Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Plane Crash: কাজাখস্তানের পরে দক্ষিণ কোরিয়া, ১৮১ জনকে নিয়ে ভেঙে পড়ল বিমান, জীবিত মাত্র ২!

    Plane Crash: কাজাখস্তানের পরে দক্ষিণ কোরিয়া, ১৮১ জনকে নিয়ে ভেঙে পড়ল বিমান, জীবিত মাত্র ২!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজাখস্থানের পর এবার দক্ষিণ কোরিয়া! ভেঙে পড়ল বিমান (Plane Crash)। দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান নামের একটি বিমানবন্দরে ১৮১ জনকে নিয়ে এই বিমান ভেঙে পড়ে। জানা গিয়েছে, বিমানটি ঠিক মাটি ছোঁয়ার আগেই রানওয়ের ওপরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন পাইলট (South Korea Flight)। তখনই একটি দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খায় বিমানটি। মুহূর্তের মধ্যে তাতে আগুন ধরে যায়। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ওই বিমানের ১৭৯ জনেরই মৃত্যুর হয়েছে। বেঁচে ফিরেছেন মাত্র ২ জন। প্রসঙ্গত, ১৮১ জনের মধ্যে ১৭৫ জন ছিলেন যাত্রী ও বাকি ৬ জন বিমানকর্মী।

    ব্যাঙ্কক থেকে মুয়ান শহরে আসছিল বিমানটি (Plane Crash)

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার এই বিমান ব্যাঙ্কক থেকে মুয়ান শহরে আসছিল। রবিবারে মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের (Plane Crash) সময় দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা গিয়েছে, বিমানের আগুন নেভানো হয়েছে। দুর্ঘটনার ছবি ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। মুয়ান বিমানবন্দরের আকাশেও দেখা যাচ্ছে একেবারে কালো ধোঁয়া। 

    জরুরি বৈঠকে সরকার (Plane Crash)

    বিমান দুর্ঘটনার খবর পেতেই দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার জরুরি বৈঠকে বসেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৭৯ জনের মৃত্যুর খবর সেদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে মিলেছে। সেখানকার দমকলকর্মী বা উদ্ধারকর্মীরা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে মৃতের সংখ্যা জানায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kazakhstan Plane Crash: পরোক্ষে দোষ স্বীকার! কাজাখস্তানে বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন পুতিন

    Kazakhstan Plane Crash: পরোক্ষে দোষ স্বীকার! কাজাখস্তানে বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাজাখস্তানে (Kazakhstan Plane Crash) বিমান দুর্ঘটনায় রাশিয়ার দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। কোনও কোনও মহলের মতে, মস্কোর ছোড়া মিসাইল হামলায় ভেঙে পড়ে আজারবাইজান এয়ারলাইনসের বিমান। যদিও রাশিয়া গত বৃহস্পতিবারই সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে এবার প্রতিক্রিয়া এল খোদ সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Putin) কাছ থেকে। এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইলেন তিনি। আজারবাইজান এয়ারলাইনস আগেই জানিয়েছিল, বহিরাগত কোনও কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে রাশিয়ার তরফ থেকে ক্ষমা চাওয়া হল এই ঘটনার জন্য। এখানেই উঠছে প্রশ্ন! তবে কি ক্ষমা চেয়ে রাশিয়া নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিল।

    কী বলা হল রাশিয়ার তরফ থেকে (Kazakhstan Plane Crash)?

    রাশিয়ার তরফ (Kazakhstan Plane Crash) থেকে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই ঘটনায় শোকাহত। রাশিয়ার আকাশসীমার মধ্যে বিমান ভেঙে পড়ায় তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। প্রসঙ্গত, ওই বিমানটি বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনিতে যাচ্ছিল। মাঝপথে কোনও এক কারণে তা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এদিকে রাশিয়া গত বৃহস্পতিবার স্পষ্টত জানিয়ে দেয়, বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে তাই আগে থেকে যেন কেউ কিছু কল্পনা না করে ফেলেন। কেউ কেউ এখনই বিষয়টি নিয়ে নানারকম দাবি করছেন, সেগুলি ঠিক নয়। প্রসঙ্গত, আজারবাইজান প্রশাসন ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কাজাখস্তান প্রশাসনও আলাদাভাবে ঘটনার তদন্ত করছে।

    কোনও দাবিরই অকাট্য প্রমাণ মেলেনি

    বিমানটিতে (Russia) ৩৭ জন আজারবাইজানের, ১৬ জন রাশিয়ার, ৬ জন কাজাখস্তানের এবং ৩ জন কিরগিস্তানের বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আকতাউ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানটি আকাশের মাঝপথ থেকেই ক্রমশ নীচের দিকে নামতে শুরু করে এবং তাতে আগুন লেগে যায়। প্রাথমিক অনুমান, কুয়াশার কারণে হয়তো পাইলট দিকভ্রষ্ট হয়েছিলেন। যার ফলে তিনি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। আবার কেউ কেউ মনে করেছেন পাখির ঝাঁকের সঙ্গে কোনওভাবে ধাক্কা লেগেছিল বিমানটির। তাতেই কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি তৈরি হয়। এছাড়া বিমানের ইঞ্জিনেও কোনও সমস্যা থাকতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। তবে কোনও দাবিরই (Azerbaijan Airlines) অকাট্য কোনও প্রমাণ মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis13: অগাস্টেই শুরু হয় অনাচার, বাংলাদেশজুড়ে চলতে থাকে গণপিটুনিতে হত্যা!

    Bangladesh Crisis13: অগাস্টেই শুরু হয় অনাচার, বাংলাদেশজুড়ে চলতে থাকে গণপিটুনিতে হত্যা!

