Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বিপন্ন সংখ্যালঘু, ব্রিটিশ বিদেশ সচিবকে চিঠি ১৫৩টি হিন্দু সংগঠনের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে বিপন্ন সংখ্যালঘু, ব্রিটিশ বিদেশ সচিবকে চিঠি ১৫৩টি হিন্দু সংগঠনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) রাজনৈতিক অস্থিরতা রূপ নেয় সাম্প্রদায়িক হিংসায়। সে দেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর নেমে আসে নির্মম অত্যাচার। মন্দিরে-মন্দিরে ভাঙচুর, হিন্দু হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুট চলতে থাকে অবাধেই। এরই প্রতিবাদে ব্রিটেনের একাধিক হিন্দু সংগঠন সে দেশের বিদেশ সচিব ডেভিড ল্যামিকে চিঠি লিখলেন যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে। সোমবার এই চিঠি লেখা হয়। মোট ১৫৩টি হিন্দু সংগঠন (Hindu organization), এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে রয়েছে— বাংলাদেশ হিন্দু অ্যাসোসিয়েশন (ইউকে), বেঙ্গলি হিন্দু সোসাইটি (ইউকে), ইসকন ইউকে, হিন্দু কাউন্সিল (ইউকে), হিন্দু ফোরাম ব্রিটেন, হিন্দু ফোরাম ইউরোপ, হিন্দু স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (ইউকে), ইশা ফাউন্ডেশন (ইউকে), বাপস স্বামীনারায়ণ সংস্থা প্রভৃতি।

    কী লেখা হয়েছে চিঠিতে 

    ওই চিঠিতে (Hindu organization) লেখা হয়েছে, ‘‘গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আমরা জানাচ্ছি যে গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরেই বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়, সেখানে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপরে নৃশংস আক্রমণের ঘটনা ঘটে। প্রতিক্ষেত্রেই এই হামলা চালায় স্থানীয় উগ্র মৌলবাদীরা। সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সেখানে লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠে হিন্দু বাড়ি-দোকান-মন্দির। বর্তমানে যে ধরনের হিন্দুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে তাতে যেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ঘটনাগুলিরই (Bangladesh Crisis) প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। সে সময়ও হিন্দুদের বেছে বেছে টার্গেট করা হত এবং হত্যা করা হত।’’ এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সভায় ১৯৪৮ সালের ৯ ডিসেম্বর গৃহীত প্রস্তাবের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে এবং সেখানে মানবাধিকার রক্ষা করতে রাষ্ট্রসঙ্ঘ যে নির্দেশিকা তৈরি করেছিল বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা অমান্য হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে ওই হিন্দু সংগঠনগুলি।

    ব্রিটিশ সরকারের কাছে দাবি

    ওই চিঠিতে বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া হিন্দুদের প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে হামলার কয়েকটি খতিয়ান তুলে ধরা হয়। উল্লেখ করা হয়েছে— বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) মৌলভীবাজারে নতুন কালী মন্দিরকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয় এবং তার সংলগ্ন হিন্দু পরিবারগুলির ওপর নেমে আসে অকথ্য অত্যাচার। চট্টগ্রামের শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের ওপরেও হামলা করা হয় এবং সেখানকার স্থানীয় হিন্দু মেয়েদের ওপরে অত্যাচার করা হয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, এটা উদাহরণ মাত্র। এর বাইরে বহু বহু ঘটনা রয়েছে। এর সঙ্গেই, ব্রিটিশ সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে, এই ঘটনার নিন্দা করার জন্য। এর পাশাপাশি, বর্তমানে বাংলাদেশে দায়িত্বে থাকা অন্তর্বর্তী সরকারকে কূটনৈতিক স্তরে চাপ দিয়ে সেখানকার হিন্দুদের নিরাপত্তা রক্ষা করতেও আহ্বান জানানো হয়েছে ব্রিটিশ সরকারকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Liquid Water On Mars: মঙ্গলগ্রহের গভীরে রয়েছে তরল জলের বিশাল ভান্ডার, দাবি বিজ্ঞানীদের

    Liquid Water On Mars: মঙ্গলগ্রহের গভীরে রয়েছে তরল জলের বিশাল ভান্ডার, দাবি বিজ্ঞানীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তরল আকারে জলের একটি বিশাল ভূগর্ভস্থ ভান্ডারের খোঁজ মিলল মঙ্গলগ্রহে (Liquid Water On Mars)। এই গ্রহের তলদেশে ভগ্ন-আগ্নেয়শিলার গভীরে রয়েছে ব্যাপক পরিমাণে তরল জল। মঙ্গলগ্রহের মাটির নীচের পরিবেশ সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে সক্ষম হয়েছেন নাসার (NASA) বিজ্ঞানীরা (American scientists)। তাঁদের দাবি, তরল জলের পরিমাণ এতটাই যে, তা দিয়ে মঙ্গলের গোটা পৃষ্ঠ ঢাকা পড়বে। অর্থাৎ, গোটা মঙ্গল জলের তলায় চলে যাবে! 

