্রায় ৫ বছর পর আবারও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)’র মন্ত্রী পর্যায়ের ১২তম বৈঠক শুরু হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বৈঠকটির উদ্বোধন করেন ডব্লিউটিও-র মহাসচিব এনগোজি আইওয়ালা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে এই আলোচনা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে বলে জানান তিনি। এনগোজি বলেন, “রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে দুর্ভিক্ষের অবস্থা তৈরি হয়েছে, তা থেকে বাঁচতে সবার এক হওয়া দরকার। মানুষকে বাঁচাতে হলে,  ছোট বড় সব দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।” বিশ্বে সংঘাত এড়াতে উন্নত দেশগুলোকে একগুঁয়েমি ত্যাগ করার আহ্বান জানান তিনি। 

    যুদ্ধ,মহামারী আর বাণিজ্যিক কৌশল নির্ধারণে সদস্য-দেশগুলোর মতপার্থক্য-এই তিন কারণে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যের ৯০ শতাংশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডব্লিউটিওর সম্মেলনে বিষাদের ছায়া। প্রায় প্রতিবারই নিষ্ফল আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই বৈঠক। চার দিনের সম্মেলনের বাণিজ্য বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনায় অংশ নেবে ১৬৪ দেশের প্রতিনিধিরা। 

  • Chinese Spy Ship: ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা অভিমুখে চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ

    Chinese Spy Ship: ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা অভিমুখে চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপত্তি জানিয়েছিল ভারত (India)। আবেদন করেছিল দ্বীপরাষ্ট্র (Island State) শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। সেসব আবেদন-আপত্তি কানে না তুলেই শ্রীলঙ্কা অভিমুখে যাত্রা অব্যাহত চিনের (China) গুপ্তচর জাহাজের (Spy Ship)। সূত্রের খবর, ইউয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজটি ১৪ নটিক্যাল গতিতে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরের দিকে ধেয়ে আসছে। এই গুপ্তচর জাহাজটি চিনের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়।

    যেহেতু জাহাজটি শি জিন পিংয়ের দেশের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। নয়াদিল্লির ধারণা, অত্যাধুনিক এই জাহাজের মাধ্যমে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালাতে পারে ড্রাগনের দেশ। ভারতের এই আপত্তির পরে পরেই শ্রীলঙ্কার তরফেও চিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের বন্দরে যেন ওই জাহাজ নোঙর না করে।

    আরও পড়ুন : চিনের কাছে ঋণ নিয়ে চরম বোকামির কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা, দাবি সিআইএ প্রধানের

    সূত্রের খবর, ২৩ হাজার টনের জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার উপকূল থেকে পশ্চিম দিকে যাত্রা করছে। ১১ অগাস্ট সকালে ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ন’ টা নাগাদ জাহাজটি শ্রীলঙ্কা উপকূলের হাম্বানটোটা বন্দরে নোঙর করবে। ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত সেখানেই থাকার কথা। শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কলম্বোর চিনা দূতাবাসকে জানিয়ে দেওয়া হয় জাহাজের নোঙর করাটা যাতে পিছিয়ে দেওয়া হয়। এই প্রেক্ষিতে দ্বীপরাষ্ট্রর তরফে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে।

    আরও পড়ুন : ভারত-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে তৎপর উপকূল রক্ষী বাহিনী

    এদিকে, ভারতের নাম না করে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, চিন ও শ্রীলঙ্কার সহযোগিতার সিদ্ধান্ত দুই দেশই নিয়েছে সচেতনভাবে। এতে দু দেশেরই স্বার্থ রয়েছে। এটা তৃতীয় কোনও পক্ষকে লক্ষ্য করে নয়। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা স্বাধীন একটি দেশ। নিজের উন্নয়নের স্বার্থে তারা অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলবে, সেই সম্পর্ককে এগিয়েও নিয়ে যাবে। চিনা বিদেশ মন্ত্রকে ওই মুখপাত্র বলেন, চিন তৃতীয় পার্টিকে অনুরোধ করছে চিনের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকে যুক্তি দিয়ে বিচার করতে। চিন এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে লেনাদেনা মধ্যে ঢুকে বিঘ্ন না ঘটানোই ভাল।

