Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Second Moon of Earth: পৃথিবীর রয়েছে আরও এক আধা-চাঁদ! ২০৮৩ পর্যন্ত চারপাশে ঘুরবে এই প্রতিবেশী

    Second Moon of Earth: পৃথিবীর রয়েছে আরও এক আধা-চাঁদ! ২০৮৩ পর্যন্ত চারপাশে ঘুরবে এই প্রতিবেশী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর আরও এক উপগ্রহের সন্ধান মিলেছে। আগামী ৬০ বছর ধরে চাঁদের আরও এক সঙ্গীর উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে। পৃথিবীর দ্বিতীয় এই উপগ্রহ এখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এই মহাজাগতিক বস্তুর নাম ‘২০২৫ পিএন৭’ (2025 PN7)। তবে চিরকালীন হয়তো এই উপগ্রহ থাকবে না। আগামী কয়েকে দশকের জন্য সঙ্গী হবে এই উপগ্রহ। চাঁদের অর্ধ (Second Moon of Earth) বলা হয় তাকে। মহাকাশের জগতে এই আলোড়ন জাগানো খবরে রয়েছে অনেক চমকপ্রদ তথ্য।

    ২০৮৩ সাল পর্যন্ত থাকবে পৃথিবীর পাশে

    পৃথিবীর দ্বিতীয় উপগ্রহ (Second Moon of Earth) হিসেবে ২০২৫ পিএন৭ হল আসলে আধা অর্ধেক উপগ্রহ। একে মহাবিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় কোয়াসি মুন বা আধা চাঁদ। ২০৮৩ সাল পর্যন্ত সেটি পৃথিবী ও চাঁদকে সঙ্গ দেবে। এই মুহূর্তে পৃথিবীর চারপাশে জাগতিক নিয়মে ঘুরে বেড়াচ্ছা ২০২৫ পিএন৭। এই আধা চাঁদ ৩৬৫ দিনের কাছাকাছি সময়ে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে বলে জানা গিয়েছে। ২০২৫ পিএন৭ হল একটি গ্রহাণু। এর নামকরণ করা হয়েছে মহাভারতের কেন্দ্রীয় চরিত্র অর্জুনের নামানুসারেই। সৌরজগতের অন্তর্গত সমস্ত গ্রহাণু অবশ্য অর্জুন গ্রহাণু নামেই পরিচিত। এই উপগ্রহ পৃথিবীর মতো সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।

    আয়তন ১৮-৩৬ মিটার

    ২০২৫ পিএন৭-এর আবিষ্কর্তা হলেন ইউনিভার্সিটি অফ হাওয়াইয়ের বিজ্ঞানীরা। এই বছর গ্রীষ্মকালেই এই উপগ্রহের প্রথম সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা। ২০২৫ পিএন৭–এর আয়তন জানা গিয়েছে ১৮-৩৬ মিটার। বিজ্ঞানীরা একে সহজ কথায় বলেছেন একটি ছোট বিল্ডিং-এর সমান। পৃথিবী থেকে এই উপগ্রহের (Second Moon of Earth) দূরত্ব ৪০ লক্ষ কিলোমিটার। পৃথিবী যেমন কক্ষপথ ধরে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে একই ভাবে সূর্যকেও প্রদক্ষিণ করছে এই ২০২৫ পিএন৭।

    সূর্য এই উপগ্রহকে ধরে রেখেছে

    উল্লেখ্য, চাঁদের কাছাকাছি উপগ্রহের বিষয়টি এই প্রথম নয়। আগেও কয়েকবার এই রকম চাঁদের আবির্ভাব হয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের মতে, “সাধারণত সকলেই নিজের নিজের কক্ষপথে সমান্তরালে ঘোরাঘুরি করে। পৃথিবীর সঙ্গে গতি সমান রেখে ঘুরে চলে এই ২০২৫ পিএন৭ (Second Moon of Earth)। সময়ে সময়ে গতি কমে বাড়ে। কখনও পৃথিবী থেকে এগিয়ে যায় আবার কখনও কখনও পিছিয়ে যায়। তবে গতির আমূল পরিবর্তন হয় না। তবে ছয়ের দশক থেকেই এই পৃথিবীর কাছেই রয়েছে এই উপগ্রহ। ২০৮৩ সাল পর্যন্ত পৃথিবীকে এই উপগ্রহ সঙ্গী হিসেবে থাকবে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যাবে। সূর্য এই উপগ্রহকে ধরে রেখেছে। তবে ঠিক মতো নিজের কক্ষে ঘোরার জন্য বাকি গ্রহেরও কমবেশি প্রভাব রয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট আটটি উপগ্রহের (2025 PN7) সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এখনও বহুকিছু গবেষণার অধীন।”

    গ্রহাণুগুলির গল্প শুরু হয়েছিল ১৯৯১ সাল থেকে

    মহাকাশ গবেষক কার্লোস দে লা ফুয়েন্তে মার্কোস বলেন, “এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি এলেও প্রায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল দূরত্বে অবস্থান করে। এটি চাঁদের গড় দূরত্ব (২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫৫ মাইল)-এর চেয়ে কিছুটা কম। বর্তমানে টেলিস্কোপ দিয়ে যখন এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসে তখনই ভালো করে দেখা যায়।”

    তবে বিজ্ঞানীদের মত ২০২৫ পিএন৭ (Second Moon of Earth) ততটা ঝুঁকিপূর্ণ নয়। মহাকাশ গবেষণায় বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে। মহাকাশের অভিকর্ষ, কার্যকারিতা, গতিপ্রকৃতি, গঠন, আচরণ, ধর্ম বিষয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালাতেও বেশ সুবিধা হবে। পৃথিবীর এই সঙ্গী গ্রহাণুগুলির গল্প শুরু হয়েছিল ১৯৯১ সাল থেকে। সেই সময় ভিজি আবিষ্কারের মাধ্যমে এই কাজ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে আবিষ্কৃত প্রথম গ্রহাণু ভিজির কক্ষপথ ছিল পৃথিবীর মতোই। সেই সময়ে, এর কাছাকাছি আসার ফলে বিজ্ঞানীরা একটি ভিনগ্রহী (2025 PN7) অনুসন্ধানের সম্ভাবনা সম্পর্কে অনুমান করতে শুরু করেছিলেন।

  • Mount Everest: বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের উচ্চতা মাপলেন গণিতবিদ রাধানাথ, নেপোয় মারল দই!

