Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • NASA DART Mission: ডিরেক্ট হিট! মুহূর্তেই ছিটকে গেল গ্রহাণু! নাসার ঐতিহাসিক পরীক্ষা সফল

    NASA DART Mission: ডিরেক্ট হিট! মুহূর্তেই ছিটকে গেল গ্রহাণু! নাসার ঐতিহাসিক পরীক্ষা সফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাজাগতিক বিস্ময়! পৃথিবীকে মহাজাগতিক বস্তু থেকে বাঁচাতে নাসা-র (NASA) ডার্ট মিশনের (DART Mission) প্রথম চেষ্টাই দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করল। গতকাল স্থানীয় সময় অনুসারে, সন্ধ্যে ৭টা ১৪ মিনিট নাগাদ গ্রহাণু ডিমরফস-এর (Dimorphos) সঙ্গে সংর্ঘর্ষ ঘটানো হয় নাসার ডার্ট মিশনের যানের। এর মাধ্যমে পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে গ্রহাণুটিকে সরিয়ে নিতে সফল হয়েছে নাসা। ফলে নাসার মিশন মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে এনে দিয়েছে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন।

    জানা গিয়েছে, গ্রহাণুটি পৃথিবীর কক্ষপথের কাছাকাছি ছিল এবং গতকাল এই অভিযানের সময় পৃথিবী থেকে ৭০ লক্ষ মাইল দূরে অবস্থান ছিল গ্রহাণুটির। নাসার ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডায়রেকশন টেস্ট (ডার্ট) মহাকাশযান সেটির উপর আছড়ে পড়ে। ফলে গ্রহাণুটির দিক কক্ষপথ থেকে বের করে দিতে সক্ষম হয়েছে মহাকাশযানটি। নাসার প্ল্যানেটারি সায়েন্স ডিভিশনের ডিরেক্টর লরি গ্লেজ বলেছেন, “আমরা একটি নতুন যুগের সূচনা করলাম। যে যুগে বিপজ্জনক গ্রহাণুর প্রভাবের থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার ক্ষমতা আছে।”

    আরও পড়ুন: আজই গ্রহাণুতে ধাক্কা নাসার ডার্ট মিশনের! সরাসরি সেই ভিডিও কখন, কোথায় দেখবেন?

    প্রসঙ্গত, এই মহাকাশযানটিকে প্রায় ১০ মাস আগে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে এই বিশেষ অভিযানের জন্য মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। গতকাল এই মহাকাশযনটি প্রায় ঘণ্টায় ২৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার গতিতে ডিমরফস-এর উপর আছড়ে পড়ে। ডিমরফস (Dimorphos) আয়তনে প্রায় ৫৩০ ফুট ও এর আকার মিশরের বৃহদাকার পিরামিডের মত। এতদিন এই গ্রহাণুটি ডিডিমস (Didymos) নামের গ্রহাণুকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করছিল। ডার্ট এই ডিমরফস-এ আছড়ে পড়ার আগে এই গ্রহাণুর রুক্ষ্ম, পাথুরে পৃষ্ঠদেশ স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল।

    বিজ্ঞানীদের দাবি, ডিফরমস গ্রহাণুটি পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক না, বরং এই অভিযানের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা  নিশ্চিত হল যে, ডার্ট গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন করতে সক্ষম। বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন, সংঘর্ষ হওয়ার পরে গ্রহাণুটি তুলনামূলক ছোট একটি কক্ষপথে গিয়ে পড়েছে তবে তার নির্দিষ্ট অবস্থান জানতে গ্রাউন্ড টেলিস্কোপ ব্যবহার করবেন বিজ্ঞানীরা। এ ছাড়াও, ডার্টের সঙ্গে লিসিয়াকিউব নামের একটি কৃত্রিম উপগ্রহও মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। ডার্ট গ্রহাণুর উপর আছড়ে পড়ার আগে লিসিয়াকিউব তার থেকে আলাদা হয়ে যায়। আগামী কয়েক মাস মহাকাশে ওই দুই গ্রহাণুকে (ডিমরফস ও ডিডিমস) পর্যবেক্ষণ করবে লিসিয়াকিউব ও সেই ছবি পাঠাবে নাসা-র বিজ্ঞানীদের। এর ফলে দুই গ্রহাণু থেকে সংগৃহীত পদার্থও সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য বিজ্ঞানীরা জানতে  পারবেন ও তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবেন।

