Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Chandrayaan 4: ‘ওয়ান মিশন টু রকেট’! একযাত্রায় দু’দফায় উৎক্ষেপণ, চন্দ্রযান ৪ নিয়ে কী জানাল ইসরো?

    Chandrayaan 4: ‘ওয়ান মিশন টু রকেট’! একযাত্রায় দু’দফায় উৎক্ষেপণ, চন্দ্রযান ৪ নিয়ে কী জানাল ইসরো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ইতিহাস রচনা করেছে ভারত। ফের চন্দ্রাভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর বেশ কয়েক মাস কেটে গিয়েছে, এখন ‘চন্দ্রযান ৪’ (Chandrayaan 4) অভিযান নিয়ে জোর প্রস্তুতি চলছে। তবে চতুর্থ চন্দ্রযান অভিযান আগের সব অভিযানের থেকে একেবারে আলাদা হতে চলেছে, বলে দাবি করল ইসরো। কারণ চাঁদের মাটি ছোঁয়া এবং সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফিরে আসার জন্য পৃথক ভাবে দু’দফায় মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে। 

    ‘চন্দ্রযান ৪অভিযানের লক্ষ্য

    চাঁদের বুক থেকে চাঁদের মাটি এবং পাথর পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে চলেছে ইসরো। এর আগে একমাত্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চিন চাঁদ থেকে চাঁদের মাটি ও পাথরের নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসতে সফল হয়েছে। ন্যাশনাল স্পেস সায়েন্স সিম্পোসিয়ামে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, এই অভিযানের একমাত্র লক্ষ্য, বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্য চাঁদের মাটি-পাথর সংগ্রহ করে পৃথিবীতে নিয়ে আসা। চন্দ্রযান ৪ (Chandrayaan 4) অভিযান হওয়ার কথা ২০২৮ সালে। এই অভিযান সফল হলে ভারতের মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিক খুলে যাবে।

    চন্দ্রযান ৪ জটিল অভিযান

    এবার আর একটা রকেট নয়, পর্যায়ক্রমে দুই ধাপে দুই রকেটে চেপে চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৪ (Chandrayaan 4)। চন্দ্রযান ৪-এর পেলোডগুলি দুই ধাপে পাঠানো হবে চাঁদে। দুই ধাপে সেই পেলোডগুলি বয়ে নিয়ে যাবে দুই রকেট। ইসরো প্রধান জানিয়েছেন, এই প্রথমবার ইসরো একটি মিশনের জন্য দু’বার রকেট উৎক্ষেপণ করবে। চাঁদের পাথর ও মাটি (রেগোলিথ) নিয়ে ফিরবে পৃথিবীর বুকে চন্দ্রযান ৪। এলভিএম-৩ (সাবেক জিএসএলভি) এবং পিএসএলভি রকেট দু’টি চন্দ্র মিশনের পেলোডগুলি বহন করবে। আলাদা আলাদা দিনে উৎক্ষেপণ করা হবে রকেটগুলি। আগের তুলনায় অনেক জটিল প্রক্রিয়া বলেই দু’-দফায় উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। সবচেয়ে ভারী যে উৎক্ষেপণযান, এলভিএম-৩ ব্যবহার করে প্রথমে তিনটি উপাদান একত্রে রওনা দেবে, যেগুলি হল, প্রপালসন মডিউল, ডিসেন্ডার মডিউল এবং অ্যাসেন্ডার মডিউল। এই উৎক্ষেপণ চন্দ্রযান ৩ অভিযানের মতোই হবে। এর পর, পিএসএলভি উৎক্ষেপণযানে চাপিয়ে মহাকাশে পাঠানো হবে ট্রান্সফার মডিউল এবং রি-এন্ট্রি মডিউল। তবে কোনটির উৎক্ষেপণ আগে এবং কোনটির পরে, তা এখনও জানা যায়নি। 

    আরও পড়ুন: ‘‘এটা ট্রেলার দেখছেন, আমাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে’’, গুজরাটে মোদি

