Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bangladesh: নতুন আলু ১১০ টাকা, পেঁয়াজ ১২৫! ইউনূস সরকারের আমলে আকাশছোঁয়া বাজারদর

    Bangladesh: নতুন আলু ১১০ টাকা, পেঁয়াজ ১২৫! ইউনূস সরকারের আমলে আকাশছোঁয়া বাজারদর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের (Bangladesh) পতন ঘটিয়ে ইউনূস সরকার (Yunus Government) ক্ষমতায় এসেছে। নতুন সরকারের আমলে ভালো কিছু হবে আশা করেছিলেন দেশবাসী। আর দেখলেন কী? দেশজুড়ে হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার। ভারত বিরোধী স্লোগান। পন্য বয়কট করে ক্ষমতা দেখাল মৌলবাদীরা। আর পরিণতি হল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশছোঁয়া দাম। সকালে উঠে থলে হাতে নিয়ে বাজার করতে গিয়ে হারে হারে টের পাচ্ছেন বাংলাদেশের মানুষ। সন্ত্রাসের ভয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে না পারলেও ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

    নতুন আলু ১১০ টাকা, পেঁয়াজ ১২৫! (Bangladesh)

    বাংলাদেশের (Bangladesh) বাজারদর শুনলে চমকে যাবেন যে কেউ! আলু, পেঁয়াজ এখন অগ্নিমূল্যে বিক্রয় হচ্ছে। কলকাতার বাজারে নতুন আলুর দাম কেজি প্রতি ৪০ টাকা। ঢাকার বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে গড়ে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়। মানে দ্বিগুণেরও বেশি। কলকাতায় কেজি প্রতি পেঁয়াজের দর ৬০ টাকা। ঢাকায় সেটা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২৫ টাকা কিলো দরে। আর কলকাতায় যখন এক একটি ডিম সাড়ে ৭ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, তখন ঢাকার বাজারে চারটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। মানে এক একটি ১২ টাকারও বেশি। পুরনো আলুও কিনতে হচ্ছে ৮০ টাকা কিলো দরে। বাংলাদেশের বাজারগুলিতে সবজির দাম শুনলে আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়ার জোগাড়! দামের দাপটে বাজার করতে গিয়ে কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে আমজনতাকে। ক্যাপসিকাম ৩০০ টাকা। টমেটো ১৩০ টাকা। কেজি প্রতি বিট ২২০ টাকা! এমনকী বরবটিও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। অথচ মাস খানেক আগেও বাংলাদেশের বাজারে কেজি প্রতি আলুর দাম ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। অভিযোগ, দিকে দিকে হিংসার পরিবেশের জেরে জনজীবন ব্যাহত হচ্ছেই। তার ওপর দাম নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কোনও পদক্ষেপ নেই। পরিবর্তে বাজারের আগুন পরিস্থিতির দিক থেকে নজর ঘোরাতে পরিকল্পিতভাবেই হিংসার পরিবেশ জিইয়ে রাখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    জিনিসপত্রের দাম নিয়ে ক্ষোভ সামলাতেই যুদ্ধ জিগির!

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সাধারণ মানুষ যখন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামে ছ্যাঁকা খাচ্ছেন, তখন কোন সাহসে বাংলাদেশ যুদ্ধের জিগির তুলে চলেছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা আসলে নজর ঘোরানোর কৌশল। সাধারণ মানুষের মনে যাতে জিনিসপত্রের দাম নিয়ে ক্ষোভ না তৈরি হয়, সেজন্যই যুদ্ধ যুদ্ধ আবহ তৈরি করে তাদের ভুলিয়ে রাখছেন বাংলাদেশের নেতারা। অর্থনীতিবিদদের মতে, বাংলাদেশ বিভিন্ন জিনিসের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল। তাই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করলে তাদের বাজারের তো এই হাল হবেই। যুদ্ধের জিগির তুলে কতদিন এসব জ্বলন্ত সমস্যা থেকে সাধারণ মানুষের নজর ঘুরিয়ে রাখতে পারবে বাংলাদেশ? প্রশ্ন সেটাই।

    সাধারণ মানুষ কী বলছেন?

    পরিস্থিতির জন্য অবশ্য ইউনূসের সরকারকেই (Bangladesh) দায়ী করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাঁদের মতে, অকারণে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করেছে বাংলাদেশ। এমনকী এখনও সম্পর্ক উন্নতির বিষয়ে সেদেশের সরকারের বিশেষ কোনও হেলদোল দেখা যাচ্ছে না। ফলে পাকিস্তানে যেমন আটার জন্য মানুষকে এখন হাহাকার করতে দেখা যাচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে একই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বাংলাদেশেও। সাধারণ আমজনতার কথায়, যেভাবে হু হু করে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে তাতে সরকার এখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে মানুষকে না খেতে পেয়ে মরতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: ‘‘জঙ্গিদের লীলাক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে …’’, সাধের বাংলাদেশ নিয়ে শঙ্কিত হাসিনা

    Sheikh Hasina: ‘‘জঙ্গিদের লীলাক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে …’’, সাধের বাংলাদেশ নিয়ে শঙ্কিত হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধের বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) নিয়ে উদ্বিগ্ন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’-এ হাসিনার বিবৃতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ। আর এই বিবৃতিতে ১৯৭১ সালের ইতিহাসের পাশাপাশি বাংলাদেশের আজকের পরিস্থিতি নিয়েও উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে দেশ ক্রমশ জঙ্গিদের লীলাভূমিতে পরিণত হচ্ছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

    শহিদ স্মরণ হাসিনার (Sheikh Hasina)

    শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস বর্ণনা করে এই বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, “আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর, আল-শামস বাহিনী বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পনা করে।” নিজের বক্তব্যের শেষ অংশে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) লিখেছেন, “জাতির এক গভীর সংকটময় মুহূর্তে এ বছর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হচ্ছে। স্বাধীনতা বিরোধী এবং বুদ্ধিজীবী নিধনকারীদের দোসররা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত আওয়ামি লিগ সরকারকে হঠিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সাধারণ মানুষের উপর অমানবিক নিপীড়ন-নির্যাতন চালাচ্ছে।”

