Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Pakistan: সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের ‘পরামর্শকে’ খারিজ পাকিস্তানের

    Pakistan: সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের ‘পরামর্শকে’ খারিজ পাকিস্তানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল পাকিস্তানের (Pakistan) করাচিতে (Karachi) একটি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তারপরেই পাকিস্তানকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেয় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (Ministry of External Affairs)। ভারতের সেই মন্তব্যকে খারিজ করল পাকিস্তান।   

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী (Arindam Bagchi) বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমরা সম্প্রতি করাচিতে মন্দিরে ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে পেরেছি। বার বার পাকিস্তানে আক্রান্ত হচ্ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। বিষয়টির আমরা তীব্র নিন্দা করছি। পাকিস্তান সরকারকেও আমরা সেকথা জানিয়েছি। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও অনুরোধ করেছি।”

    অরিন্দম বাগচীর এই মন্তব্যের পরেই পাকিস্তান এক বিবৃতি জারি করে বলে, তারা ভারতের এই মন্তব্যকে খারিজ করছে। এরপর ফের ভারতে মুসলিম নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করার পরামর্শ দেয় পাকিস্তান।  

    অপরদিকে, নূপুর শর্মার মন্তব্যের বিষয়েও এদিন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত সরকার। এই বিষয়ে ভারতের স্পষ্ট বক্তব্য, ভারত সরকারের সঙ্গে কারও ব্যক্তিগত মন্তব্য গুলিয়ে ফেলাটা ঠিক নয়। আইনগতভাবে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নূপুর শর্মাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন নেবে। কিন্তু, সেটা সম্পূর্ণই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

    সম্প্রতি দুই প্রাক্তন বিজেপি নেতা হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। তারপরেই মুসলিম দেশগুলি ভারতের সমালোচনা করে। পাকিস্তানও ভারতকে সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে ‘জ্ঞান’ দেওয়ার চেষ্ঠা করে। তার কিছুদিন পরেই পাকিস্তানের মুখ পুড়িয়ে দুষ্কৃতীরা হিন্দু মন্দিরে হামলা চালায়। আর তার প্রেক্ষিতেই পাকিস্তানকে ‘সংখ্যালঘু নিরাপত্তা’ নিয়ে খোঁচা দেয় ভারত।  
     
    প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার পয়গম্বরকে নিয়ে করা মন্তব্যে ইসলামিক দেশগুলিতে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ভারতকে। আরব দেশগুলি ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে। সেই স্রোতে গা ভাসায় পাকিস্তানও। কিন্তু ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্যদেশের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। সাফ জানিয়ে দিল দিল্লি।

    ইসলামিক দেশগুলোর হস্তক্ষেপ যে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না, তা কার্যত স্পষ্ট করল নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী সাংবাদিক বৈঠকে জানান,”যে ট্যুইট ও কমেন্টগুলি করা হয়েছে, তা সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন নয়। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মহল ব্যবস্থা নিয়েছে।”

    পয়গম্বর সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যে জেরে বিজেপি ইতিমধ্য়েই নূপুর শর্মা ও নবীনকুমার জিন্দালকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে। পাশাপাশি, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। কিন্তু, সেই অনভিপ্রেত ঘটনার দোহাই দিয়ে অন্যান্য দেশ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এই বিষয়টি কড়া ভাষায় জানিয়েছে মোদি সরকার।    
     
    এর মধ্যেই ভারত সফরে এসেছেন ইরানের বিদেশ মন্ত্রী হোসেন আমির আবদোল্লাহিয়াঁ। দিল্লিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদি, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং শীর্ষ আমলাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। গত কাল রাতে ইরানের মন্ত্রী টুইটারে লেখেন, “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার জন্য আলোচনায় বসেছে দুই দেশ।  তেহরান এবং দিল্লি ধর্ম ও ইসলামের পবিত্রতাকে শ্রদ্ধা আর কোনও রকম বিতর্কিত মন্তব্য থেকে দূরে থাকার বিষয় সম্মত। এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।”

    এরপরেই অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ নিয়ে ভারতের কড়া বার্তায় বিষয়টি থেকে খানিকটা পিছিয়ে আসে ইরানও। ভারত বার্তা দেওয়ার পর এই নিয়ে নতুন কোনও মন্তব্য করেনি ইরান। 

     

  • Imran Khan: ফের ভারত-স্তুতি ইমরানের! জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে শাহবাজ সরকারকে তোপ ‘কাপ্তান’-এর

