Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Chandrayaan 3: চাঁদের মেরুতে বরফ নিয়ে ধারণা বদলে দিল চন্দ্রযান ৩-এর পাঠানো তথ্য, কী আছে তাতে?

    Chandrayaan 3: চাঁদের মেরুতে বরফ নিয়ে ধারণা বদলে দিল চন্দ্রযান ৩-এর পাঠানো তথ্য, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদে (Moon) থাকা বরফ নিয়ে ধারণা পালটে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এসেছে। চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) পাঠানো ডেটা থেকে এটা জানতে পারা গিয়েছে। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, চাঁদের মেরু অঞ্চলে অনেক স্থানে পৃষ্ঠের ঠিক নীচে বরফ থাকতে পারে। এর পাশাপাশি, এই বরফের পরিমাণ নিয়ে আগে যে ধারণা করা হয়েছিল তার চেয়েও বেশি বরফ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল চন্দ্রযান ৩।

    রিপোর্ট তৈরি করেছেন দুর্গা প্রসাদ কর্ণম

    আহমেদাবাদে অবস্থিত ভৌতিক গবেষণাগারের ফ্যাকালটি সদস্য দুর্গা প্রসাদ কর্ণম এই রিপোর্টটি তৈরি করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি পিটিআই-কে জানিয়েছেন যে, চন্দ্রপৃষ্ঠের (Chandrayaan 3) তাপমাত্রায় বড় এবং স্থানীয় পরিবর্তনগুলি সরাসরি বরফের সৃষ্টিতে প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই বরফ কণাগুলি দেখে তাদের উৎপত্তি এবং ইতিহাস সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সামনে আসতে পারে।

    ‘কমিউনিকেশন্স আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে

    এই সম্পর্কিত রিপোর্টটি ‘কমিউনিকেশন্স আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এই নিয়ে দুর্গা প্রসাদ কর্ণম বলেছেন, ‘‘এই থেকে আমরা এটাও জানতে পারব যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে চাঁদে (Moon) বরফ জমা হয় এবং চাঁদের পৃষ্ঠে কীভাবে থেকে যায়। এর ফলে এই প্রাকৃতিক উপগ্রহের প্রাথমিক ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে।’’

    চাঁদের পৃষ্ঠে অতি উচ্চ শূন্যতা থাকার কারণে তরল আকারে জল টিকে থাকতে পারে না

    চাঁদে (Chandrayaan 3) বরফ জলে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে পিটিআই-কে দুর্গা প্রসাদ কর্ণম বলেছেন, ‘‘চাঁদের পৃষ্ঠে অতি উচ্চ শূন্যতা থাকার কারণে তরল আকারে জল টিকে থাকতে পারে না। তাই, বরফ তরলে পরিণত হতে পারবে না, বরং বাষ্পে পরিণত হবে।’ কর্ণম বলেছেন, বর্তমান ধারণা অনুযায়ী, চাঁদে অতীতে বসবাস উপযোগী পরিবেশ ছিল না।’’

    ২০২৩ সালের ২৩ অগাস্ট দক্ষিণ মেরুর কাছে ‘সফট ল্যান্ডিং’ করেছিল চন্দ্রযান ৩

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) কর্তৃক বেঙ্গালুরু থেকে উৎক্ষেপিত চন্দ্রযান ৩, ২০২৩ সালের ২৩ অগাস্ট দক্ষিণ মেরুর কাছে ‘সফট ল্যান্ডিং’ করেছিল। এর তিন দিন পর, ২৬ অগাস্ট ‘ল্যান্ডিং’ স্থলের নামকরণ করা হয়েছিল ‘শিব শক্তি পয়েন্ট’। চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযানের (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেছিল।

  • Earthquakes: কেন বার বার ভূমিকম্পে হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশ অঞ্চলে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Earthquakes: কেন বার বার ভূমিকম্পে হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশ অঞ্চলে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সাত দিনে ভারতীয় উপমহাদেশের (Indian Subcontinent) চারটি বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প (Earthquakes) অনুভূত হয়েছে। সবগুলিই ছোট থেকে মাঝারি মানের। কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বললেই চলে। কিন্তু, বিশেষজ্ঞরা স্বস্তিতে থাকতে নারাজ। পর পর কম্পনের মধ্যে তাঁরা একটা অশনি সঙ্কেত দেখতে পাচ্ছেন। তাঁদের মতে, ছোট ছোট হতে হতে কোনওদিন এমন একটা শক্তিশালী কম্পন হবে যে বড় বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। আগাম সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। একইসঙ্গে এও ব্যাখ্যা করেছেন, কেন বার বার কেঁপে উঠছে ভারতীয় উপমহাদেশ (Indian Subcontinent) অঞ্চল।

    এক সপ্তাহে চার বার!

    কেন বার বার ভূমিকম্প (Earthquakes) হচ্ছে, এটা বোঝার আগে, দেখে নেওয়া যাক, গত সাতদিনে ঘটে যাওয়া চারটি ভূমিকম্পের খতিয়ান—

    বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নেপাল। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১। জানা গিয়েছে, নেপালের স্থানীয় সময় রাত ২টো ৫১ মিনিট নাগাদ হঠাৎই কেঁপে ওঠে নেপালের মধ্য এবং পূর্বাংশ। ভূ-কম্পন অনুভূত হয় শিলিগুড়ি এবং পাটনাতেও। বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের (Earthquakes) উৎসস্থল নেপালের সিন্ধুপালচক জেলার ভৈরবকুণ্ড। জানা গিয়েছে, মাটির অন্তত ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পনের উৎপত্তিস্থলটি।

    তার ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে, বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত প্রায় আড়াইটে নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে অসম। প্রতিবেশী বাংলাদেশ, মায়ানমার, ভুটান ও চিনের একাধিক এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়। জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.০। অসমের মরিগাঁওতে ছিল ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে ১৬ কিলোমিটার গভীরে।