    নাসার পাঠানো রোবোটিক ইনসাইট ল্যান্ডার দ্বারা প্রাপ্ত সিসমিক ডেটার উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। ল্যান্ডারটি ২০১৮ সালে মঙ্গলগ্রহে অবতরণ করেছিল। তখন থেকেই এটি লালগ্রহের তরল ধাতব ভূত্বকের বিভিন্ন স্তর থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজ করেছে। এই মিশন শেষ হয়েছিল ২০২২ সালে। এই চাঞ্চল্যকর দাবিতে মহাকাশ গবেষণা এবং গ্রহ বিজ্ঞানীদের মধ্যে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    জীবের জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য অনুকূল পরিবেশ (Liquid Water On Mars)

    ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত সান দিয়েগো স্ক্রিপস ইনস্টিটিউশন অফ অশেনোগ্রাফির গ্রহবিজ্ঞানী ভাসান রাইট একটি রিপোর্টে বলেন, “মঙ্গলগ্রহের (Liquid Water On Mars) পৃষ্ঠের প্রায় ৭.২ থেকে ১২.৪ মাইল (১১.৫ থেকে ২০ কিমি) নীচে অবস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জল রাশি। এই গভীরে তরল আকারে জল যেমন রয়েছে, তেমনই জীবের জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য সম্ভাব্য অনুকূল পরিস্থিতিও রয়েছে সেখানে। তবে, ওপরের দিকে, অর্থাৎ, কম গভীর স্তরে জল বরফের অবস্থায় রয়েছে।’’

    তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা পরিমাপ করেছি ভূ-পৃষ্ঠে ক্রমবর্ধমান কম্পনের তরঙ্গের গতিকে। সেই সঙ্গে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পরিমাপ এবং শিলা পদার্থবিদ্যা মডেলগুলির অংশ সংগ্রহ করেছি। আবার গ্রহের আগ্নেয়গিরির মধ্যস্থ কম্পনের তরঙ্গের গতি পরিমাপ করতে সক্ষম হয়েছে ইনসাইট ল্যান্ডার। গভীরতার সঙ্গে কীভাবে এই তরঙ্গ পরিবর্তিত হয়, পৃষ্ঠদেশের শিলাটি কী দিয়ে তৈরি, কোথায় কোথায় ফাটল রয়েছে ইত্যাদি নানা বিষয়ে অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছি আমরা। মঙ্গলগ্রহের ক্রাস্ট বা সবচেয়ে বাইরের স্তরের মধ্যে ম্যাগমা বা লাভার ঠান্ডা রূপ এবং ভগ্ন আগ্নেয়শিলাগুলির মধ্যে তরল জলের উপস্থিতিকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। মঙ্গল-পৃষ্ঠে শিলার ফাটলগুলিও তরল জলে ভরা, তারও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ক্রমাগত ভূমিকম্পের ফলে মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশ আজ শীতল এবং জনশূন্য, কিন্তু একসময় ওই স্থান উষ্ণ ও ভেজা ছিল। অনুমানিক ৩০০ কোটি বছরেরও বেশি আগে পরিবর্তিত হয়েছিল এই গ্রহের রূপ। আমরা গবেষণায় দেখেছি যে, মঙ্গলগ্রহের উপরিভাগে যে জল ছিল, তার বেশির ভাগই মহাকাশে বিলীন হয়ে যায়নি বরং গ্রহের মধ্যে ফিল্টার হয়ে সঞ্চিত হয়েছে। আগামী দিনে মঙ্গলে রয়েছে আরও অপার সম্ভাবনা।”

    আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা, হিন্দু ছাত্রদের সঙ্গে আজ বৈঠক ইউনূসের

    মঙ্গলগ্রহেও জীব শক্তির উৎস রয়েছে

    গ্রহ বিজ্ঞানী (NASA) ভাসান রাইটের সহযোগী লেখক মাইকেল মাঙ্গা আবার বলেন, “পৃথিবীর ভূগর্ভের অভ্যন্তরে যেমন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবের প্রাণের সন্ধান পাই, ঠিক একই ভাবে এই মঙ্গলগ্রহেও (Liquid Water On Mars) জীব শক্তির উৎস রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে মঙ্গলগ্রহের উপরিভাগে নদী, হ্রদ এবং সম্ভবত মহাসাগরে তরল জল ছিল। এই গ্রহের ভূত্বকটিও তার ইতিহাসের প্রথম দিক থেকেই জলে পূর্ণ ছিল বলে মনে করা যেতেই পারে। পৃথিবীতেও ভূগর্ভস্থ জল, পৃষ্ঠদেশে থেকেই পাতালে প্রবেশ করেছিল। ফলে আমরা আশা করতে পারি মঙ্গলে জলের ইতিহাস পৃথিবীর মতোই হবে। তবে যখন এই জলরাশি অন্দরে প্রবেশ করেছে তখন এই গ্রহের উপরের ভূত্বকটি আজকের চেয়ে অনেক বেশি উষ্ণ ছিল। পৃথিবীর মানবজাতি কখনও মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠে মহাকাশচারীদের পাঠালে বা সেখানে সম্পর্ক স্থাপন করতে গেলে, এই জল একটি অত্যাবশ্যক সম্পদ হবে। তাছাড়া দীর্ঘ সময়ের জন্য ওই গ্রহে কিছু করার পরিকল্পনায় দারুণ ভাবে সহযোগী হবে এই জল। মঙ্গলগ্রহের মেরু অঞ্চলগুলির পৃষ্ঠে থাকা জমা জল বরফের আকারে রয়েছে। ফলে ভূপৃষ্ঠের গভীরতায় খনন করা খুব কঠিন কাজ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: অনুপ্রবেশ রুখতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন ৭০ হাজার বিএসএফ জওয়ান

