Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Chandrayaan-3: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মিলল সালফার! রয়েছে অক্সিজেনও, জলের খোঁজে প্রজ্ঞান

    Chandrayaan-3: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মিলল সালফার! রয়েছে অক্সিজেনও, জলের খোঁজে প্রজ্ঞান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সালফার, অক্সিজেন, ক্যালসিয়াম, টাইটেনিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো ধাতু ও মৌল খুঁজে পেল চন্দ্রযান ৩-র (Chandrayaan-3) রোভার প্রজ্ঞান (Pragyan)। সেইসঙ্গে চন্দ্রপৃষ্ঠে আরও একাধিক যৌগের হদিশ মিলেছে বলে জানিয়েছে ইসরো। ট্যুইটার হ্যান্ডলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই খবর জানিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)।

    কী কী খনিজের খোঁজ মিলল

    ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের (Chandrayaan-3) দক্ষিণ মেরুর কাছে রয়েছে সালফার। নিশ্চিত করেছে রোভার প্রজ্ঞান (Pragyan)। তারা আরও জানিয়েছে, সালফারের পাশাপাশি অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, লোহা, ক্রোমিয়াম, টাইটেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন, অক্সিজেনের অস্তিত্বও মিলেছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। হাইড্রোজেনের খোঁজ চলছে। হাইড্রোজনের যদি সন্ধান পাওয়া যায়, তাহলে জলের উপস্থিতির বিষয়ে ধারণা পাওয়া যাবে। মঙ্গলবার একটি বিবৃতিতে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, চন্দ্রযান ৩-র রোভার প্রজ্ঞানে ‘লেসার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কপি’ (সংক্ষেপে LIBS) আছে। যা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে চন্দ্রপৃষ্ঠে কী কী যৌগ আছে, সেটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে ‘লেজার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কপি’।

    আরও পড়ুন: ফুরিয়ে আসছে আয়ু, হাতের কাজ শেষ করতে ব্যস্ত প্রজ্ঞান

    চাঁদ নিয়ে গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ

    গত ২৪ অগাস্ট ভোরে ল্যান্ডার বিক্রম থেকে নেমে এসেছিল রোভার প্রজ্ঞান (Pragyan)। তার পর থেকে ছ’চাকা বিশিষ্ট এই যান চাঁদে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। সেকেন্ডে এক সেন্টিমিটার গতি প্রজ্ঞানের। তাতেই বাজিমাত করে চলেছে সে। প্রজ্ঞানে রয়েছে ‘লেজার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কপি’ প্রযুক্তি। এটি হল একটি বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া। যা লেজার পালসের মাধ্যমে বিভিন্ন উপকরণের গঠন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে। বেঙ্গালুরুর ইসরোতে ইলেক্ট্রো-অপটিকস সিস্টেমের গবেষণাগারে এই প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে। চাঁদের মাটিতে ছ’দিন কাটিয়েছে প্রজ্ঞান। চাঁদের (Chandrayaan-3) দক্ষিণ মেরুর কাছে যে অংশে ল্যান্ডার বিক্রম অবতরণ করেছে, আগে অন্য কোনও দেশ সেখানে মহাকাশযান পাঠাতে পারেনি। ফলে ওই এলাকাটি পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের কাছে অজানা। প্রজ্ঞান যে তথ্য পাঠাচ্ছে, তা চাঁদ নিয়ে গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বলে জানিয়েছে ইসরো (ISRO)। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: বড়সড় গর্তের সামনে প্রজ্ঞান, কীভাবে বিপদ এড়াল জানেন?

    Chandrayaan 3: বড়সড় গর্তের সামনে প্রজ্ঞান, কীভাবে বিপদ এড়াল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মামাবাড়ি’তে গিয়ে প্রথম বিপদের মুখে প্রজ্ঞান! চাঁদের মাটিতে রোভার প্রজ্ঞান যেখানে ছিল, তার তিন মিটার দূরেই ছিল চার মিটার চওড়া একটি গর্ত। এই গর্তে পড়লে সমূহ বিপদ হত প্রজ্ঞানের। তবে এই গর্ত এড়ানোয় বিপদে পড়েনি প্রজ্ঞান। ট্যুইট-বার্তায় ইসরো জানিয়েছে, প্রজ্ঞানের (Chandrayaan 3) অবস্থানের চেয়ে তিন মিটার দূরে গর্তটি দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে রোভারটিকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। তাই কোনও বিপদ হয়নি।

    চন্দ্রযান ৩

    এই সেদিনও চাঁদের দক্ষিণ মেরু সম্পর্কে বিশেষ কোনও ধারণাই ছিল না তামাম বিশ্বের। অনাবিষ্কৃত এই অঞ্চলেই পা রাখে ভারতের চন্দ্রযান ৩। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে গর্ত, পাথর, ঢিবি অনেক বেশি। তাই নিরাপদ জায়গা বাছাই করেই সফট ল্যান্ডিং করেছে চন্দ্রযান ৩-র ল্যান্ডার বিক্রম। পরে তার পেট থেকে বেরিয়ে কাজ শুরু করেছে প্রজ্ঞান।

    প্রজ্ঞানের কাজ

    প্রতি সেকেন্ডে প্রজ্ঞানের (Chandrayaan 3) গতি মাত্র এক সেন্টিমিটার। ছ’টি চাকার সাহায্যে চাঁদের মাটিতে অনুসন্ধান কার্য চালাচ্ছে এই রোভার। প্রজ্ঞান যে চাঁদের মাটির উষ্ণতা মেপেছে, রবিবারই সে খবর জানিয়েছিল ইসরো। চাঁদের মাটির গভীরে দশ সেন্টিমিটার পর্যন্ত যেতে পারবে প্রজ্ঞান। পৃথিবীর হিসেবে ১৪ দিন চন্দ্রালোকে কাজ করবে চন্দ্রযান ৩। কারণ এই সময়টাই চাঁদে দিন। যেহেতু চন্দ্রযান ৩ কাজ করছে সোলার প্যানেলের সাহায্যে, তাই সূর্যের আলো জরুরি। চাঁদে সূর্য অস্ত গেলে শক্তি হারাবে চন্দ্রযান ৩। ইসরো জানিয়েছে, চাঁদে এখনও পর্যন্ত সবকিছু তাদের পরিকল্পনা মতোই হচ্ছে। কোনও সিস্টেমে কোনও গন্ডগোল হয়নি।

