Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bangladesh Crisis 12: ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে মিছিল ঢাকায়, সরব ভারত, প্রতিবাদ বিশ্বজুড়ে

    Bangladesh Crisis 12: ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে মিছিল ঢাকায়, সরব ভারত, প্রতিবাদ বিশ্বজুড়ে

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ দ্বাদশ তথা শেষ পর্ব।

     

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-১২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 12) রাজনৈতিক দল জামাত-ই-ইসলাম, বিএনপি, কমিউনিস্ট পার্টি, হেফাজতে ইসলাম, চট্টগ্রাম আদালতে আইনজীবীর মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি করে। এর পাশাপাশি ইনকিলাব মঞ্চ নামের একটি সংগঠন ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেয় সরকারকে, তারা দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি করে। অন্যদিকে জন অধিকার মঞ্চ নামের একটি সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ঢাকাতে মিছিলও করে।

    বিক্ষোভ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও (Bangladesh Crisis 12)

    আইনজীবী সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় বাংলাদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ চলতে থাকে। ছাত্ররা বিক্ষোভ দেখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি জায়গায়। অন্যদিকে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 12) বেশ কিছু সংগঠন যেমন ইনকিলাব মঞ্চ, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদ, নিজেদের মতো করে আন্দোলন শুরু করে। এই সময় বাংলাদেশের ছাত্রনেতা হাসনাত আবদুল্লা, যিনি ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কনভেনার, তিনি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামের শেষ কৃত্যে অংশগ্রহণ করেন।

    বিক্ষোভ কলকাতায়, নিন্দা ভারতের, প্রতিবাদ বিশ্বজুড়ে 

    ভারতের বিদেশমন্ত্রক এই ইস্যুতে নিজেদের বিবৃতি জানায় এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর বেড়ে চলা হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় ভারতকে। একইসঙ্গে গ্রেফতার হওয়া সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তিরও দাবি জানায় ভারত। কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে ব্যাপক আকারে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিভিন্ন সংগঠন। এই সময়ে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 12) অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের বিবৃতির কড়া সমালোচনা করে এবং তারা জানায় যে সরাসরি বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে ভারত। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পরেই এবং বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর বেড়ে চলা আক্রমণের ঘটনায় নিন্দা জানাতে থাকে বিশ্বের সব দেশই। যে সমস্ত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিন্দুরা ব্রিটেন থাকতেন, তাঁরাও রাস্তায় নামেন। অন্যদিকে ফিনল্যান্ডেও ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা যায়। বাংলাদেশ ইস্যুতে এই সময়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা ব্যক্তিরাও বিবৃতি জারি করেন। একইসঙ্গে ব্রিটেনের সাংসদরাও এই ইস্যুতে সংসদে সরব হন এবং বাংলাদেশে বেড়ে চলা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্রিটেনের সরকারকে হস্তক্ষেপ করার দাবি জানান তাঁরা।

    সমাজ মাধ্যমের পাতায় প্রতিবাদ 

    বাংলাদেশ ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপকভাবে প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়াতে একের পর এক পোস্ট আসতে থাকে এবং সেখানে দাবি জানানো হয় যে বিএনপি এবং জামাত ইসলামের ক্যাডাররা সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল আইনজীবী সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায়। একাধিক সমাজ মাধ্যমের পাতায় দাবি জানানো হয় যে পিনাকী ভট্টাচার্য, জাহেদুল রহমান আমিনুল মুমিনরা বিদেশি শক্তিকে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে অস্থির করে তুলতে চাইছে।

    বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের বর্বরোচিত হামলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা (Targeting Minority)

    বাংলাদেশের উগ্র মৌলবাদী ইসলামিক সংগঠনগুলি হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা চলায় এবং পাথর ছোড়ে। ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রামে ২৯ নভেম্বর। শুক্রবারে জুম্মার নামাজের পরেই পাথর ছোড়া হয়।

    বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠনগুলি চট্টগ্রামের হিন্দু বিরোধী স্লোগান দিয়ে মিছিল করে।

    বাংলাদেশের পাথরঘাটার রাধাগোবিন্দ মন্দিরে হামলা চালানো হয়। 

    হাবিবগঞ্জের ইসলামিক মৌলবাদীরা হামলা চালায় জয় দাস নামের এক হিন্দুর বাড়িতে। মৌলবাদীরা সন্দেহ করেছিল যে জয় দাস ছিলেন একজন ইসকনের সদস্য।

    উগ্র মৌলবাদীরা ইসকনের মন্দির ভাঙচুর করে চট্টগ্রামের পাতিয়াতে।

    উগ্র মৌলবাদীরা হামলা চালায় মৌলভীবাজারে অবস্থিত মদনমোহন মন্দিরে।

    উগ্র মৌলবাদীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি ফিরিঙ্গি বাজারে অবস্থিত লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দির। হাজারি গালিতে অবস্থিত কালী মন্দির এবং সেবক কলোনিতে অবস্থিত একাধিক মন্দির ভাঙচুর করে তারা।

    সমাজ মাধ্যমে এক ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যায় ইসলামিক মৌলবাদীরা ঠাকুরগাঁয়ে একজন হিন্দুকে মারধর করছে।

    বাংলাদেশের শিবচরে মৌলবাদীরা ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দেয় ইসকনের মন্দির বন্ধ করার জন্য।

    গ্রেফতার হওয়া হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীকে নৃশংসভাবে মারধর করা হয়। 

    বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের ভৈরব এরিয়াতে ইসকনের মন্দির ভেঙে দেওয়া হয়।