    Bangladesh Crisis: অনুপ্রবেশ রুখতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন ৭০ হাজার বিএসএফ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এদেশে শরণ পাওয়ার আশায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কয়েকটি সেক্টরে এখনও ভিড় করছেন বাংলাদেশিরা। যাদের একটা বড় অংশ আসলেই নির্যাতনের শিকার বলে মনে করা হচ্ছে। হাসিনা সরকারের পতনের (Bangladesh Crisis) পর কয়েক হাজার বাংলাদেশি ভিড় জমিয়েছিলেন সীমান্তে। নিরাপত্তার ফাঁক গলে বহু বাংলাদেশি ঢুকে পড়ছেন বলে অভিযোগ। বিএসএফ জানিয়েছে, ১১ জন বাংলাদেশিকে তাঁরা অবৈধ অনুপ্রবেশের (Infiltration) অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে, অপর দুই গ্রেফতার হয়েছে ত্রিপুরা সীমান্ত থেকে। সাতজনকে মেঘালয় সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের সকলের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি, তবে সকলেই বাংলাদেশের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে বিএসএফ।

    ১১ অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতার (Infiltration)

    জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের দুই অনুপ্রবেশকারীর মধ্যে একজন আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। ধৃতকে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর আদালতে তোলা হয়। জানা যায়, তার কাছে ভারতে ঢোকার অনুমতি পত্র (visa) ছিল না। এই প্রেক্ষিতে, ভারত-বাংলা সীমান্তে আর নজবদারি বাড়িয়ে দিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭০ হাজার জওয়ানকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও বহু জায়গায় রাতের অন্ধকারে অনুপ্রবেশের (Infiltration) সুযোগ রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    কাঁটাতারের বেড়া নেই সর্বত্র

    ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বহু নদী-নালা, বন জঙ্গল ঘেরা এলাকা রয়েছে। সব জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। যার ফলে বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে ফাঁক গলে অনুপ্রবেশ হয়ে থাকে। যদিও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সঙ্গে বিএসএফ কথোপকথন চালিয়ে অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়ার (Bangladesh Crisis) যথাসম্ভব চেষ্টা চালাচ্ছে। বিএসএফের নর্থইস্ট কমান্ডের তরফে জানানো হয়েছে, কাতারে কাতারে মানুষ ‘নো ম্যান্স ল্যান্ড’-এ ঢুকে পড়লেও কেউই ভারতীয় সীমান্তে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেননি। অনেককেই বুঝিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এখন অবধি বিএসএফের ওপরে হামলার ঘটনা বা জোর করে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়নি।

    অনুপ্রেবেশ রুখতে তৎপর বিএসএফ (Bangladesh Crisis)

    ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের (Bangladesh Crisis) পর, গোটা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে। এর মাঝে ৯ অগাস্ট প্রায় ১,৭০০ বাংলাদেশি নাগরিক নদীপথ পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার সেক্টরে ভারতীয় সীমান্তের কাছে ‘নো ম্যান্স ল্যান্ডে’ চলে আসেন। বিএসএফ আধিকারিকরা তাঁদের শান্তিপূর্ণভাবে বুঝিয়ে কথাবার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেয়। যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের কেউই কেউই সশস্ত্র ছিলেন না এবং জোর করে ভারতে ঢোকার (Infiltration) চেষ্টাও করেননি। অন্যদিকে, এদিনই ১০-১৫ জন বাংলাদেশি হিন্দুদের একটি দল অসমের ধুবরি জেলায় ভোগডাঙ্গা সীমান্তের কাছে দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিজিবির সঙ্গে কথা বলে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভারত আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু’’, জানাল বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক

    অসম এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, তাঁদের সীমান্ত সুরক্ষিত করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ থেকে কেউই ভারতে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেনি। যদিও প্রত্যেকদিন কোথাও না কোথাও অত্যাচারের শিকার বাংলাদেশি হিন্দুরা শরণার্থী হিসেবে ভারতে আসার চেষ্টা করছেন।

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Muhammad Yunus: বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা, হিন্দু ছাত্রদের সঙ্গে আজ বৈঠক ইউনূসের

    Muhammad Yunus: বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা, হিন্দু ছাত্রদের সঙ্গে আজ বৈঠক ইউনূসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় এবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে বাংলাদেশে, কিন্তু রাজনৈতিক পালাবদলের পরও সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা থামেনি। জানা গিয়েছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ৫২টি জেলায় অন্তত ২০৫টি হামলার ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। তাই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার মোকাবিলার জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন ইউনূস। 

    বৈঠকের উদ্দেশ্য কী? (Muhammad Yunus)

    বর্তমানে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ আসছে নানা দিক থেকে। এমতাবস্থায়, এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশে কীভাবে স্থিতাবস্থা আনা যায় এবং উদীয়মান সঙ্কটের কীভাবে সমাধান করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সোমবার বিকেলেই এই বৈঠক হওয়ার কথা।  

    ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে ৮ দফা দাবি (Muhammad Yunus)

    শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের (Bangladesh Crisis) পর থেকে বাংলাদেশ নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠেছে। তাই বর্তমানে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুরা অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে সংখ্যালঘুরা সুরক্ষা আইনের দাবি করছে। জানা গিয়েছে, ইউনূস সরকারের কাছে ৮ দফা দাবি জানাবে আন্দোলনরত হিন্দু ছাত্র সংখ্যালঘু অধিকার প্রতিনিধিরা। এই আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে— হিন্দুদের উপর হামলার ক্ষেত্রে দ্রুত বিচারের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক ট্রাইব্যুনাল গঠন, জরুরি সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে আপগ্রেড করার দাবি, পালি শিক্ষা পর্ষদের আধুনিকীকরণ, শারদীয় দুর্গাপুজোর সময় ৫ দিন ছুটি ঘোষণা এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা।  