    প্রসঙ্গত, ২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছায় চন্দ্রযান ৩-র (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার বিক্রম। বিক্রম যে জায়গায় ল্যান্ড করে, সেই জায়গাটির নাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেন ‘শিবশক্তি পয়েন্ট’। এই ‘শিবশক্তি’ পয়েন্টেই দাঁড়িয়ে রয়েছে বিক্রম। গুটি গুটি পায়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে প্রজ্ঞান। পেঁয়াজের খোসার মতো একটু একটু করে খুলছে চন্দ্রভূমের পরত।

     

    আরও পড়ুুন: ‘‘দত্তপুকুর বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল আরডিএক্স,’’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Aditya-L1: রবির উদ্দেশে রওনা শনিতেই! ‘আদিত্য-এল১’ উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ ঘোষণা ইসরোর

    Aditya-L1: রবির উদ্দেশে রওনা শনিতেই! ‘আদিত্য-এল১’ উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ ঘোষণা ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনা চলছিলই। তারিখ জানা গিয়েছিল আগেই। এবার তাতে সরকারি সিলমোহর পড়লো। ইসরো জানিয়ে দিল, আগামী ২ সেপ্টেম্বরেই সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দেবে বিশেষ সোলার প্রোব বা অন্বেষণকারী উপগ্রহ ‘আদিত্য-এল১’। অর্থাৎ, আগামী শনিবারই রবির দেশে পাড়ি দেবে ভারতের সূর্য-যান।

    রবির দেশে পাড়ি শনিতেই…

    চাঁদ চলে এসেছে হাতের মুঠোয়। গত বুধবারই ইতিহাস রচনা করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের যান পাঠিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করার অনন্য কৃতিত্বও অর্জন করেছে ইসরো। কিন্তু, এত কিছু সত্ত্বেও, দম ফেলার জো নেই ভারতীয় বিজ্ঞানীদের। কাজ এখন অনেক বাকি। সময় নষ্ট না করে ভবিষ্যতের মিশনের প্রস্তুতি এখন থেকেই চলছে পুরোদমে। এবার গন্তব্য সূর্য।

     

     

    গত বৃহস্পতিবারই, ইসরোর তরফে ইঙ্গিত মিলেছিল যে, ২ সেপ্টেম্বর উৎক্ষেপণ হতে পারে আদিত্য মিশনের। সোমবার তাতে পড়ল সরকারি সিলমোহর। এদিন ইসরোর তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ বেজে ৫০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে পিএসএলভি-৫৭ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেবে ‘আদিত্য-এল১’। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব প্রায় পৌনে চার লক্ষ কিলোমিটার। ‘আদিত্য-এল১’-কে (Aditya-L1) যেখানে পাঠানো হচ্ছে, তা পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ১২৭ দিন। ‘আদিত্য-এল১’ মিশন হতে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে প্রথম সৌর অভিযান। 

    ‘আদিত্য-এল১’ নামের তাৎপর্য কী?

    সোলার প্রোবের উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরেই জল্পনা চলছিল। ২০২০ সালেই এই মিশন লঞ্চ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, করোনা অতিমারির জন্য তা পিছিয়ে যায়। ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1) আদতে একটি করোনাগ্রাফি স্যাটেলাইট। ইসরোর আমদাবাদের স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ডিরেক্টর নীলেশ এম দেশাই জানান, এই মিশনের সব কাজ ও প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এবার বাকি শুধু উড়ানের। হিন্দু দেবতা সূর্যের আরেক নাম আদিত্য। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই নামকরণ করা হয়েছে উপগ্রহের (ISRO Sun Mission)। অন্যদিকে, এল-১ শব্দবন্ধের একটা আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। এল১-এর পুরো অর্থ হলো ‘ল্যাগ্রাঞ্জ ওয়ান’। এটি সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী জায়গার একটি বিশেষ বিন্দু, যা পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। 

    কেন ‘ল্যাগ্রাঞ্জ ওয়ান’ পয়েন্টকে বাছাই করা হলো?

    দুটি মূল কারণে ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1) উপগ্রহকে এই ‘ল্যাগ্রাঞ্জ ওয়ান’ পয়েন্টে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশে, প্রতিটি বস্তুর নিজস্ব মহাকর্ষীয় বল রয়েছে, যার জেরে তা একে অপরের দিকে টানে। যেমন পৃথিবীর রয়েছে অভিকর্ষজ বল। সাধারণ ভাষায়, যাকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি হিসেবেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে। ইসরো বিজ্ঞানীদের মতে, এই এল১ পয়েন্ট সৌর মণ্ডলের এমন একটি জায়গায় অবস্থিত, যেখানে সূর্য বা পৃথিবী, কারও ওই শক্তি বা বল কাজ করে না, অথবা, সম-শক্তিতে বিপরীত দিকে কাজ করে। যার ফলে, এই পয়েন্টে থাকলে, ‘আদিত্য-এল১’ স্থির থাকতে পারবে অনন্তকাল। দ্বিতীয়ত, এই জায়গা থেকে কোনও রকম বাধা ছাড়াই সর্বক্ষণ সূর্যকে দেখতে পারবে ‘আদিত্য-এল১’। এমনকী, গ্রহণের সময়েও সমস্যা হবে না। অর্থাৎ সূর্যকে নিরীক্ষণ করতে কোনও বাধাই থাকবে না। ফলে সূর্যে কী হয়ে চলেছে তার রিয়েল-টাইম অ্যাক্টিভিটি দেখা যাবে।

    কী কাজ করবে ‘আদিত্য-এল১’?

    সূর্যের বায়ুমণ্ডল সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে ‘আদিত্য-এল১’ (Aditya-L1)। এই মিশনের উদ্দেশ্য সৌরজগৎ নিয়ে অনুসন্ধান চালানো। অর্থাৎ সূর্যের জলবায়ু, সৌর শিখা, সৌর ঝড়-সহ একাধঝিক বিষয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। করোনা থেকে নির্গত তরঙ্গ, চৌম্বকীয় ক্ষেত্র পর্যবেক্ষণ করা হবে। জানা গিয়েছে, ৭ ধরনের বৈজ্ঞানিক পেলোড থাকবে এই উপগ্রহে (ISRO Sun Mission)। যেগুলির সাহায়্যে নানা ভাবে সূর্যকে ঘিরে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। সূর্যের ফোটোস্ফিয়ার, ক্রোমোস্ফিয়ার, সূর্যের বাইরের স্তরের উপর নজর রাখা হবে। এর জন্য ব্যবহার করা হবে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক পার্টিকেল ও ম্যাগনেটিক ফিল্ড ডিটেক্টর।

    ভবিষ্যতে ইসরোর মিশনের তালিকায় রয়েছে কী কী?

