Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Noor Khan Airbase: ভারতের হামলায় পর্যুদস্ত নূর খান বিমান ঘাঁটি এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে, পাক সেনার প্রবেশও নিষেধ!

    Noor Khan Airbase: ভারতের হামলায় পর্যুদস্ত নূর খান বিমান ঘাঁটি এখন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে, পাক সেনার প্রবেশও নিষেধ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানের (Pakistan) নূর খান বিমান ঘাঁটিতে ব্যাপক আক্রমণ চালায় ভারত। এর ফলে, পাকিস্তানের এই অন্যতম বিমান ঘাঁটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবার এক চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে এসেছে। একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে পাকিস্তানের ওই বিমান ঘাঁটিটি আদতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইন্টারনেটে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ইমতিয়াজ গুল দাবি করছেন যে বিমান ঘাঁটিটি (Noor Khan Airbase) সম্পূর্ণ মার্কিন নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কোনও পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের ওই বিমান ঘাঁটিতে হস্তক্ষেপ করার অনুমতিও নেই।

    আমেরিকার বিমান ওঠানামা করছে সেখানে! (Noor Khan Airbase)

    ওই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ আরও দাবি করছেন, নূর খান বিমান ঘাঁটিতে প্রতিমুহূর্তেই আমেরিকার বিভিন্ন বিমান দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেই বিমানের মধ্যে কী রয়েছে তার সম্পর্কে কোনও স্পষ্টতা কিছু নেই। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন ওই নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। একটি ভিডিওয় ওই বিশেষজ্ঞ আরও দাবি করেন যে, একদিন যখন মালপত্র নামানো হচ্ছিল, পাক বায়ুসেনার এক শীর্ষ আধিকারিক, মার্কিন মেরিনকে প্রশ্ন করেন যে কার্গোর ভিতরে কী রয়েছে। মার্কিন নৌসেনা সাফ জানায়, তারা কিছু জানাতে পারবে না। জোরাজুরি করতেই, সঙ্গে সঙ্গে তার মাথায় পিস্তল তাক করে ওই মার্কিন সেনা।

    একথা বলার অপেক্ষা রাখে না, পাকিস্তানের (Pakistan) বিশেষজ্ঞের এমন দাবি লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেদেশে। প্রসঙ্গত পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডের চাকলালায় অবস্থিত হল এই নূর খান বিমান ঘাঁটি। এটি পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান বিমান ঘাঁটি।

    ভারতের কাছে মার খাওয়ার পরেও ফিল্ড মার্শাল মুনির

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের (Noor Khan Airbase) সেনাপ্রধান জেনারেল আসিফ মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়েছে। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে একথা জানানো হয়েছে। ষাট বছর পরে একজন জেনারেলকে এই পদে উন্নীত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সামরিক দিক থেকে ভারতের কাছে প্রত্যাঘাত খাওয়ার পরে এমন এমন সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান। এক্ষেত্র উল্লেখ করা দরকার ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানে তৎকালীন স্বৈরাচারী শাসক জেনারেল আয়ুব খান নিজেই নিজেকে ফিল্ড মার্শাল পদে নিযুক্ত করেছিলেন। এটি একটি পদ যা অসাধারণ নেতৃত্ব এবং যুদ্ধকালীন কৃতিত্বের জন্য দেওয়া হয়। কিন্তু ভারতের কাছে মার খাওয়ার পরে মুনির কী ধরনের কৃতিত্ব দেখালেন (Noor Khan Airbase)! সে প্রশ্ন উঠছে।

  • CPEC: পাক অধিকৃত গিলগিট-বালটিস্তানে নজিরবিহীন গণবিপ্লব, হাইওয়ে অবরোধ, মুখে কুলুপ চিনের

    CPEC: পাক অধিকৃত গিলগিট-বালটিস্তানে নজিরবিহীন গণবিপ্লব, হাইওয়ে অবরোধ, মুখে কুলুপ চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক অধিকৃত গিলগিট-বালটিস্তানে (POK) নজিরবিহীন গণবিপ্লব। বিপাকে ইসলামাবাদ ও বেজিং। টানা তিনদিন ধরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারাকোরাম হাইওয়ে সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা (Gilgit Baltistan)। ফলে সীমান্তপথে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। সমস্যার মুখে চিনের বিপুল বিনিয়োগ (CPEC)।

    আন্দোলনের মূল কারণ (CPEC)

    এই হাইওয়েটি পাকিস্তানকে চিনের জিনজিয়াং প্রদেশের সঙ্গে খুনজেরাব পাস হয়ে যুক্ত করে এবং এটি এখন বিক্ষোভ ও প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী, শ্রমিক এবং সাধারণ মানুষ পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দমননীতি, প্রশাসনিক অবহেলা এবং সেনাবাহিনীর শোষণের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। এটি শুরু হয়েছিল সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার প্রতিবাদে। বর্তমানে তা পরিণত হয়েছে পাকিস্তানের অঞ্চল দখলের বিরুদ্ধে এক বিদ্রোহে। এই আন্দোলনের মূল কারণ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে খুনজেরাব পাস দিয়ে সীমান্ত বাণিজ্য হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া। এর ফলে গিলগিট-বালটিস্তানের শত শত ব্যবসায়ী বেকার হয়ে পড়েছেন। প্রায় ২০০টি পণ্যবাহী কনটেনার সাস্ট ড্রাই পোর্টে পচে যাচ্ছে। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের জীবন-জীবিকা। কর্মহীনতার হার বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে, আর সেই সঙ্গে বেড়েছে জনরোষও।

