Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Parvez Musharraf: প্রয়াত পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মুশারফ

    Parvez Musharraf: প্রয়াত পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মুশারফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফ। শুক্রবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তবে স্বদেশে নয়, একসময়ের দোর্দণ্ড প্রতাপ এই রাষ্ট্রপ্রধানের মৃত্যু হল বিদেশের মাটিতে। তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের ওয়াক্ত নিউজ। মুশারফ একময়  ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান। সেখান থেকেই দখল করেন প্রেসিডেন্টের পদ।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে পাঠানো হচ্ছে ফাঁকা ড্রোন, ভারতে ফিরছে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক বয়ে!

    ১৯৪৩ সালের ১১ আগষ্ট জন্মগ্রহণ করেন মুশারফ। প্রথম জীবনে চাকরি করতেন সেনাবাহিনীতে। পরবর্তীকালে নিযুক্ত হন সেনাকর্তার পদে। একজন সাধারণ সেনাকর্তা থেকে রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হওয়া সহজ ছিল না পারভেজের। ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর সামরিক অভ্যুত্থান ঘটান তিনি। তার পরেই তৎকালীন রাষ্ট্রপতি নওয়াজ শরিফকে ক্ষমতাচ্যুত করে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ পদে বসেন মুশারফ। ২০০১ সালের ২০ জুন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে ভারতকে জ্ঞান! মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, হিন্দু মন্দিরে হামলা 

    প্রেসিডেন্ট হয়েই ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন পারভেজ। তাঁর আমলেই হয় কার্গিল যুদ্ধ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ভারত সফরে আসেন মুশারফ। তাজ দর্শন করে প্রকাশ করেন মুগ্ধতা। দু দেশের মধ্যে বিবাদ মেটাতে বৈঠকে বসেন বাজপেয়ীর সঙ্গে। কিন্তু সেই বৈঠক নিষ্ফলাই থাকে। 

    আরও পড়ুন: এবার বাংলাদেশকেও হুমকি চিঠি আল কায়দার!

    ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর মুশারফকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত। ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর অবৈধভাবে সংবিধান স্থগিত করে জরুরি অবস্থা জারি করায় রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে এই সাজা দেওয়া হয়।পেশোয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ শেঠের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের বিশেষ আদালত ওই মামলার রায় ঘোষণা করে। 

    আরও পড়ুন: হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

    সেই সাজা অবশ্য ভোগ করতে হল না পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে। গত কয়েকদিন ধরে দুবাইয়ের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছিল তাঁকে। এদিন দুপুরে ইন্তেকাল হয় তাঁর।

  • Sri Lanka: এখন শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করতে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে চাইছে চিন!

    Sri Lanka: এখন শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করতে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে চাইছে চিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেউলিয়া শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। অর্থনৈতিক সংকটে জেরবার দেশ। এমতাবস্থায় দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে ভারত (India) এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চিন (China) প্রস্তুত। অন্তত এমনই ইচ্ছে প্রকাশ করল ড্রাগনের দেশ।

    বেজিংয়ে আয়োজিত একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে চিনা বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান শ্রীলঙ্কাকে চিন সরকারের তরফে সম্প্রতি ৭ কোটি ৪০ লক্ষ মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে ভারত সরকার শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করতে সচেষ্ট। আমরা ভারত ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার উন্নতিতে কাজ করতে ইচ্ছুক। উন্নয়নশীল বিভিন্ন দেশের উন্নতিতেও কাজ করতে আমরা মুখিয়ে রয়েছি।

    আরও পড়ুন : আর্থিক সঙ্কটে পড়ে নিজেদের ঋণখেলাপি ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা

    দ্বীপরাষ্ট্রের বিপদে সবচেয়ে বেশি অর্থ সাহায্য করেছে ভারত। চিনের হিসেবে চলতি বছরেই ভারত সব মিলিয়ে অন্তত ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য করেছে। তবে তা যে দেশটির সংকটে যথেষ্ট নয়, তা বলাই বাহুল্য। এমতাবস্থায় আরও সাহায্যের প্রয়োজন। তবে আপাতত সেই সাহায্য না আসায় দেশটি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে।

