Category: জীবিকা

Get updated Profession related and Career news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • HAL Recruitment 2023: হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড নিয়ে এল চাকরির বড় খবর

    HAL Recruitment 2023: হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড নিয়ে এল চাকরির বড় খবর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি চাকরির জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেকেই। এবার চাকরির বড় খবর নিয়ে এল হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL Recruitment 2023)। উচ্চশিক্ষার পর সরকারি চাকরি পেতে তাই নজর রাখতে পারেন এই সংস্থার বিজ্ঞাপনের দিকে। এখানে চাকরির সুযোগ রয়েছে প্রচুর, বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়েছে শূন্যপদ। আবেদন করার শেষ তারিখ ২৩ অগাস্ট। আগ্রহীরা জেনে নিন, কীভাবে আবেদন করবেন।

    কী রয়েছে বিজ্ঞাপনে (HAL Recruitment 2023)?

    হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের (HAL Recruitment 2023) বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শিক্ষানবিশ পদের জন্য কর্মী নিয়োগ করা হবে। www.mhrdnats.gov.in এবং www.apprenticeshipindia.gov.in ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে এই সংস্থার। স্নাতকরা প্রথম সাইটে এবং আইটিআই প্রার্থীরা দ্বিতীয় সাইটে আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, মোট শূন্যপদ ৬৪৭। যার মধ্যে ১৮৬ টিতে গ্র্যাজুয়েট অ্যাপ্রেন্টিস, ১১১ টিতে ডিপ্লোমা অ্যাপ্রেন্টিস, ৩৫০ টিতে আইটিআই অ্যাপ্রেন্টিস নিয়োগ করা হবে। যাঁরা স্নাতক, ডিপ্লোমা, আইটিআইতে ডিগ্রি অর্জন করেছেন, তাঁরাই আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া সায়েন্স, আর্টস, কমার্স থেকেও অনেকে আবেদন করতে পারবেন। মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল, সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড টেলি কমিউনিকেশন, এরোনটিক্যাল, ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট, হোটেল ম্যানেজমেন্ট এবং নার্সিং ডিপ্লোমা করেছেন, এমন প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। অবশ্যই প্রার্থীদের  ২০২২-২৩ সালের মধ্যে স্নাতক হতে হবে। আর যাঁরা ডিপ্লমা নিয়ে আবেদন করবেন তাঁদের ক্ষেত্রেও ২০২২-২৩ এর মধ্যেই কমপ্লিট থাকতে হবে। স্নাতক অ্যাপ্রেন্টিসদের বেতন হবে মাসে ৯ হাজার, টেকনিশিয়ানরা ৪ হাজার এবং আইটিআই অ্যাপ্রেন্টিসরা ৪ হাজার টাকা পাবেন। 

    কীভাবে আবেদন করতে পারবেন?

    বিজ্ঞাপ্তির নিয়ম অনুযায়ী যোগ্য প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, লিঙ্গ, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, জন্মের সার্টিফিকেট, ই-মেইল, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক, ডিপ্লোমা, টেকনিক্যাল সার্টিফিকেট, ছবি, সই, মার্কশিট দিয়ে (HAL Recruitment 2023) আবেদন করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Success Story: শুধু গরুর দুধ ও গোবর বিক্রি করেই কোটিপতি! পড়ুন সেই উত্তরণের কাহিনি

    Success Story: শুধু গরুর দুধ ও গোবর বিক্রি করেই কোটিপতি! পড়ুন সেই উত্তরণের কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনেক ভারতীয় নিজের জীবনে সাফল্য নিয়ে আসার তাগিদে ব্যবসাকেই উপার্জনের মূল পথ হিসাবে বেছে নেন। সঠিক ব্যবসা মানুষকে এনে দিতে পারে চরম সাফল্য, আর এই ব্যবসা অনেক ধরনেরই হতে পারে। কিন্তু কখনও শুনেছেন, গরুর গোবর ও দুধ বিক্রি করে কোটিপতি হয়েছেন কেউ? এই প্রতিবেদনে এমন একজনের সম্পর্কে জানব, যিনি এই অসম্ভবকে সম্ভব (Success Story) করে দেখিয়েছেন, আর নিজেকে নিয়ে গেছেন উন্নতির চরম শিখরে। শুধু গরুর দুধ ও গোবর বিক্রি করেই হয়েছেন কোটিপতি। আর তাঁর নাম প্রকাশ ইমডে।

    কীভাবে এই সাফল্য (Success Story) পেলেন?

