Category: জীবিকা

Get updated Profession related and Career news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India Post: ভারতীয় ডাক বিভাগে ৪৪ হাজার কর্মী নিয়োগ! জেনে নিন কীভাবে আবেদন করবেন

    India Post: ভারতীয় ডাক বিভাগে ৪৪ হাজার কর্মী নিয়োগ! জেনে নিন কীভাবে আবেদন করবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ডাক বিভাগে (India Post) প্রায় ৪৪ হাজার কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল। গ্রামীণ ডাক সেবকের (GDS Recruitment) ৪৪ হাজার ২২৮ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে৷ ওই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, বিহার, ছত্তিশগড়, দিল্লি, গুজরাট, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তর-পূর্ব ভারত, ওড়িশা, পঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড-সহ ২৩টি রাজ্যে গ্রামীণ ডাক সেবক পদে নিয়োগ করা হবে।

    কবে থেকে আবেদন করবেন (India Post) 

    চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন সোমবার অর্থাৎ ১৫ জুলাই থেকে৷ ৫ অগাস্ট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। ৬,৭ ও ৮ অগাস্ট আবেদনে কোনও ভুল থাকলে তা সংশোধন করতে পারবেন। অগাস্টের ৮ তারিখের পর আর কিছু করা যাবে না। গ্রামীণ ডাক সেবক (GDS Recruitment) পদে আবেদনের জন্য যেতে হবে ডাক বিভাগের (India Post) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে indiapostgdsonline.gov.in। আবেদনের ফি ১০০ টাকা।

    কারা আবেদন করতে পারবেন (GDS Recruitment)

    দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে গ্রামীণ ডাক সেবকের (GDS Recruitment) পদের প্রার্থীদের নির্বাচন হবে। এর পাশাপাশি সকল আবেদনকারীকে সাইকেল চালাতে জানতে হবে৷ কম্পিউটার জানাও বাধ্যতামূলক ৷ আবেদনকারীকে একটি স্বীকৃত বোর্ড থেকে দশম পাশ করতে হবে ৷ স্থানীয় ভাষাও জানতে হবে৷ একই সঙ্গে প্রার্থীদের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। সংরক্ষিত বিভাগের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ছাড় দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে তফসিলি জাতি/তফসিলি উপজাতিদের জন্য ৫ বছর, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য ৩ বছর, বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের ১০ বছরের উপরে সর্বোচ্চ বয়সসীমায় ছাড় দেওয়া হবে৷ তবে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বিভাগের জন্য বয়সের ক্ষেত্রে কোনও শিথিলতা নেই ৷

    কীভাবে আবেদন করবেন

    প্রথম ধাপ: indiapostgdsonline.gov.in অফিসিয়াল ওয়েবসাইট যান।

    দ্বিতীয় ধাপ: ইন্ডিয়া পোস্ট গ্রামীণ ডাক সেবক (জিডিএস) নিয়োগ ২০২৪ লিঙ্কে ক্লিক করুন।

    তৃতীয় ধাপ: রেজিস্ট্রেশনের ফি দিন।

    চতুর্থ ধাপ: প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করুন।

    পঞ্চম ধাপ: প্রয়োজনীয় বিবরণ-সহ আবেদনপত্র পূরণ করুন এবং জমা দিন।

    ষষ্ঠ ধাপ: আবেদনপত্রটি ডাউনলোড করুন এবং ভবিষ্যতের জন্য ফর্মের একটি প্রিন্টআউট নিয়ে রাখুন।

    আরও পড়ুন: অ্যাপলের পর গুগল! ভারতেই তৈরি হবে পিক্সেল ফোন, যাবে ইউরোপ-আমেরিকায়

    নজরে রাখুন (India Post) 

    আবেদনকারীদের অবশ্যই ফর্ম পূরণের সময় বৈধ ইমেল আইডি এবং মোবাইল নম্বর দিতে হবে। যাতে পরবর্তীকালে ডাক বিভাগ কর্তৃপক্ষ ওই ইমেল বা ফোন নম্বারে যোগাযোগ করতে পারে। ওয়াবসাইটে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি যাচাইয়ের সময় আবেদনকারীদের অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে। ফি একবার পরিশোধ করা হলে কোনোভাবেই সেটা ফেরত পাওয়া যাবে না। তাই ভালো করে দেখেশুনে ফর্ম ফিলাপ ও ফি জমা দিতে হবে ৷

    বেতন কত (India Post) 

    গ্রামীণ ডাক সেবক নিয়োগে (GDS Recruitment) দুটি পদ রয়েছে ৷ একটি হল সহকারী শাখা পোস্টমাস্টার এবং শাখা পোস্ট মাস্টার। সহকারী শাখা পোস্টমাস্টারের বেতন স্কেল ১০,০০০ থেকে ২৪,৪৭০ টাকার মধ্যে। যদিও শাখা পোস্টমাস্টারের বেতন স্কেল ১২০০০ থেকে ২৯,৩৮০ টাকার মধ্যে। চৌকিদার পদে যারা নির্বাচিত হবেন তারা মাসিক ২০,০০০ টাকা বেতন পাবেন৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Agniveer: প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সিএপিএফ-এর কনস্টেবল পোস্টে, ঘোষণা কেন্দ্রের

    Agniveer: প্রাক্তন অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সিএপিএফ-এর কনস্টেবল পোস্টে, ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন অগ্নিবীরদের (Ex-Agniveers) জন্য দশ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সে (Agniveer) এই সংরক্ষণ মিলবে কনস্টেবল পোস্টে। সিআইএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল নীনা সিং এবং বিএসএফের নীতিন আগারওয়াল যৌথভাবে এই ঘোষণা করেছেন।

    কী বলছেন নীনা সিং (Agniveer)?

