Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India Bangladesh Relation: সরাসরি যুদ্ধের ডাক বিএনপি নেতার! বাংলাদেশে আরও তীব্র ভারত-বিদ্বেষের বিষ

    India Bangladesh Relation: সরাসরি যুদ্ধের ডাক বিএনপি নেতার! বাংলাদেশে আরও তীব্র ভারত-বিদ্বেষের বিষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের রাজনীতির আঙিনায় এখন ভারত বিরোধিতার প্রতিযোগিতা চলছে। কখনও মানচিত্র বদলের হুঁশিয়ারি, কখনও কলকাতা তো কখনও সেভেন সিস্টার্স দখলের ডাক। সীমান্ত ডিঙিয়ে আগরতলা অভিযানের ডাকও দিয়েছে এখন বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। এবার সরাসরি যুদ্ধের ডাক দিলেন বিএনপি নেতা হাফিজউদ্দিন আহমেদ। তাঁর কথায়, ‘প্রত্যেক বাংলাদেশি নাগরিককে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা হবে। প্রত্যেক ছাত্রকে রাইফেল চালানো শিখতে হবে।’ বৃহস্পতিবার ঢাকার এক সভায় এমনই মন্তব্য করতে দেখা যায় বিএনপি নেতাকে।

    ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ!

    নানা ঘটনায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বাংলাদেশ এখন উত্তাল। বাংলাদেশের এই অস্থিরতায় বারবার সেদেশের মৌলবাদীরা ভারতের দিকে আঙুল তুলছে। বাংলাদেশে ক্রমে ভারত বিরোধিতার সুর জোরালো হচ্ছে। যে দেশ স্বাধীন করার জন্য ভারতের অনেক যোদ্ধা রক্ত দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ আন্দোলনে যোগ দিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু ভারতীয়। ভারত না থাকলে একদা বাংলাদেশের জন্মই হতো না, সেই বাংলাদেশেই ভারত বিরোধিতার স্লোগান উঠছে। বঙ্গবন্ধুকে যারা অপমান করে, তারাই পাকিস্তানের মদতে ঢাকার বাতাসে ভারত বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে বলে মত কূটনৈতিক মহলের। 

    কট্টরপন্থী নেতাদের হুঙ্কার

    ভারতের জন্য হুমকির তো অন্ত নেই। বিগত কয়েকদিনে বাংলাদেশের একের পর এক কট্টরপন্থী নেতাদের হুঙ্কারে চিন্তিত আন্তর্জাতিক মহলও। এবার বিএনপি নেতা হাফিজউদ্দিন আহমেদকে বলতে শোনা যায়, “প্রত্যেক ছাত্রকে বেসিক মিলিটারি ট্রেনিং আমরা দেব। আমাদের দিকে যাতে কেউ রক্তচক্ষু না দেখাতে পারে তাই এটা দরকার। আমরা যুদ্ধ করে তৈরি হয়েছি। চিরকাল জয়ী হবে বাংলাদেশের মানুষ।” এর আগে চার ঘণ্টায় কলকাতা দখলের ডাক দিতে দেখা গিয়েছিল সে দেশের প্রাক্তন সেনা কর্তাকে। 

    ভারতীয়দের উৎখাতের ডাক

    হিন্দুদের উপরে হামলা-অত্যাচারের পর পরিবর্তনের বাংলাদেশে ভারতীয়দের উৎখাত করার হুমকিও উঠেছে। ‘ভারতীয়দের লাথি মেরে তাড়ানোর’ হুমকি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখ তথা গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বাংলাদেশি নেতাদের হুমকির ভিডিও। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয়দের লাথি মেরে তাড়ানোর হুমকি দিচ্ছেন তারেক রহমান। ভারতের বিরুদ্ধে হিংসা, ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “রাঙামাটি থেকে সিলেট পর্যন্ত ৪৫ কিমি রাস্তা ভারত আমাদের দেয়নি। ৪০০ কিমি ঘুরে যেতে হয়। তাহলে কেন ভারতকে ১৫০০ কিমি বাঁচানোর জন্য ৪০০ কিমি ট্রানজিট দেওয়া হল?”

    সীমা ছাড়াচ্ছে ভারত-বিদ্বেষ

    তারেক রহমানের প্রশ্ন, “ফেণী, চট্টগ্রামে ইকোনমিক জোন দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আমি প্রশ্ন করছি, আপনি কি বাংলাদেশের সন্তান? এরকম সাঙ্ঘাতিক কাজ করলেন কী করে। আমরা কি পারব ভারতে চিকেন নেকে ইকোনমিক জোন তৈরি করতে? এখান নেপাল-ভুটান যাওয়ার রাস্তাটুকু আমরা পাইনি। এভাবে হবে না। আমাদের ওই অর্থনৈতিক অঞ্চলে যেতে হবে। একটা একটা করে ভারতীয়কে লাথি মেরে ভারত সীমান্তে ঢুকিয়ে দিয়ে আসতে হবে।” তারেক আরও বিষোদগার করে বলেন, “ভারত নিজের সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম, মঙ্গলা বন্দর ব্যবহার করে। কিন্তু নেপাল-ভুটানের মতো ছোট দেশ যখন বন্দর ব্যবহার করতে চাইল, ভারত অনুমোদন দেয়নি। এবার সোজাসুজি হিসেব করার সময় এসেছে।”

    বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা 

    হিন্দুদের ওপর হামলার মধ্যেই ভারতের বিরোধিতায় ঢাকায় মিছিল হচ্ছে প্রতিদিন। ঢাকায় প্রাক্তন সেনাকর্মীদের মিছিলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগানও উঠেছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ঢাকার সঙ্গে বিরোধিতা করছে দিল্লি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস অনুরোধ জানিয়েছেন, ইইউ ভিসা সেন্টার যেন দিল্লি থেকে অন্য দেশে স্থানান্তর করা হয়। তাঁর অনুরোধেই স্পষ্ট, ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোরই চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। বিগত কয়েকদিনে একের পর এক বিএনপি নেতাকে লাগাতার ভারত-বিরোধী মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। এমনকী ভারতীয় পণ্য বয়কটেরও ডাক দিতে দেখা গিয়েছে। এবার তাতে নবতম সংযোজন হাফিজউদ্দিন, তারেক রহমানদের মন্তব্য। 

    আরও পড়ুন: নিশানায় হিন্দু পুলিশ অফিসাররাও, সংখ্যালঘু পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলা!

