Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Artemis Accord: ২০২৪ সালেই নাসা-ইসরো যৌথ মহাকাশ অভিযান! ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’ স্বাক্ষর ভারতের

    Artemis Accord: ২০২৪ সালেই নাসা-ইসরো যৌথ মহাকাশ অভিযান! ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’ স্বাক্ষর ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কি ভারত ও আমেরিকা একসঙ্গে চন্দ্রাভিযান করতে চলেছে? হ্যাঁ, ঠিক তেমনটাই প্রত্যক্ষ করতে চলেছে বিশ্ববাসী। মহাকাশ অভিযানে বড় পদক্ষেপ নিল ভারত ও আমেরিকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের মধ্যেই অতি-গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করল দুদেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এদিন ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’ (Artemis Accord) স্বাক্ষর করেন ভারতের ইসরো ও মার্কিন সংস্থা নাসার কর্তারা। অর্থাৎ, ভবিষ্যৎ মহাকাশ অভিযানেও হাত মেলালো ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 

    চুক্তির ফলে ভারতের লাভ

    এই চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা যৌথভাবে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর মিশনে কাজ করবে। পরের বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (সংক্ষেপে আইএসএস) একটি যৌথ অভিযান করবে নাসা এবং ইসরো (ISRO-NASA Joint Space Mission)। আর তা নিয়ে হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতিও জারি করা হয়েছে। যেখানে দুই মহাকাশ সংস্থার মধ্যে এই চুক্তিকে (Artemis Accord)  ঐতিহাসিক বলেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের এক পদস্ত কর্তা বলেছেন, “মহাকাশ অভিযান যাতে সমস্ত মানবজাতির কল্যাণে লাগে সেই লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছিল আর্টেমিস অ্যাকর্ডস। ভারত এই অ্যাকর্ডস স্বাক্ষর করতে চলেছে।” 

    আরও পড়ুন: মোদির সফরেই মউ স্বাক্ষর! ভারতেই তৈরি হবে ‘তেজস’-এর উন্নত ইঞ্জিন

    বাড়ছে ইসরোর গুরুত্ব

    সাম্প্রতিককালে, মহাকাশ গবেষণায় অন্যতম বড় নাম হিসেবে দ্রুত উঠে এসেছে ইসরো। মহাকাশ গবেষণায় ইসরোর মুকুটে একের পর এক সাফল্য জুড়েছে। চন্দ্রাভিযান থেকে মঙ্গলাভিযান— স্পর্ধা দেখিয়েছে ইসরো। এখন দীর্ঘদিন ধরেই মহাকাশে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরো। গগনযান অভিযানের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্বে। মহাকাশে একটি নিজস্ব স্পেস স্টেশন স্থাপন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ইসরো। পাশাপাশি, নাসার পক্ষ থেকে নতুন করে চাঁদে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। 

    কী এই ‘আর্টেমিস অ্যাকর্ডস’?

    মহাকাশ অভিযান এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে যাতে সকল দেশ সমানভাবে উপকৃত হয়, সেই বিষয়ে ২০২০ সালে আমেরিকা এবং আরও ৭টি দেশ, নাসার তৈরি এই অ্যাকর্ডস-এ স্বাক্ষর করেছিল। ১৯৬৭ সালের রাষ্ট্রসংঘের মহাকাশ চুক্তির ওপর ভিত্তি করে গঠিত হয় আর্টেমিস চুক্তি (Artemis Accord)। ২০২৫ সালের মধ্যেই মানুষকে চাঁদে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায় আমেরিকা। আর এই লক্ষ্যেই নাসা শুরু করেছে ‘আর্টেমিস প্রোগ্রাম’। পরবর্তীকালে, মঙ্গল ও শুক্র অভিযানের ক্ষেত্রেও পারস্পরিক সহযোগিতার মাত্রা আরও বাড়তে পারে। এই চুক্তির আওতায় এখনও পর্যন্ত ২৫টি দেশ রয়েছে। এবার ভারত সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: আবার চাঁদের দেশে! চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের তারিখ ঘোষণা ইসরোর

    Chandrayaan 3: আবার চাঁদের দেশে! চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের তারিখ ঘোষণা ইসরোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার চাঁদের দেশে পাড়ি দিতে চলেছে ভারত। আর বড়জোর মাস দেড়েক। তার পরেই চন্দ্রযান ৩-কে (Chandrayaan 3) সঙ্গে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর দৈত্যকায় জিএসএলভি রকেট। উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে ইসরোর তরফে।

    সোমবার, সফল এনভিএস-০১ নেভিগেশন উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণের পরই ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ চন্দ্রযান ৩-এর (Chandrayaan 3) বিষয়ে খোলসা করেন। তিনি বলেন, “সব ঠিকঠাক চললে ১২ জুলাই চাঁদের দিকে রওনা হবে চন্দ্রযান ৩। আমি এই অভিযানের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।” এই অভিযানের জন্য সরচেয়ে ভারি জিএসএলভি মার্ক-৩ রকেট (অধুনা লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩ বা সংক্ষেপে এলভিএম-৩) ব্যবহার করতে চলেছে ইসরো। ইসরোর এক কর্তা জানান, ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান ৩ এসে পৌঁছেছে শ্রীহরিকোটায়। চূড়ান্ত অ্যাসেম্বলি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যা চলছে। 

    আরও পড়ুন: ইসরোর মুকুটে নয়া পালক! মহাকাশে প্রতিস্থাপিত এনএভিএস-০১ উপগ্রহ, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    চন্দ্রযান ২-এর সময় যা ঘটেছিল

