Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • China Nuclear Arsenal: পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছে চিন, ভারত, পাকিস্তানের হাতে কত? 

    China Nuclear Arsenal: পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছে চিন, ভারত, পাকিস্তানের হাতে কত? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পারমানবিক অস্ত্রসম্ভার (Nuclear Arsenal) বাড়াচ্ছে চিন (China)। এই মুহূর্তে ভারতের (India) প্রতিবেশী এই দেশটির হাতে রয়েছে ৩৫০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড (warheads)। পাকিস্তানের হাতে রয়েছে ১৬৫টি। আর ভারতের হাতে রয়েছে মাত্র ১৬০টি। সুইডেনের এক সংস্থার রিপোর্টে এমনই তথ্য মিলেছে।

    সুইডেনের অস্ত্র ব্যবসা ও নিরস্ত্রীকরণ ট্র্যাকিং ওয়াচডগ স্টকহোম ইন্টারন্যাশনার পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট, সংক্ষেপে সিপ্রি (sipri) সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তার বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক সমীকরণগুলো পাল্টাতে শুরু করেছে। তাই সামরিক দিয়ে আরও বেশি শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করছে ড্রাগনের দেশ। তারা জোর দিয়েছে মূলত পারমাণবিক প্রতিরোধ ও পাল্টা হামলার ওপর।

    আরও পড়ুন : ভারতীয় নৌ, বায়ুসেনার হাতে আসছে দেশীয় “অস্ত্র”

    সিপ্রি জানিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে চিনের ওয়ারহেড মজুদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এই ওয়ারহেডগুলো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারা বিমানের সাহায্যে ব্যবহার করা যাবে।

    প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, এক দশক আগেও চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি মূলত তরল জ্বালানিযুক্ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর নির্ভর করত। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো স্থলভাগ থেকে উৎক্ষেপণ করা সম্ভব।সমুদ্র ভিত্তিক কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাত্রও ছিল লালফৌজের দেশে। ২০১৭ সাল থাকে বদলাতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক সমীকরণ। আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক যুদ্ধে নেমেছে চিন। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তির হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে চিনকে। এর পরই সমরসজ্জা বাড়ানোয় জোর দিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের একটি সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র বৃদ্ধি করার কথা স্বীকারও করেছেন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংহে। তিনি বলেন, চিন যেভাবে পারমাণবিক হামলা প্রতিরোধে নিজেদের প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত করেছে, তা প্রশংসার যোগ্য। চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, চিন পারমাণবিক অস্ত্রের দিক থেকে নিজেদের ক্ষমতা বাড়ালেও, তা আত্মরক্ষার জন্য। চিন কোনওদিনই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না। তাঁর এই ‘স্বীকারোক্তি’র পরে পরেই প্রকাশ্যে আসে সিপ্রির প্রতিবেদন।

    আরও পড়ুন : ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য় এবার মার্কিন অস্ত্র?

     

  • Sri Lanka: চিনের কাছে ঋণ নিয়ে চরম বোকামির কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা, দাবি সিআইএ প্রধানের

    Sri Lanka: চিনের কাছে ঋণ নিয়ে চরম বোকামির কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা, দাবি সিআইএ প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের কাছে ঋণ নিয়ে চরম বোকামির (Dumb Bets) কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। তার জেরেই ভেঙে পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতি। দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দেশ। সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করেছেন সিআইএ (CIA) প্রধান বিল বার্নস (Bill Burns)। বিলের মতে, শ্রীলঙ্কার এই ভুল দেখে বিশ্বের অন্য দেশগুলির সচেতন হওয়া উচিত।

    চড়া সুদে শি জিনপিংয়ের দেশ থেকে ঋণ নেয় দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। ফি মাসে কেবল সুদ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা মেটাতে গিয়ে আক্ষরিক অর্থেই সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের দিকে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। সরকারের এই ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল গুণতে হয় দ্বীপবাসীদের। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় আমদানি বন্ধ। জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। জনরোষের আগাম আঁচ পেয়ে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালান গোতাবায়া। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে প্রেসিডেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর সহ নানা সরকারি ভবনের দখল নেয় জনতা। তার পরেই বিদেশ থেকে মেইল করে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন গোতাবায়া। জরুরি ভিত্তিতে সাংসদের ভোটে নয়া প্রেসিডেন্ট হন দেশের ছ বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে।

