Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Al Qaeda: এবার বাংলাদেশকেও হুমকি চিঠি আল কায়দার!

    Al Qaeda: এবার বাংলাদেশকেও হুমকি চিঠি আল কায়দার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (india) পর এবার বাংলাদেশ (bangladesh)। নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দার (Al Qaeda) শাখা সংগঠন ‘আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট’ বা আকিস (AQIS) হুমকি শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) দেশকে। বুধবারই নূপুর শর্মাকাণ্ডে (Nupur Sharma) ভারতকে হুমকি চিঠি দিয়েছিল এই জঙ্গি সংগঠন। এবার একই চিঠি দেওয়া হল ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রকেও।

    ৬ জুন ভারতকে পাঠানো হুমকি চিঠিতে আল কায়দা জানিয়েছে, নবীর (Prophet) সম্মানের জন্য এই লড়াই। দিল্লি, মুম্বই, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাটের বিভিন্ন শহরে আত্মঘাতী হামলা চালানো হবে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, হিন্দুত্ববাদীরা (Hindutva) আল্লার শরিয়ত (Shariat) বিরোধী। ভারতীয় চ্যানেলে মহম্মদ ও তাঁর স্ত্রীকে অত্যন্ত খারাপ ভাষায় অপমান করা হয়েছে।

    বিশ্বজুড়ে সমস্ত মুসলিমের হৃদয় রক্তাক্ত হয়েছে। তাঁদের মন প্রতিহিংসায় পরিপূর্ণ। এর বদলা অবশ্যই নেওয়া হবে। চিঠিতে এও বলা হয়েছে, বিশ্বের সব উদ্ধত হিন্দুবাদী সন্ত্রাসী যারা ভারতকে কব্জা করে রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে লড়ব। নবীর সম্মানের জন্য সকলকে এই লড়াইয়ে যোগ দিতে বলব। নবীর সম্মানে মৃত্যুবরণ করতে বলব। যাঁরা আমাদের প্রিয় নবীকে অসম্মান করেছে, তাদের হত্যা করব। নিজেদের এবং শিশুদের শরীরে বিস্ফোরক বেঁধে পাঠাব। যারা আমাদের নবীকে অবমাননা করেছে তাদের নিস্তার নেই।

    আরও পড়ুন :পয়গম্বরকে অবমাননার ‘বদলা’! ভারতে নাশকতার হুমকি-চিঠি আল-কায়দার

    ভারতকে এই হুমকি চিঠি পাঠানোর পরপরই চিঠি পাঠানো হল বাংলাদেশকে। বাংলাদেশে ৭ নির্দোষ ব্যক্তিকে কেন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জঙ্গি সংগঠন। বাংলাদেশ সরকার হিন্দুত্বের এজেন্টের মতো আচরণ করছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে আল কায়দার তরফে। ইসলামের নিন্দাকারীদের শাস্তি দেওয়ায় কেন বাংলাদেশ সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পাল্টা শাস্তি দিল, সে প্রশ্নও তুলেছে আল কায়দা। বাংলাদেশ হিন্দুত্বের এজেন্ট বলেও মন্তব্য করেছে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠনটি।

    আরও পড়ুন : কর্নাটক হিজাব বিতর্কে মুণ্ডুচ্ছেদের হুমকি, গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি নেতা

    ঈশ্বর নিন্দা (Blasphemy) করায় ২০১৪ ও তার পরের বছর হত্যা করা হয় লিজিয়ন ও বিজয়কে। বাংলাদেশ সরকার হত্যাকারীদের ফাঁসি দেয়। সেই কারণেই আকিস হুমকি চিঠি দিয়েছে হাসিনার সরকারকে।

  • Dinesh Gunawardena: শপথ নিলেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী, জানেন কি দীনেশ গুণবর্ধনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক

    Dinesh Gunawardena: শপথ নিলেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী, জানেন কি দীনেশ গুণবর্ধনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী (Sri Lanka Prime Minister) দীনেশ গুণবর্ধনে (Dinesh Gunawardena)। শুক্রবার শপথগ্রহণ করলেন তিনি। ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে (Ranil Wickremesinghe) দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন পরই গুণবর্ধনেকে নিয়োগ করা হয়। ২০২০ সালের সংসদ নির্বাচনের পর গুণবর্ধনে বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। কয়েক মাস আগে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রক। গত এপ্রিলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও হন তিনি। এবার দ্বীপরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমসিংহে তাঁকে বেছে নিলেন নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। সূত্রের খবর, যে যতক্ষণ দেশের বিরোধী দলগুলি দেশ চালাতে সহযোগিতা না করছে, ততক্ষণ পুরনো মন্ত্রিসভার সদস্যদের দিয়ে কাজ চালাবেন বলে জানিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট।