    সক্রিয় পাকিস্তান

    বাংলাদেশের ভারত-বিরোধিতার মধ্যেই পাকিস্তান প্রীতিও প্রকাশ্যে এসেছে। পাকিস্তানের আরও কাছাকাছি এসেছে ইউনূস সরকার। পাক নাগরিকদের ভিসা পাওয়া আরও সহজ করেছে ঢাকা। নৈরাজ্যের বাংলাদেশে, ফায়দা তুলতে আসরে নেমেছ পাকিস্তান-চিনও। জামাত প্রধানের সঙ্গে চিনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠক হয়েছে। খালেদা জিয়ার বাড়িতে পৌঁছেছেন পাক হাই কমিশনার। যে ভারতের দয়ায় মাত্র ৫৩ বছর আগে পাকিস্তান সেনা বাহিনীর হাত থেকে স্বাধীনতা পেয়েছিল বাংলাদশ, সেই বাংলাদেশ এবার ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি শুরু করে দিল। শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে মৌলবাদী সংগঠনগুলির রমরমা বাড়ছে। পাশাপাশি মাথা চাড়া দিয়েছে জামাতের মতো জঙ্গি সংগঠন। সেখান হিন্দু -সহ একাধিক সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ক্রমশই বাড়ছে। এই অবস্থায় মৌলবাদী, জামাত আর পাকিস্তানের হাতে কাঠের পুতুল হয়ে পড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Elon Musk: বিশ্বের প্রথম মানুষ! ৪০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সম্পত্তির মালিক হলেন ইলন মাস্ক

    Elon Musk: বিশ্বের প্রথম মানুষ! ৪০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সম্পত্তির মালিক হলেন ইলন মাস্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাস্ক-এর বাজিমাত। রেকর্ড গড়ে বিশ্বের প্রথম ধনকুবের হিসেবে ৪০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সম্পত্তির মালিক হলেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জেতায় ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বিরাট সুবিধা পেয়েছেন টেসলা কর্তা। গত কয়েকদিনে লাফিয়ে বেড়েছে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ।

    ট্রাম্প আসতেই টেসলার টেক্কা

    ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই পোয়াবারো ইলন মাস্কের (Elon Musk)। ব্লুমবার্গের পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে ৪৪০ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি রয়েছে ইলন মাস্কের কাছে। ভারতীয় মুদ্রায় যে অঙ্কটা দাঁড়ায় ৩৮ লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি। ইলন মাস্কের মালিকানাধীন টেসলা এবং স্পেসএক্স, দুই সংস্থাই সম্প্রতি বিরাট লাভের মুখ দেখেছে। এর মধ্যে টেসলার স্টকের দাম বেড়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ। তার জেরেই লাফিয়ে বেড়েছে মার্কিন এই ধনকুবেরের সম্পত্তির পরিমাণ। বিশ্লেষকদের মতে, টেসলার এই উত্থানের নেপথ্যে রয়েছে দুটি কারণ। প্রথমত, হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোবটচালিত গাড়ির পক্ষে সওয়াল করবেন। পাশাপাশি টেসলার প্রতিদ্বন্দ্বী গাড়ি প্রস্তুতকারীদের কর সংক্রান্ত সুযোগসুবিধাতেও কোপ বসাবেন ট্রাম্প। সেই কারণেই টেসলার উপর আস্থা রেখেছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে চড়চড়িয়ে বেড়েছে মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণ।

    মাস্কের মুনাফা

    টেসলার পাশাপাশি মাস্কের (Elon Musk) স্পেসএক্স এবং এক্সআই-ও সর্বকালের সেরা মুনাফা পেয়েছে। বুধবাই নতুন এক চুক্তি সেরেছে এই সংস্থা। গোটা বিশ্বে এই সংস্থাই সবচেয়ে মূল্যবান স্টার্টআপ। ট্রাম্প জেতার পর থেকে যেন ‘আচ্ছে দিন’ শুরু হয়েছে মাস্কের। নয়া মার্কিন প্রশাসনে গুরুদায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। এবার বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হয়ে গড়ে ফেললেন নয়া রেকর্ড। শোনা যায়, ট্রাম্পের নির্বাচনী খরচের অনেকটাই বহন করেছিলেন মাস্ক। তাই ট্রাম্প জয়ের পর থেকে লাফিয়ে বেড়েছে মাস্কের সম্পদের পরিমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Crisis: হিন্দুদের ভাতে মারার ছক! গো-মাংস বিক্রি করতেই হবে হোটেল-রেস্তোরাঁয়, দাবি মৌলবাদীদের

    Bangladesh Crisis: হিন্দুদের ভাতে মারার ছক! গো-মাংস বিক্রি করতেই হবে হোটেল-রেস্তোরাঁয়, দাবি মৌলবাদীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের শাসনে ভালো নেই সে দেশের হিন্দুরা (Bangladesh Crisis)। হিন্দুদের ওপর নিত্য অত্যাচার তো চলছেই। এবার বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুদের ভাতে মারতে উদ্যোগী হয়েছে মৌলবাদীরা। সে দেশের হিন্দু হোটেলগুলিতে (Hindu Hotel) যাতে কেউ না যায়, সে জন্য তৈরি হয়েছে পোস্টার। পোস্টারে লেখা হয়েছে ‘নো বীফ খাবার হোটেল বর্জন করুন’। কীভাবে হিন্দু হোটেল চেনা যাবে, সে কথাও পোস্টারে বলা হয়েছে ফলাও করে। নতুন উপদ্রব শুরু হওয়ায় বিপাকে বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দু হোটেল ব্যবসায়ীরা।

