Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Muhammad Yunus: শেখ মুজিবুরের ভক্ত, হাসিনা বিরোধী! অশান্ত বাংলাদেশকে শান্ত করতে পারবেন ইউনূস?

    Muhammad Yunus: শেখ মুজিবুরের ভক্ত, হাসিনা বিরোধী! অশান্ত বাংলাদেশকে শান্ত করতে পারবেন ইউনূস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণ-আন্দোলনের রেশে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) এখনও জারি মৃত্যু মিছিল। দিকে দিকে জ্বলছে আগুন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে সংসদ-চতুর্দিকে লুটপাট, ভাঙচুরের ছবি। এরই মধ্যে বাংলাদেশে অন্তবর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। ঢাকার বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মহম্মদ শাহবুদ্দিনের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে (Muhammad Yunus) অন্তবর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। একদা মুজিবের অনুরাগী কিন্তু পরবর্তীতে ঘোর হাসিনা বিরোধী ইউনূসের হাতেই অশান্ত বাংলাদেশকে শান্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। 

    মুজিবের অনুরাগী

    এক সময়ে হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের অনুরাগী ছিলেন ইউনূস। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ‘বাংলাদেশ সিটিজেনস কমিটি’ (বিসিসি) গড়ে পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যলায়ের অর্থনীতির এই ছাত্র। সেই সময়ে বিসিসি-র প্রচার পুস্তিকার সম্পাদকও হন ইউনূস। ইউনূসের জন্ম ১৯৪০ সালের ২৮ জুন। চট্টগ্রামের বাথুয়া গ্রামে জন্মানো ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬০ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং ১৯৬১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান।  এর পরে চট্টগ্রাম কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপক হিসাবে যোগ দিয়েছিলন ইউনূস (Muhammad Yunus)। 

    ব্যাঙ্ক স্থাপন

    ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) গ্রামীণ ব্যাঙ্কের জন্ম দেন ইউনূস। প্রথমে এক নারীকে ঋণ দিয়ে কাজ শুরু করেন। পরে ৪২ জন নারীর একটি দলকে টাকা ধার দেন। সেই পদক্ষেপ থেকে একটি ‘মাইক্রোক্রেডিট’ গবেষণা প্রকল্প তৈরি করেন। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষকে জামানত ছাড়াই ঋণ দেওয়ার কাজটা করেছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁকে ‘গরিবের ব্যাঙ্কার’ বলা হত। ২০০৬ সালে তাঁর ঝুলিতে আসে নোবেল শান্তি পুরস্কার।

    হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক

    মুজিবুরের মৃত্যুর পরে হাসিনার সঙ্গেও একটা সময় পর্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল তাঁর। ১৯৯৭ সালে ওয়াশিংটনে হওয়া মাইক্রোক্রেডিট (ক্ষুদ্র ঋণ) কনভেনশনে আমেরিকার তৎকালীন ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিন্টনের সঙ্গে হাসিনাকে যুগ্ম সভাপতিত্বের দায়িত্ব দিয়েছিলেন ইউনূসই (Muhammad Yunus)। কিন্তু পরে হাসিনার সঙ্গে ইউনূসের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লীগ ‘গরিবের রক্তচোষা’ বলে অভিহিত করেছিল ইউনূসকে। জালিয়াতি, অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগে ২০০টিরও বেশি মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: ‘‘১ কোটির ওপর বাংলাদেশি হিন্দু আসবেন পশ্চিমবঙ্গে’’, বড় দাবি শুভেন্দুর

    কঠিন সময়ে দেশের দায়িত্বে

    এবার দেশের এক কঠিন সময়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসকে (Muhammad Yunus) বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কে হবেন এবং সরকারের রূপরেখা তৈরি করতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট শাহবুদ্দিনের সঙ্গে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ১৩ জন সদস্যের একটি দল বৈঠকে বসে। বৈঠকে ছিলেন তিন সেনাবাহিনীর প্রধান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপকরা। সেই বৈঠকেই সর্বসম্মতিতে ইউনূসকে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ইস্কনের মন্দির ভাঙচুর, ছত্রখান বিগ্রহও

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ইস্কনের মন্দির ভাঙচুর, ছত্রখান বিগ্রহও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ আর ২০২৪ সালের মধ্যে সময়ের ফারাক বিস্তর। কালের নিয়মে এই সময়-পর্বে পদ্মা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। তবে নানা অছিলায় বাংলাদেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞ (Bangladesh Crisis) বন্ধ হয়নি। ১৯৭১ আর ২০২৪ সাল দুটোর প্রেক্ষাপট আলাদা। তবে বাংলাদেশি মুসলমানদের (Islamist Mob) চাঁদমারি কিন্তু সেই হিন্দুরা। যেন-তেন-প্রকারে হিন্দু বিতাড়ন কিংবা নিধন করে জমিজমা দখল করাই পরোক্ষ লক্ষ্য বাংলাদেশি মুসলমানদের, এমনটাই বলছেন অভিজ্ঞরা। প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও সেই কারণেই হিন্দুদের মন্দিরে হানা দিচ্ছে বাংলাদেশি মুসলমানরা। বাংলাদেশের মেহেরপুরে রয়েছে ইস্কনের মন্দির। এই মন্দিরের মুখপাত্র সুমোহন মুকুন্দ দাস সেই অবর্ণনীয় (Bangladesh Crisis) ছবির ভিডিও শেয়ার করেছেন। ৫ অগাস্ট রাতে এই মন্দিরে ভাঙচুর চালায় মুসলমানরা। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় নিরপরাধ দেব বিগ্রহগুলিকে।