    [tw]


    [/tw]

    গুণবর্ধনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বহুদিনের। তাঁর বাবা ফিলিপ গুণবর্ধনে ছিলেন ভারতীয় রাজনীতিবিদ জয়প্রকাশ নারায়ণ ও ভিকে কৃষ্ণা মেননের সহপাঠী। ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াইও করেছেন ফিলিপ ও তাঁর স্ত্রী। শ্রীলঙ্কায় সমাজতন্ত্রের জনক (father of socialism in Sri Lanka) ছিলেন ফিলিপ গুণবর্ধনে। দক্ষিণ এশিয়াকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৩ সালে ফিলিপ ও তাঁর স্ত্রী কুসুমা ব্রিটিশদের নজর এড়িয়ে শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতে আসেন। ভারতের স্বাধীনতার জন্য গোপনে লড়াইও করেন তাঁরা। ব্রিটিশ পুলিশ তাঁদের ধরে ফেলে। তৎকালীন বম্বের আর্থার রোড জেলে বন্দি করে রাখা হয় তাঁদের। পরে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হয়। স্বাধীনতার পর ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ফিলিপ এবং তাঁর স্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আসেন। দীনেশ গুণবর্ধনের ভাবমূর্তিও তাঁর বাবার মতোই স্বচ্ছ্ব। শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রীও যে ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব বজায় রাখবেন তা আশা করাই যায়।

    আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে নির্বাচনের ঘণ্টা, বাদ সাধতে পারে চিল্লাই কলন!

    সূত্রের খবর, গুণবর্ধনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় দেশে নতুন করে বিক্ষোভের সূচনা হতে পারে বলেও মনে করছে দ্বীপরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা। নতুন প্রধানমন্ত্রী শুধু পদত্যাগী প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের ঘনিষ্ঠই নন, তাঁর দল এসএলপিপি-র সদস্যও বটে। দ্বীপরাষ্ট্রের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষই দায়ি বলে মনে করেন দেশের অধিকাংশ মানুষ। এই অবস্থায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠকে আদৌও দেশের জনতা মেনে নেবেন কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সন্দেহ।

  • Pakistan defence:  প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান!

    Pakistan defence:  প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা (defence) খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান (pakistan) সরকার। আগামী অর্থবর্ষে সেনাবাহিনীর জন্য ১.৪৫৩ ট্রিলিয়ন রুপি বরাদ্দ রাখতে যাচ্ছে শেহবাজ সরকার। গত অর্থবর্ষে এই বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১.৩৭ ট্রিলিয়ন রুপি। পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রেই এ খবর মিলেছে।

    রবিবার পাকিস্তানের একটি সংবাদ প্রতিবেদনে প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ যে বাড়তে চলেছে, তা জানানো হয়েছে। মাস কয়েক আগেই ইমরান খানের সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে শেহবাজ শরিফ (Shahbaz shariff )। ইমরানের অভিযোগ, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। যদিও এই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পাক সরকার।

    আরও পড়ুন : “তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান!” কেন এমন কথা বললেন ইমরান?

    সূত্রের খবর, শেহবাজ ক্ষমতায় এসেই নজর দেন প্রতিরক্ষা খাতের দিকে। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয়, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বাড়াবে শেহবাজের সরকার। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী অর্থবর্ষে সেনাবাহিনীর জন্য ১.৪৫৩ ট্রিলিয়ন রুপি বরাদ্দ রাখা হবে। গত অর্থবর্ষে ছিল ১.৩৭ ট্রিলিয়ন রূপি। অর্থাৎ নয়া অর্থবর্ষে ব্যয় বরাদ্দ বাড়ছে প্রায় ৮৩০০ কোটি রুপি। গত অর্থবর্ষের তুলনায় যা শতকরা ৬ ভাগ বেশি। সেনাবাহিনীর দাবি, মুদ্রাস্ফীতির তুলনায় বরাদ্দের যে পরিমাণ প্রয়োজন, এই অর্থ তার চেয়ে প্রায় ৫৩০০ কোটি রুপি কম। প্রতিবেদনে দাবি, বর্ধিত পরিমাণ বরাদ্দের বেশিরভাগটাই খরচ হবে সেনা কর্মীদের বেতন ও ভাতা দিতে। বরাদ্দের বাকি টাকা খরচ হবে সামরিক পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনায়। কর্মীদের রেশন, ট্রান্সপোর্ট, ট্রেনিং এবং চিকিৎসাখাতেও ব্যয় করা হবে ওই বরাদ্দ।  