    অন্যদিকে, অদূর ভবিষ্যতে পর পর মহাকাশ মিশন রয়েছে ইরসোর ঝুলিতে। ২০২৪ সালে মঙ্গলগ্রহে মহাকাশযান পাঠানোর প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে ইসরো। এই অভিযানের নাম ‘মঙ্গলযান ২’। এই অভিযানে মঙ্গলের মাটিতে নামানো হবে ল্যান্ডার। ২০২৪ সালে আমেরিকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ‘নিসার’ (নাসা-ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার) পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। মহাকাশে ভারতের প্রথম মানবাভিযান ‘গগনযান’ নিয়েও ইসরোয় তুঙ্গে ব্যস্ততা। এটিই এখন নয়নের মণি, পাখির চোখ। ২০২৪ বা ২০২৫ সালে মহাকাশে পাড়ি দিতে চলেছে ভারতের এই মহাকাশযান। এছাড়া, প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে ‘শুক্রযান-১’ অভিযানের প্রস্তুতিও।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan-3: চাঁদে নামার পর ৮ মিটার গড়ালো প্রজ্ঞানের চাকা! আপডেট দিল ইসরো

    Chandrayaan-3: চাঁদে নামার পর ৮ মিটার গড়ালো প্রজ্ঞানের চাকা! আপডেট দিল ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের পৃষ্ঠে গুটি গুটি পায়ে হাঁটছে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। চাঁদের অচেনা দিকগুলিকে চিনতে চেষ্টা চালাচ্ছে সে। এখনও পর্যন্ত চাঁদের বুকে হাঁটাহাঁটি করে কতটা পথ অতিক্রম করল চন্দ্রযান-৩, সে সম্বন্ধে আপডেট দিল ইসরো। ইসরোর তরফে ট্যুইটে জানানো হয়েছে, পরিকল্পনা মাফিকই এগোচ্ছে রোভারের কার্যকলাপ। রোভারটি সফলভাবে প্রায় ৮ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে। 

    কীভাবে নামল প্রজ্ঞান

    ল্যান্ডার থেকে রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan) নেমেছে একটি ব়্যাম্পের সাহায্যে। মেট্রো স্টেশনে, কোনও শপিং মলে অনেকটা এমন ধরনের ব়্যাম্প আমরা দেখতে পাই। প্রায় ওই রকমই দেখতে কিন্তু আরও আধুনিক এবং সূক্ষ প্রযুক্তি নির্ভর ব়্যাম্প (Ramp) ব্যবহার হয়েছে রোভারটিকে নামাতে। ওই ব়্যাম্পটি ২টি সেগমেন্টের,আগে সেটি ল্যান্ডার বিক্রম থেকে নেমে চাঁদের মাটি ছোঁয়। তারপর সেটা বেয়ে নেমে আসে রোভার প্রজ্ঞান। তারপরেই একটি সোলার প্যানেল খুলে যায়, এটি লাগানো রয়েছে রোভার প্রজ্ঞানের গায়ে। এই সোলার প্যানেলের মাধ্যমেই শক্তি জোগাড় করবে প্রজ্ঞান। তারপরেই ধীরে ধীরে চাঁদের মাটিতে চাকা গড়ায় প্রজ্ঞানের। 

    আরও পড়ুন: দেশে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী গেলেন ইসরোয়! বিক্রমের অবতরণ ক্ষেত্রের নাম দিলেন ‘শিবশক্তি’

    কতটা পথ অতিক্রম

    ইতিমধ্যেই চাঁদের পাথুরে মাটিতে ৮ মিটার পথ অতিক্রমও করে ফেলেছে রোভার প্রজ্ঞান। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই খবর জানাল ইসরো। প্রজ্ঞানের এই হাঁটা সাধারণ হাঁটা নয়, হাঁটার পাশাপাশি খুঁটিয়ে দেখা চাঁদের মাটির বৈশিষ্ট্য। খতিয়ে দেখা পৃথিবীর উপগ্রহের ভূপ্রকৃতিও। সেই ইঙ্গিত মিলেছে ইসরোর বার্তাতেও। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, ‘এলআইবিএস’ এবং ‘এপিএক্সএস’— প্রজ্ঞানের ভিতরে দু’টি পে-লোড চালু হয়ে গিয়েছে। প্রজ্ঞান তো হেঁটে বেড়াবে চাঁদের মাটিতে, তা হলে পে-লোডের কাজ কী? বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ‘এপিএক্সএস’ বা ‘আলফা পার্টিকল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার’, যার কাজ হল চাঁদের মাটির রাসায়নিক গঠন এবং মাটির নীচে লুকিয়ে থাকা খনিজ ভান্ডারের গঠনের বিজ্ঞানসম্মত অনুমান। আপাতত সেই কাজও করতে শুরু দিয়েছে এপিএক্সএস। এপিএক্সএস ছাড়াও আরও একটি পে-লোড কাজ করছে। তা হল, ‘এলআইবিএস’ বা ‘লেসার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ’। এই পে-লোডটি চাঁদের মাটি এবং শিলার মৌলিক গঠন অর্থাৎ ম্যাগনেশিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন, টাইটেনিয়াম প্রভূতি রাসায়নিক কী রূপে মিশে রয়েছে, তা নিরুপণ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: পূর্বসূরির চোখে উত্তরসূরি! চাঁদের বুকে ‘বিক্রম’-এর ছবি তুলে পাঠালো ‘চন্দ্রযান ২’ অরবিটার

    Chandrayaan 3: পূর্বসূরির চোখে উত্তরসূরি! চাঁদের বুকে ‘বিক্রম’-এর ছবি তুলে পাঠালো ‘চন্দ্রযান ২’ অরবিটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালে তার সঙ্গীর অকালমৃত্যুতে সে একা হয়ে পড়েছিল। চার বছর ধরে সে একাই চাঁদের চারপাশে চরকি-পাক খাচ্ছিল। এবার সে একজন সঙ্গী পেয়েছে। চন্দ্রভূমে সফল অবতরণ করেছে তার উত্তরসূরি ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার। ইতিমধ্যেই সেই ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে ‘চন্দ্রযান ২’-এর অরবিটারের। এবার চন্দ্রপৃষ্ঠে থাকা ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর (Vikram-Pragyan) ছবি উঠলো চন্দ্র-২ অরবিটারে লাগানো ক্যামেরায়। সেই ছবি পোস্ট করা হয়েছে ইসরোর চন্দ্রযান-৩ ট্যুইটার হ্যান্ডলে।

