Category: জীবিকা

Get updated Profession related and Career news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Birbhum: সেনাবাহিনীতে ‘অগ্নিবীর’ সুমন, প্রত্যন্ত গ্রামে প্রথম সরকারি চাকরিতে খুশির হাওয়া

    Birbhum: সেনাবাহিনীতে ‘অগ্নিবীর’ সুমন, প্রত্যন্ত গ্রামে প্রথম সরকারি চাকরিতে খুশির হাওয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতারাতি সেলিব্রিটি বীরভূমের (Birbhum) গ্রামের ছেলে। না, কোনও সিনেমায় অভিনয় বা অন্য কোনও কাজ করে নয়, সরকারি চাকরি পেয়ে সেলিব্রিটি তিনি। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনছেন, গ্রামের প্রথম সরকারি চাকরি বলে কথা। বীরভূমের সিউড়ির নগরী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বড়গ্রামের এক সামান্য দিনমজুরের ছেলে সুমন। ছোট থেকেই পড়াশোনাতে অনেক সুনাম। তারই প্রতিফলন সেনাবাহিনীতে অগ্নিবীর হিসেবে সাফল্য পাওয়া। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামের মানুষজন শুভেচ্ছা জানাতে ভিড় করছেন সুমনের ছোট্ট মাটির কুঁড়ে ঘরে।

    সংসারের হাল ধরতে পড়াশোনা শেষের আগেই চাকরির সিদ্ধান্ত (Birbhum)

    নগরী গ্রামের সুধাংশু বদনি শিক্ষানিকেতন স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর বিশ্বভারতীতে বিএসসি অনার্স নিয়ে পড়াশোনা সুমনের। ইচ্ছে ছিল নেট-সেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পিএইচডি করে অধ্যাপক হওয়ার। কিন্তু বিএসসি পঞ্চম সেমেস্টার সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই সেনাবাহিনী থেকে ডাক পড়ে সুমনের। অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন যেত সুমনের। বাবা রাজমিস্ত্রির শ্রমিক, কোনও দিন হাতে কাজ থাকত, আবার কোনও দিন তাও থাকত না। তাই সুমনের মা সিউড়িতে বাড়ির পরিচারিকার কাজ করতেন। সেই থেকেই সুমনের পড়াশোনার খরচ চলত বলে জানিয়েছে পরিবার। কিন্তু সুমন থেমে থাকেননি, এত কষ্টের মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন। সংসারের হাল ধরতেই সেনাবাহিনীর জন্য আবেদন করেন সুমন, আর প্রথমবারেই সাফল্য। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামে খুশির জোয়ার। কারণ বড়গ্রামের বাউড়িপাড়া অঞ্চলে প্রথম সরকারি চাকরি পেয়েছেন সুমন। আগামী ২২ এপ্রিল থেকেই সেনাবাহিনীর কর্মী হিসেবে নিযুক্ত হবেন তিনি (Birbhum)।

    সুমন নিজে কী জানিয়েছেন?

    সুমনের এই সাফল্যের পর খুশি গোটা গ্রামবাসী থেকে তাঁর পরিবার। এই বিষয়ে সুমন বলেন, “যেহেতু আমি একটি গরিব ঘরের ছাত্র, আমার বাবা দিনমজুর এবং মা পরিচারিকার কাজ করে, তাই সংসার খুব কষ্ট করেই চলত আমাদের। এতে আমার পড়াশোনার খরচও চালাতে হত। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিই সেনাবাহিনীতে আবেদন করার। প্রথমবারই আমি সাফল্য পেয়েছি। আর গ্রামে প্রথম সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে নিজেকে আজ প্রতিষ্ঠা করেছি। তাই গ্রামবাসীও খুব খুশি।” সুমনের মা বলেন, “ছেলের পড়াশোনা করার খুবই ইচ্ছে ছিল। তাই খুব কষ্ট করে পড়াশোনা করাচ্ছিলাম। ও সরকারি চাকরি পাওয়ায় আমরা খুবই খুশি। এবার পরিবারের (Birbhum) অভাব কিছুটা হলেও মিটবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Success Story: এক সময় রিকশও চালিয়েছেন, আজ অ্যাপ-নির্ভর ক্যাব সংস্থার মালিক

    Success Story: এক সময় রিকশও চালিয়েছেন, আজ অ্যাপ-নির্ভর ক্যাব সংস্থার মালিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইচ্ছাশক্তি ও চেষ্টা মানুষকে যে জিরো থেকে হিরো বানাতে পারে, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ দিলখুশ কুমার (Success Story)। বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম, রোজ দারিদ্রতার সাথে লড়াই, অভাব-অনটন এতটাই ছিল যে এক সময় রিকশও চালিয়েছেন। কিন্তু এত কষ্টের মাঝেও নিজের ইচ্ছাশক্তিকে বিসর্জন দেননি তিনি।  আর এই সবকিছুকে কাটিয়ে তিনি আজ এক কোম্পানির সিইও। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা জানব সেই দিলখুশ কুমারের সম্বন্ধে, যাঁর গল্প বড় সিনেমাকেও হার মানাবে।