    Mount Everest: বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের উচ্চতা মাপলেন গণিতবিদ রাধানাথ, নেপোয় মারল দই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাউন্ট এভারেস্টের (Mount Everest) উচ্চতা নিরূপণ করেছিলেন ভারতীয় গণিতবিদ রাধানাথ শিকদার (Radhanath Sikdar), ১৮৫২ সালে। অথচ, হিমালয়ের এই সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নামকরণ হল একজন ইংরেজের নামে। নাম কিনলেন তৎকালীন সার্ভেয়র জেনারেল জর্জ এভারেস্ট, ১৮৫৬ সালে। বিট্রিশ-শাসিত অঞ্চলের ভৌগোলিক সমীক্ষা পরিচালনা করেছিলেন তিনি। তাই তাঁর নামেই হল বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম।

    বিস্মৃতির আড়ালে খ্যাতনামা গণিতবিদ রাধানাথ (Mount Everest)

    বিশ্ববাসীর বিস্মৃতির আড়ালে চলে গেলেন খ্যাতনামা গণিতবিদ রাধানাথ, যাঁকে সেই সময়কার লোকজন ‘কম্পিউটার’ বলেই ডাকতেন। হাতেগোণা কয়েকটি যন্ত্রপাতি আর অসাধারণ দক্ষতা দিয়ে শিকদার এমন কিছু করে দেখিয়েছিলেন, যা আর কেউ করতে পারেনি। অথচ এজন্য প্রাপ্য সম্মানটুকুও জোটেনি তাঁর কপালে। ইতিহাস হয়তো তাঁর নামটিকে ম্লান হতে দিয়েছে, তবে কিছু নাম এতই উজ্জ্বল যে সেগুলি সহজে মুছে ফেলা যায় না। রাধানাথ শিকদার এমনই এক নাম।

    কলকাতায় জন্ম রাধানাথের

    ১৮১৩ সালের ৫ অক্টোবর কলকাতায় এক বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রাধানাথ শিকদার। এই পরিবারে শিক্ষাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হত যুগ যুগ ধরে। গণিতে রাধানাথের অসাধারণ মেধা হিন্দু কলেজের অধ্যাপক জন টাইটলারেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। টাইটলার বুঝতে পেরেছিলেন, এই তরুণের মস্তিষ্ক সংখ্যার হিসাব ও জটিল সমস্যার জন্যই তৈরি। তিনি শিকদারকে নিজের তত্ত্বাবধানে নেন। ১৮৩১ সালে যখন জর্জ এভারেস্ট ভারতের “গ্রেট ট্রিগোনোমেট্রিক্যাল সার্ভে”-এর জন্য মেধাবী গণিতবিদ খুঁজছিলেন, তখন রাধানাথ ইউক্লিডের ‘এলিমেন্টস’, নিউটনের ‘প্রিন্সিপিয়া’ এবং বিশ্লেষণাত্মক জ্যামিতির নীতিতে যথেষ্ট পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন।

    রাধানাথকে নিয়োগপত্র

    মাসিক ত্রিশ টাকা বেতনে রাধানাথকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল একজন কম্পিউটার হিসেবে, যিনি মাপবেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থান। পরে তাঁকে ভারতীয় কম্পিউটারদের একটি দলের অংশ হিসেবে দেরাদুনের কাছে সিরোঁজে পাঠানো হয়। রাধানাথের তীক্ষ্ণ ধী-শক্তি সবার নজর কাড়ত। এভারেস্ট নিজেও বিষয়টি লক্ষ্য করেছিলেন। তাই তিনি অন্য বিভাগে শিকদারের বদলি রদ করে দিয়েছিলেন। তিনি ভূ-জ্যামিতিক সমীক্ষায় বিশেষ দক্ষ ছিলেন। পরিমাপের নির্ভুলতা বাড়ানোর জন্য নিজস্ব পদ্ধতিও উদ্ভাবন করেছিলেন রাধানাথ। ১৮৪৩ সালে এভারেস্ট (Mount Everest) অবসর নেওয়ার পরে দায়িত্ব নেন কর্নেল অ্যান্ড্রু স্কট ওয়া।

    সেকেন্ড করে দিয়েছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘাকে

    এভারেস্টের অবসরের মাত্র ৯ বছর পর, ১৮৫২ সালে প্রধান গণনাকারী হিসেবে শিকদার হিমালয়ের শৃঙ্গগুলির তথ্য বিশ্লেষণ করেছিলেন। তখন পর্যন্ত স্বীকৃত সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা। কিন্তু শিকদারের গণনা জানিয়ে দিল, শুধু “পিক XV” নামে পরিচিত একটি শৃঙ্গ এর চেয়েও ঢের বেশি উঁচু, ২৯,০০০ ফুট। গণনায় সন্দেহ করে স্কট ওয়া এর সঙ্গে যোগ করে দেন আরও ২ ফুট। ১৮৫৬ সালে তিনি ঘোষণা করেন, নয়া এই শৃঙ্গের উচ্চতা ২৯,০০২ ফুট। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের এই মাপ থেকে গিয়েছিল প্রায় একশো বছর ধরে। তবে যখন শৃঙ্গটির নামকরণ করা হয়, তখন শিকদার নন, নামকরণ হয় এভারেস্টের নামেই। যদিও এটি পছন্দ করেননি জর্জ এভারেস্ট স্বয়ং। কারণ তিনি কখনও পর্বতটিকে দেখেননি। তিনি এও বলেছিলেন, ভারতীয়দের নামগুলি সংরক্ষিত থাকা উচিত। তার পরেও ইতিহাসের পাতায় ম্লান হয়ে যান রাধানাথ (Radhanath Sikdar), জ্বলজ্বল করতে থাকে এভারেস্টের নাম।

    ‘দ্য গ্রেট আর্ক’

    ‘দ্য গ্রেট আর্ক’ গ্রন্থের লেখক জন কে লিখেছেন, “বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গকে মানচিত্রে প্রথম স্থান দিয়েছিলেন শিকদার, এভারেস্ট নন। তাঁর হাতে যন্ত্রপাতি ছিল খুবই সীমিত, কিন্তু তাঁর হিসাব ছিল নিখুঁত (Mount Everest)।” শিকদারের বুদ্ধিবৃত্তির বিস্তার পাহাড়ের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ১৮৫১ সালে সমীক্ষা দফতর যে ম্যানুয়াল অফ সর্ভেইং প্রকাশ করে, তার টেকনিক্যাল চ্যাপ্টারগুলি তিনি নিজেই লিখেছিলেন। কিন্তু ১৮৭৫ সালে প্রকাশিত এর তৃতীয় সংস্করণে তাঁর নাম ভূমিকা থেকে রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যায়। সেই সময় ‘ফ্রেন্ড অফ ইন্ডিয়া’ নামের একটি পত্রিকা এই ঘটনাকে বলেছিল, “এক মৃত ব্যক্তির অবদানের চুরি” (Radhanath Sikdar)।