    এখনও সচল চন্দ্র-২ অরবিটার

    ২০১৯ সালে চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ২’। কিন্তু, সেই অভিযান সফল হয়নি। অবতরণের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়েছিল ‘হার্ড-ল্যান্ডিং’ ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (‘চন্দ্রযান ৩’ অভিযানেও ল্যান্ডার ও রোভারের নাম অরপিবর্তিত রাখা হয়েছে)। কিন্তু, সচল রয়েছে চন্দ্র-২ অরবিটার। সে এখনও প্রদক্ষিণ করে চলেছে চাঁদকে। চার বছর আগের সেই ব্যর্থতার পর ২০২৩ সালে এসে সাফল্যের মুখ দেখল ইসরো। 

    মহাকাশে বিরাট লাফ ভারতের

    বুধবারই মহাকাশে বিরাট লাফ দিয়েছে ভারত। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করেছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও তার পেটে থাকা রোভার ‘প্রজ্ঞান’ (Vikram-Pragyan)। ইতিমধ্যেই, চাঁদের বুকে দাপিয়ে এদিক-ওদিক হেঁটে বেড়াচ্ছে রোভার। অন্যদিকে, এক জায়গায় স্থির রয়েছে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। এদিকে, চাঁদের চারপাশে চক্কর কাটতে কাটতে সেই ছবি তুলে নিলো ‘চন্দ্রযান ২’ অরবিটার। অর্থাৎ, পূর্বসূরির চোখে ধরা দিল উত্তরসূরি।

    ইসরোর তরফে যে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, চাঁদের মাটিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম। আগের দিনের সঙ্গে বর্তমানে ল্যান্ডারের অবস্থানের পার্থক্য বোঝাতে বুধবার দুপুরের আর বুধবার রাতের দুটো ছবি প্রকাশ করে ইসরো। দুটি ছবিই চন্দ্রপৃষ্ঠের এক জায়গার। দ্বিতীয় ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চারদিকে গর্তের মধ্যে, মোটামুটি সমতল একটা জায়গা খুঁজে নিয়ে ল্যান্ডার বিক্রম দাঁড়িয়ে রয়েছে চাঁদের মাটিতে। তার ছায়াও ধরা ছবিতে।

    ঠিকঠাক কাজ করছে বিক্রম-প্রজ্ঞান (Vikram-Pragyan)

    এর আগে, গতকাল ইসরো জানিয়েছিল, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) সকল সিস্টেম ঠিকঠাক কাজ করছে। সব প্যারামিটার স্বাভাবিক রয়েছে। ইসরো ট্যুইট করে জানিয়েছে, ‘‘সমস্ত কাজ নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী হচ্ছে। সমস্ত সিস্টেমও স্বাভাবিক রয়েছে। ল্যান্ডার মডিউল পেলোডগুলি— ইলসা, রম্ভা এবং চ্যাস্টে চালু করা হয়েছে। রোভারের গতিশীলতা কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। প্রপালশন মডিউলে শেপ পেলোড রবিবার চালু করা হয়েছে৷’’

    নামার আগে শেষ মুহূর্তের ভিডিও

    পাশাপাশি, ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) অবতরণের আগে চূড়ান্ত মুহূর্তগুলির একটি ভিডিও শেয়ার করেছে ইসরো। সেখানে দেখা যাচ্ছে, যতই চাঁদের দিকে এগিয়ে চলেছে ল্যান্ডার ততই স্পষ্ট হয়ে ধরা দিচ্ছে চাঁদ। ল্যান্ডার ইমেজার ক্যামেরায় ওই ছবিগুলি ধরা পড়ে অবতরণের একেবারে শেষ মুহূর্তে। ভিডিও শেয়ার করার সময় ইসরো টুইটে জানিয়েছে, ‘‘ল্যান্ডার ইমেজার ক্যামেরাটি মাটি স্পর্শ করার ঠিক আগে চাঁদের ছবি ধারণ করেছিল।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India On Moon: ইতিহাসের পাতায়! বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় ভারতের

    India On Moon: ইতিহাসের পাতায়! বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। নির্ধারিত সময়েই হলো বহু কাঙ্খিত টাচডাউন। চাঁদের বুকে সফট ল্যান্ডিং করলো ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। সেই সঙ্গে ইতিহাসের পাতায় ঢুকে পড়লো ভারত। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের অনাবিষ্কৃত দক্ষিণ মেরু জয় করলো ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’। একইসঙ্গে, আমেরিকা, সাবেক সোভিয়েত এবং চিনের পরেই চাঁদে সফল ভাবে মহাকাশযান অবতরণ করানো দেশের তালিকায় চতুর্থ হিসাবে নাম লেখাল ভারত। এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, ‘‘আমরা পেরেছি, চাঁদের দেশে পা রেখেছে ভারত। ইন্ডিয়া ইস অন দ্য মুন।’’

    কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে বসে ইতিহাসের সাক্ষী থাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সঙ্গে নতুন ইতিহাস সৃষ্টির সঙ্গে জুড়ে থাকলেন কোটি কোটি ভারতবাসী। ইসরোর তরফে একটি ট্যুইট করে বলা হয়, ‘চন্দ্রযান ৩’  সফলভাবে চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করেছে। একইসঙ্গে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’কে উদ্ধৃত করে লেখা হয়, ‘ভারত, গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছি আমি। লক্ষ্যপূরণ হল তোমারও।’’

    এত বড়ো সাফল্যের পর জোহানেসবার্গ থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। ‘‘তিনি বলেন, ভারতের উদীয়মান ভাগ্যের আহ্বান এই মুহূর্তে। অমৃতকালের আহ্বান। অন্তরীক্ষে নতুন ভারতের উদয়।’’ প্রধানমন্ত্রীর মতে, আজ ১৪০ কোটি ভারতীয়র হৃদস্পন্দন জড়িয়ে ছিল। ইসরো বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করেন মোদি। বলেন, ‘‘টিম চন্দ্রযানকে, বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা। তাঁরা এই মুহূর্তটির জন্য বছরের পর বছর ধরে পরিশ্রম করেছেন।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমার প্রিয় পরিবাবেরর সদস্যরা যখন নিজেদের চোখের সামনে এরকম ইতিহাস তৈরি হতে দেখি, তখন জীবন ধন্য হয়ে যায়। এরকম ঐতিহাসিক ঘটনা রাষ্ট্রের জন্য গর্বের বিষয়। এই মুহূর্তটা অবিস্মরণীয়। এই মুহূর্তটা উন্নত ভারতের। প্রত্যেক দেশবাসীর মতো আমারও মনোযোগ চন্দ্রযানের মহা অভিযানে ছিল।  এটি ভারতের নতুন শক্তি, নতুন চেতনার মুহূর্ত।’’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan-3: অবতরণের পর কাজ করবে পেলোডগুলিই! ২ সপ্তাহ ধরে কী কী কাজ করবে রম্ভা-চ্যাস্টেরা?