    দিলখুশের সংগ্রামের দিনগুলি (Success Story)

    বিহারের সহরসা জেলার বনগাঁও নামের একটি ছোট্ট গ্রামে জন্ম দিলখুশ কুমারের। এই গ্রাম থেকেই তিনি হাইস্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন। কিন্তু অভাব-অনটনের কারণে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারেননি দিলখুশ। তাঁর বাবা ছিলেন ট্রাক ড্রাইভার। পরিবারে উপার্জনের একমাত্র মানুষ ছিলেন তিনিই। তাই দিলখুশ নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কাজের খোঁজ নিতে থাকেন। কিন্তু অনেক ইন্টারভিউ দেওয়ার পরেও ভালো ফলাফল পাননি তিনি। তাই সিদ্ধান্ত নেন রিকশ চালানোর। তাই লোকালয়ে প্রথমে রিকশ চালানো শুরু করেন। কিন্তু এতে শারীরিক অনেক পরিশ্রমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন দিলখুশ (Success Story)। এর পরেই তিনি আবার কর্মজীবনে ফিরে আসেন। এবার তিনি বাজারে সব্জি বিক্রি করতে শুরু করেন। কিন্তু এই সবকিছুর মধ্যেই তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনে খামতি থেকে যাচ্ছিল। যদিও তাঁর প্রথম থেকেই ইচ্ছা ছিল ব্যবসা করার। তাই তিনি যেমন করেই হোক ব্যবসার প্রতি মনোনিবেশ করতে চেয়েছিলেন সারাটা জীবন।

    তৈরি করলেন নিজের ক্যাব সংস্থা (Success Story)

    তিনি কয়েক বছর ওলা, উবর-এর মতো কিছু ক্যাব সংস্থাতেও গাড়ি চালানোর কাজ করেন। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন নিজস্ব একটি অ্যাপ নির্ভর ক্যাব সংস্থা গড়ে তোলার। যেমন ভাবা তেমনই কাজ, তৈরি করে ফেললেন তাঁর প্রথম স্টার্ট আপ, নিজের প্রতিষ্ঠিত অ্যাপনির্ভর ক্যাব সংস্থা “রোডবেজ”। তবে ওলা কিংবা উবরের মতো যাত্রীদের গাড়ি সরবরাহ করে না তাঁর সংস্থা। দিলখুশের গ্রাহক পেশাদার গাড়ি চালকেরা। তাঁদেরকে নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে গাড়ি ভাড়া দেয় রোডবেজ। দিলখুশের (Success Story) প্রতিষ্ঠিত সংস্থা রোডবেজের বার্ষিক লেনদেন বেশ কয়েক কোটির কাছাকাছি। তিনি নিজেই ওই সংস্থার সিইও হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সারা বিহার জুড়ে দিলখুশের পরিবহণ সংস্থা এক নতুন মাত্রা পেয়েছে, যেখানে তিনি বহু ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র, এমনকী আইআইটি ও এনআইটির ইঞ্জিনিয়ারদের নিজের কোম্পানিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: ভারতীয় রেলে কোন পদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি কবে, প্রকাশিত ২০২৪ সালের ক্যালেন্ডার

    Indian Railways: ভারতীয় রেলে কোন পদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি কবে, প্রকাশিত ২০২৪ সালের ক্যালেন্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই মুহূর্তে যাঁরা একটি চাকরির চেষ্টায় আছেন, তাঁদের সকলের জন্য সুখবর এনে দিল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। চলতি বছরে রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড দ্বারা RRB রিক্রুটমেন্টস-এর জন্য একটি বার্ষিক সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে রেলের তরফে। ২০২৪ সালে সারা বছর ধরেই সেই রিক্রুটমেন্টস নোটিফিকেশন ধাপে ধাপে প্রকাশ করা হবে এবং সেই অনুযায়ী নিয়োগ সম্পন্ন হবে বলে রেল জানিয়েছে।

    কবে কোন পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি? (Indian Railways)

    পূর্ব রেল ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট পদের রিক্রুটমেন্ট নোটিফিকেশনের জন্য চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। টেকনিশিয়ানস পদের রিক্রুটমেন্ট নোটিফিকেশনের জন্য এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে চারটি আলাদা ক্যাটিগরিতে রিক্রুটমেন্ট নোটিফিকেশন রিলিজ করা হবে। যেমন গ্র্যাজুয়েট ক্যান্ডিডেটদের জন্য নন টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটিগরিস, যেটা সপ্তম পে কমিশনের লেভেল ফোর, লেভেল ফাইভ এবং লেভেল সিক্স-এ রিক্রুটমেন্ট করা হবে। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ক্যান্ডিডেটদের জন্য নন টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটিগরিস থাকছে। সেখানে লেভেল টু এবং লেভেল থ্রি-তে রিক্রুটমেন্ট করা হবে। এছাড়াও, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার এবং প্যারামেডিক্যাল ক্যাটিগরির জন্যও রিক্রুটমেন্ট নোটিফিকেশন রিলিজ হবে। এছাড়াও অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে লেভেল ওয়ান ছাড়াও মিনিস্ট্রিয়াল ও আইসোলেটেড ক্যাটিগরিস পদ্গুলির জন্য রিক্রুটমেন্ট নোটিফিকেশন রিলিজ (Indian Railways) করার পরিকল্পনা রয়েছে।