    কী বলছেন ইস্কনের সেবায়েত

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭০ সালের চেয়ে খুব একটা আলাদা কিছু নয়। বেছে বেছে আক্রমণ করা হচ্ছে হিন্দু রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং মন্দিরগুলিকে।” ইস্কনের ওই মন্দিরের মুখপাত্র বলেন, “ওরা আমাদের ইস্কন মন্দিরকে টার্গেট করেছিল। ভাঙচুর করেছে। মন্দিরের ভেতরে বোমা বিস্ফোরণও করা হয়েছে।” প্রাণ বাঁচাতে বিগ্রহকে অন্তর্যামীর ভরসায় রেখে রাতের অন্ধকারে জঙ্গলে আশ্রয় নেন তাঁরা। তিনি বলেন, “আমি এখনও জঙ্গলেই লুকিয়ে রয়েছি। স্থানীয় কয়েকজনের বাড়িতে (Bangladesh Crisis) আশ্রয় নিতে গিয়েছিলাম। তারা মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। বলেছিল, আপনাদের আশ্রয় দিলে ওরা (মুসলমানরা) আমাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেবে। অগত্যা জঙ্গলেই আশ্রয় নিতে হল। এখনও জঙ্গলেই লুকিয়ে রয়েছি। আপনাদের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে বলতে চাই, বাংলাদেশে হিন্দুরাই টার্গেট মুসলমানদের। ১৯৭১ থেকে ২০২৪ – হিন্দু-পীড়ন চলছেই।”

    বাংলাদেশের আর একটি ইস্কনের মুখপাত্র যুধিষ্ঠির গোবিন্দ দাস বলেন, “খবর যা পেয়েছি, তাতে জেনেছি মেহেরপুরে আমাদের ইস্কনের মন্দিরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্দিরে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহ ছিল। মন্দিরে যে তিন ভক্ত ছিলেন, তাঁরা কোনওক্রমে পালিয়ে বেঁচেছেন। দুষ্কৃতীরা রেহাই (Bangladesh Crisis) দেয়নি বিগ্রহদের।” আধপোড়া বিগ্রহের ছবি ভাইরাল হয়েছে। তাতে দুঃখ পেয়েছেন ভারতীয় হিন্দুরা। তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না বাংলাদেশি মুসলমানদের।

    সুপ্ত ইচ্ছে (Bangladesh Crisis)

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হিন্দুদের সম্পত্তি দখল যদি একটা উদ্দশ্যে হয়, তাহলে আরও একটা সুপ্ত ইচ্ছে আছে বাংলাদেশি মুসলমানদের। সেটা হল, বাংলাদেশকে হিন্দুশূন্য রাষ্ট্রে পরিণত করা। সেই কাজটাই সুচারুভাবে করে চলেছে বাংলাদেশি মুসলমানদের একটা বড় অংশ। তাই কোনও একটা ছুতো পেলেই বাংলাদেশি মুসলমানদের সফট টার্গেটে পরিণত হয় হিন্দুদের মন্দির ও আরাধ্য দেবতা। হিন্দু মতে বিগ্রহ নাবালক, তাই তাঁর সেবা করতে হয় শিশুপুত্র কিংবা শিশুকন্যার মতো। অভিভাবক যে গৃহস্থ, খুন করা হয় তাঁকেও। 

    স্পিকটি নট ‘সোনার বাংলা’র বুদ্ধিজীবীরা

    যারা যুক্তি-বুদ্ধির ধার ধারে না, তারা যে দেবতাকেও রেহাই দেবে না, তা তো জলের মতোই পরিষ্কার। সংখ্যালঘুদের পালক চাপা দিয়ে রক্ষা করা যে সংখ্যাগুরুদের কর্তব্য, তা ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না বাংলাদেশের সিংহভাগ মুসলমান। তাই দেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞ হলেও, স্পিকটি নট ‘সোনার বাংলা’র বুদ্ধিজীবীরা। মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেন বাংলাদেশের ভারতীয় জামাইরাও। তাই মুসলমানদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় হিন্দুর দেবতাকে। ১৯৭১ সালে যখন স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়, তখন সেই ডামাডোলের বাজারেও বাংলাদেশে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে হিন্দুদের। যার জেরে প্রাণ বাঁচাতে কাতারে কাতারে বাংলাদেশি হিন্দু রাতের (Bangladesh Crisis) আঁধারের বুক চিরে চলে এসেছেন ভারতে। সেই সঙ্কটকালেও স্রেফ দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে যাঁরা রয়ে গিয়েছিলেন ওপার বাংলায়, তাঁদের অবস্থা করুণ।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক ভারত সরকার, আর্জি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    নিত্য কমছে হিন্দুর হার