  • Virus: ভাইরাস আমাদের ওপর নজর রেখে সিদ্ধান্ত নেয় কখন আক্রমণ করবে, বলছে গবেষণা

    Virus: ভাইরাস আমাদের ওপর নজর রেখে সিদ্ধান্ত নেয় কখন আক্রমণ করবে, বলছে গবেষণা

    মাধ্যমিক নিউজ ডেস্ক: একটি ভাইরাস কতদিন কারও শরীরে সুপ্ত থাকবে এবং কখন বৃদ্ধি পাবে এবং কখন কোষকে ধ্বংস করবে, এইসবই সে পরিবেশ থেকে নেওয়া তথ্য ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত নেয়। সম্প্রতি গবেষণায় (Study on Virus) দেখা গিয়েছে, ভাইরাসগুলি তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতার পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করে। এ বিষয়ে এক গবেষক বলেছেন, “আমরা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে এই বিষয়টিকে লাগাতে পারি।”  

    আরও পড়ুন: ফের নয়া বিপদ, করোনা ভাইরাসের মতো লক্ষণ পাওয়া গেল রাশিয়ান বাদুড়ে!

    গবেষক ইভান এরিল বলেছেন, ভাইরাস এবং এর হোস্টের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া আরও জটিল হয়, কারণ ভাইরাস ক্রমাগত পরিবেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। নতুন গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল ব্যাকটিরিওফেজ, যা “ফেজ” নামেও পরিচিত। যে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়াকে সংক্রমিত করে, এই গবেষণা মূলত সেই ভাইরাসের ওপর। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফেজগুলি কেবল তখনই তাদের হোস্টকে আক্রমণ করতে পারে যখন হোস্ট ব্যাকটেরিয়াগুলির পিলি এবং ফ্ল্যাজেলা নামক বিশেষ উপাঙ্গ থাকে। এই উপাঙ্গ চলাচল এবং প্রজননে সহায়তা করে।   

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গির পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে কোভিডও! পুজোর মুখে ফের সংক্রমণের আতঙ্ক 

    এরিল বলেন, “ফেজ সম্পর্কে আমরা যা কিছু জানি, তা হল, এরা ক্রমাগত এদের হোস্টের ওপর নজর রাখে। মানুষের শরীরেও একই ঘটনা ঘটায়।” এছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে ফেজগুলি তাদের আশেপাশের পরিবেশকে পর্যবেক্ষণ করে। কিন্তু হোস্টকে আক্রমণ করার কৌশল এক এক ফেজের ক্ষেত্রে এক এক রকম। 

    এরিলের মতে, এই নতুন গবেষণাটিতে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে, ফেজগুলি কোষের কার্যকলাপের উপর নজর রাখে। তিনি দাবি করেছেন যে, তাঁর দলের সদস্যরা ইতিমধ্যে ফেজে অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রক রাসায়নিকের জন্য রিসেপ্টর অনুসন্ধান শুরু করেছে এবং তাঁরা তাতে সফলতাও পেয়েছেন।  
     
    এই গবেষণার সবচেয়ে বড় সাফল্য হল, এই গবেষণা থেকেই জানা গিয়েছে, ভাইরাস কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে “সেলুলার ইন্টেল” কৌশল ব্যবহার করে। এর থেকে গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, ব্যাক্টেরিয়া যদি এই কৌশল ব্যবহার করে, তাহলে নিশ্চই উদ্ভিত এবং প্রাণীদের ক্ষেত্রেও এই রকম কোনও কৌশল রয়েছে।   

  • Artemis 1 Mission: তৃতীয় বারে হবে কি সফল? ২৭ সেপ্টেম্বর ফের চাঁদে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করবে ‘আর্টেমিস ১’

    Artemis 1 Mission: তৃতীয় বারে হবে কি সফল? ২৭ সেপ্টেম্বর ফের চাঁদে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করবে ‘আর্টেমিস ১’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’বার বাধা পাওয়ার পর চাঁদের উদ্দেশে ফের স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেট পাঠাতে চলেছে নাসা (NASA)। যান্ত্রিক গোলোযোগের কারণে অগাস্টের শেষের দিকে দুবার স্থগিত করা হয় আর্টেমিস মিশন (Artemis Mission)। নাসার চেষ্টা দুবার ব্যর্থ হওয়ার ফলে তৃতীয়বারে আর্টেমিস মিশন সফল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে নাসা। ফলে চাঁদের বুকে রকেট উৎক্ষেপণের জন্য দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ মাসেই চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে আর্টেমিস ১ মিশনের স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেট (SLS Rocket)।

    আরও পড়ুন: দ্বিতীয় চেষ্টাও ব্যর্থ! নাসার আর্টেমিস মিশনের রকেট উৎক্ষেপণ পিছিয়ে অক্টোবরে?