    আরও পড়ুন : বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    শ্রীলঙ্কার এই পরিস্থিতির কারণ যে চিন থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেওয়া, তা জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। বিল বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শ্রীলঙ্কার দিকে তাকানো উচিত। চিনের কাছে ঋণে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র। চিন থেকে ঋণ নিয়ে অবিবেচকের মতো কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা। যার জেরে ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। দুর্দশার শিকার হয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রবাসী। বদলে গিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও। তিনি বলেন, কেবল মধ্য প্রাচ্য কিংবা দক্ষিণ এশিয়া নয়, গোটা বিশ্বকেই এ ব্যাপারে চোখকান খোলা রাখতে হবে।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

    শ্রীলঙ্কায় পরিকাঠামো সহ নানা খাতে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ করেছে চিন। বিপুল পরিমাণ সুদ মেটাতে গিয়েই সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে দেশ। ভারত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপ শ্রীলঙ্কা। জনসংখ্যা ২২ কোটির কাছাকাছি। অবস্থানগতভাবে ভারতের কাছাকাছি হওয়ায় মোদি সরকারের থেকে প্রচুর সাহায্য পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। তার পরেও শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রেমদাসা পাশে থাকার আবেদন জানিয়েছে ভারতকে। যাতে বিপর্যয়ের হাত থেকে টেনে তোলা যায় দ্বীপরাষ্ট্রকে।

     

  • Prophet Row: পয়গম্বর বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুলল বাংলাদেশ, কী বলল প্রতিবেশী রাষ্ট্র?

    Prophet Row: পয়গম্বর বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুলল বাংলাদেশ, কী বলল প্রতিবেশী রাষ্ট্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হজরত মহম্মদের (prophet Muhammad) মর্যাদা সংক্রান্ত ব্যাপারে কোনও আপোশ করবে না বাংলাদেশ (Bangladesh)। তবে যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে বিজেপির (BJP) দুই প্রাক্তন নেতার কথায়, তা সম্পূর্ণভাবে বাইরের বিষয়। সোমবার সাফ জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ।  

    দিনকয়েক আগে হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা বিতর্কিত মন্তব্য করেন। ঘটনার পরে পরেই তাঁকে সাসপেন্ড করে বিজেপি। তার পরেও দেশে এবং বিদেশে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, অশান্তি। শুক্রবার জুম্মার নমাজের পরে বাংলাদেশের কিছু এলাকায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। হামলা চালানো হয় একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের বাড়িতে। ভারতীয় জিনিসপত্র বয়কট করার পক্ষেও জোরালো দাবি ওঠে। প্রতিবাদ হয় মূলত জমায়েত উলেমা বাংলাদেশ, খিলাফত মজলিস ইসলাম ঐক্যজোটের তরফে।

    আরও পড়ুন : হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

    ঘটনার জেরে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশের মন্ত্রী বলেন, বিজেপির ওই মুখপাত্রদের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাকে স্বাগত জানাচ্ছি। তিনি বলেন, পয়গম্বর হজরত মহম্মদের সম্মানের প্রশ্নে আমরা কোনও আপোশ করব না। পয়গম্বরের বিরুদ্ধে যে মন্তব্য করা হয়েছে, তা নিন্দাজনক। তবে যাঁরা এটা বলেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ভারত সরকার যে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি।  

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    হাসান মাহমুদ বলেন, এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। এটা বাইরের বিষয়। এটা ভারতের বিষয়। আমি মনে করি না, এটা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলার আছে। তিনি বলেন, মধ্য প্রাচ্য, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, মলদ্বীপের মতো দেশেরও এনিয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। হাসান মাহমুদ বলেন, উসকানিমূলক মন্তব্যের পরে ভারতে এফআইআর করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস, তদন্তও চলবে। এদিকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে নবী মহম্মদ ইস্যুতে চুপ করে থাকার অভিযোগ তুলেছে মুসলিম দেশগুলি।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইসলামিক বিভিন্ন গোষ্ঠী যাতে উৎসাহ না পায়, তাই নূপুর শর্মা ইস্যুতে সতর্ক হয়ে পা ফেলছে বাংলাদেশ সরকার।

     

  • Stolen Bentley Car: অবাক কাণ্ড! লন্ডন থেকে চুরি হওয়া গাড়ি পৌঁছে গেল পাকিস্তানের করাচিতে! ভাইরাল ভিডিও

    Stolen Bentley Car: অবাক কাণ্ড! লন্ডন থেকে চুরি হওয়া গাড়ি পৌঁছে গেল পাকিস্তানের করাচিতে! ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার অদ্ভুত কাণ্ড ঘটিয়ে খবরের শিরোনামে পাকিস্তান। গাড়ি চুরি হল লন্ডনে, আর খুঁজে পাওয়া গেল করাচিতে! এ যেন একেবারে অবাক করা কাণ্ড। তবে এই গাড়ি যেই সেই গাড়ি নয়, তার নাম বেন্টলে।