    প্রকাশ ইমডে একজন কৃষক। ১৯৮৮ সালে প্রথম দুধ বিক্রির মাধ্যমে শুরু করেন তাঁর ব্যবসা। সেই সময় তাঁর মাত্র একটি গরু ছিল। তাছাড়া ছিল ৪ একর জমি। তিনি মহারাষ্ট্রের সোলাপুরের এক কৃষক। সেই সময় এলাকায় চাষের জলের চরম ঘাটতি দেখা দেওয়ায় চাষবাসের ক্ষেত্রে চরম অসুবিধায় পড়েন তিনি। এই কারণেই তিনি চাষ ছেড়ে গরু পালন করতে শুরু করেন এবং গরুর দুধের ব্যবসা শুরু করেন। এই ব্যবসায় আস্তে আস্তে উন্নতি করতে শুরু করেন। এতে অনুপ্রাণিত হয়ে আরও বেশি গরু পালন করতে শুরু করেন। এখন তাঁর ফার্মে প্রায় ১৫০ টি গরু পালন করছেন, এর থেকে প্রায় ১০০০ লিটার দুধ উৎপাদন করেন তিনি (Success Story)। ফার্মে জন্ম নেওয়া বাছুর এবং বয়স বেড়ে যাওয়া গরুগুলিকে তিনি কখনই বিক্রি করেন না বরং তিনি এবং তাঁর পরিবার মিলে এই গরু এবং বাছুরগুলির সব দিক থেকে যত্ন নেন ও গোয়াল ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্বও নেন।

    অভিনব ব্যবসায় সাফল্য (Success Story) আর তাতেই কোটিপতি

    এই অদম্য ইচ্ছা শক্তি, ধৈর্য প্রকাশ ইমডেকে সাধারণ কৃষক থেকে আজ এক ধনবান ব্যক্তিত্বে (Success Story) পরিণত করেছে। প্রকাশ বর্তমানে তাঁর নিজস্ব একটি ১ কোটি টাকা ব্যয়ে বৃহৎ বাংলো তৈরি করেছেন। যে বাংলোর ভালবেসে নাম রেখেছেন “গোধন নিবাস”। প্রকাশ হয়ে উঠেছেন সবার চোখের মণি, সবাই ভালোবেসে তাঁকে “বাপু” বলেও ডাকেন। তাঁর দিনের শুরু হয় গো মাতার পুজো দিয়ে। বাংলোর ছাদে একটি বিশালাকার দুধের ক্যান এবং গরুর মূর্তি স্থাপন করেছেন, যা এখন সবার নজর কাড়ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Employment: এমএ পাশ করেও মেলেনি চাকরি, অলংকার তৈরি করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টায় রিয়া!

    Employment: এমএ পাশ করেও মেলেনি চাকরি, অলংকার তৈরি করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টায় রিয়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শিখে, বড় বড় ডিগ্রি নিয়ে চাকরির (Employment) জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, এরকম অসহায় যুবক-যুবতীর সংখ্যা এ রাজ্যে যত দিন যাচ্ছে, বেড়েই চলেছে। এঁদেরই মধ্যে কেউ কেউ মনের জোর নিয়ে নেমে পড়েছেন ব্যবসায়, খুলে ফেলেছেন চায়ের দোকান, হোটেল, এমনকি রাস্তার ধারে বসে সবজিও বেচছেন। রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা এবং চাকরির করুণ চিত্র একটা প্রজন্মকে ক্রমশ যেন হতাশার অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। তবুও মনের জোর এবং লেগে থাকার মানসিকতা নিয়ে যাঁরা নিজে কিছু করার জন্য জীবনযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, তাঁদেরই একজন হলেন রিয়া। আসুন, জেনে নিই তাঁর লড়াইয়ের কাহিনি।

    কীভাবে এগিয়ে চলেছেন রিয়া?

    নদিয়ার কৃষ্ণনগর শক্তিনগরের বাসিন্দা রিয়া বিশ্বাস। বাংলায় এমএ পাশ করে আর পাঁচজন শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীর মতো তিনিও টিউশনকেই একমাত্র বেঁচে থাকার রসদ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই বুঝলেন, শুধু এই দিয়ে সংসার চালানো কঠিন। তাই এর পাশাপাশি নিজের হাতে তৈরি করতে শুরু করলেন বিভিন্ন ধরনের জুয়েলারি। এমএ পাশ করার পর থেকেই চেষ্টা করছেন চাকরির (Employment)। কিন্তু ভাগ্য বিরূপ। তাই নিজের হাতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দিয়ে তৈরি করেন এই সমস্ত অলংকার। এখন ‌যে কোনও উৎসবের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে তোলা ট্রেন্ড। তাই সামনেই স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশের পতাকার রঙের বিভিন্ন কারুকার্য এবং নকশা করা জুয়েলারি তৈরি করে বিক্রি করছেন তিনি। কোনও দোকানে নয়, সমস্ত জিনিসপত্র কিনে এনে বাড়িতে বসেই সেই সমস্ত জুয়েলারি বানিয়ে সরাসরি খরিদ্দারের কাছে বিক্রি করেন তিনি। শুধু স্বাধীনতা দিবসই নয়, আসন্ন বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো উপলক্ষেও বিভিন্ন ধরনের আধুনিক জুয়েলারি বানিয়ে বিক্রি করছেন। প্রথম দিকে সাধারণত শখের বসেই তিনি এই জুয়েলারি বানান। তবে ধীরে ধীরে তাঁর এই জুয়েলারির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন জায়গায়। নিজের ইচ্ছাশক্তি ও অদম্য জেদ থেকেই নিজের সঙ্গে আরও মানুষকে কর্মসংস্থান করে দেওয়ার আশায় রয়েছেন তিনি। কম পুঁজিতে অধিক লাভ এই ব্যবসায়। তাই অন্যদেরও স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখাচ্ছেন রিয়া।

    কী বলছেন রিয়া?