    হাসিনার হুঙ্কার

    বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis)  নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেই হাসিনার (Sheikh Hasina) সংযোজন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে জামাতে ইসলামি-সহ ১৯৭১-এর পরাজিত শক্তিকে পুনর্বাসন করছে। পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্মারকচিহ্ন ধ্বংস করেছে। প্রিয় দেশকে জঙ্গিদের উর্বর লীলাভূমিতে পরিণত করছে এই নিধনকারীদের দোসররা।” শেখ হাসিনার এই বিবৃতি সামনে আসার পর কূটনৈতিক মহলে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। এই পোস্টে কোথাও সরাসরি শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সরকার বা মহম্মদ ইউনূসের (Muhammad Yunus) নাম নেননি তিনি। তবে তাঁর নিশানায় যে ইউনূসই, তা একপ্রকার স্পষ্ট বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের। বর্তমান পরিস্থিতিতে হাসিনার (Sheikh Hasina) হুঙ্কার, “স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির এসব অপকর্ম বীর বাঙালি কোনদিন মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না। এদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘‘ইউনূসের অবৈধ সরকার মানছি না”, বাংলাদেশ জুড়ে ফের গর্জে উঠল আওয়ামি লিগ

    Bangladesh: ‘‘ইউনূসের অবৈধ সরকার মানছি না”, বাংলাদেশ জুড়ে ফের গর্জে উঠল আওয়ামি লিগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মৌলবাদীরা। সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত নির্যাতন চলছেই। আক্রান্ত হচ্ছে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরা। আর এই চার মাসের মধ্যেই হাওয়া ঘুরে গেল বাংলাদেশে (Bangladesh)? রাজধানী ঢাকায় মিছিল করলেন আওয়ামি লিগের সদস্যরা। শুধু মিছিল করল বলা ভুল হবে। উঠল মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে স্লোগান। তাহলে কি ফের সমর্থন বাড়ছে হাসিনার প্রতি?

    ইউনূস সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়ে আওয়ামি লিগের মিছিল (Bangladesh)

    ইউনূসের জমানায় (Bangladesh) মৌলবাদীদের বাড়বাড়ন্তে আওয়ামি লিগ (Awami League) শেষ হয়ে গিয়েছে তা ধরেই নিয়েছিল কট্টরপন্থিরা। বিশেষ করে আওয়ামি লিগের সরকারের পতন হতেই শুরু হয় ব্যাপক ধরপাকড়, গ্রেফতারি। আওয়ামি লিগের সদর দফতরে হামলা, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। একাধিক আওয়ামি লিগের নেতাকে হত্যার অভিযোগও উঠেছে।  রাজনৈতিক পালাবদলের পর লাগামছাড়া অত্যাচার চালানোর পরও আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকদের যে কোনওভাবে দমানো যায়নি তার প্রমাণ মিলল শুক্রবার। ঢাকার ধানমুন্ডিতে মিছিল করে আওয়ামি লিগ। মিছিলে ছাত্র, যুবদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। ওই মিছিল থেকে আওয়াজ উঠল, ‘‘ইউনূসের অবৈধ সরকার মানছি না, মানব না”। শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সমর্থনেও স্লোগান ওঠে।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    ফের সংগঠিত হয়ে উঠছে আওয়ামি লিগ?

    আওয়ামি লিগ সূত্রের খবর, সোমবার ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ৫৪তম বর্ষ পালন করবে বাংলাদেশ। এই বিজয় দিবসকে (Bangladesh) সামনে রেখে দল একাধিক সভা-সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউনূস সরকার দিনটির গুরুত্ব খাটো করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে নানা মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। রাজনীতির বাইরে থাকা মানুষও এতে বিরক্ত। ‘জয় বাংলা’-কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে মানতেও আপত্তি করেছে ইউনূস সরকার। তাতেও বিরক্ত দেশবাসী। আওয়ামি লিগ দেশবাসীর এই আবেগকে মর্যাদা দিতেই ঝুঁকি নিয়ে পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইউনূস সরকারের ভয়ে স্থানীয় মিডিয়া আওয়ামি লিগের এই কর্মসূচির খবর প্রকাশ করেনি। এই মিছিলের পরই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ফের সংগঠিত হয়ে উঠছে বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ? এদিনের মিছিলের পর অনেকেরই মনে প্রশ্ন, ভয় কাটিয়ে আবার কি পথে নামছে আওয়ামি লিগ?

    আওয়ামি লিগের গর্জন নিয়ে কী বললেন জামায়াতে ইসলামির নেতা?

    শুক্রবার রাত থেকে দেশের (Bangladesh) নানা জায়গায় সভা-সমাবেশ করল আওয়ামি লিগ। ঢাকা-সহ দেশের সব বড় শহরে একাধিক সভা হয়। কোথাও কোথাও পুলিশ ও সেনা এসে বাধা দিলেও বেশিরভাগ জায়গায় তা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, ক’দিন আগেও আওয়ামি লিগের সভা-সমাবেশে হামলা করেছে পথচলতি মানুষ। এমন অনেকেই শুক্রবারের সভায় ভিড় করেছেন। শুনেছেন আওয়ামি লিগের স্থানীয় নেতাদের কথা। ঢাকার একাধিক সরকারি সূত্র বলছে, কীভাবে আওয়ামি লিগ সভা এভাবে সভা করতে পারল তা নিয়ে সরকারের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে। গোয়েন্দা ব্যর্থতার দিকে আঙুল তুলেছেন উপদেষ্টারা অনেকেই। শেখ হাসিনার দলের আচমকা রাজপথে গর্জন নিয়ে প্রশাসনের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন জামাতে ইসলামির আমির শফিকুল রহমান। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘‘স্বৈরাচারী আওয়ামি লিগকে রাজনীতিতে ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিছু লোক আওয়ামি বিরোধী মুখোস পরে হাসিনার দলের হয়ে কাজ করছে।’’

    বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ বন্ধ রাখল ইউনূস সরকার

    ইউনূস সরকার (Bangladesh) এবার বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, সেনাবাহিনী দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যস্ত বলে কুচকাওয়াজ বন্ধ রাখা হচ্ছে। যদিও এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নয় দেশবাসী। অনেকেই মনে করছেন, পাকিস্তানের প্রতি সখ্যের বার্তা দিতেই ইউনূস সরকার কুচকাওয়াজ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, ১৬ ডিসেম্বর হল পাকিস্তানের জন্য এক চরম অস্বস্তিকর দিন। ১৯৭১ সালের ওই দিন ভারতীয় সেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে পাক সেনাবাহিনী। এর আগে একমাত্র করোনার বছরগুলি বাদে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কখনও বন্ধ থাকেনি বাংলাদেশে। দিনটি ভারতীয় সেনা বাহিনীও বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে। লক্ষণীয় হল, কলকাতায় ভারতীয় সেনার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও মুক্তিযোদ্ধাদের পাঠাতে গোড়ায় গড়িমসি করেছে ইউনূস সরকার। ভারতের বিদেশ সচিবের ঢাকা সফরের পর সিদ্ধান্ত বদলের আভাস মিলেছে। পূর্বাঞ্চলীয় সেনা সদর সূত্রের খবর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল কলকাতার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ভোট নিয়ে বিএনপি-অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বন্দ্ব! বাংলাদেশ কি গৃহযুদ্ধের পথে?

    Bangladesh Crisis: ভোট নিয়ে বিএনপি-অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বন্দ্ব! বাংলাদেশ কি গৃহযুদ্ধের পথে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মা পাড়ে অশান্তির বাতাবরণ। সাধারণ নির্বাচন ঘিরে ফের গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি বাংলাদেশে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে এখনও শান্তি ফেরেনি ঢাকায়। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে রক্ত ঝরছে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে। এই অবস্থায় সাধারণ নির্বাচনের দাবি উঠেছে। বাংলাদেশের আন্দোলনকারীদের একাংশের মতে দেশে সাধারণ নির্বাচন না হলে শান্তি ফিরবে না। কিন্তু ভোটে অনীহা মহম্মদ ইউনূস সরকারের। ক্ষমতা ধরে রাখতে বর্তমানে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে মতবিরোধ দেখা গিয়েছে অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকারের। 

    কবে হবে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন 

    কবে হবে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন তাই নিয়ে ইউনূস সরকারের একেকজন কর্তাব্যক্তি একেক রকম বার্তা দিচ্ছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি দেশের সাধারণ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। তাদের কথায় যত দ্রুত সাধারণ নির্বাচন হবে ততই মঙ্গল দেশের মানুষের জন্য। বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ নির্বাচনে দেরি হলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি হবে আফগানিস্তানের মতো। বাংলাদেশ হয়ে উঠবে জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চাল। গুরুত্ব হারাতে পারে রাজনৈতিক দলগুলি, এই আশঙ্কায় গলা চড়াচ্ছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল জানান, নির্বাচন নিয়ে আর দেরি করা ঠিক নয়। যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তার থেকে বেশি দরকার নেই। কিন্তু ইউনূস সরকার এই বিষয়ে এখনও রা কাড়েনি। 

    অরাজক পরিস্থিতি বাংলাদেশে

    বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। বাড়ছে খুন, চুরি, ডাকাতি, লুটপাটের মতো ঘটনা। আমজনতার জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এই আবহে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে খালেদা জিয়ার দল। এদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপ করা যাবে না। যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তার বেশি দরকার নেই।’’ কার্যত অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত সরে যাওয়ার বার্তা দেন বিএনপি মহাসচিব। বিএনপি-সহ বাংলাদেশের রাজনৈতিক শক্তিগুলি মনে করছে, আর যাই হোক, দেশ চালানোর যোগ্যতা নেই ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা মণ্ডলীর।

    দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বাংলাদেশে

    বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে বাংলাদেশি টাকার দাম, মাথা পিছু আয়, বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার – সবই কমেছে। সেই সঙ্গে দ্রুত হারে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি আর বেকারত্ব। তাতেই বাংলাদেশের অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। 

    নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব

    দিনে দিনে ব্যর্থতা প্রকট হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের। মাঝে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে রাজনৈতিক দলগুলিকে এই সরকারের অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছিল জামাত। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বিএনপি। বাংলাদেশের অবস্থা চরম অস্থির। গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যার আঁচ পাওয়া গিয়েছে ইউনূস সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের কথায়। তিনি অভিযোগ করেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলিই অপপ্রচারে নেমেছে যে, এই সরকার ব্যর্থ। এই আবহে লন্ডনে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করেন মির্জা ফখরুল। দেশে ফিরে তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপ করা যাবে না। ২ বছর আগে আমরা ৩১ দফা ঘোষণাপত্রে সংস্কারের বিষয়ে সবিস্তারে বলেছি। নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় গিয়ে সে সব আমরাই করব। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ নির্বাচনটুকু করা।”

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    অস্তিত্ব নিয়ে শঙ্কিত বিএনপি

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা নাহিদের মন্তব্যে কার্যত বিরক্ত ফখরুল। তিনি বলেন, “এমন রাজনীতি-বিরোধী মন্তব্য তিনি যেন ভবিষ্যতে না করেন। সব দল অন্তর্বর্তী সরকারকে সার্বিক সমর্থন জানিয়েছে, কারণ এই সরকারের হাতেই দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তনের দায়িত্ব।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আসলে বাংলাদেশের কট্টর মৌলবাদী শক্তি জামাতকে ভয় পাচ্ছে বিএনপি। ভারত-বিরোধিতা করলেও বিএনপি-র ভয় বাংলাদেশ যদি ক্রমে জামাতের মতো কোনও ধর্মীয়, কট্টরপন্থী, মৌলবাদী শক্তির হাতে বাংলাদেশের ক্ষমতা চলে গেলে গুরুত্ব হারাবে রাজনৈতিক দলগুলো। তাহলে শুধু আওয়ামি লিগ নয় সুদূর ভবিষ্যতে বিএনপি-র অস্তিত্বও সংকটে পড়বে। তাই শীঘ্র নির্বাচন করে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করতে চায় বিএনপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: “মাথায় তলোয়ার ঠেকিয়ে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে হিন্দুদের”, বাংলাদেশ নিয়ে বিস্ফোরক রাধারমণ

