Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Muslim Population: ২০৫০ সালে বিশ্বে ২০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে মুসলিম জনসংখ্যা, জনবিন্যাসে চিন্তার ভাঁজ

    Muslim Population: ২০৫০ সালে বিশ্বে ২০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে মুসলিম জনসংখ্যা, জনবিন্যাসে চিন্তার ভাঁজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী মুসলিম জনসংখ্যা (Muslim Population) ২০৫০ সালের মধ্যে ২০০ কোটি (200 Million) ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। পিউ রিসার্চ নামক এক সংস্থার সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, উচ্চ হারে বংশ বিস্তার এবং তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা মাত্রারিক্ত বৃদ্ধির জন্য বিশ্বের সর্ববৃহৎ ধর্মে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইসলাম। এই গবেষণা মূলক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ইসলাম, খ্রিস্টান, হিন্দু, ইহুদি এবং বৌদ্ধ ধর্ম সহ বিশ্বের প্রধান ধর্মের বৃদ্ধির হারকে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে দ্রুত ইসলামের সম্প্রসারণকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। এই সমীক্ষার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে জনবিন্যাস বদল নিয়ে বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

    ২০১০ সালে মুসলিম জন সংখ্যা ছিল ১৬০ কোটি (Muslim Population)

    বর্তমান বিশ্বে ইসলাম দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম। ২০১০ সালে এই ধর্মের মোট জনসংখ্যা (Muslim Population) ছিল ১৬০ কোটি। আগামী আরও ২৫ বছরে মুসলিম জনসংখ্যা ২০০ কোটিরও বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ধর্মাবলম্বীর মানুষ হল খ্রিস্টান ধর্মের মানুষ, ফলে তাকেও ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১০ সালের পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে ২১৭ কোটি জনসংখ্যা ছিল খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ। ২০৫০ সালে আরও ৮০ কোটি লোকের একটি সামান্য বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ওই সময়ে মুসলমানদেরকে বিশ্বে বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায় হিসাবে প্রথম সারিতে রাখতে হবে।

    দ্রুত মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ

    পিউ রিসার্চ সমীক্ষার রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, মুসলিম জনসংখ্যার (Muslim Population) দ্রুত বৃদ্ধিতে অবদান রাখার জন্য বেশ কয়েকটি কারণকে তুলে ধরা হয়েছে। মূল কারণ হল মুসলমানদের তুলনামূলকভাবে তরুণ প্রজন্মের জনসংখ্যা বৃদ্ধি। যেখানে জনসংখ্যার ৩৪% মাত্র ১৫ বছরের কম বয়সী এবং ৬০% মানুষ ১৫ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে বয়সী। উপরন্তু, মুসলিম মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রজনন হার রয়েছে। এই প্রজননের হার গড়ে ৩.১ টি করে শিশু। অপর দিকে প্রতি খ্রিস্টান মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রজননের গড় পরিমাণ ২.৭ টি করে শিশু। আবার সমীক্ষার রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং এশিয়ার কিছু অংশের মতো অঞ্চলগুলি সর্বাধিক (200 Million) উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাক্ষী থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এসব এলাকায় উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এবং নিম্ন মৃত্যুহার জনসংখ্যার বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে।

    আরও পড়ুনঃ দেউলিয়া হয়ে যাবে আমেরিকা? এ কী শোনালেন ইলন মাস্ক!

    ভারত সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যার বিস্ফোরণ হবে!

    এই সমীক্ষায় আরও ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে ভারত ২০৫০ সালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যার (Muslim Population) দেশ হয়ে উঠবে। ফলে ইন্দোনেশিয়াকেও ছাড়িয়ে যাবে ভারত। এটি ইসলামের বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধির (200 Million) সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। ফলে ভারতীয় জনবিন্যাস, ভৌগলিক সাংস্কৃতি এবং ধর্মীয় ক্ষেত্র যে একটা সঙ্কটের মুখে পড়বে তা অনেকেই মনে করছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • New Year 2025: জানেন কি নতুন বছর ২০২৫ কোন দেশে সবচেয়ে আগে আসবে, আর কোন দেশে সর্বশেষে?