    বস্তুত চিনা ঋণের ফাঁদে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। নানা প্রকল্পে বিনিয়োগের নামে চড়া সুদ আদায় করছে ড্রাগনের দেশ। বর্তমানে বৈদেশিক ঋণের সেই সুদ মেটাতে অপারগ দেশটি। যদিও আশা ছাড়তে রাজি নয় ড্রাগনের দেশ। এক চিনা আধিকারিক বলেন, আমরা বিশ্বাস করি শ্রীলঙ্কা বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং অংশীদারদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করবে। ঝাও-ও আশা করেন, শ্রীলঙ্কা চিনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।

    আরও পড়ুন : অশান্তির আগুনে পুড়ল শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের পৈতৃক বাড়ি, বিক্ষোভ হঠাতে গুলি

    এদিকে, চিরশত্রু প্রতিবেশী দেশ চিনের মুখে ভারতের প্রশংসায় বিস্মিত কূটনৈতিক মহল। কিছুদিন আগেও ভারতকে চার দিক থেকে ঘিরে ফেলতে জলসীমাকে কাজে লাগাতে চেয়েছিল চিন। তার মুখেই শোনা গেল ভারত-প্রশস্তি। অবশ্য এই প্রথম নয়, ভারত যখন বিশ্বে গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, তখনও ভারতের প্রশংসা করেছিল ড্রাগনের দেশ।

    এদিনও ঝাও বলেন, আমরা দেখেছি, যে বিপদে শ্রীলঙ্কাকে ভারত যথেষ্ট সাহায্য করেছে। তিনি বলেন, ঐতিহ্যগত এবং প্রতিবেশী বন্ধু হিসেবে চিন সব সময় শ্রীলঙ্কার পাশে রয়েছে। শ্রীলঙ্কা বর্তমানে যে কী কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তা আমরা গভীরভাবে অনুভব করছি। আমরাও ভারত ও অন্যান্য দেশের মতো শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করতে চাই।

    তবে শ্রীলঙ্কার অভিযোগ, চিন মুখে এসব বললেও, কোনও সাহায্য করেনি। উল্টে পুরানো ঋণের সুদ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে গিয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতি ভেঙে পড়ার এটা একটা বড় কারণ। শ্রীলঙ্কার অভিযোগ অস্বীকার করেছে চিন।  ভারত পাশে দাঁড়ানোয় বিপাকে পড়েছে চিন। শ্রীলঙ্কাকে নানা খাতে বিপুল পরিমাণ ঋণ দিয়েছে ড্রাগনের দেশ। ইতিমধ্যেই নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে রাজাপক্ষের দেশ। তাই শ্রীলঙ্কা ক্রমেই ভারত-নির্ভর হয়ে পড়লে ঋণ আদায় তো হবেই না, উল্টে শক্তি বৃদ্ধি হবে ভারতের। কূটনৈতিক মহলের মতে, তাই শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা চিনের।   

    চিনের ভারত-স্তুতিতে মজছে না নয়াদিল্লিও। কারণ বন্ধু বেশে চিন আবার নয়া কোনও ফাঁদ পাতছে না তো? প্রশ্ন সব মহলেই।

     

  • Asad Rauf: প্রয়াত পাকিস্তানের বিতর্কিত প্রাক্তন আম্পায়ার আসাদ রউফ

    Asad Rauf: প্রয়াত পাকিস্তানের বিতর্কিত প্রাক্তন আম্পায়ার আসাদ রউফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন পাকিস্তানের (Pakistan) বিতর্কিত আম্পায়ার আসাদ রউফ (Asad Rauf)। ৬৬ বছর বয়সে চলে গেলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় আম্পায়ার। বুধবার রাতে লাহোরে নিজের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা গিয়েছেন বলে জানা যায়।

    ১৯৯৮ সালে আম্পায়ার হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলেন রউফ। ১৯৯৮ সালে একটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে প্রথমবার আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এরপর ২০০০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। এর আগে ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত আইসিসি এলিট প্যানেলের অংশ ছিলেন তিনি। তিনি তাঁর জীবনের ১৩ বছর মোট ২৩১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছিলেন। তিনি আম্পায়ার হিসেবে ৬৪ টি টেস্ট, ১৩৯ টি ওয়ানডে, ২৮ টি টি-টোয়েন্টি এবং ১১ টি মহিলাদের টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও আইপিএল ম্যাচ সহ ৪০ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ, ২৬ টি লিস্ট এ ম্যাচ এবং ৮৯ টি টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করেছেন আসাদ।  

    আরও পড়ুন: মাসুদ আজহারকে নিয়ে পাকিস্তান-আফগানিস্তান বিরোধ, কোন দেশ দিচ্ছে আশ্রয়?

