Category: জীবিকা

Get updated Profession related and Career news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Success Story: কাশ্মীরের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ইউপিএসসি অফিসার! উপত্যকায় প্রেরণার উৎস শফিক

    Success Story: কাশ্মীরের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ইউপিএসসি অফিসার! উপত্যকায় প্রেরণার উৎস শফিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ইউপিএসসি-তে  (UPSC CAPF) সুযোগ পেলেন মহম্মদ শফিক। রাজৌরি জেলার মানজাকোট তহসিলের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম হায়াতপুরার বাসিন্দা শফিক কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। যেখানে অতীতে শুধুই গোলাগুলির শব্দ শোনা যেত, এখন সেখান থেকেই ইউপিএসসি-পরীক্ষায় সফল ছাত্র। উপত্যকার মানুষের কাছে শফিক এক আইকন (Success Story)। 

    প্রেরণার উৎস (Success Story)

    হায়াতপুর জেলা সদর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা শফিক। এখানে জীবন যাপন যথেষ্ট কঠিন। প্রতিদিন নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হয় শফিকদের। তবুও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। নিজেদের শ্রেষ্ঠ প্রমাম করার তাগিদ থেকেই এই লড়াই। ভারতের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার লড়াই। বিচ্ছিন্নতা নয়, শফিকরা বিশ্বাস করেন তাঁরা ভারতবাসী। এই দেশের তরুণ সমাজের মতোই তাঁরাও স্বপ্ন দেখে প্রশাসনিক স্তরে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার। এই কাজে সফল শফিক। উপত্যকার তরুণ সম্প্রদায়ের কাছে প্রেরণার (Success Story) উৎস তিনি।

    কঠিন লড়াই (Jammu Kashmir) 

    ভারতের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি ইউপিএসসি। এই পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য কঠিন পথ পেরোতে হয়েছে বলে জানান শফিক। তিনি বলেন,“আমাদের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না যার কারণে আমরা পায়ে হেঁটে মাঞ্জাকোটে স্কুলে যেতাম। আমি রাজৌরী থেকে কলেজ করেছি। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে আমি রাজৌরীতে থাকতে পারিনি যে কারণে আমাকে প্রতিদিন রাজৌরী যেতে হত। আমি মাঞ্জাকোট থেকে প্রথম বাসে চড়তাম, তারপর অটো নিতাম এবং ২-৩ বার চেঞ্জ করে কলেজে যেতাম। এই সমস্ত প্রচেষ্টার পরে, আমার উপস্থিতি ৯৫ শতাংশের উপরে ছিল।” ছোট থেকেই দেশের সেবা করতে চাইতেন শফিক। তাই এই কাজে আসা বলেও জানান তিনি। বাবা-মা সাফল্যের উৎস, অভিমত শফিকের। তাঁর কথায়, “আমার বাবা-মা ছোটবেলা থেকেই সমর্থন ও উৎসাহ দিয়েছেন। আমার ব্যর্থতাতেও তাঁরা আমাকে সমর্থন করেছেন। তাঁরাই আমার সাফল্যের কারণ।”

    আরও পড়ুন: দিনমজুর থেকে আইআইটির ছাত্র! উত্তরপ্রদেশের গগন এখন পড়ুয়াদের প্রেরণা

    খুশি পরিবার

    ছেলের সাফল্যে খুশি বাবা-মা ও পরিবারের সকলে। শফিকের মা শামীম আক্তার বলেন,  “বাবা-মায়ের অবস্থা যেমনই হোক তাঁদের উচিত ছেলেমেয়েদর শিক্ষিত করা। আমার ছেলেরা খুব কষ্ট করে স্কুল যেত। কঠিন পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনা আমাদের পাশে দাঁড়াত। তাই ছোট থেকেই দেশের জন্য কাজ করতে চাইত শফিক। আমি খুশি ও দেশ সেবা করবে এই ভেবেই।” শফিকের বাবা বারকেত হোসেন বলেন, “আমরা হিন্দুস্তানে থাকি এটা আমাদের দেশ আর আমরা হিন্দুস্তানি।” শফিকের ভাইরাও তাঁরই পদাঙ্ক অনুসরণ (Success Story) করতে চান বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • MBBS: চিকিৎসা থেকে গবেষণা, এমবিবিএস করে কাজ করা যায় নানা ক্ষেত্রে, জেনে নিন খুঁটিনাটি

    MBBS: চিকিৎসা থেকে গবেষণা, এমবিবিএস করে কাজ করা যায় নানা ক্ষেত্রে, জেনে নিন খুঁটিনাটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাক্তারের একটিমাত্র সঠিক সিদ্ধান্ত মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে, আবার ভুল সিদ্ধান্ত মানুষকে মারতেও পারে। এমনই ধারণা দিয়েছিলেন বিখ্যাত দার্শনিক অ্যারিস্টটল। তাই চিকিৎসা বিজ্ঞান বা চিকিৎসক মানব সমাজে অপরিহার্য। সেদিক থেকে বিচার করলে একজন ভাল চিকিৎসকের কখনও কাজের অভাব হয় না। তাই কেরিয়ার অপশন হিসেবে ডাক্তারি বহু যুগ থেকেই প্রথম সারিতে পড়ে। এমবিবিএস (ব্যাচেলর অফ মেডিসিন এবং ব্যাচেলর অফ সার্জারি) ডিগ্রির মাধ্যমে, প্রচুর ভাল কেরিয়ারের সুযোগ তৈরি হয়। চিকিৎসক হতে চাইলে সবার আগে এমবিবিএস ডিগ্রি (MBBS) প্রয়োজন। এই ডিগ্রি থাকলে একজন চিকিৎসক যেকোনও দিকে বিশেষজ্ঞ হতে পারেন।

    এমবিবিএস ডিগ্রি কী

    ছোটবেলায় চিকিৎসকের সেট নিয়ে খেলার সময় থেকেই মনে মনে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখে অনেকেই। সেই স্বপ্নকেই বাস্তব করার তাগিদে চলতে থাকে পড়াশোনা। তবে, দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করার পর চিকিৎসকের পেশায় যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন নিট প্রবেশিকা পরীক্ষা পাশ করা। এক কথায় বলা যায় চিকিৎসক হওয়ার প্রথম ধাপ নিট পরীক্ষা। নিট পরীক্ষা দিয়ে ভারতে এমবিবএস পড়ার সুযোগ পাওয়া যায়। এমবিবিএস পাঁচ বছরের ডিগ্রি কোর্স। পড়ার শেষে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হয়। তারপর মেলে নিজের কাজ।