    Imran Khan: ফের ভারত-স্তুতি ইমরানের! জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে শাহবাজ সরকারকে তোপ ‘কাপ্তান’-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) এক ধাক্কায় প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ৩০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় দেশের বর্তমান প্রশাসককে একহাত নিলেন ইমরান খান (Imran Khan)। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে পাকিস্তানে পেট্রোলের নয়া দাম কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে শেহবাজ শরিফের সরকারের সমালোচনা করেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে ফের একবার ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন ‘কাপ্তান’। কেন্দ্রের পেট্রল-ডিজেলের দাম কমানোর উদ্যোগের তারিফ করেন তিনি। 

    ইমরানের দাবি, আমেরিকার চাপের মুখে ভারত সরকার নতিস্বীকার না করে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। এ পদক্ষেপ সে দেশের স্বার্থে প্রয়োজনীয়। তাঁর কথায় কোয়াডের অন্তর্ভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছ থেকে কম দামে তেল কিনছে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে মাথা নোয়ানি তারা। এতে ভারতের সাধারণ মানুষের অনেক সুবিধা হবে। তিনি আরও বলেন, “আমার সরকারও একই ধরনের কাজ করছিল। সাধারণ মানুষকে সাহায্য করবে এমন বিদেশ নীতি অত্যন্ত জরুরি।” 

    [tw]


    [/tw]

    বর্তমানে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। এই পরিস্থিতিতে শাহবাজ শরিফের সরকারকে কটাক্ষ করে ইমরানের সংযোজন, “আমার সরকার পাকিস্তানের জনসাধারণের স্বার্থকে গুরুত্ব দিত। আর বর্তমান সরকার বিদেশি শক্তির সামনে মাথা নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

    এই মুহূর্তে পাকিস্তানে লিটার প্রতি পেট্রল বিকোচ্ছে ১৭৯.৮৬ টাকায়। ওই দেশে কেরোসিনের দাম (প্রতি লিটারে) ১৫৫.৫৬ টাকা। লাইট স্পিড ডিজেলের দাম (প্রতি লিটারে) ১৪৮.৩১ টাকা।

    [tw]


    [/tw]

    পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন যে সেদেশের সরকার পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম প্রতি লিটার ৩০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাম্প্রতিক টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (IMF)-এর সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। এর পরেই এই বিশাল মূল্যবৃদ্ধি ফের পাক অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    পাকিস্তানের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রচেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। গত সপ্তাহে কাতারের রাজধানীতে শুরু হওয়া পাকিস্তান ও আইএমএফ আলোচনার প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ভর্তুকি। বর্তমান সরকার ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্যাকেজের মধ্যে বাকি ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পেতে আগ্রহী বলে খবর। যদিও মুদ্রাস্ফীতি সংশোধিত না হওয়ায় চুক্তিতে এগোয়নি আইএমএফ।

    এমনকী আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কিন ডলারের নিরিখে পাকিস্তানের টাকার দাম বৃহস্পতিবার কমেছে অনেকটাই। প্রায় ঐতিহাসিক রেকর্ডও বলা চলে।  

  • Japanese man become a dog : এ কেমন শখ! মানুষ থেকে কুকুর হল জাপানি যুবক

    Japanese man become a dog : এ কেমন শখ! মানুষ থেকে কুকুর হল জাপানি যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক- মানুষ স্বপ্নপূরণের জন্য জীবনে কি কি না করে থাকেন। কেউ বেশি সুন্দর হওয়ার জন্য মুখে বা শরীরে প্লাস্টিক সার্জারি করান। আবার কারোর শখ থাকে পুরো শরীর জুড়ে ট্যাটু করানোর। তবে কখনও কি এমন শখের কথা শুনেছেন যে, মানুষ কুকুর হতে চায়! সম্প্রতি এমনটা ঘটেছে জাপানের টোকিও শহরে। টোকো নামে এক জাপানি যুবক স্বপ্ন দেখতেন তিনি কুকুর হবেন। অবশেষে স্বপ্নপূরণ। 

    হুবহু কুকুরের মতো দেখাবার জন্য জেপেট (Zeppet) নামক পোশাক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। তাঁদের দিয়ে বানানো হয় একটি কস্টিউম। যার দাম ১২লক্ষ টাকা।  টোকোর শর্ত ছিল, দাম যাই হোক, পোশাকটি এমন হতে হবে যাতে, খুব ভাল করে দেখলেও কেউ বুঝতে না পারে এটি কুকুর না মানুষ। তিনি নিজেকে কুকুরের একটি প্রজাতি ‘কলি’র (Collie) মতো ভাবে দেখতে চান।