    শৃঙ্গের গায়ে ঔপনিবেশিকতার কালো দাগ

    রাধানাথ শিকদার কখনও তুষারে ঢাকা কোনও পাহাড় চূড়ার ঢালে দাঁড়াননি, কোনও শৃঙ্গের চূড়ায় পতাকাও ওড়াননি। কিন্তু কলকাতার নিঃশব্দ কক্ষে বসেই তিনি তাঁর সময়ের যে কারও চেয়ে উঁচুতে পৌঁছে গিয়েছিলেন একমাত্র ত্রিকোণমিতিকে দড়ি হিসেবে ব্যবহার করে। তিনি এভারেস্ট আরোহন করেননি। তিনি তার উচ্চতা পরিমাপ করেছিলেন মাত্র। তা সত্ত্বেও আজও এভারেস্টের গায়ে কোনও এক অদ্ভুত কারণে লেগে রয়েছে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার কালো দাগ। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নামকরণ (Radhanath Sikdar) করা হয়েছে একজন ব্রিটিশের নামে, অথচ তা হওয়ার কথা ছিল এক খাঁটি ভারতীয় তথা বাঙালি গাণিতিকের নামে (Mount Everest)।

  • Cancer Vaccine: ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাবে রাশিয়ার তৈরি এন্টেরোমিক্স টিকা!

    Cancer Vaccine: ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাবে রাশিয়ার তৈরি এন্টেরোমিক্স টিকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র একটি টিকা। তাতেই কমবে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি। ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে এমনটাই দাবি করেছে রাশিয়া (Russian Scientists)। মানুষের শরীরেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের পরে রাশিয়ার দাবি, তাদের তৈরি এন্টেরোমিক্স টিকা ক্যান্সারের (Cancer Vaccine) ঝুঁকি কমাতে পারবে। টিকাটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফল ১০০ শতাংশ সফল বলে দাবি রাশিয়ার।

    এন্টেরোমিক্স টিকা (Cancer Vaccine)

    চার ধরনের ভাইরাসের নমুনা নিয়ে এন্টেরোমিক্স টিকা তৈরি করেছে রাশিয়া। এই ভাইরাসগুলি কম ক্ষতিকারক, তবে শরীরে ঢুকলে ক্যান্সার কোষের বারোটা বাজাতে পারবে। রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, টিকাটি ত্বকের সব চেয়ে বিপজ্জনক ক্যান্সার মেলানোমার ঝুঁকি কমাতে পারবে। অগ্যাশয়, কিডনি ও ফুসফুসের ক্যান্সার থেকেও সুরক্ষা দিতে পারবে এই টিকা। টিকার কাজই হল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া। শরীরে যদি কোনও বিজাতীয় প্রোটিন ঢোকে, তা হলে শরীর তার নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা দিয়ে তা আটকানোর চেষ্টা করা। ক্যান্সারের সময় শরীরের নিজস্ব কোষগুলি শত্রুর মতো আচরণ করে। সেগুলির অনিয়ন্ত্রিত বিভাজন শুরু হয়ে যায়। ফলে টক্সিন তৈরি হতে থাকে। এই প্রক্রিয়াকে রোধ করতে হলে প্রয়োজন অ্যান্টিবডি ও ইমিউনোসাইট।

    অ্যান্টিবডি তৈরি করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি

    এই ইমিউনোসাইট হল সেই সব কোষ, যারা অ্যান্টিবডি তৈরি করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে (Cancer Vaccine)। এই ইমিউনোসাইট কোষগুলিকে সক্রিয় করে তুলতেই টিকা তৈরি হয়। রাশিয়ার দাবি, তাদের তৈরি টিকা ইমিউনোসাইটকে বেশি মাত্রায় এবং দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করবে। ফলে ক্যান্সার কোষ আর তৈরিই হবে না। যদিও রাশিয়ার তৈরি ক্যান্সারের টিকা নিয়ে নিশ্চিত তথ্য এখনও মেলেনি। টিকাটির আরও কয়েক পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলের জন্যই অপেক্ষা চলছে। উল্লেখ্য, টিকা তৈরি ও তার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনেকগুলি ধাপ থাকে। প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পশুর শরীরে পরীক্ষা চলে। তার পর তিন ধাপে মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালিয়ে টিকার কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা হয়। রাশিয়ার তৈরি টিকাটি এখনও প্রাথমিক ধাপেই রয়েছে বলে খবর। রাশিয়ার (Russian Scientists) দাবি, এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও খুব সামান্যই হয়েছে (Cancer Vaccine)।

  • Total Lunar Eclipse: ৮২ মিনিট ধরে রাতের আকাশে ‘ব্লাড মুন’! রবিবার চন্দ্রগ্রহণ, বিরল ঘটনা দেখবে কলকাতা

    Total Lunar Eclipse: ৮২ মিনিট ধরে রাতের আকাশে ‘ব্লাড মুন’! রবিবার চন্দ্রগ্রহণ, বিরল ঘটনা দেখবে কলকাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৭ সেপ্টেম্বর, এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকার সুযোগ রয়েছে কলকাতা তথা ভারতবাসীর। আগামী রবিবার হতে চলেছে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse)। এটিই বছরের দ্বিতীয় এবং শেষ চন্দ্রগ্রহণ। সবচেয়ে বড় কথা, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে রাতের আকাশে ‘ব্লাড মুন’ (Blood Moon) প্রত্যক্ষ করতে পারবেন সকলে। এত সময় ধরে পূর্ণগ্রাসের পর্ব চলা সত্যিই বিরল। মোট গ্রহণের প্রক্রিয়া চলবে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এটিই অন্যতম দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ।

    দেখা যাবে কলকাতা থেকে, ৮২ মিনিট ধরে ‘ব্লাড মুন’!

    জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ৭-৮ তারিখে যে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse) হবে, তা চলবে দীর্ঘ ক্ষণ ধরে। সাম্প্রতিক সময়ে এতক্ষণ ধরে চন্দ্রগ্রহণ সে ভাবে হয়নি। এটি ৭ সেপ্টেম্বর রাত ০৯টা ৫৭ মিনিট থেকে শুরু হবে। শেষ হবে ৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাত ১টা ২৬ মিনিটে। চন্দ্রগ্রহণের মোট সময়কাল ৩ ঘন্টা ২৯ মিনিট। তবে, পূর্ণগ্রাস শুরু হবে রাত ১১টা থেকে। চলবে ১২টা ২২ মিনিট পর্যন্ত। অর্থাৎ, পুরো ৮২ মিনিট! আর এই গোটা সময়টায় চাঁদের রং হয়ে উঠবে রক্তিম (Blood Moon)। ভারতের প্রায় সব শহর থেকেই দেখা যাবে। কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, পুণে, লখনউ, হায়দরাবাদ, চণ্ডীগড় থেকে স্পষ্ট এই গ্রহণ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আবহাওয়া অবশ্যই অনুকূল থাকতে হবে। এছাড়াও, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, নিউজিল্যান্ড, ফিজি দ্বীপপুঞ্জ এবং অ্যান্টার্কটিকার কিছু অংশে এই গ্রহণ দেখা যাবে।

    কী এই ‘ব্লাড মুন’ (Blood Moon), কেন এত আগ্রহ?