    পুলিশি হয়রানি

    একই সঙ্গে পুলিশি হয়রানির শিকারও হন অসংখ্য হিন্দু সন্ন্যাসী। ইসকন সন্ন্যাসী শ্যামদাস প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়। চট্টগ্রামের সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনা ৭৬ জন হিন্দু বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হয় বাবলা ধর, সজল শীল, দুর্লভ দাস, রাজীব ভট্টাচার্য, সুমিত দাস, গগন দাস, নয়ন দাস, বিশাল দাস, আমন দাস প্রভৃতি হিন্দুকে। সে দেশের সাংবাদিক মুন্নি সাহাকেও গ্রেফতার করে বাংলাদেশের পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bashar Al Asad: লন্ডনে যেতে চান আসমা! রুশ আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা বাশারের স্ত্রীয়ের

    Bashar Al Asad: লন্ডনে যেতে চান আসমা! রুশ আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা বাশারের স্ত্রীয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিরিয়ার (Syria) পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের (Bashar Al Asad) পরিবারেও ভাঙন ধরল। আসাদের কাছ থেকে বিচ্ছেদ চাইলেন স্ত্রী আসমা আল-আসাদ। মস্কোয় যেভাবে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকতে হচ্ছে, তাতে একেবারেই খুশি নন আসমা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইতিমধ্য়েই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা রুজু করেছেন আসমা। দ্রুত দাম্পত্যের পাট চুকিয়ে লন্ডনে ফিরে যেতে চান তিনি।

    কেন বিচ্ছেদ চাইছেন আসমা

    চলতি ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই সশস্ত্র বাহিনীর অভ্যুত্থানের মুখে পড়ে গদিচ্যুত হন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ (Bashar Al Asad)। প্রাণ বাঁচাতে পরিবার সহ সিরিয়া ছেড়ে আশ্রয় নেন মস্কোয়। সেখানে যাওয়ার পরই এবার বিচ্ছেদ চাইছেন আসাদের স্ত্রী। মস্কোর একটি আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা দায়ের করেছেন। সিরিয়া থেকে মস্কোয় গিয়ে তাঁর জীবন নিয়ে অসন্তুষ্ট তিনি। আসমা তাঁর পরিবারকে নিয়ে নিজের শহর লন্ডনে ফিরতে চান। সিরিয়ান বংশোদ্ভূত আসমার জন্মও হয়েছিল লন্ডনে। তাঁর বাবা-মা দু’জনই সিরিয়ান। আসমা নিজে একজন ব্রিটিশ-সিরিয়ান নাগরিক। ২০০০ সালে ২৫ বছর বয়সে লন্ডনে ডাক্তারি পড়তে আসা বাশার আল-আসাদের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তারপরই স্বামীর সঙ্গে থাকতে সিরিয়া চলে আসেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক সফর! ভারত কুয়েতের মধ্যে ৪টি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত

    লন্ডনে যেতে চান বাসার-পত্নী

    জানা গিয়েছে, রাশিয়ায় আশ্রয় দিলেও, সেখানে বাশার আল আসাদের (Bashar Al Asad) উপরে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিনা অনুমতিতে রাশিয়া তো দূর, মস্কোও ছাড়তে পারবেন না আসাদ। কোনও দলীয় কাজেও যুক্ত থাকতে পারবেন না তিনি। সূত্রের খবর, আসাদের যাবতীয় টাকাপয়সা, ধনসম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে রাশিয়া। সিরিয়া থেকে পালানোর সময় ২৭০ কেজি সোনা, ২ বিলিয়ন ডলার নিয়ে এসেছিলেন আসাদ। সেই সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়া মস্কোয় তাঁর ১৮টি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। সবই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, রাশিয়ার একটি আদালতেই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা ঠুকেছেন আসমা আল-আসাদ। এবং তিনি যাতে মস্কো ছেড়ে লন্ডন পাড়ি দিতে পারেন, তার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে বিশেষ অনুমতিও চেয়েছেন। দ্যা জেরুজালেম পোস্ট-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, আসমা আল-আসাদের আবেদন খতিয়ে এবং বিবেচনা করে দেখছে রুশ প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • America: ট্রাম্পের পছন্দ শ্রীরাম! এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় আমেরিকাকে দিশা দেখাবেন

    America: ট্রাম্পের পছন্দ শ্রীরাম! এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় আমেরিকাকে দিশা দেখাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রশাসনে ঠাঁই হতে চলেছে আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতের। আমেরিকার (America) অবস্থিত ভারতীয় বংশোদ্ভূতের নাম শ্রীরাম কৃষ্ণাণ। আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সে হোয়াইট হাউসে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠীত হতে চলা ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সিনিয়র উপদেষ্টার পদ পাচ্ছেন। আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় খোদ ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পদে শ্রীরাম কৃষ্ণাণের নাম ঘোষণা করেছেন। 

    কী বললেন ট্রাম্প?(America)

    সদ্য করা ঘোষণায়, প্রশাসনের (America) একগুচ্ছ পদে নিয়োগের কথা জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই ঘোষণার সময়ই তিনি শ্রীরাম কৃষ্ণাণের নাম ঘোষণা করেন। এক এক্স পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন,”শ্রীরাম কৃষ্ণাণ হোয়াইট হাউস অফিস অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সংক্রান্ত নীতিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা)-র জন্য সিনিয়র নীতি উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন”। নিজের পোস্টে ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, “ডেভিড স্যাক্সের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে, শ্রীরাম A.I.-তে আমেরিকান নেতৃত্ব অব্যাহত রাখার বিষয়ে ফোকাস করবেন এবং A.I. গঠন ও সমন্বয় করতে সাহায্য করবেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রেসিডেন্ট উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে তিনি কাজ করবেন।”

    কে এই শ্রীরাম কৃষ্ণাণ?