    New Year 2025: জানেন কি নতুন বছর ২০২৫ কোন দেশে সবচেয়ে আগে আসবে, আর কোন দেশে সর্বশেষে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই নববর্ষ। ২০২৪ বিদায় নিয়ে আসছে ২০২৫ (New Year 2025)। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে গোটা বিশ্ব। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বিভিন্ন দেশ নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি শুরু করেছে। তবে, জানেন কি কোন দেশ সবচেয়ে আগে এই নববর্ষ উদযাপন করবে? আর বিশ্বের কোথায় সব শেষে নববর্ষ উদযাপন করা হয়।

    নতুন বছর প্রথম কোন দেশ উদযাপন করবে? (New Year 2025)

    নববর্ষ (New Year 2025) প্রথম উদযাপন করবে কিরিটিমাটি দ্বীপ। এটি ক্রিসমাস দ্বীপ নামেও পরিচিত। বিশ্বের সবচেয়ে দূরবর্তী টাইম জোন  (UTC+14)  অঞ্চলে অবস্থিত। কিরিটিমাটি দ্বীপ নতুন বছর উদযাপন করার কিছুক্ষণ পরই নিউজিল্যান্ডের টোঙ্গা এবং চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জ জমকালো আতশবাজির মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।

    আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ে ‘ঘর ওয়াপসি’, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত ৬৫১ পরিবার ফিরল হিন্দু ধর্মে

    নতুন বছর বিশ্বের শেষ কোন দেশ উদযাপন করবে?

    নববর্ষ উদযাপনের (New Year 2025) শেষ স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে বেকার দ্বীপ এবং হাওল্যান্ড দ্বীপ। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি জনবসতিহীন অঞ্চল। এইগুলি আসলে (UTC-12) সময় অঞ্চলের অধীনে পড়ে। এই নির্দিষ্ট দ্বীপগুলির অনন্য ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য কয়েকটি দেশে প্রায় ২৬ ঘণ্টার ব্যবধানে নতুন বছর পালন করা হয়।

    জমকালো উৎসবের আয়োজন

    প্রতিটি দেশ এক এক রকমভাবে নতুন বছর পালন করে। বিশেষ করে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সিডনি, টোকিও, লন্ডন এবং নিউ ইয়র্ক সিটির মতো প্রধান শহরগুলি জাঁকজমকপূর্ণ (New Year 2025) আয়োজন করে। যার মধ্যে রয়েছে সিডনির আতশবাজি প্রদর্শন, টোকিওর মন্দিরের বেল অনুষ্ঠান এবং নিউ ইয়র্ক থেকে টাইমস স্কোয়্যার বল ড্রপ। বহু ভ্রমণপ্রিয় মানুষ এক দিনে দুটি টাইম জোনের মধ্যে উড়ে গিয়ে দুবার নতুন বছর উদযাপন করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Elon Musk: দেউলিয়া হয়ে যাবে আমেরিকা? এ কী শোনালেন ইলন মাস্ক!

    Elon Musk: দেউলিয়া হয়ে যাবে আমেরিকা? এ কী শোনালেন ইলন মাস্ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার আর্থিক ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুতর সতর্কবার্তা শোনালেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি মাস্ক। টেসলার সিইও-ও তিনি। ‘দ্য জো রোগান এক্সপিরিয়েন্স’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বর্তমানে আমেরিকার জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৬.১৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাস্কের মতে, যদি শীঘ্রই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তবে ডলারের মূল্য “শূন্যে” নেমে যেতে পারে। এই অবস্থা দেশকে আর্থিক ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে।

    কী বললেন মাস্ক?

    মাস্ক জানান, ঋণের সুদ পরিশোধ করতে সরকারের মোট আয়ের খরচ হচ্ছে ২৩%। এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তিনি বলেন, “যদি আমরা পদক্ষেপ না নিই, তবে পুরো সরকারি বাজেট শুধুমাত্র সুদ পরিশোধের জন্য ব্যবহৃত হবে। ফলে সামাজিক সুরক্ষা বা মেডিকেয়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির জন্য কোনও তহবিল অবশিষ্ট থাকবে না।” মাস্কের এই ভবিষ্যদ্বাণী ইঙ্গিত করে যে, যদি দ্রুত সংস্কার করা না হয়, তবে একটি সম্ভাব্য অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।

    কী বলছে সংখ্যাতত্ত্ব?