    কাজের সুযোগ

    চিকিৎসা পরিষেবায় কাজ করার স্বপ্ন বহু পড়ুয়াই দেখে থাকেন। সেই কারণে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই তাঁরা ব্যাচেলর অফ মেডিসিন, ব্যাচেলর অফ সার্জারি অর্থাৎ এমবিবিএস ডিগ্রির অধীনে স্নাতকস্তরে পড়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। ডিগ্রি কোর্সে পড়ার সুযোগ পাওয়ার পর কোন বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষার পথে এগোবেন, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলতে থাকে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

    ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস

    জেনারেল প্র্যাকটিশনার: এমবিবিএস (MBBS) স্নাতকরা সাধারণ চিকিৎসক হিসাবে কাজ করতে পারেন। মানুষ প্রথমেই অসুস্থ বোধ করলে একজন জেনারেল ফিজিশিয়ানের কাছে যান। তারপর তাঁর পরামর্শ মতো বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে চিকিৎসা করান। এমবিবিএস পাশ করে একজন চিকিৎসক সাধারণ যে কোনও রোগের চিকিৎসা করতে পারেন। এটা চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রাথমিক পাঠ।

    বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক: এমবিবিএস স্নাতকরা বিভিন্ন বিশেষায়িত ক্ষেত্র যেমন কার্ডিওলজি, নিউরোলজি, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি, ডার্মাটোলজি ইত্যাদিতে উচ্চতর শিক্ষার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা নির্দিষ্ট শারীরিক সিস্টেম বা চিকিৎসা শাখায় গভীর দক্ষতা অর্জন করেন।

    সার্জন: এমবিবিএস স্নাতকরা সার্জারি প্রশিক্ষণ নিয়ে সার্জন হতে পারেন। তারা সাধারণ সার্জারি থেকে শুরু করে অর্থোপেডিক্স, নিউরোসার্জারি, এবং কার্ডিয়াক সার্জারি সহ বিভিন্ন শাখায় কাজ করতে পারেন।

    পেডিয়াট্রিশিয়ান: শিশুদের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষজ্ঞ পেডিয়াট্রিশিয়ান হওয়ার জন্য এমবিবিএস স্নাতকরা প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। তারা শিশুদের শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য কাজ করেন।

    সরকারি এবং বেসরকারি সেক্টরে সুযোগ

    সরকারি স্বাস্থ্যসেবা: এমবিবিএস (MBBS) স্নাতকরা সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং বিভিন্ন সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পে চাকরি পেতে পারেন। এ ধরনের চাকরিতে স্থিতিশীলতা এবং সমাজের সেবা করার সুযোগ রয়েছে।

    বেসরকারি হাসপাতাল: বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলিতে এমবিবিএস স্নাতকদের জন্য প্রচুর সুযোগ রয়েছে। এই সেক্টরে কেরিয়ারের উন্নতি এবং উচ্চতর আয়ের সুযোগ রয়েছে।

    শিক্ষা এবং গবেষণা: মেডিকেল কলেজ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা এবং গবেষণা করতে পারেন এমবিবিএস স্নাতকরা। এই ক্ষেত্রে গবেষণা কার্যক্রমে অবদান রাখা এবং নতুন প্রজন্মের চিকিৎসক তৈরি করার সুযোগ রয়েছে।

    প্রশাসনিক কাজ: এমবিবিএস স্নাতকরা স্বাস্থ্য প্রশাসনেও নিজেদের কেরিয়ার গড়তে পারেন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিচালনা, নীতি নির্ধারণ এবং প্রশাসনিক কাজের ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা প্রয়োজন হয়।

    আরও পড়ুন: গুজরাট থেকে বাংলা, রাজস্থান থেকে কর্নাটক! জানেন ভারতের পেশা-বৈচিত্র্য

    বিকল্প কেরিয়ার

    মেডিক্যাল লেখক: এমবিবিএস স্নাতকরা (MBBS) চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়বস্তু নিয়ে লেখালেখির কাজ করতে পারেন। তাঁরা চিকিৎসা জার্নাল, বই এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মের জন্য বিষয়বস্তু তৈরি করতে পারেন।

    মেডিক্যাল কনসালটেন্ট: বিভিন্ন কোম্পানি এবং সংগঠনের জন্য মেডিকেল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারেন এমবিবিএস স্নাতকরা। তাঁদের চিকিৎসা জ্ঞান কোম্পানির পণ্য উন্নয়ন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নীতি প্রণয়নে সহায়ক হতে পারে।

    পাবলিক হেলথ: পাবলিক হেলথ নিয়েও অনেক সময় এমবিবিএস স্নাতকরা কাজ করেন। তাঁরা জনস্বাস্থ্য নীতি, স্বাস্থ্য প্রচারণা এবং রোগ প্রতিরোধ কর্মসূচিতে কাজ করতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Top 5 High Paying Jobs: কেরিয়ার নিয়ে চিন্তা? দেশের সবচেয়ে উচ্চ বেতনের ৫টি চাকরি সম্পর্কে জানুন

    Top 5 High Paying Jobs: কেরিয়ার নিয়ে চিন্তা? দেশের সবচেয়ে উচ্চ বেতনের ৫টি চাকরি সম্পর্কে জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথাগত শিক্ষা সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই পড়ুয়ারা তাঁদের কেরিয়ার নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ তাঁদের প্যাশনকেই কেরিয়ার (Top 5 High Paying Jobs) হিসেবে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কেরিয়ার বাছার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক দিকটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। অর্থাৎ কোথায় বেতন কাঠামো বেশি- তা নিয়েই ভাবনাচিন্তা শুরু করেন পড়ুয়ারা। আজকে আমরা এমনই পাঁচটি চাকরির বিষয়ে আলোচনা করব। যেগুলি ভারতবর্ষে (India) অর্থনৈতিকভাবে খুবই লাভজনক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

    উচ্চ বেতনের ৫ চাকরি (Top 5 High Paying Jobs)