    ভালো নেই হিন্দুরা (Bangladesh Crisis)

    হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে ভালো নেই হিন্দুরা। নানা অছিলায় লুট করা হচ্ছে তাঁদের বাড়িঘর। লুটপাট চালানো হচ্ছে দোকানগুলোতেও। জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। উঠেছে হিন্দু বাড়ির মেয়ে-বউদের ঘর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও। তার পরেও স্রেফ দেশকে ভালোবেসেই সে দেশে বসবাস করছেন হিন্দুরা। এবার সেই হিন্দুদেরই আক্ষরিক অর্থেই ভাতে মারতে উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশি মৌলবাদীরা। তারা প্রচার করছে, ‘যে হোটেলে গো-মাংস বিক্রি হয় না, সেটাই হিন্দুদের হোটেল। সেই হোটেলই বর্জন করতে হবে।’ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, হিন্দুদের বাংলাদেশছাড়া করতেই উদ্যোগী হয়েছে সে দেশের মৌলবাদীরা।

    আরও পড়ুন: জল জীবন মিশন প্রকল্প বদলে দিয়েছে গ্রামীণ মহিলাদের অর্থনীতির ভিত, ঠিক কীভাবে?

    মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদের হুঁশিয়ারি

    যে দেশে ৯৮ শতাংশ মানুষই মুসলমান, সে দেশে কেন নো বীফ লেখা হোটেল থাকবে, প্রশ্ন তুলে মিছিল করেছে মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদ। সম্প্রতি পুরানো ঢাকার বংশালে আল রজ্জাক হোটেলের সামনে বিক্ষোভও দেখানো হয় (Bangladesh Crisis)। পরিষদের দাবি, নো বিফ লেখা খাবারের হোটেলগুলি ভারত ও হিন্দুত্ববাদীদের দালাল। তাই এই জাতীয় হোটেল বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক হোটেলে যাতে গো-মাংস বিক্রি হয়, সেই দাবিও জানিয়েছে পরিষদ। বীফ বিক্রি না হলে সমস্ত হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদের তরফে। পরিষদের তরফে আরিফ আল খাবীর বলেন, “বাংলাদেশে ব্যবসা করতে হলে খাবার হোটেলগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে গরুর মাংস রাখতে হবে। যদি কোনও হোটেলে একটিও গরুর মাংসের তরকারি না থাকে, তবে সেই হোটেলটি (Hindu Hotel) হিন্দুত্ববাদী হোটেল ও ভারতের দালাল বলে প্রমাণিত হবে (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: নিশানায় হিন্দু পুলিশ অফিসাররাও, সংখ্যালঘু পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলা!

    Bangladesh Crisis: নিশানায় হিন্দু পুলিশ অফিসাররাও, সংখ্যালঘু পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলা!

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ দ্বিতীয় পর্ব।

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-২

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে সরকার (Bangladesh Crisis) পরিবর্তনের পর কীভাবে মন্ত্রী এবং জনপ্রতিনিধিদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে, তার বিশদ বিবরণ আমরা প্রথম পর্বে দিয়েছি। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়, এই পর্বে আমরা দেখব, কীভাবে সংখ্যালঘু পুলিশ কর্মকর্তাদেরও করুণ পরিণতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। দুর্নীতি দমনের নামে অনেককেই আইনি নিপীড়নের মুখোমুখি হতে হয়। একের পর এক অপসারণ করা হয় সংখ্যালঘু পুলিশ অফিসারদের (Minority Police Officers)। যাদের স্বচ্ছ্বতায় কোনওভাবেই দাগ লাগানো যায়নি, তাদেরকে বলপূর্বক অবসরগ্রহণে বাধ্য করা হয়। বেশ কয়েকজন অফিসারকে বদলি করা হয়। আটকে দেওয়া হয় পদোন্নতি। বাদ যায়নি প্রশিক্ষণরত পুলিশ ক্যাডেটরাও। 

    হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে একের পর এক মামলা

    গত ৩০ অগাস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতে বিপ্লবকুমার সরকার নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। ঝিনাইদহে একদা সহকারী পুলিশ সুপার গোপীনাথ কঞ্জিলাল-সহ আরও একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১৪ ও ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম ছাত্রদল নেতা ইসলাম ও ছাত্রশিবির নেতা ইবনুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। একই মামলায় সংখ্যালঘু পুলিশ কর্মকর্তা ইজ্জাল মিত্রের নামও আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি, ১৯ জুলাই অনুষ্ঠিত অ্যান্টি-কোটার আন্দোলনের সময় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শ্যামকুমার পালকে এক ফল বিক্রেতা মিরাজুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডে জড়িত হওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। নাজ খাতুন নামে এক মহিলা ২০১৬ সালে তার স্বামীর অপহরণের ঘটনায় সাতজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এই অভিযোগে আব-৫ রেলওয়ে কলোনি ক্যাম্পের পুলিশ ইন্সপেক্টর (এসআই) দেবব্রত মজুমদারকে আটক করা হয়।

    দুর্নীতি দমনের নামে নিশানা

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাইদের হত্যাকাণ্ডেও মূল অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত। কনস্টেবল সুজনচন্দ্র রায়কে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দুর্নীতি দমনের নামে একাধিক সংখ্যালঘু পুলিশ অফিসারকে নিশানা করা হয়। বিশেষ করে যারা পূর্বের হাসিনা সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কিত ছিলেন। ঢাকার দৈনিকেই প্রকাশিত হয় পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা অভিযুক্ত হচ্ছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত। এই তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশ ব্যুরোর (পিবিপি) একদা প্রধান বানজ কুমার মজুমদার, অতিরিক্ত আইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, এবং ডিআইজি বিপ্লবকুমার তালুকদার ও জয়দেবকুমার ভদ্রা সহ আরও অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

