Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bangladesh Crisis: ফের সামরিক শাসনের পথে বাংলাদেশ! কী বলছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান?

    Bangladesh Crisis: ফের সামরিক শাসনের পথে বাংলাদেশ! কী বলছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে কোনও জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি। অনেকে নানা ভুল তথ্য, অপতথ্য নানা ভাবে ছড়াচ্ছে। এতে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। পরিস্থিতি সামলাতে হবে ধৈর্যের সঙ্গে। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) সেনা কর্মীদের উদ্দেশে এমনই আর্জি জানালেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে অরাজকতাই নিত্যসঙ্গী। একদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জামাতের মতো কট্টরপন্থীরা। অপরদিকে বার বার নির্বাচনের দাবি জানোনো খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। এই আবহে দেশে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে সেনা। মনে করা হচ্ছে সামরিক শাসনের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।

    ভোটের দাবি সেনার

    সূত্রের খবর, বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন করিয়ে স্থায়ী সরকার গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে সেনা। রবিবার বাংলাদেশের পদাতিক, জলরক্ষা বাহিনী ও আকাশ রক্ষা বাহিনীর বৈঠকে এই বিষয়ে ঐক্যমত্য হয়েছে। সোমবারও সকাল থেকে সেনা সদরে বৈঠক চলছে। সেনা অভ্যুত্থানের চর্চা ঢাকায়। সতর্কতা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ পুলিশও। উত্তেজনা বাড়ছে পড়শি দেশে। মহম্মদ ইউনূসের (Md Yunus) অন্তর্বর্তী সরকার (Interim Government) আগেই জানিয়েছিল, আগামী বছরের শুরুতে ভোট হতে পারে। এখনই নির্বাচন চায় না ইউনূস সরকার। তবে, বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন চাইছেন সেনা কর্তারা। সেই বিষয়ে সেনা প্রধান ওয়াকার উজ জামানকে তাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন। সেনা ও ছাত্র নেতাদের সংঘাতে বারবার এই প্রশ্ন সামনে আসছে তাহলে কি সামরিক শাসনের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ?

    সেনা প্রধানের বৈঠক

    সোমবার ঢাকায় সেনানিবাসের প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সেনাপ্রধান। সেখানেই কর্মকর্তা ও সৈনিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান বলেছেন, তাঁদের আত্মত্যাগ দেশ সব সময় স্মরণ করবে। তিনি সবাইকে ধৈর্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার কথা বলেন। ওই বৈঠকে দেশে গুজব ছড়ানো নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে সেনাবাহিনী। সেনাপ্রধান দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নানা ধরনের অপপ্রচার, গুজব, উস্কানিমূলক বক্তব্য-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোমবারের বৈঠকে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের সেনা যে গোটা বিষয়ে উদ্বিগ্ন এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে, সে কথাও উল্লেখ করা হয়। সেনাপ্রধান সকলকে, উস্কানিমূলক বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে বারণ করেছেন। মন্তব্য করেন, এমন কিছু করা যাবে না, যাতে উস্কানিদাতাদের লক্ষ্য পূরণ হয়। সেনাবাহিনীর কাছে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেশ ও দেশের জনগণ। সামনে ইদ, সে কথা মনে রেখে সেনাপ্রধান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে হবে। যদি কোনও কারণে কোথাও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়, কঠোরভাবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

    উদ্বিগ্ন সেনাবাহিনী

    মহম্মদ ইউনূসের আমলে সংখ্যালঘু অত্যাচারের পাশাপাশি ভেঙে পড়েছে পদ্মাপাড়ের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, ভঙ্গুর অর্থনীতির জেরে মূল্যবৃদ্ধি মাত্রা ছাড়িয়েছে। এইসঙ্গে সাধারণ মানুষের উপর কট্টরপন্থীদের অত্যাচার। মাথা চারা দিয়েছে জঙ্গিবাদ। সব মিলিয়ে গরিব থেকে মধ্যবিত্ত, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) আমজনতা বিরক্ত। এই অবস্থায় পুলিশের উপর ভরসা না রাখতে পেরে আগেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে ইউনূস সরকার। এরপরেও ধর্মীয় হানাহানির পাশাপাশি রাজনৈতিক সংঘর্ষ, খুন, ধর্ষণের মতো ঘটনায় উদ্বিগ্ন সেনাবাহিনী। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলের প্রশ্ন, সেনাবাহিনীকে যদি দিনের পর দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হয়, ইউনুস সরকার তবে ঠিক কী করছে?

    বাংলাদেশে সামরিক শাসনের ইতিহাস

    উল্লেখ্য, ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করলে জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশের। ওই সময় দেশটির সর্বময় কর্তা ছিলেন আওয়ামি লিগ নেতা তথা ‘বঙ্গবন্ধু’ শেখ মুজিবুর রহমান। সম্পর্কে তিনি ছিলেন হাসিনার বাবা। পাকিস্তানের থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশ তৈরির অন্যতম প্রধান কারিগর ছিলেন মুজিবুর । কিন্তু, নতুন দেশ তৈরির ৪ বছরের মধ্যেই সেনাশাসনের মধ্যে পড়ে বাংলাদেশ। ১৯৭৫-এর ১৫ অগাস্ট ঢাকায় শেখ মুজিবুরের ধানমুণ্ডির বাড়িতে হামলা চালায় বেশ কয়েকজন সেনা অফিসার। গুলি করে তাঁকে হত্যা করে ফৌজ।