     

  • Modi Biden Meet: মোদি-বাইডেন বৈঠকে উঠতে পারে ইউক্রেন, গম রফতানি প্রসঙ্গ

    Modi Biden Meet: মোদি-বাইডেন বৈঠকে উঠতে পারে ইউক্রেন, গম রফতানি প্রসঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে যাতে গমের আকাল তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে বিদেশে গম রফতানির উপর বিধিনিষেধ (Wheat export ban) জারি করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের (India) এই অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করেছে জি-৭ (G-7) গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। গম রফতানি নিয়ে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের (World Food Crisis) সমাধান প্রসঙ্গে ভারতের দিকে আঙুল তুলেছে আমেরিকা (USA)। টোকিওতে (Tokyo) মঙ্গলবার মার্কিন প্রসিডেন্ট জো-বাইডেনের (US President Joe Biden) সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) বৈঠকে তাই গম রফতানি নিয়ে কথা হতে পারে বলে মনে করছে কুটনৈতিক মহল।

    কোয়াড সামিটে (QUAD summit) যোগ দিতে সোমবার জাপানের (Japan) রাজধানী টোকিওতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৩ এবং ২৪ মে টোকিওতে কোয়াড সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। কোয়াড সামিট ছাড়াও তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার নব-নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। 

    আরও পড়ুন: ৪০ ঘণ্টার সফরে ২৩টি বৈঠক, ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে জাপানে মোদি

    আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে গত মাসেই একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এবার কোয়াড সম্মেলনের ফাঁকে মুখোমুখি মোদি-বাইডেন (Modi-Biden) বৈঠকে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে থাকতে পারে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট, গম রফতানি নিয়ে ভারতের অবস্থান, সন্ত্রাসবাদ (Terrorism), ইউক্রেন সংকট (Ukraine), জলবায়ু পরিবর্তনের (Climate Change) মতো বিষয়গুলি। 

    সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে গম রফতানির ক্ষেত্রে বড়সড় রদবদল ঘটানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, রফতানির তালিকায় গমকে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করা হচ্ছে। এর জন্য রফতানি বিষয়ক নীতিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনীও আনে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনায় সরব হয় G7 গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। তাদের বক্তব্য, যে দেশগুলি এতদিন ভারতের কাছ থেকে নিয়মিত গম আমদানি করত, নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তে তারা বিপদে পড়বে। 

    এশিয়া বা ভারত মহাসাগরীয় (Indian Ocean region) ভূ-রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকার নির্ভরযোগ্য সঙ্গী ভারত। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War) নিয়ে আমেরিকার পথে হাঁটেনি মোদি সরকার। বারবার বার্তা দেওয়ার পরেও নিরপেক্ষ অবস্থানে অটল থেকেছে ভারত। আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাশিয়া বিরোধী কড়া অবস্থান নেয়নি। যুদ্ধের সমালোচনা করে যুদ্ধ বন্ধের বার্তা দিলেও রাশিয়ার বিরোধী কোনও পদক্ষেপ করেনি ভারত। বরং আমেরিকার চোখরাঙানি এড়িয়ে রাশিয়া থেকে তেল কেনার চুক্তিও করেছে। যা নিয়ে ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কে সামান্য হলেও আঁচড় লেগেছে বলে মনে করেছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে মোদি-বাইডেন (Modi Biden meet) মুখোমুখি বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে কুটনৈতিক মহল।

  • India Pak Trade Ties: ফের চালু হতে চলেছে ভারত-পাক বাণিজ্য?  

