Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bangladesh Crisis: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে ইউনূসের! তাই কি ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি?

    Bangladesh Crisis: ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে ইউনূসের! তাই কি ক্ষুব্ধ খালেদার বিএনপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হাল ধরেছিলেন নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূস (Yunus Government)। ক্ষমতায় এসেই প্রথম যে কাজটি তিনি করেছিলেন, সেটা হল বিএনপি সুপ্রিমো খালেদা জিয়ার বন্দিদশা ঘোচানো। খালেদাকে মুক্ত করে বিএনপির ব্যাপক সমর্থন লাভ করেছিল ইউনূস প্রশাসন। শান্তিতে নোবেল জয়ী ইউনূস জমানায় নিশ্চিন্তে চলতে থাকে সংখ্যালঘু পীড়ন। তাতে আরও উল্লসিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের মৌলবাদীরা।

    ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে! (Bangladesh Crisis)

    হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাঁর দল আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকদের ওপর ব্যাপক হিংসার ঘটনাও ঘটে। ছন্নছাড়া হয়ে যায় হাসিনার সাধের আওয়ামি লিগ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ফাঁকেই ক্ষমতা আঁকড়ে বসে থাকার পরিকল্পনা ছকে ফেলেন ইউনূস! বাংলাদেশের রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, খালেদাকে মুক্তি দিয়ে এবং মৌলবাদীদের সমর্থন কুড়িয়ে ‘হিরো’ বনে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ইউনূস। তবে ক্ষমতার চিটে গুড়ে পা আটকে যাওয়ায় দেশে সাধারণ নির্বাচন আপাতত করাতে চাইছে না সে দেশের তদারকি সরকার। দিন কয়েক আগে স্বয়ং ইউনূসের কথায়ই মিলেছিল তার ইঙ্গিত। তিনি বলেছিলেন, “২০২৫ সালের শেষের দিকে কিংবা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময় বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন করা হবে।

    বিএনপির সাফ কথা

    ইউনূসের এহেন মন্তব্যের পরেই খালেদার দল বিএনপি বুঝে গিয়েছিল ঘুঁটি সাজাতেই নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছেন ইউনূস। তার জেরে বিএনপির সঙ্গে ইউনূসের দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছে। বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশে নয়া ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আমাদের দল (বিএনপি) এই চক্রান্তের সামনে মাথা নত করবে না।” শনিবার ছিল বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষে ভার্চুয়ালি বক্তৃতা দেন ফখরুল। তিনি বলেন, “এই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের সামনে আমরা মাথা নত করব না। সব জায়গায় বৈষম্য রয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে। বৈষম্য ও দুর্নীতি দূর করে জনগণের সরকার যাতে প্রতিষ্ঠা করতে পারি, সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।”

    ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ফখরুলের এহেন বাক্য-বাণের আগে বিএনপি (Bangladesh Crisis) অভিযোগ তুলেছে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে ইউনূস সরকার নানা টালবাহানা করে জাতীয় সংসদের নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে (Yunus Government)। এই পরিস্থিতিতে ফখরুল আবার ‘জনগণের সরকার’ তৈরির কথা মনে করিয়ে দিলেন। বাংলাদেশের রাজনীতি সম্বন্ধে যাঁরা ওয়াকিবহাল, তাঁদের একাংশের মতে, মূলত দুটো কারণে দেশে সাধারণ নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছেন ইউনূস। এক, ইউনূস ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা যতটা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেন। আর দুই, ইউনূসরা নিজেরাই একটি দল গঠন করতে চাইছেন। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে। হাসিনার দেশ ছাড়া, তাঁর দলের ছন্নছাড়া হওয়া, খালেদার অসুস্থতা, মাস দুয়েকের জন্য চিকিৎসা করাতে তাঁর লন্ডনে চলে যাওয়া ইউনূসের কাছে বিরাট একটা সুযোগ। এই সুযোগে ইউনূস দল গঠনের কাজটা করে নিতে চাইছেন বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। দেশে সাধারণ নির্বাচনের আগে ইউনূসের নয়া দল যাতে শেকড় গাড়তে পারে, তাই ‘টাইম কিল’ করছেন ইউনূস ও তাঁর অনুগামীরা।

    বিএনপির ভয়ঙ্কর অভিযোগ

    বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “বিএনপিকে ক্ষমতায় আসা থেকে বিরত রাখতে বর্তমানে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও চাল চালা হচ্ছে। সেই কারণেই মহম্মদ ইউনূস স্পষ্টভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করছেন না।” গত বছর জুলাই মাসে বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত হয়েছিল এডিএসএম এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি। তখনই তারা জানিয়েছিল, নতুন একটি রাজনৈতিক দল গড়া হবে। এই নতুন দলটির সদস্য সংগ্রহ, দেশজুড়ে শাখা স্থাপন, সম্পদ সংগ্রহ এবং একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্ধারণের মাধ্যমে সংগঠিত হতে সময় লাগবে।

    ফের ‘রাজপক্ষের দল’ !

    বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ওসমান ফারুক বলেন, “এটা স্পষ্ট যে মহম্মদ ইউনূস ও এডিএসএম নেতারা, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, নির্বাচন স্থগিত করতে চান যতক্ষণ না নতুন ‘রাজপক্ষের দল’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ইউনূস এবং তাঁর সহকর্মীরা সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, যা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।” আরও একধাপ এগিয়ে ফখরুল বলেন, “এটি (ইউনূস-নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) একটি অনির্বাচিত সরকার। তাই এটি বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।” তিনি বলেন, “সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন বিলম্বিত করা যাবে না।”

    জামাতের প্রভাব বাড়তে থাকায় অসন্তুষ্ট বিএনপি

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের (Bangladesh Crisis) মতে, ইউনূসের আমলে জামাতের প্রভাব ক্রমশ বাড়তে থাকায় অসন্তুষ্ট বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়েছে জামাত ঘনিষ্ঠদের। এই সব কারণে ইউনূস প্রশাসনের ওপর যারপরনাই ক্ষুব্ধ বিএনপি। খালেদার দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি সরাসরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জামাতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাত নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে পাক সেনার হয়ে কাজ করছিলেন। রাজাকার ঘাতক বাহিনীর নেতা হিসেবে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে একাধিক জামাত নেতার বিরুদ্ধে। ইউনূস জমানায় সেই জামাতের প্রতিপত্তি বাড়তে থাকা নিয়েও (Yunus Government) বিএনপি ক্ষুব্ধ।

    কী বলছে বিএনপি?

    আলমগীর বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছিল একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক নির্বাচন সংস্কার সম্পন্ন করার নির্দিষ্ট ম্যান্ডেট নিয়ে, যা সংসদীয় নির্বাচন পরিচালনার পূর্বশর্ত। দেশের সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, প্রশাসন ইত্যাদিতে বড় ধরনের সংস্কার শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত সরকার ও জাতীয় সংসদ করতে পারে। বড় ধরনের সংস্কার করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়।” আলমগীর খালেদার ছেলে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তারেক লন্ডনে থাকেন। তবে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তদারকি সরকারকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করে আলামগীর বলেন, “শীঘ্রই একটি দৃঢ় নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা না হলে মানুষকে রাস্তায় নামার ডাক দেবে আমার দল।” বিএনপির আর এক ভাইস প্রেসিডেন্ট শওকত মাহমুদ বলেন, “নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনে ইউনূসের সমর্থন দেওয়া নৈতিক ও নীতিগতভাবে ভুল।”

    আরও পড়ুন: “ভুল করে গিয়েছিলাম, আমি এখন পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেই রয়েছি”, সাফ কথা নীতীশের

    অরাজনৈতিক হওয়া উচিত

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ইউনূস একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। এই সরকারের কাজ সম্পূর্ণভাবে অরাজনৈতিক হওয়া উচিত। এর ম্যান্ডেটও সীমিত। নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনে সমর্থন দেওয়া এবং নতুন দলটি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করার অজুহাত দেওয়া খুবই ভুল। গ্রহণযোগ্যও নয়। ইউনূস যে খেলা খেলছেন, তা বুঝতে পারছেন বাংলাদেশের মানুষ।” আলমগীর বলেন, “নির্বাচনী সংস্কারের সুপারিশ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির কাজ হল সংস্কারের সুপারিশ করা। কমিটি তাদের সুপারিশ জমা দেওয়ার আগে প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাব দেওয়া (Bangladesh Crisis) শোভন নয়।”

    বিএনপির বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত!

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ভাষ্যকার সাদাকাত আলি বলেন, “বিএনপি এবং ইউনূসের মধ্যে একটি তীব্র বাকযুদ্ধ শুরু হওয়া স্রেফ সময়ের ব্যাপার। কারণ ইউনূস দিন দিন আরও সাহসী হয়ে উঠছেন।” তিনি বলেন, “ইউনূস এখনও পর্যন্ত চুপ ছিলেন। কারণ তিনি নিজের জন্য সমর্থন সংগঠিত করার আগে বিএনপির সঙ্গে প্রকাশ্যে সংঘাতে জড়াতে চাননি। তবে এটি বেশি দিন স্থায়ী হবে না। কারণ তিনি (Yunus Government) ইসলামপন্থীদের এবং অন্যদের সমর্থন পেয়েছেন। শীঘ্রই তিনি বিএনপির বিরুদ্ধে পাল্টা আঘাত হানবেন (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: হু হু করে বাংলাদেশে বাড়ছে বেকারত্ব! সরকারি রিপোর্টে চাপে ইউনূস সরকার

    Bangladesh: হু হু করে বাংলাদেশে বাড়ছে বেকারত্ব! সরকারি রিপোর্টে চাপে ইউনূস সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। দেশজুড়ে হিংসার ঘটনা বেড়েই চলেছে। ভারত বিরোধী স্লোগান দিয়ে সেখানে যুদ্ধের জিগির তুলছে মৌলবাদীরা। মদত রয়েছে ইউনূস সরকারের। এই আবহের মধ্যে এবার বাংলাদেশের হু হু করে বেকারত্ব বেড়ে চলার তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেটাও সেখানকার সরকারি হিসেব অনুসারে! মূলত, বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেই এই সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চরম চাপে পড়ে গিয়েছে ইউনূস সরকার। ভারত বিরোধী জিগির তুলে বেকারত্ব বৃদ্ধির দায়কে এড়িয়ে যেতে চাইছে বাংলাদেশ সরকার। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।

    বেকারের সংখ্যা কত? (Bangladesh)

    বাংলাদেশ (Bangladesh) ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিক্স বা বিবিএস-এর হিসেব বলছে, চলতি আর্থিক বছরের (২০২৪-২৫) দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই ২০২৪ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪) বাংলাদেশে বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৬ লক্ষ ৬০ হাজার! রবিবার বিবিএস-এর তরফে শ্রম শক্তি সমীক্ষা ২০২৪-এর যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই সামনে এসেছে এই তথ্য। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এই সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সকারের পতন এবং নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন। আর, তারপর থেকেই শুরু হয়েছে বাংলাদেশের তুমুল ভারত বিদ্বেষ ও হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের ওপর নিদারুণ নিপীড়ন!