    নীনা সিং এদিন এক প্রেস বিবৃতিতে (Agniveer) বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাক্তন অগ্নিবীরদের নিয়োগের বিষয়ে। সিআইএসএফ কেন্দ্র সরকারের সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রস্তুতি (Agniveer) নিচ্ছে, প্রাক্তন অগ্নিবীরদের নিয়োগ করার ক্ষেত্রে।’’ এর পাশাপাশি নীনা সিং প্রাক্তন অগ্নিবীরদের বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা নিয়েও এদিন বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘শারীরিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে তাঁদেরকে বয়সে ছাড় দেওয়া হবে।’’ ডিডি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন নীনা সিং।

    অগ্নিবীর প্রকল্প কেন্দ্রের মোদি সরকার চালু করে ২০২২ সালের জুন মাসে

    প্রসঙ্গত, অগ্নিবীর প্রকল্প কেন্দ্রের মোদি সরকার চালু করে ২০২২ সালের জুন মাসে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল সেনাতে তারুণ্যে জোর দেওয়া (Agniveer)। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে ১৭ বছর থেকে ২১ বছর পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন দেশের তরুণরা। পরবর্তীকালে তার মধ্যে থেকে ২৫ শতাংশকে বেছে নেওয়া হবে পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত সমালোচনার উর্ধ্বে ছিল না। বাকি ৭৫ শতাংশ অগ্নিবীরদের কী হবে সে নিয়েই প্রশ্ন তোলে দেশের বিরোধীরা।

    বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল নীতিন আগরওয়াল কী বলছেন?

    অন্যদিকে বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেল নীতিন আগরওয়াল বলেন, ‘‘অগ্নিবীর প্রকল্পের মাধ্যমে বেশ লাভই হয়েছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এবং অন্যান্য সিকিউরিটি ফোর্সের। অগ্নিবীররা (Ex-Agniveers) চার বছরের জন্য অভিজ্ঞতার সুযোগ পাচ্ছেন, তাঁদেরকে শেখানো হচ্ছে শৃঙ্খলা, তেমনই তাঁরা প্রশিক্ষণও পাচ্ছেন। এটা বিএসএফের জন্য খুব ভালো হচ্ছে যে তারা একেবারে ট্রেনিংপ্রাপ্ত জওয়ানদের পেয়ে যাচ্ছে। এর পরে তাঁদেরকে খুব কম প্রশিক্ষণই দেওয়া হচ্ছে এবং সীমান্তে মোতায়ন করা হচ্ছে।’’ এর পাশাপাশি নীতিন আগরওয়াল আরও বলেন, ‘‘আমরা অপেক্ষা করছি তাঁদেরকে নিয়োগ করার জন্য এবং স্বল্পকালীন ট্রেনিং দেওয়ার জন্য।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Piyush Goyal: “তামাক শিল্পে এফডিআই উদারীকরণ করবে না সরকার”, সাফ জানালেন গোয়েল

    Piyush Goyal: “তামাক শিল্পে এফডিআই উদারীকরণ করবে না সরকার”, সাফ জানালেন গোয়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তামাক শিল্পে এফডিআই (FDI) উদারীকরণ করবে না কেন্দ্রীয় সরকার।” মঙ্গলবার একথা জানালেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)। নয়াদিল্লিতে শিল্পক্ষেত্রের অনুষ্ঠানের ফাঁকে একথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তামাক শিল্পে সরকার এফডিআইয়ের বিভিন্ন বিধিগুলি আরও কঠোর করার কথা ভাবছে বলেও জানান তিনি।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? (Piyush Goyal)

    মন্ত্রী জানান, তামাক প্রোডাক্টের ফ্র্যাঞ্চাইজি, ট্রেডমার্ক এবং তামাকের কোনও ব্র্যান্ডিং এবং এই জাতীয় কোনও সাবস্টিটিউটের ক্ষেত্রে সরকার এফডিআই রেস্ট্রিকশনের কথা ভাবছে। প্রসঙ্গত, সরকারি নিয়মে ভারতে বর্তমানে তামাক জাতীয় প্রোডাক্ট উৎপাদনে এফডিআই অনুমোদন করা হয়নি। তামাক শিল্পে এফডিআই নীতি কঠোর করার প্রস্তাব বিবেচনাধীন বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, বিষয়টি মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তাব প্রস্তুত করা হয়েছে। তামাক শিল্পকে পাপ বলেই বিবেচনা করা হয়।