    Bangladesh Crisis: “মাথায় তলোয়ার ঠেকিয়ে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে হিন্দুদের”, বাংলাদেশ নিয়ে বিস্ফোরক রাধারমণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মাথায় তলোয়ার ঠেকিয়ে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে হিন্দুদের”, বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কলকাতা ইসকন শাখার সহ-সভাপতি রাধারমণ দাস (Radharman Das)। গত ৫ অগাস্টের পর থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) প্রশাসন বিএনপি, জামাত, হিজবুল তাহরির মতো কট্টর মৌলবাদী সংগঠনের হাতে। দেশের সর্বত্র হিন্দুদের উপর ব্যাপক ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। কখনও প্রকাশ্যে খুন করা হচ্ছে আবার কখনও বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ-সহ একাধিক কর্মকাণ্ডে অস্থির গোটা বাংলাদেশের সনাতনীদের জীবন যাপন।

    “ওই মেয়েটিকে নাগরিকত্ব দিতে বলব” (Bangladesh)

    একটি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে রাধারমণ দাস (Radharman Das) বলেন, “বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই মুহূর্তে সেই দেশের শাসকরা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। হুমকি দিয়ে হিন্দুদের মুসলমান করা হচ্ছে। আমাদের কাছে খবর রয়েছে তলোয়ার দেখিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে মুসলিম হওয়ার জন্য। এক তরুণী সাঁতরে এপারে ভারতে চলে এসেছেন। তাঁর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ইসকনের পক্ষ থেকে ওই মেয়েটিকে নাগরিকত্ব দিতে আবেদন জানানো হচ্ছে। তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়া হোক। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য ইসকনের পীঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। দেশের অন্তর্বর্তী সরকার কট্টর মৌলবাদী এবং দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।”

    অযথা বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্ব করা হচ্ছে

    অপর দিকে মিথ্যা মামলায় ধৃত চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন মামলাকে অকারণে পিছিয়ে দেওয়ায় বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) বিচার ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা এবং সুরক্ষা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাধারমণ দাস (Radharman Das)। তিনি বলেন, “অযথা বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্ব করা হচ্ছে। আশা করব তিনি যাতে আইনি সাহায্য পান। দ্রুত তাঁকে যেন মুক্তি দেওয়া হয় ওই ব্যবস্থা কার্যকর করার আবেদন করব। আশা করব অন্তর্বর্তী সরকার যেন নিজের নিজের দায়িত্ব পালন করে সঠিক ভাবে। মানুষের জীবন এবং সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে।”

    আরও পড়ুনঃ সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    হিন্দু নিরাপত্তা চাই

    গত ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হিন্দু ধর্মগুরু চিন্ময় কৃষ্ণ গোস্বামীকে গ্রেফতার করেছে ওই দেশের প্রশাসন। তাঁর বিরুদ্ধে দেশের পতাকা অবমাননার মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাসিনাকে দেশ থেকে বিতারিত করার পর থেকে সেই দেশে হিন্দু নিধনযজ্ঞ অবিরাম গতিতে চলছে। প্রতিবাদে রংপুর, চট্টগ্রামে বড় হিন্দু ধর্মসভার আয়োজন করলে চিন্ময়কৃষ্ণকে, ইউনূস প্রশাসন টার্গেট করে। হিন্দুদের জীবন দিন দিন বাংলাদেশে সঙ্কট থেকে আরও গভীর সঙ্কটে পরিণত হচ্ছে। বিশ্বের সকল হিন্দু সংগঠনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই আন্দোলন, বিদ্রোহ, বিক্ষোভ জানিয়ে নিরাপত্তার দাবি তোলা হয়েছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    Bangladesh Crisis: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ তৃতীয় পর্ব।

     

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-৩

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার (Minorities Targeted) চলছে নির্মমভাবে। বার বার নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন হিন্দু-সংখ্যালঘুরা। পুলিশ থেকে রাজনৈতিক নেতা, এমনকী বাদ যাননি প্রশাসনের মাথায় থাকা সংখ্যালঘু আধিকারিকরাও। প্রশাসনে সংখ্যালঘু কর্মকর্তাদের ওপর মারাত্মক এবং বিরূপ প্রভাব ফেলে সরকারের হঠাৎ পরিবর্তন। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পরপরই পরিকল্পনা মন্ত্রকের সিনিয়র সচিব সত‍্যজিত কর্মকারসহ ১০ জন সিনিয়র সচিবের চুক্তি বাতিল করা হয়। এর পাশাপাশি, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক শুদ্ধাংশুশেখর ভদ্রকে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগ, কারণ একটা কিছু দেখালেই হল। লক্ষ্য, বিরোধী কণ্ঠস্বরকে নানা পদ্ধতি অবলম্বন করে দমিয়ে রাখা। কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিটি বা কমিশনে না রেখে দমিয়ে রাখার কৌশল (Minorities Targeted)। এমনই অভিযোগ উঠেছে বারবার।

    মামলায় জর্জরিত সচিবরা

    দমন-পীড়ন চালানোর রাস্তা এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি হাসিনা সরকারের আমলের (Bangladesh Crisis) ৫৩ জন সচিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অনেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য। একই সময়ে, প্রশাসনে পদোন্নতি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের অবহেলা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রশাসনের অনেকেই যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করলেও, সংখ্যালঘু কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ছিল একেবারেই নগণ্য। মাত্র দুইজন সংখ্যালঘু কর্মকর্তা-মুকেশচন্দ্র বিশ্বাস এবং দীপঙ্কর মণ্ডল অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পান। তদুপরি, পাঁচজন সংখ্যালঘু কর্মকর্তাকে যুগ্ম সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়, যার মধ্যে আছেন অতিন কুণ্ডু (অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ), অভিজিৎ রায় (বাস্তবায়ন ও পাবলিক ওয়ার্কস বিভাগ), কঙ্কন চাকমা (বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশন), সুবর্ণ চাকমা (পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ) এবং কালাচাঁদ সিনহা (মংলা পোর্ট অথরিটি)।