    জানা গিয়েছে, শ্রীরাম কৃষ্ণাণ সম্পর্কে জানা যাচ্ছে, তিনি ভারতের তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমের কাট্টাঙ্ককুলাথুরের এসআরএম ভাল্লিমাই ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়া ছিলেন। তাঁর কেরিয়ার শুরু মাইক্রোসফ্ট দিয়ে। সেখানে তিনি ‘উইন্ডোজ অ্যাজিউর’ তৈরি করতে কাজ করেছেন। এর এপিই ও পরিষেবার ক্ষেত্রে তিনি কাজ করেছেন। কৃষ্ণাণ একজন মার্কিনি শিল্পোদ্যগী। এছাড়াও তিনি ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট’ ও লেখক হিসেবে পরিচিত। ‘উইন্ডোজ অ্যাজিউর ফর ও’রেইলি’ বইটির লেখক কৃষ্ণাণ। এককালে ফেসবুকেও কাজ করেছেন তিনি। ২০১৩ সালে তিনি ফেসবুকে যোগ দেন। ফেসবুকে মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোডের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। পরে স্ন্যাপে ও তারপর টুইটারে কাজ করেছেন কৃষ্ণাণ। ২০১৯ সাল পর্যন্ত টুইটারে কাজ করেছেন কৃষ্ণাণ। যে টুইটার পরে এক্স হয় ও তার মালিকানা যায় মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের হাতে।

    কৃষ্ণাণ বলেন, “আমাদের দেশের সেবা করতে পেরে এবং ডেভিড স্যাক্সের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে আমি সম্মানিত।” কৃষ্ণাণের নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছে ভারতীয় আমেরিকান সম্প্রদায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Vietnam: ভারত থেকে ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চলেছে ভিয়েতনাম

    India Vietnam: ভারত থেকে ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চলেছে ভিয়েতনাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-ভিয়েতনাম (India Vietnam) সম্পর্কে অগ্রগতি। খুব শীঘ্রই ভারত থেকে ব্রহ্মোস মিসাইল কিনতে চলেছে ভিয়েতনাম। দুই দেশের মধ্যে শীঘ্রই এই নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে চলেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ৭০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ব্রহ্মোস মিসাইল সিস্টেম চুক্তি সই করার দিকে এগোচ্ছে দুই দেশ। এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে, ফিলিপিন্সের পর ভিয়েতনাম হবে দ্বিতীয় দেশ, যারা ভারত থেকে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল কিনবে।  

    চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ব্রহ্মোস নিয়ে ভিয়েতনামের (India Vietnam) প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। ভিয়েতনাম দীর্ঘ সময় ধরে চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া চেয়ে অপেক্ষা করছে। এই খসড়ায় চুক্তির পরিমাণ, ডেলিভারি সময়সীমা, পেমেন্ট শর্তাবলী ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ভিয়েতনামের সেনা ও নৌবাহিনী উভয়ই এই মিসাইল কেনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ভারত এবং ভিয়েতনামের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। সম্প্রতি ভিয়েতনাম আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা এক্সপো ভাইড-২৪-এ ভারতের প্যাভিলিয়ন যৌথভাবে উদ্বোধন করেন ভিয়েতনামের পাবলিক সিকিউরিটি মন্ত্রী, জেনারেল লুং তাম কোয়াং, ভারতের প্রতিরক্ষা উৎপাদন সচিব, সঞ্জীব কুমার, এবং ভারতের ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত সন্দীপ আর্য।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদির ঐতিহাসিক সফর! ভারত কুয়েতের মধ্যে ৪টি মউ চুক্তি স্বাক্ষরিত

    ভাইড-২৪-এ ভারতের প্রদর্শন

    ভাইড-২৪-এ (India Vietnam) বিশ্বব্যাপী প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির মধ্যে ভারতীয় প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিও প্রদর্শিত হয়েছিল। ভারতের তরফে ওই মেলায় ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেস, ডিআরডিও, হ্যাল, এবং ম্যাগন ডক শিপবিল্ডার্স ছিল। ভারতের সেনাবাহিনীর উপ-মুখ্য সদস্য, লেফটেন্যান্ট জেনারেল এন. এস. রাজা সুব্রহ্মণী ভিয়েতনামে সফর করছেন। তিনি ভাইড-২৪-এ অংশ নিয়েছেন। ভিয়েতনামে অফিসিয়াল সফরের সময়, তিনি হ্যানয়ে জাতীয় কনভেনশন সেন্টারে ভিয়েতনাম পিপলস আর্মির (VPA) ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেনাবাহিনীর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই সফর দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করেছে, যা কৌশলগত সহযোগিতা এবং বিশ্বাসের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত এবং এটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis 11: চিন্ময়প্রভুর গ্রেফতারিতে উত্তাল হয় বাংলাদেশ, সংঘর্ষ চট্টগ্রাম আদালতে, মৃত আইনজীবী

    Bangladesh Crisis 11: চিন্ময়প্রভুর গ্রেফতারিতে উত্তাল হয় বাংলাদেশ, সংঘর্ষ চট্টগ্রাম আদালতে, মৃত আইনজীবী

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ একাদশ পর্ব।

     

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-১১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হতেই বাংলাদেশ জুড়ে (Bangladesh Crisis 11) ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলন। হিন্দু সমাজের সদস্যরা দলে দলে রাস্তায় নামতে থাকেন এবং চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি তোলেন। শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারত সহ বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্রে ইসকন সন্ন্যাসীর মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নামেন সনাতনীরা। বাংলাদেশের মধ্যে বিক্ষোভ দেখা যায় চট্টগ্রামে। এর পাশাপাশি, ঢাকা, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, সিলেট, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী- এসমস্ত জায়গাতেও হিন্দু সমাজের মানুষেরা রাস্তায় নামেন এবং ইসকন সন্ন্যাসীর মুক্তির দাবি তোলেন। অনেক জায়গায় হিন্দু সমাজের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের পুলিশের সঙ্গে হিন্দু সমাজের ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। গ্রেফতারির পরে চিন্ময়প্রভুকে কারাগারে ওষুধ দিতে দেওয়া হয়নি পুলিশের তরফে, এমনটাই অভিযোগ সেসময় সামনে আসে বাংলাদেশের একাধিক হিন্দু সংগঠনের তরফে। ধৃত হিন্দু নেতাকে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে হেনস্থা করার অভিযোগও ওঠে।