    ১) মার্কেটিং ডিরেক্টর: প্রথমেই আসে মার্কেটিং ডিরেক্টর। সাধারণভাবে এই পেশাদারদের বলা হয় কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ। কোম্পানির যেকোনও ধরনের মার্কেটিংয়ের কাজকে তদারকি করা এবং নির্দেশ দেওয়ার কাজ করে থাকেন এই পদাধিকারীরা। এর পাশাপাশি পরিকল্পনা তৈরি করা, পণ্যের প্রচারের জন্য টিম তৈরি করা, কোম্পানির বাজেট ম্যানেজমেন্ট করা, তথা টিম লিডার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মার্কেটিং ডিরেক্টররা। দেখা গিয়েছে, ২০২৪ সালের হিসেবে, ভারতে বছরে গড়ে ৩১ লাখ টাকা পর্যন্ত হয় মার্কেটিং ডিরেক্টরদের বেতন (Top 5 High Paying Jobs)।

    ২) পাইলট: পাইলট একটি একটি ভালো পেশা হতে পারে পড়ুয়াদের। তবে তার জন্য বিশেষ পেশাদার দক্ষতার প্রয়োজন। যাঁরা যে কোনও বিমানকে চালাতে সক্ষম হবেন, নিরাপদে তার অবতরণ করাতে পারবেন এবং দক্ষতার সঙ্গে ওড়াতে পারবেন-তাঁরাই পাইলট হিসেবে সফল হবেন। তবে পাইলট হওয়ার আগে কঠিন প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয় একজন প্রার্থীকে। এরপরেই মিলে সার্টিফিকেট। উড়ানের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার পরে একজন পাইলট হতে পারেন। ২০২৪ সালের হিসেবে, বছরে ভারতে পাইলটদের গড় বেতন বছরে ৩৬ লাখ টাকা।

    ৩) সফটওয়্যার আর্কিটেট: সফটওয়্যার আর্কিটেট হল কম্পিউটার প্রোগ্রামিং-এর সঙ্গে সম্পর্কিত। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ঠিক করেন প্রযুক্তির বিভিন্ন পদ্ধতি যা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে কাজে আসে। কোম্পানির প্রয়োজনমতো প্রযুক্তি সহায়তা করেন এই ক্ষেত্রের পেশাদাররা। সাধারণভাবে দেখা গিয়েছে, ২০২৪ সালের হিসেবে ভারতে সফটওয়্যার আর্কিটেকদের বেতন বছরে ৩৪ লাখ টাকা (Top 5 High Paying Jobs)।

    ৪) প্রোডাক্ট ম্যানেজার: একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার সাধারণভাবে সমীক্ষা চালান ক্রেতাদের চাহিদা, প্রয়োজনীয়তার- এ সমস্ত কিছুর ওপরে। এরপরেই তিনি কোম্পানিকে সেই মতো পরামর্শ দেন। সাধারণভাবে এই পেশা সম্পর্কিত বাজারের সঙ্গেই। ২০২৪ সালের হিসেবে দেখা গিয়েছে, ভারতে (India) বাৎসরিক গড় বেতন একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজারের ১৮ লাখ টাকা।

    ৫) ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার: একজন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার তাঁর ক্লায়েন্টদের পরামর্শ দেন যে কিভাবে মূলধন বাড়াতে হবে, গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত একটি কোম্পানি কীভাবে নেবে তাও বাতলে দেন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কাররা। এছাড়াও বিভিন্ন জটিল অর্থনৈতিক লেনদেনের বিষয়েও দক্ষতা দেখান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কাররা। ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ২০২৪ সালে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কারদের বেতন বছরে ১৭ লাখ টাকা (Top 5 High Paying Jobs)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Railway Recruitment 2024: দশম শ্রেণি পাশ করে রেলে ২০০০-এর বেশি চাকরি, কীভাবে আবেদন করবেন?

    Railway Recruitment 2024: দশম শ্রেণি পাশ করে রেলে ২০০০-এর বেশি চাকরি, কীভাবে আবেদন করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেলে (Indian Railways) কয়েক হাজার চাকরির সুযোগ। সেন্ট্রাল রেলওয়েতে (Central Railways) শিক্ষানবিশ (Apprentice) পদে হতে চলেছে নিয়োগ। আগ্রহী এবং যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন জানাতে পারবেন। সেন্ট্রাল রেলওয়ের ‘রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট সেল’ (Railway Recruitment Cell)- এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট rrccr.com – এখানে গিয়ে আবেদন জানানো যাবে। মোট ২৪২৪ শূন্যপদ রয়েছে। 

    আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা (Railway Recruitment 2024)

    সেন্ট্রাল রেলওয়েতে শিক্ষানবিশ পদে নিযুক্ত হওয়ার জন্য দশম শ্রেণি বা তার সমতুল্য কোনও পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। সেখানে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। আর এই পরীক্ষা দিতে হবে স্বীকৃত কোনও বোর্ড থেকে। এর পাশাপাশি ন্যাশনাল ট্রেড সার্টিফিকেট থাকতে হবে আবেদনকারীদের কাছে। ইতিমধ্যেই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং তা চালু থাকবে আগামী ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত। 

    বয়সসীমা (Railway Recruitment 2024)

    ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীরা (১৫/০৭/২০২৪ অনুসারে) সেন্ট্রাল রেলওয়েতে শিক্ষানবিশ পদে নিযুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতির আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ৫ বছর ছাড় রয়েছে। অর্থাৎ এই দুই সংরক্ষিত শ্রেণির ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের সর্বোচ্চ বয়স ২৯ বছর হতে পারে। আর ওবিসি শ্রেণির আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ৩ বছরের ছাড় রয়েছে। অর্থাৎ তাঁদের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর সর্বোচ্চ বয়স হতে পারে ২৭ বছর। 

    আরও পড়ুন: গুজরাট থেকে বাংলা, রাজস্থান থেকে কর্নাটক! জানেন ভারতের পেশা-বৈচিত্র্য

    কীভাবে নির্বাচন (Railway Recruitment 2024)

    একটি মেধাতালিকা তৈরি করা হবে আবেদনকারীদের। এই মেধাতালিকা তৈরির ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের দশম শ্রেণির পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর (ন্যূনতম ৫০ শতাংশ পেতেই হবে) এবং আইটিআই (সেই ট্রেডে প্রাপ্ত নম্বর যাতে অ্যাপ্রেন্টিসশিপ করবেন আবেদনকারী)- তে প্রাপ্ত নম্বর হিসেব করা হবে। এই দুই ক্ষেত্রের নম্বরের গড়ের ভিত্তিতে মূলত তৈরি হবে প্যানেল। 