    অর্থনীতি ধ্বংস

    এলাকার অর্থনীতি ধ্বংস করার জন্য বিক্ষোভকারীরা সরাসরি পাকিস্তানের ফেডারেল বোর্ড অব রেভিনিউ এবং কাস্টমস বিভাগকে দায়ী করেছে। একজন বিক্ষোভকারী বলেন, “মূলভূমি পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা কর ছাড় পায়, অথচ গিলগিট-বালটিস্তানে আমাদের ওপর কর চাপানো হয়, আমাদের উপেক্ষা করা হয়, শোষণ করা হয়, সংসদে কোনও প্রতিনিধিত্ব না থাকা সত্ত্বেও (CPEC)।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, জিনজিয়াং থেকে গওদর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্য করিডর তৈরির যে স্বপ্ন চিন দেখত, তা যেন অতিকায় এক প্রশ্নের মুখে। কারাকোরাম হাইওয়ে, যেটিকে চিন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডর বা সিপিইসির “মেরুদণ্ড” বলা হয়, এখন পরিণত হয়েছে এক চাপে থাকা জায়গায়। এই বিক্ষোভ যদি চলতে থাকে, তাহলে বহু বিলিয়ন ডলারের সিপিইসি প্রকল্প এক মারাত্মক লজিস্টিক সংকটে পড়বে। বালুচিস্তানে বিদ্রোহীদের হামলার জেরে চিনা বিনিয়োগ এখন ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

    অস্থিরতায় অস্থির চিন

    এই অস্থিরতা চিনের কাছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এবং স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা পাওয়ার সামর্থ্য নিয়ে বড় ধরনের সন্দেহ তৈরি করতে পারে। যদিও চিন এখনও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে, তবে নিঃসন্দেহে তারা পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে (Gilgit Baltistan)। জানা গিয়েছে, গিলগিট-বাল্টিস্তানের গুলমাত নগরে অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন সমাজের নানা স্তরের মানুষ। বিক্ষোভকারীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান ও চিনের সংযোগকারী হাইওয়েটি যান চলাচলের জন্য বন্ধ থাকবে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন হুনজা, গিলগিট এবং অন্যান্য সংলগ্ন শহর থেকে আসা ব্যবসায়ী, পণ্ডিত এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা (CPEC)।

    ব্যাপক বিক্ষোভ

    গিলগিট-বালটিস্তানে প্রস্তাবিত একটি বিলের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হওয়ার এক মাস পরেই এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা তাঁদের জমির অবৈধ দখলের বিরোধিতা করে ‘কাবজে পার কাবজা নামঞ্জুর’ (আমরা বারবার দখল প্রত্যাখ্যান করি) স্লোগান দেন। শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে কারাকোরাম হাইওয়েতে আটকে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী এবং পর্যটক। রাস্তার দু’পাশে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে যানবাহন। বিক্ষোভকারীরা বলেন, “ফেডারেল বোর্ড অফ রেভিনিউ এবং কাস্টমস বিভাগের নীতি স্থানীয়দের অর্থনৈতিকভাবে হত্যা করেছে, যার ফলে পরিবহণকারী, দোকানদার, শ্রমিক, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স এজেন্ট, হোটেল মালিক এবং ছোট ব্যবসায়ীরা মাসের পর মাস বেকার হয়ে পড়েছেন। কারণ তাঁরা চিনের সঙ্গে বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল।”

    কোনওভাবেই বাণিজ্য পুনরায় শুরু হবে না

    বিক্ষোভকারীদের সাফ কথা, কোনওভাবেই বাণিজ্য পুনরায় শুরু হবে না। আটকে থাকা পণ্যবাহী যানও ছাড়া হবে না। হাইওয়ে খোলা হবে না। তাঁদের একমাত্র দাবি, অ্যামনেস্টি স্কিমের মাধ্যমে পণ্য ছাড় এবং আইনসম্মত বাণিজ্য পুনরায় চালু করতে দিতে হবে। এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ (CPEC)। গিলগিট-বালটিস্তান সরকার এই দাবিগুলির বৈধতা স্বীকার করলেও দায় চাপিয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদের কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন ফেডারেল সরকার রহস্যজনকভাবে চুপ করে রয়েছে, যা ক্ষোভ আরও উসকে দিচ্ছে (Gilgit Baltistan)।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই হাইওয়ে অবরোধ কোনও হঠাৎ ঘটনার ফল নয়। এটা বহু বছরের জমে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পাকিস্তান সেনাবাহিনী নির্বিচারে জমি দখল, প্রাকৃতিক সম্পদ লুটপাট এবং জনকল্যাণ উপেক্ষা করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি ও এপ্রিল মাসের আগের বিক্ষোভগুলিতে গমের ভর্তুকি কমানো, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও পৈতৃক জমি দখলের ইস্যু তুলেও কোনও গুরুত্ব পায়নি (Gilgit Baltistan)। তাই এবার হাইওয়ে অবরোধ (CPEC)।

  • Bilawal Bhutto: রাষ্ট্রসংঘে ভারত-বিরোধী মন্তব্য, বিলাওয়ালকে ধুয়ে দিলেন বিদেশি মুসলিম সাংবাদিক

    Bilawal Bhutto: রাষ্ট্রসংঘে ভারত-বিরোধী মন্তব্য, বিলাওয়ালকে ধুয়ে দিলেন বিদেশি মুসলিম সাংবাদিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমঞ্চে ভারত বিরোধী মন্তব্য করতে গিয়ে ফাঁপরে পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto)। তিনি যখন বলেন, “ভারত মুসলমানদের জঙ্গি রূপে চিত্রিত করছে”, তখন তাঁর এই বক্তব্যের (UN) তীব্র প্রতিবাদ করেন এক বিদেশি মুসলিম সাংবাদিক।