    আরও পড়ুন : অশান্ত পাকিস্তান! ৬ দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করতে শাহবাজ সরকারকে হুঁশিয়ারি ইমরানের

    চলতি বছরের এপ্রিলেই অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী ইমরান খানকে। আইএসআই গুপ্তচর সংস্থার প্রধানের নিয়োগে সিলমোহর দিতে অস্বীকার করায় সেনাবাহিনীর রোষানলে পড়েন তিনি। তার জেরেই গদি হারাতে হয় এই ক্রিকেটার-রাজনীতিবিদকে।

    সূত্রের খবর, ফি বছর পাকিস্তানের একজন সৈনিকের জন্য খরচ হয় ২.৬৫ বিলিয়ন রুপি। ভারত যা ব্যয় করে তার এক তৃতীয়াংশও নয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১১.৩ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির জেরে এই বরাদ্দ প্রত্যাশিতই ছিল।

     

     

  • S Jaishankar: রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    S Jaishankar: রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনে (Ukraine) আগ্রাসনে অভিযুক্ত রাশিয়া (Russia)। সেই রাশিয়ার সঙ্গে সুসস্পর্ক বজায় রেখে চলেছে ভারত (India)। তা নিয়ে বিভিন্ন সময় ভারতের সমালোচনা করেছে ইউরোপের দেশগুলি। এবার সেই সমালোচনারই জবাব দিল ভারত। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) শুক্রবার ইউরোপের তীব্র নিন্দা করেছেন। ইরান এবং ভেনেজুয়েলার তেল কেনার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করেছেন জয়শঙ্কর।     

    আরও পড়ুন :রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা নিয়ে পশ্চিমি দেশগুলিকে জবাব পীযূষ গোয়েলের

    চারদিনের স্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্র সফরে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখানেই তিনি বক্তৃতা দেন “গ্লোবসেক ২০২২ ব্রাতিস্লাভা” ফোরামে। এই ফোরামেই ইউরোপকে নিশানা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, আজ ইউরোপ রাশিয়া থেকে তেল, গ্যাস কিনছে। নিষেধাজ্ঞার নয়া প্যাকেজ এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেখানে তার দেশীয় জনগণের কল্যাণকে বিবেচনা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে বুঝতে হবে, আপনি যদি নিজের প্রতি বিবেচনাশীল হতে পারেন তবে অবশ্যই আপনি অন্যদের প্রতি বিবেচ্য হতে পারেন। 

    রাশিয়া থেকে অপরিশোধিতা জ্বালানি কেনা নিয়ে ক্রমাগত ভারতের সমালোচনা করে আসছে পাশ্চাত্য দেশগুলি। এমনকি, সম্প্রতি এমনও বলা হয়েছে যে, রাশিয়া থেকে তেল কিনে আদতে ভারত যুদ্ধে আর্থিক মদত দিচ্ছে। এপ্রসঙ্গে, কড়া জবাব দেন জয়শঙ্কর। বিদেশমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই রাশিয়া থেকে ইউরোপ যেখানে গ্যাস আমদানি চালু রেখেছে। শুধু ভারতের বেলায় কেন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।

    জয়শঙ্করের প্রশ্ন, ভারত যদি রাশিয়ার তেল আমদানির মাধ্যমে যুদ্ধে আর্থিক মদত করে থাকে, তাহলে রাশিয়া থেকে ইউরোপের গ্যাস আমদানি কেন যুদ্ধে আর্থিক মদত হিসেবে দেখা হবে না? জয়শঙ্কর বলেন, ‘অর্থের বিনিময়ে ভারতে রাশিয়ার তেল এলে তা যুদ্ধে আর্থিক মদত, আর ইউরোপে গ্যাস এলে তা যুদ্ধে মদত নয়? একটু নিরপেক্ষতা তো বজায় রাখবেন। অন্যদেরও তো স্বাধীনতা থাকা উচিত।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের ভারসাম্যের নীতির প্রশংসায় মোহন ভাগবত

    ভারতকে কেন গম রফতানি নিষিদ্ধ করতে হয়েছিল, এদিন সে প্রশ্নেরও জবাব দেন বিদেশমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি বলেন, গম ক্রয়কারী দেশের সরকারের অনুরোধের ভিত্তিতে কেন্দ্রের অনুমোদনের পরেই রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ভারতের বিদেশ মন্ত্রী বলেন, নয়াদিল্লি চেয়েছিল দরিদ্র দেশগুলি গম সংগ্রহ করুক। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইয়েমেন, সুদান এবং উপসাগরীয় দেশগুলির মতো দেশগুলি, ভারতীয় গমের ঐতিহ্যবাহী ক্রেতা বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, গম রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় ভারতের সমালোচনা করেছিল ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। তখন ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল চিন। তারা জানিয়েছিল, ভারতের জনগণের স্বার্থে তারা গম রফতানি বন্ধ করতে পারে।

