Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Most Expensive Home: ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি’ বাড়িতে থাকেন সৌদি যুবরাজ! এর দাম জানেন?

    Most Expensive Home: ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি’ বাড়িতে থাকেন সৌদি যুবরাজ! এর দাম জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ি কোনটি আপনি কি জানেন? বা তার দাম কত ও কোথায় আছে সেই বাড়ি, কে ই বা থাকেন সেই বাড়িতে? তবে আজ তারই খোঁজ দিতে চলেছি যার দাম শুনলে আকাশ থেকে পড়বেন। বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়িটি এই দেশে নয় ফ্রান্সে অবস্থিত। আর খবরসূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িটি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। সম্প্রতি তিনি ইউরোপ সফরে বেরিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ফ্রান্সে গিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (Mohammed bin Salman)। এদিন তিনি সন্ধ্যায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর (Emmanuel Macron) সঙ্গে তাঁর বাসভবন এলিজি প্যালেসে বৈঠক করেন। ফ্রান্স সফরে গিয়ে তিনি নিজ মালিকানাধীন বিশ্বের সবচেয়ে দামি প্রাসাদ ‘শাত্যো লুই ১৪’-এ (Chateau Louis XIV) উঠেছেন। প্রাসাদটি ২০১৫ সালে তিনি ৩০১ মিলিয়ন ডলারে কিনেছিলেন। ৭,০০০ বর্গমিটারের এই সম্পত্তিটি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের (Paris) লুভেসিয়েনসে (Louveciennes) অবস্থিত। মোট ৫৭ একর জায়গার ওপর তৈরি এই বাড়ি। ‘ফরচুন’ নামক ম্যাগাজিনটি এই শাত্যো লুই ১৪ প্রাসাদটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ি বলে উল্লেখ করেছেন।

    কোগমেডের ওয়েবসাইট (Cogemad’s website) অনুসারে, এই প্রাসাদের ডিজাইনটি সপ্তদশ শতকের প্রাসাদগুলোর ডিজাইনের অনুকরণেই এই প্রাসাদটির নকশা তৈরি করা হয়েছে। প্রাসাদটির নির্মাতা ছিলেন খাশোগির তুতো ভাই ইমাদ খাশোগি (Emad Khashoggi)। ফ্রান্সে অভিজাত নির্মাণকাজের ব্যবসা রয়েছে তাঁর। এই প্রাসাদের মাঠে লুইস ১৪ -এর একটি মার্বেলের মূর্তি তৈরি করা আছে। তাছাড়াও এই বিশাল প্রাসাদে ১০টি বেডরুম সুইট, লাইব্রেরি, রিসেপশন রুম রয়েছে। আর কি না নেই।

    এই বিলাসবহুল প্রাসাদে বিশাল অ্যাকুইরিয়াম, সিনেমা হল, সোনায় বাঁধানো ফোঁয়ারা রয়েছে। এতে একটি নাইট ক্লাব রয়েছে। এছাড়াও সাদা চামড়ার মোড়া সোফা সহ একটি কাঁচের চেম্বারও রয়েছে প্রাসাদে যা অনেকটা বিশালাকৃতির অ্যাকুইরিয়ামের মত দেখতে ৷ প্রাসাদের ভেতরে ওয়াইন সেলার রয়েছে। রয়েছে গোলকধাধাও।

    নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, প্রাসাদের সোনায় বাঁধানো ফোয়ারাটির সঙ্গে সাউন্ড সিস্টেম, লাইট যুক্ত করা আছে যা আইফোনের সাহায্যে কন্ট্রেল করা যায়। প্রাসাদের দরজাগুলি প্রতিটিই সোনায় মোড়া। গোটা প্রাসাদ জুড়েই বহুমূল্য শিল্পকর্ম ছড়িয়ে রয়েছে। তবে এই প্রাসাদটি সৌদি যুবরাজ কার থেকে কিনেছিলেন তা এখনও জানা যায়নি।