    বৈষম্যের শিকার বিচারকরাও

    সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (Minorities Targeted) কূটনৈতিক কর্মকর্তাদেরও বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের প্রথম সচিবের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া। আন্তর্জাতিক বিচারব্যবস্থা, পুলিশ-প্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রভাবশালী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। ৮১ জন নিম্ন আদালতের বিচারককে বদলি করা হয়েছে। ৬৬ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও ১৬১ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়োগ দেওয়া হলেও, এসব পদে সংখ্যালঘু সদস্যদের উপস্থিতি ছিল নেহাতই কম। দুজন সংখ্যালঘু সদস্য প্রাকাশআনন্দ বিশ্বাস (মানিকগঞ্জ) ও সুজিতকুমার চট্টোপাধ্যায় (মাদারীপুর) ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ পান।

    কোনও কমিশনেই সংখ্যালঘু নেই

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) নির্বাচনী ব্যবস্থা, পুলিশ-প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সরকারি প্রশাসন সংস্কারের উদ্যোগ হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে, কিন্তু এই কমিশনগুলোর মধ্যে কোনও সংখ্যালঘু সদস্যের স্থান হয়নি। এর ফলে, দেশের প্রশাসনিক কাঠামো ও শাসন ব্যবস্থায় সংখ্যালঘুদের বঞ্চনা আরও তীব্র হয়েছে এবং তাদের প্রতিনিধিত্ব ও প্রভাব সীমিত হয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: নিশানায় হিন্দু পুলিশ অফিসাররাও, সংখ্যালঘু পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলা!

    রেহেই পাননি সাংবাদিকরাও 

    অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh Crisis) সংখ্যালঘু সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫৩ জনের মধ্যে ২৮ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তারা তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (Minorities Targeted)। এদের মধ্যে শ্যামল দত্ত, নবনিতা চৌধুরী, সুবাস সিনহা, মনস ঘোষ, প্রণব সাহা, মুননি সাহা, স্বদেশ সিনহা, শ্যামল সরকার, অজয় দাস এবং আশীষ সৈকত উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যেই তারাকান্দা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি এবং দৈনিক স্বজনের সাংবাদিক স্বপন কুমার ভদ্রকে তাঁর বাড়ির সামনে হামলা করে হত্যাও করা হয়। ঘটনাটি ঘটে শম্ভুগঞ্জের টানপাড়া এলাকায়। ( …ক্রমশ)

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    Bangladesh Crisis: সংখ্যালঘুদের কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিশনে না রেখে সমানে চলেছে দমন-পীড়ন!

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ তৃতীয় পর্ব।

     

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-৩

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার (Minorities Targeted) চলছে নির্মমভাবে। বার বার নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন হিন্দু-সংখ্যালঘুরা। পুলিশ থেকে রাজনৈতিক নেতা, এমনকী বাদ যাননি প্রশাসনের মাথায় থাকা সংখ্যালঘু আধিকারিকরাও। প্রশাসনে সংখ্যালঘু কর্মকর্তাদের ওপর মারাত্মক এবং বিরূপ প্রভাব ফেলে সরকারের হঠাৎ পরিবর্তন। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পরপরই পরিকল্পনা মন্ত্রকের সিনিয়র সচিব সত‍্যজিত কর্মকারসহ ১০ জন সিনিয়র সচিবের চুক্তি বাতিল করা হয়। এর পাশাপাশি, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক শুদ্ধাংশুশেখর ভদ্রকে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন গ্রেফতার করে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগ, কারণ একটা কিছু দেখালেই হল। লক্ষ্য, বিরোধী কণ্ঠস্বরকে নানা পদ্ধতি অবলম্বন করে দমিয়ে রাখা। কারও পদোন্নতি আটকে, কাউকে কমিটি বা কমিশনে না রেখে দমিয়ে রাখার কৌশল (Minorities Targeted)। এমনই অভিযোগ উঠেছে বারবার।

    মামলায় জর্জরিত সচিবরা

    দমন-পীড়ন চালানোর রাস্তা এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি হাসিনা সরকারের আমলের (Bangladesh Crisis) ৫৩ জন সচিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অনেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য। একই সময়ে, প্রশাসনে পদোন্নতি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের অবহেলা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রশাসনের অনেকেই যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করলেও, সংখ্যালঘু কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ছিল একেবারেই নগণ্য। মাত্র দুইজন সংখ্যালঘু কর্মকর্তা-মুকেশচন্দ্র বিশ্বাস এবং দীপঙ্কর মণ্ডল অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পান। তদুপরি, পাঁচজন সংখ্যালঘু কর্মকর্তাকে যুগ্ম সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়, যার মধ্যে আছেন অতিন কুণ্ডু (অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ), অভিজিৎ রায় (বাস্তবায়ন ও পাবলিক ওয়ার্কস বিভাগ), কঙ্কন চাকমা (বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশন), সুবর্ণ চাকমা (পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ) এবং কালাচাঁদ সিনহা (মংলা পোর্ট অথরিটি)।

    বৈষম্যের শিকার বিচারকরাও

    সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (Minorities Targeted) কূটনৈতিক কর্মকর্তাদেরও বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের প্রথম সচিবের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া। আন্তর্জাতিক বিচারব্যবস্থা, পুলিশ-প্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রভাবশালী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। ৮১ জন নিম্ন আদালতের বিচারককে বদলি করা হয়েছে। ৬৬ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও ১৬১ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়োগ দেওয়া হলেও, এসব পদে সংখ্যালঘু সদস্যদের উপস্থিতি ছিল নেহাতই কম। দুজন সংখ্যালঘু সদস্য প্রাকাশআনন্দ বিশ্বাস (মানিকগঞ্জ) ও সুজিতকুমার চট্টোপাধ্যায় (মাদারীপুর) ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ পান।

    কোনও কমিশনেই সংখ্যালঘু নেই

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) নির্বাচনী ব্যবস্থা, পুলিশ-প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সরকারি প্রশাসন সংস্কারের উদ্যোগ হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু কমিশন গঠন করেছে, কিন্তু এই কমিশনগুলোর মধ্যে কোনও সংখ্যালঘু সদস্যের স্থান হয়নি। এর ফলে, দেশের প্রশাসনিক কাঠামো ও শাসন ব্যবস্থায় সংখ্যালঘুদের বঞ্চনা আরও তীব্র হয়েছে এবং তাদের প্রতিনিধিত্ব ও প্রভাব সীমিত হয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: নিশানায় হিন্দু পুলিশ অফিসাররাও, সংখ্যালঘু পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলা!