    বলপ্রয়োগে অবসরগ্রহণ

    বেশি সংখ্যক সংখ্যালঘু পুলিশ কর্মকর্তাদের বলপ্রয়োগ করে অবসরগ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। এই তালিকায় রয়েছেন আইজি কৃষ্ণপদ রায়, আইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। এই অবসরগ্রহণের ঘটনা একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টার অংশ, যার মাধ্যমে সংখ্যালঘু কর্মকর্তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে পক্ষপাতমূলকভাবে বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    বদলি করা হয় সংখ্যালঘু পুলিশ আধিকারিকদের

    অস্থায়ী সরকার পুলিশের প্রশাসনে ব্যাপক স্থানান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এখানেও শিকার হন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কর্মকর্তারা। অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে কম প্রভাবশালী পদে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ফলে তাদের কার্যকরী ভূমিকা হ্রাস পেয়েছে। স্থানান্তরিত কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (DIG) বিপ্লববিজয় তালুকদার এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (DMP) যুগ্ম কমিশনার সুদীপকুমার চক্রবর্তী। ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার লিটনকুমার সাহা, ডিএমপি ঢাকা জেলার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মনাসকুমার পোদ্দার, ঢাকার জামনা পুলিশ স্টেশন ইনচার্জ সিপি কল্পাল বারুয়া, শাহজাহানপুর পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ সিএস উজ্জ্বলকুমার সাহা, মোহাম্মদপুর পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ সিপি দীপকচন্দ্র সাহা, এবং সবুজবাগ পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ সিপি প্রবলয়কুমার সাহা।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার আওয়ামি লিগের সংখ্যালঘু নেতা-মন্ত্রীরাও! ইউনূসের রোষে দিন কাটছে জেলে

    পদোন্নতিতে সীমিত প্রতিনিধিত্ব

    অস্থায়ী সরকারের অধীনে পুলিশের পদোন্নতি প্রক্রিয়া আরও একবার সংখ্যালঘু কর্মকর্তাদের প্রতি বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরেছে। পুলিশ সুপার এবং ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল পদে অনেকেই পদোন্নতি পেলেও, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে শুধুমাত্র দুজন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। প্রাত্যুশকুমার মজুমদারকে পুলিশ সুপার এবং প্রবলয় চিশিমকে ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল পদে উন্নীত করা হয়। এই বৈষম্যমূলক পদোন্নতির ঘটনা পুলিশ বাহিনীতে সংখ্যালঘুদের প্রভাব কমানোর জন্য একটি পরিকল্পিত পদক্ষেপ হিসেবে অনেকে দেখছেন।

    প্রশিক্ষণরত পুলিশ ক্যাডেটদের বরখাস্ত

    অস্থায়ী সরকার সম্প্রতি সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমির ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের ২৫২ জন ট্রেইনি সাব-ইন্সপেক্টরকে (এসআই) এক মাসের মধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ শেষ করার আগেই বরখাস্ত করেছে। সরকারি ভাবে, এসব বরখাস্তকে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য দেখানো হলেও, এর পিছনে চক্রান্ত রয়েছে বলে দাবি আওয়ামি লিগের। এর মধ্যে ৯০ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।

    এ তো গেল পুলিশের কথা। বাদ যাননি প্রশাসনের নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তারাও। তাঁদের ওপরও নানা ভাবে আইনি পথে ঘুরিয়ে নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পরের তৃতীয় পর্বে তা নিয়েই আমরা বিশদে আলোচলা করব।   (……ক্রমশ )

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: শিল্পে ধাক্কা, কর্মসংস্থান শূন্য, বিপুল রাজস্ব ঘাটতি, নজর ঘোরাতেই কি ইউনূস সরকারের ভারত-বিদ্বেষ?

    Bangladesh: শিল্পে ধাক্কা, কর্মসংস্থান শূন্য, বিপুল রাজস্ব ঘাটতি, নজর ঘোরাতেই কি ইউনূস সরকারের ভারত-বিদ্বেষ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারে পতনের পর দেশে পরিবর্তন আনতে নতুন ইউনূস সরকার ক্ষমতা দখল করেছে। আর এই তদারকি সরকার আসার পর থেকে অশান্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। নতুন কোনও উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে পরিকল্পনার কথা শোনাতে পারেনি এই সরকার। বরং, এই চারমাসে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু-হু করে বাড়ছে। যে বস্ত্র শিল্পের ওপর ভিত্তি করে এই দেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে থাকে, সেই শিল্প এখন কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। এর পাশাপাশি মহম্মদ ইউনূস সরকারের আমলে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ঘাটতি। তাই, দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা থেকে সাধারণ মানুষের নজর ঘোরাতেই কি তোলা হল ভারত-বিদ্বেষের জিগির? উঠছে প্রশ্ন।

    রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ৩১ হাজার কোটি টাকা (Bangladesh)

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবাদপত্র ‘কালের কণ্ঠ’ সূত্রে খবর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য বলছে, অর্থবর্ষের চার মাসেই রাজস্ব আয়ে টানাটানি চলছে। ঘাটতি ছাড়িয়েছে প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকা। মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ১ লক্ষ ৩২ হাজার ১১২ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ১ লক্ষ ১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। এই সময়ে আমদানি শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর-এই তিন খাতের কোনওটিতেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। উল্টে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আদায় কমেছে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি ঘাটতি হয়েছে আয়কর খাতে। চার মাসে ঘাটতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা। এই খাতে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। আয়কর খাতে আদায় হয়েছে ৩২ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমাণ ঘাটতির কারণ, বাংলাদেশে কর্মসংস্থানই তৈরি হয়নি। আমদানি খাতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৯ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ৩২ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। এই খাতে ঘাটতি প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। ব্যবসা- বাণিজ্য কমে আসায় তার প্রভাব পড়েছে আমদানি খাতে।

     বাংলাদেশের টাকার দামে পতন

    মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে বাংলাদেশে। খাদ্যপণ্যের দামও চড়া। এবার আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। বুধবার এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্ক সূত্রে এই ঘোষণা করা হয়েছে, এমনটাই প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এ। বাংলাদেশি টাকায় এই ঋণের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৭ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। ঋণের টাকা বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে বলে জানা গিয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকেই বাংলাদেশের টাকার দামে পতন ঘটেছে। নতুন হিসেবে ভারতের ১ টাকা মানে বাংলাদেশের ১ টাকা ৪১ পয়সা। আরও স্পষ্ট করে বললে, ভারতের ১০০ টাকা মানে বাংলাদেশের ১৪১ টাকা ২৬ পয়সা।

    বস্ত্রশিল্পে ধাক্কা!

    পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ (Bangladesh) বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম, চিনের পর। বেশ কিছু বড় আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড এই দেশে পোশাক তৈরি বা সংগ্রহ করে। এসব পোশাক তারপর দেশে বড় বড় শোরুমে বিক্রি হয়। তবে দেশের চলমান অস্থিরতা এই ব্র্যান্ডগুলির ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বাংলাদেশ বর্তমানে পাকিস্তানের মতো দেউলিয়া হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর থেকে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। ক্ষতি কমানোর জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান এখন ভারতীয় উৎপাদকদের দিকে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছে।

    ভ্যাট আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা

    বাংলাদেশে (Bangladesh) ভ্যাট আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। ভ্যাট আদায় হয়েছে ৩৬ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। এই সময়ে এই খাতের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে রাজস্ব আদায়ে বড়সড় ধস নেমেছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। তাই প্রশ্ন উঠছে, অকর্মণ্যতা থেকে নজর ঘোরাতেই কি ভারত-বিদ্বেষের জিগির তুলছেন ইউনূস? হিন্দু নিপীড়ন জারি রেখে নিজের অপদার্থতা ঢাকতে চাইছেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার আওয়ামি লিগের সংখ্যালঘু নেতা-মন্ত্রীরাও! ইউনূসের রোষে দিন কাটছে জেলে

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার আওয়ামি লিগের সংখ্যালঘু নেতা-মন্ত্রীরাও! ইউনূসের রোষে দিন কাটছে জেলে

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ প্রথম পর্ব।

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-১

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত অগাস্ট মাসে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) আওয়ামি লিগ সরকারের পতন হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তার পর থেকেই সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছে, এমন অভিযোগ বারবার উঠছে। ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকার এতদিন পরেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। বার বার বাংলাদেশের নানা প্রান্ত থেকে সংখ্যালঘু নিপীড়নের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। এই ধরনের অভিযোগ প্রসঙ্গে ঢাকা বরাবর দাবি করে এসেছে, বিদেশি সংবাদমাধ্যমে ভুল প্রচার হচ্ছে। যে ভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সেখানে তুলে ধরা হচ্ছে, বিষয়টি আদৌ তেমন নয়। প্রয়োজনে বিদেশি সাংবাদিকদের ঢাকায় গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসতেও বলা হয়েছে। কিন্তু তার মাঝেই সম্প্রতি ঘরোয়া বৈঠকে সংখ্যালঘুদের সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। এমনকী নিজেদের কেরামতি দেখাতে গিয়ে ইউনূস প্রশাসন যে তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে, তাতে তারা সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের কথা এই প্রথম স্বীকারও করে নিয়েছে। আসুন এবার ফিরে দেখা যাক, কীভাবে ইউনূস সরকার বিরোধী শিবিরে একের পর এক নির্মম আঘাত হেনেছে। আওয়ামি লিগের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকেও রেয়াত করা হয়নি। বাংলাদেশ পুলিশ, বর্ডার গার্ড তাঁদের আটক করেছে অথবা তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই লেখায় সেই তথ্যই তুলে ধরা হল।

    টার্গেট সংখ্যালঘু নেতা-জনপ্রতিনিধি

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis)  ঠাকুরগাঁও-১ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য এবং জলসম্পদমন্ত্রী এমএম রমেশচন্দ্র সেনকে পুলিশ আটক করে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১৬ অগাস্ট নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন হাসিনা জমানার এই প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি সেন জানিয়েছিলেন, গ্রেফতার করতে এসে পুলিশ কর্মীরা বলেছিল, ভালোর জন্যই নাকি রমেশবাবুকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আবার ৩০ মিনিটের মধ্যে তাঁকে ফিরিয়ে দিয়ে যাওয়া হবে। তবে পরেই রমেশবাবুকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু আর ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। পরে পুলিশি হেফাজতে ছিলেন রমেশচন্দ্র সেন। এখন রয়েছেন জেলে।

    একইভাবে, বাংলাদেশের প্রাক্তন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণচন্দ্র চন্দকে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী গ্রেফতার করে। এছাড়া এমপি ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভু এবং সাবেক মন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদারকেও আটক করা হয়। বিজিবি জানায়, অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে প্রাক্তন ভূমিমন্ত্রী ও খুলনা-৫ আসনের প্রাক্তন এমপি নারায়ণচন্দ্র চন্দকে আটক করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণচন্দ্র চন্দ। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। 

    রেহাই পাননি মন্ত্রীও

    এছাড়া, বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) আওয়ামি লিগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আসিমকুমার কিল, তাঁর স্ত্রী এবং সংসদ সদস্য অপু কিল সহ আরও অনেক জনপ্রিয় নেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই নেতাদের মধ্যে প্রাক্তন সংসদ সদস্য বীরেন সিকদার, স্থানীয় সরকার ও সমবায়মন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং আওয়ামি লিগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দও রয়েছেন।

    এখানেই শেষ নয়। প্রতিহিংসার খিদে যত দিন গিয়েছে, বেড়েই গিয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদারকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসন থেকে নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামি লিগের মনোনয়ন নিয়ে পরপর চারবার সংসদ সদস্য হন জেলা আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক সাধনচন্দ্র মজুমদার। ২০১৮ সালে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য হওয়ার পর তিনি খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। আওয়ামি লিগের বিগত সরকারেও খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশে জোর ধাক্কা পোশাক শিল্পে! ভারত হতে পারে বিশ্বের নয়া গন্তব্য