    নাসা জানিয়েছে, পরবর্তী উৎক্ষেপণের জন্য ২৭ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে যদি এদিনও যাত্রা সফল না হয়, তবে পঞ্চমবারের চেষ্টা ২ অক্টোবর করা হবে। মার্কিন সংস্থা নাসা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এবারে বিভিন্ন লজিস্টিক বিষয়গুলি যত্ন সহকারে বিবেচনা করা হয়েছে, ফলে উৎক্ষেপণের দিন চূড়ান্ত করতে এতদিন সময় লেগে গেল। এছাড়াও জানানো হয়েছে, ২৭ সেপ্টেম্বর এটি উৎক্ষেপণের আগে ২১ সেপ্টেম্বর একটি ক্রায়োজেনিক ডেমোনস্ট্রেশন পরীক্ষা করা হবে।

    আরও পড়ুন: চাঁদের বুকে কোথায় নামবেন মহাকাশচারীরা? ১৩টি জায়গা বেছে নিল নাসা

    ২৯ অগাস্ট উৎক্ষেপণের আগে এসএলএস রকেটের ইঞ্জিনগুলির একটিতে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে প্রথমবারের মতো স্থগিত করা হয়েছিল আর্টেমিস মিশ। এরপর দ্বিতীয়বারের জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল ৩ সেপ্টেম্বর। কিন্তু SLS রকেট থেকে তরল হাইড্রোজেন পূরণ এবং নিষ্কাশন করতে ব্যবহৃত 8-ইঞ্চি লাইনকে ঘিরে গ্রাউন্ড সাইড এবং রকেট সাইড প্লেটের মধ্যে একটি গহ্বরে একটি ফুটো দেখতে পান ইঞ্জিনিয়াররা। ফলে আর্টেমিস ওয়ান রকেট লঞ্চ প্যাডে থাকাকালীন হাইড্রোজেন লিক হওয়ার কারণে সেদিন পাড়ি দিতে পারেনি মহাকাশে। এরপর নাসার ইঞ্জিনিয়াররা এইসব সমস্যার সব সমাধান করে ফের চাঁদে উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে এইবারের প্রচেষ্টায় কোনরকমের বাধা আসবে না বলেই আসা করেছে নাসা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • NASA Artemis Mission: নাসার আর্টেমিস মিশনের সামনে ফের বাধা, চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘হ্যারিকেন’

    NASA Artemis Mission: নাসার আর্টেমিস মিশনের সামনে ফের বাধা, চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘হ্যারিকেন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাসার (Nasa) আর্টেমিস চন্দ্রাভিযানের (Artemis Mission) জন্য আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে বিশ্ববাসীকে। কিউবার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থানকারী হ্যারিকেন ঝড় মেক্সিকো (Mexico) উপসাগরের ওপর দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে ফ্লোরিডার (Florida) দিকে এগিয়ে আসছে। প্রবল বাতাস সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় চন্দ্রাভিযান আপাতত স্থগিত করছে নাসা। দু’বার পরপর চেষ্টার পরেও ব্যর্থ হয়েছে নাসার আর্টেমিস-১ মিশন। তাই তৃতীয়বারের চেষ্টায় মিশন সফল করতে মরিয়া নাসা। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার সামনে দাঁড়িয়ে এই স্পেস রিসার্চ (Space Research) সংস্থাটি। 

    আরও পড়ুন: ডিরেক্ট হিট! মুহূর্তেই ছিটকে গেল গ্রহাণু! নাসার ঐতিহাসিক পরীক্ষা সফল 

    মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তাদের ওয়েবসাইটে (Website) জানিয়েছে, হ্যারিকেন ঝড়ের ফলে এই মিশনটি রাতারাতি স্থগিত করা হয়েছে। ৩২০ ফুটের লম্বা বিশাল রকেটটিকে ঝড়ের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিশাল কমলা এবং সাদা রঙের রকেটটি তৈরি করতে কয়েক দশক সময় লেগেছে। গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী চাঁদের (Moon) দেবী আর্টেমিসের নাম অনুসারে এই চন্দ্রযানটির নামকরণ করা হয়েছে। নাসা জানিয়েছে বিধ্বংসী এই ঝড়টি চলে গেলেই তারা ফের রকেটটিকে উৎক্ষেপণের চেষ্টা করবে। তবে এখনও পর্যন্ত তার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, অক্টোবরের ১৭ থেকে ৩১ তারিখ অথবা নভেম্বরের ১২ থেকে ২৭ এর মধ্যে ফের উৎক্ষেপণের চেষ্টা হতে পারে।

    আর্টেমিস প্রোগ্রামটিকে নাসা তিন ভাগে ভাগ করছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই মিশন সফল হলে চাঁদের সঙ্গে পৃথিবীর যোগাযোগ আরও নিবিড় হবে। আর্টেমিস ১ মিশনটিতে (Artemis 1 mission) ইতিমধ্যেই বিরাট অঙ্কের টাকাও খরচ করে ফেলেছে নাসা। তাই দু বার ব্যর্থ হলেও, এই মিশন সফল করতে মরিয়া বিশ্বের বৃহত্তম এই মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রটি।

