Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • US Citizenship: নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, স্থগিতাদেশ মার্কিন আদালতের

    US Citizenship: নাগরিকত্ব নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, স্থগিতাদেশ মার্কিন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভের জন্য যে সময় বেঁধে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধ করার ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত স্থগিত করল আমেরিকার প্রাদেশিক আদালত। ওয়াশিংটন প্রদেশের সিয়াটেলের আদালতের বিচারক ট্রাম্পের ওই নির্দেশ কার্যকরের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। 

    কী বলল আদালত

    প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পরেই ট্রাম্প আদেশ দিয়েছিলেন অভিবাসীদের সন্তানরা জন্মসূত্রে আর আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে না। রিপাবলিকান নেতার এই আদেশনামা প্রকাশিত হওয়ার পরেই এহেন নির্দেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ২২টি মার্কিন প্রদেশ। আদেশনামার কড়া বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করেছে কলম্বিয়া, সান ফ্রান্সিসকোর মতো প্রদেশগুলি। ট্রাম্পের নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বস্টন, সিয়াটল, ম্যাসাচুসেটস ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের আদালতে। বৃহস্পতিবার এই মামলা নিয়ে শুনানি ছিল সিয়াটল আদালতে বিচারক জন কোহেনরের এজলাসে। শুনানি শেষে বিচারক জানিয়ে দেন, ট্রাম্পের নির্দেশে সংবিধানের আদর্শ লঙ্ঘিত হয়েছে। 

    ট্রাম্পের নির্দেশ নামা

    আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশ, এখন থেকে আমেরিকায় জন্মালেই সেখানকার নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে না। শিশুর বাবা এবং মা উভয়েই যদি আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা (পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট) হন, তবে শিশুও জন্মানোর পরেই সে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে। কিন্তু বাবা অথবা মায়ের মধ্যে যে কোনও এক জনের যদি নাগরিকত্ব না-থাকে, সে ক্ষেত্রে সদ্যোজাতকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির পর আমেরিকায় এই নির্দেশ কার্যকর করার কথা জানান ট্রাম্প।

    এতদিন কী ছিল

    আমেরিকায় এত দিন যে নিয়ম প্রচলিত ছিল, তাতে বাবা অথবা মায়ের পরিচয় না-দেখেই আমেরিকায় ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানকে জন্মগত ভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হত। এর পর ওই শিশুর বয়স যখন ২১ বছর পূর্ণ হয়, তখন বাবা-মায়েরও আমেরিকায় পাকাপাকি ভাবে থাকার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। এই সুযোগটি বন্ধ করতে চান ট্রাম্প। ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকে আমেরিকায় ভারতীয় দম্পতিরা উদ্বেগে। ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সিজার চেয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে আবেদনও করছেন অনেক অন্তঃসত্ত্বা। সময়ের আগেই সন্তান ভূমিষ্ঠ করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।

    ডেমোক্র্যাটদের যুক্তি

    উল্লেখ্য, বিগত প্রায় ১৫০ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া শিশুরা ‘জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব’ পেয়ে আসছেন। তবে সেই অধিকারকে বাতিল করে নির্বাহী নির্দেশিকায় সই করেন ট্রাম্প। এই নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে। এই আবহে বিচারক ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে ‘স্পষ্টতই অসাংবিধানিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। ১৮৬৮ সালে আমেরিকার সংবিধানে ১৪তম সংশোধনী যোগ করা হয়। সেখানে বলা হয়, আমেরিকায় জন্মালেই সেখানকার নাগরিকত্ব মিলবে। ১৯৫২ সালের অভিবাসন এবং জাতীয়তা আইনেও একই কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্পের নির্দেশ এই আইন এবং সংবিধানের বিরোধী, আদালতে সওয়াল করেছেন বিরোধী পক্ষের আইনজীবীরা। আমেরিকার ডেমোক্র্যাট প্রদেশগুলির বক্তব্য, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত যে নির্দেশ ট্রাম্প দিয়েছেন, তা যদি কার্যকর করা হয়, তবে দেড় লক্ষের বেশি সদ্যোজাত আমেরিকার নাগরিক হওয়ার ‘সাংবিধানিক’ অধিকার হারাবে।

    আরও পড়ুন: আমেরিকার ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়, ওয়াশিংটনে ক্ষোভ জয়শঙ্করের

    প্রবাসী ভারতীয়দের উপর প্রভাব

    ট্রাম্পের নির্দেশ অনুযায়ী, মার্কিন মুলুকে যদি অবৈধ অভিবাসীর সন্তান জন্ম নেয়, তাহলে সেই শিশুরা আর মার্কিন নাগরিক হবেন না। এদিকে জন্ম নেওয়া শিশুর বাবা-মা যদি বৈধভাবেই আমেরিকায় গিয়ে থাকেন, কিন্তু তাঁদের মধ্যে কোনও একজন সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা নন, তাহলেও সেই শিশু মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না। এছাড়া কেউ যদি স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা বা টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকায় গিয়ে সন্তানের জন্ম দেন, তাহলেও সেই শিশু আর মার্কিন নাগরিক হবে না। এদিকে নয়া নিয়মে যে সব ভারতীদের সন্তান ১০০+ গ্রিন কার্ড ওয়েটিং লিস্টে আছে, তারা মার্কিন নাগরিক হতে পারবে না।

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকায় মেক্সিকান বংশোদ্ভূতরা সর্বোচ্চ সংখ্যায় নাগরিকত্ব পেয়েছেন। আর এখন এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা। গত ২০২২ সালে আমেরিকায় ৬৫ হাজার ৯৬০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। আর ২০২৩ সালের হিসেবে ভারতে জন্ম নেওয়া মোট ২ কোটি ৮ লাখ ৩১ হাজার ৩৩০ জন মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছেন এখনও পর্যন্ত। রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের প্রায় ৪২ শতাংশ বর্তমানে মার্কিন নাগরিক হওয়ার জন্য অযোগ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Hindenburg: হিন্ডেনবার্গের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, তাই কি ঝাঁপ পড়ছে সংস্থায়?