    প্রতারণা নিয়ে সতর্কতা (Indian Railways)

    রেলের চাকরি নিয়ে প্রায়শই নানা অভিযোগ শোনা যায়। চাকরির লোভ দেখিয়ে প্রতারণার ঘটনায় অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়ে বসেন। এই বিষয়েও সতর্ক করেছে রেল। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে সমস্ত ক্যান্ডিডেট রেলওয়েতে (Indian Railways) চাকরির জন্য আপিল করতে চান, তাঁরা অফিসিয়াল RRB ওয়েবসাইটগুলিতে খোঁজ রাখুন। দয়া করে কোনও জাল চাকরিচক্রের দ্বারা প্রতারিত হবেন না। মনে রাখবেন, রেলওয়েতে চাকরি শুধুমাত্র RRB এবং RRC এর মাধ্যমে জারি করা রিক্রুটমেন্ট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে পাওয়া যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Begging: মুম্বইয়ের পথে ভিক্ষাবৃত্তি করেই সাড়ে ৭ কোটির মালিক! চেনেন এই ভরতকে?

    Begging: মুম্বইয়ের পথে ভিক্ষাবৃত্তি করেই সাড়ে ৭ কোটির মালিক! চেনেন এই ভরতকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিক্ষুক শব্দটির সঙ্গে পরিচিত সকলেই। আর এই শব্দটি মাথায় আসতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে জরাজীর্ণ শরীর, ছেঁড়া জমাকাপড়, চরম দরিদ্র কোনও মানুষের চেহারা। ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে ভিখারিদের এখনও চোখে পড়ে। রেলওয়ে স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, মন্দির- কোনও জায়গা বাদ নেই। চলার পথে হাত পেতে টাকা, খাবার চাওয়াটাই ভিক্ষুকের (Begging) পরিচয় প্রকাশ্যে আনে। কিন্তু আজ আমরা এমন এক ভিক্ষুকের সম্পর্কে জানব, যিনি ভিক্ষা করে আজ দেশের ধনী ভিক্ষুকের তকমা পেয়েছেন। যিনি নাকি ভিক্ষাবৃত্তি করেই বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।মুম্বইয়ের ভরত জৈন আজ ভারতের ধনী ভিক্ষুকের পরিচয় পেয়েছেন।l মুম্বইয়ের রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে কীভাবে তিনি এত সম্পত্তির মালিক হলেন, তা সবাইকেই অবাক করে।

    কেনই বা তিনি ভিক্ষা করেন? (Begging)

    ভরতের আকাশছোঁয়া সম্পত্তির পরিমাণ দেখে অবাক হন বহু মানুষ। কেউ ভালো চোখে, কেউ বা খারাপ চোখেই দেখেন ব্যাপারটিকে। ভরতের প্রথমের দিনগুলি কিন্তু মোটেও বর্তমানের মতো ছিল না। অনেক অভাব-অনটনের মধ্যে দিন কাটত তাঁর পরিবারের, জুটত না দু’বেলার খাবার, পরিবার নিয়ে পথে বসে যাওয়ার মতো অবস্থা ছিল তাঁর। টাকাপয়সার অভাবে পড়াশোনাও করতে পারেননি ভরত। তাই সব ইচ্ছাকে বিসর্জন দিয়ে পরিবার ও নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যেই ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিতে বাধ্য হন তিনি। দীর্ঘদিন থেকে ভরত মুম্বইয়ের রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করছেন। তাঁর নম্র আচরণ অনেক মানুষকে আকর্ষণ করত। ফলে মানুষ তাঁকে ভালোবেসেই ভিক্ষাপ্রদান করত। সেই ভিক্ষার টাকা তিনি অসৎ পথে ব্যয় না করে সঞ্চয় করতে শুরু করেন। আজ তার ফলস্বরূপ ভরতের সম্পত্তির পরিমাণ ৭.৫ কোটি। শুনতে অবাক লাগলেও ভিক্ষা করেই তিনি মাসে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা ইনকাম করেন। শুধু তাই নয়, মুম্বইয়ের থানেতে রয়েছে তাঁর দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। সেখানে তিনি তাঁর বাবা, স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে বাস করেন। আবার থানেতে দুটি দোকানও আছে তাঁর,  যেগুলি ভাড়া দেওয়া আছে। সেখান থেকেও তিনি মাসিক ৩০ হাজার টাকা আয় করেন। প্রতিদিন তিনি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা করে ভিক্ষা (Begging) আদায় করেন।

    কেন তিনি এত সম্পত্তির মালিক হয়েও ভিক্ষা করেন? (Begging)