    কীভাবে কাজ করবে মডিউলগুলি

    আগের চন্দ্র মিশনগুলিতে ২-৩টি পেলোড থাকলেও চন্দ্রযান ৪-এ (Chandrayaan-4) থাকবে পাঁচটি পেলোড। পেলোডগুলি হল প্রপালশন মডিউল, যা চন্দ্রযান ৪-কে পথ দেখিয়ে চাঁদের কক্ষপথে নিয়ে যাবে। ডিসেন্ডার মডিউল, চাঁদে অবতরণ করবে এই পেলোডটি। এর কাজ চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডারকে নামানো। অ্যাসেন্ডার মডিউল, চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ট্রান্সফার মডিউলে ফিরে আসতে সাহায্য করবে। ট্রান্সফার মডিউল এক কক্ষপথ থেকে অন্য কক্ষপথে যাবে এই অংশ। সব শেষে রি-এন্ট্রি মডিউল, এই অংশ চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরে আসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO: ‘দুষ্টু ছেলে’র পিঠে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছে ইসরোর উপগ্রহ

    ISRO: ‘দুষ্টু ছেলে’র পিঠে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছে ইসরোর উপগ্রহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর (ISRO) রকেট। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, যে রকেটে চড়ে উপগ্রহটি মহাকাশে পাড়ি দেবে তার নাম ‘নটি বয় (দুষ্টু ছেলে)’।  জানা গিয়েছে, আবহাওয়া সংক্রান্ত পূর্বাভাস আরও নিখুঁত ভাবে দেবে ‘নটি বয়’। এর পাশাপাশি নতুন উপগ্রহটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়েও পৃথিবীপৃষ্ঠে আগাম সতর্কতা পৌঁছে দেবে। মহাকাশ থেকেই ‘নটি বয়’ মাটি এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের উপর নজরদারি চালাবে।

    কেন এমন নামকরণ?

    ‘নটি বয়’-এর ভালো নাম (ISRO) অবশ্য জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (GSLV)। শনিবারই ঠিক বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে ইনস্যাট-থ্রিডিএস-কে পিঠে বসিয়ে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেবে রকেটটি। ‘নটি বয়’ ডাকনামটি দিয়েছেন সংস্থার (ইসরো) প্রাক্তন চেয়ারম্যান। হঠাৎ কেন এমন আজব নাম নির্বাচন করা হল? কারণ হল, এই রকেটটির মতিগতি বোঝা খুব শক্ত। রকেটটির মতিগতি বুঝতে হিমশিমও খেতে হয়েছে ইসরোর বিজ্ঞানীদের। ঠিক যেন মুডের ওপর নির্ভর করে। ভালো থাকলে সফল, অন্যথায় ব্যর্থ। তাই আদর করে সেটির নাম রাখা হয়েছে ‘নটি বয়’। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৫ বার উৎক্ষেপণের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে রকেটটি (ISRO) যার মধ্যে ৬বার ব্যর্থ হয়েছে এটি। শেষবারের জন্য উৎক্ষেপণ করা হয়, ২৯ মে ২০২৩। তখন উৎক্ষেপণ সফল হয়। কিন্তু তার আগে ২০২১ সালের ১২ অগাস্ট রকেটটির উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়েছিল।

    কী বলছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানী?

    আবহাওয়া বিজ্ঞানী এম রবিচন্দ্রনের কথায়, ‘‘ভারতীয় আবহাওয়া উপগ্রহগুলি আরও উন্নত ভাবে তৈরি করা হয়েছে৷ এই উপগ্রহগুলি (ISRO) আকাশের চোখ হিসাবে কাজ করে। যা ভারতকে ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য দুর্যোগ সম্পর্কে নিখুঁত পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করে।’’ জিএসএলভি একটি ত্রিস্তরীয় রকেট যা ৫১.৭ মিটার দীর্ঘ। এর ওজন ৪ লাখ কেজিরও বেশি।

     

    আরও পড়ুন: প্রথমে দেব, এবার মিমি! পদত্যাগের হিড়িক তৃণমূলের তারকা-সাংসদদের, কেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Aditya L1 Solar Mission: জানা যাবে সূর্যরহস্য! ইসরোর মুকুটে নয়া পালক, ‘হ্যালো’ পয়েন্টে আদিত্য

    Aditya L1 Solar Mission: জানা যাবে সূর্যরহস্য! ইসরোর মুকুটে নয়া পালক, ‘হ্যালো’ পয়েন্টে আদিত্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরেও ইতিহাস ইসরোর। সূর্যকে কাছ থেকে পরখ করতে আজ, শনিবার বিকেলে চূড়ান্ত অবস্থানে পৌঁছে গেল ভারতের প্রথম সৌর মিশন আদিত্য এল ১ (Aditya-L1)। পৃথিবী থেকে ১৫ লাখ কিলোমিটার দূরে এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ হ্যালো অরবিটের নির্দিষ্ট বিন্দুতে পৌঁছেছে আদিত্য এল ১। এই প্রথম সূর্যের এতটা কাছে পৌঁছতে পারল ভারত। 