    India Pak Trade Ties: ফের চালু হতে চলেছে ভারত-পাক বাণিজ্য?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর তিনেক ধরে বন্ধ রয়েছে ভারতপাকিস্তানের (India Pakistan) বাণিজ্য। তাতে সমস্যা এতদিন কিছু ছিল না। তবে এখন ফের উঠছে সেই প্রশ্ন, ভারত পাকিস্তানের মধ্যে বন্ধ থাকা ব্যবসা-বাণিজ্য (Trade) কী আবার চালু হবে? এই মুহূর্তে প্রশ্ন ওঠার কারণও অবশ্য একটা রয়েছে। তা হল, ভয়াবহ বন্যায় (Flood) বিপর্যস্ত ভারতের এই প্রতিবেশী দেশটি। প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। মৃত্যু হয়েছে অসংখ্য অবোলা জীবেরও। এহেন পরিস্থিতিতে বন্যায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তার পরেই ভারত থেকে আনাজ আমদানির ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মন্ত্রী (Pak Finance Minister)। তার পরেই উঠতে শুরু করেছে সেই প্রশ্ন, তাহলে কি ফের চালু হতে চলেছে ভারত-পাক বাণিজ্য?  

    ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পরেই ভারতের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করে পাকিস্তান। সেই থেকে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের ব্যবসায়িক লেনদেন। দিন কয়েক আগেই সংবাদমাধ্যমকে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মফতাহ ইসমাইল বলেছিলেন, শুল্কমুক্ত সবজি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী আমদানি করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছি। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছি। তিনি এও জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে সরকার ভারত থেকে স্থলপথে সবজি এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী আমদানি করবে। বন্যার কারণে দেশে দেখা দেওয়া খাদ্যসংকটের মোকাবিলা করতেই আমদানির কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।    

    আরও পড়ুন : বন্যায় ভেসে গিয়েছে ফসল, ভারত থেকে আনাজ আমদানি করতে চলেছে পাকিস্তান?

    দেশের অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরে পরেই ফের একবার কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তোলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ঘরোয়া রাজনীতির বাধ্যবধকতার কারণেই শরিফকে এটা করতে হয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। বিপদের দিনেও পাক সরকারের এহেন মনোভাবে যারপরনাই বিস্মিত ভারত। তাই ভারত-পাক বাণিজ্য চালু নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে নারাজ নয়াদিল্লি। তারা বল গড়িয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদের দিকে। পাক সরকার উদ্যোগী হলে তবেই ফের চালু হবে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ বাণিজ্যিক লেনদেন।

    এখন কোন পথে হাঁটে শাহবাজ শরিফের সরকার, সেটাই দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rupee Ruble Mechanism: ডলার নয়, “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! কীভাবে লেনদেন?

    Rupee Ruble Mechanism: ডলার নয়, “রুপি-রুবল” বিনিময়ে হবে ভারত-রুশ বাণিজ্য! কীভাবে লেনদেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের (Ukraine) সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছে রাশিয়া (Russia)। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) উচিত শিক্ষা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে আমেরিকাও (USA)। রাশিয়াকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্সিয়াল মেসেজিং সিস্টেম, সংক্ষেপে “সুইফট” (SWIFT) থেকে। যার জেরে বিপাকে পড়েছে মস্কো (Moscow)।

    একশো দিনের বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)। যুদ্ধের কারণ, ন্যাটোতে (NATO) যোগ দিতে চেয়েছিল ইউক্রেন। তার সেই ইচ্ছার কথা জানতে পেরেই ইউক্রেন আক্রমণ করেন পুতিন। রাশিয়ার এই আগ্রাসনের পরে পরেই কার্যত দু’ভাগ হয়ে যায় বিশ্ব। একদিকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা। অন্যদিকে রাশিয়ার বন্ধু দেশগুলি।

    আরও পড়ুন : মোদি-বাইডেন বৈঠকে উঠতে পারে ইউক্রেন, গম রফতানি প্রসঙ্গ

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরে পরেই রাশিয়া থেকে তেল কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমেরিকা। ভারতকেও রাশিয়া থেকে তেল কিনতে না বলেছিল জো বাইডেনের (Joe Biden) দেশ। বাইডেনের সেকথা কানে তোলেনি ভারত (India)। তার পরেও রাশিয়ার সঙ্গে অপরিশোধিত তেল সহ নানা বিষয়ে লেনদেন চালিয়ে গিয়েছে নয়াদিল্লি।