    বিলাওয়ালকে ধুয়ে দিলেন বিদেশি সাংবাদিক

    মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী। সেখানে কাশ্মীরে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি ভারতে মুসলমানদের অপমান ও তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।” বিলাওয়ালের এই দাবির পরেই তাঁকে ধুয়ে দেন আহমেদ ফাতহি নামে এক বিদেশি মুসলিম সাংবাদিক। তিনি বলেন, “আপনি আজ যেটা বললেন যে, কাশ্মীরে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলাকে ভারত মুসলিমদের হেয় করার জন্য ব্যবহার করছে—আমি দু’পক্ষেরই ব্রিফিং দেখেছি। যতদূর মনে পড়ে, ভারতের পক্ষ থেকে ব্রিফিং পরিচালনা করেছিলেন এক মুসলিম সেনা অফিসার।”

    ‘অপারেশন সিঁদুর’

    প্রসঙ্গত, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরের ব্রিফিংয়ে নেতৃত্ব দেন দু’জন উচ্চপদস্থ মহিলা সেনা অফিসার— ভারতীয় সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার পাইলট উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রিও। এই ঘটনার (UN) মাধ্যমে ভারতের সেনাবাহিনীতে জাতি ও ধর্ম নির্বিশেষে নারীর অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্ব প্রদানের চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের (Bilawal Bhutto)।

    বিশ্বমঞ্চে মুখ পুড়ছে দেখে খানিক ভড়কে যান বিলাওয়াল। একপ্রকার প্রায় ঢোঁক গিলে মেনে নেন ফাতহির পেশ করা যুক্তি। সাংবাদিকের মন্তব্যে যে তিনি চরম অপ্রস্তুতে পড়েছেন, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কিন্তু ওই ভাঙবো তবু মচকাবো না! ওই সাংবাদিক পরে প্রশ্ন করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, তাঁকে থামিয়ে নিজের কথা বলে চলেন বিলাওয়াল। তিনি বলেন, “পাকিস্তান এখনও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চায়। আমরা ১.৫ বা ১.৭ বিলিয়ন মানুষের ভবিষ্যৎকে কিছু অ-রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদীদের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না, যাদের খেয়ালে দুটি পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধতে পারে। এটাই যেন নতুন স্বাভাবিক অবস্থা, যা আসলে একটি বিকৃত পরিস্থিতি — এবং ভারত সরকার তা এই অঞ্চলে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।” বিশ্ব দরবারে কাশ্মীর ইস্যুতে যে পাকিস্তান বারবার ব্যর্থ হয়েছে, এদিন তা কবুল করে নেন বিলাওয়াল। তিনি (UN) বলেন, “রাষ্ট্রসংঘের অভ্যন্তরে বা বাইরে কাশ্মীরের স্বার্থে আমরা যে বাধাগুলির মুখোমুখি হই, তা এখনও রয়েছে (Bilawal Bhutto)।”

  • Pakistan: ‘ইসলাম কার্ড’ খেলতে গিয়ে মুসলিম দেশেই মুখ পোড়াল পাকিস্তান!

    Pakistan: ‘ইসলাম কার্ড’ খেলতে গিয়ে মুসলিম দেশেই মুখ পোড়াল পাকিস্তান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব দরবারে আরও একবার মুখ পুড়ল পাকিস্তানের (Pakistan)! মালয়েশিয়ায় ‘ইসলামিক তাস’ খেলতে গিয়ে মুখে চুন করে ফিরতে হল শাহবাজ শরিফের দেশকে। সূত্রের খবর, পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘে আলোচিত কাশ্মীর সমস্যার কথা উল্লেখ করে মালয়েশিয়ায় ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সমস্ত কর্মসূচি (Indian Delegations Visit) বাতিল করার আবেদন জানায়।

    পাকিস্তানের অনুরোধ (Pakistan)

    পাকিস্তানি দূতাবাস মালয়েশিয়ার সরকারি কর্তাদের বলেছে, “আমরা একটি ইসলামিক দেশ, আপনারাও ইসলামিক দেশ। ভারতীয় প্রতিনিধি দলের কথা শুনবেন না। ভারতের অপারেশন সিঁদুরের বিরোধিতা করুন। মালয়েশিয়ায় তাদের সব কর্মসূচি বাতিল করা হোক।” সূত্রের খবর, মালয়েশিয়ার সরকার পাকিস্তানকে তিরস্কার করেছে। নস্যাৎ করে দিয়েছে তাদের দাবি। মালয়েশিয়ায় ভারতের ১০টি কর্মসূচি ছিল। সেই সবকটিতেই অনুমোদন দেয় মুসলিম রাষ্ট্র মালয়েশিয়া।

    প্রতিনিধি দলের বক্তব্য

    সোমবার রাতে ভারতে ফিরেছে জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় ঝা-এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পাঁচটি দেশ – জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া সফর শেষ করে আমি দেশে ফিরেছি। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নিউ নর্মাল নীতি এবং অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে সঠিক তথ্য বিশ্বকে জানানো। এই সময়ে পাঁচটি দেশের সিনিয়র মন্ত্রী, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে আমরা যে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছি, তাতে আমি অভিভূত।” তিনি বলেন, “মালয়েশিয়া-সহ সমস্ত দেশ পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার শিকার প্রত্যেক পরিবারের উদ্দেশে তাদের সমবেদনা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে সন্ত্রাস দমনে জঙ্গিঘাঁটিগুলির নির্ভুল নিশানায় ভারতের আক্রমণের ভূয়সী প্রশংসাও করেছে।” জানা (Pakistan) গিয়েছে, ভারতের মাটিতে জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের ভূমিকা এবং পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু, ভারতের প্রত্যাঘাত, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য সবই আলোচনা হয়েছে (Indian Delegations Visit)।