    Hindenburg: হিন্ডেনবার্গের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, তাই কি ঝাঁপ পড়ছে সংস্থায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা আট বছর চলার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মার্কিন লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণাকারী (Fraud Allegations) সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenburg)। সম্প্রতি এমনই ঘোষণা করা হয়েছে সংস্থার তরফে। এই আট বছরে একের পর বোমা ফাটিয়েছে এই সংস্থা। যার জেরে হিন্ডেনবার্গের নামের পারা যত চড়েছে, ততই মুখ থুবড়ে পড়েছে একের পর এক সংস্থা। কোনও সংস্থার শেয়ার বিক্রিতে গলদ রয়েছে কিনা, কিংবা বাজার থেকে সংস্থাগুলি যে ঋণ নিয়েছে, তাতে স্বচ্ছতা বজায় রয়েছে কিনা, এই ধরনের বিভিন্ন বিষয় যাচাই করে এই সংস্থা।

    হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা (Hindenburg)

    হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা নাথান অ্যান্ডারসন। ২০১৭ সালে তিনিই প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন এই সংস্থার। বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে নানা সময় সরব হয়েছে হিন্ডেনবার্গ। তবে যে সংস্থার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ করে সাফল্য পেয়েছিল এই সংস্থা, তারা হল আমেরিকার বৈদ্যুতিক ট্রাক নির্মাণকারী সংস্থা নিকোলা কর্পোরেশন। হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ, প্রযুক্তিগত বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের ঠকিয়েছে নিকোলা। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় নিকোলার প্রতিষ্ঠাতা ট্রেভর মিল্টনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল মার্কিন আদালত। হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ ছিল, কারচুপি করে নিজেদের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার দর বাড়িয়েছে গৌতম আদানির আদানি গোষ্ঠী। রিপোর্টে হিন্ডেনবার্গের তরফে দাবি করা হয়েছিল, দু’বছর ধরে তদন্ত চালিয়ে তারা এই তথ্য জানতে পেরেছিল। তাদের অভিযোগ, কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দর কয়েকগুণ বাড়িয়ে আদানিরা বিশাল সম্পদ তৈরি করেছেন। আট বছরের স্বল্প আয়ুতে অন্তত ১৬টি সংস্থার অনিয়মের কথা ফাঁস করেছে হিন্ডেনবার্গ।

    হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধেই উঠেছে অভিযোগ

    এহেন হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধেই উঠেছে অভিযোগ। কানাডার একটি পোর্টালের রিপোর্ট অনুযায়ী, আদালতের নথিতে প্রকাশিত হয়েছে যে হিন্ডেনবার্গ তাদের রিপোর্ট প্রস্তুতের সময় আনসন ফান্ডসের সঙ্গে সহযোগিতা করেছিল। এই সহযোগিতার প্রভাব ইউএস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (SEC) সিকিউরিটিজ প্রতারণা সম্পর্কিত বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করতে পারে, যা তাদের গবেষণা প্রক্রিয়ার নৈতিকতা নিয়ে তদন্ত দাবি করছে।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে চাইছে আইএসআই এবং হামাস!

    হেজ ফান্ড হল এমন (Hindenburg) বিনিয়োগ সংস্থা যা বিভিন্ন বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে মুনাফা অর্জন করে এবং প্রায়ই উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি গ্রহণ করে। হিন্ডেনবার্গের মতো গবেষণা সংস্থার কার্যক্রমে হেজ ফান্ডের সম্পৃক্ততা বাজার কারসাজি এবং বিনিয়োগ গবেষণার অখণ্ডতা সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তোলে। অ্যান্ডারসন ও অ্যানসন ফান্ডসের মধ্যে বিনিময় হওয়া ইমেলগুলি সহযোগিতার যে অভিযোগ উঠেছে, তা সমর্থন (Fraud Allegations) করে। এই যোগাযোগগুলো প্রমাণ করে যে অ্যান্ডারসন অ্যানসনের নির্দেশনায় কাজ করেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই সব কারণেই তাড়াহুড়ো করে ঝাঁপ ফেলতে বাধ্য হচ্ছে হিন্ডেনবার্গ (Hindenburg)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে চাইছে আইএসআই এবং হামাস!

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে চাইছে আইএসআই এবং হামাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোটানায় বাংলাদেশ! একদিকে দেশের ধর্ম নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে চাইছে শিক্ষিত মহল। আর একদিকে ইসলামি অ্যাজেন্ডার (Caliphate) দিকে ঝুঁকছে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh Crisis)। বাংলাদেশকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র বা খিলাফতে রূপান্তরিত করতে চাইছে ইসলামপন্থী, জেহাদি এবং খিলাফতকামী গোষ্ঠীগুলি।

    নেতৃত্বে ইউনূস (Bangladesh Crisis)

    এদের নেতৃত্বে রয়েছেন ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক ইউনূসের মতো ব্যক্তিত্বও। ইউনূস সরকারের এহেন আচরণে যারপরনাই উল্লসিত পাকিস্তানের সামরিক প্রতিষ্ঠান, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং তাদের রাজনৈতিক মিত্ররা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মূলত তাদেরই খুশি করতে কট্টর ভারত বিরোধিতার পন্থা নিয়েছে ইউনূস প্রশাসন। এই পরিস্থিতি ইসলামাবাদের নতুন “বাংলাদেশ ২.০”-এর আকাঙ্ক্ষাকে আরও উস্কে দিয়েছে। পাকিস্তানি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি কনফেডারেশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যমে এই দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে “বাংলাদেশ ২.০”-কে “পূর্ব পাকিস্তান” হিসেবেও উল্লেখ করা হচ্ছে। তারা ১৯৭১ সালের পরবর্তী বাংলাদেশি সরকারগুলিকে “নির্মম শাসক” বলেও অভিহিত করছে (Bangladesh Crisis)।