    মুম্বই ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস ও আজাদ ময়দানের মতো জায়গায় এখনও ভরতকে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েও এখনও পর্যন্ত তিনি ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়েননি।  এক থেকে দু’ঘণ্টা ভিক্ষা করেই তিনি দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা ইনকাম করেন। তাঁর দুই ছেলে বর্তমানে কনভেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করে। ভরত তাঁর পরিবারের সঙ্গে পারেলের একটি 1BHK ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। পরিবারে অন্যান্য সদস্যরা স্টেশনারি দোকান চালান, অভাব -অনটনের লেশমাত্র নেই ভরতের। পরিবারের সবাই তাঁকে বর্তমানে ভিক্ষাবৃত্তি (Begging) থেকে সরে আসার আর্জি জানালেও তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছেন। ভরতের মতে, নিজের অতীতকে কখনই ভুলে যেতে চান না। তাই আজও তিনি সেই একইভাবে ভিক্ষাবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছেন রাস্তায় রাস্তায়। বাকি বিচার মানুষের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Success Story: আইএএসের চাকরি ছেড়ে চ্যালেঞ্জ! এখন ২৬ হাজার কোটির সংস্থার মালিক

    Success Story: আইএএসের চাকরি ছেড়ে চ্যালেঞ্জ! এখন ২৬ হাজার কোটির সংস্থার মালিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সঠিক সিদ্ধান্তই এনে দিতে পারে পাহাড়সম সাফল্য। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে এমন এক মানুষের সম্বন্ধে জানব, যিনি তাঁর সঠিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন বিশ্বদরবারে। আর সেই মানুষটি হচ্ছেন মেধাবী যুবক রোমান সাইনি। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশ করে বড় চাকরি পেয়েও ছেড়ে দেন। নিজেকে সব সময় চ্যালেঞ্জের মধ্যে রাখতেই পছন্দ করতেন তিনি। আর শুধুমাত্র একটি সিদ্ধান্তে তাঁর বন্ধু গৌরব মঞ্জুল ও হেমেশ সিংকে নিয়ে তৈরি করে ফেলেছিলেন এডু-টেক সংস্থা, যা আজ শিক্ষার দুনিয়ায় নতুন পথের দিশারী (Success Story)।

    কীভাবে সব কিছু শুরু করেন রোমান? (Success Story)

    কোভিড পরবর্তী সময় থেকেই অনলাইন শিক্ষার ওপরে বেশি জোর দিতে শুরু করেছে অনেক সংস্থা। এর ফলে বহু শিক্ষার্থী এখন অনেক দূরে থেকেই অনলাইন মাধ্যমে শিক্ষা অর্জন করতে পারছে। এই ধরনের একটি অনলাইন শিক্ষা সংস্থা হল আনঅ্যাকাডেমি (Unacademy), যার মালিক রোমান সাইনি। একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে রোমান। বাবা দীর্ঘদিন ধরে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন এবং মা গৃহবধূ। আজ তাঁর নিজস্ব এডু-টেক সংস্থা তৈরি করে বহু সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থীদের পাশ করার স্বপ্ন পূরণ করছেন। যেটি অনলাইন পড়াশোনার ক্ষেত্রে একটি নতুন পথ দেখিয়েছে। খুব অল্প খরচেই এই সংস্থার সঙ্গে শিক্ষার্থীরা যুক্ত হয়ে তাঁদের স্বপ্নপূরণ করতে পারেন। 
    প্রথমে রোমান ডাক্তারি পরীক্ষা পাশ করার পরে হঠাৎ ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর মধ্যে আইএএস অফিসার হওয়ার এক বাসনা জন্মায়। যেমন ভাবনা তেমনই কাজ। ভারতের সবথেকে কঠিনতম পরীক্ষায় পাশ করে তিনি আইএএস অফিসারের চাকরি পান। আইএএস অফিসার হওয়ার আগে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান AIIMS এও সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। মাত্র ২২ বছর বয়সে দেশের কনিষ্ঠতম আইএএস অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। কখনই পিছিয়ে পড়ায় তিনি বিশ্বাসী ছিলেন না। সব সময় এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্নই দেখতেন রোমান (Success Story)।

    কী এমন সিদ্ধান্ত, যা হঠাৎ বদলে দিল জীবন? (Success Story)

    উচ্চপদস্থ কালেক্টরেটের চাকরি ছেড়ে তাঁর বন্ধু গৌরব মঞ্জুলের সঙ্গে মিলিত হয়ে একটি ওয়েবসাইট চালানোর কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন রোমান। যার নাম রাখেন “আনঅ্যাকাডেমি”। প্রথমে এই ওয়েবসাইটে সমস্ত ইউপিএসসি পরীক্ষার্থীদের পড়ানো হত। সর্বপ্রথম বেঙ্গালুরুতে তাঁর এই ব্যবসার সূচনা হয়। অনেক মানুষ যাঁরা সাধারণ বাড়ি থেকে উঠে আসেন, তাঁদের পক্ষে লক্ষ টাকা খরচ করে কোচিং নেওয়ার সামর্থ্য থাকে না। ফলে এই এডু-টেক সংস্থার মাধ্যমে সেই সব ছেলেরাও খুব স্বল্পমূল্যে অনলাইন কোচিংয়ে যুক্ত হতে শুরু করেন। বর্তমানে এই সংস্থার সঙ্গে সারা দেশের প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষক যুক্ত হয়ে বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষার্থীদের কোচিং দিচ্ছেন ও অনেক শিক্ষককে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে এই সংস্থা (Success Story)। 
    ২০২২ সালের একটি সমীক্ষাতে দেখা যায়, রোমান সাইনির সংস্থার টার্নওভার ২৬ হাজার কোটি টাকা। এই কোম্পানিতে বর্তমানে সিইও হিসাবে তাঁরই বন্ধু গৌরব মঞ্জুল রয়েছেন, যাঁর মাসিক বেতন এখন ১.৫৮ কোটি টাকা। আর অবিশ্বাস্য হলেও রোমান নিজে বেতন নেন ৮৮ লক্ষ টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: শীত পড়তেই বাড়ছে নলেন গুড়ের চাহিদা, জীবিকার টানে জেলায় জেলায় ব্যস্ত ‘শিউলি’রা