    এর আগে, ২০১৯ সালে চাঁদের বুকে অবতরণের চেষ্টা চালিয়েছিল ইসরো। সেটিই ছিল চাঁদের মাটি ছোঁয়ার ক্ষেত্রে ভারতের প্রথম প্রয়াস। চন্দ্রযান ২-কে নিয়ে পাড়ি দিয়েছিল জিএসএলভি রকেট। তাতে ছিল একটি ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ ও একটি রোভার ‘প্রজ্ঞান’। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা ছিল চন্দ্রযান ২-এর। মূলত, চাঁদে জলের অস্তিত্বর প্রমাণের খোঁজ করা এবং পৃথিবীর উপগ্রহের মাটি ও তার তলায় থাকা খনিজের সন্ধান করাই ছিল প্রজ্ঞানের লক্ষ্য।

    কিন্ত, অবতরণের ঠিক আগে মিশন কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চন্দ্রযান ২-এর। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে নির্দিষ্ট কক্ষপথ ও অবতরণ স্থল থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়ে অবশেষে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ে (বিজ্ঞানের পরিভাষায় হার্ড ল্যান্ডিং) চন্দ্রযান ২। সেই সময় ইসরো স্পেস সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মিশন ব্যর্থ হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন ইসরোর তৎকালীন প্রধান কে শিবন।

    চন্দ্রযান ৩ নিয়ে সতর্ক ইসরো

    চার বছর আগের সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে নারাজ ইসরো। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে চন্দ্রযান ৩-এ (Chandrayaan 3)। যেমন প্রথমেই অবতরণের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। পাশাপাশি, ল্যান্ডার ও রোভার নামানোর ক্ষেত্রেও বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। চন্দ্রযান ৩ অভিযানের মাধ্যমে চাঁদের ভৌত বৈশিষ্ট্য, ভূকম্পন, চন্দ্র পৃষ্ঠের প্লাজমা পরিবেশ এবং চাঁদে অবতরণ স্থানের আশেপাশে মৌলিক গঠন নিয়ে গবেষণায় বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বহন করে নিয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Area 51: আমেরিকার ‘Area 51’ কি ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে গুপ্ত গবেষণাস্থল? কী রহস্য লুকিয়ে?

    Area 51: আমেরিকার ‘Area 51’ কি ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে গুপ্ত গবেষণাস্থল? কী রহস্য লুকিয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে উৎসাহ নেই, এরকম মানুষ খুব কমই আছে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে। কিছু দেশ এই ভিনগ্রহের প্রাণীদের অস্তিত্ব নিয়ে সদর্থক মতামত প্রকাশ করেছে, কেউ কেউ আবার ইউএফও দেখতে পাওয়ার দাবিও করেছেন। এই ধরনের বহু তথ্য ইন্টারনেট ঘাঁটলে আমরা দেখতে পাই। তবে যে বিষয় নিয়ে এই প্রতিবেদন, সেটি হল আমেরিকার ‘Area 51’ বলে একটি স্থান, যেখানে কয়েক বছর থেকে স্থানীয়রা দাবি করে আসছেন, সেখানে কিছু গুপ্ত গবেষণা করা হয় ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে। অনেকে সেখানে ইউএফও দেখার দাবিও করেছেন। আর সেগুলি আমেরিকান সেনা বরাবর সাধারণের থেকে লুকিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ। এগুলি মিথ না মিথ্যা, তা নিয়েও অনেক জলঘোলা হয়েছে।

    কী এই Area 51, যা নিয়ে আমেরিকাবাসী ও বিশ্ববাসীর এত উৎসাহ?

    এরিয়া 51 হল আমেরিকার নেভাডা টেস্ট অ্যান্ড ট্রেনিং রেঞ্জের অন্তর্গত মরুভূমির গ্রুম হ্রদের তীরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনীর (ইউএসএএফ) একটি উচ্চ শ্রেণিবদ্ধ অপারেশন ঘাঁটি। এটি নানারকম সামরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণের কেন্দ্র। এটি একটি বিরাট গোপন সামরিক বিমানঘাঁটি, যেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ। এই এরিয়া 51-এর মূল উদ্দেশ্য হল, পরীক্ষামূলক উড়োজাহাজ তৈরি, অস্ত্রশস্ত্রের সিস্টেমের পরীক্ষা প্রভৃতি।

    Area 51 কেন বরাবর মানুষের চর্চার বিষয়? কী এমন হয় সেখানে?

    এই স্থানটি সবসময় চর্চায় উঠে আসার মূল কেন্দ্রবিন্দু হল, এই এরিয়া 51 কে ঘিরে গড়ে ওঠা ভিনগ্রহের প্রাণীদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য। এরিয়া ৫১ এর জল্পনা শুরু হয় ১৯৪৭ সালে রোসোয়েল নামক এক জায়গায় একটি বিমান দুর্ঘটনার পর থেকেই। বিমান দুর্ঘটনার পর বিমানের ভেঙে যাওয়া অনেক টুকরো সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় এবং সেই টুকরোগুলি সাধারণ মানুষের হাতে আসে। পরে তাঁরা বুঝতে পারেন, সেই টুকরোগুলি সাধারণ কোনও বিমানের অংশ নয়। অনেকে তখন থেকে মনে করেন, সেগুলি ছিল কোনও স্পেসশিপ-এর টুকরো, যার চালক ছিল ভিনগ্রহের কোনও প্রাণী। এমনও শোনা যায়, সেখান থেকে জীবিত ভিনগ্রহের প্রাণীটিকে উদ্ধার করে ইউএস আর্মি এবং সেটিকে Area 51 এ নিয়ে যায়। সেখানে সেই এলিয়েনটিকে নিয়ে নানা গবেষণা তাঁরা করেন। এখনও সেখানেই নাকি রাখা আছে সেই ভিনগ্রহের প্রাণীটি। 

