Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bangladesh: পেটে খিদে, ভাত দিন! ভারতের কাছে হাত পাতলেন ইউনূস, যাচ্ছে ৫০ হাজার টন চাল

    Bangladesh: পেটে খিদে, ভাত দিন! ভারতের কাছে হাত পাতলেন ইউনূস, যাচ্ছে ৫০ হাজার টন চাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। ৫২টি জেলায় হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অন্তত ২ হাজারটি হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার মধ্যে মন্দির ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং শারীরিক আক্রমণ অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এই হামলার ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। অত্যাচারের ঘটনায় বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দেয় ভারত। তাতে জ্বলন ধরে ইউনূসের। এমনকী অন্যান্য উপদেষ্টারাও লাগাতার ভারতকে আক্রমণ করতে শুরু করে। কার্যত এক পা এগিয়ে ভারতের সমস্ত জিনিস বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। কেউ কেউ তো আবার কলকাতা, এমনকী দিল্লি দখল করার দিবাস্বপ্ন দেখছিলেন। হুমকি দিচ্ছিলেন পরমাণু বোমার! বাস্তবে কাজে আসল না কোনও হুঁশিয়ারি! এবার সত্যি সত্যিই ভারতের কাছে হাত পাতল ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। দেশে সব্জি, আনাজের হাহাকার। এই পরিস্থিতিতে ভারতের থেকে চাল চাইল বাংলাদেশ।

     ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি!(Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ইউনূস সরকার (Bangladesh) প্রথমে ভারতকে ততটা গুরুত্ব দিতে চায়নি। তাই, দেশবাসীর মুখে অন্ন তুলে দিতে চাল, ডাল কিংবা অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ভারতের বিকল্প খুঁজতে শুরু করে। চিন, পাকিস্তান কিংবা তুরস্ক থেকে চাল কিংবা পেঁয়াজ কেনা হবে বলে চিন্তাভাবনা শুরু করে ইউনূস। কিন্তু তা যে সম্ভব নয় তা কয়েকদিনের মধ্যে তারা বুঝে যায়। অবশেষে, দিনরাত গালাগালি দেওয়া ভারতের কাছে হাত পাততে হল ইউনূসকে। কলকাতা দখল তো দূরের কথা, ভারতের ওপর নির্ভর করতে হল ইউনূস সরকারকে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিল ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘বাংলা ট্রিবিউনে’-এর খবর অনুযায়ী, দেশের মানুষের জন্যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় ইউনূসের সরকার। আর তাই এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রেও প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা। এতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা, এমনটাই দাবি বাংলাদেশের ওই সংবাদমাধ্যমে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে এলেন অমিত শাহ, দিনভর কোন কোন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী?

    বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়?

    বাংলা ট্রিবিউনের খবর অনুযায়ী, সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। যেখানে খাদ্য মন্ত্রকের (Bangladesh) শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘ বৈঠকে এই বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়। এবং তা গৃহীত হয়। লজ্জার মাথা খেয়ে সমস্ত কিছু ভুলে দেশবাসীর ভাত জোগাড় করার জন্য কার্যত ভারত থেকেই চাল কেনার অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে চাল ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে পরবর্তী কাজ শুরু হবে বলেও প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন, সে দেশের বাজারে সমস্ত জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে হিমশিম হতে হচ্ছে আমজনতাকে।

    চাল ছাড়াও ভারতের কাছে হাত পেতে আর কী নিয়েছে ইউনূস?

    এই বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশে (Bangladesh) ভয়াবহ বন্যার কারণে চাল আমদানির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল। কারণ, বন্যায় আনুমানিক ১.১ মিলিয়ন টন চাল ধ্বংস হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে। আর এই শূন্যস্থান পূরণের জন্য ইউনূস সরকারকে বিদেশের দিকে হাত বাড়াতে বাধ্য করেছে। জানা গিয়েছে, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের খাদ্যশস্যের মজুতের পরিমাণ ১১.৪৮ লক্ষ টন থেকে নেমে হয়েছে ৭.৪২ লক্ষ টন। প্রধান খাদ্য হিসেবে ভাতের ওপর বেশি নির্ভর করে এমন একটি জাতির জন্য এটি উদ্বেগজনকভাবে কম। এই পরিস্থিতি সরকারকে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আমদানি এবং দেশীয় ক্রয় উভয়ই জোরদার করতে বাধ্য করেছে। স্থানীয় মজুত বাড়ানোর জন্য সরকার চলতি মরশুমে ৮ লক্ষ টন আমন চাল সংগ্রহ করার এবং ২০২৫ সালের প্রথম দিকে বোরো ধান মজুত করার পরিকল্পনা করেছে। যাই হোক, এই প্রচেষ্টা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপ ক্ষতিপূরণের জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় গত দু’দিন আগেই ভারত থেকে আরও একবার আলু পাঠানো হয় বাংলাদেশে। কার্যত সে দেশের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে আনতে যশোরের শার্শার বেনাপোল বন্দর দিয়ে আলু পাঠানো হয়। প্রায় এক হাজার ৯০০ মেট্রিক টন আলু গিয়েছে। এমনকী গিয়েছে পেঁয়াজ ও ডিমও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis 9: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা! দেশ ছাড়তে নদীতে  ঝাঁপ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা

    Bangladesh Crisis 9: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা! দেশ ছাড়তে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ নবম পর্ব।

     

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত অগাস্ট মাসে বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্রে পদত্যাগ করতে হয় বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 9) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এরপর থেকেই সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন নেমে আসে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা দলে দলে দেশ ছাড়তে সীমান্ত জড়ো হন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম সমাজ-সংস্কৃতি, ইত্তেফাক প্রভৃতি খবরের কাগজগুলি তাদের প্রথম পাতার শিরোনামে লেখে সংখ্যালঘুদের দেশ ছাড়ার কথা। অগাস্ট মাসে সমাজ-সংস্কৃতি নামের বাংলাদেশের ওই পত্রিকা নিজেদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে এবং যার শিরোনাম ছিল, ‘‘ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় সীমান্তে কয়েকশো বাংলাদেশি’’। অন্যদিকে ইত্তেফাক পত্রিকার খবর প্রকাশিত হয়, ‘‘দেশত্যাগ করতে ভারত সীমান্তে জড়ো হয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।’’