    জাপানের বিনোদন হাউসগুলোর জন্য পোশাক তৈরি করে জেপেট ( Zeppet)। বহু  মূর্তিও তৈরি করেছে তারা।  জাপানের বিখ্যাত ম্যাসকট চরিত্রের পোশাকও তাদেরই তৈরি। তাই এই সংস্থার সঙ্গেই যোগাযোগ করেন টোকো। এই নতুন ধরনের কুকুরের পোশাক তৈরির জন্য তাদের সময় লাগে ৪০ দিন।

     কলি নামক এই প্রজাতি বেছে নিয়েছেন কেন?  এই প্রশ্নের জবাবে টোকো বলেন, “আমার প্রিয় পোষ্য হল কুকুর। আমি বরাবরই কুকুর ভালবাসি। কলি হল লম্বা লোমওয়ালা কুকুর। এই কুকুরটির পোশাক পরলে বিভ্রান্তি হতে পারে। লম্বা লোম থাকায় কুকুর না মানুষ সহজে বোঝা যাবে না। তাই আমি কলি নামক এই প্রজাতিটাই বেছে নিই।”

    কুকুরের পোশাক পরে ট্যুইটারে নিজের ছবিও শেয়ার করেছেন টোকো।  সেই ছবি এখন ভাইরাল। তাঁকে নিয়ে চর্চা নেটিজেনদের মধ্যে। তাঁর এই নতুন অবতার দেখে অবাক বিশ্ববাসী। এরকম আজব কাণ্ড দেখে সবার মনে একটাই প্রশ্ন এরকম শখও থাকে মানুষের? 

     

  • India China Border: লাদাখে চিনের কর্মকাণ্ড ‘উদ্বেগজনক’! ভারতকে সতর্ক করল আমেরিকা

    India China Border: লাদাখে চিনের কর্মকাণ্ড ‘উদ্বেগজনক’! ভারতকে সতর্ক করল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (china) সম্পর্কে ভারতকে (india) সর্তক করল আমেরিকা (america)। লাদাখে (Ladakh) যেসব পরিকাঠামো গড়ে তুলছে চিন (China), তা উদ্বেগজনক। এমনই মন্তব্য করলেন মার্কিন  জেনারেল চার্লস এ ফ্লিন (Charles A Flynn)। ফ্লিন মার্কিন সেনার কমান্ডিং জেনারেল। আমেরিকার তরফে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের (Indo Pacific Ocean Region) দেখভাল করেন তিনি।

    বছর দুয়েক ধরে লাদাখ অঞ্চলে চিনের সঙ্গে সংঘাত চলছে ভারতের। কয়েকটি বিষয়ে সমাধান সূত্র মিললেও, একাধিক ক্ষেত্রে সমস্যা রয়ে গিয়েছে। কিছু জায়গায় এখনও সংঘাত চলছে। এমতাবস্থায় একাধিক উপগ্রহ চিত্রে স্পষ্ট, চিন লাদাখ সীমান্তে একের পর এক পরিকাঠামো গড়ে তুলে চলেছে। প্যাংগং সো (Pangong Tso) হৃদের ওপর একটি আস্ত সেতু তৈরির কাজও চলছে।

    আরও পড়ুন :পূর্ব লাদাখ নিয়ে ফের বৈঠকে ভারত-চিন, মিলবে কি সমাধানসূত্র?

    সেই প্রসঙ্গেই এদিন সাংবাদিকদের সামনে ফ্লিন বলেন, আমি মনে করি, সেখানে যে পর্যায়ে কার্যকলাপ চালাচ্ছে, তাতে চোখ খুলে রাখা উচিত। ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডে যে সব পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে, তাতে সতর্ক হয়ে যাওয়া উচিত। ফ্লিনের মতে, সীমান্তে চিনের এই পদক্ষেপ অস্থিতিশীল এবং ক্ষতিকারক। ফ্লিন বলেন, কেবল লাদাখ নয়, হিমালয়জুড়েই চিন এমন পরিকাঠামো গড়ে তুলছে। সম্প্রতি অরুণাচল সীমান্ত নিয়েও সরব হয়েছে ভারত। সেখানেও সীমান্তের কাছে চিন পরিকাঠামো তৈরি করছে বলে অভিযোগ। মার্কিন জেনারেল জানান, এর ফলে শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে পুরো এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে।

    আরও পড়ুন : চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ বিশবাঁও জলে, কেন জানেন?