    Birbhum: শীত পড়তেই বাড়ছে নলেন গুড়ের চাহিদা, জীবিকার টানে জেলায় জেলায় ব্যস্ত ‘শিউলি’রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরের হিমেল হাওয়া ও হালকা কুয়াশায় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শীতের আমেজ। আর শীতের আগমনের সঙ্গে লাফিয়ে কদর বেড়েছে খেজুর গাছের। কারণ এই মরশুমে গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় খেজুরের রস। বীরভূম জেলার (Birbhum) রামপুরহাট, মল্লারপুর, তারাপীঠ, বনহাট-সহ বিভিন্ন প্রান্তে চলছে খেজুর গাছ কেটে রস সংগ্রহ করার কাজ৷ এরপর সেই রস থেকে তৈরি হচ্ছে গুড়।

    ব্যস্ত এক শ্রেণির মানুষ (Birbhum)

    শীতের আবহে গ্রাম বাংলার অতি প্রিয় খাবার হরেক রকমের পিঠে ও পায়েস। ঘরে ঘরে খেজুর গুড় দিয়ে তৈরি হয় সেগুলি। তাই লক্ষ্মীলাভের আশায় এখন থেকেই খেজুরের রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত এক শ্রেণির মানুষ (Birbhum)। খেজুর গাছের রস ফুটিয়ে তৈরি হয় নলেন গুড় থেকে ঝোলা গুড় কিংবা পাটালিও। বীরভূম জেলায় এঁরা মূলত এসেছেন নদিয়া থেকে। টানা কয়েক মাস খেজুর গাছে হাঁড়ি বাঁধা থেকে শুরু করে রস সংগ্রহ করা এবং তা জ্বাল দিয়ে গুড় বানানো পর্যন্ত পুরো কাজটাই এঁরা করে থাকেন। এঁরা পরিচিত ‘শিউলি’ নামে। নিজেদের পরিচিত জায়গায় যেমন গুড় বিক্রি হয়, পাশাপাশি কলকাতা বা দূরের জেলা থেকেও ক্রেতারা আসেন।

    নলেন গুড়ের চাহিদা বৃদ্ধি 

    শীতের মরশুম শুরু হতেই বাড়ছে নলেন গুড়ের চাহিদা। তবে নলেন গুড় হাতে পেতে সময় আছে বলে দাবি শিউলিদের। তার আগেই বাজার ছেয়েছে নকল নলেন গুড়ে। কিন্তু এই গুড়ে চিনি মেশানো থাকায় তা বেশিদিন স্থায়ী হয় না বলে জানাচ্ছেন শিউলিরা। বীরভূমের (Birbhum) শিউলি যুব্বার আলি মণ্ডল বলেন, “আমি ২০ বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। সাধারণত শীতের মরশুম শুরু হতেই নলেন গুড়ের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সেটা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকটাই কম। কারণ এখন সেই ভাবে শীতকালের দেখা মেলেনি বীরভূমে। তাই ঠিক ভাবে গুড় তৈরি হচ্ছে না। তবে আগামী দিনে বিক্রি ভালো হবে বলে আশাবাদী।

    তিনি আরও জানান, মাত্র চার মাস তাঁরা এখানে থাকবেন। সব কিছু বাদ দিয়ে চার মাসে তাঁদের আয় আনুমানিক প্রায় দুই লক্ষ টাকা। চার মাস পর যখন শীতের আমেজ আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে থাকবে, তখন তাঁরা বীরভূম (Birbhum) ছেড়ে নদিয়াতে নিজের জেলায় ফিরে গিয়ে ডাব বিক্রি করবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Success Story: শূন্য থেকে শুরু করে ৫০০ কোটির টার্নওভারে! অক্লান্ত পরিশ্রমেরই পুরস্কার?