    দেশ ছাড়তে নদীতে ঝাঁপ হিন্দুদের (Bangladesh Crisis 9) 

    সংখ্যালঘু হিন্দুদের দোকানঘরগুলিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় মৌলবাদী জেহাদিরা। তাদের সম্পত্তিকেও দখল করে নেয় জেহাদী সংগঠনগুলি। প্রাণ বাঁচাতে হাতিবন্ধ, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, কালিয়াগঞ্জ, পঞ্চগড় প্রভৃতি সীমান্তে জড়ো হতে থাকেন শয়ে শয়ে বাংলাদেশি হিন্দুরা। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে পার হওয়ার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশি সংখ্যালঘুরা। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো চলতি বছরের ২৯ অগাস্ট তাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ করে যে ৮ বাংলাদেশি হিন্দুকে গ্রেফতার করেছে বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশ বা বিজিবি। তেতুলিয়া বর্ডারে এই হিন্দুদের গ্রেফতার করা হয়।

    হামলা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিতে (Targeting Minority)

    অন্যদিকে, একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে (Bangladesh Crisis 9) হামলার ঘটনাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে এই সময়ে। বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, হিংসা সবথেকে বেশি ছড়ায় যশোর, সাতক্ষীরা, হাবিবগঞ্জ, বগুড়া, চট্টগ্রাম শেরপুর, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, জয়পুরহাট, ফিরোজপুর, ঢাকা প্রভৃতি জেলায়। এখানে বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে সংখ্যালঘুদের ওপরে নির্যাতন চলতে থাকে।

    আশ্রমের পুকুর জোর করে দখল করে নেয় মৌলবাদীরা 

    একইভাবে জোর করে হিন্দুদের জমি দখল করার অভিযোগ ওঠে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বাংলাদেশের বেশ কিছু ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ সরব হন। অন্যদিকে, এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে সামান্য এক হিন্দু ভ্যান চালকের জমি দখল ও তার পরিবারকে হুমকি দেওয়ার। দিনাজপুর জেলার ফুলতলা শ্মশান মাঠের কাছে জোর করে হিন্দুদের জমি দখলের অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের পাইকপাড়া এলাকাতে কৈবল্যধাম আশ্রমের ওপর হামলা চালায় উগ্র মৌলবাদীরা এবং ওই আশ্রমের পুকুর জোর করে দখল করে নেয় তারা। পটুয়াখালিতে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ২১টি হিন্দু পরিবারের জমি দখলের। ওই পরিবারগুলিকে হুমকি দিয়ে দেশ ছাড়ার (Bangladesh Crisis 9) কথা বলে ওই বিএনপি নেতা।

    সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রতিরোধ

    তবে এসব কিছুর মাঝেও বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের মধ্যে যে ঐক্য দেখা যায় তা বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়োয়। সংখ্যালঘু অধিকারের কথা বলে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করতে থাকে হিন্দুরা। এ ক্ষেত্রে অন্য দুই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় খ্রিস্টান ও বৌদ্ধরাও যোগ দেয় হিন্দুদের সঙ্গে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এধরনের সংখ্যালঘু বিক্ষোভ খুবই কম দেখা গিয়েছে। অত্যাচার এবং নির্যাতনে দেয়ালে পিঠ ঠেকতে ঠেকতে লাখ লাখ হিন্দু সমাবেশ করতে শুরু করেন। ৯ আগস্ট ২০২৪ থেকেই শুরু হয় এই সমাবেশ। হিন্দুরা গর্জে ওঠেন হিংসা, জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ এবং সমাজমাধ্যমে চলা হিন্দু ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে।

    ৯ অগাস্ট থেকে শুরু প্রতিবাদ

    চলতি বছরের ৯ অগাস্ট বাংলাদেশ সচেতন সনাতনী নাগরিক নামের একটি সংগঠন বিক্ষোভ শুরু করে। এই আঁচ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশজুড়ে। ২০ অগাস্ট বৃহৎ হিন্দু সমাবেশ দেখা যায় বাংলাদেশের শরিয়তপুর, দিনাজপুর, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, নাটোর, ফরিদপুর নীলফামারী, দিনাজপুর প্রভৃতি জেলায়। হাজার হাজার হিন্দু রাস্তায় নামেন অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে। ময়মনসিংহ জেলাতে হিন্দু মহাজোট নামের একটি সংগঠন একটি বড় সমাবেশের আয়োজন করে। ৪ দফা দাবিও জানান সেখানে হিন্দুরা। অন্যদিকে নাটোরে হিন্দুরা রাস্তায় নামে ইসকনের নেতৃত্বে।

    ১১ অগাস্ট চট্টগ্রামে ব্যাপক বিক্ষোভ 

    ১১ অগাস্ট চট্টগ্রামে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় হিন্দুরা। এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজনের দায়িত্ব ছিল হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ওপর। বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদ, সনাতনী ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা পরিষদ প্রভৃতি সংগঠন এই বিক্ষোভগুলি দেখাতে শুরু করে। অগাস্ট মাসের ১২ তারিখে হিন্দু সমাজের সদস্যরা গাইবান্ধা, চাওডাঙ্গা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, মাদারিপুর, নেত্রকোনা, পাবনা প্রভৃতি জায়গাতে বিক্ষোভ দেখায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kailash Mansarovar Yatra: ডোভালের বৈঠকে গলল বরফ, ফের শুরু হতে চলেছে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা

    Kailash Mansarovar Yatra: ডোভালের বৈঠকে গলল বরফ, ফের শুরু হতে চলেছে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শুরু হতে চলেছে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Mansarovar Yatra)। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে চিনা অনুপ্রবেশের পর সামরিক সংঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক (India China Relation)। সেই সম্পর্ক পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ভারত ও চিন ঐক্যমত্যে পৌঁছতে বুধবার ছ’দফা চুক্তি করেছে। সীমান্ত পেরিয়ে নদীর সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং নাথুলা সীমান্ত দিয়ে বাণিজ্য ফের চালু করার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বেজিংয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র মধ্যে বৈঠক শেষে এই ঘোষণা করা হয়।

    কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা

    কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা অত্যন্ত পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। হিন্দু, জৈন এবং বৌদ্ধরাও কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা করেন। তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে অবস্থিত কৈলাস পর্বত দর্শন করে আনন্দ লাভ করেন পুণ্যার্থীরা। হিন্দুদের বিশ্বাস, এই কৈলাসই মহাদেবের বাসস্থান। ২০২০ সালের আগে ফি বছর কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রায় যেতেন পুণ্যার্থীরা। ২০২০ সালে করোনা অতিমারির কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় তীর্থযাত্রা। পরে করোনা-পর্ব চুকে গেলেও, চিনের টালবাহানায় আর শুরু হয়নি যাত্রা। সম্প্রতি সেই যাত্রাই ফের চালু হতে চলেছে বলে খবর। তবে কবে থেকে যাত্রা শুরু হবে, তা জানানো হয়নি (Kailash Mansarovar Yatra) চিন কিংবা ভারতের বিবৃতিতে (India China Relation)।

    আরও পড়ুন: অসম-বাংলায় স্লিপার সেল তৈরির ছক? মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার ২ জঙ্গি

    কী বলছে বিদেশমন্ত্রক

    তবে, ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশেষ প্রতিনিধিরা সীমান্ত পেরিয়ে সহযোগিতা ও বিনিময়ের জন্য ইতিবাচক নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় চালু করা, সীমান্ত পেরিয়ে নদীর তথ্য শেয়ারিং এবং সীমান্ত বাণিজ্য। ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে, বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, দুই দেশের বিশেষ প্রতিনিধি (ডোভাল এবং ওয়াং) সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন (Kailash Mansarovar Yatra)। ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সামগ্রিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করতেই এর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জোর দিয়েছেন যে সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়গুলি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বাভাবিক উন্নয়নে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis 8: মৌলবাদীদের সুরে সুর মিলিয়ে ইউনূস প্রশাসন বন্ধ করে শতাব্দীপ্রাচীন কুণ্ডুবাড়ির মেলা!

    Bangladesh Crisis 8: মৌলবাদীদের সুরে সুর মিলিয়ে ইউনূস প্রশাসন বন্ধ করে শতাব্দীপ্রাচীন কুণ্ডুবাড়ির মেলা!

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ অষ্টম পর্ব।

     

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৫ অগাস্ট পতন হয় হাসিনা সরকারের। অসাংবিধানিকভাবে জামাত-বিএনপির উগ্র মৌলবাদীরা (Bangladesh Crisis 8) দখল করে গণভবন। দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা। তার পর থেকেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক হামলা শুরু হয়। মন্দির ভাঙচুর, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ থেকে আরম্ভ করে হিন্দু জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের খুনের ঘটনাও সামনে আসতে থাকে। মহিলাদের ওপর নির্যাতনও ঘটতে থাকে সমানে। বাংলাদেশের এমন বর্বরোচিত আচরণে স্তম্ভিত হয় সারা বিশ্ব। ব্রিটেন-আমেরিকার মতো দেশও সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার বন্ধের আর্জি জানায় ইউনূস সরকারের কাছে। এই সময়ে বাংলাদেশ প্রশাসনেরও ন্যক্কারজনক ভূমিকা সামনে আসে। আসল অপরাধীদের আড়াল করে অত্যাচারিত-নির্যাতিতদের ওপরেই পুনরায় হামলা চালাতে থাকে বাংলাদেশের প্রশাসন। শুধু তাই নয়, হিন্দুদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের রীতিতেও নানাভাবে বাধা দিতে শুরু করে ইউনুস প্রশাসন।

    বন্ধ করা হয় শতাব্দী প্রাচীন কুণ্ডুবাড়ির মেলা (Bangladesh Crisis 8) 

    বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের (Bangladesh Crisis 8) সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের অসংখ্য ঘটনা সামনে এসেছে। ইউনূস সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন যে হিন্দুরা তাঁদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় কোনওভাবেই গান চালাতে পারবেন না আজানের সময়। অর্থাৎ হিন্দুদের সাংস্কৃতিক আচার-অনুষ্ঠানেও বিধিনিষেধ জারি করতে দেখা যায় ইউনূস প্রশাসনকে। একইভাবে শতাব্দী প্রাচীন কুণ্ডুবাড়ির মেলা, যা বাংলাদেশের কালকিনি মাদারিপুরে অনুষ্ঠিত হত, সেটিও মৌলবাদীদের চাপে বন্ধ করে দেয় ইউনূস প্রশাসন। এই ঘটনায় ফের একবার সামনে আসে ইউনূস সরকারের হিন্দু বিরোধিতা। চলতি বছরের দুর্গাপুজোর সময় ফতোয়া জারি করতেও দেখা যায় বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠনগুলিকে। এর মধ্যে সে দেশের কুখ্যাত মৌলবাদী সংগঠন হিসেবে পরিচিত, ‘ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র জনতা’ ১৬ দফার ফতোয়া জারি করে হিন্দুদের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল দুর্গাপুজোর বিরোধিতা। কারণ হিসেবে তারা জানায় মূর্তি পুজো ইসলাম বিরোধী। শুধু তাই নয়, পুজো মণ্ডপে ভারত বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায় ওই সংগঠনকে।

    বৌদ্ধদের ওপরেও চূড়ান্ত অত্যাচার

    শুধু তাই নয়, হিন্দুদের পাশাপাশি বাংলাদেশের বৌদ্ধদের ওপরেও চূড়ান্ত অত্যাচার শুরু হয়। বিশেষত চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলের বৌদ্ধদের নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে মৌলবাদী সংগঠনগুলি। এমন হুমকির মুখে পড়ে নিজেদের ধর্মীয় আচরণও বন্ধ করতে বাধ্য হয় বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা।

    বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপরে নির্মম অত্যাচারের সঙ্গে গণহত্যাও ঘটতে থাকে। চলতি বছরে ৩০ সেপ্টেম্বর একটি উগ্র মৌলবাদীদের দল হত্যা করে পার্থ বিশ্বাস পিন্টু নামের এক হিন্দু যুবককে। এর পাশাপাশি খুন করা হয় খুলনার উৎসব মণ্ডলকে। সেই সময়ে হৃদয় রবিদাস নামের এক হিন্দুকে হত্যার ঘটনা সামনে আসে। এ ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলাগুলির প্রতি ক্ষেত্রে একটা সাধারণ বিষয় দেখা যায় যে মসজিদ থেকে ঘোষণা করা হয়, তারপরেই জমায়েত শুরু করে মৌলবাদীরা।

    যৌন নির্যাতন হিন্দু মহিলাদের ওপরে (Targeting Minority)

    শুধু তাই নয়, নির্মমভাবে অত্যাচার শুরু হয় হিন্দু মহিলা ও ছাত্রীদের ওপরেও। তাঁদেরকে নানাভাবে (Bangladesh Crisis 8) যৌন নির্যাতন চালানো হয়। শ্লীলতাহানির একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। ধর্ষণের স্বীকারও হন হিন্দু রমণীরা। যশোরে এক হিন্দু যুবতীকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। এভাবেই নির্যাতিত হতে থাকেন বাংলাদেশের হিন্দু মহিলারা। একইসঙ্গে হিন্দু কিশোরী ও যুবতীদের অপহরণেরও অভিযোগ ওঠে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের রামকৃষ্ণ মিশন রোডের বাসিন্দা একজন হিন্দু ছাত্রী সুচি রানি নাথ হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায়। সন্দেহ করা হয়, তাঁকে মৌলবাদীরা অপহরণ করেছে। বাংলাদেশের দৈনিক সংবাদপত্রগুলিতে খবরও লেখা হয় এবিষয়ে। বাংলাদেশের ফুলবাড়িতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। এক হিন্দু ছাত্রীকে অপহরণ করার ঘটনা সামনে আসে সেখানে। অন্যদিকে, হিন্দু কলেজ ছাত্রী তমা চক্রবর্তীকে বাংলাদেশের জামালপুরে অপহরণ করে মৌলবাদীরা। রাজারহাট উপজেলায় আনসার বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে দুর্গাপুজোর সময় এক হিন্দু যুবতীকে অপহরণ করার।

    নারী নির্যাতনের আরও উদাহরণ (Targeting Minority)

    একইসঙ্গে বাংলাদেশে হিন্দু মহিলাদের ওপরে ধর্ষণের ঘটনাও ঘটতে থাকে। মৌলবাদীরা একের পর এক মহিলাদের ওপরে যৌন নির্যাতন চালাতে থাকে। বাংলাদেশের এক হিন্দু স্কুল ছাত্রীকে, এক মুসলিম শিক্ষক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে সে দেশে চাকমা সম্প্রদায়ের এক মহিলাকে রামগড় উপজেলার খাগড়াগাছিতে গত ২২ অগাস্ট ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। আট বছরের এক শিশুকন্যাকেও ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে সেদেশে। দক্ষিণ বাংলাদেশের নাটোরের এক হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। একই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকে সারা বাংলাদেশ জুড়ে।

    লুট চালানো হয় হিন্দু বাড়িগুলিতে

    অন্যদিকে বাংলাদেশের নড়াইল জেলার লোহাগড় উপজেলাতে হিন্দু বাড়িগুলিতে লুট চালানো হয় এবং একইসঙ্গে মহিলাদের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ সামনে আসে। একই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকে নোয়াখালিতেও। সেখানে হিন্দু বাসিন্দা সহদেব রায়ের বাড়িতে লুট চালানো হয় এবং তাঁর বাড়ির মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা ফের একবার উসকে দেয় ১৯৪৬ সালের নোয়াখালির সাম্প্রদায়িক হিংসার স্মৃতিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paresh Barua: এবার ভারত-বিরোধী আলফা প্রধান পরেশ বড়ুয়ার ফাঁসির সাজা মকুব বাংলাদেশে

    Paresh Barua: এবার ভারত-বিরোধী আলফা প্রধান পরেশ বড়ুয়ার ফাঁসির সাজা মকুব বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত বিরোধী পদক্ষেপ আবারও করল বাংলাদেশ। বিচ্ছিন্নতাবাদী তথা ভারতবিরোধী সংগঠন হল আলফা, তারই প্রধান পরেশ বড়ুয়ার (Paresh Barua) মৃত্যুদণ্ড মকুব হল বাংলাদেশের আদালতে। চট্টগ্রাম অস্ত্র পাচার মামলায় আলফা প্রধানের (Paresh Barua) সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের হাইকোর্ট। চট্টগ্রাম অস্ত্র পাচার মামলায় আসামীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছে বিচারপতি মোস্তাফা জামান ইসলাম ও নাসরিন আক্তারের বেঞ্চ।

    ২০ বছরের পুরনো মামলা 

    প্রসঙ্গত, এই মামলাটি ২০ বছরের পুরনো, ২০০৪ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলেই মাঝরাতে সেদেশের চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ধারের জেটিঘাট থেকে অস্ত্র বোঝাই ১০টি ট্রাক উদ্ধার করে বাংলাদেশ পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে অস্ত্রগুলি চিনের তৈরি। সেই অস্ত্রগুলি মূলত ভারতবিরোধী কার্যকলাপ চালানোর জন্য পাচার করা হচ্ছিল। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল ভারত-বিরোধী সংগঠনের আলফা প্রধান পরেশ বড়ুয়া, বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর-সহ মোট ৫০ জনের। ইতিমধ্যে সেই মামলার রায় দিতে গিয়েই সাজা কমল পরেশ বড়ুয়ার (Paresh Barua)। বেকসুর খালাস হলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরও।

    মামলা প্রত্যাহার খালেদা পুত্রর বিরুদ্ধে

    অন্যদিকে, বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তথা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর থেকে আবারও ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার হল। আওয়ামি লিগের সমাবেশে হামলার অভিযোগের পরে এ বার সেদেশের জয়পুরহাটে রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে খালাস করা হল। লন্ডন থেকে দেশে ফিরে তারেক এবার রাজনীতিতে যোগ দিতে পারেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    ২০১৫ সালের ২৮ মে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের হয়

