Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Robot Lawyer: বিশ্বে প্রথমবার! মানুষের হয়ে সওয়াল করবে রোবট আইনজীবী!

    Robot Lawyer: বিশ্বে প্রথমবার! মানুষের হয়ে সওয়াল করবে রোবট আইনজীবী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রজনীকান্তের রোবট সিনেমা তো কমবেশি সবাই দেখেছি। চিট্টি সেখানে অসাধ্য সাধন করছিল। এবার বাস্তবের চিট্টিকে দেখা যাবে আমেরিকার একটি আদালতে দাঁড়িয়ে সওয়াল জবাব করতে। সমগ্র বিশ্ব প্রথমবারের জন্য সাক্ষী থাকবে রোবট আইনজীবীর (Robot Lawyer) সওয়াল জবাব শোনার জন্য। গাড়ির অধিক গতির জন্য জরিমানা সংক্রান্ত একটি মামলার আইনি পরামর্শদাতার ভূমিকায় দেখা যাবে এই রোবটকে (Robot Lawyer) । 

    কোন আদালতে এবং কবে হবে এই সওয়াল জবাব

    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই সম্ভব হয়েছে, এবার আদালতের এজলাসে জেরা করবে রোবট আইনজীবী (Robot Lawyer) । কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যেই হবে এই কাজ অন্তত এমনটাই দাবি করেছে ব্রিটেনের new scientist নামের একটি পত্রিকা। সবকিছু ঠিকঠাক যদি থাকে তাহলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকার কোনও একটি আদালতে সওয়াল জবাব করতে দেখা যাবে এই রোবট আইনজীবীকে (Robot Lawyer) । তবে এখনও পর্যন্ত কোন আদালতে এই সওয়াল জবাব হবে এবং দুটি পক্ষ কারা কারা থাকবে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

     রোবটটি (Robot Lawyer)  কোন সংস্থা তৈরি করেছে? কীভাবে কাজ করবে এটি?

    সূত্রের খবর, রোবটটি (Robot Lawyer)  তৈরি করেছে “ডু নট পে” নামের একটি সংস্থা। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই কোম্পানির তৈরি এই আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সি আদালতের এজলাসে দাঁড়িয়ে সওয়াল জবাব করবে। 
    বিজ্ঞানীদের মতে এই রোবট আইনজীবীকে (Robot Lawyer)  পরিচালনা করবে একটি স্মার্টফোন। মক্কেলের কাছে থাকা এই স্মার্টফোনেই আদালতে সওয়াল জবাবের কাজ চালাবে এই রোবট। এক্ষেত্রে সাহায্য নেওয়া হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের। 
    আরও জানা যাচ্ছে ২০১৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়াতে গড়ে ওঠে এই অ্যাপ সংস্থাটি। প্রতিষ্ঠা করেন স্টান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী যার নাম জোশুয়া ব্রাউডার। ডু নট পে-র বর্তমানে সিইও হিসেবে কাজ করছেন তিনি। সংস্থার দাবি যে মামলা-মোকদ্দমার খরচ যেভাবে বেড়ে চলেছে সেখানে এই  “ডু নট পে” যথেষ্ট খরচ সাশ্রয়ী হবে।

  • Gaganyaan: গগনযানের মাধ্যমে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চলেছে ইসরো

    Gaganyaan: গগনযানের মাধ্যমে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে চলেছে ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের প্রথম মহাকাশচারী ছিলেন রাকেশ শর্মা। রাকেশ শর্মা মহাকাশ থেকে ভারতবর্ষকে কেমন দেখছেন? এমনটাই প্রশ্ন ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর। প্রশ্নের উত্তরে নিজের মাতৃভূমিকে মহাকাশ থেকে বর্ণনা করেছিলেন রাকেশ শর্মা। আবারও গগনজানের (Gaganyaan)  মাধ্যমে মহাকাশে মানব পাঠাতে চলেছে আমাদের দেশ।

    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কী বললেন ?

