Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Israel: হিজবুল্লার ওপর পেজার হামলার অনুমোদন তিনিই দিয়েছিলেন, স্বীকার নেতানিয়াহুর

    Israel: হিজবুল্লার ওপর পেজার হামলার অনুমোদন তিনিই দিয়েছিলেন, স্বীকার নেতানিয়াহুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেজার বিস্ফোরণের মাধ্যমে হিজবুল্লার জঙ্গি নিকেশের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনিই। স্বীকার করলেন ইজরায়েলের (Israel) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গত সেপ্টেম্বরে পেজার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ইরানের হিজবুল্লা জঙ্গিগোষ্ঠীর চল্লিশজনকে নিকেশ করে ইজরায়েলের বাহিনী এবং আহত হয় প্রায় তিন হাজারেরও বেশি হিজবুল্লা সদস্য। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মুখপাত্র ওমর দোস্তরি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, গত ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর হিজবুল্লা অধ্যুষিত অঞ্চলে পেজার বিস্ফোরণের অনুমোদন দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। প্রসঙ্গত, পেজার বিস্ফোরণে হিজবুল্লার ৪০ জন জঙ্গি যেমন মারা গিয়েছে, তেমনই বহু জঙ্গির আঙুল বা দৃষ্টিশক্তিও হারিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় প্যালেস্তাইনের হামাস জঙ্গিরা। এরপরেই যুদ্ধ শুরু হয় হামাস-ইজরায়েলের। তারপরেই যুদ্ধে জড়ায় ইরান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লা (Hezbollah)। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তারা।

    আসলে কী এই পেজার বিস্ফোরণ (Israel)?

    যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হয় পেজার। পেজারের মাধ্যমে লোকেশন ট্র্যাক করা যায় না। বহু সময় আগে এটি পুরোদস্তুর ব্যবহার হত। তবে মোবাইল আসার পর তার ব্যবহার কমেছে। কিন্তু হিজবুল্লা (Hezbollah) গোষ্ঠী এই পেজার ব্যবহার করে, যাতে তাদের লোকেশন ট্র্যাক না করা যায়। সাধারণত হাতে বা পকেটে থাকে এই পেজার। মূলত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে মেসেজ পাঠায় ও গ্রহণ করে এই পেজার। ডিভাইসটির ছোট স্ক্রিনে সেই বার্তা দেখা যায়। মেসেজ এলে ফোনের মেসেজ টোনের মতো আওয়াজও হয় তাতে। এই পেজারের মধ্যেই বিস্ফোরক রাখার ছক কষে মোসাদ। কারণ পেজার বেজে উঠলে তাতে বোতামে আঙুল ঠেকালেই তা ট্রিগারের কাজ করবে। এভাবেই হয় পেজার তৈরি সময়, নয়তো তাইওয়ান থেকে পাঠানোর সময় কিংবা ডুপ্লিকেট পেজার হিজবুল্লার হাতে এসেছিল, যা বরাত পাওয়া সংস্থার মতো দেখতে হলেও তাদের তৈরি নয়।

    ওয়াকি-টকি, মোবাইলেও বিস্ফোরণ ঘটায় ইজরায়েল

    ইজরায়েল(Israel) আগেও এইভাবে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। ১৯৯৬ সালে হামাস নেতা ইয়াহা আয়াসকে খুন করার জন্য মোবাইল ফোনে ১৫ গ্রাম আরডিএক্স বিস্ফোরক রেখেছিল। হামাস নেতা ফোন করা মাত্রই বিস্ফোরণ হয়। তবে, পেজারের মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষেত্রে এই ধরনের বিস্ফোরণ প্রথম। পেজারে বিস্ফোরণ ঘটিয়েই থেমে থাকেনি ইজরায়েল। হিজবুল্লাকে নিকেশ করতে পেজারের পরে একসঙ্গে শতাধিক ওয়াকি-টকি ও মোবাইল ফোনেও বিস্ফোরণ ঘটায় ইহুদি রাষ্ট্রের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: আমেরিকায় ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় লাভবান হবে ভারত, বলছে রেটিং সংস্থা মুডিজ

    Donald Trump: আমেরিকায় ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় লাভবান হবে ভারত, বলছে রেটিং সংস্থা মুডিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মুডিজ রেটিংয়ের মতে, এর ফলে মার্কিন-চিন উত্তেজনা বাড়বে। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিনিয়োগে সম্ভাব্য সীমাবদ্ধতার কারণে ভারত (India) ও অন্য এশীয় দেশগুলির লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

    কী বলছে মুডিজ (Donald Trump)

    গ্লোবাল রেটিং সংস্থা মুডিজের আশা, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের কৌশলগত খাতে মার্কিন বিনিয়োগ কঠোর হওয়ার ফলে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের প্রবাহ আরও বেশি করে চিন থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। এতে আদতে উপকৃত হবে ভারত। এটি ইতিবাচক হতে পারে ভারতের অর্থনীতি ও আসিয়ান (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া গোষ্ঠীভুক্ত) দেশগুলির পক্ষে। এই পরিবর্তন চিনের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মন্দা ডেকে আনবে আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধিতে। আমেরিকার এই পদক্ষেপের ফলে লাভবান হতে পারে ভারত ও আসিয়ান দেশগুলি। মুডিজ জানিয়েছে, ট্রাম্পের আইন প্রণয়ন ও এক্সিকিউটিভ ক্ষমতার মাধ্যমে অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের একাধিক বিকল্প থাকবে।