    তিনি পাকিস্তানের সবচেয়ে বিশিষ্ট আম্পায়ারদের মধ্যে একজন হয়ে উঠেছিলেন। এছাড়াও তিনি মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবেও সফল ছিলেন। রউফ ৭১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ৩৪২৩ রান করেছেন। তিনি ৪০টি লিস্ট এ ম্যাচ খেলে ৬১১ রান করেন।

    পাকিস্তানের এই জনপ্রিয় আম্পায়ার নানা বিতর্ক থেকে দূরে ছিলেন না। কারণ ২০১৩ সালে আইপিএল-এ ‘স্পট ফিক্সিং’ (IPL Spot Fixing) কাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপরেই ২০১৬ সালে তাঁকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে বিসিসিআই। ফলে এরপর তাঁর আম্পায়ারিং কেরিয়ার অকালে শেষ হয়ে যায়। এছাড়াও এক মডেলর সঙ্গে যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। ফলে তখনও তাঁর বিরুদ্ধে নানারকমের অভিযোগ ওঠে। এরপর কিছু মাস আগেই তিনি আবার খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। একটি ভাইরাল ভিডিও-তে লাহোরের লান্ডা বাজারে একটি জুতোর দোকানে তাঁকে জুতো বিক্রি করতে দেখা যায়। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁর মৃত্যুর খবর এল। তাঁর মৃত্যুতে অনেকেই ট্যুইটে শোক জ্ঞাপন করেছেন।

  • Nupur Sharma: “সন্ত্রাসবাদীদের কাছে মাথা নত নয়, নূপুরের পাশে দাঁড়ান”, পরামর্শ ডাচ নেতার

    Nupur Sharma: “সন্ত্রাসবাদীদের কাছে মাথা নত নয়, নূপুরের পাশে দাঁড়ান”, পরামর্শ ডাচ নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজরত মহম্মদকে (prophet) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma)। বাতিল করা হয়েছে তাঁর প্রাথমিক সদস্যপদও। এমতাবস্থায় তাঁর পাশে দাঁড়ালেন নেদারল্যান্ডের দক্ষিণপন্থী নেতা গির্ট উইলডার্স (Geert Wilders)।তিনি বলেন, সত্যি কথা বলে বিপাকে পড়ছেন নূপুর। তাঁর জন্য গর্বিত হওয়া উচিত ভারতীয়দের।

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে হজরত মহম্মদকে নিয়ে নূপুর বিতর্কিত মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে তাঁকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। নূপুরের সেই বিতর্কিত মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার দায়ে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ নবীন কুমার জিন্দালকে (Naveen Jindal)। তার পরেও ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি ইসলামিক দেশগুলির (Islamic countries)। ঘটনার জেরে কুয়েতের এক সুপারমার্কেট কর্তৃপক্ষ ভারতীয় পণ্য বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে কাতার। নূপুরকে গ্রেফতারির দাবিও উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এহেন পরিস্থিতিতে নূপুরের পাশে দাঁড়ালেন নেদারল্যান্ডসের ওই নেতা।

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    উইলডার্স বলেন, নূপুরের বক্তব্যের পর ইসলামিক দেশগুলি ভারতের সঙ্গে যে ব্যবহার করছে, তা হাস্যকর। নূপুরের সমর্থনে একটি ট্যুইটও করেন উইলডার্স। লেখেন, কখনওই আল কায়দার মতো ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের কাছে নতি স্বীকার করো না। কারণ তারা বর্বরতার প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। পুরো ভারতের উচিত নূপুর শর্মার পাশে দাঁড়ানো এবং তাঁকে সমর্থন করা। আল কায়দা এবং তালিবান আমাকে তাদের হিটলিস্টে রেখেছিল কয়েক বছর আগেও। এ থেকে একটাই শিক্ষা, সন্ত্রাসবাদীদের কাছে মাথা নত করো না। কখনওই না!  