    রেহেই পাননি সাংবাদিকরাও 

    অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh Crisis) সংখ্যালঘু সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫৩ জনের মধ্যে ২৮ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তারা তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (Minorities Targeted)। এদের মধ্যে শ্যামল দত্ত, নবনিতা চৌধুরী, সুবাস সিনহা, মনস ঘোষ, প্রণব সাহা, মুননি সাহা, স্বদেশ সিনহা, শ্যামল সরকার, অজয় দাস এবং আশীষ সৈকত উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যেই তারাকান্দা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি এবং দৈনিক স্বজনের সাংবাদিক স্বপন কুমার ভদ্রকে তাঁর বাড়ির সামনে হামলা করে হত্যাও করা হয়। ঘটনাটি ঘটে শম্ভুগঞ্জের টানপাড়া এলাকায়। ( …ক্রমশ)

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘‘এই ভুল ধারণা রাখবেন না’’, বিএনপি নেতাকে মোক্ষম জবাব দিলেন ভারতীয় চিকিৎসকরা

    Bangladesh: ‘‘এই ভুল ধারণা রাখবেন না’’, বিএনপি নেতাকে মোক্ষম জবাব দিলেন ভারতীয় চিকিৎসকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের বড় ভরসার জায়গা ভারত। তাই, জটিল কোনও ব্যাধি বা পয়সাওয়ালারা সাধারণ চেকআপ করার জন্য নিজের দেশের ডাক্তারের ওপর ভরসা করেন না। সোজা চলে আসেন এপার বাংলায়। তবে বর্তমানের পরিস্থিতি আলাদা। অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh) দিয়েছে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক। এদিকে ভারতীয় ভিসাও বন্ধ। নিয়মের কড়াকড়িতে বহু বাংলাদেশিই ভারতে আসতে পারছেন না। এরই মধ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা। মূলত, ভারতীয় ডাক্তারদের হকারি করার কথা বলেছেন তিনি। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় চিকিৎসকরাও।

    ঠিক কী বললেন বিএনপি নেতা?(Bangladesh)

    বিএনপির (BNP) স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “বাংলাদেশে যত অবৈধ ভারতীয় বাসিন্দা আছে, তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে (Bangladesh)।” ভিসা সমস্যা ও ভারতে চিকিৎসার জন্য যেতে না পারার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা ভারতে না গেলে দেশের কয়েকশো কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। অনন্তকাল ধরে ভিসা বন্ধ করে রাখলে ভারতীয় ডাক্তাররা রোগী পাবেন না। ভারতীয় ডাক্তারদের হকারি করতে হবে। ফুটপাথে হকারি করে খেতে হবে। তাই ভিসা বন্ধ করায় ভারতকে স্বাগত।”

    আরও পড়ুন: সর্বকনিষ্ঠ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন! দাবায় সেরা ডি গুকেশ, কুর্নিশ সচিন-মোদি-মুর্মুদের

    কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন ভারতীয় চিকিৎসকরা

    বিএনপি নেতার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, “বাংলাদেশি (Bangladesh) রোগীরা না এলে, ভারতীয় চিকিৎসকরা পথে বসবেন, এই ভুল ধারণা রাখবেন না। আপনি যেই হন না কেন, আপনার ভারত সম্পর্কে ধ্যানধারণা নেই। এই বাংলাতেই ১০ কোটি মানুষের বাস। ১৪০ কোটির দেশে কোনও ডাক্তার পথে বসবেন না। আপনার মতো ভিক্ষার দশা আমাদের হবে না। ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুরতে হবে না।” আরেক চিকিৎসক, রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “পরিসংখ্যানগতভাবে বলি, বাংলাদেশে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে ৪৫টি। আর সেখানেই পশ্চিমবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে ৩৫টি। আমাদের দেশে ৭৩১টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে। আপনাদের ওপর নির্ভর করে আমাদের সংসার চলে না। কিন্তু ভারতে চিকিৎসা না পেলে আপনাদের অবস্থা কী হবে সেটা ভেবে দেখবেন। কারণ বাংলাদেশের মানুষের নিজের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপরেই ভরসা নেই। বিপদে, দুর্দিনে তাঁরা আমাদের কাছেই আসেন।”