    ফর্মের মূল্য (Railway Recruitment 2024)

    অসংরক্ষিত শ্রেণির আবেদনকারীদের জন্য ১০০ টাকা অ্যাপ্লিকেশন ফি ধার্য করা হয়েছে। অনলাইনে টাকা জমা দিতে হবে। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার সময়েই টাকা জমা দেওয়া যাবে। তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি, বিশেষ ভাবে সক্ষম এবং মহিলা আবেদনকারীদের কোনও অ্যাপ্লিকেশন ফি জমা দিতে হবে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Unique Professions:  গুজরাট থেকে বাংলা, রাজস্থান থেকে কর্নাটক! জানেন ভারতের পেশা-বৈচিত্র্য

    Unique Professions: গুজরাট থেকে বাংলা, রাজস্থান থেকে কর্নাটক! জানেন ভারতের পেশা-বৈচিত্র্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নিজের হাতে কাজ করো, কাজ তো ঘৃণার নয়, কাজের মাঝে হয় মানুষের, সত্য পরিচয়”! আবদুল লতিফের লেখা এই গান বলে দেয় বেঁচে থাকার জন্য কোনো পেশাই ছোট নয়। ভারতের মতো বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশে কাজের ক্ষেত্রেও যে হরেক রকম প্রভাব দেখা যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই ভারতের সাগরতীরে নানান পেশার লোক চেখে পড়ে। এরকমই কিছু অন্য ধরনের কাজ ও তাঁর সঙ্গে যুক্ত লোকেদের খোঁজ রইল এই লেখায়।

    মুম্বইয়ে ইঁদুর ধরা

    ইরফান শেখ। মুম্বইয়ের অলিতে-গলিতে রাতের অন্ধকারে ইঁদুর ধরে বেড়ান তিনি। মুম্বইয়ের মতো ঘিঞ্জি শহরে ইঁদুরের উপদ্রব লেগেই থাকে। জনস্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশনের তরফে এই ইঁদুর ধরার অভিযান চালানো হয়। ইরফান এখানে কাজ করেন। শহরে নানারকম রোগের প্রকোপ কমাতে ও বি-টাউনকে সুন্দর রাখতে এই পেশা খুবই প্রয়োজনীয়।

    মণিপুরে মৃৎশিল্প

    মণিপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম আন্দ্রো। থংগম তাবাবি দেবী সেই গ্রামেরই বাসিন্দা। মণিপুরের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পকে এখনও ধরে রেখেছেন তিনি। এই মাটির কাজ সাধারণত চাকা ছাড়াই মেয়েরা হাতে করে। এখন এই কাজ খুব কমই দেখা যায়। তবু শিল্পের এই বিলুপ্তপ্রায় ধারাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন তাবাবি। নিজে হাতে নানান মূর্তি, মাটির বাসন তৈরি করেন তাবাবি।

    ‘মানব-কম্পিউটার’ 

    গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড তাঁকে নাম দিয়েছে, ‘মানব-কম্পিউটার (Human Computer)।’ শকুন্তলা দেবী আজ আর নেই। দেশের গর্ব নারী-শক্তির অনন্য প্রতীক শকুন্তলা দেবীর (Shakuntala devi) মৃত্যু হয়েছে ২০১৩ সালে। আজও তাঁর জন্মদিন ৪ নভেম্বরকে বিশেষ সম্মান দেয় গুগল ডুডল। সম্প্রতি তাঁর জীবনী নিয়েই সিনেমা বানিয়েছেন চিত্রপরিচালক অনু মেনন। নাম চরিত্রে বিদ্যা বালন। বিদ্যা বলেছিলেন, এমন এক জন নারীর চরিত্রে অভিনয় করার জন্য রীতিমতো প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে তাঁকে, শিখতে হয়েছে অঙ্ক। অঙ্কের নম্বর চেনা শুরু বাবার কাছেই, সার্কাসের তাঁবুতে। তারপর থেকে মুখে মুখে জটিল অঙ্কের সমাধান করতেন শকুন্তলা।

    রাজস্থানের সাপুড়ে উপজাতি

    সাপ ধরা এদের পেশা এবং নেশা। বিভিন্ন জায়গা থেকে সাপ ধরে সেগুলি জঙ্গলে ছেড়ে দেয় এরা। বহু বিষধর সাপ নিয়ে খেলাও দেখায়। সাপকে বন্ধুদের মতো আগলে রাখে। সাপ সম্পর্কে রাজস্থানের সাপুড়ে উপজাতিদের মতো দক্ষ খুব কম আছে।

    দিল্লির কান-সাফাই বা ইয়ার-ক্লিনার

    রাজধানী দিল্লি তথা দেশের নানা প্রান্তে অতীতে এই পেশার কদর ছিল। অনেকেই নিয়মিত কান সাফাই করতেন। কিন্তু এখন উন্নত চিকিৎসা-বিজ্ঞানের যুগে এই পেশা প্রায় বিলুপ্ত। তবু দিল্লির বাসিন্দা রাজু রাম এখনও সামান্য কিছু ছোট ছোট জিনিস দিয়ে লোকেদের কান পরিষ্কার করে যাচ্ছেন। তাঁর কাছে কানের পরিচর্যা করে উপকারও পেয়েছেন অনেকে।

    রোড-সাইড ডেন্টিস্ট 

    বিহারের বিভিন্ন গ্রামে রাস্তার ধারে দাঁতের ডাক্তার দেখতে পাওয়া যায়। এদের পুঁথিগত বিদ্যা না থাকলেও অল্প কিছু জিনিস দিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার জোরে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন এরকম ডাক্তাররা। এর এক অনন্য উদাহরণ বলেন ডাক্তার রতন সিং। দাঁত তোলা থেকে ফিলিং সবকিছুই করেন তিনি। নিজের অভিজ্ঞতায় গরিব মানুষের দাঁতের পরিচর্যা করাই কাজ রতন সিং-এর।

    সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ

    মৌলেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুন্দরবনের গহন অরণ্য থেকে মধু সংগ্রহ করেন। প্রত্যেক বছর ৪০ থেকে ৫০ টি মৌলে দলকে মধু সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়। সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে জীবনের বাজি রেখে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে তাঁরা বেরিয়ে পড়েন মধু সংগ্রহের কাজে । মৌলেরা জঙ্গল থেকে যাতে নিরাপদে পরিবারের কাছে ফিরে আসে, সেই প্রার্থনা করে বনবিবির কাছে পূজার্চনা করেন বাড়ির অন্যরা। অভিজ্ঞ মৌলেরা জঙ্গলে নেমে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েন। মৌচাক দেখতে পেলেই বিশেষ আওয়াজ করে সবাইকে এক জায়গায় জড়ো করেন। তারপর আগুনের ধোঁয়া দিয়ে মধু সংগ্রহের কাজ চালান। 

    রাজস্থানের কাঠপুতলি

    পুতুল, স্থানীয়ভাবে কাঠপুতলি নামে পরিচিত, রাজস্থানীদের সংস্কৃতি এবং জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। রাজ্যে পুতুলশিল্পের ঐতিহ্য প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে এসেছে। এটি সমগ্র বিশ্বের প্রাচীনতম পুতুল তৈরির অঞ্চল। এই অঞ্চলে পুতুল নাচ বিখ্যাত। পুতুল নাচের মাধ্যমে ইতিহাস, ভারতের সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। পুরান ভাট রাজস্থানে পুতুল নাচের এক বিশিষ্ট শিল্পী। উদয়পুর ও জয়পুরে তৈরি আম কাঠের পুতুল দিয়ে তিনি দেশ তথা বিশ্বের নানা প্রান্তে মানুষের মনোরঞ্জন করেন। পুতুল নাচের মাধ্যমে তুলে ধরেন রাজপুত-গাথা।

    আরও পড়ুন: চন্দ্রযান ৩ বর্ষ পূর্তি! নতুন এক ইতিহাস রচনা ভারতের

    গুজরাটে লবণ উৎপাদন

    সেই ডাণ্ডি অভিযান দিয়ে শুরু। তারপর থেকে ভারতে উৎপাদিত লবণের প্রায় চার ভাগের তিনভাগই হয় গুজরাতে। আর দেশীয় লবণ উৎপাদনে পৃথিবীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান রয়েছে ভারতের। তার সিংহ ভাগ কৃতিত্বই প্রাপ্য পশ্চিমের এই রাজ্যের। বিশ্বে লবণ উৎপাদনে ভারত তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর ভারতের যে পাঁচটি রাজ্যে লবণ উৎপাদন হয় সেগুলি হল গুজরাত, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্রপ্রদেশ। তার মধ্যে শুধুমাত্র গুজরাতেই দেশের ৭৬ শতাংশ লবণ উৎপাদন হয়। গুজরাতে সমুদ্রের ধারে চৌবাচ্চার মতো আকৃতিতে যে এলাকাগুলি খনন করে রাখা হয় সেগুলি বর্ষার শেষের দিকে সমুদ্রের জল দিয়ে ভরা থাকে। অক্টোবর মাস থেকে জল বাষ্পীভূত হওয়া শুরু হয়। কয়েক মাসের মধ্যে জল বাষ্পীভূত হওয়ার পরে লবণের পুরু আস্তরণ পড়ে থাকে। সেগুলি স্তরে স্তরে জমা হয়। সবথেকে উপরের স্তরে যে লবণ থাকে, সেটা সবথেকে ভাল মানের লবণ। সেটিই বিক্রি করা হয়। বাকি স্তরগুলি রাসায়নিক কারখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কচ্ছের লবণ চাষীরা আগারিয়া নামে পরিচিত। 

    চন্নাপাটনা কাঠের খেলনা 

    চন্নাপাটনা কাঠের খেলনা ভারতের কর্নাটকের চান্নাপাটনা অঞ্চলে তৈরি ঐতিহ্যবাহী খেলনার একটি অনন্য রূপ। এই খেলনাগুলি তাদের প্রাণবন্ত রং, মসৃণ টেক্সচার এবং জটিল ডিজাইনের জন্য পরিচিত। চন্নাপাটনা অঞ্চল দুই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে খেলনা তৈরির কেন্দ্রস্থল। চান্নাপাটনায় কাঠের খেলনা তৈরির শিল্পের শুরু টিপু সুলতানের শাসনকালে, যিনি স্থানীয় কারিগরদের তার প্রাসাদের জন্য খেলনা তৈরি করতে উত্সাহিত করেছিলেন। রাজপরিবারের খেলনা তৈরিতে কারিগররা হাতির দাঁত, চন্দন কাঠ এবং অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করত। কর্নাটকের এই প্রাচীন শিল্পকে এখনও ধরে রেখেছেন রামচন্দ্র রাও। তাঁর প্রস্তুত খেলনা সারা ভারতে সমাদৃত।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Post: ভারতীয় ডাক বিভাগে ৪৪ হাজার কর্মী নিয়োগ! জেনে নিন কীভাবে আবেদন করবেন

    India Post: ভারতীয় ডাক বিভাগে ৪৪ হাজার কর্মী নিয়োগ! জেনে নিন কীভাবে আবেদন করবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ডাক বিভাগে (India Post) প্রায় ৪৪ হাজার কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল। গ্রামীণ ডাক সেবকের (GDS Recruitment) ৪৪ হাজার ২২৮ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে৷ ওই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, বিহার, ছত্তিশগড়, দিল্লি, গুজরাট, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তর-পূর্ব ভারত, ওড়িশা, পঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড-সহ ২৩টি রাজ্যে গ্রামীণ ডাক সেবক পদে নিয়োগ করা হবে।

    কবে থেকে আবেদন করবেন (India Post) 

    চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন সোমবার অর্থাৎ ১৫ জুলাই থেকে৷ ৫ অগাস্ট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। ৬,৭ ও ৮ অগাস্ট আবেদনে কোনও ভুল থাকলে তা সংশোধন করতে পারবেন। অগাস্টের ৮ তারিখের পর আর কিছু করা যাবে না। গ্রামীণ ডাক সেবক (GDS Recruitment) পদে আবেদনের জন্য যেতে হবে ডাক বিভাগের (India Post) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে indiapostgdsonline.gov.in। আবেদনের ফি ১০০ টাকা।

    কারা আবেদন করতে পারবেন (GDS Recruitment)

    দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে গ্রামীণ ডাক সেবকের (GDS Recruitment) পদের প্রার্থীদের নির্বাচন হবে। এর পাশাপাশি সকল আবেদনকারীকে সাইকেল চালাতে জানতে হবে৷ কম্পিউটার জানাও বাধ্যতামূলক ৷ আবেদনকারীকে একটি স্বীকৃত বোর্ড থেকে দশম পাশ করতে হবে ৷ স্থানীয় ভাষাও জানতে হবে৷ একই সঙ্গে প্রার্থীদের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। সংরক্ষিত বিভাগের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ছাড় দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে তফসিলি জাতি/তফসিলি উপজাতিদের জন্য ৫ বছর, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য ৩ বছর, বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের ১০ বছরের উপরে সর্বোচ্চ বয়সসীমায় ছাড় দেওয়া হবে৷ তবে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বিভাগের জন্য বয়সের ক্ষেত্রে কোনও শিথিলতা নেই ৷

    কীভাবে আবেদন করবেন

    প্রথম ধাপ: indiapostgdsonline.gov.in অফিসিয়াল ওয়েবসাইট যান।

    দ্বিতীয় ধাপ: ইন্ডিয়া পোস্ট গ্রামীণ ডাক সেবক (জিডিএস) নিয়োগ ২০২৪ লিঙ্কে ক্লিক করুন।

    তৃতীয় ধাপ: রেজিস্ট্রেশনের ফি দিন।

    চতুর্থ ধাপ: প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করুন।

    পঞ্চম ধাপ: প্রয়োজনীয় বিবরণ-সহ আবেদনপত্র পূরণ করুন এবং জমা দিন।

    ষষ্ঠ ধাপ: আবেদনপত্রটি ডাউনলোড করুন এবং ভবিষ্যতের জন্য ফর্মের একটি প্রিন্টআউট নিয়ে রাখুন।

    আরও পড়ুন: অ্যাপলের পর গুগল! ভারতেই তৈরি হবে পিক্সেল ফোন, যাবে ইউরোপ-আমেরিকায়

    নজরে রাখুন (India Post) 

    আবেদনকারীদের অবশ্যই ফর্ম পূরণের সময় বৈধ ইমেল আইডি এবং মোবাইল নম্বর দিতে হবে। যাতে পরবর্তীকালে ডাক বিভাগ কর্তৃপক্ষ ওই ইমেল বা ফোন নম্বারে যোগাযোগ করতে পারে। ওয়াবসাইটে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি যাচাইয়ের সময় আবেদনকারীদের অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে। ফি একবার পরিশোধ করা হলে কোনোভাবেই সেটা ফেরত পাওয়া যাবে না। তাই ভালো করে দেখেশুনে ফর্ম ফিলাপ ও ফি জমা দিতে হবে ৷

    বেতন কত (India Post) 

    গ্রামীণ ডাক সেবক নিয়োগে (GDS Recruitment) দুটি পদ রয়েছে ৷ একটি হল সহকারী শাখা পোস্টমাস্টার এবং শাখা পোস্ট মাস্টার। সহকারী শাখা পোস্টমাস্টারের বেতন স্কেল ১০,০০০ থেকে ২৪,৪৭০ টাকার মধ্যে। যদিও শাখা পোস্টমাস্টারের বেতন স্কেল ১২০০০ থেকে ২৯,৩৮০ টাকার মধ্যে। চৌকিদার পদে যারা নির্বাচিত হবেন তারা মাসিক ২০,০০০ টাকা বেতন পাবেন৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Agniveer: প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সিএপিএফ-এর কনস্টেবল পোস্টে, ঘোষণা কেন্দ্রের

    Agniveer: প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সিএপিএফ-এর কনস্টেবল পোস্টে, ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন অগ্নিবীরদের (Ex-Agniveers) জন্য দশ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সে (Agniveer) এই সংরক্ষণ মিলবে কনস্টেবল পোস্টে। সিআইএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল নীনা সিং এবং বিএসএফের নীতিন আগারওয়াল যৌথভাবে এই ঘোষণা করেছেন।

    কী বলছেন নীনা সিং (Agniveer)?

    নীনা সিং এদিন এক প্রেস বিবৃতিতে (Agniveer) বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাক্তন অগ্নিবীরদের নিয়োগের বিষয়ে। সিআইএসএফ কেন্দ্র সরকারের সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রস্তুতি (Agniveer) নিচ্ছে, প্রাক্তন অগ্নিবীরদের নিয়োগ করার ক্ষেত্রে।’’ এর পাশাপাশি নীনা সিং প্রাক্তন অগ্নিবীরদের বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা নিয়েও এদিন বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘শারীরিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে তাঁদেরকে বয়সে ছাড় দেওয়া হবে।’’ ডিডি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন নীনা সিং।

    অগ্নিবীর প্রকল্প কেন্দ্রের মোদি সরকার চালু করে ২০২২ সালের জুন মাসে

    প্রসঙ্গত, অগ্নিবীর প্রকল্প কেন্দ্রের মোদি সরকার চালু করে ২০২২ সালের জুন মাসে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল সেনাতে তারুণ্যে জোর দেওয়া (Agniveer)। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে ১৭ বছর থেকে ২১ বছর পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন দেশের তরুণরা। পরবর্তীকালে তার মধ্যে থেকে ২৫ শতাংশকে বেছে নেওয়া হবে পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত সমালোচনার উর্ধ্বে ছিল না। বাকি ৭৫ শতাংশ অগ্নিবীরদের কী হবে সে নিয়েই প্রশ্ন তোলে দেশের বিরোধীরা।

    বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল নীতিন আগরওয়াল কী বলছেন?

