Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Hilsa fish: দুর্গাপুজোর আগেই বাংলাদেশ থেকে রাজ্যে ঢুকবে ৩ হাজার টন ইলিশ, সুর নরম ইউনূসের?

    Hilsa fish: দুর্গাপুজোর আগেই বাংলাদেশ থেকে রাজ্যে ঢুকবে ৩ হাজার টন ইলিশ, সুর নরম ইউনূসের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে পুজোতে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির পাতে পড়তে চলছে পদ্মপারের ইলিশ (Hilsa fish)। দুর্গাপুজোতে বাংলাদেশ থেকে তিন হাজার টন ইলিশ আসতে চলেছে। গত ৫ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। কোটা বিরোধী আন্দোলনের ফলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদচ্যুত হতে হয়েছিল। ওই দেশে, ভারত বিদ্বেষী মনোভাব অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টার গলায় শোনা গিয়েছিল। একই ভাবে সংখ্যালঘু হিন্দু সমাজের উপর অত্যাচারে ভারত সরকার সতর্কবার্তা দিয়েছিল। প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে (Bangladesh), প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হিন্দুদের জীবন-সম্পত্তির রক্ষাকে সুনিশ্চিত করার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। উভয়দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে কিছুটা প্রলেপ দিতে কি ইলিশের আগমন? প্রশ্ন উঠছে।

    কূটনৈতিক সম্পর্ককে ঠিকঠাক করতে চেষ্টা (Hilsa fish)

    শনিবার, বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তাতে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ (Hilsa fish) পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইতিমধ্যে যারা আগে আবেদন করেছে, তাদের নতুন করে আবেদন করতে হবে না। যারা নতুন করে করতে চায়, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করলেই হবে। তবে এই ইলিশ এখন কতটা মধ্যবিত্তের নাগালে থাকবে, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। যদিও বাংলদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর, ভারতে তারা ইলিশ পাঠাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে গত একমাসের বেশি সময়ে খারাপ প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন বিশেজ্ঞরা। তাই যেহেতু অনেক পণ্য, সরঞ্জাম এবং চিকিৎসায় ভারতের উপর বাংলাদেশকে নির্ভর করতে হয়, তাই কূটনৈতিক সম্পর্ককে ঠিকঠাক করতে ইউনূস সরকার ইলিশ পাঠিয়ে ইতিবাচক বার্তা দিতে চাইছে। তবে মৎস্য ব্যবসায়ীরা কূটনীতি নিয়ে মন্তব্য করতে একেবারেই নারাজ।

    দাম কত হবে তাই এখন দেখার বিষয়

    ভারতের মৎস্য আমদানি সংগঠন ‘ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “পুজো উপলক্ষে প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এপারে ইলিশ চলে আসে। এই বছর তা এখনও সম্ভব হয়নি। শনিবার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ছাড়পত্র দেওয়ায় ইলিশ নিয়ে সকলেই আশাবাদী। একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, যা মনে হয় এবার কেটে গিয়েছে। উৎসবের মধ্যে এপার বাংলার বাঙালির পাতে ইলিশ (Hilsa fish) পড়বে, এটা খুব আনন্দের কথা। তবে বাজারে দাম কত হবে, তাই এখন দেখার বিষয়।”

    ঢাকায় কত দাম?

    শনিবার ঢাকার খুচরো বাজারে এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের (Hilsa fish) দাম ছিল বাংলা ১৭০০ টাকা। যদিও দাম ১৭০০ থেকে ২২০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই মাছ যখন পশ্চিমবঙ্গে আসবে, তখন কেজি প্রতি ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা হতে পারে। এখান প্রায় ৩০ শতাংশ দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য গত বছর এই ইলিশের দাম ছিল ৭০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে। এখন এত দাম দিয়ে কি কেউ কিনতে রাজি হবে? তবে বৈধ ভাবে মাছ রফতানিতে বাংলাদেশের ফিশারি অ্যাসোসিয়েশন এবং আসাদুন্নবি ফিশারিজ অ্যান্ড মার্চেন্ট কর্পোরেশন দরপত্র ডাকে। কিন্তু বৈধভাবে মাছ না ঢুকলেও মাছের ছড়াছড়ি হবে। কারণ নদী পথে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ হয়ে থাকে। সেগুলি প্রায় ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে পারে।

    আরও পড়ুনঃ কোয়াড সামিটে বিশ্বনেতা মোদি, বার্তা দিলেন প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষার

    ২০২৩ সালে ৪০০০ টন ইলিশ এসেছিল

    বাংলাদেশ (Bangladesh) ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতি বছর প্রায় ৫ হাজার টন ইলিশ (Hilsa fish) রফতানি করে আসছিল। কিন্তু ২০১২ সালে হঠাৎ করেই তা বন্ধ হয়ে যায় অজ্ঞাত কারণে। কয়েক বছর আগে শেখ হাসিনা সরকার দুর্গাপুজোর সময় নির্দিষ্ট পরিমাণে ইলিশের অনুমোদন দিয়ে রফতানির অনুমতি দেয়। ২০২৩ সালে ওই দেশের মৎস্য মন্ত্রণালয় ৭৯টি কোম্পানিকে দুর্গাপুজো উপলক্ষে  ৫০ টন করে মোট প্রায় ৪০০০ টন ইলিশ রফতানি করার অনুমতি দিয়েছিলেন। এবার অনেকটাই ভাটা পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: কোয়াড সামিটে বিশ্বনেতা মোদি, বার্তা দিলেন প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষার

    PM Modi: কোয়াড সামিটে বিশ্বনেতা মোদি, বার্তা দিলেন প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিনের মার্কিন সফরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। প্রথম দিনেই তিনি কোয়াড সম্মেলনে যোগ দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘কোয়াড (QUAD Summit) নেতার অর্থ হল আন্তর্জাতিক নিয়ম ও প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানানো। আমরা এমন সময়ে একজোট হয়েছি, যখন বিশ্বজুড়ে অশান্তি-যুদ্ধ চলছে। পারস্পরিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে কোয়াড কাজ করছে, যা গোটা মানবতার জন্যই অত্যন্ত জরুরি।’’ এর পরেই মোদি বলেন, ‘‘আমরা কেউ কারোর বিরুদ্ধে নই। আমরা সবাই আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে নিয়ম, পারস্পরিক সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান জানিয়ে এবং শান্তিপূর্ণভাবে সব সমস্যার সমাধান করতে একে অপরকে সমর্থন করি।’’

    ২০২৫ সালে কোয়াড বৈঠক ভারতে!