    Area 51 এর বিজ্ঞানীরা সেই এলিয়েনটিকে গবেষণার মাধ্যমে তাঁদের ব্যবহৃত প্রযুক্তিকে রপ্ত করতে চাইছেন, যা আমাদের পৃথিবীর সামরিক শক্তিকে হয়তো আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। কিন্তু এসব রটে যাওয়ার পরেই ইউএস আর্মি মুখ খোলে এবং জানায়, সেখানে কোনও স্পেসশিপের দুর্ঘটনা ঘটেনি। যেসব টুকরো সেখান থেকে পাওয়া গেছে, সেগুলি একটি বড় ওয়েদার বেলুনের। এখানে এলিয়েন থিওরিকে জুড়ে দেওয়া সম্পূর্ণ রটনা মাত্র। অন্যদিকে সম্পূর্ণ বিষয়টি গোপন করা হয় বলে দাবি তুলতে থাকে সাধারণ মানুষ। এরপর থেকেই এরকম নানা ঘটনা এই এরিয়া 51  কে কেন্দ্র করে ঘটতে থাকে।

    অনেকবার শিরোনামে উঠে আসে এই Area 51, কিন্তু কেন?

    এই Area 51 কে নিয়ে বিভিন্ন রটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার মুখ খোলে আমেরিকান সরকার। সরকারের তরফে জানানো হয়, গুপ্তচর সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি ১৯৫৫ সালে যুদ্ধ বিমানের পরীক্ষার জন্য প্রথম এই জায়গাটিকে ঘাঁটি হিসেবে তৈরি করে এবং এই প্রজেক্টের নাম দেওয়া হয় ‘অ্যাকোয়াটোন’। ‘লকহিড ইউ-২’ নামক এক ইঞ্জিনের গবেষণা ও পরীক্ষা এখানে করা হয়, যা সাধারণ যুদ্ধ বিমানের থেকে আরও বেশি উচ্চতায় উড়তে সক্ষম। এর পরেও ‘ড্রাগন লেডি’ নামক এক যুদ্ধ  বিমানের পরীক্ষামূলক উড়ান এই Area 51 থেকেই লোকচক্ষুর আড়ালে করা হয়। ১৯৫৫ সালে এই যুদ্ধ বিমানের পরীক্ষামূলক উড়ান শুরু হওয়ার পর থেকেই স্পেসশিপ দেখতে পাওয়ার অভিযোগ উঠতে থাকে। সাধারণ মানুষের তরফ থেকে দাবি উঠতে থাকে, কোনও সাধারণ যুদ্ধবিমান এত উচ্চতায় উড়তে পারে না। জানা যায়, বিমানটি ৪৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উঠতে সক্ষম। মানুষ দাবি করতে থাকে, এত উচ্চতায় উড়তে সক্ষম কোনও বিমান সাধারণ বিমান নয়, এটি একটি স্পেসশিপ যা এরিয়া ৫১ সবসময় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লুকিয়ে এসেছে। এত উচ্চতায় ওড়ার ঘটনা আবার ভিনগ্রহীদের অস্তিত্বের যুক্তিকে তুলে আনে। মার্কিন সেনাবাহিনী অবশ্য আজও এই বিষয়ে কোনও তথ্য জনসমক্ষে জানায়নি। ভিনগ্রহীদের উপস্থিতিকে তারা গুজব বলেই দাবি করে এসেছে চিরকাল।

    কী দেখেছেন পাশের গ্রামের বাসিন্দারা?

    আবার এই Area 51 এর পাশেই একটি গ্রাম আছে, যেখানকার বাসিন্দারা দাবি করেন, এই স্থানে অনেকরকম অসংগতিপূর্ণ জিনিস দেখা যায়। রাতের আকাশে অনেক লাইটকে একসঙ্গে উড়তে এবং নিচে নেমে আসতে দেখেছেন তাঁরা। তাঁরাও বিশ্বাস করেন, এর ভিতর এমন কিছু একটা হয়, যেটা সরকার ও ইউএস আর্মির পক্ষ থেকে সবসময় সাধারণ মানুষের কাছে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এরিয়া ৫১ এর জায়গায় প্রায় কয়েক কিলোমিটার দূরে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছে কর্তৃপক্ষ, যেখানে ছবি তোলা নিষেধ ও আগে যাওয়া নিষেধ বলে লেখা আছে। অন্যথায় শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে বলে উল্লেখ করা আছে। এলিয়েন থিওরি বা স্পেসশিপ থিওরি সত্যি হোক বা মিথ্যা, এই এরিয়া ৫১ আজও সক্রিয় এবং অনেক সাধারণ মানুষের কৌতূহলের স্থান হিসাবেই বিবেচিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Artificial Intelligence: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জের, ৫ বছরে বিশ্বে কাজ হারাতে পারেন ১.৪ কোটি!