    বাংলাদেশে একাধিক সেনা অভ্যুত্থান

    শেখ মুজিব নিহত হওয়ার পর খান্দেকর মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে ইসলামিক শাসন শুরু হয়। নেপথ্য অবশ্য ছিল সেনাবাহিনী। ওই বছরই ৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফের নেতৃত্বে ফের সেনা অভ্যুত্থান হয় বাংলাদেশে। ফলে ক্ষমতায় থেকে যান খান্দেকর মোস্তাক আহমেদ। ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর পদ্মা পাড়ের দেশে তৃতীয়বারের জন্য ঘটে সেনা অভ্যুত্থান। যার নেতৃত্বে ছিলেন বাম মনোভাবাপন্ন বেশ কয়েকজন সেনা অফিসার। এই অভ্যুত্থানে প্রাণ হারান ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ। পরবর্তী দশকগুলিতেও একাধিকবার বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছে। যার মধ্যে ১৯৯৬, ২০০৭, ২০০৯ ও ২০১১ গুরুত্বপূর্ণ। তবে কোনওবারই সাফল্য হয়নি সেনাবাহিনী। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার ৫০ বছরের মধ্যে ১৮ বছর সেনা শাসনে কাটিয়েছে পদ্মা পাড়ের এই দেশ।

  • Bangladesh: বন্ধু পাকিস্তানের চালের দাম বেশি! বাংলাদেশকে ফের হাত পাততেই হল ভারতের কাছে

    Bangladesh: বন্ধু পাকিস্তানের চালের দাম বেশি! বাংলাদেশকে ফের হাত পাততেই হল ভারতের কাছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর ইউনূসের বাংলাদেশ বিবাদে জড়িয়েছে ভারতের (India) সঙ্গে। এই আবহে তাদের সঙ্গে সখ্যতা বেড়েছে পাকিস্তানের। সদ্য পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল কেনার চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। সেই চুক্তি অনুযায়ীই বাংলাদেশের ঘরে ঢুকেছে পাকিস্তানি চাল। একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি হলেও সেই চালের দাম খুবই বেশি। তাই ফের হাত পাততেই হল ভারতের কাছে। জানা গিয়েছে, ভারত থেকে ৯টি প্যাকেজে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এই আবহে ভারত থেকে আমদানির সাড়ে ১১ হাজার টন চাল পৌঁছে গিয়েছে বাংলাদেশে। আরও ৫০ হাজার চাল ভারতের কাছে কিনতে চলেছে বাংলাদেশ।

    ভাঁড়ে মা ভবানী বাংলাদেশকে (Bangladesh) খরচ কত করতে হবে?

    এদিকে ভারতের কাছ থেকে চাল আমদানি করা নিয়ে সাফাই দিতেও শোনা গিয়েছে ইউনূস সরকারকে। তাদের দাবি, খাদ্যের যোগান বাড়াতেই ভারত সরকারের কাছ থেকে এই চাল কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছ, এই চাল কেনার জন্য ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা হওয়া বাংলাদেশকে খরচ করতে হবে প্রায় ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের (Bangladesh) অর্থ মন্ত্রকের উপদেষ্টার তরফে এই খবর ইতিমধ্যে সামনে এসেছে।

    উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকের পরেই সিদ্ধান্ত

    বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারতের মেসার্স এস পাত্তাভি আগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই চাল কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানেই প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ধরা হয়েছে, ৪২৯.৫৫ মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ ডলারের সমান। প্রসঙ্গত, এর আগেও বাংলাদেশ খাদ্য মন্ত্রকের আবেদনে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে (Bangladesh) রফতানি করা হয়েছিল। বাংলাদেশ উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির শীর্ষ আধিকারিকরা বৈঠক করেন। সেখানেই ভারত থেকে চাল কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের তরফে এর আগেও সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া থেকেও চাল কেনা হয়েছিল।

  • Bangladesh: ডামাডোলের বাজারে লে লুটে নে! বাংলাদেশে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা করছেন ইউনূস-ঘনিষ্ঠরা

    Bangladesh: ডামাডোলের বাজারে লে লুটে নে! বাংলাদেশে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা করছেন ইউনূস-ঘনিষ্ঠরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডামাডোলের বাজারে লে লুটে নে! এই হচ্ছে বাংলাদেশের অবস্থা। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশের (Bangladesh) হাল ধরেছেন নোবেল পুরস্কার জয়ী মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। দেশ চালাচ্ছে তাঁর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের ‘ছাত্র কর্মী’ ও ‘উপদেষ্টা’রা ক্রিপ্টোকারেন্সির আকারে অজ্ঞাত উৎসের বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা করেছেন।

    এশিয়াপোস্ট নিউজ’-এর প্রতিবেদনে হইচই (Bangladesh)

    গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এই তথ্য প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ‘দি এশিয়াপোস্ট নিউজ’-এর একটি প্রতিবেদনে। এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডোজ) কর্তৃক বাংলাদেশের ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালীকরণের’ জন্য ২৯ মিলিয়ন ডলারের ইউএসএআইডি প্রকল্প বাতিল করার কয়েক দিন পরে। ‘দি এশিয়াপোস্ট নিউজ’ তাদের সূত্র থেকে প্রাপ্ত স্ক্রিনশট শেয়ার করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ইউনূস সরকারের কাছাকাছি থাকা লোকেরা কোটি কোটি ডলারের সম্পদ করে ফেলেছেন। এই অজ্ঞাত উৎসের অর্থ অনলাইন ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ, বিনান্সে জমা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাত্র সাত মাস আগে ক্ষমতায় এসেছে। এরই মধ্যে ‘ছাত্র কর্মী’ এবং ‘উপদেষ্টা’রা এত অল্প সময়ের মধ্যেই নিজেদের ‘আখের গুছিয়ে’ ফেলেছেন!