    মাস্কের (Elon Musk) আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তা স্পষ্ট সংখ্যাতত্ত্বেই। ২০২৪ অর্থবর্ষে শুধুমাত্র সুদ পরিশোধেই ফেডারেল সরকার ব্যয় করেছে ১.১২৬৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ মোট আয় ছিল ৪.৯২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। সুদের খরচ বাজেটকে গ্রাস করে ফেলায়, মাস্কের এই সতর্কবার্তা নীতিনির্ধারক ও সাধারণ নাগরিকদের সচেতন হওয়ার সঙ্কেত দেয়। যদিও জেপি মর্গানের মতো কিছু বিশেষজ্ঞের যুক্তি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডিফল্ট করবে না। কারণ এটি মার্কিন মুদ্রায় ঋণ ইস্যুর অস্বাভাবিক সম্ভাবনার আলোকে রয়েছে। মাস্ক অত্যন্ত দ্রুত “অর্থায়নের” নেতিবাচক প্রভাবগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করেন না।

    আরও পড়ুন: প্রয়াগরাজে হবে মহাকুম্ভ, যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাধুরা

    এই পদ্ধতি একটি টেকনিক্যাল ডিফল্ট এড়াতে পারে। তবে এটি অনিয়ন্ত্রিত মুদ্রাস্ফীতি এবং এর ফলে ডলারের অবমূল্যায়ন ঘটাতে পারে। এই চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলায় মাস্ক ও আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মানুষের সম্পদ রক্ষার জন্য রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের প্রস্তাব করেন। সম্পত্তির মূল্য সাধারণত মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে বাড়ে, যা মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ভাড়ার আয় প্রদান করে। সোনা কেনার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি (Elon Musk)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Pakistan: বালুচিস্তানে জারিফ বালুচকে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যার তীব্র প্রতিবাদ প্যাঙ্ক-এর

    Pakistan: বালুচিস্তানে জারিফ বালুচকে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যার তীব্র প্রতিবাদ প্যাঙ্ক-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) বালুচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট (বিএনএম)-এর মানবাধিকার শাখা প্যাঙ্ক, জারিফ বালুচকে অপহরণ এবং বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো একাধিক মানবাধিকার হরণ করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ন্যায় বিচারও চেয়েছে এই সংগঠন। বিশ্বের সামনে আরও একবার পাকিস্তানের কুকর্ম ফাঁস।

    বিচার না করে খুন করা হয়েছে (Pakistan)

    বালুচিস্তানের (Pakistan) একটি সংবাদ মাধ্যম বালুচিস্তান পোস্ট এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছে, “আমরা জারিফের অপহরণ এবং নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র ধিক্কার জানাই। তাঁকে পাশবিক অত্যাচার করে কোনও রকম বিচার না করে খুন করা হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে ন্যায় বিচার করা হয়নি। জারিফের মৃতদেহের সঙ্গে অত্যন্ত খারপ আচরণ করা হয়েছে। মৃতদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য তুর্বতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই কাজ সম্পূর্ণভাবে মানবাধিকার বিরোধী।”

    জীবিত অবস্থায় তার জিহ্বা কেটে ফেলা হয়েছিল!

    বালুচ ইয়াকজেহতি কমিটি বা বিওয়াইসি (Balochistan) জানিয়েছে, “জারিফ বালুচকে ভয়ঙ্কর নির্যাতন করা হয়েছিল। জীবিত অবস্থায় তাঁর জিব কেটে ফেলা হয়েছিল। এই বর্বর নৃশংস কাজটি বালুচদের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ এবং দমন করতেই করা হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে কাজটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে। এই এলাকার মানুষের গত কয়েক দশকের আন্দোলনের ওপর পাকিস্তান নির্মমভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে।” সেইসঙ্গে প্যাঙ্ক, পাক সরকারের কাছে দাবি করেছে, রাজ্যে ভয়মুক্ত পরিবেশ গড়তে হবে। শান্তিপূর্ণভাবে যে কোনও রকমের প্রতিবাদ করার সুযোগ মানুষকে দিতে হবে। মানুষের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে হবে।

    উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালের পর থেকেই গিলগিট (Pakistan) এবং বালুচিস্তান (Balochistan) আগ্রাসী পাক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ-আন্দোলন করে আসছে। তাঁদের ধর্ম, সংস্কৃতি, ভাষা, কর্মসংস্থান এবং ইতিহাস, ঐতিহ্যকে অক্ষত রাখতে উগ্র মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছে। প্রতিদিন পাক সেনার আক্রমণে প্রচুর সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। পাক সরকারের এই অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে বিশ্বমঞ্চে একাধিক বার পাকিস্তানের মুখ পুড়েছে। তবুও নির্লজ্জ দেশের আচরণে কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন না ওয়াকিবহাল মহল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ভারতের চাপে সুর নরম! ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে ছাড়ল বাংলাদেশ