    Artificial Intelligence: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জের, ৫ বছরে বিশ্বে কাজ হারাতে পারেন ১.৪ কোটি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্যুইটারের মালিকানা ইলন মাস্কের হাতে যাওয়ার পর থেকেই সেখানে শুরু হয় একের পর এক ছাঁটাই। কাজ হারান বহু কর্মী। গুগল, মেটা, আমাজন প্রত্যেক সংস্থাই কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে এগিয়েছে বিগত এক বছর ধরে। করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দাকেই দায়ী করছেন এক্ষেত্রে অর্থনীতিবিদরা। তবে আবারও নাকি বিশ্বজুড়ে চাকরি হারাতে চলেছেন অসংখ্য মানুষ। এবারে সংখ্যাটা দাঁড়াবে ১ কোটির ওপর। এমনই আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বা ডব্লিউইএফের রিপোর্টে। সেখানে বলা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) বা এআই-এর প্রয়োগ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরফলে কর্মী সংকোচনের দিকে এগোতে পারে সংস্থাগুলি। আর শুধু এ কারণেই আগামী ৫ বছরে বিশ্ব জুড়ে কাজ হারাতে পারেন প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ।

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) আশীর্বাদ না অভিশাপ…

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) বহুল ব্যবহারের ভাল দিক যেমন আছে, তেমনই রয়েছে নেতিবাচক কিছু বিষয়। তার মধ্যে অন্যতম হল কর্মীসঙ্কোচন। কারণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের জন্য সংস্থাগুলি যেমন কিছু কর্মী নিয়োগ করবে, তেমনই এর ব্যবহারের ফলে পুরনো অনেক কর্মীর আর প্রয়োজন বোধ করবে না সংস্থাগুলো। বিশেষত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) প্রয়োগের ফলে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর অথবা ক্যাশিয়ার পোস্টের কাজগুলোর জন্য দরকার পড়বেনা কোনও কর্মীর, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে কাজের পরিধি বাড়বে ডেটা বিশ্লেষক বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞদের। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ২০২৭ ডেটা বিশ্লেষকদের চাহিদা বাড়বে ৩০ শতাংশ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন টুল ব্যবহারের জন্য একদিকে যেমন বহু প্রশিক্ষিত কর্মীর দরকার পড়বে তেমনি কাজও হারাবেন বহু মানুষ। তাই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) আশীর্বাদ না অভিশাপ।

    সমীক্ষা….

    রবিবার প্রকাশিত হয়েছে ডব্লিউইএফের একটি সমীক্ষা। সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে বিশ্বের প্রায় ৮০০ সংস্থার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে রিপোর্ট। সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে এই সংস্থা প্রতি বছরই বিশ্বনেতাদের নিয়ে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করে। চলতি বছরের আলোচনায় উঠে এসেছিল, ২০২৭ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে ৬ কোটি ৯ লক্ষ নতুন চাকরি হবে। কিন্তু একই সঙ্গে ৮ কোটি ৩ লক্ষ মানুষ কর্মহীনও হয়ে পড়বেন। সমীক্ষা বলছে, আগামী ৬ বছর শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বহুল ব্যবহারে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষের কাজ চলে যাবে। যা বর্তমান কর্মসংস্থানের প্রায় ২ শতাংশ প্রায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lunar Eclipse: পৃথিবীর ছায়ায় মুখ ঢাকবে চাঁদ! কবে দেখা যাবে এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনা? 

    Lunar Eclipse: পৃথিবীর ছায়ায় মুখ ঢাকবে চাঁদ! কবে দেখা যাবে এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৫ মে বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনা ঘটতে চলেছে রাতের আকাশে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সূর্যের আলো তির্যকভাবে পৃথিবীতে পড়ে যে ছায়ার সৃষ্টি হয় তার একেবারে বাইরের অংশকে বলা হয় পেনুমব্রা। ৫ মে পৃথিবীর সেই সূক্ষ্ম আবছায়া অংশের মধ্যে দিয়ে যাবে চাঁদ। চন্দ্রগ্রহণের সময় রাত ৮টা ৪৪ মিনিট। তবে ভারতে এই চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse) দেখা যাবেনা। জানা যাচ্ছে, এশিয়া, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের কিছু অংশে দেখা যাবে।

    গ্রহণ ও পেনুমব্রার পার্থক্য

    সূর্যের আলোয় আলোকিত হয় চাঁদ। সূর্যের আলো চাঁদের উপর পড়ে প্রতিফলিত হলে চাঁদকে আলোকিত দেখায়। মহাজাগতিক নিয়মে সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ এক সরলরেখায় চলে এলে, পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে। তখন হয় চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse)। একই সরলরেখায় অবস্থান করলেও সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদের অবস্থানের উপর নির্ভর করে পূর্ণগ্রাস বা আংশিক (খণ্ড) গ্রাস, চন্দ্রগ্রহণ হয়।

    সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একই সরলরেখায় না অবস্থান করার কারণে পৃথিবী সূর্যের আলোর কিছু অংশ চাঁদে পৌঁছনো থেকে আটকে দেয় এবং চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে পৃথিবীর ছায়ার মধ্যে ঢুকে যায়। বস্তুত, চন্দ্রগ্রহণের উপযোগী পরিবেশ নির্ভর করে মূলত দু’টি বিষয়ের উপর। প্রথমত, পূর্ণচন্দ্র বা পূর্ণিমার সময় হতে হবে এবং দ্বিতীয়ত, সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদকে মোটামুটি ভাবে সরলরেখায় অবস্থান করতে হবে। আগামী ৫ মে, মহাকাশে তেমনই ঘটনা ঘটতে চলেছে। এই বিশেষ গ্রহণটিকে পেনুব্রাল গ্রহণও বলা হয়ে থাকে। কারণ, পৃথিবীর একেবারে বাইরের ছায়াকে বলা হয় পেনুমব্রা।

    আবার ২০৪২ সালে দেখা যাবে এই চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse)

    জানা যাচ্ছে, এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনাটি আগামী ৫ মের পর আবার দেখতে অপেক্ষা করতে হবে ২০ বছর। ২০৪২ সালে আবার এমন মহাজাগতিক ঘটনা ঘটবে। অর্থাৎ, আগামী ৫ মে-র গ্রহণ দেখতে না পারলে তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৯ বছর। ৫ মে-র চন্দ্রগ্রহণটি দেখা যাবে রাতের আকাশে। অর্থাৎ, গ্রহণের সময় বিশ্বের যে অর্ধেক অংশে রাত, সেখানে বিরল চন্দ্রগ্রহণটি দেখা যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISS: কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মহাশূন্যে ভাসমান আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে?