    পরিসংখ্যান (Islamist Mob) বলছে, স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হওয়ার সময় সে দেশে হিন্দুর হার ছিল মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশের আশপাশে। কমতে কমতে ৫৪-৫৫ বছরে সেটাই এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র আট শতাংশে। এই সামান্য শতাংশকেও ভিটেমাটি ছাড়া করতে পারলে কেল্লাফতে। বাংলাদেশ হয়ে যাবে একশো শতাংশ মুসলমানের দেশ। এই মুসলমানের ‘দ্যাশ’ করতে গিয়েই খুন করা হচ্ছে সে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের (Bangladesh Crisis)। ২০২৪ সালের ছবিটাও সেই সময়কার চিত্রের চেয়ে খুব একটা আলাদা নয়। 

    অকৃতজ্ঞ!

    সনাতন ধর্মের আঁতুড়ঘর যে ভারতের সাহায্য ছাড়া স্বাধীন হতে পারত না বাংলাদেশ, যে ভারতের আর্থিক সাহায্য ছাড়া বাংলা হতে পারত না সোনার বাংলা, সেই দেশেই স্লোগান ওঠে ‘ইন্ডিয়া আউট’। দিনের বেলায় যারা ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান দেয়, সূর্য অস্ত গেলে তারাই লোটাকম্বল নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে দুমুঠো ভাতের আশায় চলে আসে ভারতে। তুষ্টিকরণের রাজনীতির কারবারিদের আশ্রয়ে এবং প্রশ্রয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করে তারা মিশে যায় ভারতীয় জনারণ্যে। ভারত হয়ে ওঠে ‘বিবিধের মাঝে মিলন মহানে’র দেশ। আর ‘আ-মরি বাংলা ভাষা’র দেশের (Islamist Mob) হিন্দুরা বলতে ভয় পান (Bangladesh Crisis), “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি…”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: হাসিনার ‘ঘনিষ্ঠ’ মেজর জেনারেলকে বরখাস্ত, বাংলাদেশে সেনার শীর্ষস্তরে একাধিক রদবদল

    Bangladesh Crisis: হাসিনার ‘ঘনিষ্ঠ’ মেজর জেনারেলকে বরখাস্ত, বাংলাদেশে সেনার শীর্ষস্তরে একাধিক রদবদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আন্দোলনকারীদের শান্ত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরও বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বরং, দুপুরের পর থেকে রাতভর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যথেচ্ছ পরিমাণে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট চালানো হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আওয়ামি লিগের নেতা, সাংসদদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অনেককে। যদিও সোমবারের পর মঙ্গলবার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে দেশে কার্ফু তুলে নেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগেই বাংলাদেশ সেনায় বড়সড় রদবদল হয়েছে। মূলত হাসিনা ঘনিষ্ঠদের সেনার গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার জনসংযোগ দফতর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।

    হাসিনার ‘ঘনিষ্ঠ’ মেজর জেনারেল জিয়াউলকে বরখাস্ত! (Bangladesh Crisis)

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিনের অনুমোদনে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সেনার এই রদবদলের নির্দেশ কার্যকর করেছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে অপসারিত এবং বদলি হওয়া অফিসারদের অধিকাংশই সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত। আইএসপিআর-এর বিবৃতি জানাচ্ছে, মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মেজর জেনারেল জিয়াউলের বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতা এবং গুপ্তহত্যায় হাসিনাকে মদত দেওয়ার সরাসরি অভিযোগ তুলেছিলেন আন্দোলনকারী পড়ুয়া ও বিরোধী নেতারা।

    আরও পড়ুন: ‘‘১ কোটির ওপর বাংলাদেশি হিন্দু আসবেন পশ্চিমবঙ্গে’’, বড় দাবি শুভেন্দুর

    হাসিনা ঘনিষ্ঠদের সেনার নিয়ন্ত্রণ থেকে সরানো হল

    হাসিনা (Sheikh Hasina) ঘনিষ্ঠ কয়েকজন শীর্ষস্তরের অফিসারকে সরাসরি সেনার নিয়ন্ত্রণ থেকে সরিয়ে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে পাঠানো হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ সাইফুল আলমকে সেনা থেকে সরিয়ে পাঠানো হয়েছে বিদেশ দফতরে! আর এক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ মজিবুর রহমানকে জিওসি আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নতুন নির্দেশিকায় লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরীকে সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামিমকে সেনাবাহিনীর চিফ অফ জেনারেল স্টাফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহিনুল হককে কমান্ড্যান্ট এনডিসি (ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ) এবং মেজর জেনারেল এএসএম রিজওয়ানুর রহমানকে এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার)-র ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশ সেনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে, জানালেন জয়শঙ্কর