    Bangladesh: ভারতের চাপে সুর নরম! ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে ছাড়ল বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের চাপে সুর নরম করতে বাধ্য হল বাংলাদেশ (Bangladesh)। ভারতের মৎস্যজীবীদের গ্রেফতার করে কড়া বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ইউনূস সরকার। পাল্টা ভারতও বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের গ্রেফতার করে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। অবশেষে পিছু হঠল ইউনূস সরকার। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে বাংলাদেশের জেল থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী। প্রায় আড়াই মাস আগে বাংলাদেশের জলসীমার ভিতর ঢুকে পড়ায় কাকদ্বীপের ছ’টি ট্রলারকে আটক করেছিল বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী। ওই ট্রলারগুলিতেই ছিলেন ৯৫ জন মৎস্যজীবী। প্রত্যেককেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। অন্যদিকে, এবার ১২ জন বাংলাদেশিকে মুক্তি দিল ভারত।

    বাংলাদেশের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব কী বললেন?(Bangladesh)

    গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব লুৎফুন নাহার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, ওই ৯৫ জনের (Indian fishermen) বিরুদ্ধে সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ অনুসারে যে মামলা হয়েছিল, তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আটক ছ’টি ট্রলারও ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা।

    আরও পড়ুন: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    বাংলাদেশিদের ছাড়ার উদ্যোগ

    কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীদের বাংলাদেশে (Bangladesh) গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি জানার পরেই তাঁদের ভারতে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তৎপর হয় কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতে আটকে থাকা ৯০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে খবর। কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে জেলেদের “বিচার থেকে প্রত্যাহার” করার জন্য বলেছিল, যারা সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পাথরপ্রতিমার কাছে তাদের নৌকা ডুবে যাওয়ার সময় ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করেছিল। তাদের বিদেশি আইনের ১৪ ধারায় গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। যদিও তাদের পশ্চিমবঙ্গে না রেখে ওড়িশাতে রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশ সুর নরম করার পর ভারতে থাকা বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের ছাড়ার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

    মুক্তির সময় উপস্থিত ছিলেন সাবসিডিয়ারি কারেকশনাল হোমের কন্ট্রোলার দেবব্রত রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, “১২ বাংলাদেশি (Bangladesh) নাগরিককে ছেড়ে দিয়ে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।” বাংলাদেশি জেলেদের ডায়মন্ড হারবার সাবসিডিয়ারি কারেকশনাল হোম থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা আধিকারিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis 16: প্রতিহিংসার রাজনীতি অন্তর্বর্তী সরকারের? হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের ১৭৮টি খুনের মামলা!

    Bangladesh Crisis 16: প্রতিহিংসার রাজনীতি অন্তর্বর্তী সরকারের? হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের ১৭৮টি খুনের মামলা!

    অনেকেই বলছেন, হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই জঙ্গলের রাজত্বে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বেছে বেছে যেমন মন্দির এবং ধর্মস্থানে অবাধে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়িতে, একই সঙ্গে মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে গণপিটুনি এবং খুন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু অথবা বিরোধী রাজনৈতিক কণ্ঠ। সারা বিশ্ব দেখছে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের স্বরূপ। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হওয়ার পর গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত। আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদের কী করুণ পরিণতি হয়েছে, তাও কারও অজানা নয়। প্রথম খণ্ডে আমরা ১২টি পর্বে তুলে ধরেছিলাম নানা অত্যাচারের কাহিনি। এবার সেসব নিয়েই আমাদের দ্বিতীয় খণ্ডের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ চতুর্থ পর্ব।

     

    আতঙ্কের বাংলাদেশে জঙ্গলের রাজত্ব-৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই গোটা বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis 16) জুড়ে শুরু হয় অত্যাচার। হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, মঠ, মন্দির, সংখ্যালঘু থেকে বিরোধী দলের নেতৃত্বের ওপর হামলা চলতেই থাকে। একই সঙ্গে হামলা বাড়তে দেখা যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালত চত্বরে। জামাত-বিএনপি সমেত মৌলবাদীরা টার্গেট করতে থাকে সে দেশের আইনজীবী, প্রাক্তন মন্ত্রী, আইন প্রণেতাদের (Targeting Minority)। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে থাকে বিরোধীদের। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র প্রতিহিংসার রাজনীতির জন্য ইউনূস সরকার দায়ের করে ১৭৮টি খুনের মামলা, এমনটাই অভিযোগ। 

    টার্গেট প্রাক্তন বিচারপতি ও আইনজীবীরা

    বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 16) পুলিশ অফিসাররাও মৌলবাদীদের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। মৌলবাদীদের আক্রমণের শিকার হওয়া নামগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, বাংলাদেশের প্রাক্তন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন মানিক, আইনজীবী শেখ ফারিদ। আইনজীবী শেখ ফারিদের অপরাধ ছিল আওয়ামি লিগের নেতাদের হয়ে সওয়াল করতেন তিনি আদালতে। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে এই আওয়ামি লিগের নেতাদের কোনও কারণ ছাড়াই গ্রেফতার করা হতে থাকে। তাঁদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে থাকে।