  • Indian Officials in Kabul: নারীশক্তি! তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় ভারতের মহিলা প্রতিনিধি

    Indian Officials in Kabul: নারীশক্তি! তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় ভারতের মহিলা প্রতিনিধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানবাসীর হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছনো এবং সেখানকার বিভিন্ন ভারতীয় প্রকল্পের দেখভাল করতে কাবুলে পৌঁছেছে ভারতীয় প্রতিনিধিদের একটি দল। বিদেশ মন্ত্রকের পাকিস্তান-আফগানিস্তান-ইরান বিষয়ক (Pakistan-Afghanistan-Iran division) যুগ্মসচিব জেপি সিংয়ের (J P Singh) নেতৃত্বে ওই দলে রয়েছেন এক মহিলা কূটনীতিকও। দীপ্তি ঝাড়ওয়াল (Deepti Jharwal) নামে ওই মহিলা কূটনীতিক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের ডেস্ক অফিসার হিসেবে দায়িত্ব সামলান।

    গত বছর আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হয়েছে। একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে মহিলাদের উপর। মহিলাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। পুরুষদের কর্মক্ষেত্রে মহিলারা কাজ করতে পারবেন না বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণির উপরে মেয়েদের স্কুল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে প্রথম সরকারি সফর ভারতের, গলছে বরফ?

    এখানেই থেমে থাকেনি মহিলাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার তালিকা। দূরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে স্থানীয় আফগান নেতার অনুমতি নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। রেস্তোরাঁ-বারে পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে যেতে বসতে পারবেন না কোনও মহিলা। স্বামী হলেও নয়। এমনকি খবর পড়তে গেলেও মহিলাদের মুখ ঢেকে রাখতে হবে এমনই নির্দেশ তালিবান সরকারের। 

    এই প্রেক্ষিতে কাবুলে তালিবান শাসকদের সঙ্গে কথা বলতে যাওয়া ভারতীয় প্রতিনিধি দলে এক মহিলার উপস্থিতি বিশেষ নজর কেড়েছে।  আফগানিস্তানে মহিলাদের সমস্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করে নারী সুরক্ষার কথা বলা তালিবানের কাছে এটা ভারত সরকারের একটি দৃষ্টান্ত বলে মনে করছে সারা বিশ্বের কূটনীতিকরা। ভারতে নারী শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং দেশের সব ক্ষেত্রে মহিলাদের বিচরণ তালিবানদের কাছে শেখার বলেও অভিমত অনেকের। দীপ্তি ২০১১ সালে আইএফএস হিসেবে কাজে যোগ দেন। তিনি ভারতীয় প্রতিনিধি হিসেবে ইরানেও গিয়েছিলেন।

    তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পরে সেদেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়েছিল ভারত (India)। বৃহস্পতিবার, ঠিক সাড়ে ন’মাস বাদে কাবুলে পা রাখলেন ভারতীয় কূটনৈতিক কর্তারা। এখনই আফগান সরকারকে মান্যতা দেওয়া বা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পুনর্জাগরণ করা না হলেও, অন্তত দরজাটুকু খোলা হল বলেই অনুমান কূটনৈতিক মহলের।

    আরও পড়ুন: বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার শূন্য, শ্রীলঙ্কার মতোই দেউলিয়ার পথে পাকিস্তানও?

    ভারতীয় প্রতিনিধি দল এদিন কাবুল পৌঁছে দেখা করেছে তালিবান বিদেশমন্ত্রী ওয়াকিল আহমেদ মুত্তাওয়াকিল-সহ কয়েক জন প্রতিনিধির সঙ্গে। চা-সহযোগে দু’পক্ষের আলোচনাও হয়েছে। এর পরে সে দেশের ভারতীয় প্রকল্পগুলি ঘুরে দেখেছেন তাঁরা। ভারতের অর্থ এবং উদ্যোগে নতুন করে তৈরি হওয়া হাবিবিয়া হাইস্কুলে গিয়ে ছাত্র, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

    ভারতীয় প্রতিনিধি দলের একাধিক ছবিতে দীপ্তিকে দেখা গিয়েছে। যদিও ছবিতে একমাত্র তিনিই মাস্ক পরেছিলেন, যা ইঙ্গিতবহ। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের প্রকাশিত ছবিতে দীপ্তিকে দেখা গেলেও কাবুলের তালিবান শাসকদের তরফে প্রকাশিত কোনও ছবিতেই তাঁকে দেখা যায়নি।

  • Viral video: অ্যানাকোন্ডা বনাম অ্যালিগেটরের লড়াই! ভাইরাল ভিডিও, কে জিতল?