    অনেকেই বলছেন, হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই জঙ্গলের রাজত্বে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বেছে বেছে যেমন মন্দির এবং ধর্মস্থানে অবাধে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়িতে, একই সঙ্গে মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে গণপিটুনি এবং খুন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু অথবা বিরোধী রাজনৈতিক কণ্ঠ। সারা বিশ্ব দেখছে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের স্বরূপ। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হওয়ার পর গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত। আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদের কী করুণ পরিণতি হয়েছে, তাও কারও অজানা নয়। প্রথম খণ্ডে আমরা ১২টি পর্বে তুলে ধরেছিলাম নানা অত্যাচারের কাহিনি। এবার সেসব নিয়েই আমাদের দ্বিতীয় খণ্ডের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ প্রথম পর্ব।

     

     আতঙ্কের বাংলাদেশে জঙ্গলের রাজত্ব -১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৫ অগাস্ট বিএনপি ও জামাতের ষড়যন্ত্রে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা (Bangladesh Crisis 1)। দখল হয় গণভবন। এরপর থেকেই বাংলাদেশে নেমে আসে অরাজকতা। ইউনূস সরকারের আমলে কার্যত জঙ্গলের রাজত্বে পরিণত হয় বাংলাদেশ। বেড়ে যায় গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা। হাসিনা সরকারের পতনের ঠিক পরেই দুজন ছাত্রনেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা সামনে আসে। যাঁদের মধ্যে একজন হলেন তোফাজ্জল হোসেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের কাঠালতোড়ি ইউনিয়নের পাথরঘাটার উপজেলার বরগুনার বাসিন্দা। তোফাজ্জলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের মধ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আরেকজন হলেন শামিম আহমেদ। যাঁর অপর নাম শামিম মোল্লা। তাঁকেও পিটিয়ে হত্যা করা হয় বাংলাদেশের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। জানা গিয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলিগের নেতা ছিলেন শামিম। বিএনপি-জামাতের কাছে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হতেই এমন আক্রমণ নেমে আসে।

    কী বলছে সেদেশের সংবাদমাধ্যমগুলির রিপোর্ট?

    বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলিও সরব হয় গণপিটুনির ঘটনায়। একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট সামনে আসে। বাংলাদেশের (Targeting Minority) জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই ৩৬টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে ২৮ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের অপর এক সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার তাদের রিপোর্টে জানাচ্ছে যে হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫৩টি ঘটনা ঘটেছে গণপিটুনির, যার মধ্যে ৪৪টিতেই মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে অপর এক সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী, অগাস্টের ৫ তারিখ থেকে সেপ্টেম্বরের ২৩ তারিখ পর্যন্ত ৪৪টি গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২১টি সংঘটিত হয়েছে অগাস্ট মাসে। বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে সেপ্টেম্বর মাসেই গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনার সংখ্যা ২০। অক্টোবর মাসে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬।

    জেলায়-জেলায় পরিসংখ্যান (Bangladesh Crisis 1)

    বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদসংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজধানী ঢাকাতে হাসিনা সরকারের পতনের ৩৮ দিনের মাথায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গণপিটুনিতে।

    দিনাজপুর জেলায় তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে অগাস্ট মাসের ১১ তারিখ। অন্যদিকে সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখেও ওই জেলায় তিনজন গণপিটুনিতে মারা যান।

    বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় ৩১ অগাস্ট একজনকে ও ১৮ সেপ্টেম্বর অন্য একজনের মৃত্যু হয় গণপিটুনিতে।

    রাজশাহী জেলাতে প্রাক্তন ছাত্রলিগের নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ৭ সেপ্টেম্বর।

    চট্টগ্রামে একজন স্থানীয় বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১ সেপ্টেম্বর।

    বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলাতে একজন বয়স্ক মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সেপ্টেম্বর মাসে।

    বাংলাদেশের খুলনাতে ৪০ বছর বয়স্ক একজন মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ৪ সেপ্টেম্বর।

    বাংলাদেশের ঝালকাঠিতে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১৬ সেপ্টেম্বর।

    বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলাতে একজন মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১২ সেপ্টেম্বর।

    বাংলাদেশের গাজীপুর ও বরিশালে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা সামনে আসে। একজনকে হত্যা করার অগাস্টে, অপরজনকে সেপ্টেম্বরে।

    বাংলাদেশের নাটোরে ৩৬ বছর বয়সি একজন পুরুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ২ অগাস্ট।

    বাংলাদেশের টাঙ্গাইল ও খাগড়াছাড়িতেও গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা সামনে আসে। একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ৫ সেপ্টেম্বর অন্যদিকে অপরজনকে খাগড়াছাড়িতে হত্যা করা হয় ১৮ সেপ্টেম্বর।

    গণপিটুনির কারণ কী কী? (Bangladesh Crisis 1)

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এই ধরনের গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনার একাধিক কারণ রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলি নিচে আলোচনা করা হল-

    রাজনৈতিক কারণ

    প্রসঙ্গত, ৫ অগাস্ট বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্রে হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পরেই আওয়ামি লিগের সঙ্গে কর্মী-সমর্থকদের ওপর ব্যাপক সন্ত্রাস নেমে আসে। বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদেরকে টার্গেট করতে থাকে বাংলাদেশের মৌলবাদী তথা বিএনপি-জামাতের নেতৃত্ব।

    আইন-শৃঙ্খলার অবনতি

    জামাত-বিএনপি নেতৃত্বে বাংলাদেশের মসনদ দখল হওয়া মাত্রই সে দেশে জঙ্গলের রাজত্ব শুরু হয়। আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি নজরে আসতে থাকে। সে দেশে প্রশাসন বলে আর কিছুই বাকি ছিল না, যখন হাসিনা সরকারকে পদচ্যুত করা হয়। এই অবস্থায় সুযোগ নিতে শুরু করে বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠন ও বিএনপি জামাতের মতো রাজনৈতিক দলগুলি।

    গুজব (Bangladesh Crisis 1)

    গুজব একটা বড়সড় কারণ গণপিটুনিতে হত্যার। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সমাজমাধ্যমে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয় এবং এতেই বাড়তে থাকে বাংলাদেশে হিংসা এবং গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • World Meditation Day: জাতি সঙ্ঘের দফতরে ‘বিশ্ব ধ্যান দিবস’, ধর্মগুরু রবিশঙ্কর গড়লেন ৬ রেকর্ড