    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং চলতি মাসের পয়লা দিনে সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তৃতভাবে বলেন ২০২৩ সালে মহাকাশ গবেষণার বিষয়ে কী কী পরিকল্পনা রয়েছে।
    এই সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ এর সালে ভারতবর্ষ মহাকাশে পাঠাবে গগনযান যার প্রস্তুতিপর্ব ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ভারতবর্ষের বিভিন্ন মহাকাশ গবেষণার সাফল্যের দিকগুলিকে তুলে ধরেছেন এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাপেক্ষে মহাকাশ গবেষণায় ভারতবর্ষ যে খুব পিছিয়ে নেই,সেটাও বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কথায় জানা গেছে যে গগনজানের (Gaganyaan) পরিকল্পনা ২০২২ সালেই সম্পন্ন হত। ২০২২ সালেই হয়তো ভারতবর্ষের কোন মানবকে গগনযানের মাধ্যমে মহাকাশে দেখা যেত কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সবকিছুই বদলে যায়।
    সূত্রমতে গগনজানের (Gaganyaan) ক্ষেত্রে দুটি প্রস্তুতি পর্ব নেওয়া হবে। তার কারণ গগনযান (Gaganyaan) ভারতের মাটি থেকে যেমন মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে তেমনি মহাকাশ থেকে সুষ্ঠুভাবে ফিরে আসবে। প্রথম দুটি পরীক্ষামূলক উড়ানে কোনও মানুষ পাঠানো হবে না, রোবট পাঠানো হবে। তৃতীয় বারে মানুষ পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। তবে তৃতীয়বারে মানুষ তখনই পাঠানো হবে যদি প্রথম দুটি প্রস্তুতি পর্ব সফলভাবে সংঘটিত হয়।

    জানা গেছে এই গগনজান (Gaganyaan) তিনজন মানুষকে মহাকাশে নিয়ে যেতে সক্ষম। পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার উপরে এই গগনযান তিন দিন ধরে অবস্থান করবে মহাকাশে, তারপরে আবার তা পুনরায় পৃথিবী পৃষ্ঠে ফিরে আসবে।

    গগনযানে (Gaganyaan) চড়ে যাঁরা মহাকাশে যাবেন সেই সমস্ত মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বেঙ্গালুরুতে। ক্লাসরুম ট্রেনিং, ফিটনেস ট্রেনিং, এবং মহাকাশে থাকার বিভিন্ন রকমের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • ISRO: ২০২৩ সালে ইসরোর মিশনগুলি জেনে নিন

    ISRO: ২০২৩ সালে ইসরোর মিশনগুলি জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সালে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে কতগুলো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে চলেছে ইসরো (ISRO)। ২০২৩-এ সূর্য ও চন্দ্র, দুই দিকেই নজর থাকবে ইসরোর (ISRO)। সূর্য গবেষণার ক্ষেত্রে মিশন আদিত্য এবং চন্দ্র গবেষণার ক্ষেত্রে চন্দ্রযান-৩  মিশনের মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণার কাজ অব্যাহত রাখবে ভারতীয় মহাকাশ  গবেষণা সংস্থা। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং সংসদে জানান, ২০২৩ সালে ইসরোর অনেক পরিকল্পনা রয়েছে, সূর্য এবং চন্দ্র অভিযানের পাশাপাশি চলতি বছরে কর্ণাটকের চিত্রদুর্গার অ্যারোনটিক্যাল টেস্ট রেঞ্জ থেকে রিইউজেবল (পুনর্ব্যবহারযোগ্য) লঞ্চ ভেহিকল সংক্রান্ত প্রথম রানওয়ে ল্যান্ডিং এক্সপেরিমেন্ট (RLV-LEX) পরিচালনা করার পরিকল্পনা করছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র।

    আরও পড়ুন: এবার পৃথিবীর সমস্ত জলাশয় সম্পর্কে তথ্য দেবে নাসার এই বিশেষ স্যাটেলাইট

    একইসঙ্গে মহাকাশ অভিযানের ব্যবসায়িক দিকেও থাকবে নজর।  বেসরকারি খাতের জন্য আরও সহজ হয়ে যাবে মহাকাশ অভিযানের ব্যবসা। গত নভেম্বরেই বেসরকারি উদ্যোগে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট মহাকাশে গেছে।

    আরও পড়ুন: ২৫ দিন চাঁদের চারিদিকে পরিভ্রমণ করে পৃথিবীতে ফিরল ওরিয়ন স্পেস ক্যাপসুল

    চলতি বছরেই মানুষ যাবে মহাকাশে 

    নতুন বছরেই ভারতের প্রথম মানববাহী মহাকাশ অভিযানের প্রাথমিক সূচনা হতে  চলেছে, এমনটাই জানা যাচ্ছে ইসরো (ISRO) সূত্রে। তবে প্রথমেই মানুষ পাঠানো হবে না। ‘গগনযান’ অভিযানের মাধ্যমে প্রথমে একেবারে  প্রস্তুত লঞ্চ ভেহিকেল-কে যাচাই করে দেখে নেবে ইসরো (ISRO)। পরে মানুষ যাবে।  