    প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

    ইসরোর এই সাফল্যে খুশি হয়ে ট্যুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বললেন, “আরও এক ইতিহাস সৃষ্টি করল ভারত। ভারতের প্রথম সৌর পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ আদিত্য এল ১ (Aditya L1 Solar Mission) তার গন্তব্যে পৌঁছল। সবচেয়ে কঠিন এবং জটিল মহাকাশ মিশনে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের নিরন্তর সাধনার প্রমাণ এই ঘটনা। এই অসাধারণ কীর্তিতে কুর্নিশ জানাতে গোটা দেশের সঙ্গী আমি। মানবতার সুবিধার্থে বিজ্ঞানের কঠিন বাধা পেরনো চালিয়ে যাব।”

    স্বপ্ন পূরণ ইসরোর

    সৌর গবেষণার জন্য ৪ মাস আগেই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল ভারতের প্রথম সৌরযান আদিত্য এল ১। ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১৫০০ কেজি ওজনের এই স্যাটেলাইটটি আজ ইসরোর (ISRO) স্বপ্নপূরণ করল। এখান থেকেই আদিত্য ৫ বছর ধরে সূর্যকে অধ্যয়ন করবে এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করবে। তবে এই কাজ সহজ ছিল না। আদিত্য-এল১-কে ধাক্কা দিয়ে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়াই ছিল ইসরোর সামনে চ্যালেঞ্জ। নাসা আর ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ বা ‘এসা’) পর ভারতই প্রথম পাড়ি দিল সৌর-মুলুকে। 

    গত বছর, ২৩ অগাস্ট ভারতের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন ছিল। সেদিন চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছিল ইসরোর চন্দ্রযান ৩। আজ ৬ জানুয়ারি আরও এক ঐতিহাসিক দিন। এদিন আদিত্য এল ১ যে অবস্থানে বসল তাকে বলা হয় ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট ১ (Lagrange Point 1)। এই জায়গা থেকে নিরন্তর সূর্যের উপর নজর রাখা যাবে, এমনকী গ্রহণও অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Xposat Satellite Launch: ২০২৪ দুরন্ত শুরু ইসরোর, প্রথম দিনেই মহাকাশে পাড়ি দিল ‘এক্সপোস্যাট’

    Xposat Satellite Launch: ২০২৪ দুরন্ত শুরু ইসরোর, প্রথম দিনেই মহাকাশে পাড়ি দিল ‘এক্সপোস্যাট’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ সাল ছিল ঐতিহাসিক। ২০২৪ সালটাও দুরন্ত শুরু করল ইসরো। বছরের প্রথম দিনই মহাকাশে পাড়ি দিল দেশের প্রথম তথা বিশ্বের প্রথম এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট, যাকে সংক্ষেপে বলা হচ্ছে এক্সপোস্যাট। 

    বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বিরল কৃতিত্ব

    সোমবার, সকাল ৯টা ১০ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টার থেকে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্‌ল বা পিএসএলভি সি-৫৮-এর পিঠে চেপে যাত্রা মহাকাশে পাড়ি দেয় এক্সপোস্যাট। এই বিশেষ উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে নাসার পর বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে এই এই বিরল কৃতিত্ব অর্জন করল ভারত। 

    ২১ মিনিটেই কক্ষপথে উপগ্রহ

    ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, মাত্র ২১ মিনিট উড়েই এই রকেট পৌঁছে গিয়েছে ৬৫০ কিলোমিটার উচ্চতায়। তারপর এটি তার কক্ষপথে স্থির হবে। এই কৃত্রিম উপগ্রহটির আয়ু পাঁচ বছর। পৃথিবীর উপরে নীচু কক্ষপথেই প্রদক্ষিণ করবে এক্সপোস্যাট। ভূমি থেকে তার সর্বোচ্চ উচ্চতা হবে ৫০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার। 