    কী বলছে প্রতিবেদন

    দি এশিয়াপোস্ট নিউজ জানিয়েছে, “এই প্রকাশনাগুলি আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয় যে যেসব ব্যক্তি এক সময় ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানোর দাবি করেছিলেন, তাঁরা এখন হয়তো নির্বিচারে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন, এবং এই সবই ঘটছে যখন বাংলাদেশ তার ইতিহাসের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়গুলির একটির মুখোমুখি। এই প্রমাণগুলি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি কেলেঙ্কারিগুলির একটি প্রকাশ করতে পারে।” প্রতিবেদনটিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, “জাতি যখন বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে, তখন প্রশ্নটি থেকে যায়: ন্যায়বিচার কি প্রতিষ্ঠিত হবে, নাকি যাঁরা ক্ষমতায় আছেন তাঁরা তাঁদের সেই মানুষদের শোষণ করতে থাকবেন যাঁদের রক্ষা করার জন্য তাঁরা একসময় শপথ নিয়েছিলেন (Bangladesh)?”

    এশিয়াপোস্ট নিউজের তদন্তে কী উঠে এল

    এশিয়াপোস্ট নিউজের তদন্তে জানা গিয়েছে, ‘ছাত্র কর্মী’ সারজিস আলমের কাছে ৭৭.৬ লক্ষ মার্কিন ডলারের একটি বিশাল সম্পদ জমা হয়েছে। এটি এমন একটি সময়ে হয়েছে, যখন জানা যায়নি তাঁর আয়ের কোনও উৎস। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনও পদেও নেই তিনি। এই আলমই বারবার ভারতকে হুমকি দিয়েছেন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হস্তান্তর করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর ভারত-বিরোধী বক্তব্যের কারণে, এই ইসলামবাদীকে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান সংগঠক করা হয়েছিল। তিনি বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর ২০২৪) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গোপন হুমকি দিয়েছিলেন।

    কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার হদিশ

    এশিয়াপোস্টের নিউজ অনুসারে, নাহিদ ইসলাম (যিনি পূর্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন) তাঁর বাইনান্স অ্যাকাউন্টে ২০৪.৬৪ বিটকয়েনও রাখতেন। এর মূল্য প্রায় ১ কোটি ৯০ লক্ষ মার্কিন ডলার (Muhammad Yunus)। কাকতালীয়ভাবে, রিপোর্ট প্রকাশের সময় নাহিদ ইসলাম তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে যোগ দেন নবগঠিত ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’তে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাজিভ ভূঁইয়া ১১৩ বিটকয়েন জমা করেছিলেন, যা ১ কোটি ২০ লক্ষ মার্কিন ডলারের সমতুল (Bangladesh)। এশিয়াপোস্ট নিউজ অনুসারে, ‘ছাত্র কর্মী’ খান তালাত মাহমুদ রাফির বাইনান্স অ্যাকাউন্টে দেখা গিয়েছে যে তাঁর ১১.০৯ বিটকয়েন রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনও পদে না থাকা সত্ত্বেও, তিনি পূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল পান। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেস সেক্রেটারি, শফিকুল আলমও তাঁর বাইনান্স অ্যাকাউন্টে ১ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি জমা করেছেন।

    অভিযুক্ত ইউনূস

    এত বিপুল সম্পদের জন্য কোনও পরিচিত আয়ের উৎস না থাকায়, এটি ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে এই অর্থ অবৈধ উপায়ে রোজগার করা। মহম্মদ ইউনূসের শাসনকালে জনসেবার নামে দ্রুতই তার কর্মকর্তা এবং ‘ছাত্র কর্মীদের’ কোষাগার পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে, যাঁরা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগণতান্ত্রিক অপসারণের নেপথ্যে ছিলেন। ইউনূসের ট্র্যাক রেকর্ডও উজ্জ্বল নয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকার একটি শ্রম আদালত তাঁকে বাংলাদেশের শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁকে ৬ মাসের সাধারণ কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং ৩০,০০০ টাকা জরিমানাও করা হয় (Bangladesh)। ইউনূস এবং ‘গ্রামীণ টেলিকমের’ আরও তিনজন পরিচালক কোম্পানির কর্মীদের জন্য কল্যাণ তহবিল তৈরি করতে ব্যর্থ হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছিলেন।

    কী বলছে শ্রম আদালত

    শ্রম আদালতের বিচারক, শেখ মেরিনা সুলতানা জানিয়েছিলেন, গ্রামীণ টেলিকমের ৬৭ জন কর্মীকে কোম্পানিতে স্থায়ী করার কথা ছিল, যা হয়নি (Muhammad Yunus)। কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী, লভ্যাংশের ৫ শতাংশ কর্মীদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার কথা, যা বাস্তবায়িত হয়নি। মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে বাংলাদেশে দুর্নীতি এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের ১০০টি অভিযোগের মুখোমুখি হচ্ছেন। ২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ইউনূস ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দরিদ্রদের ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার জন্য। তিনি আগে বাংলাদেশ সরকারের অবসর নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য তাঁর ব্যাংকের ম্যানেজার হিসেবে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন।

    ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা

    ২০১৩ সালে সরকারি অনুমতি ছাড়াই টাকা নেওয়ার জন্য ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। দরিদ্রদের অত্যন্ত চড়া সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা তাঁকে ‘রক্তচোষা’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এক্সক্লুসিভ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দুদিন পর, ‘রুমার স্ক্যানার’ নামে একটি প্রচার পোর্টাল, যা ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ ওয়েবসাইট হিসেবে ছদ্মবেশ ধারণ করে, সরকারি কর্মকর্তাদের এবং ইউনূস শাসনের ঘনিষ্ঠ ‘ছাত্র কর্মীদের’ বিরুদ্ধে উন্মোচিত তথ্য নিয়ে একটি নিবন্ধ লেখে। তাতে অভিযোগ করা হয়, স্ক্রিনশটগুলি ‘ডিজিটাল এডিটিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে বদল করা হয়েছে’ এবং ‘একটি অবিশ্বস্ত উৎসের ভিত্তিতে’ প্রচার করা হচ্ছে (Bangladesh)।