    ISS: কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মহাশূন্যে ভাসমান আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের পৃথিবী ভেসে আছে এক মহাশূন্যে, আর সেই মহাশূন্যে লুকিয়ে আছে অজস্র রহস্য। সেইসব রহস্য ভেদ করতে পৃথিবীতে আছে অনেক স্পেস স্টেশন, যেখান থেকে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর বহির্জগৎ নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করে চলেছেন। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে, পৃথিবীর বাইরে অর্থাৎ মহাকাশেও আছে ভাসমান স্পেস স্টেশন, যেগুলি পৃথিবীকে প্রতিনিয়ত প্রদক্ষিণ করে চলেছে এবং মহাশূন্য থেকে বিভিন্ন গবেষণা করে চলেছে? ঠিক এরকমই একটি বৃহৎ আকারের স্পেস স্টেশন হল ISS বা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন। এই স্পেস স্টেশনটি বিজ্ঞানীদের বসবাসযোগ্য এবং সেখানে অর্থাৎ মহাশূন্যে থেকেই বিজ্ঞানীরা গবেষণা করতে পারেন। 

    কী এই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন?

    এই ISS বা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন হল এখনও পর্যন্ত মহাকাশে ভাসমান সবথেকে বড় একটি স্পেস স্টেশন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মূল উদ্দেশ্য হল, মহাকাশ বিষয়ক যে কোনও বিষয়বস্তুকে আরও কাছে থেকে গবেষণা করা। মাইক্রোগ্র্যাভিটি, মহাকাশে মানুষের অভিযান, পৃথিবীর আবহওয়া ও বিভিন্ন ভৌগোলিক বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা করা। ১৬টি দেশের সহযোগিতা ও প্রচেষ্টার ফসল এই ISS। এর মহাকাশ যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৮ সালের ২০ নভেম্বর কজাকাস্তানের বাইকোনুর কসমোড্রাম লঞ্চ সাইটের একটি লঞ্চ প্যাড থেকে। 

    ওজন ৪৫০ টন, আকারে প্রায় একটি ফুটবল মাঠের সমান

    এর (ISS) ওজন প্রায় ৪৫০ টনের কাছাকাছি। কিন্তু একদিনে এত বড় স্পেস স্টেশন পূর্ণতা পায়নি, পর পর ১২ বছর ধরে ৩০টিরও বেশি মিশনের মাধ্যমে পূর্ণতা পায় আইএসএস। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২৮০০ কিলোমিটারের বেশি বেগে পৃথিবীকে ৯০ মিনিটে একবার প্রদক্ষিণ করছে এটি, যা শুনলেই অবাক হতে হয়। এটি একদিনে ১৬ বার প্রদক্ষিণ করে পৃথিবীকে। পৃথিবীর লোয়ার আর্থ অরবিটে মাত্র ৪৮০ কিলোমিটার দূরত্বে এটি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। ১৫০ বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলার খরচে তৈরি এই স্পেস স্টেশন ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী ইতিহাসের তৈরি সবথেকে ব্যয়বহুল বস্তু। এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন কানাডা, ইউরোপিয়ন স্পেস এজেন্সি, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের বিজ্ঞানীরা, যাঁরা ISS এর মধ্যে থেকে তাঁদের গবেষণার কাজ করেন। 

    রাতের আকাশে চোখ মেললে দেখা যায় ISS?

    হ্যাঁ, ঠিকই তাই। খোলা চোখে পৃথিবীতে বসেও আমরা দেখতে পাই এই ISS কে। অনেক সময় রাতের আকাশে চোখ রাখলে দেখা যায়, আলোকিত উজ্জ্বল তারার মতো একটি বস্তু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভেসে চলেছে। সেটিই ISS যা অনেক সাধারণ মানুষই নজর করেছেন। 

    ISS এর ভবিষ্যৎ

    গত এক দশকে মহাকাশ গবেষণায় ও মহাকাশের বিভিন্ন অজানা তথ্য জানতে এই ISS অসামান্য ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু সম্প্রতি জানা গেছে, এর ভবিষ্যৎ রয়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। ২০২৪ সালের পর নাসা এই ISS খাতে আর কোনও অর্থ বিনিয়োগ করবে না বলে জানিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৬০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে নাসা ১০০ বিলিয়ন ডলার নিজে ব্যয় করেছে। ফান্ডিং-এর সংকটের কারণে ২০২৮ সালের পর শেষ হতে চলেছে এই কালজয়ী মহাকাশ স্টেশনের যাত্রা, ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Solar Storm: ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়, ইন্টারনেট শূন্য হতে পারে বিশ্ব! আশঙ্কা নাসার