    আরও পড়ুন: নভেম্বরেই রাজ্যসভায় পাশ হবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল? আত্মবিশ্বাসী মোদি সরকার

    প্রসঙ্গত, রবিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তরফে এই বিষয়ে প্রথম একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে লেখা হয়, “দেশের কোথাও কোথাও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার (Bangladesh Crisis) ঘটনা ঘটেছে। এটি উদ্বেগজনক।” এই বিবৃতি প্রকাশের পরেই জানা যায়, সোমবার সংখ্যালঘুদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh: ‘‘ভারত আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু’’, জানাল বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক

    Bangladesh: ‘‘ভারত আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু’’, জানাল বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরেই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে এবং এই সম্পর্ক তাঁরা এমন ভাবেই তৈরি করতে চান, যাতে মানুষ বুঝতে পারেন যে, ভারত বাংলাদেশের খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। মহম্মদ তৌহিদ হোসেনের নিজের ভাষায়, ‘‘সম্পর্ক শুধু দুই দেশ বা দুই সরকারের মধ্যে নয়, উভয় দেশের জনগণের মধ্যেও তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব যাতে বাংলাদেশের (Indo-Bangladesh Relation) মানুষ মনে করেন, ভারত আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমরা এটাই চাই।’’

    প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে

    প্রসঙ্গত, রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথাগুলি বলেন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের (Bangladesh) উপদেষ্টা। তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশ (Bangladesh) সবসময় ভারতের সমর্থন চায়। কারণ আমাদের দেশ এই সম্পর্ককে জনগণকেন্দ্রিক করতে চায়।’’ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কিনা— এই প্রশ্নের জবাবে বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এ বিষয়টি দেশের আইন মন্ত্রক দেখবে। ’’এ ধরনের কোনও অনুরোধ পেলে তাঁরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা।

    বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘুদের সঙ্গে আলোচনা শীঘ্রই

    সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারে নানা ঘটনা সামনে এসেছে বাংলাদেশে। একাধিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হিন্দু বাড়িতে লুট, মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা সামনে এসেছে। হিন্দু নেতা কাজল রায়কে হত্যা করা হয়েছে রঙপুরে। রায়গঞ্জের সাংবাদিক প্রদীপ ভৌমিককে প্রেস ক্লাবে ঢুকে হত্যা করেছে উগ্র মৌলবাদীরা। প্রতিবাদে গত ২ দিনে বড় আকারের বিক্ষোভও করতে দেখা গিয়েছে সেদেশের সংখ্যালঘুদের। এ বিষয়ে বাংলাদেশের (Indo-Bangladesh Relation) বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস খুব শীঘ্রই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমস্ত প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।’’ এক সপ্তাহের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Crisis: “মায়ের প্রাণ বাঁচানোয় মোদির কাছে কৃতজ্ঞ”, বললেন হাসিনা পুত্র

    Bangladesh Crisis: “মায়ের প্রাণ বাঁচানোয় মোদির কাছে কৃতজ্ঞ”, বললেন হাসিনা পুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমার মায়ের প্রাণ বাঁচানোর জন্য নরেন্দ্র মোদির কাছে কৃতজ্ঞ।” কথাগুলি বললেন বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। মোদি সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় তাঁর মায়ের বাংলাদেশ ছাড়াটা অনায়াস হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। হাসিনার ভিসা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে যেসব খবর সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হচ্ছে, তাও খারিজ করে দিয়েছেন আওয়ামি লিগের এই নেতা। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জয় বলেন, “হাসিনার ভিসা কেউ প্রত্যাহার করেনি। রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য তিনি কোথাও আবেদনও করেননি।” তিনি বলেন, “এসবই গুজব।” এর পরেই হাসিনার প্রাণ বাঁচানোর জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

    মোদির প্রতি কৃতজ্ঞ (Bangladesh Crisis)

    এই সাক্ষাৎকারে আওয়ামি লিগ নেতা বলেন, “ভারত সরকারের কাছে আমার বার্তা, আমার ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। মোদি সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের জন্যই আমার মায়ের প্রাণ বেঁচেছে। আমি চিরকৃতজ্ঞ।” ভারতকে বিশ্ব নেতৃত্বের ভূমিকা নিতে হবে বলেও মনে করেন (Bangladesh Crisis) হাসিনা পুত্র। বলেন, “ভারতের প্রয়োজন বিশ্বে নেতৃত্বের ভূমিকা নেওয়া। অন্য বিদেশি শক্তিগুলিকে এই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে দেওয়াটা ঠিক হবে না। কারণ, বাংলাদেশ ভারতের প্রতিবেশী। এটা ভারতের পূর্ব দিক।” তিনি বলেন, “হাসিনা জমানায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশে শান্তিও ছিল।”

    হাসিনা জমানায় বাংলাদেশের প্রভূত উন্নতি

    জয় বলেন, “এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে হাসিনার সরকার বাংলাদেশে শান্তি বজায় রেখেছিল, অর্থনৈতিক উন্নতিও হয়েছে হাসিনার জমানায়। বিদ্রোহ দমন করেছে। দেশের পূর্ব দিকে এই উপমহাদেশে স্থিতাবস্থা বজায় রেখেছে।” তিনি বলেন, “আমরাই (আওয়ামি লিগ) একমাত্র সরকার, যারা প্রমাণ করেছি, আমরাই পারি। অন্যান্য সরকার কেবল চেষ্টা করে গিয়েছে। কিছু করতে পারেনি। ব্যর্থ হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: মোদিকে ধন্যবাদ চিন-প্রেমী মুইজ্জুর, দ্বীপরাষ্ট্রের হলটা কী?

    বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের প্রধান হয়েছেন মহম্মদ ইউনূস। এ প্রসঙ্গে জয় বলেন, “একটা দিক থেকে আমি এক স্বাগত জানাই। কারণ এখানে সংখ্যালঘুর প্রতিনিধি আছে, আছে এলিট ক্লাসের প্রতিনিধি। পশ্চিমের প্রতিনিধিও রয়েছে।” তিনি বলেন, “সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করতে গিয়ে আমি দেখেছি, এই সরকারে যাঁদের সদস্য করা হয়েছে, তাঁদের অনেকেরই রাজনৈতিক কোনও অভিজ্ঞতা নেই। নেই সরকার চালানোর অভিজ্ঞতাও। তাই তাঁদের পক্ষে দেশ চালানোটা খুবই কঠিন হবে (Bangladesh Crisis)।”

    প্রসঙ্গত, সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে উত্তাল বাংলাদেশ। গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে এসেছেন শেখ হাসিনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: হামলার প্রতিবাদে লাখ লাখ হিন্দু রাস্তায়! সংখ্যালঘু গর্জনে কাঁপল বাংলাদেশ

    Bangladesh: হামলার প্রতিবাদে লাখ লাখ হিন্দু রাস্তায়! সংখ্যালঘু গর্জনে কাঁপল বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠার পরেই সেদেশের হিংসা সাম্প্রদায়িক হামলায় পরিবর্তিত হয়। জামাত ও বিএনপির নেতৃত্বে মৌলবাদীরা আক্রমণ চালাতে থাকে একের পর এক হিন্দু মন্দির ও বাড়িতে (Hindu Protest)। রঙপুরে খুন করা হয় হিন্দু নেতা কাজল রায়কে, রেহাই পাননি সাংবাদিকরাও, রায়গঞ্জের প্রেস ক্লাবের ভিতরে ঢুকে মৌলবাদীরা হত্যা করে হিন্দু সাংবাদিক প্রদীপকুমার ভৌমিককে। এমন হামলাগুলিতে ছায়া দেখা যেতে থাকে ঠিক ১৯৪৭-এর দেশ ভাগ অথবা ১৯৭১-এর বাংলাদেশের (Bangladesh) মুক্তিযুদ্ধের সময়কার। প্রচুর সংখ্যায় হিন্দুরা জড়ো হতে থাকেন ভারত সীমান্তে, আশ্রয় পাবার আশায়। এরই মাঝে হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বাড়িগুলিতে হামলার প্রতিবাদে নিরাপত্তার দাবিতে লাখ লাখ হিন্দু বাংলাদেশের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানালেন। বাংলাদেশের ঢাকার শাহবাগ স্কোয়ার, শরিয়তপুর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ সব জায়গাতে একই ছবি দেখা গিয়েছে। সমস্ত ক্ষেত্রে হিন্দুরা নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন ইসলামিক মৌলবাদীদের আক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য।

    ঢাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ হিন্দুদের (Bangladesh)

    ঢাকার শাহবাগ স্কোয়ারে আন্দোলন শুরু হয় শুক্রবার, শনিবার তা ব্যাপক আকার ধারণ করে। লাখো লাখো হিন্দু রাস্তায় (Hindu Protest) নেমে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে নীতি প্রণয়নের দাবি তোলেন, যাতে হিন্দুদের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা রক্ষিত হয়। এর পাশাপাশি ঢাকার হিন্দুরা দাবি তুলেছেন, নতুন অন্তর্বর্তী সরকারে একটি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক রাখার জন্য। এছাড়াও কড়া আইন প্রণয়নের দাবিও তুলেছেন হিন্দুরা, যাতে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর যে কোনও ধরনের হামলা প্রতিরোধ করা যায়। হিন্দুদের দাবি জোরালোভাবে যাতে পার্লামেন্টে পৌঁছে দেওয়া যায় সে কারণে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ১০ শতাংশ সংখ্যালঘু সংরক্ষণও চেয়েছেন তাঁরা। বাংলাদেশের এই আন্দোলনের অন্যতম নেতা তথা বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র সজ্জন কুমার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমাদের দেশ সকলের দেশ। হিন্দুরা এখানে নিরাপত্তা চায়।’’ হিন্দুদের আন্দোলনে জয় শ্রীরাম, হরে কৃষ্ণ ধ্বনিও শোনা গিয়েছে শনিবার।

    চট্টগ্রামের পথে ৭ লাখ হিন্দু!

    চট্টগ্রামের (Bangladesh) ক্ষেত্রে ছবিটা ছিল একই। সেখানে লাখো লাখো হিন্দু জড়ো হয়েছিলেন। সমাজমাধ্যমে এ নিয়ে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে এবং সেখানে দাবি করা হয়েছে ৭ লাখেরও বেশি হিন্দু চট্টগ্রামের চিরাগি পাহাড় এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত চিরাগি পাহাড় এলাকাকে চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বলে ধরা হয়। লাখ লাখ হিন্দু রাস্তা অবরোধ করেন শনিবার এবং তাঁরা দাবি তুলতে থাকেন, হিন্দুদের ওপর আক্রমণ বন্ধ হোক। এদিন চট্টগ্রামের হিন্দুরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে ছিলেন প্রতিবাদ জানাতে। তাঁরা দাবি তোলেন, ইসলামিক মৌলবাদীদের হাত থেকে হিন্দুদের রক্ষা করা হোক ও বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনা হোক। আন্দোলনকারীদের হাতে ছিল পোস্টারগুলিতে লেখা ছিল, আমরা এখনও কেন স্বাধীন হতে পারলাম না! কেন আমাদের মন্দিরের ওপর হামলা চলছে! কেন বাংলাদেশের থাকার জন্য আমাদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে! দেশের এর উত্তর চায়!