    এদিকে, সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দাবি করা হয় প্যাংগং সো হ্রদের চিনা অংশে দ্বিতীয় একটি সেতু তৈরি করছে ড্রাগনের দেশ। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Actual Control) থেকে সেতুটির দূরত্ব কুড়ি কিলোমিটারের কাছাকাছি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে বিষয়টির দিকে নজর রাখছে তারাও। সীমান্ত অঞ্চলে চিন রাস্তা এবং বসতি গড়ে তুলছে বলেও জানা গিয়েছে। কেবল ভারত নয়, জল সীমান্ত নিয়ে ভিয়েতনাম এবং জাপানের মতো বিভিন্ন দেশের সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়েছে চিন। ফ্লিন বলেন, বেজিংকে প্রশ্ন করা উচিত, তাদের এত অস্ত্রের প্রয়োজন কেন?

    বর্তমানে ভারত সফরে এসেছেন ফ্লিন। ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে (General Manoj Pande) সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। কথা হয়েছে যৌথ মহড়া নিয়েও। এ বছরের শেষে হিমালয়ে যুদ্ধের মহড়ায় অংশ নেবে ভারতীয় এবং মার্কিন সেনা। অতি উচ্চতায় লড়াই (High Altitude warfare) কীভাবে করতে হয়, তা শেখাতেই হবে মহড়া। জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে হিমালয়ে মহড়া দেওয়ার পরে ভারতীয় দল মহড়া দেবে আলাস্কায় গিয়ে।

     

  • Ukraine war: ইউক্রেনে যুদ্ধাস্ত্র পাঠালে নতুন টার্গেটে হামলা, পশ্চিমকে হুঁশিয়ারি পুতিনের

    Ukraine war: ইউক্রেনে যুদ্ধাস্ত্র পাঠালে নতুন টার্গেটে হামলা, পশ্চিমকে হুঁশিয়ারি পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকা (America) যদি ইউক্রেনকে (Ukraine) দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র (long  range missiles) সরবরাহ বন্ধ না করে, তাহলে রাশিয়া (Russia) নয়া লক্ষ্যে আঘাত হানবে। পশ্চিমের দেশগুলিকে এই মর্মে সতর্ক করল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir putin)। রাশিয়ার এক সংবাদসংস্থা সূত্রেই এখবর মিলেছে। তিনি বলেন, “ইউক্রেনের যেসব জায়গায় আমরা এখনও আঘাত করিনি, সেসব জায়গায় এবার আঘাত করব।”

    চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia war)। প্রথম দিকে ইউক্রেনকে কিছুটা চেপে ধরলেও, পরে রাশিয়ার সঙ্গে সমানে টক্কর নিচ্ছে ইউক্রেন। যার জেরে একশো দিন পেরিয়ে গেলেও যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকা সহ ন্যাটোর (NATO) অন্যান্য দেশের সাহায্য পাচ্ছে ইউক্রেন। তারই জেরে অব্যাহত লড়াই। সেই কারণেই এবার নাম না করে পশ্চিমের দেশগুলিকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Russian President)। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইলের জোগান দেওয়া হলে রাশিয়া নয়া লক্ষ্যে আঘাত করবে।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে গ্যাস কেনা কি যুদ্ধে মদত নয়? পশ্চিমকে তোপ ভারতের

    দিনকয়েক আগেই আমেরিকা জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনকে হিমার (M142 HIMARS) মাল্টিপল রকেট লঞ্চ সিস্টেম (Multiple Rocket Launch Systems (MLRS)) পাঠাবে। আশি কিলোমিটার দূরের কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এছাড়াও কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র সাহায্য করছে আমেরিকা। এই অস্ত্র সাহায্যেই ক্ষুব্ধ মস্কো (Moscow)।

    আন্তর্জাতিক যুদ্ধ বিশারদদের মতে, আমেরিকার হিমার চেয়ে রাশিয়ার হাতে থাকা সিস্টেমের পাল্লা কম। তাই হিমার দিয়ে ইউক্রেন বাহিনী কিভে (Kyiv) বসেই রুশ সেনাঘাঁটিতে হামলা চালাতে পারবে অনায়াসে। সেই কারণেই চিন্তিত ক্রেমলিন (Kremlin)। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) দাবি, তাঁরা এমন কোনও অস্ত্র ইউক্রেনকে দেবেন না, যাতে রাশিয়ার কোনও ক্ষতি হয়। পুতিনও স্বীকার করেছেন, আমেরিকা এমন কোনও নয়া অস্ত্র ইউক্রেনকে দিচ্ছে না। সোভিয়েত যুগে (Soviet era) তৈরি হিমারের মতো অস্ত্র ইউক্রেনের কাছে ছিল। পুতিন বলেন, আমেরিকার আসল উদ্দেশ্য যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করা।

    আরও পড়ুন : ভারতের ওপর কি ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে রাশিয়া?