    তার আগে, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সাতসকালে ভূমিকম্পে (Earthquakes) কেঁপে উঠেছিল কলকাতা-সহ আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয় কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার বিস্তীর্ণ অংশে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৫.১। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল বঙ্গোপসাগর।

    এর আগে, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টা ৩৬ মিনিটে কেঁপে ওঠে দিল্লি। প্রায় ৫ থেকে ৬ সেকেন্ড ধরে স্থায়ী হয় কম্পন। ভূমিকম্পের সঙ্গে জোরালো আওয়াজও হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল দিল্লির ধৌলাকুঁয়া। রিখটার স্কেলে দিল্লির ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.০। দিল্লিতে ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টা পর সেদিনই কেঁপে ওঠে বিহারও।

    কেন বার বার হচ্ছে ভূমিকম্প? (Earthquakes)

    প্রায়ই ছোট থেকে মাঝারি কম্পন হচ্ছে উত্তর, পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারত– বিশেষ করে হিমালয়ান বেল্ট ও তার লাগোয়া অঞ্চলে (Indian Subcontinent)। এক সপ্তাহ জুড়ে পর পর ভূমিকম্প হয়ে চলেছে ভারতীয় উপমহাদেশ অঞ্চলে। কেন হচ্ছে?

    নেপাল — বিশ্বের তীব্র ভূমিকম্প (Earthquakes) প্রবণ এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম নেপাল। কারণ নেপালের তলায় ইউরেশীয় পাতকে প্রতি বছর ৫ সেমি করে দূরে সরিয়ে দেয় ভারতীয় পাত। যার জেরে সংঘর্ষে ভূমিকম্প হয় এই এলাকাগুলিতে। মাটির তলায় টেকটনিক প্লেটগুলির এহেন অবস্থানের কারণে হিমালয়ের কোলে বারবার ভূমিকম্প দেখা দেয়। উপরন্তু নেপালের ভূপৃষ্ঠ তৈরি হয়েছে নতুন শিলা দিয়ে। কাঠমাণ্ডুর মতো শহরগুলিতে অপরিকল্পিতভাবে নগরায়নের ফলেও মাটির উপর চাপ বাড়ছে।

    পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ-বঙ্গোপসাগর — বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশ কয়েকটি সক্রিয় ফল্ট লাইনসহ টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষ অঞ্চলে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান। এ কারণে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর বঙ্গোপসাগর ভূমিকম্পের (Earthquakes) ঝুঁকিতে রয়েছে। কলকাতার তলায় আছে ইন্ডিয়ান ও টিবেটান প্লেট। প্রতি বছর এই ইন্ডিয়ার প্লেট ৫ সেন্টিমিটার করে সরে যাচ্ছে টিবেটান প্লেটের দিকে। যার কারণে লাগছে ধাক্কা। হচ্ছে ভূমিকম্প।

    দিল্লি — গোটা হিমালয় অঞ্চলই ভূমিকম্পের দিক থেকে অত্যন্ত সক্রিয়। দিল্লি হিমালয়ে নিকটবর্তী হওয়ায় সেখানে কম্পনের ঝুঁকি রয়েছে। জাতীয় ভূকম্পন (Earthquakes) কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, দিল্লির কাছে আরও বেশ কিছু দুর্বল অঞ্চল এবং ফল্ট লাইনও রয়েছে। গোটা উত্তর-পশ্চিম ভারত দাঁড়িয়ে রয়েছে এমন একটি ‘কম্পন অধ্যুষিত’ অঞ্চলে যাকে ভূকম্প বিশেষজ্ঞেরা ‘হটস্পট’ বলে অভিহিত করেছেন। অর্থাৎ কি না এই অঞ্চলে প্রতিনিয়তই রিখটার স্কেলে ৪, সাড়ে ৪, ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েই থাকে। বিশেষজ্ঞেরা এই কম্পনে মোটেই বিচলিত নন।

    বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের (Indian Subcontinent)

    বার বার এই কম্পনে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে বিজ্ঞানীদের কপালে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এবার যে কোনও সময় হয়ত বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে। যার জেরে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে এই অঞ্চলে। তাঁদের মতে, একটি শক্তি ক্রমশ জমা হচ্ছে মাটির নীচে। যত শক্তি পুঞ্জীভূত হবে তত বড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আছে। তাঁরা এ-ও জানাচ্ছেন, মাটির তলার জল কমে যাওয়ার কারণে হচ্ছে কম্পন (Earthquakes)। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ছোট ছোট ভূমিকম্পের পর বড় বিপর্যয়ের আভাস হতে পারে, এবং এ কারণে অবিলম্বে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা (Indian Subcontinent)।

  • Gautam Adani: ইসরোর সঙ্গে কাজ করবে আদানির সংস্থা! টক্কর দেবে ইলন মাস্কের স্পেস এক্সকে?

    Gautam Adani: ইসরোর সঙ্গে কাজ করবে আদানির সংস্থা! টক্কর দেবে ইলন মাস্কের স্পেস এক্সকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে এখন অনেকটা জায়গা করে নিয়েছে ইলন মাস্কের স্পেস এক্স বা জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিনের মতো সংস্থা। এবার ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোও গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল বা এসএসএলভি (SSLV) তৈরিতে দুটি সরকারি সংস্থার পাশাপাশি ইসরোকে সাহায্য করবে আদানি গ্রুপের একটি সংস্থাও। এর মধ্য দিয়েই গৌতম আদানি গ্লোবাল স্পেস ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করবেন। এর ফলে আদানি (Gautam Adani) গ্রুপ স্যাটেলাইট লঞ্চ মার্কেটে ইলন মাস্কের স্পেস এক্সের মতো শীর্ষস্থানীয় সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে।