    আরও পড়ুন: বন্দি বিনিময় দুই দেশের, ভারতের ৯৫ জন, বাংলাদেশের ৯০ মৎস্যজীবী ফিরছেন ঘরে

    নয়া বেকারত্বের সংখ্যা নির্ধারণের নিয়ম

    বাংলাদেশি অনলাইন পোর্টাল ঢাকা ট্রিবিউন-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অফ লেবার স্ট্যাটিস্টিক্স’ বা ১৯তম আইসিএলএস-এর নিয়ম অনুসারে বাংলাদেশের (Bangladesh) নয়া বেকারত্বের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নিয়ম অনুসারে, যে সমস্ত ব্যক্তিরা কোনও উৎপাদনমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা সত্ত্বেও পণ্য বিক্রি বা বাজারে কোনও পরিষেবা প্রদানের সঙ্গে যুক্ত থাকেন না, তাঁদের বেকার বা কর্মহীন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বিবিএস-এর একজন প্রতিনিধি বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই প্রথম এই ফরমুলায় দেশে সমীক্ষা চালানো হল এবং বেকারদের সংখ্যা নির্ধারণ করা হল। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এত দিন ১৩তম আইসিএলএস অনুসারে বেকারত্ব ও শ্রমশক্তির হিসেব করা হত। এবার, নতুন ফর্মুলা (১৯তম আইসিএলএস) অনুযায়ী, সমীক্ষা চালানো হয়েছে।

    কেন বাড়ছে বেকার?

    বাংলাদেশি অনলাইন পোর্টাল কালের কণ্ঠ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে বেকারত্ব বাড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে মূলত দু’টি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন অর্থনীতিবিদরা। প্রথমত, গত একবছরে বাংলাদেশে তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ না হওয়া এবং দ্বিতীয়ত, লাগাতার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অস্থিরতা। এর ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের কৃষি ক্ষেত্র। গত এক বছরে এই ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ১৫ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ কাজ হারিয়েছেন! লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, এর আগে ১৩তম আইসিএলএস ভিত্তিক করা সমীক্ষা অনুসারে, বাংলাদেশে (Bangladesh) কর্মরত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৬০ লক্ষ। যার মধ্যে পুরুষের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৭৪ লক্ষ ৯০ হাজার এবং মহিলার সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ২৫ লক্ষ ৭০ হাজার। আগের এই সমীক্ষা অনুসারে, উপরোক্ত শ্রমিক শক্তির অধীনে অন্তত ৬ কোটি ৭৫ লক্ষ ১০ হাজার এমন মানুষ রয়েছেন, যাঁরা মজুরি পাওয়ার জন্য সাতদিনে অন্তত একঘণ্টা শ্রম দান করেন। এই তালিকায় পুরুষ ও নারীর সংখ্যা যথাক্রমে ৪ কোটি ৫৭ লক্ষ ৭০ হাজার এবং ২ কোটি ১৭ লক্ষ ৪০ হাজার। এই বিশেষ গোষ্ঠীটিকে কর্মরত বা কর্মহীন— এই দুইয়েরই অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এঁদের মধ্যে রয়েছেন পড়ুয়া, প্রবীণ, অসুস্থ, অবসরপ্রাপ্ত, গৃহবধূ এবং সেইসব ব্যক্তি- যাঁরা নানা কারণে কাজ করে রোজগার করতে পারেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: ঘরে-বাইরে সমালোচনার জের, আজই পদত্যাগ করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো?

    Justin Trudeau: ঘরে-বাইরে সমালোচনার জের, আজই পদত্যাগ করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করতে চলেছেন কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)! কানাডার একটি সংবাদপত্রের দাবি, আজ, সোমবারই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে পারেন তিনি। নিতান্তই যদি তা না হয়, তবে চলতি সপ্তাহে বুধবারের আগেই লিবারাল পার্টির নেতা হিসেবে পদত্যাগ করবেন ট্রুডো। সংবাদপত্র ‘দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেল’ এমনতর দাবি করলেও, প্রধানমন্ত্রীর দফতর কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

    মুখ রক্ষা করার চেষ্টা ট্রুডোর! (Justin Trudeau)