    Success Story: শূন্য থেকে শুরু করে ৫০০ কোটির টার্নওভারে! অক্লান্ত পরিশ্রমেরই পুরস্কার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বিষ্ণু ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল কোম্পানি’। নামটা চেনেন? ছোট করে বলি, VICCO। হ্যাঁ, এবার নিশ্চয় চিনতে পেরেছেন? ছোটবেলা থেকেই যে কোম্পানির সঙ্গে আমরা পরিচিত, সেই কোম্পানির কর্ণধার পেনধারকর শূন্য থেকে শুরু করেছিলেন তাঁর জীবন, যাঁর প্রতিষ্ঠানের টার্নওভার এখন ৫০০ কোটির মাত্রা ছাড়িয়ে ফেলেছে (Success Story)। এই সবকিছুর পিছনেই আছে অক্লান্ত পরিশ্রম আর ধৈর্য।

    কীভাবে লক্ষ্যে পৌঁছলেন? (Success Story)

    পেনধারকর মহারাষ্ট্রের নাগরপুর জেলায় তাঁর প্রথম জীবিকা শুরু করেছিলেন একটি মুদির দোকান দিয়ে। ছোট্ট লক্ষ্য, পরিবারের ভরণপোষণ। পরে নিজের জীবিকাকে আরও মজবুত করার জন্য অন্যান্য বেশ কয়েকটি কাজ করেছিলেন (Success Story)। কিন্তু এর পর তিনি সরাসরি পরিবার নিয়ে মুম্বইয়ে পাড়ি দেন। প্রথম মুম্বইয়ের বান্দ্রাতে বসবাস শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত পেরেলে চলে যান। সেখানে থাকাকালীন লক্ষ্য করেন, মানুষের মধ্যে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ ও বিদেশী প্রসাধনী পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই সময়েই তিনি জনপ্রিয় বিদেশী প্রসাধনী ব্র্যান্ডগুলির বিকল্প হিসাবে নিজের ব্র্যান্ড চালু করার সিদ্ধান্ত নেন।

    আয়ুর্বেদিক জ্ঞান কীভাবে? (Success Story)

    নানারকম প্রসাধনী দ্রব্য উৎপাদন করতে আয়ুর্বেদিক জ্ঞান অনিবার্য। তাই নিজস্ব ব্র্যান্ড ভিকো চালু করার আগে আয়ুর্বেদিক বিষয়ক জ্ঞানও পেনধারকরকে অর্জন করতে হয়েছিল। বিভিন্ন প্রাচীন শাস্ত্র অধ্যয়ন করেছিলেন তিনি। তাছাড়া তাঁর শ্যালকের কাছ থেকে নানা ভাবে সাহায্য পেয়েছিলেন, যিনি একজন আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিশেষজ্ঞ ছিলেন।

    VICCO ব্র্যান্ডের প্রথম পথচলা (Success Story) 

    পেনধারকর বাড়ির রান্নাঘরকেই তাঁর পণ্য প্রস্তুতকারী ইউনিট হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। রান্নাঘর ছাড়াও তাঁর সঙ্গে একটি গোডাউনের ব্যবস্থা করেছিলেন। ১৯৫০ এর দশকে বিদেশি টুথ পেস্টের ব্যবহার তাঁর নজরে আসে। এর পরেই তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিজের সম্পূর্ণ দেশীয় আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে তৈরি করেন টুথ পাউডার। যেটি সেই সময় মানুষ মারাত্মক ভাবে পছন্দ করতে থাকেন। পেনধারকর নিজের পণ্যকে মানুষের কাছে আরও বেশি ভাবে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিজে লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে থাকেন। যা আস্তে আস্তে এক বিশাল জায়গা করে নেয় মানুষের মনে। চার বছরের মধ্যে তাঁর কোম্পানি এক ভালো জায়গায় পৌঁছে যায়। ১৯৭১ সালে কেশব পেনধারকর মারা যান এবং কোম্পানির সমস্ত দায়ভার তাঁর ছেলে গজানন গ্রহণ করেন। এর পর থেকেই কোম্পানি আরও নানা পণ্যের ওপর গবেষণা করতে থাকে ও নানান প্রসাধনী সামগ্রীও তৈরি করেছিল। সেই সময়েই তৈরি হয় VICCO-র দেশীয় আয়ুর্বেদিক ক্রিম, যেটি সম্পূর্ণ হলুদের গুণে সমৃদ্ধ ছিল। এর পর ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য VICCO সুগার ফ্রি পেস্ট, মাল্টিপারপাস আয়ুর্বেদিক ক্রিম, পাউডার প্রভৃতির উৎপাদন শুরু হয় (Success Story)।

    বর্তমানের VICCO

    বর্তমানে কেশব পেনধারকরের তৃতীয় প্রজন্ম সঞ্জীব পেনধারকর কোম্পানির দায়ভার গ্রহণ করেছেন। আজও কোম্পানি সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তাদের নিজস্ব পণ্য উৎপাদন করে চলছে। যা এখন শুধু ভারতবর্ষ নয়, গোটা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে (Success Story)। কোম্পানির মানও পৌঁছে গিয়েছে আকাশছোঁয়া জায়গায়। ২০২৩ হওয়া শেষ অর্থবর্ষে কোম্পানির ৫০০ কোটি টাকারও বেশি আয় হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dr Zulekha Daud: বাবা ছিলেন দিনমজুর, অদম্য চেষ্টা ও সংগ্রামই পৌঁছে দিল অর্থ ও খ্যাতির শিখরে!