    World Meditation Day: জাতি সঙ্ঘের দফতরে ‘বিশ্ব ধ্যান দিবস’, ধর্মগুরু রবিশঙ্কর গড়লেন ৬ রেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২১ ডিসেম্বরে নিউইয়র্কের রাষ্ট্রসঙ্ঘের দফতরে আয়োজিত হয় বিশ্ব ধ্যান দিবসের (World Meditation Day) অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন ভারতের ধর্মীয় গুরু তথা আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর। এই অনুষ্ঠান নতুন ৬টি রেকর্ড তৈরি করতে পেরেছে। প্রসঙ্গত, আর্ট অফ লিভিং-এর (Art of Living) এই অনুষ্ঠানে পৃথিবীজুড়ে ৮৫ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করেন (অনলাইন এবং অফলাইন এই দুই মাধ্যমে)। এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে এর আগে কোনও ধ্যানের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় নি। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ১৮০টি দেশের নাগরিকরা অংশগ্রহণ করেছেন এই অনুষ্ঠানে। এখানেও তৈরি হয়েছে নয়া রেকর্ড। প্রথম কোনও ধ্যানের (World Meditation Day) অনুষ্ঠানে এতগুলি দেশের মানুষ একসঙ্গে অংশগ্রহণ করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ব ধ্যান দিবসের এই অনুষ্ঠান নাম তুলেছে- গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড, এশিয়া বুক অফ রেকর্ড এবং ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ইউনিয়নে।

    ছয়টি রেকর্ড (World Meditation Day) আমরা জেনে নেব:-

    গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

    ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি মানুষ লাইভ দেখেছেন এই ধ্যানের অনুষ্ঠান।

    এশিয়া বুক অফ রেকর্ড

    ভারতের প্রত্যেকটি অঙ্গরাজ্য থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন বিশ্ব ধ্যান দিবসের ইভেন্টে।

    সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দেশের (১৮০টি দেশ) মানুষও বিশ্ব ধ্যান দিবসে অংশগ্রহণ করেন।

    ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ইউনিয়ন

    অনুষ্ঠানের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ইউটিউবে সবথেকে বেশি দর্শক দেখেছেন এই ইভেন্ট (Art of Living)।

    পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ অনলাইন মেডিটেশনে অংশগ্রহণ করেছেন এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।

    অনুষ্ঠান (World Meditation Day) লাইভ চলাকালীন সবচেয়ে বেশি মানুষ এই ইভেন্টকে দেখেছেন ইউটিউবের মাধ্যমে।

    কী বলেছিলেন শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর?

    প্রসঙ্গত, এই অনুষ্ঠান রবিশঙ্করের নেতৃত্বেই আয়োজিত হয় নিউইয়র্কে। অনুষ্ঠান শুরু করার আগে শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ধ্যান হল এমন একটি অনুশীলন যা প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে পরিবর্তন আনে এবং অতিরিক্ত চিন্তা দূর করে। একইসঙ্গে ধ্যানের মাধ্যমে আমরা বর্তমান মুহূর্তে অবস্থান করতে পারি। ধ্যান হল মনের একটা গভীর শান্ত অবস্থা।’’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশের নড়াইলে হিন্দু ইউপি সদস্যাকে গণধর্ষণের পর মুখে বিষ ঢেলে খুন

    Bangladesh: বাংলাদেশের নড়াইলে হিন্দু ইউপি সদস্যাকে গণধর্ষণের পর মুখে বিষ ঢেলে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) নড়াইল সদরে বাসনা মল্লিক (৫০) নামের এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যাকে গণধর্ষণের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে তার বাড়িতে নেওয়া হয়। নিহত বাসনা মল্লিক নড়াইল সদরের মাইজপাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য (মেম্বার) এবং ওই ইউনিয়নের পোড়াডাঙ্গা গ্রামের নেপাল মল্লিকের স্ত্রী। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম ইউপি সদস্য বাসনার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Bangladesh)

    নিহতের পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে টিসিবির মালামাল বিতরণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় যুবক রাজিবুলের ফোন পেয়ে পাওনা টাকা আনতে যান। মাইজপাড়া (Bangladesh) ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মোক্তার মোল্লার বাড়িতে রাজিবুলসহ ফারুক, চঞ্চল, শফিকুল মিলে তাঁকে গণধর্ষণ করে। সেইসঙ্গে তার ভিডিওগ্রাফি করে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। নির্যাতিতা বাসনা মল্লিক বিষয়টি জানিয়ে দেবে বলে হুমকি-ধমকি দিলে তার মুখে বিষ ঢেলে দেওয়া হয়। বাড়িতে ফিরে এ ঘটনা ভয়ে তিনি কাউকে কিছু বলেননি। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে ২৫ ডিসেম্বর সকালে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় তিনি ছেলে রিংকু মল্লিকের কাছে তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা ও জড়িতদের নাম বলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর রাতে তার মৃত্যু হয়।

    ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কী বললেন?

    ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোক্তার মোল্লার স্ত্রী সাহিদা ও পুত্রবধূ সোনিয়া বলেন,”মেম্বার বাসনা আসছিল। তারে ডেকে আমাদের ঘরে নিয়ে যায় ওরা (অভিযুক্ত রাজিবুল, শফিকুল, চঞ্চল, ফারুক)। তারপর তিনি চলে যেতে চাইছিলেন। কিন্তু জোর করে তাঁকে আটকে (Bangladesh) রাখা হয়েছিল। আমাদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে দরজা আটকে জোর করছিল।” জনপ্রিয় এমন জনপ্রতিনিধি বাসনার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ক্ষোভ জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও তার সহকর্মীরা। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্তদের এ ঘটনার সত্যতা জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কী বললেন?

    নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, “যশোর কোতোয়ালি থানা (Bangladesh) পুলিশ আমাদের অবহিত করেন। ইউপি সদস্য বাসনা মল্লিকের পেটে বিষের ট্রেস রয়েছে এবং তার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তির জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এ তথ্য পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।                                                       

  • Bangladesh Crisis 14: মহিলাদের বধ্যভূমি  হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, অগাস্ট থেকে বেড়েছে ধর্ষণ-গণধর্ষণের ঘটনা

    Bangladesh Crisis 14: মহিলাদের বধ্যভূমি হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, অগাস্ট থেকে বেড়েছে ধর্ষণ-গণধর্ষণের ঘটনা

    অনেকেই বলছেন, হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই জঙ্গলের রাজত্বে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বেছে বেছে যেমন মন্দির এবং ধর্মস্থানে অবাধে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়িতে, একই সঙ্গে মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে গণপিটুনি এবং খুন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু অথবা বিরোধী রাজনৈতিক কণ্ঠ। সারা বিশ্ব দেখছে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের স্বরূপ। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হওয়ার পর গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত। আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদের কী করুণ পরিণতি হয়েছে, তাও কারও অজানা নয়। প্রথম খণ্ডে আমরা ১২টি পর্বে তুলে ধরেছিলাম নানা অত্যাচারের কাহিনি। এবার সেসব নিয়েই আমাদের দ্বিতীয় খণ্ডের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ  দ্বিতীয় পর্ব।

     

    আতঙ্কের বাংলাদেশে জঙ্গলের রাজত্ব-২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 2) মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। হাসিনা সরকারের আমলেও সে দেশে অজস্র নারী নির্য়াতনের ঘটনা সামনে আসে। ২০২৩ সালে সে দেশের একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ৯৭ শতাংশ মহিলাকেই যৌন উৎপীড়নের শিকার হতে হয় সরকারি পরিবহণে। যাদের মধ্যে ৫৬.৩২ শতাংশ হল ছাত্রী এবং ৩৫.৫১ শতাংশ চাকরীজীবী মহিলা ও ৮.১৬ শতাংশ গৃহবধূ। পরবর্তীকালে গত অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে মহিলাদের ওপর নির্যাতন ব্যাপক আকার ধারণ করে। সে দেশের বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, গত অগাস্ট থেকেই ব্যাপকভাবে মহিলাদের ওপর নির্যাতন বেড়েছে। হাসিনা সরকারের পতনের পরে অগাস্ট মাসেই ১৪৭টি ঘটনা ঘটেছে মহিলা নির্যাতনের। অন্যদিকে সেপ্টেম্বর মাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮৬তে। এখানেই শেষ নয়, গত অক্টোবর মাসে তা আবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০টিতে।

    বেড়েছে ধর্ষণ ও গণধর্ষণ (Bangladesh Crisis 2) 

    বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis 2) মহিলা পরিষদের রিপোর্ট অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে ২৮ জন নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় সে দেশে। সেপ্টেম্বর মাসে এই সংখ্যা ছিল ১৩। অন্যদিকে হাসিনা সরকারের পতনের পরে অগাস্ট মাসে ৮ জন নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই নাবালিকাদের গণধর্ষণের ঘটনা পৌঁছে যায় ১৩ তে। যাদের মধ্যে তিনজনকে ধর্ষণের পরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে যে শুধুমাত্র ধর্ষণ নয়, গণধর্ষণের ঘটনাও বেড়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন মহিলা এবং নাবালিকারা। অন্যদিকে, ধর্ষণ ও গণধর্ষণ ছাড়াও বাংলাদেশে মহিলাদের রহস্যজনকভাবে মৃত্যুর ঘটনাও সামনে এসেছে। অগাস্ট থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে ১৩ জন নাবালিকার রহস্যজনকভাবে দেহ উদ্ধার করা হয় বাংলাদেশে। অন্যদিকে, আঠারো বছর বা তার বেশি বয়সি মহিলাদের ক্ষেত্রেও একাধিক রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। অগাস্ট মাসে এই সংখ্যা ছিল ১১। সেপ্টেম্বর মাসে সেই সংখ্যা ছিল ২০ এবং অক্টোবর মাসে এই সংখ্যা ছিল ১৩।

    বেড়েছে শ্লীলতাহানি (Targeting Minority)

    বাংলাদেশের নাবালিকা এবং মহিলাদের আত্মহত্যার ঘটনাও বেড়েছে। অগাস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis 2) শ্লীলতাহানির ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বাংলাদেশের রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, গত অগাস্ট মাসে ৯ জন নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসেই সেই সংখ্যা ছিল ১১ এবং অক্টোবর মাসে সেই সংখ্যা ছিল ৭। অন্যদিকে, প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে শ্লীলতাহানির ঘটনাও সামনে এসেছে। দেখা যাচ্ছে অগাস্ট মাসে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে ২টি, সেপ্টেম্বর মাসে একটি এবং অক্টোবর মাসে দুটি। মহিলাদের ওপর হওয়া এমন অত্যাচার নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে খবরও করতে দেখা গিয়েছে।

    বাংলাদেশ মহিলাদের ওপর এই নির্যাতনকে যদি আমরা পরিসংখ্যান আকারে দেখি, তাহলে দেখব-

    অগাস্ট মাসে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের মোট ঘটনা ১৪৭

    সেপ্টেম্বর মাসে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের মোট ঘটনা ১৮৬

    অক্টোবর মাসে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের মোট ঘটনা ২০০

    নাবালিকাদের ওপর অত্যাচারের মোট ঘটনা অগাস্ট মাসে ৫১

    নাবালিকাদের ওপর অত্যাচারের মোট ঘটনা সেপ্টেম্বর মাসে ৭২ 

    নাবালিকাদের ওপর অত্যাচারের মোট ঘটনা অক্টোবর মাসে ৭৪

    প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা অগাস্ট মাসে ৯৬

    প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা সেপ্টেম্বর মাসে ঘটেছে ১১৪