    জানা যাচ্ছে, ২০১৪ সালে লন্ডনে একটি আলোচনা সভায় তারেক রহমান বিতর্কিত বক্তৃতা করেছিলেন। সেসময় আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলিগের জয়পুরহাট জেলা শাখার তরফে তারেকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়। ২০১৫ সালের ২৮ মে জয়পুরহাট সদর থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির অভিযোগে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছিল। পরে তদন্ত করে পুলিশ এই মামলায় আদালতে তারেকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল। কিন্তু বুধবার বিচার পর্বে অভিযোগকারী ছাত্রলিগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক রেজা আদালতে উপস্থিত হননি। এর ফলে বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেন (Bangladesh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: কলকাতা ছেড়ে এবার দিল্লি দখলের দিবাস্বপ্ন! ফাঁকা বুলি বাংলাদেশের মৌলবাদী নেতার

    Bangladesh Crisis: কলকাতা ছেড়ে এবার দিল্লি দখলের দিবাস্বপ্ন! ফাঁকা বুলি বাংলাদেশের মৌলবাদী নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত যদি বেয়াদবি করে, তাহলে আমরা আসল দাবি তুলব। তখন দিল্লি ধরে টান দেব।” চার দিনে কলকাতা বা আগরতলা বা সেভেন সিস্টার্স কব্জা না করতে পেরে এবার দিল্লি দখলের দিবাস্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বাংলাদেশের মৌলবাদী নেতারা। যার ফলস্বরূপ, মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক ফাঁকা বুলি।

    মৌলবাদী নেতার হুমকি (Bangladesh Crisis)

    মঙ্গলবার ঢাকার রিপোর্টার্স কার্যালয়ে এমনই ফাঁকা বুলি আওড়ালেন ইসলামি মৌলবাদী বক্তা মুফতি কাজি ইব্রাহিম (Bangladesh Crisis)। তিনি বলেন, “মুসলমানদের কাছ থেকে ব্রিটিশরা ভারতবর্ষকে ছিনিয়ে নিয়েছে। যার জিনিস তাকে তো ফেরত দিতে হয়। নিয়েছ আমার থেকে, ফেরত দেবে কাকে? তুমি তো অন্যায় করেছ।” এর (India) পরেই হাওয়া গরম করতে তিনি বলেন, “ভারত যদি বেয়াদবি করে, তাহলে আমরা আসল দাবি তুলব। তখন দিল্লি ধরে টান দেব।” কলকাতা, আগরতলা, সেভেন সিস্টার্স দখলের ফাঁকা বুলি আওড়ানোর পর এবার দিল্লি ধরে টান দেওয়ার হুমকি এল বাংলাদেশ থেকে। এই মৌলবাদী বক্তা বলেন, “ভারতকে বলব, তুমি তোমাকে নিয়ে থাক। যদি আমারটা নিয়ে বাড়াবাড়ি কর, তাহলে তোমারটা নিয়ে টান দেব। আমরা ডিফেন্সিভ জাতি। আক্রান্ত হলে আমরা সবাই রয়েল বেঙ্গল টাইগার। ভারতকে বলছি, মোদিকে বলছি, খামোখা আমাদের নিয়ে নাক গলাবেন না। ইউনূস আছেন। তাঁকে দেশটা চালাতে দিন। আপনি আপনার দেশ নিয়ে ভাবুন।” মুফতি বলেন (Bangladesh Crisis), “ভারতকে তো কেউ দেখতে পারে না। মলদ্বীপের মতো দেশকেও তারা বন্ধু হিসেবে ধরে রাখতে পারেনি। বাংলাদেশ কখনও ভারতকে শত্রু বানায়নি। তারা বাংলাদেশ নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: মণিপুরে বিদ্রোহীদের ডেরায় মিলল স্টারলিঙ্ক ডিশ-রাউটার! কী বললেন ইলন মাস্ক?

    ভালো নেই বাংলাদেশের হিন্দুরা

    হাসিনা-উত্তর জমানায় ভালো নেই বাংলাদেশের হিন্দুরা। হিন্দু-সহ সে দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার চালাচ্ছে মৌলবাদীরা। কখনও ভাঙচুর করা হচ্ছে মঠ-মন্দির-গির্জা। কখনও আবার বাড়িতে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুন। বাড়ির মেয়ে-বউদেরও তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। হিন্দুদের দোকানদানিতে লুটতরাজ চালানো হচ্ছে বলেও নানা সময় উঠেছে অভিযোগ। খোদ রাষ্ট্রের মদতে সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছে বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইসলামি ও বক্তা। তিনি বলেন, “এখানে হিন্দুদের নির্যাতন করা হচ্ছে না। তাদের ভালোবাসার আবহে রাখা হয়েছে। হিন্দু বলছে, আমরা ভালো আছি, নিরাপদে আছি। কিন্তু ভারত বলছে তারা সুখে (India) নেই।” কট্টরপন্থী এই ইসলামি নেতার দাবি, “বাংলাদেশ নিয়ে ভারত বহির্বিশ্বে মিথ্যে প্রচার চালাচ্ছে (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • US Firms: বরাত পেতে ভারতীয় সংস্থাকে ঘুষ! কাঠগড়ায় তিন বড় মার্কিন সংস্থা, মুখ বাঁচাতে জরিমানা

    US Firms: বরাত পেতে ভারতীয় সংস্থাকে ঘুষ! কাঠগড়ায় তিন বড় মার্কিন সংস্থা, মুখ বাঁচাতে জরিমানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির (Bribes) কারণে তদন্তের মুখে পড়েছে বেশ কিছু মার্কিন কোম্পানিও। সম্প্রতি এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, তিনটি মার্কিন কোম্পানি ভারতীয় কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে আমেরিকার নিয়ন্ত্রকের কাছে মামলা নিষ্পত্তি করতে ও মামলার হাত থেকে রেহাই পেতে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিয়েছে (US Firms)।

    কাঠগড়ায় তিন কোম্পানি (US Firms)