    সংবাদ সূত্রের খবর, ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডন (London) থেকে চুরি হয়ে যাওয়া বিলাসবহুল বেন্টলে মুলসান সেডান (Bentley Mulsanne sedan) গাড়িটি করাচিতে নিয়ে আসা হয়েছিল। বাজারে যার আনুমানিক মূল্য ৩ লক্ষ মার্কিন ডলারেরও বেশি! ভারতীয় মুদ্রায় ২ কোটি টাকার বেশি। তবে কীভাবে লন্ডনের চুরি হওয়া গাড়ি করাচিতে পৌঁছলো এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে কোনওমতে ঠেলেঠুলে গাড়িটিকে সরানোর চেষ্টা করছেন পাক কাস্টমসের কর্মীরা।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, জানা গিয়েছে ইউকে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি থেকে তথ্য পাওয়ার পরে করাচির কালেক্টরেট অফ কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায়। সেই সময় দেখা যায় বেন্টলে মুলসান সেডান গাড়িটি শহরের ডিএইচএ এলাকার একটি বাড়িতে পার্ক করা রয়েছে। পাক সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, লন্ডন থেকে গাড়িটি চুরি করার পরে সেই গাড়ি থেকে ট্রেসিং ট্র্যাকার সরাতে পারেনি চোরের দল। আর এইভাবেই উন্নত ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে গাড়ির কোথায় আছে তা খুব সহজেই বুঝতে পেরে যায় ইউকে ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি।

    আরও পড়ুন: স্কুলে নম্বর বেশি পাওয়ার ফল মৃত্যু! বিষ খাইয়ে খুন করার অভিযোগ সহপাঠীর মায়ের বিরুদ্ধে

    তবে জানা গিয়েছে অভিযান চলাকালীন দেখা যায়, সেই গাড়িতে পাকিস্তানের নম্বর প্লেট লাগানো ছিল। তবে তল্লাশি চালানোর পর জানা যায়, লন্ডন থেকে চুরি হওয়া গাড়ির চেসিস নম্বর আর সেই গাড়ির চেসিস নম্বর এক। এরপর গাড়ির মালিককে ওই গাড়ির উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে বললে তা দেখাতে পারেনি। আর সেই কারণে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করার সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান মালিক এবং যে দালালের মাধ্যমে তিনি গাড়িটি কিনেছিলেন, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, তদন্ত করে জানা গিয়েছে গাড়ি চুরির ক্ষেত্রে যারা যারা জড়িত ছিল তারা পূর্ব ইউরোপের একটি দেশের শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিকের কাগজপত্র ব্যবহার করে তা পাকিস্তানে নিয়ে গিয়েছিল। আবার, কাস্টমসের দায়ের করা এফআইআর থেকে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে গাড়িটি নিয়ে যেতে পাকিস্তানের টাকায় প্রায় ৩০০ মিলিয়নের বেশি কর ফাঁকি দিয়েছে গাড়ি চোরেরা।

  • UK Prime Minister: হেরে গেলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি! ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস

    UK Prime Minister: হেরে গেলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি! ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার বিকেলেই ঘোষণা হয়ে গেল ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম। ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন লিজ ট্রাস (Liz Truss)। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাককে (Rishi Sunak) হারিয়ে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ট্রাস। লিজ ট্রাস ৮১৩২৬ ভোট পেয়েছেন এবং তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাক ৬০৩৯৯ ভোট পেয়েছেন। সুনাককে ২০,০০০-এর বেশি ভোটে পরাজিত করেন ট্রাস। এদিন কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরাই তাদের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে ভোট দিয়ে বেছে নিয়েছেন।

    লিজ ট্রাস হলেন ব্রিটেনের তৃতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী। তাঁর আগে থেরেসা মে, ও মার্গারেট থ্যাচার ছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছ, লিজ ট্রাস ৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে উপস্থিত থাকবেন।

    আরও পড়ুন: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ের শেষ পর্যায়ে পৌঁছলেন ঋষি সুনক-লিজ ট্রাস

    উল্লেখ্য, কয়েক মাস কেলেঙ্কারির পরে জুলাই মাসে বরিস জনসন (Boris Johnson) পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং তিনি জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করার জন্য মঙ্গলবার রানী এলিজাবেথের সাথে দেখা করতে স্কটল্যান্ডে যাবেন তিনি। দুর্নীতির দায় নিয়ে গত ৭ জুলাই পদত্যাগ করেছিলেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বরিস প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতেই ব্রিটেনের রাজনীতিতে ডামাডোল শুরু হয়ে যায়। 