    প্রতিহিংসার রাজনীতি (Bangladesh Crisis 16)

    জানা গিয়েছে, এই সমস্ত মামলায় ৯২ হাজার ৪৮৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং এঁরা প্রত্যেকেই জামাত-বিএনপির বিরোধী। এর মধ্যে অনেকেই আওয়ামি লিগের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, আওয়ামি লিগের প্রাক্তন নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রী, তাঁদের পরিবারের সদস্যরা, এমনকি শেখ হাসিনার পরিবারকেও বাদ দেওয়া হয়নি। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি করেছে ইউনূস সরকার, এমনটাই অভিযোগ।

    ১৭৮টি খুনের মামলা দায়ের হয় হাসিনার বিরুদ্ধে

    গত ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 16) অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘আজকের পত্রিকা’ প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে যত মামলা দায়ের হয়েছে, তার মধ্যে আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থক রয়েছেন ২৬ হাজার ২৬৪ জন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বর্তমানে বাংলাদেশে মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০৪। আশ্চর্যজনকভাবে তার মধ্যে ১৭৮টি খুনের কেসে অভিযুক্ত হিসেবে রাখা হয়েছে শেখ হাসিনার নাম। গত অক্টোবর মাসে বাংলাদেশের অন্যতম এক জনপ্রিয় পত্রিকা ডেইলি স্টার তাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে ২২০টি। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে ফের আবার হাসিনার বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা বেড়ে গিয়েছে। যেখানে শেখ হাসিনা নিজের বোন শেখ রেহনার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ২২টি, হাসিনার পুত্র ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ১৯টি। হাসিনার কন্যা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে চারটি এবং হাসিনার ভাইপো মুজিব সিদ্দিক ববির বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে একটি।

    টার্গেট করা হয় হাসিনা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের

    হাসিনা সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন যাঁরা, তাঁদেরকেও ব্যাপকভাবে টার্গেট করা হতে থাকে। তাঁদের ওপর যেমন হামলা চলতে থাকে, একইভাবে তাঁদেরকে মিথ্যা মামলাতেও ফাঁসানো হয়। বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন আসাদুজ্জামান খান, তাঁর বিরুদ্ধে জামাত-বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা মামলা দায়ের করেছেন ১৯৯টি। আসাদুজ্জামান খানের পরেই রয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ১৬৯টি। অন্যদিকে বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ৭২টি। বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের আমলে আইনমন্ত্রী থাকা আনিসুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ৫৯টি। 

    টার্গেট করা হয় ছাত্র নেতাদের

    অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের মধ্যে রয়েছেন মহম্মদ আরাফাত, যিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রমন্ত্রী, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় ৫৪টি। অন্যদিকে, প্রাক্তন ডাক বিভাগের মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় ৪৪টি। ঢাকা সাউথ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন শেখ ফাজাল নূর তাপস, তাঁর বিরুদ্ধে ৩৮টি মামলা দায়ের করা হয়। ঢাকা উত্তর শহরের মেয়র মহম্মদ আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কুড়িটি মামলা দায়ের করা হয়। আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনের নাম ছাত্রলিগ। সংগঠনের বাংলাদেশের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং তার সম্পাদক শেখ ওয়ালিয়াসিফ ইনান, তাদের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৩১টি ও ৩০টি মামলা দায়ের করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hezbollah: হিজবুল্লার ওপর নজরদারি ইজরায়েলের গুপ্তচর নেটওয়ার্ক মোসাদের! কী কী তথ্য প্রকাশ্যে এল?

    Hezbollah: হিজবুল্লার ওপর নজরদারি ইজরায়েলের গুপ্তচর নেটওয়ার্ক মোসাদের! কী কী তথ্য প্রকাশ্যে এল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিজবুল্লার একজন সিনিয়র কমান্ডারের চারজন উপপত্নী ছিল। চারজনকেই তিনি ফোনে বিয়ে করেছিলেন। ইজরায়েলের গুপ্তচর নেটওয়ার্ক মোসাদ লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীর ওপর নজরদারির সময় এই তথ্য জানতে পেরেছিল। নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লার (Hezbollah) সহ-প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ফুয়াদ শুকর, একবারে চারজন মহিলাকে ঠকানোর জন্য তাঁর মধ্যে এক “অপরাধ” বোধ কাজ করেছিল। পরে, তাঁদের বিয়ে করার জন্য তিনি মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন।