    কী কাজ করবে এক্সপোস্যাট

    এক্সপোস্যাটে ২টি মূল পেলোড রয়েছে। সেগুলি হল— পোলিক্স (পোলারিমিটার ইনস্ট্রুমেন্ট ইন এক্স-রে) এবং এক্সস্পেক্ট (এক্স-রে স্পেকট্রোস্কোপি অ্যান্ড টাইমিং)। মহাকাশে এক্স-রে উৎসের সন্ধান চালাবে এক্সপোস্যাট। এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইসরো ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে গবেষণায় নতুন দিশা পেতে পারে। কৃষ্ণগহ্বরের উপস্থিতি, সন্ধান, উৎস প্রভৃতি নানা তথ্য জোগাড় করবে এই স্যাটেলাইট। এই উপগ্রহের আয়ু আনুমানিক ৫ বছর। অর্থাৎ, ২০২৮ পর্যন্ত কাজ করবে এক্সপোস্যাট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Aditya L1: লাল-গোলাপি-কমলা নানা রঙের সূর্যের ছবি তুলল আদিত্য এল-১

    Aditya L1: লাল-গোলাপি-কমলা নানা রঙের সূর্যের ছবি তুলল আদিত্য এল-১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ থেকে এই প্রথম সূর্যের সম্পূর্ণ ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠাল ভারতের সৌরযান আদিত্য-এল১ (Aditya L1)। শুক্রবার ইসরোর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছে আদিত্য এল ১-এর তোলা সূর্যের হরেক রকমের ছবি। কখনও কমলা, কখনও গোলাপি আবার কখনও উজ্জ্বল সোনালি রঙের সূর্য। পূর্ণ গোলাকার সূর্যের ছবিতে ধরা পড়েছে অতি বেগুনি রশ্মির ছটা।

    সূর্যের ‘ফুল ডিস্ক’ ছবি

    ইসরো জানিয়েছে, আদিত্য-এল১ (Aditya L1) যানে থাকা ‘সোলার আল্ট্রাভায়োলেট ইমেজিং টেলিস্কোপ’ (এসইউআইটি)-এর মাধ্যমে সূর্যের ছবিগুলি তোলা হয়েছে। আদিত্য-এল১-এর সূর্যের ছবি তোলার বিষয়টি ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানের অন্যতম নজির হিসাবে দেখছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। ইসরোর তরফে শুক্রবার জানানো হয়েছে সূর্যের সেই ‘ফুল ডিস্ক’ ছবিগুলি ২০০ থেকে ৪০০ ন্যানোমিটারের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিসরের মধ্যে তোলা। ফলে ছবিগুলিতে সূর্যের পৃষ্ঠদেশ এবং সূর্যের উপরভাগের স্বচ্ছ স্তরের ছবি ভাল ভাবে ফুটে উঠেছে। 

    ইসরোর আশা

    ইসরো এক বিবৃতিতে এ-ও জানিয়েছে, এসইউআইটি যন্ত্রে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ফিল্টার ব্যবহার করা হয়। তাই নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিসরে সূর্যের ফটোস্ফিয়ার এবং ক্রোমোস্ফিয়ারের ছবি তোলা সম্ভব হয়েছে। ইসরোর বক্তব্য, এই ছবি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সৌর বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাবে। পৃথিবীর উপর সৌর বিকিরণের প্রভাব বুঝতেও বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে ছবিগুলি। ছবিগুলোতে সূর্যের দাগ ও সূর্যের বেশ কিছু অদেখা অঞ্চলের ছবি ধরা পড়েছে। সুইটের সূর্য পর্যবেক্ষণ করার বিষয়টি বিজ্ঞানীদের ‘সূর্যের গতিশীল চুম্বকীয় বায়ুমণ্ডল’ এবং ‘বিশ্বমণ্ডলের ওপর সৌর বিকিরণ আটকাতে আঁটোসাঁটো বাধা স্থাপনের’ বিষয়ের গবেষণায় সহায়ক হবে বলেও জানিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে বৃহত্তম আইফোন প্ল্যান্ট গড়ছে টাটা, হবে ৫০ হাজার কর্মসংস্থান!

    জানুয়ারিতেই গন্তব্যে আদিত্য-এল১

    আদিত্য-এল ১ (Aditya L1) মহাকাশযানটি গত ২ সেপ্টেম্বর শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। কক্ষপথে পৌঁছনোর পর গত ২০ নভেম্বর সুইট নামের যন্ত্রাংশটি (টেলিস্কোপ) সচল করা হয়। সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝের এল১ পয়েন্টে পৌঁছতে আদিত্য-এল ১-এর মোট চার মাস সময় লাগার কথা। এখনও পর্যন্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী সব ঠিক চলছে। মহাকাশে কোথাও বাধা পায়নি আদিত্য-এল১। সব ঠিক থাকলে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই গন্তব্যে পৌঁছে যাবে এই সৌরযান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lunar Eclipse 2023: আজ কোজাগরী পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ, দেখা যাবে পশ্চিমবঙ্গে, কতক্ষণ চলবে?