    এ বিষয়ে রিয়া বিশ্বাস বলেন, চাকরি (Employment) না পেয়ে প্রথমে নেশা হিসেবে কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীকালে বাবা মারা যাওয়ার পর আর্থিক সংকটের কারণে এটা পেশায় পরিণত হয়। বাড়িতে দাদা রয়েছে, তিনিও কাজ করেন। কিন্তু তাঁর নিজস্ব সংসার রয়েছে। সেই কারণে কিছুটা যদি সবাইকে সাহায্য করতে পারি আর্থিক দিক থেকে, তার প্রচেষ্টাই চালাচ্ছি আমি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Virji Vora: মুঘল আমলে বিশ্বের সবচেয়ে ধনীর তকমা পেয়েছিলেন এক ভারতীয়! কে তিনি?

    Virji Vora: মুঘল আমলে বিশ্বের সবচেয়ে ধনীর তকমা পেয়েছিলেন এক ভারতীয়! কে তিনি?

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: মধ্যযুগ থেকেই ভারত ব্যবসার একটি অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। আর এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অনেক ধনী ব্যবসায়ী, বণিক, মহাজনরা। এঁরাই বিভিন্ন সম্প্রদায় ও অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলে ভারতীয় ব্যবসার দিকটিকে উচ্চতার শিখরে পৌঁছে দিয়েছিলেন। বর্তমান ভারতের কিছু ধনী ব্যবসায়ীর নাম মাথায় আনলে প্রথম সারিতে যাঁদের নাম আসে, তাঁরা হলেন মুকেশ আম্বানি, রতন টাটা, গৌতম আদানি প্রমুখ। কিন্তু আপনি কি জানেন স্বাধীনতার কয়েকশো বছর আগে এমন এক ভারতীয় ব্যবসায়ী ছিলেন, যিনি কিনা বর্তমানের আম্বানি, টাটা, আদানির থেকেও কয়েকগুণ সম্পত্তির অধিকারী ছিলেন। সেই সময় তিনি (Virji Vora) ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির মধ্যে একজন। তাঁর নাম বীরজি ভোরা।

    কে এই বীরজি ভোরা (Virji Vora)? কী পরিচয় তাঁর?

    বীরজি ভোরা মুঘল যুগে তৎকালীন সুরাটের একজন ভারতীয় বণিক (Virji Vora) ছিলেন। জন্ম ১৫৯০ এর দশকে, ১৬১৯ থেকে ১৬৭০, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ব্যবসার সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ফ্যাক্টরি রেকর্ডস তাঁকে সেই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী আখ্যা দিয়েছিল।

    বীরজি ভোরা (Virji Vora) কোন কোন ব্যবসার সাথে যুক্ত ছিলেন?

    বীরজি ভোরা (Virji Vora) একজন খুচরো ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি তৎকালীন সময়ে সোনা, মরিচ, এলাচ ছাড়াও অনেক এরকম দামী পণ্যের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সময় তিনি প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার সম্পদের মালিক ছিলেন, যা মুদ্রাস্ফীতির হিসেব ধরলে বর্তমান ভারতের ধনী ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির থেকেও প্রায় কয়েকগুণ বেশি ছিল। তাঁর ব্যবসার পদ্ধতি ছিল অনন্য, যা তাঁকে সাফল্যের জায়গায় পৌঁছাতে সাহায্য করেছিল।

    কী ছিল তাঁর (Virji Vora) ব্যবসার পদ্ধতি?

    সঠিক ব্যবসা পদ্ধতি যে কোনও মানুষকে তাঁর সাফল্যে নিয়ে যেতে বিপুলভাবে সাহায্য করে। বীরজি ভোরা (Virji Vora) সেরকম নিজস্ব ব্যবসা পদ্ধতির সাহায্যেই সেই সময়ের সব থেকে ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন। ১৬১৯ থেকে ১৬৬৮ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশদের সঙ্গে একচেটিয়া ব্যবসা করে গেছেন, তাঁর এই ব্যবসার পদ্ধতিও ছিল অনেকটাই আলাদা। কোনও পণ্য বিক্রি করার আগে তিনি সেই পণ্যের সমস্ত স্টক নিজে ক্রয় করে নিতেন। এর পর একচেটিয়া বিপুল অর্থ লাভ রেখে সেই পণ্য তিনি বিক্রয় করতেন। এতে তাঁর অর্থ লাভ হত পাহাড় সমান। এছাড়াও তিনি নিজে মহাজন হিসেবেও কাজ করতেন। সেই সময়ের বড় বড় ব্যবসায়ীকে তিনি অনেক টাকা ঋণ দিতেন। ইংরেজরাও তাঁর কাছ থেকে টাকা ধার নিতেন। মুঘল যুগে সম্রাট ঔরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্য জয়ের যুদ্ধের সময় অর্থ সংকটে ভুগছিলেন। সেই সময় নিজের দূত পাঠিয়ে স্বয়ং বীরজি ভোরার কাছে টাকা ধার চেয়ে পাঠান, যা ভাবলে অবাক হতে হয়। তাছাড়াও তিনি মুঘল সম্রাট শাহজাহানকেও ৪ টি আরবি ঘোড়া উপহার স্বরূপ পাঠিয়ে ছিলেন।

    এত সাফল্যের মাঝেও ব্যর্থতা পিছু ছাড়েনি বীরজি ভোরার (Virji Vora), কী এমন ঘটেছিল?