    ব্লাড মুন নিয়ে অনেক গল্প রয়েছে। রূপকথা থেকে শুরু করে হাড়হিম করা ভৌতিক কাহিনিতে ব্লাড মুন-এর একটা আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। শুধু তাই নয়। বহু প্রাচীন সভ্যতায় এর নির্দশন মেলে। এমনকী, এখনও পৃথিবীর বহু সংস্কৃতিতে ব্লাড মুন পৌরাণিক কাহিনী ও কুসংস্কারের সঙ্গে জড়িয়ে আছে, যেখানে একে পরিবর্তন বা রূপান্তরের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। তবে, বিজ্ঞানের ব্যাখ্যায় ব্লাড মুন হয় আলোর তরঙ্গের কারণে। তাঁদের মতে, চাঁদের নিজস্ব আলো নেই। তার উপর সূর্যের আলো পড়ে। সেই আলো প্রতিফলিত হলে, আমরা চাঁদকে দেখতে পাই। গ্রহণ তখনই ঘটে, যখন সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই সরলরেখায় চলে আসে। চন্দ্রগ্রহণের (Total Lunar Eclipse) ক্ষেত্রে চাঁদ এবং সূর্যের মাঝে পৃথিবী চলে আসে। ফলে, সূর্যের আলো আর চাঁদে পড়ে না। বদলে পৃথিবীর ছায়া পড়ে চাঁদের উপরে। তখনই হয় চন্দ্রগ্রহণ। চাঁদ পুরোপুরি কালো কিন্তু হয় না। বদলে লাল হয়ে ওঠে। সূর্য আর চাঁদের মাঝে পৃথিবী চলে এলে সূর্যের রশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ধাক্কা খায়। এই বায়ুমণ্ডল ছোট তরঙ্গ (নীল এবং বেগুনি)-কে ছেঁকে নেয়। শুধু দীর্ঘ (লাল, কমলা) তরঙ্গই চাঁদে গিয়ে পৌঁছোয়। সে কারণে চাঁদকে রক্তিম দেখায়। তাকেই বলা হয় ‘ব্লাড মুন’ (Blood Moon)।

  • Vikram Sarabhai: তিনিই ছিলেন দেশের মহাকাশ গবেষণার জনক! ১২ অগাস্ট জন্মদিন বিক্রম সারাভাইয়ের

    Vikram Sarabhai: তিনিই ছিলেন দেশের মহাকাশ গবেষণার জনক! ১২ অগাস্ট জন্মদিন বিক্রম সারাভাইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯১৯ সালে আজকের দিনে, অর্থাৎ ১২ অগাস্ট, জন্মগ্রহণ করেছিলেন ডঃ বিক্রম অম্বালাল সারাভাই (Vikram Sarabhai)। তিনি জন্মগ্রহণ করেন গুজরাটের আমেদাবাদে, এক ব্যবসায়ী পরিবারে। বিক্রম সারাভাই প্রথম ব্যক্তি ছিলেন যিনি ভারতবর্ষকে মহাকাশ গবেষণার পথে পরিচালিত করেছিলেন। তাঁর দর্শন, দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তাভাবনা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিল। তিনি প্রযুক্তির ভারতীয়করণ করে এবং আত্মনির্ভর ভারত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ফলে, ভারতের আর বিদেশি প্রযুক্তির উপর নির্ভর করতে হয়নি — ভারতীয় বিজ্ঞানীরাই হয়ে ওঠেন ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক (Father Of Indian Space)।

    কেমব্রিজে করেন পড়াশোনা (Vikram Sarabhai)

    ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম নেওয়ায় সারাভাই ছোটবেলা থেকেই একটি অনুকূল পরিবেশে বড় হন এবং তাঁর পরিবারে পড়াশোনার পরিবেশও ছিল অত্যন্ত উন্নত। নিজের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা তিনি গুজরাটেই সম্পন্ন করেন। পরে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি বিদেশে যান এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাচারাল সায়েন্সে ভর্তি হন। ঠিক সেই সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। যুদ্ধকালীন সময়েও তিনি তাঁর ডিগ্রি সম্পন্ন করে ভারতে ফিরে আসেন এবং যোগ দেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স-এ। সেখানে তাঁকে পথ দেখান বিজ্ঞানী সি. ভি. রমন। এরপর তিনি কসমিক রে ফিজিক্স বিষয়ে পিএইচ.ডি. সম্পন্ন করেন।

    দেশ স্বাধীন হলে প্রতিষ্ঠা করেন ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি

    ১৯৪৭ সালে, যখন ভারত স্বাধীন হয়, সেই বছরেই তিনি পিএইচ.ডি. সম্পূর্ণ করেন এবং প্রতিষ্ঠা করেন ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি (Physical Research Laboratory), সংক্ষেপে PRL। এটি তিনি গড়ে তোলেন তাঁর নিজের রাজ্য গুজরাটের আমেদাবাদে (Vikram Sarabhai)। প্রথমে একটি ছোট টিম নিয়ে শুরু করেন কাজ। পরবর্তীকালে তাঁর এই প্রতিষ্ঠিত ল্যাবরেটরি ভারতের মহাকাশ গবেষণার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

    প্রথম সাউন্ডিং রকেট তাঁর নেতৃত্বেই উৎক্ষেপণ করা হয়

    ১৯৬০-এর সময় যখন গোটা বিশ্বে ঠান্ডা লড়াই চলছিল — মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে মহাকাশ দখলের প্রতিযোগিতা — তখন বিক্রম সারাভাই একটি যুগান্তকারী মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “মহাকাশ প্রযুক্তি কোনও বিলাসিতা নয়, বরং এটি উন্নয়নশীল দেশের পক্ষেও একান্ত প্রয়োজনীয়।” ১৯৬৩ সালে তাঁর নেতৃত্বে ভারতের প্রথম Sounding Rocket উৎক্ষেপণ করা হয় থুম্বা ইকুইটোরিয়াল রকেট লঞ্চিং স্টেশন থেকে। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিতেই ভারতবর্ষে যোগাযোগ ব্যবস্থা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে স্যাটেলাইট ব্যবহারের সূচনা হয়। ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে মাত্র ৫২ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয় — যা ছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি।