    ট্রাম্পের কর সংস্কার প্রস্তাব

    মুডিজের আশা, ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসন বাজেট, বাণিজ্য, জলবায়ু এবং অভিবাসন নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে। এগুলির সঙ্গে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নীতির বিস্তর ফারাক হবে। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্প কর সংস্কার প্রস্তাব করেছিলেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল, সতেরো সালের ট্যাক্স কাটস অ্যান্ড জবস অ্যাক্ট স্থায়ী করা, কর্পোরেট ট্যাক্সের হার কমানো এবং আয়ের ওপর কর ছাড় দেওয়া। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই পরিকল্পনাগুলি, নির্দিষ্ট ট্যারিফের সঙ্গে মিলিয়ে, বিশেষ করে চিনা পণ্যের ওপর উচ্চ হারে ট্যারিফ প্রয়োগ করলে, আমেরিকার ফেডারেল ঘাটতি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: “কংগ্রেস-জেএমএমের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকুন”, বার্তা মোদির

    মুডিজের দাবি, ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি সুরক্ষামূলক বাণিজ্য নীতি গ্রহণ করতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত করতে পারে। ট্রাম্পের এই নীতি আমদানির ওপর নির্ভরশীল খাতগুলির (উৎপাদন, প্রযুক্তি এবং খুচরা) জন্য ঝুঁকিবহুল হতে পারে। সংস্থার দাবি, সুরক্ষামূলক পদক্ষেপগুলি বৈশ্বিক সরবরাহ (India) শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং আমদানি করা উপকরণ ও পণ্যের ওপর নির্ভরশীল খাতগুলির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

  • Khaistani Leader Arrested: ভারতে আগেই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’! নিজ্জর-ঘনিষ্ঠ খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গ্রেফতার কানাডায়

    Khaistani Leader Arrested: ভারতে আগেই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’! নিজ্জর-ঘনিষ্ঠ খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা গ্রেফতার কানাডায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু মন্দিরে হামলা, দূতাবাসে হামলা, এতদিন কোনও পদক্ষেপ করেনি কানাডা প্রশাসন (Khaistani Leader Arrested)। এখন আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসায় চাপে কি ট্রুডোর সরকার (Canada)? ট্রাম্প-মোদি সখ্যতার কথা ভালই জানেন কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডো। তাই কি এখন মোদিকে তুষ্ট করতেই একের পর এক খলিস্তানি জঙ্গি নেতাকে গ্রেফতার করছে কানাডা পুলিশ। রবিবার, কানাডিয়ান পুলিশ ভারতের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী ও খালিস্তানি সন্ত্রাসী তথা নিজ্জর-ঘনিষ্ঠ অর্শদীপ সিং ওরফে অর্শ ডাল্লাকে গ্রেফতার করেছে। ২৭ বা ২৮ অক্টোবর কানাডার মিল্টন শহরে একটি গুলি চালনার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে কানাডার হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় শনিবার ইন্দ্রজিৎ গোসাল নামে এক আততায়ীকে গ্রেফতার করে কানাডা পুলিশ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই ইন্দ্রজিৎ খালিস্তানি উগ্রপন্থী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের ঘনিষ্ঠ। 

    ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ অর্শ ডাল্লা

    ভারতীয় নিরাপত্তা (Khaistani Leader Arrested) সংস্থার সূত্রে খবর, অনেক দিন ধরেই ডাল্লাকে খোঁজা হচ্ছিল। এমনকি, ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ঘোষণাও করা হয়েছিল। এত দিন কানাডায় লুকিয়ে ছিল সে। রবিবার সেই খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসী অর্শদীপ সিং ওরফে অর্শ ডাল্লাকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ। গত মাসে মিলটন শহরে একটি গুলিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। তদন্তকারীদের সন্দেহ, সেই ঘটনায় যোগ ছিল অর্শদীপের। আততায়ীদের আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করেছিল ডাল্লা-ই। সেই মামলাতেই রবিবার গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে গ্রেফতারির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কানাডায় স্ত্রীকে নিয়ে বাস করে অর্শদীপ। তার গ্রেফতারির বিষয়টির উপর গভীর ভাবে নজর রাখছে ভারত। এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, সে বিষয়ে কানাডার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগও রাখা হচ্ছে বলে খবর। অর্শদীপ ছিল খালিস্তানি টাইগার ফোর্সের ভারপ্রাপ্ত প্রধান। নিহত সন্ত্রাসী হরদীপ সিং নিজ্জরের উত্তরসূরি হিসাবেও দেখা হয় তাকে।

    আরও পড়ুন: খনিজ সম্পদেও ‘আত্মনির্ভর ভারত’! নিলামে প্রথম বিক্রি টাংস্টেন-কোবাল্ট

    দিল্লিতে কানাডা দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ

    অন্যদিকে, কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারী ইন্দ্রজিৎ গোসাল নামে এক আততায়ীকে গ্রেফতার করেও মুক্তি দেয় কানাডা পুলিশ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই ইন্দ্রজিৎ খালিস্তানি উগ্রপন্থী গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের ঘনিষ্ঠ। মনে করা হচ্ছে, পান্নুনের প্রভাবেই কানাডা পুলিশ মুক্তি দেয় তাঁকে। এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে ট্রুডোর প্রশাসন। এর প্রতিবাদে দিল্লিতে কানাডা হাই কমিশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে শত শত মানুষ। হিন্দু-শিখ গ্লোবাল ফোরামের ব্যানারে বহু মানুষ মিছিল করে হাই কমিশনে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। তাঁরা কানাডায় হিন্দু মন্দিরে হামলার প্রতিবাদ জানায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Israel: গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ ইজরেয়েলি বায়ুসেনার, ১৩ শিশু-সহ মৃত ৩০! উদ্বেগ মধ্যপ্রাচ্যে