  • Brine Pool: লোহিত সাগরের তলদেশে ‘ব্রাইন পুল’! যেখানে গেলেই মৃত্যু নিশ্চিত…

    Brine Pool: লোহিত সাগরের তলদেশে ‘ব্রাইন পুল’! যেখানে গেলেই মৃত্যু নিশ্চিত…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাগরের মধ্যে আরও একটি জলাশয়! তাও আবার প্রাণঘাতী! এমনটাই জানিয়েছেন মিয়ামি ইউনিভার্সিটির (University of Miami) বিজ্ঞানীরা। রহস্যে ভরা পৃথিবীতে কখন যে কী উদ্ধার হয় তার কোনও ঠিক নেই। আর যা কিছুরই খোঁজ পাওয়া যাক না কেন, তা মানুষকে বিস্মিত করে। লোহিত সাগরের (Red Sea) ১.৭ কিলোমিটার নীচে এই ব্রাইন পুলটি উদ্ধার করা হয়েছে। সম্প্রতি তার খোঁজ পেয়েছেন মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা (Scientists)। তাঁরা জানিয়েছেন এই জলাশয়ে কোনও প্রাণী গেলেই তার মৃত্যু নিশ্চিত। দশ ঘণ্টা ধরে লোহিত সাগরের নীচে তল্লাশি চালিয়ে এই জলাশয়ের সন্ধান মিলেছে।

    বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই জাতীয় জলাশয় আসলে ‘ব্রাইন’ প্রজাতির (Brine Pool)। ব্রাইন আসলে সমুদ্রের তলদেশের এক প্রকার নিম্নচাপ। যেখানে লবণের ঘনত্ব ও জলের চাপ সমুদ্রের বাকি অংশের তুলনায় অনেক বেশি। এখানে বিভিন্ন রকমের রাসায়নিক উপাদানও জলের সঙ্গে মিশে রয়েছে। ফলে যে কোনও সামুদ্রিক প্রাণী বা অন্য কিছু এখানে প্রবেশ করলেই তার মৃত্যু হবেই।

    গবেষণার প্রধান গবেষক স্যাম পারকিস (Sam Purkis) এই পুলটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে মারাত্মক পুল বলেছেন। তিনি বলেছেন, “যে কোনও প্রাণী ওই পুলে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত।” পারকিস আরও জানান যে মাছ, চিংড়ি এবং ঈল অন্য প্রাণীদের  শিকারের জন্য এই জায়গাটি ব্যবহার করে থাকে। কারণ এই প্রাণীগুলি অন্য প্রাণীদের খাওয়ার জন্য এই মারাত্মক পুলের কাছে লুকিয়ে থাকে। যাতে তাদের শিকার করতে সুবিধা হয়।

    তিনি আরও জানান, এই পুল নিয়ে গবেষণা করলে জানা যেতে পারে যে, কীভাবে লক্ষ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীতে মহাসাগর তৈরি হয়েছিল। তাছাড়া এই বিষাক্ত লবণাক্ত পরিবেশে যে বিরাট সংখ্যক জীবাণু বসবাস করছে, এর থেকেই বোঝা যাবে যে  চরম পরিবেশে কীভাবে অন্যান্য প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে। পৃথিবীতে কতটা চরম অবস্থাতেও বেঁচে থাকা সম্ভব এটি বুঝতে পারলেই জানা যাবে যে সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহে এবং তার বাইরে অন্য কোথাও জীবনের হদিশ আছে কি নেই।

    তবে পৃথিবীতে এটিই প্রথম ব্রাইন জলাশয় নয়। গত তিরিশ বছর ধরে লোহিত সাগর, ভূমধ্যসাগর এবং মেক্সিকো উপসাগরে অন্তত এক ডজন ব্রাইন জলাশয়ের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

     

     

  • Taliban Urge: নিরাপত্তা সমস্যা মিটে গিয়েছে! হিন্দু-শিখদের আফগানিস্তানে ফেরার আর্জি  তালিবানের