    শিল্পমন্ত্রকের পার্লামেন্টারি কমিটির প্রস্তাব

    এই শিল্পের ক্ষেত্রেই থাকে হরেক কিসিমের চাপ। যখন তখনই বাড়িয়ে দেওয়া হয় মোটা অঙ্কের কর। ভারতে তামাক শিল্পেই (Piyush Goyal) জিএসটি দিতে হয় সব চেয়ে বেশি, ২৮ শতাংশ। ৬১ শতাংশ তামাক প্রোডাক্টের ওপর ট্যাক্স দিতে হয় দু’শো শতাংশ। ২০২০ সালে বাণিজ্য এবং শিল্পমন্ত্রকের পার্লামেন্টারি কমিটি এই শিল্পে এফডিআইয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। তাদের যুক্তি ছিল, এতে করে তামাকজাত দ্রব্য বেশি করে রফতানি হবে। প্যানেল অবশ্য এ-ও বলেছিল, এই প্রস্তাব প্রযোজ্য হবে কেবলমাত্র তামাক ফার্মগুলির ক্ষেত্রে।

    আর পড়ুন: ব্রিকস পার্লামেন্টারি ফোরামে ভারতীয় সংসদীয় দলের নেতৃত্ব দেবেন স্পিকার

    সিগারেট রফতানিতে ভারত বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ইউএন কমট্রেডের হিসেব বলছে, ভারত ২০২২ সালে সিগারেট রফতানি করেছিল ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। আমদানি করেছিল ২৬ মিলিয়নের কাছাকাছি তামাকজাত দ্রব্য। আইবিইএফের হিসেবে, ভারতে তামাক ফার্মিং ক্ষেত্রে কাজ করেন ৩৬ মিলিয়ন মানুষ। এর মধ্যে রয়েছেন প্রসেসিং, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং এক্সপোর্টের কাজে জড়িত মানুষজনও। প্রতিবার কেন্দ্রীয় বাজেটে মোটা অঙ্কের কর আরোপ করা হয় তামাক শিল্পে।

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতে অননুমোদিত উৎপাদন ও চিবানো তামাকের ব্যবহার কমাতে সরকারকে সাহায্য করার অনুরোধ করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা এ-ও (FDI) জানিয়েছিলেন, এতে বিপুল ক্ষতি হচ্ছে সরকারি কোষাগারের। দেশে বেআইনিভাবে উৎপাদিত সিগারেটের বিক্রি বেড়েছে বলেও জানিয়েছিলেন (Piyush Goyal) তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RBI: দেশে নয়া কর্মসংস্থান হয়েছে ৪ কোটি ৭০ লাখ, বলছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    RBI: দেশে নয়া কর্মসংস্থান হয়েছে ৪ কোটি ৭০ লাখ, বলছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেস্টিনেশন ২০৪৭। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে এনডিএ-র সর্বসম্মত নেতা বিজেপির নরেন্দ্র মোদি। এই মোদি জমানায়ই তরতরিয়ে হচ্ছে ভারতের উন্নতি। বিভিন্ন সময় নানা সমীক্ষায় করা রিপোর্টে উঠে এসেছিল এই ছবি। এবার জানা গেল, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশে নয়া কর্মসংস্থানের (Jobs) সৃষ্টি হয়েছে ৪ কোটি ৭০ লাখ।

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট (RBI)  

    সোমবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) তরফে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে নয়া কর্মসংস্থান সৃষ্টির এই খবর। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হারও। ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে যেখানে এই হার ছিল ৩.২ শতাংশ, গত অর্থবর্ষে (২০২৩-’২৪) এই হারই বেড়ে হয়েছে ৬ শতাংশ। ‘ক্লেমস’ তথ্যভান্ডারে জমা পড়া নানান তথ্য বিশ্লেষণ করে ২৭টি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের হার খতিয়ে দেখেছে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে রয়েছে কৃষি, মৎস্য, খনি এবং শিল্পোৎপাদন। প্রসঙ্গত, এই ‘ক্লেমস’ তথ্যভান্ডারেই বিশ্লেষণ করা হয় শিল্পোৎপাদন ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত পরিসংখ্যান।

    আর্থিক বৃদ্ধির হার বেড়েছে

    মোদি জমানায় যে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার বেড়েছে, সম্প্রতি তা জানিয়েছিল বেসরকারি সংস্থা ‘সিটিগ্রুপ ইন্ডিয়া’। তারা জানিয়েছিল, ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির (RBI) হার ৭ শতাংশ। এই রিপোর্টেই বলা হয়েছিল, বর্তমান আর্থিক বৃদ্ধির হার বজায় থাকলে বছরে ৮০ থেকে ৯০ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে। সোমবার কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক জানিয়ে দেয়, ‘পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে’ এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ‘ক্লেমস’ তথ্যভান্ডারের পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে নতুন করে চাকরি হয়েছে ৮ কোটি।

    আর পড়ুন: ভারতে আরও ৬টি পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র গড়বে রাশিয়া!