    Israel: গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ ইজরেয়েলি বায়ুসেনার, ১৩ শিশু-সহ মৃত ৩০! উদ্বেগ মধ্যপ্রাচ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সকাল থেকে গাজায় লাগাতার বোমাবর্ষণ ইজরেয়েলি (Israel) বায়ুসেনার। এখনও পর্যন্ত জাবালিয়া অঞ্চলে ১৩ জন শিশু-সহ মৃত ৩০। খোঁজ মিলছে না বহু মানুষের। গাজা (Gaza) প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেবল উত্তর গাজাই নয়, পূর্ব এবং দক্ষিণ গাজাতেও হামলা জারি রেখেছে ইজরায়েল। এই এলাকার তাফায় স্কুলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। ঘটনায় ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।

    উদ্ধারের জন্য পৌঁছানো যাচ্ছে না (Israel)

    জানা গিয়েছে ইজরায়েলের (Israel) বিমান হামলার পাশাপাশি উত্তর গাজার (Gaza) বিভিন্ন এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে ইহুদি সেনা। গাজা প্রশাসনের উদ্ধারকারী বাহিনীর দাবি, বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিবারগুলির কাছে সাহায্য বা উদ্ধারের জন্য পৌঁছানো যাচ্ছে না। প্রচুর বাড়ি-ঘর কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা প্রত্যেকদিন বেড়ে চলেছে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শনিবারও দুটি পৃথক হামলার ঘটনায় শিশু এবং মহিলা-সহ ১৩ জনের দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার পরপর রবিবার ভোর থেকেই ফের ইজরায়েলি বায়ুসেনা নতুন করে হামলার ধারা অব্যাহত রেখে চলেছে। খান ইউনিসে একটি আশ্রয় শিবিরেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ইহুদি বাহিনীর বিরুদ্ধে।

    হামাস গোপন ডেরা বানিয়ে রেখেছে

    আবার ইজরায়েলি (Israel) সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার টার্গেট করা হয়েছে জাবালিয়াকে। ওই এলাকায় হামাস জঙ্গিরা গোপন ডেরা বানিয়ে রেখে নাশকতামূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। সঠিক খবর মিলতেই গাজার (Gaza) জাবালিয়াতে আক্রমণ শুরু করে বায়ু সেনা। তবে উত্তর গাজায় কোনও রকম ভাবেই উদ্ধারকারী বাহিনী কাজ চালাতে পারছে না। উদ্ধারকারী বাহিনীদের বক্তব্য, লাগাতার আক্রমণের ফলে উদ্ধারকাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। তবে এই হামলা শুধু উত্তর গাজাতেই নয়, পূর্ব এবং দক্ষিণ গাজাতেও হামলা জারি রাখা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ মন্দিরে হামলা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ

    আলোচনা চালানো সম্ভব নয়

    উল্লেখ্য ইজরায়েল (Israel) এবং গাজার (Gaza) মধ্যে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল কাতারে। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষ থামাতে কোনও রকম সদিচ্ছা দেখা যায়নি উভয় পক্ষের। ১০ দিন আগেই দু’পক্ষকে বৈঠকে বসার আহ্বান জানানো হয়েছিল কাতারের পক্ষ থেকে। কিন্তু আপাতত সেই দিকে কোনও সদর্থক মনোভাবের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে না। তবে কাতারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “উভয় পক্ষ যদি সংঘর্ষ থামাতে সদিচ্ছা প্রকাশ না করে, তাহলে আলোচনা চালানো সম্ভব নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Canada: মন্দিরে হামলা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ

    Canada: মন্দিরে হামলা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খালিস্তানপন্থী দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল কানাডা পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডার (Canada) মন্দিরে হামলার ঘটনায় ধৃত আরও এক খালিস্তানপন্থী (Khalistan) দুষ্কৃতী। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত ৩ নভেম্বর ব্রাম্পটনের গোর রোডের মন্দিরে ভক্তদের উপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছিল জঙ্গি সংগঠন খালিস্তানপন্থীদের বিরুদ্ধে। একই ভাবে মন্দিরের বাইরে ভারতীয় উপদূতাবাসের একটি শিবিরেও হামলা চালানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে ধৃত ব্যক্তি ওই জঙ্গি সংগঠনের সমন্বয়ক।

    আক্রমণ, হামলা ও বিক্ষোভের উদ্যোক্তা গোসাল (Canada)!