    পাক মিডিয়ার প্রচার

    ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। যে আন্দোলনের জেরে তাঁকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল, সেই ঘটনাকে পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো “দশকের পর দশক ধরে চলা নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিপ্লবী আন্দোলন” বলে বর্ণনা করেছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পালিত হয়েছে পাকিস্তানের জনক মহম্মদ আলি জিন্নার ৭৬তম মৃত্যু বার্ষিকী। নবাব সলিমুল্লাহ অ্যাকাডেমি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উর্দু গান ও কবিতা পরিবেশিত হয়। এতে পাকিস্তানপন্থী অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্তা, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিক এবং নাগরিক সমাজের সদস্যরা (Caliphate) উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে বক্তরা জিন্নাহর পাকিস্তান সৃষ্টিতে ভূমিকার উপর জোর দেন। ঢাকার ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু অ্যাভেনিউয়ের নাম পরিবর্তন করে জিন্নাহ অ্যাভেনিউ রাখার প্রস্তাব দেন। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তান অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিগুলি থেকে গোলাবারুদ, আরডিএক্স বিস্ফোরক এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রজেক্টাইল কিনেছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পাকিস্তানের বহুজাতিক সামরিক মহড়া “ইনডাস শিল্ড-২০২৪”-এ অংশগ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে ইসলাবমাদ থেকে চিনা-নির্মিত জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারেও খোঁজখবর (Bangladesh Crisis) করেছে।

    খিলাফতে পরিণত করার চেষ্টা

    জানা গিয়েছে, ইউনূস প্রশাসন যখন ক্রমেই বাংলাদেশকে খিলাফতে পরিণত করতে সচেষ্ট, তখন বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা দেশের সার্বভৌমত্ব বা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঐতিহ্যকে খাটো করার যে কোনও চেষ্টার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। তা সত্ত্বেও আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হিযবুত তাহরীর এবং আল কায়েদা ও আইএস-এর সহযোগী বিভিন্ন ইসলামপন্থী গোষ্ঠী বাংলাদেশে ইউনূসের নেতৃত্বে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা হিসাবে চিহ্নিত করে, পাকিস্তানের আইএসআই তাকে দুর্বল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের চেষ্টার মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাবশালী লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচার চালানো।

    সক্রিয় হামাসও

    বাংলাদেশের এই ডামাডোলের সুযোগ নিতে শুরু করেছে প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসও। তারা রাষ্ট্রসংঘে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি করেছে (Caliphate)। সেখানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এর আগে, বাংলাদেশের কিছু আদালত বেশ কয়েকজন সেনা কর্তাকে এক্সট্রাজুডিশিয়াল হত্যা ও জোরপূর্বক নিখোঁজ হওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। দেশে গোপন আটককেন্দ্র চালানোর অভিযোগ তুলে সুপরিকল্পিত প্রচার চালানো হয়েছে, যা গোয়েন্দা ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সংস্থার বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছে (Bangladesh Crisis)।

    আরও পড়ুন: “মোদির নেতৃত্বে ভারত হবে এক বা দু’নম্বর অর্থনীতির দেশ”, বললেন চন্দ্রবাবু

    উবে গেল ‘মায়ের ডাক’

    হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের কয়েক মাস আগে, ‘মায়ের ডাক’ নামে একটি সংগঠন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপক কভারেজ পাচ্ছিল। এই সংগঠনের সংগঠকরা “নিখোঁজ” পরিবারের সদস্যরা ফিরে এসেছে বলে দাবি করেছিল। হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ‘মায়ের ডাক’ হঠাৎ উবে গেল কর্পূরের মতো। এর নেপথ্যে বাইডেন প্রশাসন এবং ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের (বিশেষ করে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস) সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা ছিল বলে অভিযোগ।

    সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বিশেষজ্ঞের বক্তব্য

    সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বিশেষজ্ঞ দমসানা রণধীরণ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে (Bangladesh Crisis) জামাত-ই-ইসলামি এবং মুসলিম ব্রাদারহুড কংগ্রেস ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রাখে। যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ সামনে আসে, তবে এটি দেশের আন্তর্জাতিক অবস্থানে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী মূলত ইসলামপন্থা এবং জেহাদবাদের ঘোরতর বিরোধী। তারা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষা করতে এবং ইসলামিক রিপাবলিক বা খিলাফত (Caliphate) প্রতিষ্ঠার যে কোনও প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” রণধীরণ বলেন, “আইএসআই-নিযুক্ত লবিস্ট এবং হামাসপন্থী আইন প্রণেতাদের কার্যকলাপ তীব্রভাবে পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরুরি (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতীয় ছোঁয়া, বাজবে শিবম গ্রুপের ঢোল-তাসা

    Donald Trump: ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতীয় ছোঁয়া, বাজবে শিবম গ্রুপের ঢোল-তাসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) শপথ নেবেন আজ সোমবার। অনুষ্ঠান হবে ভারতীয় সময় রাত ১০টা ৩০ নাগাদ। দ্বিতীয় বারের জন্য মার্কিন দেশের কুর্সিতে বসতে চলেছেন ট্রাম্প। তাঁর এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে শোনা যাবে ভারতীয় ঢোল-বাজনার আওয়াজ। জানা যাচ্ছে, ট্রাম্পের  শপথ গ্রহণে ঢোল বাদ্যিতে মুখরিত হবে ক্যাপিটল রোটান্ডা। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছে শিবম ঢোল তাসা গ্রুপ। দলটিতে রয়েছেন ৩০ জন যুবক-যুবতী (Indian Dhol Tasha)। এই গ্রুপই এবার আমেরিকার প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবে।