    কী বলছেন বাংলাদেশের সাংবাদিক

    বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক সালাহউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী বলেন, ‘রুমার স্ক্যানার’ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেস সেক্রেটারির অফিস থেকে পরিচালিত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এই একই প্রেস সচিব শফিকুল আলমের নাম ‘দ্য এশিয়া পোস্ট নিউজ’-ও প্রকাশ করেছে। তার পরেই স্ক্যানার তাদের প্রতিবেদনকে ‘ভুয়া খবর’ হিসেবে চিহ্নিত করতে কোমর কষে নামে। ‘দ্য এশিয়া পোস্ট নিউজ’ অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের দুর্নীতি উন্মোচন করে একটি সমালোচনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক মাস হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও, এই বিষয়ে কোনও তদন্ত শুরু করা হয়নি। বরং, প্রতিবেদনটির সত্যতা চাপা দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়েছে (Muhammad Yunus)।

    প্রসঙ্গত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জোরদার হতেই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তার পরেই বাংলাদেশে শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। দেশের অস্থির পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্ষমতার রাশ তুলে দেওয়া হয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। এই সরকারেরই প্রধান হন ইউনূস। অভিযোগ, তার পর থেকে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে দুর্নীতি। যার জেরে আদতে আখের গুচ্ছোচ্ছেন আন্দোলনের হোতাদের অনেকেই। দুর্নীতির এই পাঁকে আটকে গিয়ে (Muhammad Yunus) থমকে গিয়েছে বাংলাদেশের উন্নয়ন (Bangladesh)।

  • Mark Carney: সরকার ভেঙে দিলেন কানাডার নয়া প্রধানমন্ত্রী কার্নে, কারণ কী জানেন?

    Mark Carney: সরকার ভেঙে দিলেন কানাডার নয়া প্রধানমন্ত্রী কার্নে, কারণ কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শপথ গ্রহণ করেছিলেন ১৪ মার্চ। তার ঠিক ন’দিনের মাথায় সরকার ভেঙে দিলেন কানাডার (Canada) নয়া প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নে (Mark Carney)। কার্নের আগে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লিবারেল পার্টির জাস্টিন ট্রুডো। ভারতের সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর পর ঘরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রুডো। ট্রুডোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন লিবারেল পার্টরই অনেক সাংসদ। শেষমেশ একপ্রকার বাধ্য হয়েই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন ট্রুডো।

    ২৮ এপ্রিল দেশে সাধারণ নির্বাচন (Mark Carney)

    লিবারেল পার্টির তরফে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানো হয় কার্নেকে। সেই কার্নেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে অনুরোধ করেন গভর্নর জেনারেলের কাছে। অনুরোধ করেন ২৮ এপ্রিল দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে। সেই মতো ওই দিনই হচ্ছে কানাডার নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই নয়া সরকার বেছে নেবেন কানাডাবাসী। কার্নে জানান, প্রতিবেশী আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে কানাডার নাগরিকদের জন্য সময় আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। ট্রাম্প অনবরত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়ে কানাডাকে চাপে রাখতে চাইছেন। শক্ত হাতে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা দরকার। কার্নে চান, এই কঠিন সময়ে দেশকে কে নেতৃত্ব দেবেন, সেই সিদ্ধান্ত নিন কানাডাবাসীই। সেই কারণেই সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের ডাক দিয়েছেন কার্নে।

    কী লিখেছেন কার্নে?

    রবিবার রাতে সমাজ মাধ্যমে কার্নে লিখেছেন, “আমি এই মাত্র গভর্নর জেনারেলকে বললাম পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে এবং আগামী ২৮ এপ্রিল সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করতে। তিনি রাজি হয়েছেন। জি৭-এ আমাদের কানাডাকে সব চেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি করে তুলতে হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। দেশের জন্য এই পরিশ্রম কে বা কারা করবেন, তা ঠিক করার অধিকার কানাডার মানুষেরই। তাঁরা সেই অধিকারের দাবিদার।” তিনি বলেন, “কানাডাকে সুরক্ষিত করে তোলার জন্য অনেক কাজ বাকি আছে। এখানে বিনিয়োগ করতে হবে, কানাডাকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনৈতিক শুল্ক হুঁশিয়ারির মুখে কানাডায় যে সঙ্কট নেমে এসেছে, তার মোকাবিলা করতে হবে। সেই কারণেই আমি জনগণের কাছ থেকে এ বিষয়ে কঠোর আদেশ চাইছি।”

    ঘুরে যায় হাওয়া

    কানাডায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের অক্টোবরে। নানা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ট্রুডোর আমলে লিবারেল পার্টির থেকে কনজারভেটিভরা কিছুটা এগিয়ে গিয়েছেন। এর পরেই শুরু হয় ট্রুডোকে সরানোর তোড়জোড় (Canada)। নয়া প্রধানমন্ত্রী পদে বসানো হয় কার্নেকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রুডোকে সরানোর পর থেকেই ঘুরে যায় হাওয়া। সেই হাওয়াকে স্ব-দলের নৌকার পালে লাগাতে চাইছেন কার্নে। সেই কারণেই অকাল নির্বাচন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের তরফে কানাডার প্রতি বড়সড় হুমকি উঠে এসেছে। ট্রাম্পের সেই হুমকি প্রসঙ্গে কার্নে বলেন, “তিনি (ট্রাম্প) আমাদের ভেঙে ফেলতে চান, যাতে আমেরিকা আমাদের মালিকানা নেয়, আমরা কখনওই তা হতে দেব না।” তিনি আগেই বলেছিলেন, “ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আমার নয়া জনমতের প্রয়োজন।”