    আরও পড়ুন: একযোগে বিশ্বের ৮টি দেশ মিলে তৈরি করছে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, জানুন বিস্তারিত

    ২০২৩ সালের  শেষ তিন মাসে সেই পরীক্ষামূলক অভিযান হবে। লঞ্চ ভেহিকল, অরবিটাল মডিউল  প্রপালশন সিস্টেম এবং রিকভারি অপারেশন একেবারে তৈরি কিনা, তারই পরীক্ষা করবে ইসরো। সেটি সফল হলেই মহাকাশে নভোশ্চর পাঠাতে আর কোনও বাধা থাকবে না ভারতের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

      

  • Srinivasa Ramanujan: আজ ভারতীয় গণিতজ্ঞ শ্রীনিবাস রামানুজনের জন্মদিন, জানুন তাঁর জীবনকথা

    Srinivasa Ramanujan: আজ ভারতীয় গণিতজ্ঞ শ্রীনিবাস রামানুজনের জন্মদিন, জানুন তাঁর জীবনকথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসুস্থ গণিতজ্ঞকে দেখতে এসেছেন তাঁর বিদেশী বন্ধু। বিলেতি বন্ধুও অবশ্য নামকরা গণিতজ্ঞ। শারীরিক খোঁজখবর নেওয়ার পর বিলেতি বন্ধু তাঁর ভারতীয় বন্ধুটিকে বললেন, যে ট্যাক্সি করে এলাম সেটির নম্বর ১৭২৯। সংখ্যাটির মধ্যে আমি বিশেষ কিছু খুঁজে পেলাম না। শয্যাশায়ী ভারতীয় বন্ধুটি তখন বললেন, ১৭২৯ সাধারণ সংখ্যা নয়। এটি একমাত্র সংখ্যা যেটি ১০ এবং ৯ এর ঘনের সমষ্টি। অন্যদিকে আবার এই সংখ্যাটি ১ এবং ১২ এর ঘনের সমষ্টি। হাসপাতালের বেডে শুয়ে শুয়ে যিনি এই ক্যালকুলেশন করছিলেন তিনি বিখ্যাত ভারতীয় গণিতজ্ঞ শ্রীনিবাস রামানুজন (Srinivasa Ramanujan)। বিদেশী বন্ধুটি হলেন আরেক বিখ্যাত গণিতজ্ঞ হার্ডি।

    জন্ম ও প্রথম জীবন
     

    আজ শ্রীনিবাস রামানুজনের (Srinivasa Ramanujan) জন্মদিন। ২২ ডিসেম্বর, ১৮৮৭ সালে তিনি জন্মগ্রহন করেন তামিলনাড়ুর ইরোড জেলার কুম্ভকনাম গ্রামে। কথিত আছে, কুম্ভমেলার মত  প্রতি ১২ বছরে এই গ্রামেও মেলা বসত। সেজন্যই গ্রামের নাম হয়েছিল কুম্ভকনাম।

    শোনা যায়, রামানুজন (Srinivasa Ramanujan) ছোটবেলায় সাধারণ মানের ছাত্র ছিলেন; কিন্তু দশম শ্রেণীর পর তিনি গণিতে দ্রুত এগিয়ে যান। কলেজে পড়াকালীন তিনি (Srinivasa Ramanujan) গণিতে এতটাই মগ্ন থাকতেন যে বাকি বিষয়গুলিতে ফেল করে যেতেন। এরফলে কলেজের বৃত্তি থেকে তিনি বঞ্চিত হন। কলেজ ড্রপার রামানুজন (Srinivasa Ramanujan) এরপর মাদ্রাজ বন্দরে একটি কেরানীর চাকরিতে ঢোকেন। সেখানেও চলত গণিত সাধনা। সারাদিন ধরে পাতার পর পাতা গণিতের জটিল সমস্যার সমাধান করতেন রামানুজন (Srinivasa Ramanujan), তৈরি করতেন একের পর এক উপপাদ্য। এখানেই তাঁর এমন কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় যাঁরা রামানুজের (Srinivasa Ramanujan) নোটবুক-এর বিষয়ে উৎসাহ প্রকাশ করেন, এদের হাত ধরেই গণিত বিষয়ে কিছু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। ১৯১১ সালে তাঁর প্রথম গবেষণামূলক প্রবন্ধ ‘জার্নাল অফ দ্য ম্যাথেমেটিক্যাল সোসাইটি’ প্রকাশিত হয়। সংখ্যাতত্ত্বের উপর তাঁর গবেষণালদ্ধ ‘সাম প্রপার্টিজ অফ বারনৌলিস নাম্বারস’ নামে তাঁর প্রথম দীর্ঘ প্রবন্ধ একই বছর প্রকাশিত হয়।