     রোষে আওয়ামি লিগের সংখ্যালঘু সমর্থকরাও

    এছাড়া, বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ, যিনি ১২তম সংসদ নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, এবং আরও অনেক নেতাকে টার্গেট করা হয়েছে। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন আনন্দিত সরকার, প্রণবগোপাল দত্ত, সংসদ সদস্য মৃণালকান্তি দাস, প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্তলাল সেন এবং আনন্দিত রায়।

    এই দমন-পীড়ন শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং আওয়ামি লিগের সংখ্যালঘু সমর্থক এবং তৃণমূল স্তরের নেতাদের ওপরও এই নিপীড়ন চালানো হয়েছে সমান ভাবে। এই নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে হত্যা মামলাও রয়েছে। বাংলাদেশে এই সময়ে সংখ্যালঘু নেতাদের প্রতি এই ধরনের নির্যাতন এবং দমন-পীড়ন এক দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক সংকটের প্রতিফলন, যা দেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।

    ছাড় পাননি পুলিশ অফিসাররাও। তাঁদের ওপরও নানা ভাবে শাস্তির খাঁড়া নামিয়ে আনা হয়েছে। পরের কিস্তিতে আমরা সেই বিষয়েই বিশদে আলোচনা করব।                                                                   (…..চলবে)

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: অশান্ত বাংলাদেশে জোর ধাক্কা পোশাক শিল্পে! ভারত হতে পারে বিশ্বের নয়া গন্তব্য

    Bangladesh Crisis: অশান্ত বাংলাদেশে জোর ধাক্কা পোশাক শিল্পে! ভারত হতে পারে বিশ্বের নয়া গন্তব্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর জ্বলছে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis)। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে পড়েছে প্রভাব। পদ্মাপাড়ে অশান্তির জেরে লাভবান হতে চলেছেন ভারতের বস্ত্র ব্যবসায়ীরা, এমনই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ইতিমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে কাপড়ের কোম্পানিগুলির স্টকের গ্রাফ। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই পরিস্থিতিতে ইউরোপ ও আমেরিকায় রফতানির জন্য বিপুল টাকার বরাত পেতে পারে ভারতের বিভিন্ন সংস্থা।

    বাংলাদেশের কাপড়ের চাহিদা

    আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) কাপড়ের দারুণ চাহিদা রয়েছে। বস্ত্র রফতানিতে ভারত ও চিনকে রীতিমতো টেক্কা দিয়ে থাকে পূর্ব পাড়ের এই প্রতিবেশী। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩-এ বস্ত্র শিল্পের পরিসর বৃদ্ধি করে পদ্মা নদীর দেশ। ফলে রফতানি বাণিজ্যের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়াছিল ঢাকা। সম্প্রতি পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হওয়ায় মারাত্মকভাবে ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশের কাপড় ব্যবসা। বাংলাদেশ বর্তমানে পাকিস্তানের মতো দেউলিয়া হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর থেকে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত গার্মেন্ট শিল্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে হিন্দুদের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঘটনা বাড়ানোর ফলে উদ্বেগ আরও বেড়েছে, এবং অনেক প্রতিষ্ঠান এখন বন্ধ হওয়ার পথে।

    ভারতের সুবিধা

    পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম, চিনের পর। বেশ কিছু বড় আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড এই দেশে পোশাক তৈরি বা সংগ্রহ করে। এসব পোশাক তারপর দেশে বড় বড় শোরুমে বিক্রি হয়। তবে দেশের চলমান অস্থিরতা এই ব্র্যান্ডগুলির ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ক্ষতি কমানোর জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান এখন ভারতীয় উৎপাদকদের দিকে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ থেকে ইউরোপ ও আমেরিকায় কাপড় রফতানির পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। গত বছর যা ৬ শতাংশে পৌঁছয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্যের ২১ শতাংশ বাজার দখল করতে পারে ভারত।

    বাংলাদেশের জিডিপিতে পোশাক শিল্পের গুরুত্ব

    পোশাক শিল্প বাংলাদেশের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০২৪ সালে এটি ছিল জিডিপির ১১ শতাংশ। এই খাতের প্রায় ৮০ শতাংশ রাজস্ব আসে রফতানি থেকে। এই অবস্থায় পোশাক শিল্প কমে গেলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিতে পারে। বহু মানুষ চাকরি হারাতে পারেন। বিপুল ঋণের বোঝা বহন করতে হতে পারে ঢাকাকে। এমন পরিস্থিতি বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো অর্থনৈতিক পতনের দিকে ঠেলে দিতে পারে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেডিমেড পোশাক রফতানি করেছে বিশ্ব বাজারে। আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিতে বাংলাদেশের পোশাকের বিপুল চাহিদা। শেখ হাসিনার সময়কালে এই বস্ত্র শিল্পের উপরে ভরসা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। তাদের বরাতে জুটেছিল উন্নয়নশীল দেশের তকমাও। আপাতত প্রবল বিদ্রোহের জেরে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা দেশত্যাগী। সেইসঙ্গে বিগত মাস দুয়েক ধরে চলা অশান্তির পরিবেশে বাংলাদেশের রফতানি প্রবল ভাবে ধাক্কা খেয়েছে। ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশের গৌরব এবং ভরসার বস্ত্র শিল্পও। 

    আরও পড়ুন: “নীতীশ তো চোখের আরাম করতে যাচ্ছেন”, লালুর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