    শরিয়তপুরে হিন্দুদের মানববন্ধন

    বাংলাদেশের শরিয়তপুরে হিন্দুরা মানববন্ধন করেন মৌলবাদীদের অত্যাচার, মূর্তি ভাঙা, লুট, জমি দখলের বিরুদ্ধে। সে দেশে শরিয়তপুরে হিন্দুদের এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট নামের সংগঠন। পরবর্তীকালে লাখো লাখো হিন্দুর ওই মিছিল স্থানীয় সেন্ট্রাল শহিদ মিনারে শেষ হয়। জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতা হেমন্ত দাস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘হিন্দুরা আতঙ্কিত। আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছি যেভাবে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ চলছে। মন্দির ভাঙচুর চলছে। আমরা আর বিলাপ করতে চাই না। সরকারের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি, আমাদের নিরাপত্তা দেওয়া হোক। আমরাও এদেশের নাগরিক আমাদেরও বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে।’’

    খোলা চিঠি ইউনূসকে

    বরিশালের চিত্রটাও ছিল একই রকম। সোমবার ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরেই এখানে হিন্দুদের ওপর হামলা নেমে আসে। তাই আন্দোলনকারীরা এদিন নিজেদের নিরাপত্তার দাবির সঙ্গে সঙ্গে বলতে থাকেন যখন হামলা হচ্ছিল তখন কেউ আসেনি তা থামাতে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ খোলা চিঠি লেখে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসকে এবং সেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও অত্যাচার বন্ধ (Bangladesh) করার দাবি জানানো হয়।

    হিন্দুদের দাবি

    এদিন হিন্দুদের দাবিগুলি ছিল,

    ১) সংখ্যালঘু মন্ত্রক তৈরি 
    ২) সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষা কমিশন তৈরি 
    ৩) সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন 
    ৪) সংসদে ১০ শতাংশ সংখ্যালঘু আসন সংরক্ষণ 
    ৫) সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলাগুলি হয়েছে সেগুলির স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত 
    ৬) যেসব সংখ্যালঘুর বাড়িতে হামলা চলেছে, লুট চলেছে তাঁদেরকে যথাযুক্ত ক্ষতিপূরণ
    ৭) হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টকে স্বশাসিত সংস্থার মর্যাদা দেওয়া

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohamed Muizzu: মোদিকে ধন্যবাদ চিন-প্রেমী মুইজ্জুর, দ্বীপরাষ্ট্রের হলটা কী?

    Mohamed Muizzu: মোদিকে ধন্যবাদ চিন-প্রেমী মুইজ্জুর, দ্বীপরাষ্ট্রের হলটা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের প্রতি মোহভঙ্গ? নাকি মুইজ্জুর (Mohamed Muizzu) ভোলবদল? কী বলবেন একে? ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী (PM Modi) প্রশংসা করলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত যে প্রকৃতই বন্ধু, তা ক্রমেই উপলব্ধি করতে পারছেন দ্বীপরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। তার ওপর পর্যটনে ভাঁটার টান হওয়ায় পেটেও টান পড়েছে দ্বীপবাসীর। সেই কারণেই মুইজ্জুর ভোল বদল বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    মলদ্বীপ সফরে জয়শঙ্কর (Mohamed Muizzu)

    শুক্রবার তিনদিনের মলদ্বীপ সফরে গিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শনিবার ছিল এই সফরের দ্বিতীয় দিন।এদিন মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে গিয়ে মুইজ্জুর সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শঙ্কর। পরে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারায় আমি সৌভাগ্যবান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁকে।” সূত্রের খবর, বৈঠকে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জয়শঙ্কর আরও লিখেছেন, “আমাদের জনগণ এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতি উন্নত করার লক্ষ্যে ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্ক আরও গভীর করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    শনিবার মুইজ্জুর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে শুক্রবার জয়শঙ্কর বৈঠক করেন সে (Mohamed Muizzu) দেশের বিদেশমন্ত্রী মুসা জামিরের সঙ্গে। পরে তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী প্রথম নীতির অন্যতম ভিত্তিই হল মলদ্বীপ। ভারতের কাছে প্রতিবেশী হল অগ্রাধিকার। আর প্রতিবেশীদের মধ্যে মলদ্বীপ হল আমাদের অগ্রাধিকার। দুদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কও খুব নিবিড়।”

    আরও পড়ুন: “মা পদত্যাগ করেননি, এখনও তিনিই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী”, দাবি হাসিনা-পুত্রের

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে তিক্ততা

    মুইজ্জু চিনপন্থী। ক্ষমতায় আসার পরেই তিনি আওয়াজ তুলেছিলেন ‘ইন্ডিয়া আউট’। মলদ্বীপের অন্যান্য প্রেসিডেন্টরা যখন ক্ষমতায় এসে প্রথমে ভারত সফর করেছিলেন, রীতি ভেঙে মুইজ্জু চলে গিয়েছিলেন চিনে। ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগানের পাশাপাশি তাঁর সরকারের তিন মন্ত্রী কটাক্ষ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয় বলেও অভিযোগ। তার জেরে মলদ্বীপ বয়কটের আওয়াজ তোলেন ভারতীয় পর্যটকরা। পেটে টান পড়ে দ্বীপবাসীর। তার পরেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের ওপর জোর দেয় মুইজ্জু প্রশাসন।