    দলীয় সদস্যপদ ছাড়ার পরেও তিনি প্রধানমন্ত্রী থেকে যাবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, চলতি বছর অক্টোবরে কানাডায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হওয়ার কথা। বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, ওই নির্বাচনে ট্রুডোর দলের পরাজয় এক প্রকার অবশ্যম্ভাবী। হারতে পারেন ট্রুডো স্বয়ংও। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই আগেভাগে পদত্যাগ করে মুখ রক্ষা করতে চাইছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। কানাডার সংসদের বহু সাংসদ ট্রুডোর অপসারণ চাইছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিন, চাইছেন তাঁর দলের সাংসদরাও। এমতাবস্থায় ট্রুডোর কাছে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়া ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    প্রধানমন্ত্রী পদে ৯ বছর

    ২০১৩ সালে লিবারাল পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ট্রুডো। গত ৯ বছর ধরে তিনি রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদে। নানা কারণে বর্তমানে তাঁর জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে। তাঁর আন্তর্জাতিক নীতি নিয়েও দেশের মধ্যেই সমালোচিত হয়েছেন তিনি। আগামী নির্বাচনে ট্রুডোর (Justin Trudeau) দল গোহারা হারবে বলে বিভিন্ন নির্বাচনী সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে। আগামী নির্বাচনে কানাডায় কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় আসছে বলেও জানিয়েছে ওই সমীক্ষা। এহেন পরিস্থিতিতে কিছুদিন আগে হঠাৎই পদত্যাগ করেন কানাডার উপমুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। তার পর থেকে দেশের অভ্যন্তরে ট্রুডো-বিদ্বেষ বাড়ছে বই কমছে না।

    আরও পড়ুন: সাধুর ভিড়ে মহাকুম্ভে হানা দিতে পারে জঙ্গিরা, কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    সমস্যা মেটানোর যে কোনও চেষ্টা ট্রুডো করেননি, তা নয়। মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন তিনি। তার পরেও অব্যাহত রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার চাপ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রুডো পদত্যাগ করলে এগিয়ে আনা হতে পারে সাধারণ নির্বাচন। ততদিন কে চালাবেন দেশ, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর। ভারত বিরোধিতার খেসারত কি ট্রুডোকে (Justin Trudeau) গদি হারিয়েই দিতে হবে? প্রশ্নটা কিন্তু উঠছেই (Canada)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: অবশেষে ভারতীয় বাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা স্বীকার পাকিস্তানের, কে দিলেন বিবৃতি?

    Pakistan: অবশেষে ভারতীয় বাহিনীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা স্বীকার পাকিস্তানের, কে দিলেন বিবৃতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরে ঢুকে মার! সে কি সহজে স্বীকার করা যায়! পাকিস্তান (Pakistan) বারবার অস্বীকার করেছে ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক অথবা ২০১৯ সালে ভারতের করা এয়ার স্ট্রাইকের কথা। কিন্তু অবশেষে তারা স্বীকার করল ভারত সে দেশের ওপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (Surgical Strike) করেছিল। কীভাবে স্বীকার করল পাকিস্তান? পাকিস্তানের এক জনপ্রিয় সাংবাদিক হলেন নাজম শেঠি। তিনিই এক সাক্ষাৎকারে একথা স্বীকার করেন।

    আরও পড়ুন: ভারত-বিরোধিতাই হল কাল! কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা ট্রুডোর, এগিয়ে আসছে নির্বাচন?

    পাকিস্তান আন টোল্ড নামের একটি অ্যাকাউন্ট পোস্ট করে ওই সাক্ষাৎকার

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তান (Pakistan) ভারতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল। এই সাক্ষাৎকারের একটি ছোট অংশ ইতিমধ্যেই বেশ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ভারতের করা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা বলতে শোনা যাচ্ছে তাঁকে। প্রসঙ্গত, নাজম শেঠি পাকিস্তানের অন্যতম প্রবাদপ্রতিম সাংবাদিক। পাকিস্তানি এই সাংবাদিকের বয়ান ইতিমধ্যে পোস্ট করা হয়েছে ‘পাকিস্তান আন টোল্ড’ নামের একটি এক্স হ্য়ান্ডেলের অ্যাকাউন্ট থেকে।

    কী বললেন নাজম শেঠি

    সাক্ষাৎকারে নাজম শেঠিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তান আর্মি আফগানিস্তানে যে পদ্ধতিতে হামলা চালাচ্ছে, সেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক তারা ভারতের কাছেই শিখেছে। ওই ভিডিওতে এই পাক সাংবাদিক আরও বলেন, ‘‘ভারত পাকিস্তানের (Pakistan) ভিতরে ঢুকে যেমন হামলা করেছিল, পাকিস্তানও আফগানিস্তানের ভিতরে ঢুকে তাই করছে।’’ ইতিমধ্যে পাক সাংবাদিকের এমন মন্তব্যের ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anita Anand: ট্রুডোর পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার অনিতা আনন্দ, চেনেন তাঁকে?