    ২০১৪ সালে তৈরি হয় এই গ্রুপ

    দলের সদস্যদের পোশাক বিধিও রয়েছে। সাদা কুর্তা, হলুদ জ্যাকেট ও পাগড়ি। এই পরেই শিবম গ্রুপকে পারফর্ম করতে দেখা যাবে। মার্কিন সেনা, মেরিন, নেভি, এয়ারফোর্স ও আমেরিকার কোস্ট গার্ড প্লাটুনের কুচকাওয়াজ চলবে। সেখানেই হাঁটতে দেখা যাবে এই দলকে। জানা গিয়েছে, মার্কিন দেশে কর্মসূত্রে থাকা যুবক-যুবতীরা ২০১৪ সালে শুরু করে এই গ্রুপ।

    ২০১৯ সালেও পারফর্ম করে এই দল

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালে এই দলকে পারফর্ম করতে দেখা গিয়েছে। ওই বছরে হিউস্টনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন, সেই সময় এই গ্রুপ পারফর্ম করেছিল। গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হরিশ নেহাতে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ভারতের প্রতিনিধিত্ব ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বার্তাই দেবে। আমরা টেক্সাসে গরম আবহাওয়ায় পারফর্ম করতে অভ্যস্ত। ওয়াশিংটনে এখন সাব-জিরো তাপমাত্রা চলছে। এই প্রতিকূল পরিবেশেই আমাদের পারফর্ম করতে হবে।”

    নৈশভোজে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা গেল আম্বানি দম্পতিকে

    ট্রাম্পের (Donald Trump) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি এবং তাঁর স্ত্রী তথা রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি। শপথগ্রহণের পূর্বে নৈশভোজে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁদের দেখা গিয়েছে।

    অন্যদিকে, ট্রাম্পের (Donald Trump) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বিশেষ আমন্ত্রণ পেয়েছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডধারী দীপিকা দেশওয়াল। কোভিড-১৯ অতিমারীর সময়ে, জনসেবার কারণে তাঁর নাম উঠেছিল ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hamas: যুদ্ধবিরতি শুরু হতেই তিন ইজরায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস, পাল্টা মুক্ত ৯০ প্যালেস্তিনীয়

    Hamas: যুদ্ধবিরতি শুরু হতেই তিন ইজরায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস, পাল্টা মুক্ত ৯০ প্যালেস্তিনীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজায় শুরু হয়েছে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি। যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন তিন ইজরায়েলি (Israel) পণবন্দিকে মুক্ত করল হামাস (Hamas)। গতকাল রবিবারই তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ইজরায়েল মুক্ত করেছে ৯০ জন প্যালেস্তাইনের নাগরিককে। হামাসের তরফে জানানো হয়েছে, রোমি গনেন, এমিলি ডামারি, ডোরন স্টেইনব্রিচার নামের তিন মহিলাকে মুক্ত করা হল।

    ৪৭১ দিন পরে মিলল মুক্তি

    প্রসঙ্গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় হামাস। সেই সয়ম বহু ইজরায়েলিকে অপহরণ করে পণবন্দি করা হয়। তাঁদের মধ্য়ে এই তিন মহিলাও ছিলেন। ৪৭১ দিন পরে নিজেদের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের পুনর্মিলন হল। এমন অবস্থায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সকলেই। অন্যদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স এক্স মাধ্যমে পোস্টও করে। তারা এই তিন মহিলাকে স্বাগত জানায়। এর পাশাপাশি, এক্স মাধ্যমে লেখা হয়, ‘‘৪৭১ দিনেরও বেশি সময় ধরে আমরা এই লড়াই করে আসছি।’’

    তিনজনেই বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন

    জানা গিয়েছে, ওই তিনজনেই বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। ৩ পণবন্দি মহিলার দেশে প্রত্যাবর্তনকে সরাসরি সম্প্রচারিত করা হয় তেল আভিভে। সেখানেই দেখা যায় ওই তিন মহিলা হামাস জঙ্গিদের (Hamas) দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে রেডক্রসের একটি গাড়িতে উঠছেন এবং সীমান্ত অতিক্রম করার সময় তাঁর উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন। প্রসঙ্গত, ইজরায়েল-হামাস (Hamas) সংঘাত শুরুর পর থেকেই যুদ্ধবিরতির জন্য লাগাতার মধ্যস্থতা করছিল কাতার, মিশর, সৌদি আরবের মতো একাধিক দেশ। ইজরায়েলকে সমর্থন করে যুদ্ধ থামাতে উদ্যোগী হয় আমেরিকাও।

    মিশরে বৈঠক হয় হামাস-ইজরায়েলের প্রতিনিধিদের 

    সেইমতো চলতি মাসেই মিশরের কায়রোতে আলোচনায় বসেন হামাস (Hamas) ও ইজরায়েলের প্রতিনিধিরা। দুপক্ষের বৈঠক সেখানে সদর্থক হয়। তারপরেই শুরু হল যুদ্ধবিরতির বিভিন্ন ধাপ। কিন্তু রবিবার ফের একবার সংশয় দেখা দিয়েছিল। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা আক্রমণ চালিয়ে যাবে। কারণ হিসেবে তারা জানায়, এখনও তালিকা প্রকাশ করেনি হামাস। তবে পরে অবশ্য তালিকা প্রকাশ করে দেয় হামাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India US Relation: ভারত-মার্কিন সম্পর্কের নয়া সমীকরণ! ট্রাম্পের শপথের সময় সামনের সারিতে জয়শঙ্কর