    স্পেস সেক্টরে ভারতীয় বাজার তৈরির চেষ্টা

    ২০২৩ সালে স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলের সফল উৎক্ষেপণের পর কেন্দ্রীয় সরকার এই রকেট উৎপাদনের জন্য কোনও বেসরকারি সংস্থাকে এই প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে চেয়েছিল। আর এর পিছনে সরকারের সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য ছিল ভারতের স্পেস সেক্টরের বাণিজ্যিকরণ করা। মনে করা হচ্ছে, সরকারের এটা ছিল বেসরকারিকরণের সবচেয়ে বড় উদ্যোগ। সরকার আশা করেছিল স্পেস সেক্টরের কিছুটা বেসরকারিকরণ হলে ভারতীয় সংস্থাগুলো এই সেক্টরে গোটা বিশ্বের বাজার আরও দ্রুত ধরতে পারবে। আর তাতে আখেরে লাভ হবে আমাদের দেশের অর্থনীতিরই। এই এসএসএলভির উৎপাদনের দায়িত্ব পাওয়ার জন্য প্রায় ২০টি বেসরকারি সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত এই দায়িত্ব পেয়েছে ৩টি সংস্থার মধ্যে একটি। যার মধ্যে রয়েছে ভারত ডায়নামিক্স ও হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। এছাড়া তৃতীয় সংস্থা হিসাবে এই রকেট উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে আলফা ডিজাইন টেকনোলজিস। আর এই সংস্থাতেই অংশীদারিত্ব রয়েছে আদানি গ্রুপের অধীনস্ত সংস্থা আদানি ডিফেন্স সিস্টেমের।

    আদানির কৌশলগত পদক্ষেপ

    আদানি গ্রুপ (Gautam Adani) ভারতীয় স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (SSLV) তৈরির জন্য তিন ফাইনালিস্টের মধ্যে একটি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। অন্য দুটি প্রতিযোগী হল রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ভারত ডাইনামিক্স লিমিটেড (BDL) এবং হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)। যদি আদানি ডিফেন্স সিস্টেমসকে চুক্তি প্রদান করা হয়, তবে তাদের সহযোগী আলফা ডিজাইন টেকনোলজিস এর সাথে মিলে তারা এই পরবর্তী প্রজন্মের লঞ্চ ভেহিকেলগুলি দেশে তৈরি করার দায়িত্ব নেবে। চুক্তি অনুযায়ী নির্বাচিত কোম্পানিকে ইসরোকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে, যার মধ্যে দুটি এসএসএলভি লঞ্চ সফলভাবে সম্পাদনের জন্য ২৪ মাসের চুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যদি এই প্রকল্পে আদানি গ্রুপ সফল হয়, তবে এটি তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈচিত্র্য আনবে। আদানি ডিফেন্স সিস্টেমসের প্রতিরক্ষা উৎপাদনে বিশেষ জ্ঞান রয়েছে। এবার এক্ষেত্রে কাজ করলে আদানি গ্রুপ স্যাটেলাইট লঞ্চ মার্কেটে প্রবেশের সুযোগ পাবে। এর ফলে ভারতের গ্লোবাল স্পেস প্লেয়ার হিসেবে অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।

    এসএসএলভি কি?

    স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (SSLV) হলো একটি খরচ সাশ্রয়ী রকেট যা ভারতীয় স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO) দ্বারা তৈরি হয়েছে। এটি ছোট স্যাটেলাইট লঞ্চের জন্য বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে তৈরি। এই এসএসএলভি ৫০০ কেজি বা ১ হাজার ১০০ পাউন্ড পর্যন্ত ভরের স্যাটেলাইটকে লোয়ার আর্থ অর্বিট বা এলইও-তে প্রতিস্থাপন করতে পারে। যোগাযোগ, আবহাওয়া পূর্বাভাস, পৃথিবী পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি নানা কাজে স্মল স্যাটেলাইটগুলি সাহায্য করে।

    ইলন মাস্ককে চ্যালেঞ্জ

    মহাকাশের দৌড়ে অনেক ক্ষেত্রেই ভারতীয় সংস্থা ইসরো পিছনে ফেলে দিয়েছে আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাকে। কম খরচে মহাকাশে নিখুঁতভাবে স্যাটেলাইট পাঠানো সংস্থাগুলোর তালিকায় ক্রমাগত উপরের দিকে উঠে এসেছে ইসরো। আর এবার তারা এসএসএলভি (SSLV) বা স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল উৎপাদনের জন্য গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে এখন অনেকটা জায়গা করে নিয়েছে ইলন মাস্কের স্পেস এক্স বা জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিনের মতো সংস্থা। কিন্তু সেদিক থেকে দেখতে গেলে, ভারতের মহাকাশ গবেষণায় এখনও তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য  বেসরকারি সংস্থার নাম উঠে আসেনি। তবে এবার গৌতম আদানির সংস্থা এসএসএলভি তৈরিতে সাহায্য করলে ভারতেও মহাকাশ গবেষণায় বেসরকারি ছায়া পড়বে। একই সঙ্গে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ককে চ্যালেঞ্জ জানানোর পথে ধীরে ধীরে পা ফেলতে পারবেন গৌতম আদানি।

  • Mangalyaan 2: মঙ্গলে অবতরণ! মঙ্গলযান ২ ল্যান্ডার মিশনকে অনুমোদন মহাকাশ কমিশনের

    Mangalyaan 2: মঙ্গলে অবতরণ! মঙ্গলযান ২ ল্যান্ডার মিশনকে অনুমোদন মহাকাশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের পর এবার মঙ্গল। নতুন মিশনে চোখ ভারতের। মঙ্গল গ্রহে মহাকাশযান অবতরণের জোরদার তৎপরতা চলছে। এই কৃতিত্ব অর্জন করে ফেললে ভারত হবে বিশ্বের চতুর্থ এমন দেশ যারা মঙ্গলে মহাকাশযান পাঠাবে। মার্স ল্যান্ডার মিশন (Mars Lander Mission) আবার মঙ্গলযান-২ (Mangalyaan-2) নামেও পরিচিত। এই মিশনের অনুমোদন দিয়েছে মহাকাশ বিষয়ক কমিশন। এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে এই মিশন। মার্স ল্যান্ডার মিশন ভারতের মহাকাশ গবেষণার চেষ্টাকে প্রসারিত করার একটি বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গির অংশ।