    [tw]


    [/tw]

    উইলডার্স বলেন, ভারতীয় বন্ধুরা ইসলামিক দেশগুলিকে ভয় পেও না। স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়াও। রাজনীতিবিদ নূপুর শর্মাকে রক্ষা করার জন্য অটল থাকো। ইসলামিক দেশগুলিকে নিয়ে ক্ষোভ উগরে উইলডার্স বলেন, মুসলিম দেশগুলি ভণ্ড। সেখানে গণতন্ত্র, আইনি শাসন, নাগরিকের স্বাধীনতা নেই। ওই দেশগুলিতে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হন। এরা যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, সেভাবে আর কেউ করে না। উইলডার্স নেদারল্যান্ডসের পার্টি ফর ফ্রিডমের প্রতিষ্ঠাতা। দলটি দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দল। ১৯৯৮ সাল থেকে হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের নেতা ছিলেন। ইসলামের সমালোচনার জন্য পরিচিত।

    আরও পড়ুন : কাশী-মথুরা নিয়ে কী ভাবছে বিজেপি? স্পষ্ট করলেন নাড্ডা

    এদিকে, হজরত মহম্মদকে নিয়ে আপত্তিকর ট্যুইট করার অভিযোগ উঠেছিল কানপুরের বিজেপি নেতা হর্ষিত শ্রীবাস্তবের বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছে ফেলা হয়েছে তাঁর বিতর্কিত ট্যুইট।

     

     

  • Kabul Explosions: ফের বোমা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল কাবুলের দাশত-ই-বার্চি এলাকা, আহত তিন

    Kabul Explosions: ফের বোমা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল কাবুলের দাশত-ই-বার্চি এলাকা, আহত তিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আফগানিস্তানে (Afghanistan) বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Explosions)। পরপর দুটো বোমা বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল কাবুলের দাশত-ই-বার্চি (Dasht-e-Barchi) এলাকা। তালিবানরা (Taliban) আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে দেশটিতে বিস্ফোরণ যেন একটি নতুন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায়ই বিস্ফোরণের ফলে খবরের শিরোনামে উঠে আসে আফগানিস্তানের নাম। জানা গিয়েছে গতকাল, শনিবার বিকেলের দিকে দুটি বিস্ফোরণ ঘটেছে।

    স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, কাবুলের দাশত-ই-বার্চি এলাকায় হাজারা সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে। আর এই জায়গাতেই প্রথম বিস্ফোরণটি সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিটে একটি জনাকীর্ণ বাণিজ্যিক বাজারের সামনে ঘটে এবং পরে পুল-ই-খুশক (Pul-e-Khushk) নামক বাস স্টপে আরেকটি বোমা বিস্ফোরিত হয়।

    তালিবানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি বিবৃতি অনুসারে, বিস্ফোরণটি সাইকেলে রাখা স্টিকি বোমার ফলে হয়েছিল, এতে ৩ জন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের পরপরই আহতদের ওই এলাকার নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য বিগত কয়েক বছর ধরেই কাবুলের পশ্চিমে শিয়া উপশহর এলাকাকে বারবার লক্ষ্য করা হয়েছে। ফলে অসংখ্য  হামলায় শত শত হাজারা সম্প্রদায়ের লোক নিহত হয়েছেন এবং এই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নির্যাতনও অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠীই এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।

    আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত কাবুল! মসজিদে বিস্ফোরণ, ইমাম-সহ নিহত ২০

    সম্প্রতি কিছুদিন আগেই রাশিয়ান দূতাবাসের সামনে একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় দূতাবাসের দুই কর্মীসহ ১৫ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এই ঘটনার কিছুদিন আগেও, গত শুক্রবারে একটি মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। নামাজের সময় উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তানের একটি মসজিদে বিস্ফোরণে অন্তত ২০জন নিহত হয়েছিল।

    ফলে এই কয়েক মাসেই রাজধানী কাবুলে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে, যাতে অসংখ্য নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আফগানিস্তানে তালিবান শাসনের এক বছরের মাথায় এই বিস্ফোরণগুলো ঘটেছে। ফলে এর থেকে আন্দাজ করা যেতেই পারে যে, পরবর্তীতে আরও কত বিস্ফোরণ হতে চলেছে পুরো দেশ জুড়ে।