    Lunar Eclipse 2023: আজ কোজাগরী পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ, দেখা যাবে পশ্চিমবঙ্গে, কতক্ষণ চলবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ কোজাগরী পুজোর দিন হতে চলেছে বছরের দ্বিতীয় তথা শেষ চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse 2023)। বছরের আজ পূর্ণিমা, কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। সূর্যগ্রহণের পর ঠিক ১৪ দিনের মাথায়, আজকের দিনেই হতে চলেছে চন্দ্রগ্রহণ। চাঁদ যেখানে দিগন্ত রেখার উপরে থাকবে, সেখানেই এই গ্রহণ দেখা যাবে বলে জানা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের জেলা সহ কলকাতা থেকেও দেখা যাবে চাঁদের এই গ্রহণ। 

    কোথায় কোথায় দেখা যাবে (Lunar Eclipse 2023)?

    এশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকা, ইউরোপ, ওশেনিয়া, আন্টার্কটিকা এবং রাশিয়ায় এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। ভারতের বেশিরভাগ শহর থেকেই লক্ষ্মী পূর্ণিমার রাতে, চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse 2023) দৃশ্যের দেখা মিলবে বলে জানা গিয়েছে। দিল্লিতে এবছর সবথেকে বড় গ্রহণের সময়। এখানে চাঁদ, দিগন্তের প্রায় ৬২ ডিগ্রি উপরে থাকবে।

    কোন সময়ে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে?

    ভারতে এই চন্দ্রগ্রহণের স্থায়িত্ব (Lunar Eclipse 2023) শুরু হবে শনিবার রাত ১১টা বেজে ২৯ মিনিটে এবং গ্রহণ চলবে ২টো ২৩ মিনিট ৫ সেকেন্ড পর্যন্ত। সেই সঙ্গে ভারতে চন্দ্রগ্রহণের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে রাত ১টা ৪ মিনিট ৮ সেকেন্ড সময়ে। এই সময় চাঁদের ১২ শতাংশ, পৃথিবীর ছায়ার দ্বারা ঢাকা পড়বে।

    কেন হয় চন্দ্রগ্রহণ?

    পূর্ণিমার তিথিতে হয় চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse 2023)। পৃথিবী যেমন সূর্যের চারদিকে ঘোরে, ঠিক তেমনিই চাঁদও পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে। এই ভাবে ঘুরতে ঘুরতে চাঁদ, পৃথিবী এবং সূর্য একটি সরল রেখায় অবস্থান করে। ফলে, সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছালেও, চাঁদে পৌঁছায় না। আবার সূর্যের আলোতেই চাঁদ এবং পৃথিবী আলোকিত হয়। সূর্যের আলো চাঁদ পর্যন্ত না পৌঁছে, পৃথিবীর দ্বারা বাধা প্রাপ্ত হয়। ফলে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়লে, চাঁদ সাময়িক ভাবে ঢাকা পড়ে যায়। জ্যোর্তিবিজ্ঞানে একেই চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। তবে ২৮ শে অক্টোবর পূর্ণগ্রহণ নয়, চাঁদের আংশিক গ্রহণ হবে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jupiter Moon: ইউরোপায় প্রাণের সন্ধান! বৃহস্পতির উপগ্রহে কার্বণ ডাই অক্সাইডের সমুদ্র, কী বলছেন গবেষকরা?

    Jupiter Moon: ইউরোপায় প্রাণের সন্ধান! বৃহস্পতির উপগ্রহে কার্বণ ডাই অক্সাইডের সমুদ্র, কী বলছেন গবেষকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপাতে প্রাণের সন্ধান! সম্ভব হলেও হতে পারে, দাবি বিজ্ঞানীদের। পৃথিবী ছাড়াও সৌর জগতের আর কোথাও বসতি গড়া সম্ভব কি না, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা কল্পনা চলে বিজ্ঞানীরদের মধ্যে। এই তালিকাতেই নতুন করে যোগ দিয়েছে বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপা। 