    মহাসঙ্কটে হাজার হাজার বাংলাদেশি

    বাংলাদেশে (Bangladesh) অশান্তির কারণে মহা সঙ্কটে পড়েছেন চিকিৎসার জন্য নিয়মিত কলকাতায় আসা-যাওয়া করা হাজার হাজার বাংলাদেশি। তাঁদের এ-পারে আসায় এখন কার্যত দাঁড়ি পড়েছে। নিয়মের এই ‘ফাঁস’ আলগা হয়ে কলকাতা-সহ দক্ষিণ ভারতে যাওয়ার পথ কবে আবার সুগম হবে, সেই চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন পদ্মাপারের রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়েরা। ঢাকার বাসিন্দা মহম্মদ মুর্তাফিজ বলেন, “সাত বছর আগে চেন্নাইয়ের হাসপাতালে স্ত্রীর চিকিৎসা হয়েছিল। সেই চিকিৎসকই কলকাতার মল্লিকবাজারে কয়েক মাস অন্তর রোগী দেখতে আসেন। সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই চিকিৎসক কলকাতায় এসে ঘুরে গিয়েছেন। কিন্তু স্ত্রীকে নিয়ে যেতে পারিনি। আপাতত যে ওষুধ চলছে, সেটাই ভরসা। কিন্তু চিকিৎসককে না দেখি এ ভাবে কত দিন চলবে?”উদ্বেগের একই সুর শোনা গেল সিলেটের বাসিন্দা নূর আহমেদের গলাতেও। নুরের কথায়, “হঠাৎ করেই দু’দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়ে গেল। এখন তো কলকাতার চিকিৎসকদের একাংশ বাংলাদেশিদের চিকিৎসা করবেন না বলে জানিয়েছেন। আমাদের মতো রোগীদের কী হবে, জানি না।” বিভিন্ন দফতর ঘুরেও সীমান্ত পেরোনোর অনুমতি পাননি পাবনার বাসিন্দা মহম্মদ আলি ও জান্নাতুর ফিরদৌস। তিনি বলেন, “স্বামীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় যেতে না পেরে ঢাকাতেই এক জন চিকিৎসককে দেখিয়েছি। কিন্তু আশানুরূপ ফল মিলছে না। ফুসফুসে জল জমছে। দু’দেশের সম্পর্ক মুষ্টিমেয় কয়েক জন নিজেদের স্বার্থে বিষিয়ে দিচ্ছেন। এর ফল আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের ভুগতে হচ্ছে!”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে বিচারের নামে প্রহসন! অদ্ভূত যুক্তি দেখিয়ে চিন্ময়ের আবেদন শুনল না আদালত

    Bangladesh: বাংলাদেশে বিচারের নামে প্রহসন! অদ্ভূত যুক্তি দেখিয়ে চিন্ময়ের আবেদন শুনল না আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর মৌলবাদীরা কার্যত দেশ চালাচ্ছে! এমনিতেই সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার চলছে। চিন্ময় প্রভু (Chinmoy Prabhu) গ্রেফতার হওয়ার পর বিচার বিভাগকেও নিজেদের মর্জি মতো চালাচ্ছে কট্টরপন্থীরা। এখন বিচারের নামে প্রহসন হচ্ছে বাংলাদেশে (Bangladesh)? কারণ, স্থানীয় কোনও আইনজীবী সঙ্গে নেই, এই অজুহাতে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আদালতে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের শুনানি এগিয়ে নিয়ে আসার আবেদন খারিজ করা হল। তিনটি মামলার আবেদন করেন রবীন্দ্র ঘোষ নামে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। তিনি ঢাকা থেকে এসেছিলেন চট্টগ্রামে। কিন্তু তাঁর আবেদনে শুনানি হয়নি কোর্টে। দায়রা আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম সেই আবেদন খারিজ করে দেন। উপযুক্ত ওকালতনামা না থাকার কারণ দেখিয়ে খারিজ হয় আবেদন। শুধু তাই নয় কোর্টের মধ্যেই রবীন্দ্রবাবুকে নিগ্রহ করা হয়।

    ঠিক কী হয়েছিল আদালতে? (Bangladesh)

    আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘‘জজসাহেব সকাল ১১টায় যখন কোর্টে (Bangladesh) উঠলেন, আমি বললাম শুনানি করতে চাই। উনি অনুমতি দেন। কিন্তু বিকেল আড়াইটে-তিনটে নাগাদ যখন শুনানি শুরু হল, তখন প্রায় ৩০-৪০ জন আইনজীবী কোনও অনুমতি ছাড়াই এজলাসে ঢুকে পড়ল। এটা কী করে সম্ভব? ওদের কোনও ওকালতনামা ছিল না। কাদের হয়ে ওরা গেল? অভিযুক্তের হয়ে, নাকি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে? কেন আমার কথা শোনা হল না? আমি জজসাহেবের ওপর সত্যিই মনক্ষুন্ন। আমাকে বলা হল, আমি এই আদালতে দাঁড়াতে পারব না। আমি ওকালতনামা নিয়ে এসেছিলাম। আমাকে বলা হয়, আপনার এখানকার আইনজীবী লাগবে। আমি প্রশ্ন করি, কেন? এখানকার আইনজীবী তো লাগার কথা নয়। তারপর জজসাহেব আমাকে এখানকার আইনজীবী আনার কথা বলেন। আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। কেন আইনজীবীরা দাঁড়াবে? চট্টগ্রাম আদালতের ভূমিকা বৈষম্যমূলক। শুনানি স্থগিত রেখে দেওয়ার কী অর্থ?”

    আরও পড়ুন: সর্বকনিষ্ঠ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন! দাবায় সেরা ডি গুকেশ, কুর্নিশ সচিন-মোদি-মুর্মুদের

    কোর্টের মধ্যে নিগ্রহ!

    আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ আরও বলেন, ‘‘মহম্মদ ফিরোজ খান চিন্ময়কৃষ্ণ ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই কেস লড়তে আমি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে (Bangladesh) এসেছি। আমরা ইতিমধ্যে একটি পিটিশন দিয়েছি। যে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে তার শুনানি যাতে দ্রুত করা যায় তার আবেদন জানিয়েছি। এর তারিখ যাতে এগিয়ে আনা হয় সেই কথাও বলেছি। কিন্তু জজ সাহেবের ভূমিকা ঠিক ছিল না। অপর পক্ষের তিরিশ-চল্লিশ জন আইনজীবী আমাই ধাক্কা মেরেছে। আমি অসুস্থ মানুষ। হাঁটতে পারি না। আমার ৭৫ বছর বয়স। জজ সাহেবের সামনেই কোর্টের ভিতরে নিগ্রহ করেছে। আমি মামলার শুনানি করতে চেয়েছিলাম। করতে দেওয়া হয়নি। যেহেতু আমরা নিম্ন আদালতে বিচার পেলাম না,তাই হাইকোর্টে যাব পরে।”