    Chandrayaan-3: অবতরণের পর কাজ করবে পেলোডগুলিই! ২ সপ্তাহ ধরে কী কী কাজ করবে রম্ভা-চ্যাস্টেরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষনিকের অপেক্ষা! কিছুক্ষণ পরে চাঁদের মাটি ছুঁয়েই অরবিটারে বার্তা পাঠাবে ল্যান্ডার বিক্রম। তার পর কিছু অপেক্ষা। ল্যান্ডার-এর পেটের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদে অবতরণের কিছুক্ষণ পরে, বিক্রম ল্যান্ডারটি খুলবে এবং রোভারের জন্য একটি র‌্যাম্প তৈরি করবে। অর্থাৎ সেই র‌্যাম্প ধরেই রোভারটি এদিক ওদিক ঘুরে বেরাবে। ছয় চাকার রোভারে ভারতের পতাকা এবং ইসরোর লোগো রয়েছে। অবতরণের প্রায় চার ঘণ্টা পর এটি ল্যান্ডারের ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে নামতে শুরু করবে। অবতরণের সময় রোভারের গতিবেগ হবে প্রতি সেকেন্ডে ১ সেমি। রোভার তার নেভিগেশন ক্যামেরার মাধ্যমে আশেপাশের পরিবেশ অনুধাবন করতে থাকবে।

    কীভাবে কাজ করবে সাতটি পে-লোড

    সৌরশক্তি চালিত ল্যান্ডার এবং রোভারটি চাঁদের চারপাশে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে দুই সপ্তাহ (পৃথিবীর হিসেবে) সময় পাবে। চন্দ্রযান-৩ এর সাতটি পেলোড রয়েছে – চারটি বিক্রম ল্যান্ডারে, দুটি প্রজ্ঞান রোভারে এবং একটি প্রপালশন মডিউলে। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমানাথ জানিয়েছেন, “আমরা জানি চাঁদের কোনো বায়ুমণ্ডল নেই। কিন্তু এটা ঠিক নয় কারণ এর থেকে গ্যাস বের হয়। বরং তারা আয়নিত হয় এবং পৃষ্ঠের খুব কাছাকাছি থাকে। এটি দিন এবং রাতের সাথে পরিবর্তিত হয়।” 

    বিক্রমের পে-লোড

    বিক্রমের চারটি পে-লোড হল মুখ্য। রম্ভা, চ্যাস্টে, ইলসা এবং অ্যারে। চাঁদে অবতরণের পর পরই কাজ শুরু করবে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকা এই চারটি পেলোড। এই পেলোডগুলির সাহায্যেই চাঁদে বাজিমাত করবে চন্দ্রযান। এই পেলোডগুলিই চাঁদের ‘অজানা রহস্য’ খুলে দেবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের সামনে।

    রম্ভা (RAMBHA)- রেডিও অ্যানাটমি অব মুন বাউন্ড হাইপারসেনসিটিভ আয়নোস্ফিয়ার এবং অ্যাটমোস্ফিয়ার বা রম্ভা চাঁদের বুকে সূর্য থেকে আসা প্লাজমা কণার ঘনত্ব, পরিমাণ এবং পরিবর্তনগুলি নিরীক্ষণ করবে।
    চ্যাস্টে (ChaSTE)- চন্দ্রের সারফেস থার্মোফিজিকাল এক্সপেরিমেন্ট বা চ্যাস্টে মেপে দেখবে চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা। 
    ইলসা (ILSA)- অবতরণস্থলের আশপাশের মাটির কম্পন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে ইলসা বা ইনস্ট্রুমেন্ট ফর লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি।
    এলআরএ (LRA)- ‘লেজার রেট্রোরিফ্লেক্টর’ অ্যারে চাঁদের গতিশীলতা বোঝার চেষ্টা করবে। চাঁদের প্রাকৃতিক কার্যপ্রণালী সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য নিরীক্ষণ করে তা পৃথিবীতে পাঠানোর দায়িত্ব থাকছে এই চার পেলোডের কাঁধে।

    রোভারের পে-লোড

    আলফা পার্টিকেল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (APXS)- রোভারের ‘আলফা পার্টিকল এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার’ নামে যন্ত্রটি অবতরণস্থলের কাছে চন্দ্রপৃষ্ঠে কী কী উপাদান রয়েছে তা দেখবে। ওই যন্ত্রে কিউরিয়াম নামে তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে এক্স-রে ও আলফা পার্টিকল নির্গত হবে এবং তার মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি তুলবে। চাঁদের পাথরের মধ্যে লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, সিলিকন, অ্যালুমিনিয়াম, টাইটেনিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে কি না, তার সন্ধানও করবে সে। 
    লেজার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ (LIBS)-রোভারের ‘লেসার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ’ যন্ত্রের কাজ হল অবতরণস্থলের আশপাশে চাঁদের মাটিতে কী উপাদান কত পরিমাণে রয়েছে তা খুঁজে বার করা, তবে প্রথম যন্ত্রের থেকে আলাদা পদ্ধতিতে। 