    কী বললেন মুইজ্জু

    এদিন জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের পর এক্স হ্যান্ডেলে মুইজ্জু লেখেন, “সব সময় মলদ্বীপকে সমর্থন করায় আমি ভারত সরকার বিশেষত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদের স্থায়ী অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হচ্ছে, নিরাপত্তা, উন্নয়ন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ে সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের দেশগুলোকে কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। আমরা এক সঙ্গে এই অঞ্চলের জন্য একটি উজ্জ্বল এবং সমৃদ্ধতর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি।”

    দ্বীপভূমে ইউপিআই পরিষেবা

    এদিকে, দ্বীপরাষ্ট্রে (Mohamed Muizzu) ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেজ বা ইউপিআই পরিষেবা চালু করতে চলেছে ভারত। এ সংক্রান্ত মউ-ও স্বাক্ষরিত হয়েছে। ট্যুইট-বার্তায় জয়শঙ্কর বলেন, “মলদ্বীপে (এ) ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম চালু করার বিষয়ে ভারতের ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন ও মলদ্বীপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য মন্ত্রকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সাক্ষী হয়েছি।” ইউপিআই হল রিয়েল টাইম পেমেন্ট সিস্টেম। এটি মোবাইল মারফত তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাঙ্কের টাকা লেনদেনের সুবিধা দেয়। এদিন মউ স্বাক্ষরিত হওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী মুসা জামিরও। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।”

    ‘ওয়েলকাম ইন্ডিয়ান’

    ভারত-মলদ্বীপ সম্পর্কে অবনতির পর মলদ্বীপই সম্পর্ক মেরামতে উদ্যোগী হয়। মলদ্বীপে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সিংহভাগই ভারতীয়। তারা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় বিপাকে পড়ে মুইজ্জু প্রশাসন। টান পড়ে দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও। এর পরেই যে মুইজ্জু প্রশাসন ‘ইন্ডিয়া আউট’ আওয়াজ তুলে গলা ফাটাচ্ছিল, তারাই এখন ‘ওয়েলকাম ইন্ডিয়ান’ প্রচার শুরু করে। পর্যটক টানতে মুম্বই-সহ দেশের কয়েকটি জায়গায় তারা এই প্রচার করে। দ্বীপরাষ্ট্রের পর্যটনমন্ত্রী স্বয়ং এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর ভারত সফরের পরে পরেই এবার সে দেশে গেলেন জয়শঙ্কর।

    মলদ্বীপের ভারত-মুখী হওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে। প্রতি বছর ভারত প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য অর্থ বরাদ্দ করে থাকে। এবার মলদ্বীপের জন্য সেই বরাদ্দ কমিয়ে করা হয়েছে মাত্র ২০০ কোটি টাকা। অভিজ্ঞমহলের মতে, পর্যটক কমে যাওয়ার পাশাপাশি বরাদ্দ কমে যাওয়ায় প্রমাদ গোণে দ্বীপরাষ্ট্র। তার পরেই একটু একটু করে ভারতের (PM Modi) দিকে ঝুঁকতে শুরু করে মুইজ্জু (Mohamed Muizzu) প্রশাসন।

    কথায় বলে না, ঠ্যালায় পড়লে বিড়ালও গাছে ওঠে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা, পদক্ষেপের আহ্বান মার্কিন আইন প্রণেতাদের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা, পদক্ষেপের আহ্বান মার্কিন আইন প্রণেতাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সুরক্ষার আহ্বান জানিয়ে নিউ ইয়র্কে অবস্থিত রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বহু মানুষ। এই  সমাবেশের আয়োজন করেছিল হিন্দু অ্যাকশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সংস্থার আহ্বানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী মানুষ এই আন্দোলনকে আমেরিকার (Protest in America) বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

    হিন্দুদের জন্য আওয়াজ উঠছে আমেরিকায় (Protest in America)

    বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপরে অত্যাচারের (Bangladesh Crisis) বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন আমেরিকার বহু সেনেটর। এই মর্মান্তিক অত্যাচারের প্রতিবাদ (Protest in America) জানানোয় আমেরিকার সেনেটরদের হিন্দু অ্যাকশন সংস্থার তরেফে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। আমেরিকার রিপাবলিকান পার্টির সেনেটর প্যাট ফ্যালন তাঁর এক্স বার্তায় লিখেছেন, “আমরা বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক হিংসা এবং ধর্মীয় নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সকল জনগণের স্বার্থে কাজ করার এবং এই হিংসা অবিলম্বে বন্ধ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করা নিন্দনীয় কাজ। যারা এই হিংসার কাজে প্ররোচনা দিয়েছে এবং অংশগ্রহণ করেছে, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা উচিত। বাংলাদেশে চলমান হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আমেরিকার বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতা। ভারতীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন কংগ্রেসম্যান রাজা কৃষ্ণমূর্তি, আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকনকে চিঠি লিখে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে সাহায্য করার আহ্বান জানান। তিনি হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসার অবসান এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে ন্যায় বিচারের আওতায় আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতা মোঃ ইউনূসকে আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    ঢাকাতেও শুরু হয়েছে প্রতিবাদ (Bangladesh Crisis)