    প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতনের ১২৬টি ঘটনা ঘটেছে অক্টোবর মাসে

    নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা অগাস্ট মাসে ঘটেছে ৮টি 

    নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা সেপ্টেম্বর মাসে ঘটেছে ১৩ টি 

    নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা অক্টোবর মাসে ঘটেছে ২৮টি

    প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনা অগাস্ট মাসে ঘটেছে ৭টি 

    প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনা সেপ্টেম্বর মাসে ঘটেছে ৮টি

    প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ধর্ষণের ঘটনা অক্টোবর মাসে ঘটেছে ৭টি

    প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের গণধর্ষণের ঘটনা অগাস্ট মাসে ঘটেছে ৪টি

     প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের গণধর্ষণের ঘটনা সেপ্টেম্বর মাসে ঘটেছে ৬টি

     প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের গণধর্ষণের ঘটনা অক্টোবর মাসে ঘটেছে ৬টি

    অগাস্ট মাসে নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তিনটি 

    সেপ্টেম্বর মাসে নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে পাঁচটি 

    অক্টোবর মাসে নাবালিকা গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে দুটি

    মহিলাদের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা সেপ্টেম্বরে মাসে ঘটেছে ২০টি

    মহিলাদের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা অক্টোবর মাসে ঘটেছে ১৩টি 

    মহিলাদের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা অগাস্টে ঘটেছে ১১টি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • China Frustration: চিনে একের পর এক হত্যা,  সরকারের প্রতি ক্রোধ এবং হতাশার প্রতিফলন

    China Frustration: চিনে একের পর এক হত্যা, সরকারের প্রতি ক্রোধ এবং হতাশার প্রতিফলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে চিনে (China Frustration) একের পর এক গণহত্যার ঘটনায় সে দেশের জনগণের মধ্যে ক্রোধ ও হতাশা বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি একটি খুনের ঘটনার পর “চিনা জনগণ অত্যন্ত কষ্টে আছে,” এমন একটি লেখা সে দেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। সেই পোস্টে ছিল সতর্কবার্তা, “এমন হামলা আরও বেড়ে যাবে।” আরেকটি পোস্টে লেখা হয়েছিল, “এই দুঃখজনক ঘটনা সমাজের অন্ধকার দিককে ফুটিয়ে তুলছে।”

    চিনে হতাশার ছবি

    চিনের জনগণের মধ্যে সম্প্রতি “সমাজের প্রতি প্রতিশোধ নেওয়ার” মনোভাব বেড়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালে সে দেশে ঘটে যাওয়া একের পর এক হত্যার ঘটনা তার প্রমাণ। চিনে যদিও এ ধরনের হামলা বিরল, তবে বিশাল জনসংখ্যার দেশের জন্য এটি অস্বাভাবিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডেভিড শ্যাক। তবে, এসব হামলা সাধারণত তরঙ্গের মতো আক্রমণ করে, প্রায়ই এক ধরনের কপি-ক্যাট হামলা, যা জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে করা হয়। ২০২৪ সালে এরকম একাধিক ঘটনা ঘটেছে। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রতি বছর ৩ থেকে ৫টি হামলা ঘটেছিল, যেখানে অপরাধীরা পথচারী বা অপরিচিত ব্যক্তিদের উপর হামলা করেছিল। কিন্তু ২০২৪ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯টি।

    রক্তাক্ত নভেম্বর

    বিশেষ করে নভেম্বর মাসটি চিনে ছিল অত্যন্ত রক্তাক্ত। ১১ নভেম্বর ঝুহাই শহরে এক ৬২ বছর বয়সী ব্যক্তি একটি গাড়ি দিয়ে বাইরে স্টেডিয়ামে ব্যায়ামরত মানুষের মধ্যে আঘাত হানে, যার ফলে ৩৫ জন মারা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ডিভোর্সি। বিচ্ছেদের কারণে অসন্তুষ্ট ছিল, তাই এই ঘটনা ঘটান। তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে চাংদে শহরে এক ব্যক্তি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গাড়ি চালিয়ে ৩০ জন শিশুকে আহত করে। আর্থিক ক্ষতি ও পারিবারিক সমস্যার জেরেই এই ঘটনা ঘটান তিনি।

    অর্থনৈতিক মন্দাই কারণ

    চিনের এই সহিংস হামলাগুলির মূল কারণ হিসেবে দেশের অর্থনৈতিক মন্দাকেই চিহ্নিত করা হচ্ছে। উচ্চ বেকারত্ব, বিপুল পরিমাণ দেনা এবং রিয়েল এস্টেট সঙ্কট চিনের জনগণের মধ্যে হতাশা তৈরি করছে। বড় শহরের পাশের এলাকায় বহু অসমাপ্ত আবাসিক প্রকল্পে মানুষ বসবাস করছে, যেগুলোর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অর্থনীতির সঙ্কটের কারণে চিনের জনগণের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির একটি বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, যার মধ্যে ব্যক্তিগত ভবিষ্যৎ নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আগে যেখানে চিনা জনগণ সমাজে বৈষম্যকে নিজেদের ব্যর্থতা হিসেবে দেখত, এখন তারা এটিকে একটি “অন্যায় অর্থনৈতিক ব্যবস্থা” হিসেবে চিহ্নিত করছে।

    চিনে বিকল্পের অভাব

    চিনের জনগণের মানসিক চাপ ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে। বিকল্পের অভাব এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যেখানে মানুষজনের তাঁদের ক্ষোভ বা হতাশা প্রকাশ করার কোনও উপায় নেই। যদিও কিছু দেশে মানুষ নিজেদের অভিযোগ বা সমস্যা জানাতে মিডিয়ার কাছে যেতে পারে, চিনে তা-ও সম্ভব নয়। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া বা দুর্বল বিচার ব্যবস্থা এমন ব্যক্তিদের সহায়তা করতে পারে না। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এবং শারীরিক এবং মানসিক চাপের মোকাবিলা করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা না থাকার কারণে, চিনা জনগণ এমন একটি অবস্থা অনুভব করছে যা তাঁদের সহিংস আক্রমণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘বাবার প্রয়াণে শোক জ্ঞাপনের জন্য বসেনি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক’’, কংগ্রেসকে তোপ প্রণব কন্যার