    একের পর এক মিশন ইসরোর

    এই উদ্যোগ নেওয়ার পিছনে যা লক্ষ্য রয়েছে তা হল, ভারত ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশে স্পেশ স্টেশন গড়তে চাইছে। ২০৪০-এর মধ্যে প্রথম কোনও ভারতীয়কে চাঁদে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি একাধিক চন্দ্রযান মিশনের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে ইসরো-র। বহু উচ্চাকাঙ্খা সমৃদ্ধ এইসব লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভারত নেক্সট জেনারেশন লঞ্চ ভেহিকেল (Next Generation Launch Vehicle)-ও গড়তে উদ্যোগী।

    মঙ্গলযান-২ এর লক্ষ্য

    ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) তাদের মাসিক রিপোর্টে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর মহাকাশ কমিশনের ১৫৪তম সভায় মঙ্গল ল্যান্ডার মিশন (MLM) অনুমোদন পেয়েছে। এই মিশনের লক্ষ্য হলো মঙ্গলের পৃষ্ঠে একটি ভারতীয় মহাকাশযান অবতরণ করা, যা আগে শুধুমাত্র তিনটি দেশ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। মঙ্গলযান ২, যা মঙ্গল অরবিটার মিশন (MOM)-এর পরবর্তী ধাপ, মঙ্গলে ভারতের দ্বিতীয় অভিযান। মিশনের অংশ হিসেবে, ইসরো একটি স্কাই ক্রেনের মাধ্যমে রেট্রোথ্রাস্টার ব্যবহার করে মঙ্গল পৃষ্ঠে ল্যান্ডারটি হাল্কাভাবে নামানোর পরিকল্পনা করেছে।

    একসময় মঙ্গলে জল ছিল!

    বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, একসময় মঙ্গলে জল ছিল। এর পৃষ্ঠে তরল প্রবাহিত হয়েছে। এর ফলে প্রাচীন জীবনের কোনো চিহ্ন মঙ্গল মাটিতে থাকতে পারে। ইসরো এই মিশনের (Mangalyaan 2) মাধ্যমে তাই খুঁজে বের করার পরিকল্পনা করেছে। এছাড়া, ইসরো এই অভিযানের জন্য, একটি ছোট ফ্লাইং ড্রোন পাঠানোর পরিকল্পনাও করেছে (ISRO), যা মঙ্গলের পাতলা বায়ুমণ্ডলে কাজ করতে সক্ষম হবে। ড্রোনের পাখা এবং রোটরকে পৃথিবীর তুলনায় অনেক দ্রুতগতিতে ঘুরতে হবে, যাতে তা প্রয়োজনীয় উত্তোলন শক্তি সৃষ্টি করতে পারে।

  • 2024 yr4: হিরোশিমার থেকে শক্তি বেশি ১০ গুণ! পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু

    2024 yr4: হিরোশিমার থেকে শক্তি বেশি ১০ গুণ! পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল বড় এক গ্রহাণু। হিরোশিমায় যে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল তার থেকে ১০০ গুণ বেশি এর শক্তি। ২০২৪ ওয়াইআর৪ নামে ওই বিশাল অ্যাস্টেরয়েড ২ ডিসেম্বর ২০৩২-এ পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটাতে পারে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে নাসা-অর্থিত টেলিস্কোপ ব্যবহার করে অ্যাস্টেরয়েড ২০২৪ ওয়াইআর৪ আবিষ্কার করে। প্রথমে এর সংঘর্ষের সম্ভাবনা ছিল ১.২%, তবে সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী এটি ২.৩% বৃদ্ধি পেয়েছে।

    কত বড় এই গ্রহাণু

    বর্তমানে, নাসা ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি হাজার হাজার অ্যাস্টেরয়েড পর্যবেক্ষণ করছে। তবে ২০২৪ ওয়াইআর৪ একমাত্র অ্যাস্টেরয়েড যার সংঘর্ষের সম্ভাবনা ১%-এর বেশি। এটি বর্তমানে টোরিনো ইমপ্যাক্ট হ্যাজার্ড স্কেলে ৩ নম্বরে রয়েছে। এই স্কেলটি ০ থেকে ১০ পর্যন্ত, যেখানে ০ মানে কোন বিপদ নেই এবং ১০ মানে সভ্যতা শেষের সম্ভাবনা হতে পারে। এর আগের যে অ্যাস্টেরয়েডটি এই স্কেলে বেশি রেটিং পেয়েছিল, তা পরবর্তীতে ক্ষতিকর নয় বলে জানা যায়। বিজ্ঞানীদের মতে, এই অ্যাস্টরয়েডের ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা ১.৮% থেকে ২.৩% হতে পারে। এই অ্যাস্টরয়েডের সাইজ প্রায় ৩০০ ফুট (৯০মিটার) পর্যন্ত হতে পারে। যে সাইজের অ্যাস্টরয়েড আসছে তা পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হলে একটি পুরো শহরকে ধ্বংস করে ফেলতে পারে৷ ১৯০৮ সালে সাইবেরিয়া তুঙ্গুস্কাতে যে অ্যাস্টরয়েড পড়েছিল এই গ্রহাণুর সাইজটিও সেইটার মতোই বড়৷