    তবে লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী হলেও তাঁকে বর্তমানে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। ব্রিটেনের যে পরিস্থিতি, তাতে বোঝাই যাচ্ছে, দেশের খুবই দুর্দিনে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে চলেছেন ট্রাস। কারণ, বেশ কিছুদিন ধরেই নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধিতে ব্রিটিশ নাগরিকদের নাজেহাল অবস্থা। এছাড়াও দেশ জুড়ে জ্বালানি সংকট ও বেকারত্ব তো রয়েছেই। ফলে ট্রাস কীভাবে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবে সেটাই এখন দেখার।

    প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে প্রথমে ঋষি সুনাকই প্রথম পাঁচ রাউন্ডে বিশাল লিড পেয়েছিলেন, কিন্তু কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের চূড়ান্ত ভোটে পরে লিজ ট্রাস বিপুল পরিমাণ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তবে ঋষি সুনাকের স্ত্রীর করফাঁকি, নিজের ইউএস গ্রিন কার্ড এবং বিপুল সম্পত্তি ইত্যাদির কারণে তাঁকে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়, আর এই কারণগুলোই তাঁর পরাজিত হওয়ার মূল কারণ বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ মহল।

  • Ethiopian Airlines Pilots: মাঝ আকাশে ঘুমিয়ে পড়লেন দুই পাইলটই! এরপর যা ঘটল…

    Ethiopian Airlines Pilots: মাঝ আকাশে ঘুমিয়ে পড়লেন দুই পাইলটই! এরপর যা ঘটল…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝ আকাশে চলন্ত বিমানে এ কি কান্ড! ঘুমিয়ে পড়লেন বিমান চালক! অবাক হচ্ছেন তো? কিন্তু এমনটাই ঘটেছে, কিন্তু এই ঘটনা ভারতের নয়, ইথিওপিয়ার। ইথিওপিয়ার বিমানের দুজন বিমানচালক এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এতগুলো যাত্রীর জীবন কীভাবে বিপদে ফেলতে পারেন তাঁরা, তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

    আরও পড়ুন: ফের বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি, পাকিস্তানের মাটিতে জরুরি অবতরণ ইন্ডিগোর বিমানের

    জানা গিয়েছে, গত সোমবার সুদানের খার্তুম থেকে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা যাওয়ার সময় ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানে এই ঘটনা ঘটেছে।  বিমানটি তখন ৩৭ হাজার ফুট উচ্চতায় ছিল। সেই সময়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। মাঝপথে ঘুমিয়ে পড়ার ফলে সেই যাত্রীবাহী বিমান তার নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলে নামতে পারেনি। অ্যাভিয়েশন নিউজ সাইট (The Aviation Herald) থেকে জানা গেছে যে, নিজে থেকে নয়, অটোপাইলটের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবার পর অ্যালার্মের শব্দেই পাইলটদের ঘুম ভেঙেছে। যদিও তারা ২৫ মিনিট পর ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় সুরক্ষিতভাবে বিমানটি অবতরন করাতে পেরেছিল। শনিবার ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স বলেছে যে পাইলটদের আরো তদন্তের জন্য অপারেশন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ও তাদের সাসপেন্ডও করা হয়েছে। ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে জানিয়েছে যে তদন্তের পর ফলাফল অনুযায়ী সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তারা আরও জানায়, যাত্রীদের সুরক্ষাই তাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল এবং থাকবে।

    আরও পড়ুন: ১৮৫ বিমানযাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে এখন ‘হিরো’, কে এই ক্যাপ্টেন মণিকা?

    অস্ট্রেলিয়ান এভিয়েশন কনসালটেন্সি ফার্ম এভিয়েশন প্রজেক্টেস এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর কিথ টনকিন (Keith Tonkin, managing director of Australian aviation consultancy firm Aviation Projects) বলেন, এয়ারলাইন্সের সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু  প্রটোকল আছে যা সবসময় নিশ্চিত করে যে বিমানের দায়িত্বে থাকা কেউ জেগে আছে কিনা। তবে তাঁর মতে, পাইলটদের নিজেদের সাফাই দেওয়ার জন্য অন্তত পক্ষে একটা সুযোগ দেওয়া দরকার। তিনি মনে করেন, নিশ্চয়ই কোন কারণ ছিল যে কারণে তারা জেগে থাকতে পারেননি। যদি তাঁরা কোনও নিয়ম বা আইন ভেঙ্গে থাকে, অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • China Bank Crisis: ব্যাংক বাঁচাতে ট্যাংক মোতায়েন চিনে, উসকে দিল তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের স্মৃতি