    এই মহান সাফল্যের সঙ্গে ব্যর্থতাও তাঁর (Virji Vora) জীবনে এসেছিল। ১৬৬৪ সালে সুরাটে একবার উপস্থিত হন ছত্রপতি শিবাজি। সেই সময় বীরজির বাড়ি, গুদাম একদম ধ্বংস করে দিয়েছিলেন মারাঠা সম্রাটের সৈনিকরা। তাঁর সাথে প্রচুর পরিমাণে টাকা, হিরে, মুক্তসহ বিভিন্ন দামি পণ্য লুট করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু এর পরেও বীরজি নিঃস্ব হয়ে পড়েননি, সুরাটের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিল তাঁর সম্পত্তি। কিন্তু আবার ১৬৭০ সালে ফের শিবাজি সুরাটে আক্রমণ করেন। সেই সময় আবার ক্ষতির মুখে পড়েন বীরজি। এই বছরই মৃত্যু হয় বীরজি ভোরার। কিন্তু আজও তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ী ব্যক্তির আখ্যা নিয়ে বেঁচে আছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • TNPSC: ফুড ডেলিভারি পার্টনার থেকে পিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ! উচ্ছ্বাসে ভাসল নেট দুনিয়া

    TNPSC: ফুড ডেলিভারি পার্টনার থেকে পিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ! উচ্ছ্বাসে ভাসল নেট দুনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কঠোর অধ্যবসায়, প্রবল মনের জোর এবং সর্বোপরি জীবনে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ের মানসিকতা। এসব থাকলে কেউ যে কোন উচ্চতায় (TNPSC) পৌঁছাতে পারে, তার উদাহরণ কম নেই। বেকারত্বের জ্বালা থেকে মুক্তি পেতে একদিকে যেমন উচ্চ শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের অনেকেই চায়ের দোকান খুলে বসছেন, রাস্তায় বসে সবজি বিক্রি করছেন, ঠিক তার উল্টো পথে হেঁটে অনেকের কাছেই উদাহরণযোগ্য হয়ে উঠেছেন তামিলনাড়ুর জিগনেশ। তাঁর উত্থানের কাহিনি একদিকে যেমন চমকপ্রদ, অন্যদিকে অনুপ্রেরণারও। অনেকের কাছে মনে হতে পারে স্বপ্ন। না, এখানে স্বপ্নের কিছু নেই, পুরোটাই বাস্তব।

    খবর (TNPSC) প্রকাশ্যে আনল ফুড ডেলিভারি সংস্থাই

    জিগনেশ ছিলেন দেশের একটি প্রথম সারির ফুড ডেলিভারি কোম্পানির ডেলিভারি পার্টনার। শিক্ষিত হয়েও চাকরি না মেলায় এই পথই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর চোখ-মুখ ছিল স্বপ্নে ভরা। জীবনে আশা কখনও ছেড়ে দেননি। তাই কাজের ফাঁকে চালিয়ে গিয়েছেন পড়াশোনা। আর তাতেই হল স্বপ্নপূরণ। তামিলনাড়ুর পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ (Clear) হয়েছেন তিনি। ফলে তাঁর বাড়িতে যে খুশির বন্যা বয়ে যাবে, এটা প্রত্যাশিত, স্বাভাবিকও। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে এই খবর প্রকাশ্যে এনেছে ওই ফুড ডেলিভারি সংস্থাই। তারাই ট্যুইটারে জানিয়েছে, তাদের এই ডেলিভারি পার্টনারের সাফল্যের খবর। তারা লিখেছে, জিগনেশের জন্য একটা লাইক দিন, যিনি কিনা আমাদের ডেলিভারি পার্টনার হিসেবে কাজ করে তামিলনাড়ু পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (TNPSC) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। সঙ্গে রয়েছে হার্টের সাইন। একটি ছবিও দেওয়া হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন এই কৃতী।

    উচ্ছ্বসিত নেটাগরিকরা

    এই পোস্টটি দেখার পর থেকেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন নেটাগরিকরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা দেখেছেন, এমন মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার। লাইক পড়ে যায় প্রায় পাঁচ হাজার, রি-ট্যুইট করেন অনেকে। তাঁর এই সাফল্যে (TNPSC) সকলেই তাঁকে অভিনন্দন জানান। একজন লিখেছেন, জিগনেশ তাহলে এবার থেকে অর্ডারে সই করবেন। আরেকজন লিখেছেন, অভাবনীয় সাফল্য। তৃতীয় জনের মন্তব্য, জীবনে এরকমই ডেডিকেশন দরকার। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল সেই পোস্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mangla Haat: মঙ্গলাহাটে পুড়ে ছাই হাজারের বেশি দোকান, পুজোর মুখে মাথায় হাত ব্যবসায়ী, কারিগরদের