    Dr Zulekha Daud: বাবা ছিলেন দিনমজুর, অদম্য চেষ্টা ও সংগ্রামই পৌঁছে দিল অর্থ ও খ্যাতির শিখরে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সফলতা অর্জন করার রাস্তাটা কিন্তু মোটেও সহজ নয়, থাকে অনেক চড়াই-উতরাই। আর এইসব কাটিয়েই মানুষ তার সফলতার শিখরে পৌঁছাতে পারে। আজ এই প্রতিবেদনে এমন একজন লড়াকু মহিলার (Dr Zulekha Daud) সম্বেন্ধে জানব, যিনি নিজেকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে গিয়েছেন। যাঁকে আজ এক ডাকে গোটা বিশ্ব চেনে। তাঁর নাম ডক্টর জুলেখা দাউদ। যিনি বর্তমানে একজন ভারতীয় ধনী মহিলা হিসেবেও পরিচিত।

    কে এই ডাঃ জুলেখা দাউদ (Dr Zulekha Daud)?

    ডাঃ জুলেখা দাউদ এমনই একজন নারী, যিনি নিজেকে প্রায় শূন্য থেকে উঠিয়ে নিয়ে এসে বর্তমানে ভারতীয় ধনী মহিলার তকমা পেয়েছেন, সম্পূর্ণ নিজের অদম্য চেষ্টা ও সংগ্রামের মাধ্যমে। তাঁর কর্মকাণ্ডের জন্য আজ তিনি সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছেন। ৮৪ বছর বয়সী ডাঃ জুলেখা দাউদ (Dr Zulekha Daud) মহারাষ্ট্রের নাগপুরে একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আজ তিনি দুবাইয়ে বসবাসকারী ভারতীয় ধনী মহিলা হিসেবে পরিচিত। জুলেখার বাবা একজন দিনমজুরের কাজ করতেন। অভাবী সংসারে থেকেও জুলেখা নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং একজন চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ডাক্তারি পড়া শেষ হতেই ১৯৬৪ সালে তিনি আরব আমিরশাহী যান তাঁর কর্মসূত্রে। এই সময় তিনি প্রথম ভারতীয় মহিলার আখ্যা পান যিনি প্রথমবার ভারত থেকে আরব আমিরশাহীতে ডাক্তারি প্র্যাকটিসের  জন্য যান। দুবাইয়ে তিনি প্রায় ১০,০০০ প্রসূতির ডেলিভারি করেছেন। কিন্তু এখানেই থেমে থাকেননি।

    জুলেখা হাসপাতাল গ্রুপ

    ১৯৯২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেন জুলেখা হাসপাতাল গ্রুপ। ৬০ বছর আগে জুলেখা যখন দুবাইয়ে তার চিকিৎসা জীবন শুরু করেন, তখন দুবাইয়ের চিকিৎসা ব্যবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি ও সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে তিনি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন জুলেখা হসপিটাল গ্রুপের। তিনি জুলেখা হসপিটাল গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন।

    ডাঃ জুলেখা দাউদের (Dr Zulekha Daud) সাফল্য

    ২০১৯ সালে তিনি প্রবাসী ভারতীয় সম্মান পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। সম্প্রতি ফোর্বসের মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ ১০০ জন ধনী ব্যক্তির তালিকায় তিনি (Dr Zulekha Daud) স্থান পেয়েছেন। তাঁর হসপিটাল গ্রুপের বর্তমান বার্ষিক আয় প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় ৩০০০ কোটির কাছাকাছি। শুধু দুবাই নয়, ভারতেও তাঁর এই জুলেখা হসপিটাল গ্রুপ সাশ্রয়ী মূল্যে সর্বসাধারণকে চিকিৎসা প্রদান করেছে। নাগপুরে একটি টপ মেডিক্যাল সেন্টার খোলার জন্য ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক থেকে তিনি ১৯৮ কোটি টাকা পেয়েছেন ও নিজের গ্রুপ থেকে ২০ কোটি টাকা প্রদান করেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • WB Govt Job: রাজ্য পুলিশে সাব ইন্সপেক্টর পদে চাকরির ব্যাপক সুযোগ, আজই আবেদন করুন

    WB Govt Job: রাজ্য পুলিশে সাব ইন্সপেক্টর পদে চাকরির ব্যাপক সুযোগ, আজই আবেদন করুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি সরকারি চাকরি (WB Govt Job) করতে চান? তাহলে আজই নজর রাখুন এই বিজ্ঞপ্তিতে। রাজ্য পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ শুরু হয়েছে। সব কিছু জেনে আবেদন করুন। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গত অগাস্টের ২৯ তারিখ থেকে। তাই দেরি না করে আজই আবেদন করুন।

    কোন সাইটে আবেদন করতে হবে (WB Govt Job)?

    পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা যাবে। আগ্রহী প্রার্থীরা wbpolice.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।

    বিজ্ঞাপনে কী বলা হয়েছে?