    প্রসঙ্গত, ‘পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে’র সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতে বেকারত্বের হার কমেছে ৩.২ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে এই হার ছিল ৬.১ শতাংশ। এই সংস্থা এই রিপোর্ট তৈরি করেছিল জুলাই-জুন পর্বে।

    গত মাসে সরকার যে ফর্মাল এমপ্লয়মেন্ট ডেটা প্রকাশ করেছিল, তাতেও দেখা গিয়েছে, ২০২৪ অর্থবর্ষে ৩১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ফর্মাল ওয়ার্কফোর্সে যোগ দিয়েছেন। এই সময় এমপ্লয়িজ স্টেট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশনে যোগ দিয়েছেন ২১ মিলিয়ন মানুষ। আর এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিমে যোগ দিয়েছেন ১০ মিলিয়ন মানুষ। অর্থনীতিবিদ সুপর্ণ মৈত্র বলেন, “রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) পরিসংখ্যানকে অস্বীকার করা যায় না। নিশ্চয়ই দেশে কর্মসংস্থানের (Jobs) হার বৃদ্ধি পেয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PhonePe: ফ্লিপকার্টের কর্মী থেকে সফল ব্যবসায়ী, দিশা দেখাচ্ছেন সমীর নিগম

    PhonePe: ফ্লিপকার্টের কর্মী থেকে সফল ব্যবসায়ী, দিশা দেখাচ্ছেন সমীর নিগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্লিপকার্টের সাধারণ কর্মী ছিলেন তিনি। এখন প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকার কোম্পানি চালান। এই ব্যবসায়ীর নাম সমীর নিগম। চেনেন না তো? ফোন পে’র (PhonePe) কথা নিশ্চয়ই জানেন। সেই কোম্পানির সিইও তিনি। ইউপিআই ( UPI)  অ্যাপের সিইও এখন ভারতবর্ষের অন্যতম সফল ব্যবসায়ী। তাঁর অ্যাপ এখন ভারতবর্ষের ইউপিআই দুনিয়ার অন্যতম সফল অ্যাপ। ফোন পে বর্তমানে কয়েক লক্ষ ব্যবহারকারীর অর্থনৈতিক লেনদেনের ভরসার প্রতীক।

    ২০২২ সালে ফ্লিপকার্ট থেকে আলাদা হয় ফোন পে (PhonePe)

    ফোন পে’র যাত্রা একটি উল্লেখযোগ্য মোড় নেয় যখন এটিকে ফ্লিপকার্ট ২০ মিলিয়ন ডলারেরও কম মূল্যে অধিগ্রহণ করে। ফ্লিপকার্টে ওয়ালমার্টের বেশিরভাগ অংশীদারিত্ব অধিগ্রহণের পর, ওয়ালমার্ট ফোন পে’র (PhonePe) উপর পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। তবে ২০২২ সালে একটি সাহসী পদক্ষেপ নেয় ফোন পে। স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য ফ্লিপকার্ট থেকে আলাদা হয়ে যায়। এখান থেকেই কোম্পানির স্বাবলম্বী হওয়ার যাত্রা শুরু। ফোন পে ডিজিটাল ওয়ালেট, ইউপিআই পেমেন্ট, বিল পেমেন্ট এবং নির্বিঘ্ন ক্রয় লেনদেন সহ তার বিস্তৃত পরিসরের পরিষেবার মাধ্যমে ব্যক্তি এবং ব্যবসা উভয়ের জন্য আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। এই ইউপিআই প্ল্যাটফর্মটি ২০২৩ সালে ক্রস-বর্ডার ইউপিআই (UPI) পেমেন্ট এবং পিনকোড, একটি হাইপারলোকাল শপিং এবং কমার্স অ্যাপ লঞ্চের মাধ্যমে অফার এবং পরিষেবাগুলিকে প্রসারিত করে।

    ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু ফোন পে’র (UPI)

    ২০১৫ সালে, ভারতীয় উদ্যোক্তা সমীর নিগম ফোন পে চালু করেন এবং বর্তমানে তিনি কোম্পানির সিইও। আগে ফ্লিপকার্টের ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০৯ সালে, তিনি তাঁর প্রথম ব্যবসা, মাইম ৩৬০ প্রতিষ্ঠা করেন। দ্য ইকোনমিক টাইমস তাঁকে চল্লিশ বছরের নিচে শীর্ষ ৪০ ভারতীয় কর্পোরেটদের মধ্যে স্থান দিয়েছে। বর্তমানে সমীর নিগম কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালুরুতে থাকেন। তিনি নয়ডা থেকে মুম্বাই এবং তারপর ব্যাঙ্গালুরুতে যান, যেখানে ফোন পে সদর দফতরের অবস্থান। ফোন পে যে বছর চালু হয়েছিল সেই বছরই ভারত সরকার ডিমনিটাইজেশন করেছিল।

    আরও পড়ুন: পুরনো কাপড় দিয়ে নতুন পুতুল! লক্ষাধিক টাকা উপার্জনের নয়া পন্থা তামিলনাড়ুর দম্পতির