    যদিও টোকিওতে কোয়াড (QUAD) সম্মেলনের মঞ্চে পুতিনকে তোপ দেগে বাইডেন বলেছিলেন, আমরা ইতিহাসের একটি অন্ধকার অধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ। এটি একটি মানবিক বিপর্যয়। যা শুধু মাত্র ইউরোপের (Europe) সমস্যা নয়, গোটা বিশ্বের সমস্যা। তিনি বলেন, এমনটা নয় যে রাশিয়া কেবল ইউক্রেনের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করছে। তারা ইউক্রেনের প্রতিটি স্কুল, প্রতিটি গির্জাকে তাদের অস্ত্রের লক্ষ্যবস্তু করছে। বিশ্বের সমস্ত শান্তিকামী দেশকে এর মোকাবিলা করতে হবে।

     

  • Sri Lanka Crisis: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে মোদিকে পাশে থাকার আবেদন শ্রীলঙ্কার বিরোধী নেতার

    Sri Lanka Crisis: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে মোদিকে পাশে থাকার আবেদন শ্রীলঙ্কার বিরোধী নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (President Elections) আগের দিন প্রতিবেশী দেশ ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Modi) পাশে থাকার আবেদন জানালেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিরোধী দলের নেতা সাজিথ প্রেমদাসা (Sajith Premadasa)। মঙ্গলবার মোদিকে তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট পদে যেই জয়ী হোন না কেন, ভারত যেন তাঁর পাশে থাকে।

    চিনা ঋণের (Chinese Debt) ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে। যার জেরে বিদেশ থেকে আমদানি করা যাচ্ছে না জ্বালানি, খবরের কাগজ ছাপার নিউজপ্রিন্টও। জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যও আকাশ ছোঁয়া। এর পরেই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের (Gotabaya Rajapaksa) পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান জনতা। বিক্ষোভ দমন করতে নেওয়া হয় নানা পন্থা। তার পরেও দমানো যায়নি উত্তেজিত জনতাকে।

    [tw]


    [/tw]

    জনগণ গিয়ে দখল নেয় প্রেসিডেন্ট ভবন সহ নানা সরকারি অফিসের। জনরোষ আছড়ে পড়তে পারে ভেবে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। এমতাবস্থায় আজ, বুধবার সেদেশে অনুষ্ঠিত হল রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। রনিল বিক্রমসিংহের (Ranil Wickremesinghe) মূল প্রতিদ্বন্দ্বী এসএলপিপির-ই বিদ্রোহী সদস্য ডালাস আলাহাপ্পেরুমা। প্রাক্তন এই সাংবাদিকের পিছনে সমর্থন রয়েছে শাসক দলের বিক্ষুব্ধদেরও। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন বামপন্থী নেতা আনুরা কুমার দিসানায়েকও। তবে শেষ মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট পদের দৌড় থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন দেশের প্রধান বিরোধী দল এসজেপি-র নেতা সাজিথ প্রেমদাসা।

    আরও পড়ুন : আশ্রয় দেবে না ভারত, কোথায় যাবেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া?

    ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে করা এক ট্যুইটবার্তায় এই প্রেমদাসা-ই লেখেন, প্রেসিডেন্ট পদে যিনিই জয়ী হোন না কেন আমার একান্ত অনুরোধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভারতের সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং ভারতবাসীর কাছে, সেটা হল ভারত যেন শ্রীলঙ্কা মায়ের সঙ্গে থাকে। এই বিপর্যয় থেকে যেন আমার দেশকে তুলে আনে। এদিকে, সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শ্রীলঙ্কায় শেষ হয়ে গিয়েছে ভোটদান পর্ব। ভোট দিয়েছেন ২২৩ জন সাংসদ। ভোট দেননি দুজন সাংসদ।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

     

  • Pakistan Economic Crisis: বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার শূন্য, শ্রীলঙ্কার মতোই দেউলিয়ার পথে পাকিস্তানও?