    Mangla Haat: মঙ্গলাহাটে পুড়ে ছাই হাজারের বেশি দোকান, পুজোর মুখে মাথায় হাত ব্যবসায়ী, কারিগরদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হাওড়ার মঙ্গলাহাট (Mangla Haat)। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে হাজারের বেশি দোকান। পুজোর আগে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা। মাথায় হাত হাটের উপর নির্ভরশীল ব্যবসায়ী, দর্জি ও অন্যান্য কারিগরদের। তাঁরা ভেবে পাচ্ছেন না, কী ভাবে এই ক্ষতি পূরণ করবেন।

    পুজো এলেই বাড়ে ব্যস্ততা (Mangla Haat)

    হাওড়ায় ঘরে ঘরে তৈরি হয় নানা রঙের পোশাক। দিন-রাত কাজ করে চলেছেন দর্জি, কারিগররা। হাওড়ার বাঁকড়া, উনসানি, ডোমজুড়, জগৎবল্লভপুর, পাঁচলা ও উলুবেড়িয়ায় বাড়ি বাড়ি দেখা যায় এই ছবি। পুজো এলে তাঁদের বাড়ে ব্যস্ততা। হাওড়ার মঙ্গলাহাটে (Mangla Haat) যে পোশাক আসে, তা তৈরির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কয়েক লক্ষ শ্রমিক। বড় বড় দোকান থেকে কাপড় এনে তৈরি হয় জামা-প্যান্ট, সালওয়ার, ফ্রক। কেউ পোশাকে ডিজাইন করেন, কেউ কাপড় কাটেন, কেউ সেলাই করেন, আবার কেউ জামায় বোতাম বসান। অনেকে আবার প্যাকিংয়ের কাজ করেন। এটাই একমাত্র উপার্জনের পথ। তাই রুটি-রুজির টানে পুরুষদের সঙ্গে হাত লাগান বাড়ির মহিলারাও।

    কী বলছেন ব্যবসায়ী এবং কারিগররা (Mangla Haat)

    মঙ্গলাহাটে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে রাতের ঘুম উড়েছে পোশাক ব্যবসায়ীদের। এরকমই এক ব্যবসায়ী শ্যামসুদ্দিন পিয়াদা বলেন, আমরা কী ভাবে সংসার চালাব, ভেবে পাচ্ছি না। পুজোর জন্য অনেক মাল তৈরি হয়ে গেছে। এত কাজ হয়ে গেছে, এদের পয়সা কী করে দেব, মাল বেচব কী করে, সেই নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছি। তিনি বলেন, তাঁর ৪০ বছরের পুরনো দোকান (Mangla Haat)। এখানে ১৫-১৬ জন দর্জি আছে। এখন মাল বিক্রি না হলে তাঁদের বেতন দেব কী ভাবে, সেটাই ভেবে পাচ্ছি না। দর্জি কারিগর শেখ হাবিব বলেন, ‘কী করে চলবে আমাদের? কী করে খাব? ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ২-৩ জন ওস্তাগারে কাজ করি। হাওড়া হাটে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে, এখন তাঁদের মাল বিক্রি হচ্ছে না। খুব চিন্তায় পড়ে গেছি কী করব, কোথায় মাল বিক্রি করব।

    সবাই তাকিয়ে সরকারের দিকে

    বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গেছে মঙ্গলাহাট (Mangla Haat)। হাট আবার কবে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে, জানা নেই কারও। সামনে পুজো। এই পরিস্থিতিতে সরকারের দিকে তাকিয়ে ব্য়বসায়ী, দর্জি ও কারিগররা। দর্জিমিস্ত্রি সাহেব আলি পিয়াদা বলেন, এই মাল তাঁদের  হাটে যায় প্রতি সপ্তাহে। হাট পুড়ে গেছে। মাল আর হাটে যাবে না। ওস্তাগর আমাদের পয়সা দিতে পারবেন না। এই করে আমরা খাই। কী করে আমাদের সংসার চলবে। ওস্তাগররা এখন কিছু বলছে না। দিদি তো গিয়েছিল দেখলাম। দিদির উপর আশা আছে।

    পুজো আসছে। এই সময় ঘরে ঘরে কাজ যখন বাড়ার কথা, তখন অগ্নিকাণ্ড কেড়ে নিয়েছে সব কিছু। পুজোর আগে কবে আবার আগের ছন্দে ফিরবে মঙ্গলাহাট, সেই অপেক্ষায় সকলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Tradition: প্রবীণ প্রভাসবাবুর এখনও জীবিকা বাংলার ঐতিহ্যের সেই তালপাতার হাতপাখা!