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের কোয়াড সামিট (QUAD Summit) ভারতেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুরোধে তা আমেরিকায় বাইডেনের নিজের শহর ডেলাওয়ারে আয়োজন করা হয়। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘আমাদের বার্তা অত্যন্ত স্পষ্ট-কোয়াড থাকবে, এক অপরকে সাহায্য, অংশীদারিত্বে সামিল হবে। আমি আরও একবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও আমার সকল সঙ্গীদের স্বাগত জানাই। আগামী ২০২৫ সালে ভারতে কোয়াড লিডার্স সামিট আয়োজন করতে রাজি আমরা।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছাড়াও এই কোয়াড সামিটে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা।

    গতকাল শনিবারই ফিলাডেলফিয়াতে পৌঁছান মোদি (PM Modi)

    প্রসঙ্গত, গতকালই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরেই তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এখানে একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোদির বিশেষ বিমান অবতরণ করতেই ট্যুইট ভেসে আসে প্রধানমন্ত্রীর এবং তিনি (PM Modi) লেখেন, ‘‘ফিলাডেলফিয়াতে পৌঁছালাম। আজকে কোয়াড সামিট এবং বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়েই ব্যস্ত থাকব। আমি একেবারে নিশ্চিত যে এই আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসু হবে এবং তা আগামী পৃথিবীকে দিশা দেখাবে। এই আলোচনা বিশ্বব্যাপী অনেক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।’’ মোদির বিমান ফিলাডেলফিয়াতে পৌঁছানো মাত্রই প্রবাসী ভারতীয়রা তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: মণ্ডপে যেন হামলা না হয়! দুর্গা পুজোর আগে দাবি পেশ বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনের

    Bangladesh: মণ্ডপে যেন হামলা না হয়! দুর্গা পুজোর আগে দাবি পেশ বাংলাদেশের হিন্দু সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকেই বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দুদের ওপরে নেমে আসে অকথ্য নির্যাতন। একাধিক জায়গাতে হিন্দু নেতা থেকে সাংবাদিকদের হত্যা করা হতে থাকে। ঠিক এই আবহে দুর্গা পুজোর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বেশ কতকগুলি দাবি পেশ করল জাতীয় হিন্দু জোট (National Hindu Alliance) নামের বাংলাদেশের একটি সংগঠন। বাংলাদেশের হিন্দু সমাজ আনন্দ-উৎসাহের সঙ্গে যাতে দুর্গাপুজো পালন করতে পারে সেই দাবি জানানো হয় ইউনূস সরকারের কাছে। এর পাশাপাশি মণ্ডপগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো ও নিরাপত্তার দাবিও জানানো হয়।

    বিগত বছরগুলিতে দুর্গা পুজোতে মৌলবাদী হামলার ঘটনা ঘটে (Bangladesh) 

    প্রসঙ্গত, বিগত বছরগুলিতে দুর্গা পুজোর সময় ব্যাপক সম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা গিয়েছে বাংলাদেশে। একাধিক জায়গাতে প্রতিমা ভাঙচুরসহ দুর্গা পূজার প্যান্ডেল তছনছ করে মৌলবাদীরা। চলতি বছরে যেন সে ধরনের কোনও ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তাই জাতীয় হিন্দু জোট শনিবারে ঢাকা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে। জাতীয় হিন্দু জোটের নেতারা বলেন যে হিন্দু সমাজে দুর্গা পুজোর যে গুরুত্ব তা বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার কখনও দেয় না, এত বড় উৎসবে মাত্র একদিনের সরকারি ছুটি দেওয়া হয়। তাই সামনের দুর্গা পুজোতে তিন দিনের সরকারি ছুটিও দাবি করেছেন সে দেশের সংখ্যালঘু সমাজের প্রতিনিধিরা।

    বাংলাদেশে ৩২,৬৬৬টি বারোয়ারি পুজো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে

    এর পাশাপাশি আগামী দুর্গা পুজোতে কোনও ধরনের হামলার ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে (Bangladesh) কাছে দাবি জানিয়েছে ওই সংগঠন। এদিনই ঢাকাতে জাতীয় হিন্দু জোটের নেতারা বলেন, দুর্গা পুজো সমগ্র বাঙালি জাতির ঐক্যের প্রতীক। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ইতিমধ্যে দুর্গা পুজোর সময় হিন্দুদের (National Hindu Alliance) বেশ কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। যেমন আজান ও নামাজের ৫ মিনিট আগে পূজা কমিটিগুলোকে যেকোনও ধরনের অনুষ্ঠান, সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে চলতি বছরে বাংলাদেশে ৩২,৬৬৬টি বারোয়ারি পুজো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সেদেশে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের পাহাড়ে অমুসলিমদের উপর হিংসা, আদিবাসীদের অবরোধে স্তব্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের পাহাড়ে অমুসলিমদের উপর হিংসা, আদিবাসীদের অবরোধে স্তব্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে সেনা এবং মুসলিম কট্টরপন্থীরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী চাকমাদের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। গণহত্যার শিকার হচ্ছে পার্বত্য বাংলাদেশের আদি বাসিন্দারা। এমনই অভিযোগ তুলল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জনজাতি সংগঠন। অবিলম্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছে তারা। শুক্রবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওই স্মারকলিপি পাঠানো হয়। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি ভায়াবহ। সেনাবাহিনীর অত্যাচারের প্রতিবাদে সেখানে শনিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন। সেনার গুলিতে  বৃহস্পতিবার সেখানে তিনজন পাহাড়িয়াবাসী মারা যায়। তারপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