    প্রসঙ্গত, ৫০ বছর আগে নাসার অভিযানে শেষবার চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিল মানুষ। তার পর এবার চাঁদে যাচ্ছে ‘আর্টেমিস-১’। এতে অবশ্য কোনও মহাকাশচারী যাচ্ছেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jupiter Nearest to Earth: বৃহস্পতির হাতছানি! ৭০ বছর পরে ফের পৃথিবীর কাছাকাছি গ্রহরাজ

    Jupiter Nearest to Earth: বৃহস্পতির হাতছানি! ৭০ বছর পরে ফের পৃথিবীর কাছাকাছি গ্রহরাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের আকাশে দূরবীনে চোখ রেখে অনেকেই হারিয়ে যান তারাদের জগতে। এমন মহাকাশপ্রেমীদের জন্য সুখবর। রাতের আকাশে পৃথিবীর খুব কাছাকাছি দেখা যাবে গ্রহরাজ বৃহস্পতিকে। ২৬ সেপ্টেম্বর সোমবারই আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ৭০ বছর পর একবারই পৃথিবীর সবথেকে কাছে আসে বৃহস্পতি। এমন বিরল ঘটনা জীবনে দু-বার দেখার সুযোগ মেলে খুব কম সংখ্যক মানুষেরই। আকার আয়তনের দিক থেকে সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৬০ কোটি মাইল দূরে অবস্থান করে। কিন্তু ২৬ সেপ্টেম্বর পৃথিবী থেকে মাত্র ৩৬ কোটি ৫০ লক্ষ মাইল দূরে অবস্থান করবে গ্রহরাজ বৃহস্পতি।

    আরও পড়ুন: ডাইনোসরের যুগে তৈরি হওয়া গর্তের সন্ধান আজ! গ্রহাণু আছড়ে পড়ায় সৃষ্টি হয় ‘নাদির’ গহ্বরের

    বৃহস্পতির এরকম পৃথিবীর নিকটবর্তী হওয়ার ঘটনাটি মহাজাগতিক বলে জানিয়েছেন নাসার মার্শাল স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গবেষণারত জ্যোতির্বিজ্ঞানী অ্যাডাম কোবেলস্কি। তিনি বলেছেন, অত্যাধুনিক ব্যান্ডযুক্ত বাইনোকুলার ব্যবহার করলে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকেই সেদিন দেখতে পাওয়া যাবে বৃহস্পতির ৩-৪টি গালিলিয়ান উপগ্রহ। এছাড়াও ৪ ইঞ্চি বড়ো এবং সবুজ-নীল ফিল্টারযুক্ত টেলিস্কোপ ব্যবহার করলে বৃহস্পতিকে শুধু স্পষ্ট ভাবে দেখাই যাবে না, তাকে জড়িয়ে থাকা বাষ্পীয় বলয়ও (অন্তত মাঝখানের বলয়টি) স্পষ্ট দেখা যাবে। বৃহস্পতির দক্ষিণ গোলার্ধে একটি লাল বিন্দু রয়েছে৷ যা বৃহত্তম সৌরঘূর্ণি বলে পরিচিত।

    আরও পড়ুন: পৃথিবীকে বাঁচাতে গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ নাসার মহাকাশযানের! দেখতে পাবেন লাইভ

    শক্তিশালী দূরবীক্ষণ যন্ত্রে চোখ রাখলে সেটিরও দেখা মিলবে৷ প্রাপ্তির এখানেই শেষ নয়৷ ওই দিন দেখা মিলতে পারে বৃহস্পতির তিন-চারটি উপগ্রহেরও৷ ১৭ শতকে গ্যালিলিও প্রথম বৃহস্পতির তিনটি উপগ্রহ নিরীক্ষণ করেছিলেন। সেকারণেই এই উপগ্রহগুলি গ্যালিলিয়ান উপগ্রহ নামে পরিচিত। প্রসঙ্গত, নাসার জুনো মহাকাশযান ৬ বছর ধরে বৃহস্পতিকে প্রদক্ষিণ করে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের আশা, বৃহস্পতির অধ্যয়ন সৌরজগতের অনেক অজানা তথ্যের উন্মোচন করবে। নাসার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতি পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান কালে তার ছবি তোলা হবে। যদিও ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Asteroid: আজই ধেয়ে আসছে বিমানের আকারের সমান গ্রহাণু ‘২২ আরকিউ’, সতর্ক করল নাসা