    Bengal Tradition: প্রবীণ প্রভাসবাবুর এখনও জীবিকা বাংলার ঐতিহ্যের সেই তালপাতার হাতপাখা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা সময় তালপাতার হাতপাখার সঙ্গে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য (Bengal Tradition) নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ছিল। তারপর বিদ্যুৎ সংযোগের প্রসার ঘটল। ক্রমশ কমতে থাকল হাতপাখার ব্যবহার। যদিও কিছুদিন আগেও বিদ্যুৎ হঠাৎ চলে গেলে বাড়ির সকলের হাতে উঠে আসত এই তালপাতার হাতপাখাই। এখন সেটাও কমে এসেছে। তবু বিভিন্ন মেলায় এই হাতপাখার পসরা সাজিয়ে বসেন গুটিকয়েক মানুষ। তেমনই একজন চকভৃগুর প্রবীণ নাগরিক প্রভাসবাবু। আধুনিক যুগের আড়ালে তিনি একান্তে তৈরি করে চলেছেন একের পর এক তালপাতার হাতপাখা।

    রাজ-রাজাদের আমলে বিপুল প্রসার

    আধুনিকতার ছোঁয়ায় হাতে তৈরি এই পাখার প্রচলন তেমন না থাকায় হারিয়ে যাচ্ছে কারিগররাও। রাজ-রাজাদের আমলে বিপুল প্রসার ঘটে এই তালপাতার হাতপাখার। তারপর ব্রিটিশরাজ থেকে শুরু করে জমিদারি ব্যবস্থাতেও বড় বড় তালপাতার পাখার ব্যবহার প্রচুর পরিমাণে ছিল। কারিগরি শিল্পের দৌরাত্ম্যে প্লাস্টিকের হাতপাখার জনপ্রিয়তা বিস্তার লাভ করে। তাই শহুরে মানসিকতার দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে প্রাচীন এই শিল্প (Bengal Tradition)। তবে তা ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন প্রবীণ কারিগর প্রভাস মোহন্ত। গত ৪০ বছর ধরে তিনি এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। কয়েক দশক আগের মতোই এখনও তাঁকে হাতপাখা তৈরির কাজে সাহায্য করে চলেন তাঁর স্ত্রী।

    নতুন প্রজন্মের কারিগর আর নেই

    বালুরঘাটের শিক্ষক তথা সাহিত্যিক গগণ ঘোষ বলেন, ‘এক সময় তালপাতার হাতপাখা ছিল গ্রামীণ ঐতিহ্যের (Bengal Tradition) প্রতীক। বৈদ্যুতিক পাখা, এয়ারকন্ডিশন সহ নানা ধরনের অত্যাধুনিক জিনিস বাজারে ছেয়ে যাওয়ায় চাহিদা কমেছে তালপাতার হাতপাখার। ফলে বিক্রি না হওয়ায় কারিগররা হাতপাখা বানানো বন্ধ করে অন্য কাজে মন দিয়েছেন। গ্রাম থেকেও উঠে গিয়েছে সারি সারি সব তালগাছ। বিশ্বায়নের প্রভাবে এই শিল্পের অবক্ষয় দুঃখের। চকভৃগুর বাসিন্দা তরুণ মাহাত বলেন, ‘বর্তমানে হাতপাখার ব্যবহার না থাকায় পেশাদার কারিগররা তা বানানো বন্ধ করেছেন। জীবন বাঁচানোর তাগিদে অন্য কাজে মনঃসংযোগ করেছেন তাঁরা। ফলে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে এই শিল্পীসত্তা। এই হাতপাখা তৈরির জন্য নতুন প্রজন্মের কারিগর আর নেই।

    কী বললেন শিল্পী?

    শিল্পী প্রভাস মোহন্ত বলেন, ‘গাছে উঠে তালপাতা, গাছের পাতলা বাকল সহ বিভিন্নরকম সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিপদের মুখে পড়তে হয়। এমনকী বাজারদরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাতপাখার সরঞ্জামের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১০০টা হাতপাখা তৈরি করি। গ্রামের কিছু মানুষ এখনও তা কেনেন। কিন্তু সেই জায়গাও সংকীর্ণ হয়ে আসছে। সরকারি তরফে কোনও সাহায্য বা ভাতা পেলে এই শিল্পের ঐতিহ্যকে (Bengal Tradition) বাঁচিয়ে রাখতে পারব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rojgar Mela: ‘রোজগার মেলা’য় বাংলার যুবক-যুবতীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন নিশীথ প্রামাণিক

    Rojgar Mela: ‘রোজগার মেলা’য় বাংলার যুবক-যুবতীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন নিশীথ প্রামাণিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে মঙ্গলবার, ১৬ মে পঞ্চম পর্বের ‘রোজগার মেলা’ (Rojgar Mela) অনুষ্ঠিত হল দেশের ৪৫টি স্থানে। এর মধ্যে অন্যতম কেন্দ্র হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আইআইটি খড়্গপুর (IIT Kharagpur)। পঞ্চম পর্বের এই রোজগার মেলায় দেশজুড়ে ৭১ হাজার যুবক-যুবতীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরে তাঁরা নিয়োগ পেলেন। ভার্চুয়ালি তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আইআইটি খড়্গপুরের নেতাজি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ‘রোজগার মেলা’ থেকে শতাধিক চাকরিপ্রার্থী বা কর্মপ্রার্থীর হাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের যুবকল্যাণ ও স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তিনি বাংলার ২৫ জন যুবক-যুবতীর হাতে সরাসরি নিয়োগপত্র তুলে দিলেন।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক?