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশ সেনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে, জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনের নাটকীয় পতনের (Bangladesh Crisis) পর ভারত সরকার বাংলাদেশের সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

    আন্দোলনের জেরে হাসিনা সরকারের পতন (Bangladesh Crisis)

    সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ছাত্ররা জুলাই মাস থেকে আন্দোলন শুরু করে। তাতে যোগ দেয় জামাত এবং বিএনপি। এরপর আন্দোলনের মোড় ঘুরে যায়। হাসিনা প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ বিভিন্ন গোষ্ঠী এই বিক্ষোভ এবং হিংসায় যোগ দেওয়ার কারণে আন্দোলন উগ্র রূপ নেয় (Bangladesh Crisis) এবং অবশেষে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং ভারতে চলে আসেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে টানা চতুর্থবারের জন্য জয়ী হাসিনাকে ছয় মাসের মাথায় ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়।

    বিদেশমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া (S Jaishankar)

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) রাজ্যসভায় বলেন, “স্থিতিশীলতা এবং শান্তি গুরুত্বপূর্ণ। ১৯ হাজার ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হলেও, অনেকেই ওখানে থেকে গিয়েছেন। বাংলাদেশের বর্তমান সামরিক নেতৃত্বের সামনে তাঁদের নিরাপত্তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার চলছে, মন্দির (Bangladesh Crisis) ভাঙচুর হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। সেটাও বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, ভারতের উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকরা বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং হিংসা বন্ধ করতে অনুরোধ করেছেন দরকার।

    সাহায্যের জন্য প্রস্তুত ভারত

    ভারতের (S Jaishankar) তরফে জানানো হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা এবং শান্তি বজায় রাখতে তাঁদের প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে ভারত প্রস্তুত। হাসিনার ভারতে আগমনের পর এখনও পরিস্থিতির বদল হচ্ছে। ফলে ভারত নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর সোমবার থেকে এ পর্যন্ত ১৫০ জনের বেশি মানুষ খুন হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে খুন করার পর তালিবানি কায়দায় রাস্তায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। সারাদিনের অস্থিরতা এবং উত্তেজনার পর ধীরে ধীরে মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: জ্বলছে বাংলাদেশ! আওয়ামি নেতার হোটেলে আগুন, মৃত ২১, খুন অভিনেতাও

    বাস ও যানবাহন রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা অল্প হলেও কিছু দোকানপাট খুলেছেন। ব্যাংক খুলেছে ফের। তবুও মানুষ রাস্তায় বের হতে ভয় পাচ্ছেন। পরিস্থিতি এখনও থমথমে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Embassy: অগ্নিগর্ভ ব্রিটেন! আন্দোলনের আঁচ থেকে বাঁচতে ভারতীয়দের নির্দেশিকা হাইকমিশনের

    Indian Embassy: অগ্নিগর্ভ ব্রিটেন! আন্দোলনের আঁচ থেকে বাঁচতে ভারতীয়দের নির্দেশিকা হাইকমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুষ্কৃতী হামলাকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন (UK issues) শুরু হয়েছে ব্রিটেনে, এবার সেই আন্দোলনের আঁচ থেকে ব্রিটেনে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের বাঁচাতে সতর্কবার্তা জারি করেছে ভারতীয় হাইকমিশন (Indian Embassy)। যাঁরা ভারত থেকে ব্রিটেনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে তাঁদেরকেও। 

    কী কারণে এই বিক্ষোভ? (UK issues) 

    সম্প্রতি ব্রিটেনের সাউথপোর্টে এক নাচের ক্লাসে ছুরি নিয়ে হামলা চালায় এক দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩ জনের। রটে যায় ওই হামলাকারী একজন অভিবাসী এবং ইসলামিক কট্টরপন্থী। তার পর থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে অভিবাসন বিরোধী বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ মানুষ। দেশের নানা প্রান্তে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বর্তমানে কার্যত যা দাঙ্গার রূপ নিয়েছে। জায়গায় জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দোকান ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ উঠছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতেই ব্রিটেনে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক করল ভারতীয় হাইকমিশন (Indian Embassy)। তবে ইতিমধ্যেই এ ঘতনায় ঘটনায় ১৫০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: নারী ক্ষমতায়নে জোর, ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় সম্মানিত হবেন ১৫০ জন মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান

    এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট ভারতীয় হাইকমিশনের (Indian Embassy)

    মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে নির্দেশিকা জারি করে হাইকমিশনের তরফে জানানো হয়, ‘গত কয়েকদিন ধরে ব্রিটেনের বেশ কিছু জায়গায় অশান্তি ও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এখানে যে ভারতীয়রা রয়েছেন এবং যাঁরা ভারত থেকে আসছেন, তাঁদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলা হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারতীয় হাইকমিশন। সকলকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, স্থানীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর খবরে নজর রাখুন, তারপর ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিন। যেখানে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ সেই জায়গাগুলোয় এড়িয়ে চলুন। কোনও প্রয়োজন হলে হাইকমিশনের এমারজেন্সি নম্বর ৪৪২০৭৮৩৬৯১৪৭ এবং মেল আইডি inf.london@mea.gov.in-তে যোগাযোগ করুন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বিক্ষোভকারীরা দিয়েছিলেন হুঁশিয়ারি! বাংলাদেশের সংসদ ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট

    Bangladesh Crisis: বিক্ষোভকারীরা দিয়েছিলেন হুঁশিয়ারি! বাংলাদেশের সংসদ ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সংসদ ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ শাহবুদ্দিন (Bangladesh President)। প্রসঙ্গত, এ নিয়ে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল আন্দোলনকারী ছাত্রদের জোট। সোমবার রাতেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট এবং সেখানেই তিনি সংসদ ভেঙে যাওয়ার কথা জানান। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে সংসদ ভেঙে দেওয়ার খবরও প্রতিবেদন হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে।

    আন্দোলনকারী ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সেনা প্রধান

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) পরিস্থিতি সোমবারই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন দখল করে নেন আন্দোলনকারীরা। ইস্তফা দিয়ে তড়িঘড়ি দেশ ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতেই রয়েছেন। এরপর থেকেই আন্দোলনকারীরা সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। আন্দোলনকারী ছাত্ররা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার বিকেল তিনটের মধ্যে যদি বাংলাদেশের সংসদ ভেঙে না দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। প্রসঙ্গত, সোমবারে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছিলেন যে, সেনার সমর্থনে অথবা রাষ্ট্রপতি শাসনে থাকা কোনও সরকারকেই সমর্থন করা হবে না। প্রস্তাবিত সরকার তৈরি করতে হবে। নতুন সরকারের রূপরেখা গঠনের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময়ও দেন পড়ুয়ারা। অন্যদিকে, মঙ্গলবার আন্দোলনকারী ছাত্রদের সঙ্গে বসার কথা রয়েছে বাংলাদেশের সেনা প্রধানের।

    জাতির উদ্দেশে ভাষণে কী বললেন প্রেসিডেন্ট?

    সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) প্রেসিডেন্ট (Bangladesh President) বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করা হবে। দ্রুত নতুন নির্বাচন করে সরকার নির্বাচিত হবে।’’ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘‘তিন বাহিনীর প্রধান, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সমাজের প্রতিনিধি ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে জরুরিভিত্তিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দল ও অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।’’ এর পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট এও ঘোষণা করেন, সংরক্ষণ বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আটক সকল বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হবে। ছাত্র আন্দোলনের নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও জানান প্রেসিডেন্ট। প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই সোমবার বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: জ্বালিয়ে দেওয়া হল প্রাক্তন ক্রিকেটার অধিনায়ক মাশরাফে মোর্তাজার বাড়ি!

    Bangladesh Crisis: জ্বালিয়ে দেওয়া হল প্রাক্তন ক্রিকেটার অধিনায়ক মাশরাফে মোর্তাজার বাড়ি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) জ্বালিয়ে দেওয়া হল প্রাক্তন ক্রিকেটার অধিনায়ক তথা আওয়ামী লীগের সাংসদ মাশরাফে মোর্তাজার (Mashrafe Bin Mortaza) বাড়ি। কোটা এবং হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের ইস্যুতে কেন চুপ করে ছিলেন এই ক্রিকেটার, এই প্রশ্ন তুলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি দেশের হয়ে ১১৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন। ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে রাজনীতিতে যোগদান করেছিলেন। অপর দিকে রাজনৈতিক সঙ্কটের প্রভাব পড়েছে পকিস্তান-বাংলাদেশের আসন্ন দুটি টেস্ট ম্যাচের সিরিজের ওপর।

    কেন হাসিনার বিরোধিতা করেননি (Bangladesh Crisis)?

    সোমবার বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ মোর্তাজার (Mashrafe Bin Mortaza) বাড়িতে বিক্ষোভকারীরা আক্রমণ করে। এরপর ওই বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ইতি মধ্যে এই ভিডিও সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তিনি এই কেন্দ্রে গত ২ বারের সাংসদ ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সমস্ত বিক্ষোভ এবং আন্দোলনে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি। আর সেই জন্য তাঁকে ঘিরে আন্দোলনকারীদের মনে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা মাত্রই তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। একই ভাবে আরও এক প্রাক্তন ক্রিকেটার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের রাজনৈতিক দলের অফিসে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনিও আওয়ামী লীগের হয়ে মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