    বর্তমানে ৫০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী এবং ৩.৭ কোটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে, ফোন পে (PhonePe) এবং ভারত বিল পে সিস্টেম বাজারে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ধারণ করে। নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত, এর আনুমানিক মূল্য ১২ বিলিয়ন ডলার (৯৯.৪০০ কোটি টাকার বেশি) ছাড়িয়ে গেছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • The Good Gift: পুরনো কাপড় দিয়ে নতুন পুতুল!  লক্ষাধিক টাকা উপার্জনের নয়া পন্থা তামিলনাড়ুর দম্পতির

    The Good Gift: পুরনো কাপড় দিয়ে নতুন পুতুল! লক্ষাধিক টাকা উপার্জনের নয়া পন্থা তামিলনাড়ুর দম্পতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশির দশকে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গেই। দিদার কাছে শিখেছিলেন পুরনো কাপড় দিয়ে পুতুল তৈরি করতে। সেই পুতুলই ছিল তাঁর খেলার সঙ্গী। পরে বড় হয়ে পড়াশোনা করে বেঙ্গালুরু পাড়ি। সেখানে আইটি কোম্পানিতে চাকরি। সেখানেই জীবনসঙ্গী সুহাস রামগৌড়ার সঙ্গে ঘর বেঁধছিলেন সুনীতা। কিন্তু কিছুতেই ওই যান্ত্রিক কাজে নিজেদের মন বসাতে পারছিলেন না সুনীতা ও সুহাস। মন টানছিল প্রকৃতি। রাঙা মাটির পথে পাড়ি জমাতে চাইলেন দুজনে। চলে গেলেন নীলগিড়ির পাদদেশে তামিলনাড়ুর একটি গ্রামে। গড়ে তুললেন স্বপ্নের কুঁড়ে ঘর। শুরু করলেন পুতুল (Rag Dolls) তৈরি করতে। তৈরি করেছেন ‘দ্য গুড গিফট’ (The Good Gift)।

    পুরনো কাপড় দিয়েই নতুন পুতুল (The Good Gift)

    ২০১৭ সাল থেকে তামিলনাড়ু নীলগিড়ি অঞ্চলে এরকম পুতুল তৈরি করছেন সুনীতা। সঙ্গে নিয়েছেন গ্রামের আদিবাসী মহিলাদের। তৈরি করেছেন ‘দ্য গুড গিফট’ (The Good Gift)। সুনীতা বলেন,”আমার মনে আছে আমার দাদি তার পুরনো কাপড় দিয়ে আমার জন্য পুতুল তৈরি করত। সেই কথা মাথায় রেখে আমি এই গ্রামে এসে প্রথমে শখে সময় কাটানোর জন্য পুতুল তৈরি করতে থাকি। অনেকে এই পুতুল পছন্দ করে। এরপরেই মনে অন্য ভাবনা আসে। গ্রামের মেয়েরাও এই পুতুল তৈরি করে নিজেরা কিছু রোজগার করতে পারে। এই ভাবনা থেকেই নতুন ভাবে পুতুল তৈরি করি।”  আদিবাসী সম্প্রদায়ের ২৩০ জন এখন সুনীতার সংস্থায় কাজ করে। তাঁরা প্রত্যেকে এই পুতুল তৈরি করে মাসে ৪ থেকে ৮ হাজার টাকা রোজগার করে। পুতুল বিক্রি করে সুনীতারা মাসে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা আয় করেন। যা সকলের মধ্যে ভাগ করা হয়।

    আরও পড়ুন: অ্যাপলের পর গুগল! ভারতেই তৈরি হবে পিক্সেল ফোন, যাবে ইউরোপ-আমেরিকায়

    পুতুলের নতুন রূপ (The Good Gift)

    সুনীতা ও সুহাসদের তৈরি পুতুল সকলের পছন্দের। পুতুলগুলির (Rag Dolls) পোশাক পরিবর্তন করা যায়। পুরনো কাপড় ও কম্বলকে সেলাই করে তার উপর এমব্রয়ডারি করে পুতুল তৈরি করা হয়। করা হয় ফেব্রিকের কাজ। সুহাস বলেন, “আমরা বেঙ্গালুরুতে প্রায় ১৫ বছর কাজ করেছি। আমাদের জীবন তখন অনেক স্বচ্ছল ছিল। কিন্তু এখানে এসে মনে হয়ে আমরা নতুন কিছু করছি। সমাজের জন্য কিছু করতে পারছি। আমরা যখন এখানে আসি তখন এখানকার মেয়েদের সে অর্থে কোনও কাজ ছিল না। এখন এরা নিজেরা কিছু করছে।” সুনীতা জানান, প্রথমে তাঁরা সংস্থা (The Good Gift) তৈরি করেনি। ২০২৩ সালে ‘দ্য গুড গিফট’তৈরি করে তাঁরা। তাঁদের তৈরি পণ্যের মার্কেটিং-এর জন্য ওয়েবসাইটও তৈরি করেছে সুহাস। আরও ভাল কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছেন সুনীতা-সুহাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ITR Filing: ঘনিয়ে আসছে আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন, জেনে নিন কী কী লাগবে