    Solar Storm: ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়, ইন্টারনেট শূন্য হতে পারে বিশ্ব! আশঙ্কা নাসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনকার প্রজন্ম ইন্টানেটের উপর নির্ভরশীল। আজকের দিনে ওয়ার্ক ফ্রম হোমেই দিন কাটছে বহু মানুষের। পড়াশোনা চলছে অনলাইনে। দূর-দূরান্ত থেকে ডাক্তাররা রোগী দেখছেন ইন্টারনেট পরিষেবার দ্বারা। এই আবহে সৌর ঝড়ের ফলে যদি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইন্টারনেট পরিষেবা। তাহলে তো সমূহ বিপদ। সৌর ঝড়ের (Solar Storm) ফলে ফাটল ধরতে পারে পৃথিবীর আবরণের চৌম্বক ক্ষেত্রে, বেতারযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে, জিপিএস বিকল হতে পারে, বিঘ্নিত হতে পারে মোবাইল নেটওয়ার্ক, এমনকী ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে, অনুমান গবেষকদের। এই ঝড়ের কারণে সমুদ্রের তলা দিয়ে যেই অপটিক ফাইবার বিছানো রয়েছে তা অফলাইন হয়ে গিয়ে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

    সৌর ঝড় কী ?

    সূর্যপৃষ্ঠ থেকে নানা ধরণের অগ্ন্যুৎপাত ও শক্তি নির্গত হয়। এই অগ্ন্যুৎপাত ও শক্তির সমন্বয়ে তৈরি হয় সৌর ঝড় (Solar Storm)। এর মধ্যে থাকে ফ্লেয়ার (Flares), প্রমিনেন্স (Prominence), সানস্পট (Sunspots) এবং করোনাল মাস ইজেকশন (Coronal Mass Ejections) বা সিএমই (CME)। এগুলির মধ্যে সঞ্চিত চৌম্বকশক্তি সূর্যের গরম গ্যাসকে সক্রিয় করে। কখনও কখনও সৌর ঝড় পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রর দিকে চলে আসে এবং ধাক্কা খায়। সেই সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঘর্ষণের ফলে আকাশে অদ্ভুত আলোর সৃষ্টি করে।

    সৌর ঝড় কী কী করতে পারে ?

    সৌর ঝড়ের (Solar Storm) মধ্যে অবস্থিত শক্তি নিজের একটি চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে। যা পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করতে পারে। একটি সৌর ঝড় স্যাটেলাইট, টেলি-যোগাযোগ এবং নেভিগেশন সিস্টেমকে ব্যাহত করতে পারে। পাওয়ার গ্রিড ধংস করতে পারে, নির্দিষ্ট কোনও অঞ্চলে অন্ধকার বা ব্ল্যাকআউটের কারণ হতে পারে।

    নাসার সতর্কীকরণ

    কয়েক দিন ধরেই সূর্যে উথালপাথাল পরিস্থিতি। সৌর ঝড় নিয়ে আগেও সতর্ক করেছে নাসা। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সেই সতর্কবার্তা সত্যি করে পৃথিবীর গায়ে এসে লাগল সৌর ঝড়ের (Solar Storm) ধাক্কা। সৌর ঝড়ের ফলে সূর্যের মধ্যেকার আগুনে পদার্থ ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় চারদিকে। মহাকাশে সৌরজগতের অন্যত্রও সেই পদার্থের বিচ্ছুরণ ঘটে। প্রভাব পড়ে সূর্যের বিভিন্ন গ্রহ ও উপগ্রহের পারিপার্শ্বিকে। পৃথিবীর উপরেও সম্প্রতি সৌরঝড়ের প্রভাব পড়েছে। আমেরিকার ন্যাশনাল ওসানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নোয়ার তরফে জানানো হয়েছে, সৌর ঝড়ের ধাক্কায় পৃথিবীর চৌম্বকীয় তরঙ্গে ঝড় উঠেছে। রবিবার রাত থেকে এই ভূ-চৌম্বকীয় তুফান শুরু হয়েছে। যা চলবে সোমবার সারা দিন। এই ঝড়ের ফলে পৃথিবীর বুকে একাধিক দেশের আকাশে দেখা গিয়েছে অভিনব মেরুজ্যোতি।

    আরও পড়ুন: মাল্টিভিটামিনের অভাবে ভুগছেন প্রতি ১০ জন মহিলার ৭ জনই! কীভাবে রুখবেন?

    অভিনব মেরুজ্যোতি

    ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রবিবার রাতে আকাশে মেরুজ্যোতির ছটা লক্ষ্য করা গিয়েছে। মহাজাগতিক আলোয় ছেয়ে গিয়েছিল আকাশের একাংশ। দক্ষিণ ইউরোপ, এমনকী ফ্রান্স পর্যন্ত এই মেরুজ্যোতির ঝলক দেখা গিয়েছে। চিনের আকাশে উজ্জ্বল লাল রঙের মেরুপ্রভা দেখতে পেয়েছেন অনেকে। বার্লিনে রাতের আকাশে দেখা গিয়েছে গাঢ় সবুজ রঙের আলো। এমন দৃশ্য আগে কখনও দেখা যায়নি বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। একই দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে পোল্যান্ডও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Solar Eclipse 2023: বৃহস্পতিবার ‘হাইব্রিড’ সূর্যগ্রহণ! কোথা থেকে দেখা যাবে অতি-বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য?