    অন্যদিকে বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল নীতিন আগরওয়াল বলেন, ‘‘অগ্নিবীর প্রকল্পের মাধ্যমে বেশ লাভই হয়েছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এবং অন্যান্য সিকিউরিটি ফোর্সের। অগ্নিবীররা (Ex-Agniveers) চার বছরের জন্য অভিজ্ঞতার সুযোগ পাচ্ছেন, তাঁদেরকে শেখানো হচ্ছে শৃঙ্খলা, তেমনই তাঁরা প্রশিক্ষণও পাচ্ছেন। এটা বিএসএফের জন্য খুব ভালো হচ্ছে যে তারা একেবারে ট্রেনিংপ্রাপ্ত জওয়ানদের পেয়ে যাচ্ছে। এর পরে তাঁদেরকে খুব কম প্রশিক্ষণই দেওয়া হচ্ছে এবং সীমান্তে মোতায়ন করা হচ্ছে।’’ এর পাশাপাশি নীতিন আগরওয়াল আরও বলেন, ‘‘আমরা অপেক্ষা করছি তাঁদেরকে নিয়োগ করার জন্য এবং স্বল্পকালীন ট্রেনিং দেওয়ার জন্য।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Piyush Goyal: “তামাক শিল্পে এফডিআই উদারীকরণ করবে না সরকার”, সাফ জানালেন গোয়েল

    Piyush Goyal: “তামাক শিল্পে এফডিআই উদারীকরণ করবে না সরকার”, সাফ জানালেন গোয়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তামাক শিল্পে এফডিআই (FDI) উদারীকরণ করবে না কেন্দ্রীয় সরকার।” মঙ্গলবার একথা জানালেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)। নয়াদিল্লিতে শিল্পক্ষেত্রের অনুষ্ঠানের ফাঁকে একথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তামাক শিল্পে সরকার এফডিআইয়ের বিভিন্ন বিধিগুলি আরও কঠোর করার কথা ভাবছে বলেও জানান তিনি।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? (Piyush Goyal)

    মন্ত্রী জানান, তামাক প্রোডাক্টের ফ্র্যাঞ্চাইজি, ট্রেডমার্ক এবং তামাকের কোনও ব্র্যান্ডিং এবং এই জাতীয় কোনও সাবস্টিটিউটের ক্ষেত্রে সরকার এফডিআই রেস্ট্রিকশনের কথা ভাবছে। প্রসঙ্গত, সরকারি নিয়মে ভারতে বর্তমানে তামাক জাতীয় প্রোডাক্ট উৎপাদনে এফডিআই অনুমোদন করা হয়নি। তামাক শিল্পে এফডিআই নীতি কঠোর করার প্রস্তাব বিবেচনাধীন বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, বিষয়টি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তাব প্রস্তুত করা হয়েছে। তামাক শিল্পকে পাপ বলেই বিবেচনা করা হয়।

    শিল্পমন্ত্রকের পার্লামেন্টারি কমিটির প্রস্তাব

    এই শিল্পের ক্ষেত্রেই থাকে হরেক কিসিমের চাপ। যখন তখনই বাড়িয়ে দেওয়া হয় মোটা অঙ্কের কর। ভারতে তামাক শিল্পেই (Piyush Goyal) জিএসটি দিতে হয় সব চেয়ে বেশি, ২৮ শতাংশ। ৬১ শতাংশ তামাক প্রোডাক্টের ওপর ট্যাক্স দিতে হয় দু’শো শতাংশ। ২০২০ সালে বাণিজ্য এবং শিল্পমন্ত্রকের পার্লামেন্টারি কমিটি এই শিল্পে এফডিআইয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। তাদের যুক্তি ছিল, এতে করে তামাকজাত দ্রব্য বেশি করে রফতানি হবে। প্যানেল অবশ্য এ-ও বলেছিল, এই প্রস্তাব প্রযোজ্য হবে কেবলমাত্র তামাক ফার্মগুলির ক্ষেত্রে।

    আর পড়ুন: ব্রিকস পার্লামেন্টারি ফোরামে ভারতীয় সংসদীয় দলের নেতৃত্ব দেবেন স্পিকার

    সিগারেট রফতানিতে ভারত বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ইউএন কমট্রেডের হিসেব বলছে, ভারত ২০২২ সালে সিগারেট রফতানি করেছিল ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। আমদানি করেছিল ২৬ মিলিয়নের কাছাকাছি তামাকজাত দ্রব্য। আইবিইএফের হিসেবে, ভারতে তামাক ফার্মিং ক্ষেত্রে কাজ করেন ৩৬ মিলিয়ন মানুষ। এর মধ্যে রয়েছেন প্রসেসিং, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং এক্সপোর্টের কাজে জড়িত মানুষজনও। প্রতিবার কেন্দ্রীয় বাজেটে মোটা অঙ্কের কর আরোপ করা হয় তামাক শিল্পে।

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতে অননুমোদিত উৎপাদন ও চিবানো তামাকের ব্যবহার কমাতে সরকারকে সাহায্য করার অনুরোধ করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা এ-ও (FDI) জানিয়েছিলেন, এতে বিপুল ক্ষতি হচ্ছে সরকারি কোষাগারের। দেশে বেআইনিভাবে উৎপাদিত সিগারেটের বিক্রি বেড়েছে বলেও জানিয়েছিলেন (Piyush Goyal) তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RBI: দেশে নয়া কর্মসংস্থান হয়েছে ৪ কোটি ৭০ লাখ, বলছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    RBI: দেশে নয়া কর্মসংস্থান হয়েছে ৪ কোটি ৭০ লাখ, বলছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেস্টিনেশন ২০৪৭। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে এনডিএ-র সর্বসম্মত নেতা বিজেপির নরেন্দ্র মোদি। এই মোদি জমানায়ই তরতরিয়ে হচ্ছে ভারতের উন্নতি। বিভিন্ন সময় নানা সমীক্ষায় করা রিপোর্টে উঠে এসেছিল এই ছবি। এবার জানা গেল, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশে নয়া কর্মসংস্থানের (Jobs) সৃষ্টি হয়েছে ৪ কোটি ৭০ লাখ।

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট (RBI)  

    সোমবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) তরফে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে নয়া কর্মসংস্থান সৃষ্টির এই খবর। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হারও। ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে যেখানে এই হার ছিল ৩.২ শতাংশ, গত অর্থবর্ষে (২০২৩-’২৪) এই হারই বেড়ে হয়েছে ৬ শতাংশ। ‘ক্লেমস’ তথ্যভান্ডারে জমা পড়া নানান তথ্য বিশ্লেষণ করে ২৭টি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের হার খতিয়ে দেখেছে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে রয়েছে কৃষি, মৎস্য, খনি এবং শিল্পোৎপাদন। প্রসঙ্গত, এই ‘ক্লেমস’ তথ্যভান্ডারেই বিশ্লেষণ করা হয় শিল্পোৎপাদন ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত পরিসংখ্যান।

    আর্থিক বৃদ্ধির হার বেড়েছে

    মোদি জমানায় যে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার বেড়েছে, সম্প্রতি তা জানিয়েছিল বেসরকারি সংস্থা ‘সিটিগ্রুপ ইন্ডিয়া’। তারা জানিয়েছিল, ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির (RBI) হার ৭ শতাংশ। এই রিপোর্টেই বলা হয়েছিল, বর্তমান আর্থিক বৃদ্ধির হার বজায় থাকলে বছরে ৮০ থেকে ৯০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে। সোমবার কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক জানিয়ে দেয়, ‘পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে’ এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ‘ক্লেমস’ তথ্যভান্ডারের পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে নতুন করে চাকরি হয়েছে ৮ কোটি।

    আর পড়ুন: ভারতে আরও ৬টি পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র গড়বে রাশিয়া!