    এদিন, আইআইটি খড়্গপুরের প্রেক্ষাগৃহ থেকে সব মিলিয়ে ২৬০ জন প্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। রেল, আইআইটি, ডাক বিভাগ (পোস্টাল) সহ বিভিন্ন দফতরে নিয়োগপত্র পেলেন তাঁরা। এর মধ্যে প্রায় ১০০’র কাছাকাছি শুধু ডাক বিভাগেই নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে জানা যায়। এদিনের অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বেও ছিল ডাক বিভাগ। এদিন আইআইটি খড়্গপুরের এই রোজগার মেলায় (Rojgar Mela) উপস্থিত ছিলেন ডাক বিভাগের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক সহ আইআইটি খড়্গপুরের অধিকর্তা ভি কে তেওয়ারি, সহ অধিকর্তা অমিত পাত্র, নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) তমাল নাথ প্রমুখ। মন্ত্রী নিশীথকুমার প্রামাণিক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী রেলওয়ে, পোস্টাল সহ কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত দফতরের শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগী। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগ বা দফতরে ৭১,২০৬ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল দেশজুড়ে।” তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে বিভিন্ন স্থানে আমরা গিয়েছি। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই এই উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী যে কথা দিয়েছিলেন, তা রেখেছেন। তাই তাঁকে ধন্যবাদ জানাব। যাঁরা চাকরি পেলেন, তাঁদের পরিবার যে কতখানি আনন্দিত, তা এই মেলায় এসেই আমরা প্রত্যক্ষ করলাম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Exotic Birds: বিদেশি পাখি পুষে বেকার যুবকদের রোজগারের দিশা দেখাচ্ছেন দুর্গাপুরের পড়ুয়া

    Exotic Birds: বিদেশি পাখি পুষে বেকার যুবকদের রোজগারের দিশা দেখাচ্ছেন দুর্গাপুরের পড়ুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ-বিদেশের রঙবেরঙের পাখি (Exotic Birds) পুষেই ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন দুর্গাপুরের এক পড়ুয়া অভিষেক রাম। নিজের আয়ের পাশাপাশি রাজ্য ও ভিন রাজ্যের বহু যুবককে রোজগারের দিশা দেখাচ্ছেন অভিষেক। বর্তমানে তাঁর পাখির সম্ভার চারশোরও অধিক। লক্ষ টাকা মূল্যের ম্যাকাও সহ আফ্রিকার জঙ্গল থেকে আনিয়েছেন নানা ওয়াইল্ড বার্ড। তাঁর সংগ্রহে রয়েছে একটি সাদা আমব্রেলা কাকাতুয়া, যার মূল্য প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা। বিভিন্ন জেলা থেকে বহু কৌতূহলী মানুষ ভিড় জমায় তাঁর খামারে। ইতিমধ্যেই বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ২০ থেকে ২৫ টি প্রজাতির পাখি সংগ্রহ করে তাক লাগিয়েছেন অভিষেক।

    দক্ষিণ ভারত থেকেই ভাবনা শুরু

    বাবা অশোক রাম পেশায় ফুচকা বিক্রেতা, মা গৃহবধূ। আর্থিক অনটনের সংসারে অভিষেক ও তাঁর দাদা বিবেক রামের বেড়ে ওঠা। তাঁর দাদা কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে গ্রাজুয়েশন করে অ্যানিমেশন নিয়ে কাজ করছেন। অভিষেকও সবেমাত্র গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন। অভিষেক একজন দক্ষ ক্রিকেটার। ক্রিকেটের জন্যই তিনি গিয়েছিলেন দক্ষিণ ভারতে। তখনই তাঁর নজরে পড়ে একটি বার্ডস ফার্ম। যা দেখার পরেই অভিষেকের এমন ভাবনা মাথায় আসে। আগেও তিনি বদ্রি, ককটেল, লাভবার্ডস ইত্যাদি পাখি (Exotic Birds) পালন করতেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই উত্থান

    এই ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যুগে সেই সমস্ত পাখির (Exotic Birds) খাবার-দাবার, পরিচর্যা ইত্যাদির পাশাপাশি সঠিক পরিবেশ, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, প্রজনন প্রক্রিয়া, বিভিন্ন রোগের  চিকিৎসা ইত্যাদি ভিডিও’র মাধ্যমে তিনি তুলে ধরেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বছর খানেকের মধ্যেই অভিষেকের তৈরি করা সেইসব ভিডিও অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে পশুপ্রেমীদের পাশাপাশি অসংখ্য দর্শকের কাছে। সেখান থেকেই রোজগারের দিশা দেখেন অভিষেক। আরও অনেকেই রোজগারের পথ খুঁজে পান তাঁর দেখানো রাস্তায়।

    মাসিক আয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা!