    নিন্দা জানায় ইসকন (Bangladesh Crisis 11)

    চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করার (Bangladesh Crisis 11) পরেই বাংলাদেশের ইসকনের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দা জানানো হয় এবং এ ধরনের হিন্দু বিরোধী (Targeting Minority) কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়। ওই বিবৃতিতে ইসকন জানায়, তারা একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। তাই সেই ধর্মীয় সংগঠনের একজন সন্ন্যাসীর মৌলিক অধিকার রয়েছে শান্তি ও সম্প্রীতিতে বাঁচার অধিকার।

    চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে খুন আইনজীবী

    ২০২৪ সালের ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দরে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে, তারপর থেকে (Targeting Minority) এখনও পর্যন্ত (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) জেলেই রয়েছেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। ২৬ নভেম্বর তাঁকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। সেদিন তাঁর মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে কোর্ট চত্বরে। এই সংঘর্ষের সময় একদল আইনজীবীর সঙ্গে হিন্দু সমাজের সংঘর্ষ শুরু হলে, তার মাঝে পড়ে মৃত্যু হয় সাইফুল ইসলাম নামের এক আইনজীবীর। আইনজীবীর মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই নানা রকমের মতামত উঠে আসে। একটি সূত্র দাবি করে, ইসকন সমর্থকদের (Bangladesh Crisis 11) বাঁচাতে গিয়েই মরতে হয় সাইফুলকে। এখনও পর্যন্ত সাইফুলের মৃত্যু তদন্ত সাপেক্ষ।

    কী বলেছিল ইউনূস ঘনিষ্ঠ মিডিয়া? 

    তবে বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত একাধিক মিডিয়া খবর করেছে যে সাইফুল ইসলাম হল একজন পাবলিক প্রসিকিউটার এবং সে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে ডিফেন্ড করতে সেখানে যায়নি। যদিও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের একজন প্রতিনিধি সুমন রায় দাবি করেছেন যে সাইফুলকে হিন্দু ভেবেই হত্যা করা হয়েছে। চট্টগ্রামের সেদিনকার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে অজস্র হিন্দু জখম হন।  বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদ পত্রিকা দৈনিক ইত্তেফাকের রিপোর্ট অনুযায়ী (Bangladesh Crisis 11), চট্টগ্রাম আদালতে সেদিন শ্রীবাস দাস ছোটন, সুজিত ঘোষ, উৎপল- এই নামের হিন্দুরা গুরুতর ভাবে জখম হন। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন ২৬ নভেম্বর। বাংলাদেশের হিন্দু সন্ন্যাসীকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। হিন্দু সন্ন্যাসীর হয়ে সওয়াল করেন ৫১ জন আইনজীবী।

    ইউনূস সরকারের টার্গেট চিন্ময়প্রভু

    সাইফুলের মৃত্যু হতেই ইউনুস সরকার তড়িঘড়ি বিবৃতি জারি করে। তারা জানায়, যারাই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে চরমতম শাস্তি দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী দাবি করেন, সাইফুলের খুনিদের খুনের ঘটনায় অনেকেই যুক্ত হয়ে আছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার দফতরের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম দাবি করেন,যাঁরা এই খুনের ঘটনায় যুক্ত বা জড়িত আছেন, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে তিনি বলেন যে ওই হিন্দু সন্ন্যাসী বাংলাদেশ সম্প্রীতির পরিবেশকে নষ্ট করতে চাইছেন এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছেন তিনি।

    চট্টগ্রামে নামানো হয় সেনা, হয়রানির শিকার হিন্দুরা

    এরপরেই বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সেনা নামানো হয়। এই সেনা নামার পরেই চট্টগ্রামের একাধিক অঞ্চলে তারা তল্লাশি অভিযান চালাতে থাকে। তল্লাশির নামে হিন্দুদের ওপর আবারও অত্যাচার নেমে আসে এবং চট্টগ্রাম থেকে ৩০ হিন্দুকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের সেনা। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় আইনজীবী খুনের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Germany: জার্মানির ক্রিসমাস মার্কেটে গাড়ি হামলার ঘটনায় আহত ৭ ভারতীয়

    Germany: জার্মানির ক্রিসমাস মার্কেটে গাড়ি হামলার ঘটনায় আহত ৭ ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জার্মানির (Germany) ক্রিসমাস মার্কেটে সৌদি আরবের চিকিৎসকের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই হামলায় মোট সাতজন ভারতীয় আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনকে ইতিমধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জার্মান প্রশাসন (Christmas Market Attack)। অন্যদিকে, ভারতীয় দূতাবাস আহত ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

    বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি

    এনিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘জার্মানির (Germany) ক্রিসমাস মার্কেটে ভয়াবহ যে হামলা ঘটেছে তাতে অনেক মূল্যবান জীবন নষ্ট হয়েছে। এই হামলায় অনেকেই আহত হয়েছেন। আমরা দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি আহতদের। আমাদের মিশন হল সেই সমস্ত ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা, যাঁরা এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাঁদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি আমরা। সমস্ত ধরনের সম্ভাব্য সহায়তা তাঁদেরকে প্রদান করা হবে।’’ অন্যদিকে এই ঘটনায় ২০৫ জন আহত হয়েছেন (Germany) বলে জানা গিয়েছে। আহতদের ১৫টি আলাদা আলাদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    ৫০ বছর বয়সি ওই ডাক্তারের নাম তালেব আল আবদুল মহসেন