    সম্ভাব্য প্রভাব এবং ধ্বংসযজ্ঞ

    যদি ২০২৪ ওয়াইআর৪ পৃথিবীতে আঘাত হানে, তবে বিস্ফোরণের শক্তি ১৫ মেগাটন টিএনটি-এর সমান হবে, যা হিরোশিমা বোমার চেয়ে ১০০ গুণ বেশি। সংঘর্ষের ক্ষেত্র থেকে ৫.৭ কিলোমিটার পর্যন্ত ধ্বংসাত্মক প্রভাব অনুভূত হবে। আরো বেশি ধ্বংস ৮.৮ কিলোমিটার এলাকায় হতে পারে, এবং মৃত্যু ঘটতে পারে ১৯ কিলোমিটার পর্যন্ত। লন্ডনে সরাসরি আঘাত হানলে, ওয়েস্টমিনস্টার থেকে ক্রোয়ডন পর্যন্ত পুরো এলাকা ধ্বংস হয়ে যাবে। ম্যানচেস্টার, বেলফাস্ট, অথবা এডিনবরা শহরেও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হবে। এমনকি ছোট শহরগুলোও কয়েক মাইল জুড়ে বিধ্বস্ত হবে। তবে,বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এখনও সংঘর্ষের সম্ভাবনা কম। পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশই জলাশয়, তাই সাগরের উপর আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি। এর আগে অনেক অ্যাস্টেরয়েডের সংঘর্ষের ঝুঁকি কমে গিয়েছে হিসেব-নিকেশের মাধ্যমে।

  • Chandrayaan 4: চাঁদ থেকে পাথর, মাটি সংগ্রহ করে ফিরবে পৃথিবীতে, কবে পাড়ি দিচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৪’?

    Chandrayaan 4: চাঁদ থেকে পাথর, মাটি সংগ্রহ করে ফিরবে পৃথিবীতে, কবে পাড়ি দিচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৪’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৭ সালে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেবে ‘চন্দ্রযান ৪’ (Chandrayaan 4)। ওই অভিযানে চাঁদের পাথর, মাটির নমুনা নিয়ে ফের পৃথিবীতে ফিরে আসবে মহাকাশযানটি। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh)। একইসঙ্গে, ‘গগনযান’ (Gaganyaan Mission) ও ‘সমুদ্রযান’ (Samudrayaan Mission) মিশনের সময়ও ঘোষণা করেন তিনি। ফলে, আগামী তিন বছর ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সময় আসতে চলেছে (ISRO Future Projects)।

    চাঁদের পাথর-মাটি নমুনা সংগ্রহ

    জিতেন্দ্র জানান, চন্দ্রযান ৪ (Chandrayaan 4) অভিযানে প্রথমবার ব্যবহার করা একটি নয়, দুটি হভি লিফ্ট এলভিএম ৩ রকেট (LVM3 Rocket)। দুই ভারী রকেটে করে পাঠানো হবে এই মিশনের জন্য প্রয়োজন পাঁচটি বিভিন্ন অংশকে। সেগুলি দুটি ভাগে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে সেখানে জুড়বে। চন্দ্রযান ৪ (Chandrayaan 4) মিশনের লক্ষ্য হল চাঁদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফিরে আসা। অন্যদিকে, গগনযান অভিযান সম্পর্কে বলতে গিয়ে জিতেন্দ্র জানান, আগামী বছর মহাকাশে পাড়ি দেবে গগনযান। ওই মিশনে পৃথিবীর কাছাকাছি কক্ষপথে চার ভারতীয় মহাকাশচারীকে পাঠানো হবে। শুধু মহাকাশ নয়, সমুদ্রের গভীরেও বিশেষ অভিযান চালাবে ইসরো। সেটাও আগামী বছরেই। জিতেন্দ্র জানান, মিশন সমুদ্রযান-এর মাধ্যমে তিনজন বিজ্ঞানী বিশেষভাবে নির্মিত সাবমার্সিবল (ডুবো) ভেসেলে চেপে সমুদ্রের ৬ হাজার মিটার গভীরে গিয়ে গবেষণা চালাবেন। সিং বলেন, ‘‘বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষতার লক্ষ্যে দেশের এই অগ্রগতি বাকি বিশ্বের সঙ্গে ভারতকে একাসনে বসাবে।’’

    সমুদ্রযান অভিযানের গুরুত্ব অপরিসীম

    গত বছরের স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় সমুদ্রযানের কথা উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এদিন জিতেন্দ্র জানান, সমুদ্রযান অভিযানের প্রধান লক্ষ্য হল সমুদ্রতলের মূল্যবান সম্পদ এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের উন্মোচন করা যা আখেরে ভারতের অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত লক্ষ্যপূরণের জন্য অপরিহার্য। গগনযান মিশন নিয়ে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, চলতি বছর এই অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে দেশে তৈরি হিউম্যানয়েড রোবট ‘বিয়োমিত্র’-কে মহাকাশে পাঠানো হবে এবং আবার ফিরিয়ে আনা হবে। এর পর, সামনের বছর মানব-অভিযান সম্পন্ন করা হবে (ISRO Future Projects)।

    মোদি জমানায় মহাকাশ সেক্টরে বিপুল উন্নতি

    জিতেন্দ্র সিংয়ের মতে, মোদি জমানায় গত এক দশকে মহাকাশ সেক্টরে (India Space Sector) প্রভূত পরিমাণ উন্নতি করেছে ভারত। পরিকাঠামোগত হোক বা বিনিয়োগ এই ক্ষেত্রে ভারত ব্যাপকহারে অগ্রসর হয়েছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, ইসরো (ISRO) গঠন হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। এর দুদশক পার করার পর ১৯৯৩ সালে দেশে প্রথম লঞ্চপ্যাড (রকেট উৎক্ষেপণের প্ল্যাটফর্ম) গড়ে তোলে ভারত। দ্বিতীয় লঞ্চপ্যাড নির্মাণ হয় ২০০৪ সালে। তিনি বলেন, ‘‘এখন ভারী রকেট উৎক্ষেপণের জন্য আমরা প্রথমবার তৃতীয় লঞ্চপ্যাড নির্মাণ করছি। পাশাপাশি, শ্রীহরিকোটার চাপ কমাতে এবং ছোট রকেট উৎক্ষেপণের জন্য তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনে নতুন উৎক্ষেপণকেন্দ্র গড়ে তুলছি।’’