    Asteroid: আজই ধেয়ে আসছে বিমানের আকারের সমান গ্রহাণু ‘২২ আরকিউ’, সতর্ক করল নাসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও একটি বিশালাকৃতির গ্রহাণু ধেয়ে আসছে গ্রহাণু (Asteroid)। গ্রহাণুটির নাম Asteroid 22 RQ। সম্প্রতি ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) প্রকাশ করেছে যে একটি বিশাল গ্রহাণু, যা প্রায় একটি বিমানের আকারের সমান, আজ পৃথিবীর দিকে আসছে। গ্রহাণু ২২ আরকিউ ইতিমধ্যেই পৃথিবীর দিকে প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৪৯,৫৩৬ কিলোমিটর গতিতে এগিয়ে চলছে।

    নাসা থেকে জানানো হয়েছে যে, গ্রহাণুটি পৃথিবীর কক্ষপথের প্রায় ৩৭ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর একেবারে পাশ কেটে চলে যাবে। তবে, নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স কোঅর্ডিনেশন অফিস থেকে সতর্ক করা হয়েছে যে, গ্রহাণু ২২ আরকিউ প্রায় ৮৪ ফুট চওড়া এবং এটি একটি বিমানের আকারের প্রায় সমান। তাই যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও বিপদ ঘটতে পারে। জানা গিয়েছে, সূর্য থেকে গ্রহাণুটির দূরতম বিন্দু ৩২৮ মিলিয়ন কিলোমিটার, এবং সূর্যের নিকটতম বিন্দুটি ১১০ মিলিয়ন কিলোমিটার। গ্রহাণু 2022 RQ-এর  সূর্যের চারপাশে একবার প্রদক্ষিণ সম্পূর্ণ করতে ৬৪৮ দিন সময় লাগে।

    আরও পড়ুন: ডাইনোসরের যুগে তৈরি হওয়া গর্তের সন্ধান আজ! গ্রহাণু আছড়ে পড়ায় সৃষ্টি হয় ‘নাদির’ গহ্বরের

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গ্রহাণুটি প্রাথমিকভাবে ১ সেপ্টেম্বর, ২০০-এ আবিষ্কার করা হয়েছিল। এটি প্রধানত অ্যাপোলো গ্রহাণু গোষ্ঠীর সদস্য৷ এই গ্রহাণুটিকে নাসার নিওওয়াইজ টেলিস্কোপের দ্বারা আবিষ্কার করা হয়েছে। এই টেলিস্কোপটিকে ওয়াইড-ফিল্ড ইনফ্রারেড সার্ভে এক্সপ্লোরার একটি সমীক্ষায় টেলিস্কোপ হিসাবে ব্যবহার করে। এটি পৃথিবীর কাছাকাছি অবজেক্টের অনুসন্ধান করতে, বেশিরভাগ গ্রহাণুর পর্যবেক্ষণে সহায়তা করে। গ্রহাণু, উল্কা এবং বিভিন্ন ধরনের ধূমকেতুকে একত্রে নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট (NEO) বলা হয়।

    গ্রহাণুর টুকরো, ধূমকেতু এবং উল্কাপিণ্ড যেগুলোর আকার সাধারণত ৩ ফুটেরও কম হয় তারা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আঘাত করে এবং এটিকে তখন জ্বলতে দেখা যায়। এই ঘটনাটি কার্যত প্রতিদিন ঘটে। প্রসঙ্গত, নাসা  গত বছর ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট (DART) প্রোগ্রাম শুরু করেছে। এই প্রোগ্রামের লক্ষ্যই হল এমন ধরণের গ্রহাণুর থেকে পৃথিবীকে বাঁচানো। আর কিছুদিন পরেই, ২৬ সেপ্টেম্বর, নাসার ডার্ট মিশনের মহাকাশযানকে গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ করানো হবে ও সেই বিরল দৃশ্য লাইফ স্ট্রিমও করা হবে।  

    আরও পড়ুন: পৃথিবীকে বাঁচাতে গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ নাসার মহাকাশযানের! দেখতে পাবেন লাইভ

  • Asteroid 2008 RW: তাজমহলের দ্বিগুণ আয়তনের গ্রহাণু সরাসরি আসছে ধেয়ে, তবে কি পৃথিবী ধ্বংসের পথে?