  • ISRO: কালামের নামে নতুন রকেট ইঞ্জিনের সফল স্ট্যাটিক পরীক্ষা, বছর শেষে পাড়ি দিতে পারে মহাকাশে

    ISRO: কালামের নামে নতুন রকেট ইঞ্জিনের সফল স্ট্যাটিক পরীক্ষা, বছর শেষে পাড়ি দিতে পারে মহাকাশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ইসরো (ISRO) ঘোষণা করেছে যে তারা প্রথম কঠিন জ্বালানির রকেট কালাম-১২০০ এর (KALAM 1200) সফল স্ট্যাটিক পরীক্ষা করতে পেরেছে। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এই  স্ট্যাটিক পরীক্ষা, সম্পন্ন হয়েছে। ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কালাম-১২০০ যে ইঞ্জিন, তা ১১ মিটার লম্বা এবং এটি ৩০ টন কঠিন প্রোপেলান্ট বহন করতে সক্ষম।  ইসরো এটিকে একটি বড় মাইলফলক বলে অভিহিত করেছে এবং নিজেদের এক্স (X) হ্যান্ডলে তারা লিখেছে, স্কাইরুট এরোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেড দ্বারা বিক্রম-অ্যাক্স ভেহিকল এর প্রথম পর্যায়ে কালাম-১২০০ সলিড মোটরের সকল স্ট্যাটিক পরীক্ষা সম্পন্ন হল, যা একটি বড় মাইলফলক।

    প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আব্দুল কালামের নামেই এই ইঞ্জিন (ISRO)

    দেশের রকেট প্রযুক্তি গবেষণা, যুদ্ধবিমান নির্মাণ ও পরমাণু পরীক্ষায় অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন এপিজে আবদুল কালাম। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বা ডিআরডিও, শ্রীহরিকোটা উপকূলে ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের নামকরণও করেছে আবদুল কালামের নামে। এবার একটি কঠিন জ্বালানি চালিত রকেট ইঞ্জিন তৈরি করে তার সফল স্ট্যাটিক পরীক্ষাও করল ভারতের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা (KALAM 1200)।

    ভারতে প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত রকেট হল বিক্রম-এস

    ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ইসরোর প্রাক্তন বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন একটি স্টার্টআপ সংস্থা, তার নাম স্কাইরুট এ্যারোস্পেস। তারাই সম্প্রতি সফলভাবে তৈরি করেছে কালাম-১২০০ নামের ওই রকেট ইঞ্জিনটি। চলতি বছরের শেষে এই স্কাইরুট এ্যারোস্পেস তাদের এই নতুন রকেট বিক্রম-১ কে মহাকাশে পাঠাতে পারে বলে খবর, এবং তাতেই ব্যবহৃত হবে আবদুল কালামের নামে নামাঙ্কিত এই ইঞ্জিনটি (ISRO)। এক্ষেত্রে বলা দরকার, ভারতে প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত রকেট হল বিক্রম-এস — এরও নির্মাতা ছিল স্কাইরুট এ্যারোস্পেস (২০২২ সালের নভেম্বর)। প্রসঙ্গত, ১ দশক আগেই দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও টেনে আনার জন্য আলাদা একটি সংস্থা করার প্রস্তাব পাস হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেই সংস্থার (ISRO) নাম দেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (IN-SPACe)।

  • ISRO: লাদাখেই তৈরি হল মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ, ইসরোর অভিনব মিশন নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল

    ISRO: লাদাখেই তৈরি হল মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ, ইসরোর অভিনব মিশন নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো, লাদাখে শুরু করল এক অন্য ধরনের মিশন, যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে হোপ – হিমালয়ান আউটপোস্ট ফর প্ল্যানেটারি এক্সপ্লোরেশন। গত ১ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই মিশন, চলবে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আগামী দিনে ভারতের চন্দ্র অভিযান এবং মঙ্গল অভিযানের প্রস্তুতির দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো ইসরোর (ISRO) এই মিশন। এর জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীরা বেছে নিয়েছেন এমন একটি অঞ্চলকে, যে অঞ্চলের সঙ্গে অনেক দিক থেকেই মিল রয়েছে মঙ্গল গ্রহের। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ৫৩০ মিটার উপরে অবস্থিত, এখানে বায়ুর চাপ অত্যন্ত কম রয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে প্রবল ঠান্ডা, আবার অতি বেগুনি রশ্মির তীব্রতাও রয়েছে।

    রাখা হয়েছে দুটি যুক্ত মডিউল বিশিষ্ট আবাসন ব্যবস্থা (ISRO)

    গবেষকরা বলছেন, এই ধরনের পরিস্থিতি হল পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ কিংবা মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে পরিবেশের একদমই সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা চন্দ্র বা মঙ্গল অভিযানে (Mars Mission) গেলে, তার আগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একদম আদর্শ পরিবেশ। ইসরোর এই মিশনের অনেক রকমের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এখানে রাখা হয়েছে দুটি যুক্ত মডিউল বিশিষ্ট আবাসন ব্যবস্থা, যার একটি ৮ মিটার প্রশস্ত এবং এটি ক্রুদের জন্য, অপরটি পাঁচ মিটার ইউটিলিটি ইউনিট (ISRO)। এই আবাসনে মিলছে প্রায় সমস্ত রকমেরই ব্যবস্থা। এখানে রয়েছে রান্নাঘর। ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা যখন যাবেন, তখন চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহে রান্না করে খেতে হবে বৈকি। রয়েছে স্যানিটারি সুবিধাও। মানবজীবনের অত্যাবশ্যক প্রয়োজনীয়তাগুলোর ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এই পরীক্ষামূলক আবহে। রয়েছে হাইড্রোপনিক ফার্মিংয়ের মতো আধুনিক কৃষিপদ্ধতি, যা জলবিহীন ও মাটিবিহীন কৃষিকে সম্ভব করে তোলে, তা-ও এখানে বাস্তবায়িত হয়েছে। এইভাবে ভবিষ্যতের অভিযানে খাদ্য সরবরাহের সম্ভাব্য বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা চলছে।

    ইসরোর সঙ্গে যোগ দিয়েছে অন্যান্য সংস্থাও

    ইসরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দশ দিনের যে প্রস্তুতিপর্ব চলছে বা মিশন, সেখানে দুজন ক্রু সদস্য আবাসনের ভিতরে থাকবেন। ওই আবাসনের ভিতরে থাকার সময়, তাঁদের শারীরিক, মানসিক এবং বৌদ্ধিক পর্যায়ের কোন কোন প্রতিক্রিয়া উঠে আসছে, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং বিশ্লেষণ করা হবে। লাদাখের ওই অঞ্চলে (ISRO) গবেষণা চালাচ্ছে ইসরো। তবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার সঙ্গে জুড়েছে দেশের অন্যান্য সেরা প্রতিষ্ঠানগুলি। কোন কোন প্রতিষ্ঠানগুলি ইসরোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই প্রকল্পে কাজ করছে, তা একবার জেনে নিই। রয়েছে আইআইটি বোম্বে, আইআইটি হায়দরাবাদ, আইআইএসটি তিরুবনন্তপুরম, আরজিসিবি তিরুবনন্তপুরম এবং ইনস্টিটিউট অব স্পেস মেডিসিন।