    এদিকে সুইফট থেকে বেরিয়ে গেলে যেকোনও দেশকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে লেনদেন করতে গিয়ে বিষম সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ তখন আর মার্কিন ডলারে লেনদেন করা যায় না। এই একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে মস্কো। তবে আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলি রাশিয়ার পাশ থেকে সরে গেলেও, ভারত যায়নি। এখনও ভারত-রাশিয়া বাণিজ্যিক লেনদেন চলছে। 

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    তবে কীভাবে পরিশোধ করা হবে মূল্য? দুই দেশই ঠিক করেছে “রুপি-রুবল”-এর (Rupee Ruble mechanism) মাধ্যমে চলবে লেনদেন। এটা করতে গেলে রুশ ব্যাংকগুলিকে ভারতীয় ব্যাংকগুলির সঙ্গে রুপি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। একইভাবে ভারতীয় ব্যাংকগুলিও রাশিয়ার ব্যাংকগুলির সঙ্গে রুবল অ্যাকাউন্ট খুলবে। দুই দেশই অ্যাকাউন্টে একশো কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের রুপি এবং রুবল জমা রাখবে। এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলেই ডলার এড়িয়েই দিব্যি বাণিজ্যিক লেনদেন করতে পারবে পুতিনের রাশিয়া এবং মোদির (Modi) ভারত।

  • Modi in Japan: মোদিময় জাপান! প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই উঠল ‘মোদি মোদি’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান   

    Modi in Japan: মোদিময় জাপান! প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই উঠল ‘মোদি মোদি’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতমাতা কি জয় স্লোগানে মুখরিত হল সূর্যোদয়ের দেশ। জাপানের মাটিতে পা রাখতেই নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন সেদেশে বসবাসকারী ভারতীয়রা। প্রধানমন্ত্রীর দেখা পেতেই উঠল ‘ভারত মাতা কি জয় স্লোগান’।

    সোমবার কোয়াড বৈঠকে (Quad meeting) যোগ দিতে দু’দিনের জাপান (Japan) সফরে গিয়েছেন মোদি। সেখানেই তাঁকে ঘিরে জাপানি এবং ভারতীয়দের উন্মাদনায় আপ্লুত স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও। টোকিও (Tokyo) বিমানবন্দরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী বহু ভারতীয়ও। মাত্র ৪০ ঘণ্টার এই সফরে ২৩টি কর্মসূচিতে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    [tw]


    [/tw]

    প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটি মোদির তৃতীয়বার জাপান সফর। তাঁর এই সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden), জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ছাড়াও যোগ দেবেন কোয়াডের বৈঠকে। প্রায় ৩৬টি জাপানি কোম্পানির সিইও-র সঙ্গেও বৈঠক করার কথা তাঁর। প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও আলাপচারিতার কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

    আরও পড়ুন : বিদেশে গেলে কেন নৈশ সফর পছন্দ করেন মোদি? কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    সোমবার হোটেল নিউ ওটানিতে প্রবাসী ভারতীয়দের তরফে মোদিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ‘হর হর মোদি’, ‘মোদি মোদি’, ‘বন্দে মাতরম’ এবং ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানে মুখরিত হোটেল চত্বর। বিভিন্ন ভাষায় ‘স্বাগত’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতেও দেখা গিয়েছে ছোট ছোট শিশুদের।

    [tw]


    [/tw]

    জনতার উষ্ণ অভ্যর্থনায় যারপরনাই আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত এক জাপানি শিশুর সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাঁকে একটি অটোগ্রাফও দেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী সেই শিশুকে বলেন, বাঃ, তুমি হিন্দি কোথা থেকে শিখলে? খুব ভাল জানো তো! প্রবাসীরাও প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে খুশি। তাঁরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদিকে জাপানে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি আমাদের গর্বিত করেছেন।