    সম্ভাব্য পরিণতি 

    চিনে এমন হামলা এখন অল্প সংখ্যক মানুষের দ্বারা ঘটলেও, বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে যদি পরিস্থিতি এরকমই চলতে থাকে, তবে এটি সমাজে আরও বিশৃঙ্খলা এবং অস্থিরতার সৃষ্টি করতে পারে। সরকারি কর্মকর্তারা পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন হলেও, এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কার্যকর কোনও ব্যবস্থা দেখা যায়নি, শুধুমাত্র নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আরও নজরদারি এবং পুলিশি প্রতিক্রিয়া শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে চিন একটি নতুন ধরনের সামাজিক অস্থিরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও আক্রমণ এবং প্রতিবাদে পরিণত হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dawood Ibrahim: দাউদের জন্মদিনে ভারতের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা! টার্গেট হিন্দু নেতারা

    Dawood Ibrahim: দাউদের জন্মদিনে ভারতের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা! টার্গেট হিন্দু নেতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি করাচিতে নিজের জন্মদিন পালন করেছেন, পলাতক মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম (Dawood Ibrahim)। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, ইসলামাবাদ দাউদের উপস্থিতি অস্বীকার করলেও, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তাঁকে সুরক্ষা প্রদান করছে। আইএসআই-এর অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল পদমর্যাদা পেয়েছিলেন দাউদ। গত ২৬ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার, দাউদের ৬৯ তম জন্মদিনে করাচিতে অনেক ব্যবসায়ী, আইএসআই-র কর্মকর্তা, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্য এবং শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে ভারতের বিরুদ্ধে নানা পরিকল্পনা করা হয়েছে, বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। ভারতের হিন্দু নেতাদের হত্যার চক্রান্তও হতে পারে বলে অনুমান।

    দাউদের জন্মদিন না নয়া পরিকল্পনা

    গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, দাউদ (Dawood at Karachi) এখনও পাকিস্তানে এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ভারত সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে দাউদ ও তাঁর দল ইসলামাবাদকে সম্পূর্ণ সাহায্য করে। এছাড়া, দাউদ এবং আইএসআই-এর মধ্যে একটি অঘোষিত চুক্তি রয়েছে, যেখানে দাউদ তাঁর মাদক পাচারের আয় থেকে ৪০ শতাংশ আইএসআই-কে দেয়। মুম্বই এবং অন্যান্য স্থানে দাউদের কর্মকাণ্ড কিছুটা কমে গিয়েছে, তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মতে, এটি একটি চক্রান্তের অংশ। ১৯৯৩ সালের মুম্বই সিরিয়াল বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড, সন্ত্রাসী সবার নজর থেকে দূরে থাকার জন্যই এই কৌশল নিয়েছেন। যদিও তাঁর সহযোগীরা এখনও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সক্রিয় এবং তাঁদের প্রভাব যথেষ্ট। তাঁর শুটারদেরও যেকোনো সময় ভারতের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো হতে পারে। 

    আরও পড়ুন: ঠিকাদারের আত্মহত্যা, কাঠগড়ায় কর্নাটকের মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, কী বলছেন মন্ত্রী?

    ভারতের হিন্দু নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

    ২০১৫ সালে ভারতীয় হিন্দু নেতাদের হত্যার জন্য একটি মডিউল তৈরি করেছিলেন দাউদ ও তাঁর দল। পরিকল্পনাটি ছিল গুজরাটে হত্যাকাণ্ড ঘটানো এবং পরে তা ভারতজুড়ে বিস্তৃত করা। যদিও এই মডিউলটি ২০১৭ সালে ফাঁস হয়ে যায়। নতুন পরিকল্পনা অনুসারে তারা আবারও নতুন মডিউল গঠন করতে পারে। দাউদ এখনও আইএসআই-এর সুরক্ষায় পাকিস্তানে রয়েছেন। তাঁর বাসস্থান করাচির রাহিম ফাকি এলাকায়। তাঁর বাসভবন অত্যন্ত সুরক্ষিত। তাঁর পাসপোর্ট পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি থেকে জারি হয়েছে। দাউদ একেবারেই পাকিস্তানে সীমাবদ্ধ নন, তার পৃষ্ঠপোষকতা কারণে তিনি দুবাই, জেদ্দা, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং ব্যাংককসহ বিভিন্ন দেশে প্রায়শই সফর করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Osamu Suzuki: ৯৪ বছর বয়সে প্রয়াত সুজুকি মোটরের প্রতিষ্ঠাতা ওসামু সুজুকি

    Osamu Suzuki: ৯৪ বছর বয়সে প্রয়াত সুজুকি মোটরের প্রতিষ্ঠাতা ওসামু সুজুকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ওসামু সুজুকি (Osamu Suzuki)। বয়স হয়েছিল ৯৪। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে ২৫ ডিসেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ লিম্ফোমা। প্রসঙ্গত, সুজুকি কর্পোরেশনকে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ছোট গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থায় রূপান্তরিত করার কৃতিত্ব দেওয়া হয় তাঁকেই।

    কৃষক পরিবারে জন্ম (Osamu Suzuki)