    ঘটনার সূত্রপাত

    সূত্রের খবর, বুধবার খাগড়াছড়ি নোয়াপাড়া এলাকায় মহম্মদ মামুন নামে এক দুষ্কৃতী মোটরসাইকেল চুরি করে পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন। আহত অবস্থায় ধরা পড়ার পরে তাঁকে মারধর করা হয়। পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান। স্থানীয় দিঘিনালা সরকারি কলেজের বিএনপি এবং জামাতে ইসলামির সমর্থক ছাত্ররা অভিযোগ তোলে মানুনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। এরই জেরে ঝামেলা শুরু হয়। অভিযোগ, কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে খাগড়াছড়ি শহরের বোয়ালপাড়া বাজার, লারমা স্কোয়ারের মতো এলাকায় অমুসলিম আদিবাসীদের বাড়িঘর, দোকান, ধর্মস্থান ভেঙে আগুন ধরানো হয়। পিটিয়ে মারা হয় কয়েক জনকে।

    হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই অত্যাচার

    আদিবাসীদের অভিযোগ, হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই বাইরে থেকে এসে বসতি গড়া লোকেরা চাকমাদের উপরে হামলা, জমি দখল এবং দেশছাড়ার জন্য হুমকি দিতে শুরু করেছে। হামলাকারীদের প্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছে বাংলাদেশ সেনা। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা, খাগড়াছড়ি, বান্দারবন এবং রাঙামাটিতে আদি বাসিন্দা চাকমা এবং অন্যান্য জনজাতি গোষ্ঠীর উপর গত ৭২ ঘণ্টা ঘরে ধারাবাহিক হামলা চলছে। খুন হয়েছেন অন্তত ১০ জন অমুসলিম। পোড়ানো হয়েছে চাকমা, কুকি, ব্রু এবং অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের হাজারেরও বেশি বাড়িঘর, ধর্মস্থান, দোকান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সেনা, বিজিবি এবং র‌্যাব বাহিনীও বিচ্ছিন্নতাবাদী দমনের অছিলায় অমুসলিমদের উপর নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। চট্টগ্রামের সমতল এলাকাতেও বৌদ্ধ, হিন্দু, খ্রিস্টানদের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে। পরিস্থিতি সামলাতে সেনা মোতায়েন করা হলেও তাতে অমুসলিম জনজাতিদের মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। পরিকল্পিত ভাবে অন্তর্বর্তী সরকার হিংসা ছড়িয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে জনবিন্যাসের চরিত্র বদলে দিতে চাইছে বলে অভিযোগ। 

    দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলনের ডাক

    শুক্রবার চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি-সহ বিভিন্ন এলাকার সমাবেশ করে দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলনের ডাক দিয়েছে পাহাড়ে বসবাসকারী চাকমা-সহ বিভিন্ন অমুসলিম জনজাতি সংগঠনগুলি। তাঁদের ‘আদিবাসী’ তকমা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সক্রিয় হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ‘মার্চ ফর আইডেন্টিটি’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে পাহাড়ি অমুসলিমরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকার সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। কিন্তু তাতে সমস্যা বাড়বে বলেই মত সাধারণ বাসিন্দাদের।

    কবে থেকে সংঘাতের শুরু

    আশির দশকে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনবিন্যাস বদলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের আমলে প্রায় ৫০ হাজার সমতলের মানুষকে পাহাড়ে বসতি গড়ে দেওয়া হয়। ‘সেটলার’ নামে পরিচিত সেই জনগোষ্ঠী আজ সংখ্যায় বহুগুণ বেড়ে চাকমা ও অন্য জনজাতিদের অস্তিত্বের সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে। আর সেখান থেকেই সংঘাতের সূত্রপাত। নতুন সরকারের আমলে তাঁদের ‘আদিবাসী’ পরিচয়ও মুছে ফেলার চেষ্টা শুরু হয়েছে বলে চাকমা সংগঠনগুলির অভিযোগ। কয়েকশো বছর ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় কুকি-চিন জনগোষ্ঠীর বাস। ভারত এবং মায়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের অঞ্চলগুলি নিয়ে কুকি স্বশাসিত অঞ্চলের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই লড়াই চালাচ্ছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। সম্প্রতি কুকি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনের নামে নতুন করে অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনা এবং র‌্যাব। জঙ্গি দমন অভিযানের নামে সাধারণ কুকিদের উপর অত্যাচারের অভিযোগও উঠেছে।

    আরও পড়ুন: কীভাবে হিজবুল্লার বিরুদ্ধে পেজার অপারেশনের ছক কষেছিল মোসাদ?

     প্রধানমন্ত্রী মোদির হস্তক্ষেপ দাবি 

    বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে অমুসলিমদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে ত্রিপুরার শিল্প-বাণিজ্য ও কারামন্ত্রী সান্তনা চাকমা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির হস্তক্ষেপ দাবি করে জানিয়েছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবনে হিংসায় মোট ৪০ জন জনজাতি বা পাহাড়ের আদি বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। ১০০ বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ভারতে জনজাতিদের একাধিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ দাবি করেছে। চাকমা ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সুহাস চাকমা, ভারতের জাতীয় তফশিলি উপজাতি কমিশনের সদস্য নিরুপম চাকমা এবং মিজোরামের বিধায়ক রশিক মোহন চাকমা প্রধানমমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে চট্টগ্রামে চাকমাদের উপর মুসলিমদের নির্যাতনের প্রতিবাদে বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel-Hezbollah Conflict: কীভাবে হিজবুল্লার বিরুদ্ধে পেজার অপারেশনের ছক কষেছিল মোসাদ?