    এই তিন কোম্পানি হল মুগ ইনকর্পোরেটেড, ওরাক্যল এবং অ্যালবেমার্ল কর্পোরেশন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বরাত পেতে তারা ভারতের বিভিন্ন দফতর ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রেলওয়ে, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড  এবং ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনটি মামলার মধ্যে দুটিতে ভারতীয় রেলের পদস্থ কর্তাদের মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়েছে মার্কিন ওই সংস্থাগুলি। বিষয়টি জানাজানি হতেই সক্রিয় হয় সে দেশের শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। তখন জরিমানা বাবদ গড়ে ঘুষের তিন গুণ টাকা জমা করেছে অভিযুক্ত তিন সংস্থা।

    ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ

    মার্কিন তদন্তকারীরা জেনেছেন, আমেরিকান সংস্থা মুগ ইনকর্পোরেটেডের তরফে হ্যাল ও ভারতীয় রেলের পদস্থ কর্তাদের পাঁচ কোটি ডলারের বেশি ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সামরিক সরঞ্জাম, মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত সামগ্রী ও শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত ছোটবড় নানা সাইজের যন্ত্রপাতি নির্মাণে মুগের বিশ্বজোড়া নামডাক রয়েছে। চিকিৎসা সরঞ্জামও তৈরি করে আমেরিকার এই সংস্থা। ওই প্রতিবেদন থেকেই জানা গিয়েছে, ঘুষের বিনিময়ে দক্ষিণ-মধ্য রেল থেকে ৩৪ হাজার ৩২৩ ডলার ও হ্যালের থেকে ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৩২৮ মার্কিন ডলারের বরাত হাতিয়ে নিতে চেয়েছে মুগ মোশন কন্ট্রোলস প্রাইভেট লিমিটেড। হ্যালের (US Firms) শীর্ষ আধিকারিকদের এজন্য পাঁচ শতাংশ কমিশন দিয়েছে মুগ। ধরা পড়ার পরে মুগকে জরিমানা বাবদ দিতে হয়েছে ১৬ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।

    আরও পড়ুন: ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল গেল যৌথ কমিটিতে, ৯০ দিনে সিদ্ধান্ত নেবেন ৩১ সাংসদ

    অন্য দিকে, বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ওরাক্যলের বিরুদ্ধেও উঠেছে ভারতীয় রেলের কর্তাদের ৬৮ লাখ ডলার ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ। অ্যালবেমার্লে কর্পোরেশনের দেওয়া ঘুষের পরিমাণ ৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। অভিযোগ, মার্কিন এই সংস্থা ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামে কর্মরত ইন্ডিয়ান অয়েলের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে অবৈধ লেনদেন (Bribes) করেছে (US Firms)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Hijab Laws: বিতর্কিত হিজাব আইন প্রয়োগ এখনই নয়, জানাল ইরান সরকার

    Hijab Laws: বিতর্কিত হিজাব আইন প্রয়োগ এখনই নয়, জানাল ইরান সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়ে পিছু হঠল ইরান (Iran) সরকার । নয়া হিজাব আইন (Hijab Laws) চালু করার উদ্যোগ নিয়েছিল ইরান সরকার। তবে ব্যাপক সমালোচনার জেরে বলবৎ করার আগেই তা প্রত্যাহার করে নিল সরকার। প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেকশিয়ান জানান, প্রস্তাবিত আইনটি অস্পষ্ট এবং এর সংস্কার প্রয়োজন। গত শুক্রবার আইনটি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই প্রত্যাহার করে নেওয়া হল সেটি।

    প্রস্তাবিত আইনের বক্তব্য (Hijab Laws)

    প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, মহিলাদের কঠোরভাবে হিজাব বিধি মেনে চলতে হবে। পরতে হবে ঢিলেঢালা পোশাক। ঢেকে রাখতে হবে মাথার চুল, কাঁধ এবং পা। নিয়ম ভাঙলে ভারতীয় মুদ্রায় জরিমানা দিতে হবে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা। কোনও মহিলাকে অশোভন কোনও পোশাকে দেখেও যিনি প্রশাসনকে জানাবেন না, নয়া বিধানে সাজার ব্যবস্থা রয়েছে তাঁরও। অল্প নিয়ম ভাঙলেও, জরিমানা নেওয়া হত। সর্বোচ্চ সাজা ছিল ১৫ বছরের কারাদণ্ড। এই হিজাব ফতোয়া নিয়েই বিতর্কের ঝড় ওঠে ঘরে-বাইরে। ইরানের একাধিক নারী সংগঠনের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়। তার পরেই পিছু হটে প্রশাসন।

    পশ্চাদপসারণের কারণ

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ইরান প্রশাসনের এই পশ্চাদপসারণের নেপথ্যে রয়েছেন সংস্কারমুখী প্রেসিডেন্ট চিকিৎসক-রাজনীতিক পেজেকশিয়ান। চলতি বছরের (Hijab Laws) গোড়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় ইরানে। সেই সময় প্রচারে বেরিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি হিজাব নিয়ে কঠোর বিধিনিষেধের বিপক্ষে। সেই কারণেই এই পিছু হটা বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। অন্য একটি অংশের মতে, তিনশোরও বেশি ইরানি কর্মী, লেখক এবং সাংবাদিক একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন, তাতে আইনটিকে অবৈধ ও প্রয়োগ অযোগ্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁরা প্রেসিডেন্টকে তাঁর নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষার আহ্বানও জানিয়েছিলেন। সেই কারণেও প্রেসিডেন্ট পিছু হঠতে পারেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুন: লোকসভায় পেশ হল ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল, কবে থেকে ভোট একযোগে?

    ইরানে হিজাব নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। ২০২২ সালে ইরানি তরুণী মাহসা আমিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন হিজাব না পরে। সেই ‘অপরাধে’ তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ইরানের নীতি পুলিশ। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। তা নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি ইরানে। সম্প্রতি এই পোশাক ফতোয়ার প্রতিবাদে রাজধানী তেহরানে ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া আহু দারইয়াই প্রকাশ্যে অন্তর্বাস পরে হেঁটেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল (Iran) ইরানের পুলিশ (Hijab Laws)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Crisis 7: দুর্গাপুজোর অষ্টমীতে অঞ্জলির সময় তাঁতিবাজারে পেট্রোল বোমা মেরেছিল জেহাদিরা!