    বিদেশ যাত্রা
     

    ইতিমধ্যে রামানুজনের প্রতিভা দেখে তাঁকে কেমব্রিজে আসতে বলেন অধ্যাপক হার্ডি।  প্রফেসর হার্ডি লক্ষ্য করেন রামানুজনের (Srinivasa Ramanujan) অনেক প্রতিভা আছে; কিন্তু প্রথাগত শিক্ষার অভাবে প্রাথমিক অনেক কিছুই তিনি জানতেন না। এখান থেকেই রামানুজন ফেলোশিপ নিয়ে পাশ করলেন। কলেজ জীবনের অসম্পূর্ণ পড়া তাঁর সম্পূর্ণ হল। ১৯১৮ সালে তিনি রয়েল সোসাইটির সদস্য হন। তিনি দ্বিতীয় ভারতীয় যিনি এই সম্মান লাভ করেন।

    জীবনাবসান

    ইংল্যান্ডে থাকাকালীন রামানুজনের (Srinivasa Ramanujan) শরীর দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে, ১৯১৯ সালে তিনি  ভারতে ফিরে আসেন। এক বছর পর ১৯২০ সালের ২৬ এপ্রিল মাত্র ৩২ বছর বয়সে জীবনাবসান হয় এই বিরল প্রতিভার। ১৯৩৬ সালে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় প্রফেসর হার্ডি রামানুজনকে (Srinivasa Ramanujan) যোদ্ধা বলে সম্বোধন করেছিলেন ‌। হার্ডি আরও বলেন, রামানুজন (Srinivasa Ramanujan) দারিদ্র্যতা নিয়েও  সমগ্র ইউরোপের বুদ্ধিবৃত্তিতে শান দিতে পেরেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Water Survey: এবার পৃথিবীর সমস্ত জলাশয় সম্পর্কে তথ্য দেবে নাসার এই বিশেষ স্যাটেলাইট

    Water Survey: এবার পৃথিবীর সমস্ত জলাশয় সম্পর্কে তথ্য দেবে নাসার এই বিশেষ স্যাটেলাইট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের লেক, সমুদ্র, নদীর  উচ্চতা,গভীরতা মাপবে (Water Survey) নাসার স্যাটেলাইট। এর সঙ্গে এই স্যাটেলাইটটি  জলবায়ু এবং আবহাওয়ার বিষয়েও কাজ করবে। এটাই হবে নাসার প্রথম কোনও স্যাটেলাইট যেটি মহাকাশ থেকে পৃথিবীর জলস্তরের (Water Survey)  বিষয়ে তথ্য দেবে। স্যাটেলাইটটির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে SWOT. অর্থাৎ Surface Water and Ocean Topograph. অত্যন্ত আধুনিক মানের radar ব্যবহার করা হয়েছে এই স্যাটেলাইটে। পৃথিবীর তিনভাগ জল। এই সম্পূর্ন জলভাগ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেবে (Water Survey) এই স্যাটেলাইট।

    আরও পড়ুন: ২৫ দিন চাঁদের চারিদিকে পরিভ্রমণ করে পৃথিবীতে ফিরল ওরিয়ন স্পেস ক্যাপসুল

    স্যাটেলাইটটি কোথায় তৈরি হয়েছে ?