    Israel-Hezbollah Conflict: কীভাবে হিজবুল্লার বিরুদ্ধে পেজার অপারেশনের ছক কষেছিল মোসাদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেবাননের হিজবুল্লা (Israel-Hezbollah Conflict) গোষ্ঠীর ওপর বারবার আক্রমণ চালাচ্ছে ইজরায়েল। পেজার, (Pager Blast) ওয়াকিটকির পর ল্যান্ডফোন বিস্ফোরণেই থেমে নেই তেল আভিভ। এয়ারস্ট্রাইকের মাধ্যমে লেবাননে হিজবুল্লার সামরাস্ত্রকেও টার্গেট করেছে ইজরায়েলি সেনা। এককথায় যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। মঙ্গলবার লেবাননের বিভিন্ন স্থানে একযোগে পেজার বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে হয়েছিল যার সূচনা। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের বিশ্বখ্যাত গুপ্তচর বাহিনী মোসাদের তৈরি একটি বেনামি সংস্থাই এই পেজারগুলি তৈরি করেছিল এবং সেগুলিতে বিস্ফোরক সংযোজন করেছিল। এরপর গোপনে পরিকল্পনা করে সেই পেজার ইরান-সমর্থিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লাহকে সরবরাহ করা হয়।

    কীভাবে পেজার হামলার পরিকল্পনা

    এর আগে, মনে করা হয়েছিল যে ইজরায়েলের (Israel-Hezbollah Conflict) গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ সরবরাহ চেনে ঢুকে তাইওয়ানে তৈরি পেজারগুলিতে বিস্ফোরক লাগিয়েছিল। তবে নতুন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ইজরায়েল প্রথম থেকেই একটি শেল (ভুয়ো) কোম্পানি তৈরি করেছিল, যার মাধ্যমে পেজারগুলি সরবরাহ করা হয়। এমনকী, আরও দুটি কোম্পানি তৈরি করেছিল ইজরায়েল, যাতে আসল নির্মাতাদের পরিচয় লুকানো যায়। মোসাদ তাদের ফোনে আড়ি পাতছে বা ট্র্যাক করছে ধরে নিয়ে হিজবুল্লার শীর্ষ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ তার সদস্যদের আধুনিক যোগাযোগ ডিভাইস, যেমন মোবাইল ফোন, ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন, কারণ সেগুলি হ্যাক বা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেই মোতাবেক, ফোনের বদলে পেজার ব্যবহার করার ফরমান জারি করেন নাসরাল্লাহ। কিন্তু পেজারকেও যে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে তা বুঝতে পারেনি হিজবুল্লা। আচমকা পেজার-অ্যাটাকের দাপটে হিজবুল্লা ঘাবড়ে গিয়েছে বলে একাংশের মত। 

    পরিকল্পনা করে হামলা

    নিরাপদ এবং গোপনীয় যোগাযোগের জন্য হিজবুল্লা (Israel-Hezbollah Conflict) হাজার হাজার পেজার কেনার আদেশ দেয়। গত কয়েক মাসে পেজারগুলি হাঙ্গেরি-ভিত্তিক একটি কোম্পানির মাধ্যমে লেবাননে আমদানি করা হয়। লেবানন থেকে পেজারগুলির অর্ডার পাওয়ার পরে, ইজরায়েলের গোয়েন্দারা একটি সংস্থা তৈরি করে। এই শেল কোম্পানিটি তিন বছরের ব্র্যান্ড-লাইসেন্সিং চুক্তির অধীনে তাইওয়ানের কোম্পানি গোল্ড অ্যাপোলোর ব্র্যান্ডিং ব্যবহার করেছিল। শেল কোম্পানিটি হাঙ্গেরিতে সদর দফতর স্থাপন করে, এবং তাইওয়ানের গোল্ড অ্যাপোলোর সাথে চুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের জন্য পেজার তৈরি করতে দেখা যায়। এরাই পরে হিজবুল্লার জন্য বিস্ফোরক যুক্ত পেজার তৈরি করে।

    লেবাননই এখন যুদ্ধক্ষেত্র

    মিডিয়ার একাংশের দাবি, পেজার-বিস্ফোরণের (Pager Blast) ঠিক আগে লেবাননে হামলা চালাবে বলে ইজরায়েল (Israel-Hezbollah Conflict) আগাম জানিয়ে রেখেছিল আমেরিকান প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনকেও। ওয়াশিংটন তা স্বীকার করলেও তাদের দাবি, হামলার ধরন সম্পর্কে তারা একেবারেই অবগত ছিল না। ইজরায়েল যে কোনও মুহূর্তে লেবাননে ‘গ্রাউন্ড ইনভেশন’ চালাতে পারে বলেও এখন আশঙ্কা একাংশের। লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অরাষ্ট্রীয় মিলিটারি (নন স্টেট অ্যাক্টর) সংগঠন বলে মনে করা হয়। লেবানন, সিরিয়া, ইরানে ছড়িয়ে থাকা হিজবুল্লার সদস্য সংখ্যা লাখখানেকের বেশি। যার মধ্যে শুধু লেবাননেই অ্যাক্টিভ যোদ্ধা অন্তত ২০ হাজার। ইজরায়েলি আগ্রাসন রুখতে ১৯৮২ সালে লেবানেন জন্ম নেয় ‘হেজবোল্লা— পার্টি অফ গড’। তাই হামাসের মতো হিজবুল্লার সঙ্গেও ইজরায়েলের সংঘাত কয়েক দশকের। গত ৭ অক্টোবরের পর হিজবুল্লা প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের পক্ষ নেওয়ার পর থেকেই তিক্ততা আরও বেড়েছে। ইলেকট্রনিক্স অ্যাটাকের পর এয়ারস্ট্রাইক তারই জের বলে মনে করা হচ্ছে। 