    Pakistan Economic Crisis: বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার শূন্য, শ্রীলঙ্কার মতোই দেউলিয়ার পথে পাকিস্তানও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) কোষাগার গড়ের মাঠ! তলানিতে এসে ঠেকেছে বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার (Foreign Exchange Reserve)। ১০ বিলিয়ন ডলারের নীচে নেমে এসেছে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার। অবিলম্বে বৈদেশিক তহবিল থেকে ঋণ না পেলে, শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) মতোই মুখ থুবড়ে পড়বে পাকিস্তানের অর্থনীতি।

    চলতি সপ্তাহে ৩৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশি মুদ্রা কমেছে পাক সরকারের। এমনটাই জানিয়েছে পাকিস্তানের স্টেট ব্যাঙ্ক। অগাস্ট থেকে যা প্রায় ৫০ শতাংশ পতন। যা অর্থ আছে তা দিয়ে মাত্র ২ মাসের আমদানির টাকা পরিশোধ করা যাবে। করোনা অতিমারীর জেরে পাক অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। রফতানির তুলনায় আমদানি বিপুল হারে বেড়ে যাওয়ায় বিদেশি মুদ্রার ব্যয়ের পরিমাণ আয়ের চাইতে অনেক বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার উপর রাজনৈতিক ডামাডোলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। সবমিলিয়ে পাকিস্তান কার্যত দেউলিয়া।

    আরও পড়ুন: চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ বিশবাঁও জলে, কেন জানেন?

    দেনা শোধ করতে অপারগ হওয়ায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশ চিনের হাতে তুলে দিতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার। এমন খবরও সামনে আসে। এই অবস্থায় ফের পাকিস্তানকে ঋণ দিতে রাজি হয়েছে চিন (China)। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল জানিয়েছেন, “পাকিস্তানকে ২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্যাকেজ দিতে রাজি হয়েছে চিনের ব্যাংকগুলি। কোন শর্তে ওই টাকা দেওয়া হবে সেই আলোচনাও শেষ হয়েছে এবং সমস্ত শর্ত চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে। দুদিক থেকে কিছু নিয়মমফিক সম্মতিপত্র প্রদানের কাজ শেষ হলেই পাকিস্তানের হাতে টাকা আসা শুরু হবে। এর ফলে বিদেশি মুদ্রাভাণ্ডার কিছুটা বাড়বে।”

    ভারতের বিরোধিতা সত্বেও সাত বছর ধরে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (CPEC) প্রকল্পের অন্তর্গত পাক অধিকৃত কাশ্মীর-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পরিকাঠামো নির্মাণ করছে চিন। এই প্রকল্পের বিপুল খরচের ফলে ক্রমবর্ধনশীল ঋণের বোঝায় কার্যত কবরের নীচে পাক সরকার। গতবছর এক রিপোর্টে বলা হয়, চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্প থেকে বিপুল লাভ করে চলেছে চিন। লাভের অঙ্ক নিয়ে পাকিস্তানকে বোকা বানাচ্ছে তারা। পাকিস্তানের শীর্ষ আমলারা এ ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি অডিট রিপোর্ট পেশ করেছিলেন তৎককালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে। 
      
    এই চিন-পাকিস্তান করিডর নিয়ে কয়েক বছর আগে বেশ হইচই হয়েছিল পাকিস্তানে। প্রচারও হয়েছিল বিস্তর। বলা হয়েছিল এর ফলে পাকিস্তানের বার্ষিক আয় ২.৫ শতাংশ বাড়বে। পাকিস্তানের শক্তির ঘাটতি আজন্ম। তাই পাকিস্তানের বিভিন্ন সংস্থা আশা করেছিল, একবার সিপিইসি হয়ে গেলে পাকিস্তানের জ্বালানি প্রকল্পগুলি কেবল দেশের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাবে না, রফতানির জন্য অতিরিক্ত শক্তিও তৈরি করবে।

    চিনা ঋণের ওপর ভর করে সিপিইসি প্রাথমিকভাবে ভালোভাবে এগিয়েছিল। করিডরের সার্বিক অগ্রগতির ভিত্তিতে সিপিইসি বিষয়ক পাক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী খালিদ মনসুর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জানিয়েছিলেন যে ১৫.২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ২১টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় ৯.৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের আরও ২১টির কাজ চলছে।

    সিপিইসি প্রকল্পে চিনের দেওয়ার কথা ৯০ শতাংশ টাকা। আপাতত টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে চিন। করোনা পরিস্থিতির পাশাপাশি পাকিস্তানে চিনা শ্রমিক ও সিপিইসি সম্পত্তির ওপর হামলার কারণে বন্ধ বরাদ্দ। বর্তমান পরিস্থিতিতে ওই প্রকল্পে টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই পাক সরকারেরও। তাই আদেও প্রকল্পগুলি কখনই আর শেষ করা যাবে কি না, তাই এখন প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। ওই কাজ যে পাকিস্তানের একার পক্ষে শেষ করা সম্ভব নয়, তা জানিয়েছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

    পাকিস্তানের মাথার ওপর ১৩০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বোঝা। বার্ষিক ঋণের কিস্তি হিসেবে শোধ করতে হয় ১৪ বিলিয়ন ডলার। ফের আরও একবার চিনের কাছে হাত পেতেছে পাক সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, চিনা ঋণের ফাঁদে পড়তে পারে পাকিস্তান। ঠিক যে ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা!