    স্যাটেলাইটটিকে মহাকাশ অবধি নিয়ে যাবে Falcon 9 নামের রকেট। রকেটটি তৈরি হয়েছে এলন মাস্কের কোম্পানি SpaceX থেকে।

    আরও পড়ুন: একযোগে বিশ্বের ৮টি দেশ মিলে তৈরি করছে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, জানুন বিস্তারিত

    SWOT স্যাটেলাইটটি তৈরি করতে ২০ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে বলে জানা গেছে। বিজ্ঞানীদের বিবৃতি অনুযায়ী, স্যাটেলাইটে ব্যবহার করা হয়েছে advanced microwave radar technology.সমগ্র পৃথিবীর ৯০ শতাংশ জলভাগের তথ্য দিতে পারবে এই স্যাটেলাইট।

    আরও পড়ুন: এক দশকের মধ্যে চাঁদে বাস করবে মানুষ! কী বললেন নাসার বিজ্ঞানীরা?
    নাসার এই মিশনের অন্যতম উদ্দেশ্য হল সমুদ্রের জল (Water Survey) কিভাবে তাপ শোষণ করে, কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে ধরে রাখে সেগুলি খুঁজে বের করা। নাসা সূত্রে জানা গেছে, এই স্য়াটেলাইট (Water Survey) অন্য যেকোনও স্যাটেলাইটের থেকে ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী।

    আরও পড়ুন: মাদ্রাজ আইআইটির নতুন আবিষ্কার সিন্ধুজা-১, সমুদ্রের ঢেউ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে

    নাসার বিজ্ঞানী কি বললেন?

    নাসার এই প্রজেক্টের অন্যতম বিজ্ঞানী বেন হ্যামিলটন বলেন, “পৃথিবীর প্রায় সমস্ত জলাশয়ের তথ্য দিতে (Water Survey) সক্ষম এই স্যাটেলাইট”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Inland Taipan: জানেন পৃথিবীর সবথেকে বিষধর সাপ কোনটি ? 

    Inland Taipan: জানেন পৃথিবীর সবথেকে বিষধর সাপ কোনটি ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিষধর সাপ” এই শব্দ উচ্চারণ মাত্র অনেকেরতত আত্মারাম খাঁচা হয়ে যায়। চোখের সামনে ভেসে ওঠে অসংখ্য ছবি। কেউটে থেকে গোখরো, চন্দ্রবোড়া থেকে কালাচ। চাঁদের পাহাড় গল্পে ব্ল্যাকমাম্বারের কথা নিশ্চয় মনে আছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে আফ্রিকার ভয়ঙ্কর ব্ল্যাকমাম্বারের সঙ্গে নিশ্চয়ই এতদিনে সবার পরিচয় হয়ে গেছে। ব্ল্যাকমাম্বারের আক্রমনের গতি, বিষ ঢালার পরিমান পর্যবেক্ষন করে অনেকেই এই সাপকে এক নম্বর স্থান দেন। তবে জানেন কি? এর থেকেও ভয়ঙ্কর বিষধর সাপ আছে? যে সাপের একটি কামড়ে ১০০ জন অবধি মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

    আরও পড়ুন: একযোগে বিশ্বের ৮টি দেশ মিলে তৈরি করছে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, জানুন বিস্তারিত

    জানুন ইনল্যান্ড তাইপেন (Inland Taipan) সম্পর্কে

    বিষধর এই সাপটির নাম হল ইনল্যান্ড তাইপেন (Inland Taipan)। পাওয়া যায় অষ্ট্রেলিয়াতে। LD50 scale-এর সাহায্যে মাপা হয় কোন সাপের বিষ কতটা বিষাক্ত। এই স্কেল বলছে পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে বেশি বিষাক্ত সাপ হল ইনল্যান্ড তাইপেন (Inland Taipan)। এই সাপ সাধারণত সরু এবং লম্বা হয়ে থাকে। মাথাটি আয়তাকার হয়। লোকালয়ে এর (Inland Taipan)দেখা চট করে পাওয়া যায়না। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভোরবেলায় এই সাপ (Inland Taipan) খুব সক্রিয় থাকে। অষ্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণায় দেখা গেছে, একবার কামড়ে প্রায় ১১০ মিলিগ্রাম বিষ ঢালে এই সাপ (Inland Taipan)। এই পরিমান বিষে প্রায় ১০০ জন মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

    আরও পড়ুন: এবার পৃথিবীর সমস্ত জলাশয় সম্পর্কে তথ্য দেবে নাসার এই বিশেষ স্যাটেলাইট

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Nasa Orion: ২৫ দিন চাঁদের চারিদিকে পরিভ্রমণ করে পৃথিবীতে ফিরল ওরিয়ন স্পেস ক্যাপসুল