    Taliban Urge: নিরাপত্তা সমস্যা মিটে গিয়েছে! হিন্দু-শিখদের আফগানিস্তানে ফেরার আর্জি তালিবানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তি ফিরেছে। দেশে আর নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা নেই। দাবি তালিবানের। প্রায় দু’দশক পর ক্ষমতায় ফিরলেও, এখনও আন্তর্জাতিক স্তরে বৈধতা পায়নি আফগানিস্তানে (Afghanistan News) পুনরায় কায়েম হওয়া তালিবান (Taliban News) সরকার। সেই আবহে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু (Hindus) এবং শিখদের (Sikhs) দেশে ফেরার আহ্বান জানালেন তালিবান নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, দেশের অন্দরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা মিটে গিয়েছে। নিরাপদে দেশে ফিরতে পারেন সংখ্যালঘুরা (Minorities)। 

    আরও পড়ুন: ইসলাম-বিরোধী না হলে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গেও যুক্ত হতে দ্বিধা নেই, বলছে তালিবান

    আফগানিস্তানের চিফ অফ স্টাফের অফিস ট্যুইট করে জানিয়েছে, ২৪ জুলাই আফগানিস্তানের হিন্দু ও শিখ কাউন্সিলের সদস্যদের সঙ্গে তালিবান মন্ত্রী ডক্টর মোল্লা আবদুল ওয়েসি দেখা করেছেন। আফগানিস্তানে এই কাউন্সিলের একাধিক সদস্যের সঙ্গে দেখা করার পরেই এই দাবি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যে সমস্ত ভারতীয় এবং শিখ নিরাপত্তার কারণে দেশ ছেড়েছেন, তাঁরা যাতে আফগানিস্তানে ফিরে আসেন তাও হিন্দু ও শিখ কাউন্সিলের সদস্যদের মনে করিয়ে দিয়েছেন আফগান মন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: প্রমাণ ছাড়া সরকারের সমালোচনা নয়, নতুন ফতোয়া তালিবান সরকারের

    তালিবান সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশ (ISKP)-কে রুখে দিতে সফল হওয়ায় তালিবান নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হিন্দু এবং শিখ নেতৃত্ব। কাবুলে গুরুদ্বার যে হামলায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়নি, তার জন্য তালিবান সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন তাঁরা। গত ১৮ জুন জঙ্গি সংগঠন ISKP কাবুলের কর্তে-ই-পারওয়াঁ গুরুদ্বার লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তাতে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ছিলেন এক শিখও। তালিবান প্রশাসনের সৌজন্যে বড়সড় হামলা থেকে রক্ষা পায় গুরুদ্বারটি। এর জন্য শিখ নেতারা তালিব সরকারের প্রশংসা করেছে বলে জানা গেছে। শুধু কাবুলের গুরুদ্বার নয়, সেই সঙ্গে জঙ্গি হামলায় দেশের আরও যেসব গুরুদ্বারের ক্ষতি হয়েছে, তালিব সরকার তা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। আর এ জন্য ৭.৫ মিলিয়ান আফগানী ব্যয় করবে বলে খবর।

  • Taliban: ইসলাম-বিরোধী না হলে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গেও যুক্ত হতে দ্বিধা নেই, বলছে তালিবান

    Taliban: ইসলাম-বিরোধী না হলে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গেও যুক্ত হতে দ্বিধা নেই, বলছে তালিবান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম (Islam) বিরোধী না হলে তারা আন্তর্জাতিক মহলের (International Community) সঙ্গে যুক্ত হতে চায়। সম্প্রতি একথা জানিয়ে দিল আফগানিস্তানের (Afghanistan) তালিবান (Taliban) শাসক। সে দেশের পাপ-পুণ্যের মন্ত্রী মহম্মদ খালিদ হানাফি বলেন, আমরা কেবল অনুসরণ করি আল্লাহ, পয়গম্বর মহম্মদ, রাশিদানের খলিফা এবং আমাদের আইন প্রণয়নকারীদের। যা কিছু ইসলামের বিরুদ্ধে, আমরা তা গ্রহণ করব না। সম্প্রতি গজনি সফরে গিয়েছিলেন হানাফি। সেখানেই একথা জানান তিনি। সরকারি কর্মচারীদের শাহরিয়া অনুসারে কাজ করার নির্দেশও দেন তিনি।আফগানিস্তানের মন্ত্রী মহম্মদ খালিদ হানাফি জানান, ইসলামিক মূল্যবোধের কথা মাথায় রেখে কাজ করা উচিত সমস্ত প্রদেশ, জেলা এবং মন্ত্রিসভায় যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের। তিনি বলেন, তালিবান ক্ষমতায় আসার পর একশো শতাংশ মহিলাকে হিজাব পরতে দেখা যাচ্ছে। আগে যা হত না।