    প্রসঙ্গত, সঞ্জয়ের দলে ছিলেন বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারঙ্গি, ব্রিজ লাল, প্রদন বড়ুয়া, হেমাঙ্গ জোশী, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিএমের জন ব্রিটাস (Indian Delegations Visit), কংগ্রেস সাংসদ সালমান খুরশিদ এবং বাহরিন ও ফ্রান্সে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মোহন কুমার (Pakistan)।

  • Shashi Tharoor: মার্কিন দেশে যুযুধান ভারত-পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল, কেন জানেন?

    Shashi Tharoor: মার্কিন দেশে যুযুধান ভারত-পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে এবং অপারেশন সিঁদুরের কারণ জানাতে আমেরিকায় গিয়েছে ভারতের প্রতিনিধি দল। এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন কংগ্রেসের শশী থারুর (Shashi Tharoor)। এদিকে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হয়েছে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলও। এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto)। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের প্রতিনিধি দলই ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করার উদ্দেশ্যে সে দেশে গিয়েছে। সে দিক থেকে দেখলে দুটি প্রতিনিধিদল একে অপরের মুখোমুখি না হলেও, দুই দলনেতা থারুর আর বিলাবলের বাগযুদ্ধ কিংবা বিবৃতিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে।

    নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন থারুররা (Shashi Tharoor)

    গত ২৪ মে নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন থারুররা। সেই সময় ছুটিতে ছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা। ফলে তাঁদের কারও সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেনি ভারতের প্রতিনিধি দল। থারুররা গায়ানা, পানামা, কলম্বিয়া এবং ব্রাজিল সফর শেষে ফের আমেরিকায় পৌঁছন। এদিকে, রবিবারই আমেরিকায় পৌঁছেছে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল। সূত্রের খবর, থারুররা ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে তো বটেই, মার্কিন আইনসভার প্রভাবশালী কমিটিগুলির সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করবে। আর পাক প্রতিনিধি দল দেখা করবে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো এবং রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের সঙ্গে। তবে ভারত ও পাকিস্তান এই দুই দেশের দুই প্রতিনিধি দল একই সময়ে আমেরিকার একই শহরে উপস্থিত থাকবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    ভারতের প্রতিনিধি দল

    থারুরের নেতৃত্বাধীন ভারতের ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ ভুবনেশ্বর কলিতা, শিবসেনা সাংসদ মিলিন্দ দেওরা, প্রাক্তন কূটনীতিবিদ তরণজিৎ সিং সান্ধু। আর পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলে বিলাবল ছাড়াও রয়েছেন সে দেশের আর এক প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার, প্রাক্তন দুই বিদেশসচিব, আমেরিকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের প্রাক্তন দুই রাষ্ট্রদূত এবং প্রাদেশিক সরকারের এক মন্ত্রীও।

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড

    গত ২২ এপ্রিল (Shashi Tharoor) দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে হত্যা করা হয় ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। ওই ঘটনায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে ভারত। এরপর পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত (Bilawal Bhutto)। অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে পাকিস্তান এবং পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় আঘাত হানে ভারত। দুরমুশ করে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি জঙ্গি ঘাঁটি। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে এবং অপারেশন সিঁদুরের বার্তা দিতে বিভিন্ন দেশে সাতটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। স্থির হয় এই সাতটি দল সফর করবে বিশ্বের ৩২টি দেশ। থারুরের নেতৃত্বাধীন দলটি যাবে আমেরিকায়। ভারতের দেখাদেখি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তানও। আন্তর্জাতিক মহলের সামনে পাকিস্তানের অবস্থান স্পষ্ট করতে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাবলকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে বলেন। পাক প্রতিনিধি দলের এক সদস্যের কথায়, “প্ররোচনা সত্ত্বেও আমরা পরিণতমনস্কতার সঙ্গে জবাব দিয়েছি। আমরা এই সত্যিটা তুলে ধরতেই এখানে এসেছি, স্লোগান দিতে নয় (Shashi Tharoor)।”

    অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসা

    প্রথম দফায় যখন থারুরের দল নিউ ইয়র্কে গিয়েছিল, তখন তিনি অপারেশন সিঁদুরের প্রশংসা করেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, তিনি শাসক দলের প্রতিনিধি নন, বিরোধী দলের সদস্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও মনে করেন, পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করার সময় এসেছে। থারুর বলেন, “ও দেশে সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল রয়েই গিয়েছে। তাই কড়া আঘাত করা জরুরি ছিল (Bilawal Bhutto)।”