    Solar Eclipse 2023: বৃহস্পতিবার ‘হাইব্রিড’ সূর্যগ্রহণ! কোথা থেকে দেখা যাবে অতি-বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার, আগামী ২০ এপ্রিল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের (Solar Eclipse 2023) সময় এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হবে পৃথিবী, এমনটাই জানাল নাসা। সূর্যের সোনালি বৃত্ত চাঁদের ছায়াকে ছাপিয়ে দেখা যায় চারপাশ থেকে। মাঝখানে অন্ধকার আর চারপাশে সোনালি বলয়ের সূর্যকে দেখতে লাগবে খানিকটা সোনার আংটির মতো। নাসা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের সূর্যগ্রহণকে বলা হচ্ছে হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ (Solar Eclipse 2023)। তাই এই বিরল ঘটনা নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে। নাসা সূত্রে খবর,  ভারতে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবেনা।

    এই বিরল সূর্যগ্রহণের (Solar Eclipse 2023) নাম হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ কেন

    হাইব্রিড গ্রহণ হল একই সঙ্গে আংশিক, পূর্ণগ্রাস ও বলয়গ্রাস গ্রহণ। যদি তিন রকম গ্রহণ পরপর একই সঙ্গে ঘটে তাহলে তা হল হাইব্রিড বা মিশ্র। এটিকে বিরলতম মহাজাগতিক ঘটনা বলেন বিজ্ঞানীরা।
    পূর্ণগ্রাস: যখন সূর্য পুরোপুরি ঢাকা পড়ে যায় চাঁদের ছায়ায়, আমরা বলি পূর্ণগ্রাস। বিজ্ঞানের পরিভাষায়, ‘টোটাল সোলার একলিপ্স’। সূর্যের পূর্ণগ্রাস মেরেকেটে হতে পারে ৬ কি সাড়ে ৬ মিনিটের জন্য। খুব বেশি হলে যা হতেও পারে বড়জোর সাড়ে ৭ মিনিট।

    আংশিক গ্রহণ: কোথাও যদি সেটা পুরোপুরি হয়, তা হলে অন্য কোথাও হবে সূর্যের আংশিক গ্রহণ। যেখানে পৃথিবীর সামনে এসে চাঁদ পুরোপুরি ঢেকে দিতে পারে না সূর্যকে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয়, ‘পার্শিয়াল সোলার একলিপ্স’।

    বলয়গ্রাস গ্রহণ: আরও এক ধরনের সূর্যগ্রহণ হয় যাকে বলে বলয়গ্রাস গ্রহণ। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যার নাম ‘অ্যানুলার সোলার একলিপ্স’। কক্ষপথে প্রদক্ষিণের সময় চাঁদ যখন এমন একটা দূরত্বে চলে যায়, যাতে তার ছায়া সূর্যকে ঢেকে দিতে পারে না পুরোপুরি, তখনই হয় সূর্যের বলয়গ্রাস।

    মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই হাইব্রিড সূর্যগ্রহণে (Solar Eclipse 2023) সূর্যের আকৃতির থেকে চাঁদের ছায়া ছোট হয়। ফলে সূর্যকে পুরো আড়াল করতে পারেনা। তারফলে চারদিক দিয়ে সূর্যের ছটা বেরিয়ে আসে। তখন সূর্যকে দেখতে অনেকটা সোনার আংটির মত দেখায়। নাসার মতে, এই ধরনের সূর্যগ্রহণের ঘটনা মাত্র ৩.১ শতাংশ ঘটে। এই শতাব্দীর মোট ২২৪ টি সূর্যগ্রহণের মধ্যে ৭টি মাত্র এই জাতীয় হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ। নাসা আরও জানাচ্ছে, এই ধরনের গ্রহণ প্রতি ১০ বছরে একবার হয়। এই হাইব্রিড গ্রহণ আংশিক থেকে পূর্ণগ্রাসের দিকে যায়। চাঁদের থেকে সূর্যের দূরত্ব যত কম তত গ্রহণ পূর্ণগ্রাসের দিকে যায়।

    কোথা থেকে এই বিরল দৃশ্য দেখা যাবে

    নাসা জানিয়েছে, ভারত থেকে এই বিরল দৃশ্য দেখার কোনও আশা নেই। কারণ হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ (Solar Eclipse 2023) দেখা যাবে শুধু মাত্র অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলের এক্সমাউথ থেকে। এছাড়া ইস্ট ইন্ডিজ, ফিলিপিন্স এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে মোট চারটি গ্রহণ হবে। দুটি চন্দ্রগ্রহণ এবং দুটি সূর্যগ্রর্যহণ (Solar Eclipse 2023)। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই গ্রহণগুলো দেখা যাবে। বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ হবে ১৪ অক্টোবরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Carbon Capture: বায়ু থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে বেকিং সোডা! যুগান্তকারী গবেষণা বাঙালি বিজ্ঞানীর

    Carbon Capture: বায়ু থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে বেকিং সোডা! যুগান্তকারী গবেষণা বাঙালি বিজ্ঞানীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বায়ুমণ্ডল থেকে সরাসরি কার্বন শোষণ (Carbon Capture) করে তা সমুদ্রে সংরক্ষণ করার নতুন পদ্ধতি আবিস্কার করলেন বিজ্ঞানীরা। এই নয়া পদ্ধতিতে প্রথমে কার্বন সংগ্রহ করা হবে বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে পরে তা পরিবর্তিত করা হবে বেকিং সোডাতে। সাধারণভাবে বায়ুমণ্ডল থেকে সরাসরি কার্বন সংগ্রহ(Carbon Capture) করার পদ্ধতি খুবই ব্যয়সাপেক্ষ। কিন্তু নতুন এই গবেষণা, খরচ অনেকটাই কম করবে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। গবেষকরা বলছেন, কার্বন সংরক্ষণের (Carbon Capture) এটা অনেক সহজ পদ্ধতি।

    বিজ্ঞানীরা বলছেন, বায়ুমণ্ডল থেকে সংগৃহীত কার্বন সংরক্ষণ (Carbon Capture) করার অসীম ক্ষেত্র হল সমুদ্র। আঠা এবং কিছু রাসায়নিক যৌগের সাহায্যে কার্বনকে বেকিং সোডায় পরিবর্তিত করা হবে, তারপর তা সমুদ্রের জলে মেশানো হবে। গবেষকদের দাবি, বেকিং সোডা সমুদ্রের জলে মেশালে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়না।

    আরও পড়ুন: আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবস, জানেন এই দিনের তাৎপর্য?