    আরও পড়ুন : প্রমাণ ছাড়া সরকারের সমালোচনা নয়, নতুন ফতোয়া তালিবান সরকারের

    সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি দল আফগানিস্তানের ওপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে তুলে ধরা হয়েছে, গত দশ মাসে কীভাবে আফগানিস্তানে লঙ্ঘিত হয়েছে মানবাধিকার। নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে এই দশ মাস ধরে আফগানিস্তান শাসন করছে তালিবান শাসক। সেই সময়ই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি দলের রিপোর্টে প্রকাশ।

    গত বছর অগাস্ট মাসে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালিবান। এই সময়সীমার মধ্যে ঠিক কতগুলি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, তা প্রকাশ করা হয়নি ওই রিপোর্টে। তবে সে দেশে তালিবানি শাসন কায়েম হওয়ার পরেই যে সামগ্রিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তা তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে নানা ভাবে। সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার, দুর্ব্যবহার, আইন বিরুদ্ধভাবে হত্যা, কোনও কারণ ছাড়াই কাউকে গ্রেফতার এবং আটক করার ঘটনা ঘটছে আকছার।

    আরও পড়ুন : আফগান ছাত্রদের ভারতে পড়ার ছাড়পত্র দিতে আর্জি জানানোর পথে তালিবান

    এদিকে, তালিবান শাসকদের দেশবাসীকে শ্রদ্ধা করার পরামর্শ দিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর মহম্মদ ইশাক আখুন্দাজা। তিনি বলেন, যাঁরা সরকারে রয়েছেন কিংবা জেলা অফিসে চাকরি করেন কিংবা অন্য কোনও দফতরে কর্মরত, তাঁদের উচিত জনগণের সমস্যার সমাধান করা।

     

  • Nirav Modi: হংকংয়ে ঋণখেলাপি নীরব মোদির  ২৫৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    Nirav Modi: হংকংয়ে ঋণখেলাপি নীরব মোদির  ২৫৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঋণখেলাপি নীরব মোদির (Nirav Modi) বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি, গয়না ও ব্যাঙ্কে গচ্ছিত আমানত বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সংক্ষেপে ইডি (ED)। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৫৩ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। বেআইনি লেনদেন প্রতিরোধ আইন ২০২২-এ এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হংকং (Hong Kong) থেকে প্রায় আড়াইশো কোটি টাকার সম্পত্তির দখল নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আর্থিক তছরুপের মামলায় বর্তমানে লন্ডনের জেলে রয়েছেন নীরব মোদি। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নীরবের ২ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ইডির তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, হংকংয়ে নীরব মোদির বেশ কিছু সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। বেসরকারি ব্যাংকে টাকা ও গয়না গচ্ছিত ছিল নীরব মোদির। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের পাঁচ নম্বর ধারা মেনেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সম্পত্তি। সব মিলিয়ে আড়াইশো কোটি টাকার জিনিসপত্র আটক করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : কয়লা-কাণ্ডে বিনয় ও বিকাশ মিশ্রের ১৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত!

    এই প্রথম নয়, এর আগেও দেশে বিদেশে নীরব মোদির স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওই বিবৃতিতে এও জানানো হয়েছে, নীরব মোদি ও তাঁর সহযোগীদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতের রায় মেনেই প্রায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সম্পত্তি। আপাতত বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলিকে সাহায্য করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : পার্থ, পরেশের বাড়ি সহ ১৪ জায়গায় হানা ইডি-র, কী মিলল তল্লাশিতে?