    কী বললেন থারুর

    থারুর বলেন, “আগামিকাল ওয়াশিংটনে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দল থাকবে এবং আমরা (ভারতীয় প্রতিনিধি দল) একই তারিখে ওয়াশিংটনেই থাকব। ফলে একই শহরে দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে আগ্রহ আরও বাড়তে পারে।” তবে পাক প্রতিনিধি দলের উপস্থিতি সত্ত্বেও নির্ধারিত লক্ষ্যভিত্তিক শ্রোতাদের কাছে ভারতের বার্তা পৌঁছে দিতে পারবেন বলেই আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন থারুর। তিনি বলেন, “এটি একটি চ্যালেঞ্জিং পরিবেশ (Shashi Tharoor)। আমেরিকা একটি  গণমাধ্যমের ক্ষেত্র, যা বিশ্বের সংবাদ উৎপাদক হিসেবে কাজ করে। তাই আমাদের কাহিনি তাদের অগ্রাধিকারে নাও থাকতে পারে। কিন্তু যদি আমরা দক্ষিণ এশিয়া, ভারত বা সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যাদের আগ্রহ রয়েছে, তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি, তাহলে আমাদের বার্তা খুব সহজেই পৌঁছে দিতে পারব।” তিনি (Shashi Tharoor) বলেন, “পাকিস্তানিরাও যে বিদেশে দল পাঠিয়েছে, এটা কোনও কাকতালীয় বিষয় নয়। তারা কেবলমাত্র কিছু নির্দিষ্ট রাজধানীকেই গুরুত্ব দিচ্ছে (Bilawal Bhutto)।”

  • Jaish-E-Mohammed Terrorist: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় হুমকি দিয়েছিলেন মোদিকে, পাকিস্তানে সেই শীর্ষ জইশ কমান্ডারের ‘রহস্য-মৃত্যু’

    Jaish-E-Mohammed Terrorist: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় হুমকি দিয়েছিলেন মোদিকে, পাকিস্তানে সেই শীর্ষ জইশ কমান্ডারের ‘রহস্য-মৃত্যু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানেই (Pakistan) ফের রহস্যজনক মৃত্যু হল এক শীর্ষ জঙ্গি-নেতার। মৃত অবস্থায় উদ্ধার জইশ-ই-মহম্মদের (Jaish-E-Mohammed Terrorist) শীর্ষ কমান্ডার মৌলানা আবদুল আজিজ ইসারের দেহ। মুম্বই হামলার মূল চক্রী জইশ-চিফ মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠবৃত্তের একজন ছিল ইসার। ভারতে জইশের একাধিক জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে হাত ছিল আজিজ ইসারের।

    জঙ্গি নেতার রহস্য মৃত্যু (Jaish-E-Mohammed Terrorist)

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয় আজিজ ইসারের দেহ। এই বাহাওয়ালপুরেই রয়েছে জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর। অসমর্থিত সূত্রের খবর, ওই জঙ্গির দেহে একাধিক গুলির ক্ষত রয়েছে। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে ভারত যে পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায়, সেই সময় ভারতের হিট পয়েন্টে ছিল এই বাহাওয়ালপুরও।সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আজিজ ইসার মূলত জঙ্গি প্রশিক্ষণের বড় দায়িত্বে ছিল। পাঞ্জাব প্রদেশে এবং বিশেষ করে বাহাওয়ালপুর, রাওয়ালপিন্ডির মতো এলাকায় ভারতের বিরুদ্ধে স্থানীয় তরুণদের উসকানি দিত সে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আজিজ ইসারের মৃত্যুতে নয়া জঙ্গি তৈরি, বিশেষ করে স্থানীয়দের নিয়োগ এবং মগজ ধোলাই নেটওয়ার্কের কাজে জইশ বড় ধাক্কা খেল। উল্লেখ্য, আজিজ ইসারই প্রথম নয়, গত এক মাসে পাকিস্তানে রহস্যমৃত্যু হয়েছে একাধিক শীর্ষ জঙ্গি নেতার।

    আজিজ ইসারের হুমকি

    ভারত যখন পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুর চালায়, তখন আজিজ ইসারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে সে সরাসরি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে (Jaish-E-Mohammed Terrorist) বলে, “নরেন্দ্র মোদি, হিন্দুস্তানের সরকারকে সামলাও। মুজাহিদিন কাশ্মীর ছিনিয়ে নেবে তোমাদের কাছ থেকে।” এহেন জঙ্গি নেতার রহস্যমৃত্যুতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে পাকিস্তান। জানা গিয়েছে, বাহওয়ালপুরে জইশের সদর দফতরেই আবদুলের শেষকৃত্য হবে।

    ভারত বিরোধী বক্তৃতা দেওয়ার জন্যই পরিচিত ছিল আজিজ ইসার। গত মাসেই পাকিস্তানের এক জনসভায় ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছিল সে। আজিজ ইসার ওই জনসভায় দাবি করেছিল, সোভিয়েত ইউনিয়নের দশা হতে চলেছে ভারতের। সোভিয়েত ইউনিয়ন যেভাবে ভেঙে গিয়েছিল, ভারতও তেমনিভাবে ভেঙে যাবে। আজিজ ইসারের মৃত্যুতে পাক সরকারের তরফে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্তও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

    প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে বেশ কয়েকটি জঙ্গি ঘাঁটি (Pakistan) ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এই ঘাঁটিগুলির মধ্যে ছিল আজিজ ইসারের সংগঠনের ডেরা বাহাওয়ালপুরও (Jaish-E-Mohammed Terrorist)।

  • Russia Ukraine War: ধ্বংস ৪০টি যুদ্ধবিমান! পঙ্গপালের মতো ড্রোন পাঠিয়ে কীভাবে রাশিয়ার একের পর এক ঘাঁটিতে হামলা চালাল ইউক্রেন?