    ITR Filing: ঘনিয়ে আসছে আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন, জেনে নিন কী কী লাগবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাঁরা কর দেন, ভারতে তাঁদের প্রতিবছর আয়কর রিটার্ন দাখিল (ITR Filing) করতে হয়। পয়লা এপ্রিল থেকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হয়। এজন্য প্রয়োজনীয় কী কী নথি (Essential Documents) লাগে, কী-ই বা করতে হবে, আসুন জেনে নেওয়া যাক।

    প্রয়োজনীয় নথি (ITR Filing)

    আইটিআর ফাইল করার জন্য সবার আগে প্রয়োজন প্যান ও আধার কার্ড। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণও দিতে হয়। টিডিএসের শংসাপত্র, ট্যাক্স পেমেন্ট চালান, কর সাশ্রয়ী বিনিয়োগের(দান করার ক্ষেত্রে) প্রমাণপত্রও লাগবে।

    বেতনভোগীদের ক্ষেত্রে

    যাঁরা বেতনভোগী, তাঁদের পূরণ করতে হবে ‘ফর্ম ১৬’। আপনি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, সেই সংস্থা এটি দেবে। লাগবে মাসিক বেতনের স্লিপও। করযোগ্য ভাতার (বাড়ি ভাড়ার মতো যেসব ভাতা পান) যাবতীয় বিবরণও।

    অন্যান্য উৎস থেকে আয়

    ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছাড়াও অন্যান্য উৎস থেকে আয়ের নথিও লাগবে। ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট এবং সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ফিক্সড ডিপোজিট ইত্যাদি থেকে অর্জিত সুদও রেকর্ড করতে হবে। অন্তর্ভুক্ত করতে হবে অ্যাকাউন্ট নম্বর, আইএফএসসি কোড এবং ব্যাঙ্কের নাম। ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট সংক্রান্ত নথিও লাগবে। জমা দিতে হবে ফর্ম ২৬এএস। এখানে টিডিএস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। লটারি কেনা, এনএসসির মতো অর্জিত সুদের নথি, কৃষি আয় এবং ক্লাবড ইনকামের বিষয়েও রিপোর্ট করতে হবে।

    সম্পত্তি থেকে আয়

    সম্পত্তি থেকে পাওয়া ভাড়ার বিবরণ (ITR Filing) অন্তর্ভুক্ত করানো প্রয়োজন। ব্যাঙ্ক থেকে কোনও লোন নিলে, সে সংক্রান্ত শংসাপত্রে মূল ও সুদের পেমেন্ট দেখানো উচিত। প্রয়োজন হতে পারে মিউনিপ্যাল ট্যাক্স-প্রদত্ত রসিদ। ভাড়া সংক্রান্ত ফর্ম ১৬ এ-ও প্রয়োজন হলে দিতে হতে পারে। হোম লোন নেওয়া থাকলে মালিকানার প্রমাণপত্র পেশ করতে হবে। প্রসঙ্গত, আয়কর আইন ১৯৬১-র ২৪(বি)-র অধীনে হোম লোন চার্জ ছাড়যোগ্য।

    আর পড়ুন: রাজার দেশে লেবার পার্টির জয়, কোন খাতে বইবে ভারত-ব্রিটেন সম্পর্কের জল?

    অতিরিক্ত ছাড়যোগ্য খরচ

    শিশুদের স্কুলের টিউশন ফি(যাঁদের দিতে হয়)-এর রসিদ সঙ্গে রাখুন। জীবন বিমা পলিসিতে করা প্রিমিয়াম পেমেন্টের রসিদ কাছে রাখুন। স্ট্যাম্প ডিউটি এবং সম্পত্তির ওপর দেওয়া রেজিস্ট্রেশন চার্জের রসিদ রাখুন। হোম লোনের (যাঁরা লোন নিয়েছেন) মূল পরিশোধের রেকর্ড ঠিকঠাক রাখুন। ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিম বা মিউচুয়াল ফান্ডে যদি বিনিয়োগ করা থাকে, তারও রেকর্ড (Essential Documents) রাখতে হবে। মনে রাখবেন, ৮০-র অধীনে অনুমোদিত সর্বোচ্চ ছাড় হল ১.৫ লাখ টাকা (ITR Filing)।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Success Story: দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, গুলির চিহ্ন সারা দেহে, ১৬ বারের চেষ্টায় রিঙ্কু সফল ইউপিএসসিতে

    Success Story: দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, গুলির চিহ্ন সারা দেহে, ১৬ বারের চেষ্টায় রিঙ্কু সফল ইউপিএসসিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের রিঙ্কু সিং রাহি। ১৬ বারের প্রচেষ্টায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ইউপিএসসি পরীক্ষা। দুষ্কৃতীরা ৬ রাউন্ড গুলি চালায় তাঁর ওপর। ভর্তি থাকেন হাসপাতালে। এরপরে সেসব বাধা টপকে তিনি কঠোর অধ্যাবসায় করেন আর তাতেই মিলল সাফল্য (Success Story)। ২০০৭ সালেই ডিস্ট্রিক্ট সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। পাশ করেছিলেন উত্তর প্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা। কর্মজীবনের প্রবেশ করার পরে একজন দায়িত্বশীল সরকারি আমলা হিসেবে তিনি যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিতে থাকেন। এই সময়ের মধ্যে একটি প্রকল্পে তিনি দুর্নীতি ধরে ফেলেন। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতরা রিঙ্কু সিংকে (Rinku Sing Rahi) ক্রমাগত জীবনহানির হুমকি দিতে থাকে। দুষ্কৃতীরা তাঁর ওপরে ভয়াবহ আক্রমণ শানায়। এই সময়ে রিঙ্কু সিং রাহি গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু তারপরেই তিনি তাঁর জীবনে কাম ব্যাক করেন। নিতে থাকেন দেশের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা ইউপিএসসির প্রস্তুতি। বর্তমানে তিনি একজন ট্রেনি আইএএস অফিসার।