    Nasa Orion: ২৫ দিন চাঁদের চারিদিকে পরিভ্রমণ করে পৃথিবীতে ফিরল ওরিয়ন স্পেস ক্যাপসুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ২৫ দিন চাঁদের চারিদিকে পরিভ্রমণ করার পর পৃথিবীতে ফিরে এল ওরিয়ন স্পেস ক্যাপসুল (NASA orion)। ক্ষিপ্র গতিতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পরে এটি প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করে। ২০২৪ সালের শেষের দিকে নাসা চাঁদে পুনরায় মানুষ পাঠাতে চাইছে। তারই প্রস্তুতি পর্ব চলছে। মানে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই দশক শেষের আগেই নাসা চাঁদে আবারও মানুষ পাঠাতে পারবে, অন্তত নাসার বিজ্ঞানীদের এমনটাই ধারণা। তিনটি বড় বড় প্যারাশ্যুটের সাহায্যে ক্যাপসুলটি (NASA orion) এদিন অবতরণ করে। প্রায় ৫০ বছর পরে নাসা আবার এই ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছে। ১৯৬৯ সালে নাসার প্রজেক্টের নাম ছিল অ্যাপোলো-১৭। এবার তাদের প্রজেক্টের নাম আর্টেমিস। 

    আরও পড়ুন: এক দশকের মধ্যে চাঁদে বাস করবে মানুষ! কী বললেন নাসার বিজ্ঞানীরা?

    নাসার বিবৃতি

    হিউস্টনে অবস্থিত নাসার এই মিশন অফিস। সেখানকার প্রধান নুজৌদ মেরেন্সি বলেন, “পরবর্তী মহাকাশ অভিযানে মানুষ থাকবে, এটা ভাবতে খুব ভালো লাগছে। আমরা উদগ্রীব। আমরা হয়তো আবার দেখব মানুষকে চাঁদে অবতরণ করতে, এটি এমন একটি মিশন যার স্বপ্ন আমরা সবাই দেখছি।” ২৫ দিনের অভিযানের পর ওরিয়নকে (NASA orion) অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনাই ছিল নাসার প্রধান উদ্দেশ্য। ৪০ হাজার কিলোমিটার বেগে ওরিয়ন (NASA orion) পৃথিবীতে প্রবেশ করে। অত্যন্ত আধুনিক তাপ নিরোধক ব্যবস্থা ছিল ওরিয়নে (NASA orion), যা এর আগে কোনও মহাকাশযানে ব্যবহার করা হয়নি।

    আরও পড়ুন: একযোগে বিশ্বের ৮টি দেশ মিলে তৈরি করছে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, জানুন বিস্তারিত

    এটি দুবার চাঁদের ১৩০ কিলোমিটারের মধ্যে প্রবেশ করতে পেরেছে। পৃথিবী থেকে এটি ৪,৩০,০০০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে পেরেছে। চাঁদের অত্যন্ত কাছ থেকে ওরিয়নের (NASA orion) তোলা ছবি দেখে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা আশ্চর্য হয়েছেন। যার মধ্যে একটি ছবি ছিল ‘পৃথিবীর উদয়’। পৃথিবী থেকে আমরা যেমন সূর্যোদয় ও চন্দ্রোদয় দেখতে অভ্যস্ত, ঠিক তেমনভাবেই, চাঁদ থেকে পৃথিবীর উদয় কেমন লাগে, তার ছবি পাঠায় ওরিয়ন। সেই ছবি দেখে বিজ্ঞানীরা অভিভূত হয়ে গেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • NASA: এক দশকের মধ্যে চাঁদে বাস করবে মানুষ! কী বললেন নাসার বিজ্ঞানীরা?

    NASA: এক দশকের মধ্যে চাঁদে বাস করবে মানুষ! কী বললেন নাসার বিজ্ঞানীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর আবারও চাঁদে মানুষ পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করল নাসা (NASA)। চলতি বছরে একের পর এক ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর অবশেষে আর্টেমিস-১ (Artemis Rocket), ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশের পথে পাড়ি দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: মাদ্রাজ আইআইটির নতুন আবিষ্কার সিন্ধুজা-১, সমুদ্রের ঢেউ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে
     

    কী এই আর্টেমিস-১ (Artemis Rocket)