    হিজবুল্লাকে নিয়ে কী বলল মোসাদ? (Hezbollah)

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুকর তাঁর পরিস্থিতি সম্পর্কে অস্বস্তি বোধ করেন। তিনি হিজবুল্লার (Hezbollah) সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হাশেম সফিউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন – যিনি অক্টোবরে একটি বিমান হামলায় নিহত হন। মোসাদ প্রকাশ করেছে যে সফিউদ্দিন শুকরকে তার চার উপপত্নীর সঙ্গে বিয়ে করতে বলেছিলেন। সফিউদ্দিনের পরামর্শে তার জন্য চারটি পৃথক ফোনভিত্তিক বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মহিলারা কোথায় থাকতেন এবং ফোন কলগুলি কোথায় হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। মোসাদ কয়েক দশক ধরে হিজবুল্লা কমান্ডারদের সম্পর্কে জাগতিক এবং ঘনিষ্ঠ বিবরণ সংগ্রহ করেছে। শুকর ২০০৬ সালের যুদ্ধের শেষের পর থেকে ইজরায়েল দ্বারা ট্র্যাক করা শত শত হিজবুল্লা কমান্ডারদের মধ্যে একজন ছিলেন। জুলাই মাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তিনি ইজরায়েলের মূল লক্ষ্য হয়ে ওঠেন, যেখানে কয়েক ডজন ইজরায়েলি নিহত হয়েছিল। জুলাই মাসে শুকর একটি ফোন কল পেয়েছিলেন, যা তার গোপন লুকানোর জায়গাটি প্রকাশ করেছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ তাকে কিছুক্ষণ পরেই হত্যা করা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালে একটি আমেরিকান সেনা ব্যারাকে বোমা হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত ছিলেন শুকর, যেখানে ২৪১ আমেরিকান সেনা নিহত হয়।

    আরও পড়ুন: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর

    নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইজরায়েলের সঙ্গে গাজায় হামাসের যুদ্ধ শুরু হয়। পরে, মধ্যপ্রাচ্যে সেই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। সেই যুদ্ধে লেবাননের ইরান সমর্থিত হিজবুল্লা (Hezbollah) যোগ দেয়। যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে, ইজরায়েলের সরকার হিজবুল্লার বিরুদ্ধে একটি “উত্তর ফ্রন্ট” খোলার বিযয় নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: ইজরায়েলে ১৬০০০ ভারতীয় শ্রমিককে নির্মাণ কাজে প্রবেশের অনুমতি, ঢুকতে বাধা ফিলিস্তিনিদের

    Israel: ইজরায়েলে ১৬০০০ ভারতীয় শ্রমিককে নির্মাণ কাজে প্রবেশের অনুমতি, ঢুকতে বাধা ফিলিস্তিনিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলে (Israel) ১৬০০০ ভারতীয় শ্রমিককে (Indian worker) নির্মাণ কাজের জন্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অপর দিকে ফিলিস্তিনিদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে এই ইহুদি দেশে। উল্লেখ্য গত ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালে ইসলামী জঙ্গি সংগঠন হামাস, ফিলিস্তিনির মাটি ব্যবহার করে আচমকা ইজরায়েলের উপর আক্রমণ করেছিল। প্রচুর নারী, শিশু এবং সাধারণ নাগরিককে অকাতরে হত্যা করেছিল ঘাতক জঙ্গিরা। একই ভাবে ২০০ জনের বেশি নাগরিককে অপহরণ করেছিল হামাস। সেই থেকে দুই দেশের মধ্যে বিবাদ ব্যাপক আকার নিয়েছে। ইহুদি সেনার লাগাতার হামলায় ফিলিস্তিনিতে থাকা একাধিক হামাসের গোপন আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    মুসলিম শ্রমিকদের প্রবেশাধিকারে প্রতিবন্ধকতা

    ইজরায়েলের (Israel) ইয়াকভ শহরের নতুন নতুন ভবন নির্মাণে ভারতীয় শ্রমিকদের (Indian worker) কাজ লাগানো হচ্ছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা বেল্ট, হেলমেট, হাতুড়ি এবং কাজের জুতো পরা রাজু নিষাদ নামক এক ভারতীয়দের দেখা গিয়েছে। হামাসের আক্রমণের আগে এই এলাকায় নির্মাণ কাজে বিশেষ করে উঁচু টাওয়ার, বাড়িঘর, রাস্তা এবং ফুটপাথের কাজে প্রচুর আরবি ভাষার কথা বলা শ্রমিকদের ভিড় ছিল। বলার অপেক্ষা রাখে না এখানে মুসলিম ধর্মের শ্রমিকরা কাজ করত বেশি পরিমাণে, কিন্তু এই জায়গায় বর্তমানে হিন্দি, হিব্রু ভাষার শ্রমিকদের আধিক্য বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সুতরাং রাজনীতির বিশেজ্ঞদের অনেকই মনে করছেন এবার ইজরায়েল তাদের দেশে নির্মাণ শিল্পে আরবী ভাষায় কথা বলা মুসলিম শ্রমিকদের প্রবেশাধিকারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।