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম ইন্দ্রজিৎ সিংহ গোসাল। ৩৫ বছরের এই যুবক ব্রাম্পটনের বাসিন্দা। তিনি খালিস্তানপন্থী (Khalistan) শিখ ফর জাস্টিস সংগঠনের সমন্বয়ক। কানাডা (Canada) পুলিশের তদন্তকারী দল (সিট) ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করে। এখান থেকেই শনাক্ত করা গিয়েছে ওই অভিযুক্তকে। ৮ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং এরপর তাকে ওই দিনই আদালতে তোলা হয়। ওই দেশের একটি সংবাদ মাধ্যম দাবি করে, ধৃত ব্যক্তি শিখ ফর জাস্টিসের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ চালাত। ৩ নভেম্বর মন্দিরের ভক্তদের উপর আক্রমণ এবং বাইরে বিক্ষোভের উদ্যোক্তাদের মধ্যে এই অভিযুক্ত ছিল। একই ভাবে ধৃত দাবি করে, খালিস্তানপন্থী হওয়ার জন্য তাকে টার্গেট করা হয়েছিল আগেও এবং বাড়িতে ঢুকে গুলি চালিয়ে হামলা করা হয়েছিল।

    ভারত সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

    মন্দিরে হামালাকাণ্ডে ধৃত গোসাল কানাডার (Canada) এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়াছে, “আমাদের লক্ষ্য কোনও হিন্দু নয়। ভারত সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। এটা কোনও ভাবেই হিন্দু এবং শিখদের যুদ্ধ নয়।” উল্লেখ্য কানাডা পুলিশ গত বৃহস্পতিবার মন্দিরে হামলার অভিযোগে রণেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। রণেন্দ্রলালের বয়স ছিল ৫৭। হিংসা এবং উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত এই ব্যক্তি।

    আরও পড়ুনঃ “গ্লোবাল সুপারপাওয়ারের তালিকায় নাম থাকা উচিত ভারতের”, দাবি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    ব্রাম্পটনে (Canada) হিন্দু সভা মন্দিরে পুজো দিতে হাজির হয়েছিলেন বেশ কিছু ভক্ত। উল্লেখ্য সেই সময় মন্দিরের সামনে ভারতে ১৯৮৪ সালের শিখ (Khalistan) বিরোধী দাঙ্গার প্রতিবাদে অবস্থান-বিক্ষোভে বসে ছিল খালিস্থানপন্থী বেশ কিছু সমর্থক। হাতে ছিল খালিস্তান জঙ্গির পতাকা এবং লাঠি। ভক্তরা মন্দিরে ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেয় ওই খালিস্তানপন্থীরা। এরপর চড়াও হয়ে আক্রমণ করে ভক্তদের উপর। এতে আহত হন বেশ কিছু মহিলা-শিশু ভক্ত সহ পুরুষরাও। একই ভাবে মন্দিরের বাইরে ছিল ভারতীয় দূতাবাসের উপকেন্দ্র। অভিযোগ সেখানেও চলে হামলা। ঘটনার নিন্দা করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জার্স্টিন ট্রুডো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vladimir Putin: “গ্লোবাল সুপারপাওয়ারের তালিকায় নাম থাকা উচিত ভারতের”, দাবি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের

    Vladimir Putin: “গ্লোবাল সুপারপাওয়ারের তালিকায় নাম থাকা উচিত ভারতের”, দাবি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “গ্লোবাল সুপারপাওয়ারের (Global Superpower) তালিকায় নাম থাকা উচিত ভারতের”, ঠিক এই দাবিতে বিশ্বজুড়ে ভারতের অবস্থান নিয়ে ফের একবার পাশে দাঁড়ালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। বর্তমানে ভারত আর্থিক, সামরিক এবং জনসংখ্যার সাপেক্ষে একটি শক্তিশালী দেশে পরিণত হয়েছে। ফলে ভারতকে বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে দেখা উচিত বলে দাবি করেন ভারতের পরম মিত্র রাষ্ট্রপ্রধান। যদিও ভারতের ক্রমাগত উন্নয়ন নিয়ে অনেক দেশই ঈর্ষা প্রকাশ করে থাকে। কারণ বাকি দেশগুলি থেকে ছাপিয়ে অনেক এগিয়ে গিয়েছে ভারত।

    ভারত রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক আরও মজবুত  (Vladimir Putin)

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন (Vladimir Putin) সোচি-তে ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবে একটি বক্তৃতায় বলেন, “একাধিক ক্ষেত্রে ভারত রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে। ভারত একটি অসাধারণ দেশ। জনসংখ্যার দিক থেকেও সর্ববৃহৎ দেশ ভারত। প্রতি বছর এক কোটি করে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিপুল জনসংখ্যা এবং সুপ্রাচীন সংস্কৃতির ভারতের মধ্যে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সেই দিক থেকে বিচার করলে গ্লোবাল সুপারপাওয়ারের (Global Superpower) তালিকায় স্থান দেওয়াই উচিত। ভারতীয় সেনায় কত ধরনের রাশিয়ার সামরিক অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা আমাদের দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের বিশ্বাসের প্রমাণ। আমরা কেবলমাত্র অস্ত্র বিক্রিই করছি না, উভয় দেশের যৌথ উদ্যোগে ডিজাইনের কাজও করছি।”

    ব্রাহ্মোস ক্রুজ মিসাইলে উভয় দেশ কাজ করছে

    এই প্রসঙ্গে পুতিন (Vladimir Putin) আরও বলেন, “ব্রাহ্মোস ক্রুজ মিসাইলের প্রকল্পগুলি দুই দেশের পারস্পরিক বিশ্বাস এবং সহযোগিতার প্রমাণ। আগামী দিনে আমরা এই ভাবেই কাজ করে যাব।” একই ভাবে পুতিন ভারত ও চিনের সীমান্তে কিছু অসুবিধার কথাও স্বীকার করেছেন। সুচিন্তক জ্ঞানী ও যোগ্য ব্যক্তিরা দেশের ভবিষ্যতকে মনে রাখে আপসের খোঁজ করে। সমস্যা নয়, সমাধানই একমাত্র রাস্তা হতে পারে আসল পথ। ফলে চিন-ভারতের সম্পর্ক (Global Superpower) নিয়ে আশাবাদী এই বিশ্ব নেতা।