    এরপর তিনি প্রায় আড়াই বছর ধরে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, পড়াশোনা করেছেন। আর নিজের জমানো টাকায় এক এক করে কিনেছেন নানান নামিদামি পাখি (Exotic Birds)। ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে বর্তমানে তাঁর সংগ্রহে রয়েছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার পাখি। সান কনিওর পাখির ব্রিডিং শুরু করে তিনি প্রথম উপার্জন করা শুরু করেন। বয়স অনুযায়ী এই পাখির দাম ৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এখন তাঁর মাসিক আয় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। অভিষেক রাম জানিয়েছেন, তিনি ২০১৪ সাল থেকে পাখি পালন শুরু করেন। ২০২২ সালে তিনি দুর্গাপুরের পারদই গ্রামে একটি বাড়ি তৈরি করেন। সেই বাড়ির ছাদেই তৈরি করেছেন বার্ডস ফার্ম হাউস। সেখানে রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা। পাখিদের থাকার মতো পরিবেশ তৈরি করেছেন তিনি। একইসঙ্গে সেখানে পাখিদের ব্রিডিংও শুরু করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Startup Business:  রিকশ চালক ও সবজি বিক্রেতা থেকে কোটিপতি!

    Startup Business: রিকশ চালক ও সবজি বিক্রেতা থেকে কোটিপতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর নাম দিলখুশ। তাঁর উত্থানের চমকপ্রদ কাহিনীও যেন সত্যিই দিল খুশ করার মতোই। বিহারের সাহারসা জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা এই যুবক এক সময় রিকশ চালাতেন, পথে পথে সবজি বিক্রি করতেন। চাকরির চেষ্টা করেননি যে, তা নয়। কিন্তু পদে পদে হোঁচট খেতে হয়েছে। তাই চরম বিতৃষ্ণা থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন, নিজে কিছু একটা করবেন। ব্যস, শুরু হয়ে গেল আত্মনির্ভরতার (Startup Business) পথ চলা। 

    রিকশচালক কোটিপতি হলেন কীভাবে ?

    দিলখুশ খুলে ফেললেন একটি স্টার্ট-আপ কোম্পানি (Startup Business)। ওলা/উবের যেভাবে ব্যবসা করে, কতকটা সেরকমই, কিন্তু একেবারে এক নয়। বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ কাজে-কর্মে বাইরে যেতে চাইলে গাড়ি পান না। দিলখুশ এটাকেই হাতিয়ার করলেন। শুরুটা করলেন একটি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি দিয়ে। পরে চালু করে দিলেন একটি ডেটানির্ভর কোম্পানি, যা গাড়ির মালিকের সঙ্গে যিনি গাড়ি চাইছেন, তাঁকে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। ৫০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে যেতে চাইলে এটি খুবই কার্যকর হয়ে উঠল। ব্যবসাও ধীরে ধীরে বাড়তে লাগলো। দিলখুশ এবার প্রযুক্তিগত কাজে উন্নয়নের জন্য তাঁর কোম্পানিতে নিতে শুরু করলেন আইআইটি ইঞ্জিনিয়ার এবং ম্যানেজমেন্ট গ্র্যাজুয়েটদের। মাত্র ছয়-সাত মাসের মধ্যে কোম্পানির টার্নওভার দাঁড়ালো ৪ কোটি টাকা। এরপর আর তাকে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন পাটনা থেকে প্রতিটি গ্রামে যোগাযোগের মাধ্যম তিনি গড়ে তুলেছেন। এরপর তার লক্ষ্য হল পাটনার বাইরে শহর থেকে অন্য শহরে যোগাযোগ গড়ে তোলা। এরওপরে তিনি পা রাখতে চান বিহারের বাইরে।

    জীবনে ধাক্কা কম খেতে হয়নি, শুনুন সেই কাহিনী

    দিলখুশের কথায়, তিনি দিল্লির রাস্তায় রিকশ চালাতেন, সবজি বেচতেন পাটনার ফুটপাতে। কিন্তু এইভাবে জীবনকে টেনে নিয়ে যেতে কারই বা ভালো লাগে। তাই শুরু করলেন চাকরির চেষ্টা। গার্ডের চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে গেলেন। ১২ ক্লাস পাশ, একই সঙ্গে চেহারায় নেই কোনও চাকচিক্য। তাই চাকরিটা হল না। তাকে আইফোন দেখিয়ে বলা হয়েছিল, এর লোগোটা কী বলতে। কিন্তু তিনি তো আইফোন চোখেই দেখেননি। তাই তাঁকে ব্যর্থ মনোরথ হয়েই ফিরে আসতে হয়েছিল। বাবা ছিলেন বাসের চালক। তার কাছ থেকে তাই গাড়ি চালানোটা শিখতে সমস্যা হয়নি। আর তার জেরেই সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি দিয়ে শুরু হল তাঁর জীবনের জয়যাত্রা (Startup Business)। 

    এ যেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর ভারতের এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share