    প্রপালশন মডিউলের পে-লোড

    প্রপালশন মডিউলটি চন্দ্রের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল অধ্যয়ন করবে। এই কাজে তাকে সাহায্য করবে তার একমাত্র পেলোড, বাসযোগ্য প্ল্যানেট আর্থের স্পেকট্রো-পোলারিমেট্রি (শেপ)। এটি কয়েক মাস (বা বছর) চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং মেঘের উপর স্পেকট্রোস্কোপি এবং পোলারাইজেশন অধ্যয়ন করবে, বায়োসিগনেচার সংগ্রহ করবে যা বাসযোগ্য এক্সোপ্ল্যানেট সনাক্ত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    চাঁদে বায়ুমণ্ডল নেই, চৌম্বকক্ষেত্রও নেই। তবে বিপুল জলের খোঁজ পেলে, (H2O)সেখান থেকে তড়িৎ বিশ্লেষণের মাধ্যমে হাইড্রজেন ও অক্সিজেনে ভেঙে নেওয়া সম্ভব। এই অক্সিজেন শ্বাসপ্রশ্বাসকে স্বাভাবিক রাখবে। আর হাইড্রজেন ব্যবহার করা যেতে পারে জ্বালানি হিসেবে। চাঁদের ওই মেরুতে আবার বরফ থাকার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। চাঁদের আধাঁর পিঠের ঠিক কোথায় বরফ জমে আছে তার খোঁজ চালাবে প্রজ্ঞান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    Chandrayaan 3: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তার পরেই আসতে চলেছে বহুকাঙ্খিত মাহেন্দ্রক্ষণ। বুধবার সন্ধেয় চাঁদের মাটি ছুঁতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। সেই সঙ্গে ১৪০ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে আজ। ইসরো (ISRO) জানিয়েছে, আজ ভারতীয় সময় সন্ধে পৌনে ৬টা থেকে শুরু হবে অবতরণের প্রক্রিয়া। চাঁদের মাটিতে ৩০ কিলোমিটার ওপর থেকে নামবে ল্যান্ডার বিক্রম। সন্ধে ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং করবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (Lander Vikram) ও তার মধ্যে থাকা রোভার ‘প্রজ্ঞান’ (Rover Pragyan)। 

    দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’

    ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার এবং রোভার। ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে অবতরণ করার কথা এই মহাকাশযানের। এই এলাকাটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এর আগে কোনও দেশই মহাকাশযান পাঠায়নি। ফলে ভারত আজ সফল হলে, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণের কৃতিত্ব অর্জন করবে। চাঁদের বুকে অবতরণের সেই দৃশ্য বুধবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিট থেকে সরাসরি সম্প্রচার হবে ইসরোর ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, ইউটিউবে।

    আরও পড়ুন: আজ চাঁদের মাটি ছোঁবে ‘চন্দ্রযান ৩’, সাফল্য কামনায় দেশ-বিদেশে পুজো-যজ্ঞ-নমাজ পাঠ

    সফট-ল্যান্ডিং করা একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ

    তবে, এই অঞ্চলে সফট-ল্যান্ডিং করা একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ। তা হলো, অবতরণ প্রক্রিয়ার ওই শেষের ২০ মিনিট। চার বছর আগে এই পর্বে এসে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়েছিল (বিজ্ঞানের পরিভাষায় হার্ড ল্যান্ডিং) ‘চন্দ্রযান ২’-এর ল্যান্ডার। এই পর্যায়টিই হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন এবং গুরুত্বপূর্ণ। ইসরোর বিজ্ঞানীরা যদিও আত্মবিশ্বাসী, যে এবার তাঁরা সফল হবেনই। ইসরোর দাবি, ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) ও তার ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-কে (Lander Vikram) এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে প্রতিকূল পরিস্থিতি হলেও তা সঠিকভাবে সফট-ল্যান্ডিং করতে পারবে। ল্যান্ডারে থাকা যাবতীয় সেন্সর কাজ না করলেও, সঠিকভাবে অবতরণ করতে সক্ষম ‘বিক্রম’। তেমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে তাকে।

    তবে ইসরোর বিজ্ঞানীদের মাথায় অন্য আরেকটা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। তা হলো, চাঁদের মাটি। অবতরণের সময় ল্যান্ডার স্পর্শ করার সময় চারদিকে ধুলোর আস্তরণ উড়বে। কার্যত প্রায় ঢাকা পড়ে যাবে ল্যান্ডার। এমতাবস্থায়, বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না ধুলো পুরো থিতিয়ে বসে যাচ্ছে, ততক্ষণ ‘বিক্রম’-এর পেট থেকে ‘প্রজ্ঞান’-কে বের করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বিজ্ঞানীদের এই আশঙ্কার নেপথ্যে রয়েছে কোন বিজ্ঞান? 

    বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে ‘রেগোলিথ’, কী এটা?

    চাঁদের ধুলোকে বলা হয় ‘রেগোলিথ’। এই ধুলো চার্জড পার্টিকলে ভরপুর, খনিজ উপাদানও আছে। এর মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন, টাইটানিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজ মৌল। তাদের অণু-পরমাণুর মধ্যে নিরন্তর ধাক্কাধাক্কি চলছে। রেগোলিথ মহাজাগতিক রশ্মির বিকিরণে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। চাঁদে যেহেতু পৃথিবীর মতো বায়ুমণ্ডল নেই, তাই মহাজাগতিক রশ্মি, সৌরঝড় সরাসরি আছড়ে পড়ে চাঁদে। আর মহাজাগতিক রশ্মিদের বিকিরণে চাঁদের ধুলো উত্তেজিত থাকে সারাক্ষণ। 

    মহাজাগতিক রশ্মিদের বিকিরণে চাঁদের ধুলো আরও উত্তেজিত হয়ে লাফালাফি শুরু করে। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি বা অন্য কোনও মহাজাগতিক রশ্মি চাঁদের মাটিতে সরাসরি আছড়ে পড়ার সময় এই সূক্ষাতিসূক্ষ ধূলিকণাগুলিকে আঘাত করে। ফলে এগুলির মধ্যে বিদ্যুৎ তরঙ্গ তৈরি হয়। গরম হলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার জন্য ধুলোকণাগুলো তড়িৎ ঋণাত্মক কণা বা ইলেকট্রন ছাড়তে থাকে। তাপমাত্রার ফারাক এবং মহাজাগতিক রশ্মির প্রভাবে বিরাট এলাকা জুড়ে ধুলোর ঝড় শুরু হয় যাতে ইলেকট্রোস্ট্যাটিক ফোর্স চুম্বকীয় স্তর তৈরি করে। 

    প্রজ্ঞানকে বাঁচাতে এখন কী করণীয়?