    ১৯৩০ সালের ৩০ জানুয়ারি জাপানের গেরোয় জন্ম ওসামুর। সুজুকি (Osamu Suzuki) একটি কৃষক পরিবারে বেড়ে ওঠেন। তিনি তাঁর ভাইবোনদের মধ্যে চতুর্থ সন্তান ছিলেন। তিনি মিচিও সুজুকির নাতনি শোকো সুজুকিকে বিয়ে করেছিলেন, যার প্রতিষ্ঠাতা ভিজ্যুয়াল রিসাবট্রেডেসসর কোম্পানি। ১৯৫৮ সালে সুজুকি মোটর কর্পোরেশনে যোগ দেন তিনি। তখন তাঁর পদবি ছিল মাৎসুদা। কিন্তু তাঁর স্ত্রীর শোকো সুজুকির পরিবারের সংস্থায় যোগ দেওয়ার পরে সেই পদবি তিনি গ্রহণ করেন। এরপর মাত্র পাঁচ বছরেই দ্রুত উন্নতি করেন। ১৯৬৩ সালে পরিচালক পদে উন্নীত হন তিনি। পরবর্তী দেড় দশকে হয়ে ওঠেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ততদিনে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে সুজুকি মোটরের নাম। ২০০০ সালে অবসর নেওয়ার আগে দুবার সংস্থার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ওসামু সুজুকি। তাঁর আমলেই জেনারেল মোটরস ও ভক্সওয়াগেনের মতো সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে সাফল্যের নতুন মাত্রা অর্জন করে সুজুকি মোটর।

    আশির দশকে ভারতের সঙ্গে ব্যবসা

    সুজুকির (Osamu Suzuki) নেতৃত্ব শুরু হয় ১৯৭৮ সালে, যখন তিনি সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের সভাপতি হন। তাঁর নির্দেশনায় কোম্পানিটি তার কার্যক্রম প্রসারিত করে নতুন বাজারে পৌঁছেছে। বিশেষ করে ভারত, উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপের বাজার দখল করে। ছোট গাড়ি উৎপাদনের দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন তিনি। সাশ্রয়ী মূল্যের এবং জ্বালানী সাশ্রয়ী গাড়ি তৈরি করেছিলেন, যা উন্নয়নশীল দেশগুলির চাহিদা পূরণ করেছিল। সুজুকি সম্প্রসারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ১৯৮০ এর দশকের গোড়ার দিকে এসেছিল, যখন ভারত সরকার একটি দেশীয় গাড়ি শিল্প প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করার জন্য একজন অংশীদার খুঁজছিল। ১৯৮২ সালে সুজুকি একটি দীর্ঘ এবং সফল অংশীদারিত্বের সূচনা করেছিল। একটি ভারতীয় অটোমোবাইল প্রস্তুতকারক মারুতি শিল্পের ২৬ শতাংশ অংশীদারিত্ব অর্জন করে। ১৯৮৩ সালে চালু হওয়া Maruti 800, ভারতীয় মোটরগাড়ি বাজারে একটি গেম-চেঞ্জার হয়ে ওঠে। Maruti Suzuki এখন দেশের শীর্ষস্থানীয় গাড়ি নির্মাতাদের মধ্যে একটি।

    বাজারে আধিপত্য বিস্তারের কৌশল

    ওসামুর দর্শন ছিল সহজ: উন্নয়নশীল দেশগুলির লোকেদের যে ক্রয়ক্ষমতা এবং ব্যবহারিকতার প্রয়োজন তার ওপর ফোকাস করা। এই কৌশলটি সুজুকিকে বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে দেয় যা বড় গাড়ি নির্মাতারা প্রায়ই উপেক্ষা করে। ভারতীয় বাজার ছাড়াও, সুজুকির প্রচেষ্টা এশিয়ার অন্যান্য অংশে এবং তার বাইরেও কোম্পানির উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেছিল। ততক্ষণে সুজুকি তার ভূমিকা থেকে অবসর নিয়েছে।

    “কখনও থামবেন না, অন্যথায় আপনি হেরে যাবেন”

    জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে সুজুকি (Osamu Suzuki) টয়োটার সঙ্গে জোট গঠন করে। বিশ্বব্যাপী শিল্পে তার স্থানকে আরও শক্তিশালী করে। ওসামু সুজুকি নেতৃত্বের ক্ষেত্রে তার সিদ্ধান্তমূলক, হাতে-কলমে পদ্ধতির জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি বলতেন,”আমি একটি ছোট-ব্যবসায়িক বস,”  “কখনও থামবেন না, অন্যথায় আপনি হেরে যাবেন।” চ্যালেঞ্জিং সময়ে সুজুকি মোটরকে উন্নতি করতে সাহায্য করেছিল। সুজুকি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২১ সালে প্রতিদিনের কার্যক্রম থেকে অবসর নিয়েছিলেন। তবুও তিনি কোম্পানির কৌশলগত দিকনির্দেশনার একটি মূল ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার উত্তরাধিকার সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের একটি ছোট জাপানি কোম্পানি থেকে স্বয়ংচালিত শিল্পে, বিশেষ করে ছোট গাড়ির বাজারে বিশ্বব্যাপী নেতা হওয়ার মধ্যে নিহিত  রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে সুজুকি ২০২৪ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে বিশ্বব্যাপী ৩.২ মিলিয়নেরও বেশি গাড়ি বিক্রি করেছে। এই বিক্রির অর্ধেকেরও বেশি ভারত থেকে এসেছে, যা কোম্পানির বৃহত্তম বাজার হিসেবে রয়ে গিয়েছে।

    ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে সুজুকি

     সুজুকি (Osamu Suzuki) ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে। বিশেষ করে যেসব দেশে ছোট গাড়ির চাহিদা বেশি। তার পুরো কর্মজীবনে ওসামু সুজুকির পরিবার কোম্পানির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত ছিল। তাঁর পুত্র, তোশিহিরো সুজুকি ২০১৫ সালে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। পরে সিইও হন। তোশিহিরো তাঁর পিতার উত্তরাধিকার অব্যাহত রেখেছেন। নিশ্চিত করেছেন যে সুজুকি মোটর বিশ্ব বাজার লম্বা রেসের ঘোড়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বাড়ছে ভারত-বিদ্বেষ, তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে চাল পাঠাচ্ছে ভারত