    দেশের মহাকাশ ক্ষেত্রে বিনিয়োগর জোয়ার

    বর্তমানে ভারতের মহাকাশ অর্থনীতির মূল্য প্রায় ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার। এই গতিতে চললে, আগামী এক দশকে তা ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে পৌঁছতে পারে। আর তেমনটা হলে, মহাকাশ-শক্তিধর হিসেবে বিশ্বের হাতে গোনা দেশগুলির সঙ্গে একই সরণিতে চলে আসবে ভারত। এটা সম্ভব হয়েছে কারণ, মোদি জমানায়, এই মহাকাশ বিজ্ঞান ক্ষেত্রে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে বহু বেসরকারি সংস্থাও। যার ফলে, এখন ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে উদ্ভাবন ও বিনিয়োগের জোয়ার চোখে পড়ছে (ISRO Future Projects)।

  • Shubhanshu Shukla: রাকেশ শর্মার পর প্রথম ভারতীয়, নাসার হাত ধরে মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছেন শুভাংশু

    Shubhanshu Shukla: রাকেশ শর্মার পর প্রথম ভারতীয়, নাসার হাত ধরে মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছেন শুভাংশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে মহাকাশে যেতে চলেছেন শুভাংশু শুক্ল। ১৯৮৪-তে রাকেশ শর্মার পর এবার মহাকাশে পাড়ি জমাবে কোনও ভারতীয়। নাসার মহাকাশ অভিযানে যাবেন উইং কমান্ডার শুভাংশু। নাসার অ্যাক্সিয়ম মিশন ৪ অভিযানে অংশ নিতে চলেছেন তিনি। এটি একটি বেসরকারি মহাকাশ অভিযান, যা স্পেসএক্স ড্রাগন মহাকাশযানের সঙ্গে যুক্ত। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ হবে।

    ইতিহাসের দরজায় ভারত

    দেখতে দেখতে ৪০ টা বছর পার হয়ে গেল। ভারতের মুকুটে পালক লাগল আবার। ভারতের গগনযান অভিযানের জন্য ইসরো ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশুকে মহাকাশচারী হিসেবে বেছে নিয়েছিল। এই মিশনের জন্য ইসরো, নাসা এবং অ্যাক্সিওম স্পেস একসঙ্গে কাজ করছে। নাসার অ্যাক্সিয়ম মিশন ৪ অভিযানে পাইলটের ভূমিকায় কাজ করবেন শুভাংশু শুক্ল। সঙ্গে থাকবেন আরও তিনজন মহাকাশচারী। অভিজ্ঞ মার্কিন মহাকাশচারী ও মিশন কমান্ডার পেগি হুইটসন, পোল্যান্ডের স্লাওসুজ উজনানস্কি-উইসনিয়েভস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবর কাপু।

    শুভাংশুর সফর

    শুভাংশু শুক্লর জন্ম ১৯৮৫ সালের ১০ অক্টোবর। উত্তরপ্রদেশের লখনউতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পাইলট হিসেবে শুভাংশু মোট ২০০০ ঘণ্টা আকাশে থেকেছেন। ২০০৬ সালে তিনি ভারতীয় বায়ুসেনার অফিসার হিসেবে কমিশন পান। তিনি যুদ্ধবিমানের টেস্ট পাইলট এবং কমব্যাট লিডার। সুখোই-৩০, মিগ ২১, মগ ২৯, জাগুয়ার, হক, ডর্নিয়ার সহ বিভিন্ন ধরনের বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা আছে তাঁর।

    ইসোরোর ঘোষণা

    এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর আমেরিকা সফরকালে ঘোষণা করেছিলেন এই অভিযানের কথা। মোদি বলেছিলেন, ভারতের একজন মহাকাশচারী খুব শীঘ্রই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যাবেন। সেই ঘোষণাই অবশেষে বাস্তবায়িত হতে চলেছে বলে জানিয়েছে ইসরো। তারা একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আমেরিকার একটি বেসরকারি সংস্থা অ্যাক্সিয়ম স্পেস ইনকর্পোরেশনের সঙ্গে এ ব্যাপারে চুক্তি হয়েছিল তাদের। সেই চুক্তি অনুযায়ীই দু’জন ‘গগনযাত্রী’কে বেছে নিয়েছে ন্যাশনাল মিশন অ্যাসাইনমেন্ট বোর্ড। মূল মহাকাশচারী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে গ্রুপ ক্যাপটেন শুভাংশুকে। তাঁর বিকল্প হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে গ্রুপ ক্যাপটেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণন নায়ারকে। শীঘ্রই এই অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করবেন দু’জনে। তাঁরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাড়ি দেবেন স্পেসএক্সের রকেটে।

  • ISRO 100th Mission: মহাকাশে ক্রমশ ডানা মেলছে ভারতের ‘নাবিক’, জিপিএস-এর বিকল্প হাতের মুঠোয়?