    তবে শুধুমাত্র বোমা বিস্ফোরণ নয়, তালিবানরা আসার পর থেকেই মানব ও নারীর প্রতি একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। গত বছরের অগাস্টে কাবুল দখল করার পর, ইসলাম ধর্মের নারী ও মেয়েদের অধিকারের উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, সংবাদমাধ্যমকে দমন করেছে, নিরপরাধ ব্যক্তিদের আটক করেছে, নির্যাতন করেছে এবং সমালোচক ও বিরোধীদের মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দিয়েছে। ফলে গত বছরের অগাস্টে তালিবানরা ক্ষমতা পুনর্দখলের পর থেকেই বিস্ফোরণ বেড়েই চলেছে ও দেশে শান্তি ফেরাতে তালিবান যে অক্ষম তা স্পষ্ট।

    শের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Sri Lanka Crisis: কলম্বোয় আক্রান্ত দূতাবাস আধিকারিক, অ্যাডভাইজরি জারি ভারতীয় হাই কমিশনের

    Sri Lanka Crisis: কলম্বোয় আক্রান্ত দূতাবাস আধিকারিক, অ্যাডভাইজরি জারি ভারতীয় হাই কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় ভিসা সেন্টারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক কর্মী আক্রান্ত হওয়ার পরই সেদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের জন্য বিশেষ অ্যাডভাইজরি জারি করল নয়াদিল্লি।

    রাজনৈতিক টানাপোড়েনে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জেরে জ্বলছে দ্বীপরাষ্ট্র। জনতার রোষ থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। সদ্যপ্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশ্রয় নিয়েছেন সিঙ্গাপুরে। এর মধ্যেই আজ বুধবার ভারতের এই প্রতিবেশী দেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সমবারই শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে (Ranil Wickremesinghe)।    

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে আজ সর্বদল বৈঠকের ডাক কেন্দ্রের

    এদিকে কোনওরকম উস্কানি ছাড়াই শ্রীলঙ্কায় কর্মরত এক ভারতীয় আধিকারিকের ওপর হামলা চালায় একদল বিক্ষোভকারী। এ অবস্থায় শ্রীলঙ্কা নিবাসী ভারতীয়দের জন্যে অ্যাডভাইজরি জারি করল ভারতীয় হাইকমিশন। অ্যাডভাইজরিতে বলা হয়, “শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতি দেখে ভারতীয়দের অনুরোধ করা হচ্ছে, সমস্তরকম খবরাখবর নিয়ে আপনারা পরবর্তী পরিকল্পনা করুন। প্রয়োজনে আমাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেন।” 

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় জরুরি ব্যবস্থা জারি রনিল বিক্রমাসিংঘের, সিঙ্গাপুরেও স্বস্তিতে নেই গোতাবায়া 

    [tw]


    [/tw]

    আরও একটি ট্যুইটে জানানো হয়, “ভারতীয় ভিসা সেন্টারের এক আধিকারিক গতকাল রাতে কলম্বোয় বিক্ষোভকারীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। শ্রীলঙ্কা কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে বিষয়টি।”

    জ্বালানী ও খাদ্যের অভাবে গত কয়েকমাস ধরেই চরম সংকটে শ্রীলঙ্কা। এই অবস্থায় ভয়ংকর আকার ধারণ করে জনরোষ। রাষ্ট্রপতি ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দখল নেয় সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি আন্দাজ করে রাজপ্রাসাদ ছাড়েন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরে আশ্রয় নিয়েছেন। গত সপ্তাহেই রাষ্ট্রপতি পদ ছাড়েন গোতাবায়া। রাজাপক্ষ পরিবারের একাধিক সদস্য শ্রীলঙ্কার সরকারের বিভিন্ন পদে ছিলেন। 

  • Abdul Rauf Azhar: আন্তর্জাতিক জঙ্গির ঢাল চিন! আব্দুল রউফ আজহারকে নিষিদ্ধ করতে বাধ সাধল বেজিং