    শুক্রবার কয়েক হাজার মানুষ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় জড়ো হয়েছিলেন। সপ্তাহের শুরুতেই বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকেই সংখ্যালঘু হিন্দুদের লক্ষ্য করে তাদের উপর আক্রমণ (Bangladesh Crisis) চালানো হয়। তাঁদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তাঁদের উপাসনালয় ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে সোমবার থেকে নেমে আসে হিন্দুদের উপর অত্যাচার। তাঁদের বাড়ি, অফিস, দোকান, মন্দিরে হামলা হয়। এমনকী এক শিক্ষককে হিন্দু হওয়ার অপরাধে খুন হতে হয়। প্রায় শতাধিক হিন্দু আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। আন্দোলনকারীরা বাংলাদেশি সংখ্যালঘু হিন্দুদের সুরক্ষার আহ্বান জানিয়ে হাতে পোস্টার প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দেন এবং দেশজুড়ে অরাজক পরিস্থিতির অবসান এবং শান্তির আহ্বান জানান।

    হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বক্তব্য

    বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, দেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে অন্তত ৫২ টি জেলায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব না থাকলেও আওয়ামি লিগকে হয়ত ভোট দিয়েছেন, এই সন্দেহে হিংসার শিকার হয়েছেন হিন্দুরা। অনেক ক্ষেত্রে শুধু লুটপাটের উদ্দেশ্যে হয়েছে হিংসা। জাতির উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠিতে ঐক্য পরিষদ বলেছে, সারাদেশে সংখ্যালঘুদের মধ্যে গভীর আশঙ্কা, উদ্বেগ এবং অনিশ্চয়তা রয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিবের কার্যালয়ের তরফে বাংলাদেশের হিংসাকে (Bangladesh Crisis) দমন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। যে কোনও জাতিগত আক্রমণ বা জাতিগতভাবে হিংসার উস্কানির নিন্দা জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ।

    পরিস্থিতির ওপর নজর ভারতের

    বাংলাদেশের এই ভয়ংকর পরিস্থিতিতে (Bangladesh Crisis) হাজার হাজার হিন্দু প্রাণে বাঁচার উদ্দেশ্যে প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে আসার চেষ্টা করছেন।। সীমান্তে হাজার হাজার মানুষের জড়ো হওয়ার দৃশ্য সংবাদ মাধ্যমে দেখা গিয়েছে। এমতাবস্থায় ভাঅপ-বাংলাদেশ সীমান্তের অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র সরকার।

    আরও পড়ূন: “মা পদত্যাগ করেননি, এখনও তিনিই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী”, দাবি হাসিনা-পুত্রের

    দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যেই তাঁর এক্স বার্তায় লিখেছেন, “বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক, হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: “মা পদত্যাগ করেননি, এখনও তিনিই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী”, দাবি হাসিনা-পুত্রের

    Bangladesh Crisis: “মা পদত্যাগ করেননি, এখনও তিনিই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী”, দাবি হাসিনা-পুত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমার মা আনুষ্ঠানিকভাবে কখনও পদত্যাগ করেননি। তিনি সময় পাননি। সংবিধান অনুযায়ী, তিনি এখনও বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) প্রধানমন্ত্রী।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।

    বাংলাদেশ ছাড়লেন হাসিনা (Bangladesh Crisis)

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই (Sheikh Hasina) অশান্ত বাংলাদেশ। তার জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। তার পরেই দেশ ছেড়ে চলে আসেন ভারতে। তবে জয়ের দাবি, তিনি প্রাক্তন নন। তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর বৃহস্পতিবারই শপথ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান হয়েছেন বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী, অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস। তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ১৭। এহেন পরিস্থিতিতে জয়ের দাবি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঢেউ তুলবে বই কি!

    কী বললেন হাসিনা পুত্র

    জয় বলেন, “আমার মা আনুষ্ঠানিকভাবে কখনও পদত্যাগ করেননি। তিনি সময় পাননি। তিনি ভাষণ দেওয়া ও পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে মিছিল করে আসতে শুরু করেছিল। তাই সময় ছিল না। আমার মা নিজের ব্যাগ পর্যন্ত গোছাতে পারেননি।” এর পরেই হাসিনা-পুত্র বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী, তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুন: এসসি-এসটি’র মধ্যে পৃথক ‘ক্রিমি লেয়ার’ হবে কি? অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র

    জয় বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করার আগেই যেভাবে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিয়েছেন এবং নয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (Bangladesh Crisis) গঠন করা হয়েছে, তা অবৈধ। আদালতে এই প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানানো হলে আওয়ামি লিগেরই জয় হবে।” তিনি বলেন, “আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশে নির্বাচন হতে হবে। আওয়ামি লিগ পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেবে। আমি নিশ্চিত আওয়ামি লিগ ফের ক্ষমতায় আসবে। নিতান্তই তা না হলে বিরোধী আসনে বসবে।

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ছাড়ার জন্য দুদিন সময় চেয়েছিলেন হাসিনা। কিন্তু পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার জন্য তাঁকে সময় দেওয়া হয় মাত্র ৪৫ মিনিট। সূত্রের খবর, সেনাবাহিনীর প্রধান তাঁকে বলেছিলেন, ৪৫ মিনিটের মধ্যে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে (Sheikh Hasina) পারলে তবেই তাঁকে সুরক্ষা দিতে পারবেন তাঁরা (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share