    নীরব মোদি পেশায় হিরে ব্যবসায়ী। বছর কয়েক আগে তাঁকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ বাবদ দেয় ভারতের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। পরে জানা যায়, ওই ব্যবসায়ী ভুয়ো জামিনদারকে কাজে লাগিয়ে ওই পরিমাণ অর্থ ঋণ নিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেফতার হন এই হিরে ব্যবসায়ী।

     

  • UK Visa: যুক্তরাজ্যে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার নিরিখে চিনকে টপকে প্রথম ভারত, জানাল ব্রিটিশ হাই কমিশন

    UK Visa: যুক্তরাজ্যে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার নিরিখে চিনকে টপকে প্রথম ভারত, জানাল ব্রিটিশ হাই কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার অভিবাসনের পরিসখ্যান (Immigration Statistics) প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ হাই কমিশন (British High Commission)। সেখানে দেখা গিয়েছে চলতি বছরে ১,১৮,০০০ ভারতীয় পড়ুয়াকে ভিসা দিয়েছে যুক্তরাজ্য (UK)। আগের বছরের তুলনায় যা ৮৯% বেশি। 

    আরও পড়ুন: বাহিনীর সংখ্যায় টান, ইউক্রেনে ‘ভাড়াটে সেনা’ পাঠাচ্ছে রাশিয়া?

    চিনকেও টপকে এবার যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশি ভিসা (Student Visa) পেল ভারতীয় পড়ুয়ারাই। এমনটাই জানা গিয়েছে ব্রিটিশ হাই কমিশনের প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে।

     

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য সবসময় ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের অন্যতম পছন্দের জায়গা। ২০২২ সালে যুক্তরাজ্য যত ভিসা  দিয়েছে তাদের মধ্যে ২৮%- ই ভারতীয়। 

    ২৫৮,০০০ ভারতীয়কে এই বছর জুন মাস অবধি ভিজিটর ভিসা (Visitor Visa) দেওয়া হয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় ৬৩০% বেশি। আগের বছর কোভিডের কারণে ভিসা দেওয়ায় কড়াকড়ি করেছিল ব্রিটেন।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দেবে ভারত, বললেন মোদি  

    এমনকি ওয়ার্ক ভিসার (Work Visa) ক্ষেত্রেও সবার ওপরে রয়েছে ভারত। এই বছর ইউকে সরকারের পক্ষ থেকে যতগুলি ওয়ার্কার ভিসায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে ৪৬%- ই ভারতীয়। 

    ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালেক্স এলিস (Alex Ellis) এই বিষয়ে বলেন, “আবার প্রথম স্থানাধিকারী ভারত। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি ২০২২ সালে ভারতীয়রাই যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে সবথেকে বেশি স্টাডি, ভিজিটর এবং ওয়ার্ক ভিসা পেয়েছেন। এতে আমাদের দুই দেশের মানুষ আরও কাছাকাছি আসবেন।”

    ভারতীয়দের আরও বেশি ভিসার জন্যে আবেদন করার পরামর্শও দিয়েছেন এলিস। তিনি বলেন, “আমরা প্রচুর ভিসার অনুরোধ পাচ্ছি। আপনারা আরও বেশি করে ভিসার জন্যে আবেদন করুন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।” 

    এই মাসের শুরুতেই যুক্তরাজ্যের এই প্রতিনিধি ভিসা না পাওয়া পর্যন্ত ভারতীয় পড়ুয়াদের প্লেনের টিকিট না কাটার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আমরা প্রচুর ভিসার অনুরোধ পাচ্ছি। আমাদের তরফ থেকে যতটা সম্ভব আমরা করব। ভিসা সময়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনাদের বিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়ের আনন্দে মাতল বাংলাদেশও

    Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়ের আনন্দে মাতল বাংলাদেশও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি (President) পদে শপথ নিয়েছেন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। প্রত্যাশিতভাবেই উৎসবে মেতেছেন উত্তর ও দক্ষিণের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলির মানুষ। গঙ্গার এপারে যেমন চলছে উৎসব, তেমনি উৎসব হয়েছে পদ্মার ওপারেও। এদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সংসদের সামনে ধামসা মাদল নিয়ে নাচে গানে মেতে ওঠেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ।

    সোমবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে দ্রৌপদীকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা (NV Ramana)। শপথ নেওয়ার আগে রাজঘাটে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান দ্রৌপদী। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। পরে কোবিন্দের সঙ্গেই সংসদ ভবনে পৌঁছান দ্রৌপদী। তার পরেই নেন শপথ।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থী ছিলেন বিজেপির দ্রৌপদী। বিজেপি বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা। যশবন্তকে বিপুল ভোটে পরাস্ত করে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা হলেন ময়ূরভঞ্জের প্রত্যন্ত এক গ্রামের দ্রৌপদী। দ্রৌপদী রাইসিনা হিলসে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হল আরও একটি ইতিহাস। তিনিই ভারতের প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা, যিনি হলেন দেশের এক নম্বর নাগরিক।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিঞা অ্যাভেনিউতে জড়ো হন আদিবাসী ও জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষ। জয়েনশাহি আদিবাসী ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল, ঢাকা ওয়াংলা সেলিব্রেশন কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি জনজাতি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরাও যোগ দেন এদিনের উৎসবে।  বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব ড্রং বলেন, জনজাতি সম্প্রদায়ের কোনও মহিলার রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করা ভারতের পক্ষে ভালো খবর। কেবল ভারত নয়, বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের পক্ষেও এটি একটি সুখবর। এটি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষেও গর্বের বিষয়। দ্রৌপদীকে সে দেশে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারকেও অনুরোধ করেন তিনি।

    এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মেসবাহ কামাল। তিনি বলেন, দ্রৌপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় নিপীড়িত, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের জন্য এটি একটি আনন্দের দিন। এটি নিঃসন্দেহে সমাজের দুর্বল শ্রেণির মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের আইন প্রণেতা ও পরিচালকদের দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টাতে ভূমিকা পালন করবে।

     

  • Sco Summit: এসসিও-র সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মোদি-শি জিনপিং, আলোচনা হবে সীমান্ত নিয়ে?

    Sco Summit: এসসিও-র সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মোদি-শি জিনপিং, আলোচনা হবে সীমান্ত নিয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সেপ্টেম্বর মাসে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের, সংক্ষেপে এসসিও-র (SCO) বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা আলাদা করে কোনও বৈঠক করেন কি না, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।

    চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং কাজাখস্তান এই আটটি দেশ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের পূর্ণ সদস্য। চলতি বছরের প্রথম দিনে তিন বছরের মেয়াদে এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর নয়া সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন ঝাং মিং। তিনি জানান, সংগঠনের সম্ভাবনা ও কর্তৃত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি  স্থিতিশীলতা সুনিশ্চিত করা, দারিদ্র হ্রাস এবং খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।

    আরও পড়ুন : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই! চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    এদিকে, শুক্রবারই তিন দিনের পাকিস্তান সফরে আসছেন সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ঝাং মিং। সমরখন্দে এসসিও-র বার্ষিক সম্মেলনে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে আমন্ত্রণ জানাবেন তিনি। চলত বছরের ১৫ ও ১৬ সেপ্টম্বর বার্ষিক এই সম্মেলন হওয়ার কথা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেখানেই মুখোমুখি হবেন মোদি এবং জিনপিং। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ব্রাসিলিয়ায় হয় একাদশতম ব্রিকস সম্মেলন। সেখানেই মুখোমুখি হয়েছিলেন এই দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

    চলতি মাসের ১৭ জুলাই ভারত ও চিন এই দুই দেশের সেনার কমান্ডারস্তরের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেনা পর্যায়ের ওই বৈঠকগুলির পরেও পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের বিবাদ সম্পূর্ণ মেটেনি। স্থায়ী সমাধান খোঁজার লক্ষ্যেই দীর্ঘ বিরতির পর ফের মুখোমুখি হয়েছিল প্রতিবেশী এই দুই দেশ। ২০২০ সালের মে মাসে দুই দেশের বিবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লি-বেজিং বৈঠক হয়েছে একাধিকবার। তার পরেও সমস্যা মেটেনি। তাই হয় ১৬তম বৈঠকটি। 