    Viral video: অ্যানাকোন্ডা বনাম অ্যালিগেটরের লড়াই! ভাইরাল ভিডিও, কে জিতল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  কুমিরের এক প্রজাতি একটি বড় অ্যালিগেটরকে (Alligator) পেঁচিয়ে ধরেছে বিরাট গ্রিন অ্যানাকোন্ডা (Anaconda)। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে এমন একটা ভিডিও। যা দেখে চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। টানটান উত্তেজনা। চুপ করে বসে থাকতে হচ্ছে শেষে কী হবে তা দেখার জন্য। এই কুমিরটি আসলে একটি ‘কেম্যান’, যা ব্রাজিলে অ্যালিগেটরের আর এক প্রজাতি। অস্তিত্বের জন্য কীভাবে ওই দুই সরীসৃপ সংগ্রাম করে যাচ্ছে, তা ধরে পড়েছে সদ্য ভাইরাল হওয়া এই ভিডিয়োটিতে।

    আরও পড়ুন: কলম্বোয় আক্রান্ত দূতাবাস আধিকারিক, অ্যাডভাইজরি জারি ভারতীয় হাই কমিশনের

    ভাইরাল এই ফুটেজে দেখা যায়, প্রথম থেকেই কুমিরটিকে পেঁচিয়ে ধরেছে ওই ভয়ঙ্কর অ্যানাকোন্ডা। কোনও ভাবে কুমিরটিকে এক ফোঁটাও জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি নয় সে! ভয় দেখানোর জন্য নিজের বিরাট হাঁ-মুখ দেখায় অ্যালিগেটর। কিন্তু তাতেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি।

    [insta]https://www.instagram.com/reel/CgBLp2CKjzZ/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানার বাসিন্দা কিম সুলিভান গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে এই ভিডিওটি ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন। ইনস্টাগ্রামে আফ্রিকান ওয়াইল্ড লাইফ নামের একটি পেজ থেকে এই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে। তার ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “না, এটা একটা পাইথনও নয়। আবার একটা বোয়া কনস্ট্রিক্টরও নয়। তাদের সবার থেকে বড় এটি: দ্য অ্যানাকোন্ডা।”

    আরও পড়ুন: জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে মানুষ, উদ্ধারে এগিয়ে এল হাতি

    ৫৫০ পাউন্ডের একটি সাপ এবং একটি কুমিরের মধ্যে নাছোড় লড়াই দেখে ইন্টারনেটের বাসিন্দারা এক প্রকার অবাক হয়ে গিয়েছেন। কৌতূহল থেকেই একজন প্রশ্ন করে বসেছেন, “লড়াইতে শেষ পর্যন্ত জিতল কে?” আর একজন যোগ করেছেন, “শেষ পর্যন্ত দুজনেই বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। অ্যানকোন্ডাও শেষমেশ কুমিরটিকে বাগে আনতে না পেরে এলাকা ছেড়ে চলে যান। কুমিরটিও ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল কারণ তাকে এমন ভাবে ওই ভয়ঙ্কর সাপটি জাপ্টে ধরেছিল যে সে তার ধকল নিতে পারছিল না।”

  • Mother-Daughter Pilot: স্বপ্নের উড়ান, একই ফ্লাইটে পাইলটের ভূমিকায় মা ও মেয়ে

    Mother-Daughter Pilot: স্বপ্নের উড়ান, একই ফ্লাইটে পাইলটের ভূমিকায় মা ও মেয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা-মেয়ে (Mother-Daughter) ওড়াচ্ছেন একই বিমান। এ যেন এক স্বপ্নের উড়ান (Pilot)। তবে বাস্তবেই ঘটেছে এমনটা। মা-মেয়েকে একই বিমানের ককপিটে দেখে আবেগে গা ভাসিয়েছেন নেট নাগরিকরাও।  

    সাউথ ওয়েস্ট এয়ারলাইনের বিমান ওড়ার জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছে রানওয়েতে। হঠাতই মাইকে এক ঘোষণা। “যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছে বিরাট চমক”। ঘোষণা শুনে অনেক প্রশ্ন মনে নিয়ে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছিলেন যাত্রীরা। এমন সময় ককপিটের দরজা খুলে বেরিয়ে এলেন ক্যাপ্টেন হোলি পেটিট (Captain Holly Petitt) এবং ফার্স্ট অফিসার কিলি পেটিট (First Office Keely Petitt)। কেন পাইলট এবং কোপাইলট ককপিট থেকে বেরিয়ে এলেন, যাত্রীরা প্রথমে সেটা বুঝতে পারেননি। ক্যাপ্টেন হোলি পেটিট জানান, তাঁর পাশে যে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাঁর মেয়ে। আজ তারা যাত্রীদের ডেনভের থেকে সেন্ট লুইস নিয়ে যাবেন। 