    Bangladesh Crisis 7: দুর্গাপুজোর অষ্টমীতে অঞ্জলির সময় তাঁতিবাজারে পেট্রোল বোমা মেরেছিল জেহাদিরা!

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ সপ্তম পর্ব।

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালটা বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হিন্দুদের জন্য ছিল অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের সময়। ১৯৪৭ সালের পর থেকে পূর্ব পাকিস্তান-পশ্চিম পাকিস্তান দুই ইসলাম প্রধান দেশই হিন্দু স্বার্থকে (Targeting Minority) সুরক্ষিত রাখেনি। শত্রু সম্পত্তি আইন থেকে শুরু করে গায়ের জোরে হিন্দু নিধন যজ্ঞ চালানো হয়েছে। ধর্মের নামে দেশ ভাগের চূড়ান্ত মাশুল দিতে হয়েছিল একমাত্র পূর্ববঙ্গের হিন্দু বাঙালিদের। ওদেশে সরকার ব্যবস্থায় যেই থাকুক না কেন, স্বাধীন জয় বাংলায় হিন্দুদের ভোট কোনও সময়েই ভোটব্যাঙ্কের রাজনৈতিক চাবিকাঠিতে রূপান্তরিত হয়নি। উল্টো দিকে স্বাধীন ভারতে মুসলমানরা বিশেষ ‘তোষণ নীতি’ নিয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সংখ্যালঘু শব্দটা উভয় দেশের জন্য আলাদা আলদা মানে। গত ৫ অগাস্ট হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর থেকেই হিন্দু মন্দির, মূর্তি, বাড়ি-ঘর ধ্বংস-সহ এককথায় সনাতনীদের জনজীবন নরকে পরিণত করা হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির কট্টর মুসলমানদের দিকে।

    ৫ থেকে ২০ অগাস্টে মোট ৬৯টি মন্দির ভাঙা হয়

    হিন্দু বাঙালির (Targeting Minority) বড় পুজো হল দুর্গাপুজো। অপর দিকে ইসলামে মূর্তি পুজো হারাম। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) তাই এক মৌলানা প্রকাশ্যে বলেছিলেন, “মূর্তি আমি গড়তে আসি নাই, মূর্তি ভাঙতে এসেছি, আমি না পারলে আমার ছেলে ভাঙবে, ছেলে না পারলে তার ছেলে ভাঙবে, ইনশাল্লাহ এক দিন ভাঙবই।” এই অভিপ্রায়কে বাস্তবায়ন করছে মহম্মদ ইউনূস প্রশাসন, এমনটাই বলছেন ভুক্তভোগীরা। চট্টগ্রামে দুর্গাপুজার মন্দিরে জামাত শিবিরের নেতারা জোর করে ঢুকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের গান করেন। স্পষ্ট উদ্দেশ্য, আগামী দিনে পুজো তথা মূর্তি পুজো বন্ধ করে সবাইকে মসজিদে নামাজই পড়তে হবে। ‘ঢাকা ট্রাইবুন’-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট জানিয়েছে গত ৫ অগাস্ট থেকে ২০ অগাস্টের মধ্যে ৪৩টি মন্দির ভাঙা হয়েছে। আবার বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে মোট ৬৯টি মন্দির ভাঙা হয়েছে। একই ভাবে সংবাদ মাধ্যম ‘প্রথম আলো’ এই সময়ে ২২টি মন্দির ভাঙার কথা জানিয়েছে।

    হিন্দুরা রাত জেগে মন্দির পাহারা দিয়েছিল

    দুর্গাপুজোর আগে থেকেই পুজো করতে গেলে ৫-৬ লাখ করে পুজো কমিটিগুলিকে চাঁদা দেওয়ার ফতোয়া জারি করে জামাত এবং বিএনপির নেতার। একই ভাবে ঢাকার (Bangladesh Crisis) উত্তরাতে দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হবে না বলে বিশাল মিছিল বের করেছিল স্থানীয় মৌলবিরা। মিছিলে স্পষ্ট বলা হয়, পুজো করলে উদ্যোক্তাদের বাড়িতে হামলা করা হবে। পুজোর আগেই চট্টগ্রাম, রংপুর, নেত্রকোনা, বরিশাল, কুমিল্লা, ঢাকা, খুলনা, বগুড়ায় প্রচুর নির্মীয়মান দুর্গামূর্তি এবং মন্দির ভেঙে দেওয়া হয়। এলাকায় এলাকায় হিন্দুরা (Targeting Minority) রাত জেগে জেহাদিদের কবল থেকে মন্দির রক্ষা করতে পাহারায় নামতে বাধ্য হন। সামাজিক মাধ্যমে এই ছবি প্রচুর দেখা গিয়েছিল। মন্দির ভাঙার অপরাধে কুঁড়িগ্রামের রাজারহাট এলাকায় আনসার বাহিনীর এক সদস্য মহম্মদ নিজামুদ্দিন নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু তারপর তদন্তের গতিপ্রকৃতি আর প্রকাশ্যে আসেনি।

    আরও পড়ুনঃ ভেঙে ফেলা হয়েছে মেরির মূর্তি! হিন্দুদের মতো বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের ওপরও অবর্ণনীয় অত্যাচার বাংলাদেশে

    তাঁতিবাজারে পুজোয় পেট্রোল বোমা মারা হয়

    দুর্গাপুজোর মহাঅষ্টমীর দিনে ঢাকার তাঁতিবাজার (Bangladesh Crisis) এলাকার এক দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে অঞ্জলি দেওয়ার সময় পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণ ঘটনায় জেহাদিরা। পুজোকে আরও কোণঠাসা করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে ফতোয়া দেন, “মন্দিরে ঢাক, ঢোল, কাঁসর বাজানো যাবে না, এমনকী বিসর্জনে বাদ্যযন্ত্র বাজানো যাবে না।” কিশোরগঞ্জের গোপীনাথ জিউর আখড়ায় দুর্গাপুজোতে হামলা করেছিল দুষ্কৃতীরা। নেত্রকোনা, কেন্দুয়া, ফেনির পার্বতীপুর, দিনাজপুর এলাকায় দুর্গামূর্তি, কালীমূর্তি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা, পীরগঞ্জ উপজেলা, শরীয়তপুর সদর সহ একাধিক জায়গায় ব্যাপক ভাবে হিন্দু (Targeting Minority) আস্থার ধর্মকেন্দ্রগুলিকে সম্পূর্ণভাবে নস্যাৎ করে কট্টর মৌলবাদীরা। এই অত্যাচার থেকে বাদ যায়নি রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম এবং ইসকনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলিও।