    কী বলছেন বিজ্ঞানীরা

    হিমশীতল হলেও ইউরোপাতে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনা কম নয় বলে মনে করেন গবেষকরা। কর্নেল ইউনিভার্সিটির গ্রহ বিষয়ক বিজ্ঞানী সামান্থা ট্রাম্বো বলেন, “এর আগে, হাবল টেলিস্কোপ টারা রেগিওতে সামুদ্রিক লবণের হদিশ পেয়েছিল। এবার ভাল মাত্রায় কার্বন ডাই অক্সাইডের খোঁজ মিলল। সমুদ্রগর্ভ থেকেই তার উৎপত্তি ঘটেছে বলে অনুমান আমাদের।” ইউরোপা নিয়ে সম্প্রতি দু’টি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে, যার মধ্যে একটি লিখেছেন সামান্থা। ২১ সেপ্টেম্বর জার্নাল সায়েন্সে প্রকাশিত হয়েছে সেটি। জানা গিয়েছে, ইউরোপার বুকে স্ফটিকাকার এবং নিরাকার কার্বন, দুইয়েরই খোঁজ মিলেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, ইউরোপার মাটির বয়স অন্তত ৬ কোটি বছর। 

    ইউরোপা কেমন

    আকারে বৃহস্পতির এই উপগ্রহটি চাঁদের থেকে সামান্য একটু ছোট। কিন্তু প্রাণ সঞ্চারের প্রাথমিক শর্ত যেটি, সেই জল নাকি রয়েছে ওই উপগ্রহে। রয়েছে একটা আস্ত সমুদ্র। বিজ্ঞানীরা অন্তত তেমনই দাবি করছেন। তবে ইউরোপার জলে নাকি কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেশি। জীবনের অন্যতম ভিত্তি কার্বন ডাই অক্সাইড। তাই যে সমস্ত জীবের পক্ষে কার্বন ডাই অক্সাইডের সাহায্যে জীবন ধারণ করা সম্ভব, তারা এখানে থাকলেও থাকতে পারে। দেখা গিয়েছে, ইউরোপায় রয়েছে বরফের একটি কঠিন স্তর।আমেরিকার মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা নাসার দাবি, ওই বরফের কঠিন স্তরের নিচে রয়েছে একটি মহাসমুদ্র। ওই মহাসমুদ্রে প্রচুর কার্বন সমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    ইউরোপায় অভিযান

    প্রসঙ্গত, গোটা সৌরজগতে ইউরোপার মতো বেশি গ্রহ বা উপগ্রহ নেই। প্রাণের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে, এমন সংখ্যা নগণ্য। ফলে কার্বন ডাই অক্সাইডের অস্তিত্ব পাওয়ায় আশার আলো দেখছেন বিজ্ঞানীরা। ইউরোপার টারা রেগিও নামের একটি অংশে বেশি পরিমাণে এই গ্যাসের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। সেখান থেকেই কোনও একটি সুখবর পাওয়ার আশায় রয়েছে বিজ্ঞানীরা। আপাতত জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে সেদিকটাই খুঁটিয়ে দেখছে নাসা। ইউরোপার উদ্দেশে দু’টি অভিযানের লক্ষ্য রয়েছে গবেষকদের। ২০২৪ সালে নাসার ক্লিপার অভিযানের সূচনা হবে। কক্ষপথ থেকে ইউরোপাকে পর্যবেক্ষণ করবে মহাকাশযানটি। সেখানে প্রাণধারণের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখবে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি-র জুপিটার আইসি মুন এক্সপ্লোরার (Juice) আগামী বছর এপ্রিলে রওনা দেবে ইউরোপার উদ্দেশে। ২০৩১ সালে ইউরোপার কাছাকাছি পৌঁছবে সেটি। বৃহস্পতির তিনটি গ্রহ, ইউরোপা, গানিমিড এবং ক্যালিস্টোর চারপাশে ৩৫ বার চক্কর কাটবে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Flash Flood: নেপালে ভূমিকম্পের জেরে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল লোনকের পাড়, তাই কি বিপর্যয় সিকিমে?

    Flash Flood: নেপালে ভূমিকম্পের জেরে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল লোনকের পাড়, তাই কি বিপর্যয় সিকিমে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিস্তার হড়পা বানের (Flash Flood) জেরে দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে জাতীয় সড়ক। তাই সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে সিকিমের। মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণেই এমনটা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের একটা বড় অংশের। তবে সিংহভাগ বিজ্ঞানীর দাবি, সিকিমের এই বিপর্যয়ের নেপথ্যে রয়েছে নেপালের মঙ্গলবারের ভূমিকম্প।