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বাড়ছে ভারত-বিদ্বেষ, তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে চাল পাঠাচ্ছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বিরোধী (India) স্লোগানে মুখর হাসিনা-উত্তর বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। দেশের হাল ধরেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। এই সরকারই ভারত থেকে আমদানি করা চালের প্রথম চালান নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। হাসিনা-উত্তর বাংলাদেশ ক্রমেই ঝুঁকছে পাকিস্তানের দিকে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল। স্বাধীন হতে সাহায্য করেছিল বাংলাদেশকে। 

    পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ! (Bangladesh Crisis)

    বাংলাদেশ যে ক্রমেই পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে, তার অন্যতম বড় প্রমাণ বাংলাদেশ সম্প্রতি করাচি বন্দর থেকে আসা দুটি জাহাজকে স্বাগত জানিয়েছে। চলতি বছরের ১৩ নভেম্বর একটি কন্টেনারবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটল। এই পরিবর্তনের মাঝেও, ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করে চলেছে। জানা গিয়েছে, ‘এমভি তানাইস ড্রিম’ নামের একটি জাহাজ ২৬ ডিসেম্বর চৌদ্দগ্রাম বন্দরে ভিড়তে চলেছে। জাহাজটি ২৪,৬৯০ মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে যাচ্ছে। উন্মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় এই চাল আমদানি করা হয়েছে। এই চালানটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ঘাটতি পূরণের জন্য পাঠানো হচ্ছে। কেবল এই সাহায্যই নয়, বৈরিতা সত্ত্বেও আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্কটকালে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত (Bangladesh Crisis)। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অর্থনৈতিক সঙ্কট অথবা রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। তার পরেও বাংলাদেশে চলছে সংখ্যালঘু নির্যাতন।

    হিন্দুর ঘরে আগুন

    বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হচ্ছে ব্যাপক অত্যাচার। কখনও কোনও হিন্দুর ঘরে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুন, কখনও বা হিন্দু বাড়ির মেয়ে-বউদের তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে মুসলমানরা। ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন বহু হিন্দু তরুণী। ভাঙচুর করা হচ্ছে হিন্দুদের মন্দির। লুটতরাজ চালানো হচ্ছে হিন্দুদের দোকানদানিতে। সে দেশের মুসলমানদের অত্যাচারে পূর্ব পুরুষদের (India) ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে অন্যত্র। সেই ভিটে দখল করে নিচ্ছে অত্যাচারীরা। অভিযোগ, এই সব ঘটনার পেছনেও রয়েছে জমি হাঙরদের হাত (Bangladesh Crisis)। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে ভারত বাংলাদেশকে ১৩০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করে।

    ৫০ হাজার টন চাল 

    এই আর্থিক সহায়তা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য বরাদ্দ করা হয়। যার জেরে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা থাকে অব্যাহত। ২৩ ডিসেম্বর ইউনূস অভ্যন্তরীণ সঙ্কট মোকাবিলায় জরুরি সাহায্যের জন্য ভারতের কাছে আবেদন জানান। সঙ্গে সঙ্গে ভারত ৫০ হাজার টন চাল পাঠিয়ে দেয়। যার জেরে কঠিন সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis)। ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারত বাংলাদেশকে ৯.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি স্বল্পসুদী ঋণ অনুমোদন করে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত চলাকালীন ভারত অপারেশন গঙ্গার মাধ্যমে আঞ্চলিক সংহতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে। ৯ মার্চ, ২০২২ তারিখে ভারত সরকার যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে আটকে পড়া নজন বাংলাদেশি নাগরিককে সফলভাবে উদ্ধার করে।

    মুক্তিযুদ্ধ

    করোনা অতিমারীর সময় ভারত বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ সাহায্য করে। ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে আইএনএস সাবিত্রী চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ে গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল অক্সিজেন প্ল্যান্ট সরবরাহ করে। মহামারির সংকটময় পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করে। ২০২১ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে ভারত বাংলাদেশে পাঠায় ১.২ মিলিয়ন অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ডোজ। ওই দিনই ভারত বাংলাদেশকে ১০৯টি জীবনদায়ী অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয়। কেবল এখনই নয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়, ভারত মুক্তি বাহিনীকে সিদ্ধান্তমূলক সামরিক সহায়তা প্রদান করে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ভারতের এই হস্তক্ষেপের ফলে ৯৩ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানি সেনা আত্মসমর্পণ করে (Bangladesh Crisis)। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর বিধ্বংসী ঘূর্ণঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেই সময়ও ভারত ১ মিলিয়ন ডলারের ত্রাণ প্যাকেজ দেয়। এর মধ্যে ছিল খাবার, ওষুধ, তাঁবু এবং কম্বল-সহ জরুরি জিনিসপত্র।

    আরও পড়ুন: ঠিকাদারের আত্মহত্যা, কাঠগড়ায় কর্নাটকের মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, কী বলছেন মন্ত্রী?

    এহেন সাহায্যের পরেও ভারত-বিরোধী মনোভাব পোষণ করে চলেছে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। চলছে নিরন্তর হিন্দু নির্যাতন (India)। ২০২৪ সালের ২১শে ডিসেম্বর নাটোর সদর উপজেলার (Bangladesh Crisis) কাশাডাঁপুর শ্মশানঘাটের পাশে ৫৫ বছর বয়সী এক মন্দিরের পুরোহিত তরু কুমার দাসের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুরোহিতকে হত্যা করার আগে হামলাকারীরা মন্দিরের দানবাক্সগুলি লুট করে। তারই আগের দিন ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলায় তিনটি হিন্দু মন্দিরকে টার্গেট করে দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর করে চারটি মূর্তি। ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ সালে কুষ্টিয়া জেলায় একটি হিন্দু পরিবার প্রাণের ভয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪-এ সুনামগঞ্জে জনৈক আকাশ দাসের ওপর হামলা করে দুষ্কৃতীরা। ২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ইস্কনের দুটি মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা (Bangladesh Crisis)। হিন্দুদের ওপর এত অত্যাচার সত্ত্বেও পড়শির প্রতি দায়িত্ব পালনে অটল নরেন্দ্র মোদির ভারত (India)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share