    ভারতের সুরাট শহর লাভবান হতে পারে

    এই সুযোগ ছাড়তে নারাজ ভারতীয় বস্ত্র শিল্পপতিরা (Garment Industry)। ইউরোপ, আমেরিকার পাশাপাশি পশ্চিম এশিয়ার বাজার দখলের মরিয়া চেষ্টা চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। যার প্রভাব কোম্পানি ও কাপড়ের মিলের স্টকে দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলো তাদের পণ্য উৎপাদন বা সংগ্রহের জন্য নতুন স্থান খুঁজছে, এমন পরিস্থিতিতে ভারতের সুরাট শহর একটি বিকল্প হিসেবে উঠে আসতে পারে। ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে, সুরাটের গার্মেন্ট শিল্পে বড় বড় ব্র্যান্ডগুলোর আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। শিল্পের অভ্যন্তরীণ সূত্র অনুযায়ী, গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলো এখানে প্রস্তুত পোশাক উৎপাদন এবং সরবরাহ সম্পর্কে জানতে চাইছে। যদি এই আকর্ষণ অর্ডারে পরিণত হয়, তবে সুরাটের গার্মেন্ট শিল্পের বৃদ্ধির হার বর্তমানে ১২ শতাংশ থেকে ২০-২৫ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। দক্ষিণ গুজরাট চেম্বার অফ কমার্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশিস গুজনির মতে, নতুন অর্ডারগুলি শুধুমাত্র সুরাট নয়, অন্যান্য ভারতীয় শহরগুলিকেও লাভবান করতে পারে, যেখানে বস্ত্র শিল্পের কেন্দ্র রয়েছে। তিরুপুর ও কোয়েম্বাটুর (তামিলনাড়ু), লুধিয়ানা (পাঞ্জাব) এবং নয়ডার (উত্তরপ্রদেশ) মতো শহরগুলোও লাভবান হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিল করে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার চান ট্রাম্প

    Donald Trump: জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিল করে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার চান ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব (Birthright Citizenship) প্রদান বন্ধ করতে চান হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। একইসঙ্গে চান আমেরিকায় (US) থাকা অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার করতে। তবে তথাকথিত ড্রিমার অভিবাসীদের সুরক্ষিত রাখতে চান রিপাবলিকান পার্টির এই শীর্ষ নেতা।

    কী বললেন ট্রাম্প?

    ‘মিট দ্য প্রেস উইথ ক্রিস্টেন ওয়েলকার’ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প জানান, তিনি অফিসে প্রথম দিনেই একটি এক্সিকিউটিভ অ্যাকশনের মাধ্যমে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব (Birthright Citizenship) প্রদান বন্ধ করার পরিকল্পনা করছেন। প্রসঙ্গত, আমেরিকায় জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সেই সকল ব্যক্তিদের দেওয়া হয়, যারা সে দেশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের বাবা-মা অভিবাসী কিনা, তা বিবেচনা করা হয় না। ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তাঁর আশা, সেদিনই দায়িত্ব নেওয়ার পরে অবৈধ অভিবাসনকে জাতীয় জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করবেন। সারা দেশে কঠোর অভিযান পরিচালনা করবেন বলেও জানান তিনি। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত আমেরিকায় রয়েছেন প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ অবৈধ অভিবাসী। ট্রাম্প (Donald Trump) চান যাঁদের বৈধ স্ট্যাটাস নেই, তাঁদের প্রত্যেককেই বহিষ্কার করা হোক। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আপনাকে এটি করতে হবে। এটি একটি খুব কঠিন কাজ। আপনি জানেন, এখানে নিয়ম, বিধি, আইন রয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: “নীতীশ তো চোখের আরাম করতে যাচ্ছেন”, লালুর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

    ড্রিমারদের সুরক্ষা

    তবে ড্রিমার অভিবাসীদের সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করতে প্রস্তুত হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প  বলেন, “রিপাবলিকানরা ‘ড্রিমার’ অভিবাসীদের সুরক্ষার ধারণাটি বিবেচনা করতে প্রস্তুত। যাদের শৈশবে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে আনা হয়েছিল, তাদের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।” তিনি বলেন, “যাঁদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে তাঁরা হলেন সেই ব্যক্তিরা যাঁরা ১০ বছর ধরে অনলাইনে কিংবা লাইনে দাঁড়িয়ে দেশটিতে বৈধ উপায়ে আসার চেষ্টা করছেন। আমরা মানুষদের জন্য আসার প্রক্রিয়াকে খুব সহজ করব। তবে তাঁদের অবশ্যই পরীক্ষায় পাস করতে হবে। তাঁদের অবশ্যই বলতে হবে যে স্ট্যাচু অব লিবার্টি কী। তাঁদের আমাদের দেশ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থাকতে হবে। তাঁদের অবশ্যই আমাদের দেশকে ভালোবাসতে হবে।”

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্পের (Donald Trump) জন্মগত নাগরিকত্বে (Birthright Citizenship) ইতি টানার পরিকল্পনা সহজে বাস্তবায়িত হবে না। এতে তাঁকে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। কারণ এই অধিকারটি মার্কিন (US) সংবিধান স্বীকৃত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বেকায়দায় ইউনূস! ভারতের চাপে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় গ্রেফতার ৭০

    Bangladesh: বেকায়দায় ইউনূস! ভারতের চাপে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় গ্রেফতার ৭০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্ময় প্রভু গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে উত্তাল বাংলাদেশ। হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার চলছে। এই ঘটনা নিয়ে সোমবারই তদারকি সরকারের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানে, তদারকি সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আশ্বাস দেন, এ হেন ঘটনা বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার বরদাস্ত করবে না। তার ঠিক পরের দিনই, মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়। কার্যত ভারতের চাপে নতিস্বীকার করল ইউনূস (Md Yunus) সরকার। আর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনায় হিন্দুদের ওপর যে নির্যাতন হচ্ছিল তা প্রমাণ করে দিল।

    হিন্দু নির্যাতনে কতজন গ্রেফতার? (Bangladesh)

    মঙ্গলবার বাংলাদেশের (Bangladesh) তদারকি সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব মহম্মদ শফিকুল আলম বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় ৮৮টি মামলা হয়েছে। গত ৫ অগাস্ট থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন ৭০ জন। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগেই এই মামলাগুলি দায়ের হয়েছে। পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।” পাশাপাশি, বাংলাদেশের অশান্তির ঘটনা প্রসঙ্গে শফিকুল বলেন, “সুনামগঞ্জে একটি ঘটনা ঘটেছে। কিছু কিছু জায়গায় চট্টগ্রাম, ঢাকার তুরাগ ও নরসিংদীতে ঘটনা ঘটেছে। সেগুলির প্রতিটির তথ্য সাংবাদিকদের দেওয়া হবে। বাংলাদেশে যাঁরা এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের সবাইকে গ্রেফতার করা হবে। কোনও রাজনৈতিক দলের রং না দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: “নীতীশ তো চোখের আরাম করতে যাচ্ছেন”, লালুর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

    ভারতের চাপেই ব্যবস্থা!