    ইতিমধ্যে প্রশাসন হামলাকারীকে চিহ্নিত করেছে। ৫০ বছর বয়সি ওই ডাক্তারের নাম তালেব আল আবদুল মহসেন। প্রসঙ্গত, মর্মান্তিক ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত হামলাকারির গাড়িতে কোনও রকমের বিস্ফোরক পায়নি। তবে জঙ্গি যোগ রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে। একটি তদন্তকারী দলকে ইতিমধ্যে বার্নবার্গ শহরে (Germany) পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেখানেই তালেব আল আবদুল মহসেন থাকতেন। তালেব পেশায় একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তিনি জার্মানিতে চলে আসেন ২০০৬ সালে। এরপরে জার্মানিতে তাঁকে উদ্বাস্তুর স্বীকৃতি দেওয়া হয় ২০১৬ সালে। সেখানেই তিনি স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে তোলেন। তবে এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। আট বছর আগে ২০১৬ সালে তিউনেশিয়ার একজন অনুপ্রবেশকারী আনিস আমরি বার্লিনের একটি খ্রিস্টান বাজারে একইভাবে ট্রাক চালিয়েছিলেন এবং ১২ জন সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছিলেন। এখানেই উঠছে প্রশ্ন! আশ্রয় নিয়েও উদ্বাস্তুরা জেহাদি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “রামায়ণ-মহাভারত অনুবাদ করতে কত সময় লাগল?” কুয়েতে প্রশ্ন মোদির

    PM Modi: “রামায়ণ-মহাভারত অনুবাদ করতে কত সময় লাগল?” কুয়েতে প্রশ্ন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামায়ণ-মহাভারতের আরবি অনুবাদকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শনিবার বিশ্বশ্রুত এই দুই মহাকাব্যের আরবি সংস্করণের প্রকাশকের সঙ্গেও সাক্ষাৎ (Kuwait) করেন তিনি। পরে দুটি বইয়ে স্বাক্ষরও করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর উচ্ছ্বসিত কুয়েতের প্রশাসক এবং অনুবাদকও।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন (PM Modi)

    দু’দিনের সফরে কুয়েত গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কুয়েত প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। দেখা করবেন সে দেশের প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও। শনিবার কুয়েতে পা রাখার পর প্রধানমন্ত্রী দেখা করেন রামায়ণ-মহাভারতের আরবি অনুবাদক আবদুল্লা বারন ও প্রকাশক আবদুল্লাতিফ আলনেসেফের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের জিজ্ঞেস করেন, “রামায়ণ-মহাভারত অনুবাদ করতে কত সময় লেগেছে?” তাঁরা জানান, দু’বছর আট মাস। প্রকাশক বলেন, “আমি খুব খুশি। এটা আমার কাছে সম্মানের। এই দুটো বই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উনি (মোদি) দুটি বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন।” অনুবাদক বলেন, “এই দুটি গ্রন্থের মাধ্যমে আমরা ভারতীয় সংস্কৃতিকে উপলব্ধি করেছি।”

    শতায়ু প্রাক্তন ফরেন সার্ভিসেস অফিসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ

    প্রসঙ্গত, রামায়ণ ও মহাভারত আরবি ভাষায় অনুবাদ হওয়ার খবর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) স্বয়ং। এদিকে, এদিন প্রধানমন্ত্রী দেখা করলেন ১০১ বছর বয়সী প্রাক্তন ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসেস অফিসার মঙ্গল সাঁই হান্ডার সঙ্গে। হান্ডার নাতনি শ্রেয়া জুনেজা সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদিকে তাঁর ঠাকুর্দার সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে কথা দিয়েছিলেন, তিনি কুয়েত পৌঁছেই দেখা করবেন। সেই কথা রাখতেই তিনি গিয়েছিলেন হান্ডার বাড়িতে।

    আরও পড়ুন: সিআইএর ধাঁচে বাংলাদেশে ইসলামিক রেভল্যুশনারি আর্মি গড়ছে আইএসআই!

    এদিন রওনা দেওয়ার আগে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছিলেন, “আজ ও আগামিকাল আমি কুয়েতে থাকব। এই সফর কুয়েতের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও মজবুত করবে। আমি কুয়েতের আমির, যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের অপেক্ষায় রয়েছি। আজ সন্ধ্যায় আমি ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করব এবং আরবিয়ান গালফ কাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও (Kuwait) যোগ দেব (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis 10: আক্রমণের প্রতিবাদে গর্জে ওঠে বাংলাদেশের হিন্দুরাও, বিক্ষোভ জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরের সামনেও

    Bangladesh Crisis 10: আক্রমণের প্রতিবাদে গর্জে ওঠে বাংলাদেশের হিন্দুরাও, বিক্ষোভ জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরের সামনেও

    হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই অশান্ত বাংলাদেশ। মন্দির ভাঙচুর, আগুন, মারধর, খুন-সবেতেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের কঙ্কালসার চেহারাটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কী ভয়াবহ এবং আতঙ্কের পরিবেশ সেখানে। শুধু কি সাধারণ নিরীহ হিন্দু বা হিন্দুদের মন্দির? না, বেছে বেছে কাঠগড়ায় তুলে চরম শাস্তি দেওয়া হয়েছে আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদেরও। কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, কীভাবে একের পর এক সরকারি অফিসার বা জনপ্রতিনিধির ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে, তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ অষ্টম পর্ব।

     

    অশান্ত বাংলাদেশ: টার্গেট হিন্দু-১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের অগাস্ট মাসের পাঁচ তারিখে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 10) সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন নেমে আসে। এরপর থেকেই হিন্দুদের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ শুরু হয়। চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই বড় আকারের সমাবেশ করে বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট (Targeting Minority)। ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গত ৪ অক্টোবর এখানে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু সমাজের ধর্মীয় নেতারা এবং তাঁরা নিজেদের বক্তব্যে হিন্দু ধর্ম তথা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলার নিন্দা করেন এবং দোষীদের বিচারের দাবিতে সরব হন।

    ১৯ জন হিন্দুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলা (Bangladesh Crisis 10)