    এদিন সফল উৎক্ষেপনের (Artemis Rocket) পরে নাসার (NASA) এক শীর্ষস্থানীয় অফিসার বলেন, “এই দশক শেষ হওয়ার আগেই মানুষ চাঁদে বাস করতে পারে”। 
    ১৯৬৯ সালে প্রথম মহাকাশচারী হিসেবে চাঁদে গিয়েছিলেন নীল আমস্ট্রং, এডুইন অলড্রিন এবং মাইকেল কলিন্স। তারপর আবারও মহাকাশ গবেষণায় একধাপ এগোল নাসা (NASA)। আর্টেমিস-১ (Artemis Rocket) বহন করছে ওরিয়ন নামের একটি স্পেসক্রাফট। এটি একটি মানব মডেল। মানবদেহে মহাকাশ যাত্রায় কী কী প্রভাব পড়ে, সেটি পরিমাপ করবে এই ওরিয়ন।

    আরও পড়ুন: একযোগে বিশ্বের ৮টি দেশ মিলে তৈরি করছে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, জানুন বিস্তারিত 

    নাসার বিজ্ঞানীরা কী বলছেন

    ওরিয়ন প্রোগ্রাম ম্যানেজার হাওয়ার্ড হু বলেছেন,  এই উৎক্ষেপণ ছিল “মানুষের মহাকাশ গবেষণার জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন, এটি প্রথম পদক্ষেপ যা সফল হয়েছে, শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য, আমরা মনে করি এটি নাসার (NASA) জন্যও একটি ঐতিহাসিক দিন, তবে এটি সেই সমস্ত লোকদের জন্যও একটি ঐতিহাসিক দিন যারা মহাকাশ গবেষণা পছন্দ করেন”৷ তাঁর আরও সংযোজন,
    “আমি বলতে চাইছি, আমরা চাঁদে ফিরে যাচ্ছি, এটি সেই যান যা মানুষকে বহন করবে যা আমাদের আবার চাঁদে নিয়ে যাবে, আমরা মানুষকে চন্দ্রপৃষ্ঠে পাঠাতে যাচ্ছি, তারা সেখানে বসবাস করবে এবং বিজ্ঞান চর্চা করবে ।”
    তিনি বলেন, চন্দ্র অভিযান মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর প্রথম ধাপ।”

    আরও পড়ুন: ব্রহ্মাণ্ডের আদি ছায়াপথগুলির তথ্য দেবে ভারতের ‘সারস’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Greenland: গ্রীনল্যান্ডে পাওয়া গেল ২০ লক্ষ বছর আগের ডিএনএ

    Greenland: গ্রীনল্যান্ডে পাওয়া গেল ২০ লক্ষ বছর আগের ডিএনএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০ লক্ষ বছর আগে পৃথিবী কেমন ছিল! বিজ্ঞানের অগ্রগতির যুগে এমন প্রশ্ন আর অসম্ভব নয়।  বিজ্ঞানীরা প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগের উদ্ভিদ ও প্রাণীর ডিএনএ আবিষ্কার করতে পেরেছেন – যা এখনও পর্যন্ত  সবচেয়ে প্রাচীন বলেই  মনে করা হচ্ছে । গ্রীনল্যান্ডের (Greenland) একেবারে উত্তরে Arctic Ocean fjord-এ, এটি আবিষ্কার হয়েছে। প্রাচীন এই lost world আবিষ্কারে খুশি সারা বিশ্ব।

    আরও পড়ুন: একযোগে বিশ্বের ৮টি দেশ মিলে তৈরি করছে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, জানুন বিস্তারিত 

    গবেষকরা কী বলছেন?

    গবেষকরা বলেন যে mastodons, reindeer, hares, lemmings, geese প্রভৃতি প্রাণীর এবং poplar, birch and thuja প্রভৃতি উদ্ভিদের ডিএনএ  সনাক্ত করা গেছে। ডিএনএ হল স্ব-প্রতিলিপিকারী উপাদান যা প্রাণীর জেনেটিক তথ্য বহন করে।  mastodons ছিল হাতির পূর্বপুরুষ।  যেটি প্রায় ১০,০০০ বছর আগে বরফ যুগে বিলুপ্ত হয়েছিল। তার আগে উত্তর ও মধ্য আমেরিকায় ঘুরে বেড়াত।

    আরও পড়ুন: জোড়া ব্যর্থতার পর অবশেষে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’-এর উৎক্ষেপণ

    তবে এটি গ্রিনল্যান্ডে (Greenland) আগে কখনও পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রাচীন ডিএনএ অত্যন্ত পচনশীল হয়। তবে ভালো পরিবেশ পেলে এটি দীর্ঘসময় ঠিকঠাকই থাকে বিজ্ঞানীদের মত, অন্তত ৪০ লক্ষ বছর আগের ডিএনএ খুঁজে পেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।