    China Bank Crisis: ব্যাংক বাঁচাতে ট্যাংক মোতায়েন চিনে, উসকে দিল তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের স্মৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাংক (Bank) বাঁচাতে ট্যাংক মোতায়েন করল চিনের (China) কমিউনিস্ট (Communist) শাসক। যা দেখে বিশ্ববাসীর মনে ভেসে উঠছে চিনেরই তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের স্মৃতি। ছাত্র বিক্ষোভ দমন করতে তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে নির্বিচারে ট্যাংক (Tank) দেগেছিল সে দেশের কমিউনিস্ট সরকার। প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় দশ হাজার ছাত্র। ব্যাংক বাঁচাতে ট্যাংক মোয়ায়েন করায় ফের উসকে উঠল তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি।

    চিনে ভেঙে পড়ার মুখে ব্যাংকিং ব্যবস্থা। গ্রামীণ ব্যাংকগুলিতে আমানতকারীদের জমা রাখা অর্থ ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। এর বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটেছে মধ্য চিনের হেনান প্রদেশে। ঘটনার প্রতিবাদে সম্প্রতি হাজারেরও বেশি প্রতিবাদী হেনানের রাজধানী ঝেংঝাউতে ব্যাংকে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান।

    আরও পড়ুন : শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    সূত্রের খবর, জনরোষ অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়তে পারে আঁচ করে শানডং প্রদেশের রিঝাও অঞ্চলের একটি ব্যাংকের সামনে ট্যাংক মোতায়েন করেছে শি জিনপিংয়ের সরকার। চিনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর সম্প্রতি একটি বড়সড় আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়িয়েছে চিনের এই ব্যাংকটির। কষ্টার্জিত আমানত খুইয়ে ক্ষোভ উগরে দেন ব্যাংকটির গ্রাহকরা। বিক্ষোভ দেখাতে রিঝাও অঞ্চলে ব্যাংকটির স্থানীয় শাখার সামনে জড়োও হন আমানতকারীরা। যদিও তাঁদের ব্যাংকের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ব্যাংকের সামনে মোতায়েন করা ছিল বেশ কয়েকটি ট্যাংক ও সেনা জওয়ান। ট্যাংক এবং সেনার সমাবেশ থেকে আর প্রতিবাদ করার সাহস পাননি সর্বস্ব খোয়ানো আমানতকারীরা।  

    আরও পড়ুন : বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দেশের একাধিক ব্যাংক দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়িয়েছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাবশালীদের। তবে এ খবর চাপা ছিল দীর্ঘদিন। খবরটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে এপ্রিল মাসে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হেনান ও আনহুই প্রদেশের কয়েকটি ব্যাংকে আমানতকারীদের লেনদেন করতে দেওয়া হচ্ছে না। পরে বেশ কয়েকটি ব্যাংকেও এই ধরনের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। সেই সব অভিযোগ যাতে ‘বিপ্লবে’র আকার ধারণ করতে না পারে, তাই কি ট্যাংক এবং সেনা মোতায়েন কমিউনিস্ট শাসকের? উঠছে প্রশ্ন।

     

  • Pakistan: ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে ভারতকে জ্ঞান! মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, হিন্দু মন্দিরে হামলা

    Pakistan: ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে ভারতকে জ্ঞান! মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, হিন্দু মন্দিরে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) ফের হামলা হল হিন্দু মন্দিরে (Hindu temple attacked)। ফের আতঙ্কিত পাকিস্তানি সংখ্যালঘুরা।  বুধবার করাচির (Karachi) কোরাঙ্গি (Korangi) এলাকার শ্রী মারি মাতা মন্দিরে (Shri Mari Maata Temple) ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ভাঙা হয়েছে দেবতার মূর্তি (idols deities vandalised)। ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় পৌঁছে মন্দির ঘিরে ফেলে। পাশাপাশি এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    প্রাথমিক তদন্তের পরে করাচি পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় ৭-৮ জন ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাদের খোঁজে তদন্ত চলছে। ওই এলাকার এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ছয় থেকে আটজন লোক মোটরসাইকেলে চেপে এসে মন্দিরে হামলা চালায়। কোরাঙ্গির এসএইচও ফারুক সানজরানি জানিয়েছেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।   

    আরও পড়ুন: হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

    গত বছরই পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের করক জেলায় শ্রী পরমহংসজি মহারাজের (Paramhansaji Maharaj) সমাধি এবং কৃষ্ণদ্বার মন্দিরে (Krishnadwar Temple) ভাঙচুরের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিল পাক শীর্ষ আদালত। আদালত পাক সরকারকে মন্দির সংস্কারের নির্দেশ দেয়।

    এক হিন্দু কিশোরের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে গতবছরই রহিম ইয়ার খান জেলার গনেশ মন্দিরে হামলা চালায় দুষ্কৃতিরা। ভাঙচুরের পাশাপাশি মন্দিরের একাংশে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিছুদিন আগেই পাক সন্ত্রাসদমন আদালত ওই ঘটনায় ২২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের জেলের সাজা দিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে পাঠানো হচ্ছে ফাঁকা ড্রোন, ভারতে ফিরছে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক বয়ে!