    হিজবুল্লা-র কাছে বড় ধাক্কা

    লেবাননে পেজার (Pager Blast) ও ওয়াকি-টকির বিস্ফোরণে ৮৭৯ জন হিজবুল্লা সদস্য নিহত হয়েছেন, এমনই তথ্য উঠে এসেছে হিজবুল্লার অভ্যন্তরীণ সামরিক গোয়েন্দা নথি থেকে। এই বিস্ফোরণে ১৩১ জন ইরানি ও ৭৯ জন ইয়েমেনিও প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২৯১ জন হিজবুল্লার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাও রয়েছেন। হিজবুল্লা প্রকাশ্যে বলেছিল যে বিস্ফোরণে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় ক্ষতি হয়েছে, প্রথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে এই ঘটনায় ৩২ জন নিহত এবং ৩,০০০ জন আহত হয়েছেন। তবে হিজবুল্লার গোয়েন্দা নথি অনুযায়ী ৮৭৯ জন সদস্যের মৃত্যু, সংগঠনের জন্য এক বিশাল ধাক্কা।

    ইজরায়েলকে হুমকি

    হিজবুল্লা নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ইজরায়েলকে (Israel-Hezbollah Conflict) হুমকি দিয়ে বলেছেন, এই হামলার জন্য ইজরায়েলকে চরম মূল্য দিতে হবে, কারণ তারা সব সীমা অতিক্রম করেছে।  এরপরই ফের বৃহস্পতিবার রাতে ইজরায়েলের যুদ্ধবিমান লেবাননের দক্ষিণে সবচেয়ে তীব্র হামলা চালায়। যা প্রায় এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আক্রমণ। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তারা দক্ষিণ লেবাননে শতাধিক রকেট লঞ্চার ধ্বংস করেছে। ওই লঞ্চারগুলো ইজরায়েলের দিকে নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: আমেরিকার পথে প্রধানমন্ত্রী মোদি, যোগ দেবেন কোয়াড বৈঠকে, সাক্ষাৎ ট্রাম্পের সঙ্গেও

    PM Modi: আমেরিকার পথে প্রধানমন্ত্রী মোদি, যোগ দেবেন কোয়াড বৈঠকে, সাক্ষাৎ ট্রাম্পের সঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দিনের জন্য আমেরিকা উড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কোয়াড সামিটে যোগদান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় বিশেষ সম্মেলনে ভাষণ, প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতা-সহ ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। শনিবার সকালে আমেরিকা সফরের জন্য রওনা দেন মোদি। মোদিকে স্বাগত জানাতে আমেরিকায় প্রস্তুতি তুঙ্গে। সেজে উঠেছে নিউ ইয়র্ক।

    কোথায় কখন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    এএনআই সূত্রে খবর, ২১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমেরিকায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সফরসূচি অনুযায়ী আজ, ২১ সেপ্টেম্বর তিনি ষষ্ঠ কোয়াড সামিটে অংশ নেবেন। ২২ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় ভারতীয় সম্প্রদায়ের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। যার জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠান নিয়ে উদগ্রীব মোদি নিজে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমেরিকায় ভারতীয় প্রবাসীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমি মুখিয়ে আছি। সেই সঙ্গে সে দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও দেখা হবে আমার। তাঁরাই দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্কে স্বচ্ছতা প্রদান করেন।’’ এর পর ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় বিশেষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন মোদি। এই বৈঠকের নাম ‘সামিট অফ দ্য ফিউচার’। 

    কোয়াড বৈঠকে যোগদান

    আমেরিকায় গিয়ে তিনি চতুর্দেশীয় কোয়াড বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। বৈঠকে থাকবেন কোয়াডের অন্য সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানেরাও। ভারত ছাড়াও কোয়াডে রয়েছে আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া। এ বছর কোয়াডের চতুর্থ বৈঠক আয়োজন করেছে আমেরিকা। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের চোখ রাঙানি রুখতে হাতে হাত রেখেছে এই দেশগুলো। নিজের শহর উইলমিংটনে কোয়াড বৈঠকের আয়োজন করেছেন বাইডেন। তবে শুধু বাইডেনই নয় মোদি সাক্ষাৎ করবেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও। ‘বন্ধু’ মোদির (PM Modi) সঙ্গে দেখা করতে উচ্ছ্বসিত রিপাবলিকান নেতা। 

    রওনার সময় কী বললেন মোদি?

    আমেরিকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে এদিন মোদি (PM Modi) বলেন, ‘‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। যোগ দেব কোয়াড সামিটে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, সংহতি এবং অগ্রগতির কথা চিন্তা করে, চার দেশের সংগঠন হিসাবে কোয়াড উঠে এসেছে। বাইডেনের সঙ্গে আমার বৈঠকে আমেরিকা এবং ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আমি আশা করছি।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh: ‘৫ লক্ষ টাকা দাও, না হলে প্রাণনাশ’! বাংলাদেশের দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে হুমকি মৌলবাদীদের

    Bangladesh: ‘৫ লক্ষ টাকা দাও, না হলে প্রাণনাশ’! বাংলাদেশের দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে হুমকি মৌলবাদীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) ইসলামি মৌলবাদীরা, দুর্গাপুজোর (Durga Puja) জন্য হিন্দু সংখ্যালঘুদের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা দাবি করেছে। দুর্গাপুজো যতই ঘনিয়ে আসছে, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর উগ্র ধর্মান্ধগোষ্ঠীগুলির হুমকি এবং জুলুমবাজি ক্রমেই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। গত ৫ অগাস্ট, ছাত্র আন্দোলনের নামে চক্রান্ত করে ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল। দেশে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার এবং সেনার শাসন কায়েম হলেও সংখ্যালঘু হিন্দুদের জনজীবন এবং সম্পত্তি রক্ষা অত্যন্ত দুষ্কর হয়ে উঠেছে।