     

  • Russia: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন ভারতের, ফের সওয়াল রাশিয়ার  

    Russia: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন ভারতের, ফের সওয়াল রাশিয়ার  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) স্থায়ী সদস্য দেশ নয় ভারত (India)। তবে ভারতের মতো একটি ‘মূল্যবান প্রার্থী’র (Worthy Candidate) জন্য  জোরালো সওয়াল করল রাশিয়া (Russia)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ভারত গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কর্মকর্তা। মূল্যবান প্রার্থী। তাই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন তার।

    পনের সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বের পাঁচ শক্তিশালী দেশ চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা এবং ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন, নতুন দেশের অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই স্থায়ী সদস্যদের। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান অস্থায়ী সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, আলবানিয়া, ঘানা, কলম্বো, আয়ারল্যান্ড, কেনিয়া, মেক্সিকো এবং নরওয়ে। ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার সব যোগ্যতাই রয়েছে ভারতের। ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেছে আমেরিকাও। তবে প্রতিবারই চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে ভারতকে থেকে যেতে হয়েছে অস্থায়ী সদস্য হয়েই। উল্লেখ্য যে, অস্থায়ী সদস্যরা নির্বাচিত হন দু বছরের জন্য। এদিন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারত ও ব্রাজিল গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কর্মকর্তা। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য উপযুক্ত।

    আরও পড়ুন : ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    নিরাপত্তা পরিষদের সাধারণ সভার অধিবেশনে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এর আগে বক্তৃতা করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছিলেন, নিরাপত্তা পরিষদকে কীভাবে আরও বেশি করেন গণতান্ত্রিক করা যায়, মস্কো সে ব্যাপারে সচেষ্ট। তারা চাইছে, এর সদস্য হোক আফ্রিকা, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার দেশ থেকেও। এর আগে নিরাপত্তা পরিষদের সাধারণ সভার অধিবেশনে জয়শঙ্কর শান্তির জন্য সুর চড়িয়েছিলেন। কূটনৈতিক পথে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানো প্রয়োজন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত শান্তির পক্ষে। এবং ভারতের অবস্থান তাই থাকবে। প্রসঙ্গত, চিনের ভেটো প্রয়োগের জেরে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে পারছে না ভারত। যদিও পরিষদের বাকি চার দেশ চায় অস্থায়ী নয়, ভারত হোক স্থায়ী সদস্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Wickremesinghe Thanks India: “কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ”, ভারতের প্রশংসায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

    Wickremesinghe Thanks India: “কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ”, ভারতের প্রশংসায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘কঠিন সময়ে’ দেশের পাশে থাকার জন্য ভারতের প্রশংসা করলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। সঙ্কট-বিধ্বস্ত দ্বীপরাষ্ট্রকে সাহায্য করার জন্য কোয়াড (Quad) সদস্যদের একটি কনসর্টিয়াম গঠনের প্রস্তাব দেয় ভারত ও জাপান। তার জন্য দু’দেশকেই কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka) ঋণ হিসাবে ৩৫০ কোটি টাকা সাহায্য করে ভারত। এ ছাড়া জ্বালানি তেল কেনার জন্য ঋণ (Credit line) এবং ওষুধ দিয়ে ভারত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে প্রয়োজনীয় ওষুধের ঘাটতির সম্মুখীন হওয়ায় ভারত থেকে শ্রীলঙ্কাকে ২৫ টন ওষুধ পাঠানো হয়েছে। ভারতের দ্বারা পাঠানো ওষুধের মূল্য প্রায় ২৬ কোটি শ্রীলঙ্কা রুপি। কলম্বোতে ভারতীয় হাইকমিশন এক ট্যুইট বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে। আইএনএস ঘড়িয়ালে করে মানবিক সহায়তা হিসেবে শ্রীলঙ্কার মৎস্যজীবীদের জন্য ভারত থেকে কেরোসিন পাঠানো হয়েছে। শ্রীলঙ্কাকে খাদ্যশস্যও সরবরাহ করেছে ভারত।