    Anita Anand: ট্রুডোর পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার অনিতা আনন্দ, চেনেন তাঁকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত বিদ্বেষ এবং ‘খালিস্তানপন্থী-প্রেমী’ সাজাই ‘কাল’ হয়েছিল কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর। তার জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে হয়েছে তাঁকে। সোমবারই পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেছন লিবারেল পার্টির এই নেতা। গত ৯ বছর ধরে কানাডায় রাজ করছিলেন ট্রুডো। সোমবার রাতে অবসান ঘটল তার।

    তালিকায় অনিতা আনন্দ (Anita Anand)

    কানাডার সম্ভাব্য নয়া প্রধানমন্ত্রী কে, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এই তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছেন ট্রুডো সরকারের পরিবহণমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দ (Anita Anand)। তিনি যদি ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হন, তাহলে তা হবে আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের বিশ্বজয়। প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। কানাডার সংসদীয় রীতি অনুসারে, এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দল পরবর্তী নেতা নির্বাচনের জন্য ৯০ দিন সময় পাবে। এই তিন মাস কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালাবেন তিনি। সোমবারই তিনি জানিয়েছিলেন, আগামী ২৪ মার্চের মধ্যে তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন করবে তাঁর দল লিবারেল পার্টি। এই ক’দিন স্থগিত থাকবে সংসদের অধিবেশন।

    কে এই অনিতা আনন্দ?

    ট্রুডো পদত্যাগ করতেই উত্তরসূরি বাছাই করতে কোমর কষে নেমে পড়েছে লিবারেল পার্টি। সেখানেই সামনের সারিতে রয়েছেন অনিতা (Anita Anand)। পরিবহণ দফতর সামলানো ছাড়াও নানা সময় জনসেবা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, কোষাগার বোর্ডের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অনিতার জন্ম নোভা স্কোটিয়া প্রদেশের কেন্টভিলে। অনিতার বাবা তামিল, নাম এসভি (অ্যান্ডি) আনন্দ। মায়ের নাম সরোজ ডি রাম। পেশায় দুজনেই ছিলেন চিকিৎসক। অনিতার দুই বোন রয়েছেন। তাঁদের নাম গীতা ও সোনিয়া। 

    ঈর্ষনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা

    বছর সাতান্নর অনিতা (Anita Anand) অক্সফোর্ডের প্রাক্তনী। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা ঈর্ষনীয়। স্থানীয় কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলায় স্নাতক। এর পর, অক্সফোর্ড থেকে আইনশাস্ত্রে স্নাতক। ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক। পরে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে স্নাতকোত্তর লাভ করেন তিনি। রাজনীতিতে আসার আগে অধ্যাপনা করতেন অনিতা। সম্মানীয় ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে অধ্যাপনা করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ভারত-বিরোধিতাই হল কাল! কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা ট্রুডোর, এগিয়ে আসছে নির্বাচন?

    রাজনৈতিক উত্থান

    ২০১৯ সালে রাজনীতির জগতে পা রাখার পরে পরেই দ্রুত দলে উত্থান ঘটতে থাকে অনিতার (Anita Anand)। সেই বছর ওকভিলের সাংসদ নির্বাচিত হন পলিটিক্যাল স্টাডিজের এই ছাত্রী। সাংসদ হওয়ার পরেই ঠাঁই হয় ট্রুডোর মন্ত্রিসভায়। তার জেরেই সটান চলে আসেন ট্রুডো মন্ত্রিসভায়। যুদ্ধের সময় ইউক্রেনকে ত্রাণ ও অন্যান্য সাহায্য পাঠানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, অনিতা ছাড়াও কানাডার (Canada) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন মেলাইন জলি, ক্রিস্টিয়া, ফ্রিল্যান্ড, মার্ক কার্নি, ফ্রাঙ্কেইস-ফিলিপ শ্যাম্পেন প্রমুখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: বাংলাদেশের ৫০ বিচারকের ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে আসার সূচি বাতিল ইউনূস সরকারের

    India Bangladesh Relation: বাংলাদেশের ৫০ বিচারকের ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে আসার সূচি বাতিল ইউনূস সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India Bangladesh Relation) এসে প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের ৫০ জন বিচারকের (Bangladesh Judges)। নিম্ন আদালতের ৫০ জন বিচারককে গত ৩০ ডিসেম্বর ভারতে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমতি দেয় কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক। রবিবার এক নোটিস জারি করে সেই নির্দেশিকা বাতিল করে দিলে ইউনূস সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক। প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত কেন প্রত্যাহার করা হল তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেনি ঢাকা।

    কেন বাতিল, কারণ অজানা

    বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) সংবাদপত্র ‘দ্য ডেইলি স্টার’-এ প্রকাশিত রিপোর্ট জানাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার জন্য এই প্রশিক্ষণের নোটিশ বাতিল করা হয়েছে ৷ তবে এমন দাবি ঠিক কিনা তাও সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়নি। একদিন আগে, বাংলাদেশ সরকারের সংবাদ সংস্থা জানিয়েছিল, নিম্ন আদালতের ৫০ জন বিচারক একদিনের প্রশিক্ষণ নেবেন ৷ ১০ ফেব্রুয়ারি এই প্রশিক্ষণ হবে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমি এবং স্টেট জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমিতে ৷ পরে তা বাতিল হয়ে যায়। এই ট্রেনি বিচারকরা- জেলা ও দায়রা বিচারক বা তার সমতুল্য আধিকারিক, অতিরিক্ত বিচারক এবং দায়রা বিচারক, যুগ্ম বিচারক, সিনিয়র সহকারী বিচারক এবং সহকারী বিচারক ৷ ভারত সরকারই এই প্রশিক্ষণের সমস্ত খরচ বহন করবে বলে কথা ছিল৷

    আরও পড়ুন: বন্দি বিনিময় দুই দেশের, ভারতের ৯৫ জন, বাংলাদেশের ৯০ মৎস্যজীবী ফিরছেন ঘরে