    আরও পড়ুনঃ “কানাডায় খালিস্তানপন্থীরা রয়েছেন, মজুত যাবতীয় উপাদানও”, শেষমেশ স্বীকার ট্রুডোর

    পূর্ব লাদাখে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের ইঙ্গিত

    ২০২০ সালের জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিনের সেনা জওয়ানদের সংঘর্ষে বিরাট প্রভাব পড়েছিল উভয় দেশের মধ্যে। গত ২১ অক্টোবর, ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি নয়াদিল্লিতে বলেছিলেন, “গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনার পরে ভারত ও চিনের মধ্যে একটি চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে এবং এটি ২০২০ সালে উদ্ভূত সমস্যা থেকে সমাধানের পথে এগিয়ে যাবে। চুক্তিটি পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেনা টহল এবং প্রত্যহার করার বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ। ফলে গত চার বছরেরও বেশি সময়ের অচলাবস্থার অবসান দ্রুত ঘটবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Justin Trudeau: “কানাডায় খালিস্তানপন্থীরা রয়েছেন, মজুত যাবতীয় উপাদানও”, শেষমেশ স্বীকার ট্রুডোর

    Justin Trudeau: “কানাডায় খালিস্তানপন্থীরা রয়েছেন, মজুত যাবতীয় উপাদানও”, শেষমেশ স্বীকার ট্রুডোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় খালিস্তানপন্থীদের যাবতীয় উপাদান মজুত রয়েছে। রয়েছেন খালিস্তানপন্থীরাও। শেষমেশ স্বীকার করে নিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। এও জানিয়ে দিলেন, এরা (খালিস্তানপন্থীরা) পুরো শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে (Justin Trudeau) না। ওটাওয়ার পার্লামেন্ট হিলে দীপাবলি উদযাপনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এই ‘বিলম্বিত বোধদয়ে’র কথা ব্যক্ত করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।

    জান কবুল ট্রুডোর (Justin Trudeau)

    খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুন হন কানাডার মাটিতে। বছরখানেক আগের সেই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন ট্রুডো। তার জেরে ভারত-কানাডার সম্পর্কে অবনতি হয়। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচারিত বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বার্তা কানাডায় ব্লক করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ট্রুডো বলেন, “কানাডায় অনেক খালিস্তানপন্থী রয়েছেন। খালিস্তানপন্থীদের যাবতীয় উপাদানও মজুত রয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে শিখ সম্প্রদায় বলতে সেটি বোঝায় না। মোদি সরকারেরও অনেক সমর্থক রয়েছেন কানাডায়। কিন্তু তাঁরা সার্বিকভাবে কানাডায় বসবাসকারী হিন্দুদের প্রতিনিধিত্ব করেন না।” সোমবারও প্রায় একই কথা কানাডার পার্লামেন্টে বলেছিলেন ট্রুডো। যে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে নিজ্জর খুনে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তিনি, সেই পার্লামেন্টে দাঁড়িয়েই ট্রুডো সোমবার বলেছিলেন, খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কানাডায় শিখদের প্রতিনিধিত্ব করে না।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ের পাঁচ বছর পূর্তি, জেনে নিন পুরো কাহিনি

    ট্রুডোর দেশে ভোট 

    যেহেতু কানাডায় বসবাসকারী শিখদের একটা অংশ খালিস্তানপন্থী এবং শিখদের একটা বড় অংশ ট্রুডোর সমর্থক, তাই ব্যালেন্স করার চেষ্টা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কানাডায় বসবাসকারী সব হিন্দু মোদি সরকারের সমর্থক নন।” শিখদের সমর্থনেই এখনও কোনওক্রমে টিকে রয়েছে সংখ্যালঘু ট্রুডো সরকার। এদিকে খালিস্তানপন্থীদের ‘প্রশ্রয়’ দেওয়ায় নিজের দল লিবারেল পার্টির অন্দরেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে ট্রুডোর নেতৃত্ব। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই ব্যালেন্স করে চলার চেষ্টা করলেন ট্রুডো। আগামী বছর কানাডায় সাধারণ নির্বাচন। নানা জনমত সমীক্ষায় প্রকাশ, ওই নির্বাচনে হারতে চলেছেন ট্রুডো। কূটনৈতিক মহলের মতে, ভোট-বৈতরণী পার হতেই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর গলায় এক দিকে যেমন শোনা গিয়েছে সে দেশে খালিস্তানপন্থীদের উপস্থিতির কথা, তেমনি অন্যদিকে শোনা গিয়েছে (Justin Trudeau) প্রচ্ছন্ন মোদি বিরোধিতার সুরও (Justin Trudeau)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Pakistan: বেজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে ইসলামাবাদ! পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে চিনা দূতাবাসে তলব?