    আরও পড়ুন : শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গলওয়ানে ভারত এবং চিন সেনার সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। তার পর থেকে উত্তেজনা কমাতে চলছে দুই দেশের সেনা পর্যায়ের বৈঠক। তবে এসসিওতে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের দেখা হওয়ার কথা। এদিকে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আগামী সপ্তাহে যাচ্ছেন সমরখন্দে। ২৯ তারিখ সেখানে রয়েছে বিদেশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক।

    এসসিও সম্মেলনে ভারত ও চিন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান মুখোমুখি হবেন বলেই সূত্রের খবর। কারণ জিনপিং অল পাওয়ারফুল সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান। সেখানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সমস্যা নিয়ে তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়, সেটাই দেখার।

     

  • Talibans: প্রমাণ ছাড়া সরকারের সমালোচনা নয়, নতুন ফতোয়া তালিবান সরকারের

    Talibans: প্রমাণ ছাড়া সরকারের সমালোচনা নয়, নতুন ফতোয়া তালিবান সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বার বার সমালোচিত হয়েছে তালিবান (Taliban) সরকার। বার বার তালিবানদের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারিতার অভিযোগে সরব হয়েছে আফগানিস্তানবাসীসহ সারা বিশ্ব। আফগানিস্তানবাসীর ওপর ফতোয়া (Diktat) জারি করে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবানরা। এবার এক নয়া ফতোয়ায় দানা বাঁধল বিতর্ক। ‘

    আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে কূটনৈতিক উপস্থিতি ফের চালু ভারতের, কী প্রতিক্রিয়া তালিবানের? 

    নতুন ফতোয়া জারি করে তালিবান সরকার জানিয়েছে, বৈধ প্রমাণ ছাড়া আফগানিস্তানের কোনও সরকারি আধিকারিক অথবা কোনও গবেষকের সমালোচনা করলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেবে তালিবান সরকার। তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ বেশ কিছু নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। তালিবান মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “শরিয়া আইন আমাদের এই দায়িত্ব দিয়েছে। সেই কারণে আফগানিস্তানের জনসাধারণকে তালিবান সরকারে পক্ষ থেকে সত্যতা যাচাই না করে কোনও সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে নিষেধ করা হয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: আফগান ছাত্রদের ভারতে পড়ার ছাড়পত্র দিতে আর্জি জানানোর পথে তালিবান 

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সামাজিক মাধ্যমে সরকারি আধিকারিকদের সমালোচনা করার অপরাধে বহু আফগান নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের ওপর শারীরিক অত্যাচারেরও অভিযোগ রয়েছে। তালিবানদের এই নির্দেশিকা সামনে আসায় ফের বিতর্ক শুরু হয়। 

    তালিবানদের সর্বোচ্চ নেতা আখুন্দজাদার এই নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, অপ্রয়োজনে প্রমাণ ছাড়া তালিবান সরকারের সমালোচনা করা কোনও ব্যক্তি যদি সেনাবাহিনীর জওয়ানদের গায়ে হাত দেয় অথবা তাদের জামাকাপড় ধরে টান দেয় বা তাদের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে, তবে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

    প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামের একটি সংগঠন আফগানিস্তানে তালিবান সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তারা একাধিকবার তালিবান সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হত্যা এবং অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের অভিযোগ এনেছে।   

    কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার অধ্যাপক বাইতুল্লা হামিদি ফেসবুকে লেখেন, “দেশের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আতঙ্ক বাড়ছে দেশজুড়ে। এই পৃথিবীতে কেউই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়।” 

    ২০২১ সালের ১৫ অগস্ট আসরফ ঘানি সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে আফগানিস্তান দখল করেছিল তালিবান। তালিবান দেশের ক্ষমতায় আসার পর সব থেকে বেশি আতঙ্কে ছিলেন সেদেশের মহিলারা। কারণ আগের তালিবান শাসন কালে মহিলাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল তালিবান শাসকদের বিরুদ্ধে। মহিলাদের স্বাধীনতাই সব থেকে বেশি খর্ব হয়। 