    প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসের ২৬ তারিখ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবি সমেত অন্যান্য আট দফা দাবিতে চট্টগ্রামে এক বিশাল হিন্দু সমাবেশ আয়োজন করে সনাতন জাগরণ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। হিন্দু সমাজের ওই সমাবেশের পরে ফের একের পর এক সম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা শুরু হয়। চট্টগ্রামে অক্টোবর মাসেই বিতর্কিতভাবে দেশদ্রোহী মামলা দায়ের করা হয় ১৯ জন হিন্দুর বিরুদ্ধে। যাঁদের মধ্যে ছিলেন ইস্কন সন্ন্যাসীরাও। অভিযোগ করা হয় যে ইসকনের ওই সন্ন্যাসীরা বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 10) জাতীয় পতাকার ওপরে গৈরিক পতাকা উত্তোলন করেছেন।  

    ২ নভেম্বর সনাতন জাগরণ মঞ্চের সভা

    হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ চলতে থাকে নভেম্বর মাসেও। সেই সময়ও বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 10) একাধিক জায়গায় মন্দিরে-মন্দিরে হামলা, সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িতে লুট, অগ্নি-সংযোগের ঘটনা ঘটতে থাকে। গত ২ নভেম্বর সেখানকার সনাতন জাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকায় সভা করে। চট্টগ্রামের ওই সভার মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল, বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হওয়া হামলার বিচার। বিপুল সংখ্যায় হিন্দুরা ওই সমাবেশে যোগদান করে এবং তারা নিরাপত্তা তথা বিচারের দাবিতে গর্জন শুরু করে।

    বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা

    বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর লাগাতার এমন অত্যাচারের ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম সমেত বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis 10) জেলায় জেলায় বিক্ষোভের পাশাপাশি, নির্যাতিত হিন্দুদের পাশে দাঁড়াতে গোটা বিশ্বের সনাতনীরা মাঠে নেমে পড়ে। এক ব্যাপক হিন্দু আন্দোলন গড়ে ওঠে সারা বিশ্বজুড়ে। বিশ্বের কমবেশি প্রত্যেকটি দেশেই শুরু হয় প্রতিবাদ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সনাতনীরা হাতে পোস্টার এবং ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে সব থেকে বড় আকারের বিক্ষোভ হয়। বাংলাদেশি হিন্দু বংশোদ্ভুতরা জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। নিউইয়র্কের এই বিক্ষোভে ব্যাপক প্রভাব পড়ে দুনিয়াজুড়ে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অসংখ্য সংবাদমাধ্যমও এই ঘটনাগুলিকে খবরের আকারের প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশ করে। বিক্ষোভ চলতে থাকে মিশিগান, ওয়াশিংটন প্রভৃতি শহরে।

    বিক্ষোভ হোয়াইট হাউসের সামনেও

    অন্যদিকে, হিন্দুরা ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসের সামনেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। গোটা দুনিয়ার নজরে আনা হয় বাংলাদেশ সরকারের এমন বর্বরোচিত আচরণ। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবাদ দেখা যায় ব্রিটেনেও। সেখানেও দলে দলে হিন্দুরা রাস্তায় নামে। বাংলাদেশের হিন্দুদের বিরুদ্ধে হওয়া আক্রমণের ঘটনায় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বিল্ডিং-এর সামনে বিবিসি হেডকোয়ার্টারের পাশেই বিক্ষোভ চলতে থাকে। একইসঙ্গে বিক্ষোভ দেখানো হয় লন্ডনেও। শুধুমাত্র ব্রিটেন কিংবা আমেরিকা নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও শুরু হয় এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ। অস্ট্রেলিয়াতে ব্যাপক সংখ্যায় হিন্দুরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সে দেশে বিক্ষোভ চলে মেলবোর্ন অ্যাডিলেড পার্ক প্রভৃতি স্থানে।

    গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় প্রভুকে

    প্রসঙ্গত, মৌলবাদীদের পাশাপাশি সে দেশে প্রশাসনের মদতেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরে নির্বিচারে অত্যাচার শুরু হয়। হয়রানি করা হতে থাকে সেখানকার সাধু-সন্ন্যাসীদের। ইসকনের হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, যিনি ছিলেন সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের অন্যতম মুখপাত্র এবং ইসকনের সন্ন্যাসী, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা বিমানবন্দরে চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করা হয় ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের ২৫ তারিখ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় দেশদ্রোহিতার এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করার। এরপরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে যেদিন চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়, সেদিন ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে। সেখানে নিহত হয় এক আইনজীবী।

    গ্রেফতার চিন্ময় প্রভু, বিক্ষোভ বাংলাদেশজুড়ে 

    চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের পরেই বাংলাদেশ জুড়ে আবার ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে সংখ্যালঘু হিন্দুদের মধ্যে। দলে দলে হিন্দুরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করতে থাকেন। বিক্ষোভ শুরু হয় চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে। এর পাশাপাশি ঢাকা, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, সিলেট, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী প্রত্যেকটি জায়গাতে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নামে দলে দলে হিন্দুরা। একইসঙ্গে বাংলাদেশের ইসকন আনুষ্ঠানিকভাবে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • ISI: সিআইএর ধাঁচে বাংলাদেশে ইসলামিক রেভল্যুশনারি আর্মি গড়ছে আইএসআই!

    ISI: সিআইএর ধাঁচে বাংলাদেশে ইসলামিক রেভল্যুশনারি আর্মি গড়ছে আইএসআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন দিন জটিল হয়ে উঠছে বাংলাদেশের (Bangladesh) পরিস্থিতি। কারণ বিভিন্ন পক্ষ এই দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টায় লিপ্ত। বাংলাদেশকে এই ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা আইএসআইয়ের (ISI) কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কারণ এতে তারা শুধু যে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি স্থাপন করতে পারবে তা নয়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে হওয়া অপমানের প্রতিশোধও নিতে পারবে কড়ায় গন্ডায়।

    রাষ্ট্রের রাশ কবজা করাই লক্ষ্য (ISI)