    Pakistan: বেজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে ইসলামাবাদ! পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে চিনা দূতাবাসে তলব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে চিনা দূতাবাসে ডাকা হয়েছিল। যদিও পাক প্রধানমন্ত্রীর অফিস (PMO) জানিয়েছে, করাচিতে আহত দুই চিনা নাগরিকের সুস্থতা কামনা করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। তাই শাহবাজ চিনা দূতাবাসে গিয়েছিলেন। তবে, সাধারণত কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রী অন্য দেশের দূতাবাসে যান না।  কোনও দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে সে দেশে নিযুক্ত অন্য দেশের দূতাবাস থেকে! এটা সত্যই বিস্ময়ের! সব জায়গায়, রাষ্ট্রদূতকে তলব করে সরকার, এখানে উলটপূরাণ। সরকারকে কার্যত তলব করছে দূতাবাস। চিন যে পাকিস্তানকে কব্জা করে ফেলেছে, এটা তার জলজ্যান্ত উদাহরণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

    পাকিস্তান কি চিনের উপনিবেশ!

    চলতি বছর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বুধবার (৬ নভেম্বর) চিনা দূতাবাসে যান। করাচির সাইট ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় চিনা নাগরিকদের ওপর গুলি চালিয়ে তাদের আহত করা হয়। চিনা নাগরিক ওয়াং জিং ঝং, ঝেং লুয়েন, ঝোউ বাওলিন এবং ওয়েই সিক্সিয়ান করাচির লিবার্টি মিলসের কাছে নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন করতে গিয়েছিলেন। চিনা নাগরিকরা প্রতিদিন একটি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে যাতায়াত করতেন। তাঁদের সুরক্ষা দিত একটি বেসরকারী সংস্থা এবং সিন্ধ পুলিশ স্পেশাল প্রোটেকশন ইউনিট (SPU)। এই ঘটনার পরই শাহবাজ চিনা দূতাবাসে যান। 

    আরও পড়ুন: স্টেশন জুড়ে রক্তের দাগ, ছিন্নভিন্ন হাত-পা! পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত অন্তত ২৫

    পাকভূমে চিনের সেনা

    চিনা রাষ্ট্রদূত জিয়াং জেইডংকে শাহবাজ বলেন, “আমি এখানে চিনা নাগরিকদের ওপর আক্রমণের নিন্দা জানাতে এবং আহতদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে এসেছি। আমি নিজে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া তদারকি করছি এবং তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করব।” পাক প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন যে, চিন হচ্ছে পাকিস্তানের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধু। তাই কুশল জানতেই তাঁর যাওয়া। যদিও বিশেষজ্ঞদের অনুমান, পাকিস্তান চিনের একটি উপনিবেশের মতো হয়ে উঠেছে, যেখানে পাক প্রধানমন্ত্রীকে সময়ে সময়ে ডেকে চিন তাদের অভাব-অভিযোগ জানায়। অনুমান, পাক-ভূমে চিনা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান ব্যর্থ হওয়ায়, চিন এখন নিজের সশস্ত্র বাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানোর কথা ভাবছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan Blast: স্টেশন জুড়ে রক্তের দাগ, ছিন্নভিন্ন হাত-পা! পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত অন্তত ২৫

    Pakistan Blast: স্টেশন জুড়ে রক্তের দাগ, ছিন্নভিন্ন হাত-পা! পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত অন্তত ২৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেঁপে উঠল পাকিস্তান (Pakistan Blast)। এবার হামলা রেলস্টেশনে। শনিবার সকালে পাকিস্তানের বালোচিস্তানের কোয়েটা রেল স্টেশনে (Quetta Railway Station) ভয়৷বহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হল অন্তত ২৫ জনের৷ আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন৷ হামলার দায় স্বীকার করেছে বালোচ লিবারেশন আর্মি সংগঠন। এটি একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের।

    সকালে ব্যস্ত সময়ে বিস্ফোরণ

    পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পেশোয়ারগামী একটি ট্রেন ছাড়ার ঠিক আগের মুহূর্তে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কোয়েটার প্রধান রেল স্টেশন৷ সেউ সময় ওই স্টেশনটি ভিড়ে ঠাসা ছিল৷ বিস্ফোরণের (Pakistan Blast) জেরে প্ল্যাটফর্মের উপরেই ছিটকে পড়ে রেলযাত্রীদের দেহ৷ উড়ে যায় স্টেশনের ছাদ৷ পুলিশের পক্ষ থেকে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে, সম্ভবত সেনাবাহিনীর স্কুল থেকে আসা একটি দলকে লক্ষ্য করেই এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়৷ কোয়েটার সিনিয়ার সুপারিনটেডেন্ট মহম্মদ বালোচ জানান, বিস্ফোরণের সময় স্টেশনে প্রায় শতাধিক মানুষ ছিলেন। ফলে বিস্ফোরণের পর হুড়োহুড়ি পড়ে যায় প্ল্যাটফর্মে। খবর পেয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বম্ব স্কোয়াড বিস্ফোরণস্থল খতিয়ে দেখছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ মহম্মদ বালোচ বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে।”

    বালোচিস্তান প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী পৌঁছেছে। বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডও উপস্থিত হয়েছে। বিস্ফোরণস্থল (Pakistan Blast) থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিন বিস্ফোরণের পরই কোয়েটার আশেপাশের হাসপাতালগুলিতে ইমার্জেন্সি জারি করা হয়েছে। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, বালোচ লিবারেশন আর্মি এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। সাম্প্রতিক কালে পাকিস্তানে জঙ্গি হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে৷ মাস তিনেক আগে এই বালোচিস্তানেই থানা এবং হাইওয়েতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: মৌলবাদীদের খুশি করতে বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে চলেছে ইউনূস সরকার?