    জনপ্রিয়তায় এগিয়ে কার্নে

    কার্নে (Mark Carney) জনপ্রিয়তায় এগিয়ে যান মধ্যবিত্ত শ্রেণির কর কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে। তাঁর পূর্বসূরী ট্রুডোর ঘোষিত বেশ কিছু পদক্ষেপের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করেন তিনি। এর মধ্যে ছিল কার্বন কর বাতিল এবং মূলধন লাভ বৃদ্ধি। শনিবারই লিবারেল পার্টি ঘোষণা করেছিল, কার্নে জাতীয় রাজধানী অটোয়ার শহরতলির অন্টারিওর নেপিয়ান আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। লিবারেল পার্টির তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে আমাদের নেতা মার্ক কার্নে, আগামী নির্বাচনে নেপিয়ানের জন্য আমাদের প্রার্থী হবে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, অটোয়া ছিল সেই জায়গা যেখানে কার্নে তাঁর পরিবারকে লালন-পালন করেছিলেন, জনসেবায় উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর কর্মজীবন এবং সর্বদা তাঁর সম্প্রদায়কে রিটার্ন দিয়েছিলেন (Mark Carney)।”

    কী বলেছিলেন কার্নে

    ন’দিন আগে (Canada) কার্নে যখন নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তার কিছু দিন আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে কানাডার। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরেই কার্নে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নিয়ে কথা বলেন। কানাডার পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপকে নিজেদের জীবনের সব চেয়ে বড় সঙ্কট হিসেবে অভিহিত করেন কার্নে। সেদিন তিনি বলেছিলেন, “আমরা এই (বাণিজ্য) লড়াই চাইনি। কিন্তু কানাডিয়ানরা সব সময় প্রস্তুত থাকে যখন কেউ তার হাতের গ্লাভস ফেলে দেয়। তো মার্কিনিদের কোনও ভুল করা উচিত নয়।” তিনি বলেন, “হকি খেলার মতো বাণিজ্য (Canada) লড়াইয়েও কানাডা জিতবে (Mark Carney)।”

  • Bangladesh Crisis: ভারত-বিরোধী ইউনূসের বাংলাদেশে তুমুল শ্রমিক বিক্ষোভ, কাজের দাবিতে উত্তাল ঢাকা

    Bangladesh Crisis: ভারত-বিরোধী ইউনূসের বাংলাদেশে তুমুল শ্রমিক বিক্ষোভ, কাজের দাবিতে উত্তাল ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারখানা পুনরায় খোলার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) রাজধানী ঢাকায় শনিবার হাজার হাজার শ্রমিক একত্রিত হয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। দুই ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ থাকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। যার ফলে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয় এবং যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। শ্রমিকদের দাবি ছিল, বার্ষিক ছুটি, বকেয়া বেতন এবং বোনাস দ্রুত প্রদান করতে হবে। শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে অশান্ত বাংলাদেশে (Yunus Government) চলমান বিক্ষোভের ফলে একাধিক ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই বিক্ষোভে অনেক শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছে অথবা গুরুতর আহত হয়েছে।

    রমজানে বাংলাদেশি জনগণের দুর্দশা

    বিক্ষোভের কারণ গাজীপুর জেলার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি “জায়ান্ট কনিট গার্মেন্ট” এর শ্রমিকরা ফ্যাক্টরি বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্তের পর বিক্ষোভ শুরু করেন। গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ফারুক হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বার্ষিক ছুটি, বোনাস এবং বকেয়া পাওনা দাবি করে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষ তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কারখানা বন্ধের নোটিশ জারি করে। এই আবহে, ছুটি এবং বোনাস নিয়ে আলোচনা চললেও শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান হয়নি। রমজান মাসেই বাংলাদেশি জনগণের দুর্দশায় একজন বিক্ষোভকারী শ্রমিক বলেন, ‘‘আমরা পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করছি। ঈদ চলে আসছে, কিন্তু আমাদের ছুটি এবং বোনাসের কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফ্যাক্টরি খোলা হোক এবং আমাদের পাওনা পরিশোধ করা হোক।’’ বেতন না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ এই সপ্তাহে, একদল শ্রমিক গাজীপুরের ভোগরা বাইপাসে ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। তাদের অভিযোগ, ৩০০-রও বেশি শ্রমিক বেতন পায়নি এবং কর্তৃপক্ষ তাদের বেতন প্রদান না করার বৈধ কারণও জানায়নি।

    সাম্প্রতিক সময়ে বন্ধ নানা কারখানা

    সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) নানা প্রান্তে এক সপ্তাহে ১৫টি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ১৫টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে। তারা একটি ফ্যাক্টরি বন্ধের অভিযোগ এবং শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে অংশ নেয়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) এর ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কা এবং ভুটানের পর দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় সর্বোচ্চ নিম্ন-মজুরি কর্মীসহ দেশ।

    অর্থনীতিবিদদের উদ্বেগ

    ইউনূস সরকারের (Yunus Government) অধীনে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যে অর্থনীতিবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বাড়তি বৈষম্যের কারণে কম আয়ের এবং অদক্ষ শ্রমিকদের খাদ্য ভোগ কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই, বাংলাদেশে বেতন না পাওয়া এবং শ্রমিকদের খারাপ কাজের পরিস্থিতির কারণে বিক্ষোভ এবং ধর্মঘটের ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এই কয়েক মাসে শ্রমিকদের বিক্ষোভের কারণে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিক্ষোভের সময় বহু শ্রমিকরা প্রাণ হারিয়েছে বা গুরুতর আহত হয়েছে।

    বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই নানা সঙ্কট

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সাম্প্রতিক ঘটনাবলি দেখে অনেক বিশেষজ্ঞ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মডেল শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। আমেরিকার সাহায্য বন্ধের কারণে বাংলাদেশের সমস্যা আরও বেড়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ১০ লাখের বেশি মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। অনেক শিল্প-কারখানাও স্থবির হয়ে পড়েছে। ভারতের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে ঝগড়া করতে গিয়েই নিঃশব্দে বিপদকে কাছে টেনে এনেছে ঢাকা। ভারতবন্ধু বলে পরিচিত হাসিনা সরকারের পতনে বাংলাদেশের মূলমন্ত্র ছিল ভারত-বিরোধিতা। সেই জন্য বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরও চলতে থাকে ক্রমাগত নির্যাতন। যার জেরে বাংলাদেশের প্রকৃত উন্নতি ব্যহত হতে থাকে। ক্রমে অর্থনৈতিক সঙ্কট বাড়তে থাকে।

    বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা

    সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাঙ্কের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জিডিপি প্রবৃদ্ধির নতুন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনৈতিক কর্মসূচি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমে গিয়েছে বিনিয়োগকারীদের আস্থা। এমন পরিস্থিতি এবং নীতি অনিশ্চয়তার কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমানো হয়েছে। বাংলাদেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ঘাটতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধীর প্রবৃদ্ধি মোকাবিলা করছে। পদ্মাপাড়ে ক্রমেই বাড়ছে বেকারত্বের হার। মুদ্রাস্ফীতি চরমে উঠছে। বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। বদলের বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলাই বিদ্যমান।

  • Mahmud Abbas: এবার গাজা রক্ষায় হামাসকে অনুরোধ প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্টের

    Mahmud Abbas: এবার গাজা রক্ষায় হামাসকে অনুরোধ প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গাজা রক্ষায় হামাসকে (Hamas) অনুরোধ প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের (Mahmud Abbas)। শনিবার আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলন তাদের ইসলামিস্ট প্রতিদ্বন্দ্বী হামাসকে গাজা উপত্যকায় প্যালেস্তাইনিদের অস্তিত্ব রক্ষায় ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ফাতাহ মুখপাত্র মুনথের আল-হায়েক গাজা থেকে এক বার্তায় বলেন, “হামাসকে গাজা, এর শিশু, নারী ও পুরুষদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে হবে।”

    ফাতাহ মুখপাত্রের অনুরোধ (Mahmud Abbas)

    তিনি হামাসকে শাসন থেকে সরে দাঁড়াতে এবং সম্পূর্ণভাবে স্বীকার করতে বলেছেন যে যদি তারা গাজায় ক্ষমতায় থাকে তাহলে আগামী লড়াইয়ে প্যালেস্তাইনিদের অস্তিত্বের অবসান ঘটবে। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে হামাস ফাতাহ-নিয়ন্ত্রিত প্যালেস্তাইন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গাজার ক্ষমতা দখল করে। পরবর্তী কালে একাধিকবার সমঝোতার চেষ্টা হলেও, তা ব্যর্থ হয়।

    প্রতিশোধ নিতে গাজায় হামলা

    ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ও অন্যান্য প্যালেস্তাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামলা চালায় ইজরায়েলে। এরই প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় হামাসের ডেরায় হামলা চালায় ইজরায়েলি সেনা। তার জেরে বিধ্বস্ত হয়েছে গাজা উপত্যকা। হামাস বারবার বলেছে, যুদ্ধ শেষ হলে তারা গাজায় ক্ষমতা ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। যদিও অস্ত্র ত্যাগ করতে রাজি নয় তারা (Mahmud Abbas)।

    হামাস মুখপাত্র আব্দুল লতিফ আল-কানু শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা প্রশাসন সংক্রান্ত যে কোনও চুক্তি মেনে নিতে প্রস্তুত, যদিও চুক্তিতে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী নই।” তিনি বলেন, “জাতীয় ঐক্যই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, হামাস যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা পরিচালনা ও পুনর্গঠন তদারকির জন্য পেশাদার ও প্রযুক্তিবিদদের একটি স্বাধীন কমিটি গঠনে মিশরের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে।

    আব্বাস বলেন, ওই কমিটিকে রামাল্লাভিত্তিক প্যালেস্তাইন অথরিটিকে রিপোর্ট করতে হবে, যা তাঁর মতে গাজা শাসনের একমাত্র বৈধ সত্তা, কিন্তু ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার এটি প্রত্যাখ্যান করেছে। উল্লেখ্য যে, গাজা যুদ্ধে ১৯ জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে মতবিরোধের পর, ইজরায়েল মঙ্গলবার ফের বিমান হানা শুরু (Hamas) করে। তার পরের দিন শুরু হয় স্থল অভিযান (Mahmud Abbas)।

  • Sunita Willams: মহাকাশে ৯ মাস সঙ্গী ছিল গণেশ মূর্তি, গীতা থেকেই প্রেরণা পেয়েছিলেন সুনীতা

    Sunita Willams: মহাকাশে ৯ মাস সঙ্গী ছিল গণেশ মূর্তি, গীতা থেকেই প্রেরণা পেয়েছিলেন সুনীতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আট দিনের জন্য মহাকাশে গিয়ে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দীর্ঘ ৯ মাস ইন্ট্যারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে কাটান সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Willams)। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতাকে মহাশূন্যে প্রেরণা দিয়েছিল ভগবদ্গীতা (Bhagvad Gita)। পৃথিবীর বাইরে এই দীর্ঘ সময় নিজের শিকড় ও ধর্মীয় বিশ্বাসকে ধরে রেখেছিলেন সুনীতা। নিজের সঙ্গে একটি গণেশ মূর্তি নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সুনীতা জানান, ধর্মগ্রন্থ ও ধর্মীয় প্রতীক তাঁকে মানসিক শান্তি দেয় এবং নিজের লক্ষ্যের প্রতি আরও মনোনিবেশ করার শক্তি জোগায়।

    গীতার বার্তা ও আধ্যাত্মিক শক্তির আশ্রয়

    প্রথম মহাকাশ অভিযানে (২০০৬ সালে) সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Willams) ভগবদ্গীতার (Bhagvad Gita) একটি কপি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন, গীতার কর্মযোগের বার্তা জীবনের প্রতিটি সংগ্রামে জয়ী হতে সাহায্য করে। মহাশূন্যের নিঃসঙ্গতা ও চাপের পরিস্থিতিতেও গীতার শিক্ষা তাঁকে মানসিকভাবে শক্তিশালী রেখেছে। ২০১২ সালে দ্বিতীয়বার মহাকাশ ভ্রমণের সময় তিনি শিবের একটি ছবি এবং ওঁ প্রতীক সঙ্গে রেখেছিলেন। মহাশূন্যে এই আধ্যাত্মিক শক্তির সংস্পর্শে থাকায় তিনি আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য ধরে রাখতে পেরেছিলেন।