    আরও পড়ুন : মোদির নিশানায় পরিবারতন্ত্র, অযথা বিতর্ক তৈরি বিরোধীদের কাজ

    অস্ট্রেলিয়া, জাপান, আমেরিকা ও ভারতকে নিয়ে গঠিত হয়েছে কোয়াড (QUAD)। এই সামিটে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি আলাদা করে প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন জো বাইডেন, ফুমিও কিশিদা এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের (US President) সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেন (Ukraine) প্রসঙ্গ উঠতে পারে বলেও ধারণা কূটনৈতিক মহলের। এদিকে, বৃহস্পতিবার থেকে বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরে (South China Sea) সামরিক মহড়া শুরু করেছে চিন (China)। মহড়া চলবে সোমবার পর্যন্ত। ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় (India-US bilateral talks) সেই বিষয়টিও উঠতে পারে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের।

    [tw]


    [/tw]

     

     

  • Pakistan: পাকিস্তানে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার নামে হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত দুই মুসলিম যুবক

    Pakistan: পাকিস্তানে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার নামে হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত দুই মুসলিম যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ বন্যার কবলে পাকিস্তান (Pakistan)। বিশেষ করে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে সব থেকে বেশি মানুষ বন্যা কবলিত (Flood)। আর এরই মাঝে এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল সেই দেশ। দুই মুসলিম (Muslim) যুবক বন্যা ত্রান সামগ্রী দেওয়ার নাম করে এক হিন্দু মেয়েকে (Hindu Girl) ধর্ষণ (Rape) করল। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের সংঘর জেলার শাহাদাদপুরে। দুই অভিযুক্তের নাম খালিদ (Khalid) এবং দিলসার (Dilsher)। এর মধ্যে খালিদ অটো চালক।

    আরও পড়ুন: ফের চালু হতে চলেছে ভারত-পাক বাণিজ্য? 

    অভিযোগ এই দুই মুসলিম যুবক ওই হিন্দু যুবতীকে প্রথমে নেশা জাতীয় দ্রব্য খেতে বাধ্য করে এবং পরে তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিওতে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। এই মুহূর্তে সেই ভিডিও ভাইরাল। নির্যাতিতা জানান, তাঁকে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে যায় ওই অটো চালক। তারপর ওই নির্যাতিতার অজান্তেই নেশার দ্রব্য দেওয়া হয় তাঁকে এবং ধর্ষণ করা হয়। তারপর তাঁকে ফেলে চলে যায় তারা। 

    পাকিস্তানে এভাবেই বার বার হিংসার শিকার হতে হয় সংখ্যালঘুদের। বন্যার সময় সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা আরও বেড়েছে। কিছুদিন আগেই আরও এক সংখ্যালঘু ভিডিওতে অভিযোগ করেছিলেন, যে মুসলিম গুণ্ডারা তাঁর বাড়ির মহিলাদের ওপর চড়া হয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। 

    এছাড়াও বৃহস্পতিবার ৮ বছরের নাবালিকার গণধর্ষণের খবরও সামনে এসেছে। ওই নাবালিকার পুরো মুখ চেঁচে দেওয়া এবং চোখ উপড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: মোদির ট্যুইটের জবাব দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী, কী লিখলেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে যেই হিন্দুরা থাকেন তাঁরা সমাজের দরীদ্রতম সম্প্রদায়। কোনও কাজের সুযোগ নেই তাঁদের। অনেককে তো আবার মুসলিম মালিকের অধীনে ক্রীতদাস হিসেবেও কাজ করতে হয়। কিন্তু কোনও প্রতিবাদ করার অধিকার নেই তাঁদের। 

    সাম্প্রতিক বন্যায় প্রায় ১১০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সিন্ধু নদের জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বন্যা কবলিত সিন্ধু প্রদেশের বহু মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।     

     
     

     

LinkedIn
Share