    টেস্ট সিরিজ নিয়ে সঙ্কটে

    বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) ক্রিকেট বোর্ড এই অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ নিয়ে চরম সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য বোর্ডের কর্তারা অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন। ১৭ অগাস্ট বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের রাওয়ালপিন্ডিতে যাওয়ার কথা ছিল। ২১-২৫ অগাস্ট প্রথম ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। আবার ৩০ অগাস্ট থেকে ৩ সেপ্টম্বর পর্যন্ত হওয়ার কথা দ্বিতীয় টেস্ট। সবটাই এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের হিংসায় নিরপেক্ষ তদন্ত চাইল ব্রিটেন, চুপ হাসিনাকে ‘আশ্রয়’ নিয়ে

    অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ

    বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের আঁচ গিয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সাংসদ, নেতা, সমর্থক এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর। হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। সেনা বাহিনী অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আশ্বাস দিয়েছে। মানুষের জান-মালের দায়িত্ব সুরক্ষার কথা বললেও কার্যত চূড়ান্ত বিশৃঙ্গলা চলছে দেশ জুড়ে। একাধিক জায়গায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বড় মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে। রাজধানী ঢাকা সহ একাধিক এলাকার থানায় আগুন দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসভবনে হামলা করে আগুন দেওয়া হয়েছে। যশোর, খুলনা, রংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেটের একাধিক জায়গায় হিন্দুমন্দির ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়িঘর, দোকানপাটে চলছে লুটপাট।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: জ্বলছে বাংলাদেশ! আওয়ামি নেতার হোটেলে আগুন, মৃত ২১, খুন অভিনেতাও

    Bangladesh Crisis: জ্বলছে বাংলাদেশ! আওয়ামি নেতার হোটেলে আগুন, মৃত ২১, খুন অভিনেতাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) আন্দোলনকারীদের শান্ত হওয়ার ডাক দেন। কিন্তু, তাতে হামলায় রাশ টানা যায়নি, বরং বেড়েছে। আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদারের হোটেলেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই হোটেলে আগুনে পুড়ে বিদেশি-সহ ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, রাতে জাবির ইন্টারন্যাশনাল নামক হোটেলের নীচতলায় পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সেই আগুন ওপরের তলায় ছড়িয়ে পড়ে। হোটেলে আটকে পড়া বহু মানুষ জীবিত অবস্থায় পুড়ে মারা যান। সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাংলাদেশের অন্তত ৯ জন মন্ত্রী এবং অন্তত ২৭ জন সাংসদের বাড়িতে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। দেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢুকেও হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা।

    সোমবার ১০৯ জনের মৃত্যু! (Bangladesh Crisis)

    জানা গিয়েছে, সোমবার সাভারে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের গুলি সংঘর্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। উত্তরাতেও চলেছে গুলি। থানা ঘেরাওকে কেন্দ্র করে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। বানিয়াচংয়ে পুলিশের গুলিতে আরও ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। শ্রীপুরে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিজিবির সদস্যদের দু’টি বাসে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর জেরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বিজিবির গুলি সংঘর্ষে মৃত্যু হয় পাঁচজনের। গুলিবিদ্ধ হয় শতাধিক। চুয়াডাঙা (Bangladesh Crisis) যুবলীগের সাবেক আহ্বায়কের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তেরা। শুধু সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০৯ জনের! পরে অন্যান্য রিপোর্টে দাবি করা হয়, মৃতের সংখ্যা ১৩৫। বিশেষ করে হামলার শিকার হয়েছেন হাসিনার দল আওয়ামি লিগের নেতা-মন্ত্রী-পদাধিকারীরা। কাউকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। কারও বাড়ির দরজা বন্ধ করে অগ্নিসংযোগ করেছেন হামলাকারীরা। রবিবার মৃত্যু হয়েছিল ১১৪ জনের। আর শেষ দু’দিনে মৃতের সংখ্যা প্রায় আড়াইশো ছুঁই ছুঁই।

    আরও পড়ুন: ‘‘১ কোটির ওপর বাংলাদেশি হিন্দু আসবেন পশ্চিমবঙ্গে’’, বড় দাবি শুভেন্দুর

    আওয়ামি লিগের নেতাদের ওপর হামলা

    খুলনায় আওয়ামি লিগের উপজেলা সভাপতি জি এম মোহসিন রেজাকে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পিটিয়ে মারে বিক্ষুব্ধ জনতা। বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সংবাদ মাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে রেজার বাড়িতে চড়াও হন হামলাকারীরা। সেখানেই তাঁকে পিটিয়ে মেরে তাঁর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে যান তিনি। পরে তাঁর খুড়তুতো ভাই বলেন, “সন্ধ্যায় আমরা ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখি বাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ঘরের বারান্দায় পড়ে রয়েছে দাদার মৃতদেহ।” আওয়ামি লিগের সাংসদ শফিকুল ইসলামের নাটোরের বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনজনের মৃতদেহ। এরমধ্যে আকিব হোসেন নামে ১৭ বছরের এক তরুণও রয়েছে। সে নাটোর সিটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। তাঁর বাবা ছিলেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ। চাঁদপুরে অভিনেতা শান্ত খান এবং তাঁর বাবা সিনেমার প্রযোজক সেলিম খানকেও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