    Abdul Rauf Azhar: আন্তর্জাতিক জঙ্গির ঢাল চিন! আব্দুল রউফ আজহারকে নিষিদ্ধ করতে বাধ সাধল বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডের মূল চক্রী আব্দুল রউফ আজহারকে (Abdul Rauf Azhar) রাষ্ট্রসংঘে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করল চিন। জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর শীর্ষনেতা মাসুদ আজহারের (Masood Azhar) ভাইকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিল ভারত ও আমেরিকা। রাষ্ট্রসংঘে (UN) ভারত ও আমেরিকার এই যৌথ প্রস্তাবে বাধ সাধে বেজিং। 

    ১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমান ছিনতাই কাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিল সে। দাদা মাসুদ আজহারকে ভারতের কারাগার থেকে ছাড়াতেই এই অপহরণের পরিকল্পনা করে রউফ। ২০০১-এর সংসদ হামলা এবং ২০১৬-য় পাকিস্তানের পাঠানকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলাতেও নাম জড়িয়েছে তার। তালিবান, আল-কায়দা, লস্কর-ই-তইবা এবং হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে রউফ আজহারের। ২০১০ সালের ২ ডিসেম্বর রউফ আজহারকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ৪৮ বছর বয়সি রউফের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের বেশ কয়েকটি রেডকর্নার নোটিশ মুলতুবি রয়েছে।

    আরও পড়ুন: বন্দরে ভেড়েনি চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, দাবি শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের

    রাষ্ট্রসঙ্ঘে সম্প্রতি ভারত ও আমেরিকার তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, মাসুদ আজহারের ভাইকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তার গতিবিধির উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হোক। রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিরাপত্তা পরিষদের সমস্ত সদস্য দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে সায় দিলেও ভেটো প্রদানের ক্ষমতাধারী চিন (China) বাধা দেয়। চিনের আপত্তিতেই আপাতত প্রস্তাবটি মুলতুবি রাখা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সইদের শ্যালক মক্কিকে নিষিদ্ধ করতে পদক্ষেপ করেছিল ভারত। কিন্তু সেবারও বাধা দেয় চিন। মুম্বই হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী হাফিজ সইদের সঙ্গে জেহাদি কাজে যুক্ত রয়েছে মক্কি। কাশ্মীর উপত্যকায় পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ও অস্ত্র পাচারে জড়িত রয়েছে সে। তাকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে প্রস্তাব পেশ করেছিল নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চিনের ভেটোয় সেই প্রস্তাবও পাশ হয়নি।

  • China Bank Crisis: অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ,  চিনে ভেঙে পড়ার মুখে ব্যাংকিং ব্যবস্থা!

    China Bank Crisis: অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ,  চিনে ভেঙে পড়ার মুখে ব্যাংকিং ব্যবস্থা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে (China) ভেঙে পড়ার মুখে ব্যাংকিং (Banking) ব্যবস্থা। গ্রামীণ ব্যাংকগুলিতে (Rural Bank) আমানতকারীদের জমা রাখা অর্থ ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। এর সিংহভাগ ঘটনাই ঘটেছে চিনের হেনান প্রদেশে। মধ্য চিনের একটি এলাকা হেনান। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন হাজারেরও বেশি প্রতিবাদী হেনানের রাজধানী ঝেংঝাউতে ব্যাংকে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

    সমস্যা যে হয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন হেনান প্রদেশ কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, এদিন ঘটনার পরে পরেই আমানতকারীদের কমবেশি ৫০ হাজার ইউয়ান শোধ করা হয়েছে। যাঁদের ডিপোজিট ফ্রিজ হয়েছে, তাঁদেরও জমানত দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস হেনান প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের।  

    আরও পড়ুন : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই! চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ব্যাংকিংয়ের এই সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারবে না চিন। ভুক্তভোগী আমানতকারীদের মতে, হাজার হাজার আমানতকারীর ১০০০ কোটি ইউয়ান ফ্রিজ হয়ে গিয়েছে। এসবই হয়েছে এলাকায় জমি বিক্রি কমে যাওয়ার দরুণ। যার ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে চিনের ছোট ও স্থানীয় ঋণদানকারী সংস্থাগুলির ওপর।