    আরও পড়ুন: ১৩টি বিয়ে করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের যুবক! এরপর যা হল…

    সাউথ ওয়েস্ট এয়ারলাইনের কর্মী ক্যাপ্টেন হোলি পেটিট (মা) এবং ফার্স্ট অফিসার কিলি পেটিট (মেয়ে) ২৩ জুলাই একই সঙ্গে ওড়ালেন একই বিমান। সাউথ ওয়েস্ট এয়ারলাইনের প্রথম মা মেয়ে পাইলট জুড়ি তাঁরা। সাউথ ওয়েস্ট এয়ারলাইন, পাইলট মা-মেয়ের একটা ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছেন ডেনভার থেকে সেন্ট লুইস পর্যন্ত বিমান ৩৬৫৮ কিলোমিটার উড়িয়ে নিয়ে যাবেন এই মা-মেয়ের জুটি। ক্যাপ্টেন হোলি, তাঁর মেয়ে কিলিকে পরিচয় করিয়ে দেন বিমানের যাত্রীদের সঙ্গে।    

     
     
     
     
     
    View this post on Instagram
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     

    A post shared by Southwest Airlines (@southwestair)

    ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মা মেয়ে তাঁদের একটা ছবি ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। ছবির ক্যাপশনে লেখা, “আপনারাই সাউথ ওয়েস্ট এয়ারলাইনের প্রথম মা মেয়ের পাইলট জুটি।”   

    ক্যাপ্টেন হোলি ভিডিওতে বিমান যাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, “আজ আমার জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন। সাউথ ওয়েস্ট এয়ারলাইন টিমের নতুন সদস্য, আপনাদের বিমানের ফার্স্ট অফিসার আমার মেয়ে কিলি।” 

    আরও পড়ুন: অ্যানাকোন্ডা বনাম অ্যালিগেটরের লড়াই! ভাইরাল ভিডিও, কে জিতল?

    ভিডিওতে মা মেয়েকে দেখা যাচ্ছে তাঁরা একসঙ্গে পাইলটের পোশাক পরছেন, বিমান ওড়ানোর জন্য তৈরি হচ্ছেনও একসঙ্গে। এই ভিডিও দেখে আবেগে ভেসেছেন নেট নাগরিকরা। 

    ক্যাপ্টেন হোলি ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্ট হিসেবে শুরু করেছিলেন কর্মজীবন। তিনি পাইলট হতে চেয়েছিলেন। যখন কিলির বয়স ২ বছর, তখন হোলি পাইলটের ট্রেনিং নেন। তাঁর আরও দুই সন্তান রয়েছে। ১৮ বছর ধরে বিমান ওড়াচ্ছেন তিনি।  

    কিলির বয়স যখন ১৪ বছর, তখনই এই পেশার প্রেমে পড়েন তিনি। ২০১৭ সালে সাউথ ওয়েস্ট এয়ারলাইনে ইন্টার্নশিপ করেন তিনি। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। 

    কিলি বলেন, “সাউথ ওয়েস্ট এয়ারলাইনই স্বপ্ন ছিল। আর কোনও দিকেই তাকায়নি আমি।” 

     

     

     

     

     

  • India at UNSC: সীমান্তপার সন্ত্রাসের মদতদাতারা এখনও মুক্ত, রাষ্ট্রসংঘে উষ্মা ভারতের

    India at UNSC: সীমান্তপার সন্ত্রাসের মদতদাতারা এখনও মুক্ত, রাষ্ট্রসংঘে উষ্মা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তপার সন্ত্রাসের মদতদাতারা এখনও মুক্ত। রাষ্ট্রসংঘে এই মর্মে উষ্মা প্রকাশ  করল ভারত (india)। বিভিন্ন দেশ সন্ত্রাসবাদে (terrorism) মদত দিচ্ছে। সন্ত্রাসীরা নির্দ্বিধায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) বৈঠকে একথা বললেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী আরআর সিং।

    নিরাপত্তা পরিষদে বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা সত্যিই একটি দুঃখজনক পরিস্থিতি যে সীমান্তপারে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া চলছেই। রাষ্ট্রীয় মদতেই বাড়বাড়ন্ত সন্ত্রাসবাদীদের। সন্ত্রাসবাদকে মানবতার সব চেয়ে বড় হুমকি বলে অভিহিত করেন তিনি। বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোটা বিশ্বকে একজোট হতে হবে। সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতাও করতে হবে বিশ্বের সব দেশকে। সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের সমর্থনে কোনও যুক্তি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুন : কাশ্মীরে ‘হাইব্রিড’ সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা?