    পাড় ভাঙল লোনকের

    বিষয়টি তবে খুলেই বলা যাক। বুধবার কাকভোরে ফেটে যায় উত্তর সিকিমের পাহাড়ি হ্রদ লোনকের পাড়। হুড়মুড়িয়ে নেমে আসে বিশাল জলরাশি। পড়ে তিস্তায়। একলপ্তে তিস্তার জলস্তর বেড়ে যায় ১৫-২০ ফুট। হড়পা বান চলে আসায় লন্ডভন্ড হয়ে যায় উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশ। কোথাও ভেঙে গিয়েছে সেতু, কোথাও জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সড়ক। বাড়িঘরের পাশাপাশি ভেসে গিয়েছে মানুষ ও তাঁদের পোষ্যরা। বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। নিখোঁজ শতাধিক।

    নেপালে ভূমিকম্প

    সিকিমের এই বিপর্যয়ের কারণ কেবল হড়পা বান (Flash Flood) নয়। বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, এর নেপথ্যে রয়েছে নেপালের ভূমিকম্প। গত মঙ্গলবার ভূমিকম্প হয় নেপালে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬। এদিন ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে পরপর চারবার কেঁপে উঠেছিল নেপাল। সেই কম্পনের আঁচ পেয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, চণ্ডীগড়, জয়পুর এবং উত্তরাখণ্ডের কিছু অংশের বাসিন্দারা। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ভূকম্পনের জেরে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল লোনকের পাড়। এর পর মেঘভাঙা বৃষ্টির জল এসে পড়ায় জলের চাপ সহ্য করতে পারেনি দুর্বল বাঁধ। যার জেরে দেখা দেয় বিপর্যয়।

    আরও পড়ুুন: হড়পা বানে বিধ্বস্ত সিকিম, চারদিকে ধ্বংসলীলার ছবি, আটকে ৩ হাজার পর্যটক

    সম্প্রতি লোনকের একটি উপগ্রহচিত্র প্রকাশ করেছে হায়দরাবাদের ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার। তাতে দেখা গিয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর হ্রদের যা বিস্তৃতি ছিল, তা কমে গিয়েছে। ১৬৮ হেক্টর এলাকা নিয়ে লোনক হ্রদ। তা কমে গিয়ে বর্তমানে হ্রদের আয়তন দাঁড়িয়েছে ৬০ হেক্টরে। যার অর্থ, জল ডাঙায় উঠে এসেছে। জলস্তরের সব সীমা পেরিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন।

    এর আগে একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল, লোনক হ্রদের আয়তন ক্রমেই বাড়ছিল। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে হিমবাহ গলে সেই জল জমছিল হ্রদে। বুধবার যখন এই এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়, তখন আর নিজেকে সামলাতে পারেনি লোনক। বিশাল জলরাশি হুড়মুড়িয়ে এসে পড়ে তিস্তায় (Flash Flood)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Nobel Prize 2023: ঘোষণা করা হল পদার্থবিদ্যায় নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীদের নাম, কারা পাচ্ছেন জানেন?

    Nobel Prize 2023: ঘোষণা করা হল পদার্থবিদ্যায় নোবেলজয়ী বিজ্ঞানীদের নাম, কারা পাচ্ছেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ঘোষণা করা হয়েছিল চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পাওয়া দুই বিজ্ঞানীর নাম। মঙ্গলবার ঘোষণা করা হল পদার্থবিদ্যায় নোবেলজয়ীদের নাম। এবার পদার্থবিদ্যায় নোবেল (Nobel Prize 2023) পেলেন তিন বিজ্ঞানী। নোবেল পুরস্কার দেয় রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি। তারা জানিয়েছে, এবার নোবেল পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে আমেরিকার পিয়ের অগোস্তিনি, হাঙ্গেরির ফেরেঞ্চ ক্রাউৎজ এবং ফ্রান্সের আন লুইয়িয়ের হাতে।

    তিন বিজ্ঞানী

    ফরাসি বংশোদ্ভূত অগোস্তিনি আমেরিকার ওহায়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত হাঙ্গেরির নাগরিক ফেরেঞ্চ জার্মানির মিউনিখ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ফোটোনিক্সের সঙ্গে যুক্ত। আর সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধান আন। পুরস্কারের অর্থ ভাগ করে দেওয়া হবে এই তিন বিজ্ঞানীকে।