    বুলেটের ভাঙা অংশ থেকে যায় মাথায় (Success Story)

    উত্তরপ্রদেশের ডিস্ট্রিক্ট সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসার হিসেবে প্রায় ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি তিনি সামনে আনেন। ২০০৯ সালের ৬ মার্চ তিনি জখম ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন তাঁর ওপরে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। পরপর ৬ রাউন্ড গুলি করে তারা। গুরুতর জখম হন (Success Story) রিঙ্কু সিং। এতটাই গুরুতর ছিল আঘাত, যে হাসপাতালে চারমাস ভর্তি থাকতে হয়েছিল রিঙ্কুকে। তাঁর চোখে এবং চোয়ালে ব্যাপক আঘাত লাগে। একটি বুলেটের ভাঙা অংশ তাঁর মাথাতেও থেকে যায়। পরে অপারেশন করতে হয়। এই সমস্ত কিছু সত্ত্বেও হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে তিনি (Rinku Sing Rahi) কাজে যোগ দেন।

    ইউপিএসসি পরীক্ষায় দিব্যাঙ্গ ক্যাটাগরিতে ১৬তম প্রচেষ্টায় ৬৮৩ র‌্যাঙ্ক করেন সারাদেশে

    দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সদা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকতেন রিঙ্কু সিং। ২০১২ সালে আন্না হাজারের দুর্নীতি বিরোধী (Success Story) যে আন্দোলন ইউপিএস সরকারের বিরুদ্ধে সংঘটিত করেছিলেন, সেখানেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। বারবার পুলিশি বাধার মুখে তাঁকে পড়তে হয়েছে। কিন্তু এসব সত্বেও তিনি দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ার পিছনে সর্বদাই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন। ২০১৮ সালে তাঁকে কাজ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে কাজে যোগদানের পরে তিনি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টের কোচিং সেন্টারের দায়িত্ব নেন হাপুরে। তাঁর গাইডেন্সে প্রচুর অ্যাসপিরেন্ট সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় (Success Story)। জানা যায়, দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই তিনি স্নাতক হন টাটা ইনস্টিটিউট থেকে। রিঙ্কু সিং ২০২১ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় দিব্যাঙ্গ ক্যাটাগরিতে ১৬ তম প্রচেষ্টায় ৬৮৩ র‌্যাঙ্ক  করেন সারাদেশে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Success Story: ডেন্টিস্ট থেকে এক চান্সেই আইপিএস, সিমির গল্প হার মানায় রূপকথাকেও

    Success Story: ডেন্টিস্ট থেকে এক চান্সেই আইপিএস, সিমির গল্প হার মানায় রূপকথাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছিলেন পেশায় দন্ত চিকিৎসক। তবে বরাবর প্রশাসনিক কাজকর্মই ছিল তাঁর পছন্দের তালিকার ওপরের দিকেই (Success Story)। সেই স্বপ্ন পূরণ করেই এবার খবরের শিরোনামে নভজ্যোত সিমি (Navjot Simi)। প্রথমবারের চেষ্টায় ইউপিএসসির মতো কঠিন একটি পরীক্ষার চৌকাঠ পার হয়েছেন তিনি। তাঁর সাফল্যের কাহিনি ছড়িয়েছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সৌন্দর্য এবং নিষ্ঠার তারিফ করছেন আসমুদ্র হিমাচলবাসী।

    সিমির পাখির চোখ (Success Story)

    পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে ১৯৮৭ সালের ২১ ডিসেম্বরে জন্ম সিমির। ছোট থেকেই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ছিল তাঁর। স্কুলের পাঠ শেষে লুধিয়ানার একটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাশ করে ডেন্টিস্ট হন সিমি। চেম্বার খুলে শুরু করে দেন দন্তচিকিৎসাও। তবে তাঁর পাখির চোখ ছিল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় লক্ষ্যভেদ করা। এজন্য দিল্লির একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হন তিনি। সাহায্য নেন ইন্টারনেটেরও।

    ইউপিএসসি ক্র্যাক মেধাবিনীর

    রোগীদের দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার পাশাপাশি প্রস্তুতি শুরু করে দেন ইউপিএসসি পরীক্ষারও। দিনরাত এক করে পড়াশোনা করেন সিমি (Success Story)। প্রথমবারের চেষ্টায়ই লক্ষ্যভেদ করতে সমর্থ হন এই রূপসী। ইউপিএসসি পরীক্ষায় তাঁর স্থান হয় ৭৩৫। বিহার ক্যাডারের আইপিএস হিসেবে শুরু করেন কর্মজীবন। বর্তমানে বিহারের মহিলা ও দুর্বল শ্রেণির জন্য যে বিশেষ পুলিশবাহিনী রয়েছে, তার সুপার পদে রয়েছেন এই মেধাবিনী।