    ISRO 100th Mission: মহাকাশে ক্রমশ ডানা মেলছে ভারতের ‘নাবিক’, জিপিএস-এর বিকল্প হাতের মুঠোয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই অতীত হতে চলেছে এদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিপিএস-এর ব্যবহার? নির্ভুল দেশীয় নেভিগেশন সিস্টেম (NavIC Navigation System) কি হাতের মুঠোয় করে ফেলল নরেন্দ্র মোদির ভারত? প্রশ্নটা উঠছে, কারণ বুধবার এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। শততম উৎক্ষেপণে (ISRO 100th Mission) সফলভাবে মহাকাশে পৃথিবীর নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রতিস্থাপন করল এনভিএস-০২ উপগ্রহকে। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ভোর ৬টা ২৩ মিনিটে স্যাটেলাইটকে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেয় জিওসিনক্রোনাস লঞ্চ ভেহিকল (জিএসএলভি-এফ১৫) রকেট। কিছুক্ষণ পরই, নির্দিষ্ট কক্ষপথে উপগ্রহটিকে প্রতিস্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়।

    মহাকাশ প্রযুক্তিতে আত্মনির্ভর ভারত (ISRO 100th Mission)

    জিএসএলভি-এফ১৫ হল ভারতের নিজস্ব জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলের ১৭তম উৎক্ষেপণ এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্রায়োজেনিক স্টেজ (ইঞ্জিন) ব্যবহৃত একাদশতম অভিযান। এদিনের সফল অভিযানের (ISRO 100th Mission) মাধ্যমে অত্যাধুনিক মহাকাশ প্রযুক্তিতে আত্মনির্ভরতার জায়গা ফের একবার মজবুত করল ভারত। সক্ষমতা ও নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে এবারের উৎক্ষেপণে ৩.৪ ব্যাসের ধাতব বস্তু দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল রকেটের পেলোড ফেয়ারিং (রকেটের মাথায় রাখা স্যাটেলাইটের রক্ষাত্মক বর্ম)।

    ইসরো জানিয়েছে, এনভিএস-০২ উপগ্রহ ভারতের নেভিগেশন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় (NavIC Navigation System) সহায়তা প্রদান করবে। এতে রয়েছে দেশে তৈরি এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা অ্যাটমিক ঘড়ির কম্বিনেশন, যার মাধ্যমে নির্ভুল সময় (গন্তব্যে পৌঁছনোর) উপলব্ধ হবে। এনভিএস-০২ উপগ্রহটি হল ভারতে তৈরি দ্বিতীয় প্রজন্মের নেভিগেশন সিরিজের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট। ২০২৩ সালের মে মাসে এই সিরিজের প্রথম উপগ্রহ এনভিএস-০১ উৎক্ষেপিত হয়েছিল।

    এনভিএস-০২ স্যাটেলাইট আদতে ঠিক কী?

    দীর্ঘদিন ধরেই ভারত মার্কিন নেভিগেশন সিস্টেম জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম)-এর মতো নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম তৈরি (NavIC Navigation System) করার কাজ করছে। ভারতের এই স্বাধীন আঞ্চলিক সিস্টেমের নাম— ইন্ডিয়ান নেভিগেশন উইথ ইন্ডিয়ান কনস্টিলেশন (সংক্ষেপে ‘নাবিক’)। ইসরো নির্মিত এই প্রকল্পের প্রথম উপগ্রহ ছিল এনভিএস-০১। এদিন এই সিরিজের দ্বিতীয় উপগ্রহ উৎক্ষেপণ (ISRO 100th Mission) হল। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, ‘নাবিক’ সিস্টেমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বুধবার যে উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, তার সক্ষমতা, নির্ভুলতা, পারফরম্যান্সের ধার ও ভার পূর্বসুরীর তুলনায় ঢের বেশি।

    জিপিএস-এর শক্তিশালী বিকল্প হয়ে উঠছে ‘নাবিক’

    নিজস্ব উপগ্রহ-ভিত্তিক নেভিগেশন পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ভারত যে কতটা বদ্ধপরিকর তার প্রমাণ এদিনের এনভিএস-০২ অভিযান। আরও বেশি নিখুঁত, আরও বেশি নির্ভরযোগ্যতা এবং ক্ষমতাবৃদ্ধি— এই তিনের মিশেল রয়েছে নতুন স্যাটেলাইটে। এর ফলে, কৃষি থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা এবং জাতীয় নিরাপত্তা— সর্বত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ‘নাবিক’ (NavIC Navigation System)। এদিনের সফল উৎক্ষেপণের (ISRO 100th Mission) ফলে একদিকে ভারতের প্রযুক্তিগত আত্মনির্ভরতা আরও প্রতিষ্ঠিত হল। একইভাবে, মহাকাশ প্রযুক্তিতে বিশ্বের দরবারে ভারতের ক্ষমতাও এক কদম এগলো।

  • ISRO: নতুন বছরেই সেঞ্চুরি ইসরোর! শততম উৎক্ষেপণে সাফল্য, মহাকাশে পৌঁছে দিল ‘নাবিক’-কে

    ISRO: নতুন বছরেই সেঞ্চুরি ইসরোর! শততম উৎক্ষেপণে সাফল্য, মহাকাশে পৌঁছে দিল ‘নাবিক’-কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরেই ফের সাফল্যের মুকুট ইসরোর। শততম মিশনেও সাফল্য পেল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ভোর ৬টা ২৩ মিনিটে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় জিএসএলভি-এফ১৫ রকেটকে। ইসরোর নতুন চেয়ারম্যান ভি নারায়ণের নেতৃত্বে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টার থেকে এই রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়। এটাই ২০২৫ সালে ইসরোর প্রথম মিশন। এদিন দেশীয় ক্রায়োজেনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ত্রিস্তরীয় রকেট জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (জিএসএলভি)-এফ-১৫ কক্ষপথে স্থাপন করল এনভিএস-০২ উপগ্রহকে। প্রসঙ্গত, এই উপগ্রহ হল, ভারতের নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম ‘নাবিক’-এর অন্তর্ভুক্ত দ্বিতীয় প্রজন্মের দ্বিতীয় উপগ্রহ।