    সফট ল্যান্ডিং (Chandrayaan 3) ঠিকঠাক ভাবে করতে হলে রেট্রো-রকেট চালাতে হতে পারে ল্যান্ডারকে (Lander Vikram)। ইসরো জানিয়েছে, অবতরণের সময় যদি চাঁদের মাটির ধুলো ওড়ে, তাহলে ক্ষতি হতে পারে রোভারের। ধুলোর আয়নিক কণারা রোভারের যন্ত্রপাতির ক্ষতি করতে পারে। ধুলোকণা যন্ত্রের উপর গিয়ে পড়লে বেতার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ‘ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক‘ (DSN)-এর মাধ্যমে তথ্য পাঠাতে পারবে না রোভার ‘প্রজ্ঞান’। সেক্ষেত্রে কী করণীয়? ইসরো জানিয়েছে, ল্যান্ডারের চারটি পা যখন মাটি ছোঁবে, ইঞ্জিন বন্ধ করে দেবেন বিজ্ঞানীরা। শুধুমাত্র সেন্ট্রাল ইঞ্জিন কাজ করবে। তাও সতর্ক ভাবে, যাতে ধুলো না ওড়ে। অবতরণের পর ওই মাটি থিতিয়ে আসার জন্য অপেক্ষা করা হবে। এর পর ল্যান্ডার থেকে আলাদা হয়ে চাঁদের মাটিতে নামবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’ (Rover Pragyan)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: অবতরণ-পর্বে শেষ ২০ মিনিটই চ্যালেঞ্জ! ‘চিন্তা নেই, সফট-ল্যান্ডিং হচ্ছেই’, আশ্বাস ইসরোর

    Chandrayaan 3: অবতরণ-পর্বে শেষ ২০ মিনিটই চ্যালেঞ্জ! ‘চিন্তা নেই, সফট-ল্যান্ডিং হচ্ছেই’, আশ্বাস ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ‘দ্য ফাইনাল কাউন্টডাউন’। রাত পোহালেই ইতিহাসের পাতায় ঢুকে পড়বে ভারত। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করার নজির গড়তে চলেছে দেশ। অনাবিষ্কৃত আঁধারে ঘেরা চাঁদের সেই মেরু অঞ্চলে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) অবতরণ ঘিরে ব্যাপক উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে গোটা দেশে, থুরি বলা ভালো গোটা বিশ্বে। ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী যা থাকতে পারে দেশবাসী, তার জন্য গোটা অবতরণ প্রক্রিয়ার সরাসরি স্ট্রিমিং ৫টা ২০ মিনিট থেকে করবে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।

    অবতরণ-পর্বে শেষের ২০ মিনিটই প্রধান চ্যালেঞ্জ

    ইসরোর পরিকল্পনা অনুযায়ী, ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর (Lander Vikram) চূড়ান্ত অবতরণ প্রক্রিয়া (দ্য ফাইনাল ডিসেন্ট) শুরু হবে বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট নাগাদ। আর সন্ধেয় ৬টা ৪ মিনিটে হবে কাঙ্খিত ‘টাচডাউন’। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের দাবি, চির-আঁধারে ঘেরা চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের পরতে পরতে রয়েছে রহস্য। এই দক্ষিণ মেরু অঞ্চলই সবচেয়ে এবড়ো-খেবড়ো, খানা-খন্দে ভরা। রয়েছে শয়ে শয়ে গহ্বর। ফলে, এই অঞ্চলে সফট-ল্যান্ডিং করা একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ। ইসরোর বিজ্ঞানীদের মাথায় একটাই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। তা হলো, অবতরণ প্রক্রিয়ার ওই শেষের ২০ মিনিট। চার বছর আগে এই পর্বে এসে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়েছিল (বিজ্ঞানের পরিভাষায় হার্ড ল্যান্ডিং) ‘চন্দ্রযান ২’-এর ল্যান্ডার।

    আরও পড়ুন: চাঁদে অবতরণের পরই তো আসল কাজ শুরু ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! জানেন কী করবে বিক্রম-প্রজ্ঞান?

    যদিও এবার, সফল সফট ল্যান্ডিংয়ের বিষয়ে আশাবাদী ইসরো। তারা জানিয়েছে, ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) ও তার ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-কে (Lander Vikram) এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে প্রতিকূল পরিস্থিতি হলেও, তা সঠিকভাবে সফট-ল্যান্ডিং করতে পারবে। কীভাবে গোটা অবতরণের প্রক্রিয়া কাজ করবে, তা বিশদে ইসরোর তরফে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, ধাপে ধাপে ‘বিক্রম’-কে নিচে নামানো হবে। একইসঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে কমানো হবে তার গতিও। এই পুরো বিষয়টা একেবারে অঙ্ক কষার মতো সাজিয়ে ল্যান্ডারের সিস্টেমকে বলে দেওয়া হয়েছে। 

    ধাপে ধাপে গতি কমানোর সঙ্গে নিচে নামবে ‘বিক্রম’

    বর্তমানে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ (Lander Vikram) চাঁদের ২৫ কিলোমিটার x ৭০ কিলোমিটার কক্ষপথে অবস্থান করছে। সেখান থেকে চাঁদের বুকে পা রাখতে মিনিট ২০ সময় লাগবে। ইসরো জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ‘বিক্রম’-কে বর্তমান অবস্থান থেকে ৭.৪ কিমি উচ্চতায় নামিয়ে আনা হবে। এই সময়ে ল্যান্ডারের গতি থাকবে সেকেন্ডে ৩৫৮ মিটার। সময় লাগবে ১১ মিনিট। দ্বিতীয় ধাপে ৬.৮ কিলোমিটার উচ্চতায় নামিয়ে আনা হবে। এখানে ‘বিক্রম’-এর গতি আরও কমে হবে সেকেন্ডে ৩৩৬ মিটার। 

    ছবি সৌজন্য – ইসরো

    তৃতীয় ধাপে উচ্চতা কমে হবে ৮০০ মিটার। এবারও আরও গতি কমবে। এই পর্যায়ে এসে ল্যান্ডার তার লেজার রশ্মির সাহায্যে অবতরণের যোগ্য জায়গা খুঁজে বের করে নেবে। লেজার রশ্মির সাহায্যে ‘বিক্রম’-এ থাকা সেন্সর অবতরণের উপযুক্ত জায়গা খুঁজে নিতে সাহায্য করবে। পরের ধাপে, ৮০০ থেকে ১৫০ মিটার উচ্চতায় নামবে ‘বিক্রম’। এখানে তার গতি থাকবে সেকেন্ডে ৬০ মিটার। এর পর, পর ১৫০ থেকে ৬০ মিটারে নামার সময়ে এই গতি হবে ৪০ মিটার প্রতি সেকেন্ড। শেষ ধাপে, ৬০ থেকে ১০ মিটারে নামতে গিয়ে ‘বিক্রম’-এর গতি থাকবে ১০ মিটার প্রতি সেকেন্ড। সেখান থেকে মাটি ছোঁয়ার সময় ল্যান্ডারের গতি কমে হবে সেকেন্ডে ১.৬৮ মিটার।

    আরও পড়ুন: বুধবার চাঁদে পা ‘বিক্রম’-এর, তার আগে ৭০ কিমি ওপর থেকে ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    কোনও সেন্সর কাজ না করলেও নামতে পারবে ‘বিক্রম’!