    সন্ত্রাসবাদের জেরে ভারতে যে কত প্রাণ বলিদান হয়েছে, তার হিসেব নেই। সিং বলেন, ভারত সীমান্ত সন্ত্রাসের কবলে পড়েছে। কয়েক দশক ধরে বলিদান হয়েছে হাজার হাজার প্রাণ। পরিষদে ছিলেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডি রামাও। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনকারীদের সকলের প্রতি সম আচরণ করা উচিত।

    আন্তর্জাতিক আইনকে বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রয়োগ করার ওপরও জোর দেন ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। বলেন, আন্তর্জাতিক আইনকে বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রয়োগ করতে হবে। তা যেন রাষ্ট্রসংঘের নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়। তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে সদস্য দেশগুলির। রয়েছে বাধ্যবাধকতাও।

    রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলির উচিত এব্যাপারে সদস্য দেশগুলিকে সমর্থন করা। এদিন নাম না করে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী পাকিস্তানকেই দুষেছেন বলে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা। তাঁদের মতে, জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের মদতদাতা পাকিস্তান। বস্তুত, তার জেরেই নিত্য অশান্তি ভূস্বর্গে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ করার পর কিছুদিন উপত্যকায় শান্তি বজায় ছিল। সম্প্রতি ফের আক্রমণ হচ্ছে হিন্দুদের ওপর। যার জেরে বিঘ্নিত হচ্ছে শান্তি। রক্তাক্ত হচ্ছে ভূস্বর্গ।

    আরও পড়ুন :”পাকিস্তানে যাচ্ছে এমবিবিএস পড়তে, ভারতে ফিরছে জঙ্গি হয়ে!” চাঞ্চল্যকর দাবি গোয়েন্দাদের

  • Russia Population: ১০ সন্তানের জন্ম দিয়ে বাঁচিয়ে রাখলেই ১৩ লক্ষ টাকা, জনসংখ্যা বাড়াতে মরিয়া পুতিন

    Russia Population: ১০ সন্তানের জন্ম দিয়ে বাঁচিয়ে রাখলেই ১৩ লক্ষ টাকা, জনসংখ্যা বাড়াতে মরিয়া পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই করোনার প্রকোপ, তার ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, দেশবাসী হারিয়েছে রাশিয়া (Russia)। জনসংখ্যার সংকটে (Crisis) পড়তে চলেছে পুতিনের দেশ। আর এই সমস্যার সমাধানে প্রস্তাব দিলেন রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। দেশে জনসংখ্যার (Population) সংকটের মোকাবিলা করতে ১০ বা তার বেশি সন্তান নেওয়ার জন্য মহিলাদের আর্থিক সাহায্য়ের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। ১০টি শিশুর জন্ম দেওয়া এবং বাঁচিয়ে রাখার জন্য ১ মিলিয়ন রুবেল আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করলেন পুতিন। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। কিন্তু এর জন্যে বেঁধে দেওয়া হয়েছে একটি শর্ত।

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই আসছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল! সুখোই নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় জোর

    কোনও মহিলার দশ নম্বর সন্তানের যখন প্রথম জন্মদিন হবে এবং সে সময় যদি বাকি নয় সন্তান জীবিত থাকে, তবেই সরকারের তরফ থেকে এই টাকা পাওয়া যাবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে জোর দিতে ‘মাদার হিরোইন’ নামে এই বিশেষ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টাইমস রেডিও’তে এই প্রকল্প সম্পর্কে বিশদে জানিয়েছেন রাশিয়ার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ জেনি ম্যাথার্স।

    জেনি বলেছেন, ‘‘দশ বা তার বেশি সন্তান হলে মহিলাদের জন্য এই পুরষ্কারের চল সোভিয়েত যুগের। একে মাদার হিরোইন বলা হয়। রাশিয়ার জনসংখ্যা সঙ্কট দূর করতেই এই প্রয়াস। বর্তমানে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে এই সঙ্কট আরও প্রবল হয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: অজিত ডোভালের আকস্মিক রাশিয়া সফর, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে শান্তির বার্তা?