  • Myanmar: ৩৪ বছরে এই প্রথম, মায়ানমারে ফাঁসি চার সমাজ কর্মীর

    Myanmar: ৩৪ বছরে এই প্রথম, মায়ানমারে ফাঁসি চার সমাজ কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৪ বছরে এই প্রথম। সোমবার একসঙ্গে চারজনকে ফাঁসি (Executes) দিল মায়ানমার জুন্টা (Myanmar Military Government)। যাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন , ফিও জেয়া থাও ( Phyo Zeya Thaw), কো মিন উ (Kyaw Min Yu), হ্লা মায়ো অং, অং থুরা জাও। ফিও জেয়া থাও ছিলেন একজন সাংসদ, কো মিন উ ছিলেন লেখক। তাঁদের সঙ্গে হ্লা মায়ো অং এবং অং থুরা জাওকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এনারা ছিলেন সমাজকর্মী। গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করতেন তাঁরা। যদিও সেনার দাবি, খুন, সন্ত্রাসসহ একাশিক নৃশংস কাজে জড়িত ছিলেন এই চারজন।    
     
    এই চার জনের বিরুদ্ধে সেনা আদালত দেশের সরকারের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল। সেনা দাবি করে, এই চারজন ‘সন্ত্রাসবাদী’ কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন। আদালতে সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই সাজা। সেনা আদালতের রুদ্ধদ্বার কক্ষে এই চার জনের বিচার হয়। বাইরের কোনও প্রতিনিধিকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এই চারজনের পরিবারের তরফ থেকে জুন্টা (Junta) সরকারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আর্জি জানানো হয়েছিল। জুন্টা সরকার সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও মৃত্যুদণ্ড খারিজের অনুরোধ আসে। সিদ্ধান্তে অটল থাকে জুন্টা। 

    আরও পড়ুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই! জানুন কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী    

    মায়ানমারে সামরিক শাসন কায়েম হওয়ার পর থেকেই বার বার গণতন্ত্রের কন্ঠ রোধ করার অভিযোগ করেছে দেশের জনতাসহ বিভিন্ন মহল। যারাই সরকারের বিরুদ্ধে গিয়েছে তাদের বিভিন্ন রকম সাজা দেওয়া হয়েছে। এবার এই চারজনকে দেওয়া হল সর্বোচ্চ সাজা।

    আরও পড়ুন: বিশ্বাস ভেঙেছে কাছের লোক, পাকিস্তানে গণধর্ষণের শিকার মাকিন ভ্লগার  

    স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ফাঁসি দেওয়া হয়েছে ওই চার জনকে। কিন্তু ঠিক কোথায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। 

    জুনমাসে এই চারজনের মৃত্যু দণ্ডের সাজা ঘোষণা হওয়ার পরেই বিশ্বজুড়ে মায়ানমারের ব্যাপক সমালোচনা হয়। জুন্টা সরকার ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মায়ানমারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় আসে। সেই সরকারের প্রধান ছিলেন অং সান সু চি। এই ঘটনার পরেই মায়ানমার জুড়ে শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ। 

    মায়ানমারের সাংসদ এবং সমাজ কর্মীদের ফাঁসি দেওয়ার আদেশের নিন্দা করেছে বহু আন্তর্জাতিক সংগঠন। সরকার বিরোধী সংগঠন এনইউজি জানিয়েছে, এই ঘটয়ায় তারা, ‘অত্যন্ত দুঃখিত ও মর্মাহত’।  

    রাষ্ট্রসংঘের মতে, ১৯৮৮ সালে শেষবার ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল মায়ানমারে। তারপর থেকে ফাঁসির কোনও ঘটনা ঘটেনি। কেটে গিয়েছে ৩৪ বছর। এতদিন পর এই প্রথম মায়ানমারে দেওয়া হল মৃত্যুদণ্ড। 

     

LinkedIn
Share