    Russia Ukraine War: ধ্বংস ৪০টি যুদ্ধবিমান! পঙ্গপালের মতো ড্রোন পাঠিয়ে কীভাবে রাশিয়ার একের পর এক ঘাঁটিতে হামলা চালাল ইউক্রেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ায় (Russia Ukraine War) ভয়ঙ্কর হামলা চালাল ইউক্রেন। মৌমাছির মতো ঝাঁকে ঝাঁকে (Operation Spiderweb) ১১৭টি ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার কমপক্ষে ৫টি এয়ারবেসে হামলা চালানো হয়। ৪০টিরও বেশি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেই খবর। রাশিয়ার বুকে এটাই সবথেকে বড় ড্রোন হামলা। আজ, সোমবার ইস্তানবুলে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি নিয়ে দ্বিতীয় দফায় আলোচনা হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তুরস্কে পৌঁছে গিয়েছেন। আর ঠিক তার আগেই রবিবার রাশিয়ায় হামলা চালাল ইউক্রেন। অপরদিকে একই দিনে ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটিতে রুশ হামলায় ১২ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে নতুন মোড়

    রাশিয়ার (Russia Ukraine War) প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কিভ বাহিনী এফপিভি ড্রোন দিয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালিয়েছে মুরমানস্ক, ইরকুটস্ক, ইভানোভো, রিয়াজান ও আমুর অঞ্চলে। ইভানোভো, রিয়াজান ও আমুরে সামরিক ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা প্রতিহত করা হয়েছে। কারোর মৃত্যু হয়নি। এই হামলায় জড়িত কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, সাইবেরিয়ায় প্রথম হামলা চলে। এরপর একে একে সেনাঘাঁটিগুলিতে হামলা করে ইউক্রেনের ড্রোন। ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে তাদের দেশের সিকিউরিটি সার্ভিস এই বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। এই স্পেশাল অপারেশনের কোড নাম- ‘পাভুত্যনা’ বা স্পাইডার ওয়েব (Operation Spiderweb)। মাকড়শার জালের মতোই রাশিয়ার ঘাঁটিগুলিতে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। সূত্রের খবর, বিগত এক বছর ধরে এই হামলার পরিকল্পনা করেছে ইউক্রেন। কার্গো ট্রাকে লুকিয়ে ড্রোন পাঠানো হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রাকের ডালা খুলতেই ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন বেরিয়ে আসে এবং নিশানা করে সেনাঘাঁটিগুলিতে। রাশিয়া যদি প্রত্যাঘাত করে, তা প্রতিহত করার জন্য ইতিমধ্যেই সেনাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

    কীভাবে ড্রোন পৌঁছালো রাশিয়ার গভীরে?

    ইউক্রেনের (Russia Ukraine War) সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এক থেকে দেড় বছর ধরে এই অপারেশনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। প্রথমে এফপিভি ড্রোনগুলো গোপনে রাশিয়ার অভ্যন্তরে পাচার করা হয়। পরে, কাঠের তৈরি মোবাইল কেবিন আলাদাভাবে পাঠানো হয় রাশিয়ায়। এই কেবিনগুলো ছিল দেখতে সাধারণ মোবাইল হাউজের মতো, কিন্তু ছাদের ভেতরে লুকানো ছিল ড্রোনের আস্তানা। এসব কেবিন লোড করা হয় ট্রাকের ওপর, এবং চালকদের নির্দেশনা অনুযায়ী বিমানঘাঁটির আশপাশে পৌঁছে পার্ক করানো হয়। রুশ চালকরা হয়তো জানতেনই না তারা কী বহন করছেন। কারণ ড্রোনগুলো ছিল কেবিনের ছাদে লুকানো, গোপন কন্টেইনারে।

    হামলার নাটকীয় শুরু

    যখন সব ট্রাক নির্দিষ্ট অবস্থানে পার্ক করা হয়, তখন দূর থেকে এসবিইউ অপারেটররা কন্ট্রোল নিয়ে নেন। ট্রাকের ছাদ খুলে যায় রিমোটের মাধ্যমে এবং একের পর এক ড্রোন উড়ে যেতে থাকে লক্ষ্যবস্তুর দিকে। কিয়েভের নানা ভিডিওয় দেখা যায়, ড্রোন ক্যামেরা থেকে সরাসরি দেখা যাচ্ছে রাশিয়ার লাইন ধরে রাখা যুদ্ধবিমান — টিইউ ৯৫ (Tu-95), টিইউ ২২ এমথ্রি (Tu-22M3) এবং এ-৫০ (A-50)-এর মতো কৌশলগত বিমান — যেগুলোকে খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। অপারেশন এখানেই থেমে থাকেনি। ড্রোন ছেড়ে দেওয়ার পর, এই ট্রাকগুলোতেও বিস্ফোরক বসানো ছিল। ফলে যখন রাশিয়ান বাহিনী ট্রাকগুলো পরীক্ষা করতে আসে বা ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে, তখন ট্রাকগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটে। এক ট্রাক চালকের মৃত্যু হয়েছে, বলে খবর।

    রাশিয়ার ২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি

    ইউক্রেনের (Russia Ukraine War) দাবি, এই হামলায় রাশিয়ার ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের বিমান ধ্বংস হয়েছে। বিশেষ করে টিইউ ৯৫ (Tu-95), টিইউ ২২ এমথ্রি (Tu-22M3)-এর মতো স্ট্র্যাটেজিক বোমার বিমানগুলো এখন আর নির্মিত হয় না, তাই এই ক্ষতি সহজে পূরণ করা সম্ভব নয়। বিশ্লেষকদের মতে, এই অপারেশন আধুনিক যুদ্ধনীতিতে এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত। মাত্র ৫০০ ডলার মূল্যের ড্রোন ব্যবহার করে, গোপন উপায়ে সেগুলো শত্রুর ঘাঁটির ভেতরে পৌঁছে দিয়ে, কয়েক বিলিয়ন ডলারের বিমান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এটি দেখিয়ে দেয়, কৌশলী পরিকল্পনা এবং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার কতটা কার্যকর হতে পারে। অপারেশন স্পাইডারওয়েব শুধুই একটি সামরিক সাফল্য নয়, এটি ভবিষ্যতের গোপন যুদ্ধকৌশলের (Operation Spiderweb) একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।