    India US Relation: ভারত-মার্কিন সম্পর্কের নয়া সমীকরণ! ট্রাম্পের শপথের সময় সামনের সারিতে জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (India US Relation)। সেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের মধ্যে একদম প্রথম সারিতে বসলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর৷ এই ছবি বলে দিল ভারত-মার্কিন বদলে যাওয়া সম্পর্কের সমীকরণ। জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ দূত হিসেবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বরাবর মধুর সম্পর্ক। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত ক্রমশ যে বিশ্বের দরবারে সামনের সারিতে উঠে এসেছে, তা বলে দিচ্ছে এই ছবি, এমনই অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

    বদলে যাওয়া ভারতের ছবি (India US Relation)

    জয়শঙ্কর তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ফটো শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা তাঁর জন্য সম্মানের। এস জয়শঙ্কর ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘ওয়াশিংটন ডিসিতে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা একটি বড় সম্মানের বিষয়।’ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর, ট্রাম্পের ঠিক সামনে বসেন। ট্রাম্পও মঞ্চ থেকে জয়শঙ্করের দিকে তাকান এবং তাঁকে সরাসরি সম্বোধন করেন। এতে বোঝা যায় এখন শুধু আমেরিকা নয়, ভারতের প্রতি বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গিয়েছে। এখন সারা বিশ্বে ভারতের প্রভাব বেড়েছে। জয়শঙ্করের শেয়ার করা ছবিতে ট্রাম্পকে জয়শঙ্করের দিকে মুখ করে থাকতে দেখা যাচ্ছে।

    ভারত-বন্ধু ট্রাম্প

    ভারতের সঙ্গে বরাবরই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ তাঁর প্রথম মেয়াদকালে ভারতের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিও সাক্ষর করতে দেখা যায় তাঁকে ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফরের সময়ে ট্রাম্প আয়োজিত ‘হাউডি মোদি’ নিয়ে আজও চর্চা করা হয়৷ দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে একাধিক ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে দায়িত্ব দিয়েছেন ট্রাম্প। নিরাপত্তা, তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, নাগরিক অধিকার-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে তাঁদেরকে বসিয়েছেন আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ৷ ট্রাম্প সরকারে জায়গা করে নিয়েছেন হারমিত কউর ঢিলোঁ, বিবেক রামাস্বামী, কাশ প্যাটেল, জয় ভট্টাচার্য এবং শ্রীরাম কৃষ্ণানের মতো ব্যক্তিত্বরা ৷

    বাংলাদেশ প্রশ্নে ভারতের পাশে

    বাংলাদেশে সংখ্য়ালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন নিয়ে ভারতের পাশে ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার ফলে, ভারতের অবস্থান মজবুত হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদকালে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ভারত ও আমেরিকার শীর্ষ কূটনীতিক ও রাজনীতিকরা ৷ সময়ের সঙ্গে সেই সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে ৷ 

    চিনের বদলে ভারত

    ভারতের শিল্পক্ষেত্রে ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন কোম্পানিগুলির সঙ্গে এনার্জি, আইটি ও সেমিকন্ডাক্টরের মতো ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী সহযোগিতা পাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার, যার বার্ষিক বাণিজ্য $১৯০ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সার্ভিস সেক্টরে বাণিজ্য ২০১৮ সালে $৫৪.১ বিলিয়ন থেকে ২০২৪ সালে আনুমানিক $৭০.৫ বিলিয়ন থেকে ৩০.৩ শতাংশ উন্নীত হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প চিন-বিরোধী হিসেবে পরিচিত। তাঁর প্রথম মেয়াদে আমেরিকা ও চিনের সম্পর্কের বেশ অবনতি দেখা গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেই আশা করা যায়। চিনের বদলে ভারত থেকে আমদানিতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আমেরিকার সোনালি যুগ শুরু’’! প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়ে দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্পের

    অভিবাসন-নীতি 

    তবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন-নীতি ভারতের জন্য় উদ্বেগের কারণ হতে পারে। বিপুল সংখ্যক ভারতীয় মার্কিন তথ্য়প্রযুক্তি সেক্টরে কাজ করেন। তারা ‘H-1B’ ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে ‘H-1B’ ভিসা নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। এবারও তিনি সেই অবস্থান বজায় রাখলে সমস্যায় পড়বেন এক শ্রেণির ভারতীয়েরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: প্রথম এক্সিকিউটিভ অর্ডারে সই ট্রাম্পের, জানেন সেগুলি কী কী?

    Donald Trump: প্রথম এক্সিকিউটিভ অর্ডারে সই ট্রাম্পের, জানেন সেগুলি কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন রিপালিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তার পরেই স্বাক্ষর করেছেন তাঁর প্রথম এক্সিকিউটিভ অর্ডারগুলিতে (Executive OrdersA)। এই অর্ডারগুলির মধ্যে রয়েছে ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে দ্বিতীয়বার ওয়াশিংটনকে প্রত্যাহার করা, টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা ৭৫ দিন বিলম্বিত করা এবং বাইডেনের শাসন কালের মোট ৭৮টি পদক্ষেপ বাতিল করা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা এক্সিকিউটিভ অর্ডারে স্বাক্ষর করব। প্রথমত, আমি পূর্ববর্তী প্রশাসনের প্রায় ৮০টি ধ্বংসাত্মক ও চরমপন্থী এক্সিকিউটিভ অর্ডার বাতিল করব, যা ইতিহাসের অন্যতম সবচেয়ে খারাপ প্রশাসন ছিল।”

    আটটি এক্সিকিউটিভ অর্ডার (Donald Trump)