    অশান্ত বাংলাদেশ। সংখ্যালঘু হিন্দুদের (Bangladesh) ওপর লাগাতার অত্যাচার চলছে। এই আবহেই সোমবার ঢাকায় যান ভারতের বিদেশ সচিব। প্রথমে তিনি বৈঠক করেন বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মহম্মদ জসীম উদ্দিনের সঙ্গে। পরে বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বিক্রম। তিনটি বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়- যার মূল নির্যাস উভয় পক্ষই সুসম্পর্ক চায়। এ ছাড়াও বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগের বিষয়টিও উঠেছিল দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। বৈঠক শেষে ভারতের বিদেশ সচিব জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এবং উন্নয়ন নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তিনি। সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন নিয়ে ভারতের উদ্বেগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বিদেশ সচিব পরে জানান, সে দেশে বসবাসরত সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীন ভাবে নিজেদের ধর্মচর্চা করছেন। এ ব্যাপারে কোনও ধরনের বিভ্রান্তির জায়গা নেই। বাংলাদেশ সরকার এমন ঘটনা কোনও ভাবেই মেনে নেবে না, তা-ও বৈঠকে ভারতের বিদেশ সচিবকে জানানো হয়েছে বলে দাবি করেন জসীম উদ্দিন। তার পরই মঙ্গলবার অশান্তির অভিযোগের পরিসংখ্যান দিল ইউনূস প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: মুজিবের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও খারিজ! বঙ্গবন্ধুর সব স্মৃতি মুছে ফেলতে মরিয়া ইউনূস

    Bangladesh: মুজিবের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও খারিজ! বঙ্গবন্ধুর সব স্মৃতি মুছে ফেলতে মরিয়া ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে একে একে বঙ্গবন্ধুর সব স্মৃতি মুছে ফেলা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। তাঁর মূর্তিতে পড়েছে হাতুড়ি। কালি লেপে দেওয়া হয়েছে মুজিবুরের ছবিতে। এবার বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান থাকছে না বঙ্গবন্ধুর ‘জয় বাংলা’। এই স্লোগানও খারিজ করল বাংলাদেশের (Bangladesh) সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের ২০২০ সালের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ দিল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত।

    ইউনূস সরকারের আবেদনে শিলমোহর সুপ্রিম কোর্টের! (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করেছিল হাইকোর্ট। সেই রায় স্থগিত করে দিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মহম্মদ ইউনূসের তত্ত্বাবধানে থাকা অন্তর্বর্তী সরকারের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বাংলা দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের বেঞ্চ এই রায় দেন। ডেইলি স্টার সূত্রে খবর, সরকার পক্ষের হয়ে সওয়াল করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এই আদেশের ফলে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান আর বাংলাদেশের জাতীয় হিসেবে বিবেচিত হবে না। অন্যদিকে, বাংলাদেশ তাদের টাকা থেকেও বঙ্গবন্ধুর মুখ সরিয়ে ফেলতে চায়। সেই প্রস্তুতিও সম্পূর্ণ প্রায়। একে একে বদলে যাবে বাংলাদেশের নোটগুলি। বঙ্গবন্ধুর ছবির বদলে সেখানে আসবে জুলাই বিদ্রোহ (২০২৪) এর বিভিন্ন গ্রাফিতি।

    আরও পড়ুন: “নীতীশ তো চোখের আরাম করতে যাচ্ছেন”, লালুর মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক

    হাসিনাকে ফেরতের দাবি!

    ভারতের আশ্রয়ে থেকে লাগাতার ভার্চুয়াল সভা করে চলেছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি-সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। রবিবারও পরোক্ষে কামব্যাকের ইঙ্গিত দিয়েই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বাংলাদেশের মাটিতেই খুনি মাস্টারমাইন্ড মহম্মদ ইউনূসের বিচার হবে।’’ ঘটনাচক্রে রবিবার রাতেই ইউনূসের প্রেস-সচিব দাবি করেছেন, হাসিনাকে (Sheikh Hasina) ফেরাতে নতুন করে কোমর বাঁধছে ঢাকা। স্রেফ কিছু আইনি প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ সরকার। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতের সঙ্গে আমাদের যে প্রত্যপর্ণ চুক্তি রয়েছে, তা বাস্তবায়নে কিছু আইনি প্রক্রিয়া বাকি আছে। তা শেষ হলেই আনুষ্ঠানিক ভাবে হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতকে অ্যাপ্রোচ করা হবে।’’

    সূত্রের দাবি, সোমবার ঢাকা সফররত ভারতীয় বিদেশসচিবের কাছে হাসিনা-প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন ইউনূস সরকারের বিদেশসচিব মহম্মদ জসিম উদ্দিন। কিন্তু হাসিনাকে নিয়ে হঠাৎ এত তৎপর কেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার? ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের দাবি, হাসিনার একের পর এক ভার্চুয়াল ভাষণ হিট হচ্ছে দেখেই চাপে ইউনূস সরকার। খুব সম্ভবত নিজেদের বিপদ আঁচ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে নেপথ্যে থেকে উস্কানি দিচ্ছে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। জানা গিয়েছে, রবিবার ঢাকার মৌলবী বাজারে এক আওয়ামি নেতার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। সেখানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন দুই মহিলা। অভিযোগ উঠেছে, হাসিনার ভাষণ শেষে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই বাড়িতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share