    বিচারব্যবস্থায় অনীহা

    বাংলাদেশে (India Bangladesh Relation) শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেখানে রাজনৈতিক পালাবদল ঘটে। হিন্দু-সহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের (Bangladesh Judges)সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ক্রমশ তিক্ত হয়েছে৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, বাংলাদেশে এখন বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। তাঁরা মানুষকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিচ্ছেন না, কোর্ট চত্বরে মারপিট হচ্ছে।  যাঁরা বিচার ব্যবস্থা অচল করে রাখতে চাইছেন, তাঁদের বিচার পদ্ধতি শিখতে ভারতে আসতে অনীহা থাকাই স্বাভাবিক। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RAW: পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিদের মারছে ‘র’! অভিযোগ আতঙ্কিত ইসলামাবাদের, অস্বীকার দিল্লির

    RAW: পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিদের মারছে ‘র’! অভিযোগ আতঙ্কিত ইসলামাবাদের, অস্বীকার দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘র’ (RAW) আতঙ্কে কাঁপছে পাকিস্তান। তাদের ঘরে ঢুকে গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, পাকিস্তানের (Pakistan) অভিযোগ ঠিক এমনটাই। সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টের একটি রিপোর্টে মাধ্যমে পাকিস্তানের এমন দাবি সামনে এসেছে। পাকিস্তানের দাবি, ২০২১ সালে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ (RAW) পাকিস্তানের প্রায় আধডজন নাগরিককে পরিকল্পনামাফিক বাড়িতে ঢুকে হত্যা করেছে। পাকিস্তানের আরও দাবি, যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের ভারত লস্কর-ই-তৈবা এবং জয়েশ-ই-মহম্মদের আতঙ্কবাদী হিসেবে সন্দেহ করত। তবে, ইসলামাবাদের যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেছে নয়াদিল্লি।

    ভাড়া করা শ্যুটার দিয়ে এমন কাজ করেছে ‘র’, দাবি পাকিস্তানের

    মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার ‘র’ (RAW), এমন হত্যালীলা সংঘটিত করতে কোনও ভারতীয় নাগরিকদের ব্যবহার করেনি। এর জন্য তারা পাকিস্তানের স্থানীয় অপরাধীদেরই কাজে লাগায় এবং আফগানিস্তান থেকে ভাড়া করা শ্যুটার আনে। পরিকল্পনামাফিক ভাবেই এমন ‘র’ (RAW) এমন হত্যালীলা সংঘটিত করেছে বলে অভিযোগ পাকিস্তানের। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের দাবি, মোট ২০ জনকে টার্গেট করে ‘র’। হাওলার মাধ্যমে টাকা আসে শ্যুটারদের কাছে। ওই রিপোর্টের দাবি করা হয়েছে, ২০১৩ সালে ভারতীয় বন্দি সরবজিৎ সিং-কে হত্যা করার অন্যতম অভিযুক্ত আমির সরফরাজের ওপরে হামলা চালানো হয়, এটাও ‘র’-এর কাজ বলেই দাবি পাকিস্তানের। পাকিস্তানের আরও দাবি, এই হত্যালীলাগুলি সংঘটিত করতে আলাদা টিম তৈরি করেছিল ‘র’।

    মোদি জমানায় ভারতের রণনীতি আক্রমণাত্মক, অভিযোগ পাক গুপ্তচর সংস্থার

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের মাটিতে একের পর এক সন্ত্রাসবাদীকে অজ্ঞাতপরিচয়রা হত্যা করতে থাকে। এখানে ব্যর্থতা সামনে আসে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। এর পর, হতাশ আইএসআই ২০২২ সালে এ নিয়ে অভিযোগ করে সিআইএ-র নির্দেশক উইলিয়ামের কাছে। পাকিস্তানি আধিকারিকদের অভিযোগ ছিল, ভারত তাদের দেশে ঢুকে এ ধরনের কাজ করছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (RAW)। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর দাবি, যখন থেকে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তখন থেকে ভারতের রণনীতি আরও আক্রমণাত্মক হয়েছে।

    যদিও, ভারতের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পুরোটাই খারিজ করেছে দিল্লি। নিজেদের বিবৃতিতে ভারত সরকার জানিয়েছে, পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে বড় গণতন্ত্রের দেশ হল ভারত। নিজেদের সীমাক্ষেত্র লঙ্ঘন করে অন্য দেশে গিয়ে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং করে না ভারত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Earthquake Hits Tibet: তিব্বতে ভূমিকম্পে মৃত অন্তত ৫৩, হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা

    Earthquake Hits Tibet: তিব্বতে ভূমিকম্পে মৃত অন্তত ৫৩, হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের ভোরে তখনও ঘুম ভাঙেনি সকলের। তার মাঝেই প্রবল তীব্রতায় কেঁপে ওঠে নেপাল, তিব্বত, ভারত এবং চিনের বেশকিছু অংশ। তিব্বতই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। তিব্বতের (Earthquake Hits Tibet) ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ৫৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৬২ জনকে। ভূমিকম্পের ধাক্কা কাটিয়ে শুরু হয়েছে উদ্ধারের চেষ্টা। হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

    ভূমিকম্পে প্রভাবিত অন্তত আট লক্ষ!