    ISKCON: মৌলবাদীদের খুশি করতে বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে চলেছে ইউনূস সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস সরকারের প্রাণ ভোমরা রয়েছে বিএনপি সমেত মৌলবাদীদের হাতে। এমন অবস্থায় সে দেশে হিন্দুদের ওপর একের পর এক আক্রমণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামে ওসমান নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী সমাজ মাধ্যমে ইসকনের (ISKCON) বিরুদ্ধে একটি পোস্ট করেন। এই পোস্টে  ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় চট্টগ্রাম। প্রশাসনের তরফ থেকেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার জন্য ইসকনকে দায়ী করা হয়। অনেকেই মনে করছেন বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করে ইউনূস সরকার উগ্র মৌলবাদীদের খুশি করার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু বেছে বেছে ইসকনকে টার্গেট করা হচ্ছে কেন? এর কিছু কারণ রয়েছে।

    সংখ্যালঘু আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসকন (ISKCON) 

    বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন, ইসকনের সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারীরা সেদেশের জাগরণ মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত। এই জাগরণ মঞ্চের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন হিন্দু ধর্মীয় মঠ, মন্দির, প্রতিষ্ঠানও যুক্ত রয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর মৌলবাদীদের আক্রমণের প্রতিবাদে গত মাসের ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে একটি বিরাট সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই সমাবেশের পরে ঢাকাতেও একটি বিরাট সমাবেশ করা হয়েছিল। সেখানে নিজেদের নিরাপত্তার দাবি তুলেছিলেন হিন্দুরা। ঢাকায় সমাবেশকে সফল করার পিছনে জাগরণ মঞ্চের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। চট্টগ্রাম এবং ঢাকায়- এই দুই জায়গার সমাবেশ, ইউনূস সরকারের আমলে সে দেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনকে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে সমর্থ হয়েছিল এবং এতে বিপাকে পড়তে হয়েছিল ইউনূস সরকারকে। কারণ হিন্দুদের ওপর লাগাতার হামলার কথা তারা অস্বীকার করে আসছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনাকে নাকি অতিরঞ্জিত করে দেখানো হচ্ছে, এমনও বক্তব্য সামনে এসেছে, ইউনূস সরকারের বিভিন্ন কর্তা ব্যক্তিদের মাধ্যমে। কিন্তু চট্টগ্রাম ও ঢাকায় যে সংখ্যালঘুদের সমাবেশ হয়, তা প্রমাণ করে যে ইউনূস সরকারের এমন বক্তব্য ঠিক কত বড় মিথ্যা এবং বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রকৃত দুর্দশা ঠিক কতটা!

    বাংলাদেশে হিন্দুদের দাবি 

    প্রসঙ্গত, সংখ্যালঘু হিন্দুরা ইউনূস সরকারের কাছে নিজেদের দাবিও পেশ করেন। এই দাবিগুলির মধ্যে ছিল- সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক গঠন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংসদে আসন সংরক্ষণ, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার যারা অভিযুক্ত, তাদের বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল গঠন, হামলায় যে সমস্ত সংখ্যালঘু হিন্দুদের ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলগুলির আধুনিকীকরণ, পালি ও সংস্কৃত শিক্ষা বোর্ডের সংস্কার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টিকে ফাউন্ডেশনে উন্নত করা, প্রতিবছর দুর্গাপুজোতে পাঁচ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা। এই সমস্ত দাবিগুলি নিয়েই সে দেশের হিন্দুরা লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন। একের পর এক সমাবেশ করেছেন। সাম্প্রতিক ইতিহাসে বাংলাদেশে হিন্দুরা, এর আগে কখনও নিজেদের এতটা সংগঠিত করেননি। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এত বড় সমাবেশ কখনও সে দেশে হতে দেখা যায়নি। বাংলাদেশে হিন্দুদের এমন প্রতিবাদ, গর্জে ওঠা- এই সমস্ত কিছুই সে দেশের কট্টরপন্থী উগ্র ইসলামিক মৌলবাদীদের চমকে দিয়েছে। উগ্র মৌলবাদীদের অনেকেই আবার বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রীও হয়ে রয়েছেন।

    বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলেছে বাংলাদেশে হিন্দুদের সমাবেশ, তাই কি উদ্বিগ্ন মৌলবাদীরা?

    স্বরাজ্য পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আওয়ামী লিগের সঙ্গে যুক্ত ঢাকার এক হিন্দু আইনজীবী বলছেন, ‘‘উগ্র ইসলামিক মৌলবাদীরা কখনও ভাবতে পারেনি যে হিন্দুরা এত বড় সমাবেশ করবে এবং নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে এমনভাবে তাঁরা দাবি জানাবেন। কারণ উগ্র মৌলবাদীরা, সর্বদাই আশা করতেন যে হিন্দুরা বিনয়ী হবেন। তাঁরা বাধ্য হবেন এবং বাংলাদেশে তাঁদের দুঃখজনক পরিণতিকে তাঁরা মেনে নেবেন,- এমনটাই মনে করছিলেন উগ্র মৌলবাদীরা। স্বাভাবিকভাবে সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের এমন প্রতিবাদকে মৌলবাদীরা মেনে নিতে পারছেন না।’’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চট্টগ্রামে হিন্দুদের সমাবেশ যেদিন করা হয় দিনটি ছিল শুক্রবার। শুক্রবার সমাবেশ করাকেও মৌলবাদীরা আবার ভালো চোখে দেখছেন না। কারণ শুক্রবার ইসলামে পবিত্র দিন মানা হয়। মৌলবাদীদের মতে, শুক্রবার সমাবেশের ডাক দিয়ে নাকি তাঁদের প্রতি অবমাননা করা হয়েছে।

    মৌলবাদীদের খুশি করতেই কি ইসকনকে (ISKCON) নিষিদ্ধ করতে পারে ইউনূস সরকার?