    কী কী নিয়ে চলছে গবেষণা (ISRO)

    ইসরো সূত্রে জানানো হয়েছে যে, উপরে উল্লেখ করা এই সংস্থাগুলির গবেষকরা নানাভাবে গবেষণা চালাচ্ছেন, যেমন: ক্রুদের হেলথ মনিটরিং, গ্রহপৃষ্ঠ অপারেশন, জীবাণু সংগ্রহ, উন্নত চিকিৎসা ও প্রযুক্তির নানা বিষয়। এই হোক মিশনে যারা যাবেন, তখন তাদের যে ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে, তারই একটা মহড়া এবং সেই লক্ষ্যে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এইরকম উদ্যোগ ভারতের মহাকাশ গবেষণাকে শুধু আরও আত্মনির্ভরই করবে না, বরং আন্তর্জাতিক মহাকাশ মিশনের প্রতিযোগিতায় ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী ও মর্যাদাপূর্ণ করে তুলবে বলেই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য

    এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসরোর হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট সেন্টার। জানা যাচ্ছে, ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে মানব পাঠানো এবং ভবিষ্যতের মঙ্গল অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েছে ইসরো। এবং মহাকাশের পরিবেশের অনুকরণে গড়ে তোলা হয়েছে মিশন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইসরোর এই মিশনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে তৈরি করা হচ্ছে এমন এক পরিবেশ, যা ভবিষ্যতের চাঁদ বা মঙ্গল অভিযানে অংশগ্রহণকারী মহাকাশচারীদের জন্য প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিবেশে টিকে থাকার জন্য যে ধরণের জীবনধারা, শারীরিক সক্ষমতা, মানসিক দৃঢ়তা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রয়োজন, তা এখানে বাস্তব পরিস্থিতির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

    কী বলছেন ইসরোর চেয়ারম্যান

    এ নিয়ে ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ ভি নারায়ণ বলছেন, যে হোক শুধুমাত্র আমাদের জন্য কেবল একটি ধৈর্যের পরীক্ষা নয় — এটি ভারতের ভবিষ্যতে মানব মহাকাশ অভিযানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশন। এখানে সরাসরি মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ এবং মিশনের ডিজাইন, তার ব্যবস্থা, প্রযুক্তি ব্যবস্থা — এই সমস্ত কিছুই খুঁটিনাটিতে পরীক্ষা করা হবে। ইসরোর চেয়ারম্যান ডঃ আরও বলছেন যে, ভবিষ্যতের জন্য আমাদের এই মহড়া চলছে। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর আগে এধরনের মিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • NISAR: সহজ হবে দুর্যোগ মোকাবিলা! ভারত-মার্কিন যৌথ উদ্যোগে শ্রীহরিকোটা থেকে সফল উৎক্ষেপণ নাইসার-এর

    NISAR: সহজ হবে দুর্যোগ মোকাবিলা! ভারত-মার্কিন যৌথ উদ্যোগে শ্রীহরিকোটা থেকে সফল উৎক্ষেপণ নাইসার-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে পাড়ি দিল নাইসার (NISAR)। বুধবার, বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে, শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে জিএসএলভি-এমকে-২ (GSLV-MkII) রকেটের সাহায্যে এই শক্তিশালী স্যাটেলাইট মহাকাশে পাড়ি দিল। নাসা-ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারেচার রেডার (Nasa Isro Synthetic Aperture Radar) মহাকাশে ভারতের নয়া মাইলফলক। নিসার বিশ্বের প্রথম ডুয়াল-ফ্রিকোয়েন্সি সিন্থেটিক অ্যাপারেচার রেডার স্যাটেলাইট। এতে নাসার এল-ব্যান্ড রেডার (L-band radar) এবং ইসরোর এস-ব্যান্ড রেডার (S-band radar) দু’টো একসঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে। পৃথিবী থেকে ৭৪৩ কিমি দূরে সান-সিনক্রোনাস অরবিটে (এসএসও) ৯৮.৪০ ডিগ্রি কোণে প্রতিস্থাপন করা হয় জিএসএলভি-এফ১৬ (GSLV-F16) রকেট ৷ নাইসার-এর ওজন ২হাজার ৩৯৩ কেজি ৷

    প্রথম ৯০ কাজ করবে না নিসার

    ইসরো সূত্রে খবর, উৎক্ষেপণের পর প্রথম ৯০ দিন নাইসার (NISAR) তার কাঙ্ক্ষিত বৈজ্ঞানিক কাজ শুরু করবে না। এই সময়টিকে বলা হয় ‘কমিশনিং’ বা ইন-অরবিট চেকআউট (IOC) পর্ব, যেখানে স্যাটেলাইট এবং এর অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিকে পূর্ণ প্রস্তুতির জন্য পরীক্ষা ও ক্যালিব্রেশন করা হয়। নাসা ও ইসরোর যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এই উপগ্রহটি উৎক্ষেপণের পর তিন মাসব্যাপী কমিশনিং পর্বে থাকবে। এই সময় স্যাটেলাইটটি বিভিন্ন ধাপে বিভক্ত চেক ও টেস্টের মধ্য দিয়ে যাবে, যাতে তা নিখুঁতভাবে কাজের উপযোগী হয়ে ওঠে। এই ৯০ দিনের মধ্যে নিসার কক্ষপথে নিজেকে স্থিতিশীল করবে, সমস্ত যন্ত্রপাতি ধাপে ধাপে সক্রিয় করা হবে এবং বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালিব্রেশন শেষ করা হবে। এরপরই এটি কাজ শুরু করবে। এই ধৈর্যশীল প্রস্তুতি পর্বই নাইসারকে তার নির্ভুল বৈজ্ঞানিক লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা।