    মঙ্গলবার সকালে ৭.১ তীব্রতার জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তিব্বত (Earthquake Hits Tibet)। যার প্রভাব পড়ে নেপাল, ভুটান এবং ভারতেও। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শিগাতসের এই ভূমিকম্পে প্রভাবিত হয়েছেন অন্তত আট লক্ষ মানুষ। ভূমিকম্পের উৎসস্থল তিব্বতের তিংরি প্রদেশে। এই অঞ্চলটিকে এভারেস্টের উত্তরের প্রবেশদ্বার হিসাবে দেখা হয়।  এমনিতেই এই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত। শিগাতসের ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে গত পাঁচ বছরে তিন বা তার বেশি মাত্রার ২৯টি ভূমিকম্প হয়েছে। তবে মঙ্গলবার সকালের মতো তীব্রতা কোনওটিরই ছিল না। এদিন প্রথম কম্পন অনুভূত হয় সকাল সাড়ে ছ’ টা নাগাদ। তীব্রতা ছিল ৭.১, উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০কিলোমিটার গভীরে। তারপর বারবার কেঁপে ওঠে ভূপৃষ্ঠ। 

    ৪০টিরও বেশি কম্পন অনুভূত

    সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পের পর ৪০টিরও বেশি ‘আফটারশক’ অনুভূত হয়েছে ওই অঞ্চলে। তার মধ্যে ১৬টি কম্পনের মাত্রা ছিল ৩-এর বেশি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রকাশিত ভিডিওয় দেখা গিয়েছে রাস্তার ধারে দোকান ভেঙে পড়েছে। ধ্বংসাবশেষ ছড়িয় ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে রাস্তার উপর। ভিডিওটি তিব্বতের লাৎসে শহরের কাছে। সাধারণত এই ধরনের জোরালো মাত্রার কোনও ভূমিকম্পের জেরে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে, সরকারি আধিকারিকরা ভূমিকম্পের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ জানার চেষ্টা করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলির হতাহতের সংখ্যা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।

    তিব্বতে (Earthquake Hits Tibet) ভূমিকম্পের উৎসস্থল থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। সেখানেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রাণ ভয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন কাঠমান্ডুর বাসিন্দারা। প্রভাব পড়েছে এভারেস্টের পাদদেশে অবস্থিত নেপালের সোলুখুম্বু জেলাতেও। সেখানকার মুখ্য জেলা আধিকারিক অনোজ রাজ ঘিমিরে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সোলুখুম্বুতে জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। নেপালের স্থানীয় পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছে। ভুটানের রাজধানী থিম্পু এবং উত্তরপূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে, বিশেষ করে বিহার, উত্তরবঙ্গ, সিকিমের মতো জায়গাগুলিতে কম্পন অনুভূত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Justin Trudeau: ভারত-বিরোধিতাই হল কাল! কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা ট্রুডোর, এগিয়ে আসছে নির্বাচন?

    Justin Trudeau: ভারত-বিরোধিতাই হল কাল! কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা ট্রুডোর, এগিয়ে আসছে নির্বাচন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী তথা লিবারেল পার্টির নেতা পদে ইস্তফা দিলেন জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগই করলেন ট্রুডো। সোমবার রাজধানী অটোয়ায় তাঁর বাসভবন রিডো কটেজের বাইরে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে ইস্তফার কথা জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী। দল নতুন নেতা নির্বাচিত না করা পর্যন্ত আপাতত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন, জানিয়েছেন ট্রুডো।

    কী বললেন ট্রুডো? (Justin Trudeau)

    তিনি বলেন, “কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাই। আমার এই ইচ্ছের কথা আমি দল ও গভর্নরকে জানিয়েছি। দল নতুন নেতা নির্বাচন করার পর দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেব।” তিনি বলেন, “এই বছরের শেষের দিকে নির্বাচন হবে। তা না হওয়া পর্যন্ত দল ও কানাডার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একজন নতুন নেতা খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এজন্য আমি ২৪ মার্চ পর্যন্ত সংসদ স্থগিত করছি।”

    প্রধানমন্ত্রী পদে ৯ বছর

    গত ৯ বছর ধরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন ট্রুডো। এই পর্বে তাঁর দল লিবারেল পার্টির নেতাও ছিলেন তিনি। খালিস্তানপন্থীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার অভিযোগ ওঠে ট্রুডোর দলের অন্দরেই। তা নিয়ে ভারতের সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয় ট্রুডোর দেশের। কানাডার আন্তর্জাতিক নীতি নিয়েও দল এবং বিরোধীদের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রুডো। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, তারই খেসারত দিতে হল ট্রুডোকে (Justin Trudeau)। কানাডার সংসদীয় রীতি অনুসারে, এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দল পরবর্তী নেতা নির্বাচনের জন্য ৯০ দিন সময় পাবে।