    বিজ্ঞানীদের মতে, এই গোটা ধাপগুলিই হচ্ছে একটা চ্যালেঞ্জ। এই পর্যায়টিই হচ্ছে সবচেয়ে কঠিন এবং গুরুত্বপূর্ণ। চার বছর আগে, এই পর্যায় থেকে ছিটকে গিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ২’। ব্যর্থ হয়েছিল অভিযান। অধরা থেকে গিয়েছিল স্বপ্ন। তবে, ইসরো এবার অনেক বেশি সতর্ক থেকেছে। যে কারণে, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) নকশায় আমূল বদল আনা হয়েছে। পুরোদমে প্রস্তুতি নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষ সেন্সর বসানো হয়েছে ‘বিক্রম’-এ। রয়েছে প্রচুর ক্যামেরা। শুধু তাই নয়, ইসরোর দাবি, ল্যান্ডারে থাকা যাবতীয় সেন্সর কাজ না করলেও, সঠিকভাবে অবতরণ করতে সক্ষম ‘বিক্রম’ (Lander Vikram)। তেমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে তাকে। শর্ত বলতে শুধুমাত্র প্রোপালশন সিস্টেম ঠিক চললেই হলো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চাঁদে অবতরণের পরই তো আসল কাজ শুরু ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! জানেন কী করবে বিক্রম-প্রজ্ঞান?

    Chandrayaan 3: চাঁদে অবতরণের পরই তো আসল কাজ শুরু ‘চন্দ্রযান ৩’-এর! জানেন কী করবে বিক্রম-প্রজ্ঞান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার মডিউল চাঁদে নামার সঙ্গে সঙ্গেই মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে পা রাখবে ভারত। চার বছরে ব্যর্থ হয়েছে তিনটি অভিযান। এবার তাই সদা সতর্ক ইসরো। ‘চন্দ্রযান ২’ চাঁদের সামনে গিয়েও চাঁদে পা রাখতে পারেনি। তবে সেই অভিযান থেকে শিক্ষা নিয়েই ‘চন্দ্রযান ৩’-এর রূপরেখা তৈরি করেছে ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীরা। বুধবার অর্থাৎ ২৩ অগাস্ট সন্ধ্যায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের পরই শুরু হবে আসল কাজ।

    কী করবে বিক্রম

    ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদে একটা গোটা দিন (পৃথিবীতে ১৪ দিন) তার কাজ চালিয়ে যাবে। ল্যান্ডারে ৩টি পেলোড এবং ১টি রোভার রয়েছে। এছাড়াও এতে ৫ ধরনের বৈজ্ঞানিক যন্ত্র রয়েছে, যা পৃথিবীতে প্রচুর তথ্য পাঠাবে। সৌরশক্তি চালিত ল্যান্ডার এবং রোভার চাঁদ সম্পর্কে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যস্ত থাকবে। তবে রোভার শুধুই তথ্য সংগ্রহ করবে। কিন্তু পৃথিবীতে সেই সব তথ্য পাঠানোর কাজ হবে ল্যান্ডারের। এক্ষেত্রে, ল্যান্ডার যোগাযোগ রাখছে চাঁদের চারপাশে কক্ষপথে ঘুরতে থাকা ‘চন্দ্রযান ৩’ প্রোপালশন মডিউল এবং ‘চন্দ্রযান ২’-এর অরবিটারের সঙ্গে। তাদের মাধ্যমে রিলে পদ্ধতিতে সেই তথ্য পৃথিবীতে বেঙ্গালুরুতে স্থিত ইসরোর মিশন অপারেশনস কন্ট্রোলে (MOX) এসে পৌঁছবে।

    চন্দ্রপৃষ্ঠে ভারতের চিহ্ন

    চাঁদের পৃষ্ঠ ছোঁয়ার কিছুক্ষণ পরেই, বিক্রম ল্যান্ডারের এক পাশের প্যানেলটি খুলে যাবে। বেরিয়ে আসবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। এটি চাঁদের পৃষ্ঠে ঘুরে বেরিয়ে একাধিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। রোভারের ছয়টি চাকায় খোদিত রয়েছে জাতীয় পতাকার ছবি ও ইসরোর লোগো। ল্যান্ডারটি অবতরণের চার ঘণ্টা পরে বেরিয়ে আসবে এই রোভার। তারপর প্রতি সেকেন্ডে ১ সেমি বেগে ঘুরে-ফিরে বেড়াবে। অবতরণ স্থলের চারপাশ স্ক্যান করতে ব্যবহার করবে নেভিগেশন ক্যামেরা। রোভারটি ঘুরে ফিরে বেড়ানোর সময় চাঁদের পৃষ্ঠে ভারতের পতাকা ও ইসরোর লোগোর ছাপ পড়ে যাবে। ভারতের চিহ্ন আঁকা হবে চাঁদের বুকে।

    আরও পড়ুন: বুধবার চাঁদে পা ‘বিক্রম’-এর, তার আগে ৭০ কিমি ওপর থেকে ছবি পাঠালো ‘চন্দ্রযান ৩’

    প্রবল ঠান্ডা সইতে হবে

    ইসরো চেয়ারম্যান জানিয়েছে, রোভারের পেলোডগুলিতে ইনস্টল করা যন্ত্রগুলি চাঁদের সমস্ত ডেটা পাঠাবে। এগুলি চাঁদের বায়ুমণ্ডল সম্পর্কিত সমস্ত তথ্যও দেবে। ল্যান্ডারে তিনটি পেলোড রয়েছে। এটি ল্যান্ডিং সাইটের চারপাশে চাঁদের প্লাজমার ঘনত্ব, তাপমাত্রা এবং ভূমিকম্প পরিমাপ সবকিছুই করবে। প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সময় বাড়ানো হতে পারে। এক চন্দ্রদিনের পরিবর্তে দুই চন্দ্রদিনও কাজ করতে পারে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। তবে সেক্ষেত্রে ল্যান্ডার ও রোভারটিকে দ্বিতীয় চন্দ্রদিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকতে দক্ষিণ মেরুতে এক চন্দ্ররাতে (পৃথিবীর হিসেবে প্রায় ১৪ দিন) মাইনাস ২৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হিমাঙ্কের তাপমাত্রা সহ্য করতে হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share