    প্রসঙ্গত, ‘পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে’র সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতে বেকারত্বের হার কমেছে ৩.২ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে এই হার ছিল ৬.১ শতাংশ। এই সংস্থা এই রিপোর্ট তৈরি করেছিল জুলাই-জুন পর্বে।

    গত মাসে সরকার যে ফর্মাল এমপ্লয়মেন্ট ডেটা প্রকাশ করেছিল, তাতেও দেখা গিয়েছে, ২০২৪ অর্থবর্ষে ৩১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ফর্মাল ওয়ার্কফোর্সে যোগ দিয়েছেন। এই সময় এমপ্লয়িজ স্টেট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশনে যোগ দিয়েছেন ২১ মিলিয়ন মানুষ। আর এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিমে যোগ দিয়েছেন ১০ মিলিয়ন মানুষ। অর্থনীতিবিদ সুপর্ণ মৈত্র বলেন, “রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) পরিসংখ্যানকে অস্বীকার করা যায় না। নিশ্চয়ই দেশে কর্মসংস্থানের (Jobs) হার বৃদ্ধি পেয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PhonePe: ফ্লিপকার্টের কর্মী থেকে সফল ব্যবসায়ী, দিশা দেখাচ্ছেন সমীর নিগম

    PhonePe: ফ্লিপকার্টের কর্মী থেকে সফল ব্যবসায়ী, দিশা দেখাচ্ছেন সমীর নিগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্লিপকার্টের সাধারণ কর্মী ছিলেন তিনি। এখন প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকার কোম্পানি চালান। এই ব্যবসায়ীর নাম সমীর নিগম। চেনেন না তো? ফোন পে’র (PhonePe) কথা নিশ্চয়ই জানেন। সেই কোম্পানির সিইও তিনি। ইউপিআই ( UPI)  অ্যাপের সিইও এখন ভারতবর্ষের অন্যতম সফল ব্যবসায়ী। তাঁর অ্যাপ এখন ভারতবর্ষের ইউপিআই দুনিয়ার অন্যতম সফল অ্যাপ। ফোন পে বর্তমানে কয়েক লক্ষ ব্যবহারকারীর অর্থনৈতিক লেনদেনের ভরসার প্রতীক।

    ২০২২ সালে ফ্লিপকার্ট থেকে আলাদা হয় ফোন পে (PhonePe)

    ফোন পে’র যাত্রা একটি উল্লেখযোগ্য মোড় নেয় যখন এটিকে ফ্লিপকার্ট ২০ মিলিয়ন ডলারেরও কম মূল্যে অধিগ্রহণ করে। ফ্লিপকার্টে ওয়ালমার্টের বেশিরভাগ অংশীদারিত্ব অধিগ্রহণের পর, ওয়ালমার্ট ফোন পে’র (PhonePe) উপর পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। তবে ২০২২ সালে একটি সাহসী পদক্ষেপ নেয় ফোন পে। স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য ফ্লিপকার্ট থেকে আলাদা হয়ে যায়। এখান থেকেই কোম্পানির স্বাবলম্বী হওয়ার যাত্রা শুরু। ফোন পে ডিজিটাল ওয়ালেট, ইউপিআই পেমেন্ট, বিল পেমেন্ট এবং নির্বিঘ্ন ক্রয় লেনদেন সহ তার বিস্তৃত পরিসরের পরিষেবার মাধ্যমে ব্যক্তি এবং ব্যবসা উভয়ের জন্য আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। এই ইউপিআই প্ল্যাটফর্মটি ২০২৩ সালে ক্রস-বর্ডার ইউপিআই (UPI) পেমেন্ট এবং পিনকোড, একটি হাইপারলোকাল শপিং এবং কমার্স অ্যাপ লঞ্চের মাধ্যমে অফার এবং পরিষেবাগুলিকে প্রসারিত করে।

    ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু ফোন পে’র (UPI)

    ২০১৫ সালে, ভারতীয় উদ্যোক্তা সমীর নিগম ফোন পে চালু করেন এবং বর্তমানে তিনি কোম্পানির সিইও। আগে ফ্লিপকার্টের ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০৯ সালে, তিনি তাঁর প্রথম ব্যবসা, মাইম ৩৬০ প্রতিষ্ঠা করেন। দ্য ইকোনমিক টাইমস তাঁকে চল্লিশ বছরের নিচে শীর্ষ ৪০ ভারতীয় কর্পোরেটদের মধ্যে স্থান দিয়েছে। বর্তমানে সমীর নিগম কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালুরুতে থাকেন। তিনি নয়ডা থেকে মুম্বাই এবং তারপর ব্যাঙ্গালুরুতে যান, যেখানে ফোন পে সদর দফতরের অবস্থান। ফোন পে যে বছর চালু হয়েছিল সেই বছরই ভারত সরকার ডিমনিটাইজেশন করেছিল।

    আরও পড়ুন: পুরনো কাপড় দিয়ে নতুন পুতুল! লক্ষাধিক টাকা উপার্জনের নয়া পন্থা তামিলনাড়ুর দম্পতির

    বর্তমানে ৫০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী এবং ৩.৭ কোটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে, ফোন পে (PhonePe) এবং ভারত বিল পে সিস্টেম বাজারে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ধারণ করে। নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত, এর আনুমানিক মূল্য ১২ বিলিয়ন ডলার (৯৯.৪০০ কোটি টাকার বেশি) ছাড়িয়ে গেছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share