    মা যশোরেশ্বরী মন্দিরে গয়না লুট

    সাতক্ষীরা (Bangladesh Crisis) কালীমন্দিরে দুষ্কৃতীরা চালায় ব্যাপক লুটপাট। শ্রী শ্রী যশোরেশ্বরী মন্দিরের মায়ের জন্য একটি সোনার গয়না দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেই গয়নাকে চুরি করানো হয়। এখনও ইউনূস প্রশাসন তা উদ্ধার করতে ব্যর্থ। একই ভাবে লাগাতার আক্রমণ করা হয় বগুড়ার অন্যতম শক্তিপীঠ ভবানীপুর মন্দির, বরিশালের শ্যামপুর দেউরি বাড়ি সর্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দির, রাজবাড়ির সজানকাণ্ডা জেলার মন্দিরে। পাবনায় মূর্তি ভাঙা হয়, পালপাড়া শক্তিপীঠ, বাঘেরহাটের মোল্লারকুল পাশ্চিমপাড়া দুর্গাপূজা মন্দিরের প্রতিমা ভাঙা হয়। টাঙ্গাইল, ফরিদপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি মূর্তি ভাঙা হয়। সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, এই সময় ফরিদপুর থেকে বাপি হাসান নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরিতাপের কথা সেনাশাসন, অন্তর্বর্তী সরকার এবং মহম্মদ ইউনূস হিন্দু সুরক্ষা নিয়ে মুখে কুলুপ। 

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Chido: ঘূর্ণিঝড় চিডোর মারাত্মক ধ্বংসলীলা ফ্রান্সের মেইয়োত দ্বীপপুঞ্জে, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু!

    Cyclone Chido: ঘূর্ণিঝড় চিডোর মারাত্মক ধ্বংসলীলা ফ্রান্সের মেইয়োত দ্বীপপুঞ্জে, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফান্সে (France) মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় চিডো (Cyclone Chido) ব্যাপক ধ্বংসলীলায় আঘাত হেনেছে। বাড়ি-ঘর, গাছপালা, দোকান, রাস্তায় বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফ্রান্সের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেতাইয়ো বলেছেন, “ঠিক কত পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি এবং মৃত্যু হয়েছে, সেই সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভাবে তথ্য দিতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।”

    অঞ্চলগুলি অত্যন্ত দুর্গম তাই উদ্ধারে বাধা (Cyclone Chido)

    জানা গিয়েছে, ফ্রান্সের (France) মেইয়োত এলাকা আর্থিকভাবে অত্যন্ত অনুন্নত এবং পিছিয়ে থাকা অঞ্চল। এখানেই সবথেকে বেশি ঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি (Cyclone Chido) হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলার বাহিনী লাগাতার জোরকদমে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে গুরুতর অসুস্থ এবং আহত লোকজনকে দ্রুত উদ্ধার কাজের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। চিডোকে গত এক শতাব্দীর মধ্যে সব থেকে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। ব্রুনো বলেছেন, “অঞ্চলগুলি অত্যন্ত দুর্গম হওয়ার জন্য উদ্ধার কাজে ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।”

    সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস ম্যাক্রঁর

    ঘূর্ণিঝড় চিডো (Cyclone Chido) গত সপ্তাহের শেষে পূর্ব আফ্রিকার দ্বীপপুঞ্জের একটি বৃহৎ অংশে ২০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে পাহাড় এবং সমতলে আছড়ে পড়ে। বিদ্যুতের খুঁটি, পানীয় জল সরবরাহের গোটা সিস্টেমকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল মাক্রঁ, নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, “ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ দ্বীপপুঞ্জের এলাকাগুলিকে দ্রুত পরিদর্শনে যাব। দুর্যোগের বিষয়ে আমি সবরকম সহযোগিতার চেষ্টা করব। নিহত পরিবারের লোকজনের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই। মর্মান্তিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করছি।”

    আরও পড়ুন: ভারত-শ্রীলঙ্কা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জানালেন মোদি

    স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক মানুষ

    মেইয়োত অঞ্চলের বাসিন্দা ক্যামিল কোজন আবদুরাজাক বলেছেন, “রীতিমতো একটি বড়সড় যুদ্ধ বিপর্যস্ত এলাকার মতো মনে হচ্ছে। আমি নিজে কিছুই আর চিনতে পারছি না। এখানে ঝড়ের (Cyclone Chido) ফলে একটা গাছও আর অবশিষ্ট নেই। পাহাড়ের কোনও ঘাসের চিহ্ন নেই। মানুষের জীবন অত্যন্ত অসহায় হয়ে পড়েছে।” এলাকার আর এক বাসিন্দা পেশায় স্কুল শিক্ষক হামাদা আলি বলেন, “আমাদের এলাকার রাস্তাগুলি মাটির কাদায় ঢাকা পড়ে গিয়েছে। মানুষ নিরুপায় হয়ে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। একটা বিস্তীর্ণ অংশের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিছিন্ন হয়ে গিয়েছে।”

    রাজধানী মামুদজুতে প্রধান হাসপাতালটিতে জরুরি ভিত্তিতে পরিষেবা দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে একটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে এবং সেখানে ১০০ জন অতিরিক্ত চিকিৎসক মোতায়েন করে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, রেয়ুনিয়ঁ দ্বীপ থেকে ত্রাণ সরবরাহ এবং সরঞ্জাম পরিবহণের জন্য সামুদ্রিক এবং আকাশপথে অভিযান চালানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share