    কীভাবে কাজ করবে নিসার

    নাইসার (NISAR) থেকে পাওয়া সমস্ত তথ্য ওপেন-সোর্স হবে। গবেষক, বিজ্ঞানী, জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা সহজেই সমস্ত তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারবেন। এই উপগ্রহ প্রতি ৯৭ মিনিটে একবার পৃথিবী প্রদক্ষিণ করবে। এই প্রদক্ষিণের মধ্যে দিয়ে মাত্র ১২ দিনে নাইসার পুরো পৃথিবীর স্থলভাগ ও বরফ আচ্ছাদিত অঞ্চলের একটি ম্যাপ তৈরি করে ফেলতে পারবে। যা বিজ্ঞানীদের নানা গবেষণায় কাজে আসবে। নাইসার ব্যবহার করে পৃথিবীর পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র, বায়ুমণ্ডল, বনজঙ্গল, হিমবাহ, ভূকম্পন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ করবে। ভূপৃষ্ঠে কয়েক মিলিমিটারের পরিবর্তনও ধরা পড়বে এই কৃত্রিম উপগ্রহে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বছরের যে কোনও মরসুমে, শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা কিংবা দিন-রাত নির্বিশেষে মহাকাশ থেকে পৃথিবীর উচ্চমানের ছবি তুলতে পারবে এই কৃত্রিম উপগ্রহ। আর সে কারণেই বিশ্বের জলবায়ুর পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ, কৃষি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ‘নাইসার’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    ভারতের জন্য লাভজনক

    ইসরোর এই পদক্ষেপে ফের ভারতের মহাকাশ গবেষণায় এক নতুন দিক উন্মোচন করল। এই মিশনের জন্য মোট খরচ ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা (প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার)। এর মধ্যে ভারতের অংশ ৭৮৮ কোটি টাকা (প্রায় ৯৬ মিলিয়ন ডলার)। এর ফলে ভারতে দুর্যোগ মোকাবিলার কাজ সহজ হবে। এ ছাড়াও হিমালয়ের হিমবাহ কত দ্রুত গলছে, কৃষিতে জলের সঠিক ব্যবহার কী ভাবে করা যাবে, তা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে। নাইসার-এর প্রাপ্ত তথ্য ভারতকে আগে থেকে বন্যা, ভূমিকম্প ও ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, ‘‘এটিই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) এবং নাসা-র তরফে পৃথিবীকে পর্যবেক্ষণের প্রথম যৌথ উদ্যোগ। তাই এই অভিযানকে ভারতের আন্তর্জাতিক স্তরে বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসাবে দেখা হচ্ছে।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, এই অভিযান কেবল একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণই নয়, বরং বিজ্ঞান এবং বিশ্বকল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দু’টি দেশ যৌথ ভাবে কী কী করে দেখাতে পারে তার প্রতীক।

  • NISAR: ৩০ জুলাই মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরো-নাসার যৌথ উদ্যোগে তৈরি উপগ্রহ ‘নিসার’

    NISAR: ৩০ জুলাই মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরো-নাসার যৌথ উদ্যোগে তৈরি উপগ্রহ ‘নিসার’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরোর আরও এক বিরল কৃতিত্ব। ভূমিকম্প সম্পর্কে আগাম সতর্কতা দেবে শক্তিশালী পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী উপগ্রহ নিসার (NISAR) অর্থাৎ নাসা-ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার (NASA-ISRO Synthetic Aperture Radar)। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO) এবং মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA) যৌথভাবে তৈরি করেছে এই কার্যকরী উপগ্রহ। আগামী ৩০ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে নিসার। ইসরো নিশ্চিত করেছে, ভারতের জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (GSLV) ব্যবহার করে বিকেল ৫:৪০ মিনিটে এই উৎক্ষেপণ করা হবে। এটি হবে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সবচেয়ে ব্যয়বহুল (প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার) এবং গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী উপগ্রহ মিশন।

    বিশ্বের প্রথম দ্বৈত-ফ্রিকোয়েন্সি রেডার সহ উপগ্রহ

    নিসার উপগ্রহে রয়েছে নাসার এল-ব্যান্ড এবং ইসরোর এস-ব্যান্ড সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার প্রযুক্তির সমন্বয়, যা একসঙ্গে পৃথিবীর ভূমি ও বরফ আবরণের ত্রিমাত্রিক মানচিত্র প্রস্তুত করবে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে। এই রেডারগুলো একসঙ্গে পৃথিবীর পৃষ্ঠের সূক্ষ্ম পরিবর্তন, আগ্নেয়গিরি, ভূমিধ্বস, মেরু বরফ গলা, ভূমিকম্প ইত্যাদি নজরদারি করতে পারবে। প্রতি ১২ দিনে একবার পৃথিবীর নির্দিষ্ট অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করবে। এটি আপাতত বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল পৃথিবী-পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ, যা ডুয়াল এসএআর রেডার প্রযুক্তিতে সজ্জিত। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১২,৫০০ কোটি টাকা), যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল আর্থ ইমেজিং স্যাটেলাইটে পরিণত করেছে।

    নিসারের বৈজ্ঞানিক লক্ষ্য ও গুরুত্ব

    নিসার যেসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করবে, তার মধ্যে রয়েছে,

    প্রতিবেশ ব্যবস্থার পরিবর্তন ও বায়োমাসের বণ্টন।

    ভূমিকম্প, ভূমিধস ও আগ্নেয়গিরির ফলে ভূমির বিকৃতি।

    হিমবাহ ও বরফচাদরের গতি।

    মাটির আর্দ্রতা ও ভূগর্ভস্থ জলের হেরফের।

    সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ও শহরাঞ্চলের পরিবর্তন।

    এই ডেটা ব্যবহার হবে পরিবেশ বিজ্ঞান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কৃষি পরিকল্পনা ও জলসম্পদ ব্যবস্থাপনায়। উপগ্রহটি দিন-রাত, মেঘ বা আবহাওয়ার বাধা অগ্রাহ্য করে কার্যক্ষম থাকবে।

    ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি

    উৎক্ষেপণের পুরো প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে ইসরো। ভারতের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার আরেক নিদর্শন হিসেবে এই মিশনে ১২ মিটার ব্যাসের বিশাল ভাঁজযোগ্য অ্যান্টেনা সফলভাবে সংযোজন করা হয়েছে। নিসার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্বের গবেষক ও জরুরি পরিষেবা কর্মীদের জন্য ফ্রি ও ওপেন থাকবে। দুর্যোগের সময়ে প্রায় তাৎক্ষণিক তথ্য সরবরাহ করে প্রাণ ও সম্পদ বাঁচাতে সাহায্য করবে এই মিশন। ২০১২ সালে ইসরো এবং নাসার মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই অভূতপূর্ব অভিযানের সূচনা হয়েছিল। ২০১৪ সালে, দুটি সংস্থার মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যার অধীনে একটি রেডার ভারতে এবং অন্যটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করার কথা ছিল। আমেদাবাদের এসএসি (SAC) সেন্টারের পরিচালক ডঃ নীলেশ দেশাইয়ের মতে, এটি ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রতীক।