    শান্তি-চেষ্টায় জল

    দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিন বছরব্যাপী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি, ইস্তানবুলে আলোচনায় বসেছিল রুশ-ইউক্রেন প্রতিনিধি দল। সেখানে বন্দি বিনিময়ে রাজি হয় দু’পক্ষ। তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এরইমধ্যে আজ, সোমবার ফের ইস্তানবুলে ফের এক দফা আলোচনা হওয়ার কথা। আলোচনায় বসার জন্য সম্প্রতি কিয়েভকে প্রস্তাব দিয়েছিল মস্কো। তাতে সাড়া দিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদামির জেলেনস্কি। জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট দিনে ইস্তানবুলে উপস্থিত থাকবেন তাঁর মন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ। তবে রবিবারের ঘটনাবলির পর বৈঠকের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

  • Mujibur Rahman: মুজিব-বিরোধিতায় মরিয়া ইউনূস, এবার বাংলাদেশের নোট থেকে সরল বঙ্গবন্ধুর ছবি

    Mujibur Rahman: মুজিব-বিরোধিতায় মরিয়া ইউনূস, এবার বাংলাদেশের নোট থেকে সরল বঙ্গবন্ধুর ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুছে ফেলার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে ইউনূস সরকার। হাসিনা সরকারে পতনের পর থেকেই বঙ্গবন্ধু (Mujibur Rahman) বিরোধী একাধিক অবস্থান সামনে এসেছে ইউনূস জমানায়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর পৈত্রিক ভিটেমাটি। বঙ্গবন্ধুকে পাঠ্যক্রম থেকে মুছে ফেলাও হয়েছে। এবার বাংলাদেশের মুদ্রা থেকেও তাঁকে সরিয়ে ফেলল ইউনূস সরকার।

    উঠছে প্রশ্ন (Mujibur Rahman)

    রবিবার ১ জুন বাংলাদেশে (Bangladesh) নতুন ব্যাঙ্ক নোট প্রকাশিত করে ইউনূস সরকার। টাকা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (Mujibur Rahman) ছবি একেবারেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বদলে রাখা হয়েছে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান, বিভিন্ন ল্যান্ডমার্ক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি। বাংলাদেশের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক এই নতুন নোট প্রকাশের পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দেশের মুদ্রায় বদল আনার মতো বড় পদক্ষেপ করার ক্ষমতা একমাত্র নির্বাচিত সরকারের আছে। সেই স্থানে রয়েছে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার। তারা কীভাবে মুদ্রার ছবি বদলে ফেলতে পারে?

    কী বলছেন ব্যাঙ্ক কর্তা?

    প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের সমস্ত মুদ্রায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছিল। ১৯৭১-র মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর (Mujibur Rahman) আত্মত্যাগকে স্মরণে রাখতেই এমনটা করা হয়েছিল। তবে বাংলাদেশে এখন নতুন শাসন ব্যবস্থা। এতেই এল নতুন নিয়ম। এনিয়ে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, “নতুন সিরিজ ও ডিজাইনের অধীনে এবার থেকে আর কোনও ব্যক্তির ছবি থাকবে না, বরং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও ঐতিহ্যবাহী স্থানের ছবি থাকবে।” বাংলাদেশের নতুন ধর্মীয় স্থানের পাশাপাশি প্রয়াত চিত্রশিল্পী জাইনুল আবেদিনের আঁকা ব্রিটিশ শাসনকালে বাংলার ছবিও তুলে ধরা হয়েছে।

    খালেদা জিয়ার জমানাতেও বদলেছিল ছবি

    বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত বঙ্গবন্ধুর (Mujibur Rahman) ছবি থাকা নোটগুলি বাতিল করা হচ্ছে না। তা কার্যকর থাকবে। তবে ব্যাঙ্ক আর নতুন করে বঙ্গবন্ধুর ছবি সহ নোট ছাপাবে না। প্রসঙ্গত, এটাই নতুন বা প্রথম নয়, এর আগে খালেদা জিয়ার দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি বা বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, তখনও বঙ্গবন্ধুর ছবি সরানো হয়েছিল ব্যাঙ্ক নোটে।

  • Israel News: হাসপাতালকে ঢাল বানিয়ে ভূ-গর্ভে লুকিয়ে ছিল হামাস প্রধান, কীভাবে খতম? জানাল ইজরায়েল

    Israel News: হাসপাতালকে ঢাল বানিয়ে ভূ-গর্ভে লুকিয়ে ছিল হামাস প্রধান, কীভাবে খতম? জানাল ইজরায়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৩ মে গাজার খান ইউনিস হাসপাতালের নিচে আন্ডারগ্রাউন্ডের ভিতরে লুকিয়ে ছিলেন হামাস প্রধান মহম্মদ সিনোয়ার ও মহম্মদ সাবানেহ। সমেত ২৮ জন জঙ্গি (Hamas Chief)। ইজরায়েলের হানায় তারা প্রত্যেকেই নিহত হয়। ইজরায়েলের সেনাবাহিনী (Israel News) একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে এবং যেখানে তারা জানিয়েছে, কীভাবে নির্ভুলভাবে হামলা চালানো হয়েছিল।