    চাঁদা না দিলে হামলা হবে (Bangladesh)

    সম্পত্তি লুট, বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের পর উগ্র মুসলমানরা এখন বাংলাদেশের (Bangladesh) দুর্গাপুজোর (Durga Puja) উৎসবকে টার্গেট করেছে। দেশের প্রতিটি দুর্গাপুজো কমিটিকে চাঁদাবাজির শিকার করা হচ্ছে। এই বছর দুর্গাপুজো করতে ইচ্ছুক যে কোনও পুজো কমিটিকে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুজো কমিটির এক সদস্য জানান, মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন ছেলে এসে চাঁদার চিঠি দিয়ে গিয়েছে আমাদের ‘বীনাপানি’ নামক দুর্গাপুজো কমিটিকে। এমন চিঠি আরও বেশ কয়েকটি পুজো কমিটিও পেয়েছে। স্পষ্ট ভাবে বাংলায় লেখা, পুজো কমিটিগুলি যদি চাঁদা না দিয়ে অনুষ্ঠান করে, তাহলে হামলার শিকার হতে হবে। বাংলাদেশের সুপরিচিত হিন্দু সম্প্রদায়ের ফেসবুক পেজ ‘অগ্নিবীর’-এও চাঁদাবাজির হুমকির কথা স্বীকার করেছে। চাঁদার টাকা না দিলে সরকার, পুলিশ এমনকী সেনাবাহিনীর কাছ থেকেও নিরাপত্তাও মিলবে না। শুধু তাই নয়। চিঠিতে পুজো কমিটির সদস্যদের পরিবারকেও হত্যার হুমকি দিয়েছে মৌলবাদীরা।

    উগ্র মুসলমানরা আক্রমণ চালাচ্ছে

    হিন্দু সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে (Bangladesh) কার্যত জামাত শিবির, বিএনপি এবং জেএমবি-সহ একাধিক জেহাদি সংগঠনের দ্বারা সংঘটিত হামলা ক্রমাগত অব্যাহত রয়েছে। কোটা বিরোধী আন্দোলনের আড়ালে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাতের এক গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গণতান্ত্রিক সরকার এবং পুলিশ প্রশাসন না থাকায় বাংলাদেশের হিন্দু সংস্কৃতি, ধর্ম, পুজো এবং সম্পত্তির উপর উগ্র মুসলমানরা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। সামনেই দুর্গাপুজো (Durga Puja) তাই মন্দির, মানুষ, পরিবার, ব্যবসা, সম্পত্তি এবং মূর্তিকে টার্গেট করছে দুষ্কৃতীরা। ফলে, গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন পদ্মাপারের সমগ্র হিন্দু সমাজ।

    আরও পড়ুনঃ হিজবুল্লা প্রধানের হুমকির মধ্য়েই লেবাননে এয়ারস্ট্রাইক ইজরায়েলের

    রাত জেগে মন্দির পাহারা দিতে হয়

    উল্লেখ্য, বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য পুজো করা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। উগ্র মুসলমানরা প্রতি বছর দুর্গাপুজোর সময় হিন্দু মন্দির এবং দুর্গা পুজোর প্যান্ডেল ভাঙচুরের কাজ করে থাকে। হিন্দুদের রাত জেগে মন্দির পাহারা দিতে হয়। শেখ হাসিনার শাসনামলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার অসংখ্য ঘটনা ঘটেছিল। হিন্দুরা ন্যায় বিচার কোনও সময় সেই দেশে পায়নি। তবে প্রতিবেশী এই দেশে সাম্প্রতি ক্ষমতার লড়াই এবং জামাতের মতো উগ্র ইসলামপন্থীদের উত্থান, হিন্দু জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গোটা হিন্দু সম্প্রদায় এখন আতঙ্কিত। যদিও চট্টগ্রাম, ঢাকা, রংপুর, সিলেট, গোপালগঞ্জ সহ একাধিক জায়গায় হিন্দুরা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel-Lebanon Conflict: হিজবুল্লা প্রধানের হুমকির মধ্যেই লেবাননে এয়ারস্ট্রাইক ইজরায়েলের

    Israel-Lebanon Conflict: হিজবুল্লা প্রধানের হুমকির মধ্যেই লেবাননে এয়ারস্ট্রাইক ইজরায়েলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেবাননে (Israel-Lebanon Conflict) হিজবুল্লা গোষ্ঠীকে খতম করতে পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরু করল ইজরায়েল। পেজার, ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণের পর এবার সরাসরি এয়ারস্ট্রাইক। ইজরায়েলকে সতর্ক করে ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লা জানিয়েছিল, তেল আভিভ যেন ‘লক্ষ্মণরেখা’ অতিক্রম না করে। কিন্তু সে সব উপেক্ষা করেই লেবাননে ফের হামলা চালাল ইজরায়েল। বৃহস্পতিবার হিজবুল্লার (Hezbollah) শতাধিক ‘রকেট লঞ্চার’ লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ইজরায়েলি সেনা এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

    ১০০টি রকেট লঞ্চারে হামলা

    ইজরায়েলি (Israel-Lebanon Conflict) সেনা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলের পর যুদ্ধবিমানের সাহায্যে দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন প্রান্তে হিজবুল্লার অন্তত ১০০টি রকেট লঞ্চারে হামলা চালানো হয়েছে। ইজরায়েলের দাবি, ওই রকেট লঞ্চারগুলি থেকে অন্তত এক হাজার ক্ষেপণাস্ত্র তাদের দেশে ছোড়ার পরিকল্পনা করেছিল হিজবুল্লা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার লেবাননে পেজার হামলা এবং বুধবার ওয়াকি-টকি হামলার পরেই ইজরায়েলের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন হিজবুল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ। তার মধ্যেই লেবাননে হিজবুল্লার (Hezbollah) ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাল ইজরায়েল। 