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের প্রধান হন মহম্মদ ইউনূস। আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের মতে, এটি একটি সাজানো ছাত্র আন্দোলন। যে আন্দোলনের লক্ষ্যই ছিল হাসিনাকে গদিচ্যুত করে রাষ্ট্রের রাশ কবজা করা। আইএসআইয়ের এই উদ্দশ্যে একশো শতাংশ সফল (ISI)। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, ইউনূস বর্তমানে আইএসআইয়ের হাতের পুতুল। বাংলাদেশে ছাত্রদের এই আন্দোলন নিয়ে সবসময়ই সন্দেহ ছিল। এটি একটি পুরনো কৌশল, যা সিআইএ বহুবার ব্যবহার করেছে। ছাত্রদের দিয়ে সরকার পতনের জন্য এবং পরে কোনও দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য। এখন সিআইএর ইউক্রেন কৌশল বাংলাদেশের জন্য ব্যবহার করেছে আইএসআই। মস্কোপন্থী সরকার পতনের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল এই কৌশলই।

    ইসলামিক রেভল্যুশনারি আর্মি

    ইসলামিক রেভল্যুশনারি আর্মি নামে একটি নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে, যা ইউনূস-সমর্থিত অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন স্টুডেন্ট মুভমেন্টের (এডিএসএম) নেতারা পরিচালনা করছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কাছে এটি একটি বড় উদ্বেগের কারণ। কেননা, এই গোষ্ঠী সশস্ত্র আন্দোলনের ডাক দেয়। অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন স্টুডেন্ট মুভমেন্ট একটি ইসলামি বিপ্লবী আন্দোলন শুরুর পরিকল্পনা করছে। পৃষ্ঠপোষকতা (Bangladesh) করছেন জর্জ সরোস, বারাক ওবামা, বিল এবং হিলারি ক্লিনটনের মতো মানুষ। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস এঁদের অনুসারী। তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে ক্লিনটন, ওবামা এবং সরোসের। বাংলাদেশের এই ছাত্র আন্দোলনটি একটি সশস্ত্র সংগ্রামে রূপান্তরিত হওয়া শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের পক্ষেও উদ্বেগের। কারণ নয়া এই আন্দোলন পাকিস্তানের আইএসআইয়ের মদতপুষ্ট।

    বাংলাদেশে ঘাঁটি গাড়ার প্রস্তুতি

    ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে ঘাঁটি গাড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন স্টুডেন্ট মুভমেন্ট। নয়া সংগঠনে যোগদানের জন্য বহু যুবককে আহ্বানও জানিয়েছে তারা। নয়া এই গোষ্ঠী তৈরি সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ইসলামি উগ্রপন্থার দিকে এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয় বই কি! এই গোষ্ঠী গঠিত হলে, অস্থিরতা সৃষ্টি করার কাজে লিপ্ত হতে পারে। যার জেরে এক বিপজ্জনক যুগের সূচনা হতে পারে ভূ-রাজনীতিতে। ইসলামিক বিপ্লবী সেনাবাহিনীর গঠন শেষ হবে এই মাসের শেষের দিকে। এডিএসএমের তরফে আশিকুর রহমান জিম জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে তিন দিনের একটি মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হবে। পরে, সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীকে দিয়ে এক মাসের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালিত হবে।

    সিআইএর স্ট্র্যাটেজি

    জানা গিয়েছে, নয়া দলটি সিআইএর স্ট্র্যাটেজি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছে। একই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল রাশিয়া-সমর্থিত ইউক্রেন সরকারের অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য। এখানে বিদ্রোহী ছাত্ররা একটি মিলিশিয়া গঠন করেছিল। পরে তাণ্ডব চালিয়ে রাজ্যের পরিকাঠামো ধ্বংস করেছিল। এটি পুলিশ বাহিনী ধ্বংস করার পাশাপাশি ইউক্রেনের রুশভাষী জনগোষ্ঠীকে বিশেষভাবে টার্গেট করেছিল। বাংলাদেশেও আইএসআই একই কাজ করতে চায়। এবং শেষ পর্যন্ত এটিকে পাকিস্তানের মতো একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। এর মাধ্যমে আইএসআই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রতিশোধ নিতে চায়। তাছাড়া বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হলে তা হবে ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে দুঃস্বপ্ন স্বরূপ। এর পাশাপাশি, এই ছাত্র মিলিশিয়া বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের টার্গেট করবে। এরাই অত্যাচার করছে হিন্দুদের ওপর।

    প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব

    জানা গিয়েছে, আইএসআই স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপকে (এসএসজি) এই ছাত্রদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে দুবাই এবং কাতারে বৈঠকও করেছে তারা। এই এসএসজি অতীতে হিজবুল-উত-তাহরিরের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এই মিলিশিয়া একা কাজ করবে না। আপাতত এর ভূমিকা বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আর এসএসজি-প্রশিক্ষিত জঙ্গি গোষ্ঠী হিজব-উত-তাহরির ভারতে হামলা চালাবে। এজন্য সম্প্রতি এসএসজি ৩০০ জন জঙ্গিকে প্রশিক্ষণও দিয়েছে (ISI)।

    আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে ধৃত দুই জঙ্গি মণিরুল-আব্বাস কী কাজ করত? চালচলন নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

    ইউনূস সরকারের কারণে পাকিস্তানের কাজ সহজ হয়ে গিয়েছে। জঙ্গিদের প্রতিটি দাবিই মেনে নিয়েছে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের জলসীমা উন্মুক্ত করার ফলে পাকিস্তান সমুদ্রপথে অবাধ প্রবেশাধিকার পেয়েছে। ইতিমধ্যেই অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং মাদক পাচারে ব্যবহৃতও হচ্ছে। সমুদ্রপথটি ব্যবহৃত হচ্ছে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিদের বাংলাদেশে পাঠানোর কাজে। তার জেরেই অশান্তির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। যা ক্রমেই মাথাব্যথার (ISI) কারণ হয়ে উঠছে ভারতের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Germany: জঙ্গি যোগ! জার্মানির ভিড় বাজারে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে ২ জনকে পিষলেন ‘উদ্বাস্তু’ চিকিৎসক