    মন্দির ভাঙচুর, হিন্দুদের বাড়ি লুটপাট

    জানা গিয়েছে, ২১ জুলাই থেকে বাংলাদেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৪৪০-এর গণ্ডি ছাড়িয়েছে। এই মৃতদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা ছিল বেশি। তবে, গতকাল থেকে ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার নাম করে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মী এবং পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছে নির্বিচারে। অপরদিকে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষ দাবি করল, সেদেশের ২৯টি জেলায় সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলা চালানো হয়েছে। অরাজনৈতিক সাধারণ মানুষের বাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ভাঙা হয়েছে মন্দির। বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাণা দাশগুপ্ত এক বিবৃতি জারি করে সোমবার দাবি করেন, বাংলাদেশে ৪টি জেলাতে অন্তত ৯টি মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বহু জায়গায় হিন্দু সংখ্যালঘুদের বাড়িতে লুটপাট চালানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের হিংসায় নিরপেক্ষ তদন্ত চাইল ব্রিটেন, চুপ হাসিনাকে ‘আশ্রয়’ নিয়ে

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের হিংসায় নিরপেক্ষ তদন্ত চাইল ব্রিটেন, চুপ হাসিনাকে ‘আশ্রয়’ নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার পর এবার ব্রিটেনও (UK)। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) রাজনৈতিক পট পরির্তন ও তার জেরে আন্দোলনে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চেয়েছিল আমেরিকা। ব্রিটেনও চাইছে, বাংলাদেশে তদন্ত করুক রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বাধীন তদন্তকারী দল। ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশকে সমর্থনের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন।

    ব্রিটেনের বিবৃতি (Bangladesh Crisis)

    ব্রিটেনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গত কয়েক দিন বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক উত্থানের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চায় তারা। তদন্ত হোক রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বে স্বাধীনভাবে।” বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটেন মুখ খুললেও, হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি রাজার দেশ। ল্যামি বলেন, “বাংলাদেশে গত দু’সপ্তাহে নজিরবিহীনভাবে হিংসা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। …একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সব পক্ষকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ গত কয়েক সপ্তাহের ঘটনাবলীতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন তদন্তের দাবি রাখে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতে নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দেখতে চায়।” মন্ত্রী বলেন, “ব্রিটেন ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং কমনওয়েলথ মূল্যবোধ রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: তাঁর আমলেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছিলেন হাসিনা

    কী বলছে আমেরিকা

    বাংলাদেশের ঘটনার তদন্ত চেয়েছে আমেরিকাও। সে দেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “আমরা মনে করি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) আইন ও গণতান্ত্রিক নীতিকে মাথায় রেখেই সেখানে নয়া সরকার গঠন করা হবে। সেখানে যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, অবশ্যই তার তদন্ত হওয়া উচিত।” এদিকে, ভারত কিংবা আমেরিকা কারও কাছেই রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি হাসিনা।

    বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন লন্ডনের সঙ্গে। আবেদন করেছেন রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য। তবে ব্রিটেন নাকি সেই আবেদনে কান দেয়নি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সেই কারণেই ব্রিটেনের (UK) জারি করা বিবৃতিতে হাসিনার নাম পর্যন্ত নেওয়া হয়নি (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ফের শুরু হিন্দু নিধন যজ্ঞ! সেনাবাহিনী হেল্পলাইন সত্ত্বেও কার্যকারিতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ফের শুরু হিন্দু নিধন যজ্ঞ! সেনাবাহিনী হেল্পলাইন সত্ত্বেও কার্যকারিতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  ক্ষমতা ছাড়ার পরেও অরাজকতা থামছে না প্রতিবেশী দেশে। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই দেশের বিভিন্ন জেলায় হিংসা (Bangladesh Crisis) বাড়ছে। ইতিমধ্যেই লিটন দাস, মাশরাফি মুর্তাজা সহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। দেশ জুড়ে আওয়ামি লিগের নেতা কর্মীদের বাড়ি বাড়িতে লুঠপাঠের পর অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। অন্যদিকে দুই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে সাভারের আশুলিয়া থানার সামনে তালিবানি কায়দায় খুন করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। একের পর এক হিন্দুদের বাড়ি এবং মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি টার্গেট হচ্ছেন হিন্দুরা। যদিও এই পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সহ অন্যান্যদের সুরক্ষায় (Save Bangladeshi Hindus) তৎপর হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। হিন্দু সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে থাকার জন্য বিভিন্ন জেলায় হেল্পলাইন নম্বর (Bangladesh Helpline) চালু করা হয়েছে এবং খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যদিও তাতে কাজের কাজ কতটা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। সমস্যায় পড়লে হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করে যোগাযোগ করে সমস্যার কথা জানাতে বলেছে সেনাবাহিনী।

    সেনাবাহিনীর জারি করা হেল্পলাইন নম্বরের তালিকা (Bangladesh Crisis)