    আরও পড়ুন: মোদিকে বিদায়ী চিঠি বাইডেনের! দুই দেশের সম্পর্ককে শক্ত করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    চলতি বছরের শেষের দিকে কানাডায় সংসদ নির্বাচন। ২০২৩ সালেই বিভিন্ন নির্বাচনী সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছিল কানাডার সিংহভাগ বাসিন্দাই ট্রুডোকে পছন্দ করছেন না। ট্রুডোর ভারত বিরোধিতার পর দলেও তাঁর বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত হচ্ছিল ক্ষোভের আগুন। সমীক্ষা বলছে, আগামী নির্বাচনে কানাডায় ধরাশায়ী হবে ট্রুডোর দল। গোহারা হারবেন স্বয়ং ট্রুডো। ক্ষমতায় আসতে পারে কনজারভেটিভ পার্টি। পরাজয়ের আঁচ পেয়ে কিছুদিন আগেই পদত্যাগ করেন কানাডার উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। তার পর থেকে দিন যত গিয়েছে, ততই বেড়েছে ট্রুডো বিরোধীদের সংখ্যা। মন্ত্রিসভায় রদবদল করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেননি ট্রুডো। রাজনৈতিক মহলের মতে (Canada), নিতান্তই নিরুপায় হয়ে পদত্যাগ করলেন ট্রুডো (Justin Trudeau)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Heatwave Alert: ২০২৫ সালে প্রখর তাপের সম্মুখীন হতে হবে বিশ্ববাসীকে, চরম সতর্কতা

    Heatwave Alert: ২০২৫ সালে প্রখর তাপের সম্মুখীন হতে হবে বিশ্ববাসীকে, চরম সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালে প্রখর তাপের (Heatwave Alert) সম্মুখীন হতে হবে বিশ্ববাসীকে। এই মর্মে সর্তকতা জারি করল বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। যদি এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে হতে পারে বড়সড় বিপদ। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রা আগামী বছরেও অব্যাহত থাকবে। গ্রিনহাউসে গ্যাসের কারণে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। ফলে ভবিষ্যতে উষ্ণায়ন (Global Warming) ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। 

    বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গিয়েছে (Heatwave Alert)

    বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৪ সালে পৃথিবী রেকর্ড ব্রেকিং তাপমাত্রা (Heatwave Alert) অনুভব করেছে। ওই বছর ছিল সব থেকে উষ্ণ (Global Warming) বছর। একই সময়ে ব্রিটেনের আবহাওয়া অফিসের আশঙ্কা, ২০২৫ সালটিও তৃতীয় উষ্ণবছর হতে চলেছে। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের মতো ২০২৫ সালেও প্রচণ্ড গরম পড়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল যুগের (১৮৫০-১৯০০) আগের তাপমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি গরম পড়বে। আগামী বছরে প্যারিস চুক্তির সীমা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উপরে উঠে যাবে। প্রাক-শিল্প উৎপাদন যুগের তুলনায় বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গিয়েছে। জলবায়ুর স্থায়ী পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। তাই ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী, গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ রাখতে হবে ১.৫ ডিগ্রির কম। ২০২৩ সালেই বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১.৪৫ ডিগ্রি! ২০২৪ সালে তা ১.৫ ডিগ্রির গণ্ডি ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন আবহবিদরা।

    গত দশ বছরে রেকর্ডের শীর্ষ উষ্ণতম বছরের সাক্ষী

    রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তেনিও গুয়েতেরেস এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা এক দশক ধরে মারাত্মক তাপপ্রবাহ (Heatwave Alert) অনুভব করছি। ২০২৪ সহ গত দশ বছরে রেকর্ডের শীর্ষ উষ্ণতম বছরের সাক্ষী থেকেছি। ২০২৪ সহ গত দশ বছরের তাপমাত্রা ব্যাপক আকার ছিল। তবে ২০২৫ সালে তাপমাত্রা কী হতে চলেছে তা এখনই সুনিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তবে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল এবং সুস্থ ভবিষ্যত তৈরি করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।” তিনি বলেন, “এ ভাবে সভ্যতা ধ্বংসের পথ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। নিরাপদ পথের সন্ধান করতে হবে। একইভাবে বিকল্প পথের কথাগুলি জোর দিয়ে ভাবতে হবে।”

    আরও পড়ুনঃ বাড়ছে অসন্তোষ, পায়ের নীচের মাটি হারাচ্ছেন বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস?

    ২৬টিই বিধ্বংসী প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনায় ৩,৭০০ জনেরও বেশি মৃত

    আবার ডব্লিউএমও সেক্রেটারি-জেনারেল সেলেস্তে সাওলো বলেন, “তাপমাত্রার (Heatwave Alert) সামান্য বৃদ্ধিও আবহাওয়াকে চরম বিপজ্জনক করে তুলেছে। প্রথম বছরেই আমি জলবায়ু সংক্রান্ত রেড অ্যালার্ট জারি করেছিলাম। ২০২৫ সালে ডব্লিউএমও-এর ৭৫তম বার্ষিকী। ফলে পৃথিবীকে সুরক্ষিত রাখতে সকলকেই পদক্ষেপ করতে হবে। এই দায়িত্ব আমাদের সকলের। এই বিশ্বব্যাপী দায়িত্ববোধের কথা সকলকে মনে রাখতে হবে।”

    প্রসঙ্গত, ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন এবং ক্লাইমেট সেন্ট্রালের একটি নতুন রিপোর্টে জানা গিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের (Global Warming) কারণে ২০২৪ সালে ২৯টি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ২৬টিই বিধ্বংসী আকার নিয়েছিল। মোট ৩,৭০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।  লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share