    Asteroid 2008 RW: তাজমহলের দ্বিগুণ আয়তনের গ্রহাণু সরাসরি আসছে ধেয়ে, তবে কি পৃথিবী ধ্বংসের পথে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্রহ্মাণ্ড বা মহাজাগতিক বিষয়ে আপনি বিশ্বাস করুন বা না করুন, কিন্তু এই খবর আপনাকে জানতেই হবে। 

    সম্প্রতি, এক ভীষণই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন মহাকাশ-বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এক দৈত্যকায় গ্রহাণু (Asteroid) পৃথিবীর দিকে সরাসরি ধেয়ে আসছে। আয়তনে যা তাজমহলের প্রায় দ্বিগুণ। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, গ্রহাণুটির সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হতে পারে। তবে, পৃথিবীর কোন স্থানে এই গ্রহাণুটি আছড়ে পড়তে পারে তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা কোন সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। আবার বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে এই গ্রহাণুর প্রবেশের সম্ভাবনা খুবই কম। তা সত্ত্বেও বিজ্ঞানীরা সকলকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।

    আরও পড়ুন: ডাইনোসরের যুগে তৈরি হওয়া গর্তের সন্ধান আজ! গ্রহাণু আছড়ে পড়ায় সৃষ্টি হয় ‘নাদির’ গহ্বরের

    বিজ্ঞানীরা এই গ্রহাণুর নাম দিয়েছে ‘২০০৮ আরডব্লিউ’ (2008 RW)। বিশাল এই গ্রহাণুটি তিন-চার বছর অন্তর পৃথিবীর কাছাকাছি আসে। গ্রহাণুটি এইবার পূর্বের চেয়ে পৃথিবীর কক্ষপথের অনেক কাছাকাছি আসতে চলেছে। যে কারণে, এই গ্রহাণুকে ‘নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট’ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যে এটি পৃথিবীর কক্ষপথে ১৩ সেপ্টেম্বর প্রবেশ করবে এবং এর গতিবেগ থাকবে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১০ কিলোমিটার। 

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA) জানিয়েছে, গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৬৭ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে আসছে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষীয় টানের মাধ্যমে টেনে নেওয়ার জন্য এই দূরত্ব যথেষ্ট কাছাকাছি। এটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি চলে আসায় নাসার গবেষকেরা এর গতিবিধির উপর সবসময় নজর রাখছেন। তবে এটি কোথায় আছড়ে পড়তে পারে সেই ব্যাপারে কিছু জানাননি তাঁরা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গ্রহাণুটি প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল ২০০৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর। মহাকাশীয় এই বস্তুটি অ্যাপোলো গ্রুপের অন্তর্গত। সূর্যের চারপাশে একবার ঘুরে আসতে এটি সময় নেয় প্রায় ১০২৩ দিন।

    আরও পড়ুন: পৃথিবীকে বাঁচাতে গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ নাসার মহাকাশযানের! দেখতে পাবেন লাইভ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Voyager 1: অবিশ্বাস্য! ৪৫ বছর মহাকাশে কাটিয়ে দিল নাসার ‘ভয়েজার ১’

    Voyager 1: অবিশ্বাস্য! ৪৫ বছর মহাকাশে কাটিয়ে দিল নাসার ‘ভয়েজার ১’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাসার (NASA) দুই মহাকাশযান ভয়েজার ১ (Voyager 1) ও ভয়েজার ২ (Voyager 2) পাঁচ দশক কাটিয়ে দিল মহাকাশে। কিছুদিন আগেই ভয়েজার ২ মহাকাশে ৪৫ বছর পূর্ণ করেছে, এরপর ভয়েজার ১, ৫ সেপ্টেম্বর ৪৫ বছর পূর্ণ করল। ১৯৭৭ সালে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল এই দুটি মহাকাশযান।

    এই দুটি মহাকাশযানের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্ব অপরিসীম। মানবসভ্যতার পাঠানো প্রথম দুই মহাকাশযান ভয়েজার-১ এবং ভয়েজার-২, রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর (RTGs) দ্বারা চালিত, যা প্লুটোনিয়ামের প্রাকৃতিক ক্ষয় দ্বারা উৎপাদিত তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। এই দুটি যানই মহাকাশে ঘণ্টায় ৩০ হাজার মাইলেরও বেশি গতিবেগে এগিয়ে চলছে।

    আরও পড়ুন: ৮৬০ কোটি টাকায় ইসরোর পাঁচটি পিএসএলভি নির্মাণের বরাত পেল হ্যাল-এল অ্যান্ড টি

    ভয়েজার-১ যাত্রা শুরু করেছিল ১৯৭৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। আর তার ‘যমজ’ ভয়েজার-২ যাত্রা শুরু করেছিল তার ১৬ দিন আগে, ১৯৭৭-এর ২০ অগাস্ট। ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে টাইটান IIIE-সেন্টার রকেটে ( Titan IIIE-Centaur rocket) চাপিয়ে এই দুটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ভয়েজার ২ পৃথিবী থেকে ২৩.৩ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে ও ভয়েজার ২ প্রায় ১৯.৫ বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে রয়েছে। উভয়েরই ওজন প্রায় ৮০০ কেজি এবং এতে ১১টি যন্ত্র রয়েছে যার সাহায্যে মহাকাশের বিভিন্ন জিনিসের ছবি তোলা এবং বিশ্লেষণ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল।