    আরও পড়ুন: পেজারের পরে ওয়াকিটকি! ফাটছে মোবাইল, ল্যান্ডফোনও, লেবাননে নিহত অন্তত ৩২

    যুদ্ধক্ষেত্র দক্ষিণ লেবানন

    আইডিএফের (Israel-Lebanon Conflict) তরফেও লেবাননে এই হামলা চালানোর কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে আইডিএফ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “হিজবুল্লা জঙ্গিদের নিকেশ করতে এবং তাদের ঘাঁটি ধ্বংস করতে লেবাননে আক্রমণ করেছে আইডিএফ। কয়েক দশক ধরে হিজবুল্লা (Hezbollah) সাধারণ মানুষের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে, তাদের বাড়ির নীচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ছে এবং বিপদের মুহূর্তে সাধারণ নাগরিকদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। দক্ষিণ লেবাননকে এরা যুদ্ধক্ষেত্র বানিয়ে তুলেছে।” আইডিএফের দাবি, হিজবুল্লা প্রধান ভিডিও বার্তা দেওয়ার সময়, তাদের তরফ থেকেও ইজরায়েলকে নিশানা করে কয়েকটি রকেট ছোড়া হয়। তবে আয়রন ডোমের দৌলতে অধিকাংশ রকেটই ইজরায়েলের আকাশসীমায় ঢুকতে পারেনি। অন্যদিকে, এই হামলা-পাল্টা হামলার জেরে মধ্য প্রাচ্যে উত্তাপ বাড়তেই দুই পক্ষকে সংযত হতে অনুরোধ করেছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lebanon Blast: পেজারের পরে ওয়াকিটকি! ফাটছে মোবাইল, ল্যান্ডফোনও, লেবাননে নিহত অন্তত ৩২

    Lebanon Blast: পেজারের পরে ওয়াকিটকি! ফাটছে মোবাইল, ল্যান্ডফোনও, লেবাননে নিহত অন্তত ৩২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈদ্যুতিন যন্ত্রে বিস্ফোরণ! পেজার, ওয়াকি-টকির পর এবার মোবাইল, ল্যান্ডফোন লেবাননে ধারাবাহিকভাবে বিস্ফোরণ (Lebanon Blast) চলছে দু’দিন ধরে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত তিন হাজারেরও বেশি মানুষ। লেবাননের বিভিন্ন জায়গায় হিজবুল্লাকে নিশানা করে এই হামলা চালানো হয়েছে। পেজার বিপর্যয়ের পরে একসঙ্গে শতাধিক ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে খবর। একসঙ্গেই বহু মানুষের মোবাইলেও বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে ইজরায়েল।

    শতাধিক ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণ

    মঙ্গলবারই লেবাননের (Lebanon Blast) রাজধানী বেইরুট সহ একাধিক অঞ্চল কেঁপে উঠেছিল ধারাবাহিক বিস্ফোরণে। সাধারণ মানুষের ব্যবহার করা পেজারে বিস্ফোরণ হতে থাকে। রাস্তাঘাট-শপিং মলেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে ছিন্নভিন্ন দেহ। বুধবার যখন বিস্ফোরণে নিহত হিজবুল্লা সদস্যদের শেষকৃত্য চলছে, সেই সময় ওয়াকি-টকি ও মোবাইল ফোনেও বিস্ফোরণ হয়। একাধিক বহুতলে আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে বিস্ফোরণের কারণে। বেইরুট সহ দক্ষিণ লেবানন জুড়ে বিস্ফোরণ হয়েছে, বলে খবর। যেভাবে একসঙ্গে পেজার বিস্ফোরণ হয়েছিল, ঠিক সেই ভাবেই ওয়াক-টকি ও মোবাইলেও বিস্ফোরণ হতে থাকে। সঠিক সংখ্য়া জানা না গেলেও, প্রায় শতাধিক ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণ হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। 

    হামলা পাল্টা হামলা, আতঙ্কের বাতাবরণ

    লেবাননের (Lebanon Blast) সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, জাপানের সংস্থা আইকমের তৈরি আইসি-ভি৮২ মডেলের ওয়াকিটকিগুলিতে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। অথচ আইকম জানিয়েছে, ওই মডেলের ওয়াকি-টকি তৈরি তারা অনেক আগেই বন্ধ করে দিয়েছে। একথা সংস্থার ওয়েবসাইটেও লেখা আছে। লেবাননে সেগুলি তারা বিক্রিও করেনি সরকারি মাধ্যমে। ফলে সেগুলি দেশে চোরাপথে সরবরাহ করা হয়েছে এই বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেই। দেশের নিরাপত্তা সংস্থাও সেগুলি পরীক্ষা করে দেখেনি। ইজরায়েলের এই হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে লেবাননের হিজবুল্লা গোষ্ঠী। ইতিমধ্যেই তারা ইজরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালিয়েছে বলে খবর। তবে, লেবানন-সিরিয়ার আর কোথায় কোথায় কোন কোন বৈদ্যুতিন যন্ত্রে এমন বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখা আছে, তা নিয়ে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lebanon Pager Blast: পেজারে মাত্র ৩ গ্রাম বিস্ফোরক! হিজবুল্লার বিরুদ্ধে ৫ মাস আগে প্ল্যানিং মোসাদের

    Lebanon Pager Blast: পেজারে মাত্র ৩ গ্রাম বিস্ফোরক! হিজবুল্লার বিরুদ্ধে ৫ মাস আগে প্ল্যানিং মোসাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর পর পেজার বিস্ফোরণে (Lebanon Pager Blast) কেঁপে উঠল লেবানন ও সিরিয়ার একাধিক এলাকা৷ পাঁচ মাস আগে থেকেই এই পেজার হামলার প্রস্তুতি শুরু করেছিল ইজরায়েলের ‘দুর্ধর্ষ’ গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ। মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রে এমনই দাবি করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, লেবাননের হিজবুল্লা জঙ্গিগোষ্ঠী কয়েক মাস আগে তাইওয়ানের একটি কোম্পানিকে পেজার সরবরাহের বরাত দিয়েছিল। আর সেই বরাতেরই ৫ হাজার পেজারে বিস্ফোরক ঢুকিয়ে দিয়েছিল মোসাদ (Israel’s Spy Agency Mossad)। এমনই অভিনব কায়দায় জঙ্গি দমনের পরিকল্পনা করে মোসাদ। 