    পাঞ্জাবেরই তুষার সিঙ্গলার সঙ্গে বিয়ে হয় সিমির। তুষার আইএএস অফিসার। ২০১৫ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় তাঁর স্থান হয়েছিল সাফল্যে তালিকার ৮৬ নম্বরে। শত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও চুটিয়ে সংসার করে চলেছেন তুষার-সিমি (Navjot Simi)। ইতিমধ্যেই মা-ও হয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সিমি। পছন্দ করেন ঘুরে বেড়াতে। স্বামীর সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্টও করেন প্রায়ই।

    প্রথমবারের চেষ্টায় কীভাবে করলেন লক্ষ্যভেদ? ইউপিএসসির মতো একটি কঠিন পরীক্ষার চৌকাঠ কীভাবে টপকালেন প্রথমবারেই? পাঞ্জাবী এই তন্বী বলেন, “ব্যয়বহুল কোচিং সেন্টারের সাহায্য ছাড়াও ডিঙোনো যায় এই পরীক্ষার চৌকাঠ। আমার বিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম, পড়াশোনার প্রতি নিষ্ঠা, লক্ষ্য পূরণে গভীর মনোযোগ এবং অবশ্যই পরীক্ষাটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা এনে দেবে সাফল্য।”

    হাসি ঝরে পড়ে সিমির মুখে। যে হাসিতে মিশে রয়েছে গর্ব, নিষ্ঠা এবং অবশ্যই প্রত্যয় (Success Story)।

     

     

     

  • IT Firms Job: ২০২৪ আর্থিক বছরে ২৫ হাজার মহিলা চাকরি হারিয়েছেন বিভিন্ন আইটি কোম্পানিতে, প্রকাশ রিপোর্টে

    IT Firms Job: ২০২৪ আর্থিক বছরে ২৫ হাজার মহিলা চাকরি হারিয়েছেন বিভিন্ন আইটি কোম্পানিতে, প্রকাশ রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইটি কোম্পানিগুলিতে (IT Firms Job) ২০২৪ আর্থিক বছরে চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার মহিলা। সম্প্রতি রিপোর্টে এমনটাই দেখা যাচ্ছে। ভারতের শীর্ষস্থানীয় পাঁচটি আইটি পরিষেবা সংস্থা-ইনফোসিস, টিসিএস, উইপ্রো, এলটিআই মাইন্ডট্রি, এইচসিএল টেক প্রভৃতি কোম্পানিতে মার্চে শেষ হওয়া চলতি আর্থিক বছরের রিপোর্টে এমনটাই সামনে এসেছে। স্টাফিং ফার্ম Xpheno দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষাতেও একই কথা উঠে এসেছে। শুধু তাই নয়,সমীক্ষকরা এও দাবি করেছেন,আইটি কোম্পানিগুলিতে মহিলা কর্মীদের গুরুত্বও অনেকটাই কমেছে আগের থেকে। এর পাশাপাশি তাঁরা লিঙ্গ বৈষম্যেরও শিকার হচ্ছেন।

    একলাফে ২৫ হাজার জন চাকরি হারান

    সমীক্ষা রিপোর্টগুলিতে দেখা যাচ্ছে, করোনাকালীন সময় থেকেই এই আইটি কোম্পানিগুলিতে কাজ করতেন তিন লাখ চুয়াত্তর হাজার মহিলা। পরে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচ লাখ চল্লিশ হাজারে। কিন্তু ২০২৪ আর্থিক বর্ষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৫ হাজারে। অন্যদিকে রিপোর্টে এও দেখা যাচ্ছে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ৩৮ শতাংশ মহিলার বেশি কর্মসংস্থান (IT Firms Job) হয়েছিল। ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত। তা সংখ্যায় ছিল ১ লাখ ৪১ হাজার। কিন্তু পরবর্তীকালে হঠাৎই তা কমে দাঁড়ায়। একলাফে ২৫ হাজার জন মহিলা চাকরি হারান।

    লিঙ্গ বৈষম্যেরও শিকার হচ্ছেন মহিলারা

    অন্যদিকে, করোনার আগে ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মহিলা কর্মীদের খুব বেশি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়নি, তা হয়েছিল ১.৫৬ শতাংশ মাত্র। অন্যদিকে, সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, এই সমস্ত শীর্ষস্থানীয় আইটি কোম্পানিগুলিতে (IT Firms Job) মহিলাদের প্রভাবও অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে এবং তাঁরা লিঙ্গ বৈষম্যেরও শিকার হচ্ছেন। এর পাশাপাশি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, সুযোগ সুবিধা অনেককিছু থেকেই তাঁদের বঞ্চিত রাখা হচ্ছে।

     

    আরও পড়ুন: স্পিকার পদে ভোটাভুটি আজ, জয় নিশ্চিত বিড়লার, অতীতে তিনবার এই পদে নির্বাচন হয়েছে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share