    গণেশের প্রতি বিশ্বাস

    ২০২৪ সালের অভিযানে যাওয়ার সময়ও সুনীতা গণেশের একটি মূর্তি তাঁর সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন, গণেশের আশীর্বাদ তাঁকে সমস্ত বাধা থেকে রক্ষা করে। মহাকাশযানের প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ৯ মাস মহাকাশে আটকে থাকলেও গণেশের প্রতি তাঁর বিশ্বাস অটুট ছিল। তিনি মনে করেন, গণেশ তাঁর জন্য সৌভাগ্যের প্রতীক এবং সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রমের শক্তি।

    দোল মাতার আশীর্বাদ

    সুনীতা উইলিয়ামসের (Sunita Willams) পৈতৃক গ্রাম ভারতের গুজরাটের গান্ধীনগরের কাছে ঝুলসান। এখানে অবস্থিত কুলদেবী দোল মাতার মন্দিরের প্রতি তাঁর অগাধ বিশ্বাস। প্রথম অভিযানের আগে তিনি এই মন্দির থেকে প্রসাদ হিসেবে একটি চুনারি নিয়ে গিয়েছিলেন। মহাকাশযাত্রায় যাওয়ার আগে তাঁর নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য গ্রামে দোল মাতার মন্দিরে টানা ৯ মাস ধরে বিশেষ প্রার্থনা চলেছে। মন্দিরে অখণ্ড জ্যোতি প্রজ্জ্বলিত করা হয়েছিল এবং তাঁর নিরাপত্তার জন্য ধারাবাহিক প্রার্থনা করা হয়েছিল।

    মহাকাশে ভরসা আধ্যাত্মিকতা 

    সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Willams) শুধু একজন বিজ্ঞানী বা মহাকাশচারী নন, বরং তিনি আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাসী এক সাহসী নারী। মহাকাশের নিঃসঙ্গতা ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও তিনি আধ্যাত্মিক বিশ্বাসকে শক্তির উৎস হিসেবে গ্রহণ করেছেন। সুনীতার কথায়, এই ধর্মীয় উপকরণ তাঁকে মহাকাশের নির্জন পরিবেশে মনের জোর ধরে রাখতে সাহায্য করে।

  • Bangladesh Crisis: সনাতন ধর্মের অবমাননা! উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিক্ষোভ হিন্দু পড়ুয়াদের

    Bangladesh Crisis: সনাতন ধর্মের অবমাননা! উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিক্ষোভ হিন্দু পড়ুয়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্ম (Sanatan Dharma) অবমাননার অভিযোগে প্রতিবাদ করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) হিন্দু পড়ুয়ারা (Hindu students)। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় লাগোয় রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু-ছাত্রছাত্রীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সম্মিলিত সনাতন নাগরিক জোটের সদস্যরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Bangladesh Crisis) রেজিস্ট্রার পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

    বিতর্কের সূত্রপাত সোশ্যাল সাইটের পোস্ট

    বিতর্কের সূত্রপাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র আবু সায়েমের একটি ফেসবুক পোস্ট (face book post)। তাতে সে হিন্দু ধর্মকে অবমাননা (insult to Hindu dharma) করে আপত্তিজনক কথাবার্তা লেখে। জাকি আহম্মেদ নামে আর এক ছাত্র হিন্দুদের হত্যা (call for killing) করার ডাক দেয়। ওই দুই ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবিতে পথে নামে হিন্দু ছাত্ররা। তারা স্লোগান দেয়, ‘মানি না, মানব না, ধর্মের অবমাননা’। তাদের দাবি, ‘এক দুই তিন চার চাই সায়েমের বহিষ্কার’।

    ছাত্রদের ৩ দফা দাবি

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের ছাত্র সৌরভ বালাই এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমরা এ দেশের নাগরিক। আমরা চাই যেন নাগরিকের সম্মান নিয়ে বাঁচতে পারি।’ তিনি অভিযোগ করেন, সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ বন্ধ করতে সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে। এক ছাত্রী বলেন, যে ধরনের পোস্ট দেওয়া হয়েছে, তা কোনও সংখ্যালঘু দিলে অনেক আগেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়ে দিত। অভিযুক্ত সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের বলেই প্রশাসন হাত গুটিয়ে আছে। আর এক ছাত্রী বোটানি বিভাগের সুমি বিশ্বাস দাবি করেন, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। রেজিস্ট্রারের কাছে হিন্দু পড়ুয়ারা যে দাবিপত্র পেশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ম অবমাননার ঘটনা নির্মূল করতে হবে। অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে পাকাপাকিভাবে বহিষ্কারের পাশাপাশি হিন্দু ছাত্ররা শিক্ষকদের বিষয়েও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, বাংলা, সংস্কৃত বিভাগে সাহিত্য সমালোচনার ক্লাসে শিক্ষকদের অনেকেই হিন্দু ধর্মের বিকৃত ব্যাখ্যা, অবমাননামূলক মন্তব্য করে থাকেন। শিক্ষকদেরও সতর্ক করতে বলেছে হিন্দু ছাত্ররা।

    ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

    এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দফতর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা এবং পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ প্রদানের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সান্টু বড়ুয়া, সদস্যসচিব হিসেবে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের অতিরিক্ত পরিচালক মোস্তাক আহমেদ। এ ছাড়া বাকি তিনজন হলেন সহকারী প্রক্টর মুহা. রফিকুল ইসলাম, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশিস পাল এবং প্রাধ্যক্ষ স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন।