    কেন বিস্ফোরণ

    মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটে থেকে লাগাতার বিস্ফোরণে (Lebanon Pager Blast) রক্তাক্ত হয়ে ওঠে লেবানন। প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১১ জন। আহত ৪ হাজার। জানা গিয়েছে, মূলত হিজবুল্লার সদস্যদের কাছে থাকা পেজার থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে। ইজরায়েল ও হামাসের যুদ্ধে হামাসের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল লেবানন-সিরিয়ার হিজবুল্লা জঙ্গিদল। তাই এই বিস্ফোরণ বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, গোল্ড অ্যাপোলো কোম্পানির কাছ থেকে হিজবুল্লার হাতে পেজার পৌঁছনোর আগেই মোসাদ বাহিনী সেগুলিতে মাত্র ৩ গ্রাম করে বিস্ফোরক গুঁজে রাখে। যদিও তাইওয়ানের ওই কোম্পানি বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ওই কাজ করেনি। যেগুলিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেগুলি তারা তৈরি করেনি।

    কীভাবে বিস্ফোরণের ছক

    লেবাননের (Lebanon Pager Blast) এক অধিকর্তা জানিয়েছেন, ওই পেজারে এমন বিস্ফোরক রাখা ছিল, যা কোডের মাধ্যমে অ্যাক্টিভেট হয়। মঙ্গলবার ওই কোড পাঠাতেই সমস্ত পেজারে একসঙ্গে বিস্ফোরণ হতে থাকে। মনে করা হচ্ছে, মোসাদ (Israel’s Spy Agency Mossad) পেজারের ভিতরে এমন বোর্ড ঢুকিয়ে দিয়েছিল, যাতে বিস্ফোরক জাতীয় কিছু ছিল। প্রতি পেজারে ৩ গ্রামেরও কম পরিমাণে বিস্ফোরক ভরা ছিল। পরিমাণ কম হওয়ায়, কোনও স্ক্য়ানার বা যন্ত্রে এই বিস্ফোরক ধরা পড়েনি। মনে করা হচ্ছে, এমন কোনও বিস্ফোরক রাখা ছিল যা ওই যন্ত্রের ব্যাটারির তাপমাত্রা বাড়িয়েছিল, যার জেরে বিস্ফোরণ ঘটে। 

    বিস্ফোরণের নেপথ্যে কী ধরনের প্রযুক্তি

    যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হয় পেজার। পেজারের মাধ্যমে লোকেশন ট্র্যাক করা যায় না। বহু সময় আগে এটি পুরোদস্তুর ব্যবহার হত। তবে মোবাইল আসার পর তার ব্যবহার কমেছে। কিন্তু হিজবুল্লা গোষ্ঠী এই পেজার ব্যবহার করে, যাতে তাদের লোকেশন ট্র্যাক না করা যায়। সাধারণত হাতে বা পকেটে থাকে এই পেজার। মূলত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে মেসেজ পাঠায় ও গ্রহণ করে এই পেজার। ডিভাইসটির ছোট স্ক্রিনে সেই বার্তা দেখা যায়। মেসেজ এলে ফোনের মেসেজ টোনের মতো আওয়াজও হয় তাতে। এই পেজারের মধ্যেই বিস্ফোরক রাখার ছক কষে মোসাদ। কারণ পেজার বেজে উঠলে তাতে বোতামে আঙুল ঠেকালেই তা ট্রিগারের কাজ করবে। এভাবেই হয় পেজার তৈরি সময়, নয়তো তাইওয়ান থেকে পাঠানোর সময় কিংবা ডুপ্লিকেট পেজার হিজবুল্লার হাতে এসেছিল, যা বরাত পাওয়া সংস্থার মতো দেখতে হলেও তাদের তৈরি নয়।

    আরও পড়ুন: হ্যালের তৈরি ৪টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার কিনছে নাইজিরিয়া

    মোবাইল কি নিরাপদ

    এ এক অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিন যুদ্ধকৌশল। ইজরায়েল আগেও এইভাবে বিস্ফোরণ (Lebanon Pager Blast) ঘটিয়েছিল। ১৯৯৬ সালে হামাস নেতা ইয়াহা আয়াসকে খুন করার জন্য মোবাইল ফোনে ১৫ গ্রাম আরডিএক্স বিস্ফোরক রেখেছিল। হামাস নেতা ফোন করা মাত্রই বিস্ফোরণ হয়। তবে, পেজারের মাধ্যমে ব্যপক ক্ষেত্রে এই ধরনের বিস্ফোরণ প্রথম। যদিও এই প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি ইজরায়েলি সেনাবাহিনী৷ কী ভাবে এবং কখন পেজারের ভিতরে বিস্ফোরক ভরা হয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই বিস্ফোরক কী ভাবে সক্রিয় করা হল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, হিজবুল্লার সদস্যদের ব্যবহৃত পেজারে লিথিয়াম ব্যাটারি রয়েছে। এই লিথিয়াম ব্যাটারিতে সবসময় বিস্ফোরণের ঝুঁকি থাকে। অতিরিক্ত গরম হলে এগুলি ফেটে যায়। তবে এই ব্যাটারি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনেও ব্যবহৃত হয়। তাই পেজারের পর বাকি ইলেকট্রনিক পণ্যও যে ফাটবে না, তার কোনও গ্যারান্টি দিতে পারছে না লেবানন সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share