    কী বলছেন এই পদ্ধতির আবিষ্কারক বাঙালি বিজ্ঞানী অরুপ সেনগুপ্ত

    এই গবেষণার তত্ত্বাবধান করছেন বাঙালি বিজ্ঞানী অরুপ সেনগুপ্ত। তিনি বর্তমানে বেথলেহেমের লিহাই বিশ্ববিদ্যালেয় অধ্যাপক। তাঁর মতে, নতুন এই পদ্ধতি পূর্বের চেয়ে তিনগুণ দ্রুত কাজ করবে এবং তা খরচ সাশ্রয়ীও বটে। তাঁর মতে, এই নয়া পদ্ধতিতে অনেক বেশি পরিমাণ কার্বনকে কম ঘনত্বের উপাদানের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা যাবে। তিনি আরও বলেন পুরনো পদ্ধতিতে কার্বনকে সংরক্ষণ (Carbon Capture) করা হত মাটির নীচে। নতুন পদ্ধতিতে কার্বনকে বাইকার্বনেটে (বেকিং সোডা) রুপান্তরিত করে তা সমুদ্রের জলে সংরক্ষণ করা যাবে।

    বাঙালি বিজ্ঞানীর পরিকল্পনা

    বিজ্ঞানী অরুপ সেনগুপ্তের পরিকল্পনা রয়েছে একটি প্রযুক্তি সংস্থা তৈরি করার এবং তা কাজ করবে কার্বন সংরক্ষণের (Carbon Capture) ওপর। বাঙালি বিজ্ঞানী বলছেন, এরমাধ্যমে বায়ুমণ্ডল থেকে খুব তাড়াতাড়ি ১০০টন কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ কের নেওয়া সম্ভব হবে।

    প্রসঙ্গত, কার্বন ডাই অক্সাইডের বৃদ্ধির ফলে বাড়ছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং। মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • National Science Day: আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবস, জানেন এই দিনের তাৎপর্য?

    National Science Day: আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবস, জানেন এই দিনের তাৎপর্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি। ফি বছর এই দিনটিকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day) হিসেবে পালন করা হয়। নোবেল জয়ী ভারতীয় পদার্থ বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন (C V Raman) এই দিনেই তাঁর জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার রামন এফেক্ট আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তাছাড়াও দেশের অগ্রগতির নেপথ্যে বিজ্ঞানীদের (Sciencetist) ভূমিকার কথা মাথায় রেখে ফি বছর মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয় জাতীয় বিজ্ঞান দিবস।

    জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day)…

    ভারত মাতা যেসব তারকা বিজ্ঞানীর জন্ম দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজন হলেন স্যর চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন। বিশ্বখ্যাত এই পদার্থ বিজ্ঞানীকে সবাই চেনেন সিভি রামন নামে। ১৯২৮ সালে তিনি আবিষ্কার করেন রামন এফেক্ট। তাঁর নামেই হয় নামকরণ। যুগান্তকারী এই আবিষ্কারের কারণে ১৯৩০ সালে পদার্থ বিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পান তিনি। মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯৯৭ সালে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হন রামন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ১৯৩০ পান নোবেল পুরস্কার। ১৯৩৩ সালে বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স তৈরি করেন। সেখানকার পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধানের দায়িত্বও পালন করেন রামন। ১৯৪৭ সালে হন রামন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর।

    আরও পড়ুুন: ক্রমশই পরিবর্তিত হচ্ছে শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠতল! পৃথিবীর ওপর এর কী প্রভাব? জানুন বিস্তারিত

    প্রথমবার জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day) পালিত হয় ১৯৮৭ সালে। এই দিনটি পালনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল রামন এফেক্ট আবিষ্কারের দিনটিকেই। প্রশ্ন হল, রামন এফেক্ট কী? ফোটন কণার অস্থিতিস্থাপক বিকিরণকে বলা হয় রামন এফেক্ট। অন্যভাবে বলা যায়, আলো যখন কোনও স্বচ্ছ পদার্থের মধ্যে দিয়ে যায়, তখন তার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য পরিবর্তনের ব্যাখ্যা দেয় এই রামন এফেক্ট। ১৯২৮ সালে রামন ও তাঁর এক ছাত্র কেএস কৃষ্ণণ তরল পদার্থে রামন এফেক্ট আবিষ্কার করেন। কলকাতার ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্সে এই আবিষ্কারটি করেছিলেন রামন।

    প্রসঙ্গত, ১৯২১ সালে জাহাজে চেপে ইউরোপে যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরের জলে নীল আলোর বিচ্ছুরণ দেখে রামন এফেক্টের ভাবনা মাথায় আসে তাঁর। পরে ল্যাবরেটরিতে বসে মার্কারি ল্যাম্প ও বরফের টুকরো দিয়ে পরীক্ষা করেন তিনি। সেই পরীক্ষারই ফল প্রকাশিত হয় ১৯২৮ সালে (National Science Day)। নোবেল পুরস্কার আসে তারও দু বছর পর। চলতি বছর জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের থিম হল গ্লোবাল সায়েন্স ফর গ্লোবাল ওয়েলবিয়িং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share