    নয়া প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর করা প্রথম আটটি এক্সিকিউটিভ অর্ডার হল- বাইডেন প্রশাসনের ৭৮টি এক্সিকিউটিভ পদক্ষেপ বন্ধ করা, দ্বিতীয়বার প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে প্রত্যাহার, সামরিক বাহিনী এবং কিছু অপরিহার্য ক্ষেত্র ছাড়া সমস্ত ফেডারেল নিয়োগ স্থগিত, ফেডারেল কর্মীদের পূর্ণকালীন শারীরিকভাবে অফিসে ফিরে আসার প্রয়োজনীয়তা (Executive Orders),  জীবনযাত্রার খরচ সংকট মোকাবিলায় প্রতিটি দফতর ও সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া , একটি নিয়ন্ত্রক স্থগিতাদেশ যা বুরোক্র্যাটদের রেগুলেশন জারি করতে বাধা দেয় যতক্ষণ না ট্রাম্প প্রশাসন সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পায়,  সরকারি আদেশ যা মুক্ত স্পিচ পুনরুদ্ধার করে এবং মুক্ত মতামতের সেন্সরশিপ প্রতিরোধ করে এবং পূর্ববর্তী প্রশাসনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে সরকারের অস্ত্র ব্যবহারের অবসান (Donald Trump)।

    ক্যাপিটল হিল দাঙ্গাকারীদের ক্ষমা

    ক্যাপিটাল ওয়ান এরেনায় উদযাপনের পর, ট্রাম্প ওভাল অফিসে ফিরে যান, যেখানে তিনি আরও একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যার মধ্যে ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিল দাঙ্গার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষমার সিদ্ধান্তও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি বলেন, “এরা হল বন্দি। প্রায় ১,৫০০ জনের জন্য একটি সম্পূর্ণ ক্ষমা। আমরা আশা করি তারা আজ রাতে মুক্তি পাবে।” এই অর্ডার অনুযায়ী, ২০২১ সালের জানুয়ারি ৬ তারিখে সংঘটিত হামলায় দোষী সাব্যস্ত প্রায় ১,২৭০ জনকে ক্ষমা করা হয়েছে, বিচার বিভাগ প্রায় ৩০০টি মামলা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে এবং সবচেয়ে গুরুতর বিদ্রোহ সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত ১৪ জন আসামিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছিল ২০২১ সালে।

    টিকটক নিষেধাজ্ঞা

    ট্রাম্প একটি নয়া এক্সিকিউটিভ অর্ডারে টিকটক নিষেধাজ্ঞা ৭৫ দিন পিছিয়ে দিয়েছেন। এই অর্ডারে অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, “আমার প্রশাসনকে টিকটক সম্পর্কিত উপযুক্ত কার্যক্রম নির্ধারণ করতে একটি সুযোগ দেওয়ার জন্য।” এটি বিচার বিভাগকে অ্যাপল, গুগল এবং অরাকলকে চিঠি (Executive Orders) পাঠানোর নির্দেশও দেয়, যারা ভিডিও-শেয়ারিং অ্যাপটির সঙ্গে কাজ করে। এতে বলা হয় যে আইন লঙ্ঘন হয়নি এবং ওপরের উল্লেখিত সময়কালে যে কোনও কার্যকলাপের জন্য কোন দায়িত্ব নেই (Donald Trump)।”

    আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ায় অভিনন্দন, জয়শঙ্করের হাত দিয়ে বন্ধু ট্রাম্পকে চিঠি মোদির

    হু থেকে আমেরিকার প্রস্থান

    ট্রাম্প ফের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) থেকে প্রস্থানের কথা ঘোষণা করেছেন। সংস্থার “কোভিড-১৯ মহামারি ও অন্যান্য বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকটের ভুল ব্যবস্থাপনার” কারণে এই সিদ্ধান্ত। এর আগে ২০২০ সালে অতিমারির সময়ও তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্থান করেছিলেন হু থেকে। প্রস্থানের কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, “প্রয়োজনীয় সংস্কার গ্রহণে ব্যর্থতা এবং হু-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলির অনুপযুক্ত রাজনৈতিক প্রভাব থেকে স্বাধীনতা প্রদর্শন করতে অক্ষমতা।”

    মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা

    ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে আরও কিছু এক্সিকিউটিভ অর্ডারে সই করেছেন। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে মেক্সিকোর সঙ্গে সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণাও রয়েছে। এই অর্ডারটি শুধুমাত্র দক্ষিণ সীমান্তে ফোকাস করে করা হয়েছে। এই অর্ডার বলে এখানে পেন্টাগনের অতিরিক্ত সম্পদ মোতায়েন এবং সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের উদ্যোগ নেবে। তিনি মাদক কার্টেলগুলিকে বিদেশি জঙ্গি সংস্থা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অবসান ঘটানোর উদ্দেশ্যে একটি পদক্ষেপে সই করেছেন নয়া প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেন, বৈধ অভিবাসনে আমি সন্তুষ্ট।”

    ট্রাম্পের সই করা অন্যান্য এক্সিকিউটিভ অর্ডারগুলির মধ্যে ছিল কিছু মার্কিন দর্শনীয় স্থান যেমন মাউন্ট ম্যাককিনলি এবং গালফ অফ আমেরিকার পুনঃনামকরণ, কিউবাকে ফের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী পৃষ্ঠপোষক তালিকায় পুনর্বহাল করা, হান্টার বাইডেন ল্যাপটপ চিঠিতে সই করা ৫১ জন প্রাক্তন কর্তার নিরাপত্তা অনুমোদন (Executive Orders) বাতিল করা এবং প্রাক্তন বাইডেন প্রশাসনের “মুক্ত বক্তৃতার সেন্সরশিপ” বা “আইন প্রয়োগ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলির অস্ত্রীকরণ” সম্পর্কিত ব্যাপক তদন্ত শুরু করা (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে সংকটে পোশাক শিল্প, কাজ হারিয়েছেন ৫০ হাজার শ্রমিক, বেশিরভাগই মহিলা