    Germany: জঙ্গি যোগ! জার্মানির ভিড় বাজারে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে ২ জনকে পিষলেন ‘উদ্বাস্তু’ চিকিৎসক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার জার্মানির (Germany) ম্যাগডেবার্গ শহরে একটি হাড়হিম করা ঘটনা ঘটে। ওই শহরের জনবহুল বাজারে ইচ্ছাকৃতভাবে রুদ্ধশ্বাসে গাড়ি চালিয়ে কয়েকজনকে পিষে দেন সৌদি আরবের এক ডাক্তার। জার্মানির স্থানীয় সংবাদপত্রগুলির রিপোর্ট অনুযায়ী, এই পরিকল্পিত হামলায় কমপক্ষে দুজন নিহত হয়েছেন এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন। মর্মান্তিকভাবে নিহতদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। এটা কি জার্মানির উদারমনস্ক উদ্বাস্ত নীতির ফল? উঠছে প্রশ্ন।

    ৫০ বছর বয়সি ওই ডাক্তারের নাম তালেব আল আবদুল মহসেন

    ইতিমধ্যে সে রাজ্যের স্থানীয় প্রশাসন হামলাকারীকে চিহ্নিত করেছে। ৫০ বছর বয়সি ওই ডাক্তারের নাম তালেব আল আবদুল মহসেন। প্রসঙ্গত, মর্মান্তিক ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত হামলাকারির গাড়িতে কোনও রকমের বিস্ফোরক পায়নি। তবে জঙ্গি যোগ রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে। একটি তদন্তকারী দলকে ইতিমধ্যে বার্নবার্গ শহরে (Germany) পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেখানেই তালেব আল আবদুল মহসেন থাকতেন। তালেব পেশায় একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তিনি জার্মানিতে চলে আসেন ২০০৬ সালে। এরপরে জার্মানিতে তাঁকে উদ্বাস্তুর স্বীকৃতি দেওয়া হয় ২০১৬ সালে। সেখানেই তিনি স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে তোলেন।

    ১৫ জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক (Germany)

    হামলার খবর পৌঁছতেই সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যায় পুলিশ ও দমকল। একশোর বেশি দমকল কর্মী এবং ৫০ জন অন্যান্য উদ্ধারকর্মী উদ্ধারকার্যে নেমে পড়েন। জানা গিয়েছে , আহতদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরবের প্রশাসন এবং সমবেদনা জানিয়েছে নিহত জার্মান নাগরিকদের প্রতি।

    ২০১৬ সালেও একই কায়দায় হামলা চালানো হয়

    গতকালের এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। আট বছর আগে ২০১৬ সালে তিউনেশিয়ার একজন অনুপ্রবেশকারী আনিস আমরি বার্লিনের একটি খ্রিস্টান বাজারে একইভাবে ট্রাক চালিয়েছিলেন এবং ১২ জন সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছিলেন। এখানেই উঠছে প্রশ্ন! আশ্রয় নিয়েও উদ্বাস্তুরা জেহাদি কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।

    ম্যাগডেবুর্গ শহরের (Germany) মেয়র সিমোন বোরিসের বিবৃতি 

    এনিয়ে শহরের মুখপাত্র মাইকেল রেইফ বলেন, ‘‘ঘণ্টায় ১৩০ কিমি বেগে টাউন হলের সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভিড়ের মধ্যে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়েছেন অভিযুক্ত।’’ তিনি এও বলেন, ‘‘হামলাকারী একাই ছিলেন। ফলে এই মুহূর্তে নতুন করে হামলার কোনও আশঙ্কা নেই। তবু ঝুঁকি না নিয়ে শহরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।’’ যেখানে হামলা চালানো হয়েছে সেটি ম্যাগডেবার্গ শহরের ক্রিসমাস মার্কেট হিসেবে পরিচিত। বড়দিন উপলক্ষে ইতিমধ্যে আলোতে সেজে উঠেছে ৪০০ মিটার ওই এলাকা। সন্ধ্যায় অনেকেই সেখানে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। খবরে প্রকাশ, একটি কালো রঙের বিএমডব্লু ভাড়া করেন অভিযুক্ত। এরপরই বেপরোয়া গতিতে ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চালিয়ে দেন তিনি। যা থেকে তদন্তকারীরা মনে করছেন, পুরোটাই পরিকল্পিত, হামলা চালানোর জন্যই ওই সৌদি ডাক্তার এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন। ম্যাগডেবুর্গ শহরের মেয়র সিমোন বোরিস বলেছেন, ‘‘আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আমি কখনই ভাবতে পারিনি যে ম্যাগডেবুর্গ শহরে এমন একটি ঘটনা ঘটবে।’’

    ২০১৮ সালের সমীক্ষা (Germany)

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে জার্মান (Germany) দেশে একটি সমীক্ষা হয়। সেই সমীক্ষায় উঠে আসে যে, সে দেশের চতুর্থ জনবহুল রাজ্য লোয়ার স্যাক্সনিতে অনুপ্রবেশকারীদের কারণেই হিংসাত্মক কার্যকলাপ সব থেকে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই পরিসংখ্যান বলছে ২০০৭ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে লোয়ার স্যাক্সনিতে অপরাধ ২১.৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ আবার ১০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে যায় অপরাধ। পরিসংখ্যান বলছে, লোয়ার স্যাক্সনি শহরের প্রায় সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি উদ্বাস্তু রয়েছেন এবং তাঁরা জার্মান দেশের নাগরিকত্ব ছাড়াই সেখানে বসবাস করছেন। তথ্য বলছে, ২০১৬ সালের শেষের দিকে, প্রায় ১.৫ লাখ উদ্বাস্ত জার্মান দেশে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, লোয়ার স্যাক্সনিতে মোট অপরাধের ৯২.১ শতাংশই উদ্বাস্তুদের কারণে হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share