    কিছুদিন আগেই ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে ভারতের দিকে আক্রমণ শানিয়েছিল পাকিস্তান। সেই পাকিস্তানেই আক্রান্ত সংখ্যালঘু ধর্মীয় বিশ্বাস। নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) মন্তব্য নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সরব হয়েছে পাকিস্তান। যদিও ভারত পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিয়ে বলে, তাদের দেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের যত্ন নিতে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মুখ পুড়ল পাক সরকারের। 

    পাকিস্তানে প্রায়ই হিন্দু মন্দিরগুলি আক্রান্ত হয়। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে সিন্ধু নদীর (Indus River) তীরে কোটরিতে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মন্দিরও ভাঙচুর করা হয়েছিল। 
     

     

  • Bangladesh Fire: বাংলাদেশের রাসায়নিক ডিপোয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত ৪১

    Bangladesh Fire: বাংলাদেশের রাসায়নিক ডিপোয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত ৪১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) দক্ষিণে চট্টগ্রামের (Chittagong) সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত বহু। আহত চার শতাধিক। বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ৪১। তবে বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্য়া প্রায় পঞ্চাশেরও বেশি হতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    মৃতদের মধ্যে ৯ জন ছিলেন দমকল কর্মী এবং ঘটনায় সাড়ে চারশোর বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি শনিবার ঘটে। জানা গিয়েছে, একটি রাসায়নিক কনটেনার ডিপোতে (Chemical Container Depot) একাধিক বিস্ফোরণের পর এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই কন্টেনার ডিপোতে কম করে ৬০০ জন ব্যক্তি কাজ করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা পরে আরও বাড়তে পারে।

    [tw]


    [/tw]

    ডিপোর ডিরেক্টর মহম্মদ মাইনুদ্দিন (Mohammad Moinuddin) বলেন, “রাসায়নিক পদার্থ হাইড্রোজেন পারক্সাইড (hydrogen peroxide)-এর ফলেই আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, দমকল কর্মীরা শনিবার থেকেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করে চলেছে।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রাথমিক বিস্ফোরণের জেরে চার কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা কেঁপে উঠেছিল। তাঁরা জানিয়েছেন, আশা করা হচ্ছে যে দমকল কর্মীরা আজ রাতের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে। আশেপাশের কোনও খাঁড়ি ও বঙ্গোপসাগরে যাতে কোনও ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে না যায় সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।

    সীতাকুণ্ডের (Sitakunda) বিএম কনটেনার ডিপোর (BM Container Depot) অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই দমকলকর্মীরা ছুটে যান কিন্তু সেই আগুনেই মারা যায় নয় জন দমকল কর্মী। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম, যেখানে একসঙ্গে এতজন দমকল কর্মী প্রাণ হারালেন।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে বিধ্বংসী আগুনে মৃত ২৭, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    চট্টগ্রাম হাসপাতালে (সিএমএইচ) দমকল কর্মীসহ আহতদের চিকিৎসা চলছে। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সামরিক হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার (ডিসি) আশরাফ উদ্দিন বলেছেন যে, নিহতদের পরিবারকে ডিসি কার্যালয় থেকে ৫৬০ মার্কিন ডলার (৫০,০০০ বাংলাদেশি টাকা) এবং আহতদের পরিবারকে ২২৪ মার্কিন ডলার (২০,০০০ বাংলাদেশি টাকা) দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: দাবানলের আঁচে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, কাঁপল কাশ্মীরের পুঞ্চ

    বিএম কন্টেনার ডিপোর পরিচালক মজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, “কী কারণে আগুন লেগেছে তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু আমার মনে হয় আগুনের সূত্রপাত কন্টেনার থেকে। আহতদের ভালে চিকিৎসা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চিকিৎসার পুরো খরচ আমরা বহন করব। যাঁরা দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁদের সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে,” একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, “এছাড়া, আমরা সব নিহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেব।”

     

  • Battle of Haifa: কীভাবে কয়েকজন ভারতীয় বদলে দিয়েছিল হাইফার ভাগ্য, একনজরে সেই ইতিহাস