    চিনে এই সমস্যা অবশ্য একদিনে হয়নি। সূত্রপাত হয়েছিল চলতি বছরের এপ্রিলে। হেনানের চার গ্রামীণ ব্যাংকে গিয়ে জমা আমানত ফিরে পাননি আমানতকারীরা। স্থানীয় ব্যাংকগুলিতে গিয়ে তখন থেকেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এলাকার আমানতকারীরা। বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়েছে প্রদেশের বিভিন্ন সরকারি অফিসেও। ঘটনাটি নজর কেড়েছে বেজিংয়েরও। আমানতকারীরা যাতে আমানত ফেরত না পান, তাই কোভিড অ্যাপে কারসাজি করেন কয়েকজন আধিকারিক। তার জেরে তাঁরাও পড়েন বেজিংয়ের রোষে। অর্থনীতিবিদ গারে নগ বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকগুলির নড়বড়ে শাসন ব্যবস্থার জেরেই অর্থনীতির এই হাল। স্থানীয় পুলিশ অবশ্য বিক্ষোভের নেপথ্যে ক্রিমিনাল গ্যাংয়ের হাত দেখছেন।

    আরও পড়ুন : চিন থেকে আর ঋণ নিতে পারবে না পাকিস্তান! নিষেধাজ্ঞা আইএমএফের

    চিনে ১৬ হাজারেরও বেশি গ্রামীণ ব্যাংক রয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টরে তারা তৃতীয় স্থান দখল করে। বৃদ্ধির হার শ্লথ হওয়ায় চাপে পড়েছে এরাই। এই গ্রামীণ ব্যাংক গুলিতে টাকা রাখেন মূলত কৃষিজীবী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ঘটনার জেরে তাঁরাই পড়েছেন সব চেয়ে বেশি বিপাকে। ওই অর্থনীতিবিদ বলেন, ব্যাংকগুলি রিয়েল এস্টেট ডেভলপারদের থেকে আলাদা। চিন অর্থনীতির এই দুর্বল দিকগুলি দেখতে পায় না।

     

  • India on Pakistan: হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

    India on Pakistan: হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজরত মহম্মদ (Prophet) বিতর্কে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছিল পাকিস্তান (Pakistan)। তার সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দিল নয়াদিল্লি (New Delhi)। দাগল পাল্টা তোপও। সাফ জানাল, যে দেশ নিজেদের সংখ্যালঘু মানুষকে রক্ষা করতে পারে না, সেই দেশের  কোনও যোগ্যতা নেই ভারতের (india) বিষয়ে কথা বলা।

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি (Arindam Bagchi) বলেন, পাকিস্তান থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে এবং মন্তব্য আসছে, তা আমরা দেখেছি। অন্য দেশ কীভাবে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে আচরণ করছে, তা নিয়ে লাগাতার সংখ্যালঘুদের অধিকার লঙ্ঘনকারী কোনও দেশের মন্তব্য যে কতটা অযৌক্তিক, সেটা কারও কাছে অস্পষ্ট নয়। হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান এবং আহমদীয় সহ সংখ্যালঘুদের ওপর যে ধারাবাহিক হত্যালীলা চালাচ্ছে পাকিস্তান, তা দেখে আসছে গোটা বিশ্ব।

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    হজরত মহম্মদকে নিয়ে দিনকয়েক আগে বিতর্কিক মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির (BJP) প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা (Nupur Sharma)। তড়িঘড়ি দল তাঁকে সাসপেন্ডও করা হয়। যদিও নূপুরের দাবি, তাঁর বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। তবে নূপুরের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে থাকে ইসলামিক দেশগুলি (Islamic countries)। সৌদি আরব, কাতার, ইরান এবং কুয়েতও নিন্দা করে নূপুরের মন্তব্যের। ভারতীয় দূতকে তলব করে কাতার। বিতর্কিত মন্তব্যের ঘটনায় নাম জড়ায় বিজেপি মুখপাত্র নবীন কুমার জিন্দলেরও (Naveen Jindal)। তাঁকে বহিষ্কার করে দল।

    আরও পড়ুন : “তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান!” কেন এমন কথা বললেন ইমরান?