    হাসপাতালে নীচেই ছিল জঙ্গি ঘাঁটি (Israel News)

    হাসপাতালে নীচেই ছিল জঙ্গি ঘাঁটি। হাসপাতালকে ওপরে রেখে রোগীদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করত জঙ্গিরা। ইতিমধ্যে ইজরায়েলের সেনা জানিয়েছে, ওই ভূ-গর্ভস্ত ঘাঁটি ছিল খুবই জটিল এবং এটিকে লক্ষ্যবস্তু করা সম্ভব হয়েছিল একমাত্র তাদের উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে। গোয়েন্দারা এক্ষেত্রে খুব ভালো সাহায্য করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তারা। অন্যদিকে, ইজরায়েলের সেনা আরও বলেছে, হামলায় হাসপাতালে যে কার্যকারিতা তা কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। শুধুমাত্র মহম্মদ সিনওয়ার (Hamas Chief) ও মহম্মদ সাবানেহকে খতম করা হয়। এই দুজনকে লক্ষ্য করা হয়েছিল। ইজরায়েলের সেনা (Israel News) আরও জানিয়েছে, গাজার হাসপাতালগুলিকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ব্যবহার করার জন্যই হামাসের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তারা গাজার অসামরিক নাগরিকদের নিষ্ঠুরভাবে (Israel News) ব্যবহার করে চলেছে।

    ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি

    মহম্মদ সিনওয়ার ছাড়াও হামাসের রাফা ব্রিগ্রেডের কম্যান্ডার মহম্মদ সাবানা ও দক্ষিণ খান ইউনূস ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডার মাহদি কোয়ারেরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সংবাদসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবারই সংসদ অধিবেশনে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন  ‘আমরা মহম্মদ সিনওয়ারকে নিকেশ করে দিয়েছি।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, খতম হওয়া জঙ্গি নেতা মহম্মদ আসলে জঙ্গি সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহা সিনওয়ারের ভাই ছিল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে ইজরায়েলে হামলা চালানোর অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিল সেই ইয়াহা। ২০২৪ সালেই তাকে খতম করে দেয় ইজরায়েল। এরপর গাজায় হামাসের শীর্ষপদে বসেছিল তার ভাই মহম্মদ। আর এবার তাকেও খতম করে দিল ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী।

  • Balochistan: সুরাব শহরের দখল তাদের হাতে, দাবি বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির

    Balochistan: সুরাব শহরের দখল তাদের হাতে, দাবি বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালোচিস্তান (Balochistan) প্রদেশের সুরাব শহরের নিয়ন্ত্রণ নিল বিদ্রোহীরা। এমনটাই দাবি বিদ্রোহীদের। সমাজমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে সরকারি ভবনের দখল নিচ্ছে বিদ্রোহীরা। বিএলএ বা বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি ঘোষণা করেছে যে শহরে পুলিশ স্টেশন, প্রধান ব্যাংক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস সহ পুরো সুরাব শহরকেই তারা দখল করেছে। বালোচ কমান্ডাররা দাবি করেছেন যে তাদের দাপটে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং পুলিশ বাহিনী পিছু হঠে। অভিযানের সময় একজন স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) হত্যার দায়ও তারা নিয়েছে (Balochistan Liberation Army)। পুলিশ কর্মীদের কাছ থেকে অস্ত্রও তারা কেড়ে নিয়েছে বলে দাবি তাদের।

    কী বললেন বিদ্রোহীদের মুখপাত্র জয়ন্দ বালুচ (Balochistan)

    সুরাব শহরকে দখলের পরেই বিবৃতি সামনে আসে বিএলএ মুখপাত্র জয়ন্দ বালুচের। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের যোদ্ধারা সুরাবের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরগুলির নিয়ন্ত্রণ করছে। এর পাশাপাশি কোয়টা ও করাচির যে জাতীয় সড়ক, সেই সড়কের চেকপোস্টগুলি এবং টহলদারি ব্যবস্থাও তারা নিয়ন্ত্রণ করছে।’’

    শুক্রবার সন্ধ্যাতে চলে হামলা (Balochistan)

    প্রসঙ্গত, বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে গোটা শহর। পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন সড়ক যেগুলি রয়েছে, সেগুলিকেও তারা সিল করে দিয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যাতে বিপুল সংখ্যক বিদ্রোহীরা জমা হতে থাকে এবং বিভিন্ন সরকারি অফিস গুলিতে হামলা শুরু করে। পাকিস্তানের সরকারি আধিকারিকরা যদিও এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করেনি।

    জোর করে বালোচিস্তান দখল করে পাকিস্তান (Balochistan)

    বালোচিস্তান (Balochistan) হল পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ। আফগানিস্তান, ইরান এবং আরব সাগরের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এটি প্রাকৃতিক গ্যাস, তামা, সোনা, কয়লা এবং ইউরেনিয়াম সহ প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের সময় এই প্রদেশ আধা-স্বায়ত্তশাসিত রাজ্য ছিল। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান জোরপূর্বক এই অঞ্চলটি দখল করে। সেই থেকেই শুরু বিদ্রোহ।বর্তমানে ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে তা আরও ভয়ঙ্কর আকার ধরাণ করে। পাকিস্তানি সেনা ও সরকার কোনওভাবেই নিয়্ন্ত্রণ করতে পারছে না বিদ্রোহীদের।

LinkedIn
Share