    আরও পড়ুন: ব্রহ্মাণ্ডের আদি ছায়াপথগুলির তথ্য দেবে ভারতের ‘সারস’

     

    গবেষকরা Arctic Ocean-এর সঙ্গে মিশে যাওয়া Peary Land peninsula-এর পাঁচটি সাইট থেকে প্রাপ্ত এই ৪১টি জৈব নমুনা থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করেছেন । বিজ্ঞানীরা এর মাধ্যমে ১০০টিরও বেশি ধরণের প্রাণী এবং গাছপালা সনাক্ত করেছে। 
    প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালেও খনন করা হয়েছিল, তবে সে সময় সাফল্য মেলেনি। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে সহজেই এবার সাফল্য পাওয়া গেল বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Wave Energy: মাদ্রাজ আইআইটির নতুন আবিষ্কার সিন্ধুজা-১, সমুদ্রের ঢেউ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে

    Wave Energy: মাদ্রাজ আইআইটির নতুন আবিষ্কার সিন্ধুজা-১, সমুদ্রের ঢেউ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআইটি মানেই নতুন ইনোভেশন। সম্প্রতি, আইআইটি মাদ্রাজের গবেষকরা এমন একটি সিস্টেমের ডেভলপমেন্ট করেছেন  যা সমুদ্রের ঢেউ-এর তরঙ্গ ( Wave Energy) থেকে শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে৷ সিস্টেমটির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে সিন্ধুজা-১। গবেষকরা তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন উপকূল থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে সিন্ধুজা-১ কে স্থাপন করেছিলেন, যেখানে সমুদ্রের গভীরতা প্রায় ২০ মিটার। সিন্ধুজা-১ ( Wave Energy)  বর্তমানে ১০০ ওয়াট শক্তি উৎপাদন করতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। আগামী তিন বছরে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এক মেগাওয়াট শক্তি উৎপাদন। 

    কী বলছেন আইআইটি মাদ্রাজের অধ্যাপক?

    Department of Ocean Engineering, IIT Madras এর প্রফেসর সামাদ বাবু বলেন,
    “বর্তমানে আপনি যদি চেন্নাইয়ের মতো একটি শহর বা এর থেকেও যেকোনও ছোট শহর গড়ে তুলতে চান তবে প্রচলিত শক্তির উৎস ব্যবহার করা অনেক সস্তা। কিন্তু দূরবর্তী স্থানের ক্ষেত্রে, যেমন ধরুন কোনও দ্বীপ, এক্ষেত্রে সমুদ্রের উপর দিয়ে  বিদ্যুৎ পরিবহনের খরচ অনেক বেশি। ঢেউ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ( Wave Energy)  এক্ষেত্রে কার্যকরী উপায়”।

    সিন্ধুজা-১ ( Wave Energy)  কীভাবে কাজ করছে?

    সিন্ধুজা-১ ( Wave Energy) , আসলে হল একটি ভাসমান buoy, এতে রয়েছে একটি বৈদ্যুতিক মডিউল এবং একটি spar. ঢেউগুলির গতি অনুযায়ী buoyটি উপরে এবং নীচে চলে যায়। এই buoy এর কেন্দ্রে একটি ছিদ্র রয়েছে যা spar-কে এটির মধ্য দিয়ে যেতে দেবে। ঢেউয়ে buoyটি  যাতে সরে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য sparটি সমুদ্রের তলায় স্থির রাখা হয়। ঢেউ-এর কারণে যখন buoyটি  নড়ে এবং sparটি  স্থির থাকে তখন উভয়ের মধ্যে আপেক্ষিক গতি তৈরি হয়। এই আপেক্ষিক গতির সাহায্যে, একটি বৈদ্যুতিক জেনারেটর  শক্তি উৎপাদন ( Wave Energy)  করে।

    তবে সিস্টেম থেকে উৎপাদিত শক্তিকে ( Wave Energy)  ব্যবহার করতে পারে এমন কোনও ডিভাইস নেই। গবেষক দলটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ওই অবস্থানে remote water desalination system এবং একটি নজরদারি ক্যামেরা স্থাপন করার পরিকল্পনা করেছে৷ আবহাওয়ার পরিবর্তন  বিদ্যুৎ উৎপাদনকে প্রভাবিত করে নাকি তারজন্য আরও পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করেছে৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share