    তবে এক দশক আগে, ২০১২ সালের ১ অগাস্ট ভয়েজার ১ সূর্যের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে ও প্রবেশ করেছে ‘ইন্টারস্টেলার স্পেস’-এ অর্থাৎ আন্তর্নক্ষত্রমণ্ডলের এলাকায়। দু’টি নক্ষত্রের মাঝের অঞ্চলকেই ‘ইন্টারস্টেলার স্পেস’ (Intersteller Space) বলা হয়। এর আগে আর কোনও মহাকাশযানই সূর্যের হেলিওস্ফিয়ার ছেড়ে ইন্টারস্টেলার স্পেসে যেতে পারেনি।

    এছাড়াও এটি বৃহস্পতির চারপাশে একটি পাতলা বলয় আবিষ্কার করেছে এবং এর দুটি নতুন জোভিয়ান চাঁদ- থিবে এবং মেটিস- এবং শনির চারপাশে পাঁচটি নতুন চাঁদ আবিষ্কার করেছে। ভয়েজার ১-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনির চাঁদ টাইটানের বায়ুমণ্ডলীয় তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, পৃথিবী ছাড়াও অন্য পৃথিবীতে তরল থাকতে পারে এবং নাইট্রোজেন, মিথেন এবং আরও জটিল হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতিতে প্রিবায়োটিক রাসায়নিক বিক্রিয়ার সম্ভাবনার তথ্যও পাওয়া গিয়েছে ভয়েজারের মাধ্যমে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nadir Crater:  ডাইনোসরের যুগে তৈরি হওয়া গর্তের সন্ধান আজ! গ্রহাণু আছড়ে পড়ায় সৃষ্টি হয় ‘নাদির’ গহ্বরের

    Nadir Crater: ডাইনোসরের যুগে তৈরি হওয়া গর্তের সন্ধান আজ! গ্রহাণু আছড়ে পড়ায় সৃষ্টি হয় ‘নাদির’ গহ্বরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিশ্বাস্য! ডাইনোসরের যুগের এক গর্ত পৃথিবীর বুকে আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা। এই গর্তটি সমুদ্রপৃষ্ঠের নীচে অবস্থিত। এই আবিষ্কার নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গবেষক মহলে। তবে এতদিন কেন এই গর্ত কারও চোখে পড়েনি, তা নিয়েও অনেক জল্পনা শুরু হয়েছে।

    একসময় পৃথিবীতে রাজত্ব করত ডাইনোসররা। কিন্তু মহাকাশ থেকে বিভিন্ন আকৃতির শিলা, গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ার কারণে ডাইনোসর সহ আরও অনেক প্রজাতির প্রাণীরা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। আর এইসব বিশালাকৃতির গ্রহাণু, শিলা পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ায় সৃষ্টি হয় একাধিক গহ্বর বা গর্ত।

    বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন তাঁরা যে নতুন গর্তটি আবিষ্কার করেছেন, এটি ডাইনোসরের শেষ হওয়ার সময়েই সৃষ্টি হয়েছিল। তাঁদের ধারণা লক্ষ লক্ষ বছর আগে ডাইনোসর ধ্বংসকারী গ্রহাণুর আছড়ে পড়ার পরেই এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর বুকে পড়েছিল, ফলে সৃষ্টি হয়েছে এই গর্তের। এই গর্তটি আবিষ্কার করেছেন এডিনবার্গের হেরিওট-ওয়াট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক উইসডিয়ান নিকোলসন। তিনি জানিয়েছেন দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকার মধ্যে টেকটোনিক বিভাজনের উপর একটি গবেষণার জন্য ডেটা বিশ্লেষণ করার সময়, পশ্চিম আফ্রিকার গিনির উপকূলে প্রায় ৪০০  কিলোমিটার দূরে সমুদ্রতলের ১৩০০ ফুট নীচে এই গর্তটি দেখতে পান। তখন তিনি এই গহ্বরটির নাম দেন নাদির ক্রেটার (Nadir Crater)।

    আরও পড়ুন: পৃথিবীকে বাঁচাতে গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ নাসার মহাকাশযানের! দেখতে পাবেন লাইভ