    Bangladesh: বাংলাদেশে সংকটে পোশাক শিল্প, কাজ হারিয়েছেন ৫০ হাজার শ্রমিক, বেশিরভাগই মহিলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর সংকটে বাংলাদেশের (Bangladesh) অর্থনীতি। বাংলাদেশে রফতানি অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি হল এই পোশাক শিল্প (Garment Workers)। এই পোশাক শিল্পই এবার একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থান। ইউনূস সরকারের জমানায় ব্যাপক মন্দাও দেখা দিয়েছে পোশাক শিল্পে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালেই ৭৬টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পোশাক কারখানাগুলিতে কর্মরত ছিলেন পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি শ্রমিক। এর পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যভাবে উঠে এসেছে যে এই শ্রমিকদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন মহিলা, যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন। অশনি সংকেত দেখা দিয়েছে পোশাক শিল্পে। বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস সরকারকে সতর্ক করে জানাচ্ছেন যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এবং ভবিষ্যতে আরও অনেক পোশাক কারখানার ঝাঁপ বন্ধ হতে পারে। 

    পোশাক শিল্প সমিতির প্রাক্তন সভাপতির বিবৃতি (Bangladesh)

    বাংলাদেশের (Bangladesh) পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানি কারকদের একটি সংগঠন রয়েছে। তার নাম হল পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি। এই সমিতিরই প্রাক্তন সভাপতি এস এম ফজলুল হক বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছেন। একাধিক সংবাদমাধ্যমে সামনে এসেছে তাঁর বিবৃতি। বিভিন্ন জায়গায় তিনি সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন। নিজের বক্তব্যে এস এম ফজলুল হক বলেন, ‘‘বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্তমানে পোশাক শিল্প ব্যাপক সংকটে রয়েছে। হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি কারখানা চলছে। বেশিরভাগ কারখানাকে শুধুমাত্র কিছুটা লাভ করার জন্য ব্যাপক লড়াই করতে হচ্ছে। এই মেশিনগুলি যত বেশি সময় ধরে চলবে, ততই আর্থিক বোঝা বেশি হবে।’’

    বিশ্ববাজারে দাম কমেছে বাংলাদেশি (Bangladesh) পোশাকের

    কিন্তু এর কারণ কী? কেন বাংলাদেশের পোশাক শিল্প সংকটে পড়ল? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাকের দামে মন্দা দেখা দিয়েছে। তাই কারখানার মালিকদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে যে দেশগুলি আছে, সেগুলি বাংলাদেশি পোশাকের দাম পাঁচ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। যার ফলে চাপ পড়ছে বাংলাদেশের কারখানার মালিকদের ওপরে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে সেখানে বাংলাদেশি পোশাকের দাম কমানো হয়েছে ৮ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশি পোশাকের দাম কম দেখা যাচ্ছে তিন শতাংশ। এই কারণে কারখানার মালিক এবং উৎপাদনকারীদের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।

    প্রভাব পড়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতার

    একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নানা কারণও সামনে এসেছে। যেমন ব্যাঙ্ক ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি। মার্কিন ডলারের তুলনায় বাংলাদেশি (Bangladesh) টাকার ব্যাপক অবমূল্যায়ন। কাঁচামালের আমদানির খরচ বৃদ্ধি। একইসঙ্গে শুল্কবৃদ্ধি। বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিকঠাক না হওয়া। এই একাধিক কারণ রয়েছে বাংলাদেশে পোশাকের বাজারে মন্দা দেখা দেওয়ার। অন্যদিকে, গত অগাস্ট মাসে জামাত-বিএনপির নেতৃত্বে যেভাবে গণভবন দখল করা হয় এবং পুরো বাংলাদেশকে অস্থির করে তোলা হয়, এই সময়ে সেদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে যায়। সেই সময়ও একটি আঘাত নেমে আসে বাংলাদেশে পোশাক শিল্পে।

    ইউনূস সরকারকে প্রচ্ছন্ন তোপ পোশাক শিল্প সমিতির প্রাক্তন নেতার

    পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের পোশাক খাতে রফতানি ছিল ৩৮.৪৮ বিলিয়ন ডলার। জামাত-বিএনপির মদতে চলা ইউনূস সরকারকে প্রচ্ছন্নভাবে তোপ দেগেছেন পোশাক শিল্প সমিতির প্রাক্তন নেতা এস এম হক। তিনি বলেন, ‘‘দেশের শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি স্থিতিশীল সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’ স্বাভাবিকভাবে এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্ট মাস থেকে যে ধরনের জঙ্গলের রাজত্ব, আতঙ্কের রাজত্ব বাংলাদেশ শুরু হয়েছে, তা শিল্পক্ষেত্রকেও ব্যাপক আঘাত দিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমেই ডুবছে ইউনূস জমানায়।

    কিছু উদাহরণ

    কেয়া গ্রুপের পোশাক কারখানার কর্মীরা গত ২ জানুয়ারি সকালে জানতে পারেন তাঁদের চাকরি আর থাকছে না। কারণ গ্রুপটি তাদের কারখানাগুলিকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এভাবেই কাজ হারিয়েছেন ৫০ হাজার জনেরও বেশি। জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায় তাঁদের। অনেক জায়গায় ২৯ ডিসেম্বর থেকেই কর্মীরা কাজ বন্ধ করে দেন। কারণ নভেম্বর মাসের বেতনই হাতে পাননি বেশিরভাগ শ্রমিক। বন্ধ হওয়া কারাখানার মালিকরা জানিয়েছেন, বর্তমান অস্থিতিশীল বাজারের কারণেই কারখানাগুলি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলোর একটি হল বেক্সিমকো গ্রুপ। যার কর্ণধার হলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্য়ন্ত ঘনিষ্ঠ সালমান এফ রহমান। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এই সংস্থা তাদের ১৫টি কারখানা বন্ধ করার ঘোষণা করে। এতে অন্তত ৪০ হাজার শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ায় অভিনন্দন, জয়শঙ্করের হাত দিয়ে বন্ধু ট্রাম্পকে চিঠি মোদির