    আরও পড়ুনঃ বাইরের কেউ দেখলে অশ্লীলতা! মেয়েদের ঘরের জানলা পুরোপুরি বন্ধ করার নিদান দিল তালিবান

    বাড়ি নির্মাণের কাজে আয় অনেক বেশি

    ভারতীয় হিন্দি ভাষায় কথা বলা শ্রমিক রাজু নিশাদ (Indian worker) জানিয়েছেন, “এখানে এখন ভয়ের কিছু নেই। তবে বিমান হামলার (Israel) ভয় ছিল একটা সময়ে। বিপদ জনক মনে হলে সাইরেন বাজানো হয়, কাজ বন্ধ রাখি তখন আবার সাইরেন বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের কাজ শুরু হয়। সতর্কতা অবলম্বন করে কাজ করতে হচ্ছে। এখানে বাড়ি নির্মাণের কাজে আয় অনেক বেশি। আর এই জন্য অনেক ভারতীয়রা এখানে এসে কাজ করছেন। এই আয় আমাদের ভবিষ্যতের সঞ্চয়ের জন্য ব্যবহার করার কাজে হবে।”

    বিরাট কাজের বাজার এখন ইজরায়েল!

    জানা গিয়েছে, কাজের জন্য ভারত থেকে গত ১ বছরে ১৬০০০ কর্মীরা এখন কাজ করছেন এই ইহুদিদের (Israel) দেশে। গত কয়েক দশক ধরে ইজরায়েলে হাজার হাজার মানুষ বয়স্ক লোকেদের দেখাশোনার কাজে এসে কাজ করে থাকেন। একই ভাবে প্রচুর হীরা ব্যবসায়ী, আইটি পেশাদারি কাজে অনেক লোক যুক্ত রয়েছেন, কিন্তু গাজায় যুদ্ধ চলার পর থেকেই একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। আবার দিল্লি-ভিত্তিক ডায়নামিক স্টাফিং সার্ভিসেসের চেয়ারম্যান সমীর খোসলা বলেন, “৫০০০০০ ভারতীয়কে ৩০টিরও বেশি দেশে কাজ করার জন্য পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত ৩৫০০ এরও বেশি কর্মীকে ইজরায়েলে (Israel) গিয়েছেন। ওখানে একটি নতুন কাজের বাজার তৈরি হয়েছে।”

    আরও জানা গিয়েছে তেল আবিবে ভারতীয়রা (Indian worker) রান্নার কাজে অনেকে কাজ করে থাকেন। হামাসের হামলার আগে ৮০০০০০ ফিলিস্তিনি নির্মাণ কাজে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে সেই সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। বর্তমানে ৩০০০০ বিদেশি কর্মীরা কর্মরত রয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Taliban: বাইরের কেউ দেখলে অশ্লীলতা! মেয়েদের ঘরের জানলা পুরোপুরি বন্ধ করার নিদান দিল তালিবান

    Taliban: বাইরের কেউ দেখলে অশ্লীলতা! মেয়েদের ঘরের জানলা পুরোপুরি বন্ধ করার নিদান দিল তালিবান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির ভিতরে গৃহস্থালি কর্মে থাকা মহিলাদের দেখা অশালীন কাজ! এমন অদ্ভুত যুক্তি দিয়ে এবার আফগানিস্তানে মেয়েদের ঘর এবং বাইরের জানলা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার নিদান দিল তালিবান সরকার (Taliban)। সম্প্রতি তালিবানি নির্দেশে এই ধরনের জানলা বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। এমন নির্দেশ সামনে আসতেই ফের শুরু হয়েছে বিতর্ক। তালিবানের (Taliban) যুক্তি, বাড়ির ভিতরে কাজ করতে থাকা কোনও মহিলাকে বাইরে থেকে দেখলেও অশ্লীল কাজকর্ম হতে পারে। রাস্তা থেকে কোনও মহিলাকে রান্না করতে দেখলে, জল তুলতে দেখলে বা ঘরের অন্যান্য কাজ করতে দেখলে পুরুষরা আকৃষ্ট হতেই পারেন, এধরনের আকর্ষণ নাকি তালিবানের মতে অশালীন কাজের মধ্যে পড়ে। তাই এইসব জায়গায় জানলা রাখা যাবে না। ওই নির্দেশে আরও জানানো হয়েছে, নতুন বাড়ি করলে কোনওরকম জানলাই রাখা যাবে না, পুরনো বাড়ি হলে জানলা বন্ধ করে দিতে হবে।