    নিকোলসন পর্যবেক্ষণ করে বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, পাঁচ মাইল জুড়ে তৈরি গর্তটি, একটি গ্রহাণুর জন্যই সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এই গ্রহাণুটি ডাইনোসর ধ্বংসকারী শিলার থেকে অনেকটাই ছোট। কারণ যে মহাকাশ শিলা ডাইনোসরদের হত্যা করেছিল, তা মেক্সিকো উপসাগরে পড়ে ১০০ মাইল জুড়ে চিক্সউলুব ক্রেটার (Chicxulub Crater) তৈরি করেছিল। তিনি ও তাঁর সহকর্মীরা অনুমান করেছেন, ১৩০০ ফুট লম্বা গ্রহাণুটি প্রতি সেকেন্ডে ১২ মাইল বেগে চলছিল এবং এর শক্তি সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক বিস্ফোরণের চেয়েও ১০০ গুণ বেশি ছিল। তিনি বিশ্বাস করেন যে, এই গ্রহাণুর সংঘর্ষের ফলে একটি বড় সুনামি হয়েছিল, বৃহৎ ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়েছিল ও এর কম্পন নিশ্চয়ই অনেক দূর থেকেই অনুভূত হয়েছিল।

    বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন সমুদ্রের নীচে এমন গর্তের আবিষ্কার খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এর ফলে তাঁরা এই গর্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করার সুযোগ পাবে ও সমুদ্রের প্রভাবগুলির প্রক্রিয়া সম্পর্কে বুঝতে পারবে। তাছাড়াও এই ঘটনার সঙ্গে কোনও চিক্সউলুব ক্রেটারের কোনও যোগসূত্র আছে কিনা তাও জানতে পারবেন তাঁরা।

  • Aurora: অস্ট্রেলিয়ার আকাশে বিরল মেরুপ্রভা! স্পেস স্টেশনের ক্যামেরায় বন্দি সেই দৃশ্য

    Aurora: অস্ট্রেলিয়ার আকাশে বিরল মেরুপ্রভা! স্পেস স্টেশনের ক্যামেরায় বন্দি সেই দৃশ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে প্রতিনিয়ত কতই না মহাজাগতিক ঘটনা চলেছে, যার প্রভাব আমরা পৃথিবীর ওপরেও দেখতে পাই। সম্প্রতি কয়েকদিন আগেই সৌর ঝড় (Solar Storm) পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে, আর তার ফলে সৃষ্টি হয় অরোরা বা মেরুপ্রভা (Aurora)। এই মেরুপ্রভার একটি চোখধাঁধানো ভিডিও ইন্টারন্যাশনাল স্পেস সেন্টার (ISS) থেকে সম্প্রতি শেয়ার করা হয়েছে, যা ব্যাপকভাবে ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে।

    মহাকাশ স্টেশনটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরে অরোরা গঠনের বিস্ময়কর দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করেছে। আইএসএস থেকে জানানো হয়েছে, আইএসএস ভারত মহাসাগরের উপরে ছিল এবং অস্ট্রেলিয়ার পূর্বে কোরাল সাগরের দিকে যাওয়ার সময় এই মেরুপ্রভার অপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়।

    আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পৃথিবী! হঠাৎ আছড়ে পড়ল সৌর ঝড়

    জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবার স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার (SWPC) অনুসারে, ৪ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর ওপর আছড়ে পড়ে সৌর ঝড়। জি-২ ক্লাসের সৌর ঝড় পৃথিবীতে আঘাত করার ফলেই এই মেরুপ্রভার সৃষ্টি হয়েছিল। এই ঝড় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশ সহ কিছু অঞ্চলে একটি অরোরা তৈরি করেছিল।

    কী এই অরোরা বা মেরুপ্রভা বা মেরুজ্যোতি?

    সৌরঝড়ের ফলে প্লাজমা মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে। সেটি পৃথিবীতে এসে পৌঁছলে এগুলি পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র ও বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে। সেই কারণেই অণু-পরমাণুর সংঘর্ষে উজ্জ্বল আলোকবৃত্ত তৈরি হয়। বেশিরভাগ আরোরাতেই সবুজ ও গোলাপী রঙ দেখা যায়। কখনও নজরে পড়ে নীল, লাল বা বেগুনী রঙও। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, অরোরা শুধুমাত্র রাতে দেখা যায় এবং সাধারণত শুধুমাত্র নিম্ন মেরু অঞ্চলে দেখা যায়। সাধারণত কানাডা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, গ্রিনল্যান্ড, রাশিয়া, আন্টার্টিকায় এই রঙের খেলা দেখা যায়। উত্তর অক্ষাংশে এটি অরোরা বোরিয়ালিস বা নর্দার্ন লাইটস বা সুমেরুজ্যোতি নামে পরিচিত। আর দক্ষিণে এর নাম অরোরা অস্ট্রালিস বা সাউদার্ন লাইটস বা কুমেরুজ্যোতি।  

    আরও পড়ুন: সরাসরি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়! ফল কী হতে পারে? জানুন

LinkedIn
Share