  • ISI: পাক সেনা প্রধান আসিম মুনিরের বিরুদ্ধে লেখা! সাংবাদিক আহমদ নূরানির দুই ভাইকে নিয়ে গেল আইএসআই

    ISI: পাক সেনা প্রধান আসিম মুনিরের বিরুদ্ধে লেখা! সাংবাদিক আহমদ নূরানির দুই ভাইকে নিয়ে গেল আইএসআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানি সাংবাদিক আহমদ নূরানি (Ahmad Noorani) ১৯ মার্চ তার এক টুইট বার্তায় অভিযোগ করেন যে, পাকিস্তানের ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (ISI) তার দুই ভাইকে ইসলামাবাদে অপহরণ করেছে। তারা নির্যাতিত হতে পারে, এই আশঙ্কায় রয়েছেন নূরানির মা আমিনা বাশির। তিনি মানবাধিকার আইনজীবী ইমান জাইনাব এর মাধ্যমে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেছেন।

    কী ঘটেছিল

    আহমদ নূরানি একজন সাংবাদিক। তিনি গত পাঁচ বছর ধরে ওয়াশিংটনে (যুক্তরাষ্ট্র) বসবাস করছেন। তিনি ফ্যাক্টফোকাসপাক নামক একটি পোর্টাল পরিচালনা করেন, যেখানে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রতিবেদনের একটি শিরোনামে বলা হয়েছে, “জেনারেল আসিম মুনিরের অধীনে পাকিস্তান (ISI) সেনাবাহিনী কীভাবে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর অযাচিত প্রভাব বিস্তার করছে।” নূরানি তাঁর প্রতিবেদন প্রকাশের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, ১৭ মার্চ, আইএসআই তাঁর পিতৃভূমিতে ঢুকে, বাড়ি তছনছ করে এবং দুই ভাইকে মায়ের সামনে পিটিয়ে নিয়ে যায়। তাদের নিয়ে যাওয়া হয় অজানা স্থানে।

    কী ছিল নূরানির প্রতিবেদনে

    নূরানি তাঁর প্রতিবেদনে দাবি করেছেন যে, জেনারেল মুনিরের দুই মেয়েকে অবৈধভাবে কূটনৈতিক পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান (Pakistan) সরকার এবং সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অনৈতিকভাবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ঘটনা ঘটছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বর্তমান চেয়ারম্যান মহসিন নকভি, যিনি জেনারেল মুনিরের শাশুড়ির নিকটাত্মীয়, তার নিয়োগও শুধুমাত্র মুনিরের প্রভাবের কারণে। প্রতিবেদনটি জেনারেল মুনিরের আত্মীয়দের দ্রুত পদোন্নতি ও তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছে, যা পাকিস্তানে বর্তমানে এক ধরনের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক দুর্নীতির প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ ধরনের প্রতিবেদন এবং নূরানির পরিবারকে লক্ষ্য করে আক্রমণ দেশটির সাংবাদিকতার স্বাধীনতার উপর বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে আইএসআই এবং সেনাবাহিনী প্রকাশ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ উঠছে।

  • Israel: যুদ্ধ বিরতি বিশ বাঁও জলে! হামাসকে ধ্বংস করতে গাজায় স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েল

    Israel: যুদ্ধ বিরতি বিশ বাঁও জলে! হামাসকে ধ্বংস করতে গাজায় স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজায় (Gaza) ফের একবার জোরালো হামলা ইজরায়েলের (Israel)। গত মঙ্গলবারই গাজার মাটিতে মুহুর্মুহু বিমান হামলা চালাল ইজরায়েল। এই আবহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তরফে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ থামানোর উদ্যোগ আপাতত জলে গেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্যালেস্তাইনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে ইজরায়েলি হামলায় চারশোর বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। তবে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) দাবি, সন্ত্রাসীদের ওপরেই তারা এই হামলা চালাচ্ছে।

    ২০টিরও বেশি যুদ্ধ বিমানে এয়ার স্ট্রাইক (Israel)

    সূত্রের খবর, হামলায় গাজার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং হামাসের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাহমুদ আবু ওয়াফাহ নিহত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। তারপরেই বন্ধ ছিল হামলা। এরপরে গাজায় এটিই সবচেয়ে বড় এয়ার স্ট্রাইক চালাল ইজরায়েল (Israel)। যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আলোচনা সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ২০টিরও বেশি ইজরায়েলের (Israel) যুদ্ধবিমান গাজা, রাফাহ সহ অন্যত্র হামলা চালায়। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে নিহতদের মধ্যে ৫০ জনেরও বেশি শিশু। এরমধ্যে ২৮ জন নারী রয়েছেন।

    আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার পরেই এই হামলা! দাবি হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিবের

    আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার পরেই মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজা ভূখণ্ডে ভয়ঙ্কর হামলা চালায় ইজরায়েল। এই দাবি করেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিব ক্যারোলিন লেভিট। আমেরিকান ফক্স নিউজকে লেভিট জানিয়েছেন, গাজায় হামলা করার বিষয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এবং হোয়াইট হাউসের সঙ্গে আলোচনা করেন ইজরায়েলি প্রতিনিধিরা। এইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেমন স্পষ্টই করে দিয়েছেন হামাস, হুথি, ইরান — যারা শুধু ইজরায়েলেই নয়, আমেরিকাতেও সন্ত্রাস পাকাতে চায়, তাদের মূল্য চোকাতে হবে, তাদের উপর নরক বর্ষিত হবে।” উল্লেখ্য, হামাস সব পণবন্দিকে মুক্তি দেবে, নয়তো তাদের উপর ‘নরক বর্ষিত’ হবে, এই হুঁশিয়ারি দিতে আগেই শোনা গিয়েছিল ট্রাম্পকে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে প্রথম হামলা চালায় হামাস। তখন থেকেই শুরু হয় যুদ্ধ।

LinkedIn
Share