    এই আবহে পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) ট্যুইটারে লেখেন, আমাদের প্রিয় পয়গম্বরের বিরুদ্ধে ভারতের বিজেপি নেতা যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, তার তীব্র নিন্দা করছি। আগেও একাধিকবার বলেছি যে মোদির আমলে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা পদদলিত হচ্ছে এবং মুসলিমদের হত্যা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে বিশ্বের নজর দেওয়া উচিত এবং ভারতকে শাস্তি দেওয়া উচিত।

    পাক প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যেরই কড়া জবার দিয়েছে সাউথ ব্লক। বলা হয়েছে, সমস্ত ধর্মের প্রতি ভারত সরকারে সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে। সেটা পাকিস্তানের মতো নয়। যেখানে ধর্মান্ধদের প্রশংসা করা হয় এবং তাঁদের সম্মানে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়।

    ঘটনার পরে পরেই অবশ্য ভারত সরকার সাফ জানিয়ে দেয়, হজরত মহম্মদ সম্পর্কে যে বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়েছে, তা নয়াদিল্লির অবস্থান নয়। পাক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিদেশমন্ত্রকের তরফে সাফ বলা হয়েছে, আমরা পাকিস্তানকে বিপজ্জনক প্রচার ও ভারতে বৈষম্য বাড়ানোর চেষ্টা করার বদলে সে দেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও জনকল্যাণের দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানাই।

  • Pakistan: “চা খাওয়া কমান”, ঋণ-জর্জরিত পাকিস্তানকে বাঁচাতে আজব দাওয়াই মন্ত্রীর

    Pakistan: “চা খাওয়া কমান”, ঋণ-জর্জরিত পাকিস্তানকে বাঁচাতে আজব দাওয়াই মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের অর্থনীতি চাঙা করতে অদ্ভুত দাওয়াই পাকিস্তানের (Pakistan) মন্ত্রীর! দেশবাসীকে কম করে চা (Tea) পান করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের মন্ত্রী এহেসান ইকবালের (Ahsan Iqbal) দাবি, চায়ের কাপে কম চুমুক দিলে দেশের আমদানি খরচ কিছুটা কমে যাবে।

    শ্রীলঙ্কার মতো ক্রমেই চিনা ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার হার দিন দিন কমছে। জিনিসপত্রে দাম আকাশ ছোঁয়া। মূল্যবৃদ্ধির জেরে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। দেশবাসীর একটা বড় অংশই দুবেলা পেট ভরে খেতে পান না বলে সে দেশেরই বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রকাশ। এমতাবস্থায় দেশীয় অর্থনীতি চাঙা করার আজব দাওয়াই দিয়েছেন পাক সরকারের বর্ষীয়ান এই মন্ত্রী। দেশবাসীর কাছে তাঁর অনুরোধ, দয়া করে কম করে চা পান করুন।

    আরও পড়ুন : “তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান!” কেন এমন কথা বললেন ইমরান?

    বিশ্বের বৃহত্তম চা আমদানিকারক দেশ পাকিস্তান। গত বছর দেশটি মোট ৪ হাজার ৬৮৩ হাজার ৬৩ লক্ষ কোটি টাকার চা আমদানি করেছিল। পাক সংবাদ মাধ্যমের সাহায্যে পাকিস্তানের এই মন্ত্রী পাক নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, আমি দেশবাসীর কাছে চায়ের ব্যবহার এক-দু কাপ কমানোর আবেদন করছি। এর কারণ আমরা ঋণ করে চা আমদানি করি।

    পাকিস্তানের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন সে দেশের অর্থনীতিবিদদের একাংশ। দেশীয় অর্থনীতির এই পরিস্থিতির দায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ চাপাচ্ছেন একে অপরের ওপর।

    আরও পড়ুন : অশান্ত পাকিস্তান! ৬ দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করতে শাহবাজ সরকারকে হুঁশিয়ারি ইমরানের

    পাকিস্তানের বর্ষীয়ান এই মন্ত্রী জানান, দেশের হাতে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে, তাতে আর মাত্র দু মাস আমদানি করা সম্ভব। তার পরেই শেষ হয়ে যাবে বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার। চা খাওয়া কমালে কমবে আমদানির পরিমাণও। তাই মন্ত্রীর এই অদ্ভুত দাওয়াই বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। তবে চা খাওয়া কমানোর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির করুণ দশার হাল ফেরানো সম্ভব নয় বলেই দাবি অর্থনীতিবিদদের একাংশের।

    মন্ত্রীর কথা শুনে পাকিস্তানের বাসিন্দারা চা খাওয়া কমান কিনা, এখন সেটাই দেখার।

     

LinkedIn
Share