    ৪৬ বছর পর শততম উৎক্ষেপণ

    শ্রীহরিকোটা থেকে ইসরো প্রথম স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল উৎক্ষেপণ করা হয় ১৯৭৯ সালের ১০ অগাস্ট। স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল ৩-তে (এসএলভি-৩ ই-১০) চাপিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে রোহিণী  পে-লোডের উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। সেইসময় ভারতীয় মহাকাশ সংস্থায় ছিলেন এপিজে আবদুল কালাম। তিনি ওই মিশনের অধিকর্তা ছিলেন। প্রায় ৪৬ বছর পর শততম উৎক্ষেপণ করল ইসরো। ইসরো এই রকেটকে ‘নটি বয়’ নাম দিয়েছে। কারণ বারংবার উৎক্ষেপণে ব্যর্থ হয়েছে এই রকেট। ১৬টি লঞ্চের মধ্যে মাত্র ১০ লঞ্চ বা উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে, বাকি সবই ব্যর্থ হয়েছে। ৩৭ শতাংশ ব্যর্থতার হার নিয়ে এবার ১০০ তম মিশনে ফুল মার্কস পেল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। উল্লেখ্য, শততম উৎক্ষেপণের নজির গড়ার আগে মঙ্গলবার চেয়ারম্যান ভি নায়ায়ণন-সহ সংস্থার শীর্ষকর্তারা পুজো দিতে যান অন্ধ্রের তিরুপতির বিশ্বখ্যাত তিরুমালা বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে। তারপরেই ‘নটি বয়’ সাফল্য পেল।

    কী করবে জিএসএলভি এফ ১৫

    এদিন এই ঐতিহাসিক উৎক্ষেপণের পরে ইসরোর তরফে বলা হয়েছে, ‘লিফট-অফ! এনভিএস ০২-কে নিয়ে সাফল্যের সঙ্গে উৎক্ষেপণ করেছে জিএসএলভি-১৫।’ ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, জিএসএলভি-এফ১৫ এনভিএস-০২ স্যাটেলাইটকে জিওসিনক্রোনাস ট্রান্সফার অরবিটে পৌঁছে দেয়। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইসরোর এই সাফল্যকে কুর্নিশ করেছেন। তাঁর কথায়, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ক্রমশ উন্নতির পথে চলছে। দেশের মুকুটে যুক্ত হচ্ছে এক-একটি পালক।

  • Planetary Parade: আজ সন্ধ্যার আকাশে এক সারিতে ৬ গ্রহ! মহাকাশে ঘটবে বিরল ‘প্ল্যানেট প্য়ারেড’

    Planetary Parade: আজ সন্ধ্যার আকাশে এক সারিতে ৬ গ্রহ! মহাকাশে ঘটবে বিরল ‘প্ল্যানেট প্য়ারেড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হতে চলেছে পৃথিবী। মহাকাশে এক সারিতে আসবে সৌরজগতের ছয়টি গ্রহ (Planetary Parade)। তার বেশিরভাগটাই খালি চোখে দেখা যাবে। শনি-সন্ধ্যায় মহাকাশে ঘটতে চলেছে বিরল মহাজাগতিক ঘটনা। সূর্যাস্তের ৪৫ মিনিট পর এক সারিতে আসছে ৬ গ্রহ। ঝকঝকে রাতের আকাশে চলবে গ্রহ নক্ষত্রের খেলা। ‘প্ল্যানেট প্য়ারেডে’ অংশ নিচ্ছে ইউরেনাস-নেপচুনও। এটাকে বলা হয় প্ল্যানেটারি অ্যালাইনমেন্ট। একই সরলরেখায় আসবে মঙ্গল-বৃহস্পতি-শুক্র-শনি-ইউরেনাস-নেপচুন।

    কতক্ষণ দেখা যাবে

    জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৩ ঘণ্টা স্থায়ী হবে গ্রহের প্যারেড। খালি চোখেই দেখা যাবে মঙ্গল-বৃহস্পতি-শুক্র-শনিকে। তবে ইউরেনাস-নেপচুনকে (Planetary Parade) দেখতে প্রয়োজন হবে টেলিস্কোপের। এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে চলছে জোর চর্চা। সকাল থেকেই বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামে ব্যাপক ভিড়। গ্রহের সারিবদ্ধতা এমন একটি ঘটনাকে বোঝায় যেখানে সৌরজগতের গ্রহগুলিকে পৃথিবী থেকে এক সরলরেখায় অবস্থান করতে দেখা যায়। খালি চোখের তুলনায় যন্ত্রের সাহায্যে এই দৃশ্য আরও ঝকঝকে হয়ে উঠবে।

    কখন, কোন আকাশে দেখা যাবে বিরল দৃশ্য 

    জ্যোতির্বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারি বলছেন, সন্ধ্যা সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে দেখা যাবে এই অতি-বিরল দৃশ্য। তাঁর কথায়, “সন্ধ্যাবেলার আকাশে মোটামুটি ৭টা সাড়ে ৭টার দিকে খুব ক্ষীণভাবে হলেও শনি গ্রহকে দেখতে পাওয়া যাবে। তার ঠিক একটু উপরে দক্ষিণ-পশ্চিম দিগন্তে থাকবে শুক্র গ্রহ। ওটা কিন্তু বেশ উজ্জ্বল।” দেখা যাবে বৃহস্পতিকেও। তাঁর কথায়, “একইসময় মাথার মোটামুটি উপরে থাকবে বৃহস্পতি। বেশ কিছুটা পূর্ব দিগন্তে থাকবে মঙ্গলগ্রহ। সুতরাং পশ্চিম থেকে পূর্ব দিগন্ত ঘিরে একটা সরলরেখায় এই গ্রহগুলিকে দেখা যাবে। খালি চোখেই দেখা যাবে। আরও দুটো গ্রহ থাকছে এই রেখায়। তবে তাঁদের খালি চোখে দেখা যাবে না। ইউরেনাস-নেপচুন। ওরা থাকবে শুক্র গ্রহের কাছাকাছি অঞ্চলে। কিন্তু এত ক্ষীণ যে খালি চোখে দেখা কার্যত অসম্ভব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share