  • AdFalciVax: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্য, দেশে তৈরি হচ্ছে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স

    AdFalciVax: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সাফল্য, দেশে তৈরি হচ্ছে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক নয়া মাইলফলক স্পর্শ করল ভারত। এবার থেকে ভারতেই তৈরি হবে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন, যার নাম অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স (AdFalciVax)। জানা যাচ্ছে, ভুবনেশ্বরে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ম্যালেরিয়া রিসার্চ এবং ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইমিউনোলজির যৌথ প্রচেষ্টাতেই এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে এই প্রথম এই ধরনের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে, অর্থাৎ যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির অন্যতম সফল দৃষ্টান্ত হতে চলেছে

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় (Modi Government) আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে এই প্রচেষ্টা। একাধিক ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারতের উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে মোদি সরকারকে। প্রযুক্তি থেকে শুরু করে যুদ্ধ সরঞ্জাম, করোনা মহামারীতেও ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন সারা দুনিয়াতে প্রশংসা কুড়িয়েছে। তার গুণমানের জন্য। এবার এই আবহে তৈরি হচ্ছে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন। অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স (AdFalciVax) নামের এই ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ভ্যাকসিন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির অন্যতম সফল দৃষ্টান্ত হতে চলেছে।

    অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স অত্যন্ত মৌলিক এক ধরনের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স (AdFalciVax) অত্যন্ত মৌলিক এক ধরনের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক ভ্যাকসিন। এটা একেবারে লক্ষ্যবস্তু বানাবে প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিপারাম-কে। প্রসঙ্গত, এই প্যারাসাইট ম্যালেরিয়ার জন্য অত্যন্ত বিপদজনক বলে মনে করা হয় এবং তা প্রাণঘাতীও হয়ে দাঁড়ায় মাঝেমধ্যে। সেই প্যারাসাইটকেই একেবারে লক্ষ্যবস্তু বানাবে ভারতবর্ষে তৈরি হতে চলা অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স।

    কেন অন্যান্য ভ্যাকসিনের থেকে আলাদা?

    বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সারা বিশ্বে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক যে ভ্যাকসিনগুলি প্রচলিত রয়েছে, সেগুলির বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণভাবে ফোকাস করে প্যারাসাইটের লাইফ সাইকেলের উপর। কিন্তু ভারতে তৈরি হতে চলা অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স-কে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে তা সহজে এবং একেবারে শেষ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে। ম্যালেরিয়ার ফলে মানবদেহে সংক্রমণ যে স্তরেই থাকুক না কেন, এই ভ্যাকসিন লড়াই চালাতে সক্ষম তার বিরুদ্ধে। এর আগে এই ভ্যাকসিন নিয়ে একাধিকবার ল্যাব টেস্টিংও হয়েছে এবং সেখানে বিজ্ঞানীরা যে ফলাফল পেয়েছেন, তা এক কথায় অত্যন্ত ইতিবাচক।

    সংক্রমণের যেকোনও স্তরে মানবদেহকে সুরক্ষা দেবে এই ভ্যাকসিন

    বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করছেন, এই ভ্যাকসিনের ফলে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীদের প্রভূত উপকার হবে। বর্তমানে যে ভ্যাকসিনগুলি প্রচলিত রয়েছে, যেমন: RTS,S/AS01, R21/Matrix-M. এই সমস্ত প্রচলিত ভ্যাকসিনগুলির থেকে অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন অনেক দিকেই কাজ করবে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে প্রতিরোধক ব্যবস্থা। অর্থাৎ, সংক্রমণের যেকোনও স্তরে মানবদেহকে সুরক্ষা দেবে এই ভ্যাকসিন। ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করবে — এর পাশাপাশি ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করবে।

    ঘরের তাপমাত্রায় এই ভ্যাকসিনকে কতদিন পর্যন্ত রাখা যাবে?

    ঘরের তাপমাত্রায় এই ভ্যাকসিনকে কতদিন পর্যন্ত রাখা যাবে, এর উত্তরও দিচ্ছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, এই ভ্যাকসিনকে ৯ মাস ধরে রাখা যেতে পারে ঘরের তাপমাত্রায় এবং খুব সহজেই এটা রাখা যাবে। সহজে এই ভ্যাকসিনকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে, বিশেষত ক্রান্তীয় অঞ্চলে। শুধু তাই নয়, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধক এই ভ্যাকসিন অত্যন্ত খরচ-সাশ্রয়ী হতে চলেছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা, যাতে সাধারণ মানুষ এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে পারবেন।

    সাত বছরের মধ্যে আসছে বাজারে

    এই ভ্যাকসিন (AdFalciVax) বর্তমানে প্রি-ক্লিনিকাল স্তরে রয়েছে এবং সমস্ত কিছু পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে চলেছে বলে জানাচ্ছেন এই ভ্যাকসিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা। কতদিনের মধ্যে এই ভ্যাকসিন বাজারে আসবে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেভাবে গবেষণা চলছে, তাতে ৭ বছর লাগবে এই ভ্যাকসিন বাজারে আনতে। ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে এই ভ্যাকসিন। একে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাও অত্যন্ত কঠোর।

    গোষ্ঠী সংক্রমণও রুখবে এই ভ্যাকসিন

    চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অ্যাডফ্যালসিভ্যাক্স-কে তৈরি করতে ল্যাকটোকোকাস ল্যাকটিস (Lactococcus lactis) ব্যবহার করা হয়েছে, যা একটি নিরাপদ এবং প্রচলিত ব্যাকটেরিয়াম। এটিকে এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যাতে এটি রোগীকে যেকোনো ধরনের ম্যালেরিয়া সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়। এর পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল— এই ভ্যাকসিন ম্যালেরিয়াকে যেকোনও গোষ্ঠীর মধ্যেও সংক্রমিত হওয়া থেকে বাধা দেবে।

    অনেক কোম্পানি তৈরি করতে পারবে এই ভ্যাকসিন

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR)-এর তরফ থেকে কর্তা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাঁরা এই ভ্যাকসিন প্রযুক্তি অন্যান্য সংস্থাকেও দেবেন এবং নন-এক্সক্লুসিভ চুক্তির মাধ্যমে তাঁদেরকে তৈরি করার অনুমোদন দেবেন। অর্থাৎ, এর মানে হচ্ছে বিভিন্ন এবং অনেকগুলি কোম্পানি এই ভ্যাকসিনের উপর কাজ করতে পারবে এবং এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে। এর ফলে জনগণের যতটা চাহিদা থাকবে, ঠিক ততটাই ভ্যাকসিন বাজারে সর্বত্র পাওয়া যাবে।

LinkedIn
Share