    রাজ্য পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাব ইন্সপেক্টর, সাব ইন্সপেকট্রেস আনআর্মড ব্রাঞ্চ এবং কলকাতা পুলিশের সার্জেন্ট পদে কর্মী নিয়োগ (WB Govt Job) করা হবে। মোট শূন্য পদের সংখ্যা হল ১৬৯। এই আবেদন জমা করার শেষ তারিখ হল ১৮ সেপ্টেম্বর। বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই পদে আবেদন করছেন, এমন প্রার্থীদের বয়স হতে হবে ২০ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে। এছাড়াও সংরক্ষিত পদের জন্য বয়সে কিছুটা ছাড় মিলবে। শূন্য পদের জন্য প্রতিমাসে বেতন হবে ৩২১০০ থেকে ৮২৯০০ টাকা পর্যন্ত। জেনারেল বিভাগের জন্য আবেদন ফি ২৭০ টাকা এবং তফশিলি জাতি এবং উপজাতির জন্য ফি ২০ টাকা।

    যোগ্যতা

    আবেদনকারী (WB Govt Job) প্রার্থীদের যোগ্যতা হিসাবে বলা হয়েছে, যে কোনও বিষয়ে স্নাতক হতে হবে। ভারতীয় নাগরিক হতে হবে আবেদনকারীকে। বাংলা ভাষায় লিখতে পড়তে জানতে হবে। শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে হবে। কলকাতা পুলিশের আনআর্মড শাখায় কেবল মহিলা আবেদনকারীদের আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    কীভাবে হবে নিয়োগ?

    শূন্য পদের নিয়োগের জন্য প্রথমে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষা হবে মোট ৯০ মিনিটে ২০০ নম্বরের। পরীক্ষা বাংলা এবং ইংরেজি মাধ্যমে নেওয়া হবে। পাশ করলে শরীরিক পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে  নিয়োগপত্র (WB Govt Job) দেওয়া হবে।

    আবেদনের পদ্ধতি

    আবেদনকারী পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েবসাইট ttps://wbpolice.gov.in, কলকাতা পুলিশের ওয়েবসাইট kolkatapolice.gov.in এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটে https://prb.wb.gov.in আবেদন (WB Govt Job) করতে পারবেন।

    নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে আবেদন করতে পরবেন

    প্রথেম ওয়েবসাইটে যেতে হবে।

    এরপর হোমপেজে রিক্রুটমেন্ট বাটনে ক্লিক করতে হবে।

    এরপর নিয়োগের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে হবে।

    এরপর একটি নতুন পেজে যেতে হবে।

    তারপর আবেদনপত্র ক্লিক করে সব পূরণ হবে।

    প্রয়োজনীয় একধিক তথ্য আপলোড করতে হবে।

    এবার আবেদনের টাকা জমা করতে হবে।

    এরপর জমা করে চূড়ান্ত প্রিন্ট আউট নিতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rozgar Mela: রোজগার মেলায় ৫১ হাজার চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    Rozgar Mela: রোজগার মেলায় ৫১ হাজার চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ২৮ অগাস্ট রোজগার মেলার (Rozgar Mela) মধ্য দিয়ে ৫১ হাজারেরও বেশি চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। দেশের ৪৫টি স্থানে এই রোজগার মেলার আয়োজন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, ২০২২ সাল থেকেই নরেন্দ্র মোদির সরকারের উদ্যোগে শুরু হয়েছে রোজগার মেলা (Rozgar Mela)। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে, রোজগার মেলার (Rozgar Mela) মধ্য দিয়ে।

    কী বললেন নরেন্দ্র মোদি?

    রোজগার মেলায় (Rozgar Mela) এদিন যুবকদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘চাকরির আবেদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বাছাই প্রক্রিয়ায় গতি ত্বরান্বিত হয়েছে। আধাসামরিক বাহিনীতে হওয়া পরীক্ষাটি এখন ১৩টি স্থানীয় ভাষায় (Rozgar Mela) নেওয়া হচ্ছে। এই নিয়োগের ফলে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হবে।’’ 
    প্রধানমন্ত্রীর আরও সংযোজন, ‘‘এক্ষেত্রে আপনারা উত্তরপ্রদেশকে উদাহরণ হিসেবে দেখতেই পারেন। এক সময় এই রাজ্য উন্নয়নের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে ছিল এবং অপরাধের দিক থেকে অনেক এগিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় উত্তরপ্রদেশ উন্নয়নের নতুন উচ্চতাকে ছুঁয়েছে।’’

    কোন কোন দফতরে (Rozgar Mela) চাকরি মেলার আয়োজন করা হয়?

    এদিনের চাকরি মেলাতে (Rozgar Mela) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স, সশস্ত্র সীমাবল, অসম রাইফেলস, সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স, ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ এই সমস্ত দফতরের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশেরও নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। ২০২২ সালেই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল যে দেড় বছরে ১০ লাখ যুবক-যুবতীকে নিয়োগ করা হবে সরকারের বিভিন্ন দফতরে (Rozgar Mela)। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত আটটি রোজগার মেলার আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং তাতে চাকরি মিলেছে পাঁচ লাখের বেশি যুবকের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share