    PM Modi: প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ায় অভিনন্দন, জয়শঙ্করের হাত দিয়ে বন্ধু ট্রাম্পকে চিঠি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধু ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Congratulates Donald Trump)। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। সোমবার ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর৷ সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে খবর, জয়শঙ্কর কিন্তু সেদেশে একা যাননি। সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন ট্রাম্পের প্রতি মোদির লেখা একটি চিঠিও। সেই চিঠি পৌঁছে দেন জয়শঙ্কর। সেই চিঠিতে কী লেখা আছে, তা অবশ্য প্রকাশ্যে আসেনি। এদিকে, দেশে বসেই ‘প্রিয় বন্ধু’ ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    মোদির বার্তা ট্রাম্পকে

    আমেরিকার মসনদে নিজের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প (PM Modi Congratulates Donald Trump)। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লিখলেন, ‘‘আমার প্রিয় বন্ধু রাষ্ট্রপতি @realDonaldTrump যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে আপনার ঐতিহাসিক অভিষেকের জন্য অভিনন্দন! আমাদের উভয় দেশের ভালোর জন্য এবং বিশ্বের জন্য এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে আমি আরও একবার ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।’’ ট্রাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী মোদির বিশেষ দূত হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির একটি চিঠি নিয়ে যান। এক পোস্টে জয়শঙ্কর লেখেন, ‘‘আজ ওয়াশিংটন ডিসিতে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতের বিদেশমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছি।’’

    মোদি-ট্রাম্প বন্ধুত্ব

    প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi Congratulates Donald Trump) সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক বরাবরই ভালো৷ ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তাঁর প্রথম মেয়াদকালে একাধিকবার ট্রাম্পের প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে মোদিকে৷ এমনকী, ২০১৯ সালে টেক্সাসের ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানে একে অপরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন ট্রাম্প ও মোদি৷ পাল্টা ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় মোদি সরকার করেছিল ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠান। এমনকী, ‘বন্ধু’ ট্রাম্পের হয়ে “আব কি বার ট্রাম্প সরকার” বলতেও শোনা গিয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে৷ সবমিলিয়ে, প্রথমবার মেয়াদকালে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন ট্রাম্প ৷ এবারও তার অন্যথা হবে না বলে মত কূটনৈতিক মহলের ৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Donald Trump: ‘‘আমেরিকার সোনালি যুগ শুরু’’! প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়ে দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্পের

    Donald Trump: ‘‘আমেরিকার সোনালি যুগ শুরু’’! প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়ে দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘আমেরিকার সোনালি যুগের শুরু হল। দেশের নাগরিকদের স্বার্থরক্ষাই হবে তাঁর প্রথম অগ্রাধিকার।’’ সোমবার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েই একথা ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশবাসীর স্বার্থরক্ষায় অবৈধ অভিবাসন ঠেকানোর পাশাপাশি, আমদানি শুল্ক বাড়ানোই তাঁর ‘অস্ত্র’ বলে জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।

    আমেরিকা ফার্স্ট

    শপথের পর প্রথা মেনে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন, জর্জ ডব্লিউ বুশ, বারাক ওবামা, জো বাইডেনদের ধন্যবাদ জানিয়ে ক্যাপিটল হিলের রোটান্ডায় সোমবার রাতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রথম বক্তৃতা করেন ট্রাম্প (Donald Trump)। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আজ আমেরিকার সোনালি যুগের সূচনা হল। আমি আবার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ চালু করব। সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দূরে সরিয়ে দেব।’’ ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কথা প্রচারের সময় বার বার বলেই ভোটারদের মন কেড়ে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাঁর নির্বাচনের স্লোগানই ছিল ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’, সংক্ষেপে ‘মাগা’। ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, এত দিন আমেরিকায় যেটুকু ভালো হয়েছে, তার মুনাফা লুটেছে শুধু ক্ষমতার অলিন্দে বসে থাকা মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ। তিনি যদি ক্ষমতায় আসেন, সেই ছবি আমূল পাল্টে দেবেন। অন্য দেশ বা অভিবাসী নয়, অগ্রাধিকার দেবেন আমেরিকার নাগরকিদের স্বার্থরক্ষায়।

    বেআইনি অভিবাসী বিতাড়ন

    শপথ নিয়ে ফুল অ্যাকশন মোডে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। শপথের পরেই জানালের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল তুলবেন। সেই সঙ্গে আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে এমার্জেন্সি ঘোষণা করে সেখানে সেনা পাঠানোর কথাও বলেছেন। বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বের করে ফেরত পাঠানোর কথাও জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার শপথ নিয়েই ট্রাম্পের ঘোষণা, ‘‘বেআইনি অভিবাসন এড়াতে দক্ষিণ সীমান্তে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করব।’’ প্রেসিডেন্ট ভোটের আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পশ্চিম এশিয়ায় অশান্তি ঠেকাতে কূটনৈতিক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাঁর পূর্বসূরি বাইডেনের জমানাতেই গাজায় ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ইউক্রেনে এখনও রক্ত ঝরছে। ট্রাম্পের ঘোষণা— ‘‘আমি শান্তি এবং ঐক্য ফেরানোর কাজ করব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share