    যাঁরা বিচার পাচ্ছেন না, তাঁদের হয়ে লড়াই করব

    গোটা ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ প্রবীণ আইনজীবী (Bangladesh) রবীন্দ্র ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘আমি শুধু আইনজীবী নই, মানবাধিকার কর্মীও। আমি ওকালতি করি নিজের জীবন রক্ষার জন্য নয়, সংখ্যালঘুদের পাশে থাকতে। আমি নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করি। ফি দিয়ে আমাকে সন্তুষ্ট করা কঠিন হবে কারণ আমি এগুলো পছন্দ করি না। আমি যেহেতু দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কাজ করি, আমার ডকুমেন্টেশন, কাগজপত্র, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং অনেক। আমি এটা জজসাহেবকে বিভিন্ন সময়ে দেখিয়েছি। স্থানীয় প্রশাসনকে দেখিয়েছি। কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে এরকম অপরাধের বিরুদ্ধে তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করছেন না। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হলে ওঁরা তদন্ত করবেন, ওঁরা সুফল কিছু দিতে পারেন না। সেই জন্য আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছি, শুধু চিন্ময় প্রভু নন, এর আরও যাঁরা আছেন যাঁরা বিচার পাচ্ছেন না এরকম অপরাধের বিরুদ্ধে তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করছেন না। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হলে ওঁরা তদন্ত করবেন, ওঁরা সুফল কিছু দিতে পারেন না। সেই জন্য আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছি, শুধু চিন্ময় প্রভু নন, এরকম আরও যাঁরা আছেন, যাঁরা বিচার পাচ্ছেন না, তাঁদের সকলের পাশে দাঁড়িয়ে আমি লড়াই করব।”

    পরবর্তী পদক্ষেপ কী?

    রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘‘উচ্চ আদালতে (Bangladesh) যাব। কীভাবে যাব? ২ জানুয়ারি যদি শুনানি হয়, তাহলেও আরও একমাস লেগে যাবে হাইকোর্টে মামলা নিয়ে যেতে। জেলে থাকতে হবে আরও একমাস। বিচার দেব কী করে?” প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল চিন্ময়কৃষ্ণকে। এরপর তাঁর মামলাটি আদালতে ওঠে। তবে সেই সময় কোনও আইনজীবী তাঁর হয়ে না লড়ায় মামলা খারিজ হয়। কোনও আইনজীবী চিন্ময় কৃষ্ণর পক্ষে সওয়াল করতে চাননি বলে জানা গিয়েছে। চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। এখনও এক আইনজীবী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আইনজীবীদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ ওঠে এর আগে বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয় চিন্ময়ের পক্ষে না সওয়াল করার। সেই সব তোয়াক্কা না করেই ঢাকা শীর্ষ আদালতের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ এলে তাঁকেও হেনস্থা করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hijab Law: মহিলাদের জন্য ইরানে নয়া পোশাকবিধি, না মানলে হতে পারে মৃত্যুদণ্ডও! শুরু বিতর্ক

    Hijab Law: মহিলাদের জন্য ইরানে নয়া পোশাকবিধি, না মানলে হতে পারে মৃত্যুদণ্ডও! শুরু বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোশাকবিধি না মানলে এবার মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে ইরানি (Iran) নারীদের। এই বিষয়ে চলতি সপ্তাহে নয়া আইন (Hijab Law) চালু করেছে তেহরান। নতুন আইনে পোশাক বিধি না মানার জন্য ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে আলাদা আলাদা শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে। কেউ অশোভন পোশাক পরলে কিংবা নগ্নতাকে তুলে ধরছেন বলে মনে করা হলে ভারতীয় মুদ্রায় জরিমানা হতে পারে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা।

    কড়া শাস্তির বিধান (Hijab Law)

    বারংবার একই অন্যায় করলে ৫ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে। যদি কোনও মহিলার অপরাধকে ‘পৃথিবীর প্রতি অনাচার’ বলে মনে করে প্রশাসন, তাহলে ইরানের ইসলামীয় দণ্ডবিধি অনুসারে তাঁর মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। নয়া আইন অনুসারে যাঁরা এই পোশাকবিধি লঙ্ঘন করবেন, তাঁদেরও পেতে হবে শাস্তি। কোনও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, স্কুল, সংবাদমাধ্যম মায় কোনও ট্যাক্সিচালকও যদি মহিলাদের অশোভন পোশাকে দেখেন, তাহলে তা সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে প্রশাসনকে। না হলে, সেটাও গণ্য হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে।

    পোশাক বিধি

    ইরানে দীর্ঘদিন ধরে মহিলাদের জন্য কড়া পোশাক বিধি চালু রয়েছে। হিজাবে মাথা ঢাকা সে দেশে আবশ্যিক। রাস্তায় বের হলে ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হয় মহিলাদের। ইরানের প্রাক্তন ধর্মগুরু আয়াতোল্লা খোমেইনি এই নিয়ম চালু করেন। বর্তমান ধর্মগুরু আলি খামেনেইও মহিলাদের জন্য জারি রেখেছেন পোশাকবিধি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কড়াকড়ি বেড়েছে পোশাকবিধিতে (Hijab Law)। পোশাক-ফতোয়ার বিরুদ্ধে নানা সময় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ হয়েছে সে দেশে। তার পরেও শিথিল হয়নি পোশাক বিধি। বরং প্রশাসন সেই আন্দোলন দমন করেছে কড়া হাতে। শাস্তি হয়েছে কঠোরতর।

    আরও পড়ুন: “জোর করে জমির ফসল কেটে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশিরা”! আতঙ্কে নদিয়ার সীমান্ত এলাকার চাষিরা

    ইরানের নয়া পোশাকবিধিকে ‘ন্যক্কারজনক’ আখ্যা দিয়েছেন মানবাধিকার সংগঠনের পশ্চিম এশিয়ার সহকারি অধিকর্তা ডায়ানা এল্টাহাওয়ে। তিনি বলেন, “নারী স্বাধীনতা ও নারীর অধিকার খর্ব করতে এই আইন চালু করা হয়েছে।” ইরানে হিজাব না পরার অপরাধে মাহসা আমিনিকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ইরানের নীতি পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে ইরানের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক আন্দোলন হয়। হিজাব পুড়িয়ে বিক্ষোভও দেখাতে দেখা যায় মহিলাদের। সেবার কড়া হাতে সেই আন্দোলন দমন (Iran) করেছিল ইরানের পুলিশ (Hijab Law)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share