    [tw]


    [/tw]

    এক ট্যুইট বার্তায় শুক্রবার রনিল জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ভারতের অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারমণের (NIrmala Sitharaman) কথা হয়েছে। তিনি লেখেন, ‘এই কঠিন সময়ে ভারত যে ভাবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তার জন্য আমি দেশবাসীর তরফ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি। আমি সম্পর্ককে আরও জোরদার করার অপেক্ষায় আছি।’ অন্য একটি ট্যুইটে কোয়াডে বৈদেশিক সহযোগিতার জন্য যে কনসর্টিয়াম গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত ও জাপান, তার জন্যও দু’দেশকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিক্রমাসিংহে।

    প্রসঙ্গত, টোকিয়োতে কোয়াড সম্মেলনের (QUAD summit) ফাঁকে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। সেই বৈঠকে সঙ্কট-বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka economic crisis) পাশে থাকার জন্য একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হয় দু’দেশ। চলতি মাসের শুরুতেই ভারত (India), জাপান এবং আমেরিকা-সহ কোয়াড সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেন শ্রীলঙ্কা সরকারের প্রতিনিধিরা। তার পর এই সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোয়াড সদস্যরা। কূটনৈতিক মহলের ধারণা, মূলত ভারতের হস্তক্ষেপেই শ্রীলঙ্কার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে অন্য দেশগুলি।

  • CAATSA Waiver to India: চিনকে রুখতে ভারতের পাশে! নয়া আইন পাশ মার্কিন সংসদে

    CAATSA Waiver to India: চিনকে রুখতে ভারতের পাশে! নয়া আইন পাশ মার্কিন সংসদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার থেকে অস্ত্র কিনলেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে না ভারতকে ৷ এমনই সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকার (USA) সংসদ। এর জন্য নিজেদের আইনে বিশেষ সংশোধনী আনল হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ (India and US strategic relationship)। মার্কিন পার্লামেন্টে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ রো খান্না আইন সংশোধনের প্রস্তাব এনেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলায় ভারতের পাশে দাঁড়ানো উচিত আমেরিকার। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে আমি কাজ করছি। চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতে ভারত যেন নিজেদের রক্ষা করতে পারে, সেই কথা মাথায় রাখা উচিত আমাদের।”

    [tw]


    [/tw]

    রাশিয়া থেকে এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কিনেছে ভারত। কিন্তু আমেরিকার ক্যাটসা (CAATSA)আইন অনুসারে, যদি কোনও দেশ রাশিয়া থেকে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র কেনে, তাহলে সেই দেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে চিনের আগ্রাসন ঠেকাতে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে ভারতকে (India)। সেই কথা মাথায় রেখেই আমেরিকার সংসদে আইন সংশোধন করে এই বিশেষ ছাড় দেওয়া হল। এদিন ধ্বনিভোটে পাশ হয়েছে আইন সংশোধনের বিল। সায় দিয়েছেন বিরোধী দলের সাংসদরাও। খান্না জানিয়েছেন, “এই বিল পাশ করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দলমত নির্বিশেষে সকলে এই বিলকে সমর্থন জানিয়েছেন দেখে আমি গর্বিত।” প্রসঙ্গত, ভারতীয় ককাসের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন খান্না। ২০০৪ সালে তৈরি হয়েছিল ভারতীয় ককাস। সন্ত্রাসদমন, গণতন্ত্র সুরক্ষিত রাখা-সহ নানা বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতেই তৈরি হয়েছিল এই জোট।

    আরও পড়ুন: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে আরও একধাপ এগোলেন ঋষি

    ২০১৮ সালে রাশিয়ার থেকে এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম কিনতে ৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে ভারত৷ সে সময়, শুধু আপত্তি নয় নিষেধাজ্ঞা জারির ভয়ও দেখিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন ৷ কিন্তু চুক্তি থেকে পিছিয়ে আসেনি ভারত ৷ এই এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেমটি যে কোনও দেশের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারে ৷ এর থেকে বেশি দূরে আঘাত হানার ক্ষমতা অন্য কোনও মিসাইলের নেই ৷ এই মিসাইল ভারতের কাছে থাকলে সহজেই চিনকে রোখা যাবে। তাই চিনকে আটকাতে আর ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন সংসদ এমনই অভিমত কূটনৈতিক মহলের।

LinkedIn
Share