    গবেষণার বিষয় ইলেকট্রন গতিবিদ্যা

    এবার যে তিন বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার (Nobel Prize 2023) পেলেন, তাঁদের তিনজনেরই গবেষণার বিষয় ইলেকট্রন গতিবিদ্যা। রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমির তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তিন নোবেলজয়ী তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অণু-পরমাণুর অন্দরে ইলেকট্রনের জগৎ অন্বেষণের জন্য নয়া হাতিয়ার দিয়েছেন। এদিন যে তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করা হল, তাঁদের মধ্যে আন আবিষ্কার করেছেন গ্যাসে থাকা অণুর ওপর লেজারের আলো কী প্রভাব ফেলতে পারে। অগোস্তিনি ও ক্রাউৎজ দেখিয়েছেন, গ্যাসীয় অণুর প্রভাব তুলনামূলক ছোট আলোর স্পন্দন তৈরিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

    গত বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার (Nobel Prize 2023) পেয়েছিলেন অ্যালাইন অ্যাসপেক্ট, জন এফ ক্লাজার এবং অ্যান্টন জেইলিংগার। কোয়ান্টাম তথ্য বিজ্ঞানে কাজের জন্য সেবার নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, সোমবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য যে দুই বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে নোবেল পুরস্কারের জন্য, তাঁরা হলেন হাঙ্গেরি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাটালিন কারিকো ও ড্রু ওয়েইসম্যান। এমআরএনএ কোভিড ১৯ টিকা আবিষ্কারে বিশেষ অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে তাঁদের।

    আরও পড়ুুন: শবরীমালা মন্দিরে বিস্ফোরণের ছক কষেছিল ধৃত ‘ইঞ্জিনিয়ার’ আইএস জঙ্গি শাহনওয়াজ?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nobel Prize 2023: করোনার টিকা তৈরিতে বিশেষ অবদান, চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল জয় ২ বিজ্ঞানীর

    Nobel Prize 2023: করোনার টিকা তৈরিতে বিশেষ অবদান, চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল জয় ২ বিজ্ঞানীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁদের গবেষণা সাহায্য করেছে কোভিডের এমআরএনএ প্রতিষেধক তৈরিতে। তার জেরে এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছেন বহু মানুষ। যুগান্তকারী এই গবেষণার জন্যই এবার নোবেল পুরস্কার (Nobel prize 2023) পেলেন কাতালিন কারিকো ও ড্রু ওয়াইসম্যান।

    কাতালিন কারিকো ও ড্রু ওয়াইসম্যান

    কাতালিন কারিকো হাঙ্গেরির সেজড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিনের সহযোগী অধ্যাপকও। আর ড্রু ওয়াইসম্যান ভাকসিন গবেষণার অধ্যাপক ও পেন ইনস্টিটিউট ফর আরএনএ ইনোভেশনের ডিরেক্টর। এই টিকা নিয়ে পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথভাবে গবেষণা চালান কাতালিয়া কারিকো এবং ড্রু ওয়াইসম্যান।

    চিকিৎসা বিজ্ঞানে অভূতপূর্ব অবদান

    সোমবার নোবেল (Nobel Prize 2023) কমিটির তরফে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, আমাদের ইমিউন সিস্টেমের সঙ্গে এমআরএনএ কীভাবে সাড়া দেয়, সে সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করেছে তাঁদের যুগান্তকারী অনুসন্ধান। বিজয়ীরা আধুনিক সময়ে মানব স্বাস্থ্যের জন্য সব চেয়ে বড় হুমকির মধ্যে একটি টিকা তৈরিতে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন।

    নোবেল অ্যাসেম্বলির সেক্রেটারি টমাস পার্লম্যান পুরস্কার ঘোষণা করে বলেন, “পুরস্কার ঘোষণার আগে যখন আমি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করি, তখন দুই বিজ্ঞানীই পুরস্কারপ্রাপ্তির খবরে অভিভূত হন।” গত বছর মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন সুইডিশ বিজ্ঞানী সভান্তে পাবো। ১৯৮২ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তাঁরা বাবা সুনে বার্গস্ট্রমও।

    আরও পড়ুুন: “লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, সিবিআই চাই”, দাবি গিরিরাজের

    নোবেল (Nobel Prize 2023) অ্যাসেম্বলির তরফে জানানো হয়েছে, কাতালিন ও ড্রুয়ের গবেষণার মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে এমআরএনএর ঠিক কী সম্পর্ক, সেই ধারণাটিই বদলে গিয়েছে। ২০০৫ সালে এই দুই বিজ্ঞানীর গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছিল। ২০২০ সালে তাঁদের গবেষণার ওপর নির্ভর করে তৈরি দুটি এমআরএনএ টিকা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share