    ঢাকার জন্য

    মোহাম্মদপুরে ক্যাপ্টেন সৈকত: ১৭৬৯৫১০৫১৫

    মোহাম্মদপুরের ক্যাপ্টেন রিদনান সালেহ: ১৬৪১৯৬৮২৩৭

    সেগুন বাগিচায় ক্যাপ্টেন আশিক: ১৭৩৮৯৯৮৪৫৮

    উত্তরায় ক্যাপ্টেন আবরার: ১৭৪১৫৬৯৮৩২

    মিরপুরে ক্যাপ্টেন আতাহার ইশতিয়াক: ১৭৬৯৫১১১৪৪

    স্টেডিয়াম, পল্টনে ক্যাপ্টেন জাররাফ: ১৭০৮৩৭৫৩৭১

    বারিধারায় ক্যাপ্টেন নাসিফ: ১৭৬৯৫১০৮০৩

    আগারগাঁওয়ে লেফটেন্যান্ট ইমরুল: ১৭০৫২৬০০১৯

    গুলশন/বনানীর জন্য: ০১৭৬৯০১৩০৯৪

    মতিঝিল, বাংলাদেশ ব্যাংক কেপিআই-এর জন্য ক্যাপ্টেন শিহাব: ০১৭৬৬০৪৭৩২৩

    ঢাকা (যাত্রাবাড়ি)

    ক্যাপ্টেন হিমেল (০১৭৬৬১৬২০৭৭)

    উত্তরা, বিমানবন্দর, দিয়াবাড়ির জন্য ০১৭৬৯০২৪২৮০, ০১৭৬৯০২৪২৮৪ এবং ক্যাপ্টেন সাজ্জাদ (পারভেজ) (০১৭৬৯৫১০৪৫৭)

    মিরপুর এলাকায় ক্যাপ্টেন মাহমুদ (০১৮৩৩৫৮৫৭৩৬, ০১৭৬৯০২৪২৫৬) এবং (০১৭৬৯০২৪২৫২)

     

    জেলার হেল্পলাইন  (Bangladesh Helpline)

    দিনাজপুর

    কর্নেল রওশনুল ইসলাম (০১৭৬৯৬৮২৪৫৪)

    ময়মনসিংহ

    ক্যাপ্টেন ফয়সাল (০১৭৬৯২০৮১৭৪)

    সিরাজগঞ্জ

    ক্যাপ্টেন সুদীপ্ত (০১৭৬৯৫১০৫২৪)

    রামপুরা

    কর্নেল রেহগির আল শহীদ (০১৭৬৯০৫৩১৫০)

    রংপুর

    ক্যাপ্টেন আশরাফ (০১৬১৫৩৩২৪৪৬) এবং ক্যাপ্টেন

    মারিজ় (০১৭৪৫২০৭৪৬৯)

    কিশোরগঞ্জ(ভৈরব)-এর জন্য ০১৭৬৯২০২৩৫৪ এবং

    ক্যাপ্টেন রায়হান (০১৭৬৯২০২৩৬৬)

    যশোর

    ক্যাপ্টেন সাবির (০১৮৮৬৯১০৫১৪)

    রাজবাড়ি

    ক্যাপ্টেন এনাম (০১৭৯৫-৬১৫৯৫০)

    কক্সবাজার

    ক্যাপ্টেন মুজতাহিদ (০১৭৬৯১১৯৯৮৮)

    ঠাকুরগাঁওয়ে লেফটেন্যান্ট ফয়েজ (০১৭৬৯৫১০৮৬৬) এবং ক্যাপ্টেন মোহতাশিম (০১৭৬৯০০৯৮৫৫)

    হেল্পলাইনের কার্য নিয়ে প্রশ্ন 

    বাংলাদেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা ভিডিও বার্তায় যে অভিযোগ করেছেন, তাতে হেল্পলাইনে নম্বরে (Bangladesh Helpline) ফোন করেও কাজের কাজ হয়নি। লুটপাট হয়েছে হাজারো সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়ি, দোকান, অফিস ঘর। আওয়ামী লিগের সঙ্গে যুক্ত নন, এমনকি বিএনপি করেন, তাদেরও বাড়িঘর লুটপাট হয়েছে, ভাঙচুর হয়েছে। বাংলাদেশের শেরপুর এবং সাতক্ষীরায় ১২০০ বন্দিকে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে আন্দোলনকারীরা। ছাড়া পাওয়া আসামিরা ভিড়ের মধ্যে মিশে (Bangladesh Crisis) লুটপাট চালাচ্ছে বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: এখনও থমথমে বাংলাদেশ! কার্ফু উঠলেও চালু হল না বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন

    এমতাবস্থায় সেনাবাহিনী বা বাংলাদেশের অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী বাংলাদেশে কতটা নিরাপত্তা দিতে পারছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কেন দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য তৈরি করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বাংলাদেশের যে পরিমাণ হিংসা শুরু হয়েছে, তা ঠেকানোর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়ছে না।

     

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share