    জানলা বন্ধের কাজ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে তালিবানরা (Taliban)

    স্পষ্টভাবে তাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বাড়ির রান্নাঘর, প্রতিবেশীর দেওয়াল এবং মেয়েদের ঘরে জানলা থাকলে তা তাড়াতাড়ি বুজিয়ে দিতে হবে। এখানেই শেষ নয় গোটা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে তালিবান সরকার (Afgan Women)। জানলা বন্ধের কাজ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে তালিবানরা, এমনটাও জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।

    আরও পড়ুন: অবৈধভাবে ভারতে থাকার জন্য ১৩ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল মহারাষ্ট্র এটিএস

    ডিসেম্বরে এল জানলা বন্ধের ফতোয়া

    প্রসঙ্গত, মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়তেই ২০২১ সালের ১৫ অগাস্ট ফের একবার ক্ষমতায় আসে তালিবানরা (Taliban)। তারপর থেকেই মেয়েদের বিরুদ্ধে একাধিক ফতোয়া জারি করতে দেখা গিয়েছে। কয়েক মাস আগে নতুন নিয়ম করে তালিবান জানিয়েছিল, এক মহিলার কথা অন্য মহিলা শুনতে পারবেন না। পুরুষদের সামনে বা তাঁদের সঙ্গে জোরে কথা বলা আগেই বারণ ছিল। এরপর ডিসেম্বরে ফের এল জানলা বন্ধের ফতোয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jimmy Carter: প্রয়াত প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ১০০ বছর

    Jimmy Carter: প্রয়াত প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ১০০ বছর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  প্রয়াত হলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার (Jimmy Carter)। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (US president) ৩৯তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন জিমি। চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই নিজের শততম জন্মদিন পালন করেছিলেন জিমি কার্টার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে তিনি জর্জিয়া প্রদেশের গভর্নর ছিলেন বলে জানা যায়। তার আগে জর্জিয়া স্টেট সেনেটেরও সদস্য ছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত প্রায় সাড়ে চার দশকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা জারি রেখেছিলেন। এই কারণে গত ২০০২ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারও পেয়েছিলেন।

    জিমি কার্টারের (Jimmy Carter) ছেলের বিবৃতি

    ১৯৪৬ সালে রোজালিন স্মিথের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল জিমি কার্টারের। ২০২৩ সালের নভেম্বরেই তাঁর স্ত্রী প্রয়াত হন। আর তার ১১ মাসের মধ্যেই প্রয়াত হলেন জিমি। এক বিবৃতিতে জিমি কার্টারের ছেলে চিপ কার্টার বলেন, ‘‘আমার বাবা একজন নায়ক ছিলেন। শুধু আমার কাছেই নন, যাঁরা শান্তি, মানবাধিকার এবং নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় বিশ্বাস করেন, এমন সবার কাছেই তিনি নায়ক ছিলেন।’’ প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইজরায়েল এবং মিশরের মধ্যকার যুদ্ধ থামাতে পেরেছিলেন কার্টার।

    কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন

    এদিকে জিমি কার্টারের (Jimmy Carter) প্রয়াণে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সহ বহু নেতাই শোক জ্ঞাপন করেছেন। জিমি কার্টারের স্বাক্ষরিত তাঁদের একটি ছবি পোস্ট করে বাইডেন লেখেন, ‘‘৬ দশক ধরে জিমি কার্টারকে বন্ধু বলে ডাকার সৌভাগ্য পেয়েছি জিল এবং আমি। তবে জিমির সবথেকে বড় কৃতিত্ব ছিল, আমেরিকা এবং গোটা বিশ্বে এমন কয়েক লাখ লোক হবে, যাঁরা কখনও জিমির সঙ্গে দেখা করেননি, তাও তাঁরা মনে করতেন জিমি তাঁদের বন্ধু।’’ প্রসঙ্গত, জিমি এক মেয়াদেই প্রেসিডেন্ট থাকতে পেরেছিলেন। প্রেসিডেন্ট পদ খোয়ানোর পরও বিশ্ব রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব ছিল যথেষ্ঠ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share