    এই বছরের মার্চ মাস থেকে রাশিয়ায় ফের মাথা চাড়া দিয়েছে করোনা। এর পাশাপাশি ইউক্রেনে ৫০ হাজার জন সৈন্য মারা গিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশকে জনবহুল করতে তাই মরিয়া হয়ে উঠেছেন পুতিন।

    এ বিষয়ে ডাঃ ম্যাথার্স বলেন, পুতিন বলে আসছেন যে যাঁদের বড় পরিবার আছে, তাঁরা বেশি দেশপ্রেমিক।

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যাপক হারে জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় ১৯৪৪ সালে এই বিশেষ আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্ট্যালিন। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এটি বন্ধ হয়ে যায় সেই পুরষ্কার। জনসংখ্যা বাড়াতে গত ১৬ অগস্ট আবার এই আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছেন পুতিন।

    জানা গিয়েছে, গত কয়েক দশকে রাশিয়ার জনসংখ্যা কমেছে। চলতি বছরের শুরুতে রাশিয়ার জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৬০ লক্ষ।

    এখন অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে, এই তেরো লক্ষ টাকাতে কী ১০টি সন্তান এই যুগে মানুষ করা  সম্ভব? তাই কতটা কার্যকর হবে রুশ রাষ্ট্রপতির এই পরিকল্পনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। 

     

  • US Vlogger Rape: বিশ্বাস ভেঙেছে কাছের লোক, পাকিস্তানে গণধর্ষণের শিকার মাকিন ভ্লগার 

    US Vlogger Rape: বিশ্বাস ভেঙেছে কাছের লোক, পাকিস্তানে গণধর্ষণের শিকার মাকিন ভ্লগার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। পাকিস্তানে গণধর্ষণের (Gang Rape) শিকার ২১ বছরের মার্কিন ভ্লগার (American Vlogger) । গত ১৭ জুলাই রাতে পাকিস্তানের (Pakistan) ডেরা গাজি খান শহরের ফোর্ট মনরো (Fort Monroe) হিল স্টেশনে একটি হোটেলের ঘরে ধর্ষণ করা হয় ওই মহিলা ভ্লগারকে। ধর্ষিতা জানান, যাকে বিশ্বাস করেছিলেন, সেই বন্ধুই বিশাসঘাতকতা করেছে। তিনি বলেন, “আমি জানি না আমার মনে ক্ষত কোনওদিন ভরবে কী না। আমি চাই দোষীরা সর্বোচ্চ সাজা পাক।”  

    আরও পড়ুন: ৩১ জুলাই ভারত-পাক মহিলা টি-২০ ম্যাচ, তুঙ্গে টিকিটের চাহিদা

    এফআইআরে বলা হয়েছে, ১৭ জুলাই রাতে একটি হোটেলের ঘরে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেছিলেন মুজমাল সিপ্রা এবং শেহজাদ নামের দুই ব্যক্তি। মার্কিন যুবতী আরও অভিযোগ করেন, ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া না চালানোর জন্য হুমকি পেয়েছিলেন তিনি। ধর্ষণের ভিডিও- ও প্রকাশ্যে আনার হুমকি দেওয়া হয় মহিলাকে।

    আরও পড়ুন: পাটনায় ধৃত পাক স্লিপার সেলের সদস্য! হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে জঙ্গি কার্যকলাপ

    ডেরা গাজি খানের ডেপুটি কমিশনার আনোয়ার বারিয়ার জানিয়েছেন, ওই ভ্লগার পাকিস্তানে ট্যুরিস্ট ভিসায় এসেছিলেন এবং গত সাত মাস ধরে পাকিস্তানেই থাকছেন। ভ্লগারের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া পরিচয় হয় মুজমাল সিপ্রার। তারই আমন্ত্রণে রবিবার করাচি থেকে ফোর্ট মনরোতে এসেছিলেন তিনি। সিপ্রার বাড়ি পাকিস্তানের পাঞ্জাবের রাজনপুর জেলায়। লাহোর থেকে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার দূরে। এই ঘটনায় মুজমাল সিপ্রা এবং শেহজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিপ্রা, শেহজাদ এবং আজান খোসা নামের আরও এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাকিস্তান দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং ২৯২বি ধারায় মামলা নথিভুক্ত করেছে পুলিশ।  

    ঘটনার দিন মুজামিল ও আজানের সঙ্গে মিলে একটি ভ্লগের শুটিং করেন ওই মার্কিন তরুণী। এরপর তিনজন একটি হোটেলে গিয়ে ওঠেন। অভিযোগ, সেখানেই মুজামিল ও আজান মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে। তারা একটি ভিডিও-ও রেকর্ড করে। হুমকি দেয়, কাউকে কিছু বললে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেবে। কিন্তু সেই ভয়ে দমে যাননি সেই তরুণী। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত শুরু করে পাকিস্তানের বর্ডার মিলিটারি পুলিশ। মুজামিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইতিমধ্যেই ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে পুলিশ।   

LinkedIn
Share