    প্রসঙ্গত, হিন্দুদের এই জাগরণে সে দেশে ইসকন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আন্তর্জাতিক স্বনামধন্য এই সংস্থার সন্ন্যাসী হলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। যিনি জাগরণ মঞ্চের নেতৃত্ব প্রদান করছেন এবং নির্যাতিত হিন্দুদের আওয়াজ বিশ্বের মঞ্চে তুলে ধরছেন। এই আবহে ওয়াকিবহাল মনে করছে যে ইসকনকে টার্গেট করে আসলে ইউনূস সরকার, বাংলাদেশের হিন্দুদের কাছে একটি বার্তা পাঠাবে, আন্দোলন করার জন্য চরম মূল্য দিতে হল ইসকনকে। এতে খুশি করা যাবে বাংলাদেশের (Bangladesh) মৌলবাদীদেরও।’’ ঠিক এই কারণেই চট্টগ্রাম সমাবেশের ঠিক একদিন পরেই ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস সমেত ১৮ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। বাংলাদেশের বিএনপি’র স্থানীয় নেতা ফিরোজ খানের অভিযোগের ভিত্তিতে অন্যান্য ১৯ জনের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওই ঐতিহাসিক সমাবেশ লালদিঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

    কী বলছেন চট্টগ্রামের ব্য়বসায়ী কার্তিক পাল?

    সমাবেশের সঙ্গে যুক্ত অন্যতম উদ্যোক্তা চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী কার্তিক পাল স্বরাজ্য পত্রিকাকে টেলিফোনে বলেন, ‘‘গত এক নভেম্বরের ওই সমাবেশে ইউনূস সরকার মনে করছে অত্যধিক পরিমাণে বাড় বেড়েছে হিন্দুদের। তাঁদের এজন্য সবক শেখানো দরকার। ঠিক এই কারণেই অত্যন্ত সহজ উপায় ছিল ইসকনকে (ISKCON) টার্গেট করা। কারণ হিন্দুদের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান সে দেশে ইসকন। বড় অংশের হিন্দুরাই সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। তাই ইসকনকে টার্গেট করে হিন্দুদেরকে সবক শেখাতে চাইছে আসলে ইউনূস সরকার।’’

    চট্টগ্রামের ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইসকনকে দায়ী করছে প্রশাসন

    প্রসঙ্গত, এর পরই গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের ওসমান মোল্লার ইসকনকে নিয়ে সমাজ মাধ্যমে অপমানজনক পোস্টের বিরুদ্ধে হিন্দুরা সংগঠিতভাবে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই নামাতে হয় সেনাবাহিনীকে। সেনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, হিন্দুদের বাড়িতে ঢুকে তারা লুটপাট চালিয়েছে। মূল্যবান জিনিসপত্র যেমন ভাঙচুর করেছে তেমনই মহিলাদেরও শ্লীলতাহানি করেছে তারা। স্বরাজ্য পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, কয়েকজন মহিলাকে গণধর্ষণও করা হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীরা নিজেদের এই তাণ্ডবকে আড়াল করতে নাকি সিসিটিভি ক্যামেরাও ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ। গত ৬ নভেম্বরের এই ঘটনার জন্য বাংলাদেশের প্রশাসন আবার উল্টে ইসকনকেই দায়ী করেছে। এক প্রশাসনের আধিকারিক জানিয়েছেন, অশান্তি সৃষ্টি ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ৫৮২ জন হিন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পিছনে ইসকনের সমর্থকরা জড়িত ছিল বলে অভিযোগ করেন ওই আধিকারিক।

    কী বলছেন ঢাকার হিন্দু নেতা সুধাংশু পাল?

    একইসঙ্গে ঢাকার হিন্দু সমাজের অন্যতম নেতা সুধাংশু পাল, স্বরাজ্য পত্রিকাকে বলেন, ‘‘ইসকনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের এমন অভিযোগ আসলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ প্রশাসন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার জন্য ও ইসলামপন্থীদের প্রচারে আরও অক্সিজেন দেওয়ার জন্য এধরনের অভিযোগ আনছে। প্রশাসনের এমন অভিযোগের পরে, ইসকনের ওপর ইউনূস সরকার সহজেই নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে। এতে বাংলাদেশের হিন্দুদের মনোবলও ভেঙে দেওয়া যাবে।’’

    ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে মিছিল, প্রতিবাদ জানিয়ে ট্যুইট শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে সেদেশের মৌলবাদী সংগঠন হেফাজতে-ইসলাম গতকাল শুক্রবার একটি মিছিল করে। সে নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী। (যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। নিজের পোস্টে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসকন। ৭৬টা দেশে যার শাখা রয়েছে, হরে কৃষ্ণ আন্দোলনকে, যারা ছড়িয়ে দিচ্ছে পৃথিবীজুড়ে, সেই ইসকনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশে। তার কারণ সেখানকার সন্ন্যাসী এবং ব্রহ্মচারীরা হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার আওয়াজ তুলছেন।

     

    তথ্য সহায়তা: স্বরাজ্যমার্গ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share