    Battle of Haifa: কীভাবে কয়েকজন ভারতীয় বদলে দিয়েছিল হাইফার ভাগ্য, একনজরে সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, ইজরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ হাইফা বন্দর (Haifa Port) কিনেছে ভারতের আদানি গোষ্ঠী (Adani Group)। কিন্তু, ভারতের সঙ্গে এই ঐতিহাসিক বন্দরের সম্পর্ক আজকের নয়। তা জানতে হলে ফিরে যেতে হবে ১০০ বছর আগে— যখন অটোমান এবং জার্মানদের হাত থেকে এই বন্দর উদ্ধার করেছিল ভারতীয় ঘোড়সওয়ার সেনা। ইতিহাসের সরণী বেয়ে ফিরে দেখা যাক সেই ঘটনা—

    সময়টা ১৯১৮। আজ থেকে ১০০ বছরেরও বেশি আগে। ২৩ সেপ্টেম্বর শুধুমাত্র বল্লম সম্বল করে ভারতীয় ঘোড়সওয়ার সেনারা (Cavalry) মেশিনগানধারী জার্মান-অটোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মুক্ত করেছিল ইজরায়েলের (Israel) হাইফা শহরকে। এই ঘটনা বদলে দেয় সেনার ইতিহাস। এই ঘটনার দুমাস পরেই শেষ হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে। পৃথিবী এমনভাবে বদলে যায়, যার কল্পনা কেউ কোনওদিন করেনি। ভারতীয়রা ইজরায়েলে আজ কেন এত সমাদৃত, তা বুঝতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে আজ থেকে ১০০ বছর পিছনে।

    আরও পড়ুন: বিক্রি হয়ে গেল ইজরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা, বর্তমান মালিক আদানি

    প্রেক্ষাপট

    ইজরায়েলের হাইফা শহর তখন জার্মান এবং তুর্কিদের দখলে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের উত্তেজনা তখন মধ্যগগনে। বিশ্বের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলিকে তখন দখলের চেষ্টায় রয়েছে অ্যালাইড ফোর্স বা মিত্র সেনা এবং সেন্ট্রাল পাওয়ারের দেশগুলি। কারণ বন্দরগুলিকে দখল করতে পারলে শহর দখল করা সহজ হয়। পক্ষান্তরে যুদ্ধ জেতা সহজ হত। হাইফা তৎকালীন সময়ে বাণিজ্য ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বন্দর ছিল।

    মিত্র বাহিনীর অন্তর্গত ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেন এবং রাশিয়ার নজরে ছিল হাইফা, নাজারেথ এবং দামাস্কাস। এই হাইফা এবং নাজারেথ বর্তমান ইজরায়েলের অংশ। দামাস্কাস বর্তমান সিরিয়ার রাজধানী। জার্মান- অটোমানদের থেকে এই হাইফা বন্দর ছিনিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব পড়ে তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনের অধীনস্থ ফিফটিনথ ক্যাভালরি ব্রিগেডের ওপরে। 

    হায়দ্রাবাদ, মাইসোর, পাটিয়ালা, আলওয়ার এবং যোধপুর থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ইম্পেরিয়াল সার্ভিস ট্রুপের অন্তর্গত এই বল্লমধারী ঘোড়সওয়ার সেনাদের। ভারতীয় বল্লমধারী সেনাদের নিয়ে গঠিত এই ঘোড়সওয়ার সেনাবাহিনীকে হাইফা বন্দর আক্রমণের নির্দেশ দেয় ইংরেজ সরকার। কারণ তখন ইংরেজ সৈনিকরা অন্যত্র পাহারায় ব্যস্ত ছিল। 

    কিন্তু এ ছিল এক অসম্ভব এবং অসম যুদ্ধ। কারণ হাইফা শহরের একটু আগেই কারমেল পর্বতে, যুদ্ধের জন্যে সুবিধাজনক উঁচু স্থানে পাহাড়ায় ছিল জার্মান, অস্ট্রিয়ান এবং অটোমান সেনারা। তাদের হাতে ছিল উন্নত আর্টিলারিগান, মেশিনগান। আর ভারতীয় সেনাদের ভরসা শুধুই বল্লম। ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে পাহাড় চড়াও প্রায় এক অসম্ভব কাজ। যেন এক ‘সুইসাইডাল মিশন’। কিন্তু সেদিন এই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছিল ভারতীয় সেনা।   

    যুদ্ধ

    ভারতীয় সেনারা জানতে পারেন, অটোমানরা পাহাড়ের ঢালু অংশের দিকে সবথেকে বেশি মাশিগানধারী সেনা মোতায়েন করেছে। কামান নিয়ে সেনারা পাহাড়ের চার জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে। মাইসোর ল্যান্সারদের ওপর মেশিনগানধারী সেনাদের পূর্ব দিক থেকে আক্রমণ করার দায়িত্ব পরে। যাতে তারা মেশনগানের আগুনের হাত থেকে যোধপুর ল্যান্সারদের (Lancer) সুরক্ষিত রাখতে পারে এবং তারা (যোধপুর ল্যান্সার) যাতে উত্তরদিক থেকে আক্রমণ করে কারমেল পাহাড় এবং হাইফা শহর সহজেই দখল করতে পারে।  

    ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে সেইমতো মাইসোর ল্যান্সাররা পাহাড়ের নীচের ভাগে আক্রমণ চালায়। আর যোধপুর ল্যান্সাররা আক্রমণ চালায় পাহাড়ের মূল অংশে জার্মান সেনাদের ওপরে। অবরোধ করা হয় রাস্তা। মেশিনগান এবং আর্টিলারির সামনে পড়ে যায় যোধপুর ল্যান্সাররা। নদীর চোরাবালিতে বাধাপ্রাপ্ত হয় তারা। কিন্তু এত বাধার পরেও হাইফা শহরে উপস্থিত হয় যোধপুর ল্যান্সাররা। তাদের পেছনেই শহরে ঢোকে মাইসোর ল্যান্সাররা। মেশিনগান, বুলেট কিছুই দমাতে পারেনি এই ভারতীয় বীরদের। ভয়ঙ্করভাবে আহত হওয়ার পরেও লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েনি ভারতীয় সেনা। 

    ঘোড়সওয়ারদের এই দুই রেজিমেন্ট যৌথভাবে ২ জার্মান অফিসার এবং ৩৫ অটোমান অফিসারসহ ১৩৫০ জার্মান এবং অটোমানকে বন্দি বানায়। এছাড়াও ১৭টি আর্টিলারি গান, আটটি ৭৭ এমএম বন্দুক, চারটে ক্যামেল গান ও নেভাল গান এবং ১১টি মেশনগান বাজেয়াপ্ত করে। কিন্তু জয় কি বলিদান ছাড়া আসে! ভারতীয় সেনাদেরও এই জয়ের মূল্য চোকাতে হয়েছিল। যুদ্ধে ৮ জন ভারতীয় সেনার প্রাণ জ্যায়। আহত হয় ৩৪ জন।

    ঘোড়সওয়ার সেনাবাহিনীর প্রধান মেজর দলপত সিং- প্রাণ হারান যুদ্ধে। তাঁর বীরত্বের পুরো ঘটনা ইজরায়েলের পাঠ্যপুস্তকে আজও পড়ানো হয়। ‘হিরো অফ হাইফা’- র খেতাব দেওয়া হয় তাঁকে। এই যুদ্ধে হতবাক হয়েছিল গোটা বিশ্ব। কীভাবে কয়েক জন বল্লমধারী, ঘোড়সওয়ার সেনা সংখ্যায় বহুগুণ বেশি মেশনগানধারী সেনাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে জল ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিল! 

    যুদ্ধের তাৎপর্য 

    সেদিনের যুদ্ধ যে শুধু হাইফা দখলের জন্যই ছিল, তা নয়। ওই যুদ্ধের পর মনোবল ভেঙে গিয়েছিল তুর্কী এবং জার্মান সেনাদের। এছাড়াও ভারতীয় সেনাদের ওপর বিশ্বাস জন্মাতে শুরু করে ইংরেজ সরকারের। এরপর থেকে ভারতীয়দের দিয়ে সেনা বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ানোও শুরু করে ব্রিটিশ সরকার। এরপরেই ১৯২২ সালে দ্য প্রিন্স অফ ওয়েলস রয়্যাল ইন্ডিয়ান মিলিটারি কলেজের প্রতিষ্ঠা হয়।

    ৬১তম ঘোড়সওয়ার রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠা 

    স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে একটি নতুন ঘোড়সওয়ার রেজিমেন্ট তৈরির কথা ভাবা হয়। মাইসোর এবং যোধপুর ল্যান্স্যারদের স্মরণে ১৯৫২ সালে জয়পুরে ৬১তম ঘোড়সওয়ার রেজিমেন্ট গঠন করা হয়। এটাই পৃথিবীর সর্বশেষ ঘোড়সওয়ার বাহিনী। পদ্মশ্রী, অর্জুন পুরষ্কার ছাড়াও একাধিক সম্মান পেয়েছে ভারতের এই ঘোড়সওয়ার বাহিনী। 

    হাইফা যুদ্ধে নিহত ভারতের বীর সেনাদের স্মৃতিতে দিল্লির তিন মূর্তি চকে একটি স্মৃতি সৌধ বানিয়েছে ভারত সরকার। ২০১৮ সালে ওই জায়গার নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাইফা চক’।

LinkedIn
Share